Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • CBI: বুধবার শহরে পা সিবিআই প্রধানের! আধিকারিকদের সঙ্গে করলেন রুদ্ধদ্বার বৈঠক

    CBI: বুধবার শহরে পা সিবিআই প্রধানের! আধিকারিকদের সঙ্গে করলেন রুদ্ধদ্বার বৈঠক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার কলকাতায় পা রাখেন সিবিআইয়ের ডিরেক্টর (CBI) প্রবীণ সুদ। বুধাবার সকালে সিবিআইয়ের প্রধান সোজা চলে যান নিজাম প্যালেসে। সিবিআই (CBI) সূত্রে জানা গিয়েছে এদিন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন সিবিআই প্রধান। প্রসঙ্গত এই মুহূর্তে গরুপাচার, কয়লাপাচার, সমেত নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করছে সিবিআই। পাশাপাশি পোস্টিং দুর্নীতির তদন্তও যুক্ত হয়েছে তালিকায়। সিবিআই (CBI) সূত্রের খবর যে এই সমস্ত তদন্তের রুপরেখা তৈরি করতেই আইসিসিআর এ বিশেষ বৈঠক করেন সিবিআই প্রধান। রুদ্ধদ্বার এই বৈঠকের পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছিল ‘সম্পর্ক সভা’। জানা গিয়েছে, তদন্তের গতি, বর্তমান স্থিতি সমেত একাধিক বিষয়ে আলাপচারিতা করেন সিবিআই প্রধান।  বিমানবন্দরে নামার পরে রসিকতার ছলে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘শুনেছি কলকাতার দই নাকি খুব মিষ্টি! তাই দই খেতে এসেছি।’

    রাজারহাটে সিবিআই-এর (CBI) নয়া দফতর হবে?

    সিবিআই (CBI) এর সামনে ২০১৪ সাল থেকেই তদন্তের পাহাড় জমে রয়েছে। সারদা কেলেঙ্কারি, রোজভ্যালি মামলা, নারদা কাণ্ড এগুলোতো সিবিআই দেখছেই, পাশাপাশি তৃণমূল সরকারের আমলে নয়া দুর্নীতির তদন্তের বেশিরভাগটাই সিবিআইয়ের দায়িত্বে রয়েছে। জানা গিয়েছে, কাজের বহর যে পরিমাণে বাড়ছে সেক্ষেত্রে এবারে নিজাম প্যালেসের বদলে নিজেদের জন্য রাজারহাটে দফতর বানাতে চাইছে সিবিআই। বুধবার রাজারহাটেও যেতে দেখা গেছে সিবিআই প্রধানকে।

    তদন্তের গতি কি বাড়বে? 

    প্রসঙ্গত সিবিআই-এর (CBI) আইনজীবীর কাছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা দিন কয়েক আগেই জানতে চেয়েছিলেন যে দুর্নীতি মামলা তদন্ত আর কতদিন চলবে!  তদন্তের গতি যেভাবে চলছে তা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করতেও দেখা গিয়েছিল বিচারপতি অমৃতা সিনহাকে।  এর ঠিক পর পরেই নতুন দায়িত্ব গ্রহণ করেন প্রবীণ সুদ। দুঁদে এই আইপিএস অফিসারের জমানায় তদন্তের গতি বাড়ে নাকি, সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে ওয়াকিবহাল মহল।

     

    আরও পড়ুন: ‘বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের ১০ লক্ষ টাকা টোপ দিয়ে কিনতে চাইছে তৃণমূল’, বিস্ফোরক অগ্নিমিত্রা

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: গণনায় কারচুপি! বড়জোড়ার বিডিও-এসডিওকে হাজিরার নির্দেশ হাইকোর্টে

    Calcutta High Court: গণনায় কারচুপি! বড়জোড়ার বিডিও-এসডিওকে হাজিরার নির্দেশ হাইকোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটে অনিয়মের অভিযোগে এবার বাঁকুড়ার বড়জোড়ার বিডিও, এসডিও সমেত ১৬৭ নম্বর বুথের প্রিসাইডিং অফিসারকে তলব করা হল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। চলতি মাসের ৮ তারিখে তাঁদের উচ্চ আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। প্রসঙ্গত, গত মাসের ৮ তারিখ ছিল পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং ১১ জুলাই ছিল ভোট গণনার দিন। অভিযোগ ওঠে যে গণনা কেন্দ্রের বাইরে থেকে বাম প্রার্থীর পক্ষে ছাপ দেওয়া ২৪৮টি ব্যালট পেপার উদ্ধার করেন গ্রামের লোকজন। স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠছে, যে ব্যালট পেপার থাকার কথা স্ট্রং রুমের ভিতরে তা বাইরে গেল কীভাবে!  এই প্রশ্নের উত্তর পেতে বিচারপতি অমৃতা সিনহা তলব করেছেন ওই তিন সরকারি আধিকারিককে। জানা গিয়েছে ২৪৮টি ভোট দেওয়া ব্যালট উদ্ধার হওয়ার পরপরই কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা দায়ের হয়।

    হাস্যকর যুক্তি পেশ রাজ্যের আইনজীবীর

    রাজ্যের আইনজীবীর তরফে এদিন হাস্যকর যুক্তি পেশ করা হয় আদালতের সামনে। রাজ্যের আইনজীবি বলেন যে চলতি বছরের পঞ্চায়েত নির্বাচনে অনেক জায়গায় নকল ব্যালট ছাপা হয়েছে। স্থানীয় ভিত্তিতে গ্রামের লোকজন নাকি সেই নকল ব্যালট ছাপাতে পারে বলে রাজ্য সরকারের আইনজীবী অনুমানও করেন। বিচারপতি অমৃতা সিনহা (Calcutta High Court) তখন রাজ্যের আইনজীবীকে বলেন, ‘‘গ্রামের লোকজন ব্যালট ছাপানোর মতো টাকা কোথা থেকে পাবেন।’’

    সাসপেন্ড উলুবেড়িয়ার বিডিও, এসডিও সমেত এক সরকারি আধিকারিক 

    প্রসঙ্গত চলতি বছরের পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যজুড়ে অশান্তির বাতাবরণ শুরু হয়ে যায়। এর পাশাপাশি ভোটে এবং গণনাতে কারচুপি এবং অনিয়মেরও বিস্তর অভিযোগ সামনে আসতে থাকে। পরবর্তীকালে হাইকোর্টে প্রচুর মামলাও দায়ের হয়। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে এতে হাইকোর্টের বিচারপতিরা পর্যন্ত বিরক্ত হয়ে ওঠেন। ইতিমধ্যে উলুবেড়িয়ার এসডিও, বিডিও এবং এক সরকারি আধিকারিককে বিরোধী প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বিকৃতি করার অভিযোগে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি সিনহা (Calcutta High Court)। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েও কোন আলাদা ফল হয়নি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: শতবর্ষে পা দিল হাওড়ার ৫২ নম্বর বাস রুট, হেরিটেজ ঘোষণার দাবি

    Howrah: শতবর্ষে পা দিল হাওড়ার ৫২ নম্বর বাস রুট, হেরিটেজ ঘোষণার দাবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়া (Howrah) শহরের সবথেকে পুরনো হল ৫২ নং বাস রুট। যেটিকে হাওড়া শহরের প্রথম বাস রুট বলে ধরে নেওয়া হয়। এই রুটে বাস চলাচল শুরু হয়েছিল ১৯২৪ সালে। শ্রীরামপুরের ৩ নং রুটকে অনেকেই মনে করেন, সেটি হয়তো পশ্চিমবঙ্গের সর্বপ্রথম বাস রুট। কিন্তু আদতে, ৩ নং রুটে বাস চলাচল শুরুর ৪ বছর আগে থেকেই যাত্রা শুরু করে ৫২ নম্বর রুট। এক সময় রুটটি চলত রামরাজাতলা থেকে হাওড়া পর্যন্ত। পরে সেটি বাড়িয়ে এসপ্ল্যানেড বা ধর্মতলা পর্যন্ত করা হয়। এছাড়া ৫২ নম্বরের আরও কিছু রুট ছিল। যেমন খটিরবাজার টু হাওড়া, ইছাপুর টু ধর্মতলা, ৫২ এ সুরকি কল থেকে এসপ্ল্যানেড, রামরাজাতলা থেকে এসপ্ল্যানেড ভায়া ব্রাবোর্ন রোড, ৫২বি রামরাজাতলা থেকে ধর্মতলা ভায়া স্ট্র‍্যান্ড রোড, ৫২ সি হাওড়া ময়দান থেকে ধর্মতলা। বর্তমানে অবশ্য রামরাজাতলা থেকে ধর্মতলা ৫২ নম্বর রুট ছাড়া ৫২ এ, বি রুটগুলি বন্ধ হয়ে গেছে। সময়ের সাথে হাওড়া শহরের রাস্তা অনেকটাই ছোট হয়ে গেছে। বেড়েছে জনঘনত্ব। এর জন্য গাড়ির গতি কিছুটা কমলেও চলার বিরাম হয়নি এই একশো বছরে। অটো-টোটোর দাপটে একটু সমস্যা হলেও, আজও রামরাজাতলার রাজা ৫২। প্রতিদিন ২৫ টি বাস চলে এই রুটে, ৮ মিনিট ছাড়া মেলে পরিষেবা।

    কিছুদিন আগেই হয়ে গেল উদযাপন (Howrah)

    কলকাতা বাসোপিডিয়া গ্রুপের তরফ থেকে এই রুটের শতবর্ষ উদযাপন করা হয় কিছুদিন আগে। বাসোপিডিয়ার সভাপতি সৌভিক মুখার্জি বলেন, আমি দেখেছি বয়স্ক ঠাকুমাকে বাসের গায়ে হাত দিয়ে নমস্কার করতে। আসলে রাম ঠাকুরের থানে যায় তো! দেখেছি নতুন বর-বউকে বাসে বাড়ি ফিরতে। তখন যেন মনে হয়, এ বাস শুধু একটা যানবাহনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। একশো বছর ধরে এতগুলো মানুষকে যে বাস তার সার্ভিস দিয়েছে, সেই বাস কেবল একটা যন্ত্র থাকে না। হয়ে ওঠে পরিবারের সদস্য। সেই প্রবীণ সদস্য আজ একশো বছরে পা দিল। ৫২, ৫৮ বাস মালিক সমিতির সেক্রেটারি ভোলানাথ চৌধুরী বলেন, তাঁর বাবার আমল থেকে তাঁদের এই রুটে (Howrah) বাস চলে। আগে রাম মন্দিরের উল্টোদিকে ফাঁকা যায়গায় এই বাসস্ট্যান্ড ছিল। বছর ২২ আগে রাম মন্দির থেকে কিছুটা দূরে প্রাইভেট পার্টনারশিপে এবং এমপি ল্যাডের টাকায় নতুন বাসস্ট্যান্ড তৈরি হয়। এখন সেখান থেকেই বাস ছাড়ে।

    কী বলছেন এই বাসের এক সময়ের যাত্রীরা (Howrah)?

    হাওড়ার বাসিন্দা শিবনাথ হাজরা বলেন এখন তাঁর বয়স ৬০ এর কিছু বেশি। রামরাজাতলা (Howrah) থেকে বাসে চেপে হাওড়ায় অফিস যেতেন। সেই স্মৃতি এখনও মনে আছে৷ তবে তখন এত রাস্তা জ্যাম হত না। ফাঁকা রাস্তায় বাস চলত। এখন তো অটো-টোটোর ঠ্যালায় গাড়ি চলে ধিক ধিক করে। তিনি বলেন, জেলার অনেক বাস রুটই এখন বন্ধ। ৫২র সঙ্গে ৫৮ নম্বর বাস রুটও তখন বিধানসভা থেকে পাশ হয়েছিল। কিন্তু সেই ৫৮ রুটের বাসও বন্ধ। ৫২ রুটেও বাস কমতে কমতে তলানিতে ঠেকেছে৷ তাই হাওড়ার ঐতিহ্যবাহী এই রুটকে বাঁচিয়ে রাখতে একে হেরিটেজ করার দাবি জানিয়েছেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Bomb Blast: সামশেরগঞ্জে বোমা বিস্ফোরণ, হরিহরপাড়ায় উদ্ধার হল সকেট বোমা

    Bomb Blast: সামশেরগঞ্জে বোমা বিস্ফোরণ, হরিহরপাড়ায় উদ্ধার হল সকেট বোমা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের এই বোমার বিবর্তনে কপালে ভাঁজ পুলিশের। আগে সুতলি বোমার রমরমা থাকলেও এখন বোমার হরেক নাম। কোথাও বল বোমা, কৌটো বোমা, সুতলি বোমা এবং সকেট বোমা। কিছুদিন আগেই মুর্শিদাবাদ জেলায় ফারাক্কাতে উদ্ধার হয়েছিল প্লাস্টিকের রঙিন বোমা, যেগুলি দেখতে অবিকল প্লাস্টিকের বলের মতো। এই বোমাগুলিতে বাচ্চাদের ক্ষতি বেশি করে। কারণ, তারা বল ভেবে মাটিতে ফেললেই বোমা বিস্ফোরণ (Bomb Blast) ঘটবে। এর আগে এই জেলায় এভাবে অনেকে জখম হয়েছে। এই বোমার ব্যবহার ভোট শুরু হওয়ার আগের থেকেই আরম্ভ হয়। মুর্শিদাবাদ জেলায় যখনই ভোট শুরু হয় তার আগে থেকেই বোমার আনাগোনা দেখা যায়। সাগরদিঘি উপনির্বাচনের আগেই স্কুলের ছাদে এবং বাগানে পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল সকেট বোমা। পঞ্চায়েত ভোট শুরু হওয়ার আগে থেকেই মুর্শিদাবাদ জেলার নানা জায়গায় পাওয়া যায় সকেট বোমা এবং সুতলি বোমা।

    সামশেরগঞ্জে বোমা বিস্ফোরণ (Bomb Blast)

    এদিন সামশেরগঞ্জ থানার তিন পাকুরিয়ার পুকুরপাড়ে পড়ে থাকা বোমা ফেটে হঠাৎ বিস্ফোরণ (Bomb Blast) হওয়ায় স্থানীয় মানুষরা আতঙ্কিত হয়ে পড়়েন। জানা যায়, বুধবার দুপুরে সামশেরগঞ্জের তিন পাকুরিয়ায় পুকুরপাড়ে হঠাৎ বোম বিস্ফোরণ ঘটে। এর ফলে ঘটনাস্থলে ভিড় জমান প্রচুর মানুষ। খবর দেওয়া হয় থানায়। ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী। যদিও এই বোমা বিস্ফোরণে কেউ হতাহতের এখনও খবর পাওয়া যায়নি। সামসেরগঞ্জ থানার পুলিশ তদন্ত করে দেখছেন কীভাবে বোমাগুলি এল। অনেকে মনে করেন ভোটের কারণে এগুলি তৈরি করে রাখা হয়েছিল। ব্যবহার না হওয়ায় মাঠে-ঘাটে পুকুর পাড়ে বোমাগুলি রেখে দেওয়া হয়।

    হরিহরপাড়ায় উদ্ধার হল বোমা

    মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া থানা এলাকা থেকে এর আগে প্রচুর সকেট বোমা উদ্ধার হয়েছে। এই নিয়ে মানুষের মনে তৈরি হয়েছে আতঙ্কের বাতাবরণ। পঞ্চায়েত ভোট শুরু হওয়ার আগে থেকেই মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া এবং সামসেরগঞ্জে প্রচুর বোমা উদ্ধার করে হরিহরপাড়া এবং সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ। হরিহরপাড়া থানার রায়পুর অঞ্চলের সদানন্দপুর গ্রামে মাঠের মধ্যেই ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায় পাঁচটি সকেট বোমা। চাষিরা সকালে মাঠে যাওয়ার পরেই তাদের মাঠের মধ্যে ওই বোমাগুলো নজরে আসে। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ প্রশাসনকে খবর দেওয়া হয়। কিছুদিন আগেই স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে মাঠে খেলতে যাওয়ার সময় এই বোমা দেখতে পান তিনজন বাচ্চা, তাঁরা একটি নিয়ে যেই মাটিতে আঘাত করে অমনি ফেটে (Bomb Blast) গিয়ে তিনজনই গুরুতর আহত হন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durgapur: ডিপিএল ময়দানে সভা বাতিলে ব্যাপক বিক্ষোভ বিজেপির, তীব্র উত্তেজনা

    Durgapur: ডিপিএল ময়দানে সভা বাতিলে ব্যাপক বিক্ষোভ বিজেপির, তীব্র উত্তেজনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুর (Durgapur) নগর নিগম নির্বাচনকে দ্রুত করানোর দাবি সহ বিভিন্ন ইস্যুতে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপির পক্ষ থেকে জনসভার আয়োজন করা হয়েছে আগামী ৩ আগস্ট দুর্গাপুরের গ্যামন ব্রিজ সংলগ্ন ময়দানে। যে সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। কিন্তু বিজেপির অভিযোগ ওই ময়দান ডিপিএল কর্তৃপক্ষের অধীনে, ফলে ডিপিএল কর্তৃপক্ষকে বহু আগে থেকে আবেদন করেও, শেষ মুহূর্তে সভা করার অনুমতি দেয়নি কর্তৃপক্ষ। আর সভার অনুমতি না মেলায় এর বিরুদ্ধেই অভিযোগ তুলে প্রতিবাদে নেমেছেন বিজেপি।

    বিজেপির বক্তব্য

    দুর্গাপুর (Durgapur) পশ্চিম কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘোড়ুই অভিযোগ করে বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলিকে ওই ময়দানে সভা করার অনুমতি দিলেও রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপিকে অনুমতি দিতে টালবাহানা করছে কর্তৃপক্ষ। এমনকি পুলিশের অনুমতি মিলছে না। তাঁর আরও দাবি, শুভেন্দু অধিকারীর সভা ওই ময়দানে অনুষ্ঠিত হলে জনপ্লাবনে পরিণত হবে। আর রাজ্যের প্রধান বিরোধীদলের প্রতি মানুষের এই সমর্থনকে মেনে নিতে পারছে না শাসক দল তৃণমূল। তাই অজ্ঞাত কারণে ডিপিএল কর্তৃপক্ষ সভা করতে অনুমতি দিচ্ছেন না। বুধবার সকালে ময়দান পরিদর্শনের পাশাপাশি ডিপিএলের প্রশাসক ভবনে সাক্ষাৎ করতে যান বিজেপির এক প্রতিনিধি দল। কেন তাঁদের অনুমতি দেয়া হচ্ছে না, সেই বিষয়ে কথা বলতে যান বিজেপি। কিন্তু কর্তৃপক্ষ বিজেপি প্রতিনিধিদের সঙ্গে কোনও কথা বলেননি এই দিন। ক্ষুব্ধ বিজেপি বিধায়ক আরও দাবি করে বলেন, ডিপিএল অনুমতি দিক বা না দিক নির্দিষ্ট দিনেই নির্দিষ্ট সময় মেনে ওই ময়দানেই সভা হবে।

    ডিপিএল (Durgapur) এর বক্তব্য

    ডিপিএল কর্তৃপক্ষের এক আধিকারিক বলেন যে আমরা মূলত মেলা, পূজার জন্যই অনুমতি দিয়ে থাকি ওই ময়দানের জন্য। কোনও রকম রাজনৈতিক সভাসমিতির জন্য অনুমতি দেওয়া হয় না। সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন আগেও রাজনৈতিক সভা হয়েছে, এখন তাহলে কীসের সমস্যা! উত্তরে আধিকারিক বলেন, আমি আমার সময়ে যা নিয়ম দেখেছি তার সাপেক্ষেই ডিপিএল এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর বেশী কিছু বলতে পারব না।    

          

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Buddhadeb Bhattacharjee: শারীরিক অবস্থার উন্নতি বুদ্ধদেবের! কবে ফিরছেন বাড়ি?

    Buddhadeb Bhattacharjee: শারীরিক অবস্থার উন্নতি বুদ্ধদেবের! কবে ফিরছেন বাড়ি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিকিৎসায় বেশ ভালোই সাড়া দিচ্ছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য (Buddhadeb Bhattacharjee)। উডল্যান্ডের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন তাঁর শারীরিক অবস্থা আগের থেকে অনেকটাই ভাল। বুদ্ধবাবু (Buddhadeb Bhattacharjee) কথা বলছেন। তাঁর দলের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রর সঙ্গেও বেশ কিছুক্ষণ ধরে কথা বলতে দেখা গিয়েছে বুদ্ধদেব বাবুকে। শোনা যাচ্ছে, তিনি নাকি আম খেতে চেয়েছেন। জানা গিয়েছে, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের চার ঘণ্টা ধরে বাইপ্যাপ চলছে। তারপর এক ঘণ্টা তাঁকে বিশ্রাম দেওয়া হচ্ছে। ঠিক এভাবেই তাঁর শরীরে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে অক্সিজেন। আগামী শনিবার পর্যন্ত তাঁকে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হবে বলে খবর।

    আরও পড়ুন: ভোট চুরি করতে দেননি বলেই কি নদিয়ার বিডিও ট্রান্সফার? তীব্র শোরগোল

    কী বলছেন চিকিৎসকরা?

    চিকিৎসকরা দাবি করছেন, শনিবার যে পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল বুদ্ধদেববাবু (Buddhadeb Bhattacharjee) তার থেকে অনেক বেশি উন্নতি করেছেন। মেডিকেল বোর্ডের এক চিকিৎসক এদিন বলেন, ‘‘বুদ্ধবাবুর শরীরের সংক্রমণের মাত্রা অনেকটাই কমেছে। তবে এখনও তিনি সংক্রমণমুক্ত নন।’’ শোনা যাচ্ছে চিকিৎসকদের কাছে বাড়ি যাওয়ার আবেদন করেছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী (Buddhadeb Bhattacharjee)। জানা গিয়েছে হাসপাতালে যাওয়ার ব্যাপারে নাকি বরাবরই অনীহা রয়েছে বুদ্ধবাবুর। তিনি হাসপাতাল যেতে চান না, বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা করাতে তিনি বেশি স্বচ্ছন্দবোধ করেন।

    কবে বাড়ি ফিরবেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী?

    জানা গিয়েছে, ভেন্টিলেশন থেকে বের হওয়ার পর থেকেই বাড়ি যাওয়ার জন্য অস্থির হয়ে উঠেছেন বুদ্ধবাবু (Buddhadeb Bhattacharjee)।  তাঁর চেতনা আগের থেকে অনেকটাই উন্নত হয়েছে এবং ডাকলে মিলছে প্রতিক্রিয়াও। শনিবার পরিস্থিতি অত্যন্ত গুরুতর হয়ে ওঠে বলে জানা গিয়েছে। এবং এই রকম অবস্থায় বুদ্ধবাবুকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে আনতে হয়। আগামী শনিবার অ্যান্টিবায়োটিক বন্ধ হওয়ার পরে বুদ্ধবাবু কেমন থাকেন এটাই এখন পর্যবেক্ষণে রাখবেন চিকিৎসকরা। আপাতত শনিবারে তাঁকে বাড়ি পাঠানো হতে পারে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর মিলেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Rain: বৃষ্টি আর কোটালের জেরে ভাঙল নদীবাঁধ, প্লাবিত এলাকা, জলমগ্ন সাগরের কপিলমুনির আশ্রম

    Rain: বৃষ্টি আর কোটালের জেরে ভাঙল নদীবাঁধ, প্লাবিত এলাকা, জলমগ্ন সাগরের কপিলমুনির আশ্রম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার সকাল থেকে মেঘলা আকাশ আর দফায় দফায় বৃষ্টি। আর এই বৃষ্টি (Rain) শুরু হয়েছিল মঙ্গলবার রাত থেকে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার উপকূলবর্তী এলাকায় দফায় দফায় বৃষ্টি শুরু হওয়ায় বহু জায়গায় বাঁধ ভেঙে জল ঢুকতে শুরু করেছে। বৃষ্টির সঙ্গে দোসর হয়েছে পূর্ণিমার কোটাল। ফলে, পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হওয়ার আশঙ্কা করছেন এলাকার বাসিন্দারা।

    কোন কোন এলাকা জলমগ্ন হতে শুরু করেছে?

    বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ ও পূর্ণিমার কোটালের জেরে উত্তাল গঙ্গাসাগরের সমুদ্র। সকাল থেকে শুরু বৃষ্টির (Rain) সঙ্গে ঝড়ো হওয়া। ফুলে ফেঁপে উঠছে নদীর জল। নদী বাঁধ উপচে জল ঢুকেছে কপিলমুনি আশ্রমের পাশে মেলার মাঠ এলাকায়। গঙ্গাসাগরের পয়লা ঘেরি, মন্দিরতলা চক, ফুলডুবি এলাকা সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় ঢুকতে শুরু করেছে সমুদ্রের নোনা জল। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জেরে গঙ্গাসাগর কোস্টাল থানার পক্ষ থেকে গঙ্গাসাগরের সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদেরকে মাইকিং এর মাধ্যমে সতর্কবার্তা দিচ্ছে প্রশাসন। গঙ্গাসাগরের পাশাপাশি কুলপির রামকৃষ্ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রত্নেশ্বরপুর এলাকায় প্রায় ১০০ মিটারেরও বেশি নদী বাঁধ ভেঙে হুহু করে ঢুকছে জল। আতঙ্কিত হয়ে রয়েছেন এলাকার মানুষজন। পাশাপাশি বাঁধ ভেঙেছে মৌসুনের বালিয়াড়ি এলাকায়। সকাল থেকেই নিম্নচাপের জেরে বৃষ্টি ও পূর্ণিমার ভরা কোটালে বালিয়াড়ি এলাকায় নদী বাঁধ ভেঙে ঢুকছে জল। একই ছবি দেখা গেল ডায়মন্ড হারবারেও নদীর জলস্ফীতিতে ডুবল পর্যটকদের কেল্লার মাঠ। নামখানা একাধিক জায়গায় নদী বাঁধ ভাঙ্গনের ফলে আতঙ্কিত হয়ে রয়েছেন এলাকার মানুষ।

    কী বললেন পঞ্চায়েত সমিতির বিদায়ী কর্মাধ্যক্ষ?

    ইতিমধ্যে নদী বাঁধ পরিদর্শন করেন গঙ্গাসাগর পঞ্চায়েত সমিতির বিদায়ী কর্মাধ্যক্ষ আব্দুল সামির শাহ ও মুড়িগঙ্গা দু নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদায়ী প্রধান গোবিন্দ মণ্ডল। তাঁদের বক্তব্য, আমরা সব সময় নজরদারি চালাচ্ছি। প্রশাসনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে।

    ফুঁসছে দিঘার সমুদ্র, পর্যটকদের জলে নামতে নিষেধাজ্ঞা

    মঙ্গলবার থেকেই দিঘার আবহাওয়া পরিবর্তন হতে শুরু করেছে। বুধবার সকাল থেকে ঘন কালো মেঘে ঢেকেছে আকাশ। শুধু দিঘা নয়, তাজপুর, মন্দারমণি, শঙ্করপুর সহ উপকূলবর্তী এলাকায় বৃষ্টির (Rain) সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া বইছে। আর পূর্ণিমার কোটালের সঙ্গে সমুদ্রের জসস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। দিঘা ফিশারম্যান অ্যান্ড ফিশ ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শ্যামসুন্দর দাস বলেন, আবহাওয়ার কারণে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে বারণ করা হয়েছে। আরা যারা আগে গিয়েছেন তাদের দ্রুত ফিরে আসতে বলা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি মিললেও এখনও বাড়ি জোটেনি গঙ্গার ভাঙনে ঘরছাড়াদের

    Murshidabad: মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি মিললেও এখনও বাড়ি জোটেনি গঙ্গার ভাঙনে ঘরছাড়াদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গঙ্গার ভাঙনের কবলে পড়ে ঘরছাড়া হয়েছেন সামসেরগঞ্জের (Murshidabad) বিভিন্ন এলাকার বহু মানুষ। তাঁদের মধ্যে অনেকে ঘর পেলেও যোগ্য কিছু ব্যক্তিরা এখনও পাননি ঘর। যদিও বেশ কিছুদিন আগে মুখ্যমন্ত্রী মুর্শিদাবাদে এসে গঙ্গার ভাঙনে তলিয়ের যাওয়া গৃহহীনদের বাড়ি করে দেওয়ার প্রতশ্রুতি দিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু এরপর প্রশাসনের কোনও উদ্যোগ দেখা যায়নি। এখনও গৃহহীনদের বাসস্থান বলতে কোনও স্কুল বাড়ি বা ত্রিপল টাঙিয়ে চলছে, কোনও রকমের দিনপাত। এর মধ্যে এবার শুরু হয়েছে বর্ষা। বাড়ছে গঙ্গার জলস্তর। আবারও ভয়াবহ ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন এলাকাবাসী। কী বলছেন তাঁরা শুনে নেওয়া যাক-

    স্থানীয়দের বক্তব্য (Murshidabad)?

    স্থানীয় (Murshidabad) নূর মহম্মদ মল্লিক বলেন, আমাদের প্রায় ৯০ শতাংশ জমি জলের তলায় চলে গেছে। বৃষ্টির জলে নদীর জলের স্তর বৃদ্ধির ফলে ভাঙন দেখা যাচ্ছে। ৮৬ টির বেশি পরিবারের কোনও বাড়ি বর্তমানে নেই। সরকার কিছু মানুষকে জমির পাট্টা দিলেও মাত্র ১৫ জন তা পেয়েছেন। বেশিরভাগ মানুষ এখনও কিছুই পাননি। এই বর্ষাকালে আমরা কীভাবে দিনপাত করবো সেই প্রশ্নই করছেন এই গৃহহীন।

    অন্যের বাড়িতে ভাড়া থাকছেন

    সামসেরগঞ্জের দুর্গাপুরের গৃহহীন (Murshidabad) এক মহিলা বলেন যে বাড়ি নদীতে তলিয়ে গেলে কিছুদিন ভাড়ার বাড়িতে ছিলাম। বিড়ি বেঁধে কোনরকমে সংসার চলে। কিন্তু নিজে খাবো কী, আর ভাড়া দেবো কী? এই অসহায়তার জন্য এখন নদীর পাশেই এক আত্মীয়ের বাড়িতে এসে থাকছি। কিন্তু এই বাড়িটাও যে কোনও সময়ে তলিয়ে যেতে পারে। তাই সন্তানদের নিয়ে খুব কষ্ট এবং আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি। তিনি আরও বলেন, প্রশাসন থেকে এখনও কোনও সহযোগিতা আমরা পাইনি।

    নদীর পাড়ে ভাঙা বাড়িতে থাকছেন, যে কোনও সময় তলিয়ে যেতে পারে

    স্থানীয় (Murshidabad) মিন্টু শেখ বলেন, আমরা দুই বছর ধরে ঘর ছাড়া। নদীর ধারে একেটি ভাঙা বাড়িতে ত্রিপল টাঙ্গিয়ে কোনও রকম ভাবে থাকছি। আমার আর্থিক অবস্থা ভীষণ খারাপ, সামর্থ নেই যে অন্য জায়গায় বাড়ি করে থাকব। রাতের অন্ধকারে ঠিক করে ঘুমাতে পারি না কারণ, কখন ভেঙে যায় বাড়ি! জানিনা। নিজের জায়গা সম্পত্তি সবই ছিল কিন্তু নদীর ভাঙনে সব তলিয়ে গেছে। এই অবস্থায় সরকার আমাদের পাশে না দাঁড়ালে আমরা কোথায় যাবো! আপাতত মাথা গোঁজার মতন একটা আশ্রয় ভীষণ জরুরী। প্রশাসন এখন কবে উদ্যোগী হন তাই এখন দেখার। 

          

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: দূষণমুক্ত অনাবিল প্রকৃতির হাতছানি মৌসুনী আইল্যান্ড

    South 24 Parganas: দূষণমুক্ত অনাবিল প্রকৃতির হাতছানি মৌসুনী আইল্যান্ড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের উপকূল পর্যটন মানচিত্রে একেবারে নতুন না হলেও এখনও দিঘা, মন্দারমণি, বকখালির মতো পরিচিতি বা জনপ্রিয়তা লাভ করেনি দঃ ২৪ পরগনার একেবারে প্রান্তিক অঞ্চলের এই অপরূপ সুন্দরী ভার্জিন সি-বিচ “মৌসুনী দ্বীপ বা মৌসুনী আইল্যান্ড (South 24 Parganas)। এখনও এখানে প্রবেশ করেনি শহরের ব্যস্ত জীবনের বিরামহীন পথচলা। এখনও এখানে তাই স্বমহিমায় বিরাজ করে অখণ্ড নির্জনতা, দূষণমুক্ত আর অনাবিল প্রকৃতি। উর্মিল বঙ্গোপসগরের তরঙ্গ লহরী এখানে প্রতিনিয়ত হাতছানি দিয়ে ডাকে প্রকৃতিপ্রেমী পর্যটককে। বিস্তীর্ণ সোনালি বালি আকৃষ্ট করে হৃদয়।

    মৌসুনী দ্বীপের (South 24 Parganas) ইতিহাস

    এই সুন্দর দ্বীপটিকে জনমানসে পরিচিতি এনে দেওয়ার কৃতিত্বের অন্যতম দাবিদার কিন্ত বৃটিশরা। মূলত বৃটিশ আমলে এই দ্বীপটিকে ইংরেজরা ব্যবহার করত লবণ এবং শুকনো মাছ আনা-নেওয়ার কাজে। প্রথম এই দ্বীপটি সম্পর্কে লিখিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় “দি হিন্দু” পত্রিকায়।

    মূল আকর্ষণ কী?

    মূলত নীল সাগরের শোভা, বালুকাবেলা এই সৈকতের (South 24 Parganas) প্রধান আকর্ষণ। সঙ্গে উপরি পাওনা গ্রাম্য পরিবেশ। জেলেদের মাছ ধরা, নদী, সবুজ ধানের ক্ষেত -এসবের  আকর্ষণও নেহাৎ কম নয়।

    কিভাবে যাবেন

    মৌসুনী দ্বীপ (South 24 Parganas) যাওয়ার জন্য প্রথমে আসতে হবে নামখানা। এখান থেকে হাতানিয়া নদী পেরিয়ে (বর্তমানে এই নদীর ওপর সেতু হয়ে যাওয়ায় যাতায়াতের ক্ষেত্রে অনেকটাই সুবিধে হয়ে গেছে) বকখালি যাওয়ার পথে খানিক পথ এগিয়ে যেতে হবে বাগডাঙা খেয়াঘাট। মূল সড়ক থেকে খেয়াঘাট অবধি যাচ্ছে টোটো। গাড়ি নিয়ে গেলে এখানে খেয়াঘাটের কাছে গাড়ি রাখার জন্য গ্যারাজের ব্যবস্থাও আছে। সড়ক বা বাসস্টপ থেকে খেয়াঘাট অবধি যেতে সময় লাগে কমবেশি ৩০ মিনিট। এবার গাড়ি এপাড়ে রেখে খেয়া নৌকায় নদী পেরিয়ে নদীর ওপাড়ে এসে সেখান থেকে আবারও টোটোতে প্রায় ১৫-২০ মিনিটের পথ মৌসুনী দ্বীপ বা মৌসুনী আইল্যান্ড।

    কোথায় থাকবেন?

    বর্তমানে এখানে সাগরের কূলে বেশ কিছু টেন্ট তৈরি হয়েছে পর্যটকদের থাকার জন্য। এই টেন্টগুলিতে খাওয়ার ব্যবস্থাও  আছে ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • SLST 2016: এমএলএ হোস্টেলের গেট আটকে বিক্ষোভে চাকরিপ্রার্থীরা! পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি

    SLST 2016: এমএলএ হোস্টেলের গেট আটকে বিক্ষোভে চাকরিপ্রার্থীরা! পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কিড স্ট্রিটের এমএলএ হস্টেলের গেটের সামনে বিক্ষোভে চাকরিপ্রার্থীরা (SLST 2016)। দ্রুত নিয়োগের দাবিতে স্কুলের চাকরিপ্রার্থীদের এই অবস্থান বিক্ষোভ সরাতে আসে কলকাতা পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয় চাকরিপ্রার্থীদের। চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভকে যুক্তিসঙ্গত দাবি করে গেটের ভিতরে তখন বিজেপি বিধায়করাও গলা ফাটাতে থাকেন। বুধবার বেলা ১১টা নাগাদ এই বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কিডস চত্বর। শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বিক্ষোভস্থলে এসে বলেন, ‘‘শুভেন্দু দার সঙ্গে আলোচনা করে, আজকের বিক্ষোভও আমরা তুলে ধরব বিধানসভার ভিতরে।’’ পুলিশ বিক্ষোভ তুলতে এলে শঙ্কর ঘোষ তাতে বাধা দেওয়ার চেষ্টাও করেন। তাঁকে বলতে শোনা যায়, মহিলা পুলিশ ছাড়া, মহিলা আন্দোলনকারীদের গায়ে যেন হাত না দেওয়া হয়। ততক্ষণে গেটের ভিতরে থাকা বিজেপি বিধায়কদের মধ্যে থেকে নিলাদ্রী শেখর দানা এবং অনুপ সাহা পুলিশে কাজের বিরোধিতা করতে থাকেন। নিলাদ্রী শেখর দানা বলেন, ‘‘এই ভাবে টানা হেঁচড়া করবেন না। ওদেরও (SLST 2016) গণতান্ত্রিক অধিকার আছে। এঁরা আমাদের বাড়ির মেয়ে। এরা পশ্চিবঙ্গের মেয়ে। ওঁদের অনুরোধ করে তুলুন।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘এই নিয়ে আজ বিধানসভায় তুলকালাম হবে। বিজেপি বিধায়করা তো চাকরি বেচেনি। আমরা কেন অবরুদ্ধ হব? এই সরকারকে জবাব দিতে হবে । মুখ্যমন্ত্রীকে জবাব দিতে হবে।’’

    চাকরিপ্রার্থীরা কী বলছেন? 

    চাকরিপ্রার্থীরা (SLST 2016) এদিন দাবি করেন, বিধানসভার অধিবেশন চলছে। সেখানে রাজ্যের বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা হচ্ছে। অথচ তাঁরা প্রায় ৯০০ দিন ধরে ‘প্রাপ্য’ চাকরির দাবিতে পথে বসে আন্দোলনের প্রসঙ্গ উঠছে না। জন প্রতিনিধিদের কাছে তাই এদিন ‘অবিচারের’ জবাব চাইতেই তাঁদের আসা। বেলা ১১টা নাগাদ পুলিশ চ্যাঙদোলা করে বিক্ষোভকারীদের প্রিজম ভ্যানে তুলতে থাকে। প্রিজম ভ্যান ভর্তি হয়ে গেলে আনতে হয় বাস। মহিলা চাকরি প্রার্থীদেরও এদিন টেনেহিঁচড়ে তুলতে দেখা যায় পুলিশকে।

    বিধানসভার ভিতরে বিক্ষোভের আঁচ

    বুধবারের সকাল থেকেই কিড স্ট্রিটে এমএলএ হস্টেলের সামনে শুরু হয় ওই বিক্ষোভের আঁচ গিয়ে পড়ে বিধানসভার অন্দরে। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলেন, ‘‘এমএলএ হস্টেলের সামনে বিক্ষোভ হচ্ছে, সেই জন্য এমএলএ, মন্ত্রীরা আটকে পড়েছেন। বলার অধিকার সবারই আছে। কিন্তু, এ ভাবে স্তব্ধ করে দিয়ে আন্দোলন করা ঠিক নয়। আমি প্রশাসনকে বলেছি বিষয়টা দেখতে।’’ শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ এপ্রসঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ে বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচির কথাও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘‘এমএলএ হস্টেলের সামনে চাকরিপ্রার্থীরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ সরকারি সহায়তা মিলছে না। ইদানীং কিছু রাজনৈতিক নেতা দলের কর্মীদের বাড়ি ঘেরাওয়ের নিদান দিচ্ছেন । আজ দেখলাম, আমাদের বিধায়কদের কী অবস্থা! স্পিকারের কাছে অনুরোধ, এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীদের (SLST 2016) কথা শোনা হোক। আর রাজনৈতিক নেতারাও যাতে ভবিষ্যতে এমন মন্তব্য না-করেন, সেটাও দেখুন।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share