Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • TMC: তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের জের! বরখাস্ত করা হল হুগলি গার্লস স্কুলের ৯ জন রাঁধুনিকে

    TMC: তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের জের! বরখাস্ত করা হল হুগলি গার্লস স্কুলের ৯ জন রাঁধুনিকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৯ জন রাঁধুনিকে কাজ থেকে বরখাস্ত করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল (TMC) পরিচালিত স্কুল পরিচালন কমিটির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলি গার্লস হাইস্কুলে। মূলত এই রাঁধুনিরা তৃণমূল কাউন্সিলার ঝন্টু বিশ্বাসের অনুগামী ছিলেন। তাঁকে পরিচালন কমিটি থেকে সরিয়ে অন্যজনকে ওই পদে বসানো হয়েছে। এরপরই ওই ৯ জন রাঁধুনিকে ছাঁটাই করে দেওয়া হয়। এই ঘটনার প্রতিবাদে স্কুলে তাঁরা বিক্ষোভও দেখান। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    কী কারণ দেখিয়ে ৯ জনকে সরিয়ে দেওয়া হল?

    গত ৯ মার্চ ডিএ বৃদ্ধির দাবিতে এক দিনের ধর্মঘটে সামিল হয়েছিলেন সরকারি কর্মচারীরা। সেই ধর্মঘটকে সামনে রেখে সেদিন অনেকের মতোই স্কুলে আসেননি ৯ জন রাঁধুনিও। কিন্তু সঠিক কারণ দর্শাতে না পারায় তাঁদের ছাঁটাই করে দিল স্কুল পরিচালন কমিটি। মঙ্গলবার ওই স্কুলের মিড ডে মিলের ৯ জন রাঁধুনি কাজে এলে তাঁদেরকে স্কুল থেকে বের করে দেওয়া হয়। বলা হয় তাঁদের আর কাজ করার প্রয়োজন নেই। কারণ তাঁরা ওইদিন ধর্মঘটে যোগ দিয়ে স্কুলে আসেননি। স্কুলের বাচ্চারা সেদিন খেতে পায়নি। বাইরে থেকে খাবার কিনে এনে পড়ুয়াদের খেতে দিতে হয়েছে। প্রথমে তাঁদের শো-কজ করা হয়েছিল। তাঁরা জবাবও দিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু স্কুল কমিটি তাতে সন্তুষ্ট হয়নি। এরপরই ওই ৯ কর্মীকে ছাঁটাই-এর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এদিন স্কুলে এসে কাজ চলে গেছে শুনেই কেঁদে ফেলেন তাঁরা। স্কুল গেট আটকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা।

    কী বললেন বরখাস্ত হওয়া রাঁধুনিরা?

    বরখাস্ত হওয়া রাঁধুনিদের বক্তব্য, ৯ মার্চ প্রধান শিক্ষিকা সহ অনেক শিক্ষিকাই স্কুলে অনুপস্থিত ছিলেন। কিন্তু, তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আমরা স্থানীয় কাউন্সিলার তৃণমূলের (TMC)  ঝন্টু বিশ্বাসের ঘনিষ্ঠ বলে আমাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, আসলে হুগলি গার্লস স্কুলের পরিচালন কমিটির মাথায় ছিলেন স্থানীয় কাউন্সিলর ঝন্টু বিশ্বাস। কিন্তু, স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদারের সঙ্গে মনোমালিন্য চলায় ঝন্টুকে ছেঁটে সঞ্জনা সরকার নামে একজনকে পরিচালন কমিটির মাথায় বসানো হয়। এরপরই কোপ গিয়ে পড়ে ঝন্টুর পছন্দের লোকজনদের ওপর।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলার?

    এবিষয়ে তৃণমূল কাউন্সিলার ঝন্টু বিশ্বাস বলেন, এটা খুব দুঃখের বিষয়। বাম আমল থেকে ওই কর্মীরা মিড ডে মিলের কাজ করছেন। অত্যন্ত গরিব তাঁরা। এদের মধ্যে ২ জন বাদে বাকিরা বিধৰা। এইভাবে পেটের ভাত মারা ঠিক নয়। দিদি ক্ষমতায় আসার পর বলেছিলেন বদলা নয়, বদল চাই। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা যে এখন উল্টোটা হচ্ছে।

    কী বললেন পরিচালন কমিটির সভাপতি?

    স্কুল পরিচালন কমিটির সভাপতি সঞ্জনা সরকার বলেন, ধর্মধটের দিন রাঁধুনিরা না আসায় বাচ্চারা খেতে পায়নি। বাইরে থেকে খাবার কিনে খেতে হয়েছিল। এটা ঠিক নয়। তাই, পরিচালন কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এই ব্যাপারে বিজেপি নেতা সুরেশ সাউ বলেন, এটা মূলত তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। যার শিকার হলেন ওই গরিব মহিলারা। তৃণমূল দল কেমন তা ওই রাঁধুনিরা হাড়ে হাড়ে বুঝতে পারছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: পুকুরে মাছ ধরার জালে ফের উদ্ধার ব্যালট বাক্স, তীব্র উত্তেজনা মগরাহাটে

    South 24 Parganas: পুকুরে মাছ ধরার জালে ফের উদ্ধার ব্যালট বাক্স, তীব্র উত্তেজনা মগরাহাটে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট মিটে গেলেও ফলাফল থেমে নেই। উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলার মতন মাছ ধরার জালে উঠে এলো ব্যালট বাক্স। এরই জেরে চাঞ্চল্য ছড়ালো মগরাহাট পশ্চিম বিধানসভার (South 24 Parganas) নেতড়া এলাকায়। শাসক দলকে নিশানা করে বিরোধীরা বলছেন, শাসক দল যেভাবে ভোট লুট করেছেন তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ হল মাছের জালে ব্যালট বাক্স উদ্ধার। জেলা জুড়ে তীব্র চাঞ্চাল্য।

    কিভাবে উদ্ধার হল (South 24 Parganas)?

    স্থানীয় (South 24 Parganas) সূত্রে জানা যায়, বুধবার নেতড়া হাই মাদ্রাসার সামনের পুকুরে বেড়জাল দিয়ে মাছ ধরার সময় উঠে আসে ৩ টি ব্যালট বাক্স। দুটি বড় বাক্স এবং একটি ছোট বাক্স। আর এই ব্যালট বাক্স দেখে চমকে যান এলাকার মানুষজন। পরে ব্যালট বাক্স উদ্ধারের খবর চাউর হলে, এলাকায় ভিড় জমান স্থানীয়রা। তবে কিভাবে পুকুরে এই ব্যালট বক্স এলো তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হয় গণনা কেন্দ্র থেকে লুট করে এই বাক্স পুকুরের জলে ফেলা হয়।

    স্থানীয়দের বক্তব্য

    এলাকার স্থানীয় (South 24 Parganas) এক ব্যাক্তি আব্দুল্লা শেখ বলেন, সকাল ১১ টা নাগাদ পুকুরে মাছ ধরার জন্য জাল ফেললে তিনটি ব্যালট বাক্স পাওয়া যায়। যখন পাওয়া যায়, সেই সময় তিনি উপস্থিত না থাকলেও খবর জানাজানি হতে সকলে ছুটে আসেন। তিনি এই প্রসঙ্গে আরও বলেন, এই বাক্সগুলি যে ভোটের সময় ব্যবহার করা হয়েছে সেই বিষয়ে উনি সুনিশ্চিত। কেননা বাক্সে বেশ কিছু নম্বর লাগানো ছিল। তবে কেন এই পুকুরেই পাওয়া গেল সেই বিষয়ে স্পষ্ট করে বলতে পারেননি।

    উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত নির্বাচন মিটে গেলেও জেলায় জেলায় পুকুর থেকে ব্যালট বাক্স উদ্ধারের ঘটনায় শোরগোল পড়েছে। গত সপ্তাহেই উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলা, করণদিঘিতে একই ভাবে পুকুর থেকে ব্যালট বাক্স উদ্ধার হয়। নদীয়া মুর্শিদাবাদের পাটক্ষেত থেকে ব্যালট পেপার উদ্ধার হয়। হুগলির জাঙ্গি পাড়াতে গণনার পরেও পরিত্যক্ত জায়গা থেকে ভোটের ব্যালট উদ্ধার হয়। এই নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাজে রীতিমতন মামলার শুনানি চলছে। ফলে পঞ্চায়েত ভোট মিটে গেলেও, তাকে ঘিরে শোরগোল থামছে না।       

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: ভোট চুরি করতে দেননি বলেই কি নদিয়ার বিডিও ট্রান্সফার? তীব্র শোরগোল

    Nadia: ভোট চুরি করতে দেননি বলেই কি নদিয়ার বিডিও ট্রান্সফার? তীব্র শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শাসকদলের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে নদিয়ার (Nadia) বিডিও গণনা কেন্দ্রে রুখে দিয়েছিলেন ভোট চুরির কারচুপি। সেই কারণেই বোর্ড গঠন হওয়ার আগেই উত্তরবঙ্গে ট্রান্সফার করে দেওয়া হল। কিন্তু বিরোধী রাজনৈতিক মহলের অভিযোগ এলাকায় কেন বিজেপি জয়ী হয়েছে! আর তাই বিডিওকে ট্রান্সফার করা হয়েছে। অভিযোগের তির সরকার প্রশাসনের বিরুদ্ধেই। তবে যদি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র হলে পথে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিজেপি।

    ঘটনা কোথায় ঘটেছে (Nadia)?

    নদিয়ার (Nadia) শান্তিপুর ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক হলেন প্রণয় মুখার্জি। প্রায় তিন বছর ধরে শান্তিপুর ব্লকের কাজ সামলাচ্ছিলেন তিনি। পঞ্চায়েত নির্বাচনে শক্ত হাতে কাজ করেছিলেন তিনি। এমনকি গণনার দিন কেন্দ্রে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে বারবার ব্যালট বাক্স লুট করার চেষ্টা চালাচ্ছিল শাসক দল। একমাত্র ব্লক আধিকারিক নিজে শক্ত হাতে রুখে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। এই এলাকায় বিজেপি জয়ী হওয়ায়, তৃণমূলের রোষানলে পড়তে হয়েছে বলে অভিযোগ। ফলে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন বিডিও, এমনটাই দাবি রাজনৈতিক মহলের। প্রণয় মুখার্জিকে দক্ষিণ দিনাজপুরের ডিএম-ডিসি করে পাঠানো হলো। অন্যদিকে নদীয়ার ডিএম- ডিসি মোহাম্মদ সাব্বির আহমেদ মোল্লাকে শান্তিপুরের বিডিও করে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চাল্য ছড়িয়েছে।

    বিজেপির বক্তব্য

    এই বিষয়ে বিজেপি মন্ডল সভাপতি (Nadia) তথা নবনির্বাচিত পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য চঞ্চল চক্রবর্তী বলেন যে বিষয়টি পুরোটাই প্রশাসনের। আমরা নতুন ব্লক আধিকারিককে স্বাগত জানাচ্ছি। কিন্তু মনে হচ্ছে তৃণমূল এই বিডিওকে নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেননা। গণনার দিনে হয়তো পছন্দের তৃণমূল প্রার্থীদের জোর করে সার্টিফিকেট লিখিয়ে নিতে পারেননি তৃণমূল আর তাই এই বিডিও শাসক দলের কোপের মুখে পড়েছেন। বোর্ড গঠনের আগে এই ট্রান্সফার অত্যন্ত সন্দেহ প্রবন। ফলে এই ট্রান্সফার যদি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে থাকে, তাহলে আমরা পথে নামতে বাধ্য হব। তিনি আরও বলেন, গণনার দিনেও বিজেপি রাজপথে ছিল, প্রশাসন যদি রাজনীতি করে সরকারি আমলাদের নিয়ে, তাহলে রাস্তায় ফের আন্দোলন হবে।   

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Jhargram: নেট পরীক্ষায় পাশ করলেন রাজ্যে প্রথম ঝাড়গ্রামের শবর যুবক

    Jhargram: নেট পরীক্ষায় পাশ করলেন রাজ্যে প্রথম ঝাড়গ্রামের শবর যুবক

     মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাবা ও মা দু’জনেই নিরক্ষর।  নেট (ন্যাশানাল এলিজিবিটি টেস্ট) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তাক লাগালেন ঝাড়গ্রামের লোধা-শবর সমাজের এক যুবক। তাঁর নাম কার্তিক শবর। সম্প্রতি বেরিয়েছে নেট পরীক্ষার ফলাফল। ফলাফলে দেখা যায় উত্তীর্ণ হয়েছেন তিনি। তিনি হলেন পরিবারের প্রথম প্রজন্মের শিক্ষিত সদস্য। 

    মেধাবী যুবকের পড়াশুনার খরচ কে দিতেন জানেন?

    কার্তিকের বাড়ি ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়ি ব্লকের এড়গোদা গ্রাম পঞ্চায়েতের আশাকাঁথি গ্রামে। গ্রামের আশাকাঁথি নিম্ন বুনিয়াদি হাইস্কুলে প্রাথমিক স্তরে পড়াশুনার পর জয়পুর হাইস্কুলে ৭২ শতাংশ নম্বর নিয়ে মাধ্যমিক পাশ করেন।  তারপরই পড়াশুনার ছেদ পড়ে যাওয়ার কথা ছিল কার্তিকের। কারণ, কার্তিক মাধ্যমিক পাশ করার পরই তাঁর বাবা নির্মল শবর জানিয়ে দেন, পড়াশুনার খরচ সামলাতে পারবেন না। তারপরই কার্তিকের পাশে দাঁড়ান শিক্ষিকা মিতালি পাণ্ডা। তিনি বর্তমানে পন্ডিত রঘুনাথ মুর্মু আবাসিক বিদ্যালয়ের ইংরেজির শিক্ষিকা।  কর্মসূত্রে একসময় মিতালীদেবী জয়পুর স্কুলের শিক্ষিকা ছিলেন। সেখান থেকেই কার্তিকের সঙ্গে তাঁর পরিচয়। তাঁর আর্থিক অবস্থা জানতে পেরে ওই শিক্ষিকাই কার্তিককে বাঁকুড়ার গড় রাইপুর হাইস্কুলে উচ্চমাধ্যমিকে ভর্তি করান। সে থেকেই এখনও পর্যন্ত কার্তিকের সমস্ত খরচ সামলান ওই শিক্ষিকা। ২০১৬ সালে উচ্চমাধ্যমিকে ৮৬.৪ শতাংশ নম্বর নিয়ে পাশ করার পর জামবনি ব্লকের কাপগাড়ি সেবাভারতী মহাবিদ্যালয় থেকে  ভূগোলে অনার্স করেন। ২০২১ সালে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পাশ করেন তিনি। বর্তমানে তিনি ঝাড়গ্রামের সেবায়তন শিক্ষক শিক্ষণ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বিএড করছেন।

    কী বললেন মেধাবী ওই যুবক?

    কার্তিক বলেন, মাধ্যমিকের পর পড়াশুনা আর হত না। দিদিমণি পাশে না দাঁড়ালে এতটা পথ আসতে পারতাম না।  দিদিমণি শুধু আর্থিক ভাবেই সাহায্য করেননি, সবসময় পরামর্শ দিয়েছেন। বড় হয়ে অধ্যাপক হওয়ার ইচ্ছে রয়েছে আমার। ঝাড়খণ্ডে কিছু শিক্ষকের জন্য আবেদন করেছি। দিদিমণির কাছে সাহায্য চাইতে লজ্জা লাগে। এবার নিজেকে কিছু করতে হবে।

    কী বললেন মেধাবী যুবকের পাশে দাঁড়ানো শিক্ষিকা?

    শিক্ষিকা মিতালি পাণ্ডা বলেন, আমি ভীষণ খুশি। কার্তিক আমার এক সন্তানের মতই। নেট পাশের থেকে সবচেয়ে বড় কথা কার্তিক ভাল মনের মানুষ তৈরি হয়েছে। তার জীবনে বাধা অনেক এসেছে। কিন্তু সেই বাধা তাকে থামিয়ে দিতে পারেনি। গবেষণা করার ক্ষেত্রে ওর পাশে কেউ দাঁড়ায় আরও ভাল হবে।

    কী বললেন ঝাড়গ্রাম লোধা-শবর কল্যাণ সমিতির সভাপতি?

    কার্তিকের বাবা নির্মল শবর ও মা পুষ্পরানি শবর দিনমজুরের কাজ করেন। কার্তিক তিন ভাই-বোন। বড় দিদি প্রতিমা শবর উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার বিয়ে হয়ে গিয়েছে। বোন শ্রীমতী শবর বাংলা নিয়ে ঝাড়গ্রাম সাধু রামচাঁদ বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলায় স্নাতকোত্তরে পড়াশুনা করছেন। ঝাড়গ্রাম জেলা লোধা-শবর  সেলের সদস্য  তথা ঝাড়গ্রাম লোধা-শবর কল্যাণ সমিতির সভাপতি খগেন্দ্রনাথ মান্ডি বলেন, লোধা শবর সমাজের কেউ নেট পাশ করেনি।  চাকরি পেলে খুবই ভাল হবে। কার্তিককে দেখে লোধা-শবর ছেলে-মেয়েরা অনুপ্রাণিত হবে। লোধা-শবর মানুষজন প্রশাসনের কাছে যেতে চায় না। সেজন্য বিভিন্ন জায়গায় শিবির করে তাঁদের সুযোগ সুবিধা দিতে হবে। সেবাভারতী কলেজে ভূগোলের অধ্যাপক প্রণব সাহু বলেন, লোধা-শবর উপজাতি সম্প্রদায়ের মধ্যে পড়াশুনার প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়েছে তার জ্বলন্ত উদাহরণ কার্তিক।  তাঁর উচ্চ মেধা জাতীয় স্তরে পরীক্ষায় সাফল্য পেয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: নদিয়া ও পূর্ব মেদিনীপুরে বাজ পড়ে একদিনে তিন মহিলা সহ পাঁচজনের মৃত্যু

    Nadia: নদিয়া ও পূর্ব মেদিনীপুরে বাজ পড়ে একদিনে তিন মহিলা সহ পাঁচজনের মৃত্যু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার প্রবল বৃষ্টির সঙ্গে বাজ পড়ে এক দিনে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। নদিয়ার (Nadia) রানাঘাট এবং পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়া এলাকায় এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মৃত পাঁচজনের মধ্যে চার জনই পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়ার বাসিন্দা। এরমধ্যে দুজন মহিলা রয়েছেন। আর নদিয়ার রানাঘাটেও বাজ পড়ে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    মঙ্গলবার বিকেলে হলদিয়ার ভবানীপুর থানার দেভোগ অঞ্চলের বড়বাড়ি গ্রামে বাজ পড়ে দুই ব্যাক্তির মৃত্যু হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁদের নাম পিন্টু বেরা (৫০) এবং সমরেশ বেরা (৪৫)। পাশাপাশি, হলদিয়ার সুতাহাটা থানার কসবেড়িয়া গ্রামে বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে মামণি মালি নামে এক মহিলার। তাঁর বয়স ৪০ বছর। রাধারানি ভৌমিক নামে আরও এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে। অন্য দিকে, রানাঘাটে বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয়েছে অপর্ণা বিশ্বাস নামে ৩২ বছরের এক মহিলার। স্থানীয় সূত্রে খবর, বিকেলে সমরেশের জমিতে ধান রোয়ার কাজ চলছিল। সেই সময় মুষলধারে বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত শুরু হয়। বৃষ্টি থেকে বাঁচতে মাঠের পাশের একটি বড় গাছের তলায় আশ্রয় নেন দু’জন। কিন্তু, ওই গাছেই বাজ পড়ে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দু’জনের। পরে গ্রামবাসীরা এসে তাঁদের উদ্ধার করেন। অন্য দিকে, মঙ্গলবার বিকেলেই থালা-বাসন ধোয়ার জন্য পুকুরে গিয়েছিলেন সুতাহাটার কসবেড়িয়ার বধূ মামণি । তিনি বাসন মেজে বাড়িতে ফেরার সময়ই বাজ পড়ে। তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। সুতাহাটার হোড়খাল গ্রাম পঞ্চায়েতের বেগুনাবেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা রাধারানিদেবী তুমুল বৃষ্টির মধ্যে চাষের জমিতে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। মাথায় বাজ পড়ে তাঁর মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার বিকেলে নদিয়ার (Nadia) রানাঘাট থানা এলাকায় কাজ করে থেকে ফিরছিলেন বছর ৩২-এর বধূ অপর্ণা বিশ্বাস। সে সময় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ প্রবল বৃষ্টি হচ্ছিল। বাড়ির কিছুটা আগে আচমকা বাজ পড়ে গুরুতর জখম হন তিনি। তাঁকে উদ্ধার করে রানাঘাট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Ghatal: স্বামী কার? একজনকে নিয়ে দুই বউয়ের টানাটানি ঘাটাল আদালতে, এলাকায় উত্তেজনা

    Ghatal: স্বামী কার? একজনকে নিয়ে দুই বউয়ের টানাটানি ঘাটাল আদালতে, এলাকায় উত্তেজনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বামী কার? এক স্বামীকে নিয়ে দুই বউয়ের টানাটানি আদালত চত্বরেই। আদালত চত্বরেই শাশুড়ি ও বউ মিলে গুণধর স্বামীর জামার কলার ধরে টানা টানাটানি করছে, কখনও আবার দুই বউ এর স্বামীকে নিয়ে টানাটানি।  এমন নাটকীয় ঘটনার সাক্ষী থাকল ঘাটাল (Ghatal) মহকুমা আদালত। আর এই ঘটনা দেখতে আদালত চত্বরে ভিড় জমে যায়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘাটাল (Ghatal) মহকুমার চন্দ্রকোণার ছোটবালা গ্রামের প্রশান্ত কয়ারির সঙ্গে ২০১৯ সালে বিয়ে হয় দাসপুরের খেপুত উত্তরবাড়ের মৌসুমী চক্রবর্তীর। বিয়ের কয়েকমাস পরেই তাঁদের ডিভোর্স হয়ে যায়। ডিভোর্সের পর প্রশান্তবাবু আবার বিয়ে করে ঘাটাল থানার হরেকৃষ্ণপুরের বনানী হড়কে। এদিকে বনানী যখন ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা তখন প্রশান্ত মারধর করে বলে অভিযোগ তুলে তিনি বাপের বাড়ি চলে যান। সেখানে তাঁর একটি পুত্র সন্তানও হয়, এখন তার বয়স ৭ মাস। এদিকে ডিভোর্সের পর প্রশান্তর আগের স্ত্রী মৌসুমী চলতি বছরে গত ৭ জুন দাসপুরের সীতাপুরের যুবক প্রসেনজিৎ রায়কে বিয়ে করেন। বিয়ের কিছুদিন পর ২৩ জুন মৌসুমী বাপের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে আর ফিরে আসেনি। এদিকে প্রসেনজিৎ এর অভিযোগ  মৌসুমী আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। এমনকী তার প্রাক্তন স্বামী প্রশান্তর কাছে সে চলে যায়। মৌসুমীকে ডিভোর্স দিয়ে দিতে তারা বলে। মঙ্গলবার সেই ডিভোর্সের আবেদনের জন্যই সবাই আদালতে উপস্থিত হয়। খবর পেয়ে প্রশান্তর স্ত্রী বনানী ও তাঁর মা আদালতে হাজির হন। সেখানেই ঘটে এই নাটকীয় ঘটনা। আদালতের ভিতর থেকেই বনানীর মা ও বনানী প্রশান্ত এবং তাঁর প্রাক্তন স্ত্রীকে টেনে নিয়ে গিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন।

    কী বললেন গুণধর স্বামী?

    প্রশান্তবাবু বলেন, মৌসুমী আমার প্রথম পক্ষের স্ত্রী। সে চলে যাওয়ার পর আমি দ্বিতীয়বার বিয়ে করেছিলাম। তবে, মৌসুমী ফিরে আসার তাঁর সঙ্গে আমি ফের বিয়ে করি। ও ফের বিয়ে করেছিল তা জানতাম না। তাই, মৌসুমী এদিন ঘাটাল (Ghatal) আদালতে তার স্বামীকে ডিভোর্স দেওয়ার জন্য এসেছিল। আর বনানী এবং তার পরিবার ভাল না। ওর সঙ্গে থাকতে চাই না।

    স্বামীর বিরুদ্ধে কী বললেন বনানীদেবী?

    বনানীদেবী বলেন, আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। আমি ওর শাস্তি চাই। ওর সঙ্গে অভিযুক্ত মহিলারও আমি শাস্তি দাবি করছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Vande Bharat: চতুর্থ বন্দে ভারত পেল রাজ্য! অগাস্টেই গড়াবে চাকা, ছুটবে কোন রুটে?

    Vande Bharat: চতুর্থ বন্দে ভারত পেল রাজ্য! অগাস্টেই গড়াবে চাকা, ছুটবে কোন রুটে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের রেল মানচিত্রে জুড়তে চলেছে আরও একটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (Vande Bharat)। জানা গিয়েছে রাজ্যের চতুর্থ এক্সপ্রেস হিসেবে অগাস্ট মাসেই গড়াবে বন্দে ভারতের চাকা। এর আগে হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি, নিউ জলপাইগুড়ি-গুয়াহাটি এবং হাওড়া-পুরী রুটে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের (Vande Bharat) চাকা গড়িয়েছে। বিভিন্ন সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গের চতুর্থ বন্দে ভারত ছুটবে হাওড়া থেকে পাটনার মধ্যে। কলকাতা এবং পাটনার মধ্যে দ্রুততম সংযোগ স্থাপন করবে চতুর্থ বন্দে ভারত। ভারতীয় রেল সূত্রে জানা গিয়েছে ইতিমধ্যে হাওড়া পাটনা বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেন চালু করার প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছে। কখন ছাড়বে হাওড়া থেকে এবং পাটনা থেকেই বা কখন রওনা দেবে? সে নিয়ে আলোচনা চলছে। ভাড়া নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে।

    হাওড়া-পাটনা বন্দে ভারতের ভাড়া কত হবে?

    পাটনা থেকে হাওড়া রেলপথে দূরত্ব হল ৫৩৫ কিলোমিটার। জানা গিয়েছে এই দূরত্ব অতিক্রম করতে বন্দে ভারত সময় নেবে ৭ ঘণ্টা। সেমি হাই স্পিডের এই ট্রেন ছুটবে ৯০ থেকে ১১০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টার গতিতে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বন্দে ভারতের সর্বোচ্চ গতিবেগ ১৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। পাটনা-হাওড়া বন্দে ভারতের (Vande Bharat) ভাড়া নিয়ে এখনও পর্যন্ত রেল কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি বলেই জানা গিয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা  বিভিন্ন রুটে বন্দে ভারতের ভাড়া বিশ্লেষণ করে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন যে হাওড়া থেকে পাটনা যেতে, এসি এক্সিকিউটিভের বন্দে ভারতের ভাড়া হতে পারে ২৬৫০ টাকা। অপরদিকে, এসি চেয়ারকারের জন্য ১,৪৫০ টাকা ভাড়া হতে পারে। হাওড়া থেকে পাটনা পর্যন্ত বন্দে ভারতের (Vande Bharat) স্টপেজ নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। এ নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে বলেই জানা গিয়েছে।

    পুজোয় বন্দে ভারতে থাকছে স্পেশাল মেনু

    পুজোর আর খুব বেশিদিন দেরি নেই। ভ্রমণপ্রিয় বাঙালি পুজোর সময়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করে। সে কথাকে মাথায় রেখে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসেও (Vande Bharat) আসতে চলেছে পুজোর স্বাদ। লুচি, আলুর দম, বাসন্তী পোলাও এইসব দিয়েই দুর্গাপুজোর স্পেশাল মেনু বানানোর পরিকল্পনা করেছে বন্দে ভারত। রসগোল্লা এবং মিষ্টি দইও থাকছে সঙ্গে। এমনটাই জানাচ্ছেন রেল আধিকারিকরা।  প্রসঙ্গত জানুয়ারি মাসেই বাংলা পেয়েছে প্রথম বন্দে ভারত (Vande Bharat)। তাই সেমি হাইস্পিডের এই ট্রেন রাজ্যে প্রথমবার দুর্গাপুজো দেখবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Anubrata Mondal: গরুপাচার মামলায় ইডির তলব ‘কেষ্ট-ঘনিষ্ঠ’ বোলপুরের চেয়ারম্যানকে

    Anubrata Mondal: গরুপাচার মামলায় ইডির তলব ‘কেষ্ট-ঘনিষ্ঠ’ বোলপুরের চেয়ারম্যানকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত বছরের অগাস্ট মাস গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হন অনুব্রত (Anubrata Mondal)। প্রথমে আসানসোল জেলে থাকার পরে এখন তাঁর ঠাঁই তিহাড়ে। এবার এই মামলা নতুন দিকে মোড় পেল। ইডির রেডারে এবার বোলপুর পুরসভার চেয়ারম্যান পর্ণা ঘোষ এবং তাঁর স্বামী সুদীপ্ত ঘোষ। দুজনকেই তলব করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। জানা গিয়েছে, ৪ অগাস্ট দিল্লিতে তলব করা হয়েছে কেষ্ট ঘনিষ্ঠ এই দুই নেতা-নেত্রীকে। পাশাপাশি বোলপুর পুরসভার অপর কাউন্সিলর এবং এক ব্যবসায়ীকেও ডেকে পাঠিয়েছে ইডি।

    কী বলছেন বীরভূম তৃণমূল নেতৃত্ব? 

    বীরভূম তৃণমূলের অন্যতম নেতা তথা বোলপুরের বিধায়ক রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ বলেন, ‘‘আমি জানি না হঠাৎ কেন তলব করা হল। তবে এ সব করে দলের মনোবল ভাঙা যাবে না।’’ পর্ণা-সহ বাকি তৃণমূলের নেতারা দিল্লিতে হাজিরা দিতে যাবেন কি না, সে ব্যাপারেও সঠিকভাবে কিছু বলতে পারেননি রাজ্যর মন্ত্রী। অনুব্রতহীন (Anubrata Mondal) বীরভূমে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল লেগেই রয়েছে। নতুনভাবে রাজনীতিতে ফিরে এসেছে কেষ্টর বিরোধী নেতা বলে পরিচিত কাজল সেখ। এমন অবস্থায় ফের একবার অনুব্রত-ঘনিষ্ঠদের (Anubrata Mondal) ইডির তলব জেলার রাজনীতিতে তৃণমূলকে অস্বস্তিতে ফেলবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

    কেষ্ট-ঘনিষ্ঠ পর্ণা 

    বীরভূমের রাজনীতিতে পর্ণা ‘কেষ্ট-ঘনিষ্ঠ’ (Anubrata Mondal) বলেই পরিচিত। শুধু তাই নয় তদন্তে উঠে এসেছে, ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়া অনুব্রতের হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারির সঙ্গেও পর্ণার যোগ ছিল। পাশাপাশি মণীশের একাধিক সম্পত্তিতেও পর্ণা-যোগ খুঁজে পায় ইডি। ২০২১ সালে বোলপুর পুরসভার মেয়াদ ফুরোয়। এরপরেই প্রশাসক নিয়োগ করে রাজ্য সরকার। জানা গিয়েছে, সেই সময়ে পর্ণাকে বসানো হয় বোলপুর পুরসভার প্রশাসক পদে। এরপর করোনা পরবর্তীকালে ২০২২ সালে পুরসভা ভোট হয়। ভোটের পরে ফের পর্ণাকেই চেয়ারম্যন করে তৃণমূল।

     

    আরও পড়ুুন: “তৃণমূল এখন জাতও চুরি করছে”, শংসাপত্রকাণ্ডে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Malda: ‘আপনারা কি পুতুল’? মালদাকাণ্ডে পুলিশ আধিকারিককে ধমক জাতীয় মহিলা কমিশনের

    Malda: ‘আপনারা কি পুতুল’? মালদাকাণ্ডে পুলিশ আধিকারিককে ধমক জাতীয় মহিলা কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার দুই মহিলা নির্যাতনের ঘটনায় দিল্লি থেকে জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা মালদায় (Malda) আসেন। সোমবার হাওড়ার পাঁচলায় ‘নির্যাতিতা’ বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে দেখা করেন জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা। এদিন মালদার মানিকচকে দুই নির্যাতিতা মহিলার সঙ্গে দেখা করেন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন। আর ওই দুই মহিলার মুখ থেকে গত ১৮ জুলাইয়ের সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা শুনে পুলিশের উপর বেজায় চটেছেন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন।

    পুলিশ আধিকারিককে কী বললেন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন?

    মালদার (Malda) বামনগোলার পাকুয়াহাটের ঘটনায় ‘নির্যাতিতা মহিলাদেরই গ্রেফতার করা হল কেন? আপনারা কি পুতুল? মালদা পুলিশের ডিএসপি (ডিএনটি) আজহারউদ্দিন খানকে এমন প্রশ্নই করলেন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন। ওই পুলিশ আধিকারিকেরা জাতীয় মহিলা কমিশনের ওই প্রতিনিধিদের জবাব দেন, ওই ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। দোষ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঘটনাচক্রে, গত ২৬ এপ্রিল মালদহেরই মুচিয়া চন্দ্ৰমোহন হাই স্কুলের ভরা ক্লাসঘরে ঢুকে পড়ে এক বন্দুকবাজ। পড়ুয়াদের উদ্দেশে বন্দুক উঁচিয়ে শাসানি দিতে থাকে সে। সেই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে নিজের জীবন বাজি রেখে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন ডিএসপি আজহারউদ্দিন। পিস্তল উঁচিয়ে থাকা ওই যুবককে পাকড়াও করেন তিনিই।

    মালদাকাণ্ড (Malda) নিয়ে কী বললেন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন?

    জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন  সাংবাদিকদের সামনে বলেন, চুরির ঘটনা প্রমাণিত হল না, অথচ ওই দুই মহিলা ছয়দিন জেল খাটলো। আর যদি ঘটনাটি ঘটেই থাকতো, তাহলে এভাবে ওদের মারার অধিকার দিয়েছে কে? অর্ধনগ্ন এবং আহত অবস্থায় ওই দুই মহিলাকে চিকিৎসার ব্যবস্থা না করে থানায় বসিয়ে রাখে পুলিশ। এমনকী ওদের মিথ্যা মামলা দিয়ে  জেলে পুড়েছে। এব্যাপারে জাতীয় মহিলা কমিশন চুপ করে বসে থাকবে না। প্রয়োজনে আইনজীবীর পরামর্শ নিয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে এই ঘটনার অভিযোগ জানানো হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bhangar: ভাঙড়ে তিন ব্যাগ ভর্তি তাজা বোমা উদ্ধার, এলাকা জুড়ে শোরগোল

    Bhangar: ভাঙড়ে তিন ব্যাগ ভর্তি তাজা বোমা উদ্ধার, এলাকা জুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণার পর থেকেই বার বার খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের (Bhangar) নাম। এবার সেই ভাঙড়েই ফের উদ্ধার হল প্রচুর পরিমাণ বোমা। ভাঙড়ের কাশিপুর থানার কাঁটাডাঙা গ্রাম থেকে এই বোমা উদ্ধার করা হয়। ঘটনাস্থলে যায় কাশিপুর থানার পুলিশ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

    কত বোমা উদ্ধার করল পুলিশ?

    মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় মানুষজন ভাঙড়ের (Bhangar) কাঁটাডাঙ্গা এলাকায় একটি বাঁশের জঙ্গলের মধ্যে ব্যাগ ভর্তি তাজা বোমা দেখতে পান। খবর দেওয়া হয় কাশিপুর থানার পুলিশকে। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তিনটি ব্যাগ ভর্তি তাজা বোমা উদ্ধার করে। কে বা কারা এই বোমা রেখে গেল, সে সম্পর্কে তদন্ত শুরু করেছে কাশিপুর থানার পুলিশ। তবে, জঙ্গলের মধ্যে তিন ব্যাগ বোমা উদ্ধারের ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    ভাঙড়ের (Bhangar) তৃণমূল নেতা তথা আরাবুল পুত্র হাকিমুল ইসলাম বলেন, কাঁটাডাঙ্গা এলাকা আইএসএফের খাসতালুক। ওরা এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতেই এসব বোমা মজুত করে রেখেছে। ভোট গণনার দিন ওরা কী করেছিল তা সকলেই জানে। পুলিশ প্রশাসনকে ওদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছি। এদিনের বোমা উদ্ধারের ঘটনা প্রমাণ করছে আইএসএফ এলাকায় গন্ডগোল করতেই এত বোমা মজুত করেছিল। এই ঘটনায় এলাকার মানুষ চরম আতঙ্কে রয়েছে। আর এরজন্য ওরা দায়ী।

    কী বললেন আইএসএফ নেতৃত্ব?

    এই বিষয় নিয়ে আইএসএফ নেতা বাহাউদ্দিন বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস এই বোমা নিজেরাই রেখে আমাদের দলের নামে দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে। এই বোমা উদ্ধারের ঘটনায় কোনওভাবেই আইএসএফ যুক্ত নয়। পরিকল্পনা করে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল কংগ্রেস। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি। এই ঘটনায় যে বা যারা জড়িত রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share