Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • TMC: ২১ জুলাই শহিদ দিবসে কেন যাবেন না তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী?

    TMC: ২১ জুলাই শহিদ দিবসে কেন যাবেন না তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২১শে জুলাই শহিদ দিবসে অংশ নিচ্ছেন না ইসলামপুরের তৃণমূল (TMC) বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী। তিনি ইসলামপুর ছেড়ে গেলে তাঁর অনুগামীদের উপর নতুন করে হামলা হওয়ার আশঙ্কা থাকছে। অনুগামীদের রক্ষা করতেই তিনি ২১শে জুলাই শহিদ দিবসে অংশ নেবেন না বলে জানিয়ে দিলেন আব্দুল করিম চৌধুরী। মমতা ব্যানার্জী ২১শে জুলাই শহিদ দিবস যতবার পালন করেছেন ততবার তিনি সেই সভায় হাজির ছিলেন। এই প্রথমবার তিনি শহিদ দিবসের সভায় অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

    কেন শহিদ দিবসে যাবেন না করিমসাহেব?

     করিম সাহেব বলেন, ২১শে জুলাই শহিদ দিবসের সভায় আমি যেতে পারি এই আশঙ্কা করে আমার কাছে অনুগামীরা বাড়িতে এসে কান্নাকাটি করছেন। কারণ, আমি ইসলামপুরে না থাকলে তাদের উপর আরও অত্যাচার নেমে আসবে। ভোট পরবর্তী হিংসায় তার অনুগামীদের উপর তৃণমূলের (TMC) চরম অত্যাচার নেমে আসছে। কারও যাতায়াতের পথ বন্ধ করে দিয়েছে। কাউকে মারধর করে বাড়ি ঘরের জিনিসপত্র নষ্ট করে দিয়েছে। অনুগামীদের পরিস্থিতির কথা বিচার করেই আমি শহিদ দিবসের সভায় না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

    মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে একী বললেন করিমসাহেব?

    করিম চৌধুরী আরও বলেন, “আমি এখন তৃণমূলের (TMC) অজানা লোক। মমতা ব্যানার্জি কথা দিয়েছিল যে করিম দা আপনি ইসলামপুরের, আর ইসলামপুরটা আপনারই। এখন মমতা ব্যানার্জি দলটাকে অন্য কাউকে দিয়ে চালাচ্ছে। তাই দলে আমার কদর এবং ওজন কিছুই নেই।  এক সময় মমতা ব্যানার্জি বলেছিলেন, করিম দা আপনি সম্মানীয় ব্যক্তি। আপনি দলে এলে দলের সম্মান বাড়বে, ওজন বাড়বে।  আজ এমন অবস্থা করে দিয়েছে যে করিম চৌধুরীর নিজেরই কোন ওজন নেই।”

    অন্য দলে যাওয়া প্রসঙ্গে কী বললেন করিমসাহেব?

    অন্য দলে যাওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন,” আমি তৃণমূলের (TMC)  বিদ্রোহী এমএলএ। এরপরে ওরা আমাকে বহিষ্কৃত করবে। আমি বহিষ্কৃত এমএলএ থাকব অন্য দলে যাব না। কারণ, এই তৃণমূল দলটা তৈরির সময় মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে আমিও ছিলাম। উত্তরবঙ্গের আমি প্রথম এমএলএ হই তৃণমূলের। আজকের না, ফ্রম লাস্ট ৫৫ বছরের আগে আমার দাদা ২০ বছর, তার আগে আমার বাবা ৪০ বছর এবং তারও আগে আমার দাদু ৫৬ বছর। সবমিলিয়ে ১৮০ বছর ধরে আমাদের পরিবার ইসলামপুর কে টেনে চলেছে। ছেড়ে দেব? তাও এই সমস্ত ব্যক্তির জন্য? কখনওই না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uttar Dinajpur: তৃণমূল জেলা সভাপতির কুশপুতুল পুড়িয়ে ফের গোষ্ঠী কোন্দলে উত্তাল চোপড়া

    Uttar Dinajpur: তৃণমূল জেলা সভাপতির কুশপুতুল পুড়িয়ে ফের গোষ্ঠী কোন্দলে উত্তাল চোপড়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর দিনাজপুরে (Uttar Dinajpur) তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল আরও প্রকাশ্যে। এবার তৃণমূল জেলা সভাপতির পদত্যাগের দাবিতে কুশপুতুল জ্বালিয়ে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিল করলেন তৃণমূলেরই একাংশ। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়ায়। পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব যেন পিছু ছাড়ছে না তৃণমূলের। জেলায় তীব্র উত্তেজনা এই গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের কারণে।

    কীভাবে ঘটল ঘটনা (Uttar Dinajpur)?

    উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত নির্বাচনের গণনার দিন চোপড়ার (Uttar Dinajpur) বিধায়ক হামিদুল রহমানকে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর দ্বারা মারধরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূল জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের বিরুদ্ধে। এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন চোপড়া ব্লক তৃণমূল নেতৃত্ব। ঘটনার পরদিন থেকেই জেলা সভাপতি ও ঘটনায় যুক্ত পুলিশ অফিসারদের শাস্তির দাবিতে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন চোপড়া ব্লক তৃণমূল কর্মীরা। জেলা সভাপতির ডাকা সমস্ত কর্মসূচি বয়কটের সিদ্ধান্তও গ্রহণ করেন এই হামিদুল গোষ্ঠী। আর তারই অঙ্গ হিসাবে বুধবার বিকেলে চোপড়া অঞ্চল তৃণমূল কমিটির পক্ষ থেকে ২১ শে জুলাই শহিদ দিবস উপলক্ষে ‘ধর্মতলা চলো’ কর্মসূচিকে সফল করতে একটি মিছিল বের করা হয়। সেই মিছিল থেকে পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের পদত্যাগের দাবি তোলা হয়। সেই সঙ্গে জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের কুশপুতুল দাহ করা হয়। শুধু জেলা সভাপতিই নয়, মন্ত্রী গোলাম রব্বানীর বিরুদ্ধেও সোচ্চার হন বিক্ষুব্ধ তৃণমূলের এই নেতাকর্মীরা।

    বিক্ষুব্ধ তৃণমূল গোষ্ঠীর বক্তব্য

    তৃণমূলের হামিদুল গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে চোপড়ার (Uttar Dinajpur) তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল কমিটির কনভেনার অসীম মুখার্জি বলেন, অবিলম্বে জেলা সভাপতিকে অপসারণ করা হোক। তা না হলে শহিদ দিবসের পর কলকাতা থেকে ফিরে এসে বৃহত্তর আন্দোলনে নামব আমরা। অবিলম্বে শাস্তি না দিলে, ২০ হাজার চা বাগানের শ্রমিকদের নিয়ে ইসলামপুর পুলিশ সুপারের দফতর এবং জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের বাড়ি ঘেরাও করব। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, আমাদের দাবি না মানলে আগামী দিনে আমরা তৃণমূলের সব কার্যক্রম বয়কট করব। চোপড়া ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির আরেক সদস্য মহঃ আনিফ বলেন, উত্তর দিনাজপুর জুড়ে যেভাবে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চলছে, তাকে থামানোর যোগ্যতা নেই জেলা সভাপতি কানাইলালবাবুর। তাই তাঁর পদত্যাগ চাই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ

  • Howrah: ‘আমাদের ভোটটাও দিতে দিলেন না? ছিঃ!’ পোস্টারে শোরগোল হাওড়ায়

    Howrah: ‘আমাদের ভোটটাও দিতে দিলেন না? ছিঃ!’ পোস্টারে শোরগোল হাওড়ায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট দিতে না পারায় কোথাও নিরবে, কোথাও সোশ্যাল মিডিয়ায় আবার কোথাও রাতের অন্ধকারে পোস্টার মেরে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন সাধারণ মানুষ। হাওড়ার (Howrah) ডোমজুড় এবং জগৎবল্লভপুর এলাকায় এমনই প্রতিবাদের চিত্র ধরা পড়ল। এলাকায় কোথাও দেওয়ালে আবার কোথাও ইলেকট্রিক পোস্টে মারা হয়েছে পোস্টার। তাতে লেখা হয়েছে, ‘আমাদের ভোটটাও দিতে দিলেন না? ছিঃ’ যদিও এই পোস্টার বা কারা লাগিয়েছে তা জানা যায়নি।

    কেন পোস্টার দেওয়া হয়েছে (Howrah)?

    রাতের অন্ধকারে বিভিন্ন জায়গায় এই পোস্টার মারা হয়েছে। পোস্টারের নিচে লেখা জগদীশপুর অঞ্চল গ্রামবাসীবৃন্দ। রাজ্যজুড়ে পঞ্চায়েত ভোটের নামে প্রহসন কেমন ছিল সাধারণ তা মানুষ দেখেছেন। বহু বুথেই মানুষ ভোট দিতে গেলেও ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। আবার কোথাও মানুষ ভোট দিলেও ব্যালট ছিনতাই সহ নানা কারচুপির অভিযোগ উঠেছে। রাজ্যজুড়ে জেলায় জেলায় রীতিমতো শাসকদলের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছেন সাধারণ মানুষ। এমনকি প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করলে ঘটতে পারে আরও বড় বিপদ। তাই মানুষের ভুরি ভুরি অভিযোগ ও ক্ষোভ থাকলেও অনেকেই প্রকাশ্যে সেই ক্ষোভ উগরে দিতে ভয় পাচ্ছেন। তাই হাওড়ায় (Howrah) পোস্টার দিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানালেন সাধারণ মানুষ।

    হাওড়ার কোথায় পোস্টার দেওয়া হল

    জগদীশপুর (Howrah) পঞ্চায়েতের একটি অংশ চামরাইল লাগোয়া রামকৃষ্ণপাড়া, মাঝেরহাটে প্রচুর পোস্টার দেওয়া হয়েছে। ভোটের ক’দিন কাটতে না কাটতেই সেই এলাকার একাধিক বাড়ির দেওয়াল, লাইটপোস্ট, দোকানের শাটারে লাগানো হয়েছে সাদা কাগজে ছাপা সেই পোস্টারগুলি। গ্রামবাসীবৃন্দের নামে সেই পোস্টারগুলি রাতের বেলা লাগানো হয়েছে বলে দাবি এলাকাবাসীর।

    বিজেপির বক্তব্য

    হাওড়া (Howrah) সদর বিজেপির সহ-সভাপতি গোবিন্দ হাজরা বলেন, গ্রামের মানুষ পঞ্চায়েতে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে না পারায় ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন পোস্টারের মাধ্যমে। তিনি আরও বলেন, ভোটের দিন যেভাবে শাসকদলের দুর্বৃত্তরা গ্রামবাসীদের মারধর করে সন্ত্রাস চালিয়েছে, দুষ্কৃতীরা ভোট না দিতে দিয়ে ভোট লুঠ করেছে, সেই ক্ষোভেরই প্রকাশ এই পোস্টারের মাধ্যমে হয়েছে। ভোটে কী হয়েছে মানুষ সবই দেখেছেন।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    অন্যদিকে, ডোমজুড় (Howrah) অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি তাপস মাইতি বলেন, এই অঞ্চলে ভোট নির্বিঘ্নে ও শান্তিপূর্ণ ভাবেই হয়েছে। স্থানীয় কোনও মাদকাসক্ত যুবকরা নেশা করে টাকা নিয়ে রাতের অন্ধকারে এই কাজ করেছে। বিভ্র্রান্তি তৈরি করতে পোস্টারে গ্রামবাসীদের নাম দিয়ে অপপ্রচার করা হচ্ছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • TMC: অবাক কাণ্ড! পঞ্চায়েতে একই আসনে জয়ী দুই প্রার্থী, নন্দীগ্রামের ঘটনায় শোরগোল

    TMC: অবাক কাণ্ড! পঞ্চায়েতে একই আসনে জয়ী দুই প্রার্থী, নন্দীগ্রামের ঘটনায় শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নন্দীগ্রামের একই আসনে জয়ী দুই প্রার্থী। একজন তৃণমূল (TMC) প্রার্থী, অন্য জন শাসকদলের টিকিট না পেয়ে নির্দল হয়ে দাঁড়ানো প্রার্থী। দুজনের কাছেই রয়েছে এপিআরও স্বাক্ষর করা জয়ের শংসাপত্র। কেন্দামারি গ্রাম পঞ্চায়েতের ২১৭ নম্বর আসনের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    কী বললেন জয়ী হওয়ার শংসাপত্র পাওয়া নির্দল প্রার্থী?

    নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের কেন্দামারি জালপাই পঞ্চায়েতের ২২ টি আসনে মূলত তৃণমূল ও নির্দল প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে। তৃণমূলের (TMC) প্রাক্তনরা টিকিট না পেয়ে নন্দীগ্রাম আঞ্চলিক উন্নয়ন পর্ষদের ব্যানারে দলের বিরুদ্ধেই প্রার্থী হন। জালপাই পঞ্চায়েতের ২১৭ নম্বর আসনে তৃণমূল প্রার্থী ছিলেন তাপসী দোলই। আবার নন্দীগ্রাম আঞ্চলিক উন্নয়ন পর্ষদের সর্মথন নিয়ে নির্দল প্রার্থী হয়ে ভোটে দাঁড়ান রীতা বল্লভ। নির্দল প্রার্থী রীতা বল্লভের বক্তব্য, ১১ জুলাই ভোট গণনার দিন, আমাকে ১৮১ ভোটে জয়ী ঘোষণা করে এপিআরও-র সই ও স্ট্যাম্প-সহ শংসাপত্র দেওয়া হয়। ফলে, সবার আগে আমি জয়ের শংসাপত্র পেয়েছি। আর তার ঠিক সাতদিন পর সোমবার, আমাকে ফোন করে জানানো হয়, ওই শংসাপত্রে ভুল রয়েছে। বিডিও অফিসে আমাকে দেখা করতে বলা হয়। সেদিনই, তৃণমূলের প্রার্থীকে ১৮১ ভোটে জয়ী ঘোষণা করে শংসাপত্র দিয়ে দেওয়া হয়। তাতেও এপিআরও-র সই ও স্ট্যাম্প রয়েছে। ফলে, এটা শাসকদলের কথা শুনে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। আমরা অন্যায় এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হব।

    কী বললেন জয়ী হওয়া তৃণমূল (TMC) প্রার্থী?

    তৃণমূল (TMC) প্রার্থীর তাপসী দোলইয়ের বক্তব্য, ভোটের ফল বের হওয়ার কয়েকদিন পর আমাকে ফোন করে জানানো হয়েছে আমি জয়ী হয়েছি। এরপরই প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাকে শংসাপত্র দেওয়া হয়। ফলে, প্রশাসনের নির্দেশ মেনেই আমি জয়ী হয়েছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Vote: মুর্শিদাবাদে গণনায় কারচুপি করে বিরোধী প্রার্থীকে হারানোর অভিযোগ

    Panchayat Vote: মুর্শিদাবাদে গণনায় কারচুপি করে বিরোধী প্রার্থীকে হারানোর অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটকে (Panchayat Vote) ঘিরে ছাপ্পা, ভোট লুটের অভিযোগ নতুন কিছু নয়। জেলায় জেলায় বিরোধীদের অভিযোগ, গণনা কেন্দ্রেও কারচুপি করেছে  শাসক দল। এনিয়ে একাধিক মামলাও দায়ের হয়েছে হাইকোর্টে। মুর্শিদাবাদ জেলায় কাঞ্চনতলা পঞ্চায়েতের হিজলিতলা প্রাইমারি স্কুলের ভোট কেন্দ্রে সেরকমই কারচুপির ছবি সামনে এসেছে। ওই বুথে ভোট পড়ে ৫৮৬। ভোট গণনার দিন দেখা যায় ৫৪৩টি ভোট গণনা হয়েছে এবং মাত্র ১২ ভোটে পরাজয় হয়েছে কংগ্রেস প্রার্থীর। তাহলে বাকি ৪৩ ভোট (Panchayat Vote) ভুতুড়ে হয়ে গেল কোথায়? এমনটাই প্রশ্ন বিরোধীদের। মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেসের প্রশ্ন, তাদেরকে হারানোর জন্যই কি ৪৩টি ভোট ভুতুড়ে হয়ে উড়ে গেল? কারচুপি করে তাঁকে হারানো হয়েছে, এই নিয়ে অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন জাতীয় কংগ্রেস প্রার্থী মোঃ মোস্তাকিম। ইতিমধ্যেই রাজ্যপাল, ইলেকশন কমিশন, এসডিও, বিডিওদের ই মেইলও করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কংগ্রেসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, কোনওরকম সুরাহা না হলে তারা হাইকোর্টে যাবে।

    সোনারপুরের বুথে ভোটার ৭৪০, অথচ তৃণমূল জয়ী ১০৮৬ ভোট পেয়ে

    এই ধরনের ঘটনা অবশ্য নতুন নয়। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার সোনারপুর ব্লকের প্রতাপনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের একের পর এক বুথের ব্যালট বক্সের ব্যালট পেপারের (Panchayat Vote) হিসাব মিলছে না বলে অভিযোগ তুলে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছেন বিরোধীরা। তার মধ্যে ২০১ এ ২০১ বি- এই দুটি বুথের দুজন বিজেপি প্রার্থীর অভিযোগ, বুথের যা মোট ভোটার, তার চেয়ে প্রায় দেড়গুণের মতো ভোট কীভাবে পেয়ে জিতে গেল শাসকদলের প্রার্থী? তাই ওই বুথে পুনরায় ভোটের দাবি নিয়ে হাইকোর্টে মামলা করতে চলেছেন তাঁরা। তাঁদের অভিযোগ, তাঁরা প্রথম জিতে গিয়েছিলেন। পরে তাঁদের মেরেধরে গণনা কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। পরে ঘোষণা করা হল, ওই দুটি বুথে তৃণমূল প্রার্থী বিজয়ী। ২০১ এ-র বিজেপি প্রার্থী আলোমতি হালদার (সরদার) জানান, তাঁর বুথের (Panchayat Vote) ভোটার সংখ্যা হল ৭৪০, ভোট পড়েছে ৬০৬, সেখানে ওয়েবসাইটে দেখা যাচ্ছে তৃণমূল প্রার্থী ১০৮৬ ভোট পেয়ে জিতে গিয়েছেন। অন্যদিকে ২০১ বি বুথের বিজেপির প্রার্থী অষ্টম কুমার নস্কর জানান, তাঁর বুথের ভোটার ৭২০, ভোট পড়েছে ৬১৪ সেখানে তৃণমূল প্রার্থী ১০৮৪ ভোট পেয়ে জিতে গেছেন। এই দুই প্রার্থীর অভিযোগ, ইচ্ছাকৃতভাবে বাইরে থেকে ব্যালট পেপারে ছাপ মেরে ব্যালট বক্সে দিয়ে তৃণমূল প্রার্থীকে জিতিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই তাঁরা আদালতের শরণাপন্ন হবেন নতুন করে ভোটের দাবি নিয়ে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah Railway Station: নয়া শিরোপা, হাওড়া স্টেশন এখন থেকে গ্রিন রেলওয়ে স্টেশন

    Howrah Railway Station: নয়া শিরোপা, হাওড়া স্টেশন এখন থেকে গ্রিন রেলওয়ে স্টেশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়া স্টেশন এতদিন ছিল সিলভার রেটিং পাওয়া স্টেশন। বুধবার থেকে হাওড়া স্টেশনকে (Howrah Railway Station) গোল্ড রেটিং স্টেশনের শিরোপা দেওয়া হল। হাওড়া রেলওয়ে স্টেশনকে ইন্ডিয়ান গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল, গ্রিন রেলওয়ে স্টেশন হিসাবে ঘোষণা করল। তাদের রেটিং সিস্টেমের অধীনে সিআইআই-আইজিবিসি গোল্ড রেটিং দেওয়া হয়েছে। বুধবার হাওড়া স্টেশন এক অনুষ্ঠানে, পুর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার শ্রী অমরপ্রকাশ দ্বিবেদীর হাতে গোল্ড ফলক এবং গোল্ড রেটিং সার্টিফিকেট তুলে দেন গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিলের কোর কমিটির সদস্য জি এম কাপুর। হাওড়া স্টেশনের টেকসই পরিচালন ব্যবস্থা ও পরিবেশ বান্ধব পরিষেবার জন্য এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।

    কী কী কাজের জন্য মিলল এই সম্মান?

    হাওড়া রেলওয়ে স্টেশন, প্ল্যাটফর্মের সংখ্যার দিক থেকে দেশের বৃহত্তম। প্রতিদিন এই স্টেশন (Howrah Railway Station) দিয়ে প্রায় সাড়ে ৬ লক্ষ যাত্রী চলাচল করেন। সময় পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে রূপ বদলেছে হাওড়া স্টেশনের। হাওড়া স্টেশনের ফুড প্লাজার কাছে গেলে দেখা যাবে আধুনিকতার উজ্জ্বল মুখ। এই অনুষ্ঠানে নতুন ডিআরএম নিযুক্ত হলেন সঞ্জীব কুমার। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রেল আধিকারিক মণীষ জৈন। গ্রিন রেটিং দেওয়া হয়েছে পরিবেশ বান্ধব ভবন এবং যাত্রী-বান্ধব বৈশিষ্ট্য যেমন স্টেশনের ছাদের ইনস্টলেশন, জলের ব্যবস্থাপনা, যান্ত্রিক পদ্ধতিতে স্টেশন পরিষ্কার রাখা, দিনের বেলায় কোনও কৃত্রিম আলো ব্যবহার না করে সুর্যের আলো ব্যবহার, কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, তাজা বাতাস চলাচল সহ নানা বৈশিষ্ট্যের জন্য। অমর প্রকাশ দ্বিবেদী এই সাফল্যের জন্যে স্টেশন পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত সকলকে ধন্যবাদ জানান।

    খুশি রেলযাত্রীরা (Howrah Railway Station)

    হাওড়া স্টেশনের এই শিরোপা অর্জনে খুশি সাধারণ মানুষ থেকে রেল যাত্রীরা (Howrah Railway Station)। তাঁরা জানান,  অন্যান্য স্টেশনের তুলনায় হাওড়া স্টেশনের পরিষেবা অনেকটাই ভালো। যাত্রী সুবিধার্থে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবেশ বান্ধব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, যা ভারতীয় রেলের কাছে একটা দৃষ্টান্ত স্বরূপ।  তাই এই পুরস্কার পাওয়া উচিত ছিল বলে তাঁরা মনে করেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: রাস্তা তৈরিতে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ, আরামবাগে কাজ বন্ধ করে দিলেন বাসিন্দারা

    Hooghly: রাস্তা তৈরিতে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ, আরামবাগে কাজ বন্ধ করে দিলেন বাসিন্দারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরামবাগ ব্লকের মায়াপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের কল্যাণ কেন্দ্র এলাকার ঘটনা। সূত্রধরপাড়া থেকে অহল্যাবাই রোড পর্যন্ত হুগলি (Hooghly) জেলা পরিষদের অধীনে টেন্ডারের মাধ্যমে পিসি সেন রোড ঢালাইয়ের কাজ শুরু হয়েছে। এলাকার বাসিন্দাদের মূল অভিযোগ, কাজ চলাকালীন রাস্তায় যে সমস্ত নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে, তা খুবই নিম্নমানের। প্রতিবাদে রাস্তা তৈরির কাজ বন্ধ করে দেন গ্রামবাসীরা।

    এলাকার সমস্যা কী (Hooghly)?

    গ্রামের (Hooghly) মানুষের অভিযোগ, আগে যে পঞ্চায়েতের তৈরি ঢালাই রাস্তা ছিল, তা ১০ ফুট চওড়া ছিল। কিন্তু সূত্রধরপাড়ার রাস্তা এবং পিসি সেন রোড কোথাও ৭ ফুট, আবার কোথাও ৮ ফুট চওড়া করা হচ্ছে। রাস্তার মাপ সমান নেই! এমনকি মোড়ে মোড়ে রাস্তার ঢালাই কম করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। গ্রামের একমাত্র প্রধান রাস্তা হল এটি! এই রাস্তার উপর দিয়ে প্রত্যেক দিন যাতায়াত করে শত শত গাড়ি ও মানুষ। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী যেভাবে রাস্তা তৈরি হওয়ার কথা হয়েছে, সেই অনুযায়ী নিয়ম মেনে কাজ হচ্ছে না। তাই গ্রামবাসীরা প্রতিবাদ জানিয়ে রাস্তার কাজ বন্ধ করে দেন। গ্রামের মানুষ দাবি করেন, যতক্ষণ না সঠিক ভাবে নিয়ম মেনে কাজ হবে, ততক্ষণ কাজ করতে দেওয়া হবে না।

    এলাকাবাসীর বক্তব্য

    এক গ্রামাবাসী (Hooghly) গৌরহরি সূত্রধর বলেন, গ্রামের ভিতরে যে রাস্তা হয়েছে, ঢোকার মুখে তা চওড়ায় অনেকটাই কম হয়েছে। গ্রামে ঢোকার মুখে রাস্তা বড় না হলে কীভাবে মানুষ চলাচল করবে? জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে এমন ভাব করেন, যেন দয়া করে রাস্তা করে দিচ্ছেন! কিন্তু আদতে তা নয়, সাধারণ জনগণের ট্যাক্সের টাকায় হচ্ছে রাস্তা। নির্মাণসামগ্রীও অত্যন্ত নিম্নমানের বলেই আমরা রাস্তা বন্ধ করেছি। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, আমরা দয়া ভিক্ষা চাই না, চাই রাস্তা।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    স্থানীয় (Hooghly) জেলার এক নেতা বলেন, আমি ওই এলাকার পঞ্চায়েত প্রধানের কাছ থেকে খোঁজখবর নিয়েছি। রাস্তার মাপ কোথাও ১০ ফুট আবার কোথাও ১২ ফুট করা হচ্ছে। কিন্তু নিয়ম মেনেই কাজ হচ্ছে। নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রীর কথা প্রসঙ্গে বলেন, এই অভিযোগ মিথ্যা। তিনি আরও বলেন, কিছু লোক থাকেন যারা কেবল বিরোধিতা করতে হয় বলে কাজের বিরোধিতা করছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Partha Chatterjee: পার্থর বিরুদ্ধে তদন্তের অনুমোদন রাজ্যপালের! বাধাহীন বিচারপ্রক্রিয়া

    Partha Chatterjee: পার্থর বিরুদ্ধে তদন্তের অনুমোদন রাজ্যপালের! বাধাহীন বিচারপ্রক্রিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলবন্দি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) বিরুদ্ধে ট্রায়াল চালিয়ে যাওয়ার অনুমোদন দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। কিন্তু হঠাৎ রাজ্যপালের অনুমোদনের প্রয়োজন কেন? সংবিধান বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘‘ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৯৭ নম্বর ধারা অনুযায়ী, যে কোনও মন্ত্রী বা আইন প্রণেতা বা সরকারি ব্যক্তির বিরুদ্ধে আদালতে বিচারপ্রক্রিয়া চালাতে অনুমোদন প্রয়োজন হয়। ভারতীয় সংবিধানের ১৬৩ নম্বর ধারা অনুযায়ী, নিজের ক্ষমতাবলে এই অনুমোদন দিলেন রাজ্যপাল।’’ ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জেতার পরে পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) পূর্ণমন্ত্রী ছিলেন মমতার মন্ত্রিসভায়। সংবিধান অনুযায়ী মন্ত্রিসভাকে শপথ বাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল। আবার পার্থ যেহেতু বিধানসভারও সদস্য, তাই তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত করতে হলে বিধানসভার অধ্যক্ষেরও সম্মতি প্রয়োজন। এক্ষেত্রে অনুমতি নেওয়া হল সিভি আনন্দ বোসের। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, রাজ্যপালের অনুমোদনে সিবিআই তদন্তের অগ্রগতিতে আর কোনও বাধা রইল না।

    ২০২২ সালের জুলাই মাসে গ্রেফতার হন পার্থ (Partha Chatterjee) 

    প্রসঙ্গত, এক বছর আগে নিজের নাকতলার বাড়ি থেকে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। তখনই তাঁর বান্ধবী অর্পিতার বাড়িতেও হানা দেয় ইডি। সেখান থেকে মেলে ২২ কোটি টাকা। পরে আবারও অর্পিতার অন্য ফ্ল্যাট থেকে পাওয়া যায় ২৮ কোটি টাকা। ইডি গ্রেফতার করলেও পরে তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করে সিবিআই। পার্থর বিচারের ক্ষেত্রে রাজ্যপালের অনুমোদন জরুরি ছিল। সিবিআইয়ের সেই আবেদনেই সিলমোহর দিলেন রাজ্যপাল। বিচার প্রক্রিয়ায় আর কোনও বাধা রইল না।

    প্রেসিডেন্সি জেল যেন তৃণমূলের মন্ত্রী-বিধায়কদের পর্যটন কেন্দ্র 

    প্রেসিডেন্সি জেল যেন তৃণমূলের নেতাদের কাছে পর্যটন কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ছাড়াও জেলে আছেন আরও দুই তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য এবং জীবনকৃষ্ণ সাহা। রয়েছেন স্কুল শিক্ষা দফতরের আধিকারিকরাও। এঁদের সবাই গ্রেফতার হয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে। পার্থর বিরুদ্ধে একাধিক তথ্যপ্রমাণ পেয়েছে তারা, এমনটাই দাবি সিবিআইয়ের। তা আদালতে ইতিমধ্যে পেশও করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uttar Dinajpur: ইয়েচুরি-মমতা বৈঠককে ঘৃণা করি, জানিয়ে দিল নিহত সিপিএম কর্মীর পরিবার

    Uttar Dinajpur: ইয়েচুরি-মমতা বৈঠককে ঘৃণা করি, জানিয়ে দিল নিহত সিপিএম কর্মীর পরিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাওয়ার সময় তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল চোপড়ার (Uttar Dinajpur) সিপিআইএম কর্মী মনসুর আলমের। মনসুরের পরিবারের সেই ক্ষত আজও দগদগে। এরই মধ্যে বেঙ্গালুরুতে এক টেবিলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সিপিআইএমের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিকে দেখে মর্মাহত মনসুরের পরিবার।

    কেন মর্মাহত (Uttar Dinajpur)?

    সাধারণ নিচু তলার রাজনৈতিক কর্মীরা বোঝেন না জাতীয় রাজনীতি। তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের হাতেই খুন হয়েছেন সিপিআইএম কর্মী মনসুর আলম। তাই এই মৃত্যুতে নিহত মনসুরের (Uttar Dinajpur) দাদু মহঃ গিয়াসুদ্দিন বলেন, সিপিআইএম-তৃণমূলের জোটকে কোনওভাবেই মেনে নিতে পারছি না। সর্বভারতীয় স্তরে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কোনও মুখকে তুলে না ধরে, মানুষকে ভাঁওতা দেবার জন্য বৈঠক করছেন। তিনি আরও বলেন, এই বৈঠককে নিচু তলার সিপিআইএম কর্মীরা মেনে নিতে পারছেন না। তৃণমূলের সঙ্গে সিপিআইএমের এই বৈঠক আমাদের কাছে লজ্জার। যেভাবে তৃণমূল ভোট দিতে দিল না, রাজ্যে সন্ত্রাস চালাল, ভোট লুট করল, গুলি করল, বোমা মারল, মানুষ খুন করে মায়ের কোল খালি করল, তা আমরা কোনও ভাবেই মেনে নিতে পারছি না। সিপিআইএম-তৃণমূলের এক টেবিলে বৈঠক! একসঙ্গে চা পান! এটাকে অত্যন্ত ঘৃণা করি।

    প্রধানমন্ত্রীকে সমর্থন পরিবারের

    অপর দিকে বেঙ্গালুরুতে বিরোধী ২৭টি দলের জোটের বৈঠককে কটাক্ষ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের হামলায় সিপিএম এবং কংগ্রেসের কর্মীরা মারা যাচ্ছেন। আর এই তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রীর সঙ্গে সিপিআইএম এবং কংগ্রেসের নেতারা বৈঠক করছেন। মোদির এই বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন নিহত মনসুরের (Uttar Dinajpur) দাদু মহঃ গিয়াসুদ্দিন।

    কীভাবে মৃত্যু হয়েছিল ভোটে

    উল্লেখ্য, গত ১৫ জুন পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাওয়ার সময় চোপড়া (Uttar Dinajpur) ব্লকের কাঠালবাড়ি গ্রামে তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত দুস্কৃতীদের হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়েছিল মনসুর আলম নামে এক সিপিআইএম কর্মী। এরপর আহত মনসুরকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে গত ২২ জুন শিলিগুড়িতে মৃত্যু হয়। শাসক দলের নেতারা এই ঘটনায় যুক্ত থাকায় পুলিশ ঘটনার তদন্তে অনিহা দেখাচ্ছে বলে অভিযোগ করে পরিবার। পরিবার ছেলেকে হত্যার ঘটনায় বিচার থেকে বঞ্চিত। ঘটনার একমাস কাটতে না কাটতে সর্বভারতীয় নেতারা ঘাতক তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের নিয়ে বৈঠককে ভাল ভাবে নিতে পারছে না এই মৃতের পরিবার। সিপিএমের নিহত কর্মীর পরিবার জাতীয় নেতৃত্বের জোটের বিরুদ্ধে চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেছে।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: আন্দুলে তৃণমূল-আইএসএফ ব্যাপক সংঘর্ষ, লাঠি, রড, ভোজালি নিয়ে হামলা

    Panchayat Election 2023: আন্দুলে তৃণমূল-আইএসএফ ব্যাপক সংঘর্ষ, লাঠি, রড, ভোজালি নিয়ে হামলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার রাতে হাওড়া জেলার আন্দুলের আরগোড়িতে তৃণমূল এবং আইএসএফ কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ (Panchayat Election 2023) হয়। তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ, আইএসএফ কর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালায়। এই ঘটনায় চার জন আহত হয়েছে। সাঁকরাইল থানার পুলিশ এই ঘটনায় চার জনকে গ্রেফতার করেছে। আইএসএফের পক্ষ থেকে অবশ্য হামলার কথা অস্বীকার করা হয়।

    কী ঘটনা ঘটেছে?

    গতকাল রাতে আন্দুলের আড়গোড়িতে স্থানীয় একটি ক্লাবে ভোজের ব্যবস্থা করা হয়। উপলক্ষ্য আন্দুল পঞ্চায়েতের ৪৬ নম্বর বুথে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর জয় (Panchayat Election 2023)। তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের অভিযোগ, তাঁরা যখন ক্লাবের বাইরে রান্নাবান্না করছিলেন, সেই সময় আইএসএফের ছেলেরা দল বেঁধে এসে তাদের ওপর হামলা চালায়। তারা লাঠি, রড, কাটারি এবং ভোজালি নিয়ে তাদের ওপর চড়াও হয়। তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা বাধা দিলে তাদের মারধর করে ওই আইএসএফ কর্মীরা। এই ঘটনায় চারজন তৃণমূল কর্মী আহত হয়। তাদের সাঁকরাইলের হাজি এস টি মল্লিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় গোটা এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলে ছুটে আসে সাঁকরাইল থানার পুলিশ। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। হামলার ছবি সমাজ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। যার সত্যতা সংবাদ মাধ্যম যাচাই করেনি।

    কী বলল বিবদমান দুই দল

    তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের অভিযোগ, ভোটে জেতার কারণে আইএসএফ কর্মীরা বাইরে থেকে ছেলে এনে পরিকল্পনামাফিক তাদের ওপর হামলা করেছে। যদিও আইএসএফ নেতৃত্ব এই অভিযোগ অস্বীকার করে। আইএসএফ জানিয়েছে, ক্লাবের নতুন কমিটি গঠন নিয়ে গন্ডগোল। এতে রাজনৈতিক (Panchayat Election 2023) রং লাগানো হচ্ছে। এর সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক নেই। তারা সব এলাকারই ছেলে। পুলিশ সূত্রে খবর, হামলার ঘটনায় মোট চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের আজ হাওড়া আদালতে তোলা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share