Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • North Bengal: প্রবল বর্ষণে উত্তরবঙ্গ বিপর্যস্ত, জলপাইগুড়ি-আলিপুরদুয়ারে লাল সতর্কতা

    North Bengal: প্রবল বর্ষণে উত্তরবঙ্গ বিপর্যস্ত, জলপাইগুড়ি-আলিপুরদুয়ারে লাল সতর্কতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণবঙ্গে তেমন বৃষ্টি না হলেও উত্তরবঙ্গে (North Bengal) ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতে বেহাল সাধারণ জনজীবন। গোটা উত্তরবঙ্গের নদীগুলির জলে চাষের জমি, বাড়িঘর প্লাবিত। জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, দার্জিলিঙে আগামী দুই থেকে তিনদিন ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে। পাহাড় থেকে সমতল, উত্তরের বেশ কিছু  জেলায় জারি হয়েছে লাল সতর্কতা।

    কোচবিহার

    কোচবিহারের (North Bengal) তোর্সা নদীর অসংরক্ষিত এলাকায় প্রবল বৃষ্টির জলে প্লাবনের সৃষ্টি হয়েছে। তুফানগঞ্জ, বালাভূত অঞ্চলর অনেক মানুষের বাড়িঘর অধিক বৃষ্টিপাতে জলামগ্ন হয়ে পড়েছে। মেখলিগঞ্জে ক্ষেতের জমি, সৌরসেচ প্রকল্প, বৈদ্যুতিক ল্যাম্প ঝাউকুঠি নদীর জলে ডুবে গেছে।

    আলিপুরদুয়ার

    আলিপুরদুয়ারের (North Bengal) মেচপাড়া এলাকয় জলমগ্ন হয়ে আটকে পড়েছেন অনেক মানুষ। উদ্ধার কাজের জন্য সেনাবাহিনী, এনডিআরএফ, বায়ুসেনা একযোগে কাজ শুরু করেছে। বাঙরি নদীর জল ঢুকে ভেসে গেছে অঙ্গনঅওাড়ির এক কেন্দ্র। বৃষ্টির জলের স্তর এবং স্রোত এতটাই প্রবল ছিল যে লালো নাগাসিয়া নামক এক বৃদ্ধার রাস্তা পার হতে গিয়ে মৃত্যু ঘটেছে বলে জানা গেছে।

    জলপাইগুড়ি

    জলপাইগুড়ির (North Bengal) বানারহাটে সবথেকে অধিক বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ২৯০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এছাড়াও মালবাজার, হাসিমারায় অতি ভারী বৃষ্টিপাত হয়। অপর দিকে তিস্তা, জলঢাকা, ডায়না নদীর জল বিপদ সঙ্কেতের উপর দিয়ে বইছে। অধিকাংশ নদীর জল ঢুকে পড়ছে আশেপাশের গ্রামে। জলপাইগুড়ি জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু বলেছেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য শুকনো খাবার এবং রান্না করে খাবার দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। দুর্গতদের অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কার্যত অধিক বৃষ্টিপাতের কারণে স্বাভাবিক জনজীবন বিপর্যয়ের মধ্যে রয়েছে।

    পাশাপাশি পাহাড় অঞ্চলের ভূটান, সিকিম, দার্জিলিং (North Bengal) সর্বত্র ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত। শিলিগুড়ি পুরনিগমের বেশ কিছু এলাকা জলমগ্ন হয়ে গেছে। ফুলেশ্বরী, জোড়াপানি, সাহু নদীতে জলের স্তর অনেক বেড়ে গেছে। কিছু কিছু এলাকায় লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এই বর্ষণ আগামী আরও ২ দিন হতে পারে বলে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Naushad Siddiqui: ভাঙড়ের পথে নওশাদকে আটকাল পুলিশ! গাড়িতেই বসে আইএসএফ বিধায়ক

    Naushad Siddiqui: ভাঙড়ের পথে নওশাদকে আটকাল পুলিশ! গাড়িতেই বসে আইএসএফ বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মনোনয়ন পর্ব থেকেই ভাঙড় খবরের শিরোনামে। মুড়ি মুড়কির মতো বোমাবাজি, তরতাজা প্রাণ লুটিয়ে পড়া, এসব কিছুই দেখেছে ভাঙড়বাসী। ভোট পর্বেও ছড়ায় ব্যাপক হিংসা। এবার ভোট পরবর্তী হিংসায় উত্তপ্ত ভাঙড়ে যেতে বাধা দেওয়া হল সেখানকার বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে। জানা গিয়েছে, শুক্রবার ভাঙড় যাওয়ার পথে নিউটাউনের হাতিশালার কাছে নওশাদের (Naushad Siddiqui) গাড়ি আটকায় কলকাতা পুলিশ। শুক্রবার সকাল ১০টা নাগাদ গাড়ি আটকানো হয় আইএসএফ বিধায়কের। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এখনও গাড়িতে বসে রয়েছেন নওশাদ। প্রশাসন সূত্রে খবর, ভাঙড়ে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। তাই ওই এলাকায় নওশাদকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না।

    কী বলছেন আইএসএফ বিধায়ক?

    স্থানীয় আইন প্রণেতা হওয়া সত্ত্বেও কেন ভাঙড়ে তিনি প্রবেশ করতে পারবেন না? এনিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন নওশাদ (Naushad Siddiqui)। তাঁর আরও অভিযোগ, শওকত মোল্লা কীভাবে বহিরাগত হয়ে ভাঙড়ে ঢুকে প্রেস কনফারেন্স করছে! এদিন এক পুলিশ আধিকারিককে নওশাদ বলেন, ‘‘আমি ভাঙড়ের জনপ্রতিনিধি। আমার পরিচয়পত্র রয়েছে। তা হলে কেন যেতে পারব না?’’ পাল্টা পুলিশের আধিকারিক বলেন, ‘‘১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। তাই সেখানে যাওয়ার তাঁর অনুমতি নেই।’’ পরে সংবাদমাধ্যমে নওশাদ বলেন, ‘‘তৃণমূলের নেতারা ঘুরে বেড়াচ্ছেন। অথচ আমি বিধায়ক, আর আমায় যেতে দেওয়া হচ্ছে না। রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। এভাবে আমায় আটকে রাখা যাবে না।’’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘কতক্ষণ আটকে রাখে দেখি।’’ নওশাদ (Naushad Siddiqui) আরও বলেন, ‘‘আমি শান্তির বার্তা নিয়ে এসেছি। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পুরো ভাঙড়ে তল্লাশি চালানো হোক। নির্বাচন কমিশন সক্রিয় থাকলে এত মৃত্যু দেখতে হত না। মৃতদের পরিজনদের সঙ্গে দেখা করতাম। মানুষকে বলব, কারও প্ররোচনায় পা দেবেন না।’’

    কী বলছে তৃণমূল?

    ভাঙড়ের অশান্তিতে নাম উঠে এসেছে বারবার ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লার। নওশাদের ভাঙড় না যেতে পারা সম্পর্কে শওকত বলেন, ‘‘১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। আমরা কেউ ঢুকতে পারছি না। আবার উস্কানি দেওয়ার জন্য যাচ্ছেন নওশাদ (Naushad Siddiqui)? আবার খুনোখুনি চাইছেন? মায়ের কোল খালি করার চেষ্টা করছেন।’’ প্রসঙ্গত, মনোনয়ন পর্ব, ভোটের পর মঙ্গলবার গণনার দিনও প্রাণহানি হয়েছে ভাঙড়ে। সেখানকার কাঁঠালিয়ায় গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয় তিন জনের। তাঁদের মধ্যে দু’জন আইএসএফ কর্মী ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। অন্য একজন এক জন গ্রামবাসী বলে জানা গিয়েছে। আইএসএফ নেতা নওশাদ সিদ্দিকি ইতিমধ্যে সিবিআই তদন্তও চেয়েছেন এদিন। গণনার দিনের পর বৃহস্পতিবারও অশান্তি ছড়ায় ভাঙড়ে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: ‘‘বামপন্থী সরকারের অত্যাচারকেও ছাপিয়ে গিয়েছেন মমতা’’, তোপ রবিশঙ্কর প্রসাদের

    BJP: ‘‘বামপন্থী সরকারের অত্যাচারকেও ছাপিয়ে গিয়েছেন মমতা’’, তোপ রবিশঙ্কর প্রসাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বামপন্থী সরকারের অত্যাচারকেও ছাপিয়ে গিয়েছেন মমতা, কোচবিহারে একথা বললেন বিজেপি (BJP) নেতা রবিশঙ্গর প্রসাদ। পঞ্চায়েত ভোটে লাগামছাড়া সন্ত্রাসের সাক্ষী থেকেছে  সারা রাজ্য। শুধুমাত্র ভোটের দিনই সন্ত্রাসের বলি হয়েছে ১৭টি তরতাজা প্রাণ। ছাপ্পা, বুথ দখল, গুলি, বোমায় রক্তাক্ত হয়েছে বাংবলা, ভুলুণ্ঠিত হয়েছে গণতন্ত্র। নিন্দায় সরব হয়েছে সারা দেশ। এই আবহে রাজ্যে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম পাঠিয়েছে কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি। হাইকোর্টের নির্দেশকে কমিশন কতটা নির্বাচনের সময় কার্যকর করেছে, তা নিয়ে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ কমিশনের রিপোর্টে অসন্তোষ ব্যক্ত করছে। বিচারপতি অমৃতা সিনহা নির্বাচনে ব্যালট লুট করা এবং রাস্তায় পড়ে থাকার দিক সহ সমগ্র অশান্তি ঠেকাতে কমিশন কতটা ব্যর্থ ছিল, সে কথাও স্পষ্ট করেছেন। তাই বিজেপির (BJP) কেন্দ্রীয় স্তর থেকে প্রাক্তন আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদের নেতৃত্বে চার সাংসদের দল নির্বাচনে হিংসা কবলিত উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা পরিদর্শন করেন, এলাকায় গিয়ে আক্রান্ত পরিবারে সঙ্গে দেখা করেন। এরপর শুক্রবার এই টিম উত্তরবঙ্গের কোচবিহারে যায়। সন্ত্রাস কবলিত এলাকা ঘুরে দেখে। এই টিম বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতি জগৎ প্রকাশ নাড্ডার কাছে নির্বাচন এবং হিংসার উপর বিশেষ রিপোর্ট জমা করবে।

    কোচবিহারে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম 

    বিজেপির (BJP) ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম কোচবিহারের দিনহাটা, ফলিমারী সহ বিভিন্ন প্রান্তে পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচার হয়েছে তার সমস্ত জায়গা পরিদর্শন করলেন শুক্রবার। কোচবিহারের বিভিন্ন প্রান্ত পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে টিমের সদস্যরা বলেন, ‘‘যেখানেই যাচ্ছি সেখানেই প্রশ্ন জাগছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা মাটি মানুষের সরকারে কোথায় গেলো। এখানে তো জঙ্গল রাজ চলছে। যেখানেই যাচ্ছি সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচারের ঘটনা চোখে পড়েছে।’’

    আগামীর নির্বাচনে থাকবে না তৃণমূল

    বিজেপি (BJP) নেতা রবিশঙ্কর প্রসাদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেন, ‘‘মমতাদি আপনি তো বামপন্থীদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করে এখানে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। সাধারণ মানুষ আপনাকে ভরসা করেছিল। এখন দেখা যাচ্ছে আপনি বামপন্থীদের অত্যাচারের সীমাকেও ছাড়িয়ে গেছেন। আপনাদের বিরুদ্ধে যে ভোট দেবে, তাদের ওপর গুলি করবেন ? বাচ্চাদের অপহরণ করবার হুমকি দেবেন এটাই কি আপনার শাসন ব্যবস্থা?’’ এদিন রবিশঙ্কর প্রসাদ আরও অভিযোগ করেন, গর্ভবতী মহিলাদেরও মারধর করেছে এরা। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, ‘‘আগামীর নির্বাচনে এই সরকার আর থাকবে না।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue Fever: বৃষ্টি শুরু হতে না হতেই বারাসতে ডেঙ্গির বলি ১, পুরসভার বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ

    Dengue Fever: বৃষ্টি শুরু হতে না হতেই বারাসতে ডেঙ্গির বলি ১, পুরসভার বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে বৃষ্টি শুরু হতে না হতেই ডেঙ্গিতে (Dengue Fever) মৃত্যু হল বারাসত পৌরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রমোদ নগরের বাসিন্দা বছর ১৩র সায়নিকা হালদারের। গত ৩-৪ দিন ধরে জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল সায়নিকা। প্রথমে তাকে বারাসত হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে আরজি কর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। গত বুধবার মধ্য রাতে আরজিকর হাসপাতালেই মৃত্যু হয় বছর ১৩র সায়নিকা হালদারের। পরিবারের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে কাউন্সিলরকে বলেও কোন কাজ হয়নি। দীর্ঘদিন ধরেই ড্রেনের অবস্থা খুব খারাপ, জল পাশ হয় না। আর তার ফলে বার বারই ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে গোটা এলাকায়।

    পরিবার কী অভিযোগ করল (Dengue Fever)?

    পরিবারের আরও অভিযোগ, ভোট আসে ভোট যায়। কিন্তু কথা দিলেও সে কথা কোনওদিনই পূরণ করেনি কাউন্সিলর। এলাকার লোকজনের অভিযোগ, কয়েকবার কাউন্সিলরকে জানানো হয়েছে এই বিষয় নিয়ে। কেননা যেভাবে ওয়ার্ডে ময়লা জমে থাকে, কোনওদিনই তা পরিষ্কার করা হয় না। তাই এবার পরিবারের লোকজন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, বিজেপি, তৃণমূল, সিপিএম যেই আসুক না কেন কারোর কোন কথা শোনা হবে না। কেননা ভোট আসলেই এদের দেখা পাওয়া যায়। আর ভোট চলে গেলে এরা কোনও কাজই করে না।

    কী জবাব দিলেন কাউন্সিলর (Dengue Fever)?

    এ বিষয়ে কাউন্সিলর জানান, ওয়ার্ড সব রকম ভাবে পরিষ্কার করা হয়। কোথাও কোন জমা জল থাকলে তা নির্মল বন্ধু ও নির্মল সাথী যাঁরা আছেন, তাঁরা এসে রোজই পরিষ্কার করে যান। পাশাপাশি কাউন্সিলর আরও বলেন, ওই বাচ্চাটির মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে শোকাহত। তবে ওয়ার্ডে যাতে আর কেউ আক্রান্ত না হয়, সে বিষয়টি এবার আরও গুরুত্ব দিয়ে দেখবেন বলে কথা দিয়েছেন তিনি। তবে বাস্তব চিত্রটা কিন্তু অন্যরকম ওই ২২ নম্বর ওয়ার্ডে। বিভিন্ন ড্রেনে কিন্তু জল আটকে রয়েছে এবং তার থেকেই যে ডেঙ্গির (Dengue Fever) বাড়বাড়ন্ত, তা কিন্তু এক প্রকার বলাই চলে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: এবার বিরোধীদের বাড়িতে পুলিশি তাণ্ডবের অভিযোগ! ইসলামপুরে শোরগোল

    Murshidabad: এবার বিরোধীদের বাড়িতে পুলিশি তাণ্ডবের অভিযোগ! ইসলামপুরে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য জুড়ে ভোট পরবর্তী হিংসার নানা ঘটনার কথা শোনা গেলেও এবারের ছবিটা অন্য রকম। বাড়ি ভাঙচুর ও মহিলাদের গালিগালাজের অভিযোগ এবার পুলিশের বিরুদ্ধেই। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ইসলামপুর থানার হেরামপুর নতুনপাড়া গ্রামে।

    মূল অভিযোগ কী (Murshidabad)?

    গ্রামবাসীদের (Murshidabad) অভিযোগ, পঞ্চায়েত ভোটের দিন তৃণমূল কংগ্রেস হেরামপুর নতুনপাড়া বুথ দখল করতে গিয়ে বোম ও গুলি চালিয়েছিল। আর তাতেই জখম হয় সিপিএমের বেশ কয়েকজন কর্মী-সমর্থক। অথচ সিপিএমের নামেই এফআইআর দায়ের করে পুলিশ। আর তার ফলে আসামি তুলতে গিয়ে তাঁকে বাড়িতে না পেয়ে বাড়িঘর ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। বাড়িতে থাকা প্রতিবন্ধী মহিলার উপরও অত্যাচার চালায় পুলিশ। মহিলাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। পুলিশের অত্যাচারে সাধারণ মানুষ নাজেহাল।

    আক্রান্ত মহিলার বক্তব্য

    আক্রান্ত মহিলা রোশনা বিবি বলেন, পুলিশ আমাদের বাড়িতে (Murshidabad) এসে বোমা, গুলি, বন্দুক উদ্ধারের নামে প্রচুর অত্যাচার চালায়। তৃণমূল না করে কেন সিপিএম করি! সেই জন্য আমাদের উপর চড়াও হয় পুলিশ। তিনি আরও বলেন, ‘পুলিশ এসে হুমকি দিয়ে বলে মহিলা হয়ে কেন রাজনীতি করছিস? রাজনীতি বার করে দেবো!’ এই প্রসঙ্গে রোশনা বিবি বলেন, পুলিশের পাশাপাশি সিভিকদেরও প্রচুর দৌরাত্ম্য! বাড়িতে এসে ব্যাপক ভাঙচুর করেছে। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে বাড়িতে থাকতে পারছি না আমরা।

    সিপিএমের বক্তব্য

    এলাকার (Murshidabad) সিপিএম নেতা নাসিরুদ্দিন শেখ বলেন, আমরা মনোনয়নের দিনে মনোনয়ন করতে গেলে আমাদের বোমা মেরে ভয় দেখিয়ে বের করে দেয়। এরপর তৃণমূলের কথায় পুলিশ আমাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করে। গতকাল রাতে থানার ওসি সঞ্জীববাবু এবং বাকি আরও ৫ জন সিভিক এসে রীতিমতো তাণ্ডব চালায়। একটা বাক্স, চেয়ার, আলমারি, দরজা, জানালা ভাঙচুর করে। শুধু তাই নয়, বাড়ির গয়না, টাকা, দলিল পর্যন্ত নিয়ে চলে যায়। কেন তাঁরা সিপিএম পার্টি করেন! এটাই তাদের মূল আক্রোশ। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Accident: বর্ধমান-বোলপুর জাতীয় সড়কে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় অ্যাম্বুলেন্স, আরোহী সহ মৃত ৩

    Accident: বর্ধমান-বোলপুর জাতীয় সড়কে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় অ্যাম্বুলেন্স, আরোহী সহ মৃত ৩

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল তিনজনের। রামপুরহাট থেকে রেফার হয়ে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যাওয়ার সময় বিপত্তি (Accident)। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে পাঁচজন। শুক্রবার মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে বর্ধমান-বোলপুর ২বি জাতীয় সড়কের ভাতারের নতুনগ্রাম এলাকায়। ভাতারের নতুনগ্রাম সংলগ্ন এলাকায় আসতেই বেপরোয়া গতিতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রথমে একটি বাইক ও সাইকেল আরোহীকে ধাক্কা মেরে দুই পথচারীকে পিষে দিয়ে রাস্তার পাশে উল্টে যায় অ্যাম্বুলেন্সটি।

    কাদের মৃত্যু হল (Accident)?

    দুর্ঘটনায় আম্বুলেন্সে থাকা রোগী সহ মৃত্যু হয় সাইকেল ও বাইক আরোহীর। মৃতরা (Accident) হলেন আম্বুলেন্স থাকা রোগী অনন্ত লেট (৭০), সাইকেল আরোহী তাপস ঘোষ (২৬) এবং বাইক আরোহী আব্দুল রহিম (৩০)। স্থানীয় মানুষজন ও ভাতার থানার পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠায়। সেখানেই মৃত্যু হয় এক পথচারীর। মৃতের নাম তাপস ঘোষ ( ২৬)। বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের নতুনগ্রামে। বাইক আরোহী দু’জনের বাড়ি বর্ধমানের আলমপুর এলাকায়। ঘটনায় বেশ কিছুক্ষণ যানজটের সৃষ্টি হয়। তড়িঘড়ি ভাতার থানার পুলিশ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। স্থানীয় মানুষজন জাতীয় সড়কের নতুনগ্রামে স্পিড ব্রেকারের দাবি জানান। পুলিশের আশ্বাসে শান্ত হন উত্তেজিত জনতা। পুলিশ দুর্ঘটনাগ্রস্থ গাড়িগুলিকে উদ্ধার করে।

    কী বলছেন মৃতের আত্মীয়? 

    মৃতের আত্মীয় রানু ঘোষ বলেন, আমি বাড়িতে দোতলায় ছিলাম। একটা বিকট আওয়াজ (Accident) শুনে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসি। মনে হল যেন কিছু বিস্ফোরণ হয়েছে। দেখি দুজন পড়ে রয়েছে। একজনের হাত ভেঙেছে, একজনের পা। এরই মধ্যে দেখি আমেদের গ্রামেরই একটা ছেলে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। বুঝতে পারলাম, সে আমাদেরই ভাই হয়, আমার পিস-শাশুড়ির ছেলে, তাপস ঘোষ। কিছু বোঝার আগেই ওকে গাড়িতে তুলে নিয়ে চলে গেল। বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।

    কী অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের?

    স্থানীয় বাসিন্দা পলাশ ঘোষ বলেন, এখানে সব গাড়ি অত্যন্ত রেপরোয়া গতিতে (Accident) যায়। হাম্পের কোনও ব্যবস্থা নেই। দুটো হাম্প ছিল। কিন্তু রাস্তা উঁচু করার পর সেগুলো প্রায় রাস্তার সঙ্গে মিশে গেছে। কোনও লরি মানে না। রাতের দিকে এতো ভাইব্রেশন হয়, আমরা ঘুমতে পারি না। আমরা প্রতিবাদ জানিয়ে রাস্তা অবরোধ করেছিলাম। পুলিশ এসে আশ্বাস দিয়েছে, এখানে হাম্প করে দেওয়া হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: মাথা ন্যাড়া করে তৃণমূলের পঞ্চায়েতকে পাপমুক্ত করলেন বিজেপির বিজয়ীরা

    Nadia: মাথা ন্যাড়া করে তৃণমূলের পঞ্চায়েতকে পাপমুক্ত করলেন বিজেপির বিজয়ীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস হেরে যাওয়ায় পঞ্চায়েত দখল করার আনন্দে মাথা ন্যাড়া করে আনন্দ উৎসবে মেতে উঠলেন বিজেপি কর্মীরা। নদিয়া (Nadia) জেলা জুড়ে এই ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা।

    কোথায় ঘটল ঘটনা (Nadia)?

    নদিয়ার (Nadia) ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী কৃষ্ণগঞ্জ ব্লক। আর এই ব্লকের অন্তর্গত ১৮ টি আসন বিশিষ্ট ভাজনঘাট টুঙ্গী গ্রাম পঞ্চায়েত দীর্ঘ ১৫ বছর নিজেদের দখলে রেখেছিল শাসক দল তৃণমূল। সদ্য সমাপ্ত ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে ১৮ টি আসনের মধ্যে ১২ টিতে জয়লাভ করেছে বিজেপি। টিএমসি পেয়েছে বাকি ৬টি আসন। ১৫ বছরের ঘাসফুল দুর্গে ধস নামিয়ে বিপুল সংখ্যক ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করার পর পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন করেই নিজেদের ঘর গোছাতে শুরু করে দিয়েছে বিজেপি। তৃণমূলের হাত থেকে পঞ্চায়েত মুক্ত হওয়ার আনন্দে ভাজনঘাট টুঙ্গী গ্রাম পঞ্চায়েত ভবনের সামনে মাথা ন্যাড়া করে আনন্দ উৎসবে মাতলেন স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব।

    বিজেপির বক্তব্য

    এলাকার (Nadia) বিজেপির নেতা অক্ষয় ঘোষ বলেন, দীর্ঘ এতগুলো বছর ক্ষমতায় থাকা সত্ত্বেও এলাকার সাধারণ মানুষের স্বার্থে কোনও প্রকার কাজ করেনি তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত। আর এই কারণেই এত বছর পর শাসকদলের পরাজয়ের মধ্যে দিয়ে বিজেপির উত্থান ঘটিয়ে কার্যত পাপমুক্ত করা হল পঞ্চায়েতকে। মূলত ১৫ বছরের দুঃসময় কাটিয়ে প্রায়শ্চিত্ত করার লক্ষ্যে মাথা ন্যাড়া করে পঞ্চায়েত ভবনের সামনে আনন্দ উৎসবে মাতলেন বিজেপির জয়ী প্রার্থীরা। এই প্রসঙ্গে বিজেপির জয়ী প্রার্থী নারায়ণ মল্লিক বলেন, তৃণমূলের পাপ মুক্ত হওয়ার জন্য মাথা ন্যাড়া করলাম।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    এলাকার (Nadia) ১২৮ নম্বর বুথের জয়ী প্রার্থী তৃণমূল নেতা আজাদ মণ্ডল বলেন, এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেস অনেক কাজ করেছে। কিন্তু আমাদের দলের মধ্যে গোষ্ঠী কোন্দল থাকার কারণেই তৃণমূলের বিপর্যয় ঘটেছে। ফলে দলের অনেক ক্ষতি হয়েছে। তবে আমাকে সাধারণ মানুষ দুই হাত তুলে আশীর্বাদ করেছেন। তিনি আরও বলেন, যাঁরা ন্যাড়া করেছেন তাঁরাও কোনও না কোনও ভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Medinipur: দাঁতনে ভোটপরবর্তী হিংসা অব্যাহত, বিজেপি এজেন্টকে মারধর করল তৃণমূল

    Paschim Medinipur: দাঁতনে ভোটপরবর্তী হিংসা অব্যাহত, বিজেপি এজেন্টকে মারধর করল তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট পরবর্তী হিংসা অব্যাহত পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় (Paschim Medinipur)। দাঁতনের তররুই গ্রামে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির ইলেকশন এজেন্টকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের বিরুদ্ধে। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই বিজেপি কর্মীকে ভর্তি করা হয়েছে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

    কী ঘটেছিল (Paschim Medinipur)?

    আক্রান্ত বিজেপি নেতার নাম পূর্ণ চন্দ্র নন্দী। এলাকার সক্রিয় বিজেপি নেতা বলেই পরিচিত। এই বিজেপি নেতাকে বারবার হুমকি দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ করে পরিবার। উল্লেখ্য, দাঁতনের এই এলাকা বছরের অন্যান্য সময়ও শাসকবিরোধী সংঘর্ষে উত্তপ্ত থাকে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে থেকেই এই এলাকায় ছিল চাপা উত্তেজনা। জেলার অন্যান্য জায়গার মতোই এখানেও নির্বাচনে ভালো ফল করেছে শাসক দল তৃণমূল। আর তাই ফলাফলের পর এই বিজেপি নেতাকে (Paschim Medinipur) মারধর করে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। যদিও এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে শাসক দল তৃণমূল।

    আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর পরিবারের বক্তব্য

    আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর স্ত্রীর বলেন, আমরা বিজেপি করি বলে আমাদের উপর আক্রমণ করে শাসক দলের দুষ্কৃতীরা। প্রায় ১০-১২ জন তৃণমূলের দুষ্কৃতীর দলকে নেতৃত্ব দেয় এলাকার তৃণমূল নেতা বিমল ভদ্র। তিনি আরও বলেন, প্রথমে হুমকি দিয়ে বলে যায় বাড়িতে (Paschim Medinipur) যে তাঁর স্বামী যেন এলাকার তৃণমূলের পার্টি অফিসে দেখা করেন। ভোটে কেন বিজেপির এজেন্ট হয়ে ছিলেন! আর এটাই বিজেপি কর্মীর প্রধান অপরাধ।

    বিজেপির বক্তব্য

    এলাকার (Paschim Medinipur) এক বিজেপি নেতা বলেন, পূর্ণ চন্দ্র নন্দী হলেন বিজেপির একনিষ্ঠ কর্মী। বাড়িতে ১০৬ বছরের বৃদ্ধ বাবা এবং তাঁর মা ক্যান্সার আক্রান্ত। অত্যন্ত সহজ সরল মানুষ। ভোটের দিন বুথে বিজেপির এজেন্ট হয়েছিলেন। গতকাল রাত ৯ টায় তাঁকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা প্রচুর মারধর করে। বর্তমানে উনি গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তিনি আরও বলেন, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা জুড়ে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা সন্ত্রাস চালাচ্ছে এবং সেই সঙ্গে প্রশাসন নিষ্ক্রিয়।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    পশ্চিম মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা (Paschim Medinipur) তৃণমূল সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন, এই জেলায় কোথাও কোনও ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা ঘটেনি। বিজেপি মিথ্যা কথা বলছে। আর এই নিয়ে এলাকায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: বিজেপি করার জন্য মিড ডে মিলের রাঁধুনিকে স্কুল থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি তৃণমূলের

    TMC: বিজেপি করার জন্য মিড ডে মিলের রাঁধুনিকে স্কুল থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি তৃণমূলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একদিকে তৃণমূলকে সমর্থন না করা। অন্যদিকে বিজেপিকে সমর্থন করা। এই দুই ধরনের ঘটনাতেই শাসক দলের রক্তচক্ষুর মুখে পড়ছেন অনেকেই। রোজই এই ধরনের ঘটনা রাজ্যে আকছার ঘটছে। তবে এক্ষেত্রে তৃণমূলের কাছে মানবিকতার যে কোনও স্থান নেই, তা ফের প্রমাণ হয়ে গেল একটি ঘটনায়। বিজেপি করার জন্য এবার স্কুলের মিড ডে মিলের রাঁধুনিকে স্কুল থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দিল তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব। এই ঘটনাকে ঘিরে স্বাভাবিক ভাবেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। যথেষ্ট ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা। প্রতিবাদে স্কুলের সামনে তাঁরা বিক্ষোভও দেখালেন।

    ঠিক কী ঘটেছে?

    দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার নামখানা ব্লকের অন্তর্গত নারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দুর্গানগর অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়। এখানে ২০০৩ সাল থেকে প্রায় কুড়ি বছর ধরে মিড ডে মিলের রাঁধুনির দায়িত্বে রয়েছেন দুর্গানগরের বাসিন্দা রীতা পন্ডা। রীতা পন্ডার অভিযোগ, গত বুধবার স্কুল চলাকালীন দুর্গানগর এলাকার স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব তথা নারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন উপপ্রধান চন্দ্রমোহন পাইক স্কুলে গিয়ে তাঁকে হুমকি দেয়। পাশাপাশি ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষককে হুমকি দিয়ে তৃণমূল (TMC) নেতা চন্দ্রমোহন পাইক বলেন, পরের দিন থেকে স্কুলে রাঁধুনি রীতা পন্ডা যদি আসে, তাহলে মিথ্যা ধর্ষণের মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হবে স্কুলের প্রধান শিক্ষককে। এই ঘটনার প্রতিবাদেই আজ দুর্গানগর অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবিকারা।

    কী বলছেন অভিযোগকারীরা?

    স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ওই স্কুলের রাঁধুনি রীতা পন্ডার করা সমস্ত অভিযোগই সত্যি। পাশাপাশি স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও রীতা পন্ডা আরও বলেন, অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকের সঙ্গে কথা হয়েছে। আগামী শনিবার এ বিষয়ে বিদ্যালয়ে একটি আলোচনাসভারও আয়োজন করা হয়েছে।

    কী বলছে তৃণমূল নেতৃত্ব (TMC)?

    তবে তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, ওই প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে ওই রাঁধুনির সম্পর্ক রয়েছে। তৃণমূল (TMC) নেতা বলেন, ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক সর্বদাই মদ্যপ অবস্থায় থাকেন। আর ওনারা যে বলছেন বিজেপি করেন, তা তো আজকে করেন না। সর্বদাই বিজেপি করেন। কই আগে তো কিছু বলা হয়নি। এখন এসব কথা উঠছে কেন?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: জেতার পরও মেলেনি সার্টিফিকেট, আলিপুরদুয়ারে সরব একাধিক বিজেপি প্রার্থী

    Panchayat Election 2023: জেতার পরও মেলেনি সার্টিফিকেট, আলিপুরদুয়ারে সরব একাধিক বিজেপি প্রার্থী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৭৩৯ ভোটে জেতার পরও দেওয়া হয়নি উইনিং সার্টিফিকেট। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ এনে সরব হয়েছেন আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের এক প্রার্থী। বাধ্য হয়ে উচ্চ আদালত ও রাজ্যপালের দ্বারস্থ হচ্ছেন আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রামের জেলা পরিষদের (Panchayat Election 2023) ওই প্রার্থী অমিতা মাহাত (চক্রবর্তী)। বিজেপির জেলা পরিষদের ওই প্রার্থীর অভিযোগ, প্রশাসনের লোকই ভোট গণনার পর আমাকে জয়ের কথা জানিয়ে দেয়। আমি উইনিং সার্টিফিকেট নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করি। আমাকে সেখানে তৃণমূলের লোকরা রীতিমতো হুমকি দিয়ে বলতে থাকে, আমি যদি উইনিং সার্টিফিকেট নিই, আমাকে মার্ডার করে দেওয়া হবে। এরপরও বিডিও সাহেবের কাছে আমি বার বার বলেছি, আমাকে উইনিং সার্টিফিকেট দিন। কিন্তু আমাকে এখনও পর্যন্ত তা দেওয়া হয়নি। বিজেপির ওই প্রার্থীর অভিযোগ, সেদিন গণনা কেন্দ্রের ভিতরে আমার কাউন্টিং এজেন্টদের অনেককেই বের করে দেওয়া হয়। অথচ তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী সেখানে অবাধে বিচরণ করে। আমি কয়েকজন মাত্র এজেন্টকে নিয়ে সেখানে ভোট গণনার খোঁজখবর নিয়ে নিতে থাকি। তাতে প্রত্যেকটা অঞ্চলে আমার লিড ছিল। সেখানে প্রশাসনের আধিকারিকরাই অনেকে জানিয়ে দেন আপনি জয়ী হয়েছেন। অথচ সার্টিফিকেট দেওয়া হল না।

    একই অভিজ্ঞতার সম্মুখীন আরও প্রার্থীরা (Panchayat Election 2023) 

    কুমারগ্রামের ওই ভোট গণনার দিন ভয়াবহ এক পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছিলেন বলে বিজেপির আরেক প্রার্থী (Panchayat Election 2023) কল্পনা নাগও চাঞ্চল্যকর অভিযোগ এনেছেন। ২০১৮ সালে কল্পনা নাগ কুমারগ্রাম থেকেই আলিপুরদুয়ারে একমাত্র জেলা পরিষদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি বলেন, ২০১৮ সালে শাসক দলের ভোট লুট থেকে অরাজকতার বিরুদ্ধে লড়েও সেবার জয়ী হয়েছিলাম। কিন্তু এবার যে ধরনের পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে ভোট গণনা হল, সেটা বর্ণনা করার ভাষা আমার কাছে নেই। আমার কাউন্টিং এজেন্টদের গণনা কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের গুন্ডারা বের করে দিয়েছে। ওই ঘটনার প্রতিবাদ করলে আমাকে একটা ঘরে আটকে দিয়ে তারা হুমকি দিয়ে বলছিল, আপনি এখান থেকে উইনিং সার্টিফিকেট নিয়ে বেরোলে আপনার যে কী পরিণতি হবে, সেটা ভাবতে পারছেন না। সাংবাদিক বৈঠকে জেলা পরিষদের কুমারগ্রামের বিজেপির আরেক প্রার্থী মেনকা ভক্তও একই অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন।

    কী বললেন বিজেপির জেলা নেতৃত্ব?

    বিজেপির জেলার সাধারণ সম্পাদক মিঠু দাস বলেন, আলিপুরদুয়ারের মানুষ বিজেপির প্রার্থীদের দু’হাত তুলে আশীর্বাদ করেছিলেন। কিন্তু প্রশাসন ও শাসক দল মিলেমিশে একাকার হয়ে জনগণের সেই রায়কে খারিজ করে দিয়ে জোর করে নিজেদের জয়ী (Panchayat Election 2023) ঘোষণা করেছে। মানুষ যথা সময়ে এর জবাব দেবেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share