Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Drinking water: জেলায় সেরার তকমা পেয়েছে পঞ্চায়েত, সেখানেই আদিবাসী গ্রাম ভুগছে তীব্র জলকষ্টে!

    Drinking water: জেলায় সেরার তকমা পেয়েছে পঞ্চায়েত, সেখানেই আদিবাসী গ্রাম ভুগছে তীব্র জলকষ্টে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসানসোলের সালানপুর ব্লকের অধিকাংশ গ্রাম তীব্র জলকষ্টে ভুগছে। গ্রীষ্মের তীব্র দাবদাহ, আর সেই সঙ্গেই শুরু হয়েছে জলের জন্য হাহাকার। বাসিন্দারা বলছেন, জেলায় এই সমস্যা শুধু এই বছরের নয়, প্রত্যেক বছরের। পানীয় জলের (Drinking water) সংকটের এমন ভয়াবহ দৃশ্যই উঠে এসেছে সালানপুর ব্লকের অন্তর্গত কল্যা পঞ্চায়েতের আদিবাসী পাড়ায়। যদিও কল্যা পঞ্চায়েতকে কাজের নিরীখে পশ্চিম বর্ধমান জেলার সেরা পঞ্চায়েত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আর সেই পঞ্চায়েতের আদিবাসী গ্রামেই রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে জলের সমস্যা। অনেকের প্রশ্ন, কীভাবে জেলার সেরা পঞ্চায়েত হিসেবে চিহ্নিত হল ওই পঞ্চায়েত, যেখানে একটি গ্রাম এমন তীব্র জলকষ্টে ভুগছে! তাছাড়া এই এলাকায় সেরকম কোনও উন্নয়নও হয়নি বলে অভিযোগ।

    কী অভিযোগ গ্রামবাসীদের?

    গ্রামবাসীদের অভিযোগ, প্রায় দেড় বছর আগে পিএইচই দফতর থেকে পানীয় জলের (Drinking water) ট্যাপকল বসানো হয়েছে। কিন্তু তাতে নেই জল। এমনকী গ্রামে থাকা একটি নলকূপও দীর্ঘদিন অচল অবস্থায় পড়ে রয়েছে। জলের এই সমস্যা সমাধানে প্রশাসনকে বারবার জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি বলেই অভিযোগ আদিবাসীপাড়ার বাসিন্দাদের। তাঁরা জানান, মাঝে মধ্যে কোনও কোনও দিন একটি ট্যাংকারে করে জল দিয়ে যায়। তাতে কি জলের সমস্যা মিটবে? পর্যাপ্ত পানীয় জলের ব্যবস্থা করার দাবি জানান গ্রামের মহিলারা। দ্রুততার সঙ্গে সমস্যা সমাধানের আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা।

    সর্বত্র জানিয়েও সমাধান অধরা

    গ্রামের এক গৃহবধূ বলেন, “পঞ্চায়েত, প্রশাসনিক অফিস সব জায়গায় এই জলকষ্টের (Drinking water) কথা জানানো হয়েছে। কারও দিক থেকে কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি। নেতাদেরও দেখা মেলে শুধুই ভোটের সময়। আর মেলে প্রতিশ্রুতি। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় না। সামনেই পঞ্চায়েত ভোট আসছে। এবার নেতাদের দেখা মিলবে। তবে জল পাব কিনা, তার কোনও ঠিক নেই। এই গ্রামেরই এক মহিলা বললেন, এমনই শোচনীয় অবস্থা যে বলার নয়, পুকুরেও জল নেই। কোথাও জানাতে বাকি নেই। কিন্তু কেউই ফিরে তাকাচ্ছে না।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Land Mafia: ফের প্রকাশ্যে মাটি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য, নাম জড়ালো এক সিভিক ভলান্টিয়ারের!

    Land Mafia: ফের প্রকাশ্যে মাটি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য, নাম জড়ালো এক সিভিক ভলান্টিয়ারের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিষেক এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলা থেকে যেতেই ফের প্রকাশ্যে মাটি মাফিয়াদের (Land Mafia) দৌরাত্ম্য। আর এই কাণ্ডে নাম জড়ালো এক সিভিক ভলান্টিয়ারের। যিনি আবার তৃণমূলের স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী। মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের সুলতাননগর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত সরনপুর গ্রামের ঘটনা। ওই গ্রামেরই তৃণমূলের স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যা ফারহানা রহমানের স্বামী উমর ফারুক। তিনিই আবার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার সিভিক ভলান্টিয়ার। তাঁর বিরুদ্ধে রাতের অন্ধকারে সরকারি জমি দখল করে মাটি কেটে ক্যানাল ভরাটের অভিযোগ উঠেছে। যে ক্যানাল গ্রামের একমাত্র নিকাশি ব্যবস্থা। আর যা নিয়ে ব্যাপক ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।

    জানাজানি হতেই বিক্ষোভে গ্রামবাসীরা

    দিনের আলো ফুটতেই ঘটনাস্থলে যান গ্রামবাসীরা। সেখানে গিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, কোনওভাবেই এই জমি দখল হতে দেওয়া যাবে না। ক্যানাল ভরাট (Land Mafia) করলে গ্রামের চাষবাস ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আশঙ্কা এলাকাবাসীর। তাঁদের অভিযোগ, ওই সিভিক ভলান্টিয়ার গ্রামে সন্ত্রাস সৃষ্টি করার চেষ্টা করছেন। তাঁর ভয়ে সব সময় সন্ত্রস্ত থাকছে এলাকার মানুষ। এমনকী এলাকাবাসীর অভিযোগে সহমত পোষণ করে অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ধর্মা মণ্ডল। যেখানে পুলিশের কাজ আইন রক্ষা করা, সেখানে একজন সিভিক ভলান্টিয়ার হয়ে কীভাবে আইন ভাঙলেন ফারুক, উঠেছে প্রশ্ন। ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সমগ্র এলাকায়। 

    কী অভিযোগ বিজেপির? কী বলছে তৃণমূল?

    যদিও অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার উমর ফারুক ক্যামেরার সামনে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। অন্যদিকে বিজেপির দাবি, মাটি মাফিয়াদের (Land Mafia) পিছনে শাসকদল এবং প্রশাসনের একাংশের মদত রয়েছে। সেটা এই ঘটনায় দিনের আলোর মতো পরিষ্কার হয়ে গেছে। আইন আইনের পথে চলবে, পাল্টা সাফাই তৃণমূলের। তাঁদের বক্তব্য, এটা বিরোধীদের চক্রান্ত। দলকে কালিমালিপ্ত করার জন্যই এটা করা হয়েছে। যে অভিযোগ উঠেছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এভাবেই পঞ্চায়েত ভোটের প্রাক্কালে তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক তরজা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায় ধৃতের মৃত্যু দমদম জেলে, কী অভিযোগ জানাল পরিবার?

    BJP: বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায় ধৃতের মৃত্যু দমদম জেলে, কী অভিযোগ জানাল পরিবার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় জগদ্দলে বিজেপি (BJP) কর্মী আকাশ যাদব খুনের ঘটনায় রোহিত ওরফে গুড্ডু যাদব নামে এক যুবককে সিবিআই গ্রেফতার করেছিল। এই খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তার ভাই সুমিত যাদবকেও গ্রেফতার করা হয়েছিল। গুড্ডু এতদিন দমদম জেলে ছিল। ৭ মে জেলেই সে অসুস্থ হয়। তাকে আরজি কর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গুড্ডু বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ ছিল। সোমবার রাতে জগদ্দলে গুড্ডুর দেহ আনতেই এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়। পরিবারের লোকজন ও গুড্ডুর অনুগামীরা তার মৃত্যুর প্রকৃত বিচার দাবি করেন।

    কীভাবে খুন হয়েছিলেন বিজেপি (BJP) কর্মী আকাশ?

    ২০২১ সালের মে মাসে ভোট পরবর্তী হিংসায় খুন হন জগদ্দলের বাসিন্দা আকাশ যাদব। তিনি এলাকায় বিজেপি (BJP) কর্মী বলে পরিচিত ছিলেন। ঘটনার দিন বাড়ি থেকে সবে বেরিয়েছিলেন আকাশ। অভিযোগ, বাড়ির অদূরেই তাঁকে প্রথম বোমা ছোড়া হয়েছিল। তারপর তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। জগদ্দলের পুরানি তালাবের কাছে হামলার ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় আকাশের। ঘটনার পর থেকে ফেরার ছিল মূল অভিযুক্ত গুড্ডু। তার নামে হুলিয়া জারি হয়। ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালের মাঠ থেকে গুড্ডুকে গ্রেফতার করা হয়। তার কাছ থেকে কার্তুজ, আগ্নেয়াস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছিল। প্রথমে এই খুনের ঘটনায় পুলিশ তদন্ত শুরু করেছিল। পরে, সিবিআই তদন্তভার গ্রহণ করে। সিবিআইয়ের হাতে গুড্ডু গ্রেফতার হয়। গুড্ডুকে নিয়ে এসে গত বছর তারা খুনের ঘটনার পুনর্নির্মাণ করেছিল। বিজেপি কর্মী খুনের তথ্যপ্রমাণ সিবিআইয়ের হাতে এসেছিল। দমদম জেলে থেকেই গুড্ডুর বিচার চলছিল। তারমধ্যেই তার মৃত্যুতে নতুন করে রহস্য দানা বেঁধেছে।

    কী বললেন গুড্ডুর পরিবারের লোকজন?

    গুড্ডুর পরিবারের লোকজনের বক্তব্য, জেলে থাকাকালীন গত পাঁচদিন ধরে সে অসুস্থ ছিল। এই বিষয়ে আদালত এবং জেল কর্তৃপক্ষের কাছে জানিয়ে কোনও লাভ হয়নি। কেউ কোনও সুরাহা করেনি। কার্যত বিনা চিকিত্সায় তার হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার সঠিক তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    বিজেপি-র (BJP) বারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সব মৃত্যুই দুঃখজনক। আকাশ আমাদের দলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। তাঁকে খুনের ঘটনায় সিবিআই গুড্ডুকে গ্রেফতার করেছিল। গুড্ডু অসুস্থ হয়ে মারা গিয়েছে, না এর পিছনে অন্য কোনও ষড়যন্ত্র রয়েঁরা, তা সিবিআই খতিয়ে দেখুক। কারণ, বর্তমান রাজ্য সরকারের আমলে সব কিছুই সম্ভব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Child Labour: শিশুশ্রম ও বাল্যবিবাহ রোধে পায়ে হেঁটে হুগলির খানাকুল থেকে দার্জিলিং!

    Child Labour: শিশুশ্রম ও বাল্যবিবাহ রোধে পায়ে হেঁটে হুগলির খানাকুল থেকে দার্জিলিং!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির পর এবার দার্জিলিং। বহুরূপী গোলাপসুন্দরী সেজে সচেতনতার বার্তা ছড়িয়ে দিচ্ছেন হুগলির খানাকুলের মাজপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেবাশিস মুখোপাধ্যায়। এবার শিশুশ্রম (Child Labour) ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতেই তাঁর যাত্রা। খানাকুল থেকে পায়ে হেঁটে দার্জিলিং পাড়ি দিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার রাজা রামমোহনের বসতবাটি থেকে তিনি যাত্রা শুরু করেন। জানা যায়, আগামী কুড়ি দিনের মধ্যে দার্জিলিং পৌঁছনোর লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছেন তিনি। যাওয়ার পথে বিভিন্ন এলাকায় বহুরূপী গোলাপসুন্দরীর বেশে নাচগান করে সাধারণ মানুষকে শিশুশ্রম ও বাল্যবিবাহের কুফল সম্পর্কে সচেতন করাই প্রতিজ্ঞা তাঁর।

    কী বলছেন দেবাশিসবাবু?

    দেবাশিসবাবু একটি মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে বেরিয়েছেন। আর তাঁর এই উদ্দেশ্য যাতে সফল হয়, তার জন্য বহু মানুষ তাঁকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। জনস্বার্থে সাধারণ মানুষের কাছে সচেতনতার বার্তা পৌঁছে দিতে তিনি পায়ে হেঁটেই বেরিয়ে পড়েছেন। কারণ তিনি পেশায় একজন শিক্ষক। আর শিক্ষক মানেই সমাজ গড়ার কারিগর বলেই তিনি মনে করেন। গত বৃহস্পতিবার রাজা রামমোহন রায়ের খানাকুলের বসতবাটি থেকে বেরিয়ে ৬ দিন ধরে তিনি পায়ে হেঁটে কয়েকশো কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তা ইতিমধ্যে অতিক্রম করেছেন। তবে দেবাশিসবাবু বলেন, প্রচণ্ড গরমে কষ্ট হলেও আমার লক্ষ্যে পৌঁছাবোই। রাস্তায় ধাপে ধাপে অনেকগুলি জেলা পার করেছি। সেই সমস্ত জেলায় আমি আমার যে মহৎ উদ্দেশ্য বাল্যবিবাহ ও শিশু নিগ্রহ (Child Labour) বন্ধ এবং পরিবেশ সুস্থ রাখতে গাছ লাগানোর বার্তা মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছি। প্রতিটি জেলাতেই বহু মানুষের সঙ্গে আলাপ হয়েছে। তাদের মাধ্যমেও আমি আমার বার্তা পৌঁছে দিয়েছি, বিভিন্ন জেলার মানুষের কাছে।

    এর আগেও তিনি হেঁটে গিয়েছেন দিল্লি

    উল্লেখ্য, এই প্রথম নয়, এর আগেও প্রধান শিক্ষক দেবাশিসবাবুকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে প্রচার করতে দেখা গিয়েছে। কখনও বাল্যবিবাহ, আবার কখনও শিশুদের সুরক্ষার (Child Labour) জন্য রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বহুরূপী সেজে পথে-ঘাটে ঘুরে বেরিয়েছেন তিনি। বেশ কিছুদিন আগে পায়ে হেঁটে দিল্লি গিয়ে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে প্রচার করেছিলেন তিনি৷ এবার তিনি চললেন দার্জিলিং।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: কুড়মিদের নিয়ে তৃণমূল বিধায়কের পাশে দাঁড়াল না দল, কোন্দল প্রকাশ্যে

    TMC: কুড়মিদের নিয়ে তৃণমূল বিধায়কের পাশে দাঁড়াল না দল, কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কুড়মি আন্দোলন নিয়ে বিধায়ক তথা জেলা তৃণমূলের (TMC) কো-অর্ডিনেটের  অজিত মাইতির বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে তোলপাড় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার রাজনীতি। ব্যাপক প্রভাব পড়েছে কুড়মি জনজাতির মধ্যেও। দিকে দিকে কুড়মি অসন্তোষ প্রকাশ্যে এসেছে। অবশেষে কার্যত চাপে পড়ে সাংবাদিক বৈঠক করে জেলা তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব। মেদিনীপুর সংগঠনিক জেলা তৃণমূলের (TMC) সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন, অবিলম্বে ক্ষমা চাওয়া উচিত অজিত মাইতির। এমন বক্তব্যকে দল সমর্থন করে না। অজিত মাইতির পাশে যে দল নেই তা জেলা সভাপতির বক্তব্যেই স্পষ্ট। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠী কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    জেলা সভাপতির নির্দেশের পরও ফের বেফাঁস অজিত মাইতি, কী বললেন?

    একদিকে যখন জেলা সভাপতি সাংবাদিক বৈঠক করছে তখন ফের বেলাগাম অজিত মাইতি। কুড়মি সমাজের মানুষেরা পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোনও রাজনৈতিক দলকে দেওয়াল লিখতে দেওয়া হবে না বলে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার বিরোধিতা করে প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে অজিতবাবুর  হুঁশিয়ারি, আমরা হাতে চুড়ি পড়ে বসে নেই। দেওয়াল আমরা লিখবই। দাসপুরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর সফরের প্রস্তুতি সভা থেকেই হুঁশিয়ারি দেন তিনি। উল্লেখ্য, অজিতবাবু কুড়মি নেতাদের খালিস্তানপন্থী নেতাদের সঙ্গে তুলনা করেন। তাঁর মন্তব্যের পর থেকেই কুড়মি আন্দোলন সম্পর্কে অজিত মাইতির মন্তব্য ঘিরে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। অপমানিত হয়ে পথে নেমেছে কুড়মি সমাজ।  অবিলম্বে অজিত মাইতিকে ক্ষমা চাইতে হবে এমন দাবিতে সরব হয়েছে কুড়মি জনজাতির মানুষেরা। এই আবহেও ক্ষমা চাওয়া তো দূর অস্ত, শাসকদলের দাপুটে নেতার ঔদ্ধত্যে স্তম্ভিত শাসক দলের একাংশ। সব মিলিয়ে দল পাশে না থাকলেও তৃণমূল (TMC) বিধায়ক অজিত মাইতির মুখে যে লাগাম টানা যাচ্ছে না তা কার্যত স্পষ্ট। দেওয়াল লিখন নিয়ে দলের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন জেলা সভাপতি। তিনি বলেন,  দেওয়াল লিখনের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের সুনির্দিষ্ট নির্দেশিকা রয়েছে। গায়ের জোরে দেওয়াল লিখনের কোনও প্রশ্নই আসে না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: জেলা তৃণমূল সভাপতি ছুটলেন বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরীর বাড়িতে, কোন্দল কি মিটল?

    TMC: জেলা তৃণমূল সভাপতি ছুটলেন বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরীর বাড়িতে, কোন্দল কি মিটল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে সাক্ষাৎ হল বিধায়ক ও জেলা সভাপতির। অভিষেক ব্যানার্জির নির্দেশমতো রবিবার রাতে উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুরের বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরীর বাড়িতে গিয়ে সাক্ষাৎ করলেন জেলা তৃণমূল (TMC) সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল। এদিন সাংগঠনিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে উভয়ের মধ্যে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। সাম্প্রতিক নানা ঘটনাবলীতে তিক্ততার সূত্রপাত হলেও, অবশেষে তার অবসান ঘটল বলে আপাতভাবে মনে করা হচ্ছে। যদিও বিবাদ কি আদৌ মিটল? সন্দিহান জেলার মানুষই।

    কীভাবে বিবাদে জড়িয়েছিল দু-পক্ষ?

    রবিবার রাতে ইসলামপুরের গোলঘরে বিধায়কের বাড়িতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন জেলা তৃণমূল (TMC) সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল। সাম্প্রতিক বিভিন্ন ঘটনাবলীকে কেন্দ্র করে জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বিধায়কের সংঘাতের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। এমনকী তৃণমূলের জনসংযোগ যাত্রায় গত ৩০ শে এপ্রিল অভিষেক ব্যানার্জি ইসলামপুরে সভা করলেও সেখানে আমন্ত্রণ পাননি বিধায়ক। এরপর বিধায়কের বাড়িতে অভিষেক ব্যানার্জির আসার সম্ভাবনার কথা শোনা গেলেও বাস্তবে তা হয়নি। যা নিয়ে নিজের হতাশা ও ক্ষোভ ব্যক্ত করেন তিনি। গত ২রা মে রায়গঞ্জ থানার দুর্গাপুরে অভিষেক ব্যানার্জির ডাকা সাংগঠনিক বৈঠকেও আব্দুল করিম চৌধুরী অনুপস্থিত থাকায় রাজ্য রাজনীতিতে জোর জল্পনা শুরু হয়েছিল। তাঁকে বিদ্রোহী হিসেবে ঘোষণা করাতেই এই বৈঠক বয়কট বলে দাবি করেছিলেন বিধায়ক। এই বৈঠকেই জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালকে বিবাদ মিটিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জি। তারই ফলশ্রুতি হিসেবে ররিবার বিধায়কের বাড়িতে গিয়েছিলেন জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল। 

    বৈঠক নিয়ে কে কী বললেন?

    সেখানে সাংগঠনিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় বলে জানিয়েছেন জেলা সভাপতি। তিনি বলেন, আগেরদিন ইটাহারে যে সমাবেশ হয়েছিল, সেখানে আমাদের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আপনি একবার করিম সাহেবের বাড়ি যান। আমাকে নির্দেশ দেওয়াতেই আমি করিম সাহেবের বাড়ি যাই। গত পরশু আমি উনাকে ফোন করি এবং তারপর গতকাল উনার বাড়িতে যাই। সাংগঠনিক আলোচনা হয়েছে, এটুকুই শুধু। অন্যদিকে জেলা সভাপতির আগমনকে স্বাগত জানিয়েছেন বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী। দলীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় বলে জানান তিনিও। পাশাপাশি জেলায় দল (TMC) পরিচালনার ক্ষেত্রে নিজের মতামত ও প্রস্তাবনা জেলা সভাপতির সামনে তুলে ধরেছেন, এমনটাও জানিয়েছেন তিনি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda River: কচুরিপানায় ছেয়ে গিয়েছে নদী, সংস্কারের দাবি জানালেও নির্বিকার পঞ্চায়েত!

    Malda River: কচুরিপানায় ছেয়ে গিয়েছে নদী, সংস্কারের দাবি জানালেও নির্বিকার পঞ্চায়েত!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মালদা জেলার হবিবপুর ব্লকের টাঙ্গন নদী (Malda River) কার্যত ধুঁকছে। নদীর স্রোত একেবারে নেই বললেই চলে। এর গভীরতাও আগের থেকে অনেক কমে গিয়েছে। শুধু তাই নয়, নদীর জলের চারদিক কচুরিপানায় ছেয়ে গিয়েছে। এর জন্য নদী সংলগ্ন স্থানীয় মানুষদের পদে পদে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তাদের স্নানের জন্য জলে নামতে খুবই সমস্যা হচ্ছে। অনেকেই এখন বাধ্য হয়ে কচুরিপানা সরিয়ে জলে ডুব দিচ্ছেন, জামাকাপড় ধোয়ার কাজ করছেন।

    কী বলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা?

    নদীতে স্নান করতে এসে অসন্তোষ প্রকাশ করছেন অনেকে। স্থানীয় মহিলা সন্ধ্যা সিংহ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমাদের প্রচণ্ড সমস্যা। এতটাই সমস্যা যে বলার নয়। নদীর (Malda River) অবস্থা বেহাল। তবুও এদিকে কেউ নজর দিচ্ছে না। নদীর দ্রুত সংস্কার করা উচিত। নদীতে নেমে স্নান করার মতো পরিস্থিতি নেই। জল থেকে গন্ধ ছড়াচ্ছে। তাতেই স্নান করতে হয়। বাড়ির কলে জল ওঠে না। তাই নদীতেই কাচাকুচি করতে হয়। জামাকাপড় ধুয়ে নিয়ে গিয়ে আবার সাবমার্শিবলের জলে ধুতে হচ্ছে। জল পচে গন্ধ ছড়ানোয় বিভিন্ন অসুখ হওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে।

    কী আশ্বাস দিলেন পঞ্চায়েত প্রধান?

    নদীতে (Malda River) কচুরিপানা সরানোর ব্যবস্থা করে দেওয়া হলে অনেক সুবিধা হবে, এই আর্জি এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য অমৃত হালদারকে জানানো হয়। কিন্তু সমস্যার কোনও সুরাহা হয়নি। অমৃতবাবু বলেন, বিষয়টি অনেকদিন ধরে নজরে রয়েছে। এমনভাবে চারদিক কচুরিপানায় ভরে গেছে যে নদীতে কেউ নামতে পারছে না। অনেকেই আমার কাছে এনিয়ে অভিযোগ জানিয়েছে। মৎস্যজীবীরা তাঁদের সুবিধার জন্য ব্যারিকেড করে দিয়েছে। তবে এমনিতেই নদীটির স্রোত একেবারেই নেই। জল অনেক কমে গিয়েছে। যার ফলে কচুরিপানা আটকে পড়ছে। খুব শীঘ্রই লোক লাগিয়ে কচুরিপানা সরানোর ব্যবস্থা করা হবে। বিষয়টি নিয়ে তিনি ব্লকে কথা বলবেন বলেও জানিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue Fever: বছরভর হয়নি তেমন কাজ, ডেঙ্গি মোকাবিলায় স্বাস্থ্য দফতরের ভূমিকায় বিরক্ত কেন্দ্র! 

    Dengue Fever: বছরভর হয়নি তেমন কাজ, ডেঙ্গি মোকাবিলায় স্বাস্থ্য দফতরের ভূমিকায় বিরক্ত কেন্দ্র! 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বর্ষা শুরু হলেই ডেঙ্গি (Dengue Fever) এরাজ্যে মহামারির আকার ধারণ করে। শুরু হয় মৃত্যুমিছিল। তাই ডেঙ্গি রুখতে কাজ দরকার বছরভর। কিন্তু অভিযোগ, উদ্যোগ নেই। পুরসভা, পঞ্চায়েত, এমনকী স্বাস্থ্য দফতরেরও তেমন হেলদোল নেই। এদিকে এবছরও রাজ্যে ডেঙ্গির প্রকোপ ভয়ানক হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিশেষজ্ঞ মহল। রাজ্যের ভূমিকা নিয়ে বিরক্ত কেন্দ্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রক।

    কী বলছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক? 

    সম্প্রতি ন্যাশনাল সেন্টার ফর ভেক্টর বোর্ন ডিজিজ কন্ট্রোল ব্যুরোর তরফে জানানো হয়েছে, ডেঙ্গি (Dengue Fever) নিয়ে ঠিকমতো তথ্য দিচ্ছে না রাজ্য সরকার। এরপরই স্বাস্থ্য ভবনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। সূত্রের খবর, ডেঙ্গি এরাজ্যে বছরভর হচ্ছে। এমনকী শীতকালেও ডেঙ্গির থেকে রেহাই পায়নি রাজ্যবাসী। যদিও নভেম্বর থেকে প্রকোপ একটু কমেছিল। তা সত্ত্বেও ডেঙ্গি নিয়ে লাল সতর্কতা জারি রাখা জরুরি বলেই মত স্বাস্থ্য মন্ত্রকের। যদিও রাজ্যের তরফে বিশেষ তৎপরতা নেই বলেই জানিয়েছে মন্ত্রক। ডেঙ্গির মোকাবিলা করা কোনও একটি বিভাগের পক্ষে সম্ভব নয়। স্বাস্থ্য দফতর মূখ্য ভূমিকা নিলেও পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর, পঞ্চায়েত ও পূর্ত বিভাগের ভূমিকাও এক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে পুরসভার ভূমিকা অত্যন্ত জরুরি। কারণ, ডেঙ্গি রুখতে যেমন আক্রান্তকে চিহ্নিত করে চিকিৎসা দ্রুত শুরু করতে হবে, তেমনি এলাকা পরিচ্ছন্ন রাখা, জল জমতে না দেওয়া, রাস্তা ঠিক করার মতো বিষয়গুলি সংক্রমণ রুখতে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, ঠিকমতো সেইসব কাজ হচ্ছে না। বিশেষত, সারা বছর পুরসভার যে সক্রিয় ভূমিকা থাকা দরকার, তা নেই। 

    অভিযোগ কী কী? 

    গত বছর কলকাতার পাশাপাশি হাওড়া, উত্তর চব্বিশ পরগনা, হুগলিতেও ডেঙ্গির (Dengue Fever) প্রকোপ হয়েছিল মারাত্মক। হাওড়া, হুগলি ও উত্তর চব্বিশ পরগনার একাধিক পুর ও পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দারা অভিযোগ জানিয়েছিলেন, এলাকা পরিষ্কার করা হয় না। সামান্য বৃষ্টিতেও জল জমছে। রাস্তার জল বাড়ির ভিতরে ঢুকে মশার আঁতুরঘর হচ্ছে। এমনকী বাসিন্দাদের একাংশ পুরসভা ঘেরাও, রাস্তা অবরোধ করেও প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন অনেক জায়গায়। কিন্তু তারপরে কয়েক মাস কেটে গেলেও হেলদোল নেই প্রশাসনের। অধিকাংশ জায়গায় নোংরা ঠিকমতো সরানো হয় না। রাস্তার পাশেই জঞ্জাল পড়ে থাকে। নর্দমাও নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না। আর রাস্তার অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। অনেক জায়গায় বাসিন্দাদের আশঙ্কা, ফের বর্ষাকালে তাদের জন্য ভোগান্তি অপেক্ষা করছে। প্রত্যেক বছর ডেঙ্গি নিয়ে রাজ্যের মানুষ নাজেহাল হন। প্রাণ হারাতে হয় বহু মানুষকে। তবে, এই বছরেও যে তার ব্যতিক্রম হবে, এমন প্রত্যাশা নেই বিশেষজ্ঞ মহলের। বছরভর ডেঙ্গি মোকাবিলা করলেও যে সমস্যাগুলো হচ্ছে, তার ঠিকমতো সমাধান করলে তবেই পরিস্থিতি উন্নতি হতে পারতো। কিন্তু প্রশাসনের নজরদারির অভাব হলে সেই ভোগান্তি আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা করছে বিশেষজ্ঞ মহল। 

    স্বাস্থ্য দফতর কী বলছে? 

    বছরের ডেঙ্গি (Dengue Fever) মোকাবিলা কেমন,  সে সম্পর্কে স্বাস্থ্য কর্তাদের কাছে জানতে চাইলে তারা জানায়, কাজ হচ্ছে। কিন্তু তারপরেও স্বাস্থ্য মন্ত্রক কেন তাদের কাজে সন্তুষ্ট নয়, সেই প্রশ্নের অবশ্য কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি রাজ্যের স্বাস্থ্য কর্তারা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • West Bengal Health: মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনের স্বপ্নভঙ্গ দক্ষিণ দিনাজপুরের, হতাশ জেলার বাসিন্দারা

    West Bengal Health: মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনের স্বপ্নভঙ্গ দক্ষিণ দিনাজপুরের, হতাশ জেলার বাসিন্দারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনের স্বপ্নভঙ্গ দক্ষিণ দিনাজপুরের। আপাতত এই জেলায় মেডিক্যাল কলেজ করা যাচ্ছে না বলে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর স্পষ্ট করে হাইকোর্টকে জানিয়ে দিয়েছে। আর তারপরই এ নিয়ে করা জনস্বার্থ মামলাটি ইতিমধ্যে খারিজ হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন মামলাকারীর আইনজীবী। ফলে জেলার বেহাল স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় (West Bengal Health) বদল আনার জন্য মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনের যে দাবি উঠেছিল, তাও আপাতত থমকে গিয়েছে।

    একাধিকবার দাবি উঠেছে মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনের 

    দক্ষিণ দিনাজপুর সীমান্ত হিসেবে বরাবরই পিছিয়ে পড়া জেলা। এই জেলার সদর হাসপাতালে বহু রোগের চিকিৎসা হয় না। ফলে চিকিৎসা ক্ষেত্রে সামান্য জটিলতা দেখা দিলে ভিন জেলা বা রাজ্যসদরে ছুটতে হয়। এছাড়া জেলা থেকে প্রতিবার বহু ছেলেমেয়ে বাইরে ডাক্তারি পড়তে যায়। এই জেলায় শুধুমাত্র চিকিৎসা ও শিক্ষার ক্ষেত্রে মেডিক্যাল কলেজের প্রয়োজনীয়তা নেই। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও মেডিক্যাল কলেজের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। সীমান্তবর্তী জেলার হিলি দিয়ে বাংলাদেশ থেকে বহু মানুষ কলকাতা বা চেন্নাইয়ে চিকিৎসা করতে যায়। মেডিক্যাল কলেজ হলে বাংলাদেশীরাও চিকিৎসা করতে আসবে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনের সমস্ত পরিকাঠামো রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। হাসপাতাল চত্বরে ৩৩.৭২ একর জমি রয়েছে, যা মেডিক্যাল কলেজের জন্য পর্যাপ্ত বলেই জানা গিয়েছে। তবে জেলার স্বাস্থ্য (West Bengal Health) দফতর থেকেও দীর্ঘদিন আগে মেডিক্যাল কলেজের প্রস্তাব পাঠানো হয়। এছাড়া জেলার বিধায়ক, এমপিরাও একাধিকবার মেডিক্যাল কলেজের দাবি তোলেন।

    হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলায় কী হল?

    এদিকে গত বছর মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনের জন্য হাইকোর্টে জেলার এক সমাজসেবী জনস্বার্থ মামলা করেন। গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ছয় সপ্তাহের মধ্যে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনের প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ রাজ্যকে দিয়েছিলেন বিচারপতি। এই নির্দেশ ঘিরে জেলায় খুশির হাওয়া ছড়িয়ে পড়েছিল। কিন্তু গত মার্চ মাসে আদালতের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে চিঠি দিয়ে মামলাকারীর আইনজীবী অশোক হালদারকে জানিয়ে দেওয়া হয়, মেডিক্যাল কলেজ আপাতত স্থাপন করা সম্ভব নয়। আইনজীবী অশোক হালদার বলেন, আমরা আদালতের নির্দেশেই বিষয়টি চিঠি দিয়ে রাজ্য স্বাস্থ্য (West Bengal Health) দফতরকে জানিয়েছিলাম। কিন্তু স্বাস্থ্য দফতরের তরফে আমাদের চিঠি দিয়ে জানানো হয় যে, আপাতত দক্ষিণ দিনাজপুরে মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনের কোনও পরিকল্পনা নেই সরকারের। রাজ্যে আপাতত ৩৩টি মেডিক্যাল কলেজ চলছে এবং গত বছর যেহেতু নতুন ছ-টি মেডিক্যাল কলেজ স্থাপন হয়েছে রাজ্যে, তাই সেগুলির পরিকাঠামো গড়ার কাজে আপাতত মনোনিবেশ করতে চায় রাজ্য। আর দক্ষিণ দিনাজপুরে যেহেতু বালুরঘাট ও গঙ্গারামপুর মিলিয়ে দুটি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল রয়েছে, তাই আপাতত দক্ষিণ দিনাজপুরে মেডিক্যাল কলেজ করার কোনও পরিকল্পনা নেই সরকারের। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি চিঠি দিয়ে এ কথা জানিয়েছেন। 

    নতুন করে মামলা হতে পারে

    কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী কল্যাণকুমার চক্রবর্তী বলেন, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় মেডিক্যাল কলেজের ভীষণ দরকার। কারণ এই জেলায় ২০ লক্ষ মানুষ একটা জেলা হাসপাতালের উপর নির্ভর করে। সেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বা অত্যাধুনিক পরিকাঠামো নেই। আপাতত রাজ্য স্বাস্থ্য (West Bengal Health) দফতর বিষয়টি বিবেচনা না করলেও আগামী দিনে আমরা নতুন করে মামলা করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর সভা ফেরত বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা ফের আক্রান্ত, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর সভা ফেরত বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা ফের আক্রান্ত, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পটাশপুরে শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) প্রতিবাদ সভা থেকে ফেরার পথে আক্রান্ত হলেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। ময়নার বিজেপি কর্মী বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়া খুনের প্রতিবাদে দিন কয়েক আগে জেলা জুড়ে এক ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল বিজেপি। সেই কর্মসূচি চলাকালীন পটাশপুরে অবরোধকারীদের ওপর ব্যাপক লাঠিচার্জ করে পুলিশ। পুলিশের সেই লাঠিচার্জের প্রতিবাদে রবিবার বিকেলে পটাশপুরের দাইতলা বাজারে প্রতিবাদ সভার ডাক দিয়েছিল বিজেপি। প্রশাসনিক অনুমতি না মেলায় রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে পথসভার মধ্য দিয়েই প্রতিবাদ সভা শেষ করতে হয় বিজেপিকে। সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) শুভেন্দু অধিকারী। তিনি চলে যাওয়ার পরই সভা থেকে ফেরার সময় পটাশপুর বাজারের কাছে বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। হামলার জেরে বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী জখম হয়েছেন। ভাঙচুর করা হয়েছে বিজেপি কর্মীদের গাড়ি। বিজেপি নেতাদের অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই হামলা চালিয়েছে। পুলিশের সামনেই এই হামলা হয়েছে। বেশ কয়েকজন কর্মী জখম হয়েছেন। অনেকের মোবাইলও ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। যদিও তৃণমূল নেতৃত্ব হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বিজেপির এই অভিযোগ ঘিরে নতুন করে রাজনৈতিক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে পটাশপুরে।

    এদিনের প্রতিবাদ সভায় শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) কী বললেন?

    রবিবার বিকেলে পটাশপুরে এসে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, গোটা রাজ্য চুরি, দুর্নীতিতে ভরে গিয়েছে। রাজ্যবাসী পার্থ-অর্পিতার, কেষ্ট-সুকন্যার খেলা দেখেছেন। একইসঙ্গে মানিক-জীবনকৃষ্ণের খেলা সকলে দেখেছেন। শুধু পিসি-ভাইপোর খেলাটা বাকি রয়েছে, ওটাও হয়ে যাবে। এই রাজ্যে বিচারব্যবস্থা দুর্নীতির মূল উত্পাটন করতে চাইছে। কোনও বিশেষ বিচারপতি বা আইনজীবী নয়, সমগ্র বিচারব্যবস্থা এই বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আমার বিরুদ্ধে এই সরকার ৩০টি মামলা করেছে, সাতবার সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে। কিন্তু, হতাশ হয়ে ফিরেছে। আজ আইনকে সম্মান জানাতেই আমি সভা করলাম না। আগামী রবিবার এই পটাশপুরে হাইকোর্টের অনুমতি নিয়ে বিরাট জনসভা করার কথা ঘোষণা করেছেন তিনি (Suvendu Adhikari) ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share