Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • MRI: এমআরআই করাতে গিয়ে মৃত্যু পদার্থবিদ্যার ছাত্রীর! কোথায় ঘটল?

    MRI: এমআরআই করাতে গিয়ে মৃত্যু পদার্থবিদ্যার ছাত্রীর! কোথায় ঘটল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এমআরআই (MRI) করাতে এসে বাড়ি ফেরা হল না ছাত্রীর। ভেন্টিলেশনে নিয়ে যাওয়ার পরেও শেষরক্ষা করা গেলনা। তবে পরিবারের দাবি, বড় কোনও অসুস্থতা ছিল না তার। আঁকার সময় হাতটা ইদানিং কাঁপছিল। স্নায়ুর কোনও সমস্যা হচ্ছিল। কিন্তু তার পরিণতি যে এমন হবে তা ভাবতে পারেননি আত্মীয় থেকে বন্ধু মহল। পার্ক সার্কাসের বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে তাঁরা ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। মৃত ছাত্রীর নাম শ্রীপর্ণা দত্ত (২০)। বাড়ি আসানসোলে হলেও, পড়াশোনার জন্য থাকতেন কলকাতায়। জানা গেছে, ওই তরুণী পদার্থবিদ্যার ছাত্রী ছিলেন।

    ঠিক কী হয়েছিল ঘটনাটি?

    বেসরকারি হাসপাতালে এমআরআই (MRI) করার জন্য এসেছিল লেডি ব্রেবোর্ন কলেজের ওই মেধাবী ছাত্রী। স্নায়ুর কিছুটা সমস্যা ছিল। সেকারণেই চিকিৎসক বলেছিলেন তাঁর এমআরআই (MRI) করার জন্য। সেই মতো পরিবারের লোকজন তাঁর এমআরআই করার জন্য নিয়ে গিয়েছিলেন। শুরু হয়েছিল এমআরআই (MRI)। কিন্তু এমআরআই করার পরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। এরপর ভেন্টিলেশনেও রাখা হয়েছিল। সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্য়াগ করেন ওই তরুণী। তবে পরিবারের দাবি, হাসপাতালের গাফিলতিতেই এই কাণ্ড হল। কোনও চিকিৎসক ছিলেন না বলে পরিবারের দাবি। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সংবাদমাধ্যমের কাছে গাফিলতির অভিযোগ মানতে চায়নি।

    কী বলছেন আত্মীয়-স্বজনরা?

    মৃত তরুণীর পরিবারের সদস্যরা বলছেন, কিছুই তো বুঝতে পারলাম না। আমরা বার বার বলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ওরা কিছু করতেই চাইল না। আমাদের প্রশ্ন করছিল আপনারা কে! যা করার পুলিশ করবে। আসলে জুনিয়ররা তার এমআরআই করতে গিয়েছিল। তখনই ওরা সমস্যা করে ফেলে। আমরা এনিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাব। তাঁদের আরও দাবি, কোথাও কোনও সমস্যা ছিল না। একেবারে সুস্থ। শুধু হাতটা মাঝেমধ্যে কাঁপছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই সব শেষ হয়ে গেল। এটা পুরোপুরি হাসপাতালের গাফিলতি। শ্রীপর্ণার এক বান্ধবীর মতে, এমআরআই (MRI) করাতে এসে একজন সুস্থ মানুষ এভাবে মারা যাবে এটা মানা যায় না। ওই ছাত্রীর আরও দাবি, স্টাফদের জামায় রক্তের দাগ লেগেছিল। তারা ছোটাছুটি করছিল। শ্রীপর্ণার বুকে পাম্পও করছিল। কিন্তু তারপরেই সব শেষ। এমআরআই করার পরে ওর খিঁচুনি হয়েছিল। তারপরেই শেষ। এদিকে তার সিপিআর করা হয়েছিল। কিন্তু বাঁচানো যায়নি। গোটা ঘটনায় চাপান উতোর শুরু হয়েছে। কীভাবে ওই ছাত্রীর মৃ্ত্যু হল তা নিয়ে রহস্য চরমে উঠেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: স্ত্রীকে খুন করতে সুপারি দিয়েছিল স্বামী, কেন জানেন?

    Malda: স্ত্রীকে খুন করতে সুপারি দিয়েছিল স্বামী, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্ত্রীর বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্ক রয়েছে, এই সন্দেহ করে পরিবারে নিত্য অশান্তি লেগেই থাকত। অশান্তি মেটানোর জন্য পরিবারের লোকজন হস্তক্ষেপও করেছিলেন। কিন্তু, স্বামী মাসু সেখের  মন থেকে সন্দেহ দূর হয়নি। বরং, যতদিন গিয়েছে সন্দেহ আরও বেড়েছে। তাই, নিজের স্ত্রীকে খুন করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। নিজেই স্ত্রীকে খুন করার জন্য দুজন যুবককে সুপারি দেন। তাঁর দেওয়া সুপারি মতো দিনের বেলায় প্রকাশ্যে রাস্তার মধ্যে স্ত্রীকে খুন করা হয়। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের (Malda) শিমূলধাপ এলাকায়। তদন্তে নেমে পুলিশ স্বামী সহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    ২৫ এপ্রিল  মালদহ (Malda) থানার রায়পুর থেকে মোটরবাইকে করে নিজের স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে মহিষবাথানি গ্রাম পঞ্চায়েতে রাহামাটনগর গ্রামে যাচ্ছিলেন মাসু সেখ। রায়পুর গ্রামে মাসু সেখের শ্বশুরবাড়ি। আর রাহামাটনগর গ্রামে তাঁর বাড়ি। বাইকে করে বাড়ি ফেরার পথে নীল রঙের একটি বাইক তাঁদের পিছু নেয়। বাইকে দুজন ছিল। শিমূলধাপ এলাকায় খুব কাছে থেকে  দুষ্কৃতীরা মাসু সেখের স্ত্রী আইনুল বিবিকে গুলি করে। এরপরই স্থানীয় বাসিন্দারা গুলিবিদ্ধ আইনুল বিবিকে মালদহ (Malda) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। মাসু শেখ সেই সময় বলেছিলেন, আমরা বাইকে করে বাড়ি যাচ্ছিলাম। দুজন যুবক এসে স্ত্রীকে গুলি চালিয়ে দিয়ে চলে যায়। কেন আমার স্ত্রীকে খুন করা হল তা বুঝতে পারছি না।

    কী বললেন জেলা পুলিশ সুপার?

    মালদহের (Malda) জেলা পুলিশ সুপার সাউ অমিত কুমার বলেন, ২৫ তারিখের ঘটনার পর আমরা তদন্ত শুরু করি। বিভিন্ন সূত্র থেকে আমরা মাসু সেখের সঙ্গে স্ত্রীর গণ্ডগোলের বিষয়টি জানতে পারি। পরে, মাসু সেখকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সিসি টিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়। পরে, জানতে পারি, মাসু সেখ উজির সেখ  ও হজরত সেখ নামে দুজনকে সুপারি দিয়েছিল। মাসু টাওয়ারের কাজ করে। সেই সূত্রে এদের সঙ্গে তার পরিচয়। তবে, এই খুন করার জন্য কত টাকা সে দিয়েছিল তা জানতে পারিনি। যে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে ওই বধূকে খুন করা হয়েছিল তা এখনও উদ্ধার হয়নি। তার খোঁজে তল্লাশি চলছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Titagar Shootout: টিটাগড় শুটআউটে মূল অভিযুক্তসহ গ্রেফতার ৩, কেন খুন করা হল তৃণমূল কর্মীকে?

    Titagar Shootout: টিটাগড় শুটআউটে মূল অভিযুক্তসহ গ্রেফতার ৩, কেন খুন করা হল তৃণমূল কর্মীকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বকেয়া টাকা চাওয়ার জন্যই টিটাগড়ে তৃণমূল কর্মী আনোয়ার আলিকে খুন (Titagar Shootout) করা হয়েছে। তদন্তে নেমে পুলিশের হাতে প্রাথমিকভাবে এই তথ্য সামনে এসেছে। ইতিমধ্যে প্রকাশ্য দিবালোকে শুটআউটের (Titagar Shootout) ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ও তার স্ত্রীসহ তিনজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম  মহম্মদ সানি, মহম্মদ আরিফ এবং সানির স্ত্রী শবনম বানু। তিনজনকেই পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার তাদের বারাকপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়। ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজত চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়।

    ৪ লক্ষ ৬২ হাজার টাকার জন্যই কী ব্যবসায়ীকে খুন?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সানির বাড়ি টিটাগড়ের উড়ানপাড়া এলাকায়। বছর পাঁচেক আগে সানির বিরুদ্ধে একটি খুনের অভিযোগও ছিল। তাতে সে জেলও খেটেছে। পরে, জেল থেকে ছাড়া পেয়ে মোবাইল কেনাবেচার কাজ করা শুরু করেছিল। আনোয়ারসাহেব তৃণমূল কর্মীর পাশাপাশি এলাকায় তিনি প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। টিটাগড় এলাকায় তাঁর মোবাইলের দোকান রয়েছে। তিনি জমি কেনাবেচার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পাশাপাশি পরিবহণের তাঁর ব্যবসা ছিল। আনোয়ারের মোবাইল দোকান থেকে ধারে মোবাইল নিত সানি। পরে, তা বিক্রি করে টাকা ফেরত দিত সে। এইভাবে কারবার দুজনের মধ্যে ঠিকঠাক চলছিল। তবে, কয়েকমাস আগে আনোয়ারের দোকান থেকে সানি বেশ কয়েকটি মোবাইল ধারে নিয়েছিল। যার বাজারমূল্য প্রায় ৪ লক্ষ ৬২ হাজার টাকা। সেই টাকা দীর্ঘদিন ধরে ফেরত দিচ্ছিল না বলে অভিযোগ। আনোয়ার আলি ও তার ছেলে সোহেল বার বার সানির কাছে বকেয়া টাকা চেয়েছিলেন। কিন্তু, সানি সেই বকেয়া টাকা ফেরত দেয়নি বলে অভিযোগ। যার জেরে সোহেলের সঙ্গে সানির একবার ঝামেলা হয়েছিল। আনোয়ারের সঙ্গে তুমুল বচসাও হয়। আনোয়ার বকেয়া টাকা ফেরত না দেওয়া পর্যন্ত সানির উপর চাপ দিয়েছিলেন। নতুন করে আর সানিকে মোবাইল তিনি আর ধার দেননি। ফলে, সানি চরম বিপাকে পড়ে যায়। এরপরই সানি তার বন্ধু আরিফকে সমস্ত বিষয়টি বলে। আরিফ নৈহাটি থেকে একজন শার্প শুটারকে নিয়ে আসে। আনোয়ারকে খতম করার তারা ছক কষে।

    এই ঘটনা নিয়ে কী বললেন বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক?

    বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি (সেন্ট্রাল) আশিস মৌর্য বলেন, সানির সঙ্গে আনোয়ার আলির আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত সমস্যা ছিল। এনিয়ে বচসাও হয়েছিল। এরপরই তাকে খুন করা হল। ঘটনাস্থল থেকে একটি স্কুটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকে আনোয়ারের গতিবিধির উপর সানি ও তার দলবল নজর রাখছিল। এমনকী সানির স্ত্রী শবনম আনোয়ারকে ফোন করে তাঁর অবস্থান জানার চেষ্টা করে। আনোয়ার খুন হওয়ার কিছুক্ষণ আগে তাঁকে শবনম ফোন করে বকেয়া টাকা নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছিল। সেই টাকা আনতে গিয়েই সানি ও তাদের গ্যাংয়ের হাতে আনোয়ারসাহেব খুন (Titagar Shootout) হন। তবে, ঘটনার সময় সানি আরিফ ছাড়়াও আরও একজন ছিল। তার খোঁজে তল্লাশি চলছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Covid 19: তিন ধাক্কার পরেও করোনা মোকাবিলায় পরিকাঠামোর অভাব রাজ্যে, বাড়ছে ভোগান্তি! 

    Covid 19: তিন ধাক্কার পরেও করোনা মোকাবিলায় পরিকাঠামোর অভাব রাজ্যে, বাড়ছে ভোগান্তি! 

     

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    করোনার (Covid 19) নতুন প্রজাতি শক্তি বাড়িয়েছে। আর তাতেই ফের প্রশ্নের মুখে সরকারি পরিকাঠামো! দিন দুয়েক আগে উত্তর চব্বিশ পরগনার কামারহাটির এক সত্তরোর্ধ্ব নাগরিক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। নানান শারীরিক জটিলতা থাকায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন চিকিৎসক। কিন্তু পরিবারের অভিযোগ, সাগর দত্ত হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁদের জানানো হয়, ওখানে চিকিৎসা হবে না। তাঁদের বেলেঘাটা আইডি-তে নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়। তারপরে রোগীকে বেলেঘাটা আইডি-তে নিয়ে গেলে জানানো হয়, আসন নেই। অপেক্ষা করতে হবে। করোনা আক্রান্তকে গাড়িতে বসিয়েই দীর্ঘক্ষণ হাসপাতালের বাইরে অপেক্ষা করে রোগীর পরিবার। দিনভর ভোগান্তির পরে করোনা রোগীকে ভর্তি নেওয়া হয়।

    কী জানাচ্ছে চিকিৎসক মহল?

    এই ঘটনায় চিকিৎসক মহল জানাচ্ছে, মহামারির একের পর এক ঢেউ পেরিয়েও পরিকাঠামো গড়তে পারল না রাজ্য সরকার। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত দেড় সপ্তাহে করোনা (Covid 19) অ্যাক্টিভ রোগী কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে। দু’সপ্তাহ আগে অ্যাক্টিভ করোনা রোগীর সংখ্যা ছিল ১৩ জন। কিন্তু গত চব্বিশ ঘণ্টায় করোনা অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা হয়েছে ৩০৬ জন। করোনার জন্য নির্দিষ্ট বিভাগ সপ্তাহ দুয়েক আগে ফাঁকা থাকলেও, এই কদিন প্রায় শ’খানেক রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

    সমস্যা কোথায়? 

    স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের একাংশ জানাচ্ছে, করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য পর্যাপ্ত শয্যা নেই হাসপাতালে। অন্য রোগের চিকিৎসা করাতে হাসপাতালে থাকা রোগীর করোনা হলে, কোথায় তার চিকিৎসা হবে, সে নিয়েও নানান জটিলতা হয়। কীভাবে তা সমাধান করা যাবে, সে উত্তর এখনও স্পষ্ট নয়। করোনা (Covid 19) সংক্রমণ বাড়লেই প্রশাসনের শীর্ষ মহল জানায়, বেড বাড়ানো হল। কিন্তু সরকারি হাসপাতালের যে পরিকাঠামো, তাতে অন্যান্য পরিষেবা স্বাভাবিক রেখে কীভাবে বেড বাড়ানো হবে, সেই পরিকল্পনা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অস্বচ্ছ থাকে। তার ফলে একদিকে যেমন হাসপাতালের নিয়মিত স্বাভাবিক পরিষেবায় সমস্যা হয়, আরেক দিকে করোনা রোগীদের ভর্তি নিয়েও জটিলতা তৈরি হয়। 

    রোগীর পরিজনদের অভিজ্ঞতা কী?

    করোনা রোগীর ভর্তি নিয়ে একাধিক ভোগান্তির অভিযোগ তুলেছেন রোগীর (Covid 19) পরিজনেরা। মহামারির তিনটি ঢেউ পেরিয়েও ভোগান্তির অভিযোগ অব্যাহত। করোনা আক্রান্তকে কোন সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা যাবে, সে সম্পর্কে রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য দফতরের ওয়েবসাইটে তথ্য থাকে। কিন্তু রোগীর পরিজনদের অভিজ্ঞতা বলছে সম্পূর্ণ অন্য কথা। তাঁরা জানাচ্ছেন, ওয়েবসাইটে যে হাসপাতালে যত সংখ্যক কোভিড আসন ফাঁকা দেখায়, হাসপাতালে গিয়ে কিন্তু জানা যায়, বেড নেই। তাই অন্য হাসপাতালে যেতে হবে। করোনা আক্রান্ত রোগীকে নিয়েই এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে ছুটতে হয়। করোনা সংক্রমণ বাড়তেই সেই প্রবণতা শুরু হয়ে গিয়েছে। 

    বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কতখানি প্রস্তুত? 

    এ রাজ্যে চিকিৎসা পরিষেবার জন্য একটা বড় অংশ বেসরকারি হাসপাতালের উপরই নির্ভর করে। শহরের একাধিক বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অবশ্য জানাচ্ছে, তারা করোনা (Covid 19) মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমরি হাসপাতালের সিইও রূপক বড়ুয়া জানান, বহু রোগীই অন্য রোগের চিকিৎসা করাতে হাসপাতালে আসছেন। তারপরে করোনা পরীক্ষা করে জানা যাচ্ছে, তিনি সংক্রমিত। ফলে, উপসর্গহীন রোগী যে বাড়ছে, সেই আন্দাজ করা যাচ্ছে। সেই মতো প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। মনিপাল হাসপাতালের অধিকর্তা অরিন্দম বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, “কয়েক সপ্তাহ আগেও একজনও করোনা রোগী ছিলেন না। এখন কিন্তু কয়েকজন ভর্তি আছেন। সেই মতো আমরা প্রস্তুতি রাখছি, রোগী পরিষেবা যাতে ঠিকমতো দেওয়া যায়।”

    স্বাস্থ্যভবনের কর্তারা কী বলছেন? 

    স্বাস্থ্যভবনের কর্তারা অবশ্য আশ্বাস দিয়েছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন, সরকারি ওয়েবসাইট নিয়মিত আপডেট (Covid 19) করা হবে। যাতে মানুষ কোন হাসপাতালে গেলে পরিষেবা পাবে, সে বিষয়ে জানতে পারেন। কোনও বিভ্রান্তি যাতে না ছড়ায়, সে দিকেও নজর দেওয়া হবে। তারপরেও কোথাও পরিষেবা নিয়ে কোনও অভিযোগ উঠলে, তা খতিয়ে দেখা হবে। তবে সরকারি হাসপাতাল প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Report: আজ থেকেই রাজ্যে দুর্যোগ! দক্ষিণবঙ্গে জারি কমলা সতর্কতা, চলবে কতদিন?

    Weather Report: আজ থেকেই রাজ্যে দুর্যোগ! দক্ষিণবঙ্গে জারি কমলা সতর্কতা, চলবে কতদিন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে তাপপ্রবাহের জেরে হাঁসফাঁস অবস্থা হয়েছিল রাজ্যবাসীর। পরে বৃষ্টির সৌজন্যে কিছুটা কমে পারদ। এবার রবি ও সোমবার রাজ্যজুড়ে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার পূর্বাভাস (Weather Report)। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সঙ্গে বইবে দমকা ঝোড়ো হাওয়া। থাকছে শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা, রয়েছে বজ্রপাতের আশঙ্কা। আগামী পাঁচদিন বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির অনুকূল পরিস্থিতি রাজ্যে। হাওয়া অফিসের এমনটাই পূর্বাভাস।

    কী জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর?

    হাওয়া অফিসের রিপোর্টে (Weather Report) জানা গিয়েছে, শনিবার বিকাল থেকেই দুর্যোগ শুরু হবে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া বইবে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে। রবিবার এবং সোমবার দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাতের প্রাবল্য আরও বৃদ্ধি পাবে। আরও জোরে ঝাপটা মারবে ঝোড়ো হাওয়া। এই কারণে রবিবার এবং সোমবারে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে কমলা সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। শনিবার বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণে। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি।

    রবিবার বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির সঙ্গে বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা। বীরভূম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়া জেলাতে সম্ভাবনা বেশি। সোমবারেও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সঙ্গে শিলাবৃষ্টি হবে বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়া জেলাতে। মঙ্গল ও বুধবারেও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হবে, তবে বৃষ্টির পরিমাণ অনেকটাই কমবে। বৃহস্পতিবার রাজ্যে বাজ পড়ে মারা গিয়েছেন ১৬ জন। পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ, উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়ায় এই মৃত্যু হয়েছে। তাই আগামী কয়েকদিন বৃষ্টির সময় সাধারণ মানুষকে ঘরের ভিতরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন আবহবিদরা।

    ঝঞ্ঝার পূর্বাভাস উত্তরেও

    দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেও ঝড়বৃষ্টির কারণে রবিবার কমলা সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস (Weather Report)। সোমবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টি হলেও মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ অনেকটাই কমবে। পার্বত্য এলাকার ৫ জেলায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি চলবে। শনিবার ভারী বৃষ্টির সতর্কতা দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলাতে। ৭০ থেকে ১১০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে। রবিবারেও ৭০ থেকে ১১০ মিলিমিটার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির সতর্কতা থাকবে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কালিম্পং-এ। সোমবারেও ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার জেলাতে।

    সক্রিয় নিম্নচাপ অক্ষরেখা

    আলিপুর হাওয়া অফিসের (Weather Report) আধিকারিকরা জানিয়েছেন, রাজ্য জুড়ে সক্রিয় রয়েছে নিম্নচাপ অক্ষরেখা। নিম্নচাপ অক্ষরেখার জন্য ঠান্ডা হাওয়া এবং বঙ্গোপসাগর থেকে আসা জলীয় বাষ্পপূর্ণ উষ্ণ হাওয়ার ফলে রাজ্যে বজ্রগর্ভ মেঘের সঞ্চার হবে এবং এতেই বৃষ্টির অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হবে। বাতাসের উপরিভাগে এখন পশ্চিমী গরম হাওয়া বইছে। ওদিকে বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর জলীয় বাষ্প ঢুকছে রাজ্যে। সাগরের সেই শীতল ভারী হাওয়ার সঙ্গে পশ্চিমের গরম হাওয়ার সংস্পর্শে বজ্রগর্ভ মেঘ তৈরি হচ্ছে। আর সেই কারণেই দু’দিন ধরে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাতে ভিজবে সারা রাজ্য। কয়েকটি জেলায় শিলাবৃষ্টিরও পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। 

    সতর্কতা জারি প্রশাসনের

    উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টি এবং দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়ের সম্ভাবনা থাকায় শস্যের ক্ষতি হতে পারে, উত্তরবঙ্গের বেশিরভাগ এলাকায় দৃশ্যমানতা অনেকটা কমে যেতে পারে। একইসঙ্গে কাঁচা বাড়িঘরেরও ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা আবহাওয়াবিদদের (Weather Report)। এই দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় বৃষ্টির সময়ে ঘরের বাইরে না বেরোনোর পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। বজ্রবিদ্যুতের সময়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার কথাও বলা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Forecast: মে মাসের গরমে বাংলা টেক্কা দেবে রাজস্থানকে! কবে থেকে শুরু তাপপ্রবাহ?

    Weather Forecast: মে মাসের গরমে বাংলা টেক্কা দেবে রাজস্থানকে! কবে থেকে শুরু তাপপ্রবাহ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে তাপপ্রবাহে প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়েছিল। দিন কয়েক আগেও সকাল ৮টা-৯টা থেকেই চাঁদিফাটা রোদে বাড়ি থেকে বেরনো দায় হয়ে উঠছিল। শনিবার থেকে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে বৃষ্টি নামায় তাও কিছুটা স্বস্তি মিলেছে। কিন্তু ফের আশঙ্কার কথা শোনাল হাওয়া অফিস। শোনা যাচ্ছে, মে মাসে আবারও ভয়ঙ্কর গরম পড়তে চলেছে। ভেঙে যেতে পারে অতীতের সব রেকর্ড। তাপমাত্রাও ৪০ থেকে ৫০ ডিগ্রির আশপাশে ঘোরাফেরা করবে পূর্ব থেকে মধ্য ভারতের একাধিক রাজ্যে। হাওয়া অফিসের ব্যাখ্যা (Weather Forecast), পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে রাজস্থান, পাঞ্জাবের তাপমাত্রা খুব বেশি বাড়বে না। পারদ চড়লেও তা নেমে যাবে কিন্তু গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে তাপমাত্রা বাড়তেই থাকবে। বাংলা, বিহার, ঝাড়খন্ডে চলবে ব্যাপক তাপপ্রবাহ। অর্থাৎ গরমে বাংলা টেক্কা দেবে রাজস্থানকেও।

     কবে থেকে আবার তাপপ্রবাহ?

    এখন তাপমাত্রা কিছুটা কম হয়েছে। আপাতত মনোরম আবহাওয়ার পূর্বাভাস। নতুন পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে চলতি সপ্তাহে ঝড়-বৃষ্টির কমলা সতর্কতা জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Weather Forecast)। উত্তরবঙ্গে আবার বিক্ষিপ্ত ভারী বৃষ্টিরও সম্ভাবনা রয়েছে। অন্তত ৩ মে পর্যন্ত এই ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে। ১১-১২ মে পর্যন্ত বাংলায় তাপপ্রবাহের কোনও আশঙ্কা দেখছে না মৌসম ভবন। হাওয়া ঘুরতে পারে তার পর থেকেই। হয় বৈশাখের একেবারে শেষ লগ্নে, অথবা জ্যৈষ্ঠে। মে-র তৃতীয় ও চতুর্থ, দুই সপ্তাহেই দক্ষিণবঙ্গের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার গড় স্বাভাবিকের উপরে থাকারই ইঙ্গিত। মৌসম ভবনের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, মে-র প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত গরমের বিশেষ বালাই থাকবে না। এক-দু’দিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের নিচেও নেমে যেতে পারে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, পূর্ব-মধ্য় ও পূর্বাঞ্চলে আগামী এক মাস তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি থাকবে। উত্তর-পূর্ব ভারতের অধিকাংশ অঞ্চলও এবার স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি গরম আবহাওয়া পাবে বলেই জানানো হয়েছে। ফের একবার তাপপ্রবাহের সম্ভাবনাও রয়েছে। তবে উত্তর-পশ্চিম ও মধ্য়-পশ্চিম ভারতে তাপমাত্রা স্বাভাবিকই (Weather Forecast) থাকবে বলে জানা গিয়েছে।

    তাপপ্রবাহের প্রভাব দেশের অর্থনীতিতেও

    পরিবেশ ও অর্থনীতি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তাপমাত্রার ওঠানামার সঙ্গে দেশের অর্থনীতিতেও প্রভাব পড়ে। তাপপ্রবাহ এড়াতে সর্বক্ষণ ফ্য়ান, এসি চালানোর জন্য হঠাৎ করেই বাড়তে থাকে বিদ্যুতের চাহিদা। এরফলে ব্য়াপক চাপ পড়ে পাওয়ার গ্রিডগুলির উপরে এবং ব্ল্য়াকআউটের সম্ভাবনাও বৃদ্ধি পায়। বহু মানুষকেই এই তীব্র গরমেও বাড়ি থেকে বের হতে হয় বলে, হিটস্ট্রোকে তাদের মৃত্যুর সম্ভাবনাও তৈরি হয়। শুধুমাত্র তাপমাত্রাই নয়, বাতাসে আর্দ্রতাও তাপপ্রবাহকে প্রাণঘাতী করে তোলে। আবার রাস্তাঘাটে লোকজন কমে যাওয়ায়, খুচরো ব্যবসায়ীদের বিক্রিতেও ভাটা পড়ে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: জোড়া স্বস্তি শুভেন্দুর! মানহানির মামলায় হাজিরা নয়, জানাল হাইকোর্ট, বহাল রক্ষাকবচও

    Suvendu Adhikari: জোড়া স্বস্তি শুভেন্দুর! মানহানির মামলায় হাজিরা নয়, জানাল হাইকোর্ট, বহাল রক্ষাকবচও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একইদিনে জোড়া স্বস্তি শুভেন্দুর। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত করতে হাইকোর্টের অনুমতি নিতে হবে, উচ্চ আদালতের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দারস্থ হয়েছিল রাজ্য। সেই মামলা পুনরায় হাইকোর্টেই ফেরত পাঠাল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। অন্যদিকে, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়ের বাবা অমিত বন্দ্য়োপাধ্যায়ের করা মানহানি মামলায় শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল আলিপুর আদালত। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু অধিকারী। ১৬ মে শুভেন্দুর হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল। শুক্রবার সেই মামলায় নিম্ন আদালতের নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ দিলেন বিচারপতি বিবেক চৌধুরী। ফলে আর হাজিরা দিতে হবে না শুভেন্দুকে (Suvendu Adhikari)।

    রাজ্য সরকারের দায়ের করা ২৬টি FIR এ স্থগিতাদেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট

    গত ডিসেম্বরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বিরুদ্ধে রাজ্য সরকারের দায়ের করা ২৬টি FIR এ স্থগিতাদেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। সঙ্গে ওই FIRগুলিতে কেউ কোনও তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে না বলে নির্দেশ দেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। সঙ্গে তিনি জানান, শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে কোনও মামলা দায়ের করতে গেলে আদালতের অনুমতি নিতে হবে। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে পরের সপ্তাহেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু রায়ে হস্তক্ষেপ করতে অস্বীকার করে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের সিঙ্গল বেঞ্চ। এর পর বিচারপতি মান্থার রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। সেই মামলাতেও ধাক্কা খেল তারা। এদিন সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যের দায়ের করা মামলায় হস্তক্ষেপ করতে অস্বীকার করেছে সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এই মামলার শুনানি হবে কলকাতা হাইকোর্টেই। রাজ্যের আবেদনের দ্রুত শুনানি করে রায় দেবে হাইকোর্ট। তার পর এব্যাপারে হস্তক্ষেপের ব্যাপারে ভাববে সর্বোচ্চ আদালত।

    অমিত ব্যানার্জির মামলায় হাজিরা দিতে হচ্ছেনা বিরোধী দলনেতাকে

    অভিযোগ নাম না করে অমিত বন্দ্য়োপাধ্যায়কে আক্রমণ করেছিলেন শুভেন্দু। তিনি বলেছিলেন, ‘দুর্নীতি করে হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছেন’। তবে কারও নাম নেননি তিনি। তাঁকেই নিশানা করা হয়েছে, এমন দাবি করে প্রথমে ক্ষমা চাওয়ার নোটিস দিয়েছিলেন অভিষেকের বাবা। পরে নন্দীগ্রামের বিধায়ক ক্ষমা না চাওয়ায় মানহানির মামলা করা হয় তাঁর বিরুদ্ধে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kaliaganj Death: সিবিআই তদন্তের দাবি, কালিয়াগঞ্জে নিহত যুবকের মরদেহ সমাধিস্থ করে রাখল পরিবার

    Kaliaganj Death: সিবিআই তদন্তের দাবি, কালিয়াগঞ্জে নিহত যুবকের মরদেহ সমাধিস্থ করে রাখল পরিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালিয়াগঞ্জে নাবালিকার মৃত্যুর ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবিতে দেহ সমাধিস্থ করে রাখা হয়েছে। যে পুলিশের গুলিতে বাড়ির ছেলের মৃত্যু (Kaliaganj Death) হয়েছে বলে অভিযোগ, সেই পুলিশের তদন্তে আস্থা নেই পরিবারের। তাই সিবিআই তদন্তের দাবি সামনে রেখে নিহত যুবকের মরদেহও হিন্দু রীতি মেনে আগুনে পোড়ানোর বদলে সমাধিস্থ করে রাখল পরিবার। পাশাপাশি কালিয়াগঞ্জ থানার পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে মৃতের পরিবার। শুক্রবার বিকেলে রায়গঞ্জের কর্ণজোড়ায় অবস্থিত পুলিশ সুপারের দফতরে এসে অভিযোগ দায়ের করেন মৃতের দাদা মৃণালকান্তি বর্মন। তাঁর দাবি, কালিয়াগঞ্জ থানার পুলিশ এই ঘটনা ঘটিয়েছে। তাই পুলিশ সুপারের দফতরে অভিযোগ জানিয়েছেন। যদিও পুলিশের ওপর তাঁদের কোনও রকম ভরসা নেই। তাঁরা সিবিআই তদন্ত চান। তাই প্রাথমিকভাবে এই অভিযোগ দায়ের করে মৃতের পরিবার।

    শ্মশানের নীরবতা বিরাজ করছে গ্রামে

    অপরদিকে, পুলিশের গুলিতে বুধবার রাতে মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের মৃত্যুর ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা বাদেও আতঙ্কের ছবি কালিয়াগঞ্জের চাঁদগাঁ গ্রামে। রাধিকাপুর পঞ্চায়েতের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ার পাশেই এই গ্রামে শুক্রবার দুপুরে পৌঁছে দেখা গেল, শ্মশানের নীরবতা বিরাজ করছে। আতঙ্কের এই পরিবেশের মধ্যেই  নিহত (Kaliaganj Death) যুবকের মরদেহ সমাধিস্থ করার কাজ বৃহস্পতিবার শেষরাতে সম্পন্ন হয়েছে। বাড়ি থেকে প্রায় একশো মিটার দূরে নিজেদের জমিতেই মরদেহ সমাধিস্থ করা হয়েছে। কুকুর-শেয়ালে যেন মরদেহের ক্ষতি করতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে বাঁশের বেড়া বেঁধে দেওয়া হয়েছে সমাধিস্থলের চারপাশে।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ঘিরে উত্তপ্ত কালিয়াগঞ্জ। আর এই ঘটনার জেরে থানায় রাজবংশী ও আদিবাসী সংগঠনের ডেপুটেশন কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। থানায় আগুন লাগানো থেকে শুরু করে পুলিশের গাড়ি জ্বালানোর ঘটনা ঘটে। এরই মধ্যে বুধবার রাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক রাজবংশী যুবকের মৃত্যু ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় কালিয়াগঞ্জের রাধিকাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চাঁদগাঁ গ্রামে। জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম মৃত্যুঞ্জয় বর্মন (৩৩)। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। কিন্তু, কিভাবে এই ঘটনা ঘটল তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। এই ঘটনা নিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি এই ঘটনা নিয়ে টুইটও করেন। জানা গিয়েছে, বিষ্ণু বর্মন কালিয়াগঞ্জের (Kaliaganj Death) বিজেপি-র পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য। কালিয়াগঞ্জ থানায় তাণ্ডব চালানোর ঘটনার সূত্র ধরে বুধবার রাতে তাঁর বাড়িতে পুলিশ হানা দেয়। কিন্তু, তাঁকে না পেয়ে তাঁর বৃদ্ধ বাবাকে টেনে হিঁচড়ে মারতে মারতে পুলিশ গাড়িতে তোলে বলে অভিযোগ। চোখের সামনে এই ঘটনা দেখে বিষ্ণুর ভাইপো মৃত্যুঞ্জয় এর প্রতিবাদ করেন। এরপরই পুলিশ গুলি চালায়। তাতে মৃত্যুঞ্জয়ের মৃত্যু হয়। এমনটাই অভিযোগ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bauris Community: বেকার যুবকদের চাকরির দাবিতে কারখানার গেট বন্ধ করে বিক্ষোভ

    Bauris Community: বেকার যুবকদের চাকরির দাবিতে কারখানার গেট বন্ধ করে বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার সকাল থেকেই পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভার দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লকের ঝাঁজড়া গ্রামের অদূরে অবস্থিত একটি বেসরকারি কারখানার গেট বন্ধ করে বিক্ষোভে সামিল হলেন বাউরী সমাজের (Bauris Community) লোকজন। তাঁদের দাবি, পাণ্ডবেশ্বরে কারখানা কর্তৃপক্ষ প্রায় সব বিষয়েই বঞ্চিত রেখেছে বাউরী সম্প্রদায়কে। এই এলাকায় কারখানা তৈরি হওয়ার সময় কর্তৃপক্ষ কথা দিয়েছিল, এলাকার প্রত্যেক পাড়া থেকে কারখানার কাজের জন্য লোক নেওয়া হবে। কিন্তু, কাজ পায়নি বাউরী সমাজের (Bauris Community) লোকেরা। শুক্রবার সকাল সাতটা নাগাদ বাউরী সমাজের প্রচুর মহিলা ও পুরুষ মিছিল করে এসে গেট বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখায়। বিক্ষোভ করে গেট বন্ধ করে দিলে কারখানার স্থায়ী কর্মীরা কারখানায় ঢুকতে না পেরে বিক্ষোভকারীদের সাথে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। বচসা হাতাহাতির স্তরে গিয়ে পৌঁছয়। সঙ্গে সঙ্গে চলে ছুটে আসে লাউদোহার ফরিদপুর থানার পুলিশ এবং পরিস্থিতি সামাল দেয়।

    কারখানা কর্তৃপক্ষ কী জানাল?

    ঘটনা প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্ট কারখানার জেনারেল ম্যানেজার সুদীপ মজুমদার জানান, হঠাৎ করেই হচ্ছে এই ধরনের বিক্ষোভ। বাউরী সমাজের লোকেরা (Bauris Community) এর আগে তাঁর কাছে কোনও রকম আবেদন জানায়নি। তিনি বলেন, কারখানা কর্তৃপক্ষ সবসময় এলাকার মানুষের সুযোগ সুবিধার কথা ভাববেন। প্রয়োজনে কারখানা কর্তৃপক্ষ সদর্থক পদক্ষেপ নেবে।

    বাউরী সমাজের বিশেষ দাবি

    বাউরী সমাজের এই বিক্ষোভে সামিল হন পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ বাউরি। তিনি বলেন, কারখানা কর্তৃপক্ষ শুধু বাইরের লোকেদের এই সুযোগ দিচ্ছে। স্থানীয় বাউরী সমাজের লোকেরা (Bauris Community) এই কারখানা থেকে বঞ্চিত। 

    শাসকদলের ভূমিকা

    অবশেষে ঘটনাস্থলে আসেন দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লকের তৃণমূল ব্লক সভাপতি সুজিত মুখার্জি। তিনি বাউরী সমাজের (Bauris Community) পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতির সঙ্গে কথা বলে কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। সুজিতবাবু জানান, এলাকায় মানুষের কষ্ট রয়েছে। তবে এইভাবে আর কারখানার গেট বন্ধ করে বিক্ষোভ ঠিক নয়। আলোচনার মাধ্যমে সমস্ত সমস্যার সমাধান হবে। সভাপতির আশ্বাসে অবশেষে বিক্ষোভ তুলে নেয় বাউরী সমাজের লোকজন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Siliguri TMC: তৃণমূলের অন্তর্কলহ? গৌতমের স্বপ্নভঙ্গ ঘটিয়ে এসজেডিএ-র চেয়ারম্যান সৌরভই

    Siliguri TMC: তৃণমূলের অন্তর্কলহ? গৌতমের স্বপ্নভঙ্গ ঘটিয়ে এসজেডিএ-র চেয়ারম্যান সৌরভই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নাটকীয় পরিবর্তন! শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি ডেভেলপমেন্ট অথরিটির (এসজেডিএ) চেয়ারম্যান পদে ফের রদবদল করা হল। শুক্রবার সকালের সরকারি নির্দেশিকায় এসজেডিএ-র চেয়ারম্যান পদ হারান সৌরভ চক্রবর্তী। দুপুরেই তা ফিরে পেলেন তিনি। এদিন সকালে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর থেকে নির্দেশিকা জারি করে শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেবকে (Siliguri TMC) এসজেডিএ-র চেয়ারম্যান করা হয়। কিন্তু দুপুরেই সেই নির্দেশিকা বাতিল করে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর থেকে নতুন নির্দেশিকা জারি করে এসজেডিএ-র পুরনো কমিটিকেই বহাল রাখা হয়। তাতে সৌরভ চক্রবর্তী চেয়ারম্যান থেকে গেলেন। 

    গৌতমের স্বপ্নভঙ্গ

    এদিকে সকালের নির্দেশিকা পাওয়ার পর গৌতম দেব সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেছিলেন, সরকারি নির্দেশিকা এদিন সকালে আমি হাতে পেয়েছি। আমাকে এসজেডিএ-র  চেয়ারম্যান করা হয়েছে। সবে দায়িত্ব পেলাম। সব নতুন করে শুরু করতে হবে। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি (Siliguri TMC) বলেন, উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে। ২০১৬ সালে আমি শেষ চেয়ারম্যান ছিলাম। এই পদের কাজের সঙ্গে আমি পরিচিত। এসজেডিএ-র চেয়ারম্যান ও শিলিগুড়ির মেয়র, একসঙ্গে দুটো দায়িত্ব। তাতে শিলিগুড়ির উন্নয়নে বাড়তি গুরুত্বেরও ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তিনি। তারপর পুরসভা থেকে সব জায়গায় গৌতম দেবকে সংবর্ধনা জানানো হয়। কিন্তু সৌরভ চক্রবর্তী তখন কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি। তিনি শুধু বলেছিলেন, দুপুরের পর বড় খবর আসবে। অপেক্ষা করুন।  

    তৃণমূলের অন্তর্কলহেই কি এই নাটক?

    সৌরভ চক্রবর্তীর ঘোষণা মতো বড় খবরই এল। তাতে কার্যত গৌতম দেবের মুখও পুড়ল। নতুন নির্দেশিকা জারির পর চেষ্টা করেও গৌতম দেবের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তাঁর মোবাইল সুইচড অফ পাওয়া গিয়েছে। এদিকে এসজেডিএ-র চেয়ারম্যান পদ নিয়ে কয়েক ঘন্টার মধ্যেই সরকারের মত পরিবর্তনের পিছনে তৃণমূলের (Siliguri TMC) অন্তর্কলহ দেখতে পাচ্ছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ। কেননা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গ সফরে থাকাকালীনই দার্জিলিং জেলা (সমতল) তৃণমূলের কমিটিতে চূড়ান্ত অসন্তোষ চলছে। সভানেত্রী পাপিয়া যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে স্বেচ্ছাবন্দি হয়ে রয়েছেন। গত কয়েকদিন ধরে তিনি কারও ফোন ধরছেন না। তৃণমূল সূত্রে খবর, পাপিয়া ঘোষকে পদ থেকে সরাতে দলেরই একটি গোষ্ঠী কোমর বেঁধে নেমেছে। তারা সমান্তরালভাবে আলাদা বৈঠক করে চলেছে। পাপিয়া ঘোষের কার্যকলাপ সম্পর্কে রাজ্য নেতৃত্বের কাছে একাধিক অভিযোগ পাঠানো হয়েছে। যদিও দলের জেলা মুখপাত্র বেদব্রত দত্ত এধরনের খবরকে ভিত্তিহীন বলেন। কিন্তু এসজেডিএ-র চেয়ারম্যান পদ নিয়ে এদিন নাটকীয়ভাবে সরকার তথা তৃণমূলের ঘনঘন সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের পিছনে তৃণমূলের অন্তর্কলহ রয়েছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ।

    এদিন সকালে ঠিক কী ঘটেছিল?

    আগামিকাল, শনিবার শিলিগুড়িতে আসছেন সাংসদ এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। শিলিগুড়ির কাছে জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জে তাঁর দলীয় কর্মসূচি রয়েছে। যুবরাজের আগমনের পথ মসৃণ করতে শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (এসজেডিএ) ফুলবাড়ির বেহাল ক্যানাল রোড মেরামতির কাজ যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু করেছে। কেননা এই রাস্তা দিয়েই যাবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আগমনের জন্যই যে ফুলবাড়িতে এই ক্যানাল রোড এসজেডিএ সংস্কার করছে, তা কবুল করেন এসজেডিএ-র চেয়ারম্যান, তৃণমূল নেতা (Siliguri TMC) সৌরভ চক্রবর্তী। গত বৃহস্পতিবার এসজেডিএ-র প্রেস হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সৌরভ চক্রবর্তী ওই রাস্তা সংস্কারের কাজের ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, “সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আগমনে রাস্তার কাজ চলছে ফুলবাড়িতে।” সংবাদমাধ্যমকেও সৌরভবাবু একই কথা বলেন। অভিজ্ঞ মহলের ধারণা, এই বক্তব্যের জন্যই চেয়ারম্যান পদ থেকে সরতে হয় সৌরভ চক্রবর্তীকে। শুক্রবার সকালে তাঁকে সরিয়ে শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেবকে আবার এসজেডিএ-র চেয়ারম্যান করা হয়। কিন্তু কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সেটাও পরিবর্তন হয়ে গেল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share