Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Amit Shah: রবীন্দ্রজয়ন্তীতে সায়েন্স সিটি অডিটোরিয়ামে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন অমিত শাহ?

    Amit Shah: রবীন্দ্রজয়ন্তীতে সায়েন্স সিটি অডিটোরিয়ামে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন অমিত শাহ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের কলকাতায় আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। ২৫ বৈখাশ রবীন্দ্রজয়ন্তী। ওই দিন বিজপির (BJP) একটি সংস্কৃতিক কর্মসূচিতে দেখা যাবে শাহকে। রবীন্দ্রজয়ন্তী উপলক্ষে ২৫ বৈশাখ সন্ধ্যায় কলকাতার সায়েন্স সিটি (Science City) অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে বিজেপি। অনুষ্ঠানের প্রধান আয়োজক ‘খোলা হাওয়া’। এই অনুষ্ঠানেই যোগ দিতে আবারও কলকাতায় আসছেন শাহ। এই সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় যোগ দেবেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তও।

    ‘খোলা হাওয়া’র অনুষ্ঠানে অমিত শাহ (Amit Shah)…

    রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ বিজেপির স্বপন দাশগুপ্তের হাতে তৈরি খোলা হাওয়া। কিছু দিন আগে খোলা হাওয়ারই উদ্যোগে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন ‘কাশ্মীর ফাইলসে’র পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা অনুপম খেরও। খোলা হাওয়া আয়োজিত সেই অনুষ্ঠান নিয়ে কর্ম বিতর্ক হয়নি। সেই খোলা হাওয়াই ফের আয়োজন করছে রাবীন্দ্রিক সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার। খোলা হাওয়ার এই অনুষ্ঠানে ঋতুপর্ণা ছাড়াও উপস্থিত থাকবেন শিল্পী তনুশ্রী শঙ্কর, সোমলতা আচার্য, মেধা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। অনুষ্ঠান শুরু হবে ২৫ বৈশাখ, বিকেল ৫টায়।

    আরও পড়ুুন: পুলিশের জালে খালিস্তানপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা অমৃতপাল সিংহ

    পদ্মশিবির সূত্রে খবর, ৮ মে কলকাতায় আসবেন শাহ (Amit Shah)। সেদিন জনসভা করবেন মুর্শিদাবাদে। পরের দিন রবীন্দ্রজয়ন্তী। সেদিন সকালে তিনি যেতে পারেন জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে। এদিন কয়েকটি সাংগঠনিক বৈঠকও করতে পারেন তিনি। সন্ধ্যায় যোগ দেবেন খোলা হাওয়া আয়োজিত অনুষ্ঠানে। এই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। থাকবেন স্বপন দাশগুপ্ত স্বয়ং।

    বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। এবার রেকর্ড সংখ্যক আসন পেয়ে দিল্লির মসনদে ফিরতে চাইছে বিজেপি। বাংলায় বর্তমানে বিজেপির সাংসদ রয়েছেন ১৮ জন। গেরুয়া শিবিরের লক্ষ্য, এটাকে বাড়িয়ে ৩৫টি করা। একের পর এক দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের কয়েকজন হেভিওয়েট নেতা। তাই শাসকদল তৃণমূলের এ রাজ্যে কার্যত ল্যাজেগোবরে দশা। এমতাবস্থায় শাহকে (Amit Shah) বারংবার কলকাতায় এনে দলীয় কর্মীদের মনোবল আরও বাড়াতে চাইছে পদ্মশিবির। সেই কারণেই বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বিজেপি শাহকে আনতে চাইছে বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের। তবে এর আগেও একাধিকবার বাতিল হয়েছে শাহের বাংলা সফর। ১২ জানুয়ারি ছিল বিবেকানন্দের জন্মদিন। শেষ মুহূর্তে হাতে কাজ চলে আসায় ওই দিন কলকাতায় স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন পালনের অনুষ্ঠানে আসতে পারেননি তিনি। তবে বড় কিছু না ঘটলে এবারের রবীন্দ্রজয়ন্তীটা শাহ কাটাবেন কলকাতায়ই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Kaliaganj Rape Case: কালিয়াগঞ্জে জাতীয় শিশু অধিকার কমিশন, ফের প্রকাশ্য বিরোধিতায় রাজ্য কমিশন

    Kaliaganj Rape Case: কালিয়াগঞ্জে জাতীয় শিশু অধিকার কমিশন, ফের প্রকাশ্য বিরোধিতায় রাজ্য কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালিয়াগঞ্জে নাবালিকা ধর্ষণের (Kaliaganj Rape Case) ঘটনায় তোলপাড় গোটা রাজ্যে। ওই এলাকার একাংশে ইতিমধ্যে ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। দুদিন ধরে দফায় দফায় বিক্ষোভে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। এই ইস্যুতে রাজ্যে পা রাখেন জাতীয় শিশু সুরক্ষা অধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান প্রিয়ঙ্ক কানুনগো। রবিবার তিনি যান নির্যাতিতার (Kaliaganj Rape Case) বাড়ি। এই আবহে  সকাল থেকে একের পর এক ট্যুইট করে জাতীয় শিশু সুরক্ষা অধিকার কমিশনকে কটাক্ষ করা হয়েছে রাজ্য শিশু সুরক্ষা অধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে। বিরোধী মহলের একাংশের বলছে, জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনকে সহযোগিতার বদলে বিরোধিতা কেন করছে রাজ্য? কোনও কিছু ধামাচাপা দিতেই কী?

    রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের ওই ট্য়ুইটে কী লেখা হয়েছে

    ট্যুইটে লেখা হয়েছে, “১৪৪ ধারা লঙ্ঘন করে কালিয়াগঞ্জে গিয়েছে জাতীয় শিশু সুরক্ষা অধিকার কমিশনের দল। জাতীয় শিশু সুরক্ষা অধিকার কমিশনের এই ভূমিকা লজ্জাজনক। যেভাবে NCPCR-এর চেয়ারপার্সন প্রিয়ঙ্ক কানুনগো রাজ্যের শিশু ও মহিলাদের সম্পর্কে মন্তব্য করছেন, তা দুর্ভাগ্যজনক। তথ্য যাচাই না করেই তিনি উস্কানিমূলক মন্তব্য করছেন তিনি। তাঁর এই ধরনের মন্তব্য আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। যাদের শিশুদের অধিকার রক্ষার কথা, তাঁরাই শিশুর মৃতদেহ নিয়ে রাজনীতি করছে। আইন ভেঙে রাজ্যের কমিশনকে অগ্রাহ্য করে রাজ্যকে বদনাম করার চেষ্টা হচ্ছে।”

     

    কী বললেন প্রিয়ঙ্ক কানুনগো

    কিশোরীকে ধর্ষণ ও খুনের ইস্যুতে এদিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করলেন জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন প্রিয়াংক কানুনগো। এদিন তিনি বলেন, “একজন অযোগ্য মুখ্যমন্ত্রীর ভাবমূর্তি রক্ষার জন্য অযোগ্য সরকারের আচরণ নিয়ে কাজ করা কোনও অযোগ্য সংস্থার বিষয়ে আমি কোনও মন্তব্য করতে চাই না।” রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশন প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়েই তিনি এই মন্তব্য করেছেন বলে জানা গিয়েছে। তিনি আরও বলেন, “আজ সকালে গিয়ে মৃতার বাড়ির লোক, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুবান্ধব ও আশেপাশের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছি ও রেকর্ড করেছি। দুদিন আগেই এই কেসের যিনি ইনভেস্টিগেটিং অফিসার ছিলেন ও যে ডাক্তার পোস্টমর্টেম করেছে, পাশাপাশি এই কেসের সঙ্গে যারা যুক্ত আছেন তাদের দেখা করার কথা জানিয়েছিলাম। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তারা কেউ দেখা করেননি। অপেক্ষা করছি। তাদের সঙ্গে কথা বলে তারপরেই আপনাদের বাকি সব জানাতে পারব।” পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে তাঁর মন্তব্য, “পুলিশ এখনও মৃতার পরিবারের লোকের বয়ান নেয়নি। সেটা পরিবারের লোকেরাই আমাকে জানিয়েছেন। পরিবারের লোকজনের বয়ান না নিয়ে কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছনো প্রশাসনের পক্ষে ঠিক না।”
     

    কী বলছে প্রশাসন

    ইতিমধ্যে কালিয়াগঞ্জ পৌঁছেছেন জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন প্রিয়ঙ্ক কানুনগো। রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার সানা আখতার জানিয়েছেন, নিয়ম মেনে চার প্রতিনিধি যেতে চাইলে প্রশাসনের কোনও আপত্তি নেই। শনিবারের পর থেকেই এলাকা সুনসান। রবিবার সকাল থেকে জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nurshing Home: মৃতকে আইসিইউতে রেখে রাতভর ‘চিকিৎসা’? কোন জেলায় এমন তাজ্জব ঘটনা?

    Nurshing Home: মৃতকে আইসিইউতে রেখে রাতভর ‘চিকিৎসা’? কোন জেলায় এমন তাজ্জব ঘটনা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মৃত রোগীকে জীবিত বলে সারারাত চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ। সকালে বিষয়টি জানাজানি হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়লেন মৃত রোগীর পরিবারের লোকজন। লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় ইংলিশবাজার থানায়। মালদা শহরের গৌড় রোড় এলাকায় একটি নামি নার্সিংহোমের (Nurshing Home) বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ উঠেছে।  

    কীভাবে মৃত্যু হল রোগীর?

    জানা গেছে, মৃত ওই ব্যক্তির নাম বনমালি সরকার। বাড়ি মালদার গাজোল থানার শিক্ষকপল্লি এলাকায়। পরিবার সূত্রে জানা যায়, অসুস্থ থাকায় ওই ব্যক্তিকে শনিবার গৌড় রোড় এলাকায় একটি নার্সিংহোমে (Nurshing Home) ভর্তি করা হয়। রাতে নার্সিংহোম থেকে ফোন করে বলা হয়, রক্ত লাগবে। রাতে না দিতে পারলেও সকালের মধ্যে রক্ত জোগাড় করে দিলেই হবে, এই কথাও জানানো হয় নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে, এমনটাই অভিযোগ। কিন্তু রবিবার সকালে এসে পরিবারের লোক জোর করে নার্সিংহোমের ভিতর ঢুকে দেখতে পান, তাঁদের রোগী মারা গেছে। 

    মৃত মানুষকে আইসিইউ-তে রেখে চিকিৎসা?

    মৃত রোগীর জামাই সানি দত্তের অভিযোগ, মৃত মানুষকে কিভাবে আইসিইউ-তে রেখে চিকিৎসা করা যায়? তাঁরা জোর করে ভিতরে ঢুকে দেখতে পান, আইসিইউ-তে রয়েছে তাঁদের রোগী, কিন্তু মারা গেছে। হাত-পা ঠান্ডা হয়ে গেছে। অথচ নার্সিংহোম (Nurshing Home) কর্তৃপক্ষ তাদের কিছুই জানায়নি। মৃত রোগীকে জীবিত বলে চিকিৎসা চালিয়ে গিয়ে মোটা অংকের টাকা দাবি করত নার্সিংহোম, এমনই অভিযোগ করেন তিনি। এই মর্মে ইংলিশবাজার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। অবিলম্বে প্রশাসন এবং মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ওই নার্সিংহোম সিল করে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন মৃতের পরিবারবর্গ। 

    কী জবাব দিল নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ?

    এই বিষয়ে নার্সিংহোম (Nurshing Home) কর্তৃপক্ষ ক্যামেরার সামনে কিছু না বললেও মৌখিকভাবে জানায়, অভিযোগ ভিত্তিহীন। রক্ত জোগাড় করতে না পাড়ায় ওই রোগীর মৃত্যু হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Heat Wave: গ্রীষ্মের প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে হরিণ ও ময়ূরকে দেওয়া হচ্ছে ওআরএস এবং গ্লুকোজ, কোথায় জানেন?

    Heat Wave: গ্রীষ্মের প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে হরিণ ও ময়ূরকে দেওয়া হচ্ছে ওআরএস এবং গ্লুকোজ, কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এপ্রিল মাস পড়তে না পড়তেই শুরু হয়েছে গ্রীষ্মের প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ (Heat Wave)। প্রখর রোদে পুড়ছে বঙ্গবাসী। তবে এই তীব্র তাপপ্রবাহ কেবল মানবজীবনেই প্রভাব ফেলেছে তা নয়, নাজেহাল অবস্থা পশুপাখিদেরও। তাই এই আবহাওয়া থেকে কাঁকসার দেউলের জঙ্গলে হরিণ ও ময়ূরদের রক্ষা করতে বন দফতর বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে৷ সকাল থেকেই রোদের তেজ তীব্র গতিতে বাড়তে থাকার পাশাপাশি হরিণ ও ময়ূরদের ওআরএস ও গ্লুকোজ খাওয়ানো হচ্ছে। এছাড়াও তাদের শরীরের জলশূন্যতা রুখতে ও সুস্থ রাখতে খাওয়ানো হচ্ছে টাটকা শাকসবজি, আখের গুড়, ভেজানো ছোলা, বিটনুন ও ভূষি। পাশাপাশি তাদের ওপর সারাক্ষণ বনকর্মীদের দিয়ে চলছে বিশেষ নজরদারি। দুর্গাপুর বন দফতরের এমনই দাবি।

    ঠিক কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে বন দফতর?

    বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৯২ সালে গৌরাঙ্গপুর গ্রামের দেউলের জঙ্গলে হরিণ ও ময়ূরের জন্য সংরক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়। এটি শিবপুর বিট অফিসের আওতাধীন। সেখানকার বিট অফিসার অনুপকুমার মন্ডল সহ প্রায় ১৮ জন বনকর্মী হরিণ ও ময়ূরের দেখভাল করেন। বর্তমানে সেখানে মোট ৯৬ টি চিতল হরিণ রয়েছে। যার মধ্যে সদ্যোজাত প্রায় ৭ টি হরিণশাবকও রয়েছে। এছাড়াও ময়ূরের সংখ্যা শতাধিক ছাড়িয়েছে। যদিও ময়ূরের বংশবিস্তার শুধুমাত্র সংরক্ষণ কেন্দ্রের মধ্যে আর থেমে নেই। কাঁকসার জঙ্গলমহলের লোকালয়েও ময়ূর ছড়িয়ে গিয়েছে। প্রায় ৮ মাস ধরে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় ওই সংরক্ষিত এলাকার শাল-পিয়ালের জঙ্গলের সবুজায়ন হারিয়েছে। বসন্তকালের শুরুতেই সমস্ত গাছের পাতা ঝরে গেলেও বৃষ্টিপাতের অভাবে নতুন করে পাতা এখনও তেমনভাবে গজিয়ে ওঠেনি। পাশাপাশি সংরক্ষিত এলাকায় ঘাস সহ ঝোপঝাড় গজিয়ে না ওঠায় হরিণের খাবারের অনেকটাই ঘাটতি দেখা গিয়েছে। চড়া রোদের তাপ (Heat Wave) ও লু থেকে হরিণ সহ ময়ূরের অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা থাকায় বন দফতর তড়িঘড়ি তাদের স্বাস্থ্যের ওপর নজর দিয়েছে। পশু চিকিৎসকের পরামর্শমতো ওআরএস ও গ্লুকোজ তাদের খাবারের জলে মেশানো হচ্ছে। এছাড়াও ভেজানো ছোলা ও আখের গুড় খাওয়ানো হচ্ছে। গাজর সহ টাটকা শাকসবজি ও গাছের কচি পাতা সংগ্রহ করে দেওয়া হচ্ছে।

    কী জানাচ্ছেন বন দফতরের আধিকারিকরা?

    বন দফতরের দুর্গাপুর রেঞ্জ অফিসার সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, যে হারে দাবদাহ (Heat Wave) বেড়ে চলেছে এপ্রিলের শুরু থেকেই, তাতে সংরক্ষিত হরিণ ও ময়ূরগুলিকে সুস্থ রাখতে আমরা ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। প্রতিদিন প্রায় ২০ প্যাকেট ওআরএস দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি গ্লুকোজ থেকে গুড়, ছোলা, শাকসবজিও দেওয়া হচ্ছে। পশু চিকিৎসকের পরামর্শমতো আগামী মে ও জুন মাস পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে দেওয়া হবে। যাতে এই তীব্র তাপপ্রবাহে তারা অসুস্থ না হয়ে যায়। দীর্ঘদিন ধরে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় জঙ্গলে গাছের পাতা ও ঘাস তেমনভাবে এখনও গজিয়ে উঠতে পারেনি। আমরা গাছের কচি পাতা সংগ্রহ করে হরিণগুলিকে দিচ্ছি। পাশাপাশি ময়ূরকে গম দেওয়া হয় সারা বছর। এখনও পর্যন্ত কোনও হরিণ অসুস্থ হয়নি। তাদের ওপর সর্বক্ষণ বিশেষ নজরদারি চালানো হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Drinking Water: কল আছে, জল নেই! অভিযোগ জানিয়েও কাজ না হওয়ায় পঞ্চায়েত ভোটের আগে ক্ষোভ

    Drinking Water: কল আছে, জল নেই! অভিযোগ জানিয়েও কাজ না হওয়ায় পঞ্চায়েত ভোটের আগে ক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কল আছে, জল নেই। বাড়ি বাড়ি পানীয় জল (Drinking Water) প্রকল্পে বালুরঘাট ব্লকের ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্য খিদিরপুর এলাকায় পানীয় জল সরবরাহ করতে বাড়ি বাড়ি পাইপলাইন পৌঁছে গিয়েছে। প্রতি বাড়িতে একটি করে ট্যাপও লাগানো হয়েছে। কিন্তু ট্যাপকল থাকলেও, জলের দেখা নেই। প্রথম প্রথম জল এলেও দীর্ঘদিন ধরে ট্যাপে জল আসে না বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই নিয়ে বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। 

    সমস্যা নিয়ে কী অভিযোগ গ্রামবাসীদের?

    গ্রামবাসীদের অভিযোগ, পঞ্চায়েত থেকে প্রতিটি বাড়িতে ট্যাপ লাগানো হয়েছে। ট্যাপ লাগানোর পর কিছুদিন জল (Drinking Water) আসত। কিন্তু তারপর দীর্ঘদিন ধরে আর জল আসে না। পঞ্চায়েতকে জানালে পঞ্চায়েত বলে, আমাদের হাতে এটা নেই, এটাপিএইচই-র হাতে। এলাকাবাসী পিএইচই দফতরে অভিযোগ জানালেও কোনও লাভ হয়নি বলে তাঁদের অভিযোগ। এলাকার এক বাসিন্দা জানান, ট্যাপে জল না আসায়, পঞ্চায়েতে জানানো হয়েছে। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরেও (পি এইচ ই) এলাকার বাসিন্দারা মাস পিটিশন দিয়েছেন। তবুও কোন সুরাহা হয়নি।

    কী বলছে বিজেপি?

    বিজেপির যুব সভাপতি শুভ চক্রবর্তী জানান, তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত বাড়ি বাড়ি পানীয় জলের (Drinking Water) ট্যাপ দিলেও, জল আসে না। এই দাবদাহে মানুষকে প্রচণ্ড সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। বিষয়টি পঞ্চায়েত সমিতি এবং পিএইচইকে জানানো হয়েছে। একে অন্যের অপর দোষ চাপাচ্ছে। আমরা তো জানি এটা পঞ্চেয়েতেরই কাজ।

    তৃণমূলের কী বক্তব্য?

    এলাকার তৃণমূল সদস্য দীপা উপাধ্যায় জানান, জলস্তর কমে যাওয়ায় জল (Drinking Water) আসছে না। বিষয়টি পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে পিএইচই দফতরে জানানো হয়েছে। তিনি স্বীকার করেছেন, এই সমস্যা তাঁর নিজের বাড়িতেও। এলাকার মানুষের ক্ষোভের ব্যাপারে তিনি বলেন, সরকারের পক্ষে তো সব সমস্যা মেটানো সম্ভব হয় না। পঞ্চায়েত ভোট মিটে গেলে তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Report: শনিবার রাতের পর রবিবার ভোরেও ভিজল দক্ষিণবঙ্গের বেশকিছু জেলা! মিলল স্বস্তি

    Weather Report: শনিবার রাতের পর রবিবার ভোরেও ভিজল দক্ষিণবঙ্গের বেশকিছু জেলা! মিলল স্বস্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার রাত এবং ভোরে ভিজল কলকাতা। তবে হল না স্বস্তির বৃষ্টি। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, শনিবার রাতেই বৃষ্টি নামে কলকাতা এবং আশপাশের বেশ কিছু জেলায়। যদিও বৃষ্টি হয়েছে নামমাত্র। পাশাপাশি বয়েছে ঝোড়ো হাওয়াও । আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে (Weather Report) আশায় বুক বেঁধেছিলেন শহরের মানুষ। ভ্যাপসা গরম থেকে খানিক রেহাই দিল এই নামমাত্র বৃষ্টি এবং ঝোড়ো হাওয়া। রবিবার সকালেও দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হয়েছে। কিছু জেলায় সকাল থেকেই মুখ ভার করে ছিল আকাশ। প্রসঙ্গত, হালেই তারা জানিয়েছিল, টানা পাঁচ দিন তাপমাত্রা ২ থেকে ৪ ডিগ্রি বাড়তে পারে। চৈত্র-শেষেই কলকাতায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি হয়েছিল। সব নিয়ে দুর্ভোগ ছিল চরমে। রবিবারের বৃষ্টি ঝলসে যাওয়া শহরের বুকে শান্তির আমেজ ফিরিয়েছে। 

    আজকে কেমন থাকবে আবহাওয়া

    এদিন রাজ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকবে এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে থাকবে বলে জানাচ্ছে আবহাওয়া দফতর। রবিবার থেকে গোটা রাজ্য জুড়েই বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস জারি থাকছে। দক্ষিণবঙ্গের ছয় জেলাতে বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। রবিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে আর তাপপ্রবাহ থাকবে না বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। আপাতত যা পূর্বাভাস, তাতে আজ দিনভর মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। আগামিকালও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকার কথা, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। 

    তাপমাত্রার হেরফেরে সতর্ক থাকতে হবে

    তীব্র গরম থেকে হঠাৎই একধাক্কায় তাপমাত্রা পড়ে যাওয়াতে জ্বর, সর্দি, কাশির মতো উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। শিশুরা তো বটেই, জ্বর-কাশি থেকে রেহাই পাচ্ছেন না বয়স্করাও। আবহাওয়ার (Weather Report) এই রকমফের দেখে রোগ-জ্বর বালাই সম্পর্কে সতর্ক থাকতে বলছেন চিকিত্‍সকরা। কাশি হলে কমতে সময় লেগে যাচ্ছে অনেক দিন। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে এই সময় বাড়তি সতর্কতা ও যত্ন প্রয়োজন বলে পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিত্‍সকরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tiljala: তিলজলায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা! সাবান তৈরির কারখানায় নিমতেলের ট্যাঙ্কারে ডুবে মৃত ২ শ্রমিক

    Tiljala: তিলজলায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা! সাবান তৈরির কারখানায় নিমতেলের ট্যাঙ্কারে ডুবে মৃত ২ শ্রমিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিলজলায় (Tiljala) সাবান তৈরির কারখানায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটল। নিম তেলের ট্যাঙ্কারে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হল এক খালাসি ও একজন শ্রমিকের। এঁদের মধ্যে খালাসি দক্ষিণ ভারতীয়। জানা গিয়েছে, লোগাননাথন (৩৩) তিলজলার সেই সাবান কারখানায় ট্যাঙ্কারে করে দক্ষিণ ভারত থেকে নিম তেল নিয়ে এসেছিলেন। অন্যদিকে অপর শ্রমিক কার্তিক হালদারের (৪৩) বাড়ি সোনারপুরে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার দুপুরে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে কলকাতা পুলিশ।

    ট্যাঙ্কারের ভিতর নিম তেলের পরিমাপ করতে গিয়েই দুর্ঘটনা

    পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন দুপুর ২টো নাগাদ তিলজলার ওই সাবান কারখানায় দক্ষিণ ভারত থেকে একটি ট্যাঙ্কার এসে পৌঁছয়। তাতে একটি নির্দিষ্ট ধরনের সাবান তৈরির উপকরণ, নিম তেল ভরা ছিল। প্রায় ২৪ হাজার লিটারের ওই ট্যাঙ্কারের পেটে ছ’টি ঢাকনা রয়েছে। সেগুলি দিয়ে ট্যাঙ্কারে তরল ভরা এবং বার করা যায়। ট্যাঙ্কার খালি করার আগে একটি ঢাকনার সামনে ঝুঁকে তরলের উচ্চতা মাপতে যান লোগাননাথন। তখনই হঠাৎ ট্যাঙ্কারের তরলের মধ্যে পড়ে যান তিনি। তা দেখে অন্যেরা চিৎকার শুরু করলে ছুটে যান কার্তিক। কিন্তু তিনিও ট্যাঙ্কারের তরলে পড়ে যান। এর পরে আর কেউ এগোতে সাহস করেননি।

    কীভাবে উদ্ধার করা হল

    ভিতরে নিম তেল ভর্তি থাকার কারণে দু’জনের দেহ উদ্ধার করতে বেশ বেগ পেতে হয় কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীদের। অবশেষে দীর্ঘক্ষণ চেষ্টার পর দু’টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয় ভিতর থেকে। সেখান থেকে ময়নাতদন্তের জন্য খালাসি ও শ্রমিকের মৃতদেহ পাঠানো হয় হাসপাতালে। পাশাপাশি কারখানা কর্তৃপক্ষের তরফে দু’জনের বাড়িতেই খবর পাঠানো হয়েছে।

    কী বলল পুলিশ

    ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক পুলিশকর্তা বলেন, ‘‘ময়না তদন্তের পরে আরও তথ্য পাওয়া যাবে। কোনও গাফিলতি ছিল কি না, তা-ও দেখা হবে।’’ তবে ওই সাবান কারখানা কর্তৃপক্ষের তরফে রাত পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Raiganj Rape: কালিয়াগঞ্জে নাবালিকার মৃত্যু বিষক্রিয়ায়! ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখিয়ে  দাবি পুলিশ সুপারের

    Raiganj Rape: কালিয়াগঞ্জে নাবালিকার মৃত্যু বিষক্রিয়ায়! ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখিয়ে দাবি পুলিশ সুপারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার রাতে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার সুপার মহম্মদ সানা আখতার জানিয়ে দিলেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এসেছে। সেখানে  মৃত্যুর কারণ হিসেবে  বিষক্রিয়ার কথাই বলা হয়েছে। তবে সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখে ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিন মূল অভিযুক্ত সহ মোট দুজনকে রায়গঞ্জ জেলা আদালতে পাঠানো হয়েছিল। তাদের ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। ধৃতদের ৩০২ ও ৬ পকসো এবং এসসি-এসটি অ্যাক্ট ধারায় মামলা করা হয়েছে। পুলিশ সুপার এদিন আরও বলেন, অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা গুজব (Raiganj Rape) ছড়ানোর চেষ্টা করছেন। এগুলোয় কান না দেওয়ার জন্য তিনি সকলকে আহ্বান জানান। তিনি বলেন, কিশোরীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে নিদিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।

    কী অভিযোগ উঠেছিল?

    শুক্রবার সকালে কালিয়াগঞ্জের সাহেবঘাটা সংলগ্ন গাঙ্গুয়ায় এক নাবালিকা ছাত্রীর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা। স্থানীয় বাসিন্দারাই পুকুরের ধার থেকে ছাত্রীর দেহ উদ্ধার করেন। স্থানীয়দের দাবি, ছাত্রীর শরীর বিবস্ত্র ছিল। এরপরই ছাত্রীকে ধর্ষণ (Raiganj Rape) করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলে পরিবার। পুলিশকে লক্ষ্য করে এলাকার বাসিন্দারা ইট ছোঁড়ে বলে অভিযোগ। মৃতদেহ আটকে রেখে রাজ্য সড়ক অবরোধ করা হয়। রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে চলে বিক্ষোভ। পুলিশ টিয়ার গ্যাস ফাটিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

    পুলিশি তদন্তে অসন্তুষ্ট বিজেপির রাজ্য সভাপতি

    শনিবার সকাল থেকে এলাকা একেবারে থমথমে ছিল। এদিন কালিয়াগঞ্জের সাহেবঘাটা সংলগ্ন গাঙ্গুয়া এলাকায় মৃত কিশোরীর (Raiganj Rape) বাড়িতে যায় বিজেপির প্রতিনিধিদল। প্রতিনিধি দলে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে আরও দুই সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী, খগেন মুর্মু ছিলেন। পাশাপাশি বেশ কয়েকজন বিধায়কও ছিলেন। তাঁরা মৃত ছাত্রীর পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের পাশে থাকার তাঁরা আশ্বাস দেন। এরপর সেখান থেকে সরাসরি রায়গঞ্জের কর্ণজোড়ায় অবস্থিত পুলিশ সুপারের দফতরে এসে হাজির হয় বিজেপির প্রতিনিধিদল। কিন্তু, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে এদিন তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, এসপি অফিসে আসার খবর অনেক আগেই ফোন মারফৎ পুলিশ সুপারকে জানানো হলেও এদিন সেখানে কোনও পুলিশকর্তার উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি। দফতের ঢোকার দরজা খোলা নিয়েও অভিযোগে সরব হন বিজেপি নেতৃত্ব। এরপর এসপি অফিসের ভিতরে অবস্থান ও ধর্ণায় বসে প়ড়েন রাজ্য সভাপতি সহ সাংসদ এবং বিধায়করা। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, এই ঘটনার তদন্তে তাঁরা সন্তুষ্ট নন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Live Together: বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছাত্রীর সঙ্গে সহবাস!  অধ্যাপকের বিরুদ্ধে তদন্তে মহিলা কমিশন

    Live Together: বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছাত্রীর সঙ্গে সহবাস! অধ্যাপকের বিরুদ্ধে তদন্তে মহিলা কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিয়ের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাংলাদেশি ছাত্রীর সঙ্গে সহবাস (Live Together) এবং দিনের পর দিন শারীরিক নিগ্রহের অভিযোগ। আর এমন গুরুতর অভিযোগ যার-তার বিরুদ্ধে নয়, বিশ্ববিদ্যালয়েরই এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করলেও, মামলার ধারা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। যার ফলে অনায়াসে জামিনে মুক্ত হয়ে যান অভিযুক্ত অধ্যাপক। চরম নিরাপত্তাহীনতায় বাংলাদেশ হাই কমিশনারের দ্বারস্থ নির্যাতিতা। শনিবার ঘটনার তদন্তে দুর্গাপুরে সরকারি হস্টেলে নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করল রাজ্য মহিলা কমিশন।

    ঠিক কী ঘটেছে?

    ঘটনায় জানা গেছে, বাংলাদেশের ওই অভিযোগকারিণী আসানসোল কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী। তাঁর সঙ্গে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের আজাজুল আলি খান নামে অধ্যাপকের প্রণয়ের সম্পর্ক তৈরি হয়। অভিযোগ, অভিযুক্ত অধ্যাপক বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছাত্রীর সঙ্গে বেশ কয়েকমাস সহবাস (Live Together) ও শারীরিক নিগ্রহ করেন। গত মার্চ মাসের শেষের দিকে ওই ছাত্রীর সঙ্গে দূরত্ব শুরু করেন অধ্যাপক। এবং অন্য একজনের সঙ্গে সম্পর্কে লিপ্ত আছেন বলে ছাত্রীটিকে জানিয়ে দেন। আর তাতেই ভেঙে পড়েন ছাত্রীটি। চরম নিরাপত্তাহীনতায় ওই নির্যাতিতা ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও আসানসোল মহিলা থানার পুলিশকে এই বিষয়ে অবগত করেন। কিন্তু তাতে কোনও সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ। শেষমেশ বিচারের জন্য ছাত্রীটি বাংলাদেশ হাই কমিশনারের দ্বারস্থ হন। এবং দুর্গাপুর মহিলা থানায় অধ্যাপকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তারপরই নির্যাতিত ছাত্রীর মেডিকেল পরীক্ষা হয় এবং অভিযুক্ত অধ্যাপক গ্রেফতারও হয়। 

    ছাত্রীটির সঙ্গে দেখা করতে রাজ্য মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা

    কিন্তু, গ্রেফতার হয়েও জামিনে ছাড়া পেয়ে যান তিনি। এদিকে শনিবার ঘটনার (Live Together) তদন্তে দুর্গাপুর সিটি সেন্টারে হস্টেলে ছাত্রীটির সঙ্গে দেখা করতে আসেন রাজ্য মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা। মহিলা কমিশনের পক্ষে দেবযানী চক্রবর্তী জানান, “মেয়েটির সঙ্গে কথা হয়েছে। অভিযোগ শুনেছি। ঘটনায় মেয়েটি প্রমাণস্বরূপ যা কিছু  জমা করেছে, সবদিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ কোন ধারায় মামলা করেছে, কোন ধারায় গ্রেফতার হল, জামিনে কেন ছাড়া পেল সবই রিপোর্ট চেয়েছি। আরও কোন ধারায় মামলা দেওয়া ও গ্রেফতার করা যায়, সেসব দেখা হচ্ছে। পুলিশ সর্বক্ষণ নিরাপত্তায় রয়েছে। অভিযুক্ত যাতে শাস্তি পায়,  মেয়েটি যাতে বিচার পায় তার চেষ্টা চলছে।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durgapur City Centre: জবরদখল ঠেকাতে কেন্দ্রের দেখানো পথেই রাজ্য, তৈরি হচ্ছে ‘নগরবন’!

    Durgapur City Centre: জবরদখল ঠেকাতে কেন্দ্রের দেখানো পথেই রাজ্য, তৈরি হচ্ছে ‘নগরবন’!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভেষজ উদ্যান জবরদখল হয়ে বদলে গিয়েছিল শুয়োরের খোঁয়াড়ে। এবার সেই জবরদখল ঠেকাতে পরিত্যক্ত জমিতে তপোবনের আদলে শহরের মধ্যে তৈরি হচ্ছে নগরবন। দূষণমুক্ত সবুজ অরণ্যের পাশাপাশি সেখানে থাকবে শিশুদের খেলার উদ্যান, বয়স্কদের জন্য পার্কিং, জগিং ট্র্যাকের ব্যবস্থা। দুর্গাপুর শহরের সিটি সেন্টার (Durgapur City Centre) ও বিধাননগরের মতো দুই গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় জোরকদমে চলছে নগরবন তৈরির কাজ।

    এ রাজ্যে কেন্দ্রের প্রকল্পটি কী?

    প্রসঙ্গত, গত বছর ৮ জুলাই কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিক সহায়তায় এরাজ্যের দুর্গাপুর ও বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে তৈরি হয়েছে নগরবন। দুর্গাপুর, বিষ্ণুপুর সহ সারা দেশের ৭৫ টি জায়গায় একসঙ্গে ভার্চুয়াল মাধ্যমে এই নগরবনের কাজের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দুর্গাপুরের ১ নং ওয়ার্ডের পারুলিয়ায় প্রস্তাবিত ২৫ হেক্টর জমিতে নগরবনের কাজের উদ্বোধন হয়। দিল্লি থেকে প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পাশাপাশি এখানে উপস্থিত ছিলেন বাঁকুড়া, বীরভুম, দুই বর্ধমান সার্কেলের বন আধিকারিক কল্যাণ দাস। এছাড়াও ছিলেন সচিব সোমা দাস। দুর্গাপুরের পারুলিয়ায় ২৫ হেক্টর জমি ছাড়াও এই রাজ্যের বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুরে ১০ হেক্টর জমিতে তৈরি হচ্ছে নগরবন।

    রাজ্য কোথায় তৈরি করছে নগরবন?

    দুর্গাপুর শহরের প্রাণকেন্দ্র সিটি সেন্টার (Durgapur City Centre) ও বিধাননগর এলাকায় আরও দুটি নগরবন তৈরি করছে বন দফতর। জাতীয় সড়ক লাগোয়া নির্ধারিত জমি দুটি আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের (এডিডিএ)। ব্যবহার না হওয়ায় পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়েছিল। সিটি সেন্টার ডিভিসি মোড়ের কাছে সড়কের একদিকে তৈরি হচ্ছে জেলা প্রশাসনিক কার্যালয়। রয়েছে রাজ্য সরকারের অতিথি নিবাস। এছাড়াও রয়েছে এনার্জি পার্ক, ভগৎ সিং ক্রীড়াঙ্গন। স্বাভাবিকভাবেই জায়গাটি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। বামফ্রন্ট জমানায় ওই জমিতে ভেষজ উদ্যান তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু, ভেষজ উদ্যান অচিরেই জবরদখলের কব্জায় চলে যায়। বিশাল ওই জমির একপ্রান্তে কাজুবাদাম গাছের বাগান ছিল, আবার অপরদিকে গজিয়ে ওঠে শুয়োর চাষের খোঁয়াড়। আর শহরের প্রাণকেন্দ্রে শুয়োর চাষ ও নোংরা-আবর্জনায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি হওয়ায় বারবার প্রশ্নের মুখে দুর্গাপুর নগর প্রশাসন। এমনকী তার উল্টোদিকে অতিথি নিবাসে মুখ্যমন্ত্রী রাত্রিযাপন করায় বিষয়টি নজরে পড়ে। শহরের মাঝে জমা নোংরা জঞ্জালে এককথায় নরক তৈরি হয়েছিল। একইরকম ভাবে বিধাননগরের ওই পরিত্যক্ত জমিতে জবরদখল ক্রমবর্ধমান ছিল। আর এই জবরদখল মাথাব্যথার কারণ হয়ে ওঠে এডিডিএ’র। জবরদখলের ফলে শহরের সৌন্দর্যায়ন, সবুজায়ন সব মুখ থুবড়ে পড়ে।  

    কী থাকছে এই নগরবনে?

    রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের মদত থাকায় জবরদখল উচ্ছেদে বাধাও পেতে হয় এডিডিএ-কে। তবে সম্প্রতি জবরদখল রুখতে কঠোর হয় এডিডিএ। গত কয়েকমাস ধরে শহরের সরকারি জমির ওপর অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে তারা। এদিকে শহরকে সৌন্দর্যায়ন করতে ও দূষণমুক্ত পরিবেশের লক্ষ্যে সবুজায়নের উদ্যোগ নেয় দুর্গাপুর আঞ্চলিক বনবিভাগ। সেই মতো এডিডিএ র কাছে ২৫ হেক্টর জমির আবেদন করে দুর্গাপুর আঞ্চলিক বনবিভাগ। শহরের গুরুত্বপূর্ণ সিটি সেন্টার (Durgapur City Centre) ও বিধাননগরে দুটি জমি পাওয়া যায়। ওই দুই জায়গা নগরবন তৈরির জন্য দুর্গাপুর আঞ্চলিক বনবিভাগের হাতে তুলে দেয় এডিডিএ । গত দুমাস ধরে ওই দুটি জায়গায় নোংরা জঞ্জাল ও আগাছা সাফাই করা হয়। তারের জাল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয় গোটা এলাকা। ওই জমির ওপর বড় গাছগুলিকে অক্ষত রেখে খোলনলচে বদলে ফেলার কাজ শুরু হয়। মাটি কেটে জলাশয় তৈরি করা হয়েছে। জলাশয়ের পাড়ে বসানো হচ্ছে সবুজ ঘাস। এছাড়াও আমলকি, বহড়া, হরিতকি, অশোক সহ নানান ভেষজ ঔষধি চারাগাছ লাগানোর কাজ চলছে। এছাড়াও ইট ও বাঁশের বেত দিয়ে সৌন্দর্যয়ানের কাজ। স্বাচ্ছন্দ্যে হাঁটার জন্য রাস্তা তৈরির কাজ চলছে। বন দফতর সুত্রে জানা গেছে, অনেকটা পৌরানিক যুগের তপোবনের আদলে তৈরি হবে নগরবন। থাকবে প্রজাপতি, পাখিদের আবাসস্থল। প্রায় ১ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হচ্ছে নগরবন। বয়স্কদের জন্য যেমন জগিং ট্র্যাক থাকবে, তেমনই ছোটদের জন্য বিনোদনের পার্ক থাকবে। এছাড়াও তৈরি হবে শ্রুতিবন। যেখানে মৃত পূর্বপুরুষদের নামে একটি করে চারাগাছ লাগাতে পারবেন ইচ্ছুকরা। এছাড়াও থাকবে নক্ষত্রবন। রাশিফল ও গ্রহ নক্ষত্রের দোষ কাটাতে যেসমস্ত গাছ ব্যাবহার করা হয়, ওইসব গাছ লাগানো হবে।  

    সরকারি আধিকারিকরা কী জানালেন?

    আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “রাজনৈতিক মদতপুষ্ট লুটেরাদের হাত থেকে সরকারি জমি বাঁচাতে এবং শহরকে সৌন্দর্যায়ন ও সবুজায়ন করতে এই উদ্যোগ। এখনও পর্যন্ত এরকম পরিত্যক্ত ৪টি প্লট পাওয়া গেছে। সেগুলি বন দফতরের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে সবুজায়নের জন্য।” দুর্গাপুর আঞ্চলিক বনাধিকারিক বুদ্ধদেব মন্ডল জানান, “শহরের অব্যবহৃত জমির জন্য এডিডিএ ও ডিএসপি র কাছে আবেদন করা হয়েছিল। প্রায় ২৫ হেক্টর জমি পাওয়া গেছে। তার ওপরই (Durgapur City Centre) শহর কেন্দ্রিক এই নগরবন তৈরির কাজ হচ্ছে। মূলত দূষণ রোধের পাশাপাশি মানুষকে প্রাণ ভরে অক্সিজেনের জোগান দেওয়ার জন্য তৈরি করা হচ্ছে। এই নগরবনে দেশীয় গাছ লাগানো হবে। ফলের বাগান তৈরি হবে। যোগব্যায়ম, শিশুদের খেলাধূলার ব্যাবস্থা থাকবে। সুন্দর প্রাকৃতিক মনরোম পরিবেশ গড়ে তোলা হবে।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share