Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Singur: চারচাকা গাড়ির পিছনের সিট খুলতেই থরে থরে সাজানো গাঁজার প্যাকেট!

    Singur: চারচাকা গাড়ির পিছনের সিট খুলতেই থরে থরে সাজানো গাঁজার প্যাকেট!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গাড়ির সিটের পিছনে কী? দেখতে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ পুলিশের। রাতের বেলা সিঙ্গুরে (Singur) নাকা চেকিংয়ে তল্লাশি চালাতে গিয়ে দেখা যায়, চারচাকা গাড়ির পিছনের সিটে স্ক্রু আঁটা। স্ক্রু খুলে দিতেই পর্দা ফাঁস। ভিতরে থরে থরে সাজানো গাঁজার প্যাকেট। আসলে একটা খবর ছিলই পুলিশের কাছে। সেটাই সত্যি হল।

    গ্রেফতার মহিলা সহ চারজন

    গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গাঁজা ভর্তি ওই চারচাকা গাড়ি বাজেয়াপ্ত করল হুগলি জেলা গ্রামীণ পুলিশের সিঙ্গুর থানা। পাচারের অভিযোগে গ্ৰেফতার করা হল এক মহিলা সহ তিনজনকে। উদ্ধার হয়েছে ৮৭ প্যাকেট গাঁজা, যার আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ৬ লক্ষ টাকা। ধৃতদের বাড়ি ভদ্রেশ্বর ও চন্দননগর এলাকায় বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। শুক্রবার রাতে হুগলি জেলা গ্রামীণ পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় নাকা তল্লাশি শুরু করে। সিঙ্গুর (Singur) থানা থেকে ১০০ মিটার দূরে সিঙ্গুর বিডিও অফিস এলাকায় একটি গাড়িকে সন্দেহ হওয়ায়  দাঁড় করিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। গাড়িতে থাকা তিনজনের কথায় অসঙ্গতি ধরা পড়ায় সন্দেহ বাড়ে। পুলিশ গাড়িটি তল্লাশি শুরু করে। পাওয়া যায় ৮৭ টি প্যাকেট। প্রত্যেকটি প্যাকেটে প্রায় এক কিলো করে গাঁজা আছে বলে জানা গেছে।

    পুলিশের আধিকারিক কী জানালেন?

    হুগলি জেলা গ্রামীণ পুলিশের ডিএসপি আফজল আবরার জানান, পাচারকারীরা ওড়িশার তাজপুর জেলা থেকে গাঁজা নিয়ে আসছিল‌ চন্দননগরে  কোনও এক ব্যক্তিকে দেওয়ার জন্য। পাচারকারীরা অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে জাতীয় সড়ক এড়িয়ে গিয়ে বিভিন্ন গ্রামীণ রাস্তা ধরে আসছিল, যাতে পুলিশের নজর এড়ানো যায়। গাড়িটি চন্ডীতলার আঁইয়া, শিয়াখালা, বনমালীপুর, বাসুবাটি হয়ে যখন সিঙ্গুরে (Singur) ঢোকে, তখনই গাড়িটিকে আটক করে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। তারপরেই গাঁজা পাচারের পর্দা ফাঁস হয়। গাঁজা পাচারকারী তিনজনেরই বাড়ি চন্দননগর ও ভদ্রেশ্বর এলাকায়। গ্ৰেফতার হওয়া তিনজন এত পরিমাণ গাঁজা কাদের সরবরাহ করত এবং এই চক্রের সঙ্গে আর কারা কারা যুক্ত আছে, তা তদন্ত করে দেখছেন পুলিশ আধিকারিকরা। যে গাড়িটি করে গাঁজা পাচার করা হচ্ছিল, সেটি কোথাকার, তার মালিক কে, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Drug: প্রকাশ্যেই রমরমিয়ে চলছে মাদক বিক্রি, প্রতিবাদ করলে জুটছে মার!

    Drug: প্রকাশ্যেই রমরমিয়ে চলছে মাদক বিক্রি, প্রতিবাদ করলে জুটছে মার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কুমারগঞ্জের বিভিন্ন বাজার এলাকায় প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে মাদক (Drug)। এমনকী বাড়িতেও রমরমিয়ে চলছে এর বিক্রি। আর তা কিনতে ভিড় জমাচ্ছে যুবসমাজ। শুধু যুবকরাই নয়, কিশোররাও এতে আসক্ত হচ্ছে। যার ফলে উদ্বেগ বাড়ছে বিভিন্ন মহলে। দুদিন আগেই কুমারগঞ্জের তুলট এলাকায় একটি বাড়িতে মাদক বিক্রির প্রতিবাদ করেন স্থানীয়রা। তার জেরে গ্রামবাসীদের কয়েকজনকে মারধর করে নেশাগ্রস্তরা। যা নিয়ে পাল্টা সরব হন গ্রামবাসীরা। কুমারগঞ্জ থানায় লিখিতভাবে অভিযোগও জানান তাঁরা।

    গ্রামবাসীরা কী অভিযোগ জানালেন?

    এবিষয়ে মৃণালকান্তি দাস ও রবিউল সরকার নামে তুলট গ্রামের দুই বাসিন্দা বলেন, আমাদের গ্রামে প্রকাশ্যেই একটি বাড়ি থেকে মাদক (Drug) বিক্রি হয়। ওই বাড়িতে বহু ছেলে এসে নেশার সামগ্রী কিনে নিয়ে যায়৷ আমরা প্রতিবাদ করতেই আমাদের মারধর করেছে। মহিলাদেরও ছাড়েনি। তাই এনিয়ে আমরা গ্রামের সবাই মিলে থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি। পুলিশের মদতেই এই মাদক কারবার চলছে। শুনেছি পুলিস একজনকে গ্রেফতার করেছে। কিন্তু আমাদের দাবি, মূল অভিযুক্ত মহিলাকে গ্রেফতার করতে হবে, যে এই মাদক ব্যবসা চালায়। তবেই এলাকা শান্ত থাকবে।

    পুলিশ-প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন

    গোটা কুমারগঞ্জের বাজার এলাকাগুলিতে মাদকের (Drug) কারবার ক্রমশ বেড়েই চলায় পুলিস ও প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে। এদিকে পুলিশ কুমারগঞ্জে মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযানে নামে। শুক্রবার অভিযানে নেমে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতারও করে। জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি নিজের বাড়ি থেকেই মাদক বিক্রি করত। যার প্রতিবাদ করতে গিয়েই আক্রান্ত হন কুমারগঞ্জের তুলট গ্রামের বাসিন্দারা। সেই ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে কুমারগঞ্জ থানার পুলিস।

    কী জানালেন পুলিশ সুপার?

    এবিষয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার পুলিস সুপার রাহুল দে বলেন, পুলিসের তরফে নিয়মত মাদকের (Drug) বিরুদ্ধে অভিযান ও ধরপাকড় করা হয়। সেই অভিযানে একজন মাদক ব্যবসায়ীকে পুলিস গ্রেফতার করেছে। কোথা থেকে মাদক আনা হচ্ছে, পুলিসের তরফে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 

    সরব জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষও

    এবিষয়ে সরব হয়েছেন কুমারগঞ্জেরই বাসিন্দা তথা জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মফিজউদ্দিন মিয়া। তিনি বলেন, সম্প্রতি কুমারগঞ্জে মাদকের (Drug) কারবার বেড়েছে। ধীরে ধীরে সব জায়গাগেই তা ছড়িয়ে পড়ছে। যা যুব সমাজের পক্ষে খুবই খারাপ। এটা নিয়ে পুলিশ-প্রশাসনকে জানিয়েছি। পুলিসের তরফে অবশ্য ধরপাকড়ও চলছে। তবে এই ব্যাপারে আরও সক্রিয় হতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: সালিশি সভায় দুই যুবককে কুপিয়ে খুন! জেলা জুড়ে শোরগোল

    Malda: সালিশি সভায় দুই যুবককে কুপিয়ে খুন! জেলা জুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঈদের আনন্দ করতে ছুটি নিয়ে বাড়িতে এসেছিলেন সাজিম সেখ এবং জামিউল শেখ। গ্রামে ফিরতেই তাঁদের ডাক পড়ে সালিশি সভায়। সাধারণ বৈঠক ভেবে সেখানে তাঁরা যান। কিন্তু, মাতব্বরদের নিদানে সালিশি সভাতেই হামলা চলে। রক্তাক্ত অবস্থায় সাজিম, জামিউলসহ চারজন লুটিয়ে পড়েন। পরে, হাসপাতালে নিয়ে গেলে দুজনকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের (Malda) কালিয়াচকের বিবি গ্রামে। ঈদের দিন এই ঘটনার জেরে এলাকায় শোকের ছায়া এসেছে।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজস্থানে শ্রমিক পাঠানোর জন্য দাদন দিতে হয়। মালদহের (Malda) এক ঠিকাদারের মাধ্যমে ভিন রাজ্যে কাজে পাঠানো হয়। এই গ্রামের কয়েকজন  ভিনরাজ্যে কাজে গিয়েছিলেন। শ্রমিকদের  রাজস্থানে কাজে পাঠানোর জন্যে দাদনের টাকা নিয়ে গোলমাল বাধে। ঈদের জন্য কয়েকজন শ্রমিক বাড়ি ফিরেছিলেন। বকেয়া টাকা আদায়ের জন্যে সালিশি সভা তাঁদের ডাকা হয়। সেখানে লেবার কন্ট্রাক্টর এবং শ্রমিকদের ডাকা হয়। অভিযোগ, সালিশি সভাতেই দাদনের টাকার বিষয়টি ওঠে। বকেয়ার পরিমাণ নিয়ে কথা বলতেই বচসা বাধে। এরপরই ঠিকাদারের কিছু লোকজন ধারাল অস্ত্র নিয়ে দুই শ্রমিকের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে বলে অভিযোগ। এলোপাথারি কোপানো হয়। সভা মাঝ পথেই ভণ্ডুল হয়ে যায়। দুপক্ষের মধ্যে ব্যাপক মারামারি শুরু হয়ে যায়। হামলা পাল্টা হামলার জেরে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়। বেশ কয়েকজনকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই দুজনের মৃত্যু হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতরা হলেন সাজিম সেখ(২১), জামিউল শেখ (২৫)। আর জখম দুজনের নাম শাহজাহান শেখ (২২) এবং তারিখ শেখ (২৮)। তাঁদের মালদহ (Malda)  মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কালিয়াচক থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, সালিশি সভা চলাকালীনই আচমকা গণ্ডগোল বাধে। তাতেই কয়েকজন জখম হন। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে দুজনের মৃত্যু হয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • BJP: অনুব্রতের গড়ে বিজেপি কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর, বোমাবাজি, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: অনুব্রতের গড়ে বিজেপি কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর, বোমাবাজি, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের আগে উত্তপ্ত হয়ে উঠল অনুব্রত মণ্ডলের গড় বীরভূমের দুবরাজপুর থানার বালিজুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের আগোয়া গ্রাম। ফুল মহম্মদ নামে এক বিজেপি (BJP) কর্মীসহ কয়েকজনের বাড়িতে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি বোমাবাজি করা হয় বলে অভিযোগ। পরে, স্থানীয় বিজেপি (BJP) নেতা বারিক খান তা প্রতিহত করেন। ইতিমধ্যেই থানায় দুপক্ষই অভিযোগ দায়ের করেছে। ঘটনার পর শনিবার গ্রাম পুরুষশূন্য। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, অভিযোগ হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    এমনিতেই বালিজুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূলের দখলে রয়েছে। এই পঞ্চায়েতের উপ প্রধান আসমানা খাতুনের ভাসুর হচ্ছেন এলাক খান। তিনি দাপুটে তৃণমূল নেতা হিসেবে পরিচিত। তাঁর বিরুদ্ধে কারও কথা বলার সাহস নেই। এমনিতেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিজেপি, তৃণমূল সাংগঠনিক প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। এরইমধ্যেই বিজেপি (BJP) কর্মী ফুল মহম্মদের বাড়়িতে পটকা ফাটাকে কেন্দ্র করে গণ্ডগোলের সূত্রপাত। এলাক খানের অনুগামী মহিবুল দলবল নিয়ে এসে বাড়িতে বোমা মজুত করার অভিযোগ তুলে ফুল মহম্মদের বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। বোমাবাজিও করা হয় বলে অভিযোগ। দলীয় কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর হওয়ার খবর পেয়ে স্থানীয় বিজেপি (BJP) নেতা বারিক খান ছুটে আসেন। তাঁরা তৃণমূলী হামলা প্রতিহত করেন। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, বারিক খানের নেতৃত্বে বিজেপি (BJP)  কর্মীরা এলাক খানের গাড়ি ভাঙচুর করে। এলাকায় ব্যাপক বোমাবাজি করে।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    দুবরাজপুরের বিজেপি (BJP) বিধায়ক অনুপ সাহা বলেন, সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। বারিক খানের নেতৃত্বে ওই এলাকায় বিজেপি-র সংগঠন মজবুত হচ্ছে। তৃণমূল বুঝতে পারছে বিজেপি-র সঙ্গে রাজনৈতিকভাবে লড়াই করার মতো ক্ষমতা নেই। তাই, নানা অছিলায় সন্ত্রাস করে ওরা আমাদের কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর করছে। এলাকায় ব্যাপক বোমাবাজি করেছে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, ফুল মহম্মদের বাড়িতে প্রচুর বোমা মজুত করা হয়েছিল। তারই প্রতিবাদ করা হয়। আর তার জেরেই  ওরা হামলা চালিয়েছে। তৃণমূলের বীরভূম জেলার সহ সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন,  আসলে  বিজেপি-র (BJP) কোনও সংগঠন নেই। এখন বোমাবাজি, সন্ত্রাস করে ওরা পঞ্চায়েতে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করছে। এসব করে কোনও লাভ নেই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jibankrishna Saha: তদন্তে অসহযোগিতা করছেন জীবন, অভিযোগ সিবিআইয়ের

    Jibankrishna Saha: তদন্তে অসহযোগিতা করছেন জীবন, অভিযোগ সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিবিআইয়ের অভিযোগ, তদন্তে সহযোগিতা করছেন না জীবনকৃষ্ণ সাহা (Jibankrishna Saha)। তাই মোবাইলের তথ্য়কে হাতিয়ার করতে চাইতে সিবিআই। ইতিমধ্যে, ডেটা উদ্ধার করতে দিল্লি থেকে কলকাতায় পৌঁছেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিশেষ টিম। সূত্রের খবর তেমনই। তদন্ত চলাকালীন, জীবনকৃষ্ণ সাহা (Jibankrishna Saha) পুকুরের মধ্যে মোবাইল ফেলে দেন। পুকুরের পাঁক থেকে মোবাইল উদ্ধার করতে সমর্থ হয় সিবিআই। জানা গিয়েছে ওই মোবাইল দুটি পুনরায় চালু করতে পেরেছে তারা। 

    ৬৫ ঘণ্টা জেরার পরে গ্রেফতার করা হয় জীবনকৃষ্ণকে (Jibankrishna Saha)

    মুর্শিদাবাদের বড়ঞা কেন্দ্রের বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা (Jibankrishna Saha)। ৬৫ ঘণ্টার ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পর সোমবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। গ্রেফতারির পর জীবনকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় দুর্গাপুরে সিবিআই ক্য়াম্পে। সেখানে মেডিক্যাল পরীক্ষার পর তাঁকে আনা হয় কলকাতা নিজাম প্য়ালেসে। ধৃতকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

    তদন্তে সহযোগিতা করছেন না বিধায়ক

    সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, তদন্তে সহযোগিতা করছেন না বিধায়ক। বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যাচ্ছেন। মনে করা হচ্ছে ওই মোবাইল থেকেই নিয়োগ দুর্নীতির অনেক তথ্য মিলতে পারে। এখন দেখার কী এমন তথ্য রয়েছে ওই মোবাইলে যার জন্যে তা পুকুরে ফেলে দিয়েছিলেন বিধায়ক। জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়ির পাশের ঝোপ থেকে CBI উদ্ধার করেছিল ৬ টি ব্যাগ ভর্তি নথিও। গত শুক্রবার বেলা ১টা নাগাদ জীবনকৃষ্ণর বাড়িতে হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার একটি দল।  পুকুরের জলে মোবাইল সহ নথি ফেলে জীবনকৃষ্ণ সাহা (Jibankrishna Saha)। তাই রাতেই পুকুরের জল তুলে ফেলার কাজ শুরু করে সিবিআই।  রাত সাড়ে দশটায় ফের নতুন করে সিবিআইয়ের ঊর্ধ্বতন অফিসার সহ সিআরপিএফ পৌঁছয়। শনিবার সকালে তল্লাশি করতে গিয়ে নথি ভর্তি ব্যাগ পেয়েছে তদন্তকারীরা। তবে ওই নথি কীসের তা জানা যায়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CPM: দিনের বেলায় সিপিএমের কার্যালয়ে আগুন, অভিযুক্ত তৃণমূল

    CPM: দিনের বেলায় সিপিএমের কার্যালয়ে আগুন, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার দুপুরে সিপিএমের (CPM) দলীয় কার্যালয়ে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে দেখেন স্থানীয় লোকজন। আগুন নেভানোর চেষ্টা হয়। পরে, দমকল এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এদিন দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে বরানগরের বনরিণি এলাকায়। ইতিমধ্যেই দলের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, অভিযোগ হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    দলীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার বনরিণি পার্টি অফিসে সিপিএম (CPM) কর্মীরা লেনিনের জন্মদিন পালন করেন। সেখানে একাধিক কর্মী, সমর্থক হাজির ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পরই কার্যালয়ে স্থানীয় লোকজন আগুন দেখতে পান। প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য, ওই পার্টি অফিসে জানলা খোলা ছিল। দরজা বাইরে থেকে লাগানো ছিল। আচমকাই পার্টি (CPM) অফিসের ভিতর থেকে আগুন দেখে আমরা ছুটে যাই। সঙ্গে সঙ্গে আগুন নেভানোর উদ্যোগ নিই। দমকলের দুটি ইঞ্জিন এসে ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

    কী বললেন সিপিএম (CPM) নেতৃত্ব?

     সিপিএম (CPM) নেতা স্বপন মজুমদার বলেন, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এসে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। কয়েকদিন আগে আমাকে দেওয়াল লিখতে তারা বাধা দেয়। আমরা এই ঘটনার তদন্ত দাবি করছি। আর দলীয় কার্যালয়ে যে বা যারা আগুন লাগিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর তথা পুরসভার চেয়ারপার্সন অপর্ণা মৌলিক বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কোনওভাবেই জড়িত নই। আসলে ওই পার্টি অফিসটির কিছু অংশ ভাঙা রয়েছে। দিনের বেলায় কী করে আগুন লাগল তা পুলিশ তদন্ত করে দেখুক। তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায় বলেন, ১২ বছর ধরে আমি বিধায়ক রয়েছি। এই ধরনের ঘটনা ঘটেনি। আর ওই এলাকায় এদিন দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে বলে শুনেছি। তবে, দলের বা সিপিএমের কেউ কিছু জানাইনি। তবে, কোনও কিছু হলে সিপিএম (CPM) সবার পিছনে তৃণমূল রয়েছে অভিযোগ করে। এক্ষেত্রেও সেই অভিযোগ করা হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: কালিয়াগঞ্জে মৃত ছাত্রীর বাড়িতে সুকান্ত, কী বললেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি?

    Sukanta Majumdar: কালিয়াগঞ্জে মৃত ছাত্রীর বাড়িতে সুকান্ত, কী বললেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  কালিয়াগঞ্জে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রীর মৃত্যুকাণ্ডে রহস্য এখনও উদঘাটন হয়নি। শুক্রবারই রায়গঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার মহম্মদ সানা আখতার বলেছিলেন, ছাত্রীর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। ছাত্রীর দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই। মৃতদেহের কাছে থেকে বিষের কৌট উদ্ধার হয়েছে। ইতিমধ্যে মৃতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত যুবক ও তার বাবাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এবারে ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চাইলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এই ইস্যুতে আদালতে যাওয়ার পক্ষেই সওয়াল করলেন তিনি। তিনি বলেন, পুলিশ বলছে ছাত্রী বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে। পুলিশ কীভাবে এটা বলতে পারে? গ্রামবাসীরা বলছে ওই ছাত্রীর সঙ্গে কুকর্ম করা হয়েছিল। তাঁরা দেখেছেন কী অবস্থায় পড়েছিল ছাত্রীর দেহ। মৃত ছাত্রীর পরিবার রাজি থাকলে সিবিআই তদন্তের জন্য হাইকোর্ট যাবে বিজেপি।

    জেলা পুলিশ সুপারের অফিসে অবস্থান বিক্ষোভে কেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar)?

    শুক্রবার সকালে কালিয়াগঞ্জের সাহেবঘাটা সংলগ্ন গাঙ্গুয়া এলাকায় ছাত্রীর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা।  স্থানীয় বাসিন্দারাই পুকুরের ধার থেকে ছাত্রীর দেহ উদ্ধার করেন। স্থানীয়দের দাবি, ছাত্রীর শরীর বিবস্ত্র ছিল। এরপরই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলে পরিবার। পুলিশকে লক্ষ্য করে এলাকার বাসিন্দারা ইট ছোঁড়ে বলে অভিযোগ। মৃতদেহ আটকে রেখে রাজ্য সড়ক অবরোধ করা হয়। রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে চলে বিক্ষোভ। পুলিশ টিয়ার গ্যাস ফাটিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। শনিবার সকাল থেকে এলাকা একেবারে থমথমে ছিল। এদিন কালিয়াগঞ্জের সাহেবঘাটা সংলগ্ন গাঙ্গুয়া এলাকায় মৃত কিশোরীর বাড়িতে যান বিজেপির প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধি দলে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar)  সঙ্গে আরও দুই সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী, খগেন মুর্মু ছিলেন। পাশাপাশি বেশ কয়েকজন বিধায়কও ছিলেন। তাঁরা মৃত ছাত্রীর পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের পাশে থাকার তাঁরা আশ্বাস দেন। এরপর সেখান থেকে সরাসরি রায়গঞ্জের কর্ণজোড়ায়  অবস্থিত পুলিশ সুপারের দফতরে এসে হাজির হয় বিজেপির প্রতিনিধি দল। কিন্তু, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে এদিন তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, এসপি অফিসে আসার খবর অনেক আগেই ফোন মারফৎ পুলিশ সুপারকে জানানো হলেও এদিন সেখানে কোনও পুলিশ কর্তার উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি। দফতের ঢোকার দরজা খোলা নিয়েও অভিযোগে সরব হন বিজেপি নেতৃত্ব। এরপর এসপি অফিসের ভিতরে অবস্থান ও ধর্ণায় বসে প়ড়েন রাজ্য সভাপতি সহ সাংসদ এবং বিধায়করা। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, এই ঘটনার তদন্তে তারা সন্তুষ্ট নন।

    কালিয়াগঞ্জে আসছে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের একটি টিম

    পুলিশের বিরুদ্ধে ছাত্রীর মৃতদেহ টানতে টানতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। বিজেপি নেতা অমিত মালব্য ইতিমধ্যেই সেই ভিডিও টুইট করেছেন। অভিযোগ সামনে আসার পর অভিযোগ খতিয়ে দেখতে কালিয়াগঞ্জ যাচ্ছে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের একটি টিম। চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতা ছাত্রীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান প্রিয়াঙ্ক কানুনগো।

    বিজেপি-র প্রতিনিধি দল বেরিয়ে যেতেই ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কালিয়াগঞ্জ

    বিজেপির প্রতিনিধি দল বেরিয়ে যেতেই শনিবার দুপুরে পুনরায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কালিয়াগঞ্জের সাহেবঘাটা মোড় এলাকা। আশেপাশের গ্রামবাসীরা জমায়েত হয়ে অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। স্থানীয় দোকানপাটগুলিতে ভাঙচুর চালানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায়।  বর্তমানে পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আছে। মোতায়েন রয়েছে বিরাট পুলিশ বাহিনী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: নিয়োগ দুর্নীতিতে কোন কোন পুরসভার জড়িত থাকার ইঙ্গিত দিলেন শুভেন্দু?

    Suvendu Adhikari: নিয়োগ দুর্নীতিতে কোন কোন পুরসভার জড়িত থাকার ইঙ্গিত দিলেন শুভেন্দু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে চলা তদন্তের মধ্যেই এবার পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতিতেও সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশ, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত অয়ন শীলের বাড়ি থেকে ইডি-র উদ্ধার করা নথির সূত্র ধরেই তদন্ত করতে পারবে সিবিআই। সিবিআই প্রয়োজন মনে করলে নতুন এফআইআর দায়ের করে তদন্ত চালাতে পারবে বলেও জানিয়েছে আদালত। আদালতের রায়ের পরই নন্দীগ্রামের হরিপুরে একটি পুজোর উদ্বোধনে গিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। তিনি বলেন, গরু পাচার, নিয়োগ দুর্নীতির পাশাপাশি পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির বিষয়টি সামনে এসেছে। এবার এই দুর্নীতির তদন্ত শুরু করবে সিবিআই। আর এই দুর্নীতিতে শাসকদলের একাধিক বিধায়ক, সাংসদ, প্রাক্তন বিধায়কসহ নেতা, নেত্রীরা যুক্ত রয়েছেন। আমি কয়েকজনের তালিকাও দিয়েছি। আর মুখ্যমন্ত্রী আমার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করেন। আমার নাকি বিভিন্ন জেলায় কোটা ছিল। আমি নিশ্চিত করে বলছি, নিয়োগের ক্ষেত্রে কোথাও যদিও আমার হাতের লেখা সুপারিশের প্রমাণ মুখ্যমন্ত্রী দিতে পারেন, তাহলে আমি তাঁর কাছে ক্ষমা চেয়ে নেব।

    নিয়োগ দুর্নীতিতে কোন কোন পুরসভার জড়িত থাকার কথা বললেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)

    বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতি সামনে আসলে কলকাতা পুরসভা, বিধাননগর পুরসভার পাশাপাশি বরানগর, কামারহাটি, পানিহাটি, খড়দহ, ভাটপাড়া, নৈহাটি, বারাসত, বনগাঁ, মধ্যমগ্রাম, হরিণঘাটা, চাকদা পুরসভা সহ একাধিক পুরসভার চেয়ারম্যান, কাউন্সিলর, বিধায়করা কেউ বাইরে থাকবেন না। এমনকী এই দুর্নীতিতে পুরমন্ত্রীর জড়িত থাকার অভিযোগও সামনে আসবে। কীভাবে পুরসভায় পুর কর্মী নিয়োগে পরীক্ষার খাতায় কারচুপি করা হয়েছে তা অয়ন শীলের দুর্নীতি চক্র সব কিছু সামনে নিয়ে আসবে। ওএমআর শিট তার জ্বলন্ত প্রমাণ। আর এই দুর্নীতিতে কতজন ভিতরে ঢুকবেন তার কোনও হিসেব নেই। আগামীদিনে এই পার্টির কোনও অস্তিত্ব থাকবে না। সব কিছুই শুধু সময়ের অপেক্ষা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Mamata Banerjee: অক্ষয় তৃতীয়ায় ‘শুভনন্দন’! অথচ ইদের বেলায় শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন, এ কোন মুখ্যমন্ত্রী?

    Mamata Banerjee: অক্ষয় তৃতীয়ায় ‘শুভনন্দন’! অথচ ইদের বেলায় শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন, এ কোন মুখ্যমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘শুভনন্দন’! মুখ্যমন্ত্রীর আবিষ্কৃত নয়া বাংলা শব্দ, যার অর্থ উদ্ধার করতে গিয়ে কালঘাম ছুটছে ভাষাবিদদের। পয়লা বৈশাখের শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে দিঘায় প্রথম এই শব্দ ব্যবহার করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ‘হাঁস ছিল সজারু, হয়ে গেল হাঁসজারু’। অনেকেই রসিকতার ছলে বলছেন এটা অনেকটা আবোল তাবোলে সুকুমার রায়ের হাঁসজারু শব্দের মতো। যে বাংলা শব্দের নেই কোনও অর্থ বা স্বীকৃতি। এমন জোড়কলম শব্দ বাংলা অভিধানেও মেলে না। কিন্তু তাতে কী! হিন্দু বাঙালির পয়লা বৈশাখ হোক বা অক্ষয় তৃতীয়া, মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বার্তা বয়ে আসে এই শব্দ বেয়ে। কিন্তু ইদের বেলায় অবশ্য ভিন্ন নিয়ম! সেখানে ‘শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন’ শব্দ দুটি ব্যবহার করেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। 

    শব্দচয়নে এমন পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ কেন করেন মাননীয়া?

    ওয়াকিবহাল মহলের বক্তব্য, আসলে এখানেও ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি। একধরনের সংখ্যালঘু তোষণের উদ্দেশ্যেই দুটি আলাদা উৎসবে, আলাদা ধরনের শব্দের ব্যবহার করা হয়। স্বীকৃত শব্দ ইদে এবং অর্থহীন শব্দ অক্ষয় তৃতীয়ায়। বিরোধী রাজনৈতিক মহলের একাংশ এ প্রসঙ্গে টেনে আনছেন ২০১৯ সালে লোকসভা ভোট পরবর্তী সময়ে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য। প্রকাশ্য সাংবাদিক সম্মেলনে সেদিন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) বলেছিলেন, “আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে যে আমি সংখ্যালঘু তোষণ করি, বেশ করেছি, যে গরু দুধ দেয়, আমি তার লাথি খেতে প্রস্তুত।”

    তোষণে পিছিয়ে নেই মমতার (Mamata Banerjee) পুলিশও

    মুখ্যমন্ত্রীর মতো তোষণের একই রাস্তায় হাঁটছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশও। দোলযাত্রা হোক বা কালীপুজো শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি তারা বলে দিচ্ছে, বিবাদ এড়িয়ে চলুন। উৎসবের দিন কাউকে আঘাত করবেন না। 

    অথচ একই পুলিশ ইদের শুভেচ্ছা বার্তায় শুধুই অভিনন্দন জানাচ্ছে। সেখানে বিবাদ এড়িয়ে চলা বা কাউকে আঘাত না করার কোনও বার্তা নেই। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মমতা বন্দোপাধ্যায়ের আমলে সংখ্যালঘু তোষণের প্রতিষ্ঠানকরণ হয়ে গেছে। তাই পিছিয়ে নেই প্রশাসনও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tribal: ডাইনি সন্দেহে তিন বছর ধরে তিন আদিবাসী পরিবার ঘরছাড়া! কোথায় জানেন?

    Tribal: ডাইনি সন্দেহে তিন বছর ধরে তিন আদিবাসী পরিবার ঘরছাড়া! কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিন আদিবাসী (Tribal) পরিবারের বারোজন সদস্য গ্রাম ছাড়া। গত ৩ বছর ধরে তাঁরা নিজেদের এলাকায় ঢুকতে পারছেন না। পরিবারের ছেলেমেয়েদের পড়াশুনা শিকেয় উঠেছে। পরিবারের পক্ষ থেকে এর আগেও একাধিকবার পুলিশ প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কিন্তু, পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে অসহায় ওই তিন পরিবারের সদস্যদের বাড়ি ফেরানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এমনটা অভিযোগ নির্যাতিতা পরিবারের।  আবারও শান্তিনিকেতন থানা এবং এসডিপিও-র কাছে দ্বারস্থ হল এই পরিবার।

    কেন তিন পরিবারের সদস্যদের গ্রাম ছাড়া করা হয়েছিল?

    ২১ জুলাই ২০২০ সালে শান্তিনিকেতন থানার মুলুক এলাকার মণিকুন্ঠ গ্রামে দুর্ঘটনা ঘটেছিল। আর সেই দুর্ঘটনার জন্য তিন আদিবাসী (Tribal) পরিবারের দুজনকে দায়ী করা হয়। ডাইনি বলে চিহ্নিত করে দুর্ঘটনার জন্য তাঁদের দায়ী করা হয়। এরপরই এলাকাবাসীর নিদানে তাঁদের গ্রাম ছাড়া করা হয়। ফলে, তিন বছর ধরে নিজের বাড়ি থাকার পরও তাঁরা থাকতে পারছেন না। শুক্রবারই ওই পরিবারের সদস্যরা শান্তিনিকেতন থানাতে যান। এলাকাবাসীর নিদানে তিন বছর ধরে তারা যে গ্রামে ঢুকতে পারছেন না তা পুলিশ প্রশাসনকে জানান। এমনকী গ্রামে ফিরতে না পারার কারণে কী কী সমস্যা হচ্ছে তা তাঁরা পুলিশ প্রশাসনের সামনে তুলে ধরেন।  পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিন পরিবারকে ফেরানোর  আশ্বাস দেওয়া হয়।  

    কী বললেন এসটি,এসসি, ওবিসি মাইনরোটি সেলের জয়েন্ট ফোরামের সভাপতি?

    এসটি,এসসি, ওবিসি মাইনরোটি সেলের জয়েন্ট ফোরামের সভাপতি  বৈদ্যনাথ সাহা বলেন,  এখনও মধ্যযুগীয় বর্বরতা চলছে। কোনও ঘটনার জন্য একটি বা দুটি পরিবারের সদস্যদের দায়ী করা ঠিক নয়। কিন্তু, ওই তিন আদিবাসী (Tribal) পরিবারের সদস্যরা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ওই তিন পরিবারকে বাড়ি ফেরানোর জন্য প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরে প্রচুর আবেদন করেছি। কিন্তু, কোনও কাজ হয়নি। ফলে, তিন পরিবারের ছেলে ও মেয়েরা বঞ্চিত হয়েছেন শিক্ষার আলো থেকে। তিন বছর ধরে স্কুলে না যাওয়ার কারণে স্কুল ছুট হয়েছেন তাঁরা। আমরা আবারও প্রশাসনের দ্বারস্থ হলাম। এখন তাঁরা কবে বাড়ি ফেরেন সেদিকেই আমরা তাকিয়ে রয়েছি।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share