Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • SIT: রাজু ঝা খুনের ঘটনায় দুর্গাপুরের এক ব্যবসায়ীর অফিস সিল করল সিট, কেন?

    SIT: রাজু ঝা খুনের ঘটনায় দুর্গাপুরের এক ব্যবসায়ীর অফিস সিল করল সিট, কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্যবসায়ী রাজু ঝা খুনের ১৮ দিনের মাথায় অভিজিত্ মণ্ডল নামে এক যুবককে পুলিশ গ্রেফতার করে। এবার এই খুনের পিছনে আর কারা রয়েছে, তা নিয়ে চর্চা চলছে সর্বত্র। অভিজিত্ গ্রেফতার হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এই খুনের ঘটনার তদন্তে গঠিত স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম বা সিটের (SIT) সদস্যরা পৌঁছে গেলেন দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের অন্য এক ব্যবসায়ী নারায়ণ খারকার অফিসে। তাকে দেখা করার জন্য নোটিশও দেওয়া হয়েছে। যদিও ওই ব্যবসায়ীর আইনজীবী নোটিশ পাওয়ার কথা স্বীকার করেননি।

    নারায়ণ খারকার অফিসে হানা দিয়ে কী করল সিট (SIT)?

    মঙ্গলবার রাতে দুর্গাপুরের অম্বুজা কলোনিতে হানা দেয় পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের সিট (SIT)। একদম ভরা বাজার থেকে অভিজিৎকে পাকড়াও করে পুলিশ। একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, সেই সময় নারায়ণ অম্বুজা কলোনিতে তাঁর অফিসেই ছিলেন। অভিজিৎকে পুলিশ ধরার সঙ্গে সঙ্গেই খবর পৌঁছে গিয়েছিল অফিসে। স্করপিও গাড়িতে করে চম্পট দেন ‘কয়লা মাফিয়া’ নারায়ণ। যদিও অন্য একটি সূত্রের দাবি, কয়েকদিন ধরেই নারায়ণ এলাকাতে নেই। বুধবার রাত ৮টা নাগাদ সিটের আধিকারিকরা ফের দুর্গাপুরের অম্বুজা কলোনিতে নারায়ণের অফিসে হানা দেন। সঙ্গে ১০টি গাড়িতে ছিল পুলিশ। নারায়ণের অফিস পুলিশে ছয়লাপ হয়ে যায়। অফিসে তল্লাশির জন্য ধৃত অভিজিত্ মণ্ডলকেও সঙ্গে করে নিয়ে এসেছিলেন সিটের (SIT) আধিকারিকরা। কিন্তু, অফিসে কারও দেখা মেলেনি। এরপরই অফিস সিল করে দেওয়া হয়।

    কে এই নারায়ণ খারকা?

    একসময় রাজু ঝায়ের সঙ্গে কয়লার কারবারে যুক্ত ছিলেন নারায়ণ। একসঙ্গে তাঁরা ব্যবসা করতেন। রাজ্যে পালাবদল হওয়ার পরই নারায়ণের প্রভাব বাড়তে শুরু করে। জেলে যেতে হয় রাজুকে। বহুদিনের জুটি ভেঙে যায়। কারবারের দ্বন্দ্ব চরম শত্রুতার পর্যায়ে চলে যায়। পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল-দুর্গাপুর খনি অঞ্চলে ইসিএলের কয়লা পরিবহণের ‘ডিস্ট্রিবিউশন অর্ডার’ পাওয়া সংস্থার উপর তোলা আদায় করার কারবার শুরু করেছিল রাজু। প্রতি টন কয়লার জন্য ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা ডান্ডা ট্যাক্স চালু করেছিল সে। এই নিয়ে নারায়ণের সঙ্গে শত্রুতা বাড়তে থাকে রাজুর। ইসিএলের কয়লা নিলাম হলে কোনও সংস্থা তা কিনত। সেখানেও থাবা বসিয়েছিল রাজু। তার জেরেও অনেকেরই সঙ্গে শত্রুতা বাড়ছিল রাজুবাহিনীর। নারায়ণের সঙ্গে রাজু-র দুরত্ব অনেকটাই বেড়ে গিয়েছিল। ধৃত অভিজিত্ মণ্ডল নারায়ণের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। তাই, অভিজিত্ গ্রেফতার হওয়ার অর্থ নারায়ণকে বার্তা দেওয়া। বুধবার রাতে দুর্গাপুর অফিসে সিল করে সিট (SIT) আধিকারিকরা সেই বার্তা আরও স্পষ্ট করলেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayet: চাঁদা তুলে রাস্তা সারাইয়ে নামলেন গ্রামবাসীরা, জানেনই না পঞ্চায়েত প্রধান!

    Panchayet: চাঁদা তুলে রাস্তা সারাইয়ে নামলেন গ্রামবাসীরা, জানেনই না পঞ্চায়েত প্রধান!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রামের পঞ্চায়েত (Panchayet) প্রধানকে বারবার জানিয়েও কাজ হয়নি। মাটির রাস্তা হয়নি পাকা। বর্ষায় কর্দমাক্ত রাস্তায় হাঁটাচলা করাই দায় হয়ে যায়। কোনও যানবাহন চলাচল করতে পারে না। স্কুলের কচিকাঁচারা রাস্তা দিয়ে স্কুলে যাওয়ার সময় খালে, নালায় পড়ে যায়। অবশেষে বাসিন্দারা নিজেরাই চাঁদা তুলে, স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে রাস্তা সারাই শুরু করলেন। আলিপুরদুয়ার ১ ব্লকের বঞ্চুকামারি গ্রাম পঞ্চায়েতের ফোসকারডাঙা এলাকার ঘটনা। তৃণমূল সরকারের উন্নয়ন সত্যিই যেন এখানে রাস্তায় দাঁড়িয়ে! সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হল, গ্রামের এই সমস্যা এবং তা থেকে প্রতিকার পেতে গ্রামবাসীরা যে এই ধরনের উদ্যোগ নিয়েছেন, তা নাকি তিনি জানেনই না। বলা বাহুল্য, পঞ্চায়েত ভোটের মুখে এটা বিরোধীদের বড় অস্ত্র হতে চলেছে। 

    কীভাবে তৈরি হচ্ছে রাস্তা?

    গ্রামবাসীদের চাঁদায় এখানে বালি ও পাথর কেনা হয়েছে। তারপর কোদাল, বেলচা হাতে নিয়ে রাস্তা সারাইয়ের কাজে নেমেছেন বাসিন্দারা। গ্রামবাসীরা রবিবার থেকে এই কাজ শুরু করেছেন। আগামি কয়েকদিনে রাস্তা সারাইয়ের কাজ সম্পন্ন করবেন বলে জানা গিয়েছে। গ্রামের পঞ্চায়েত ও গ্রাম পঞ্চায়েত (Panchayet) প্রধানের বিরুদ্ধে চরম ক্ষোভ জানিয়েছেন তাঁরা। এই ঘটনায় ফোসকারডাঙা এলাকায় ব্যপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। 
     

    রাস্তা সারাইয়ে গ্রামের মহিলারাও, কী বললেন তাঁরা?

    গ্রামের পুরুষদের সাথে রাস্তা সারাইয়ের কাজে হাত দিয়েছেন মহিলারাও। গ্রামের বাসিন্দা জয়ন্তী রায় বলেন, “অনেক বলেও আমাদের এলাকার রাস্তা পাকা হয় না। বর্ষায় এলাকায় যানবাহন চলাচল করতে পারে না। অসুস্থ মানুষকে কাঁধে করে পাকা রাস্তায় তুলে সেখান থেকে গাড়িতে তুলতে হয়। স্কুলের বাচ্চারা এই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় খালে, নালায় পড়ে যায়। গ্রামের পঞ্চায়েত ও অঞ্চলের (Panchayet) প্রধানকে বলেও কোন কাজ হয়নি। তাই নিজেরা চাঁদা তুলে সেই টাকা দিয়ে বালি, পাথর কিনেছি। আর আমরা নিজেরা কাজ করে বর্ষার আগেই রাস্তা তৈরি করছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Partha Chatterjee: পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাতে এখনও মূল্যবান আংটি! জেল সুপারকে তলব আদালতের

    Partha Chatterjee: পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাতে এখনও মূল্যবান আংটি! জেল সুপারকে তলব আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলের মধ্যে থাকা অবস্থাতেও রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাতে রয়েছে রূপোর আংটি। তা নিয়ে বুধবার আদালতে ইডি দাবি করে, পার্থ এতটাই প্রভাবশালী যে ‘জেল কোড’ ভেঙে আংটি পরে জেলে ঘুরলেও তা নিয়ে বলার কেউ নেই। এ নিয়ে আদালতে চলে বাদানুবাদ। পার্থর ওই আংটিকাণ্ডের জেরে এবার প্রেসিডেন্সি জেলের সুপারকে তলব করলেন বিচারক। আগামী ২৬ এপ্রিল সুপারকে লিখিত জবাব-সহ হাজির হতে হবে আদালতে। 

    ইডির দাবি  

    নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) গ্রেফতার হওয়া পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) বর্তমানে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে রয়েছেন। ভার্চুয়াল মাধ্যমে বুধবার জেল থেকেই আদালতে হাজিরা দেন পার্থ। ভার্চুয়ালি শুনানিপর্বের শুরুতেই ইডির আইনজীবী বিচারকের কাছে অনুরোধ করেন, যাতে পার্থকে বলা হয় হাতের দু’পাশ দেখানোর জন্য। বিচারকও পার্থকে সামনে এসে হাতের দুপাশ দেখানোর জন্য বলেন। পার্থ এগিয়ে এসে হাতের দুপাশ দেখাতেই, ইডির আইনজীবী বিচারককে বলে উঠলেন, ‘হাতের রিংটা দেখলেন? দেখুন কতটা পাওয়ারফুল হলে জেলেও রিং পরে আছেন।’ ইডির আইনজীবীর প্রশ্ন, ‘একজন অভিযুক্ত কি জেলে কোনও অলংকার পরে থাকতে পারে? সব তো খুলে রাখতে হয়। পার্থ এতটাই পাওয়ারফুল যে তাঁকে জেলেও আংটি পরতে দেওয়া হচ্ছে।’

    আরও পড়ুন: রবীন্দ্রজন্মজয়ন্তীতে কলকাতায় অমিত শাহ! নববর্ষের পর ফের জনসভা বাংলায়

    পার্থর যুক্তি

    পার্থর আইনজীবী আদালতে পাল্টা যুক্তি দেন, ‘পার্থবাবু কীভাবে জানবেন, জেল কোডে কী বলা আছে। তাহলে তো পার্থবাবু আইনের সব জানবেন।’ যদিও পার্থর দাবি, শরীরের কারণেই আংটি খোলেননি তিনি। দু’পক্ষের সওয়াল-জবাব শোনার পর জেলের সুপারকে ডেকে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত। সূত্রের খবর, শুনানি শেষেই পার্থ হাত থেকে আংটি খুলে দেন।

    সুপারকে তলব

    এই ঘটনার জেরে জেল সুপারকে তলব করল আদালত। কেন পার্থ জেলে থাকা অবস্থাতেও হাতে আংটি পরে রয়েছেন, তা সবিস্তারে লিখিত আকারে নিয়ে আসতে হবে তাঁকে। আইন বলছে, কোনও কয়েদির হাতে আংটি বা অন্য কোনও অলঙ্কারসামগ্রী রয়েছে কি ন্‌ তা দেখার দায়িত্ব সুপারের। কিন্তু পার্থর ক্ষেত্রে সেই নিয়ম সঠথভাবে পালিত হয়নি বলেই মনে করছে আদালত। সে ক্ষেত্রে আদালত জানতে চায়, জেল সুপার কি জেল কোড জানেন না? নাকি কর্তব্যপালনে অপারগ হয়েছিলেন সুপার? লিখিত আকারে এই প্রশ্নের জবাব দিতে হবে সুপারকে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Report: দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে আজও চলবে তাপপ্রবাহ! উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা

    Weather Report: দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে আজও চলবে তাপপ্রবাহ! উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরবঙ্গে বৃহস্পতিবার বৃষ্টির সম্ভাবনা। অন্যদিকে দক্ষিণবঙ্গে আজও রীতিমতো গরমের হলকা ও অস্বস্তি বজায় থাকবে। বিভিন্ন জেলায় তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় দুই থেকে পাঁচ ডিগ্রি পর্যন্ত বেশি থাকবে। আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই তাপপ্রবাহ বিগত কয়েকদিনের মতোই থাকবে। বেলা বাড়লেই রয়েছে লু’-এর সতর্কতা। এ বছর গরমের বাড়াবাড়ি। গত কয়েকদিনে উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলাতেই স্বাভাবিকের থেকে ৫ ডিগ্রি উপরে পারদ। দার্জিলিংয়েও যেন গরমের অনুভূতি। হতাশ পর্যটকরা। তবে উত্তরবঙ্গের মাটি আজ ভিজতে পারে বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস।

    উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা  

    ২০ এপ্রিল থেকে উত্তরবঙ্গের ৫ জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলায় বৃষ্টি না হওয়ায় একটাই কারণ ছিল, জলীয় বাষ্পের অভাব। এবার বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয় বাষ্প ঢুকতে শুরু করায় সুখবর মিলল। শনিবার ও রবিবার উত্তরবঙ্গের উপরের দিকের পাঁচ জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

    দক্ষিণবঙ্গে কবে হবে আবহাওয়ার পরিবর্তন

    তবে ২২ শে এপ্রিল আবহাওয়ার পরিবর্তন হতে পারে দক্ষিণবঙ্গে। প্রচণ্ড গরমের দাবদাহ থেকে কিছুটা মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। উপকূলের জেলা-সহ তিন-চার জেলায় সামান্য বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকতে পারে সপ্তাহের শেষে। 
    জানা গিয়েছে, শুক্রবার বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গের ৩ জেলা পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগণায়। ২২ এপ্রিল শনিবার দক্ষিণবঙ্গের ৯ জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সেই জেলাগুলি হল দুই ২৪ পরগণা, দুই মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম এবং নদিয়া। এদিকে, কলকাতা ও লাগোয়া জেলায় তাপের সঙ্গে শুরু হয়েছে আর্দ্রতার অত্যাচার। ফলে কলকাতায় ভ্যাপসা গরমের দাপট থাকবে। ঘর্মাক্ত পরিবেশে অস্বস্তি আরও বাড়বে। আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, ২১ এপ্রিল পর্যন্ত বিক্ষিপ্ত তাপপ্রবাহ চলবে (Weather Report)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Threat: তৃণমূল কাউন্সিলরকে খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ দলীয় কর্মীর বিরুদ্ধে, কেন?

    Threat: তৃণমূল কাউন্সিলরকে খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ দলীয় কর্মীর বিরুদ্ধে, কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুপম দত্তের পর এবার আপনার নম্বর, কামারহাটি পুরসভার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের মহিলা কাউন্সিলরকে হুমকি (Threat) দেওয়ার অভিযোগ উঠল আনিসুর রহমান ওরফে গুড্ডু রহমান নামে তৃণমূলের এক কর্মীর বিরুদ্ধে। তৃণমূলের দাপুটে এক নেতার সঙ্গে ওই তৃণমূল কর্মীকে প্রায় দেখা যায়। ফলে, তৃণমূল কর্মী হয়ে দলীয় কাউন্সিলরকে হুমকি (Threat) দেওয়ার ঘটনায় দলীয় কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এসেছে। আর এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    কেন ওই কাউন্সিলরকে হুমকি (Threat) দেওয়া হল?

    মূলত বেআইনি নির্মাণের প্রতিবাদ করায় তৃণমূলের মহিলা কাউন্সিলরকে হুমকির (Threat) মুখে পড়তে হয়েছে। অভিযোগ, কামারহাটি পুরসভার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের বেলঘরিয়া ৪ নম্বর রেলগেটের পাশে একটি বাড়ি বেআইনিভাবে নির্মাণ হচ্ছে, সেই নির্মাণে কাউন্সিলর গিয়ে বাধা দেওয়ায় তাঁকে প্রাণ নাশের হুমকি দেওয়া হয়। কামারহাটির গুড্ডুর বিরুদ্ধে ওই হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত বছর মার্চ মাসে পানিহাটি পুরসভার কাউন্সিলর অনুপম দত্তকে দুষ্কৃতীরা প্রকাশ্যে গুলি করে খুন করে। সেই কাউন্সিলরের মতো কামারহাটি পুরসভার ওই কাউন্সিলরের হাল করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।

    কী বললেন তৃণমূল কাউন্সিলর?

    তৃণমূল কাউন্সিলর নির্মলা রায় বলেন, আসলে এলাকার মানুষের জন্য আমরা কাজ করি। আমার ওয়ার্ডে বেআইনি নির্মাণ হচ্ছে। বিষয়টি জানতে পেরে সেখানে গিয়ে কাজ করতে বাধা দিয়েছি। এরপরই ওই গুড্ডু আমাকে ফোন করে হুমকি (Threat)  দিতে থাকে। পানিহাটি কাউন্সিলরের মতো আমার হাল হবে বলে হুমকিও দেয়। আমি পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়েছি। দলীয় নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে।

    কী বললেন পুরসভার চেয়ারম্যান?

     এই প্রসঙ্গে কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহা বলেন, এই বিষয়ে আমি খোঁজ নেব। গুড্ডু আমাদের দলেরই কর্মী। তাই, এই ধরনের হুমকির (Threat) ঘটনা ঘটে থাকলে তা ঠিক নয়। এরকম অভিযোগ আমার কাছে আসেনি। তাই, এখনই এই বিষয়ে কিছু বলছি না। অভিযোগ সত্য হলে দলগতভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

     বিষয়টি সম্পর্কে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। বিজেপি-র রাজ্য যুব মোর্চার সদস্য জয় সাহা বলেন, নিজেদের বিরুদ্ধে নিজেরাই অভিযোগ করছে। বেআইনি নির্মাণ করবে আর কাউন্সিলরকে টাকা দেবে না এটা কখনও হয়? এসব করেই এই দলটাই শেষ হয়ে যাবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘অপেক্ষা করুন, সব ফাঁস করব’, মমতাকে চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘অপেক্ষা করুন, সব ফাঁস করব’, মমতাকে চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লিতে ফোন করার জন্য আপনি একটি ল্যান্ডলাইন ব্যবহার করেছেন। অপেক্ষা করুন। সঠিক সময়ে সব ফাঁস করব। আগামিকাল (বৃহস্পতিবার) আমার উপযুক্ত উত্তরের জন্য অপেক্ষা করুন। বুধবার ট্যুইট-বার্তায় এভাবেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) নিশানা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তৃণমূল কংগ্রেস জাতীয় দলের তকমা হারানোর পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ফোন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার সিঙ্গুরের সভা থেকে এই মন্তব্য করেছিলেন শুভেন্দু।

    শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) নিশানা…

    এর প্রেক্ষিতেই তৃণমূল সুপ্রিমোর পাল্টা দাবি, প্রমাণ করে দেখাতে পারলে মুখ্যমন্ত্রীর পদে ইস্তফা দেবেন তিনি। এর কিছুক্ষণ পরেই ট্যুইট-বাণ নিক্ষেপ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, ইয়ে ডর মুঝে আচ্ছা লাগা। আপনি আমার জন্য কিম্ভূত, কিমাকার শব্দ ব্যবহার করেছেন। এটা লজ্জাজনক। এর আগে আপনি এরকমই অবমাননাকর শব্দ বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রীকেও। এর পরেই শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, দিল্লিতে ফোন করার জন্য আপনি একটি ল্যান্ডলাইন ব্যবহার করেছেন। অপেক্ষা করুন। সঠিক সময়ে সব ফাঁস করব। আগামিকাল আমার উপযুক্ত উত্তরের জন্য অপেক্ষা করুন।

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা লিখেছেন, আপনি পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম, মালদা, মেদিনীপুরের কথা বারবার বলতে থাকেন কেন জানেন? কারণ অবচেতনে আপনি ঠিকই জানেন, ২০১১ সালে আপনি ক্ষমতায় এসেছিলেন, কারণ আমি তখন ওই জেলাগুলোর দায়িত্বে ছিলাম। আপনার মূল্যহীন ভাইপো তখন কোথাও ছিল না। ২০১১ সালের জুলাইয়ের পরে তাঁর প্রবেশ।

    আরও পড়ুুন: ‘কোনওদিন তৃণমূলে ছিলাম না, ইস্তফা দেওয়ার প্রশ্নই নেই’, বললেন মুকুল

    প্রসঙ্গত, বুধবার সাংবাদিক সম্মেলনে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) নাম না করে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, ওই অভিযোগ (অমিত শাহকে ফোন) মিথ্যা। শুভেন্দুকে ভুঁইফোড় এবং কিম্ভূতকিমাকার সম্বোধন করে মমতা বলেন, দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা। পরিকল্পনামাফিক ভুল বার্তা দেওয়া হচ্ছে। তৃণমূলকে ছোট করে দেখানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। জনগণের সমর্থন নেই বলেই এসব মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: ‘দিদির দূত’ কর্মসূচিতে তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে! জেলাজুড়ে শোরগোল

    TMC: ‘দিদির দূত’ কর্মসূচিতে তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে! জেলাজুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘দিদির দূত’ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে শিলিগুড়িতে তৃণমূলের (TMC) দলীয় কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এল। তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা (সমতল) সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন তৃণমূল (TMC) নেতা তথা শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র পরিষদ সদস্য দিলীপ বর্মন। জেলা সভানেত্রীও দলীয় ওই নেতার বিরুদ্ধে দলের কী অবস্থান, তা জানিয়ে দিলেন। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।  

    ঠিক কী হয়েছিল?

    গত মঙ্গলবার তৃণমূলের ‘দিদির দূত’ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র পরিষদ সদস্য দিলীপ বর্মন। পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের (TMC) জেলা (সমতল) সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ ও অন্যান্য নেতৃত্ব। দিলীপ বর্মনকে দেখেই তিনি অন্য নেতাদের মাধ্যমে তাঁকে সেই অনুষ্ঠান ছেড়ে চলে যেতে বলেন। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বারবার দিলীপ বর্মনের বিরুদ্ধে বিতর্কিত অভিযোগ জমা পড়ায় জেলা নেতৃত্ব সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেয়, দিলীপ বর্মন দলীয় কোনও কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। সেই নির্দেশ অমান্য করে ‘দিদির দূত’ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ায় জেলা নেতৃত্ব মঙ্গলবার তাকে সেখান থেকে বের করে দেয় বলে অভিযোগ।

    কী বললেন শিলিগুড়ির পুরসভার মেয়র পরিষদ সদস্য?

    এই ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই দলের জেলা সভানেত্রীকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন দিলীপ বর্মন। তিনি যে জেলা সভানেত্রী তথা জেলা কমিটিকে মানেন না, সেকথাও বুধবার সাংবাদিকদের  জানিয়েছেন। এদিন তিনি বলেন, শিলিগুড়ি পুরভোটে আমাকে এখান থেকে কেউ টিকিট দেয়নি। কলকাতা থেকে আমার টিকিট এসেছে। আর ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডের মানুষ আমাকে ভোট দিয়েছেন। কাজেই তৃণমূলের (TMC) এখানকার নেতানেত্রীরা আমাকে জেতাননি।  তাই, এখানে কে কী বলছেন, আমি সে নিয়ে ভাবতে রাজি নই। পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের আমন্ত্রণেই আমি গিয়েছিলাম। আমি গোটা ঘটনা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে লিখিতভাবে জানাচ্ছি।

    কী বললেন তৃণমূলের (TMC)  জেলা সভানেত্রী?

    এদিকে দিলীপ বর্মনের এই চ্যালেঞ্জের জবাব দিলেন তৃণমূলের (TMC) জেলা সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বারবার দিলীপ বর্মনের বিরুদ্ধে নানা ধরনের বিতর্কিত অভিযোগ আমাদের কাছে এসেছিল।  জেলা কমিটিতে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, দিলীপ বর্মন দলীয় কোনও কর্মসূচিতে যোগ দিতে পারবেন না। সেইমতো মঙ্গলবার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডে আমাদের ‘দিদির দূত’ কর্মসূচি থেকে তাঁকে চলে যেতে বলা হয়েছিল। ওই অনুষ্ঠানে তিনি আমন্ত্রিত ছিলেন না। এটা আমাদের দলগত সিদ্ধান্ত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayet Vote: পাকা রাস্তা না হওয়ায় ছেলেমেয়েদের বিয়ে দিতে পারছেন না, ক্ষোভে ভোট বয়কটের ডাক

    Panchayet Vote: পাকা রাস্তা না হওয়ায় ছেলেমেয়েদের বিয়ে দিতে পারছেন না, ক্ষোভে ভোট বয়কটের ডাক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রামের একমাত্র রাস্তা পাকা না হলে ভোট (Panchayet Vote) বয়কটের ডাক দিলেন বাসিন্দারা। এমনকি গ্রামে পাকা রাস্তা না হওয়ায় ছেলেমেয়েদের বিয়ে দিতে পারছেন না, এমনটাই আক্ষেপ তাঁদের। বাসিন্দাদের অভিযোগ, ‘ভোট এলেই রাজনৈতিক নেতারা চিতাবাঘ থেকে ভিজে বিড়াল হয়ে যান। জোড়হাত করে হাজির হন ভোটারদের বাড়ি বাড়ি। বিভিন্ন রাজনৈতিক মঞ্চ থেকে গালভরা প্রতিশ্রুতির বন্যা বয়ে যায়। আর ভোট ফুরোলেই আবার তাঁরা বাঘ হয়ে যান’। বছরের পর বছর এই ঘটনার সাক্ষী হুগলি জেলার আরামবাগ মহকুমার বালি গ্রাম পঞ্চায়েতের জগৎপুরের বাসিন্দারা। তাই এবার তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, গ্রামের রাস্তা তৈরি না হলে কেউই ভোট দিতে যাবেন না।

    কী অভিযোগ গ্রামের বাসিন্দাদের?

    গ্রামের বাসিন্দাদের বক্তব্য, তৃণমূল দাবি করে, তারা ২০১১ সালে ক্ষমতায় এসে তাদের জননেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় নাকি মানুষের দুয়ারে উন্নয়ন পৌঁছে দিয়েছে। দরজা, জানালা খুললেই নাকি উন্নয়ন দেখা যায়। এদিকে জগৎপুর গ্রামের মানুষ দরজা খুললেই গ্রীষ্মে প্রখর ধুলোর ঝড় দেখেন, বর্ষায় এক হাঁটু কাদা দেখতে পান, সামান্য বৃষ্টিতেই গ্রামের মহিলারা শাড়ি গুটিয়ে চলাচল করেন, বৃষ্টি হলে ছেলেবুড়ো সকলে জুতো হাতে করেই চলাচল করেন। প্রায় ১ কিমি পথ জুতো হাতে চলার পর পায়ের কাদা পরিষ্কার করে তবেই জুতো পরতে পারেন। দরজা খুলে এই উন্নয়ন যখন দেখা যায়, তখন খাতায়কলমে গ্রামে ঢোকার মুখে উন্নয়নের আরও একটি চিত্র দেখা যায়। সেখানে একটি বড় সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে। এই বোর্ডটি বছর দুয়েক আগে লাগানো হয়েছিল। বোর্ডের অর্ধেক লেখা প্রায় অস্পষ্ট হয়ে গেছে। ভালো করে পড়া যায় না। মোটামুটি যেটা বোঝা যায় তা হল, সাড়ে ছয় লাখ টাকা ব্যয় করে এই গ্রামের কর্দমাক্ত রাস্তাটি তৈরি হয়েছে। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দারা সংবাদ মাধ্যমের কাছে ভোটের আগে (Panchayet Vote) এই নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। 

    অশেষ ভোগান্তি নিয়ে গ্রামের মহিলারা কী বলছেন?

    এই বিষয়ে এলাকার গৃহবধূ অনিমা সামন্ত বলেন, “গ্রামের ছেলেমেয়েদের বিয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। বিয়ের জন্য দেখাশোনায় যাঁরা আসছেন, তাঁদের একটাই বক্তব্য, এখনও ভাঙাচোরা মাটির রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করছে এখানকার মানুষ। তাহলে বর্ষাকালে  কী পরিস্থিতি তৈরি হয়? একটু বৃষ্টি হয়ে গেলেই আসার আর কোনও পথ নেই। আর যাই হোক, যাঁরা দেখাশোনার জন্য আসবেন, তাঁরা জুতো হাতে এতটা পথ পেরিয়ে আসবেন, তা সম্ভব নয়। তাই কেউ বিয়ে করতে এলে যদি বৃষ্টি হয়, তাহলে পালকি করে অথবা খালি পায়ে কাদা ভেঙেই আসতে হবে। এতটা ঝুঁকি নিয়ে কেউ বিয়ে করতে চাইছে না এখানে।” অপরদিকে আরেক গৃহবধূ ঝর্ণা সামন্ত বলেন, “মেয়েদের সম্মান রক্ষাও এই গ্রামে যথেষ্ট মুশকিল। একটু বৃষ্টি হলেই হাঁটুর উপর পর্যন্ত কাপড় গুটিয়ে চলাচল করতে হয়। বাচ্চা কোলে কাদা ভাঙা যথেষ্ট মুশকিল। সারা বছরই শুনি সব কিছু হয়ে গিয়েছে, কয়েকদিনের মধ্যেই কাজ শুরু হবে। এবার আর প্রতিশ্রুতিতে ভুলছি না। আগে রাস্তা, তারপর ভোট। রাস্তা না হলে কেউ ভোট (Panchayet Vote) দিতে যাব না।

    কী প্রতিশ্রুতি দিলেন অঞ্চল প্রধান?

    এই রাস্তাটি যে সত্যিই প্রয়োজনীয়, তা বালি অঞ্চলের প্রধান মৃত্যুঞ্জয় পালও স্বীকার করছেন। তিনি বলেন, “২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে এই রাস্তাটি নির্মাণের জন্য বরাদ্দ ধরা হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে এই রাস্তাটি দ্রুত নির্মাণ হবে”। সবমিলিয়ে এখন দেখার, প্রশাসন বা শাসকদল ভোট বয়কট Panchayet Vote রুখতে রাস্তা তৈরির উদ্যোগ নেয় কি না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘শ্বশুর-জামাই মিলে কোটি কোটি টাকা লুঠ করেছেন’! সুকান্তর নিশানায় সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা

    Sukanta Majumdar: ‘শ্বশুর-জামাই মিলে কোটি কোটি টাকা লুঠ করেছেন’! সুকান্তর নিশানায় সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা ও তাঁর জামাই তথা সাগর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি স্বপন প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আনলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Mazumdar)। সোমবার পাথরপ্রতিমার ব্রজবল্লভপুরের সভা থেকে দুর্নীতি ইস্যুতে বঙ্কিম হাজরা ও তাঁর জামাই স্বপন প্রধানকে তীব্র আক্রমণ করেন সুকান্ত।

    সুকান্তের দাবি 

    দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমার ব্রজবল্লভপুরে দলীয় সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Mazumdar) বলেন, ‘এখানকার সবথেকে বড় মহাপুরুষ মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা ও তাঁর জামাই স্বপন প্রধান লুটেপুটে খাচ্ছেন। সাগরে স্নানঘাটের জন্য ৫৬ কোটি টাকা এসেছিল। কিন্তু ৫৬টি ইট পর্যন্ত গাঁথা হয়নি। রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় শ্বশুর-জামাই মিলে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি করেছেন। আপনাদের কাছে কোনও তথ্য থাকলে আমাদের জমা দিন। আমরা সেগুলি নিয়ে আদালতে যাব। ইডি, সিবিআই তদন্তের দাবি জানাব।’

    আরও পড়ুন: ‘কে পুরুষ, কে মহিলা, তা শুধু যৌনাঙ্গ দিয়ে বিচার করা যায় না!’ অভিমত সুপ্রিম কোর্টের

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Mazumdar) বক্তব্য, ‘এই জামাই আর শ্বশুর মিলে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি করেছে, আমার কাছে খবর এসেছে। আপনারা তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করে, আমার কাছে জমা করুন। আমি কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করব এই জামাই আর শ্বশুরের বিরুদ্ধে সিবিআই করানোর জন্য, ইডি করানোর জন্য। আমরা নাটবোল্টু টাইট দেব, আর সিবিআই আসবে। সিবিআই দেখলে এখন নেতা-মন্ত্রীরা পাঁচিল টপকে পালাচ্ছে। ও তো সমুদ্রের মধ্যে কুমিরের সামনে ঝাঁপ দেবে। তা ছাড়া উপায় থাকবে না।’ পাল্টা সাগরের তৃণমূল বিধায়ক তথা সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা বলেছেন, ‘পার্টিকুলারলি আমাকে নিশানা করেছে। সাহস থাকলে প্রমাণ করুক। সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Mazumdar) যে অভিযোগ করেছেন, তা পুরো মিথ্যা, ভিত্তিহীন।’ বিধায়কের জামাই স্বপন প্রধানও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • TMC: ভোটে প্রার্থী হতে চান না তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য, প্রার্থী করতে চান না স্ত্রীকেও! কেন?

    TMC: ভোটে প্রার্থী হতে চান না তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য, প্রার্থী করতে চান না স্ত্রীকেও! কেন?

    নিউজ মাধ্যম ডেস্ক: সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। ভোটে প্রার্থী হওয়ার জন্য রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তৃণমূল (TMC) কর্মীদের মধ্যে রীতিমতো প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গিয়েছে। কোথাও আবার বোমাবাজির ঘটনাও ঘটছে। দলীয় কর্মী খুন হওয়ার নজিরও রয়েছে। সেখানে আলিপুরদুয়ারে একেবারে অন্য চিত্র ধরা পড়ল। আলিপুরদুয়ার ২ ব্লকের মাঝেরডাবরি গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ পানিয়ালগুড়ি গ্রামের তৃণমূলের (TMC) পঞ্চায়েত সদস্য রবি দাস আর ভোটে দাঁড়াতে চান না। এই আসনটি এবার মহিলা সংরক্ষিত। তিনি স্ত্রীকেও এবার ভোটে প্রার্থী করতে চান না।

    পঞ্চায়েতে প্রার্থী হতে চান না কেন তৃণমূলের (TMC) পঞ্চায়েত সদস্য?

    আলিপুরদুয়ার ২ পঞ্চায়েত সমিতির দক্ষিণ পানিয়ালগুড়ি গ্রাম। গ্রামের পাশ দিয়ে কল কল করে বয়ে গেছে পাহাড়ি নদী কালকূট। গ্রামের অধিকাংশ মানুষই কৃষিজীবী। কিন্তু, পাহাড়ি কালকূট নদীর ভাঙনে বিঘার পর বিঘা জমি নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে। এর আগে পঞ্চায়েত সদস্য হিসেবে রবিবাবু এলাকাবাসীকে ভাঙন প্রতিরোধে উদ্যোগ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু প্রতিশ্রুতি দিয়েও ভোটারদের কাছে তা রাখতে পারেননি। সেই লোকলজ্জায় আর মানুষের কাছে ভোট চাইতে যেতে পারবেন না তিনি। দলকে সেই কথা জানিয়েও দিয়েছেন। তৃণমূলের (TMC) পঞ্চায়েত সদস্য রবি দাস বলেন, “এবার আমার এলাকার পঞ্চায়েতের আসন মহিলা সংরক্ষিত হয়েছে। দল স্ত্রীকে প্রার্থী করার কথা বলেছিল, না করে দিয়েছি। অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েও নদীভাঙন রোধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এই অবস্থায় আমার পক্ষে আর ভোটের সময় গিয়ে মানুষের কাছে ভোট চাওয়ার মুখ নেই। তাই, আমি ও আমার পরিবারের কেউ পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী হব না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপি-র আলিপুরদুয়ার জেলার সাধারণ সম্পাদক মিঠু দাস বলেন, “তৃণমূল নেতারা দুর্নীতি করে নিজেদের আখের গোছাতেই ব্যস্ত। তারা আর এলাকার উন্নয়ন করবে কিভাবে? ভাঙন প্রতিরোধ করার বিষয়ে কারও কোনও উদ্যোগ নেই। দেরি হলেও ওই পঞ্চায়েত সদস্য সেটা বুঝতে পেরেছেন জেনে ভাল লাগছে।”

    কী বললেন কংগ্রেস নেতৃত্ব?

    কংগ্রেসের আলিপুরদুয়ার জেলার কার্যকরি সভাপতি শান্তনু দেবনাথ বলেন, “খোঁজ নিয়ে দেখুন, ওই নদীবাঁধ নির্মাণের জন্য টাকা এসেছিল। তৃণমূল নেতারা সেই টাকা দুর্নীতি করে খেয়ে ফেলেছেন। নাহলে ওই এলাকায় আধিকারিকরা বার বার যাওয়ার পরেও বাঁধ নির্মাণ হবে না কেন?”

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমূল (TMC) কংগ্রেসের সভাপতি প্রকাশ চিক বড়াইক অবশ্য বলেন, “কে প্রার্থী হবেন আর কে হবেন না, তা ঠিক করবে দল। তবে, ওই এলাকায় আমি গিয়েছিলাম। সমস্যার কথা জানি। ভাঙন প্রতিরোধে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে, কাজ  হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share