Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • BJP: ইদের তুলনায় পুজোর বোনাস কম পরিবহণ কর্মীদের! ‘মমতা সরকার সনাতন বিরোধী’, তোপ বিজেপি নেতার

    BJP: ইদের তুলনায় পুজোর বোনাস কম পরিবহণ কর্মীদের! ‘মমতা সরকার সনাতন বিরোধী’, তোপ বিজেপি নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইদের তুলনায় পুজোতে পরিবহণ কর্মীদের কম বোনাস দিচ্ছে মমতা সরকার! এনিয়ে তোপ দাগলেন বিজেপি (BJP) নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় (Jagannath Chattopadhyay)। রবিবারই জগন্নাথবাবু সমাজমাধ্যমের পাতায় একটি পোস্ট করেন। নিজের পোস্টে তিনি জানান, ইদের সময় পরিবহণ কর্মীদের ৬,০০০ টাকা করে বোনাস দেওয়া হয়েছে, দুর্গাপুজোর সময় এর পরিমাণ মাত্র ৩,৬০০ টাকা। ওই পোস্টে তিনি আরও জানান, দুর্গাপুজোর দিনগুলিতেই রাজ্যের বিএড ও এমএড কলেজগুলিতে ভর্তির দিনক্ষণ স্থির করেছিল মমতা সরকার। পরবর্তীকালে বিক্ষোভের কারণেই তা পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয় তৃণমূল সরকার। নিজের পোস্টে এসংক্রান্ত সরকারি বিজ্ঞপ্তি দুটিও জুড়ে দিয়েছেন এই বিজেপি (BJP) নেতা। ওয়াকিবহাল মহল জগন্নাথবাবুর (Jagannath Chattopadhyay) ফেসবুক পোস্টের বক্তব্যকে সিলমোহর দিয়ে বলছে, ‘‘তোষণ ও ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতির কারণেই মমতা সরকার বোনাস বৈষম্য করছে। সরকারের দুর্গাপুজো নিয়ে কোনও শ্রদ্ধা বা আগ্রহ যে নেই, তা একাধিক সিদ্ধান্তে প্রতিফলিত হচ্ছে।’’ প্রসঙ্গত, একাধিক মণ্ডপে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পিতৃপক্ষে দুর্গাপুজোর উদ্বোধন করতে দেখা গিয়েছে। সনাতন ধর্মের রীতি অনুযায়ী যা করা যায় না। পণ্ডিত মহলের মত, দেবীপক্ষতেই মাতৃ আরাধনা শুরু করার নিয়ম। নিজের পোস্টে এনিয়েও সরব হন বিজেপির (BJP) এই রাজ্য নেতা।

     কী লিখলেন জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়?

    রবিবার নিজের পোস্টে জগন্নাথবাবু লেখেন, ‘‘মাননীয়ার সরকার মানসিকভাবে দুর্গাপুজো বিরোধী। সেই কারণে পিতৃপক্ষে পুজোর উদ্ধোধন হয়। নীচে বিজ্ঞপ্তি দুটিতে আরও কাণ্ড দেখুন। রাজ্যের বিএড-এমএড কলেজ গুলিতে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির জন্য সরকার পুজোর দিনগুলি নির্দিষ্ট করেছিল। ঠিক ৮ থেকে ১৪ অক্টোবর পুজোর দিনগুলিতে শিক্ষক শিক্ষণের কলেজগুলিকে খোলা রেখে ছাত্র ভর্তির বিজ্ঞপ্তি জারি করে দিয়েছিল। নোটিস সামনে আসার পর থেকে সরকারি-বেসরকারি বিএড কলেজ কর্তৃপক্ষ বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। বাধ্য হয়ে সেদিনই আলাদা একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে পুজোর পরে ভর্তির কথা জানায় বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু এই সরকার এতটাই দুর্গাপুজো বিরোধী যে প্রথম কারণ হিসাবে বলা হয়, রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতির জন্য সূচি বদল করা হল। কেউই জানে না এখন কোথায় বন্যা চলছে। নামমাত্র দুর্গাপুজোর কথা উল্লেখ করা হয়। বিএড কলেজগুলো কিন্তু শুধুমাত্র দুর্গাপুজোর কারণেই ভর্তি পিছিয়ে দিতে সরব হয়েছিল। সরকারের দুর্গাপুজো বিরোধী এই মানসিকতার কারণেই ইদের সময় পরিবহণ কর্মীদের ৬০০০ টাকা বোনাস দেওয়া হলেও দুর্গাপুজোয় তা দেওয়া হয়েছে ৩৬০০ টাকা। শিক্ষা থেকে পরিবহণ সর্বত্র সনাতন-বিরোধী মানসিকতা প্রকাশ পাচ্ছে। সমূলে এর উৎপাটন প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।’’

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: নিয়োগ-দুর্নীতিতে কাকে, কীভাবে চাকরি দিয়েছেন অনুব্রতঘনিষ্ঠ মলয়? নথি পেল সিবিআই

    SSC Scam: নিয়োগ-দুর্নীতিতে কাকে, কীভাবে চাকরি দিয়েছেন অনুব্রতঘনিষ্ঠ মলয়? নথি পেল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ-দুর্নীতিতে (SSC Scam) বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) ঘনিষ্ঠ মলয় পিটের বিরুদ্ধে নানা নথি পেয়েছে সিবিআই। শিক্ষা ক্ষেত্রে নিয়োগ-দুর্নীতিতে বীরভূমের মলয় পিটের সঙ্গে কলকাতার কুন্তল ঘোষের মিল খুঁজে পাচ্ছে সিবিআই। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, মলয়ও কুন্তলের মতো মিডলম্যান হিসেবে কাজ করতেন। 

    নিয়োগ-দুর্নীতিতে এনজিও যোগ

    সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, মলয়ের বিরুদ্ধে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতে পেয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা। মলয়ঘনিষ্ঠ পূর্ব বর্ধমানের এক এনজিও (NGO) কর্তার কাছ থেকে উদ্ধার চাকরি প্রার্থীদের একের পর এক তালিকা। সিবিআই (CBI) জানতে পেরেছে, সেই তালিকার মধ্যে ইতিমধ্যেই চিহ্নিত ১৭ জন, যাঁরা প্রাথমিকে চাকরি পেয়েছেন। এর মধ্যে পাঁচ জন এখনও চাকরি করছেন। এঁরা সবাই পূর্ব বর্ধমানের বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে (SSC Scam) কর্মরত। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, এনজিওটি একটি বিএড কলেজ চালায়। ওই এনজিও-র ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য সফিউল আলম মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি। 

    সফিউল আলমকে জিজ্ঞাসাবাদ

    ইতিমধ্যেই সফিউলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছিল সিবিআই। এমনকী সফিউলের ই-মেল আইডিও ঘেঁটে বিস্ফোরক সব তথ্য হাতে পেয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা। এ থেকে ২০১৫ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ১৭টি ই-মেল (SSC Scam) পুনরুদ্ধার করেছে সিবিআই। প্রতিটিতেই রয়েছে চাকরিপ্রার্থীদের তালিকা। উদ্ধার হওয়া মেলের মধ্যে একটি আবার ২০১৭ সালের ১৩ই মার্চ করা হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, বীরভূমের বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের কর্ণধার এবং একাধিক এনজিও –পরিচালক মলয় পিটের থেকে সফিউলের আইডিতেও ঢুকেছে ই-মেল। সেখানেও রয়েছে চাকরিপ্রার্থীদের তালিকা।

    আরও পড়ুন: চেন্নাইয়ের মেরিনা বিচে এয়ার শো দেখতে ১২ লক্ষ মানুষের জমায়েত! প্রবল গরমে মৃত ৫

    মলয়কে জিজ্ঞাসাবাদ

    প্রথমে গরুপাচার মামলা। পরে নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় (SSC Scam) নাম জড়িয়েছে অনুব্রতঘনিষ্ঠ মলয়ের। ইতিমধ্য সিবিআই দফতরে হাজিরাও দিয়েছেন তিনি। গত ফেব্রুয়ারি মাসে যখন মলয়কে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই, সেই সময় তিনি নিয়োগ-দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন। তবে সিবিআই সূত্রে খবর, সফিউল জানিয়েছেন, যা ই-মেল তিনি করেছেন বা তাঁর কাছে এসেছে, সবটাই মলয়ের নির্দেশে। মলয়ের নির্দেশেই তালিকা পাঠানো হত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তিকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jayanagar Incident: জয়নগরকাণ্ডে ময়নাতদন্ত করবেন এইমসের বিশেষজ্ঞরা, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    Jayanagar Incident: জয়নগরকাণ্ডে ময়নাতদন্ত করবেন এইমসের বিশেষজ্ঞরা, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জয়নগরে (Jayanagar Incident) নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ এই মামলা পকসো আদালতে স্থানান্তর করার নির্দেশ দিয়েছেন। এর পাশাপাশি বিচারপতি প্রশ্ন তুলেছেন, সুরতহাল রিপোর্টে যৌন নির্যাতনের ইঙ্গিত স্পষ্ট এবং নির্যাতিতার বয়স ১০ বছরের কম। তারপরেও কেন পকসো আইনে মামলা রুজু করেনি পুলিশ? একই সঙ্গে কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে নির্যাতিতার দেহের ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত। এইমসের বিশেষজ্ঞরা ময়নাতদন্ত করবেন বলে জানা গিয়েছে।

    রবিবারের শুনানি

    প্রসঙ্গত, জয়নগরের (Jayanagar Incident) নির্যাতিতার ময়নাতদন্ত নিয়ে ব্যাপক জটিলতা তৈরি হয়। নির্যাতিতার পরিবার রাজ্য পুলিশের ওপর একেবারেই ভরসা করেনি। এর পাশাপাশি রাজ্যের সরকারি হাসপাতালেও ময়নাতদন্ত তাঁরা করাতে চান না বলে জানিয়েছিলেন। সেই আবেদন নিয়েই রবিবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল ওই নির্যাতিতার পরিবার। এই মামলার জরুরি ভিত্তিতে শুনানির নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। সেই মতো কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের বেঞ্চে রবিবার শুনানি হয়। রাজ্যের তরফ থেকে উচ্চ আদালতে সওয়াল করা হয়, কেন্দ্রীয় কোনও হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করা নির্দেশ দেওয়ার ক্ষমতা তাদের নেই। গোটা শুনানি পর্বে একাধিক হাসপাতালের নাম উঠে আসে। কমান্ড হাসপাতালে তরফে মেজর বিজয় হাইকোর্টে জানান যে তাঁদের ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ নেই। বিচারপতি তখন বলেন, ‘‘হাসপাতাল যদি নারাজ হয় তাহলে আমি জোর করতে চাই না।’’ এরপরে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ নিজেই প্রস্তাব দেন (Jayanagar Incident) কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে এইমসের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা ময়নাতদন্ত করবেন।

    পরের দিন পকসো আদালতে পেশ করা হবে অভিযুক্তকে (Jayanagar Incident)

    পরিবারের দাবি মেনে বারুইপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে এই ময়নাতদন্ত হবে বলে জানানো হয় হাইকোর্টের তরফে। রবিবার বিচারপতি রাজ্যকে বলেন, ‘‘সুরতহাল বা ইনকোয়েস্ট রিপোর্ট দেখেও কেন আপনারা পকসো যুক্ত করেননি?’’ পরের দিন, অভিযুক্তকে আর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে না পেশ করে পকসো আদালতে মামলা স্থানান্তর করার পরামর্শ দিয়েছেন বিচারপতি। প্রসঙ্গত, নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে জয়নগর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: ধর্মতলায় আমরণ অনশন জুনিয়র ডাক্তারদের, এবার যোগ দিলেন আরজি করের অনিকেত

    RG Kar: ধর্মতলায় আমরণ অনশন জুনিয়র ডাক্তারদের, এবার যোগ দিলেন আরজি করের অনিকেত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১০ দফা দাবি নিয়ে ধর্মতলায় শনিবার রাত থেকেই আমরণ অনশন শুরু করেন ছয় জুনিয়র ডাক্তার। রবিবার রাতে তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন আরও এক জুনিয়র ডাক্তার অনিকেত মাহাত। তিনি আরজি করের (RG Kar) জুনিয়র ডাক্তার। প্রথম থেকেই জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের অন্যতম মুখ তিনি।

    আমরণ অনশনে কারা?

    শনিবার ধর্মতলায় (Dharmatala) আমরণ অনশনে (RG Kar) বসেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়, স্নিগ্ধা হাজরা, তনয়া পাঁজা, এসএসকেএমের অর্ণব মুখোপাধ্যায়, কেপিসি মেডিক্যাল কলেজের সায়ন্তনী ঘোষ হাজরা এবং এনআরএস মেডিক্যাল কলেজের পুলস্ত্য আচার্য। সেই সময়ই দেখা যায় আরজি করের কেউ নেই। তখনই উঠতে শুরু করে প্রশ্ন! আরজি কর কাণ্ডের প্রেক্ষিতে যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল, সেখানে কেন সেই হাসপাতালের কেউ উপস্থিত (RG Kar) নেই? ঠিক এরই মধ্যে রবিবার অনশন মঞ্চে হাজির হলেন অনিকেত মাহাত।

    কী বলছেন অনিকেত মাহাত?

    জুনিয়র ডাক্তাররা অবশ্য বারবারই বলছেন, ‘‘কারা অনশনে (Dharmatala) বসবেন, আন্দোলনের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, সর্বসম্মত ভাবেই সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। প্যান জিবিতে সকলে মিলে এই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সকলের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।’’ অনিকেত মাহাত বলেন, ‘‘সবাই মিলে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। আরজি কর (RG Kar) হাসপাতালের আন্দোলনের অন্যতম বিষয় থ্রেট কালচার। আর তার বিরুদ্ধে লড়াই। আমরা আন্দোলনের মধ্যেই আছি।’’

    কী বললেন ডাক্তার দেবাশিস হালদার?

    রবিবার অনশন মঞ্চ থেকে জুনিয়র ডাক্তার দেবাশিস হালদার বলেন, ‘‘এই অনশনে আরজি কর সামিল নেই কেন, এই প্রশ্ন উঠেছে। কলেজ ভিত্তিক লড়াইয়ে আরজি কর ব্যস্ত ছিল। থ্রেট কালচারের মাথাদের শাস্তি দেওয়ার লড়াইয়ে বিগত কয়েকদিন আরজি করের জুনিয়র ডাক্তাররা ব্যস্ত ছিলেন। সেই লড়াইয়ে আমরা আংশিক জয় ছিনিয়ে আনতে পেরেছি। শনিবার আমরণ অনশন শুরুর সময় সেই কারণে আরজি করের জুনিয়র ডাক্তাররা অনশনে যোগ দেওয়ার জায়গায় ছিলেন না।’’ দেবাশিস হালদার আরও বলেন, ‘‘কেউ কেউ বলছেন, এটা রিলে অনশন। তা নয়, আমাদের সহযোদ্ধারা জীবন বাজি রেখে অনশন শুরু করেছেন।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Case: ষষ্ঠী থেকে চার দিন বাড়ির সামনে ধর্নায় বসবেন আরজি করের নির্যাতিতার বাবা-মা

    RG Kar Case: ষষ্ঠী থেকে চার দিন বাড়ির সামনে ধর্নায় বসবেন আরজি করের নির্যাতিতার বাবা-মা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজোর (Durga Puja) ষষ্ঠী থেকে বাড়ির সামনে ধর্নায় বসবেন আরজি করের (RG Kar Case) নির্যাতিতার বাবা-মা। তাঁদের সঙ্গে থাকবেন আত্মীয়-স্বজন এবং এলাকাবাসীরা। নির্যাতিতার বাবা-মা আরও জানিয়েছেন, চাইলে যে কেউ এসে এই প্রতিবাদে সামিল হতে পারেন। এমনকী রাজনৈতিক ব্যক্তিরাও আসতে পারেন। কিন্তু প্রতিবাদ মঞ্চে কেবল মাত্র থাকবেন কাছের আত্মীয়রাই। একই ভাবে তথ্যপ্রমাণ লোপাট নিয়ে মমতাকে তোপ দেগেছেন অভয়ার মা।

    চার দিনের ধর্নায় বসবেন বাবা-মা (RG Kar Case)

    প্রত্যেক বছর বাড়িতে পুজো (Durga Puja) হলেও এবার দুর্গামায়ের পুজো হবে না বাড়িতে। বাজবে না ঢাক, জ্বালানো হবে না আলো। গত ৯ অগাস্ট আরজি কর (RG Kar Case) হাসপাতালে নিজের কর্মস্থলেই ধর্ষণের পর নির্মম ভাবে হত্যা করা হয় অভয়াকে। ন্যায়বিচারের দাবিতে রাজ্য সহ গোটা দেশ এবং বিদেশের মাটিতে আন্দোলন হয়েছে। এদিন নির্যাতিতার মা বলেন, “তিন বছর আগে মেয়ের আবদারে দুর্গাপুজো শুরু হয়েছিল। বাড়ির গ্যারাজে রাখা হয়েছিল দুর্গাপ্রতিমা। বাড়ি নানা আলোয় ঝলমল করত। চারদিন পুজো হত, খুব আনন্দ হত। এই বছর খুব কষ্ট হবে। তাই ঘরের সামনে ধর্নামঞ্চ করছি। ষষ্ঠী থেকে সেখানেই বসব। পরিবারের লোকজন থাকবে। যাঁরা আসতে চাইবেন আসবেন।” আবার নির্যাতিতার বাবা বলেছেন, “রাজনীতির লোকের আসতে পারেন, কিন্তু মঞ্চে জায়গা দিতে পারব না, আমাদের এই মঞ্চকে রাজনৈতিক রং দিতে চাই না।”

    আরও পড়ুনঃ “পুজোতে জামাকাপড় না কিনে মেরুদণ্ড কিনুন”, জয়নগরকাণ্ডে পুলিশকে কটাক্ষ সুকান্তর

    তথ্যপ্রমাণ লোপাটও কি দুর্ঘটনা?

    আরজি করের (RG Kar Case) নির্যাতিতার মা আরও বলেন, “মেয়েকে হারিয়েছি। জুনিয়র ডাক্তারেরা যে আন্দোলন করছেন, তা দেখে ঘরে বসে আমার কান্না পাচ্ছে। ওরা না খেয়ে আছে। আমি তো এখন ওদেরও মা। ওরা আমার সন্তান। মুখ্যমন্ত্রীকে ওদের সমস্যার সমাধান করার জন্য অনুরোধ করব। মা হিসেবে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জানতে চাই, হাসপাতালের ভিতরে কী করে আমার মেয়ের সঙ্গে ওই কাণ্ড হয়েছিল? তথ্যপ্রমাণ লোপাটও কি দুর্ঘটনা? হাসপাতালের ভিতরে এ রকম হলে কোথায় রয়েছে সুরক্ষা?”

    অপর দিকে বাবা আরও বলেন, “অনশনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি সরকার মানছেন না। বায়ো টয়লেটের ব্যবস্থা পর্যন্ত করেনি সরকার। মানবিক ভাবে সব কিছুকে না ভাবলে নির্যাতন বন্ধ হবে না। পটাশপুর, জয়নগরের মতো ঘটনা থামবে কীভাবে, তা নিয়ে ভাবতে হবে। একজন মাত্র ৯ বছরের মেয়েকে ধর্ষণ করে খুন করা হল। অপর দিকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হল। এভাবেই কি চলতে থাকবে? এর শেষ কোথায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jaynagar: “পুজোতে জামাকাপড় না কিনে মেরুদণ্ড কিনুন”, জয়নগরকাণ্ডে পুলিশকে কটাক্ষ সুকান্তর

    Jaynagar: “পুজোতে জামাকাপড় না কিনে মেরুদণ্ড কিনুন”, জয়নগরকাণ্ডে পুলিশকে কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে রবিবার কুলতলি থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। এই প্রতিবাদ কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) এবং বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল সহ জেলার কর্মী-সমর্থকরা। প্রসঙ্গত, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কুলতলি (Jaynagar) থানা এলাকায় চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন ও খুনের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। জয়নগরের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফের সরগরম হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি। এদিন মহিলা মোর্চার পক্ষ থেকে ফাল্গুনী পাত্র এবং ভারতী ঘোষও উপস্থিত ছিলেন প্রতিবাদ সভায়।

    তৃণমূলের ঝাণ্ডা ধরা পুলিশের কাজ (Jaynagar)

    আরজি করের ঘটনার পর এবার খবরের শিরোনামে গ্রাম বাংলার জয়নগর (Jaynagar)। এই পৈশাচিক ঘটনায় রাজ্যের নারী সুরক্ষা নিয়ে আবারও প্রশ্ন উঠেছে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “বাংলার মহিলাদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ মমতার সরকার। ছাত্রী নিখোঁজের ঘটনার পরও কোনও পদক্ষেপ নেয়নি পুলিশ। সঠিক ভাবে সক্রিয় হয়ে যদি পুলিশ কাজ করত, তাহলে এই রকম অত্যাচারের ঘটনা ঘটত না। পুলিশের উচিত এখন উর্দি খুলে তৃণমূলের ঝাণ্ডা ধরা। পরিবারের দাবি, চতুর্থ শ্রেণির মাত্র নয় বছরের একটি মেয়েকে ধর্ষণ করে নির্মমভাবে খুন করা হয়েছে। যদিও এখনও ময়নাতদন্ত করা হয়নি। অকালে একটি মেয়ের প্রাণ চলে গেল। এই হত্যার প্রতিবাদে আমরা রাস্তায় নেমেছি। আমাদের আজকের থানা ঘেরাও কর্মসূচি কার্যত পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার বিরুদ্ধে।”

    আরও পড়ুনঃ জয়নগরে পুলিশ ফাঁড়ির বিরুদ্ধে বার বার নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছে, কী বললেন গ্রামবাসীরা?

    পোশাকে অশোকস্তম্ভ লাগাবেন না

    সুকান্ত তৃণমূলকে আক্রমণ করে আরও বলেন, “দুর্গাপুজো এসে গিয়েছে, কিন্তু বাংলার মা-বোনেরা আজ সুরক্ষিত নন। উৎসবকে উপেক্ষা করে আজ আমরা জয়নগরের (Jaynagar) ময়দানে নেমেছি। কারণ বাংলার নারীদের সুরক্ষা চাই। দুর্গা মায়ের কাছে আমরা কোন মুখে আশীর্বাদ চাইব? রাজ্যে তো ধর্ষণ এবং খুনের খেলা চলছে। তৃণমূলের শাসনে কেউ সুরক্ষিত নয়। সব কিছুর দায় হল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। রাজ্যে আইনের শাসন নেই। দুষ্কৃতীরা শাসক ঘনিষ্ঠ। পুলিশ নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ। পুলিশকে বলতে চাই, মমতা আপনাদের চাকরি কেড়ে নিতে পারবেন না। পুজোতে জামাকাপড় না কিনে মেরুদণ্ড কিনুন, নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করুন। আর যদি না পারেন, পোশাকে অশোকস্তম্ভ লাগাবেন না, হাওয়াই চটি লাগান। আপনারা অঞ্চলস্তরের তৃণমূল দলে যোগদান করুন, আমরা আর বলতে আসব না, বিচারও চাইব না। ভূপতিনগরেও একই ভাবে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে এক মহিলাকে। তাই সরকারকে উৎখাত করতে হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jaynagar: জয়নগরে পুলিশ ফাঁড়ির বিরুদ্ধে বার বার নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছে, কী বললেন গ্রামবাসীরা?

    Jaynagar: জয়নগরে পুলিশ ফাঁড়ির বিরুদ্ধে বার বার নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছে, কী বললেন গ্রামবাসীরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরে (Jaynagar)  বালিকার মৃত্যুর পরেও একই ভাবে পুলিশের উপরে আছড়ে পড়েছে গ্রামবাসীদের ক্ষোভ। ফাঁড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় তারা। পুড়িয়ে দেওয়া হয় মোটরবাইক, সাইকেল। প্রাণ বাঁচাতে পুলিশকর্মীরা কার্যত পালিয়ে যান। শনিবার এমন রোষের পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের কর্তব্য নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠল। পুলিশ তৎপর হলে ওই বালিকাকে বাঁচানো যেত, এমন দাবিও উঠেছে।

    ফাঁড়ির বিরুদ্ধে অভিযোগ নতুন নয়! (Jaynagar)  

    গ্রামবাসীদের অভিযোগ, নাবালিকা নিখোঁজ হওয়ার পরে ফাঁড়িতে গিয়েছিলেন পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু, ফাঁড়ির পুলিশ (Jaynagar)  গুরুত্ব দেয়নি। থানায় যেতে বলে দেয়। গ্রামবাসীর দাবি, স্থানীয় একটি দোকানে সিসি ক্যামেরা ছিল। সেই ফুটেজ চেয়ে মেলেনি। পুলিশ তৎপর হয়ে ফুটেজ জোগাড় করলে ধৃতকে আগেই শনাক্ত করা যেত। সে ক্ষেত্রে হয়তো মেয়েটির প্রাণ বাঁচানো যেত! তবে, শুধুমাত্র ওই বালিকার খুনের ঘটনাতেই ফাঁড়িতে জনরোষ, এমন নয়। এখানকার পুলিশের বিরুদ্ধে নানা ঘটনায় সাধারণ মানুষের ক্ষোভ জমছিল দীর্ঘদিন ধরেই। এ দিন তারই বহিঃপ্রকাশ হল, বলছেন অনেকে। ওই গ্রামের এক প্রবীণ বাসিন্দা বলেন, “ফাঁড়িটা আছে নামেই। গ্রামবাসীর কাজে লাগে না। চুরি-ডাকাতি হলেও পুলিশের সাহায্য পাওয়া যায় না।” আর এক গ্রামবাসীর অভিযোগ, “সম্প্রতি মোবাইল চুরির অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলাম। কাজ তো হয়ইনি, উল্টে পুলিশ টাকা চেয়েছিল।” তাঁর প্রশ্ন, “আমাদের মেয়েটার বেলায় একটু আগে তদন্ত করতে পারল না ওরা!” দিন কয়েক আগে একটি দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই থানা এলাকারই দ্বিতীয় ফাঁড়িটিতেও পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছিল। পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। সেখানেও পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছিল।

    আরও পড়ুন: “নারী সুরক্ষা কোথায়”? জয়নগরকাণ্ডে সরব আরজি করের নির্যাতিতার বাবা-মা

    ক্ষুব্ধ সরকারি আধিকারিকও

    গ্রামবাসীরা জানান, নিরাপত্তার কথা ভেবে থানা থেকে দূরবর্তী এলাকা হওয়ায় এখানে আলাদা এই ফাঁড়ির (Jaynagar) ব্যবস্থা করা হয়। সংশ্লিষ্ট থানা এলাকায় দু’টি এ রকম ফাঁড়ি রয়েছে। আলাদা ভবন, এক এসআই-সহ চার পুলিশকর্মী, সিভিক ভলান্টিয়ার-সহ সব ব্যবস্থাই রয়েছে ফাঁড়িতে। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষা হয় কই? ফাঁড়ির ভূমিকায় বিরক্ত সরকারি আধিকারিকদের একাংশও। স্থানীয় এক স্কুল পরিদর্শক বলেন, “এখানকার কোনও স্কুলে কোনও সমস্যা হলে ফাঁড়িতে গিয়ে কাজই হয় না। এ ভাবে ফাঁড়ি রাখার দরকার কী?”

    পুলিশ প্রশাসনের কী সাফাই?

    জেলার পুলিশকর্তারা এই সব অভিযোগ মানেননি। বারুইপুর পুলিশ জেলার সুপার পলাশচন্দ্র ঢালির দাবি, “পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ ঠিক নয়। বালিকাকে খোঁজার পর্বে পুরো সময়টাই ফাঁড়ির এক পুলিশ কর্মী ওই পরিবারের সঙ্গে ছিলেন। ফাঁড়ির (Jaynagar)  তরফে কোনও গাফিলতি হয়নি।” তা হলে জনরোষ কি অকারণে? ওই পুলিশকর্তার জবাব, “কী কারণে জনরোষ, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” উল্লেখ্য, বছর দেড়েক আগে উত্তর দিনাজপুরে এক নাবালিকার মৃত্যুর পরে স্থানীয় থানায় গিয়ে চড়াও হয় ক্ষুব্ধ জনতা। প্রাণ বাঁচাতে পাশের বাড়িতে গিয়ে এক কোণে লুকিয়েছিলেন পুলিশকর্মীরা। সম্প্রতি কলকাতার বাঁশদ্রোণীতে একটি স্কুলপড়ুয়া ছাত্রের মৃত্যুর পরেও স্থানীয়দের রোষের মুখে পড়ে পুলিশ। এবারও জয়নগরের ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে নিস্ক্রিয়তার অভিযোগে জনরোষ আছড়়ে পড়ল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jaynagar: “হাসপাতাল ও পুলিশের অধীনে ময়নাতদন্ত করা যাবে না”, দাবি মৃত নাবালিকার বাবার

    Jaynagar: “হাসপাতাল ও পুলিশের অধীনে ময়নাতদন্ত করা যাবে না”, দাবি মৃত নাবালিকার বাবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাসপাতাল ও পুলিশের অধীনে ময়নাতদন্ত করা যাবে না। ঠিক এমন দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন জয়নগরের (Jaynagar) চতুর্থ শ্রেণির নির্যাতিতা নাবালিকার বাবা। ধর্ষণ করে খুনের মতো পাশবিক ঘটনায় রীতিমতো ক্ষোভের আগুনে ফুঁসছে গোটা দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার মানুষ। উল্লেখ্য সম্প্রতি আরজি করে এক তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছাড়ায়। এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই নাবালিকা খুনের ঘটনা পুজোর আগে ব্যাপক শোরগোল ফেলে দিয়েছে।

    নির্যাতিতার বাবার বক্তব্য (Jaynagar)

    শনিবার জয়নগরের (Jaynagar) পদ্মহাট গ্রামীণ হাসপাতাল এবং কাটাপুকুর মর্গে একাধিকবার বিক্ষোভ করেছেন এলাকার মানুষ। ইতিমধ্যে পুলিশ প্রশাসন এবং শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি নাবালিকার দেহ সংরক্ষণের দাবি জানিয়েছে। তাদের পক্ষ থেকেও একটাই দাবি রাজ্য সরকারে হাসপাতাল এবং পুলিশের অধীনে কোনও রকম ভাবেই ময়নাতদন্ত করা যাবে না। এদিকে দোষীর শাস্তির দাবিতে এলাকার উত্তেজিত জনতার ক্ষোভের আঁচ গিয়ে পড়েছে কুলতলি থানায়। অপর দিকে ন্যায় বিচার এবং পুলিশের নিস্ক্রিয়তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে রবিবার থানা ঘেরেও কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বিজেপি। উত্তেজনার কথা বুঝতে পেরে পুলিশের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে বাড়তি সুরক্ষার ব্যবস্থা। আবার মৃতার পরিবারের আইনজীবী চন্দনকুমার সাহা বলেন, “রাজ্য সরকারের অধীনে ময়নাতদন্ত চাইছি না। নির্যাতিতার বাবা চাইছেন নিরপেক্ষ কোনও হাসপাতালে ময়নাদন্ত করা হোক। আমরা ইতিমধ্যে দেহ সংরক্ষণের কথা জানিয়েছি। একই মর্মে ইতিমধ্যে লোকাল থানা, ডিজির কাছে চিঠিও করেছি আমরা। আমাদের চিঠি গ্রহণ করেছে সংশ্লিষ্ট বিভাগ।”

    আরও পড়ুনঃমহিলাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে খুন, পুলিশকে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ

    পুলিশ প্রথম থেকেই বিষয়কে গুরুত্ব দেয়নি

    শুক্রবার, ৪ অক্টোবর রাতের বেলায় বাড়ির পাশের একটি ডোবা থেকে মাত্র ১০ বছরের এক নাবালিকার দেহ উদ্ধার হয়। ওইদিন সন্ধ্যার পর থেকেই মেয়েকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না পরিবার। এরপর থানায় জানানো হয়। পরিবারের দাবি, পুলিশ প্রথম থেকেই বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে দেখেনি, সঠিক সময়ে পদক্ষেপ নিলে হয়তো মেয়েটিকে বাঁচানো যেত। এরপর দেহের খোঁজ মিললে জানা যায় ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। উত্তেজিত জনতা থানার উপর ক্ষোভ প্রকাশ করে। ভাঙচুর থেকে আগুন লাগানো হয়। এলাকার (Jaynagar) স্থানীয় তৃণমূল সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল পরিদর্শনে গেলে তাঁকে দেখে আন্দোলনরত জনতা গো-ব্যাক স্লোগান দেন। অপর দিকে বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পলের সঙ্গেও বাধে বচসা। শনিবারের পর রবিবারেও চলছে ন্যায় বিচারের জন্য আন্দোলন।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bhupatinagar: মহিলাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে খুন, গণপিটুনিতে মৃত্যু অভিযুক্তের

    Bhupatinagar: মহিলাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে খুন, গণপিটুনিতে মৃত্যু অভিযুক্তের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করের পর জয়নগর! ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে তপ্ত বাংলা। এই আবহের মধ্যে এবার এক মহিলাকে ধর্ষণ করে খুন করার ঘটনা ঘটল পূর্ব মেদিনীপুরের (East Midnapore) পটাশপুরের ভূপতিনগর (Bhupatinagar) এলাকায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা। গ্রামবাসীরা প্রতিবাদে ফেটে পড়েন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Bhupatinagar)

    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভূপতিনগরের (Bhupatinagar) ওই গৃহবধূর ওপর প্রতিবেশী যুবকের দীর্ঘদিন ধরেই কুনজর ছিল। তাঁকে একাধিকবার আগে কুপ্রস্তাব দিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ। ওই গৃহবধূ তাঁকে সতর্ক করেন। শনিবার নির্যাতিতার স্বামী বাড়িতে ছিলেন না। অভিযোগ, মহিলা বাড়িতে একা থাকার সুযোগে ঘরে ঢোকেন ওই যুবক। এরপরই বাড়়ি থেকে তাঁকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে, সমস্ত বিষয়টি ধামাচাপা দিতে তাঁকে কীটনাশক খাইয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, অভিযুক্তের নামে আগেও অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। গ্রামবাসীরা ঘটনা জানতে পেরে ওই মহিলাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। এর পর গ্রামে খবর আসে নির্যাতিতার মৃত্যু হয়েছে। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই রবিবার সকালে উত্তেজিত এলাকাবাসীরা এক অভিযুক্তের বাড়িতে চড়াও হয়ে তাঁকে ধরে ফেলেন। মাঝবয়সি ওই ব্যক্তিকে প্রায় অর্ধনগ্ন অবস্থায় গ্রামের রাস্তায় ফেলে বাঁশ, লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করেন গ্রামবাসীরা। হামলায় নেতৃত্ব দেন মূলত মহিলারাই। খবর পেয়ে ভূপতিনগর থানার বিশাল পুলিশবাহিনী গ্রামে এসে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে। তবে উত্তেজিত জনতা পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে কঠোরতম শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন এলাকাবাসী।

    অন্যদিকে অভিযুক্তকে এগরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানেই পরে তার মৃত্যু হয়।

    আরও পড়ুন: “নারী সুরক্ষা কোথায়”? জয়নগরকাণ্ডে সরব আরজি করের নির্যাতিতার বাবা-মা

    বাংলায় দুষ্কৃতীরাজ চলছে

    বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এটা একটা নতুন প্যাটার্ন তৈরি হয়েছে অপরাধের। ধর্ষণ ও খুন। আমরা এক নতুন জায়গায় পৌঁছাচ্ছি। বাংলায় দুষ্কৃতীরাজ চলছে।” প্রসঙ্গত, আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে যখন গোটা রাজ্য উত্তাল, সেই আবহেই শুক্রবার জয়নগরের ন’বছরের বালিকাকেঅপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এবার ভূপতিনগরে (Bhupatinagar) মহিলাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে খুন করা হল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Case: অভিযোগেই সিলমোহর, থ্রেট কালচারে অভিযুক্ত ১০ চিকিৎসককে বহিষ্কার করল আরজি কর

    RG Kar Case: অভিযোগেই সিলমোহর, থ্রেট কালচারে অভিযুক্ত ১০ চিকিৎসককে বহিষ্কার করল আরজি কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: থ্রেট কালচারের অভিযোগে এবার ১০ চিকিৎসককে বহিষ্কার করল আরজি কর (RG Kar Case) মেডিক্যাল কলেজ। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে হস্টেল খালি করারও নির্দেশ কর্তৃপক্ষের। আজীবন হস্টেল থাকা সম্পূর্ণ ভাবে নিষিদ্ধ। একই ভাবে পাঠানো হবে তাঁদের বাড়িতে অভিযোগপত্রের চিঠি। গত ৯ অগাস্ট চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ করে হত্যার পর থেকেই ন্যায় বিচারের দাবি উত্তাল হয়ে উঠেছিল রাজ্য রাজনীতি। ডাক্তারদের সুরক্ষার দাবিতে তৃণমূল ঘনিষ্ঠ একদল চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এরপর হুমকির সংস্কৃতির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হল মেডিক্যাল কাউন্সিল।

    অভিযুক্তরা কারা (RG Kar Case)?

    জানা গিয়েছে, প্ল্যাটিনাম জুবিলি ভবনে (RG Kar Case) শনিবার দুপুর থেকে দীর্ঘ বৈঠক এবং তদন্ত করে আরজি করের ১০ জনের বিরুদ্ধে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই ১০ জনের বিরুদ্ধে ক্রমাগত হুমকি, র‌্যাগিং-এর মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কর্তৃপক্ষ, ডাক্তার এবং ইন্টার্নদের প্রতিনিধিরা। ঠিক এদিন বাইরে থেকে আন্দোলনকারীরা স্লোগান দেন, অবিলম্বে অভিযুক্ত ৫৯ জনকে বহিষ্কার করতে হবে। এরপর কাউন্সিল নিজেদের সিদ্ধান্তের কথা জানায়। বহিষ্কৃত চিকিৎসকরা হলেন, সৌরভ পাল, আশিস পান্ডে, অভিষেক সেন, আয়ুশ্রী থাপা, নির্জন বাগচী, সরিফ হাসান, নীলাগ্নি দেবনাথ, অমরেন্দ্র সিংহ, সৎপাল সিংহ এবং তনভীর আহমেদ কাজী। তাঁদের রেজিস্ট্রেশন এবং শংসাপত্র দেখে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের কাছে পাঠানো হবে।

    হোস্টেলের রুমে ঢুকে চলত শারীরিক নির্যাতন

    কলেজে (RG Kar Case), অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভয় এবং হুমকি দেওয়ার মতো কঠিন অভিযোগ রয়েছে। তাঁদের মধ্যে অনেকে আবার ধৃত প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ। মূলত অভিযোগগুলি হল, কথা না শুনলে টার্গেট করে পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়া হত। পছন্দ অনুযায়ী গবেষণার বিষয় স্থির করা যেত না, টাকার বিনিময়ে গবেষণার বিষয় নিতে হত। একই ভাবে চাহিদা অনুযায়ী অবৈধভাবে টাকার লেনদেন চলত কলেজে। এমনকী চাপ দিয়ে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের কাজে যুক্ত থাকতেন সন্দীপ ঘনিষ্ঠরা। যখন তখন হস্টেল থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হত। রাত-দুপুরে হস্টেলের রুমে ঢুকে চলত শারীরিক নির্যাতন। তৃণমূলের রাজনতিক মিটিং-মিছিলে যোগদান করতে বাধ্য করা হত। জুনিয়রদের কমন রুমে ডেকে চলত মানসিক অত্যাচার। পরিবার বাবা-মাকে উদ্দেশ্য করে চলত নোংরা গালিগালাজ।  ৫৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়ে কড়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলেজ। তাঁদের মধ্যে ৪৩ জনকে হস্টেল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ “নারী সুরক্ষা কোথায়”? জয়নগরকাণ্ডে সরব আরজি করের নির্যাতিতার বাবা-মা

    চার পর্যায়ের তদন্ত

    আরজি করে (RG Kar Case) ৫৯ জন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মোট ১৪ ধরনের অভিযোগ উঠেছে। চারটি পর্যায়ে ভাগ করেছে তদন্ত কমিটি। ক্যাটেগরি ১এ-তে ১০ জন। এই ১০ জনের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। ক্যাটেগরি ১বি-তে ২৭ জন। এই ২৭ জনের বিরুদ্ধে মহিলা সহপাঠিদের যৌন হেনস্থার অভিযোগ রয়েছে। ক্যাটেগরি ২-তে ১৬ জন। তাদের বিরুদ্ধে র‌্যাগিং করার অভিযোগ রয়েছে। ক্যাটেগরি ৩-এ রয়েছেন আর ৬ জন। তাদের অভিভাবককে ডাকা হয়েছে এবং বিশেষ ভাবে সতর্ক করা হয়েছে।     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share