Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Diamond Harbour Medical: কোটি কোটি টাকা দুর্নীতিতে অভিযুক্ত অধ্যক্ষ! দিনভর বিক্ষোভে জুনিয়র ডাক্তাররা

    Diamond Harbour Medical: কোটি কোটি টাকা দুর্নীতিতে অভিযুক্ত অধ্যক্ষ! দিনভর বিক্ষোভে জুনিয়র ডাক্তাররা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ড নিয়ে রাজ্যজুড়ে তোলপাড় চলছে। জুনিয়র ডাক্তাররা (Junior Doctor) লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। এই আবহের মধ্যে এবার ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল (Diamond Harbour Medical) কলেজে অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে সোমবার অবস্থান-বিক্ষোভ চলে। এদিন সকাল থেকে চলা অবস্থান বিক্ষোভে ডাক্তারি পড়ুয়াদের পাশাপাশি ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজের স্থায়ী এবং অস্থায়ী কর্মচারীরা সামিল হন।

    ঠিক কী অভিযোগ?(Diamond Harbour Medical)

    মূলত, জুনিয়র ডাক্তারদের (Diamond Harbour Medical) দাবি, ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ হাসপাতালের মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাবের কোটি কোটি টাকা দুর্নীতি করেছেন। পাশাপাশি থ্রেট কালচার সহ ১২ দফা দাবিকে সামনে রেখে তাঁরা অবস্থান বিক্ষোভ চালাতে থাকেন। অধ্যক্ষ যতক্ষণ না পর্যন্ত এর সঠিক উত্তর দিচ্ছেন, ততক্ষণ এই অবস্থান বিক্ষোভ চলতে থাকবে। এমনকী, মেডিক্যাল কলেজের অ্যাকাডেমিক বিল্ডিংয়ে তালা মেরে দেওয়া হয় জুনিয়র চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে। তবে, এই বিষয় নিয়ে ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ বলেন, ‘‘ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজের বেশ কিছু জুনিয়র চিকিৎসক ও পড়ুয়ারা কোশ্চেন বিক্রি থেকে শুরু করে, টাকা নেওয়া ও জুনিয়রদের থ্রেট কালচারের সঙ্গে যুক্ত। এরজন্য ৯ জন জুনিয়র চিকিৎসক ও পড়ুয়াকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এদিন তাঁদের হস্টেল ছেড়ে দেওয়ার শেষ দিন, যে কারণেই তাঁরা পরিকল্পিতভাবে আমার দুর্নাম করার জন্যই এই পরিকল্পনা করেছে।’’

    আরও পড়ুন: ধেয়ে আসছে ঘুর্ণিঝড় ‘দানা’, কোন দেশ দিয়েছে এই নাম? কীভাবে হয় নামকরণ?

    আরজি করকাণ্ডে প্রতীকী অনশন

    সকাল থেকে দফায় দফায় অবস্থান বিক্ষোভের ফলেই ব্যাহত হয়ে পড়ে ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজের রোগী পরিষেবা। আর সেই অবস্থান বিক্ষোভের মধ্যে আসেন ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জোনাল মিতুন কুমার দে, মহকুমা শাসক অঞ্জন ঘোষ, এসডিপিও শাকিব আহমেদ। একদিকে তাঁরা যেমন আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন, ঠিক তেমনি মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ এবং এমএসভিপি-র সঙ্গে কথা হয়। জুনিয়র চিকিৎসকদের আশ্বস্ত করার পর অ্যাকাডেমিক বিল্ডিং এর তালা খোলেন। জুনিয়র চিকিৎসকরা অবস্থান তুলে নেন। পাশাপাশি, জুনিয়র ডাক্তারদের অন্য একটি পক্ষ, আরজি করকাণ্ডের কলকাতায় অবস্থানরত চিকিৎসকদের সমবেদনা জানাতে ১২ ঘণ্টা প্রতীকী অনশন করেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cyclone Dana: আয়লার মতো দাপট হবে সাইক্লোন ‘দানা’র! ল্যান্ডফল বৃহস্পতিবার? প্রস্তুত এনডিআরএফ

    Cyclone Dana: আয়লার মতো দাপট হবে সাইক্লোন ‘দানা’র! ল্যান্ডফল বৃহস্পতিবার? প্রস্তুত এনডিআরএফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালীপুজোর আগেই আবহাওয়ার বড় পরিবর্তনের আশঙ্কা। চোখ রাঙাতে শুরু করেছে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’। আর এই ঘুর্ণিঝড় মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই ওড়িশা ও বাংলার উপকূলে ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone Dana) সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে ওড়িশা-বাংলার কাছে পৌঁছবে ‘দানা’। তবে বুধবার থেকেই আবহাওয়ার পরিবর্তন হতে শুরু করবে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া থাকবে উপকূলে। ঝড় কোথায় আছড়ে পড়বে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবুও, সমস্ত প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে তৎপর নবান্ন। আসন্ন ঘূর্ণিঝড় ডানা নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে বৈঠক বসেছে কেন্দ্র। কেন্দ্রের ক্যাবিনেট সেক্রেটারি রাজ্যের মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন সোমবার। ঘূর্ণিঝড় ও তার প্রভাব নিয়ে কেন্দ্রের জাতীয় বিপর্যয় ম্যানেজমেন্ট কমিটির এই বৈঠক হয়।

    প্রস্তুতির তথ্য তলব কেন্দ্রের (Cyclone Dana)

    এই ঘূর্ণিঝড় (Cyclone Dana) নিয়ে রাজ্যের তরফে কী কী প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে তার বিস্তারিত রিপোর্ট নেয় কেন্দ্র। রবিবার মৌসম ভবনের পক্ষ থেকে একটি বিশেষ বুলেটিন প্রকাশ করা হয়। সেখানেই জানানো হয়, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরের ওপর থাকা ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপ অঞ্চলে পরিণত হতে পারে। এই নিম্নচাপ অঞ্চল সাগরের ওপর দিয়ে ক্রমেই পশ্চিম এবং উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোতে পারে। ফলে, ২২ অক্টোবর, মঙ্গলবার সকালে সেই নিম্নচাপ অঞ্চল শক্তিবৃদ্ধি করে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। ঠিক এর পরের দিন, অর্থাৎ ২৩ অক্টোবর, বুধবার পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরের উপর এই নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।

    আয়লার আতঙ্ক!

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ১২০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিবেগে বইতে পারে ঝড়। ফলে, সমুদ্র উত্তাল হবে। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। ২০০৯ সালে আয়লা ঘূর্ণিঝড়েরও গতিবেগ ছিল ১২০ থেকে ১৩০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়। তাই আবারও ঝড়ের (Cyclone Dana) প্রভাবে সব তছনছ হয়ে যেতে পারে কি না, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রাত কাটাচ্ছেন উপকূলবর্তী এলাকার বাসিন্দারা। ‘দানা’ ঘূর্ণিঝড়ের আতঙ্কে ত্রস্ত সুন্দরবনের উপকূল এলাকা।  সোমবার থেকে আগামী শনিবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে মৎস্য দফতরের পক্ষ থেকে সোমবার সন্ধ্যার মধ্যে সব মৎস্যজীবী ট্রলারকে উপকূলে ফিরে আসতে বলা হয়েছে। একটানা তিন দিন ভারী বৃষ্টি হতে পারে, সঙ্গে ঝড়। পূর্বাভাসে এমনটাই বলা হয়েছে। বাড়তে পারে সমুদ্র ও নদীর জলস্তর।

    আরও পড়ুন: ধেয়ে আসছে ঘুর্ণিঝড় ‘দানা’, কোন দেশ দিয়েছে এই নাম? কীভাবে হয় নামকরণ?

    মাইকিং করে সতর্ক!

    জেলার সুন্দরবন উপকূলে বিশেষ সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা প্রশাসনও প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। সুন্দরবন পুলিশ জেলার পক্ষ থেকে উপকূলবর্তী সাগর, নামখানা, ফ্রেজারগঞ্জ, বকখালি, পাথরপ্রতিমা ও রায়দিঘি এলাকায় মাইক নিয়ে প্রচার করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে কাকদ্বীপ মহকুমার সাগর, কাকদ্বীপ, পাথরপ্রতিমা ও নামখানা ব্লকে সাইক্লোন (Cyclone Dana) সেন্টার খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গঙ্গাসাগরের কচুবেড়িয়া ঘাটে ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা মাইকিং করে মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে যেতে নিষেধ করেন। আর যাঁরা গিয়েছেন, তাঁদের ফিরে আসার কথা বলা হচ্ছে। এছাড়াও উপকূল তীরবর্তী এলাকার মানুষদেরকে সতর্ক করা হচ্ছে মাইকিং এর মাধ্যমে। বাঁধের কাছে বসবাসকারী বাসিন্দাদের ধীরে ধীরে নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এই দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সিভিল ডিফেন্স, এসডিআরএফ এবং এনডিআরএফকে (NDRF) সতর্ক করে সমস্ত রকম প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে বলা হয়েছে। পরিস্থিতি বুঝে সুন্দরবনের উপকূল এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে মোতায়েন করা হতে পারে ওই বিশেষ বাহিনী।

    খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম

    ব্লক প্রশাসন এবং পঞ্চায়েতগুলিকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। কাকদ্বীপ মহকুমা শাসকের দফতরে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। সেচ দফতরের আধিকারিক এবং কর্মীরা বাঁধের ওপর নজরদারি চালাবে। কোথাও কোনও বাঁধে (Cyclone Dana) সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত মেরামত করা হবে বলে সেচ দফতরের নির্দেশ। পঞ্চায়েত এবং ব্লক অফিসগুলিতে শুকনো খাবার, পানীয় জলের পাউচ এবং ত্রিপল মজুদ করা হচ্ছে। উপকূল এলাকায় নজরদারি চালাতে বিডিও অফিসগুলোতেও একটি করে কন্ট্রোল রুম খোলা হবে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।

    সব থেকে ক্ষতি কোথায় হবে?

    হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘুর্ণিঝড়ের (Cyclone Dana) ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে ভারত, বাংলাদেশ ও মায়ানমার। ‘দানা’ সম্পর্কে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ থেকে দক্ষিণ ভারতে মুষলধারে বৃষ্টি হতে পারে। এই ঘূর্ণিঝড়টি ২৪ থেকে ২৬ অক্টোবরের মধ্যে উপকূলে আঘাত হানতে পারে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের হিসেব বলছে, আন্দামান সাগরের ঘূর্ণাবর্ত ঘনীভূত হয়ে বঙ্গোপসাগরের দিকে আসছে। আগামিকাল মধ্য বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরির প্রবল সম্ভবনা। এই নিম্নচাপ শক্তি বাড়িয়ে ধেয়ে আসবে ওড়িশা উপকূলের দিকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cyclone Dana: ধেয়ে আসছে ঘুর্ণিঝড় ‘দানা’, কোন দেশ দিয়েছে এই নাম? কীভাবে হয় নামকরণ?

    Cyclone Dana: ধেয়ে আসছে ঘুর্ণিঝড় ‘দানা’, কোন দেশ দিয়েছে এই নাম? কীভাবে হয় নামকরণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আলোর উৎসবে মাততে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন রাজ্যবাসী। এই আবহের মধ্যে রাজ্যের দিকে ধেয়ে আসছে ঘুর্ণিঝড় ‘দানা’ (Cyclone Dana)। ২৩ তারিখ শক্তি বাড়িয়ে পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় (Cyclone Dana) তৈরি হবে। ২৪ তারিখ সকালে পশ্চিমবঙ্গ উপকূল এবং ওড়িশা উপকূলের কাছাকাছি চলে আসবে (Cyclone Alert) ।

    কীভাবে হয় ঝড়ের নামকরণ? (Cyclone Dana)

    সাগরে নিম্নচাপের সময় বাতাসের প্রচণ্ড ঘূর্ণায়মান গতির ফলে সংঘটিত বায়ুমণ্ডলীয় উত্তাল অবস্থাকে সংক্ষেপে ঘূর্ণিঝড় বলা হয়। বাতাসের এই একটানা ঘূর্ণায়মান গতি যখন একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় পৌঁছায়, তখনই এর নামকরণ করা হয়। আটলান্টিক মহাসাগর ও এর আশপাশের অঞ্চলে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটারে উঠে গেলে নিম্নচাপ ঝড়ে পরিণত হয়। আর এ সময়ই ঘূর্ণিঝড়টিকে একটি নাম দিয়ে চিহ্নিত করা হয়। Q, U, X, Y ও Z- ইংরেজি বর্ণমালার এই ৫টি অক্ষর বাদ দিয়ে বাকি ২১টি অক্ষর ব্যবহার করে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হয়। এগুলো সাধারণত এক বছরের জন্য পর্যায়ক্রমিকভাবে করা হয়। তবে, কোনও বছর যদি ২১টির বেশি ঘূর্ণিঝড় দেখা দেয়, তবে নামগুলির সঙ্গে গ্রিক বর্ণমালা যুক্ত করা হয়। নামকরণের পদ্ধতি অঞ্চলভেদে পরিবর্তিত হয় (Cyclone Dana)।

    আরও পড়ুন: দিল্লি বিস্ফোরণে খালিস্তানি যোগ? সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল পোস্ট, চলছে তদন্ত

    ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করে কারা?

    বিশ্ব আবহাওয়া (Cyclone Alert) সংস্থা আঞ্চলিক কমিটির অধীনে মোট ৫টি আঞ্চলিক সংস্থা তাদের স্ব-অঞ্চলের ঘূর্ণিঝড়গুলির নামকরণ করে। এগুলি হলো- ইএসসিএপি (ইকনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিক) বা ডব্লিউএমও (বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা) টাইফুন কমিটি, ডব্লিউএমও বা ইএসসিএপি প্যানেল অন ট্রপিক্যাল সাইক্লোন, আরএ (রেজিওনাল অ্যাসোসিয়েশন) ট্রপিক্যাল সাইক্লোন কমিটি, আরএ-৪ হারিকেন কমিটি, আরএ-৫ ট্রপিক্যাল সাইক্লোন কমিটি। ভারত মহাসাগরের ঝড়গুলির (Cyclone Dana) নামকরণ করে ১৩টি দেশ। সেগুলি হচ্ছে- বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, মায়নমার, মলদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, তাইল্যান্ড, ওমান, ইরান, সৌদি আরব, ইয়েমেন, সংযুক্ত আরব আমিশাহি ও কাতার। ডব্লিউএমওর অংশ হিসেবে উত্তর ভারতীয় ঘূর্ণিঝড়গুলির নামকরণ করে থাকে- আরএসএমসি, ট্রপিক্যাল সাইক্লোন ওয়ার্নিং সিস্টেমস (টিসিডব্লিউএস) ও ভারতের আবহাওয়া দফতর(আই.এমডি)। এই ঘূর্ণিঝড়টির নাম দেওয়া হয়েছে- ‘দানা’ (Cyclone Dana)। এই ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করেছে কাতার। এই ‘দানা’ (শব্দভেদে ডানা)-নামের অর্থ মুক্ত (Free)।

    কেন নামকরণ?

    ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone Dana) নামকরণের পিছনে মূল কারণ সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে জনসাধারণের সতর্কতা। এই উদ্দেশ্যকে কেন্দ্র করে বাতাসের গতিবিধি ও আসন্ন দুর্যোগ নিয়ে গবেষণা করা হয়ে থাকে। এই গবেষণায় ঝড়ের তীব্রতা এবং একাধিক ঝড়ের মধ্যে তুলনামুলক বিশ্লেষণে প্রত্যক্ষভাবে সাহায্য করে এগুলোর নামকরণ। হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৪ তারিখ উপকূল এর হাওয়ার গতিবেগ থাকবে সম্ভাব্য ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার। সেটা বেড়ে ১২০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়ও হতে পারে। সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়ার গতিবেগ পৌঁছতে পারে ১৩৫ কিমিতে (Cyclone Alert) ।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: ঝড়ের গতিবেগ ১৩৫ কিমি! কালীপুজোর আগে ধেয়ে আসছে সাইক্লোন ‘দানা’

    Weather Update: ঝড়ের গতিবেগ ১৩৫ কিমি! কালীপুজোর আগে ধেয়ে আসছে সাইক্লোন ‘দানা’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালী পুজোর আগেই রাজ্যের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়! সমুদ্রে ঘণ্টায় ১৩৫ কিলোমিটার বেগে ঝড় বইতে পারে! হাওয়া অফিস (Weather Update) সূত্রে জানা গিয়েছে, বঙ্গোপসাগরের ওপর নিম্নচাপ শক্তি বৃদ্ধি করে গভীর নিম্নচাপ এবং পরে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে চলেছে। ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone Dana) নাম রাখা হয়েছে ‘দানা’। এই নামটি দিয়েছে কাতার। এর জেরে রাজ্যের একাধিক জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

    সমুদ্রে নিষেধাজ্ঞা (Weather Update)

    আলিপুর আবহাওয়া (Weather Update) দফতরের আবহবিদ সৌরিশ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আন্দামান সাগরের কাছে যে ঘূর্ণাবর্তটি রয়েছে আগামী ২৪ ঘণ্টায় তা নিম্নচাপে পরিণত হবে। অবস্থান পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন উত্তর আন্দামান সাগরের কাছে। এরপর এই ঘূর্ণাবর্তটি আরও শক্তি বাড়িয়ে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোবে। ২২ অক্টোবর গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। এরপর ২৩ অক্টোবর তা শক্তি বাড়িয়ে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হবে। এর অভিমুখ থাকবে উত্তর-পশ্চিম দিকে। ২৪ অক্টোবর সকালে পশ্চিমবঙ্গ উপকূল এবং ওড়িশা উপকূলে কাছে আসবে ঘূর্ণিঝড়টি।’’ সোমবার থেকেই মৎসজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।

    আরও পড়ুন: দিল্লি বিস্ফোরণে খালিস্তানি যোগ? সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল পোস্ট, চলছে তদন্ত

    ঝড়ের গতিবেগ কত?

    আলিপুর আবহাওয়া (Weather Update) দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, নিম্নচাপ পরিস্থিতির কারণে ২০ থেকে ২৩ অক্টোবর আন্দামান সাগর এবং সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে ঝোড়ো আবহাওয়া থাকবে। হাওয়ার গতি হতে পারে ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৭৫ কিলোমিটার পর্যন্ত। ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়ে গেলে বৃহস্পতিবার উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১২০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বইতে পারে। ঝোড়ো হাওয়ার বেগ উঠতে পারে ১৩৫ কিলোমিটার পর্যন্ত। ওই সময়ে সমুদ্র উত্তাল থাকবে উপকূলের কাছে। আগামী ২৪ তারিখ উপকূলবর্তী এলাকায় হাওয়ার সাম্ভাব্য গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার।

    দক্ষিণবঙ্গে কেমন প্রভাব?

    রবিবার ও সোমবার দক্ষিণবঙ্গে (Weather Update) বৃষ্টিপাতের কোনও সম্ভাবনা নেই। মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবরে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বুধবার, ২৩ অক্টোবর উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে এর প্রভাব বেশি থাকবে। বিশেষ করে দুই ২৪ পরগনা ও দুই মেদনীপুরে ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বাকি জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। বৃহস্পতিবার এই ঘূর্ণিঝড়ের সরাসরি প্রভাব পড়বে উপকূলের জেলাগুলিতে। এই জেলাগুলিতেভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়াঅফিস। বৃহস্পতিবার কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা ও ঝাড়গ্রামে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। শুক্রবারও ভারী বৃষ্টিপাত হবে দক্ষিণবঙ্গের উপকূলের জেলাগুলিতে। কলকাতাতে ২৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

    উত্তরবঙ্গেও বৃষ্টি

    উত্তরবঙ্গেও (Weather Update) বৃষ্টি হতে পারে। বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ি, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদা বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। তবে, আলিপুর আবহাওয়া দফতরের আবহবিদের দাবি, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব দক্ষিণবঙ্গের উপর সেভাবে নেই। তবে, ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফলের নির্দিষ্ট স্থান এবং সময় এখনই বলা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Shreya Ghoshal: কনসার্টেই আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ, গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কেও শ্রদ্ধা শ্রেয়া ঘোষালের

    Shreya Ghoshal: কনসার্টেই আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ, গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কেও শ্রদ্ধা শ্রেয়া ঘোষালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতার মঞ্চে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে কণ্ঠ ছাড়লেন সঙ্গীতশিল্পী তথা বাংলার মেয়ে শ্রেয়া ঘোষাল। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম যখন প্রায় ভর্তি, সেই সময় শ্রেয়া গাইলেন, ‘এ যে শরীরের চিৎকার, জাগে ভাঙনের শব্দে … তুমি বন্ধু আজ শুনবে…।’ গান শেষ করে নিঃশব্দে মঞ্চ ছাড়লেন শ্রেয়া। তখন ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগানে মুখর নেতাজি ইন্ডোর। কারও চোখে জল বা গলায় প্রতিবাদের সুর। তবে শুধু প্রতিবাদ নয় এদিন ‘ঘুম ঘুম চাঁদ, ঝিকিমিকি তারা’ গেয়ে গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কেও ট্রিবিউট দেন শ্রেয়া।

    কেউ হাততালি দেবেন না

    আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার প্রতিবাদে কলকাতার কনসার্ট পিছিয়ে দিয়েছিলেন সঙ্গীতশিল্পী শ্রেয়া ঘোষাল। সেপ্টেম্বরের বদলে কনসার্ট হল ১৯ অক্টোবর। শ্রেয়া এলেন, তত দিনে প্রায় ৭০ দিন পেরিয়ে গিয়েছে এই ঘটনার। রাজপথে অনশনে জুনিয়র চিকিৎসকেরা। বিচারের দাবিতে অটল তাঁরা। এ সবের মাঝেই ফের তিলোত্তমায় দাঁড়িয়ে ‘তিলোত্তমার’হয়ে গান ধরলেন শ্রেয়া। এই গান গাওয়ার আগে কাউকে হাততালি দিতে বারণ করেন শ্রেয়া। জানান, সেটি আরজি করের প্রতিবাদের জন্য তৈরি গান। এই গান উচ্ছ্বাসের জন্য নয়, উদ্দিপনার জন্য নয়। গান শেষ করেই মঞ্চ থেকে নেমে যান। গান গাওয়ার আগে শ্রেয়া বলেন, ”এর পরের গানে কেউ হাততালি দেবেন না। শুধু শুনুন।” শ্রেয়ার মঞ্চ ছাড়ার সময় ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগানে মুখর নেতাজি ইন্ডোর। 

    শ্রেয়ার এই প্রতিবাদ দেখে মুগ্ধ নেটিজেনরা

    হাততালি না পেলেও শ্রেয়ার এই গান প্রশংসিত হয়। ক্ষণিকের মধ্যেই শো-এর ভিডিও ভাইরাল হয় নেট দুনিয়ায়। শ্রেয়ার এই প্রতিবাদ দেখে মুগ্ধ নেটিজেনরা লিখছেন, ‘এমন প্রতিবাদের নজির আগে কখনও দেখেনি শহর কলকাতা। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম তখন দর্শকে ছয়লাপ। এতবছর ধরে প্রতিটা কনসার্টেই সর্বশেষ গান হিসেবে ‘মেরে ঢোলনা’ গেয়ে এসেছেন তিনি। কিন্তু এবার তা হলো না। মেরে ঢোলনা গাওয়া শেষ করে শ্রেয়া বললেন, এর পরের গানে কেউ হাততালি দেবেন না। শুধু শুনুন।’ এক নেটিজেন লিখলেন, ‘তিলোত্তমার বুকে প্রতিবাদের স্বরকে তীব্রতর হতে দেখলাম আজ। বেঁচে থাক শ্রেয়া আর ওঁর সঙ্গীত সাধনা।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Junior Doctors: মুখ্যমন্ত্রীর শর্ত না মেনেই নবান্নের বৈঠকে জুনিয়র ডাক্তাররা, সরকারকে দিলেন হুঙ্কার

    Junior Doctors: মুখ্যমন্ত্রীর শর্ত না মেনেই নবান্নের বৈঠকে জুনিয়র ডাক্তাররা, সরকারকে দিলেন হুঙ্কার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ সোমবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক রয়েছে জুনিয়র ডাক্তারদের (Junior Doctors)। তার আগে গতকাল রবিবারই ধর্মতলায় হল চিৎকার সমাবেশ। সেখানে অজস্র সাধারণ মানুষকে ভিড় করতে দেখা গেল। জুনিয়র ডাক্তাররা এখান থেকে ফের একবার ‘হুঙ্কার’ দিলেন। তাঁরা বললেন, “নবান্ন (Nabanna) থেকে দাবি ছিনিয়ে আনতে পারবই।” মমতা সরকারের প্রতি বার্তা দিয়ে তাঁরা জানিয়ে দিলেন, মৌখিক আশ্বাসে তাঁরা কোনওভাবেই অনশন তুলবেন না। প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী বার্তা দিয়েছিলেন, অনশন তুললে তবেই হবে বৈঠক। তবে সে শর্ত মানছেন না জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁরা অনশন তোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পরেই।

    কী বলছেন দেবাশিস হালদার?

    গতকাল চিৎকার সমাবেশ (Junior Doctors) থেকে জুনিয়র ডাক্তার দেবাশিস হালদার বলেন, “ন্যায়বিচারের দাবির চিৎকার যাতে মুখ্যমন্ত্রীর কান পর্যন্ত পৌঁছয়, সেজন্য এই মহাসমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছিল। আমাদের সহযোদ্ধাদের অনশন আর আপনাদের প্রত্যেকের যে সমর্থন, তা সরকারের কানে পৌঁছাতে পারব। আর আমাদের যে ন্যায়বিচারের দাবি, সেটা ছিনিয়ে আনতে পারবই।” তিনি আরও বলেন, “আমরা আপনাদের জোরে চলছি। আমাদের শরীর আর দিচ্ছে না।” সোমবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন জানিয়ে তিনি বলেন, “নবান্নে (Nabanna) যাব। লিখিত নির্দেশ ছিনিয়ে আনব।”

    সোমবার বৈঠক নবান্নে

    সোমবার বিকেলে জুনিয়র ডাক্তারদের (Junior Doctors) সময় দেন মমতা। মুখ্যসচিব এরপরে তাঁদের ইমেলে জানিয়ে দেন, সোমবার বিকেল ৫টায় নবান্নে বৈঠক হবে। এরজন্য ৪৫ মিনিট সময় দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। বিকাল সাড়ে ৪টের মধ্যেই জুনিয়র ডাক্তারদের ১০ জন প্রতিনিধিকে নবান্নে পৌঁছে যেতে হবে। কারা যাবেন, সেই ১০ প্রতিনিধির নাম আগে ইমেল করে জানাতে বলা হয়। মুখ্যসচিবের এই ইমেলে ‘শর্ত’ দেওয়া হয়। বলা হয়, অনশন তুলে নিলে তবেই সোমবার মমতা ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। ইমেলের জবাব দেওয়ার আগে দীর্ঘ বৈঠক করেন ডাক্তাররা। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয়, অনশন তোলার পরে আলোচনা হবে না, বরং নবান্নে বৈঠকের পরেই এবিষয়ে সিদ্ধান্ত (Junior Doctors) নেওয়া হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: দুয়ারে উপনির্বাচন, রাজ্যের পাঁচ জেলায় আবাস যোজনার সমীক্ষা বন্ধের আর্জি বিজেপির

    BJP: দুয়ারে উপনির্বাচন, রাজ্যের পাঁচ জেলায় আবাস যোজনার সমীক্ষা বন্ধের আর্জি বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুয়ারে উপনির্বাচন। রাজ্যের পাঁচ জেলার ৬ বিধানসভা কেন্দ্রে হবে নির্বাচন। তার ঠিক আগে আগেই আবাস যোজনার (Awas Yojana) সমীক্ষার শুরু করতে চলেছে রাজ্য সরকার। সমীক্ষার কাজ হওয়ার কথা ২১ অক্টোবর, চলবে এ মাসেরই ৩০ তারিখ পর্যন্ত। এহেন পরিস্থিতিতে যে পাঁচ জেলায় নির্বাচন, সেই জেলাগুলিতে আবাস যোজনার সমীক্ষা বন্ধ রাখার আর্জি জানিয়ে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক ও মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে চিঠি দিল বিজেপি (BJP )।

    দুয়ারে উপনির্বাচন (BJP)

    প্রকল্পের নাম প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা। অভিযোগ, সেই প্রকল্পেরই নাম বদলে বাংলা আবাস যোজনা করেছে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকার। সোমবার, ২১ অক্টোবর থেকে শুরু হবে এই যোজনায় সমীক্ষার কাজ। রাজ্যের প্রতিটি জেলায়ই সমীক্ষা করবেন সমীক্ষকরা। অথচ ১৩ নভেম্বর উপনির্বাচন রয়েছে রাজ্যের পাঁচ জেলার ছটি বিধানসভা কেন্দ্রে। এই কেন্দ্রগুলি হল নৈহাটি, হাড়োয়া, মেদিনীপুর, তালডাংরা, মাদারিহাট এবং সিতাই। এই ছয় কেন্দ্র যে জেলাগুলির মধ্যে পড়ে সেগুলি হল, উত্তর ২৪ পরগনা, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার।

    অকাল নির্বাচন

    ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে এই ছয় কেন্দ্রের বিধায়কই লোকসভায় প্রার্থী হন এবং জয়ী হয়ে সাংসদ হন। সেই কারণেই অকাল নির্বাচনের আয়োজন। লোকসভা নির্বাচনের পর এতদিন হাত গুটিয়ে বসে থাকলেও, উপনির্বাচনের ঢাকে কাঠি পড়তেই রাজ্য সরকার আবাস যোজনার সমীক্ষার কাজ শুরু করছে বলে অভিযোগ (BJP)। ওই পাঁচ জেলায় আবাস যোজনার সমীক্ষার কাজ আপাতত বন্ধ রাখার আর্জি জানিয়ে নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়েছে বঙ্গ বিজেপি। পদ্ম পার্টির সাফ কথা, এই সমীক্ষার সময় বাড়ি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে সরাসরি ভোটারদের প্রলোভিত করা যাবে। ভোটাররাও প্রলোভিত হবেন। তাই নির্বাচনী আচরণ বিধি মেনে এই সমীক্ষা বন্ধ রাখতে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিক কমিশন।    

    আরও পড়ুন: ১৪৪ বছর পরে মহাকুম্ভ মেলা, প্রয়াগরাজে আঁটসাঁট নিরাপত্তা ব্যবস্থা যোগী সরকারের

    কী বলছেন বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়?

    সমীক্ষা সংক্রান্ত নির্দেশনামা এবং বিজেপির দাবি সম্বলিত চিঠি ইতিমধ্যেই দিল্লিতে পাঠিয়ে দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব। পাল্টা চিঠি দিয়েছে রাজ্য সরকারও। তাদের আর্জি, ওই পাঁচ জেলায় সমীক্ষার কাজ নির্বাচনী বিধি থেকে ছাড় দেওয়া হোক। বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ওই পাঁচ জেলায় সমীক্ষার কাজ আপাতত বন্ধ রাখতে চিঠি দেওয়া হয়েছে কমিশনে। এটি সরাসরি মডেল কোড অফ কন্ডাক্টকে ভায়োলেট করছে। লক্ষাধিক টাকার বাড়ি দেব এই মর্মে সার্ভে (Awas Yojana) করা মানে ভোটারদের প্রভাবিত করা (BJP)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Junior Doctors Protest: “আপনাদের কণ্ঠই আমাদের শক্তি”, এবার ‘চিৎকার সমাবেশ’-এর ডাক জুনিয়র ডাক্তারদের

    Junior Doctors Protest: “আপনাদের কণ্ঠই আমাদের শক্তি”, এবার ‘চিৎকার সমাবেশ’-এর ডাক জুনিয়র ডাক্তারদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার ধর্মতলায় ‘চিৎকার সমাবেশ’(Shout Rally)-এর ডাক দিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা (Junior Doctors Protest)। আন্দোলনে সাধারণ মানুষকে যোগদানের জন্য অনশনমঞ্চের সামনে আহ্বান জানালেন আন্দোলনকারীরা। এদিন বিকেল ৪টে থেকে সমাবেশ হওয়ার কথা। একই ভাবে মুখ্যসচিবের করা ইমেলের জবাব কী দেবেন ডাক্তাররা, সেই দিকেও নজর রেখেছেন সাধারণ মানুষ।

    অনশনমঞ্চে গিয়েছিলেন মুখ্যসচিব (Junior Doctors Protest)

    শনিবার ধর্মতলার অনশনমঞ্চে জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তী, ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় এবং আরও অনেক সরকারি আধিকারিক। তাঁদের মাধ্যমে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফোনে আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর মুখ্যসচিব সোমবার বিকেল ৫টায় নবান্নে বৈঠকে বসার কথা বলেন। কিন্তু তার আগে অনশন তুলে নেওয়ার কথাও বলেন মুখ্যসচিব। মোট ১০ জন সদস্যকে ৪৫ মিনিটের জন্য বৈঠকে ডাকা হবে। ইতিমধ্যে সোমবারের আগে রবিবার ধর্মতলায় অভিনব প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণার কথা জানান আন্দোলনকারীরা।

    বিকেল ৪ টেয় ধর্মতলায় সমাবেশ

    পশ্চিমবঙ্গে জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের (Junior Doctors Protest) তরফে সামজিক মাধ্যমে চিৎকার সমাবেশের ডাক দিয়ে বলা হয়, “আমাদের দাবির কথা ছড়িয়ে পড়ুক চিৎকারের মাধ্যমে। দেখা হবে বিকেল ৪ টেয় ধর্মতলার অনশনমঞ্চে।” যদিও গত শুক্রবার আগেই অনশনমঞ্চ থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করে প্রতিবাদ কর্মসূচির (Shout Rally) কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু সেই সময় নাম দেওয়া হয়নি। ওইদিন সাংবাদিক সম্মেলনে জুনিয়র ডাক্তারদের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, স্নিগ্ধা হাজরা, সায়ন্তনী ঘোষ হাজরা, রুমেলিকা কুমার প্রমুখ। তাঁরা বলেছিলেন, “রবিবার আপনারা এখানে আসুন। আমাদের পাশে একটু দাঁড়ান। আমাদের আশীর্বাদ করুন। আমরা না খেয়ে আছি। আমাদের কণ্ঠ দুর্বল হয়ে পড়েছে। আপনাদের কণ্ঠই আমাদের শক্তি।”

    আরও পড়ুনঃ ১৩ নভেম্বর রাজ্যে উপনির্বাচন, প্রথম দল হিসেবে ৬ কেন্দ্রেই প্রার্থী ঘোষণা করে দিল বিজেপি

    সোমবার নবান্নে বৈঠক?

    একইভাবে জুনিয়র ডাক্তাররা (Junior Doctors Protest) ঘোষণা করেছিলেন, ১০ দফা দাবি পূরণ না করলে মঙ্গলবার সারা রাজ্য জুড়ে ধর্মঘট ডাকা হবে। জুনিয়র, সিনিয়র সকল ডাক্তার এই ধর্মঘটে অংশগ্রহণ করবেন। সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালেও এর প্রভাব পড়বে। কোনও রোগীর কিছু হলে দায় নিতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকেই। এরপর শনিবার মুখ্যসচিব উপস্থিত হন ধর্মতলায়। তারপর সোমবার নবান্নে বৈঠকের প্রস্তাব দেন। বিকেল চারটের মধ্যে নবান্নে পৌঁছানোর কথা বলেন। কোন কোন আন্দোলনকারীরা (Shout Rally) যাবেন, তাঁদের নাম আগেই জানাতে বলা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: ১৩ নভেম্বর রাজ্যে উপনির্বাচন, প্রথম দল হিসেবে ৬ কেন্দ্রেই প্রার্থী ঘোষণা করে দিল বিজেপি

    BJP: ১৩ নভেম্বর রাজ্যে উপনির্বাচন, প্রথম দল হিসেবে ৬ কেন্দ্রেই প্রার্থী ঘোষণা করে দিল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপনির্বাচনে প্রার্থী ঘোষণায় শাসক দল তৃণমূলকে টেক্কা দিল বিজেপি (BJP)। শনিবার রাতেই রাজ্যের ছয় আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে গেরুয়া শিবির (BJP)। অনেকের মতে, রাজ্যে মমতা সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ চরমে, আরজি কর ইস্যুতে উত্তাল হয়েছে বাংলা-এই আবহে সব চেয়ে আগে প্রার্থী ঘোষণা করে প্রচারে ঝড় তুলতে চাইছে বিজেপি। নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী, এই ৬ আসনে ১৩ নভেম্বর ভোটগ্রহণ হবে। সর্বত্রই গণনা হবে ২৩ নভেম্বর।

    বিজেপির (BJP) প্রার্থী তালিকা

    কোচবিহারের সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি (BJP) প্রার্থী হয়েছেন দীপককুমার রায়। মাদারিহাট কেন্দ্রে গেরুয়া শিবিরের প্রার্থী রাহুল লোহার। নৈহাটিতে প্রার্থী করা হয়েছে রূপক মিত্রকে। হাড়োয়া বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী বিমল দাস। মেদিনীপুরে বিজেপির (BJP) টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন শুভজিৎ রায়। তালড্যাংরা কেন্দ্রে প্রার্থী করা হয়েছে অনন্যা রায় চক্রবর্তীকে। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলা নেতৃত্ব যে নাম পাঠায়, তাতেই অনুমোদন দেয় রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। স্থানীয় ভূমিপুত্র বা ভূমিকন্যাদেরই প্রার্থী করা (West Bengal) হয়েছে।

    আরও পড়ুন: মিলবে একাধিক সুবিধা থেকে পৌরাণিক জ্ঞান, জানুন মহাকুম্ভের ৩০ রত্নদ্বার সম্পর্কে

    ৬ কেন্দ্রের বিধায়করা সাংসদ হন

    প্রসঙ্গত, মাদারিহাটের বিধায়ক মনোজ টিগ্গা সাংসদ হওয়ায় সেই আসনে ভোটগ্রহণ হবে। অন্যদিকে, কোচবিহারের সিতাই আসন ছেড়ে তৃণমূলের সাংসদ হয়েছেন জগদীশচন্দ্র বর্মা বাসুনিয়া, সেখানেও ভোট হচ্ছে। নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক বর্তমানে বারাকপুরের সাংসদ হয়েছেন। মেদিনীপুর এবং তালড্যাংড়া আসন এখনও শূন্য রয়েছে (West Bengal) যথাক্রমে জুন মালিয়া এবং অরূপ চক্রবর্তী সাংসদ হওয়ায়। এই ছয় আসনের বিধায়করা গত লোকসভা নির্বাচনে সাংসদ হয়েছেন। এর মধ্যে বসিরহাটের সাংসদ হাজি নুরুল ইসলামের সম্প্রতি মৃত্যু হয়েছে। হাড়োয়া আসনের বিধায়ক পদ ছেড়ে তিনি সাংসদ হন। হাড়োয়াতেও তাই উপনির্বাচন হচ্ছে। তবে বসিরহাট লোকসভা আসনে এখনই (BJP) ভোটগ্রহণ হচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Junior Doctor: ‘‘আমাদের দাবি নিয়ে স্পষ্ট ধারণা নেই মুখ্যমন্ত্রীর’’, প্রতিক্রিয়া অনশনকারী ডাক্তারদের

    Junior Doctor: ‘‘আমাদের দাবি নিয়ে স্পষ্ট ধারণা নেই মুখ্যমন্ত্রীর’’, প্রতিক্রিয়া অনশনকারী ডাক্তারদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রীর বার্তায়ও গলছে না বরফ? ‘মুখ্যমন্ত্রীর ফোন-বার্তা অনভিপ্রেত মনে হয়েছে’, প্রতিক্রিয়া জুনিয়র ডাক্তারদের (Junior Doctor)। বললেন, ‘উনি কোথাও না কোথাও ধৈর্য হারাচ্ছেন বলে মনে হচ্ছে। দাবি নিয়ে স্পষ্ট ধারণা নেই, মনে হচ্ছে’। ফলে, অনশন চালিয়ে যাবেন জুনিয়র ডাক্তাররা।

    দাবি নিয়ে স্পষ্ট ধারণা নেই মুখ্যমন্ত্রীর (Junior Doctor)

    আরজি করকাণ্ডে (RG Kar) বিচার সহ ১০ দফা দাবিতে ১৫ দিন ধরে ধর্মতলায় অনশন করছেন জুনিয়র ডাক্তাররা (Junior Doctor)। এখানে ৭ জন এবং উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে একজন অনশন করছেন। শুক্রবার সিনিয়রদের সঙ্গে বৈঠকের পর রাজ্য সরকারকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে ডেডলাইন বেঁধে দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁদের দাবি, সোমবারের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীকে আলোচনায় বসতে হবে এবং সব দাবি মেনে নিতে হবে। দাবি না মানলে মঙ্গলবার সরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এরপরই শনিবার অনশন মঞ্চে যান স্বরাষ্ট্রসচিব এবং মুখ্যসচিব। সেখানেই ফোনে অনশন তুলে নেওয়ার বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার নবান্নে বৈঠকের ডাক মুখ্যমন্ত্রীর। মুখ্যমন্ত্রীর আবেদনে সাড়া দিয়েছেন। আন্দোলনকারীরা বলেন, “আমরা কাজে ফিরতে চাই, আমাদের ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়া হোক। আমাদের দাবি পূরণ না হলে অনশন চলবে। জটিলতার দ্রুত সমাধান আমরা চাই। আমাদের দাবি নিয়ে স্পষ্ট ধারণা নেই মুখ্যমন্ত্রীর। আমরা এখনও ন্যায়বিচার পাইনি। মনে হচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রী কোথাও কোথাও ধৈর্য হারাচ্ছেন। সোমবার আমরা নবান্নে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করব”।

    আরও পড়ুন: রানিমার সঙ্গে কৃষ্ণনগরের নির্যাতিতার বাড়িতে শুভেন্দু, দিলেন আইনি সাহায্যের প্রতিশ্রুতি

    অনশনকে খাটো করে দেখা হচ্ছে

    অনশনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা (Junior Doctor) এও বলেন, “আমরা মনোক্ষুণ্ণ হলেও মুখ্যমন্ত্রীকে অভিভাবক হিসেবেই দেখি। আমাদের ১০ দফা দাবির কথা উনি স্পষ্টভাবে জানেন না। এতদিন পর কেন শুনতে হল, মুখ্যমন্ত্রী আমাদের দাবির কথা জানেন না? তাহলে কি আমাদের দাবির কথা মুখ্যমন্ত্রীর কানে পৌঁছয়নি? আমদের বলা হচ্ছে, কাজে ফিরছি না কেন? রাজ্য জুড়ে সব জায়গায় পরিষেবা দেওয়া হয়েছে। আমাদের অনশনকে খাটো করে দেখা হচ্ছে।”

    মুখ্যমন্ত্রী কী বললেন?

    এদিন মুখ্যমন্ত্রী ফোনে অনশনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের (Junior Doctor) বলেন, “৩-৪ মাস সময় দিন, মেডিক্যাল কলেজগুলিতে নির্বাচন করব। মেডিক্যাল পরীক্ষা যাতে সঠিক ভাবে হয়, তার জন্য কঠোর পদক্ষেপ করা হবে। যতটুকু করা সম্ভব, কথা দিচ্ছি নিশ্চয় করব। সরকারি হাসপাতাল পরিষেবা না দিলে মানুষ কোথায় যাবে? দিদি হিসেবে বলছি, আপনাদের ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়া হবে। আপনারা অনশন তুলে দয়া করে কাজে যোগ দিন”।

    মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা নিয়ে কী বললেন আন্দোলনকারীরা?

    আন্দোলনকারীরা (Junior Doctor) বলেন, “এতদিনের আমাদের অনুরোধ, আমাদের কাতর আর্তি, এত মানুষের ভুখা পেটের কষ্ট, কোনওটাই কি তাঁর কানে পৌঁছচ্ছে না? আমরা খুব দুঃখ পেয়েছি যখন বলা হয়, তোমরা কাজে ফিরছ না বলে, স্বাস্থ্য পরিষেবায় সমস্যা হচ্ছে। আমরা এখানে (ধর্মতলায়) জুনিয়র ডাক্তার অনশন করছে ৭ জন। উত্তরবঙ্গে আছে ১ জন। আমরা ঘোষিতভাবে কর্মবিরতি কিন্তু তুলে নিয়েছি। সবকটি সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যান, সব জায়গায় চিকিৎসা হচ্ছে। জরুরি পরিষেবা চলছে, অপারেশন হচ্ছে।  আমাদের কোথাও গিয়ে মনে হচ্ছে, এভাবে যে বারবার বলা হচ্ছে, কাজে ফিরতে ওরা হয় জানে না সরকারি হাসপাতালগুলি চলছে, অথবা আমাদের অনশনের কোনও মূল্যই নেই”।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share