Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Ration Scam: রেশনকাণ্ডে চতুর্থ গ্রেফতার, ইডি-র জালে শঙ্কর-ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ

    Ration Scam: রেশনকাণ্ডে চতুর্থ গ্রেফতার, ইডি-র জালে শঙ্কর-ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন ‘দুর্নীতি’ মামলায় (Ration Scam) আরও একজনকে গ্রেফতার করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। বুধবার সকালে বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান ‘ডাকু’ শঙ্কর আঢ্যর ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ দাসকে গ্রেফতার করেছে ইডি (ED Arrests Businessman)। এই নিয়ে রেশনকাণ্ডে মোট গ্রেফতারির সংখ্যা দাঁড়াল চার। এর আগে গ্রেফতার হয়েছেন ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমান। ইডি গ্রেফতার করেছে রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ওরফে বালুকে। তাঁর সূত্রে ধরে ধরা হয় বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্য ওরফে ডাকুকে। এ বার শঙ্করের ঘনিষ্ঠ এক ব্যবসায়ীকে ধরল ইডি। 

    রাতভর জেরার পর গ্রেফতার

    মঙ্গলবার সকাল ৭টা নাগাদ, সল্টলেকে বিশ্বজিতের প্রাসাদোপম বাড়িতে হানা দিয়েছিল ইডি। একইসঙ্গে মেট্রোপলিটন এলাকায় তাঁর আরও একটি ফ্ল্যাট, বাগুইআটির অফিস-সহ ৬টি জায়গায় চলে তল্লাশি। তবে তখন ব্যবসায়ী কলকাতার বাইরে ছিলেন। বিকেলে বিমানে কলকাতা পৌঁছলে তাঁকে বিমানবন্দরেই আটক করেন ইডির গোয়েন্দারা (Ration Scam)। নিয়ে যাওয়া হয় বাড়িতে। রাতভর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। তদন্তকারীদের দাবি, বিভ্রান্তিকর জবাব দিয়ে তদন্তকে বিপথে চালনা করার চেষ্টা করছিলেন বিশ্বজিৎ। এমনকী তথ্য গোপন করেন তিনি। এর পরই, তদন্তে অসহযোগিতা এবং বক্তব্যে অসঙ্গতি থাকার জেরে এদিন সকালে গ্রেফতার (ED Arrests Businessman) করা হয়েছে ব্যবসায়ীকে। সেই সঙ্গে ধৃত ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ হাওয়ালা-সংক্রান্ত নথি উদ্ধার হয়েছে বলেও দাবি তদন্তকারী সংস্থার। 

    কীভাবে হত টাকা-পাচার?

    শঙ্করকে গ্রেফতারের পর আদালতে ইডি জানিয়েছিল, ৯০টির বেশি ফরেক্স বা বিদেশি মুদ্রা লেনদেনের সংস্থা রয়েছে শঙ্কর এবং তাঁর পরিবারের। ওই সংস্থাগুলির মাধ্যমে ২০ হাজার কোটি টাকা তিনি বিদেশে লেনদেন করা হয়েছে। ইডি গোয়েন্দারা জানিয়েছিলেন, মধ‌্যপ্রাচ‌্য থেকে মূলত বাংলাদেশ হয়ে পাচার হওয়া সোনার বিস্কুট বা সোনার বাটের একটি বড় অংশ এসে পৌঁছয় উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ ও তার আশপাশের অঞ্চলে (Ration Scam)। ওই সোনা পাচারের অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ ছিল শঙ্কর আঢ‌্যর হাতে। অভিযোগ, সোনা পাচারকারীদের মাধ‌্যমে শঙ্করই বনগাঁ থেকে ওই সোনা কখনও ট্রেন, আবার কখনও বা সড়কপথে পাচার করতেন কলকাতায়। সেই সোনা তাঁরই এক আত্মীয়ের লোকজন কলকাতায় বসে নিতেন।

    বিশ্বজিতের ভূমিকা ঠিক কী?

    গোয়েন্দা আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, শঙ্কর ঘনিষ্ঠ বিশ্বজিতের (ED Arrests Businessman) বিদেশি মুদ্রা কেনাবেচার ব্যবসা রয়েছে, সোনার ব্যবসা রয়েছে, এছাড়াও এক্সপোর্ট ইমপোর্ট সংস্থা রয়েছে। ইডির অভিযোগ, মোটা কমিশনের বিনিময়ে এই ব্যবসায়ী শংকর আঢ্যকে কালো টাকা সাদা করতে সাহায্য করেছেন। বিদেশি মুদ্রার সংস্থার মাধ্যমে শঙ্করের কালো টাকা বিদেশে পাচার করেছেন তিনি। ভুয়ো আমদানি দেখিয়ে কালো টাকা সাদা করেছেন। জানা গিয়েছে, আজই বিশ্বজিৎ দাসকে হেফাজতে চেয়ে আদালতে পেশ করবে তারা (Ration Scam)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Justice Abhijit Ganguly: “আমি ক্রুদ্ধ এবং ক্ষুব্ধ”, সন্দেশখালিকাণ্ডে প্রতিক্রিয়া বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    Justice Abhijit Ganguly: “আমি ক্রুদ্ধ এবং ক্ষুব্ধ”, সন্দেশখালিকাণ্ডে প্রতিক্রিয়া বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমি ক্রুদ্ধ এবং ক্ষুব্ধ। কিন্তু আপাতত মুখ বন্ধ রাখছি।” সন্দেশখালিকাণ্ড প্রসঙ্গে মঙ্গলবার কথাগুলি বললেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে মহিলাদের ওপর নির্যাতনের যে সব অভিযোগ উঠেছে তা শুনে বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। প্রশ্ন তোলেন প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও। তার পরেই তিনি বলেন, “আমি ক্রুদ্ধ এবং ক্ষুব্ধ। কিন্তু আপাতত মুখ বন্ধ রাখছি।”

    কী বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়?

    মঙ্গলবার উত্তর ২৪ পরগনার বারাকপুরে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly) বলেন, “আমি আমার জ্ঞান হওয়া থেকে এসব শুনিনি। যা দেখলাম টিভিতে। যেসব কথা ওঁরা বলছেন – বলা হচ্ছে রাতে ফোন করে ডাকা হত। জোর করে মিটিংয়ে নিয়ে যাওয়া হত।” তিনি বলেন, “বিভিন্ন রাজনৈতিক দল জোর করে মিটিং-মিছিলে নিয়ে যায়। সেটা জানা থাকলেও, রাত্রিবেলা কাউকে পার্টি অফিসে যেতে বলা হচ্ছে, এটা আমার কাছে পরিচিত ঘটনা নয়। আমি ব্যক্তিগতভাবে বলতে পারি, আমি অত্যন্ত ক্রুদ্ধ ও ক্ষুদ্ধ। আপাতত আমি মুখ বন্ধ করেই রেখেছি।”

    পলাতক শেখ শাহজাহান!

    রেশন বণ্টনকাণ্ডে নাম জড়ায় তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের। তাঁর বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে যায় ইডি। সেই সময় ওই তৃণমূল নেতার অনুগামীরা ইডির ওপর চড়াও হয়। ইটের ঘায়ে জখম হন ইডির দুই কর্তা। জখম হন সিআরপিএফের দুই কর্মীও। এর পরেই পালিয়ে যান শাহজাহান।

    আরও পড়ুুন: রাজ্যপালের কনভয়ে অন্য গাড়ি, নেপথ্যে হাত তৃণমূলের শাহজাহানের!

    শনিবার স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ শাহজাহান ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁদের অভিযোগ, স্থানীয় মহিলাদের রাতে ডেকে নিয়ে যাওয়া হত পার্টি অফিসে। না গেলে হুমকি দেওয়া হত। সন্দেশখালির এই ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। মঙ্গলবার দিল্লিতে এ নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। সন্দেশখালির মহিলাদের সঙ্গে কী কী ঘটেছে, তা গোটা দেশের জানা উচিত বলেও মন্তব্য করেছিলেন স্মৃতি। সন্দেশখালি গিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। গিয়েছিলেন রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ও। সন্দেশখালি যাওয়ার পথে বাধার সম্মুখীন হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মহিলা নির্যাতনের প্রসঙ্গে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) প্রশ্ন, “প্রশাসন কি জানত না এমন ঘটনা ঘটছে? নাকি পুলিশ প্রশাসন সব জেনেও চোখ বুজে ছিল?”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Suvendu Adhikari: “সিপিএমের ফেলে যাওয়া চটিতে পা গলিয়েছেন মমতা”, কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “সিপিএমের ফেলে যাওয়া চটিতে পা গলিয়েছেন মমতা”, কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ মঙ্গলবার বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ব্যরাকপুরে আইনজীবী এবং কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচির বাড়িতে গণেশ পুজো উপলক্ষে যান। তিনি বলেন, “মূলত সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এসেছি, কোনও রাজনৈতিকই কারণ নেই। তবে আমরা সংগ্রামী যৌথমঞ্চের পক্ষে থেকে একসঙ্গে দুর্নীতিগ্রস্থ পিসি-ভাইপোর বিরুদ্ধে লড়াই করছি।”

    ঠিক কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    ব্যরাকপুরে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) এই দিন সাংবাদিকদের বলেন, “ব্যক্তিগত আমন্ত্রণে এসেছি কৌস্তভের বাড়িতে। তবে পিসি-ভাইপো যেখানে, কৌস্তভ নেই সেখানে। এখন কংগ্রেস, মমতা-অভিষেকের কাছে আত্ম সমর্পণ করেছে। তাই সেখানে কৌস্তভ নেই। বাকিটা তাঁকেই ঠিক করতে হবে। আগামী সময়ে বলবে কী হবে। চোরেদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী মুখের মধ্যে অন্যতম মুখ হলেন কৌস্তভ। বাংলাকে বাঁচাতে হলে একমাত্র বিকল্প হল বিজেপি। সিপিএম-কংগ্রেস, তৃণমূলের সঙ্গে জোট করেছে। দেশে মোদির বিকল্প কিছুই নেই। মহারাষ্ট্রের কংগ্রেসের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নিজে কংগ্রেস ত্যাগ করেছেন। তিনিও বুঝতে পেড়েছেন বিকল্প একমাত্র বিজেপি। কৌস্তভকেও সিদ্ধান্ত নিতে হবে। রাজনৈতিক সৌজন্য এই রাজ্যে সিপিএম আগেই শেষ করে দিয়েছে, কিন্তু যে টুকু বাকি ছিল তৃণমূল এসে শেষ করে দিয়েছে। কৌস্তভ একজন রাষ্ট্রবাদী সৎ ছেলে এবং দেশপ্রেমী হিসাব পরিচিত।”

    আর কী বললেন?

    এদিন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, “দুর্নীতি গ্রস্থ এই সরকার সকলের ফোন ট্যাপ করে। হোয়াটসঅ্যাপ কল করতে হয় সকলকে। কথা বলা যায় না ইচ্ছে থকালেও। ‘চোর মমতা’র শাসনে রাজনৈতিক সৌজন্য বলে কিছু নেই। অন্য রাজ্যে এমন ঘটনা ঘটে না, কেবলমাত্র এই রাজ্যেই হয়ে থাকে। সিপিএমের ফেলে যাওয়া চটিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পা গলিয়েছেন। সিপিএম যা শুরু করেছিল মুখ্যমন্ত্রী সেই বৃত্ত পূর্ণ করেছেন। এই কালচারের বদল ঘটা দরকার। সরকারের দুর্নীতিগ্রস্থ পরিবার তন্ত্রের বিরুদ্ধে সকলের সঙ্গে আমরা আছি। লক্ষ্য যেহেতু এক, তাই শুধু পুজোতে নয়, রাজনৈতিক মঞ্চেও একসঙ্গে কাজ করব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • NCPCR: পশ্চিমবঙ্গে ব্যাপকহারে বাড়ছে শিশু নির্যাতনের ঘটনা, কেন্দ্রের রিপোর্টে উদ্বেগ

    NCPCR: পশ্চিমবঙ্গে ব্যাপকহারে বাড়ছে শিশু নির্যাতনের ঘটনা, কেন্দ্রের রিপোর্টে উদ্বেগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইদানিং বাংলায় বাড়ছে শিশু নির্যাতনের ঘটনা। শিশুদের সুরক্ষা ও অধিকার নিয়েও বাড়ছে উদ্বেগ। ২০২১ এর এনসিআরবির (NCPCR) ক্রাইম রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে শিশুদের ওপর অত্যাচারের ঘটনা বেড়ে গিয়েছে প্রায় ৩২ শতাংশ। ২০২৪ সালের ২ ফেব্রুয়ারি এনসিপিসিআর যে স্পেশাল রিপোর্ট সংসদে পেশ করেছে, তা থেকে জানা যাচ্ছে বাংলার রাজ্য সরকারের ক্ষেত্রে বারংবার লিগ্যাল প্রসিডিওর লঙ্ঘিত হয়েছে।

    এনসিপিসিআরের রিপোর্ট

    এনসিপিসিআরের (NCPCR) রিপোর্টে বলা হয়েছে, রাজ্যে (বাংলায়) বিভিন্ন সংবেদনশীল বিষয়গুলি যেগুলির সঙ্গে শিশুদের যোগ রয়েছে, সেসব ক্ষেত্রে আইনি কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি অধিকাংশ ক্ষেত্রেই। বিভিন্ন ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে কমিশন এও লক্ষ্য করেছে রাজ্য এবং জেলা প্রশাসন তদন্তের ক্ষেত্রে কোনও সাহায্যই করছে না। শিশুদের অধিকার রক্ষায় আইনি কোনও পদক্ষেপও করছে না।

    কী দেখলেন তদন্তকারীরা?

    কমিশন লক্ষ্য করেছে, শিশুদের ক্ষেত্রে ঘটে চলা অন্যায়ের ক্ষেত্রে বারংবার আইন লঙ্ঘিত হলেও, কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। রাজ্যজুড়ে ঘটে চলা বোমা বিস্ফোরণের ক্ষেত্রে তদন্ত করতে গিয়ে তদন্তকারীরা দেখেছেন ঘটনাগুলির সঙ্গে প্রায় ৪০ নাবালক জড়িত। তদন্তের সময় কমিশন জানতে পারে, কোনও ক্ষেত্রেই লিগ্যাল প্রসিডিওর মেনে চলা হয়নি। এই সব বিস্ফোরণে বিভিন্ন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বোমাগুলিকে বল ভেবে খেলতে গিয়েই ঘটেছে বিপত্তি। মত্যু হয়েছে শিশুগুলির। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলির ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের সঙ্গে কেন্দ্রীয় অথরিটির সমন্বয়ের অভাবও দেখা গিয়েছে অনেক ক্ষেত্রে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘মনে হয় যেন আমারই বাড়ি…’’, আরব আমিরশাহিতে নেমে উচ্ছ্বসিত মোদি

    ২০২২ এর এপ্রিল থেকে ২০২৩ সালের জুলাই পর্যন্ত রাজ্যে ১৭টি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই অকাল মৃত্যু হয়েছে শিশুদের। কমিশনের মতে, প্রতিটি ক্ষেত্রেই পূর্ণাঙ্গ তদন্তে ব্যর্থ হয়েছে রাজ্য সরকার। দোষীরা পেয়ে গিয়েছে ছাড়া। কমিশন (NCPCR) স্বীকার করেছে শিশুরাই সব ক্ষেত্র টার্গেট হয়েছে। নৃশংসতার শিকার হয়েছে তারাই। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর এই ঘটনা বেড়েছে বই কমেনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali Incident: সন্দেশখালির ঘটনায় উদ্বিগ্ন হাইকোর্ট, স্বতঃপ্রণোদিত মামলা গ্রহণ বিচারপতির

    Sandeshkhali Incident: সন্দেশখালির ঘটনায় উদ্বিগ্ন হাইকোর্ট, স্বতঃপ্রণোদিত মামলা গ্রহণ বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির ঘটনায় এবার স্বতঃপ্রণোদিত মামলা গ্রহণ করল কলকাতা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি অপূর্ব সিনহা রায় মামলাটি গ্রহণ করে মন্তব্য করেন, সন্দেশখালিতে যে অভিযোগ উঠেছে তা ভয়াবহ। সন্দেশখালির দুটি বিষয় নিয়ে আদালত খুবই বিচলিত। রাজ্যের পাবলিক প্রসিকিউটার দেবাশিষ রায়কে এই ব্যাপারে পরবর্তী শুনানিতে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। ২০ ফেব্রুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি।

    কী বললেন বিচারপতি

    সন্দেশখালির ঘটনায় বিচারপতি বলেন, ‘‘সন্দেশখালির দু’টি ঘটনায় আমি শিহরিত। প্রথমত, আদিবাসীদের জমি দখলের অভিযোগ। দ্বিতীয়ত, সেখানকার মহিলাদের মাথায় বন্দুকের নল ঠেকিয়ে ধর্ষণ করার মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে আদালত এই মামলা নিচ্ছে।’’ সন্দেশখালি নিয়ে আদালতের হস্তক্ষেপ করার এটিই সঠিক সময় বলেও জানিয়েছেন বিচারপতি। তাঁর কথায়,  ‘‘মানুষ রাতে ঘুমোতে যায় এটা ভেবে যে, মাথার উপর আদালত রয়েছে। এই ঘটনায় হস্তক্ষেপ করার এটাই সঠিক সময়।’’সন্দেশখালির ঘটনার মামলায় আইনজীবী জয়ন্তনারায়ণ চট্টোপাধ্যায়কে আদালতবান্ধব হিসাবে নিয়োগ করেছে আদালত। আগামী শুনানিতে সরকারি আইনজীবী দেবাশিস রায়কে এ বিষয়ে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন বিচারপতি।

    উত্তাল সন্দেশখালি

    বিগত কয়েকদিন ধরে বিজেপি সহ বিরোধী দলগুলি সন্দেশখালির বিষয় নিয়ে লাগাতার বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী বিবৃতি দাবি করার পাশাপাশি ঘটনাস্থলে যাওয়ার চেষ্টা করছে। তবে তাঁরা ঘটনাস্থলে পৌঁছতে ব্যর্থ হয়েছে। সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা জারি থাকায় সেখানে বাইরে থেকে কাউকে ঢুকতে দিচ্ছে না পুলিশ। এই নিয়েও কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়। পুলিশি অতিসক্রিয়তার অভিযোগ তুলে বিজেপি আদালতে দাবি করে, শাসক দলকে সন্দেশখলি যেতে দেওয়া হচ্ছে অথচ বিরোধী কোনও রাজনৈতিক দলকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না, আক্রান্ত কর্মীদের সঙ্গেও দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। পুলিশ পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করছে।

    আরও পড়ুন: ‘‘ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করার অপেক্ষায়…’’, আরব সফরে যাওয়ার আগে বার্তা মোদির

    ক্ষোভ প্রকাশ বিচারপতির

    এদিন সন্দেশখালিকাণ্ড নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশও করেছেন বিচারপতি। আদালতে তিনি বলেন, ‘‘সন্দেশখালিতে যে সব ঘটনা ঘটছে, তা নিয়ে আমি ক্ষুব্ধ। খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। সব রাজনৈতিক দলের প্রতি আমার শ্রদ্ধা রয়েছে। এক জন বিচারপতি হিসাবে স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ গ্রহণ করার আমার যথেষ্ট ক্ষমতা রয়েছে। সেখানে মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে মহিলাদের উপর যৌন নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘অবৈধ উপায়ে আদিবাসীদের জমি নেওয়া হচ্ছে। আমরা জানি, আদিবাসীদের জমি হস্তান্তর হতে পারে না। আইন মোতাবেক, একজন আদিবাসী অন্য আদিবাসীকে জমি হস্তান্তর করতে পারেন।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: মুখ পুড়ল রাজ্যের! সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা বাতিলের নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: মুখ পুড়ল রাজ্যের! সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা বাতিলের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) জারি হওয়া ১৪৪ ধারা বাতিল করার নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। পরিস্থিতি ভালোভাবে টেক কেয়ার করতে হবে বলে পুলিশকে নির্দেশ দিলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। এলাকায় আরও বেশি সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করতে হবে বলেও নির্দেশ আদালতের।

    বিচারপতির পর্যবেক্ষণ

    বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, উত্তেজনাপ্রবণ এলাকা চিহ্নিত করে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। এ ক্ষেত্রে পুরো এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। তাই ১৪৪ ধারা খারিজ করা হল। বিচারপতির আরও পর্যবেক্ষণ, যেহেতু ১৪৪ ধারা খারিজ করা হয়েছে, তাই শুভেন্দুর দায়ের করা মামলাটির আর গ্রহণযোগ্যতা আর নেই। এখন শুভেন্দু সেখানে যেতে পারেন। প্রসঙ্গত, সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) যেতে গিয়ে সোমবার বাধার সম্মুখীন হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এর পরেই হাইকোর্টে (Calcutta High Court) দায়ের করেন মামলা। ১৪৪ ধারা খারিজ হয়ে যাওয়ায় সেই মামলারও নিষ্পত্তি হয়ে গেল।

    কী বললেন বিচারপতি?

    মঙ্গলবার বিচারপতি সেনগুপ্ত বলেন, “একটা-দুটো এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হলে বুঝতাম। আপনারা তো গোটা সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা জারি করে দিয়েছেন। এভাবে ১৪৪ ধারা জারি করা যায় নাকি? এর পরে তো কোনও দিন গোটা কলকাতায় ১৪৪ ধারা জারি করে দেবেন।” বিচারপতি বলেন, “সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) ওঠা অভিযোগ গুরুতর। সেখানে জনজাতিভুক্ত মানুষের জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। মেয়েদের সম্ভ্রম লুট করার অভিযোগ রয়েছে।” এর পরেই ১৪৪ ধারা জারির প্রশাসনিক নির্দেশকে বাতিল ঘোষণা করেন বিচারপতি। তিনি বলেন, “কেন সেখানে (সন্দেশখালিতে) সর্বত্র ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে, তা রাজ্যের ব্যাখ্যা থেকে স্পষ্ট নয়। বিস্তীর্ণ এলাকায় এভাবে ১৪৪ ধারা জারি করা যায় না।”

    আরও পড়ুুন: সুকান্তর এসপি অফিস অভিযান ঘিরে অগ্নিগর্ভ বসিরহাট, লাঠিচার্জ-কাঁদানে গ্যাস

    মামলাকারীর পক্ষে আইনজীবী শামিম আহমেদ বলেন, “সন্দেশখালির (Sandeshkhali) ঘটনা ব্যতিক্রমী। ৩-৪ বছর ধরে অত্যাচারের ঘটনা ঘটছে। কৃষকদের জমি কেড়ে নেওয়া হয়েছে। দিন মজুরদের কাজ করিয়ে টাকা দেওয়া হয়নি। রাতে মহিলাদের ডেকে নিয়ে গিয়ে অত্যাচার করা হয়েছে।” পুলিশ পদক্ষেপ করলেই পরিস্থিতি শান্ত হবে বলে দাবি তাঁর। রাজ্যের উদ্দেশে বিচারপতি সেনগুপ্তের পর্যবেক্ষণ, গত তিন বছর ধরে পুলিশ কোনও অভিযোগ নেয়নি বলে দাবি। এলাকার মহিলারা নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন। এত অভিযোগের পরেও আদালত (Calcutta High Court) চোখ বন্ধ করে থাকতে পারে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Murshidabad: সন্দেশখালিকাণ্ডে বহরমপুরেও নির্বিচারে লাঠিচার্জ পুলিশের, কাঁদানে গ্যাস, রণক্ষেত্র এলাকা

    Murshidabad: সন্দেশখালিকাণ্ডে বহরমপুরেও নির্বিচারে লাঠিচার্জ পুলিশের, কাঁদানে গ্যাস, রণক্ষেত্র এলাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির পর এবার মুর্শিদাবাদেও (Murshidabad) বাম কর্মী-সমর্থকদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটিয়েছে। উল্লেখ্য, আজ বহরমপুরে পুলিশের বিরুদ্ধে আইন অমান্য আন্দোলন ছিল। রাজ্য জুড়ে নারী নির্যাতন এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে এই আন্দলেনের ডাক দিয়েছিল বামেরা। এরপর বামকর্মীরা পুলিশের উপর ইট ছুড়লে খণ্ডযুদ্ধ বাধে। পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দিতে উত্তেজিত কর্মী-সমর্থকদের উপর ব্যাপক লাঠচার্জ করে বলে জানা গিয়েছে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত ওঠে। ইতিমধ্যেই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের লাঠির আঘাতে গুরুতর আহত হন এক ব্যক্তি। জানা গিয়েছে, তিনি পোস্ট অফিসে কাজ করতে গিয়েছিলেন। পুলিশের মারে গুরুতর আহত হয়ে জ্ঞান হারিয়ে রাস্তায় পড়েছিলেন। এরপর তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    দাবি কী ছিল (Murshidabad)?

    শ্রমিক কৃষক খেতমজুরদের পক্ষ থেকে আজ ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে জেলাশাসকের (Murshidabad) দপ্তর অভিযান করা হয়। আইন অমান্য ও জেলভরো আন্দোলনে সামিল হন সিপিএমের সমস্ত সহযোগী দলগুলি। বহরমপুরের পঞ্চাননতলা থেকে মিছিল শুরু হয়ে টেক্সটাইল মোড়ে এসে শেষ হয়। প্রথমে বাধা দেয় বহরমপুর পুলিশ প্রশাসন। এরপর পুরো এলাকাকে ঘিরে ফেলে পুলিশ। মিছিল রুখতেই রীতিমতো শুরু হয় সিপিএম সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি। লাঠিচার্জ করে পুলিশ, তাতে অনেকে আঘাতপ্রাপ্ত হয় বলে জানা গিয়েছে। ছোড়া হয়ে টিআর গ্যাস, মিছিল বাঞ্চাল করাই উদ্দেশ্যে ছিল।

    পূর্ব বর্ধমানে বিক্ষোভ

    সন্দেশখালিকাণ্ডে অভিযুক্ত তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে, প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সরকারকে গ্রেফতারের প্রতিবাদ, বিদুৎ বিল, স্মার্টমিটার বাতিল, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলি বেসরকারিকরণ বন্ধ করা সহ বিভিন্ন দাবিতে আইন অমান্য কর্মসূচি হল বর্ধমানে। পূর্ব বর্ধমান জেলা সি.আই.টি.ইউর আহ্বানে আইন অমান্যের কর্মসূচীর জন্য জিটি রোডে বেশ কয়েকটি ব্যারিকেড গড়ে তোলে পুলিশ প্রশাসন। মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) মতো বর্ধমানেও শ্রমিক সংগঠনের আইন অমান্যের মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। পুলিশ সঙ্গে একপ্রস্ত ধস্তাধস্তি চলে আন্দোলনকারীদের। তারপর বাদামতলার মোড়ে ব্যারিকেডে আটকে পড়ে আন্দোলনকারীরা।সেখানেই পথসভা করা হয় সিটুর পক্ষ থেকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: শহরের আকাশ মেঘলা, সরস্বতী পুজোয় ‘কাঁটা’ বৃষ্টি! কী বলছে আলিপুর?

    Weather Update: শহরের আকাশ মেঘলা, সরস্বতী পুজোয় ‘কাঁটা’ বৃষ্টি! কী বলছে আলিপুর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জোড়া ঘূর্ণাবর্তের জেরে সরস্বতী পুজোয় বৃষ্টির ভ্রূকুটি (Weather Update)। বৃষ্টি হতে চলেছে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের (South Bangal) অধিকাংশ জেলায়। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, বিহারের উপর একটি ঘূর্ণাবর্ত সৃষ্টি হয়েছে যা থেকে প্রচুর পরিমাণ জলীয় বাষ্প এগিয়ে আসছে পশ্চিমবঙ্গের দিকে। তার ফলেই মঙ্গলবার থেকে কলকাতা-সহ দক্ষিণের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি হতে পারে। আজ, মঙ্গলবার সকাল থেকেই শহরের আকাশে মেঘের আনাগোনা। আগামী কয়েকদিন কলকাতার (Kolkata) তাপমাত্রা ১৮ থেকে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যেই ঘোরাফেরা করবে।

    কোথায় কোথায় বৃষ্টি

    মঙ্গলবার পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান ও বীরভূমের বেশ কয়েকটি অংশে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। বুধ এবং বৃহস্পতিবার দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, কলকাতা, হুগলি, হাওড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়াতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। সঙ্গে বজ্রপাতের সম্ভাবনা থাকছে। ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে দমকা ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে বেশ কয়েকটি জেলায়। 

    আরও পড়ুন: বৈদিক নকশা নজরকাড়া! আবু ধাবির সর্ববৃহৎ হিন্দু মন্দিরে মৈত্রীর বার্তা

    বাড়বে তাপমাত্রা

    হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, বৃষ্টির পর বিদায় নিতে পারে শীত। পারদ পতনের আর সম্ভাবনা নেই। সোমবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৮.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিক তাপমাত্রার চেয়ে এক ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা প্রায় দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেয়েছে। সোমবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিক তাপমাত্রার তুলনায় এক ডিগ্রি কম। মঙ্গলবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে থাকতে পারে। আগামী সপ্তাহে তা ৩০ ডিগ্রির ঘরে চলে যাবে ৷ 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • ED Raid in Kolkata: ফিরল বড়ঞার ছবি! ইডি আসতেই পাশের বাড়িতে ফোন ছুড়লেন ব্যবসায়ী

    ED Raid in Kolkata: ফিরল বড়ঞার ছবি! ইডি আসতেই পাশের বাড়িতে ফোন ছুড়লেন ব্যবসায়ী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলার মঙ্গলবার ফের একবার তল্লাশি অভিযানে নামে ইডি (ED Raid in Kolkata)। সকালে সল্টলেক-সহ ছয় জায়গায় হানা দেয় ইডি। এদিনের তল্লাশিতে ফিরে এল বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার ক্রিয়াকলাপের প্রতিচ্ছবি। গত বছরে বড়ঞার তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা হানা দেয়। সে সময়ই নিজের মোবাইল ফোনটি পুকুরে ফেলে দেন বিধায়ক। তা উদ্ধার করতে কালঘাম ছোটে তদন্তকারীদের। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা আসছেন এ খবর পেয়েই নিজের দু’টি মোবাইল পাশের বাড়ির ছাদে ছুড়ে দেন কৈখালির জনৈক ব্যবসায়ী। পরে পাশের বাড়ি থেকে সেই মোবাইল দু’টি উদ্ধার করেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা।

    আর্থিক লেনদেনের প্রমাণ ছিল কি ফোনে?

    কৈখালির ওই ব্যবসায়ী ফোন ছুড়ে ফেলে দেওয়াতে, তদন্তকারী আধিকারিকরা মনে করছেন, দু’টি ফোনে ‘আর্থিক দুর্নীতি’ সংক্রান্ত অনেক তথ্য লুকিয়ে থাকতে পারে। আর সেই কারণেই তড়িঘড়ি প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করা হয়। আপাতত ফোন দু’টি বাজেয়াপ্ত করে সেই ফোনের তথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সাত সকালেই ফের সক্রিয় ইডি। মঙ্গলবার সকাল ৭টা নাগাদ তদন্তকারীরা পৌঁছে যান সল্টলেকের আইবি ব্লকের একটি বাড়িতে। এছাড়াও বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে ইডি আধিকারিকেরা নিউ আলিপুর, পার্ক স্ট্রিট, রাসেল স্ট্রিট, বাগুইহাটি, কৈখালি এলাকার আরও পাঁচটি জায়গায় হানা (ED Raid in Kolkata) দিয়েছেন জানা গিয়েছে। তদন্তকারীদের সঙ্গে রয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরাও।

    এক বিশ্বজিৎ দাসকে খুঁজছে ইডি, কে তিনি?

    সূত্রের খবর, এদিন সকাল ৭টা নাগাদ সল্টলেকে আইবি ব্লকে যেখানে হানা দেয় ইডি-র (ED Raid in Kolkata) দল, তা বিশ্বজিৎ দাস নামে এক ব্যবসায়ীর বাড়ি। জানা গিয়েছে, সেই সময় বিশ্বজিৎ বাড়িতে ছিলেন না। ‘সার্চ ওয়ারেন্ট’ দেখিয়ে বাড়ির ভিতরে ঢোকেন ইডি আধিকারিকেরা। বাড়ি ঘিরে ফেলে কেন্দ্রীয় বাহিনী। খবর পেয়ে পৌঁছে যায় বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ। এদিন বিশ্বজিতের দুটো ফ্ল্যাটে তল্লাশি চলে। তাঁর আমদানি রফতানির ব্যবসা আছে। পাশাপশি ফরেন মানি এক্সচেঞ্জেরও ব্যবসা আছে বলে জানা গিয়েছে। ইডি-র দাবি, এই বিশ্বজিৎ রেশনকাণ্ডে ধৃত শঙ্কর আঢ্যর ঘনিষ্ঠ। এই ব্যবসায়ীর সঙ্গে রেশনকাণ্ডের মাধ্যমে টাকা নয়-ছয় হয়ে থাকতে পারে বলে সন্দেহ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • ED Raid in Kolkata: রেশন দুর্নীতি মামলায় অভিযান ইডির, শহরের ৬ জায়গায় একযোগে হানা

    ED Raid in Kolkata: রেশন দুর্নীতি মামলায় অভিযান ইডির, শহরের ৬ জায়গায় একযোগে হানা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন বণ্টন দুর্নীতি (Ration Scam) মামলায় ফের সক্রিয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED Raid in Kolkata)। মঙ্গলবার সকালে শহরজুড়ে ‘অ্যাকশন’ ইডি-র। বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে শহরের বিভিন্ন জায়গায় একযোগে হানা দেন ইডি আধিকারিকরা। শুরু হয়েছে তল্লাশি-অভিযান। 

    সাত-সকালে দুয়ারে ইডি

    এখনও পর্যন্ত যা খবর, তাতে জানা গিয়েছে, রেশন দুর্নীতি (Ration Scam) মামলায় সল্টলেক-সহ কলকাতার ছ’জায়গায় তল্লাশি অভিযান শুরু করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি (ED Raid)। একটি দল সল্টলেক আইবি ব্লকে পৌঁছেছে। নিউ আলিপুরের একটি বহুতলে পৌঁছে গিয়েছে তদন্তকারীদের একটি দল। বাগুইআটির একটি আবাসনেও চলছে ইডির হানা। এছাড়া— পার্ক স্ট্রিট-রাসেল স্ট্রিট, বন্দর এলাকা, বাগুইহাটি-কৈখালি এলাকার একাধিক জায়গায় হানা দিয়েছেন ইডি গোয়েন্দারা। তদন্তকারীদের সঙ্গে রয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরাও। সূত্রের খবর, ৮ থেকে ১০টি টিম আজ তদন্তে বেরিয়েছে। এদিন ২টি মামলায় মূলত তল্লাশি চলছে। একটি রেশন দুর্নীতি, অপরটি স্টক এক্সচেঞ্জ সংক্রান্ত।

    এক বিশ্বজিৎ দাসকে খুঁজছে ইডি, কে তিনি?

    সূত্রের খবর, এদিন সকাল ৭টা নাগাদ সল্টলেকে আইবি ব্লকে যেখানে হানা দেয় ইডি-র (ED Raid in Kolkata) দল, তা বিশ্বজিৎ দাস নামে এক ব্যবসায়ীর বাড়ি। জানা গিয়েছে, সেই সময় বিশ্বজিৎ বাড়িতে ছিলেন না। ‘সার্চ ওয়ারেন্ট’ দেখিয়ে বাড়ির ভিতরে ঢোকেন ইডি আধিকারিকেরা। বাড়ি ঘিরে ফেলে কেন্দ্রীয় বাহিনী। খবর পেয়ে পৌঁছে যায় বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ। এদিন বিশ্বজিতের দুটো ফ্ল্যাটে তল্লাশি চলে। তাঁর আমদানি রফতানির ব্যবসা আছে। পাশাপশি ফরেন মানি এক্সচেঞ্জেরও ব্যবসা আছে বলে জানা গিয়েছে।

    শঙ্কর আঢ্যর ঘনিষ্ঠ বিশ্বজিৎ!

    ইডি (ED Raid in Kolkata) সূত্রের খবর, শঙ্করকে গ্রেফতারের পর আদালতে ইডি জানিয়েছিল, ৯০টির বেশি ফরেক্স বা বিদেশি মুদ্রা লেনদেনের সংস্থা রয়েছে শঙ্কর এবং তাঁর পরিবারের। ওই সংস্থাগুলির মাধ্যমে ২০ হাজার কোটি টাকা তিনি বিদেশে লেনদেন করা হয়েছে। তদন্তকারীদের দাবি, রেশনকাণ্ডে যে কোটি কোটি টাকা নয়ছয় করা হয়েছিল, সেই টাকা কোথায় এবং কী ভাবে বিনিয়োগ করা হয়েছে, তা জানতেই এই তল্লাশি অভিযান চলছে। ইডি-র আরও দাবি, এই বিশ্বজিৎ শঙ্কর আঢ্যর ঘনিষ্ঠ। রেশনকাণ্ডের (Ration Scam) এই টাকা নয়ছয়ের সঙ্গে যোগ রয়েছে বিশ্বজিতের। সেই সংক্রান্ত তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করতেই এই ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দিয়েছে ইডি ।

    এছাড়া, এদিন বাগুইআটির একটি অভিজাত আবাসনে হানা দেয় ইডি। আবাসনটি হানিস তসরিওয়াল নামে এক ব্যবসায়ীর। অন্যদিকে, দক্ষিণ কলকাতার নিউ আলিপুরে ব্যবসায়ী সুনীল কায়ানের বাড়িতে তল্লাশি (ED Raid in Kolkata) চলছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share