Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Sheikh Shahjahan: শাহজাহানকে ফের তলব ইডির, হাজিরা এড়ালে বাজেয়াপ্ত হতে পারে বিপুল সম্পত্তি

    Sheikh Shahjahan: শাহজাহানকে ফের তলব ইডির, হাজিরা এড়ালে বাজেয়াপ্ত হতে পারে বিপুল সম্পত্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা ৩৫ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan)। রেশন দুর্নীতি মামলায় তাঁকে জানুয়ারির শেষের দিকে দ্বিতীয়বারের জন্য তলব করে ইডি। সেবারও হাজিরা এড়িয়েছেন তিনি। এমতাবস্থায় সন্দেশখালি যখন অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে  এবং শাহজাহান ও তাঁর দুই শাগরেদের গ্রেফতারির দাবিতে পথে নেমেছেন হাজার হাজার মানুষ। এমন সময়ে শুক্রবার ফের একবার হাজিরার জন্য নোটিশ পাঠানো হয়েছে শাহাজাহান শেখকে (Sheikh Shahjahan)। ই-মেল মারফত এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে ইডির তরফে। এবং আগামী সপ্তাহে তাঁকে সল্টলেকের ইডি দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। প্রসঙ্গত দু’বার হাজিরা এড়িয়ে শেখ শাহজাহান তাঁর আইনজীবী মারফত ইডি দফতরে চিঠি জমা করার চেষ্টা করেন। কিন্তু সেই চিঠি জমা নেয়নি ইডি। আরও জানা গিয়েছে, আগামী সপ্তাহে শাহজাহান হাজিরা এড়ালে তৃণমূল নেতা এবং তাঁর ঘনিষ্ঠদের সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার রাস্তায় হাঁটতে পারেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    শাহজাহানের বাড়িতে উদ্ধার বেশ কিছু নথি

    প্রসঙ্গত, এর আগে ২৪ জানুয়ারি ফের সন্দেশখালিতে অভিযান চালায় ইডি। সেই সময়ই শাহজাহানের বাড়িতে বেশকিছু নথি বাজেয়াপ্ত করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। জানা গিয়েছে, এই সমস্ত নথি এবং নানা তথ্য থেকে শাহজাহানের বিপুল সম্পত্তির হদিশ পেয়েছেন ইডির আধিকারিকরা। শাহজাহানের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলিতে বড় অঙ্কের অর্থ যেমন জমা পড়েছে, তেমন বড় অঙ্কের আর্থিক লেনদেনও হয়েছে বলে দেখা যাচ্ছে। আপাতত ইডির গোয়েন্দারা তদন্ত করে দেখছেন যে ওই বিপুল টাকা ঠিক কোথায় সরানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) বিপুল সাম্রাজ্যের মধ্যে রয়েছে অনেকগুলি মাছের ভেড়ি এবং বিপুল বেনামী জমি। শাহজাহান নিজের নামে একটা গোটা বাজারই তৈরি করেছেন। সেই প্রকল্পের প্ল্যান সংক্রান্ত নথিপত্র হাতে এসেছে ইডির। রয়েছে ১৯টি রেজিস্ট্রিহীন জমির দলিলও। এই সমস্ত বিপুল সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হলে শাহজাহান বেশ বেকায়দায় পড়বে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

    শনিবারও নতুন করে বিক্ষোভ সন্দেশখালিতে

    অন্যদিকে, শনিবারও নতুন করে সন্দেশখালিতে বিক্ষোভ দেখায় গ্রামের মহিলারা। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ যে সন্দেশখালির সিতুলিয়া গ্রামে ভুজঙ্গ দাসের বাড়িতে গতকাল গভীর রাতে পুলিশ এবং তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা একজোট হয়ে হামলা চালায়। ভুজঙ্গ দাসের বৃদ্ধা মা’কে মারধর করে বাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। তারই প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু করে সিতুলিয়া গ্রামের মহিলারা। শনিবার সকালেই বিজেপির একটি প্রতিনিধিদল সন্দেশখালিতে ঢুকতে যায়। সন্দেশখালি বিজেপির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেত্রী অর্চনা মজুমদার ছিলেন সামনে। সেই দলকে আটকে দেয় পুলিশ। এরপরই সামনে আসে বিজেপির বিধায়ক দলের রাজভবন অভিযান। সেখানে ১৪৪ ধারার নোটিফিকেশন পোড়াতে থাকেন বিজেপি বিধায়করা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
  • Sandeshkhali Violence: সন্দেশখালিতে শান্তি না ফিরলে ১৪৪ ধারা ভাঙার হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    Sandeshkhali Violence: সন্দেশখালিতে শান্তি না ফিরলে ১৪৪ ধারা ভাঙার হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাড়িতে ইডি হানা দেওয়ার পর থেকেই বেপাত্তা সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শাহজাহান। তাঁর দুই শাগরেদ উত্তম সর্দার এবং শিবু হাজরাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা সন্দেশখালি (Sandeshkhali Violence)। তৃণমূলের ২ নেতার বাগানবাড়ি থেকে পোল্ট্রি ফার্ম সবই জ্বলেছে ক্ষোভের আগুনে। গোটা এলাকা পুলিশে ছয়লাপ। জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। অবস্থা এতটাই খারাপ যে সন্দেশখালিতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবাও। এই ইস্যুকে সামনে রেখে আন্দোলনে নেমেছে গেরুয়া শিবির। শনিবার সকালে বিজেপি প্রতিনিধিদলকে সন্দেশখালিতে ঢুকতে বাধা দেয় প্রশাসন। দুপুরেই বিজেপি বিধায়কদের দল সোজা রাজভবন চলে যান। তাঁদের সঙ্গে ছিল পোস্টার যাতে লেখা, ‘পাশে আছে সন্দেশখালি’, ‘সঙ্গে আছি সন্দেশখালি’। সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali Violence) শান্তি ফেরাতে ২৪ ঘণ্টা সময়সীমা বেঁধে দেন শুভেন্দু। তাঁর দাবি, কালকের মধ্যে  শান্তি না ফিরলে সোমবার ১৪৪ ধারা ভাঙব।

    কী বললেন শুভেন্দু? 

    বিরোধী দলনেতার নেতৃত্বে এই মিছিলে দাবি জানানো হয় এবার হস্তক্ষেপ করতে হবে রাজ্যপালকেই। শাসকদলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “জনগণের (Sandeshkhali Violence) মানবাধিকারকে, জনগণের রোষকে কোনওভাবেই পদদলিত করতে বিজেপি দেবে না। আমাদের মহিলা মোর্চা, যুব মোর্চা পথে নামতে চলেছে। ভারতীয় জনতা পার্টির বিধায়করা সোমবার বিধানসভায় জড়ো হয়ে ১৪৪ ভাঙার জন্য সন্দেশখালি যাব।” রাজভবনকে সময়সীমা (Sandeshkhali Violence) বেঁধেও দেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “আমরা রাজ্যপালকে ২৪ ঘণ্টা সময় দিয়ে গেলাম। কালকের মধ্যে যদি শান্তি ফিরিয়ে না আনা হয় তাহলে সোমবার ১৪৪ ভাঙব। কত ক্ষমতা আছে আমাদের গ্রেফতার করুন। কত ক্ষমতা আছে আমরা দেখতে চাই।”

    শনিবারও নতুন করে বিক্ষোভ সন্দেশখালিতে

    শনিবারও নতুন করে সন্দেশখালিতে বিক্ষোভ দেখায় গ্রামের মহিলারা। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ যে সন্দেশখালির সিতুলিয়া গ্রামে ভুজঙ্গ দাসের বাড়িতে গতকাল গভীর রাতে পুলিশ এবং তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা (Sandeshkhali Violence) একজোট হয়ে হামলা চালায়। ভুজঙ্গ দাসের বৃদ্ধা মা’কে মারধর করে বাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। তারই প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু করে সিতুলিয়া গ্রামের মহিলারা। শনিবার সকালেই বিজেপির একটি প্রতিনিধিদল সন্দেশখালিতে ঢুকতে যায়। সন্দেশখালি বিজেপির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেত্রী অর্চনা মজুমদার ছিলেন সামনে। সেই দলকে আটকে দেয় পুলিশ। এরপরই সামনে আসে বিজেপির বিধায়ক দলের রাজভবন অভিযান। সেখানে ১৪৪ ধারার নোটিফিকেশন পোড়াতে থাকেন বিজেপি বিধায়করা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Bardhaman: অজয় নদে জেসিবি মেশিন দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার বালি পাচার! ক্ষোভ বিজেপির  

    Purba Bardhaman: অজয় নদে জেসিবি মেশিন দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার বালি পাচার! ক্ষোভ বিজেপির  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) মঙ্গলকোর্টের উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে অজয় নদ। এই নদের দুই পাড় থেকে বালু চুরি করে পাচার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রাজস্ব না দিয়েই অবাধে বালি চুরি করে নেওয়া হচ্ছে। কোথাও কোনও রকম সরকারের অনুমতি নেওয়ার বালাই নেই। বিএলআরও এফআইআর করলেও বালিপাচারে নিস্ক্রিয় পুলিশ। একেবারে কার্যত পাইপ লাগিয়ে জেসিবি মেশিন দিয়ে অবাদে বালি চুরির ঘটনা ঘটছে। একই ভাবে সরকারি রাজস্বে প্রচুর ক্ষতির অভিযোগও উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে বিজেপি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।

    বিজেপির অভিযোগ (Purba Bardhaman)

    অবাদে অজয় নদ (Purba Bardhaman) থেকে বালি চুরির ঘটনায় স্থানীয় বিজেপির পক্ষ থেকে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে। বিজেপির অভিযোগ হল, “শাসক দল, পুলিশ, বিএলআরও একত্রিত বোঝাপড়া করে মাঝে মাঝে তাল্লাশি বা অভিযান করেন বটে, কিন্তু তাঁরা একত্রিত হয়ে সংগঠিত ভাবে এই পাচারকাণ্ডে অংশীদার হচ্ছেন।” ইতিমধ্যে বিজেপির পক্ষ থেকে এসডিওর কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে। এই এলাকার বিজেপি নেতা আলোকতরঙ্গ গোস্বামী জানিয়েছেন, “প্রশাসনকে অভিযোগ করেও কোনও লাভ হচ্ছে না।” অপর দিকে ব্লক ভূমি রাজস্ব আধিকারিক, পুলিশের দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

    ব্লক ভূমি রাজস্ব আধিকারিকের বক্তব্য

    এই অবাদ বালি চুরির ঘটনায় স্থানীয় (Purba Bardhaman) ব্লক ভূমি রাজস্ব আধিকারিক রাহুল ঘোষ বলেন, “যখনই অভিযোগ পাচ্ছি সঙ্গে সঙ্গে রেইড করছি। এই প্রক্রিয়া নিয়মিত ভাবে করছি। গত বছর ডিসেম্বর মাসে প্রশাসনের পক্ষ থেকে থানায় একটি এফআইআর করা হয়। কিন্তু প্রশাসনের অভিযোগের পরেও কেন পুলিশ পদক্ষেপ নিচ্ছে না? পুলিশের ভূমিকা নিয়ে পুলিশই বলতে পারবে, আমি কিছু জানিনা।”

    মহকুমা শাসকের বক্তব্য

    মঙ্গলকোর্টে (Purba Bardhaman) অজয় নদের বালি চুরির ঘটনায় কাটোয়া মহকুমা শাসক অর্চনা পো ওয়াংখেড়ের জানিয়েছেন, “বিএলআরও বলেছেন থানায় এফআইআর করা হয়েছে। আমি জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা দ্রুত করব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: ‘‘রাতে বাড়িতে ঢুকছে পুলিশ, মেয়েদের গায়ে হাত তুলছে’’, বিস্ফোরক বিজেপি নেত্রী

    BJP: ‘‘রাতে বাড়িতে ঢুকছে পুলিশ, মেয়েদের গায়ে হাত তুলছে’’, বিস্ফোরক বিজেপি নেত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি ছিল সন্দেশখালিতে। পরে, পুলিশের পক্ষ থেকে জারি করা হয় ১৪৪ ধারা। রাতে এলাকায় পুলিশ অত্যাচার করে বলে অভিযোগ। শনিবার বিজেপি-র প্রতিনিধি দল সন্দেশখালি যায়। প্রতিনিধি দলে রাজ্য বিজেপি (BJP) সদস্য কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়, মহিলা নেত্রী অর্চনা মজুমদার সহ বসিরহাট বিজেপি সংগঠনিক জেলা বিজেপির নেতৃত্বরা ছিলেন। ধামাখালি থেকে কিছুটা দূরে রামপুর নস্কর পাড়া এলাকায় আটকে দেওয়া হয় বিজেপি নেতা কর্মীদের। দুপক্ষের মধ্যে বচসা হয়।

    পুলিশের বিরুদ্ধে কী বললেন বিজেপি নেত্রী? (BJP)

    পুলিশের বক্তব্য, ১৪৪ ধারা জারি থানার কারণে এলাকায় প্রবেশ করতে পারবেন না বিজেপি (BJP) কর্মীরা। অপরদিকে, বিজেপি নেতাদের দাবি, তাঁরা চারজন রয়েছেন। প্রয়োজনে পুলিশও তাঁদের সঙ্গে যেতে পারে। কোথাও আইন ভাঙা হবে না বলেও আশ্বাস দেন তাঁরা। বিজেপি নেত্রী অর্চনা মজুমদার বলেন, “পুলিশ শেখ শাহজাহানকে ধরতে পারছে না। অথচ যে দিন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এলেন, পুলিশ কেস দিয়ে দিল। আমরা নাকি পুলিশ পিটিয়েছি। আমরা শুধু কর্মীদের পাশে থাকতে চাইছি। আমরা বন্দুক-বোম নিয়ে আসিনি। মাত্র চারজন এসেছি। একাধিক বিজেপি কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর হয়েছে। তিনজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। গ্রামবাসীরা যাঁদের নামে অভিযোগ করল পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করছে না। উল্টে সাধারণ গ্রামবাসী সহ বিজেপি কর্মীদের ওপর রাতের অন্ধকারে পুলিশ অত্যাচার করছে। আমরা শুধু অত্যাচারিত কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছি। এখানে রাতে আমাদের কর্মীদের বাড়িতে পুলিশ ঢুকছে। মারধর করছে। মেয়েদের গায়ে হাত তুলছে। আমাদের কর্মীদের উপর কোনও ভাবেই অত্যাচার আর সহ্য করব না।”

    বিজেপি প্রতিনিধি দলকে বাধা নিয়ে উত্তেজনা

    শুক্রবার কার্যত অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল সন্দেশখালিতে। শাহজাহান ঘনিষ্ঠ শিবু হাজরা, উত্তম সর্দারদের বিরুদ্ধে রাগে ফুঁসছেন সন্দেশখালির এক অংশের মানুষ। পাল্টা শিবু হাজরার দলকেও এলাকার দখল নিতে দেখা গিয়েছে। এহেন উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। প্রচুর পুলিশ ফোর্স মোতায়েন রয়েছে সন্দেশখালিতে। এর মধ্যে এলাকায় প্রবেশে বাধা পেলেন বিজেপি-র (BJP) প্রতিনিধি দল। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Alipurduar: ধানীর মতো অনাহার-অপুষ্টির শিকার আরও অনেক চা শ্রমিক, দাবি মজদুর কমিটির

    Alipurduar: ধানীর মতো অনাহার-অপুষ্টির শিকার আরও অনেক চা শ্রমিক, দাবি মজদুর কমিটির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুধু মৃত ধানী ওরাওঁ বা তাঁর স্ত্রী নন আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) কালচিনি ব্লকের মধু চা বাগানের খাদ্যসঙ্কট এবং অপুষ্টিতে ভুগছেন আরও অনেক চা শ্রমিক। এইরকম চা শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় ৩০ জন। গতকাল শুক্রবার এমনই অভিযোগ করে প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন পশ্চিমবঙ্গ চা মজদুর কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য বিনয় কেরকাট্টা।

    উল্লখ্য, সম্প্রতি অনাহারে মৃত্যর ঘটনায় রাজ্য জুড়ে শোরগোল পড়েছে। রাজ্য প্রশাসনের এবং নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের চূড়ান্ত নির্মমতার অভিযোগ করেছেন ওই বাগানের শ্রমিকদের একাংশের মানুষ। ২০০৪ সালে বাম আমলে ঝাড়গ্রামের আমলাশোলে একই রকম অনাহার, অপুষ্টিতে বেশ কিছু শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছিল। এই রাজ্যে ২০১১ সালে রাজনৈতিক পালা পরিবর্তনের পর থেকেও চিত্রটা একদম বদলায়নি। রাজ্যের উন্নয়নের জোয়ারে এখন মা-মাটি সরকারের ঘুম কবে ভাঙবে উঠছে প্রশ্ন।

    কী বলেন মজদুর সংগঠন (Alipurduar)?

    কয়েকদিন আগে কালচিনিতে (Alipurduar) অনাহারে অপুষ্টিতে চা বাগানে শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় বিনয় কেরাকাট্টা বলেছেন, “ধানী ও তাঁর স্ত্রী ছাড়াও মধু বাগানে আরও ৩০ জন স্থায়ী, অস্থায়ী এবং অবসর প্রাপ্ত শ্রমিক অপুষ্টির সমস্যায় ভুগছেন। আবার অনেকে রেশন পেলেও পুষ্টিকর খাবার পাচ্ছেন না। সঠিক সময়ে বেতন না পাওয়ায়, খাবার কিনে খাওয়ার মতো পরিস্থিতির মধ্যে নেই তাঁরা। বাধ্য হয়ে অনেকে ফুল, গাছের পাতা তুলে রান্না করে খাচ্ছেন। নেতারা কেবল ভোটের সমানে এসে প্রতিশ্রুতি দিলে সমস্যা সমাধান নিয়ে কেউ ভাবেন না। ভোট চাইতে আসেন আবার ভোট মিটে গেলে ভুলে যান। শ্রমিকদের জীবন জীবিকা নিয়ে কেউ চিন্তিত নন।”

    ইউনাইটেড ট্রেড ইউনিয়ান কংগ্রেসের বক্তব্য

    শুধু কালচিনির (Alipurduar) মধু বাগান নয় উত্তরের আরও অনেক বাগানের অনাহারে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ইউনাইটেড ট্রেড ইউনিয়ান কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি নির্মল দাস এই প্রসঙ্গে বলেছেন, “অনেক বাগানের শ্রমিকেরা নানান দুর্দশার মধ্যে রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ খুব করুণ অবস্থায় রয়েছেন। রাজ্যের তৃণমূল সরকার চা শ্রমিকদের নিয়ে কিছু ভাবছে না। আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি আমরা পথে নামবো।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    এই সমস্ত অভিযোগের কথা অস্বীকার করে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তথা সাতালি গ্রাম পঞ্চায়েত (Alipurduar) উপপ্রধান ইসদর খারিয়া পালটা বক্তব্য দিয়ের জানিয়েছেন, “গত ৮ বছর ধরে বাগান বন্ধ। করোনার জন্য লকডাউন ছিল। সেই সময়ে কোনও শ্রমিকের মৃত্যু হয়নি। এখনও তেমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। অনেকে নিজেদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য কে চরিতার্থ করতে এই রকম অভিযোগ করছেন। আমরা শ্রমিকদের সঙ্গে আছি। ধানীবাবুর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সমস্যা ছিল, আমরা তাঁকে টাকা দিয়ে সাহায্য করেছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Mithun Chakraborty: শ্যুটিং চলাকালীনই স্ট্রোকে আক্রান্ত ‘বাঙালিবাবু’, আইসিইউতে ভর্তি মিঠুন

    Mithun Chakraborty: শ্যুটিং চলাকালীনই স্ট্রোকে আক্রান্ত ‘বাঙালিবাবু’, আইসিইউতে ভর্তি মিঠুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্যুটিং চলাকালীনই অসুস্থ হয়ে পড়লেন ‘বাঙালিবাবু’ মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। শনিবার সকাল ১০টা নাগাদ হঠাৎই বুকে ব্যথা অনুভব করেন অভিনেতা। সঙ্গে সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সেখানেই এমআরআই করানো হয়। তখনই জানা যায়, শ্যুটিং ফ্লোরে অ্যাকিউট স্ট্রোকে আক্রান্ত হন তিনি। হাসপাতাল সূত্রে খবর, শারীরিক অবস্থা অতি সঙ্কটজনক হওয়ায় আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে ‘অন্যায় অবিচারে’র নায়ককে। বাইপাসের একটি হাসপাতালের ১২৮ নম্বর বেডে ভর্তি রয়েছেন তিনি। স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ সঞ্জয় ভৌমিকের তত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বিজেপির তারকা নেতা বছর চুয়াত্তরের মিঠুন।

    ‘কাবুলিওয়ালা অসুস্থ’

    গত দুর্গাপুজোয় মুক্তি পেয়েছিল মিঠুনের ‘কাবুলিওয়ালা’। রবীন্দ্রনাথের কাহিনি অবলম্বনে তৈরি সেই ছবি ব্যাপক সমাদৃত হয়। তার পর ফের ছবি করতে এসেছিলেন কলকাতায়। অভিনেতা তথা তৃণমূল নেতা সোহম চক্রবর্তীর প্রযোজনায় ‘শাস্ত্রী’ ছবিতে অভিনয় করছেন তিনি। গত কয়েকদিন ধরে এই ছবিরই শ্যুটিং উপলক্ষে তিনি রয়েছেন কলকাতায়। এই ছবিতে তাঁর নায়িকা দেবশ্রী রায়। ছবির প্রধান আকর্ষণ মিঠুন-দেবশ্রী জুটি (Mithun Chakraborty)। শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়, রজতাভ দত্ত, অনির্বাণ চক্রবর্তী, কৌশিক সেন, কাঞ্চন মল্লিক, সৌরসেনী মৈত্র এবং অম্বরীশ ভট্টাচার্যের মতো অভিনেতারাও রয়েছেন ছবিটিতে। ছবিতে অভিনয় করবেন সোহম স্বয়ংও।

    ছবির গল্প

    দেবারতি মুখোপাধ্যায়ের গল্প অবলম্বনে তৈরি এই ছবিতে জ্যোতিষচর্চা ও বিজ্ঞানের চিরন্তন দ্বন্দ্বকে তুলে ধরা হবে। এদিন অভিনয় চলাকালীন আচমকাই বুকে ব্যথা অনুভব করেন ‘কাবুলিওয়ালা’। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় বাইপাসের ধারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। গত বছরই মাকে হারিয়েছিলেন মিঠুন। দিন কয়েক আগে পদ্ম-পুরস্কার প্রাপকদের তালিকায় নাম উঠেছিল তাঁর। তার মধ্যেই ঘটে গেল বিপত্তি।

    আরও পড়ুুন: ‘রাতে বাড়িতে ঢুকছে পুলিশ, মেয়েদের গায়ে হাত তুলছে’, বিস্ফোরক বিজেপি নেত্রী

    লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি যে প্রচারকের তালিকা তৈরি করেছিল, তাতে নাম রয়েছে মিঠুনের। এক পদ্ম নেতা বলেন, “মিঠুনদার ফিটনেস অসাধারণ। বিধানসভা নির্বাচনে কার্যত দাপিয়ে বেড়িয়েছেন। লোকসভা নির্বাচনে তাঁর থাকা মানেই কলিজার জোর বাড়ানোর টনিক। রাজনীতিবিদ হিসেবে শুধু নয়, একজন ভক্ত হিসেবেও চাই তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন এবং বাংলার মানুষকে সঠিক দিশা দেখান।” মিঠুনের আরোগ্য কামনা করেছেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যও। তিনি বলেন, “তাঁর (মিঠুনের) দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। মিঠুনদার অসুস্থতা খুব সিরিয়াস নয়। সামান্য অসুস্থতা এসেছে। খুব শীঘ্রই নিজের ঘরে ফিরে আসবেন তিনি (Mithun Chakraborty)।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: ‘‘হাত ধরে টানল আমার, ছুড়ে ফেলে দিল মেয়েকে’’, পুলিশের বিরুদ্ধে সরব নির্যাতিতা

    Sandeshkhali: ‘‘হাত ধরে টানল আমার, ছুড়ে ফেলে দিল মেয়েকে’’, পুলিশের বিরুদ্ধে সরব নির্যাতিতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অগ্নিগর্ভ সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) লাগাম টানতে জারি করা হল ১৪৪ ধারা। শুক্রবার রাত থেকে ত্রিমোহিনী বাজার-সহ সন্দেশখালি থানা এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করল পুলিশ। এমনিতেই জনতার প্রতিরোধে শেখ শাহজাহান বাহিনী কার্যত এলাকা ছাড়া। পুলিশ গ্রামে ঢুকে অত্যাচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ।

    বাচ্চা ছুঁড়ে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ! (Sandeshkhali)

    শুক্রবার রাতে সন্দেশখালি (Sandeshkhali) থানার খুলনা পঞ্চায়েতের শিতলিয়া গ্ৰামে একাধিক ঘর ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। এমনকী মহিলার শ্লীলতাহানি করা হয়। নির্যাতিতা এক মহিলা বলেন, মদ্যপ অবস্থায় পুলিশ এসে আমার স্বামীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এরপর বাড়ির জানলা ভেঙে  আমার হাত ধরে টানে। আমার হাতে পলা ভেঙে যায়। আমার মেয়েকে ছুড়ে ফেলে দেয়। বাড়ির দরজা- জানলা ভেঙে দেয়। পুলিশ বাড়িতে চড়াও হয়ে এসব করেছে। আমরা চরম আতঙ্কে রয়েছি। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, পুলিশ দলদাসে পরিণত হয়ে গিয়েছে। সমাজবিরোধীদের মতো করে পুলিশ গালিগালাজ করছে। বাড়ি ভাঙচুর করছে। এভাবে গ্রামে ঢুকে পুলিশি অত্যাচার মেনে নেওয়া যায় না। এলাকার মানুষ পুলিশকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান। এমনিতেই শাহজাহান বাহনীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। এবার ১৪৪ জারি জারি হওয়ার পর এবার পুলিশি অত্যাচার নিয়ে সরব হয়েছেন এলাকাবাসী।

    শুক্রবার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল এলাকা

    প্রসঙ্গত, শুক্রবার বেলার দিকে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) জেলিয়াখালিতে শাহজাহান বাহিনীর মাতব্বর এবং মূল অভিযুক্ত শিবু হাজরার পোল্ট্রি ফার্মে এদিন উত্তেজিত জনতা আগুন ধরিয়ে দেয়। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে অধিকাংশই মহিলা। হামলা চালানো হয় শিবু হাজরার পৈতৃক বাড়িতেও। সব মিলিয়ে ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সন্দেশখালি। এদিকে ওই খবর সংগ্রহে গেলে শিবু হাজরার দলের লোকজনের হাতে আক্রান্ত হন সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধি। পোল্ট্রি ফার্মের আগুনের ছবি তুলতে বাধা দেওয়া হয় এবং ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে পুকুরের জলে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ৭ ফেব্রুয়ারি রাতের দিকে তৃণমূল নেতাদের পোলট্রি ফার্মে আগুন লাগানোর অভিযোগ ওঠে। তৃণমূল নেতা উত্তম সর্দার এবং শিবু হাজরার লোকজন নিজেদের পোল্ট্রি ফার্মে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়, এমনই অভিযোগ আন্দোলনকারীদের। আর এই হামলার দায় ঠেলে গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে। তারই প্রতিবাদে ৮ ফেব্রুয়ারি বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন এলাকার মহিলারা। বৃহস্পতিবার লাঠি, বাঁশ হাতে সন্দেশখালি থানা ঘেরাও করার চেষ্টা করেন মহিলারা। পুলিশ তাঁদের আটকে দেয়। প্রতিবাদে রাস্তায় বসে পড়েন মহিলারা। পর পর দুদিন তৃণমূল বিরোধী যে ক্ষোভ মাথাচাড়া দিয়েছে তা এর আগে দেখেননি সন্দেশখালির মানুষ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: শীতের শেষ স্পেল! পারদ নামল কয়েক ধাপ, শৈত্যপ্রবাহের সতর্কতা রাজ্যে 

    Weather Update: শীতের শেষ স্পেল! পারদ নামল কয়েক ধাপ, শৈত্যপ্রবাহের সতর্কতা রাজ্যে 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিদায় নেওয়ার মুখে ফের ফিরল শীত। আবার ফেব্রুয়ারিতে সক্রিয় উত্তুরে হাওয়ার দাপট। শুক্রবার রাজ্যের সর্বত্রই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কমেছে। সঙ্গে চলছে কনকনে হাওয়া। পশ্চিমাঞ্চলের কোথাও কোথাও শৈত্যপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। পারদ পতন হয়েছে কলকাতাতেও। আলিপুরের হাওয়া অফিস জানিয়েছে, এই সপ্তাহের শুরুতে যেখানে শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২১ ডিগ্রির উপরে উঠে গিয়েছিল, সেখানে সপ্তাহান্তে তাপমাত্রা নেমেছে ১৪.৬ ডিগ্রিতে। যা স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রি কম। 

    ফের কাঁপন পুরুলিয়া থেকে কলকাতা

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী সোমবার পর্যন্ত শীতের এই আমেজ থাকবে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ফের বাড়তে পারে মঙ্গলবার থেকে। অর্থাৎ সরস্বতী পুজো থেকে হাওয়া বদলের সম্ভাবনা রয়েছে।  শুক্রবার দক্ষিণবঙ্গে সবচেয়ে কম সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল পুরুলিয়ায় ৭.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস শনিবার পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, বীরভূম এবং দুই বর্ধমানে শৈত্যপ্রবাহ চলতে পারে। কনকনে ঠান্ডা হাওয়ায় কাঁপতে পারে এই জেলাগুলির মানুষ। পুরুলিয়া জেলায় রবিবারও শৈত্যপ্রবাহ চলতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। আজ শনিবার কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আরও খানিকটা কমার সম্ভাবনা রয়েছে। শুক্রবার কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫.২  ডিগ্রি সেলসিয়াস। কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৪.৬ ডিগ্রি। আগামী সপ্তাহের শুরুর দিকেই তাপমাত্রার পারদ ২ থেকে ৩ ডিগ্রি বাড়বে। এরপর পারদ ঊর্ধ্বমুখী হবে হবে বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস। 

    আরও পড়ুন: সরকারি চাকরির নিয়োগে ‘চিটিং’ করলেই শাস্তি! নতুন বিল আনছে কেন্দ্র

    কবে শীত বিদায়

    উত্তরবঙ্গেও কয়েক দিন শীত জাঁকিয়েই পড়বে বলে জানিয়েছেন আবহবিদেরা।  উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে সকালের দিকে কুয়াশা থাকতে পারে। শুক্রবার পাহাড় লাগোয়া শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, কোচবিহারের সমতলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নীচে ছিল। দার্জিলিংয়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এদিন ছিল ২.৪ ডিগ্রি। গোটা রাজ্যেই মোটের উপর শুকনো আবহাওয়া থাকবে। সরস্বতী পুজোর পর থেকে বিদায় নেবে শীত, এমনই পূর্বাভাস।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালি নিয়ে পদক্ষেপের আবেদন, অমিত শাহকে চিঠি দিলেন সুকান্ত

    Sandeshkhali: সন্দেশখালি নিয়ে পদক্ষেপের আবেদন, অমিত শাহকে চিঠি দিলেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে উদ্বিগ্ন বঙ্গ বিজেপি। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ চেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিন দিন ধরে অশান্ত সন্দেশখালিতে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে পুলিশ ব্যর্থ বলে চিঠিতে জানান সুকান্ত। চিঠিতে সুকান্ত অভিযোগ করেছেন যে সন্দেশখালির আদিবাসীদের উপর তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের অনুগামীর আক্রমণ করছে ৷ সেখানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে ৷ 

    সুকান্তর চিঠির বয়ান

    চিঠিতে সুকান্ত মজুমদার লিখেছেন, ‘‘আমি পশ্চিমবঙ্গে, বিশেষ করে উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালি অঞ্চলে ঘটে চলা হিংসার উদ্বেগজনক পরিস্থিতি আপনার অবিলম্বে নজরে আনতে এই চিঠি লিখছি। শেখ শাহজাহান, শিবু হাজরা, উত্তম সর্দার এবং অন্যান্য তৃণমূলী গুন্ডাদের দ্বারা স্থানীয় আদাবাসী সম্প্রদায়ের উপর জঘন্য হামলার জেরে ওই এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুনরুদ্ধারের জন্য সরকারের কাছ থেকে জরুরি পদক্ষেপ দাবি করে।’’ সুকান্তর অভিযোগ, শাহজাহানের জন্য সন্দেশখালির ওই এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়েছে৷ স্থানীয় মানুষকে সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ রাজ্য সরকার৷ অমিত শাহের কাছে বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের আবেদন, ‘‘আমি আপনাকে, ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে, পশ্চিমবঙ্গে, বিশেষ করে উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে ব্যাপক অনাচার মোকাবিলায় দ্রুত এবং সিদ্ধান্তমূলকভাবে হস্তক্ষেপ করার জন্য অনুরোধ করছি। নাগরিকদের নিরাপত্তা ও মঙ্গলকে অগ্রাধিকার দিতে হবে এবং এই অঞ্চলে হিংসা ও সন্ত্রাস অব্যাহত রাখার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।’’

    আরও পড়ুন: সরকারি চাকরির নিয়োগে ‘চিটিং’ করলেই শাস্তি! নতুন বিল আনছে কেন্দ্র

    সন্দেশখালিতে জনজাগরণ 

    তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে লাগাতার অত্যাচারের অভিযোগ তুলে বুধবার থেকে কার্যত জনজাগরণ হয়েছে সন্দেশখালিতে। আক্রান্ত হয়েছেন এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতা তথা উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সদস্য উত্তম সরদার। জনরোষের মুখে ভাঙচুর হয়েছে তাঁর বাড়ি, পোল্ট্রি ফার্ম ও বাগানবাড়ি। বাদ যাননি সন্দেশখালি ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূলের সভাপতি শিবু হাজরাও। ভাঙচুর করা হয় শিবু হাজরার মদের দোকানে। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় শিবু হাজরার বাড়ি। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, উত্তম আর শিবু এলাকায় শয়ে শয়ে বিঘা জমি দখল করেছে। সেই জমিতে মাছের ভেড়ি করেছে তারা। মাছ চাষের লভ্যাংশ চাইতে গেলে মারধর করে শিবু ও উত্তমের লোকেরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘বিধানসভায় ‘খুন’ হয়ে যেতে পারি আমরা’’, কী কারণে এমন আশঙ্কা শুভেন্দুর?

    Suvendu Adhikari: ‘‘বিধানসভায় ‘খুন’ হয়ে যেতে পারি আমরা’’, কী কারণে এমন আশঙ্কা শুভেন্দুর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিধানসভায় ‘খুন’ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এর পাশাপাশি তিনি জানান যে শুধু তিনি নন বিজেপির যেকোনও বিধায়কই খুন হয়ে যেতে পারেন। নন্দীগ্রামের বিধায়কের দাবি, ‘‘এরা আমাদের মুখ বন্ধ না করতে পেরে আমাদের শারীরিকভাবে নিগ্রহ এমনকি খুনও করতে পারে।’’ সংবাদ মাধ্যমের সামনে শুভেন্দু অধিকারী আরও জানান যে, তাঁরা বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

    বৃহস্পতিবার বিধানসভায় নজিরবিহীন ঘটনা

    প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই রাজ্যের বাজেট অধিবেশন ছিল সে সময়েই বিধানসভার ভিতরে ও বাইরে নজিরবিহীন ঘটনা ঘটে। বিধানসভার ভিতরে জাতীয় সঙ্গীতের বদলে রাজ্য সঙ্গীত গাইতে থাকেন শাসকদলের বিধায়করা। এতেই পাল্টা জাতীয় সঙ্গীত শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা। হই হট্টগোল শুরু হয়ে যায় বিধানসভার অন্দরে। এরপরে বিধানসভার বাইরে এক বিজেপি বিধায়কের গাড়ি আটকে যায় মুখ্যমন্ত্রী বের হওয়ার সময়। সে নিয়ে কলকাতা পুলিশকে ধমক দেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এমন সময় মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে ‘চোর-চোর’ স্লোগান দিতে থাকেন বিজেপি বিধায়করা। অভিযোগ, তৃণমূলপন্থী সরকারি কর্মচারীরা হামলার উদ্দেশ্যে তেড়ে যান বিজেপি বিধায়কদের উদ্দেশ্যে। এই সমস্ত কিছু নিয়েই শুভেন্দুর অধিকারীর (Suvendu Adhikari) আশঙ্কা, তাঁরাও আক্রান্ত হতে পারেন অথবা যেকোনও সময় খুন হতে পারেন। বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‘আমরাও আক্রান্ত হতে পারি, মার্ডার হতে পারি। এরা আমাদের মুখ বন্ধ করতে না পেরে আমাদের শারীরিকভাবে নিগ্রহ, এমনকী খুনও করতে পারে।’’

    শুক্রবার বিধানসভায় নিজের ঘরে বসে ফেসবুক লাইভে শুভেন্দু

    শুক্রবার দুপুরে বিধানসভায় নিজের ঘরে বসে ফেসবুক লাইভে আসেন শুভেন্দু অধিকারী। সেইসঙ্গে যে সমস্ত তৃণমূলপন্থী কর্মী সেদিন বিজেপি বিধায়দের দিকে তেড়ে যায়, তাদের ছবি, পরিচয় এবং ভিডিও ফুটেজ সামনে আনেন তিনি। এ নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘অধিকাংশ বিধানসভার কর্মী তৃণমূলের ক্যাডার। তাদেরকে দিয়ে পরিকল্পনা করে এই কাণ্ড ঘটানো হয়।’’ শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) আরও অভিযোগ, ‘‘নিরাপত্তা রক্ষীদের নামে স্পিকারের এলাকার নিয়োগপ্রাপ্ত তৃণমূল ক্যাডাররাই বিজেপির উপরে আক্রমণ করেছে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share