Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Purba Medinipur: তৃণমূলের সভায় বিরিয়ানির প্যাকেট পেতে হুড়োহুড়ি, ক্ষুব্ধ হয়ে সভা ছাড়লেন মন্ত্রী

    Purba Medinipur: তৃণমূলের সভায় বিরিয়ানির প্যাকেট পেতে হুড়োহুড়ি, ক্ষুব্ধ হয়ে সভা ছাড়লেন মন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের ‘সঙ্ঘবদ্ধ শপথ গ্রহণ’ কর্মসূচিতে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা দেখা গেল। অনুষ্ঠানে বিরিয়ানি বিলিকে ঘিরে ব্যাপক গোলমালের চিত্র দেখ লক্ষ্য করা গেল আজ বৃহস্পতিবার। এই সভায় রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের ভাষণের সময় টিফিন বিলিকে ঘিরে উপস্থিত তৃণমূল কর্মীরা সভা খালি করে খাবারের দিকে হুড়মুড়িয়ে পড়লেন। এরপর সৃষ্টি হয় ব্যাপক হট্টগোল। আর এরপর এই ঘটনায় অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হয়ে বেরিয়ে যান মন্ত্রী। ঘটনা ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) কাঁথির বীরেন্দ্র স্মৃতি সৌধে। ঘটনায় দল অত্যন্ত অস্বস্তির মধ্যে পড়েছে তৃণমূল।

    সভায় ব্যাপক চিৎকার চেঁচামেচি (Purba Medinipur)

    এদিন কাঁথি (Purba Medinipur) সভাগৃহ ছিল কানায় কানায় ভর্তি। ঠিক ১ টায় চন্দ্রিমা ওঠেন মঞ্চে। তাঁকে মঞ্চে বরণ করা নিয়েও একপ্রকার বিশৃঙ্খলা হয়। এরপর হলে  চিৎকার চেঁচামেচি শুরু হয়। অপর দিকে তৃণমূলের কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পীয়ূষকান্তি পন্ডা সকলকে শান্ত হওয়ার পরামর্শ দেন। এরপর চন্দ্রিমা ভাষণ দিতে শুরু করেন। তিনি বলেন, “কেন্দ্রের আয়ুষ্মান ভারত হল রাজ্যের স্বাস্থ্য সাথীর নকল। আয়ুষ্মান ভারত কার্যকর হলে মাত্র ৭০ হাজার মানুষ উপকৃত হবেন। আর স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পে আড়াই কোটি মানুষ সুবিধা পাচ্ছেন।” এরপরই টিফিনের জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে যায় সভাস্থলে। যদিও মাইকে বলা হয় সকলের জন্য খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু বিশৃঙ্খা আরও চরমে উঠে যায়। এরপর ভাষণের মাঝ পথেই রেগেমেগে আসন ছেড়ে বেরিয়ে যান রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা।

    বিজেপির বক্তব্য

    এই ঘটনায় বিজেপি কাঁথি (Purba Medinipur) সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক চন্দ্রশেখর মণ্ডল বলেন, “তৃণমূলের সভায় ভাষণ শোনায় মন নেই। টাকা দিয়ে টিফিনের লোভ দেখিয়ে তৃণমূল নিজেদের মহিলা সভায় লোক ভরার কাজ করছে।” পালটা তৃণমূলের জেলা সভাপতি রাজিয়া বিবি বলেন, “আশাতীত ভিড় হয়েছিল সভায়। তবে অনেকে বসার আসন দেওয়া সম্ভব হয়নি। অনেকে বেরিয়ে গিয়েছেন। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখেছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: বাড়ল তাপমাত্রা, শুক্রবারও ভিজতে পারে কলকাতা, কী বলছে হাওয়া অফিস?

    Weather Update: বাড়ল তাপমাত্রা, শুক্রবারও ভিজতে পারে কলকাতা, কী বলছে হাওয়া অফিস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবারের পর বৃহস্পতিবারও সকাল থেকেই কলকাতার আকাশ ছিল মেঘে ঢাকা। কয়েক পশলা বৃষ্টিও পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, শুক্রবার পর্যন্ত বিক্ষিপ্তভাবে এই দুর্যোগ চলবে। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে শহরে। শনিবার থেকে কলকাতা-সহ (Winter in Kolkata) গোটা রাজ্যের আবহাওয়ার (Weather Update) উন্নতি হবে। মেঘ কাটলেও শীত আর ফিরছে না বলেই অনুমান। মাঘের মাঝামাঝি শীতও বিদায় নিতে চলেছে শহর থেকে। জেলায় এখনও ঠান্ডার আমেজ থাকলেও শহর কলকাতার পারদ চড়ল বেশ কয়েক ধাপ।

    বৃষ্টির পূর্বাভাস

    পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জের। বুধবারই এক ধাক্কায় চার ডিগ্রি বেড়েছিল তাপমাত্রা (Weather Update)। বৃহস্পতিবার ফের চড়ল পারদ। আজ কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২১.৩, যা স্বাভাবিকের থেকে ৬ ডিগ্রি বেশি। জানুয়ারির শেষে তাপমাত্রার এমন ঊর্ধ্বগতি বিরল। শুক্রবার দক্ষিণবঙ্গের ৫ জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি। বৃষ্টি হতে পারে উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, কলকাতা, হাওড়া ও পূর্ব মেদিনীপুরে। বাকি জেলায় আংশিক মেঘলা আকাশ, বৃষ্টির সম্ভাবনা কম। অসময়ের বৃষ্টিতে সারাদিন প্যাচপ্যাচে আবহাওয়ায় বিরক্ত শহরবাসী। শীত বিলাস ছেড়ে গরম পড়বে তো ঠিকই কিন্তু এই অকাল বৃষ্টিতে মন ভাল নেই শহরের।

    আরও পড়ুন: রাম মন্দিরের পর ধর্মীয় পর্যটনে জোর, বাজেটে উঠে এল লাক্ষাদ্বীপ প্রসঙ্গও

    শীত বিদায় 

    হাওয়া অফিস (Weather Update) জানিয়েছে, শনিবার থেকে আকাশ পরিষ্কার হলেও নতুন করে ঠান্ডার (Winter in Kolkata) আর ইঙ্গিত নেই। গত ৪৮ ঘণ্টায় শুধু কলকাতাতেই তাপমাত্রা ৫ ডিগ্রি বেড়েছে। চলতি সপ্তাহে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৯-২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে। সে ক্ষেত্রে, তাপমাত্রা আর একটু কমলেও ঠান্ডার ঝোড়ো ব্যাটিং এই মরশুমে আর দেখা যাবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। সরস্বতী পুজো পর্যন্ত পারদ ওঠা-নামা করলেও জাঁকিয়ে শীত আর পড়ছে না শহরে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bardhaman: সরকারি হাসপাতালেই এক্স-রে হল না রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহর, পদত্যাগ চাইল বিজেপি

    Bardhaman: সরকারি হাসপাতালেই এক্স-রে হল না রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহর, পদত্যাগ চাইল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাতে লোক নেই, তাই সরকারি হাসপাতালে এক্স-রে হল না রাজ্যের গ্রন্থাগারমন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহর। স্বাস্থ্য এবং চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়নের জোয়ারের কথা রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের ঢাক পিটিয়ে প্রায় বলতে শোনা যায়। অথচ রাজ্যের খোদ মন্ত্রীর মুখেই এবার শোনা গেল বর্ধমানের (Bardhaman) এক সরকারি হাসপাতালে পরিষেবা না পাওয়ার কথা। অবাক রাজ্যের মন্ত্রী! ঘটনায় রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার জীর্ণদশার কথা ফের একবার উঠে এল। পাল্টা মন্ত্রীর পদত্যাগ চাইল বিজেপি। উল্লেখ্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখেও গত কয়েক মাস আগে এসএসকেএমে নিজের পায়ের চিকিৎসার বিষয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করতে শোনা যায়। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর মুখের কথাই যেন ফের আওড়ালেন এবার গ্রন্থাগারমন্ত্রী।

    কী বললেন সিদ্দিকুলাহ (Bardhaman)?

    গত মঙ্গলবার সকালে রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরি শৌচাগার থেকে বের হওয়ার সময় পড়ে গিয়ে আহত হন। ডান পায়ের কনিষ্ঠ আঙুলে চোট লাগে। এরপর রক্ত জমাট বেঁধে যায়। এরপর সন্ধ্যায় যন্ত্রণা বাড়তে থাকলে চিকিৎসার জন্য বর্ধমান (Bardhaman) মেমারি গ্রামীণ হাসপাতালে যান। চিকিৎসকেরা জানধ, এক্স-রে করতে হবে। কিন্তু হাসপাতালের ওপিডিতে দিনে এক্স-রে হলেও রাতে তা করার কোনও ব্যবস্থা নেই বলে জানতে পারেন মন্ত্রী। কথা শুনেই অবাক হয়ে যান তিনি। এরপর সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে বলেন, “এই বিরাট হাসপাতালে এক্স-রে হবে না! আমার জানা ছিল না। সব সময় হলে মানুষের অনেক উপকার হবে। আমি উদ্যোগ নিয়ে এই কাজটি করাবো। মানুষের সুবিধার জন্য চেষ্টা করব। মানুষ যাতে সুযোগ পান সেই দিকেই নজর রাখবো। রাজ্যে ৪২-৪৩টি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল রয়েছে। আমি সরকারি হাসপাতালেই দেখাই, প্রাইভেটে দেখাই না।”

    বিজেপির বক্তব্য

    মন্ত্রীর এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে তৃণমূল সরকারের কড়া সমালোচনা করে বিজেপি। বিজেপির পূর্ব বর্ধমান (Bardhaman) জেলার সহ সভাপতি মৃত্যুঞ্জয় চন্দ বলেন, “সরকারি হাসপাতালে যদি রাজ্যের মন্ত্রীর এই অবস্থা হয়, তাহলে সাধারণ মানুষের কী হাল হবে। রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা অত্যন্ত খারাপ এবং অত্যন্ত জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। সাধারণ মানুষের জন্য ন্যূনতম পরিষেবার ব্যবস্থা নেই। তাই রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুলাহ সাহেবের পদত্যাগ করা উচিত।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: শুভেন্দু অধিকারীর সাসপেনশন উঠে গেল, বাধা রইল না অধিবেশনে যোগ দিতে

    Suvendu Adhikari: শুভেন্দু অধিকারীর সাসপেনশন উঠে গেল, বাধা রইল না অধিবেশনে যোগ দিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত বছরের নভেম্বর মাসেই বিধানসভা থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari)। সে নিয়ে সরকারের ভূমিকায় প্রশ্নও উঠতে শুরু করে। ঠিক ৩ মাসের মাথায় উঠে গেল বিরোধী দলনেতার সাসপেনশন। জানা গিয়েছে, আসন্ন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বাজেট অধিবেশনে তিনি যোগ দিতে পারবেন। বাজেট অধিবেশন শুরুর আগে নন্দীগ্রামের বিধায়কের সাসপেনশন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবারই সংবাদমাধ্যমকে স্পিকার বলেন, ‘‘বিরোধী দলনেতার সাসপেনশন প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে, চাইলে তিনি অধিবেশনে যোগ দিতে পারেন।’’

    আরও পড়ুন: এবার তোষাখানা মামলায় ১৪ বছরের জেলের সাজা হল সস্ত্রীক ইমরান খানের

    ৫ ফেব্রুয়ারি বিধানসভায় বাজেট অধিবেশন 

    শোনা যাচ্ছে আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে বিধানসভায় বাজেট অধিবেশন শুরু হবে। সাধারণভাবে নিয়ম হল রাজ্যপালের ভাষণ দিয়েই অধিবেশন শুরু হওয়ার কিন্তু এবারে তা হচ্ছে না বলেই জানা যাচ্ছে। কিন্তু রাজভবনকে এড়িয়ে বাজেট পেশ করা যায় কি? এনিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। রাজভবন রাজ্য সংঘাত ফের একবার বাজেট অধিবেশনকে ঘিরে সামনে আসবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। রাজভবন এবিষয়ে কী বিবৃতি দেয় সে দিকেই তাকিয়ে রয়েছে ওয়াকিবহাল মহল।

    বাজেট অধিবেশনে যোগ দেবেন বিজেপি বিধায়করাও

    গত নভেম্বর মাসেই বিরোধী দলনেতাকে (Suvendu Adhikari) যখন সাসপেন্ড করেন স্পিকার, তখনই তাঁর সঙ্গে বেরিয়ে যান উপস্থিত বিজেপি বিধায়করা। প্রসঙ্গত, গেরুয়া শিবিরের বিধায়করা সে সময় জানিয়েছিলেন যে, তাঁরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বয়কট করবেন বিধানসভায়। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারীর সাসপেনশন উঠে যাওয়ার পরে বিজেপি পরিষদীয় দল বিধানসভায় বাজেট অধিবেশনে যোগ দেবে বলেই মনে করা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত তাঁর সাসপেনশন প্রত্যাহারের ব্যাপারে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    আরও পড়ুন: মালদায় রাহুল গান্ধীর গাড়িতে পড়ল ইট, ভেঙে চুরমার পিছনের কাচ

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: বৃষ্টির সম্ভাবনা, কলকাতায় একলাফে ২০ ডিগ্রি! এবার কি শীত বিদায়ের পালা?

    Weather Update: বৃষ্টির সম্ভাবনা, কলকাতায় একলাফে ২০ ডিগ্রি! এবার কি শীত বিদায়ের পালা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সকাল থেকেই শহরের আকাশের মুখ ভার। কোথাও আবার ঝিরঝিরে বৃষ্টি। মঙ্গলবার মধ্যরাতেই বৃষ্টি নেমেছে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে। বুধবার সকালে বৃষ্টির দেখা না মিললেও সকাল থেকেই রয়েছে মেঘলা আকাশ। বুধবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিক তাপমাত্রার চেয়ে পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। 

    জেলায় জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস

    আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, বুধবার সন্ধ্যা থেকে রাতের মধ্যেই হালকা , মাঝারি বৃষ্টিতে ভিজতে পারে দক্ষিণের কয়েকটি জেলা। বৃষ্টির রেশ থাকতে পারে শুক্রবার পর্যন্ত। এমনকি বৃহস্পতিবার বৃষ্টির কারণে হলুদ সতর্কতাও জারি করেছে হাওয়া অফিস। উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বীরভূম, নদিয়া এবং মুর্শিদাবাদ জেলার কয়েকটি এলাকায় বুধবার হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। হালকা বৃষ্টিতে ভিজতে পারে কলকাতা-সহ হাওড়া, হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান এবং পশ্চিম বর্ধমান জেলায়। বৃহস্পতিবার বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গের উপকূল ও উপকূল সংলগ্ন প্রায় সব জেলাতেই। শুক্রবার দু-এক জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। 

    আরও পড়ুন: বাজেট অধিবেশনের আগে রাজ্যসভার ১১ সাংসদের সাসপেনশন প্রত্যাহার করলেন ধনখড়

    শীত বিদায়ের পালা

    পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জেরে আগেই শীতে কোপ পড়েছে। জানুয়ারি শেষ, এবার কি তবে শীত বিদায়ের পালা? আলিপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রে খবর, আজ কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা উঠে গেল ২০.২ ডিগ্রিতে। মঙ্গলবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৬.৯ ডিগ্রিতে উঠে যায়। আগামী ৫ দিনে ঠান্ডা ফেরার আশা নেই বলেই মনে করছেন আবহবিদরা। কুয়াশার সম্ভাবনা রয়েছে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে। দার্জিলিং জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পাশাপাশি রয়েছে তুষারপাতের সম্ভাবনা। কালিম্পং জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সঙ্গে দেখা যেতে পারে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা। ঘন কুয়াশায় ঢাকতে পারে জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদহ জেলা। তবে বৃষ্টির পর আর জাঁকিয়ে বসবে না শীত। বরং তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে আগামী কয়েক দিনে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: সেই দুই নিগৃহীতাকে ৬ লক্ষ টাকা দিতে রাজ্যকে নির্দেশ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের

    Malda: সেই দুই নিগৃহীতাকে ৬ লক্ষ টাকা দিতে রাজ্যকে নির্দেশ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত বছরের ১৮ জুলাইয়ের ঘটনা হয়তো অনেকেরই মনে আছে। ঘটনাটি ঘটেছিল মালদার (Malda) বামনগোলায়। সেখানকারই পাকুয়াহাটে চোর সন্দেহে এবং অপবাদ দিয়ে দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে ব্যাপক মারধর করা হয়। মুহূর্তের মধ্যে এই ঘটনার ছবি ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। নারকীয় এই ঘটনা দেখে অনেকেই প্রতিবাদ জানাতে থাকেন। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে পুলিশ এই ঘটনা নিয়ে নড়েচড়ে বসে। বিজেপির পক্ষ থেকে এই ঘটনা নিয়ে পুলিশ এবং প্রশাসনের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে অভিযোগ জানানো হয়। তার ভিত্তিতেই কমিশন এবার রাজ্য সরকারকে ৬ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিল। দুই নিগৃহীতাকে তিন লাখ টাকা করে দেওয়ার কথা নির্দেশিকায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

    জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে বিজেপি (Malda)

    এই ঘটনাটিকে প্রথম থেকেই পুলিশ এবং প্রশাসন তেমন গুরুত্ব দিচ্ছিল না বলে অভিযোগ ওঠে। প্রাথমিকভাবে বিভিন্ন দিক থেকে জোরালো প্রতিবাদ ওঠায় এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশন রিপোর্ট তলব করায় বামনগোলা থানার আইসি সহ চার পুলিশ অফিসারকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারপরেও তদন্ত সঠিকভাবে করা হচ্ছিল না বলে বিজেপির পক্ষ থেকে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে অভিযোগ জানানো হয়। এ ব্যাপারে মূল যিনি উদ্যোগ নিয়েছিলেন, তিনি হলেন মালদা জেলা আদালতের আইনজীবী তথা উত্তর মালদা (Malda) সাংগঠনিক জেলার সভাপতি উজ্জ্বল দত্ত। এই নির্দেশের ব্যাপারে তিনি বলেন, ওই ছয় লাখ টাকা ছয় সপ্তাহের মধ্যে দেওয়ার জন্য নির্দেশ এসেছে।

    “লজ্জায় আমরা সমাজে মুখ দেখাতে পারি না” (Malda)

    নিগৃহীতাদেরই একজন বলেন, আমরা সেদিন আমাদের নিজেদের কাজেই ওই জায়গায় (Malda) গিয়েছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করে আমাদের চোর বলে অপবাদ দেওয়া হয়। মুহূর্তের মধ্যে আশপাশ থেকে লোকজন জড়ো হয়ে যায়। আমাদেরকে পুরোপুরি বিবস্ত্র করে দেওয়া হয়, তারপর চলে মারধর। পুলিশ এবং প্রশাসনের কাছে সুবিচার চেয়েও আমরা পাইনি। বিনা অপরাধে আমাদের জেল খাটতে হয়েছে। চুরি না করেও এই ধরনের অপমান আমাদের পক্ষে সহ্য করা সম্ভব হয়নি। লজ্জায় আমরা সমাজে মুখ দেখাতে পারি না। কমিশনের নির্দেশের কথা শুনেছি। আমরা চাই, সরকার ওই টাকা আমাদের যত দ্রুত সম্ভব দিয়ে দিক।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: মমতার সফরের আগেই রঘুনাথগঞ্জে ব্যাপক বোমাবাজি! গুরুতর আহত ২

    Murshidabad: মমতার সফরের আগেই রঘুনাথগঞ্জে ব্যাপক বোমাবাজি! গুরুতর আহত ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) সফরের আগেই ব্যাপক বোমাবাজি। এই ঘটনার জেরে আহত হলেন বাড়ির বৌমা এবং শাশুড়ি। সেই সঙ্গে জখম হয়েছেন আরও একজন ব্যক্তি। ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। উল্লেখ্য গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই জেলায় বোমাবাজির ঘটনা সবথেকে বেশি ঘটেছিল বলে জানা গিয়েছিল। সালার, ডোমকল, বেলডাঙা সহ একাধিক স্থানে শাসক-বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মীরা বোমাবাজির আঘাতে মারাও গিয়েছিলেন। কিন্তু তবুও বোমাবাজির উপর প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ আসছে না। তাই জেলার মানুষ পুলিশ প্রশাসনের নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

    ঘটনা কীভাবে ঘটল?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনা ঘটেছে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার রঘুনাথগঞ্জের দফরপুর-শেওড়াতলা এলাকায়। জমি বিবাদকে ঘিরে দুই পক্ষের মধ্যে মঙ্গলবার একাধিকবার সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। প্রথমে দুই পক্ষের মধ্যে বচশা হয়, এরপর একপক্ষ অপর পক্ষের মধ্যে ঢিল ছোড়াছুড়ি শুরু হয়। ঠিক তারপরেই দেখেতে দেখতেই আক্রমণাত্মক এবং পরিস্থিতি উত্তাল হয়ে ওঠে। এরপর শুরু হয় দুই পক্ষের মধ্যে লক্ষ্য করে চলে মুহুর্মুহু বোমাবাজি। আর এই ঘটনায় ব্যাপক ভাবে জখম হন একই বাড়ির দুই মহিলা। আহত হয়েছেন সদারিন মণ্ডল এবং ক্ষমা মণ্ডল। দুই জনেই সম্পর্কে শাশুড়ি-বৌমা। বর্তমানে ক্ষমা মণ্ডলের অবস্থা ভীষণ আশঙ্কা জনক। তাঁকে বর্তমানে জঙ্গিপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    আহতদের বক্তব্য

    মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) বোমার আঘাতে আহত ক্ষমা মণ্ডল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বলেন, “গ্রামের দুই পক্ষের বিবাদ চলার সময় আমি এবং আমার শাশুড়ি বাড়ির দরজার সামানে দাঁড়িয়ে ছিলাম। আচমকা দেখি শম্ভু মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি আমাদের বাড়ির সমানে বোমা ছুড়ে মারে। এরপর কী ঘটল আর মনে নেই।” হাসপাতাল সূত্রে খবর মিলেছে তাঁর দুই পা গুরুতর ভাবে বোমার আঘাতে আঘাত পেয়েছেন।

    পুলিশের ভূমিকা

    পাশপাশি বোমাবাজির খবর পেয়ে রঘুনাথগঞ্জের (Murshidabad) পুলিশ ছুটে আসে এলাকায়। ঘটনায় বোমার ব্যবহার কোথা থাকে করা হয়েছে, পিছনে কারা কারা রয়েছে এই বিষয়ে তল্লাশি শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে। তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত এখনও পর্যন্ত কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ

  • Recruitment Scam: সুজিত-ঘনিষ্ঠ নিতাইকে তলব ইডির, সিবিআই দফতরে হাজিরা দেবরাজের

    Recruitment Scam: সুজিত-ঘনিষ্ঠ নিতাইকে তলব ইডির, সিবিআই দফতরে হাজিরা দেবরাজের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আজ, বুধবার বিধাননগরের মেয়র পারিষদ দেবরাজ চক্রবর্তীকে (Debraj Chakraborty) তলব করেছে সিবিআই। বুধবার সকাল ১১টা নাগাদ দেবরাজ হাজির হন নিজাম প্যালেসে। অন্যদিকে পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের দক্ষিণ দমদম পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই দত্তকে তলব করেছে ইডি।  চলতি সপ্তাহেই ইডির অফিসে হাজিরা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে তাঁকে। একসময় মন্ত্রী সুজিত বসুর ব্যক্তিগত আপ্ত সহায়ক ছিলেন নিতাই।

    নিজাম প্যালেসে দেবরাজ

    গত ২৫ তারিখে দেবরাজ চক্রবর্তীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই (CBI) প্রায় সাড়ে ৭ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল দেবরাজকে। তা সত্ত্বেও জিজ্ঞাসাবাদ অসম্পূর্ণ রয়ে গিয়েছিল বলে দাবি সিবিআইয়ের। তাছাড়া বিধাননগরের মেয়র পারিষদ সব নথিও জমা দিতে পারেননি বলে সিবিআইয়ের দাবি। আজ তাই নিজাম প্যালেসে ফের তলব করা হয়েছে দেবরাজ চক্রবর্তীকে। তাঁকে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত নথি নিয়ে আসার কথা বলেছিল সিবিআই। বুধবার সেই নথি নিয়েই সম্ভবত তিনি এসেছেন নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে। নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় তাঁর যোগাযোগের অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে দেবরাজ বলেন, ‘‘নিয়োগ বা বদলি সংক্রান্ত অভিযোগ প্রমাণভিত্তিক। আমি তদন্তে সহযোগিতা করছি।’’ 

    আরও পড়ুন: গ্রেফতারির আশঙ্কা! আজ ইডির সামনে হেমন্ত, মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে কি স্ত্রী কল্পনা সোরেন?

    নিতাইকে ইডির তলব

    পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের ইডি তলব করল নিতাই দত্তকে। দক্ষিণ দমদম পুর সভার ভাইস চেয়ারম্যান তিনি। একসময় মন্ত্রী সুজিত বসুর ব্যক্তিগত আপ্ত সহায়ক ছিলেন এই নিতাই। এর আগেও তাঁর বাড়িতে পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্ত চালিয়েছিলেন গোয়েন্দারা। নিতাই দত্তের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় সাত পাতার নথি উদ্ধার করেছিলেন ইডি আধিকারিকরা। দক্ষিণ দমদম পুর সভার ভাইস চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা আধিকারিকদের দাবি ছিল, পুরনিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত নিতাই দত্ত। কামারহাটি পুরসভায় চাকরি পেয়েছেন নিতাইয়ের স্ত্রী ও ভাই। চলতি সপ্তাহেই তাঁকে ইডি দফতরে হাজিরার নোটিস পাঠানো হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: শিক্ষা বিষয়ক সমস্ত মামলা সরল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ থেকে

    Calcutta High Court: শিক্ষা বিষয়ক সমস্ত মামলা সরল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ থেকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গেল বেঞ্চ থেকে সরল শিক্ষা বিষয়ক সমস্ত মামলা। উল্লেখ্য কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতি মামলায় একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মামলার রায় দিয়েছিলেন তিনি। এখন থেকে তাঁর মামলাগুলি শুনবেন বিচারপতি রাজ শেখর মান্থা। 

    রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর কন্যা অঙ্কিতা অধিকারীর চাকরি যে দুর্নীতির মাধ্যমে পেয়ছিলেন সেই বিষয়ে উল্লেখ্য যোগ্য রায় প্রদান করে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। একই ভাবে প্যানেলে নাম থাকা সত্ত্বেও যাঁরা চাকরি পাননি, শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতির বিরুদ্ধে যাঁরা রাস্তায় আন্দোলন করছিলেন তাঁদের কাছে অত্যন্ত আশার আশ্রয় ছিলেন এই বিচারপতি। এবার তাঁর এজলাস থেকে সকল শিক্ষা বিষয়ক মামলা সরল বলে জানা গিয়েছে।

    হাইকোর্ট সূত্রে খবর (Calcutta High Court)

    কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) সূত্রে জানা গিয়েছে, শিক্ষা বিষয়ক মামলা সরিয়ে এবার থেকে শ্রম এবং শিল্প সংক্রান্ত মামলার দায়িত্ব দেওয়া হল তাঁকে। সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের আরেক বিচারপতি সৌমেন সেনের সঙ্গে তাঁর সংঘাতের কথা প্রকাশ্যে আসে। এই বিষয়ে মামলা গড়ায় সুপ্রিমকোর্টে। এই প্রসঙ্গে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এই বিষয়ে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেন। মাস্টার অফ রস্টার কার্যত তিনিই ঘোষণা করেন। তিনি এই প্রসঙ্গে আরও বলেন, ‘আইনের মন্দিরে এমন ঘটনা আশা করা যায় না।’ তবে শিক্ষক দুর্নীতি মামলায় এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

    দুর্নীতির বিষয়ে কঠোর ছিলেন বিচারপতি

    হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় একাধিক সময়ে সিবিআই, ইডি-কে নিয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেছিলেন। তদন্তকারী অফিসারদের সময় বেঁধে দেওয়া, অভিযুক্তদের কোর্টে হাজিরা দেওয়া, চাকরি বাতিল করার মতো নানান ঘটনায় অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ পর্যবেক্ষণ এবং মন্তব্য করেছেন তিনি। এমনকী আন্দোলনরত চাকরি প্রার্থীদের নানান আইনি পরামর্শ দিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে শাহজাহানের বাড়তিতে তল্লাশি করতে গিয়ে ইডি আক্রান্ত হলে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে মন্তব্য করেন। তদন্তকারী আধিকারিকদের হাসপাতালে দেখতেও পর্যন্ত যান তিনি।

    অভিষেকের সম্পত্তির হিসাব চেয়েছিলেন

    সংবাদ মাধ্যমে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পত্তির হিসাব সামজিক মাধ্যমে প্রকাশ করার কথাও বলেন বিচারপতি (Calcutta High Court) গঙ্গোপাধ্যায়। তৃণমূল নেতার আয়ের উৎস কী তাও জানতে চেয়ছেন তিনি। সবটা মিলিয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে অত্যন্ত কঠোর মনোভাব নিয়ে একা অনন্য ব্যক্তিত্বের দৃষ্টান্ত রেখেছিলেন বলে করছেন অনেকেই। আর এর ফলেও তৃণমূল তাঁকে কটাক্ষ করতে বিন্দু মাত্র দেরি করেনি। তৃণমূলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ একাধিক সময়ে ‘দলাল’ বলে মন্তব্য করেছিলেন তাঁকে। আবার কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরি তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঘোষণা করে ছিলেন। উল্লেখ্য সম্প্রতি মেডিক্যাল ভর্তির একটি মামলায় ভুয়ো কাস্ট সার্টিফিকেট দেওয়ার বিষয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন। এরপর মামলার উপর স্থগিতাদেশ দেন বিচারপতি সৌমেন সেনের বেঞ্চ। আর এরপর থেকেই নজির বিহীন সংঘাত দেখা দেয়।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: মুখ্যমন্ত্রী যাওয়ার পরই তৃণমূলে ধস, নিশীথের নেতৃত্বে বিজেপিতে যোগদানের ঢল

    Cooch Behar: মুখ্যমন্ত্রী যাওয়ার পরই তৃণমূলে ধস, নিশীথের নেতৃত্বে বিজেপিতে যোগদানের ঢল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোচবিহারে (Cooch Behar) মুখ্যমন্ত্রী জেলা থেকে প্রস্থান করতেই যেন ধস নামলো তৃণমূলে। লোকসভা ভোটের আগেই বিজেপিকে আরও শক্ত করতে দলে দলে তৃণমূল কর্মীরা যোগদান করলেন বিজেপিতে। এই যোগদান সভায় বিশেষ নেতৃত্ব দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক।

    বিজেপির পার্টি অফিসে যোগদান (Cooch Behar)

    তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোচবিহারের (Cooch Behar) রাসমেলা ময়দানে একাধিক প্রকল্পের কথা যখন ঘোষণা করে গেলেন। সেই সঙ্গে ২১০ টি রাজবংশী বিদ্যালয়ের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করে গেলেন তিনি। আর ঠিক তার পরেই ২৪ ঘণ্টা ঘুরতে না ঘুরতেই তাঁর সভাস্থল থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে বিজেপির পার্টি অফিস থেকে দেশের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের হাত ধরে কোচবিহার পৌরসভার ৫, ১৫, ১৬, ১৯, ২০ নম্বর ওয়ার্ড থেকে একাধিক তৃণমূলকর্মী বিজেপিতে যোগদান করলেন। একই সঙ্গে কোচবিহার শহর লাগোয়া মধুপুরগ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সহ পঞ্চায়েত সদস্য এবং মধুপুর অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ তৃণমূল নেতৃত্বের একাধিক কর্মী-সমর্থকরা এদিন বিজেপিতে যোগদান করতে দেখা গেল।

    কোন কোন তৃণমূল নেতা যোগ দিলেন(Cooch Behar)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ মঙ্গলবার কোচবিহারের (Cooch Behar) মধুপুর অঞ্চলের উপপ্রধান তথা অঞ্চলের তৃণমূলের চেয়ারম্যান যোগেশচন্দ্র বর্মন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করলেন। সেই সঙ্গে গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য দীপ্তি রায়, সাধারণ সম্পাদক দীপক রায়, মধুপুর অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট জাহাঙ্গীর আলম-এর সাথে আরও একাধিক তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা বিজেপিতে যোগদান করেন। তৃণমূল নেতাদের মধ্যে এক নেতা বলেন, “১৯৯৮ সাল থেকে আমি তৃণমূল করি। কোনও রাগের জায়গা থেকে দল ছাড়ছি না। কাউর প্রতি কোনও দোষারোপ করব না। বিজেপি একটি সর্ব ভারতীয় দল। ভারতে গত এক দশক ধরে শাসন করছে এই দল। তাঁদের উন্নয়নের কাজে আমি খুশি। আঞ্চলিক দলের হয়ে আর কাজ করব না। এবার জাতীয় দলের সৈনিক হয়ে কাজ করবো। আজ আমরা মোট ১৩ জন পঞ্চায়েত সদস্য যোগদান করলাম। আগামী দিনে আরও অনেক মানুষ যোগদান করবে।”

    কী বলেন নিশীথ প্রামাণিক?

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক কোচবিহারে (Cooch Behar) এদিন বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী একগুচ্ছ ভাওতাবাজি দিয়ে গিয়েছেন। মানুষ এই ভাওতার প্রকল্পগুলিকে গ্রহণ করেনি। সাধারণ মানুষ বিজেপির সঙ্গে আছেন এবং থাকবেন। কোচবিহার থাকে আলিপুরদুয়ার পর্যন্ত সকল স্থানে মানুষ তৃণমূলকে আগামী লোকসভার ভোটে উচিত জবাব দেবেন। একই ভাবে ২০২৬ সালের বিধানসভার নির্বাচনে তৃণমূল দলটা পুরোপুরি উঠে যাবে। এই সরকারের দুর্নীতি এবং অগণতান্ত্রিক আচরণ মানুষের হিতের বিপরীত।”  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share