Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Suvendu Adhikari: “বিজেপি ক্ষমতায় এলে হাতে-পায়ে ধরে টাটাকে ফেরাব”, সিঙ্গুরে দাঁড়িয়ে বললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: “বিজেপি ক্ষমতায় এলে হাতে-পায়ে ধরে টাটাকে ফেরাব”, সিঙ্গুরে দাঁড়িয়ে বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি ক্ষমতায় এলে সিঙ্গুরে আবার ফিরিয়ে আনা হবে টাটা গোষ্ঠীকে। শুক্রবার বিকেলে সিঙ্গুরের একটি সভা থেকে এমনই হুঙ্কার দিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি অভিযোগ করেন, সিঙ্গুরে না হল শিল্প, না হল কৃষি। তৃণমূলের বিরুদ্ধে গলা তুলে বলেন, “ভাতা কোনও সমাধান নয়, কর্মসংস্থান আর সরকারের রাজস্ব বাড়াতে গেলে প্রয়োজন শিল্পের।” সিঙ্গুরের ওই জমির একাংশ এখনও চাষযোগ্য হয়নি। তা ব্যবহারযোগ্য করার দাবিতে চাষিদের একাংশ ফের রাজ্য সরকারের কাছে দরবার শুরু করেছে। সেই নিরিখে সিঙ্গুরে বিরোধী দলনেতার প্রয়াত রতন টাটাকে শ্রদ্ধা জানাতে আসার বিষয়টি তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন কেউ কেউ।

    মমতাকে মেরে তুলে দিলে এই অবস্থা হত না ! (Suvendu Adhikari)

    শুক্রবার বিকেল চারটে নাগাদ সিঙ্গুরের (Singur) সাহানাপাড়া থেকে এক সময়ের প্রকল্প এলাকার মেশিনারি গেট পর্যন্ত দলীয় মিছিল করল বিজেপি। মিছিল শেষে সভায় বক্তব্য রাখলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “জাতীয় সড়ক বন্ধ করে নেচেছে, গেয়েছে। বুদ্ধবাবু যদি মমতাকে মেরে তুলে দিতেন, তাহলে সিঙ্গুরের এই অবস্থা হত না। জ্যোতিবাবু থাকলে হত না এমন। একটা কারখানাকে ভেঙে তুলে দিল, অন্তরটা জ্বলে যেত।” এদিন সিঙ্গুরে টাটার কারখানা না হওয়া নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “আমার দম আছে, তাই অকথিত তথ্য দিচ্ছি। সিঙ্গুরে টাটার কারখানার বিরোধিতা করার কথা মুখ ফুটে বলতে পারিনি। তৃণমূল দলের মধ্যেই ছিলাম ঠিকই, কিন্তু এই ধ্বংসযজ্ঞে সামিল হইনি। ২৬ দিনের স্যান্ডুইচ-চকলেট খাওয়া অনশনে একমাত্র বিধায়ক আমি, যে যাইনি।” শুভেন্দু আরও বলেন,” বিজেপি ক্ষমতায় এলে হাতে-পায়ে ধরে টাটাকে ফেরাব। টাটা ছাড়া শিল্প হয় না। আমি দেখেছি, এপিজে আব্দুল কালাম আর রতন টাটাকে ভালো ছাড়া কেউ খারাপ বলেনি। সিএসআর অ্যাক্টিভিটির জনক হলেন রতন টাটা। সেই টাটাকেই মমতা বলেছিলেন বর্জন করুন। আমরা ওঁর কাছে ক্ষমা চাইছি বাঙালি হিসেবে। আর শপথ করছি, আমরা ক্ষমতায় এলে আপনার প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে আসব।”

    আরও পড়ুন: চারদিনে দেশের ২০ বিমানে বোমাতঙ্ক, মিলল লন্ডন-জার্মানি যোগ! কড়া পদক্ষেপের পথে কেন্দ্র

    সিঙ্গুরের জমির সর্বনাশ করেছেন মমতা

    তিনি (Suvendu Adhikari) এদিন দাবি করেন, “সিঙ্গুর থেকে শুধু শিল্পকে সরাননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সিঙ্গুরের জমিরও সর্বনাশ করেছেন তিনি। প্রোমোটিং আর তোলাবাজিতে ভরে গিয়েছে সিঙ্গুর। একটা কারখানাকে কেন্দ্র করে দশ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে শিল্প হতে পারত।” তাঁর কথায়, “সিপিএমের জন্য মমতা এখানে ঢুকতে পেরেছিল। ১৩ হাজার জমির মালিক ছিলেন। বেশির ভাগ চাষি চেক নিয়েছিলেন। কিন্তু বর্গাদারকে টাকা দিতে চায়নি সিপিএম। বর্গাদারদের ক্ষতিপূরণ না দেওয়া সিপিএমের বড় ভুল। বর্গাদারের লাঠি মারল আর মমতা ঢুকল সিঙ্গুরে।” শুভেন্দু আরও বলেন, “মুসলিমরা সিপিএমের মিছিলে যাচ্ছে, আর ভোট দিচ্ছে তৃণমূলকে। সিপিএমের ভোটাররা চায় রাজ্যের পরিবর্তন। আমি নন্দীগ্রামের ভোটারদের টেনে নিয়েছি। আমাদের আনুন, টাটা গোষ্ঠীকে ফিরিয়ে আনব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ফের মুখ পুড়ল রাজ্যের! উলুবেড়িয়ায় সভা করবেন শুভেন্দু, নির্দেশ হাইকোর্টের

    Suvendu Adhikari: ফের মুখ পুড়ল রাজ্যের! উলুবেড়িয়ায় সভা করবেন শুভেন্দু, নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির অভিযোগ ছিল, শাসকদল তৃণমূলের অঙ্গুলি হেলনে পুলিশ-প্রশাসন বিজেপির সভা করতে বাধা দিচ্ছে। তাই সভার অনুমতি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। অবশেষে উলুবেড়িয়ায় (Uluberia) তাঁকে সভা করার অনুমতি দিল হাইকোর্ট। জানা গিয়েছে, সভা হবে ২১ অক্টোবর তরুণ সঙ্ঘ ক্লাবের মাঠে। ফলে ফের একবার আদালতে মুখ পুড়ল মমতার পুলিশ-প্রশাসনের। উল্লেখ্য, দশমীতে হাওড়ার শ্যামপুরে দুর্গাপ্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক শোরগোল পড়েছিল। দুষ্কৃতীদের আক্রমণে মূর্তি ভাঙা নিয়ে শুভেন্দু কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন সামাজিক মাধ্যমে। এবার হবে এই জেলায় বিজেপির রাজনৈতিক সভা।

    দুপুর ২টো থেকে ৬টার মধ্যে সভা (Suvendu Adhikari)

    শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিভাস পট্টনায়ক আগামী সোমবার, হাওড়ায় শুভেন্দুকে সভা করার অনুমতি দিয়েছেন। তবে এই সভা করার জন্য একাধিক শর্ত আরোপ করা হয়েছে। বিচারপতি বলেন, “আগামী ২১ অক্টোবর দুপুর ২টো থেকে ৬টার মধ্যে সভা করতে পারবেন শুভেন্দু অধিকারী। তবে জনসভার জন্য যেন পার্কিং ও রাস্তায় কোনও প্রভাব না পড়ে। জনসভায় দু’হাজার লোকের বেশি জমায়েত হওয়া চলবে না।”
    আরও পড়ুনঃ রাজ্যে নারী নিরাপত্তা তলানিতে, কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি দিলেন সুকান্ত

    আগে রাজাপুর থানা অনুমতি দিয়েছিল!

    কলকাতা হাইকোর্টে শুনানি চলাকালীন শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) আইনজীবী বলেন, “উলুবেড়িয়ার নেতাজি ক্লাব প্রথমে জনসভা করার অনুমতি দিয়েছিল। পরে চাপের মুখে তা প্রত্যাহার করে। এরপর তরুণ সঙ্ঘের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়। পুলিশকে জানানো হয়। পুলিশ জানিয়েছে, মাঠটি ক্লাবের নয়। পিডবলুডি-র মাঠ। অথচ এর আগে রাজাপুর থানার অধীনে ওই মাঠে সভার অনুমতি দিয়েছে হাইকোর্ট।” পাল্টা সরকার পক্ষের আইনজীবী স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “যে কোনও ব্যক্তির সভা করার অনুমতি রয়েছে। ক্লাবের কোনও অধিকার নেই অনুমতি দেওয়ার। ন্যাশনাল হাইওয়ে ১৬ রয়েছে ক্লাবের (Uluberia) পাশেই। মামলাকারীর নিরাপত্তা এবং ট্রাফিককের অসুবিধা হবে।”

    বিজেপির অবশ্য বক্তব্য, তৃণমূলের আমলে গণতন্ত্র বলে কিছু নেই রাজ্যে। শাসকের বিরুদ্ধে প্রশ্ন করলে কোনও রকম সভার অনুমতি দেওয়া হয় না বিজেপিকে। আরজি কর-কাণ্ডে শ্যামবাজার, হাজরা মোড়ে হাইকোর্টের অনুমতি নিয়ে সভা করতে হয়েছিল। একই ভাবে সন্দেশখালি-সহ একাধিক জায়গায় সভা করতে গেলে কোর্টের অনুমতি নিয়ে সভা করতে হয়েছিল। ফলে মত প্রকাশের ক্ষেত্রে স্বৈরাচারী হয়ে উঠেছে মমতার প্রশাসন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nadia: অন্য তরুণীর সঙ্গে সিনেমা হলে নির্যাতিতার প্রেমিক, কৃষ্ণনগরকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য

    Nadia: অন্য তরুণীর সঙ্গে সিনেমা হলে নির্যাতিতার প্রেমিক, কৃষ্ণনগরকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণনগরে তরুণীর রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে। সিসিটিভি ক্যামেরা সূত্রে পাওয়া তথ্য, অভিযুক্তের দাবি, পরিবারের দাবি-সব মিলিয়ে নানারকম তথ্য আসছে, যার প্রত্যেকটিই চাঞ্চল্যকর। প্রেমিকের সঙ্গে অন্য তরুণীর সম্পর্কের জেরেই কি মৃত্যু হয়েছে কৃষ্ণনগরের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীর? শুক্রবার দেহ উদ্ধারের ৩ দিন পর উঠে আসছে এমনই তথ্য। চিকিৎসকদের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা নির্যাতিতার পরিবারের লোকজনের সঙ্গে এদিন কথা বলেন।

    অন্য তরুণীর সঙ্গে সিনেমা হলে নির্যাতিতার প্রেমিক! (Nadia)

    তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, ধৃত যুবক রাহুলের সঙ্গে নিহত তরুণীর (Nadia) ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। কিন্তু সম্প্রতি সম্পর্কে অবনতি হয়। অন্য এক তরুণীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান রাহুল। তার জেরেই কি মৃত্যু হয়েছে তরুণীর? উঠছে প্রশ্ন। কৃষ্ণনগরে তরুণীর দগ্ধ, বিবস্ত্র দেহ উদ্ধারের ঘটনায় বৃহস্পতিবারই সিট গঠন করেছে রাজ্য পুলিশ। শুক্রবার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত যুবক রাহুল বসুর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল নিহত তরুণীর। রাহুলকে নিজের স্বামী বলে তিনি পরিচয় দিতেন বন্ধুমহলে। এমনকী তরুণীর ফোনেও রাহুলের নম্বর হাজব্যান্ড লিখে সেভ করা রয়েছে। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, সম্প্রতি তরুণীর সঙ্গে রাহুলের সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছিল। তলানিতে পৌঁছেছিল সেই সম্পর্ক। এর পর তরুণীরই এক বান্ধবীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান রাহুল। মঙ্গলবার ২ জন রানাঘাটে একটি প্রেক্ষাগৃহে সিনেমা দেখতে গিয়েছিলেন। বিকেল পর্যন্ত সেখানেই ছিলেন। পরে কৃষ্ণনগর ফেরেন। রাহুলই আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়েছিলেন কিনা, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

    আরও পড়ুন: রাজ্যে নারী নিরাপত্তা তলানিতে, কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি দিলেন সুকান্ত

    মৃত্যুর আগের দিন ঠিক কী হয়েছিল?

    পুলিশের দাবি, মৃত্যুর আগের দিন কৃষ্ণনগর (Nadia) শহরের একাধিক রাস্তায় একা ঘুরে বেড়িয়েছিলেন তরুণী। ঘটনাস্থল থেকে কিছু দূরে কলেজ মাঠের কাছে রাত সাড়ে নটার পর থেকে তরুণীর গতিবিধি পাওয়া গিয়েছে। ধৃত রাহুলের উপস্থিতিও পাওয়া গিয়েছে কলেজ মাঠে। অথচ পুলিশের কাছে রাহুল দাবি করেছেন, তাঁদের সেদিন দেখা হয়নি। রাহুলের দাবি, ‘আমি খুন করিনি। ফোনে কথা হয়েছিল আমি কোথায়, আমার সঙ্গে সম্পর্ক রাখিস না, এইটুকু।’ কিন্তু দেখা গিয়েছে, রাত সাড়ে ৯ টা নাগাদ তরুণী ও রাহুল উভয়েরই মোবাইল টাওয়ার লোকেশন একই অঞ্চলেই ছিল।

    ময়না তদন্তে কী মিলল?

    বৃহস্পতিবার তরুণীর (Nadia) দেহের ময়নাতদন্তের পর জানা যায়, ধর্ষণের কোনও স্পষ্ট প্রমাণ মেলেনি। তবে মৃত্যুর আগেই তরুণীর গায়ে আগুন ধরানো হয়েছিল। ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সম্ভবত সেই আগুনেই তরুণীর দেহের পোশাক পুড়ে গিয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে ১টি বোতল ও ২টি দেশলাই বাক্স। তার মধ্যে ১টি খোলা অবস্থায় ছিল। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ মনে করছে, প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন তরুণী। কিন্তু সমস্ত সম্ভাবনা খোলা রেখে তদন্ত চালিয়ে যেতে চায় তারা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: গভীর ষড়যন্ত্র? ওসি অভিজিতের পলিগ্রাফ ও সন্দীপের নারকো টেস্ট করতে চায় সিবিআই

    RG Kar: গভীর ষড়যন্ত্র? ওসি অভিজিতের পলিগ্রাফ ও সন্দীপের নারকো টেস্ট করতে চায় সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar) কাণ্ডের সময় টালা থানার তৎকালীন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের পলিগ্রাফ ও হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের (Sandip Ghosh) নারকো টেস্ট করাতে উদগ্রীব হয়ে উঠেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। এদিনই শিয়ালদা আদালতে এই মর্মে আবেদন জানানো হবে বলে জানা গিয়েছে। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, গুজরাটের গান্ধীনগরে সন্দীপ ঘোষের নারকো অ্যানালাইসিস টেস্ট করাতে চায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। আদালতে এর আগেই সিবিআই জানিয়েছিল কোনও অপরাধের ক্ষেত্রে গভীর ষড়যন্ত্র থাকলে নারকো টেস্টের মাধ্যমে রহস্য উন্মোচন করা সম্ভব হয়। সিবিআই ইতিমধ্যে জানিয়েছে, এর আগে সন্দীপ ঘোষের পলিগ্রাফ টেস্ট করা হয়েছে এবং দিল্লির সিএফএসএল-র রিপোর্ট অনুযায়ী বেশ কিছু অসঙ্গতি (RG Kar) পাওয়া গিয়েছে, আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষের বয়ানে। এবার তাঁর নারকো অ্যনালাইসিস টেস্ট করাতে চাইছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। 

    সন্দীপের আর্জিতে আমল দিল না উচ্চ আদালত

    এদিকে, আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar)  জেল বন্দি প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের মামলা জরুরি ভিত্তিতে শোনার আর্জিতে আমলই দিল না কলকাতা হাইকোর্ট। সন্দীপ ঘোষের (Sandip Ghosh) দাবি ছিল, তাঁর পরিবারে অনটন চলছে, তাই ফিক্সড ডিপোজিট ভেঙে তিনি কিছু টাকা তুলতে চান। এই আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন তিনি। শুক্রবার সেই মামলা শোনার কথা ছিল আদালতে। কিন্তু সেই আর্জিতে কোনও আমলই দিল না কলকাতা হাইকোর্ট।

    ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসককে (RG Kar) ফের তলব

    অন্যদিকে, আরজিকর কাণ্ডে নিহত মহিলা চিকিৎসকের ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক অপূর্ব বিশ্বাসকে ফের একবার তলব করল সিবিআই। শুক্রবারে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেন ওই ডাক্তার। প্রসঙ্গত, আরজি করের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক হলেন অপূর্ব বিশ্বাস। তিনিই নিহত চিকিৎসকের দেহের ময়নাতদন্ত করেছিলেন বলে জানা যায়। তাঁকে এর আগে একাধিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এর আগেই অপূর্ব বিশ্বাস দাবি করেছিলেন, নিহত চিকিৎসকের দেহের ময়নাতদন্ত দ্রুত করার জন্য তাঁকে চাপ দেওয়া হয়েছিল। সংবাদ মাধ্যমকে অপূর্ব বিশ্বাস জানিয়েছিলেন, ঘটনার পরেই মৃতার কাকা পরিচয় দিয়ে তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল। তবে পরে জানা যায়, ওই কাকা আসলে সঞ্জীব নামের এক ব্যক্তি। যাঁকে নির্যাতিতা, কাকু বলে সম্মোধন করতেন। সঞ্জীব অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Case: এবার গ্রামে গ্রামে ‘গণস্বাক্ষর’ কর্মসূচি জুনিয়র ডাক্তারদের, ভাবনায় ব্রিগেড সমাবেশও?

    RG Kar Case: এবার গ্রামে গ্রামে ‘গণস্বাক্ষর’ কর্মসূচি জুনিয়র ডাক্তারদের, ভাবনায় ব্রিগেড সমাবেশও?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar Case) হাসপাতলে নির্যাতিতার ন্যায়বিচার সহ মোট ১০ দফা দাবিতে, জুনিয়র ডাক্তাররা আন্দোলনকে আরও বৃহৎ করতে গ্রামে গ্রামে গিয়ে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ (Mass Signature Campaign) করার ডাক দিয়েছেন। একই ভাবে দ্রোহের কার্নিভালের পর আপামর মানুষের কাছে আন্দোলনের তীব্রতাকে আরও মারাত্মক করতে ব্রিগেড সমাবেশের ডাক দেওয়ার ভাবনাচিন্তাও চলছে বলে জানা গিয়েছে। অভয়ার নির্যাতনের পর থেকেই রাজ্যে গত দুই মাসে, জয়নগর, ভূপতিনগর, মালদা, বর্ধমান, পুরুলিয়া সহ একাধিক জেলায় এখনও ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনা ঘটে চলেছে। ফলে রাজ্যের শাসক দল এবং পুলিশ প্রশাসন নারী সুরক্ষা প্রসঙ্গে অত্যন্ত চাপের মুখে যে রয়েছে, সে কথা ওয়াকিবহাল মহল মনে করছেন। একই ভাবে রাজ্যের বিরোধী দলগুলিও মমতার পদত্যাগের দাবিতে এখনও অনড়। 

    শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত নিতে অভিযান (RG Kar Case)

    গত ৯ অগাস্ট থেকে অভয়ার (RG Kar Case) ন্যায় বিচারের দাবিতে কলকাতার রাজপথ উত্তাল। মমতা সরকার, পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে লাগাতার আন্দোলন চলছে। জুনিয়র ডাক্তাররা ধর্মতলায় অনশনে বসে আছেন। তাঁদের পাশে থেকে আন্দোলনে সামিল হয়েছেন সাধারণ মানুষ। একটাই দাবি তিলোত্তমার সুবিচার চাই। এই পরিস্থিতিতে শহরের পর এবার আন্দোলনকারী ডাক্তাররা গ্রামে গ্রামে গিয়ে ‘গণস্বাক্ষর’ (Mass Signature Campaign)—এর অভিযান করবেন বলে জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার শহরের চার জায়গায় এই স্বাক্ষর অভিযান চালানো হয়েছিল। তাতে ব্যাপক সাড়া মিলেছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। আন্দোলনকে আরও ব্যাপক মাত্রা দিতে শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত নিয়ে যেতে এই অভিযান (Mass Signature Campaign)। উল্লেখ্য, আগামী মাসে রাজ্যের ৬টি বিধানসভার উপনির্বাচন। ফলে এই আন্দোলন এখন গ্রামীণ এলাকায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে কতটা প্রভাব ফেলে, তাই এখন দেখার।

    আরও পড়ুনঃ রাজ্যে নারী নিরাপত্তা তলানিতে, কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি দিলেন সুকান্ত

    বড় পদক্ষেপ ব্রিগেড সমাবেশ?

    দ্রোহের কার্নিভালের (RG Kar Case) পর এবার জুনিয়র ডাক্তারদের বড় পদক্ষেপ হতে পারে ব্রিগেড সমাবেশ। গত অগাস্ট থেকে অক্টোবরের চলতি সময় পর্যন্ত ধর্না, আন্দোলন, অবস্থান বিক্ষোভ, লালবাজার অভিযান, স্বাস্থ্য ভবন অভিযান এবং আমরণ অনশন কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন ডাক্তাররা। তাতে সকল রাজনৈতিক, অরাজনৈতিক এবং প্রবুদ্ধ নাগরিক সমাজ অংশগ্রহণ করেছেন। জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর্স-এর পক্ষ থেকে বলা হয়, “আসল কার্নিভাল হবে সব দাবি পূরণের পর। সেই দিন আর কথা নয়, সকল মানুষ ব্রিগেড গ্রাউন্ড দখল নেবে আমাদের বিশ্বাস।” ফলে এই বক্তব্যের পর থেকে গুঞ্জন উঠেছে পরবর্তী বড় বিক্ষোভ সমাবেশ কি তাহলে ব্রিগেড সমাবেশে হচ্ছে? তবে আমরণ অনশনের পাশাপাশি লিফলেট বিলি, পথ চলতি মানুষের স্বাক্ষর গ্রহণ করে অভিনব প্রতিবাদ করছেন জুনিয়র ডাক্তাররা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: সমুদ্রে ঢেউয়ের উচ্চতা উঠতে পারে ৫ ফুট! বঙ্গোপসাগরে ফের নিম্নচাপের ভ্রুকুটি

    Weather Update: সমুদ্রে ঢেউয়ের উচ্চতা উঠতে পারে ৫ ফুট! বঙ্গোপসাগরে ফের নিম্নচাপের ভ্রুকুটি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের (Weather Update) ভ্রুকুটি! আগামী সপ্তাহ থেকে দক্ষিণবঙ্গে বাড়তে পারে বৃষ্টি। সমুদ্র উত্তাল হওয়ার জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে উঁচু ঢেউয়ের সতর্কতা (Low pressure) জারি করা হয়েছে। 

    ২২ অক্টোবর নিম্নচাপ অঞ্চল সৃষ্টির সম্ভাবনা (Weather Update)

    আলিপুর হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ উপকূলীয় অন্ধ্রপ্রদেশ এবং সংলগ্ন উত্তর উপকূলীয় তামিলনাড়ুতে একটি নিম্নচাপ (Weather Update) বলয় তৈরি রয়েছে। ওই এলাকায় সমুদ্রের উপর রয়েছে একটি ঘূর্ণাবর্তও। আগামী কয়েক ঘণ্টায় তা আরও উত্তর পশ্চিম দিকে সরবে এবং শক্তি ক্ষয় করবে। এরপর, আগামী ২০ অক্টোবর উত্তর আন্দামান সাগরে তৈরি হতে পারে একটি ঘূর্ণাবর্ত। যার ফলে আগামী দুই দিনের মধ্যে নতুন নিম্নচাপ বলয় তৈরি হতে পারে মধ্য বঙ্গোপসাগরে। পূর্বাভাস, ২২ অক্টোবর ওই নিম্নচাপের অঞ্চল সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে পশ্চিমবঙ্গে কতটা প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে আবহবিদরা নজরে রেখেছেন।

    শনিবার পর্যন্ত সমুদ্র উত্তাল থাকতে পারে

    পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকায় উঁচু ঢেউয়ের সতর্কতা (Weather Update) জারি করা হয়েছে। ১৯ অক্টোবর, শনিবার পর্যন্ত সমুদ্র উত্তাল (Low pressure) থাকতে পারে। গভীর সমুদ্রের মৎস্যজীবীদের তাতে কোনও সমস্যা হবে না। তাঁদের জন্য সতর্কতা জারি করা হয়নি। তবে সতর্ক করা হয়েছে সমুদ্র সৈকতে থাকা লোকজনকে। পর্যটক এবং সমুদ্র উপকূলের কাছাকাছি থাকা বাসিন্দাদের সতর্কে থাকার জন্য বলা হয়েছে। তবে সমুদ্রে ঢেউয়ের উচ্চতা হতে পারে প্রায় পাঁচ ফুট পর্যন্ত।

    আরও পড়ুন: গণস্বাক্ষর অভিযানের পর এবার ন্যায় বিচার যাত্রার ডাক জুনিয়র ডাক্তারদের

    দক্ষিণবঙ্গে হলুদ সতর্কতা

    শুক্র ও শনিবার বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি (Weather Update) হতে পারে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়। উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং নদিয়ায়। এই জেলাগুলিতে রীতিমতো হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। কলকাতা-সহ দক্ষিণের অন্যন্য জেলাগুলিতেও হালকা থেকে মাঝারি বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কলকাতায়, বৃহস্পতিবার বৃহস্পতিবার রাতের তাপমাত্রা ছিল ২৭.৩ ডিগ্রি। অন্যদিকে, দিনের তাপমাত্রা ৩১.৬ ডিগ্রি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমান ৬৮ থেকে ৯৩ শতাংশ। উত্তরবঙ্গে এখনও কোনও বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়নি। কিন্তু দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়িতে বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: রাজ্যে নারী নিরাপত্তা তলানিতে, কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি দিলেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: রাজ্যে নারী নিরাপত্তা তলানিতে, কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি দিলেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ড থেকে শুরু করে কুলতলি, পুরুলিয়া, কৃষ্ণনগর। রাজ্যে (West Bengal) একের পর এক মহিলাদের ওপর অত্যাচারের অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। এই পরিস্থিতিতে বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার অবিলম্বে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের আর্জি জানিয়ে কেন্দ্রীয় নারী সুরক্ষা ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী অন্নপূর্ণা দেবীকে চিঠি দিলেন। মন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে রীতিমতো উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Sukanta Majumdar)

    কৃষ্ণনগরে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ করে নৃশংসভাবে খুন করা হয়। পুলিশ ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে চাইছে বলে অভিযোগ। যদিও ইতিমধ্যে পুলিশের পক্ষ থেকে সিট গঠন করা হয়েছে। তবে, পুলিশি তদন্তের ওপর আস্থা নেই পরিবারের। ঘটনার সিবিআই তদন্ত দাবি করেছেন পরিবারের লোকজন। পুরুলিয়ার বরাবাজার এলাকায় নদীর ধার থেকে এক তরণীর দেহ উদ্ধার হয়। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের আশঙ্কা, ওই তরুণীর ওপর নির্যাতন চালিয়ে তাঁকে খুন করা হয়েছে। পুলিশ দেহ ময়না তদন্তে পাঠিয়েছে। এই সব ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।

    আরও পড়ুন: গণস্বাক্ষর অভিযানের পর এবার ন্যায় বিচার যাত্রার ডাক জুনিয়র ডাক্তারদের

    মন্ত্রীকে চিঠিতে কী লিখলেন সুকান্ত?

    পর পর নারী নির্যাতিনের ঘটনার নিয়ে এবার সরব হয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে তিনি (Sukanta Majumdar) লিখেছেন, “পশ্চিমবঙ্গের মহিলাদের সুরক্ষা একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে। তাই এই ব্যাপারে প্রয়োজনীয় তদন্তের আবেদন জানাচ্ছি।” আরজি করের ঘটনার পর কুলতলির ঘটনা নিয়েও সরব হয়েছিলেন তিনি। কুলতলির নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ সামনে আসার পরেই আন্দোলনে নিজে পথে নেমেছিলেন। এবার পুরুলিয়া এবং কৃষ্ণনগরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র প্রতিবাদ শুরু হয়েছে নানা মহলে। কৃষ্ণনগর ও পুরুলিয়ার ঘটনা উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে সুকান্তর অভিযোগ, “বাংলার মহিলাদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার মহিলাদের নিরাপত্তা চাই।” এর আগে কুলতলির ঘটনা নিয়েও কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী অন্নপূর্ণা দেবীকে চিঠি লিখেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। আর এবার কৃষ্ণনগর এবং পুরুলিয়ার ঘটনার কথা উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের দাবিতে সরব সুকান্ত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hindu Women: সমাজমাধ্যমে দুই হিন্দু মহিলাকে কুরুচিকর আক্রমণ, ভাইরাল হতেই ক্ষমা চাইল মুসলিম যুবক

    Hindu Women: সমাজমাধ্যমে দুই হিন্দু মহিলাকে কুরুচিকর আক্রমণ, ভাইরাল হতেই ক্ষমা চাইল মুসলিম যুবক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খাস কলকাতার বুকে আজান জাহাঙ্গির নামের এক মুসলিম যুবকের বিরুদ্ধে সমাজমাধ্যমে, দুই হিন্দু মহিলাকে (Hindu Women) কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার অভিযোগ উঠল। পরে গালিগালাজ ও যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্যের সেই পোস্ট ভাইরাল হতেই ক্ষমাপ্রার্থনা করে ওই যুবক। গালিগালাজের ওই স্ক্রিনশট অথবা যুবকের ক্ষমা প্রার্থনার ভিডিও-র কোনওটারই সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম। 

    আসল ঘটনা (Hindu Women)

    ওপি ইন্ডিয়াতে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, গত ১৭ অক্টোবর ওই মুসলিম যুবক, দুই হিন্দু মহিলার (Hindu Women) উদ্দেশে বেশ কিছু অশালীন শব্দ প্রয়োগ করে। এর পরেই ওই যুবকের পরিচয় প্রকাশ্যে আনা হয় @HPhobiaWatch-এই প্রোফাইল থেকে (Muslim man)। @HPhobiaWatch তাদের পোস্টে অভিযুক্ত যুবকের কলেজকেও ট্যাগ করে। তাদের পোস্টে প্রশ্ন রাখা হয় যে, ছাত্রের ওই ধরনের বয়ানকে কলেজ সমর্থন করে কিনা এবং এটা শৃঙ্খলার মধ্যে পড়ে কিনা! @HPhobiaWatch-র ট্যুইটের ১২ ঘণ্টা পরে আজান জাহাঙ্গির নিজের এক্স হ্যান্ডেলে এসে ক্ষমাপ্রার্থনা (Muslim man) করে ভিডিও পোস্ট করে।

    আজান জাহাঙ্গিরের ক্ষমা চাওয়ার পোস্ট

    ভিডিওতে সে বলে, ‘‘আমাকে ক্ষমা করে দিন। আমি সমস্ত হিন্দুদের কাছ থেকে ক্ষমা চাইছি। আমার কেরিয়ার নষ্ট হয়ে যাবে। আমাকে ক্ষমা করে দিন।’’ শুধু তাই নয় সে আরও বলতে থাকে, ‘‘বেশ কিছু উগ্র মৌলবাদীর খপ্পরে পড়ে সে এই ঘটনা (Hindu Women) ঘটিয়েছে।’’ এর পাশাপাশি সে দাবি করে যে ভবিষ্যতে আর কখনও সমাজ মাধ্যমে তাকে দেখা যাবে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ESI Hospital: ইএসআই হাসপাতালে আগুন, ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু ১ রোগীর

    ESI Hospital: ইএসআই হাসপাতালে আগুন, ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু ১ রোগীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিয়ালদা ইএসআই হাসপাতালে (ESI Hospital) ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। হাসপাতালের মেল সার্জিক্যাল বিভাগে শুক্রবার ভোরে আচমকাই আগুন লাগে (Hospital Fire)। প্রবল ধোঁয়ায় হাসপাতাল ঢেকে যায়, ফলে দমবন্ধ হয়ে আসে রোগীদের। আগুনে দমবন্ধ হয়ে এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তাঁর নাম উত্তম বর্ধন। ক্যান্সারে আক্রান্ত আরও ২ জনকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় মানিকতলা ইএসআই হাসপাতালে (ESI Hospital) নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আগুন লাগার খবর পেয়ে দমকলের ১০টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Hospital Fire)

    পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রের খবর, শুক্রবার ভোর ৫টা নাগাদ হাসপাতালের দোতলা থেকে কালো ধোঁয়া বেরিয়ে আসতে দেখা যায়। হাসপাতালের নিরাপত্তা রক্ষীরাই দমকলে খবর দেন। আচমকা দেখা যায়, হাসপাতালের একটা অংশ দাউ দাউ করে জ্বলছে (Hospital Fire)। এরপরই কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা হাসপাতাল। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে রোগী ও তাঁদের পরিজনদের মধ্যে। জানা গিয়েছে, ঘটনার সময় হাসপাতালে (ESI Hospital) চিকিৎসাধীন ছিলেন ৮০ জন রোগী। পুলিশ ও দমকলের কর্মীরা স্বাস্থ্যকর্মীদের সাহায্যে পুরুষ সার্জিক্যাল বিভাগে ভর্তি থাকা রোগীদের দ্রুত বাইরে বের করে আনেন। রোগীদের অবস্থা এখন স্থিতিশীল বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। খবর পেয়ে দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু ও দমকলের উচ্চ পদস্থ কর্তারা হাসপাতালে পৌঁছন। পৌনে আটটা নাগাদ আগুন আয়ত্তে আসে। তাঁদের দ্রুত সরানোর ব্যবস্থা হয় বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। ধোঁয়ায় একজন রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে পড়ে (Hospital Fire)। দমবন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। তাঁকে ইএসআই হাসপাতালের (ESI Hospital) ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে স্থানান্তরিত করা হয়। পরে, হাসপাতালের তরফ থেকে জানানো হয় মৃত্যু হয়েছে ওই রোগীর। উত্তম বর্ধন নামে ওই রোগী ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। হাসপাতালে প্রচণ্ড ধোঁয়ায় শ্বাসকষ্ট শুরু হয় তাঁর। তিনি ক্যান্সারের সঙ্গে শ্বাসকষ্ট ভুগছিলেন বলে জানিয়েছেন হাসপাতালে সুপার। 

    আরও পড়ুন: ফোর লেন হচ্ছে ধূপগুড়ি-ফালাকাটা জাতীয় সড়ক, ১৬০৬ কোটি বরাদ্দ কেন্দ্রের

    দমকল দফতরের কী বক্তব্য?

    দমকল দফতরের এক আধিকারিক বলেন, প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে, বিদ্যুৎ সংযোগ থেকেই আগুন (Hospital Fire) লেগেছে। হাসপাতালের এইচডিইউ বিভাগে আগুন লাগে এদিন ভোরে। সেখান থেকেই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত। একাধিক বিভাগে ছড়িয়ে পড়ে আগুন। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন হাসপাতালের কর্মীরাও। পরিস্থিতি কত দ্রুত স্বাভাবিক করা যায়, সেদিকে নজর রয়েছে হাসপাতাল (ESI Hospital) কর্তৃপক্ষের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Junior Doctor: গণস্বাক্ষর অভিযানের পর এবার ন্যায় বিচার যাত্রার ডাক জুনিয়র ডাক্তারদের

    Junior Doctor: গণস্বাক্ষর অভিযানের পর এবার ন্যায় বিচার যাত্রার ডাক জুনিয়র ডাক্তারদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডের (RG Kar) প্রতিবাদে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এখনও চলছে জুনিয়র ডাক্তারদের (Junior Doctor) অনশন। তার মধ্যেই এবার নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। আমরণ অনশনকারীদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করতে ও ন্যায় বিচারের দাবিতে বৃহস্পতিবার পদযাত্রার ঘোষণা করল ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট।

    ন্যায় বিচার যাত্রার আয়োজন (Junior Doctor)

    আগামী শনিবার সোদপুর থেকে ধর্মতলার অনশনমঞ্চ পর্যন্ত ন্যায় বিচার যাত্রার আয়োজন করা হয়েছে। জুনিয়র ডাক্তারদের (Junior Doctor) তরফে বলা হয়েছে, অনশনকারীদের প্রতি সংহতি জানিয়ে সোদপুর থেকে ধর্মতলার অনশনমঞ্চ পর্যন্ত ন্যায় বিচার যাত্রার আয়োজন করা হয়েছে। তার সঙ্গে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ওই একই সময়ে ন্যায় বিচার যাত্রাও করা হবে বলে জানিয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। অন্যদিকে, এদিন স্বাস্থ্য ভবনের কাজের খতিয়ান তুলে ধরেন জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট। তাদের দাবি, সুপ্রিম কোর্টে মিথ্যাচার করছে রাজ্য সরকার। যে কাজের খতিয়ান স্বাস্থ্যভবনের তরফে সুপ্রিম কোর্টে দেওয়া হয়েছে, তার কোনওটাই সম্পূর্ণ হয়নি। নিজেদের দাবির সমর্থনে একাধিক ছবিও দেখিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা।

    আরও পড়ুন: ফোর লেন হচ্ছে ধূপগুড়ি-ফালাকাটা জাতীয় সড়ক, ১৬০৬ কোটি বরাদ্দ কেন্দ্রের

    স্বাস্থ্য সচিব মিথ্যাচার করছেন

    জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের তরফে সত্যজিৎ সরকার (Junior Doctor) বলেন, ‘‘দুপুর দু’টোর সময় আমরা ছবি তুলেছি। কোথায় কী কাজ রয়েছে, তা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। কেন এই মিথ্যাচার? মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রছাত্রীরা যে রিপোর্ট অধ্যক্ষের কাছে জমা দিয়েছিলেন, সেখানে ৮৩৯টি সিসিটিভির প্রয়োজন আছে। কিন্তু স্বাস্থ্য ভবন অনুমতি দিয়েছে ৩৬০টি সিসিটিভির। এর মধ্যে কর্তৃপক্ষ বলছে এখনও বসানো হয়েছে ৩৩১টি। আমাদের কাছে প্রমাণ আছে। বহু জায়গায় সিসিটিভি বসানো এখনও বাকি। স্বাস্থ্যসচিব মিথ্যাচার করছেন। ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের কাছে। এর সঙ্গে আমরা জানতে পারছি, এই সিসিটিভি বসানো হয়েছে মাত্র ৪৫ দিনের জন্য।’’

    নারী সুরক্ষা উপেক্ষিত

    জুনিয়র ডাক্তাররা (Junior Doctor) বলেন, ‘‘বাংলার বিভিন্ন যাত্রায় নারী সুরক্ষার বিষয়টি উপেক্ষিত। বাংলার বিভিন্ন জায়গায় একই দিনে সমস্ত নাগরিক মঞ্চের তরফ থেকে ন্যায় বিচার যাত্রার আয়োজন করুন। প্রথম দিন থেকে যেভাবে প্রতিবাদে রয়েছেন সেটা চালিয়ে যান। যে মানবিক সরকারের কথা বলা হত সেই সরকারের যে অমানবিক মুখ দেখতে পাচ্ছি তাতে আমরা ক্ষুব্ধ ও হতাশ।’’ সেই সঙ্গেই জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়েছেন গণস্বাক্ষর অভিযান যেমন চলছে তেমনি চলবে। রাজ্যের জেলায় জেলায় এই কর্মসূচি পালন করা হবে। অনশনে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তাঁরা। অনিকেত হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেও শারীরিকভাবে এখনও যথেষ্ট দুর্বল। ৬ দিন পর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন। অনিকেত মাহাতোর চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা ডাঃ সোমা মুখোপাধ্যায় জানান, নির্দিষ্ট সময় পর অনিকেতর প্রেসার মাপতে হবে। খেতে হবে প্রচুর পরিমাণ জল। আর আপাতত তিনি এখন অনশনে যোগ দিতে পারবেন না। আপাতত অনশনে যাচ্ছেন না অনিকেত। তবে লড়াইয়ের মঞ্চ ছাড়ছেন না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share