Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Firecracker Market: এত বিস্ফোরণ, এত প্রাণহানি, তাও বাজি বাজার এবার এক মাস! এ কেমন সিদ্ধান্ত নবান্নর

    Firecracker Market: এত বিস্ফোরণ, এত প্রাণহানি, তাও বাজি বাজার এবার এক মাস! এ কেমন সিদ্ধান্ত নবান্নর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এত বেআইনি কারখানার হদিশ, এত বিস্ফোরণ, এত প্রাণহানি, তাও এ কেমন সিদ্ধান্ত প্রশাসনের? এ তো বাজি (Firecracker Market) বিষয়কে উল্টে আরও উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে । রাজ্য সরকারের এক মাস ব্যপী বাজি বাজারের অনুমতি দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন বিশেষজ্ঞমহলে। রাজ্য সরকারের ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প দফতর (এমএসএমই) একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দিয়েছে, চলতি বছরেও বাজি বাজার বসবে প্রতিটি জেলায়। তবে, অন্যান্য বারের মতো এক সপ্তাহ নয়, বাজার চলবে এক মাস ধরে!

    বাজি-বাজার নিয়ে প্রশ্ন নানা মহলে 

    সম্প্রতি রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বজবজ থেকে এগরা, মালদহ থেকে দত্তপুকুর— একের পর এক বেআইনি বাজি কারখানায় (Firecracker Market) বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে। ছোট শিশু থেকে বাজি কারবারি মৃত্যুমিছিলের পর প্রশ্ন উঠেছিল আর কবে কড়া হবে প্রশাসন? কিছু জায়গায় বাজি নিয়ে ধরপাকড় শুরু হওয়ায় অনেকের মনেই প্রশ্ন তৈরি হয়েছিল, এ বছর উৎসবের মরসুমে কি আর বাজি বাজারের অনুমতি দেবে সরকার? কিন্তু এতো উল্টো চাল! বাজি বিষয়কে রও উৎসাহ দেওয়া হলো। কি ভাবছে প্রশাসন? পরিবেশকর্মীদের বড় অংশেরই দাবি, এমন বাজার বসলে বেআইনি বাজির কারবার মাথাচাড়া দিতে পারে। ঘটতে পারে আরও বিস্ফোরণের ঘটনা।

    আরও পড়ুন: ইডির তালিকায় রয়েছেন, নেই পর্ষদের তথ্যে! দুই প্রাথমিক শিক্ষক কোথায়? অবাক আদালত

    প্রশ্ন বাজি-কারবারিদের মধ্যেও

    বাজি বাজার নিয়ে প্রশ্ন বাজি-কারবারিদের (Firecracker Market) মধ্যেও।  সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বাজি বাজারের ৩০ দিনের জন্য ১০০ কেজি পর্যন্ত সবুজ বাজি ও ৫০০ কেজি পর্যন্ত ফুলঝুরি বিক্রির অনুমতি দিতে পারবেন জেলাশাসক। ব্যবসায়ীদের প্রশ্ন, অন্যান্য বার কলকাতায় যে বৈধ বাজি বাজার বসে, সেখানে এক-একটি স্টলে ১৫ কেজি পর্যন্ত বাজি রেখে বিক্রির অনুমতি দেওয়া হয়। তা হলে কি এ বার আরও বেশি বাজি মজুত রাখা যাবে? এত বিপুল বাজি নিয়ে বাজার চালাতে গেলে বিপদ ঘটবে না তো? উৎসবের মরসুমে কালীপুজো এবং বড়দিন মিলিয়ে যেখানে মাত্র কয়েক ঘণ্টা বাজি ফাটানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত, সেখানে এত বেশি দিন বাজি বাজার বসতে দেওয়ার উদ্দেশ্য কী? বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকারের এই সিদ্ধান্ত থেকে দূরদর্শিতার অভাব স্পষ্ট।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Darjeeling: পুজোয় দার্জিলিঙে ফের যানজটে নাকাল হবেন পর্যটকরা, হেলদোল নেই রাজ্যের

    Darjeeling: পুজোয় দার্জিলিঙে ফের যানজটে নাকাল হবেন পর্যটকরা, হেলদোল নেই রাজ্যের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দার্জিলিঙে হোটেল ফাঁকা নেই। ট্রেনের টিকিটও প্রায় শেষ। পুজোর পর্যটন মরশুমে টয় ট্রেন, টাইগার হিলের আকর্ষণে দলে দলে দেশ বিদেশের পর্যটকরা দার্জিলিঙে (Darjeeling) ছুটে আসবেন। কিন্তু,যানজট যন্ত্রণায় একরাশ বিরক্তি নিয়ে তাঁরা ঘরে ফিরবেন, এই আশঙ্কা পর্যটন ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দা, সকলের।

    দার্জিলিংয়ে কেন এত যানজট? (Darjeeling)

    ব্রিটিশ আমলের পর দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে আর পাহাড়ের পরিকাঠামো, বিশেষ করে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। বিকল্প রাস্তা হয়নি। পার্কিং জোন নেই বললেই চলে। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে যানবাহনের সংখ্যা বহুগুণ বেড়েছে। এর ফলে যানজটে হাঁসফাঁস করছে দার্জিলিং (Darjeeling)। পানীয় জলের সঙ্কট ও যানজটের জন্য দার্জিলিং থেকে পর্যটকরা এক সময় মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন। পরবর্তীতে টয় ট্রেনের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধিতে আবার পর্যটকরা দলে দলে পাহাড়মুখো হয়েছেন। ২০১১ সালে তৃণমূল সরকার  রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর  মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বহুবার পাহাড়ে এসেছেন। নানা উন্নয়নের কথা ঘোষণা করেছেন, ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন বলে দাবিও করেছেন। তাঁদের সহযোগী গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিটিএ)ও কিছুই করেনি। সেকারণেই পাহাড়জুড়ে যানজট সমস্যা ক্রমে বেড়ে চলেছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রেও অবহেলিতই থেকে গিয়েছে দার্জিলিং পাহাড়। এবারও পুজোর ভ্রমণে দলে দলে পর্যটক দার্জিলিঙে আসবেন। তাতে যানজট সমস্যা আরও তীব্র হবে। এনিয়ে পাহাড়বাসীও চিন্তিত। কেননা পর্যটকরা দলে দলে আসায় পাহাড়ের রাস্তায় গাড়ির সংখ্যা বাড়বে। যানজট ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করবে। 

    পাহাড়ে যানজট সমস্যা নিয়ে কী বললেন স্থানীয় বাসিন্দারা?

    শুধু পর্যটকরাই নয়,দার্জিলিঙের (Darjeeling) বাসিন্দারাও নাজেহাল হচ্ছেন। পাহাড়ের মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়লে জরুরীভিত্তিতে সমতল শিলিগুড়িতে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতে  যানজটের কারণে দীর্ঘক্ষণ সময় চলে যায়। দার্জিলিং পুলবাজারের বাসিন্দা গৌলন শেরপা, চক বাজারের দীপেন ঠাকুরিরা বলেন, সুভাষ ঘিষিং দার্জিলিং গোর্খা হিল কাউন্সিলের দায়িত্বে থাকার সময় শিলিগুড়ি থেকে কার্শিয়াং পর্যন্ত রোহিনীর রাস্তা তৈরি করেছিলেন। তা নাহলে দার্জিলিঙের অবস্থা আরও শোচনীয় হত। রাজ্য সরকার, জিটিএ পরিকল্পিত উন্নয়নের ভাবনায় দার্জিলিংকে যানজট মুক্ত করার জন্য কিছুই করছে না। এই অবহেলায় যানজটের পাশাপাশি গাড়ির ধোঁয়ায় দার্জিলিং বায়ু দূষণে জর্জরিত। আগামী দিনে এই দূষণের কারণে দার্জিলিং পর্যটক শূন্য হয়ে পড়তে পারে।

    পাহাড়ের সামগ্রিক উন্নয়নের দায়িত্বে থাকা জিটিএ কী করছে?

    জিটিএ-র চিফ এক্সিকিউটিভ অনিত থাপা বলেন, সম্প্রতি আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, পাহাড়ের পর্যটন কেন্দ্রগুলিকে দার্জিলিং পাহাড়ের প্রধান রাস্তার সঙ্গে যুক্ত করতে কিছু বাইপাস তৈরি করা হবে। এতে মূল রাস্তায় যানজট দেখা দিলে সেই বিকল্প রাস্তা দিয়ে সহজেই গন্তব্যে পৌঁছানো যাবে, যানজটও কমবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam Case: ইডির তালিকায় রয়েছেন, নেই পর্ষদের তথ্যে! দুই প্রাথমিক শিক্ষক কোথায়? অবাক আদালত

    Recruitment Scam Case: ইডির তালিকায় রয়েছেন, নেই পর্ষদের তথ্যে! দুই প্রাথমিক শিক্ষক কোথায়? অবাক আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইডির তালিকায় তাঁদের নাম রয়েছে। কিন্তু পর্ষদের খতিয়ানে তাঁরা উধাও। এমন ঘটনায় বিস্মিত বিচারপতিও। দুই প্রাথমিক শিক্ষক (Recruitment Scam Case) কোথায় গেলেন? তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। আসলে, প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই এবং ইডি’কে দুর্নীতিগ্রস্ত শিক্ষকদের তালিকা আদলতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই মতো তালিকা জমা দিয়েছে ইডি। যেখানে দুই শিক্ষকের নাম রয়েছে, যাঁদের পদবী ‘রজক ও ‘শেখ’। এই দুই অভিযুক্ত শিক্ষক ২০২০ সালে বেআইনিভাবে চাকরি পেয়েছিলেন বলে দাবি ইডির। কিন্তু প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দেওয়া হলফনামায় ওই দুই শিক্ষকের কোনও উল্লেখই নেই। 

    জেনে বুঝেই নামগুলি বাদ!

    অবৈধভাবে চাকরি পাওয়া শিক্ষকদের তালিকা তৈরি করেছে ইডি এবং সিবিআই। যা পরে আদালতের নির্দেশে পর্ষদকে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। তার ভিত্তিতেই আদালতে হলফনামা জমা দিয়েছে পর্ষদ। এখন প্রশ্ন উঠছে, ইডির তালিকায় ‘রজক’ ও ‘শেখ’ পদবীধারী দুই শিক্ষককে ভুয়ো হিসেবে চিহ্নত করা হলেও, তা পর্ষদের হলফনামায় উল্লেখ নেই কেন? তাহলে কি জেনে বুঝেই নামগুলি বাদ দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। 

    ইডির তালিকা নিয়ে পর্ষদের জবাব

    ইডির তালিকায় বেআইনিভাবে চাকরি পাওয়া প্রায় ২২০৭ জনের নাম রয়েছে। তার মধ্যে ২০১৬-১৭’তে নিয়োগপত্র পেয়েছিলেন ১৮০৪ জন। আর ২৫০ জনের চাকরি হয়েছিল ২০২০ সালে। শুধু তাই নয়, আরও ৬৩ জনের নাম পাওয়া গিয়েছে, যা ২০২৬-১৭ সালেই বিশেষ প্যানেল গঠন করে নেওয়া হয়েছিল। যা ইডির পক্ষ থেকে অবগত করা হয়েছিল পর্ষদকেও। তবে মজার ব্যাপার হল, পর্ষদ দাবি করছে ২০২০ সালে নিযুক্ত ২৫০জন শিক্ষকের মধ্যে দু’জন ছাড়া ২৪৮ জনের নিয়োগ বৈধ। এমনকী পর্ষদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ১৮৯৪ ও ৬৩ জন টেট পাশ করেছিল। 

    সিবিআই-এর তালিকায় ধাক্কা

    সূত্রের খবর, ইডির তালিকা নিয়ে প্রত্যুত্তর দিলেও সিবিআইয়ের দেওয়া তালিকায় এসে কিছুটা হোঁচট খেয়েছে পর্ষদ। সিবিআই তাদের তালিকায় টেট পাশ না করা ৯৬ জন এবং শিক্ষক প্রশিক্ষণ (ডিইএলএড) ডিগ্রি না থাকা ৪৬ জনের নাম দিয়েছিল। ৯৬ জনের মধ্যে ৪ জন এমন আছেন যাঁরা সরাসরি টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন বলে অভিযোগ। পৃথক ভাবে ২৫ জনের নাম দেওয়া হয়েছে যাঁদের সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত তাপস মণ্ডল কিংবা কুন্তল ঘোষের দু’জন দালালের যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ। পর্ষদ জানিয়েছে, ওই ৯৬ জনকে তাঁদের নথি যাচাইয়ের জন্য তলব করা হয়েছে। অন্য ৪৬ জনকেও একই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ‘‘কে একটা ভাইপো আছে তাঁর চারতলা বাড়ি’’! কোভিড মামলায় মন্তব্য বিচারপতির

    এই হলফনামার পরিপ্রেক্ষিতে মামলাকারী চাকরিপ্রার্থী সৌমেন নন্দীর আইনজীবী ফিরদৌস শামিমের বক্তব্য, ‘‘নিয়োগের অনিয়ম নিয়ে বার বার বলা হয়েছে। এত দিন পুরোপুরি অস্বীকার করলেও এ বার অন্তত নথি যাচাইয়ে ডাকতে বাধ্য হয়েছে পর্ষদ। পুরো তদন্ত হলে আরও অনেক কিছুই বেরোতে পারে।’’

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue Update: এবছরে ডেঙ্গি নিয়ে কোনও তথ্যই কেন্দ্রকে পাঠায়নি নবান্ন! এদিকে রাজ্যে মৃত্যুমিছিল

    Dengue Update: এবছরে ডেঙ্গি নিয়ে কোনও তথ্যই কেন্দ্রকে পাঠায়নি নবান্ন! এদিকে রাজ্যে মৃত্যুমিছিল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একই দিনে রাজ্যে ৬ জন ডেঙ্গি (Dengue Update) আক্রান্তের মৃত্যু।  এর মধ্যে দু’জন রোগী ছিলেন কলকাতার বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, শহরের প্রাইভেট হাসপাতালে ভরতি ছিলেন সেই দু’জনই। মৃতদের মধ্যে একজন ছিলেন বাঘাজতিন এলাকার বাসিন্দা, অপরজন ছিলেন সল্টলেক এলাকার বাসিন্দা। কলকাতার দুই রোগী ছাড়াও গতকাল ডেঙ্গি প্রাণ কেড়ে নেয় পশ্চিম মেদিনীপুরের চারজনের। তার মধ্যে দু’জন ঘাটালের বাসিন্দা এবং বাকি দু’জন খড়গপুরের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। রাজ্যে ডেঙ্গি পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। তবুও নির্বিকার প্রশাসন।গত জুন-জুলাই থেকে রাজ্যে ডেঙ্গি বাড়তে থাকলেও প্রশাসনের টনক নড়ছে না।

    কেন্দ্রকে তথ্য দেয়নি রাজ্য

    চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গি (Dengue Update) নিয়ে কোনও তথ্যই কেন্দ্রকে দেয়নি রাজ্য! কেন্দ্রীয় সরকারের সেন্টার ফর ভেক্টর বোর্ন ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রামের ওয়েবসাইট থেকে একথা জানা যায়। শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গই এখনও পর্যন্ত কতজন ডেঙ্গি আক্রান্ত এবং ডেঙ্গিতে কতজনের মৃত্যু হয়েছে, সেই সংক্রান্ত কোনও পরিসংখ্যান দেয়নি। উল্লেখ্য, এর আগে ২০২০, ’২১ এবং ’২২ সালে রাজ্য সরকার ডেঙ্গি সংক্রান্ত তথ্য কেন্দ্রকে পাঠালেও, ২০১৮ এবং ’১৯ সালেও কোনও তথ্য দেয়নি।  

    ভয়াবহ পরিস্থিতি

    কলকাতা পুরসভার হিসেব অনুযায়ী, গত সপ্তাহে ডেঙ্গি (Dengue Update) আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৭০০ জন। সেই সংখ্যাটাই গতকাল বেড়ে হয় ৩৮০২। এদিকে  এই নিয়ে এবছরে সরকারি ভাবে এখনও পর্যন্ত ৩০ জন ডেঙ্গি রোগীর মৃত্যু হয়েছে রাজ্যে। এদিকে শুক্রবার একই দিনে ৬ জনের মৃত্যু হওয়ায় স্বভাবতই আরও আতঙ্ক বেড়েছে ডেঙ্গি নিয়ে।

    রাজ্যবাসীর প্রশ্ন

    প্রতিনিয়ত যে হারে ডেঙ্গি (Dengue Update) আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে  শহরবাসী। প্রতি বারই সংক্রমণ তুঙ্গে ওঠার এবং বেশ কিছু প্রাণ চলে যাওয়ার পরে কেন টনক নড়ে রাজ্য সরকারের? বিরোধীদের প্রশ্ন, বর্ষা যখন শুরু হল, তখনই কেন পদক্ষেপ করল না রাজ্য সরকার? ডেঙ্গি যখন মহামারির চেহারা নিতে চলেছে, তখন রাস্তায় নেমে কী হবে? পুর স্বাস্থ্য বিভাগ যদি সত্যিই ঠিক মতো কাজ করত, তা হলে ডেঙ্গি এত ভয়াবহ আকার নিত না বলে অভিমত শহরবাসীর।

    আরও পড়ুন: বিরিয়ানিতে কি রং, বাসি-পচা মাংস? খাদ্য সুরক্ষা দফতরের অভিযানে চাঞ্চল্যকর তথ্য

    শহরের অবস্থা

    পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রের খবর, কলকাতার ১৬টি বরোর মধ্যে ডেঙ্গিতে (Dengue Update) আক্রান্তের সংখ্যা সর্বাধিক দশ নম্বর বরোয়। সেখানে গত এক মাসে তিন জন ডেঙ্গিতে মারা গিয়েছেন। গত বছরেও এই বরো আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে শীর্ষ স্থানে ছিল। বিজেপির পুরপ্রতিনিধি সজল ঘোষের অভিযোগ, ‘‘গত বছরের চেয়েও এ বার ডেঙ্গি পরিস্থিতি বেশি উদ্বেগজনক। অথচ, কলকাতা পুরসভার বাজেটে মশাবাহিত রোগ দূরীকরণে মোটা টাকা বরাদ্দ করা হয়। আমাদের প্রশ্ন, তা হলে ভেক্টর কন্ট্রোলের জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করে কাজের কাজ কী হচ্ছে?’’

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Justice Abhijit Gangopadhyay: ‘‘কে একটা ভাইপো আছে তাঁর চারতলা বাড়ি’’! কোভিড মামলায় মন্তব্য বিচারপতির

    Justice Abhijit Gangopadhyay: ‘‘কে একটা ভাইপো আছে তাঁর চারতলা বাড়ি’’! কোভিড মামলায় মন্তব্য বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চোলাই খেয়ে মারা গেলে ২ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য় দেয় রাজ্য সরকার। কোভিডে (Covid) মৃত্যু হলে কত দেওয়া হয়? কোভিড-মামলায় প্রশ্ন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। কোভিডে স্বামীহারা এক মহিলা দুই সন্তান নিয়ে আর্থিক অনটনের কথা জানিয়ে আদালতে এসে ক্ষতিপূরণ না পাওয়ার অভিযোগ জানিয়েছিলেন। সেই মামলায় করলে বিচারপতি শুক্রবার এই প্রশ্ন তোলেন।

    কী বললেন বিচারপতি

    ২০২০ সালের ১ অগস্ট কোভিডে মৃত্যু হয়েছিল উত্তর চব্বিশ পরগনার নালাবরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বিভূতি কুমার সরকারের। তাঁর মৃত্যু পর কমপেনসেটরি গ্রাউন্ডে তাঁর স্ত্রী চাকরি পাবেন বলে আশা করেছিলেন। তা না পেয়ে বিভূতি বাবুর বিধবা স্ত্রী দীপ্তি সরকার হাইকোর্টে মামলা করেছেন। তাঁর দুই সন্তান রয়েছে। তাঁদের নিয়ে সংসার চালাতে গিয়ে তিনি হিমশিম খাচ্ছেন। সেই মামলায় বিচারপতি এদিন বলেন, “চোলাই মদ খেয়ে কেউ মারা গেলে ২ লক্ষ টাকা দিচ্ছে, আর কোভিডে মৃত্যুর ক্ষেত্রে কত টাকা দিচ্ছে রাজ্য? আদৌ কি টাকা ধার্য করা হয়?’’ এর পরেই কোনও ব্যক্তির নামোল্লেখ না করে তিনি বলেন, ‘‘কে এক জন ভাইপো আছে। তার চারতলা বাড়ি। কোটি টাকার বাড়ি। এত টাকা আসে কোথা থেকে?’’

    আরও পড়ুন: রেল দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণের অঙ্ক ১০গুণ বাড়াল মোদি সরকার

    বিচারপতির মন্তব্যে চর্চা

    বঙ্গ রাজনীতিতে এই ভাইপো শব্দবন্ধ দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। এবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য ঘিরে তোলপার রাজ্য। এ প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, “মমতা নিজে বলছেন উনি গরিব ঘরের মেয়ে। ভাইপোর বাবার হার্ডওয়ারের দোকান। সেটাই রোজগারের উপায়। সেই পরিবারের সদস্য় হয়ে অভিষেক ডাক্তারি করলেন না, ইঞ্জিনিয়ারিং করলেন না, জমি কিনলেন না, চাষাবাদ করলেন না। অথচ কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক হয়ে গেল। কনসালটেন্সি করে। আমি জানি না কী করলে এত কোটির মালিক হওয়া যায়।” সুকান্তর কথায়, কোভিডে যারা মারা গেছে, তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া উচিত। কিন্তু ডিএ, চাকরি কিছুই দিতে পারে না। অথচ কোটি কোটি টাকা খয়রাতি হচ্ছে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah Metro: স্টেশন তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে, গঙ্গার নিচে যাত্রী নিয়ে কবে ছুটবে মেট্রো?

    Howrah Metro: স্টেশন তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে, গঙ্গার নিচে যাত্রী নিয়ে কবে ছুটবে মেট্রো?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী কয়েক মাসের মধ্যে গঙ্গার নিচে দিয়ে চালু হতে চলেছে ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো। হাওড়া ময়দান থেকে হাওড়া মেট্রো স্টেশন (Howrah Metro) হয়ে গঙ্গার নিচে দিয়ে মেট্রো পৌঁছে যাবে কলকাতায়। বেশ কয়েকবার গঙ্গার নিচে দিয়ে ট্রায়াল রানের কাজও ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে। এখন গঙ্গার দুই পাড়ে মাটির তলায় মেট্রো স্টেশনের শেষ পর্যায়ের কাজ চলছে। একই সঙ্গে মেট্রো স্টেশনের উপরেও যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য নানা পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ চলছে জোরকদমে। কাজ প্রায় শেষের পথে। আগামী ৪-৫ মাসের মধ্যেই প্রকল্পের কাজ শেষ করে মেট্রো পরিষেবা শুরু করতে তৎপর মেট্রো কর্তৃপক্ষ।

    হাওড়া থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মেট্রোর কত স্টেশন রয়েছে?

    কলকাতা মেট্রোর এই রুট হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড বা ধর্মতলা পর্যন্ত প্রায় ৪.৮ কিলোমিটার দীর্ঘ। যেখানে থাকছে মোট ৪টি আন্ডারগ্রাউন্ড মেট্রো স্টেশন। হাওড়া ময়দান, হাওড়া স্টেশন (Howrah Metro), মহাকরণ ও এসপ্ল্যানেড বা ধর্মতলা। প্রতি ১২ মিনিট অন্তর চলবে মেট্রো। আপাতত রোজ সারাদিন ট্রায়াল রান হচ্ছে, যা ইতিমধ্যেই শেষের পথে।

    হাওড়া মেট্রো স্টেশনে (Howrah Metro) মাটি থেকে কতটা নিচে?

    রেল সূত্রে জানা গেছে, হাওড়া মেট্রো স্টেশনের গেট তৈরি হচ্ছে হাওড়া রেল স্টেশনের ধাঁচে। লাল টেরাকোটা দিয়ে মুড়ে ফেলা হচ্ছে গেটের একাংশ। এটি দেশের দ্বিতীয় গভীরতম মেট্রো স্টেশন হতে চলেছে। যা গভীরতম মেট্রো স্টেশন পুণে মেট্রোর সিভিল কোর্ট স্টেশনের পর। সবথেকে বেশি হাওড়া মেট্রো স্টেশনে (Howrah Metro) ৩২টি এএফসি ও পিসি গেট বসানো হচ্ছে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এই গেট দিয়ে প্রতি মিনিটে ৪৫ জন যাত্রী ঢুকতে ও বের হতে পারবেন। যাত্রীরা কোন দিক থেকে কোন দিকে যাবেন তার জন্যে ২০টি জায়গায় দিক নির্দেশিকা বোর্ড থাকবে। ঢোকা বের হওয়া নিশ্চিত করতে বিভিন্ন তল মিলিয়ে ২৭টি এসক্যালেটর ও ৭টি লিফট থাকছে। মাটি থেকে ৩৫ মিটার নিচে এই মেট্রো স্টেশন তৈরি হচ্ছে। 

    স্টেশনের ভিতরে তৈরি হচ্ছে সব রকম আধুনিক যাত্রী পরিষেবার জন্যে পরিকাঠামো। অন্য স্টেশনের মতো আত্মহত্যা বা দুর্ঘটনা এড়াতে ইতিমধ্যেই বসে গেছে  স্লাইডিং ডোর, লিফট ও এসক্যালেটর। তবে, টিকিট চেকিং মেশিন হাওড়া ময়দানে বসে গেলেও হাওড়া স্টেশনে তার তোড়জোড় চলছে। হাওড়া স্টেশনের ওল্ড কমপ্লেক্সের ১৪ ও ১৫ নম্বর প্ল্যাটফর্ম শুরু হচ্ছে যে জায়গা থেকে তারপর ছিল ১৬ নম্বর রেল লাইন। এই  রেললাইনটি হাওড়া স্টেশনের সব থেকে পুরানো রেল লাইন বলে মনে করেন ঐতিহাসিকরা। পরবর্তীকালে আধুনিক হাওড়া  স্টেশন তৈরি হলে ১৬ নম্বর  রেললাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে সেখানে গড়ে ওঠে গুডস ট্রেনের জন্য মালপত্র আদান-প্রদানের অফিস। ১৬ নম্বর রেললাইন ছাড়াও ১৭ নম্বর রেললাইন পর্যন্ত অনেকটাই জায়গা আছে যেখানে রেলের পুরানো কয়েকটি অফিস ও গোডাউন ছিল। এই পুরনো অফিসগুলির বেশ কিছু ভেঙে সেখানে তৈরি হচ্ছে মেট্রো স্টেশনে কাজ।

    ১৪ ও ১৫ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে ১৭ নম্বর প্ল্যাটফর্মে যাওয়ার আগে যে পুরানো রাস্তা ছিল সেই রাস্তার ফুট ওভারব্রিজ ভেঙে ফেলা হয়েছে। মেট্রো চালু হলে এই দুটি প্ল্যাটফর্মের মধ্যে ওল্ড কমপ্লেক্স থেকে নিউ কমপ্লেক্স এ যাত্রীরা চলাচল করার জন্য তৈরি হচ্ছে একটি পাতাল পথ বা আন্ডারগ্রাউন্ড সাবওয়ে। তার উপরেই রয়েছে মেট্রোর স্টেশনের দুটি প্রবেশ ও প্রস্থান পথ। যারা ওল্ড কমপ্লেক্স থেকে মেট্রো ধরতে যাবেন তাদের জন্য ১৪ ও ১৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মের সামনে এবং যারা নিউ কমপ্লেক্স থেকে মেট্রো ধরতে আসবেন। তাদের জন্য ১৭ নম্বর প্ল্যাটফর্মের দিকে দুটি মেট্রোর গেট পাশাপাশি তৈরি হয়েছে। মেট্রো স্টেশনের শেষ প্রান্তটি রয়েছে হাওড়া ময়দান এর দিকে বঙ্কিম ব্রিজের সামনে।

    কী বললেন মেট্রো রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক?

    মেট্রো রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, সম্পূর্ণভাবে আধুনিক যাত্রী পরিষেবা গড়ে তোলা হচ্ছে হাওড়া ময়দান, হাওড়া স্টেশন (Howrah Metro) সহ অন্যান্য মেট্রো স্টেশনগুলিতে। মেট্রো রেলের স্টেশনটি তৈরি হচ্ছে হাওড়া স্টেশনের ১৪ ও ১৫ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে ১৭ নম্বর প্ল্যাটফর্মে যাওয়ার মাঝখানের অংশে। যেটি হাওড়া স্টেশন সংলগ্ন হাওড়া লঞ্চঘাট থেকে ডিআরএম ভবনের পাশ দিয়ে সরাসরি মেট্রো স্টেশনে যাওয়া যাবে। মেট্রো রেলের পরিকাঠামো তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে। খুব দ্রুত মেট্রো চালু করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: বাড়ল জেল হেফাজতের মেয়াদ, এবারও অনুব্রতর পুজো কাটবে তিহাড় জেলেই?

    Anubrata Mondal: বাড়ল জেল হেফাজতের মেয়াদ, এবারও অনুব্রতর পুজো কাটবে তিহাড় জেলেই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত বছরও তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) পুজোটা কেটেছিল তিহাড় জেলের ছোট্ট কুঠুরিতে। এবারও বোধহয় পুজোয় আনন্দ করা হবে না তাঁর। অথচ ফি বারের মতো এ বছরও হয়তো মহালয়ার দিন থেকেই বিভিন্ন মণ্ডপের ফিতে কেটে বেড়াবেন অনুব্রতর দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রেড রোডে সুসজ্জিত মঞ্চে বসে পুজো কার্নিভাল দেখে যারপরনাই প্রীত হবেন তিনি। আর অনুব্রত তখনও জেলের প্রায়ান্ধকার ঘরে বসে গুণবেন মুক্তির দিন।

    বাড়ল জেল হেফাজতের মেয়াদ 

    গরু পাচার মামলায় গত বছর গ্রেফতার হন অনুব্রত। তারপর থেকে তিনি বন্দি রয়েছেন দিল্লির তিহাড় জেলে। এই জেলেই বন্দি রয়েছেন তাঁর মেয়ে সুকন্যাও। বুধবার দিল্লির আদালত অনুব্রতর জেল হেফাজতের মেয়াদ বাড়িয়ে করেছে ৩০ অক্টোবর। আর সুকন্যার জেল হেফাজতের মেয়াদ জানুয়ারি পর্যন্ত। অনুব্রতর প্রাক্তন দেহরক্ষী সেহগল হোসেন এবং এই মামলায় অন্যতম চক্রী এনামুল হককেও ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত থাকতে হবে জেল হেফাজতে। এদিন অবশ্য জামিন পেয়েছেন অনুব্রতর (Anubrata Mondal) হিসাবরক্ষক মনীশ কোঠারি।

    অনুব্রতর পুজোয় নেই সেই জাঁক

    তবে এখনও আশা ছাড়েননি অনুব্রত ঘনিষ্ঠরা। কারণ কলকাতা হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেছিলেন অনুব্রত। সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায় হাইকোর্টে। পরে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তৃণমূল নেতা। তাই আশার আলো দেখছেন অনুব্রতর অনুগামীরা। অনুব্রতর বাড়িতেও দুর্গাপুজো হয়। তিনি যখন জেলের বাইরে ছিলেন, তখন সেই পুজোর জাঁক ছিল দেখার মতো। পুজোর দিনগুলি সপরিবারে অনুব্রত কাটাতেন গ্রামেই। ‘দাদা’র পুজো দেখতে ভিড় করতেন দূর-দুরান্তের লোকজন। মন্ত্রী-সাংসদ-বিধায়করাও আসতেন গাড়ি হাঁকিয়ে। ভিআইপির ঠেলায় গ্রামের মানুষরাই যেতেন সিঁটিয়ে।

    আরও পড়ুুন: লোকসভা নির্বাচনের আগে ‘রামধাক্কা’! তৃণমূলকে নিরাশ করে এনডিএ শিবিরে ভিড়ল কুমারস্বামীর দল

    গত বছর পুজোর আগে আগে আয়োজনের অজুহাতেই জামিনের আবেদন করেছিলেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি (Anubrata Mondal)। যদিও তাঁর সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়। তবে পুজো হয়েছে। যদিও উচ্ছ্বাসের অভাব ছিল। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “গত বছর অনুব্রত গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই ফিকে হয়েছে পুজোর জাঁক।” অনুব্রত না থাকায় এখন পুজোর আয়োজন করেন তাঁর আত্মীয়-স্বজনের পাশাপাশি ঘনিষ্ঠ বৃত্তের কয়েকজন। এবারও তাঁরা পুজোর আয়োজন করবেন। পাঁচদিন ধরে অনুব্রতর ঘর আলো করে থাকবেন মহামায়া। ধুপ-ধুনোর গন্ধে ম ম করবে তল্লাট। অনুব্রত নাকে তখন হয়তো শুধুই স্যাঁতসেঁতে কুঠুরির ভ্যাপসা গন্ধ!

    এক সময় চড়াম চড়াম ঢাক বাজাতে চেয়েছিলেন অনুব্রত। এখন কে যে বাজায় সেই ঢাক!

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • School Uniform Scam: ছাত্রদের ইউনিফর্ম বিতরণেও কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি! অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা

    School Uniform Scam: ছাত্রদের ইউনিফর্ম বিতরণেও কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি! অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শাসক দলের নেতা মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগের শেষ নেই। চাকরি চুরি, ১০০ দিনের প্রকল্পের টাকা চুরি তো রয়েছেই এবার ছাত্রদের পোশাক বিতরণে দুর্নীতির (School Dress Scam) অভিযোগ উঠল শাসকদলের মন্ত্রীর ভাইয়ের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, উত্তর দিনাজপুর জেলার জেলা পরিষদের সহ-সভাপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী গোলাম রব্বানীর ভাই গোলাম রসুলের বিরুদ্ধে। ছাত্রদের ইউনিফর্ম বিতরণ (School Uniform Scam) প্রকল্পে কোটি কোটি টাকা নয় ছয় করেছেন গোলাম রসুল ওরফে মণি। এই অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলাও দায়ের হল। শাসক দলের মন্ত্রীর ভাইয়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন উত্তর দিনাজপুর জেলার গোয়ালপোখরের জনৈক জয়নুল হক। 

    ঠিক কী অভিযোগ?

    জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকারের বিদ্যালয়গুলিতে প্রথম থেকে সপ্তম শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলের পোশাক বিতরণ (School Uniform Scam) করা হয়। অভিযোগ গোয়ালপোখর-১ ব্লকের এই প্রকল্পে সাড়ে আট কোটি টাকারও বেশি দুর্নীতি হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টে মামলাকারী জয়নুল হকের দাবি, সরকারি স্কুলের এই ইউনিফর্ম বিতরণের দায়িত্বে ছিল ওই ব্লকেরই মিলন মেলা মহাসঙ্ঘ নামের একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠী। সেখান থেকেই যাবতীয় টাকা নয় ছয় করা করেন জেলা পরিষদের সহ-সভাপতি গোলাম রসুল।

    আরও পড়ুন: অভিষেকের বিরুদ্ধে ইডির অভিযোগ বহাল রাখল হাইকোর্ট, রইল না তদন্তে বাধা

    বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ জানিয়েও কাজ হয়নি 

    তবে শুধু এখানেই শেষ নয়, ওই মামলাকারীর আরও দাবি, প্রকল্পের বরাদ্দ টাকা এমন অনেকের কাছেই পৌঁছেছে যারা পোশাক তৈরি করা বা বিতরণ করা এরকম কোনও কাজের সঙ্গে যুক্ত নয়। এর পাশাপাশি ওই স্বনির্ভর গোষ্ঠীও কোনও পোশাক (School Uniform Scam) সরবরাহ করেনি বলে অভিযোগ। মামলাকারীর দাবি, জেলা শাসক থেকে বিডিও, সার্কেল ইন্সপেক্টর সহ শিক্ষা দফতরের একাধিক অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ তিনি করেছিলেন, তবে তাতে কোনও কাজ হয়নি। জয়নুল হক বলেন, ‘‘ছাত্রদের পোশাকের টাকা ঢুকেছে তৃণমূল নেতাদের অ্যাকাউন্টে।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • C V Ananda Bose: উপাচার্য নিয়োগের সার্চ কমিটিতে কারা? তালিকা প্রস্তুত রাজ্যপালের

    C V Ananda Bose: উপাচার্য নিয়োগের সার্চ কমিটিতে কারা? তালিকা প্রস্তুত রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপালের (C V Ananda Bose) দীর্ঘ সংঘাত চলছে। জল গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। মধ্যস্থতায় আসরে নামতে হয়েছে শীর্ষ আদালতকে। সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশে উপাচার্য নিয়োগের সার্চ কমিটির (Search Committee) প্রতিনিধিদের তালিকা তৈরি। তাঁদের নাম সর্বোচ্চ আদালতে পেশ করা হবে। জানালেন রাজ্য়পাল সিভি আনন্দ বোস। কারা সার্চ কমিটিতে থাকবেন? ইতিমধ্যেই তাঁদের চিহ্নিত করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

    সার্চ কমিটি নিয়ে রাজ্যপাল

    উপাচার্য-নিয়োগ নিয়ে রাজ্য়পাল-রাজ্য় সরকার সংঘাতে অবশেষে হস্তক্ষেপ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। গত সপ্তাহে নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত  নেয় সর্বোচ্চ আদালত।স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগে এবার সার্চ কমিটি তৈরি করে দেবে খোদ সুপ্রিম কোর্ট। তিন পক্ষই থাকবে তাতে রাজ্য় সরকার, আচার্য এবং ইউজিসি। ১০ দিনের মধ্য়ে সব পক্ষকে ৩ থেকে ৫ জন বিশিষ্ট ব্য়ক্তির নাম পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতির দীপঙ্কর দত্তর বেঞ্চ। ৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রাজ্য সরকার, আচার্য এবং ইউজিসি-কে, ৩-৫ জন বিশিষ্ট ব্যক্তির নাম পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ২৭ শে সেপ্টেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি। এ প্রসঙ্গে রাজ্যপাল (C V Anand Bose) জানান, কারা সার্চ কমিটিতে থাকবেন? ইতিমধ্যেই তাঁদের চিহ্নিত করেছেন।

    আরও পড়ুন: নিম্নচাপের বৃষ্টিতে জল থৈ থৈ! আরও বাড়বে ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার প্রকোপ?

    গোপন চিঠি নিয়ে রাজ্যপাল

    ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থে শিক্ষাক্ষেত্রে কাজের গতি আনতে বদ্ধপরিকর রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (C V Ananda Bose)। শিক্ষাঙ্গনে নৈরাজ্য দূর করতেও সচেষ্ট তিনি। এদিন নবান্ন আর দিল্লিতে মাঝরাতে পাঠানো নিজের দুটো কনফিডেন্সিয়াল চিঠি নিয়েও মুখ খুললেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তিনি বলেন, “দুটি চিঠির উত্তর পাওয়া নিয়ে পরিস্থিতি ঠিক কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে, তা দুই সাংবিধানিক সহকর্মীর মধ্যে থাকাই বাঞ্ছনীয়। তবে ওই চিঠি দুটো আর মিস্ট্রি নয়, হিস্ট্রি হয়ে গিয়েছে।”

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tarapith Temple: কৌশিকী অমাবস্যায় তারাপীঠে মায়ের পায়ে পড়ল ১০ কুইন্টাল ফুল!

    Tarapith Temple: কৌশিকী অমাবস্যায় তারাপীঠে মায়ের পায়ে পড়ল ১০ কুইন্টাল ফুল!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কৌশিকী অমাবস্যায় তারাপীঠে (Tarapith Temple) মায়ের পায়ে পড়ল ১০ কুইন্টাল ফুল। লক্ষ লক্ষ ভক্তের অর্পিত ফুল দিয়ে কী করা হবে! এই বিপুল পরিমাণ ফুলকে কি পুনরায় ব্যবহার করে, কোনও সামগ্রী প্রস্তুত করা যেতে পারে? সূত্রে জানা গেছে, মায়ের পায়ে অর্পিত ফুলকে আবর্জনা না ভেবে, তা দিয়ে প্রকৃতিবান্ধব সামগ্রী তৈরি করার পরিকল্পনা করেছে মল্লারপুরের এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। এরা টানা ৬৫ দিনের বিশেষ প্রক্রিয়ায়, কুইন্টাল প্রতি ফুল থেকে ২৫ কেজি করে জৈব সার তৈরি করবে বলে জানা গেছে। অভিনব এই উদ্যোগকে এলাকার মানুষ অভিনন্দন জানিয়েছেন।

    কবে নেওয়া হয় এই উদ্যোগ(Tarapith Temple)?

    আজ থেকে প্রায় ছ’বছর আগে এই তারামায়ের মন্দিরে (Tarapith Temple) জমা পড়া ফুলের ব্যবহার নিয়ে প্রকৃতিবান্ধব কিছু উৎপাদন করার কথা ভাবা হয়েছিল। সেই সময় রামপুরহাটের মহকুমা শাসক ছিলেন বিধান রায়। বর্তমানে তিনি বীরভূম জেলার জেলাশাসক হিসাবে কাজ করছেন। এই অভিনব ভাবনার উদ্যোক্তা ছিলেন তিনিই। সেই সময় মল্লারপুরের এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ঠাকুরের পায়ে নিবেদিত ৪০-৫০ কেজি ফুল সংগ্রহ করে। ফুলের মধ্য থেকে সুতো, আলতা, সিঁদুর আলাদা করে ফুলগুলিকে রোদে শুকানো হয়। এরপর টানা ৬৫ দিন ধরে বিশেষ প্রক্রিয়ায় জৈব সার তৈরি করা হয়। এবার কৌশিকী অমাবস্যায় মায়ের পায়ে দেওয়া ফুল গুলি থেকেও একই ভাবে জৈব সার প্রস্তুত করা হবে বলে জানা গেছে।

    স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের বক্তব্য

    মল্লারপুরের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে সাধন সিংহ বলেন, “আমরা মন্দিরের (Tarapith Temple) ফুল থেকে জৈব সার প্রস্তুত করতে ন’জন কাজ করছি। এছাড়াও ফুল ঝাড়াই করতে আরও পাঁচজন মহিলা কাজ করে থাকেন। মায়ের মন্দির থেকে এই বিপুল পরিমাণ ফুল সরাতে সময় লেগেছিল তিন দিন। ফুল থেকে সার প্রস্তুত হতে সময় লাগবে প্রায় ৬৫ দিন। তবে এই সার আমরা মূলত বিক্রি করি চাষিদের কাছে। কিন্তু আমরা লাভ করি না। আমাদের খরচ হয় কেজি প্রতি ৫০ টাকা এবং বিক্রি করি ২০ টাকা কেজি দরে। চাষিদের জৈব সার ব্যবহারে উৎসাহ দেওয়া এবং পরিবেশ বান্ধব উৎপাদনের উপর জোর দেওয়াই আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য”।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share