Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Murshidabad: মুর্শিদাবাদে তৃণমূলের চেয়ারম্যান-বিধায়ক সংঘাত চরমে! কেন জানেন?

    Murshidabad: মুর্শিদাবাদে তৃণমূলের চেয়ারম্যান-বিধায়ক সংঘাত চরমে! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ভরতপুর বিধানসভায় পঞ্চায়েত সমিতি গঠনকে কেন্দ্র করে তৃণমূল কংগ্রেসের কোন্দল ফের প্রকাশ্যে চলে এল। শাসক দলের চেয়ারম্যান অপূর্ব সরকারের বক্তব্যকে কার্যত ফুৎকারে উড়িয়ে দিলেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। দলের জেলা চেয়ারম্যান একটি কমিটি গঠন করেছেন। সালারে বিধায়ক কার্যালয় উদ্বোধন করে বিধায়ক হুমায়ুন বলেন, পূর্ণাঙ্গ তৃণমূল কংগ্রেসের কমিটি এখনও ঘোষণা হয়েছে বলে আমার জানা নেই। তবে, আমি যদি দেখি প্রকৃত যারা তৃণমূল তারা কমিটিতে বাদ পড়েছে, কারও মর্জি মতো কমিটি তৈরি করা হয়েছে তাহলে আমরা ছেড়ে কথা বলব না।

    কী নিয়ে গন্ডগোল?

    ভরতপুর বিধানসভায় দুটি পঞ্চায়েত সমিতি এলাকায় যে সব গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে, সেখানে  বহু বুথে স্থানীয় বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের অনুগামীরা টিকিট না পেয়ে নির্দল হিসাবে ভোটে দাঁড়িয়ে জয়ী হন। বোর্ড গঠনের সময় তৃণমূল নয়, বিধায়ক অনুগামীরা সিপিএম বা কংগ্রেসের সমর্থন নিয়ে বোর্ড গঠন করেন। কার্যত দলের নির্দেশকে না মেনেই ভরতপুরের বিধায়ক অনুগামী জয়ী পঞ্চায়েত সদস্যরা নিজেদের মতো করে বোর্ড গঠন করেন। বিষয়টি জানার পরই দলের জেলা চেয়ারম্যান ক্ষোভ উগরে দেন।

    কী বললেন তৃণমূলের মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার চেয়ারম্যান?

    ভরতপুরের বিধায়ক  হুমায়ুন কবীরের নাম না করেই তৃণমূলের মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার চেয়ারম্যান অপূর্ব সরকার কড়া বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ভরতপুরে বিরোধীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে চেয়ারে বসেছেন, তাদেরকে আমরা দলের কেউ মনে করি না। যেহেতু এদের কোনও পদ নেই, এদের বহিষ্কার করার কোনও প্রশ্ন আসে না। কি সব ফাইভ ম্যান কমিটি হয়েছিল, সেগুলো রাজ্যের অনুমোদিত নয়, সেই কমিটির অস্তিত্ব নেই। সাম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে অর্থাৎ কংগ্রেস, সিপিএম এবং বিজেপি দলের সঙ্গে যারা হাত মিলাবে তৃণমূল কংগ্রেস তাদের সমর্থন করে না বলে তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দেন।

    কী বললেন ভরতপুরের বিধায়ক?

    ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বলেন, ভরতপুরে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে শাসক দলের টিকিটে জয়ী  গ্রাম পঞ্চায়েত,পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য রয়েছে তারাও যদি বেচাল করে তাহলেও ব্যবস্থা নেব। মূলত তৃণমূলের চেয়ারম্যান অপূর্ব সরকারের নাম না করে শাসকদলের জেলা নেতৃত্ব ও পঞ্চায়েত এবং ব্লক স্তরের নেতৃত্বদের তীব্র হুঁশিয়ারি দেন তিনি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় এলাকার যারা পদে রয়েছেন তারাই আমাকে বঞ্চিত করেছিল। তাদের মর্জি মতো টিকিট আমাকে দিয়েছিলেন। আমি আমার প্রার্থীদের জিতিয়ে দেখিয়েছি। বিষয়টি নিয়ে আগেই জল ঘোলা হয়েছে, রাজ্য নেতৃত্ব সবই জানে। আমি শুধু বলতে চাই, যারা শাসক দলের টিকিটের গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতিতে জিতেছে তারা যেন মা মাটি মানুষের নীতি আদর্শ মেনে চলে। যদি তারা লাইনচ্যুত হয়, জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়। আমরা তখন কিন্তু রাস্তায় নেমে আন্দোলন করবো।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Krishna Nagar: কৃষ্ণনগর কলেজিয়েট স্কুলে পড়ুয়ার মুখে সিগারেট গুঁজে র‍্যাগিং! পিস্তল নিয়ে হুমকি

    Krishna Nagar: কৃষ্ণনগর কলেজিয়েট স্কুলে পড়ুয়ার মুখে সিগারেট গুঁজে র‍্যাগিং! পিস্তল নিয়ে হুমকি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে র‍্যাগিংকাণ্ডে উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি। রহস্যজনকভাবে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই ফের র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠল। এবার ঘটনাস্থল নদিয়ার কৃষ্ণনগর (Krishna Nagar)। সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রের মুখে সিগারেট গুঁজে র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠল পাঁচ সিনিয়র ছাত্রের বিরুদ্ধে। এমনকী, ওই পাঁচ ছাত্রের একজনের বিরুদ্ধে পিস্তল নিয়ে জুনিয়র ছাত্রকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে কৃষ্ণনগর কলেজিয়েট স্কুলে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পর স্কুলেও র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ ওঠায় উদ্বেগ বাড়ছে শিক্ষা জগতে। অভিযুক্ত পাঁচ ছাত্রকে বহিষ্কার করেছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। স্কুল চলাকালীন স্কুলের শৌচাগারে নবম শ্রেণির এক ছাত্রের বুকে বন্দুক ঠেকিয়ে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক ছাত্রের।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Krishna Nagar)

    বিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতি বছরের মতো এবারও শিক্ষক দিবসের দিন একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা নিচু ক্লাসের পড়ুয়াদের ক্লাস নিচ্ছিল। অভিযোগ, সেই সময় ওই পাঁচ পড়ুয়া জুনিয়র পড়ুয়াদের ধূমপান করতে এবং পোশাক খুলতে বাধ্য করে। অভিযুক্ত পাঁচ ছাত্রকে চিহ্নিত করে বহিষ্কার করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি বৃহস্পতিবার নবম শ্রেণির এক ছাত্র শৌচালয়ে গিয়ে দেখতে পায় এক সিনিয়র ছাত্রের কোমরে বন্দুক গোঁজা রয়েছে, তা দেখে ফেলায় ওই ছাত্র তার বুকে বন্দুক ঠেকিয়ে হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। এরপরই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আর দেরি করেনি স্কুল কর্তৃপক্ষ। পর পর এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পড়ুয়াদের নিরাপত্তার দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন অভিভাবকরা। শুক্রবার তাঁরা কৃষ্ণনগর কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সামনে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি ডেপুটেশন জমা দেন।

    কী বললেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক?

    কৃষ্ণনগর (Krishna Nagar) কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষক মনোজ বিশ্বাস বলেন, ‘এক ছাত্রের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভব্য আচরণের অভিযোগ পেয়েছি। সব মিলিয়ে পাঁচজনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। যতদিন না বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শেষ হবে,ততদিন অভিযুক্ত ছাত্রদের অভিভাবকদের তাদের স্কুলে পাঠাতে বারণ করা হয়েছে।’ গোটা ঘটনাটি নিয়ে স্থানীয় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন প্রধান শিক্ষক। স্কুলে এমন ঘটনা ঘটায় ওই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। স্কুলের গেটে শুক্রবার রীতিমতো নোটিশ টাঙিয়ে ওই পাঁচ ছাত্রকে বহিষ্কারের কথা জানানো হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • G20 Summit: জি২০-র সাফল্য কামনায় গঙ্গাপুজো রাজ্যপালের, হাজির একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য

    G20 Summit: জি২০-র সাফল্য কামনায় গঙ্গাপুজো রাজ্যপালের, হাজির একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৯ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে শুরু হচ্ছে জি২০ শীর্ষ সম্মেলন (G20 Summit)। এই সম্মেলনের সাফল্য কামনা করে কলকাতার গোয়ালিয়র ঘাটে গঙ্গা পুজো করতে দেখা গেল রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে। রাজ্যপালের সঙ্গে গঙ্গা পুজোয় হাজির ছিলেন একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্যরা। ছিলেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শুভ্র কমল মুখোপাধ্যায়, যাদবপুরের উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ সহ অন্যান্যরা।

    গঙ্গাপুজো করার পরে কী বললেন রাজ্যপাল?

    এদিন গঙ্গা পুজো করার পরে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল বলেন, ‘‘মহৎ কিছু করার আগে আমরা মা গঙ্গার আশীর্বাদ নিয়ে থাকি। জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে ভারত নিজের সেরাটাকে তুলে ধরতে সম্পূর্ণভাবে তৈরি রয়েছে। ভারতে অনুষ্ঠিত হওয়া এই সম্মেলন গোটা দেশ এবং বাংলার জন্য সফল হওয়া অত্যন্ত জরুরি। কারণ এর মাধ্যমেই তৈরি হবে নতুন ভারত, নতুন বাংলা। তাই আমাদের মা গঙ্গার আশীর্বাদ নিতে হবে, উন্নয়নের পথে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। ঠিক যেভাবে বাধাহীন ভাবে মা গঙ্গা এগিয়ে চলেন।’’

    জি২০ শীর্ষ সম্মেলন ঘিরে সাজো সাজো রব 

    প্রসঙ্গত জি২০ সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সাজা সাজে রব সারা দেশজুড়ে। আসবেন বিশ্বের তাবড় রাষ্ট্র নেতারা। আজই পা রাখার কথা রয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের। সম্মেলনে বিশ্বের রাষ্ট্রনেতাদের খাবার পরিবেশন করা হবে সোনা-রুপোর পাত্রে। প্রায় ৩০টি দেশের প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি হাজির থাকবেন এই সম্মেলনে। প্রত্যেক রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে ১৫০ থেকে ২০০ জনের প্রতিনিধি দলেরও অংশগ্রহণ করার কথা রয়েছে। পাশাপাশি থাকবেন রাষ্ট্রনেতাদের নিরাপত্তা রক্ষীরাও। সবমিলিয়ে দশ হাজার প্রতিনিধির অংশগ্রহণে হতে চলেছে এই সম্মেলন। জি২০ (G20 Summit) শীর্ষ সম্মেলন শেষে বৃক্ষরোপণ করার কথা রয়েছে রাষ্ট্রনেতাদের। মার্কিন প্রসিডেন্ট জো বাইডেন রোপণ করবেন জারুল গাছের চারা। এই আবহে জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের সাফল্য কামনা করে রাজ্যপালের গঙ্গাপুজো অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • West Bengal Assembly: ১ বৈশাখই পশ্চিমবঙ্গ দিবস! প্রতিবাদ বিজেপির, ৬০ বিধায়ককে নিয়ে রাজভবনে শুভেন্দুরা

    West Bengal Assembly: ১ বৈশাখই পশ্চিমবঙ্গ দিবস! প্রতিবাদ বিজেপির, ৬০ বিধায়ককে নিয়ে রাজভবনে শুভেন্দুরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ পালন ইস্যুতে রাজ্যের ইতিহাসকে বিকৃত করার চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার, এমনই অভিযোগ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। বাংলা দিবস নিয়ে আলোচনা চলছে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায়। বিজেপি চায় ২০ জুন পশ্চিমবঙ্গ দিবস হোক। শাসকদল তৃণমূল তাতে রাজি নয়। ২০ জুন নয়, ‘বাংলা দিবস’ পালিত হোক ১ বৈশাখ। এই মর্মেই বৃহস্পতিবার বিধানসভায় প্রস্তাব পেশ করেন রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, ফিরহাদ হাকিম, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যরা। বিধায়ক সংখ্যার বিচারে এই প্রস্তাব পাশ হলেও এর পরিণতি ভাল নয়, এমনটাই দাবি শুভেন্দুর।

    পশ্চিমবঙ্গ দিবসের ইতিহাস বিকৃত করার চেষ্টা

    বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও বিজেপি বিধায়করা এদিন যে পোশাক পরে এসেছেন, সেই পোশাকের সামনে লেখা ‘২০ জুন পশ্চিমবঙ্গ দিবস’, পিঠে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ছবি। নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেন্দু অধিকারী লেখেন, ‘রাজ্য সরকার প্রবলভাবে চেষ্টা করছে পশ্চিমবঙ্গ দিবসের ইতিহাস বিকৃত করতে। বিজেপি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ গঠন নিয়ে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের অবদানকেও উপেক্ষা করা হচ্ছে।’ এদিন বিধানসভায় পশ্চিমবঙ্গ দিবসের জন্য রাজ্য সরকারের বিরোধিতা করে ৬০ জন বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে রাজভবন পর্যন্ত প্রতিবাদ পদযাত্রা করবেন বলে ঠিক করেছেন শুভেন্দু। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করে তাঁর হাতে স্মারকলিপিও তুলে দেওয়া হবে।

    বিধানসভায় প্রস্তাব পাশ

    বৃহস্পতিবার বিধানসভা অধিবেশন কক্ষে এ প্রসঙ্গে আলোচনা শুরু হতেই বিতর্ক বাধে। ভোটাভুটি চায় বিজেপি। জয় বাংলা বনাম ভারত মাতা স্লোগান ওঠে অধিবেশন কক্ষে। পাশ হয় প্রস্তাব। প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়ে ১৬৭। বিপক্ষে ৬২, বিরত ১। এরপরই মুখ্যমন্ত্রীর গলায় শোনা যায়, বাংলার মাটি, বাংলার জল গানটি। বক্তব্য শেষ করার আগে মমতা বললেন, “কে সাপোর্ট করল না করল যায় আসে না। আমাদের নির্দেশ থাকবে, বাংলা দিবস পালন করব পয়লা বৈশাখ। শুভ নববর্ষের দিন। গান থাকবে বাংলার মাটি বাংলার জল।”

    আরও পড়ুন: “শেষ পর্যন্ত লড়ব…”! মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে বাংলা ভাষাতেই বিস্ফোরক বিবৃতি রাজ্যপালের

    কী প্রতিক্রিয়া শুভেন্দুর?

    এ প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘এই প্রস্তাব কার্যকর হবে না। ইতিহাসকে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই পশ্চিমবঙ্গ তৈরির নেপথ্যে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের অবদানকে মান্যতা না দেওয়ার জন্যই ১ বৈশাখ বাংলা দিবস পালন করতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রস্তাব বিধায়নসভায় পাস হলেও রাজ্যপাল সই করবেন না। দিল্লিও ছাড়পত্র দেবে না। ফলে এর পরিণতি হবে রাজ্যের বাংলা নাম, বিধান পরিষদ গঠন, মুখ্যমন্ত্রীর আচার্য হওয়ার মতো।’ পরে বিধানসভা কক্ষে শুভেন্দু বলেন, ‘ইতিহাস বদলানো যাবে না। ২০ জুনকেই বাংলা দিবস করার পক্ষে বিজেপি। আমরা একটু পরেই রাজভবনে যাচ্ছি, অনুরোধ করব যাতে উনি এই বিলে সই না করেন। প্রধানমন্ত্রীকেও আর্জি জানাবো যেন ২০ জুনকেই বাংলা দিবস বলে পালন করা হয় এই দিনের ঐতিহ্যের কথা ভেবে।’

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose: “শেষ পর্যন্ত লড়ব…”! মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে বাংলা ভাষাতেই বিস্ফোরক বিবৃতি রাজ্যপালের

    CV Ananda Bose: “শেষ পর্যন্ত লড়ব…”! মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে বাংলা ভাষাতেই বিস্ফোরক বিবৃতি রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  রাজভবনের বাইরে ধরনায় বসার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার তার পালটা দিলেন রাজ্যপাল বোস। ভিডিয়ো বার্তায় মমতার ছুড়ে দেওয়া চ্যালেঞ্জ কার্যত গ্রহণ করে নেন তিনি। বৃহস্পতিবার সকালে দিল্লি থেকে ফিরে রাজ্যপাল বললেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী আমার সম্মানীয় সহকর্মী। তাঁকে রাজভবনে স্বাগত। তিনি রাজভবনের ভিতরে এসেই তাঁর যাবতীয় প্রতিবাদ, বিক্ষোভ দেখাতে পারেন। রাজভবনের সম্মাননীয় অতিথি হয়েই আসতে পারেন প্রতিবাদ জানাতে।’’

    কী বললেন রাজ্যপাল

    এদিন ভাঙা ভাঙা বাংলায় বলা ভিডিয়ো বার্তা প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল। তিনি বলেন, ‘কাজ করার জন্য আমি বাংলায় এসেছি। আমি রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য। নতুন প্রজন্মের বিকাশের কথা মাথা রেখে বিশ্ববিদ্যালগুলি দুর্নীতি ও হিংসামুক্ত হওয়া প্রয়োজন। আমি চাই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি ভারতে সেরা হোক। আমার মতে এটা সম্ভব। কারণ আমাদের রাজ্যে মেধাবী ছাত্রছাত্রীরা রয়েছেন, গুণী অধ্যাপকরা রয়েছেন। সেই কারণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি ভারত সেরা হতে পারে।’ রাজ্যপাল বলেছেন, ‘‘শিক্ষা মাফিয়াদের একটা শিক্ষা হওয়া দরকার। ক্যাম্পাসের নরখাদকদের তাদের অপকর্মের জবাবদিহি করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে মেধানাশকারী যে হিংসা চলছে, তাতে অবিলম্বে দাঁড়ি টানা দরকার।’’ মুখ্যমন্ত্রীর ধরনার হুঁশিয়ারি নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বোস। রাজ্যপাল বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীকে রাজভবনের ভিতরেও স্বাগত। যা প্রতিবাদ করার বাইরে নয়, রাজভবনের ভিতরে এসে করুন।’

    আরও পড়ুন: ‘‘একুশের শতক এশিয়ার শতক’’! আসিয়ান-ইন্ডিয়া সামিটে কী বললেন মোদি?

    কেন উপাচার্য নিয়োগ

    উপাচার্য নিয়োগ প্রসঙ্গে তাঁর করা পদক্ষেপের পক্ষেও সাফাই দিয়েছেন রাজ্যপাল বোস। তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়গুলি সুষ্ঠভাবে পরিচালনার জন্য উপাচার্য থাকা প্রয়োজন। শিক্ষা দফতর উপাচার্য নিয়োগ করেছে। সুপ্রিম কোর্ট এই সিদ্ধান্তকে বেআইনি ঘোষণা করেছে। সেই কারণে উপাচার্যদের চলে যেতে হয়েছে। সেই অবস্থায় আমি অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগ করেছি। শিক্ষা দফতর বলল এটা ভুল এদিকে কলকাতা হাইকোর্ট বলছে এটা ঠিক। সরকার মনোনীতদের উপাচার্য নিয়োগ করতে পারিনি। কারণ কেউ দুর্নীতিগ্রস্ত ছিল, কারও বিরুদ্ধে ছাত্রীকে হেনস্থা করার অভিযোগ রয়েছে। কেউ আবার রাজনৈতিক খেলা খেলছিল। এটা খুব দুঃখজনকে যে পাঁচজন উপাচার্যকে পদত্যাগ করতে হয়েছে। তাঁরা আমাকে জানিয়েছে, তাঁদের হুমকি দেওয়া হয়েছে। শিক্ষা দফতরের তরফে চাপ তৈরি করা হয়েছে।’

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Shah Rukh Khan: ভোর ৫টার শো হাউসফুল! ‘জওয়ান’ শাহরুখে বুঁদ নিউটাউনের প্রেক্ষাগৃহ

    Shah Rukh Khan: ভোর ৫টার শো হাউসফুল! ‘জওয়ান’ শাহরুখে বুঁদ নিউটাউনের প্রেক্ষাগৃহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোরবেলায় কখনও কোনও সিনেমা হলের সামনে গিয়েছেন? গেলে দেখতে পাবেন, গোটা চত্বর ফাঁকা। আশপাশের চায়ের দোকানে হয়তো জনাকয়েক লোকজনকে দেখতে পাবেন। তবে, বৃহস্পতিবার সাতসকালে নিউটাউনের একটি মাল্টিপ্লেক্সের সামনে যা দেখা গেল, তা অবাক হওয়ার মতোই ঘটনা। তখনও ভোরের আলো ফোটেনি। বৃষ্টি ভেজা শহরের রাস্তা প্রায় খালি। ঘড়ির কাঁটা বলছে সওয়া চারটে। বৃষ্টি পড়ছে। কিন্তু নিউটাউনের ওই মাল্টিপ্লেক্সের সামনে পৌঁছে দেখা গেল চিত্রটা সম্পূর্ণ ভিন্ন। হলের সামনে থিক থিক করছে ভিড়। তাঁদের মুখে একটাই স্লোগান- ‘শাহরুখ! শাহরুখ!’ (Shah Rukh Khan)

    “জওয়ান” ঘিরে প্রেক্ষাগৃহে ভক্তদের উন্মাদনা তুঙ্গে

    ৭ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার দেশ জুড়ে মুক্তি পেল শাহরুখের নতুন ছবি ‘জওয়ান’। ‘জওয়ান’-এর অগ্রিম বুকিং শুরু হওয়ার পর থেকেই প্রথম কয়েক দিনের শো-এর টিকিট বিক্রি প্রায় শেষের দিকে। পরিসংখ্যানের দিক থেকে তা ‘পাঠান’ এর অগ্রিম টিকিট বিক্রিকেও ছাপিয়ে গিয়েছে। নিউটাউনের মিরাজ সিনেমা হল কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার ভোর ৫টায় ‘জওয়ান’-এর শোয়ের ব্যবস্থা করেছে।  প্রথম দিনে এখনও পর্যন্ত কলকাতায় এই প্রেক্ষাগৃহে সবচেয়ে বেশি টিকিট বিক্রি হয়েছে। প্রেক্ষাগৃহে কান পাতা দায়। দর্শকদের চিৎকারে ভোরের প্রেক্ষাগৃহে তখন অন্য ছোঁয়া। ‘জিন্দা বান্দা’ গানে একাংশ আসন ছেড়ে উঠে পা মেলালেন। নয়নতারাকে দেখে যেমন হাততালি পড়ল, বিজয় সেতুপতিও সেখানে কোনও অংশে কম নন। দীপিকা পাড়ুকোনের এন্ট্রিতেও দর্শকরা একই রকম পাগলামো করলেন। বড় পর্দায় সিনেমার যে কোনও বিকল্প নেই, সেটাই প্রমাণ করল দর্শকদের বাঁধ ভাঙা আবেগ।

    সাতসকালে সিনেমা দেখতে আসা নিয়ে শাহরুখ (Shah Rukh khan) ভক্তরা কী বললেন?

    ‘পাঠান’ মুক্তির পর আরও এক বার এই ভিড় প্রমাণ করল, শাহরুখের (Shah Rukh Khan) প্রতি শহর কলকাতার নিঃশর্ত ভালবাসা এবং সমর্থনকে। ছবি শুরুর আগে প্রেক্ষাগৃহের বাইরে দেখা গেল, দর্শকদের মধ্যে কারও চোখে ঘুমের রেশ কাটেনি। কেউ আবার আগেভাগে নিজের টিকিট দেখে নিতে ব্যস্ত। তবে সকলের মুখেই হাসির রেখা। সেটাই তো স্বাভাবিক। আগামী ২ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট যে জগতে তাঁরা প্রবেশ করবেন, সেখানে তো শুধুই অনুরাগী এবং তাঁর আবেগের জয়গান। কলকাতায় ‘পাঠান’-এর প্রথম শো ছিল সকল ৬ টা ৪৫ মিনিটে। ভক্তের ‘ঈশ্বর’ দর্শনের সময় এ বার এগিয়ে এসেছে প্রায় ২ ঘণ্টা। গড়িয়া থেকে আসা এক অনুরাগী বললেন, “এটা কোনও সমস্যাই নয়। মাঝ রাতে শো থাকলে আরও ভাল হত। প্রয়োজনে সারা রাত এখানেই থাকতাম। কিন্তু শারুখকে সবার আগে পর্দায় দেখতে চাই।” হাওড়া থেকে আসা এক অনুরাগী জানালেন, প্রথম দিনেই তাঁর দু’বার ‘জওয়ান’ দেখার পরিকল্পনা রয়েছে। শুধু সাধারণ সিনেপ্রেমীরা নন, কাক ভোরে শাহরুখ দর্শনের সাক্ষী হতে প্রেক্ষাগৃহে উপস্থিত হয়েছিলেন তারকাদের একাংশও।

    ভক্তদের সঙ্গে রাত জাগলেন শাহরুখ খান (Shah Rukh Khan)

    বৃহস্পতিবার ভক্তদের মতো রাত জাগলেন শাহরুখ খান। তিনি লিখলেন, “তোমাদের অনেক ভালবাসা। আশা করব তোমরা আনন্দ পাবে। সারা রাত জেগেছিলাম তোমাদের প্রেক্ষাগৃহে যেতে দেখব বলে।”

    রায়গঞ্জ শহরে শাহরুখ ভক্তদের ভিড়

    রায়গঞ্জ মাল্টিপ্লেক্সে এদিন সকাল থেকেই শাহরুখ (Shah Rukh Khan) ভক্তরা ভিড় করেন। জওয়ান সিনেমা দেখতে ভোর বেলায় রায়গঞ্জ শহর ছা়ড়াও আশপাশের গ্রাম থেকে ভক্তরা হলে ভিড় করেন। প্রথম শো-ই হাউস ফুল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • JU: হস্টেলে ফেসিয়াল রেকগনিশন প্রযুক্তির ব্যবহার! যাদবপুরে পরিদর্শনের পর কী ভাবছে ইসরো?

    JU: হস্টেলে ফেসিয়াল রেকগনিশন প্রযুক্তির ব্যবহার! যাদবপুরে পরিদর্শনের পর কী ভাবছে ইসরো?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেল এবং ক্যাম্পাস পরিদর্শন করলেন ইসরোর প্রতিনিধি দল। বুধবার দ্বিতীয় দিন তারা বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনে গিয়েছেন। হস্টেলের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখার পর ক্যাম্পাসেও গিয়েছেন ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার দুই প্রতিনিধি। কোথায়, কী প্রযুক্তি ব্যবহার করলে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মানুবর্তিতা প্রয়োগ করায় সুবিধা হবে, তা খতিয়ে দেখা হয়েছে। 

    ‘জোন’ ভাগ করে বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন 

    বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অংশকে আলাদা ‘জোন’ হিসাবে ভাগ করে পরিদর্শন করে ইসরোর প্রতিনিধি দল। মঙ্গলবার তাঁরা শুধু ক্যাম্পাসে ঘুরলেও এদিন তাঁরা মেন হস্টেলেও যান। এই হস্টেলের এ২ ব্লকের যেখানে প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছিল, সেই অংশ বিশেষ ভাবে পর্যবেক্ষণ করেছেন তাঁরা। ইসরোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তিকালীন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ।উপাচার্য আগেই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তার স্বার্থে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির কথা বলেছিলেন। যাদবপুরে ইসরোর সুপারিশে প্রযুক্তির প্রয়োগের কথা বলেছিলেন আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তিনি জানিয়েছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে ইসরোর সহায়তা প্রয়োজন। পরে রাজভবনের তরফ থেকে ইসরোর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। ইসরোর প্রতিনিধি দলের অনেক আগেই বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার কথা ছিল। নানা কারণে তা পিছিয়ে যায়। অবশেষে মঙ্গলবার তাঁরা ক্যাম্পাসে আসেন।

    আরও পড়ুন: ‘সংবিধান বলছে যা ইন্ডিয়া, তাই ভারত’! নাম-বিতর্কে মন্তব্য বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের

    আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স-এর ব্যবহার

    সূত্রের খবর, মূলত আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই (AI) এবং রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন বা আরএফডিআই (RFDI)কে কাজে লাগিয়ে নিরাপত্তার কাজ এগোতে পারে বলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছে ইসরো।  যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তাকে জোরদার করতে উন্নত পর্যায়ের প্রযুক্তি ব্যবহার করার পরিকল্পনাও রয়েছে তাদের। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন কোন গেটে বসতে পারে উন্নত প্রযুক্তির সিসিটিভি ক্যামেরা, সেই সমস্ত বিষয়গুলিও খতিয়ে দেখে তারা।  এরপর চূড়ান্ত রিপোর্ট তৈরি করবে এই প্রতিনিধি দল। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED Notice: ফ্ল্যাট দেওয়ার নামে প্রতারণা! নুসরতের সঙ্গে আরও এক অভিনেত্রীকে তলব ইডির 

    ED Notice: ফ্ল্যাট দেওয়ার নামে প্রতারণা! নুসরতের সঙ্গে আরও এক অভিনেত্রীকে তলব ইডির 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফ্ল্যাট বিক্রির নামে প্রতারণা মামলায় এবার অভিনেত্রী রূপলেখা মিত্রকে তলব করল ইডি। মামলায় আগেই নাম জড়িয়েছিল টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী তথা তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহানের। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, যে কোম্পানির মাথায় ছিলেন রাকেশ সিং এবং নুসরত জাহান, ওই কোম্পানির ডিরেক্টর পদে ছিলেন রূপলেখাও। তদন্তকারীদের দাবি, ওই কোম্পানি বাজার থেকে বিপুল অঙ্কের টাকা তুলে নয়ছয় করেছে। 

    কে এই রূপলেখা

    বুধবার রূপলেখাকে তলব করেছে ইডি। রূপলেখা জানিয়েছেন, নোটিস হাতে পেলে তিনি ইডির মুখোমুখি হবেন। সূত্রের খবর, যে সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, সেই সংস্থার ডিরেক্টর পদে ছিলেন রূপলেখা। ইন্ডাস্ট্রিতে খুব বেশি নাম না করলেও টলিপাড়ায় একাধিক ছবিতে ছোটখাটো চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল রূপলেখাকে। ‘ইচ্ছে’ এবং ‘কলি’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন তিনি। তা ছাড়া ওড়িয়া ছবিতেও দেখা গিয়েছিল তাঁকে।

    কী অভিযোগ

    ফ্ল্যাট দুর্নীতি মামলায় নিয়ে রীতিমতো তোলপাড় রাজনৈতিক মহল। প্রথম বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পাণ্ডা এই নিয়ে সরব হয়েছিলেন। নুসরতের বিরদ্ধে মুখ খুলেছিলেন তিনি। শঙ্কুদেব পণ্ডার অভিযোগ ছিল, “প্রবীণদের অর্থ নিয়ে চিটিংবাজি চলছে। তাঁদের পয়সা নিয়ে ফ্ল্যাট কেনা হচ্ছে। অন্যদিকে, যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন নুসরত জাহান। নায়িকা তথা সাংসদ বলেন, “আমি দিনভর কাজে ব্যস্ত থাকি। কলকাতায় এসে যদি জানতে পারি এই ধরনের কোনও নোটিশ এসেছে সেক্ষেত্রে অবশ্যই যাবতীয় পদক্ষেপ করব।” পাশাপাশি তাঁকে ডাকা হলে তিনি অবশ্যই যাবেন বলে জানান এই তারকা সাংসদ।

    আরও পড়ুন: ‘সংবিধান বলছে যা ইন্ডিয়া, তাই ভারত’! নাম-বিতর্কে মন্তব্য বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের

    নুসরত স্পষ্ট জানান, সংশ্লিষ্ট সংস্থার থেকে তিনি ঋণ বাবদ কিছু টাকা নিলেও তা সুদ সমেত ফেরত দিয়েছেন। তাঁর কাছে যাবতীয় নথি রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এই সংস্থার ডিরেক্টরের দায়িত্বে থাকা রাকেশ সিংকে তলব করেছে এই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এরই মধ্যে নতুন করে এক অভিনেত্রীর নাম সামনে আসায় শোরগোল পড়েছে। বেলঘরিয়ার রূপলেখার ফ্ল্যাট আছে একটি। সেখান থেকে সংবাদমাধ্যমকে রূপলেখা জানিয়েছেন, বর্তমানে তিনি এবং রাকেশ অন্য একটি সংস্থার ডিরেক্টর। ওই সংস্থার সঙ্গে তাঁদের আর কোনও সম্পর্ক নেই।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Justice Abhijit Ganguly: ৮২ পেলেই টেট পাশ! বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায় বহাল রাখল হাইকোর্ট

    Justice Abhijit Ganguly: ৮২ পেলেই টেট পাশ! বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায় বহাল রাখল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টেট পরীক্ষায় পাশের নম্বর নিয়ে আপাতত বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Gangopadhyay) রায় বহাল রাখল কলকাতা হাইকোর্ট। টেট মামলায় (TET case) ৮২ না ৮৩, কত নম্বরকে টেট পাশের জন্য গণ্য করা হবে তা নিয়ে তৈরি হয়েছিল বিতর্ক। ওই মামলায় ৮২ নম্বর প্রাপ্তদের উত্তীর্ণ হিসাবে গণ্য করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এই মুহূর্তে সেই রায়-এ হস্তক্ষেপ করবে না আদালত। বুধবার এমনটাই জানাল কলকাতা হাইকোর্ট।

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    সংরক্ষিত প্রার্থীদের দাবি ছিল, ১৫০-এর মধ্যে ৮২ নম্বর পেলেই পাশ বলে গণ্য করতে হবে ও মূল পরীক্ষায় বসার সুযোগ দিতে হবে। সেই আর্জিকে মান্যতা দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সিঙ্গল বেঞ্চের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন কয়েকজন টেট প্রার্থী। কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চের দুই বিচারপতির মতের অমিল হওয়ায় মামলা যায় তৃতীয় বেঞ্চে। এবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশই বহাল রাখল বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের বেঞ্চ। টেট পরীক্ষা হয় ১৫০ নম্বরে। তার মধ্যে ৮২ পেলে শতাংশের বিচারে তা হয় ৫৪.৬৭ শতাংশ। ৫৫ শতাংশ পেলে তবেই উত্তীর্ণ বলে চিহ্নিত করা হয় সংরক্ষিত আসনের প্রার্থীদের। এ ক্ষেত্রে নিয়ম অনুযায়ী, ৫৪.৬৭ শতাংশকে ৫৫ বলেই ধরা হবে। সে কারণেই সংরক্ষিত আসনের প্রার্থীদের দাবি ছিল, ৮২ পেলেই পরীক্ষায় বসার সুযোগ দেওয়া হোক। 

    আরও পড়ুন: উত্তর দিনাজপুরে বিএড, ডিএলএড কলেজ বন্ধের হুমকি কেন দিলেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী?

    বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের এই রায় তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। এর আগে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে রায় দ্বিধা বিভক্ত হয়। বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের মত ছিল, ১৫০ এর মধ্যে ৮২ পেলেই টেট উত্তীর্ণ হিসেবে গণ্য করা সম্ভব। আর বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের মত ছিল, ৮২.৫ পেলে তবেই প্রার্থীদের টেট উত্তীর্ণ বলে উল্লেখ করা হবে। এরপর মামলা যায় বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের বেঞ্চে। এদিন তিনি যে রায় দিয়েছিলেন এরপর প্রার্থীদের টেটে বসার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা রইল না বলেই মনে করা হচ্ছে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • C V Ananda Bose: বেতন বন্ধের হুঁশিয়ারি উড়িয়ে ফের মধ্যরাতে নতুন উপাচার্য  নিয়োগ রাজ্যপালের

    C V Ananda Bose: বেতন বন্ধের হুঁশিয়ারি উড়িয়ে ফের মধ্যরাতে নতুন উপাচার্য নিয়োগ রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও অন্তর্বর্তিকালীন উপাচার্য নিয়োগ করলেন আচার্য সিভি আনন্দ বোস (C V Ananda Bose)। মঙ্গলবার মধ্যরাতে রাজ্যপাল কৃষ্ণনগরের কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তিকালীন উপাচার্য হিসাবে অধ্যাপক কাজল দে-কে নিয়োগ করছেন। রাজ্যপাল নিয়োগনামায় সই করছেন, তেমন একটি ছবিও প্রকাশ করা হয়েছে। 

    রাজ্য-রাজ্যপাল দ্বন্দ্ব

    রাজ্য শিক্ষাদফতরের সঙ্গে আলোচনা না করেই উপাচার্যহীন বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে অন্তবর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগ করে চলেছেন রাজ্যপাল বোস (C V Ananda Bose)। এই নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত এখন চরমে। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কার্যত কড়া ভাষায় রাজ্যপালকে বিঁধেছেন। গতকাল আবার কার্যত রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধ’ ঘোষণা করেন মমতা। রাজ্যপালের কথায় যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি পরিচালিত হবে, তাদের ক্ষেত্রে ‘আর্থিক অবরোধ’ গড়ে তোলা হবে বলে প্রকাশ্যেই হুঁশিয়ারি দেন তিনি। শুধু তাই নয় প্রয়োজনে রাজভবনের সামনে ধরনায় বসবেন বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। 

    ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থেই সিদ্ধান্ত

    রাজ্যপাল যদিও সেই হুঁশিয়ারি ‘উড়িয়ে’ পূর্বের মতোই মঙ্গলবার মধ্যরাতে আবার উপাচার্য নিয়োগ করেছেন। এর ফলে রাজ্য এবং রাজভবনের সংঘাত আরও তীব্র হল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। রাজভবন ও বিকাশ ভবনের দ্বন্দ্ব দীর্ঘ সময় ধরে চললেও সম্প্রতি তা বড় আকার নেয়। গত ৩১ অগাস্ট রাজ্যপাল (C V Ananda Bose) ঘোষণা করেছিলেন, নতুন করে নিয়োগ না-হওয়া পর্যন্ত আচার্য হিসাবে তিনি নিজেই রাজ্যের ১৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বতিকালীন উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করবেন। শিক্ষাক্ষেত্রে অচলাবস্থা তিনি কোনওভাবেই  মেনে নেবেন না বলে জানান রাজ্যপাল। ছাত্রছাত্রীদের যাতে সার্টিফিকেট পেতে কোনও সমস্যায় না পড়তে হয় তার জন্যই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অভিমত বোসের।

    আরও পড়ুন: বিগ বি-কে বিশ্বকাপের ‘সোনার টিকিট’! হাতে তুলে দিলেন জয় শাহ

    অসহনীয় মনোভাব 

    ঘটনাচক্রে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলবারই শিক্ষক দিবসের এক অনুষ্ঠানে রাজ্যপালের নাম না-করে তাঁর এই সাম্প্রতিক কালের উপাচার্য নিয়োগ এবং একাধিক নির্দেশনামা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। আগামী ৮ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারদের বিকাশ ভবনে ডেকে পাঠানো হয়েছে। তাই তাঁদের চিঠি পাঠানো হয়েছে। কারণ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (C V Ananda Bose) জানিয়েছিলেন, উপাচার্যের কথাই শুনে চলতে হবে। অন্যান্য আধিকারিকরা রাজ্য সরকারের কথা শুনতে বাধ্য নন। তারপরই এমন বৈঠক বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। এমন আবহে মাঝরাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ আবার রাজ্য সরকারের দিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়া বলে মনে করা হচ্ছে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share