Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Train Accident: তৃণমূল সরকার ঘর দেয়নি, আয়ের জন্য যেতে হয়েছিল ভিনরাজ্যে, ফেরার পথেই দুর্ঘটনা

    Train Accident: তৃণমূল সরকার ঘর দেয়নি, আয়ের জন্য যেতে হয়েছিল ভিনরাজ্যে, ফেরার পথেই দুর্ঘটনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৫০ বছর ধরে ভাঙ্গা ঘরে বসবাস, সামান্য হাওয়া এলেই বাড়ি ছেড়ে পালাতে হয়। একটি পাকা ঘর করার আশায় ছেলে বেঙ্গালুরুতে কাজ করতে গিয়েছিল। বাড়ি আসার পথে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনায় (Train Accident) বর্তমানে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে সুজয় সিংহ রায় নামক এক ব্যাক্তি। সরকারি ঘর পেলে আজকে এই দিনটা দেখতে হতো না, চোখে জল নিয়ে আক্ষেপ পরিবারের। তাঁদের পরিবার সম্পর্কে কিছুই জানেন না স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যা।

    নদীয়ার কে ছিলেন ট্রেন (Train Accident) দুর্ঘটনায়?

    নদীয়ার শান্তিপুর থানার গয়েশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘোষপাড়া এলাকার বাসিন্দা সুজয় সিংহ রায়। দিনআনা দিনখাওয়া সংসারে একমাত্র উপার্জন করার মানুষ সুজয়ের বাবা। কোনরকম ভাবে আধপেটা খেয়ে সংসার চলে, তার উপর পড়াশুনার খরচ! চালাবেন কী করে? তাই বাধ্য হয়ে মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশোনা করে, কাজের পথ বেছে নিতে হয়েছে সুজয়কে। দেড় বছর ধরে বেঙ্গালুরুতে একটি হোটেলে দিনমজুরের কাজ করত সে। দিন কয়েক ধরে তাঁর শারীরিক সমস্যা হচ্ছিল, আর সেই কারণে ওখানকার একাধিক ডাক্তার সে দেখিয়েছিল। শরীর সুস্থ না হওয়ায় সে বাড়ি ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেয়। গতকাল বাড়ি ফেরার সময় ওড়িশার বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনার (Train Accident) কবলে পড়তে হয়েছে তাঁকে। গুরুতর জখম অবস্থায় অন্য একটি মোবাইল থেকে সে বাড়িতে ফোন করে এবং নিজের পরিস্থিতির কথা জানায়।

    পরিবারের উদ্বেগ এবং বোনের বক্তব্য

    বাড়িতে খবর পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছে গোটা পরিবার। সুজয়ের বোন রূপসা সিংহ রায় বলে, আমি প্রাইভেট পড়তে গিয়েছিলাম হঠাৎ একটি নম্বর থেকে আমাকে ফোন করা হয়। আমি ফোনটা ধরার পর, দাদা নিজেই বলে, আমি দুর্ঘটনায় (Train Accident) পড়ে আহত হয়েছি। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে আছি! শুধু এটুকুই কথা হয় দাদার সঙ্গে। রূপসা আরও বলে, প্রথমে ভেবেছিলাম আমার দাদা হয়তো মিথ্যা কথা বলছে। কিন্তু পরবর্তীকালে জানতে পারি সত্যিই ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে।

    মায়ের প্রতিক্রিয়া

    সুজয়ের মা সুজাতা সিংহ রায় বলেন, আমার মেয়ে পড়তে গিয়েছিল, প্রথমে মেয়ে পড়া থেকে এসে আমাকে বলে দাদার দুর্ঘটনা (Train Accident) হয়েছে। মা আরো বলেন, সংসারের অর্থনৈতিক হাল ফেরাতে এবং ঘরকে পাকাপোক্ত করতেই ছেলে একবছর ধরে বেঙ্গালুরুতে একটি হোটেলে কাজ করছিল। বেশ কয়েকদিন ধরে পেট ব্যথার কারণে ছেলে বাড়িতে আসতে চাইছিল। আমরা চাই, প্রশাসন যত দ্রুত সম্ভব আমার ছেলেকে সুস্থ ভাবে ফিরিয়ে আনুক।

    বাবার বক্তব্য

    সুজয়ের বাবা সারদা সিংহ রায় বলেন, কোনরকম ভাবে আমার একার উপার্জনেই এই সংসার চলত। তার উপর ছোট ছেলেমেয়েদের নিয়ে ৫০ বছর ধরে এই ভাঙ্গা ঘরে বসবাস করছি। একাধিক বার পঞ্চায়েত মেম্বার থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত অফিসে কাগজপত্র জমা দিয়েছি। কিন্তু কোনরকম সরকারি পরিষেবা পাইনি। ঝড় বৃষ্টির মধ্যে চরম আতঙ্কে থাকি আমরা। একটু জোরে হাওয়া দিলেই নিজের বাড়ি ছেড়ে অন্যের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নিতে হয়। শুধুমাত্র একটি ঘর তৈরির জন্য আমার ছেলেকে ভিন রাজ্যে (Train Accident) যেতে হয়েছে। আজ যদি পঞ্চায়েতের মাধ্যমে সরকারি ঘরটা পেতাম তাহলে এই দিনটি দেখতে হতো না।

    তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যার উল্টোসুর

    তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যা পূজা ঘোষ বলেন, আমি জানিই না যে আমার এলাকায় সুজয় নামে একটি ছেলে, ট্রেন দুর্ঘটনার কবলে পড়েছেন। সুজয়রা কেন ঘর পায়নি? সেই প্রশ্ন করতে তিনি বলেন, আমি নামেমাত্র পঞ্চায়েত সদস্যা। কাজ করে ওই এলাকার অন্যান্য তৃণমূল মাতব্বররা। দুর্ঘটনার কবলে থাকা সুজয় এখন কবে ফেরে, সেই আশায় উদ্বিগ্ন পরিবার।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Coromandel Express Accident: করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় ফারাক্কার নিখোঁজ ১ এবং শান্তিনিকতনের ২, উদ্বিগ্ন পরিবার

    Coromandel Express Accident: করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় ফারাক্কার নিখোঁজ ১ এবং শান্তিনিকতনের ২, উদ্বিগ্ন পরিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওড়িশার বালেশ্বেরে ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে করমণ্ডল এক্সপ্রেস (Coromandel Express Accident)। এই দুর্ঘটনায় এখনও অবধি অনেক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত প্রায় ২৩৮ জনের বেশি মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে এই দুর্ঘটনায় নিখোঁজ হয়েছেন অনেকেই। এর মধ্যে এই রাজ্যের ফারাক্কার একজন এবং  শান্তিনিকেতনের আরও দুজন নিখোঁজ বলে জানা গেছে। দুর্ঘটনায় নিখোঁজ ব্যাক্তিদের পরিবারগুলি  তীব্র উৎকণ্ঠা এবং আশঙ্কার মধ্যে রয়েছেন বলে জানা গেছে।

    দুর্ঘটনায় (Coromandel Express Accident) ফারক্কার কে নিখোঁজ    

    বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনার পর নিখোঁজ মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা ব্লকের বেওয়া ১ পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বাঁকা এলাকার বাসিন্দা প্রেমিক ঘোষ নামক এক ব্যাক্তি। তিনি বেঙ্গালুরু থেকে যশবন্তপুর এক্সপ্রেসে করে কলকাতায় ফিরছিলেন। কিন্তু ওড়িশায় ট্রেন দুর্ঘটনার (Coromandel Express Accident) পর থেকে এখনও পর্যন্ত তাঁর কোনও খোঁজ মেলেনি বলে পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে। বাড়ির লোক প্রেমিকের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাঁর ফোন বন্ধ মেলে। এই ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই উদ্বিগ্ন পরিবার। ইতিমধ্যে তাঁর পরিবারের লোক, বালেশ্বরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন বলে জানা গেছে। স্থানীয় প্রশাসনের তরফে তাঁদের বালেশ্বরে যাওয়ার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। কান্নায় ভেঙে পড়েছে পরিবারের লোকজন। বাড়ির সন্তানকে ফিরিয়ে আনতে অত্যন্ত তৎপর পরিবার।

    শান্তিনিকেতনের কে নিখোঁজ হয়েছেন?

    বালেশ্বরে রেল দুর্ঘটনায় (Coromandel Express Accident) কোপাইয়ের নিখোঁজ দুই ব্যাক্তি এবং আহত একজনের সম্পর্কে খবর পাওয়া গেছে। করমণ্ডল এক্সপ্রেসে করেই হাওড়া থেকে চেন্নাই যাচ্ছিলেন শান্তিনিকেতনের কোপাইয়ের নোয়াডাঙা গ্রামের তিনজন যুবক। ইতি মধ্যে গুরুতরভাবে আহত ধনঞ্জয় কোঁড়া নামক এক ব্যাক্তির সন্ধান পাওয়া গেছে। কিন্তু এই এলাকার আরও দুই ব্যাক্তি তুফান কোঁড়া এবং মৃত্যুঞ্জয় কোঁড়ার কোন খোঁজ দুর্ঘটনার পর থেকে মেলেনি। যেভাবে দুটি ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে সংঘর্ষ হয়েছে, তাতে পরিবারের সদস্যরা বেশ চিন্তার মধ্যে রয়েছেন। পরিবার চাইছেন সুস্থ অবস্থায় ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে আসুক। ট্রেন দুর্ঘটনার কারণে নিখোঁজ ছেলেদের নিয়ে উদ্বিগ্ন এলাকার মানুষ।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Coromandel Express Accident: পরিবারের একমাত্র আয় করতেন এই রাজমিস্ত্রি, মৃত্যু ট্রেন দুর্ঘটনায়

    Coromandel Express Accident: পরিবারের একমাত্র আয় করতেন এই রাজমিস্ত্রি, মৃত্যু ট্রেন দুর্ঘটনায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরিবারের একমাত্র রোজগার করতেন মহিউদ্দিন শেখ। তাঁর বাড়ি ছিল কাকদ্বীপের মধুসূদনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তিন নম্বর এলাকায়। কাজ করতে যাচ্ছিলেন দক্ষিণ ভারতের কেরালা রাজ্যে। গতকাল বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনা (Coromandel Express Accident) প্রাণ কেড়ে নেয় তাঁর। পরিবারে মধ্যে শোকের ছায়া বর্তমান।

    ট্রেন দুর্ঘটনায় (Coromandel Express Accident) মৃত্যু হল কাকদ্বীপ বাসিন্দার

    মূলত প্রত্যন্ত সুন্দরবন এলাকার কাকদ্বীপ নামখানা পাথরপ্রতিমা সহ বিভিন্ন এলাকার শ্রমিকেরা ভিন রাজ্যে যান কাজের উদ্দেশ্যে। কাকদ্বীপের মধুসূদনপুর গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে সাত আট জনের একটি দল, ভিন রাজ্যে যাচ্ছিলেন শ্রমিকের কাজের উদ্দেশ্যে। শালিমার থেকে করমণ্ডল এক্সপ্রেস করে যাচ্ছিলেন সকলেই। হঠাৎ করমণ্ডল এক্সপ্রেসের বালেশ্বরে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা প্রাণ কেড়ে নেয়, পরিবারের একমাত্র রোজগার করা মহিউদ্দিন শেখের। পরিবার সূত্রে জানা যায়, ট্রেন দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন বারে বারে ফোন করতে থাকে মহিউদ্দিনকে। কিন্তু দুর্ঘটনার পরে তৎক্ষণাৎ ফোনে পাওয়া যায়নি তাঁকে। আরও কিছুক্ষণ পর সহকর্মীদের মধ্যে থেকে একজনের ফোন আসে বাড়ির ফোনে এবং পরিবারকে জানানো হয়, মহিউদ্দিন আর নেই! ট্রেন দুর্ঘটনায় (Coromandel Express Accident) প্রাণ গেছে তাঁর! এরপর হোয়াটস্যাপে ছবি দেখে মহিউদ্দিন শেখকে শনাক্ত করে পরিবার। পাশাপাশি এই দুর্ঘটনায় আরও বেশ কিছুজন গুরুতর ভাবে আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। ট্রেনের এই দুর্ঘটনায় ইতিমধ্যেই শোকের ছায়া গোটা এলাকায়।

    পরিবারের বক্তব্য

    দাদা আব্দুল সালাম বলেন, গতকাল রাতে ১২ টায় আমি মহিউদ্দিনের মোবাইলে ফোন করি, কিন্তু প্রথমে কেউ ধরে নি ফোন। পরে অন্য একজন ওর ফোন থেকে ফোন করে বলে যে দুর্ঘটনায় (Coromandel Express Accident) মারা গেছে সে। পরিবারকে চালানোর জন্য মহিউদ্দিন দক্ষিণ ভারতের কেরালা রাজ্যে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেই যাচ্ছিলেন। পেশায় একজন রাজমিস্ত্রী এবং পরিযায়ী শ্রমিক ছিলেন মহিউদ্দিন। দাদা আরও জানান, মহিউদ্দিনের বাড়িতে বর্তমানে তিন ছেলে এবং স্ত্রী বর্তমান। তাঁরই রোজগারে তাঁর পরিবারের সংসার চলত। কিন্তু এখন এই ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত্যুর পর শ্রমিকের পরিবারের এই সংসার, কীভাবে চলবে, তাই নিয়ে চিন্তা প্রকাশ করছেন দাদা আব্দুল সালাম। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Train Accident:  ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার পর নিখোঁজ তপনের চন্দন রায়, উদ্বেগে পরিবার

    Train Accident: ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার পর নিখোঁজ তপনের চন্দন রায়, উদ্বেগে পরিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাতে কাজ নেই। রোজগারও তলানিতে। মা, স্ত্রী আর পাঁচ বছরের সন্তানকে নিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন থানার গাঁও গঙ্গারামপুরের চন্দন রায়। ভালো রোজগারের আশায় ভগ্নিপতি নিত্যম রায়ের সঙ্গে প্রথম কেরালায় রাজমিস্ত্রির কাজে যাচ্ছিলেন তিনি। করমণ্ডল এক্সপ্রেসে তাঁদের টিকিট ছিল। ট্রেন দুর্ঘটনার (Train Accident) পর থেকে চন্দনবাবুর কোনও হদিশ পাচ্ছেন না পরিবারের লোকজন। চরম দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছেন সকলে।

    কী বললেন চন্দনের স্ত্রী?

    চন্দনবাবুর ভগ্নিপতি নিত্যম রায়ের বাড়ি মালদহের বামনগোলায়। দুজনেই করমন্ডল এক্সপ্রেসে এক কামরায় ছিলেন। চন্দনবাবুর স্ত্রী চিত্রা রায় বলেন, “ট্রেনে ওঠার পর ও আমাকে ফোন করে জানায়, বিকেলের দিকে ট্রেন ছাড়ার পর ও বলে, ট্রেন ছাড়ল। পৌঁছে গিয়ে ফোন করব। সেই আশায় ছিলাম। সন্ধ্যার পর খবরে দেখি করমণ্ডল এক্সপ্রেসে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা (Train Accident) ঘটেছে। আর ওরা ওই ট্রেনে ছিল, তা জানতাম। সঙ্গে ওর মোবাইলে ফোন করি। কিন্তু, মোবাইল সুইচড অফ পাই। এরপর আমার ননদাইকে ফোন করি। কিন্তু, তাঁর মোবাইল থেকে একজন ফোন তুলে আমার সঙ্গে হিন্দিতে কথা বলেন। যেটুকু বুঝলাম তাতে আমার ননদাই আর বেঁচে নেই। আর আমার স্বামীর খোঁজ কেউ দিতে পারলেন না। ও এখন বেঁচে আছে না কোথায় আছে কিছুই জানি না। খুব উদ্বেগের মধ্যে দিন কাটছে। আমার স্বামীকে খুঁজে দেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে আমি আবেদন জানিয়েছি। থানাতেও গিয়েছি।”

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    স্থানীয় বিজেপি নেতা জুল্লুর রহমান চন্দনবাবুর পরিবারের লোকজনের সঙ্গে শনিবার সকালে গিয়ে দেখা করেন। তিনি বলেন,”আমরা বিষয়টি জানার পর হেল্প লাইন নম্বরে ফোন করে সব জানিয়েছি। আমাদের রাজ্যে থেকে যে উদ্ধারকারী দল দুর্ঘটনাস্থলে (Train Accident) গিয়েছে তাঁদের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ রেখেছি। আমরা থানায় জানিয়েছি। বিজেপির পক্ষ থেকে ওই পরিবারকে সবরকমভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছি। আমরা তাঁদের পাশে সবসময় রয়েছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Coromandel Express Accident: কামরার কেবল মাত্র চারজন বেঁচে ছিলাম, অনেক কষ্টে প্রাণ নিয়ে ফিরেছি

    Coromandel Express Accident: কামরার কেবল মাত্র চারজন বেঁচে ছিলাম, অনেক কষ্টে প্রাণ নিয়ে ফিরেছি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকাল করমণ্ডল এক্সপ্রেস (Coromandel Express) রেল দুর্ঘটনা গাইসালের রেল দুর্ঘটনার কথা মনে করিয়ে দিল। ওড়িশার বালেশ্বরের বাহানগা বাজার স্টেশনের কাছেই হাওড়া থেকে চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস, একটি মাল গাড়ি এবং হাওড়াগামী যশবন্তপুর এক্সপ্রেস লাইন থেকে চ্যুত হয়ে পরস্পর ধাক্কা লেগে একের পর এক কামরা উপরে উঠে গিয়ে ব্যাপক দুর্ঘটনা ঘটে। সূত্রে জানা যায়, ট্রেনের যাত্রীদের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের যাত্রীদের সংখ্যা ছিল সবথেকে বেশি। এই ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা থেকে যাঁরা প্রাণ হাতে নিয়ে ফিরেছেন, তাঁদের জীবনের অভিজ্ঞতা এক কঠিন বাস্তবতার পরিচয় বহন করে। চোখের সামনেই ছিল মৃত্যু, সেই মৃত্যুকে পাশ কাটিয়ে তাঁরা ফিরলেন বাড়িতে।

    দুর্ঘটনা (Coromandel Express) থেকে ফিরে কী বলছেন ক্যানিং-এর বাসিন্দা

    এই রেল দুর্ঘটনায়, একেবারে প্রাণ হাতে করে নিয়ে ফিরেছেন বাসন্তীর ফুল মালঞ্চ গ্রাম পঞ্চায়েতের লেবুখালীর দুই বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম মোল্লা এবং পারুল মোল্লা। দুই জনেই একই পরিবারের সদস্য, একজন শ্বশুর ও অপরজন বৌমা। তাঁদের বক্তব্য, শালিমার থেকে যাত্রা করে চেন্নাইতে যেতে চেয়েছিলেন তাঁরা। পারুল মোল্লা বলেন, আমার স্বামী চেন্নাইতে কাজ করেন। আমরা তাঁর কাছেই যাচ্ছিলাম। ট্রেনে (Coromandel Express) হঠাৎ তীব্র ঝাঁকুনিতে সব কিছু উলট পালট হয়ে গেলে। মুহূর্তের মধ্যেই কামরার সকলে এদিকে ওদিকে ছিটকে পড়ে গেল। আমিও পড়ে গিয়ে দারুণ ভাবে কোমারে আঘাত প্রাপ্ত হই। তিনি আরও বলেন, আমাদের কামরাতে কেবল আমি, আমার শ্বশুর এবং আর দুই ব্যাক্তি বেঁচে ফিরেছি। বাকি সকল যাত্রী দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। পারুল মোল্লা আরও বলেন, মনে হচ্ছিল আর মনে হয় বেঁচে ফেরা হবে না। বিশ্বাস করতে পারছিনা এত বড় রেল দুর্ঘটনার পরও বেঁচে আছি। 

    সোনারপুরের সুকান্ত কী বললেন

    চেন্নাই মেট্রোতে কাজের জন্য শালিমার থেকে করমণ্ডল এক্সপ্রেসে (Coromandel Express) উঠেছিলেন সোনারপুরের সুকান্ত হালদার। রেলের দুর্ঘটনার পর কোনওক্রমে জীবন হাতে করে বালেশ্বরে থেকে বাসে কলকাতায় ফিরে আসেন। তিনি বলেন, ট্রেন ঠিক সময়েই চলছিল, বিকাল ঠিক ৬ টা নাগাদ ট্রেনের মধ্যে তীব্র ঝাঁকুনি হয়, আর তারপর কিছুই বুঝতে পারলাম না। জ্ঞান ফিরতে দেখি, কামরার বাকি যাত্রীরা আর্তনাদ করছে। কামরার চারপাশ অন্ধকার, কামরার আশে পাশে অনেক রক্ত। অনেকেই যে চাপা পড়ে আছেন, তা তিনি দেখতে পান। সিটের সঙ্গে লাগানো একটি লোহার স্ক্রুপ লেগে পায়ে দারুণ আগাত পেয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে বাম হাত এবং পীঠের ডান দিকের অংশে অনেকটা করে কেটে গেছে বলে জানান। প্রায় চল্লিশ মিনিট পর অনেক কষ্ট করে ট্রেনের কামরা থেকে বের হতে পেরেছিলেন সুকান্ত হালদার। তিনি বলেন, কামরা থেকে বের হয়ে বুঝতেই পারছিলাম না কী হল? সুকান্ত আরও বলেন, লাইনচ্যুত হয়ে একটা রেলের কামরা আরেকটা কামরার উপর উঠে গিয়েছিল। এতো ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি আগে কখনও দেখিনি। অত্যন্ত হতাশায় বলেন, জানিনা কামরার বাকি যাত্রীদের কী হয়েছে!

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Coromandel Express Accident: “বিকট আওয়াজ, মালগাড়ির উপর উঠে পড়ল আমাদের কামরা”, বললেন ভাতারের পটু

    Coromandel Express Accident: “বিকট আওয়াজ, মালগাড়ির উপর উঠে পড়ল আমাদের কামরা”, বললেন ভাতারের পটু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করমণ্ডল এক্সপ্রেসে (Coromandel Express Accident) ভয়াবহ দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হয়ে  পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের বামাশোল গ্রামে বাড়়ি ফিরলেন ৯ জন যাত্রী। তাঁরা শুক্রবারই কেরালা যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হন। একসঙ্গে তাঁরা একটি কামরায় ছিলেন। ট্রেন দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন কান্নায় ভেঙে পড়েন। শনিবার একটি গাড়ি ভাড়়া করে তাঁরা কোনওরকমে বাড়ি ফিরে আসেন। মৃত্যুর মুখ থেকে ফেরা ৯ জনকে দেখতে এদিন গ্রামে ভিড় উপচে পড়ে।

    দুর্ঘটনায় (Coromandel Express Accident) ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা বললেন যাত্রীরা

    পটু সেখ নামে এক যাত্রী বলেন,” ৩.২০ মিনিট নাগাদ হাওড়া থেকে আমাদের ট্রেন (Coromandel Express Accident) ছাড়ে। আমাদের গন্তব্য ছিল কেরালা। রাজমিস্ত্রির কাজে যাচ্ছিলাম। প্রত্যেকের কনফার্ম টিকিট ছিল। বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ আমাদের ট্রেনটি বালেশ্বর স্টেশনে ঢোকে। তারপরও আরও ৪০ কিলোমিটার যায় আমাদের ট্রেন। ট্রেনের গতি ভালই ছিল। আমরা কামরার মধ্যে খোশ মেজাজে গল্প করছিলাম। আচমকাই বিকট আওয়াজ শুনতে পাই। আমাদের কামরাটি কেঁপে ওঠে। তখনই বুঝে গিয়েছি, মৃত্যু অবধারিত। একের পর এক কামরা লাইন থেকে ছিটকে পড়ছে। আমাদের কামরাটি মালগাড়ির উপর উঠে পড়ে। আমরা জানলার কাচ ভেঙে কোনওরকমে বেরিয়ে আসি। বাইরে বেরিয়ে দেখি, মৃত্যু মিছিল। চারিদিকে মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। কেউ বাঁচানোর জন্য চিত্কার করছে। কামরা থেকে বেরিয়ে মৃতদেহের উপর দিয়ে হেঁটে কোনওরকমে লাইনের ধারে এসে বসি। পরে, অন্যদের খোঁজ নিই। ৯ জনই বেঁচে ফিরেছি। আমার হাতে খুব চোট লেগেছিল। ঘটনাস্থলে খেলনার মতো ট্রেনের কামরাগুলি পড়েছিল। আমরা এতটাই আতঙ্কে ছিলাম যে সেখানে বেশিক্ষণ থাকা যাচ্ছিল না। আমরা কোনওরকমে সেখান থেকে হাইওয়ে চলে আসি।”

    কীভাবে ঘটনাস্থল থেকে বাড়়ি ফিরলেন?

    শেখ নজরুল বলেন,”ভাবতে পারিনি বেঁচে ফিরব। আমাদের ৯ জনের মধ্যে দুজনের চোট গুরুতর। বাকিরা সকলেই জখম হয়েছেন। এই ধরনের ঘটনা আমি কোনওদিন দেখিনি। কত মানুষ মারা গিয়েছে তার হিসেব নেই। চোখের সামনে এসব হতে দেখেছি। আমাদের ট্রেনের (Coromandel Express Accident) একের পর এক কামরা অন্য ট্রেনের উপরে চেপে রয়েছে। গোটা এলাকা মৃত্যুপুরী হয়ে রয়েছে। হাইওয়ের ধারে সারারাত কাটিয়েছি। গ্রামে সুরজ নামে একজনের সঙ্গে যোগাযোগ করি। সে আমাদের গাড়ির ব্যবস্থা করে দেয়। সেই গাড়িতে করে আমরা কোনওরকমে বাড়ি ফিরি। এভাবে বাড়ি ফিরতে পারব তা ভাবতে পারিনি।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: কেষ্টর কোথায় কষ্ট! ‘বাঘ’-কে দেখতে তিহাড়ে ২ তৃণমূল সাংসদ, লক্ষ্য পঞ্চায়েত?

    Anubrata Mondal: কেষ্টর কোথায় কষ্ট! ‘বাঘ’-কে দেখতে তিহাড়ে ২ তৃণমূল সাংসদ, লক্ষ্য পঞ্চায়েত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) ও তাঁর কন্যার সঙ্গে দেখা করতে তিহাড়ে পৌঁছে গেল তৃণমূলের ২ সাংসদ। শুক্রবার, তৃণমূলের ২ প্রতিনিধি— দলের রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেন এবং বোলপুরের সাংসদ অসিত মাল জেলবন্দি অনুব্রতর সঙ্গে দেখা করেন।

    নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আরও অনেক আগে থেকে কলকাতায় জেলে বন্দি রয়েছেন দলের একদা মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এখনও পর্যন্ত, তাঁকে দেখতে দলের তরফে কাউকে জেলে পাঠানো হয়নি। অথচ, অনুব্রতর সঙ্গে দেখা করতে একেবারে তিহাড়ে পৌঁছে গেল ২ জন সাংসদ! রাজনৈতিক মহলের কাছে এই বিষয়টির অন্য তাৎপর্যপূর্ণ রয়েছে।

    পার্থ বনাম অনুব্রত

    রাজনৈতিক মহলের মতে, দুই দুর্নীতি মামলায় জেলবন্দি দুই হেভিওয়েট নেতার ক্ষেত্রে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের দুরকম আচরণ দিনের আলোর মতো পরিষ্কার। শিক্ষা দুর্নীতি মামলায় পার্থ গ্রেফতার হওয়ার পর তাঁর উপর থেকে কার্যত ‘হাত তুলে নেয়’ তৃণমূল। প্রথমে পার্থকে মন্ত্রিত্ব থেকে সাসপেন্ড করা হয়। তারপর দল থেকেও তাঁকে বরখাস্ত করা হয়।

    উল্টোদিকে, গরু পাচার মামলায় ধৃত অনুব্রতর (Anubrata Mondal) ক্ষেত্রে তেমনটা ঘটেনি। এখনও তিনি তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি পদে বহাল। তাঁকে সাংগঠনিক পদ থেকেও সরায়নি তৃণমূল। দল থেকে তো বরখাস্তের প্রশ্নই নেই। এমনকি, একাধিক সমাবেশে ‘কেষ্ট’-র ওপর আস্থা রাখতেই শোনা গিয়েছে তৃণমূলনেত্রীর গলায়। দল যে অনুব্রতর পাশে রয়েছে, তা নিজ মুখে ঘোষণা করেছেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

    কেষ্ট-সাক্ষাতের নেপথ্যে কোন রসায়ণ?

    এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কেন এখন অনুব্রতর সঙ্গে দেখা করতে গেল তৃণমূল প্রতিনিধিদল? রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, শিয়রে পঞ্চায়েত ভোট। বীরভূম জেলাকে নিজের হাতের তালুর মতো চেনেন কেষ্ট। দলে তো তাঁকে ‘বীরভূমের বাঘ’ বলেও উল্লেখ করা হয়। এখন গরু পাচারকাণ্ডে সেই ‘বাঘ’ এখন তিহাড়ের ‘খাঁচায়’ বন্দি। গতকালই, অনুব্রতর (Anubrata Mondal) শুনানি পিছিয়ে গিয়েছে। আগামী একমাস শুনানি হবে কি না, তার নিশ্চিয়তা নেই। ফলত, গোটা জুন মাসটাই হয়ত, জেলেই থাকতে হবে কেষ্টকে। 

    আরও পড়ুন: বাবার শুনানি স্থগিত, মেয়ের জামিন খারিজ! আপাতত তিহাড়েই কেষ্ট-সুকন্যা

    নজের পঞ্চায়েত ভোট? 

    দলে ‘দক্ষ সংগঠক’ হিসাবে পরিচিত অনুব্রত (Anubrata Mondal)। পঞ্চায়েত হোক বা বিধানসভা, অতীতে একাধিক ভোট বৈতরণী পার করিয়েছেন কেষ্ট। সব ভোটে কেষ্ট-ফ্যাক্টর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে, তা নিয়ে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের মনে কোনও সন্দেহ নেই। আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে, কেষ্টর থাকা আর না থাকার মধ্যে ফারাকটা বিলক্ষণ জানে দল। তাই তাঁর সঙ্গে দেখা করাটা দরকার ছিল। পঞ্চায়েত ভোটের জন্য বীরভূম জেলায় তৃণমূল নেতা-কর্মী থেকে শুরু করে দলের নেতৃত্বের জন্য অনুব্রতর কোনও বার্তা থেকে থাকলে, তা আদান-প্রদান হবে।

    পাশে থাকার বার্তা?

    রাজনৈতিক মহলের আরেকটা অংশ মনে করছে, নিজের থেকেও কেষ্টর বেশি উদ্বেগ তাঁর মেয়েকে নিয়ে। একই মামলায় মেয়ে সুকন্যাও তিহাড়ে বন্দি। ফলে, মেয়ের স্বার্থে যদি কেষ্টর মুখ খুলে যায়, তাহলে তৃণমূলের মাথাদের জন্য আরও বিপদ বাড়বে। শিক্ষা দুর্নীতি মামলায় কয়েকজনকে রাজসাক্ষী করা হতে পারে বলে বৃহস্পতিবারই আদালতে জানিয়েছে সিবিআই। এবার গরু পাচার মামলায় যদি অনুব্রত (Anubrata Mondal) মুখ খোলেন, তাহলে কী হতে পারে, তা আগাম আঁচ করে হয়ত ভয় পাচ্ছেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। যে কারণে, দল যে তাঁর পাশে আছে, সেই বার্তা অনুব্রতকে দেওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়েছিল।

    সব মিলিয়ে কেষ্টকে দেখতে তৃণমূল প্রতিনিধিদলের তিহাড় যাত্রাকে ঘিরে বঙ্গ রাজনীতিতে তুমুল আলোড়ন!

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata-Sukanya: বাবার শুনানি স্থগিত, মেয়ের জামিন খারিজ! আপাতত তিহাড়েই কেষ্ট-সুকন্যা

    Anubrata-Sukanya: বাবার শুনানি স্থগিত, মেয়ের জামিন খারিজ! আপাতত তিহাড়েই কেষ্ট-সুকন্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার মামলায় দিল্লির আদালতে জোড়া ধাক্কা খেলেন বীরভূমের দাপুটে মণ্ডল-পরিবারের দুই জেলবন্দি সদস্য (Anubrata-Sukanya)। একদিকে, যেমন কেষ্ট মণ্ডলের শুনানি স্থগিত হয়ে গেল, তেমন অন্যদিকে ওই আদালতেই খারিজ হয়েছে মেয়ে সুকন্যার জামিনের আর্জি। ফলে, এখন বাপ-বেটিকে আপাতত দিল্লির তিহাড় জেলেই থাকতে হবে। 

    শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে জামিনের আবেদন করেছিলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত। বৃহস্পতিবার দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি দীনেশ কুমার শর্মা গরহাজির থাকায় অনুব্রতর জামিনের আবেদনের শুনানি হয়নি। ওদিকে সুকন্যার জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয় রাউস অ্যাভিনিউ আদালত (Anubrata-Sukanya)।

    সুকন্যার শুনানিতে মণীশের বয়ান হাতিয়ার ইডি-র

    শুনানিতে সুকন্যার আইনজীবী আদালতে সওয়াল করেন, সুকন্যার বয়স কম। তিনি এই দুর্নীতিতে যুক্ত নন। তিনি সব রকম ভাবে ইডিকে সহযোগিতা করেছেন। ফলে, তাঁকে জামিন দেওয়া হোক। পাল্টা ইডি জানায়, বাবার কারবারে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন সুকন্যা। তিনিই গরু পাচারের টাকা বিনিয়োগের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতেন। এ ব্যাপারে এই মামলায় জেলবন্দি অনুব্রতর হিসেবরক্ষক মণীশ কোঠারির বয়ানকে হাতিয়ার করে তদন্তকারী সংস্থা। ইডি-র আইনজীবী জানান, অনুব্রত মণ্ডলের হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি জানিয়েছেন, সুকন্যা ব্যবসার দেখাশোনা করতেন এবং তাঁকেও নির্দেশ দিতেন। উভয় পক্ষের সওয়াল শুনে জামিন খারিজ করেন বিচারক।

    আরও পড়ুন: গ্রেফতারের আগে ‘কালীঘাটের কাকু’-র ওপর ৭ মাস নজর রাখেন গোয়েন্দারা!

    গোটা জুন মাস তিহাড়েই কাটবে কেষ্ট-সুকন্যার? (Anubrata-Sukanya)?

    প্রসঙ্গত, গত ২৬ এপ্রিল দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে সুকন্যাকে দিনভর জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয়। ৩১ বছরের সুকন্যাকে তিন দিন নিজেদের হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। তার পর থেকে সুকন্যা তিহাড় জেলে। সোমবার থেকে আদালতে গরমের ছুটি পড়ে যাওয়ায় আগামী এক মাসে আর এই মামলার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তাই মনে করা হচ্ছে, গোটা জুন মাস তিহাড় জেলেই কাটাতে হবে অনুব্রত এবং সুকন্যাকে (Anubrata-Sukanya)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kalighater Kaku: গ্রেফতারের আগে ‘কালীঘাটের কাকু’-র ওপর ৭ মাস নজর রাখেন গোয়েন্দারা!

    Kalighater Kaku: গ্রেফতারের আগে ‘কালীঘাটের কাকু’-র ওপর ৭ মাস নজর রাখেন গোয়েন্দারা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগকাণ্ডে ধৃত ‘কালীঘাটের কাকু’ (Kalighater Kaku) ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে বুধবার ১৪ দিনের ইডি হেফাজতে পাঠিয়েছে ব্যাঙ্কশাল আদালত। শুনানিতে সুজয়কে নিজেদের হেফাজতে চাওয়ার সময় ইডি আদালতকে জানায়, গ্রেফতার এখন করা হলেও, ‘কালীঘাটের কাকু’-র ওপর দীর্ঘদিন নজর রাখা হচ্ছিল। ইডির আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি দাবি করেন, প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে নিয়োগের বিষয়ে নিয়মিত হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট করতেন ‘কালীঘাটের কাকু’। তিনিই ঠিক করে দিতেন কে চাকরি পাবেন, কে পাবেন না, তাও।

    ইডি-র অভিযোগ, তাপস মণ্ডলের মুখে এই সুজয়ের নাম প্রথম শোনা গিয়েছিল। গোপাল দলপতিও ‘কালীঘাটের কাকু’র (Kalighater Kaku) নাম করেছিলেন। নিয়োগকাণ্ডে অপর ধৃত কুন্তল ঘোষ থেকে শুরু করে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ও কালীঘাটের কাকু-র নাম করেছিলেন। তদন্তকারীদের দাবি, এদের দাবি ও পেশ করা তথ্যের ভিত্তিতে সুজয়কৃষ্ণকে জেরা করা হলে, তিনি যাবতীয় প্রমাণ অস্বীকার করেন। প্রতি ক্ষেত্রেই তিনি জবাব এড়িয়ে গিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: সুজয়কৃষ্ণ গ্রেফতারের পর কোন বিস্ফোরক তথ্য সামনে আনলেন শুভেন্দু?

    ইডি-র দাবি, বহিষ্কৃত যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল দাবি করেছিলেন, ২০১৪ সালের টেটে কয়েকজন অবৈধ প্রার্থীর চাকরির জন্য তিনি সুজয়কে ৭০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। তাঁর কথাতেই আরও ১০ লক্ষ টাকা দেন পার্থকেও। আরেক ধৃত তাপস মণ্ডলও দাবি করেছেন, ৩২৩ জন টেট প্রার্থীর তালিকা সুজয়কে পাঠানো হয়েছিল। তাঁর কাছ থেকে সেই তালিকা পাঠানো হয় মানিকের কাছে। এখন সেই সব অভিযোগ অস্বীকার করছেন সুজয় ওরফে কাকু (Kalighater Kaku)।

    ইডি-র আরও অভিযোগ, সুজয় একাধিক তথ্য গোপন করার চেষ্টা করছেন। সুজয় তাঁর বয়ানে দাবি করেছেন, তিনি মানিককে ২০২১ সালের আগে চিনতেন না। কিন্তু তদন্তে ইডির হাতে এসেছে অন্য তথ্য। মানিকের হোয়াটস্‌অ্যাপ কথোপকথন ঘেঁটে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা দেখেছেন, তাঁর সঙ্গে সুজয়ের যোগাযোগ রয়েছে অন্তত ২০১৮ সাল থেকে। ইডি-র দাবি, গ্রেফতার এখন করা হলেও, ৭ মাস ধরে সুজয়ের (Kalighater Kaku) ওপর নজর রাখছিলেন গোয়েন্দারা। তাঁর বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করছিল ইডি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bengal BJP: জুন মাসেই কি রাজ্যে পা রাখছেন মোদি-শাহ-নাড্ডা?

    Bengal BJP: জুন মাসেই কি রাজ্যে পা রাখছেন মোদি-শাহ-নাড্ডা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি মাসেই রাজ্যে আসতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পাশাপাশি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডারও বেশ কয়েকটি জনসভা করার কথা রয়েছে। প্রসঙ্গত, বুধবার ৩১ মে রাজস্থানের আজমেড়ে প্রধানমন্ত্রী সূচনা করেছেন বিজেপির একমাসব্যাপী মহা-জনসম্পর্ক অভিযান। সরকারের ন’বছরের সাফল্যগাথা তুলে ধরতে বিজেপি নেতাকর্মীরা গৃহ সম্পর্ক অভিযান, পথসভা, জনসভা, মিছিল, সাংবাদিক সম্মেলন, নাগরিক সেমিনার এ সমস্ত কিছুই করবেন আগামী এক মাস ধরে। স্বাভাবিকভাবে পশ্চিমবঙ্গেও (Bengal BJP) শুরু হচ্ছে মহা-জনসম্পর্ক অভিযান।

    কী কী কর্মসূচি রয়েছে?

    বিজেপি (Bengal BJP) সূত্রে খবর, পশ্চিমবঙ্গে তিনটি বড় জনসভা করবেন তাঁরা। উত্তরবঙ্গ, মধ্যবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গের এই তিন জনসভায় উপস্থিত থাকার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার। জানা গিয়েছে, নরেন্দ্র মোদি দক্ষিণবঙ্গে সভা করবেন, অমিত শাহ রাঢ়বঙ্গে এবং জেপি নাড্ডার সভা হওয়ার কথা উত্তরবঙ্গে। দেশের প্রতিটি রাজ্যে মোট ৫১টি জনসভা করবে বিজেপি, যার মধ্যে তিনটি জনসভা হবে বাংলায়। বিজেপির সাংগঠনিক মণ্ডল কমিটিগুলি গ্রামীণক্ষেত্রে তৈরি হয় জেলা পরিষদের আসনকে ধরে। অন্যদিকে এক একটি শহরকে ধরে বিজেপির (Bengal BJP) নগর মণ্ডল তৈরি হয়। শহর বড় হলে নগর মণ্ডলের সংখ্যাও বাড়ে। বিজেপি সূত্রে খবর, এই সমস্ত মণ্ডলগুলিতে এক হাজারেরও বেশি জনসভা করবেন তাঁদের দলের রাজ্য নেতৃত্ব। হাজির থাকবেন এরাজ্য থেকে নির্বাচিত সাংসদ-বিধায়করাও।

    আরও পড়ুন: অভিষেকের একদিনের নিরাপত্তায় মোতায়েন ২২৪৫ পুলিশকর্মী! ট্যুইটে বিস্ফোরক শুভেন্দু

    বাংলার প্রতিটি বিধানসভায় যাবে বিজেপি (Bengal BJP) নেতৃত্ব

    বিজেপি সূত্রে খবর, জুন মাসে রাজ্যের ২৯৪টি বিধানসভাতেই জনসভা করবে বিজেপি নেতৃত্ব (Bengal BJP)। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে মোদি সরকারের ৯ বছরের সাফল্যগাথা তুলে ধরবেন সর্বানন্দ সোনোয়াল, সুশীল মোদির মতো নেতারা। তালিকায় রয়েছেন ধর্মেন্দ্র প্রধান, স্মৃতি ইরানিও।

    কী বলছেন সুকান্ত মজুমদার?

    বিজেপির (Bengal BJP) রাজ্য সভাপতি এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘শুধু কেন্দ্রীয় নেতারাই নয়, রাজ্যের ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রে জনসভা করবেন বাংলার নেতারাও। আগামী ২১ থেকে ৩০ জুন মোদি সরকারের ৯ বছর পূর্তি উপলক্ষে বাড়ি বাড়ি গিয়ে জনসম্পর্ক কর্মসূচি পালন করবে বিজেপি।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share