Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Islampur: ছেলের বিয়ের নেমন্তন্ন করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল বাবার

    Islampur: ছেলের বিয়ের নেমন্তন্ন করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল বাবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছেলের বিয়ের নেমন্তন্ন করতে গিয়ে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল বাবার। জখম হয়েছেন আরও একজন। বুধবার মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার ৩১ নং জাতীয় সড়কের ওপর ইসলামপুর (Islampur) থানার ঘোরামারা বাইপাস এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম মহম্মদ হাসিমুদ্দিন (৫৫)। তাঁর বাড়ি ইসলামপুর থানার নয়াবস্তি পাঁচোরসিয়া এলাকায়। মুজাহিদ নামে ২০ বছরের অপর এক যুবক জখম হন। এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার ছেলের বিয়ে। বাইক চেপে এক যুবকের সঙ্গে তিনি ছেলের বিয়ের নেমন্তন্ন করতে বের হন। জাতীয় সড়ক ধরে যাওয়ার সময় কোনও এক গাড়ি তাদের বাইকের পিছনে সজোরে ধাক্কা মারে। বাইক থেকে তাঁরা ছিটকে পড়েন। দুজনেই গুরুতর জখম হন। স্থানীয় লোকজন তড়িঘড়ি তাঁদের উদ্ধার করে ইসলামপুর (Islampur) মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসলে চিকিত্সকরা মহম্মদ হাসিমুদ্দিনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে আসেন পরিবারের লোকজন। মৃত্যুর খবর জানাজানি হতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ইসলামপুর (Islampur) থানার পুলিশ। পরে, মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঘটনার পর হামলাকারী গাড়িটি চলে যায়। ঘাতক গাড়ির খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।

    কী বললেন মৃতের আত্মীয়?

    মৃতের এক আত্মীয় বলেন, হাসিমুদ্দিনসাহেবের ছেলের বিয়ের জন্য প্রস্তুতি সাড়া। বাড়িতে আত্মীয়স্বজন আসতে শুরু করেছেন। বাড়িতে প্যাণ্ডেল হয়ে গিয়েছে।  ক্যাটারারদের বলা হয়ে গিয়েছিল। নিমন্ত্রণ পর্ব প্রায় শেষের দিকে। হাতেগোনা কয়েকটি বাকী ছিল। তাই এদিন বাইকে চড়ে তিনি নিমন্ত্রণ করতে বেরিয়েছিলেন। সঙ্গে একজন ছিলেন। তারমধ্যেই দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আমরা হাসপাতালে আসি। এসে দেখি, সব শেষ হয়ে গিয়েছে। এখন বাড়িতে অনুষ্ঠান কী করে হবে তা ভেবে পাচ্ছি না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের কাটমানি চাওয়ার ভিডিও ভাইরাল

    Birbhum: তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের কাটমানি চাওয়ার ভিডিও ভাইরাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমের (Birbhum) বোলপুর ব্লক ১ পাঁরুই থানার অন্তর্গত কসবা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান প্রতিমা হেমব্রমের বিরুদ্ধে ঠিকাদার সহ সাধারণ গ্রামবাসীদের কাছ থেকে বিভিন্ন কাজের জন্য মাটমানি চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আর এই নিয়ে সামজিক মাধ্যমে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ আরও তীব্র হল। 

    বীরভূমের (Birbhum) কী ঘটেছিল?

    সামজিক মাধ্যমে তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, বোলপুর ব্লক ১ পঞ্চায়েত প্রধান প্রতিমা হেমব্রম, তাঁর সামনে দাঁড়িয়ে থাকা এক ঠিকাদারের কাছ থেকে কাজের জন্য কমিশন দিতে হবে বলে দাবি করছেন। সেখানে তিনি বলছেন, সবাইকে টাকা দেওয়া হচ্ছে কিন্তু সই করার জন্য আমার প্রধানের প্রাপ্য টাকা কোথায়? প্রতিমাদেবী আরও বলেন, আমি কেন ভাগের টাকা পাবো না? তিনি বলেন, বাড়ি থেকে গাড়ির তেল পুড়িয়ে এই পঞ্চায়েত অফিসে আসি, আর তাই আমার কি কোনও প্রাপ্য টাকা থাকতে পারে না? পাশে থাকা এক ব্যক্তি প্রধানকে বলেন, আপনি তো সরকারি বেতন পান! পাল্টা প্রতিমাদেবী বলেন, এই কাজে সই করার জন্য আমাকে কেউ টাকা দেয় না। সরকার অন্য কাজের জন্য আমাকে বেতন দেয়। পঞ্চায়েত প্রধান আরও বলেন, আমি ভিক্ষা চাইছি না। আমার প্রাপ্য, ভাগের টাকা না দিলে আমি কোনও কাজ করব না। ভিডিওতে ঠিকাদারের সঙ্গে একপ্রকার এই ভাবেই কথা বলতে শোনা যায়। এভাবেই ভাইরাল হওয়া ভিডিও-তে নিজের জন্য কাটমানি চাইলেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান।

    গ্রাম বাসীদের অভিযোগ 

    অপর দিকে সাধারণ গ্রামবাসীরা জানান যে বিভিন্ন সময়ে পঞ্চায়েতে বিভিন্ন পরিষেবার জন্য টাকা দাবি করে থাকেন প্রতিমাদেবী। পাশাপাশি যে কোনও ঠিকাদারকেই একটা মোটা অঙ্কের টাকা দিতে হয় বলে অভিযোগ করেন গ্রামবাসীরা। এই ঘটনায় সিপিএম-এর তরফ থেকে বলা হয়, এই সরকারের সকলেই চোর, সরকার আর বেশিদিন থাকবে না বলেই যে যতটা পারছে লুটেপুটে খাওয়ার চেষ্টা করছে। সরকারের বদল না ঘটলে তৃণমূলের নেতাদের দুর্নীতির কোনও পরিবর্তন হবে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: অভিষেকের একদিনের নিরাপত্তায় মোতায়েন ২২৪৫ পুলিশকর্মী! ট্যুইটে বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: অভিষেকের একদিনের নিরাপত্তায় মোতায়েন ২২৪৫ পুলিশকর্মী! ট্যুইটে বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি, তৃণমূলের নব জোয়ার যাত্রায় কেন রাজ্য পুলিশ নিরাপত্তা দেবে, সেই প্রশ্ন তুলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এবার শাসক দলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুরক্ষা বলয়ের বহরের তথ্য ফাঁস করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

    একজনের নিরাপত্তা ২২৪৫ পুলিশকর্মী!

    তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপত্তাতে কত পুলিশ মোতায়েন করা হয় তা নিয়ে এদিন ট্যুইটারে তীব্র কটাক্ষ করেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। এদিন মাইক্রো-ব্লগিং সাইটে তিনি লেখেন, ‘‘স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপ বা এসপিজি দেশের প্রধানমন্ত্রীকে নিরাপত্তা দেয়। দেশের যে কোনও ব্যক্তিকে দেওয়া এটাই সর্বোচ্চ স্তরের নিরাপত্তা হওয়া উচিত। তাই তো? তবে এই তথ্য ঠিক নয়।’’ এর সঙ্গেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতার সংযোজন, ‘‘এবার দেখে নিন ভাইপো প্রোটেকশন গ্রুপের বহর। শুধুমাত্র একদিনেই (আজকের দিনে) ২২৪৫ পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে একজনকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য— মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপোকে।’’ শুভেন্দুর কটাক্ষ, ‘‘বিশ্বের রাষ্ট্রপ্রধানদের জন্য করা নিরাপত্তা এর তুলনায় ফিকে হয়ে যাবে।’’ 

    সাধারণ মানুষের কী হবে? প্রশ্ন শুভেন্দুর

    বর্তমানে তৃণমূলের ‘নবজোয়ার’ কর্মসূচি নিয়ে পূর্ব মেদিনীপুরে রয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই এই নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)। বিরোধী দলনেতার মতে, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি একেবারে ভেঙে পড়েছে। গত মাসের দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাব শুধু বিস্ফোরণেই প্রচুর মানুষ মারা গিয়েছেন। অগণিত খুন (রাজনৈতিক সহ), নারীদের বিরুদ্ধে একের পর এক নির্যাতন।’’ শুভেন্দু লেখেন, ‘‘দক্ষিণবঙ্গের থানা প্রায় খালি হয়ে গিয়েছে। শুধু একজনের সুরক্ষার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। কারণ তিনি রাজনৈতিক সফরে বেরিয়েছেন। রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর সাধারণ মানুষের কথা ভাবছেই না।’’

    প্রশাসনিক নির্দেশে কী কী রয়েছে?

    এখানেই থামেননি শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। অভিষেকের সফরকালে পুলিশ কর্মী ও প্রশাসনিক আধিকারিকদের কী করতে হবে, তাও সরকারি নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, তাও উল্লেখ করেছেন বিরোধী দলনেতা। সরকারি নির্দেশিকার বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য অংশ তিনি তুলে ধরেছেন। ট্যুইটে এদিন পুলিশকে দেওয়া প্রশাসনের নির্দেশনামার ছবি পোস্ট করে লেখেন, পুলিশকে ১৪ পাতা দীর্ঘ নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। বিরোধী দলনেতা দাবি করেন, নির্দেশিকার ৯ নম্বর পাতায় উল্লেখ করা হয়েছে, ৩০ মে থেকে ২ জুন পর্যন্ত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটকে সকাল থেকে অভিষেকের সভাস্থলের কাছে থাকার জন্য। নির্দেশ দেওয়া হয় পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসকের তরফে। 

    আরও পড়ুন: ‘‘কালীঘাটের কাকু’র সহযোগীদের চিনে নিন’’! বিস্ফোরক ট্যুইট শুভেন্দুর, রয়েছে কাদের নাম?

    সাপ, ব্যাঙও যাতে কাছে না ঘেঁষতে পারে!

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) পেশ করা তথ্য অনুযায়ী, নির্দেশিকার ১০ নম্বর পাতায় বলা হয়েছে, রাতে থাকার জায়গায় কিংবা সভাস্থল কিংবা রোড শো-এর সময় যাতে সাপ, ব্যাঙ, বাঁদর কিংবা গরু কিংবা কুকুর না পৌঁছতে পারে তার জন্যও সরকারি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্য জায়গায় বলা হয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুরে জেলাশাসককে আগেই অনুরোধ করা হয়েছে, যাতে ভিআইপিকে পরিবেশন করার আগে সেইসব জায়গায় খাবার, পানীয় ও স্ন্যাক্স ফুড সেফটি অফিসার পরীক্ষা করে দেখেন।

  • Environment: পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার বার্তা নিয়ে পায়ে হেঁটে ১৩০০ কিমি!

    Environment: পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার বার্তা নিয়ে পায়ে হেঁটে ১৩০০ কিমি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের ইটাওয়া জেলার বাসিন্দা সুদেশ কুমার মানবতা, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা এবং বেকার সমস‍্যার সমাধানের দাবিতে রাজধানী দিল্লি থেকে কলকাতার দক্ষিণেশ্বর মন্দির পর্যন্ত বিশেষ পদযাত্রা (Environment) শুরু করেছেন। সম্প্রতি তিনি বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমান্ত দিয়ে কুলটির ডুবুরডিহি চেক পোস্ট হয়ে ১৯ নং জাতীয় সড়কের চৌরঙ্গী মোড়ে পৌঁছান।

    উত্তরপ্রদেশ থেকে কলকাতায় যাত্রার (Yatra) উদ্দেশ্য কী?

    এই বিশেষ যাত্রাপথে (Environment) দুর্নীতি ও অপরাধমুক্ত সমাজ গঠনের বিশেষ বার্তা থাকছে বলে জানিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে পরিবেশের ভারসাম্য যাতে বজায় থাকে, সেই বিষয়ে সচেতনতার কথাও তিনি বলছেন। দিন দিন ভূ-মণ্ডলের তাপমাত্রা কেন বৃদ্ধি পাচ্ছে, প্রকৃতিতে অক্সিজেন কেন কম পড়েছে, কার্বন-ডাই-অক্সাইড কেন বৃদ্ধি পাচ্ছে, এসব বিষয়ও তাঁর যাত্রার মধ্যে রয়েছে। কলকাতার কালী মাকে দর্শন করতেই দক্ষিণেশ্বরে যাত্রা শেষ করার উদ্দেশ্য সুদেশ কুমারের।  

    কী বার্তা দিচ্ছেন সুদেশ কুমার?

    যাত্রাপথে (Environment) সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৩০০ কিমি সফর করে ফেলেছেন। বিগত দুমাস ধরে তাঁর এই বিশেষ যাত্রা চলছে। তবে চলার পথে তাঁর বেশ সমস‍্যা হচ্ছে। জাতীয় পতাকাকে হাতে নিয়ে সূর্যাস্তের পরই যাত্রা করছেন তিনি। বাকি সময় তিনি বিশ্রাম নিচ্ছেন। যাত্রায় জাতীয় পতাকাকে হাতে নিয়েই তিনি এগিয়ে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন। পেশায় তিনি একজন দিনমজুর। এর আগে তিনি উত্তরপ্রদেশের নিজের বাড়ি থেকে সাইকেলে করে দিল্লি পর্যন্ত যাত্রা করেছিলেন। তাঁর এই জাতীয় পতাকা হাতে পদযাত্রা দেশ, সমাজ তথা পৃথিবীর ভারসাম্য রক্ষায় বেশ অভিনব বলেই অনেকে মনে করছেন। তাই যাত্রাপথে অনেকেরই নজর কেড়েছেন তিনি। পেশায় দিনমজুর হলেও তাঁর এই প্রচেষ্টাকে ব্যতিক্রমী হিসাবেও অনেকে দেখছেন। আপাতত কলকাতায় তাঁর এই যাত্রা শেষ হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: কনভয় আটকে অভিষেকের কাছে নালিশ! সাসপেন্ড বুথ সভাপতি, শো-কজ দুই নেতাকে

    Abhishek Banerjee: কনভয় আটকে অভিষেকের কাছে নালিশ! সাসপেন্ড বুথ সভাপতি, শো-কজ দুই নেতাকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবজোয়ার কর্মসূচিতে গিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) সব সময় বলে থাকেন, বুথের কর্মীরাই আমাদের সম্পদ। তাঁদের গুরুত্ব দিতে হবে সবার আগে। অভিষেকের এসব কথা টিভির পর্দায় শুনে মোহিত হয়ে গিয়েছিলেন ঘাটালের মূলগ্রামের তৃণমূলের বুথ সভাপতি শেখ সোলেমান আলি। দলে গুরুত্ব না পাওয়া প্রাক্তন বিধায়ক শঙ্কর দোলুইয়ের অনুগামী হিসাবে পরিচিত সোলেমান আশা করেছিলেন, কোনওভাবে অভিষেকের কাছে গিয়ে নিজের কষ্টের কথা বলতে পারলে বিহিত একটা হবেই। সেই মতো অভিষেকের কনভয় আটকে দল করতে না পারার কষ্টের কথা বলতে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, গাড়ি থামিয়ে অভিষেক (Abhishek Banerjee) সকলের সামনে যেভাবে তাঁকে অপমান করেছেন, তা মনে করলে তিনি আঁতকে উঠছেন। যদিও অভিষেকের কনভয় চলে যাওয়ার পর পরই ব্লক নেতৃত্ব আর সময় নেয়নি। তাঁকে দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়। একইসঙ্গে তাঁর সঙ্গে আরও দুই তৃণমূল নেতাকে শো-কজ করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল?

    ২৮ মে রাত সাড়ে নটা নাগাদ ঘাটালের বীরসিংহ থেকে অভিষেকের (Abhishek Banerjee) কনভয় ঘাটালেরই বিদ্যাসাগর হাই স্কুল মাঠের তাঁবুতে যাচ্ছিল। জলসরায় চন্দ্রকোণা-ঘাটাল রাজ্য সড়কে অভিষেকের কনভয়ের সামনে ঝাঁপ দিয়ে তা আটকানোর চেষ্টা করা হয়। এমনকী কনভয়ের সামনে শুয়ে পড়ে ঘাটাল ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি দিলীপ মাঝির বিরুদ্ধে স্লোগান তুলে তাঁকে সরানোর দাবি তোলেন দলেরই তিন নেতা। দিলীপ মাঝি পদে থাকলে দল ডুববে, তাঁকে সরিয়ে প্রাক্তন বিধায়ক শঙ্কর দোলুইকে দায়িত্ব দেওয়ার দাবি তোলা হয়। ঘাটালের মূলগ্রাম বুথের সভাপতি শেখ সোলেমান আলি, বীরসিংহ অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সম্পাদক শেখ আবদুল রশিদ ও ঘাটাল ব্লক তৃণমূলের আইটি সেলের কর্মী দীপঙ্কর ঘোষের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ ওঠে। তাঁদের চিত্কারে কনভয় দাঁড়িয়ে যায়। গাড়ির কাচ নামিয়ে অভিষেক তাঁদের ডাকেন। তাঁদের নাম-পরিচয় জানতে চান তিনি। পাশাপাশি তিনি জানিয়ে দেন, “প্রকৃত তৃণমূল কর্মী এইভাবে গাড়ি আটকে ক্ষোভ প্রকাশ করে না, এসব দলে চলবে না। এভাবে লবিবাজি মেনে নেওয়া হবে না।” দলের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে সোলেমান সাহেবকে সাসপেন্ড করার কথা জানিয়ে দেওয়া হয়। ২৮ মে রাতেই অভিযুক্ত বুথ সভাপতি শেখ সোলেমান আলিকে সাসপেন্ড করা হয় এবং বাকি দুজনকে শো-কজ করা হয় বলে দলীয় সূত্রে জানা যায়।

    কী বললেন সাসপেন্ড হওয়া তৃণমূল নেতা?

    সাসপেন্ড হওয়া তৃণমূল নেতা শেখ সোলেমান আলি বলেন,” সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে শুনেছি। তবে, হাতে কোনও চিঠি পাইনি। অঞ্চলের প্রধানের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। তিনি আমাকে জানিয়েছেন।” সাসপেন্ড হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমি হয়তো কিছু ভুল করেছি, তাই সাসপেন্ড করেছে। আমি ৯৮ সাল থেকে দল করি। সাসপেন্ড করেছে ঠিক আছে, কিন্তু দলকে ভোট দিতে পারবো তো! দলের ব্লক সভাপতি দিলীপ মাঝির বিরুদ্ধে আমি কিছু বলিনি। কনভয় আটকে অন্য কেউ বলতে পারে, সেই ঝড় হয়তো আমার উপর এসে পড়েছে।”

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এবিষয়ে ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি আশিস হুদাইত বলেন, “মূলগ্রামের বুথ সভাপতি শেখ সোলেমান আলি সহ কয়েকজন নেতৃত্ব ঘাটালের জলসরায় অভিষেকের (Abhishek Banerjee) কনভয় আটকানোর চেষ্টা করে কিছু কথা বলার চেষ্টা করেছিলেন। যা দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গের সমান। দলের ওইসব নেতৃত্ব দলকে কালিমালিপ্ত করার জন্য ইচ্ছা করে মনগড়া কথা বলার চেষ্টা করেছে। দলের যে স্তরে জানানোর দরকার, সেখানে না জানিয়ে একেবারে জনসমক্ষে দলের ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশ করা হয়েছে। এতে দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ হয়েছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মতো তাই তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। বাকিদেরও শো-কজ করা হয়েছে। সাতদিনের মধ্যে জবাব না দিলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • NEP: কেন্দ্রের নতুন শিক্ষানীতিকেই মান্যতা! চার বছরের ডিগ্রি কোর্স শুরু এরাজ্যেও

    NEP: কেন্দ্রের নতুন শিক্ষানীতিকেই মান্যতা! চার বছরের ডিগ্রি কোর্স শুরু এরাজ্যেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি সরকারের পাশ করা জাতীয় শিক্ষানীতিকেই (NEP) অবশেষে মান্যতা দিতে হল রাজ্যকে। কেন্দ্রের নতুন শিক্ষানীতি অনুযায়ী, চার বছরের স্নাতক প্রক্রিয়া শুরু করার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে চলেছে উচ্চ শিক্ষা দফতর।

    মান্যতা না দিলে বিপদে পড়তেন ৭ লক্ষ পড়ুয়া?

    এই মর্মে, বুধবার শিক্ষা দফতরের তরফে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকেই রাজ্যের সরকারি এবং সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে চার বছরের স্নাতক (NEP) পাঠক্রম চালু হয়ে যাবে। একই সঙ্গে কলেজগুলোতে অনলাইনের মাধ্যমে ভর্তি করা হবে বলে জানানো হয়েছে। তবে, রাজ্য যে কেন্দ্রীয় পোর্টালের মাধ্যমে এবছর ভর্তির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিল, তা আপাতত হচ্ছে না। তাই উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান অর্থাৎ কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজেরা যেভাবে অনলাইনে ভর্তি নিয়ে থাকে সেই প্রক্রিয়াতেই ভর্তি হবে বলে জানানো হয়েছে। 

    এদিন উচ্চশিক্ষা দফতরের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘‘কমিটির সুপারিশ মেনেই স্নাতক স্তরে চার বছরের পাঠক্রম (NEP) চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ ৪ বছরের ডিগ্রি কোর্স চালু না করলে আমাদের ৭ লক্ষ ছাত্রছাত্রী সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতায় অংশই নিতে পারতেন না। এক্ষেত্রে তাদের বাইরের রাজ্যে গিয়ে পড়ার প্রবণতা বেড়ে যেত। যারা আর্থিক ভাবে অস্বচ্ছল, তারা বিপদে পড়তেন। এই সমস্ত কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’

    আরও পড়ুন: আরএসএস পরিচালিত স্কুলে পড়ে আজ ইউপিএসসি-তে সফল এক ডজনেরও বেশি ছাত্র-ছাত্রী

    রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে নির্দেশ ইউজিসি-র

    বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বা ইউজিসি-র নির্দেশিকা আগেই পাঠানো হয়েছিল রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকেই নয়া নিয়ম (NEP) কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তাতে। জাতীয় শিক্ষানীতি মেনে দেশের বেশ কিছু রাজ্যে ইতিমধ্যে চার বছরের স্নাতক পাঠক্রম চালু হয়েছে। এরাজ্যের সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয় ইতিমধ্যেই জাতীয় শিক্ষানীতি মেনে চার বছরের স্নাতক পাঠক্রম চালু করেছে। প্রসঙ্গত, স্নাতক স্তরের পড়াশোনা ৩ বছর থেকে বেড়ে ৪ বছর হওয়ার পাশাপাশি, স্নাতকোত্তর স্তরের পড়াশোনা ২ বছর থেকে কমে ১ বছর করা হয়েছে নতুন শিক্ষানীতিতে। আন্ডারগ্র্যাজুয়েট স্তরে পড়াশোনায় ভোকেশনাল ট্রেনিং, স্কিল ডেভেলপমেন্ট, ইন্টার্নশিপ ইত্যাদিও যুক্ত করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: বালুরঘাটে এক গৃহবধূ গণধর্ষণের শিকার, সরব বিজেপি

    Balurghat: বালুরঘাটে এক গৃহবধূ গণধর্ষণের শিকার, সরব বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বামী প্রায়ই বাড়িতে থাকেন না। বালুরঘাটে এক (Balurghat) বস্তি বাড়িতে একাই থাকতেন এক গৃহবধূ। আর এই সুযোগ বুঝে, এলাকার তিন যুবক দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে এক মহিলাকে গণধর্ষণ করে। শুধু তাই নয়, মদ্যপ অবস্থার ওই যুবকেরা বধূকে মদ্যপান করতে বাধ্য করে। সেই মদ ঢেলে দেওয়া হয় যৌনাঙ্গেও। চলতে থাকে পাশবিক অত্যাচার। থানায় অভিযোগ দায়ের হলেও প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করল বিজেপি।

    বালুরঘাটে (Balurghat) কেমন করে ঘটল এই ঘটনা!

    তিনদিন আগের ঘটনা হলেও, ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে গতকাল। ওই গৃহবধূর বয়ান অনুযায়ী, বালুরঘাট (Balurghat) শহরের একটি বস্তি এলাকায় থাকেন তিনি। তিনি পেশায় কুলফি বিক্রেতা। কাজের জন্য স্বামী প্রায়ই বাড়িতে থাকতেন না। দিন তিনেক আগে ওই গৃহবধূ যখন একাই বাড়িতে ছিলেন, ওই সময় এলাকার তিন প্রতিবেশী যুবক তাঁর ঘরে ঢুকে তাঁকে গণধর্ষণ করে। ধর্ষণের পরও চলতে থাকে পাশবিক অত্যাচার। ওই গৃহবধূর আরও অভিযোগ, তিনি চিৎকার করলেও এলাকার কেউই তাঁকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসেনি। ধর্ষণের পর তিনি নিজেই বালুরঘাট থানার দিকে পায়ে হেটে যেতে শুরু করলে, পথে এক জায়গায় মাথা ঘুরে বসে পড়েন। এরপর সেখান থেকে খবর যায় বালুরঘাট থানায়। বালুরঘাট থানার পুলিশ এসে, ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে, বালুরঘাট সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন। এরপর তিনি সুস্থ হয়ে এই হৃদয়বিদারক ঘটনার কথা বালুরঘাট থানায় জানান।

    ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা

    ধর্ষণের তিনদিন পর তিনি বালুরঘাট (Balurghat) থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ অভিযুক্তদের চিহ্নিত করতে তল্লাশি শুরু করেছে। তদন্তে নেমে পুলিশ প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে, ওই গৃহবধূ কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন। অভিযুক্ত প্রতিবেশীদের সঙ্গে পুরোনো পারিবারিক গোলমাল রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। ফলে গণধর্ষণের অভিযোগ উদ্দেশ্য প্রণোদিত কি না, তা যেমন খতিয়ে দেখা হচ্ছে, ঠিক তেমনই ওই গৃহবধূর অভিযোগকে গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত শুরু করে দিয়েছে বালুরঘাট থানার পুলিশ।

    বিজেপি রাজ্য সভাপতির বক্তব্য

    গণধর্ষণের বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের শাসকদলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিরোধীরা। বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘শুধু বালুরঘাটেই (Balurghat) নয়, সারা রাজ্য জুড়ে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তায় অপরাধ বেড়েই চলেছে। নানা ভয়ানক ঘটনা একেবারে আড়াল করে ফেলা হচ্ছে, কোনও কেসই হয়না। সেগুলির রেকর্ড রাখা হয়না।’ তিনি আরও বলেন, রাজ্যের শাসক দলের নির্দেশে এমন সুন্দর করে পুলিশ রেকর্ড তৈরি করে যে সেরার পুরস্কার পেয়ে যায় থানাগুলি। এই প্রসঙ্গে দক্ষিণ দিনাজপুর পুলিশ সুপার রাহুল দে জানিয়েছেন, ঘটনার অভিযোগ পেয়েই মামলা শুরু করা হয়েছে এবং বর্তমানে তদন্ত চলছে। গণধর্ষণের পিছনের দোষীরা কবে ধরা পরবে, তাই এখন দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Tobacco: তামাক ছাড়লে ক্যানসারের ঝুঁকি কমবে ৪০ শতাংশ! জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা

    Tobacco: তামাক ছাড়লে ক্যানসারের ঝুঁকি কমবে ৪০ শতাংশ! জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার থাকুক ডায়েটে! তামাকজাত (Tobacco) যে কোনও পদার্থকেই বাদ দিতে হবে ফি-দিনের তালিকা থেকে! ৩১ মে ওয়ার্ল্ড নো টোবাকো ডে-তে একথাই প্রচার করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তামাক বা তামাকজাত যে কোনও ধরনের পণ্য যেমন বিড়ি, সিগারেট, পানমশলা বা গুটখার মতো পণ্য বাড়াচ্ছে স্বাস্থ্যের ঝুঁকি। তাই সুস্থ জীবনের জন্য তামাককে সম্পূর্ণ বর্জন করার পরামর্শ দিচ্ছে চিকিৎসক মহল।

    কী ঝুঁকি বাড়ছে তামাকের (Tobacco) জন্য? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, তামাক ক্যানসারের ঝুঁকি ৪০ শতাংশ বাড়িয়ে দেয়। ফুসফুস, গলা, মুখ, পেটে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায় তামাক। নিয়মিত তামাক সেবন করলে মুখ ও গলা ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাছাড়া তামাক সেবন হার্টের জন্যও ক্ষতিকারক। নিয়মিত তামাক (Tobacco) সেবন করলে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও কয়েক গুণ বেড়ে যায়। তাছাড়া ফুসফুসের নানা সংক্রমক রোগ ও বক্ষঃরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। তামাক সেবনের অভ্যাস থাকলে শ্বাসকষ্টের ঝুঁকিও বাড়তে পারে। তামাক সেবনের অভ্যাস দেহের একাধিক অঙ্গের উপর কুপ্রভাব ফেলে। তাই তামাক সুস্থ জীবনযাপনের পরিপন্থী। ওয়ার্ল্ড নো টোবাকো ডে-তে এমনটাই জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। 

    এ রাজ্যে তামাক (Tobacco) সেবনের হার কেমন? 

    গ্লোবাল অ্যাডাল্ট টোবাকো সার্ভের সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশজুড়ে তামাক (Tobacco) বর্জন নিয়ে সচেতনতা জরুরি। তবে, পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি বেশ উদ্বেগজনক। কারণ, ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, গোটা দেশের তুলনায় এ রাজ্যে তামাকজাত দ্রব্য, বিশেষত সিগারেটে অভ্যস্তের সংখ্যা অনেক বেশি। যা বেশ উদ্বেগের কারণ বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে মোট তামাকজাত দ্রব্যে অভ্যস্ত ব্যক্তির সংখ্যা ৩৩.৫ শতাংশ। এর মধ্যে সিগারেটে অভ্যস্ত ৫.২ শতাংশ। নিয়মিত বিড়িতে অভ্যস্ত ১৪.৪ শতাংশ। আর ধোঁয়াবিহীন তামাক অর্থাৎ, পানমশলা, গুটখা জাতীয় তামাক সেবনে অভ্যস্ত ২০.১ শতাংশ। অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, দিল্লি, চণ্ডীগড়ের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গের এই পরিসংখ্যান যথেষ্ট উদ্বেগজনক। কারণ, অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় তামাক নিয়ে অসচেতনতা এ রাজ্যের পরিস্থিতি আরও বিপজ্জনক করে তুলছে।

    কী পরামর্শ দিচ্ছে চিকিৎসক মহল? 

    তামাক বাড়াচ্ছে স্বাস্থ্যের ঝুঁকি। তাই প্রথম থেকেই সে দিকে বাড়তি খেয়াল রাখতে হবে। এ প্রসঙ্গে ক্যানসার-শল্য চিকিৎসক গৌতম মুখোপাধ্যায় বলেন, “ক্যানসার আক্রান্তের সংখ্যা প্রতি বছর বাড়ছে। তামাক ক্যানসারের অন্যতম কারণ। তামাক (Tobacco) বর্জন করতে না পারলে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়বে। তাই প্রথম থেকেই এ নিয়ে সতর্ক হতে হবে। কিশোর কাল থেকেই যদি সচেতনতা থাকে, তাহলে এ অভ্যাস তৈরি হবে না। তাই স্কুলপর্ব থেকেই পড়ুয়াদের এ নিয়ে সচেতন করা জরুরি। স্কুলপর্ব থেকে প্রয়োজন কর্মশালা। যাতে তারা এ বিষয়ে সজাগ থাকে। কম বয়সীদের মধ্যে বন্ধুদের অভ্যাস, জীবনযাপন সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে। তাই তাদের সতর্ক করতে পারলে কাজ অনেকটাই সহজ হবে।” আরেক ক্যানসার চিকিৎসক তাপস দাস বলেন, “সরকারি-বেসরকারি সব মহলেই সচেতনতা জরুরি। তামাক বর্জন একদিনের জন্য নয়। সারা বছর এ নিয়ে সব মহলে সক্রিয়তা দরকার। বিশেষত পার্ক, রাস্তা, মেলা, বাস স্টপ এসব জায়গায় তামাক সেবন করলে যাতে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়, সেদিকে নজর দেওয়া জরুরি। ” 
    বিশেষজ্ঞ মহল জানাচ্ছে, একদিকে আইনি পদক্ষেপ, আরেক দিকে সচেতনতা বদলে দিতে পারে রাজ্যের ছবি। স্কুলপর্ব থেকে সচেতনতা তরুণ প্রজন্মের মধ্যে তামাক সচেতনতা গড়ে তুলবে। আবার প্রাপ্তবয়স্ক কেউ তামাকে অভ্যস্ত থাকলে, তাঁরাও সজাগ হবেন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের সাহায্য নিয়ে এই নেশা থেকে মুক্তি সম্ভব। পাশপাশি কড়া আইন থাকলে রাস্তাঘাটে, পার্কে বা প্রকাশ্য কোনও জায়গায় তামাক সেবন করা যাবে না। যা সার্বিকভাবে রাজ্যের ধূমপানের ছবি বদলে দেবে। তবে, এসবের জন্য প্রয়োজন সরকারের সক্রিয়তা ও সদিচ্ছা। যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Lakshman Seth: ৭৭ বছর বয়সে বিয়ে করলেন লক্ষ্মণ শেঠ, পাত্রী ৪১ বছরের মানসী!

    Lakshman Seth: ৭৭ বছর বয়সে বিয়ে করলেন লক্ষ্মণ শেঠ, পাত্রী ৪১ বছরের মানসী!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈশাখীর প্রেম কাহিনী এক সময় রাজ্যজুড়ে চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল। বয়স যে সংখ্যা মাত্র, শোভন-বৈশাখী জুটি তা প্রমাণ করে দিয়েছিল। তাঁদের প্রেম কাহিনী নিয়ে নেট দুনিয়া তোলপাড় হয়েছিল। হালফিল বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা আশিস বিদ্যার্থী ৬১ বছর বয়সে দ্বিতীয়বার বিয়ে করে নতুন জীবন শুরু করলেন। তাঁর বিয়ে নিয়েও নেট দুনিয়ায় ব্যাপক চর্চা হয়েছে। এবার বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন ৭৭ বছরের প্রাক্তন সাংসদ লক্ষ্মণ শেঠ (Lakshman Seth)। জীবন সায়াহ্নে এসে তাঁর এই দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করা নিয়ে শুধু পূর্ব মেদিনীপুর নয়, গোটা রাজ্যজুড়েই জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    পাত্রী কে?

    ২০১৬ সালে লক্ষ্মণ শেঠের (Lakshman Seth) প্রথম স্ত্রী তমালিকা পন্ডা শেঠের মৃত্যু হয়। পাশাপাশি রাজনৈতিক জীবনেও অনেক টানাপোড়েন চলে তাঁর। একাকিত্বে কাটছিল তাঁর জীবন। ৭৭ বছর বয়সে এসে একাকিত্ব দূর করতে আবার নতুন করে কাউকে পাশে পেতে চাইলেন তিনি। কোনও এক বন্ধুর মাধ্যমে পরিচয় হয় কলকাতার মেয়ে মানসী দে নামে ৪১ বছরের এক মহিলার সঙ্গে। তিনি বহুজাতিক হোটেল সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্তা। তাঁরও আগে বিয়ে হয়েছিল। তবে, তাঁর স্বামী আর বেঁচে নেই। তাঁর একটি সন্তান রয়েছে। সে একাদশ শ্রেণীতে পড়ে। মানসীর সঙ্গে আলাপ হওয়ার পর তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক আরও গভীর হয়। পরে, তাঁরা দুজনে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন। সম্প্রতি তাঁদের এনগেজমেন্ট হয়েছে। এখন শুধু সাতপাকে বাঁধা পড়ার অপেক্ষা। সম্ভাব্য ২৮ জুন চার হাত এক হতে চলেছে। কলকাতায় বিয়ের অনুষ্ঠান হওয়ার কথা রয়েছে। তবে, হলদিয়া একসময় প্রাক্তন সাংসদের খাসতালুক ছিল। তাই, সেখানে একটি অনুষ্ঠান হওয়ার কথা রয়েছে।

    ২০০৭ সালে নন্দীগ্রামের ঘটনার পর সিপিএম থেকে বহিষ্কৃত হন লক্ষ্মণ শেঠ (Lakshman Seth)। নিজে প্রথমে দল গঠন করেন। পরে, তিনি বিজেপিতে যোগদান করেন। সেখানেও দলের সঙ্গে দুরত্ব তৈরি হয় তাঁর। দীর্ঘ কয়েক বছর এভাবেই কেটে যায়। তারপর রাজনীতির দ্বিতীয় ইনিংস শুরু হয় কংগ্রেসে যোগ দিয়ে। এখন তিনি রাজ্য প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সহ সভাপতি। ৭৭ বছর বয়সে এসে ব্যক্তিগত জীবনের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন তিনি। তাঁদের নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে নেট দুনিয়ায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: ‘‘কাকু-জেঠুর পর এবার হয়তো পিসি-ভাইপোর সময় আসছে’’! খোঁচা দিলীপ ঘোষের

    Dilip Ghosh: ‘‘কাকু-জেঠুর পর এবার হয়তো পিসি-ভাইপোর সময় আসছে’’! খোঁচা দিলীপ ঘোষের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে মঙ্গলবার রাতে ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে ইডি গ্রেফতার করার পর থেকে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছে বিজেপি। একদিকে যেমন ট্যুইটে বোমা ফাটিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী, তেমনই রাজ্যের শাসক দলকে খোঁচা দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ।

    ঠিক কী বলেছেন দিলীপ?

    বুধবার ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিজেপি সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি। সেখানেই তিনি ‘কালীঘাটের কাকু’-র গ্রেফতারির প্রসঙ্গ টেনে নাম না করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেন। দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘কাকু হল, জেঠু হল। এবার হয়তো পিসির সময় আসছে। ভাইপোও আছে।’’ সঙ্গে সংযোজন করেন, ‘‘কান টানলে মাথা আসে। কান টানাটানি শেষ। এবার হয়তো মাথা আসবে।’’ বিজেপি সাংসদের দাবি, ‘‘অনেক দিন ধরে খেলিয়ে এবার মাছ তুলছে সিবিআই।’’

    আরও পড়ুন: ‘‘কালীঘাটের কাকু’র সহযোগীদের চিনে নিন’’! বিস্ফোরক ট্যুইট শুভেন্দুর, রয়েছে কাদের নাম?

    ‘‘যারা ধরা পড়ছে তারা হ্যান্ডলার’’!

    প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়েও মুখ খোলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, ‘‘পার্থ মন্ত্রী ছিলেন। নিজের মতো একটা চ্যানেল তৈরি করেছিলেন। সেখানে কিছু লোক ছিল। পার্থর সঙ্গে দলের তেমন সম্পর্ক ছিল না।’’ দিলীপের মতে, এখন যারা ধরা পড়ছে, তারা সকলে হ্যান্ডলার। তিনি বলেন, ‘‘কিন্তু এখন যারা ধরা পড়ছে, তারা হচ্ছে ডাইরেক্ট পার্টির লোক। এখন যারা ধরা পরেছে, তারাই আসল কিংপিন। এরা হ্যান্ডলার। এরাই লোক টেনে আনত। এরাই টাকা তুলত। টাকা বিনিয়োগ করত। টাকা পৌছে দিত। তথ্য খোঁজা হচ্ছিল। সেই তথ্য সিবিআই ইডির হাতে এসেছে। আমার মনে হয় এবার রাস্তা পুরোপুরি খুলে যাবে।’’

    গ্রেফতার ‘কালীঘাটের কাকু’

    এখানে বলে দেওয়া প্রয়োজন, মঙ্গলবার শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ‘কালীঘাটের কাকু’র ভূমিকা জানতে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করেছিল ইডি। সকাল ১১টা নাগাদ তিনি সেখানে পৌঁছে যান। তারপর থেকেই সুজয়কৃষ্ণকে জেরা চালাতে থাকে কেন্দ্রীয় এজেন্সির গোয়েন্দারা। দীর্ঘ ১২ ঘণ্টা ধরে ম্যারাথন জেরার পর অবশেষে তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি। আজ, বুধবার তাঁকে আদালতে পেশ করা হবে। তাঁর হেফাজত চাইতে পারে ইডি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share