Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • India Bangladesh Border: বাংলাদেশ যাওয়ার নতুন একটি রুট চালু হতে চলেছে, কোথায় জানেন?

    India Bangladesh Border: বাংলাদেশ যাওয়ার নতুন একটি রুট চালু হতে চলেছে, কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুই দেশের বন্ধুত্বের সম্পর্কের আরও এক ঐতিহাসিক স্বীকৃতি ও আন্তর্জাতিক মর্যাদা লাভ করতে চলেছে ভারত-বাংলাদেশের নতুন যোগাযোগ স্থাপনের মধ্য দিয়ে। খুব শিগগিরই চালু করা হবে ভারত- বাংলাদেশ সীমান্তে (India Bangladesh Border) হৃদয়পুর চেকপোস্ট। প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ প্রায় সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি এই চেকপোস্টে যাতায়াতের মধ্য দিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক আরও নিবিড় হয়ে উঠবে।

    কী বললেন বাংলাদেশের হাই কমিশনার?

    সম্প্রতি, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে (India Bangladesh Border)  নদীয়ার হৃদয়পুর চেকপোস্ট পরিদর্শনে এসেছিলেন বাংলাদেশের হাইকমিশনার আন্দালিপ ইলিয়াস। নদীয়ার চাপড়া ব্লকের হৃদয়পুর সীমান্ত এলাকা ঘুরে দেখেন তিনি। তিনি বলেন, “এদেশ থেকে আমাদের দেশে যাতায়াত করার রাস্তা খুব শীঘ্রই চালু হবে। এই যোগাযোগ সড়ক স্থাপনের মধ্য দিয়ে ঐতিহাসিক ইস্যুকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে। দুই দেশের মধ্যে অসম্ভব ভালো যে বন্ধুত্ব রয়েছে তা আরও একবার আন্তর্জাতিক মর্যাদা পাবে। এই চেকপোস্ট চালু হয়ে গেলে নদীয়ার কৃষ্ণনগর এবং বাংলাদেশের মুজিবনগরের মানুষের যাতায়াতের সুবিধা হবে। ভারত -বাংলাদেশের মধ্যে যাতায়াতের জন্য  এই চেকপোস্ট বড় ভূমিকা নেবে।” এতদিন এই সব এলাকার মানুষদের অনেক ঘুরে সীমান্ত পার হতে হত। এখন বাড়ির কাছেই চেকপোস্ট গড়ে ওঠায় দুই দেশের হাজার হাজার মানুষের যাতায়াত আরও সুগম হবে। তিনি আরও বলেন, ” ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ বিপুল পরিমাণ সহায়তা পেয়েছে ভারত সরকারের কাছ থেকে। এটাই একটি তার স্মারক। তাই এই রাস্তাটির নাম দেওয়া হয়েছে স্বাধীনতা সড়ক। বাঙালির হৃদয়ে যে আবেগ রয়েছে, এই রাস্তাটি যখন তৈরি হয়ে যাবে বা চালু হয়ে যাবে তখন আমরা সেই আবেগকে বাস্তবে রূপ দিতে পারব। এই রাস্তার মধ্যে দিয়ে দুই দেশের বন্ধুত্ব আরও গভীর হবে। তবে, এই রাস্তা দিয়ে পন্য পরিবহণ করা সম্ভব নয়। কারণ, রাস্তার পরিকাঠামো এখনও তৈরি হয়নি। আশা করি, আগামীদিনে তা হয়ে যাবে”।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘‘মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ব্যর্থ’’! তৃণমূলের ১২ বছর পূর্তিতে মমতাকে আক্রমণ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘‘মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ব্যর্থ’’! তৃণমূলের ১২ বছর পূর্তিতে মমতাকে আক্রমণ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  ‘‘মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ব্যর্থ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়’’! তৃণমূলের ১২ বছর পূর্তিতে ট্যুইটে মমতাকে এভাবেই খোঁচা দিলেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। প্রসঙ্গত, শনিবারই তৃণমূল সরকার ১২ বছর পূর্ণ করল। ২০১১ সালের ২০ মে মুখ্যমন্ত্রী হিসেব প্রথমবার শপথ নেন মমতা। অন্যদিকে, শুক্রবার গোসাবার একটি জনসভা থেকেও মমতা সরকারকে একহাত নেন বালুরঘাটের সাংসদ। সুকান্তর দাবি, পিসি ভাইপো একসঙ্গে জেলে যাবে, ঠিক অনুব্রত-সুকন্যার মতো।

    তৃণমূল সরকারের ১২ বছর পূর্তি উপলক্ষেও খোঁচা বিজেপির রাজ্য সভাপতির

    প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ২০ মে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে প্রথমবারের জন্য শপথ নিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তা নিয়ে শনিবার সকালে ট্যুইট করেন মুখ্যমন্ত্রী। পাল্টা ট্যুইটে মুখ্যমন্ত্রীকে এক হাত নেন বালুরঘাটে সাংসদ। সুকান্ত (Sukanta Majumdar) লেখেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যর্থ। বাংলার সব মানুষ জেনে গিয়েছে, গত ১২ বছর ধরে আপনি এবং আপনার দলের সমস্ত সম্পদ দুর্নীতি শিখরে পৌঁছেছেন। বাংলার সমস্ত জায়গায় লাগামহীন হিংসা চলছে।’’

    এদিন মমতার ট্যুইট করা অংশের স্ক্রিনশট তিনি পোস্ট করেন। তাতে লেখেন, ‘‘জনতার আদালত আপনার বিচার হবে বাংলার মানুষ সবকিছু দেখছে।’’

    অভিষেক প্রসঙ্গে….

    অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিবিআই দফতরে হাজিরা নিয়ে সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) কটাক্ষ, ‘‘ভাইপোর পথে পথে পিসিও যাবে, যেমন অনুব্রত মণ্ডল ও তার মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল জেলে রয়েছেন। ঠিক সেভাবে পিসি-ভাইপোও জেলে থাকবে।’’ অভিষেক প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন,  ‘‘ইডি-সিবিআই একের পর এক ডাকছে তাঁকে। আর সেখান থেকে বাঁচতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। কিন্তু কোন লাভ হবে না। সুপ্রিম কোর্টে গিয়েও তিনি বাঁচতে পারবেন না।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: অভিষেকের জেলা সফরের পরই জামুড়িয়াতে তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ

    Abhishek Banerjee: অভিষেকের জেলা সফরের পরই জামুড়িয়াতে তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) এর জেলা সফরের শেষেই পশ্চিম বর্ধমানের জামুড়িয়াতে তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সুব্রত অধিকারীকে মারধরের অভিযোগ উঠল তাঁর দলের কর্মীদের বিরুদ্ধেই।

    অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) যাবার পরে কেন মারধর ?

    গত শুক্রবার সন্ধ্যায়, তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সুব্রত অধিকারী নিজের অফিসে যখন ছিলেন, সে সময় দলেরই অন্য কর্মীরা এসে তাঁকে মারধর করে বলে অভিযোগ। ব্লকের কমিটিতে সেইসব কর্মীদের নাম না থাকায় মারধরের অভিযোগ। অপরদিকে মারধরের ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছেন জামুড়িয়ার বিধায়ক হরেরাম সিং। দলের মধ্যে এই মারধরের ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়।

    ব্লক সভাপতির  অভিযোগ

    ব্লক সভাপতি বলেন, সন্ধ্যায় পার্টি অফিসে একটা বিশেষ বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। আমার কয়েকজন কর্মী আমাকে ফোন করে আসার জন্য। আর তাই আমি আমার কাজ শেষ করে দ্রুত পার্টি অফিসে চলে আসি। সেই সময় অফিসে প্রায় ১০০ জন মানুষ উপস্থিত ছিল। আমি চেয়ারে বসতেই কিছু কথাবার্তা না বলে আচমকা তৃণমূলের কিছু কর্মী এবং সমাজ বিরোধী আমাকে প্রথমেই মারার হুমকি দেয়। এরপর আমার ড্রাইভারকে মারধর করে। আমাকেও ঘুষি দিয়ে আঘাত করে। এই সমাজ বিরোধীদের নামে পুলিশের কাছে আগেও কিছু অভিযোগ রয়েছে বলে জানান ব্লক সভাপতি। তিনি আরও বলেন, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয় তাঁকে। সেই সঙ্গে আমার কিছু কর্মীদেরও মারধর করে আহত করে। মারধরের কারণ জানতে চাইলে ব্লক সভাপতি বলেন, ব্লকের নতুন কমিটিতে নাকি কিছু বিজেপি কর্মী ঢুকেছে! উনি আরও বলেন আমার জানা মতে আমি কোন বিজেপি কর্মীকে দলের ব্লক কমেটিতে চিনি না। এই মারধরের ঘটনায় তৃণমূলের দিলদার এবং চঞ্চলের নাম তুলে ধরেন। তৃণমূলের দলকে বদনাম এবং আমাকে অপদস্থ করতে এই ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন ব্লক সভাপতি। পুরো ঘটনার বিবরণ দিয়ে তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্বের কাছে বিশেষ অভিযোগ জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

    জামুড়িয়ার বিধায়কের বক্তব্য

    তৃণমূল বিধায়ক হরেরাম সিং বলেন, পার্টি অফিসে এই গোলমালের ঘটনা একদম ঠিক হয়নি। এখানে কোন বিজেপি নেই, যারা আছেন সবাই তৃণমূলেরই লোক। সংগঠনের জন্য এই আচরণ ঠিক নয়। তিনি আরও বলেন, আমি দলকে জানাবো, দল প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। প্রশাসনও উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে আশা রাখি। সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন, তাই এই গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব কতটা রাজনৈতিক সংঘর্ষ নেয়, তাই এখন দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: নিজাম প্যালেসে অভিষেক! চলছে জিজ্ঞাসাবাদ, কী কী প্রশ্ন করতে পারে সিবিআই?

    Abhishek Banerjee: নিজাম প্যালেসে অভিষেক! চলছে জিজ্ঞাসাবাদ, কী কী প্রশ্ন করতে পারে সিবিআই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই। গতকাল, এই মামলায় অভিষেককে সমন পাঠায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এর পরই, বাঁকুড়ায় জনজোয়ার যাত্রা মাঝ পথে ছেড়ে রাতে কলকাতায় ফেরেন তিনি। এদিন সকাল ১১টায় তাঁকে হাজির হতে বলা হয়েছিল। সময়ের কিছু আগে তিনি পৌঁছে যান নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে।

    পাঁচ পাতার প্রশ্নমালা!

    সিবিআই সূত্রের খবর, অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে ১০ জন আধিকারিককে নির্বাচিত করেছে সিবিআই। তাঁরাই অভিষেককে দফায় দফায় জেরা করে চলেছেন বলে খবর। জানা যাচ্ছে, অভিষেকের (Abhishek Banerjee) জন্য পাঁচ পাতার প্রশ্নমালা তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। মূলত, এই মামলায় ধৃত কুন্তল ঘোষ, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়, তাপস মণ্ডলের থেকে পাওয়া বয়ানের ভিত্তিতেই প্রশ্ন করা হবে বলে সূত্রের খবর।

    আরও পড়ুন: সকাল ১১টায় সিবিআই দফতরে হাজিরা অভিষেকের! দূর্গে পরিণত নিজাম প্যালেস

    চিঠিতে সমনের জবাব

    এদিকে, নিজাম প্যালেসে হাজিরা দেওয়ার আগে সিবিআইয়ের নোটিশের জবাব দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। চিঠিতে অভিষেক লেখেন, ‘‘১৯ তারিখ দুপুরে চিঠি পাঠানো হয়েছে, ২০ তারিখ সকাল ১১টায় হাজিরা দিতে বলে। একদিনও সময় দেওয়া হয়নি।’’ তাঁর আরও দাবি, নোটিশ পেয়ে তিনি স্তম্ভিত। বলেছেন, ‘‘আপনারা (সিবিআই) আগেই জানতেন, আমি রাজ্যজুড়ে ২ মাসের জনসংযোগ যাত্রায় বেরিয়েছি। এই নোটিস পেয়ে আমি স্তম্ভিত। তবু তদন্তে সহযোগিতার স্বার্থে আমি হাজিরা দেব।’’

    সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের

    পাশাপাশি, তিনি যে হাইকোর্টের নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছেন, তাও সিবিআইকে জানিয়েছেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)। তৃণমূলের ‘সেকেন্ড-ইন-কমান্ড’ জানিয়েছেন, তিনি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই সুপ্রিম কোর্টে স্পেশাল লিভ পিটিশন দায়ের করেছেন। জানা গিয়েছে জরুরি শুনানির আর্জি জানিয়ে এই মামলাটি আগামী সোমবার সুপ্রিম কোর্টে উঠবে৷ যেহেতু সুপ্রিম কোর্টে গ্রীষ্মকালীন ছুটি শুরু হয়ে গিয়েছে, সেই কারণেই স্পেশ্যাল লিভ পিটিশন দায়ের করেছেন অভিষেক৷

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: “সহ্যের একটা সীমা আছে”! কেন বললেন তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর?

    TMC: “সহ্যের একটা সীমা আছে”! কেন বললেন তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলীয় সভায় মাইক হাতে বক্তব্য রাখছেন মুর্শিদাবাদ জেলার ভরতপুরের তৃণমূল (TMC) বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। ভরতপুর-১ ব্লকেই সভার আয়োজন করা হয়েছে। বিধায়কের বক্তব্যে কোনও বিরোধী রাজনৈতিক দল বা দলের নেতার নাম নেই। দলেরই ভরতপুর-১ ব্লকের সভাপতি নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে তিনি কার্যত ক্ষোভ উগরে দিলেন। সভায় যতক্ষণ তিনি বক্তব্য রাখেন তাঁর আক্রমণের কেন্দ্রবিন্দুই ছিলেন দলের ব্লক সভাপতি। আর এই ঘটনায় তৃণমূলের (TMC) কোন্দল আরও একবার প্রকাশ্যে চলে এল।

    কী বললেন ভরতপুরের তৃণমূল (TMC) বিধায়ক?

    তৃণমূলের (TMC) ভরতপুর-১ ব্লকের সভাপতির সঙ্গে বিধায়কের বহুদিন ধরেই দ্বন্দ্ব লেগেই রয়েছে। ব্লক সভাপতি নজরুলসাহেব দলের বিধায়ককে পাত্তাই দেন না। এমনকী মিটিং, মিছিলে পর্যন্ত বিধায়ককে ডাকা হয় না বলে অভিযোগ। এনিয়ে দলের ব্লক সভাপতির ওপর বিধায়ক চরম রুষ্ট। শুক্রবার ভরতপুরে বিধায়কের উদ্যোগে সভা করা হয়। সেই সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে সেই ব্লক সভাপতির প্রসঙ্গই বারে বারে উঠে আসে। ব্লক সভাপতিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বিধায়ক বলেন, “তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে পঞ্চায়েতে ৫০ শতাংশ স্বচ্ছ প্রার্থীর নাম নিয়ে আসবো। তাঁদের সকলকে পঞ্চায়েতে দাঁড় করিয়ে জিতিয়ে আনব। আমার প্রার্থীদের জন্য ওদের (পড়ুন ব্লক সভাপতি) প্রচারে আসতে হবে না। আমরাও ওদের প্রচারে যাব না। কে কত প্রার্থী জিতিয়ে আনতে পারে তা দেখব। তিনি আরও বলেন, শনিবার ব্লক সভাপতির নেতৃত্বে এলাকায় মিছিল করা হবে বলে জানতে পেরেছি। আমরাও ব্লক সভাপতির মিছিলের পর পাল্টা মিছিল করব। মিছিলে কার কত কর্মী-সমর্থক রয়েছে তা প্রমাণ হয়ে যাবে”। এরপর তিনি ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে বলেন, “সহ্যের একটা সীমা আছে, সেই সীমা লঙ্ঘন করলে হুমায়ুন  কাউকে ছেড়ে কথা বলে না”।

    আরও পড়ুন: এক মিনিটের ছোট ভাইয়ের থেকে মাধ্যমিকে ২ নম্বর বেশি পেয়ে জেলায় সম্ভাব্য প্রথম অরুনাভ

    কী বললেন তৃণমূলের (TMC)  ব্লক সভাপতি?

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার দুপুরে ব্লক সভাপতি এবং বিধায়কের মিছিল হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, জেলা নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে তা বাতিল করা হয়েছে। বিধায়কের প্রসঙ্গে ভরতপুর-১ ব্লক তৃণমূলের (TMC) সভাপতি  নজরুল ইসলাম বলেন, “বিধায়ক নিজের মতো করে চলছেন। ৫০ শতাংশ প্রার্থী দাঁড় করিয়ে ভোটে জেতানোর কথা সবটাই বিধায়কের। আমাদের নয়। শুক্রবার আমাদের বাদ দিয়ে তিনি মিটিং করেছেন। আমরা এসব করিনি। আমরা সবসময় জোটবদ্ধভাবে কাজ করতে চাই। সেটা তিনি করেন না”।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Primary Teacher Recruitment: ৩,৯২৯ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে হাইকোর্টের নির্দেশে স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের

    Primary Teacher Recruitment: ৩,৯২৯ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে হাইকোর্টের নির্দেশে স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justic Abhijit Ganguly) ৩,৯২৯ প্রাথমিক শিক্ষক (Primary Teacher) পদে চাকরি দেওয়ার নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। শুক্রবার এই স্থগিতাদেশ দিয়েছে বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু এবং বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়ার ডিভিশন বেঞ্চ। ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, আগামী ৫ জুলাই পর্যন্ত বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ থাকবে। ওই দিনই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।

    কেন এই নিয়োগ?

    আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালের টেট-এর ভিত্তিতে ২০১৬ এবং ২০২০ সালে দু’টি নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। ২০২০ সালের নিয়োগে ১৬,৫০০ পদে নিয়োগের কথা জানায় রাজ্য সরকার তথা পর্ষদ। কিন্তু, পরবর্তীকালে সব পদ পূরণ করা হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের শুনানিতে এই তথ্য উঠে আসে। জানা যায় যে, ১৬,৫০০ শূন্যপদের মধ্যে সেই সময় সাড়ে ১২ হাজার পদে নিয়োগ করা হয়েছিল। অর্থাৎ, ৩,৯২৯ পদে নিয়োগ করা হয়নি। 

    কী রায় দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়?

    যার প্রেক্ষিতে গত ৮ নভেম্বর বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ ছিল, এই শূন্যপদের অধিকার ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদের। তাই তাঁদেরই নিয়োগ করতে হবে। পরে টেটে প্রশ্ন ভুলের দরুণ মামলাকারীদের চাকরি দিতে নির্দেশ দেন তিনি। পরে ১১ নভেম্বর বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশই বহাল রাখে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ।কিন্তু এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ এবং ২০১৭ সালের টেট উর্ত্তীর্ণদের একাংশ।

    আরও পড়ুন: সকাল ১১টায় সিবিআই দফতরে হাজিরা অভিষেকের! দূর্গে পরিণত নিজাম প্যালেস

    কেন এই স্থগিতাদেশ?

    ২০১৭-য় টেট উত্তীর্ণদের প্রশ্ন, কেবল ২০১৪-র উত্তীর্ণরা কেন সুযোগ পাবেন? এক মামলায় শীর্ষ আদালত রায় দিয়েছিল, যে কোনও নতুন নিয়োগের ক্ষেত্রে সবাইকে সুযোগ দিতে হবে। তার ভিত্তিতেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন ২০১৭-র টেট উত্তীর্ণরা। অন্যদিকে, পর্ষদের দাবি, কেবল ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণদের মধ্য থেকে নিয়োগ করা অনেক জটিল। দু-পক্ষের দাবির প্রেক্ষিতে অবশেষে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের ৩,৯২৯ পদে নিয়োগের রায়ের উপর আপাতত স্থগিতাদেশ দিল শীর্ষ আদালত। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: অভিষেকের নবজোয়ারের প্রস্তুতি সভায় তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি! কেন জানেন?

    Abhishek Banerjee: অভিষেকের নবজোয়ারের প্রস্তুতি সভায় তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) নবজোয়ার কর্মসূচিকে সামনে রেখে জেলা নেতৃত্বের উপস্থিতিতে প্রস্তুতি সভার আয়োজন করা হয়। আর সেই সভাকে ঘিরে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণায়। তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান ও জেলা সভাপতিকে ঘিরে বিক্ষোভ শুরু করে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা। সভাস্থলে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে হাতাহাতি পর্যন্ত হয়। জেলা নেতৃত্বের সামনেই এই ঘটনা ঘটে। জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যানকে ধাক্কা দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এমনকী তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী চন্দ্রকোণা-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হীরালাল ঘোষকে মেরে বাইরে বের করে দেয় বলে অভিযোগ।  পরে, পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

    ঠিক কী ঘটেছে?

    শুক্রবার বিকেল নাগাদ চন্দ্রকোণা পুরসভার টাউন হলে অভিষেকের (Abhishek Banerjee) নবজোয়ার কর্মসূচির একটি প্রস্তুতি সভার আয়োজন করা হয়েছিল। চন্দ্রকোণা-২ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সেই প্রস্তুতি সভায় ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান অমল পণ্ডা, ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি আশিস হুদাইতসহ জেলা সংগঠনের একাধিক নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। আর সেই সভার শুরুতেই তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে যান। কারণ,  রাতারাতি অঞ্চল ও বুথ সভাপতিদের সরিয়ে দেওয়া হয়। সভাস্থলে এসে বিষয়টি জানাজানি হতেই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন তৃণমূলের চন্দ্রকোনা-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হীরালাল ঘোষ,প্রাক্তন ব্লক সভাপতি জগজিৎ সরকারসহ প্রাক্তন বুথ ও অঞ্চল সভাপতি থেকে শুরু করে বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মী সমর্থকেরা। সভাস্থলের ভিতরে চন্দ্রকোণা-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হীরালাল ঘোষসহ তাঁর অনুগামীরা ঢুকে বিক্ষোভ শুরু করেন। আর এতেই দেখা দেয় চরম উত্তেজনা। দফায় দফায় ভিতরে, বাইরে চলে বিক্ষোভ। তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হীরালাল ঘোষকে মারধর করে সভাস্থল থেকে বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। আর এরই মাঝে ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান অমল পণ্ডা বাইরে বেরিয়ে এলে তাঁকে ঘিরে ধরে তুমুল বিক্ষোভ দেখান বিক্ষুব্ধ তৃণমূলের একাংশ। এমনকী সেসময় জেলা চেয়ারম্যানকে ধাক্কা মারতে দেখা যায় এক তৃণমূল কর্মীকে। পরক্ষণে জেলা সভাপতি আশিষ হুদাইত সভাস্থলে উপস্থিত হওয়ার জন্য পৌঁছালে তাঁকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখান তৃণমূলের নেতা কর্মীরা। বাইরে থাকা বিক্ষুব্ধ তৃণমূলের নেতা কর্মীরা জেলা সভাপতির সঙ্গে সভাস্থলে পুনরায় ঢোকেন। তারপরই শুরু হয়ে যায় তুমুল উত্তেজনা। পরে, চন্দ্রকোণা থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। আর এই ঘটনায় তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে আসে।

    কী বললেন বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতারা?

    বিক্ষোভকারী তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের একাংশের দাবি, অভিষেক (Abhishek Banerjee) আসার আগেই রাতারাতি অঞ্চল ও বুথ সভাপতি পরিবর্তন করে দেওয়া হয়েছে। চন্দ্রকোণা-২ ব্লকের সভাপতি প্রসূন ঘোষ ও বিধায়কের নেতৃত্বে বুথ সভাপতি ও অঞ্চল নেতৃত্বদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এবিষয়ে ব্লকের তৃণমূল নেতা কর্মীদের একাংশ জানতো না। চন্দ্রকোণা-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হীরালাল ঘোষ বলেন, বুক চিতিয়ে যারা দল করে তাদের সরিয়ে দিয়ে সিপিএম, বিজেপি থেকে আসা লোকজনদের গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না। আমরা প্রতিবাদ করেছি।

    কী বললেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব?

    যদিও সভাস্থলে গণ্ডগোল নিয়ে ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান অমল পণ্ডা বলেন, তেমন কিছু হয়নি,কিছু নেতা কর্মীদের ক্ষোভ ছিল তা তাঁরা জানিয়েছেন। আর আমাকে কেউ ধাক্কাধাক্কি করেনি। আসলে সংসার বড় হয়েছে, তাই একটু মনোমালিন্য হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kalighater Kaku: শনির সকালে ‘কালীঘাটের কাকু’-র বাড়ি-অফিসে ইডির অভিযান

    Kalighater Kaku: শনির সকালে ‘কালীঘাটের কাকু’-র বাড়ি-অফিসে ইডির অভিযান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে এবার সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’-র (Kalighater Kaku) বাড়িতে গেল ইডির একটি বড় দল। শনিবার সকালে একাধিক দলে ভাগ হয়ে ‘কালীঘাটের কাকু’র বেহালার ফকিরপাড়া রোডের ফ্ল্যাট, বাড়ি-সহ বহু জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দলের সদস্যরা। ঘটনাচক্রে, শনিবারই সিবিআইয়ের তলব পেয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

    সকাল সকাল ‘কাকু-র’ বাড়ি

    এদিন সকাল ৬টা নাগাদ সুজয়কৃষ্ণের বাড়িতে পৌঁছে যান ইডি কর্তারা। উল্লেখ্য, এই সুজয়বাবু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৈরি লিপস অ্যান্ড বাউন্ড সংস্থার দেখভাল করেন। একাধিকবার কেন্দ্রীয় সংস্থা তাঁকে তলবও করেছে। প্রথম বার হাজিরা দিলেও পরে তিনি নিজে হাজিরা দেননি। বদলে আইনজীবীকে দিয়ে নথিপত্র পাঠিয়ে দেন। সুজয় সে সময় জানন, তাঁর কাছে কিছু নথি চাওয়া হয়েছিল। সেগুলি আইনজীবীকে দিয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি নিজেই জানান, তাঁর স্ত্রী ও মেয়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথি আইনজীবীর মাধ্যমে পাঠিয়ে দিয়েছেন।

    এখনও চলছে তল্লাশি

    আজকে ‘কালীঘাটের কাকু’র (Kalighater Kaku) বাড়ি ছাড়াও তাঁর বাড়ির পাশে ফকির পাড়াতেই একটি অফিসে হানা দিয়েছে ইডি। জানা গিয়েছে, যে অফিসে হানা দেওয়া হয়েছে সেটি একটি কনসাল্টেন্সি সংস্থার। এই আবহে নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে এই সংস্থার যোগ নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। সুজয়কৃষ্ণের প্রতিবেশীদের দাবি, এদিন সকালে কয়েকজন এসে সুজয়কৃষ্ণের বাড়ির দরজায় কড়া নাড়েন। কিছু সময় পর বেরিয়ে আসনে কালীঘাটের কাকু। এখনও তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলেই জানা যাচ্ছে। উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রথম ধৃত তাপস মণ্ডলের মুখে শোনা গিয়েছিল সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকুর নাম। এর আগে তাঁর বাড়ির পাশাপাশি পর্ণশ্রীর একটি ফ্ল্যাট ত্রিবেণী অ্যাপার্টমেন্টে তল্লাশি চালান গোয়েন্দারা। 

    আরও পড়ুন: সকাল ১১টায় সিবিআই দফতরে হাজিরা অভিষেকের! দূর্গে পরিণত নিজাম প্যালেস

    আরও এক দফা জিজ্ঞাসাবাদ

    সম্প্রতি সিবিআই এসেও তল্লাশি চালিয়েছিল সুজয়কৃষ্ণের ফ্ল্যাটে। সে সময় ‘কাকু’র (Kalighater Kaku) বাড়ি থেকে কয়েক লক্ষ নগদ টাকা বাজেয়াপ্ত করে সিবিআই। তিনি অবশ্য দাবি করেন, বোন হাসপাতালে ভর্তি, চিকিৎসার বিল মেটানোর জন্য ওই অর্থ তুলেছিলেন। পাওয়া যায় একটি অ্যাডমিট কার্ড। ‘কাকু’ দাবি করেন, সেটা তাঁর শ্যালিকার পুত্রের পুরসভায় চাকরির পরীক্ষা দেওয়ার জন্য প্রদত্ত অ্যাডমিট কার্ড। এ ছাড়া তাঁর একটি ফোনও বাজেয়াপ্ত করা হয়।  শনিবার আরও এক দফা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে ইডি সূত্রে খবর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kandi: এক মিনিটের ছোট ভাইয়ের থেকে মাধ্যমিকে ২ নম্বর বেশি পেয়ে জেলায় সম্ভাব্য প্রথম অরুনাভ

    Kandi: এক মিনিটের ছোট ভাইয়ের থেকে মাধ্যমিকে ২ নম্বর বেশি পেয়ে জেলায় সম্ভাব্য প্রথম অরুনাভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে মাধ্যমিকে রাজ্যের সম্ভাব্য মেধা তালিকায় নাম নেই মুর্শিদাবাদ জেলার। তবে, এই জেলার শীর্ষস্থানে রয়েছে কান্দির (Kandi) যমজ ভাই। জন্মের সময়ে পার্থক্য মাত্র ১ মিনিটের। আর মাধ্যমিকে নম্বরের পার্থক্য মাত্র ২। ২০২৩ শে মাধ্যমিক পরীক্ষায় রাজ্যের সম্ভাব্য প্রথম দশের মেধা তালিকায় এই জেলার কেউ নেই। তবে, এই জেলার মেধা তালিকার নিরিখে সম্ভাব্য প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কান্দির (Kandi) এই যমজ ভাই। তাদের একজনের নাম অরুনাভ দাস। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৮২। সে জেলার সম্ভাব্য প্রথম। আর তার এক মিনিটের ছোট ভাইয়ের নাম অভিষেক দাস। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৮০।

    দুই সন্তানের সাফল্য নিয়ে কী বললেন মা?

    কান্দি (Kandi) রাজ উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র দুজনে। ছোট থেকে দুজনেই পড়াশুনায় ভালো ছিল। দুজনেই ক্লাসে প্রথম কিংবা দ্বিতীয় হত। ফলে, মাধ্যমিকে তারা এবার ভাল ফল করবে স্কুলের শিক্ষক থেকে পরিবারের লোকজন সকলেরই আশা ছিল। এমনকী রাজ্যের মেধা তালিকায় স্থান পাওয়ার অনেকেই আশা করেছিলেন। তবে, রাজ্যের মেধা তালিকায় না এলেও জেলার সম্ভাব্য প্রথম ও দ্বিতীয় হওয়ায় খুশি পরিবারের লোকজন। দুই সন্তানের সাফল্যে খুবই আনন্দিত বাবা অমিতাভ দাস ও মা সারদা দাস। অমিতাভবাবু পশু চিকিত্সক হওয়ায় তিনি কাজের সূত্রে বাইরে থাকতেন। সারদাদেবীই মূলত দুই সন্তানের পড়াশুনা দেখভাল করতেন। তিনি বলেন, ওরা কখনও কথার অবাধ্য হত না। ছোট থেকে নিজেদের পড়াশুনা নিয়ে ওরা মনোযোগী ছিল। ফলে, দুজনের এই রেজাল্টে আমি খুশি। তবে, মেধা তালিকায় স্থান পেলে আরও ভাল লাগত।

    নিজেদের সাফল্য নিয়ে কী বললেন দুই কৃতী?

    অরুনাভর বক্তব্য, আমার এই সাফল্যের জন্য মায়ের ভূমিকা সব থেকে বেশি। তবে, আমার বাংলায় আরও ভাল রেজাল্ট হওয়ার কথা। তাই রিভিউ করব। আশা করি নম্বর বাড়বে। মেধা তালিকায় থাকতে পারলে ভাল লাগত। আর বড় হয়ে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন রয়েছে। টিউশন ছাড়া বাড়িতে পাঁচ-ছয় ঘণ্টা পড়াশুনা করতাম। যেটুকু পড়তাম, মন দিয়ে পড়তাম। বাকী সময় টিভি দেখতাম। খেলাধূলা করতাম। আর ভাই অভিষেকও দাদার মতো বড় হয়ে ডাক্তার হতে চায়। তার বক্তব্য, আরও ভাল ফলের আশা করেছিলাম। ইতিহাস, বাংলায় আমি রিভিউ করব। আশা করি নম্বর বাড়বে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: সকাল ১১টায় সিবিআই দফতরে হাজিরা অভিষেকের! দূর্গে পরিণত নিজাম প্যালেস

    Abhishek Banerjee: সকাল ১১টায় সিবিআই দফতরে হাজিরা অভিষেকের! দূর্গে পরিণত নিজাম প্যালেস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আজ, শনিবার সিবিআইয়ের মুখোমুখি হচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। সকাল ১১টায় নিজাম প্যালেসে সিবিআইয়ের দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা তাঁর। সেই মতো, গতকালই, বাঁকুড়ায় নবজোয়ার যাত্রা ছেড়ে রাতে কলকাতায় ফিরেছেন অভিষেক।

    তৈরি প্রশ্নমালা, প্রস্তত সিবিআই

    অভিষেকের এই সওয়াল-পর্ব ঘিরে কোমর বেঁধে প্রস্তুতি সেরে ফেলেছে সিবিআই। জিজ্ঞাসাবাদ-পর্ব থেকে যাতে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আদায় করা যায়, তার জন্য অভিষেককে কী কী প্রশ্ন করা হবে, সেই তালিকা ইতিমধ্যেই তৈরি করা হয়েছে। অভিষেককে প্রশ্ন করার জন্য শীর্ষ অফিসাররা প্রস্তত। শুধু তৃণমূলের ‘সেকেন্ড-ইন-কমান্ড’এর হাজিরার অপেক্ষা।  

    দূর্গে পরিণত নিজাম প্যালেস

    নিজাম প্যালেসে নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করতে প্রস্তত পুলিশও। অভিষেকের (Abhishek Banerjee) সওয়াল ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছে নিজাম প্যালেস চত্বরে। রাত থেকেই সেখানে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। জমায়েত আটকাতে বিভিন্ন জায়গায় ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। এমনকি নিজাম প্যালেসের ভিতরে বিভিন্ন অংশ ব্যারিকেড দিয়ে একেবারে আটকে দেওয়া হয়েছে। জানা যাচ্ছে, পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাও থাকবেন। এক কথায় কার্যত দূর্গে পরিণত হয়েছে নিজাম প্যালেস।

    আরও পড়ুন: ‘‘বারেবারে ঘুঘু তুমি খেয়ে যাও ধান এবার…’’! অভিষেককে কটাক্ষ সুকান্তর

    কী প্রেক্ষিতে অভিষেককে সমন?

    প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত কুন্তল ঘোষের কথায় উঠে এসেছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) নাম। নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত কুন্তল ঘোষ দাবি করেছিলেন, তাঁকে অভিষেকের নাম বলানোর জন্য চাপ দিচ্ছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। এই নিয়ে নিম্ন আদালত ও হেস্টিংস থানায় অভিযোগও করেন কুন্তল। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। সেই প্রেক্ষিতে অভিষেককে (Abhishek Banerjee) জেরা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন অভিষেক। মামলা হাইকোর্টে ফিরিয়ে দেয় শীর্ষ আদালত। এর মধ্যেই মামলাটির এজলাস বদল হয়। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের জায়গায় মামলা যায় বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে। তিনি, অভিষেককে কোনও প্রকার রক্ষাকবচ দিতে অস্বীকার করেন। এরপরই শুক্রবার, সিবিআই সমন পাঠায় অভিষেককে।

    এর আগে কয়লা পাচার কাণ্ডে অভিষেককে ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি। এবার স্কুল শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের মুখোমুখি হচ্ছেন ‘যুবরাজ’।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share