Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Weather Update: দেশে বর্ষা ঢুকছে ৪ জুন! রাজ্যে কবে? কী জানাল আবহাওয়া দফতর

    Weather Update: দেশে বর্ষা ঢুকছে ৪ জুন! রাজ্যে কবে? কী জানাল আবহাওয়া দফতর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত দুদিন ধরে বিকালে কালবৈশাখীর ঝড়ের সঙ্গে বৃষ্টিতে ভিজল পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু জেলা। এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে শুরু হওয়া তাপপ্রবাহে হাঁসফাস অবস্থা হয়েছিল রাজ্যবাসীর। তারপরের কয়েকদিনের বারিধারায় স্বস্তি মিলেছিল বটে কিন্তু পরে আবার বেড়েছিল গরম। একটি আবহাওয়া রিপোর্টে (Weather Update) তো বলা হয়েছিল যে মে মাসেও গরমের অস্বস্তি বাড়তেই থাকবে। ঠিক এই সময়টাতে চাতক পাখির মতো পশ্চিমবঙ্গবাসীও বসে রয়েছে বর্ষার আগমনের অপেক্ষায়। আবহবিদরা ক্যালকুলেশন করে মাপকাঠি স্থির করেছেন, বর্ষা দেশে ঢোকে প্রতি বছরে ১ জুন। এ কথা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যে দেশের মধ্যে প্রথম বর্ষা ঢোকে ভারতের কেরল রাজ্যে‌। কিন্তু মৌসম ভবন (Weather Update)  জানাচ্ছে চলতি বছরে বর্ষা ১ জুন নয় দেশে ঢুকবে ৪ জুন অর্থাৎ চার দিন দেরি করছে বর্ষা আসতে। প্রতিবছর জুন মাসে বর্ষা আসার কথা থাকলেও কোন কোন বছর তার হেরফের ঘটে। দেখা যাচ্ছে, বিগত কয়েকবছরে নিয়ম মেনে বর্ষা দেশে ঢুকেছিল ২০২০ সালেই একমাত্র। সে বছর দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর আগমন ঘটে ১ জুন। ২০২১ সালে মৌসুমি বায়ু এসেছিল ৩ জুন। হাওয়া অফিসের রিপোর্ট (Weather Update)  অনুযায়ী ২০১৮ সালে নির্ধারিত সময়ের আগে এসেছিল বর্ষা, ২৯ মে। আবার গত বছরেও বর্ষা ঢুকে ছিল দেশে ২৯ মে। ২০১৯ সালে বর্ষা আট দিন দেরিতে ঢুকেছিল, ৮ জুন।

     

    পশ্চিমবঙ্গে কবে ঢুকছে বর্ষা?

    আবহবিদরা বলছেন, পশ্চিমবঙ্গে বর্ষা ঢোকার স্বাভাবিক সময় হচ্ছে ১০ জুন। হাওয়া অফিস (Weather Update)  জানাচ্ছে, কেরলে বর্ষা পিছিয়ে যাচ্ছে বলেই যে পশ্চিমবঙ্গে বিলম্ব হবে এমনটা ভাবার কোন কারণ নেই। এখনও পর্যন্ত আবহাওয়া দফতরের যে পূর্বাভাস তাতে দেখা যাচ্ছে, উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়িতে বর্ষা ঢুকছে ৭ জুন, শিলিগুড়িতে ৮ জুন। অন্যদিকে দক্ষিণবঙ্গের সুন্দরবনে বর্ষা ঢোকার দিনক্ষণ নির্ধারণ করেছে হাওয়া অফিস ১০ জুন এবং কলকাতায় বর্ষার ঢুকবে ১১ জুন। যদিও এর পুরোটা নির্ভর করছে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর সক্রিয়তার উপর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ambulance: অ্যাম্বুল্যান্স চালকদের দাদাগিরি! বেঘোরে প্রাণ গেল মুমূর্ষু রোগীর, আক্রান্ত পরিবারের লোকজন

    Ambulance: অ্যাম্বুল্যান্স চালকদের দাদাগিরি! বেঘোরে প্রাণ গেল মুমূর্ষু রোগীর, আক্রান্ত পরিবারের লোকজন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অ্যাম্বুল্যান্স (Ambulance) চালকদের দাদাগিরি। আর তার জেরেই মৃত্যু হল এক মুমূর্ষু রোগীর। সোমবার রাতে এই মর্মান্তিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মুর্শিদাবাদের সালার ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। মৃতের পরিবারের লোকজন ক্ষোভে ফেটে পড়েন। হাসপাতাল চত্বরে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    সোমবার রাতে এক মুমূর্ষু রোগীকে সালার ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে কলকাতায় রেফার করা হয়। রোগীর পরিবারের লোকজন পরিচিত এক অ্যাম্বুল্যান্স (Ambulance) চালককে হাসপাতালে ডেকে পাঠান। রিপন সেখ নামে ওই অ্যাম্বুল্যান্স চালক হাসপাতালে এসে রোগীকে গাড়িতে তোলেন। বের হওয়ার সময় হাসপাতালে থাকা অন্যান্য অ্যাম্বুল্যান্স চালকরা বাধা দেন বলে অভিযোগ। তাদের দাবি, হাসপাতালের অ্যাম্বুল্যান্সে করেই রোগীকে নিয়ে যেতে হবে। বাইরের কোনও অ্যাম্বুল্যান্সে (Ambulance) করে রোগী নিয়ে যাওয়া যাবে না। অ্যাম্বুল্যান্স চালক রিপন সেখ বলেন, গত কয়েকদিন ধরে ওই রোগীকে কলকাতা নিয়ে যাচ্ছি। তাই, ওরা আমাকে ডেকেছিল। এটা তো কোনও অপরাধ নয়। এদিন হাসপাতাল থেকে আমাকে রোগী নিয়ে যেতে বাধা দেওয়া হয়। এরপর আমি পিছনের রাস্তা ধরে অ্যাম্বুল্যান্স বের করে নিয়ে যাই। কিছুটা যাওয়ার পর কুলুর মোড়ে ওরা মাঝ রাস্তায় বুলেট রেখে আমাদের গাড়ি আটকায়। বাড়ির লোকজন কথা বলতে গেলে আরিফ সেখ, জিয়ারুল সেখ, সানি সেখ-এর নেতৃত্বে দলবল মিলে তাদের উপর হামলা চালায়। এরপর কোনওরকমে সেখান থেকে কিছুটা যাওয়ার পর রাস্তাতেই রোগীর মৃত্যু হয়। ওই অবস্থায় ফের সালার হাসপাতালে আমরা ফিরে আসি। জানা গিয়েছে, হাসপাতালে মৃতদেহ রেখে পরিবারের লোকজন বিক্ষোভে ফেটে পড়েন।

    কী বললেন মৃতের পরিবারের লোকজন?

    মৃতের ছেলে সাকিব আলি বলেন, হাসপাতালে অ্যাম্বুল্যান্স (Ambulance) চালকদের দাদাগিরির জন্য আমার মাকে অনেকক্ষণ আটকে রাখা হয়েছিল। পরে, আমাদের ওরা মারধর করে। সময়ে হাসপাতালে নিয়ে যেতে না পারার কারণে মায়ের মৃত্যু হয়েছে। মায়ের মৃত্যুর জন্য এই অ্যাম্বুল্যান্স (Ambulance) চালকরা দায়ী। আমাদের দাবি, অবিলম্বে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Egra Blast: বাজির আড়ালে বোমা! এগরায় বিস্ফোরণকাণ্ডে এনআইএ তদন্তের দাবি সুকান্ত-শুভেন্দুর

    Egra Blast: বাজির আড়ালে বোমা! এগরায় বিস্ফোরণকাণ্ডে এনআইএ তদন্তের দাবি সুকান্ত-শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এগরার খাদিকুল গ্রামে বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে (Egra Blast) ইতিমধ্যেই ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত বেশ কয়েকজনকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এগরায় বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনার এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।  বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রীর ব্যর্থতার কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে।

    সুকান্তর দাবি

    এই ঘটনায় পঞ্চায়েত ভোটের আগে আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন উঠল বলে অভিমত সুকান্ত মজুমদারের। তিনি বলেন, ‘এটাই তো পশ্চিমবঙ্গের শিল্প। তৃণমূল তো গোটা রাজ্যে বোমা বন্দুকের কারখানা করেছে। গোটা দেশে একমাত্র পশ্চিমবঙ্গে এই ধরণের ঘটনা ঘটে। আর মুখ্যমন্ত্রীর কোনও লজ্জাও নেই। এরকম নির্লজ্জ মুখ্যমন্ত্রী আমরা জীবনে দেখিনি যে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছে দিয়েছে। এতো পঞ্চায়েতের প্রস্তুতি হচ্ছে। আমি দেখলাম ক্ষতবিক্ষত দেহাংশ পড়ে আছে। ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেহ লোপাট হবে। আমরা দাবি করছি এর এনআইএ তদন্ত হোক। এই দাবিতে আমি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি লিখছি’।

    এনআইএ তদন্তের দাবি

    মঙ্গলবার দুপুরে কেঁপে উঠল পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার খাদিকুল গ্রাম। বিস্ফোরণের তীব্রতায় একাধিক ব্যক্তির মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। খবর পেয়ে গ্রামে পুলিশ ঢোকার চেষ্টা করতেই তাদের ঘিরে ধরে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, রাস্তায় ছিন্নভিন্ন হয়ে পড়ে রয়েছে কয়েকটি দেহ। জখম হয়েছে আরও কয়েকজন। তাঁদের দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটেছে। সূত্রের খবর, বাজি তৈরির আড়ালে বোমা তৈরি হত। সেখান থেকেই এই বিস্ফোরণ। ইতিমধ্যে তদন্তে নেমেছে এগরা থানার পুলিশ।

    এ দিন সকাল এগারোটা নাগাদ কৃষ্ণপদ ওরফে ভানু বাগের বাড়িতে এই ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে৷ বিস্ফোরণের জেরে গোটা বাড়িটি উড়ে যায়৷ ওই বাড়ির চারপাশেই ছড়িয়ে ছিঁটিয়ে পড়েছিলেন মৃত এবং আহতরা। এই ঘটনার তদন্তভার সিআইডি-কে দেওয়া হয়েছে৷ যদিও বিরোধীরা এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও জানিয়েছেন, এনআইএ তদন্তে রাজ্য সরকারের আপত্তি নেই৷

    আরও পড়ুন: ‘‘সঙ্ঘের পোশাকে থাকা ওই যুবক তৃণমূলের বুথ কমিটির সদস্য’’! তোপ সুকান্তর

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এগরার খাদিকুল গ্রামে একাধিক বাড়িতে অবৈধভাবে তৈরি হয় বাজি। প্রত্যেকটি বাড়িতে বেআইনিভাবে মজুত থাকে বাজির মশলা। কোন বৈধ লাইসেন্স নেই তাদের। পরিবারগুলি বাজি তৈরি করেই টাকা উপার্জন করে। বেশিরভাগ বাড়িতে এভাবেই বছরের পর বছর বাজি তৈরির কাজ চলছে। কৃষ্ণপদ বাগ ওরফে ভানু বাগের বাড়িতে বিস্ফোরণ হতেই অবৈধ কারবার সামনে আসে।

    কে এই কৃষ্ণপদ বাগ?

    বিজেপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এই কৃষ্ণপদ বাগ ওরফে ভানু বাগ তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী। পুলিশ এই ব্যক্তিকে আগেও গ্রেফতার করেছিল। কিন্তু সে জামিন পেয়ে যায়। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, এটি বেআইনি বাজি কারখানা। যার মালিক কৃষ্ণপদ বাগ। তাকে ২০২২ সালের ১৯ নভেম্বর গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। পরে আদালত থেকে জামিন পায় সে। এই বিস্ফোরণের ঘটনার পর থেকেই পলাতক কৃষ্ণপদ। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে বরখাস্ত কেন? রাজভবনের কাছে জানতে চাইল আদালত

    Calcutta High Court: কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে বরখাস্ত কেন? রাজভবনের কাছে জানতে চাইল আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার আসানসোলের কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (Kazi Najrul Islam University) অস্থায়ী উপাচার্য সাধন চক্রবর্তীকে বরখাস্ত করেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজ্যপালের সেই নির্দেশের বিরোধিতা করে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন সাধন। মঙ্গলবার ওই মামলার শুনানিতে রাজভবনের কাছে আদালত জানতে চেয়েছে, কী কারণে অপসারিত করা হয়েছে সাধনকে? বিচারপতি কৌশিক চন্দ জানান, রাজভবনের তরফে উত্তর পেলে তবেই শুনানি হবে এই মামলার।

    কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বক্তব্য…

    এদিন আদালতে সাধনের আইনজীবী শ্রীজীব চক্রবর্তী জানান, রাজ্যপালের নির্দেশের জেরে সম্মানহানি হয়েছে উপাচার্যের। আইনজীবী বলেন, যে কারণ দেখিয়ে উপাচার্যকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, তা ভিত্তিহীন। রাজভবন যে নির্দেশ দিয়েছে, তাতে উপাচার্যের সম্মানহানি হয়েছে। এর পরেই বিচারপতি চন্দ বলেন, কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে সরানোর নেপথ্যে কী কারণ রয়েছে, তা জানাতে হবে। এ বিষয়ে বুধবার জেনে আসতে হবে। তার পরেই এই মামলার শুনানি হবে।

    উপাচার্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তাঁর পদত্যাগ দাবি করেছেন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের (Calcutta High Court) শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী, আধিকারিক ও ছাত্রছাত্রীদের একটা বড় অংশ। ১৪ মার্চ থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য আন্দোলন শুরু করেছেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়কে দুর্নীতির আখড়া করে রেখেছেন উপাচার্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু মূল্যবান গাছ কেটে বিক্রি করা হলেও, তার হিসেব নেই। বহু শিক্ষক-শিক্ষিকা অনিয়মিত হওয়া সত্ত্বেও তাঁদের নিয়মিত বেতন দেওয়া হয়। উপাচার্যের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীরা প্রায় ২৬ লক্ষ টাকার আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ করেছেন।

    আরও পড়ুুন: ফের একবার ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ রাজ্য সরকার, এবার কোন মামলা?

    আন্দোলন চলাকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থা কাটাতে উদ্যোগী হলেও, সফল হননি সাধন। আদালতের নির্দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজের অফিসেও ঢোকার অনুমতি পাননি তিনি। আন্দোলনের দু মাসের মাথায় উপাচার্যকে বরখাস্ত করেন রাজ্যপাল। রাজ্যপালের সেই নির্দেশের বিরুদ্ধেই আদালতের দ্বারস্থ হন সাধন। প্রসঙ্গত, রাজ্যপাল পদাধিকার বলে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির (Calcutta High Court) আচার্য। তিনিই বরখাস্ত করায় সাধন জানিয়েছিলেন, এই অপসারণ নিয়ম বহির্ভূত ও উদ্দেশ্যপূর্ণ। তিনি এও জানিয়েছিলেন, রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দফতরের পরামর্শে তাঁকে এই পদে বসানো হয়েছে। কিন্তু উচ্চ শিক্ষা দফতরের সঙ্গে পরামর্শ না করে অপসারণ করা হয়েছে তাঁকে। তাই উপাচার্যের পদ ছাড়বেন না তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • West Bengal Health: ১৫ দিন ধরে রোগীদের খাবার বন্ধ, স্যালাইন দিয়েই বেপাত্তা ডাক্তার!

    West Bengal Health: ১৫ দিন ধরে রোগীদের খাবার বন্ধ, স্যালাইন দিয়েই বেপাত্তা ডাক্তার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৫ দিন ধরে খাবার মিলছে না রোগীদের, বিদ্যুৎ চলে গেলে অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে থাকে ওয়ার্ড। নেই সুষ্ঠু চিকিৎসা ব্যবস্থাও। প্রতিবাদ করলেই মেলে হুমকি! চরম দুর্দশা এবং বেহাল অবস্থা নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালের (West Bengal Health)। কৃষ্ণগঞ্জের বাসিন্দাদের একমাত্র ভালো চিকিৎসার জায়গা হল শক্তিনগর হাসপাতাল। কিন্তু অনেকটা দূর হওয়ায় এলাকাবাসীর একমাত্র ভরসার জায়গা এই কৃষ্ণগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতাল। ওই হাসপাতালে হাতেগোনা যে কটি বেড রয়েছে, প্রতিদিনই সেগুলিতেই রোগীরা ভর্তি থাকেন। কিন্তু অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই ওই হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা একদম তলানিতে। শুধু চিকিৎসা নয়, অন্যান্য পরিষেবাও মাঝেমধ্যেই ব্যাহত হয়। অনেক সময় বিদ্যুৎ চলে গেলে অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে হাসপাতাল। সেখানে জেনারেটরের ব্যবস্থা থাকলেও তার পরিষেবা মেলে না। এমনকী গত ১৫ দিন ধরে হাসপাতালে খাবার দেওয়া বন্ধ রয়েছে। বাধ্য হয়ে রোগীর আত্মীয়দের বাইরে থেকে খাবার কিনে রোগীকে খাওয়াতে হচ্ছে।

    কী বলছেন রোগী ও তাঁদের আত্মীয়রা?

    ওই হাসপাতালে রোগী ষষ্ঠী রায় বলেন, গতকাল আমি ভর্তি হয়েছিলাম। একজন ডাক্তার এসেছিলেন। কিন্তু তারপরে ২৪ ঘণ্টা পার হলেও কোনও চিকিৎসক আর আসেনি। তিনি জানান, হাসপাতালের পক্ষ থেকে কোনও খাবার দেওয়া হয়নি। অন্য এক রোগীর আত্মীয় রিঙ্কি সরকার বলেন, রোগী নিয়ে হাসপাতালে এসে কোনও চিকিৎসা (West Bengal Health) পাচ্ছি না। শুধুমাত্র একটা স্যালাইন দিয়ে বসিয়ে রেখেছে। আর কোনও চিকিৎসক আসেনি। তাহলে এখানে যদি এভাবেই পড়ে থাকতে হয়, বাড়িতে থাকাই ভালো ছিল। পাশাপাশি তিনিও বলেন, রোগীদের কোনও খাবার দেওয়া হচ্ছে না হাসপাতালের তরফ থেকে।

    প্রতিক্রিয়া দিল না কেউই

    যদিও এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চায়নি হাসপাতাল (West Bengal Health) কর্তৃপক্ষ। ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনিও কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি। তবে সূত্রের খবর, ওই হাসপাতালে খাবার সরবরাহ করার জন্য কোনও একজনের উপর দায়িত্ব দেওয়া ছিল। যে টাকা তাকে দেওয়া হত, তাতে কোনও লাভ হত না বলে তিনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে টাকা বাড়ানোর আবেদন জানিয়েছিলেন। অভিযোগ, টাকা তো বাড়ানো হয়ইনি, বরং দীর্ঘদিন ধরে প্রাপ্য টাকাও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দিচ্ছিল না। সেই কারণে তিনি বাধ্য হয়ে খাদ্য সরবরাহ বন্ধ করে দেন। পাশাপাশি যিনি জেনারেটরের দায়িত্বে ছিলেন, তিনিও দীর্ঘদিন ধরে পেমেন্ট না পাওয়ার কারণে পরিষেবা দিতে অনীহা প্রকাশ করেন। যদিও তাঁরা কেউ প্রকাশ্যে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি।

    জানা নেই তৃণমূলের

    তবে এ বিষয়ে তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অশোক হালদার বলেন, মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী প্রতিটি প্রকল্পের উপর নজর রেখেছেন এবং পরিষেবা প্রদান করেছেন। তবে হাসপাতালে (West Bengal Health) দীর্ঘদিন ধরে খাবার পরিষেবা বন্ধ, এটা সত্যিই আমার জানা ছিল না। যত দ্রুত সম্ভব বিএমওএইচ-এর সঙ্গে কথা বলব। কী কারণে তা বন্ধ রয়েছে, জানার চেষ্টা করব। পাশাপাশি যাতে রোগীরা পরিষেবা থেকে বঞ্চিত না হয়, অতি দ্রুত তার ব্যবস্থা করার চেষ্টা করব।

    কটাক্ষ বিজেপির

    তবে পুরো ঘটনায় স্বাস্থ্য পরিষেবা (West Bengal Health) নিয়ে কটাক্ষ করেছেন কৃষ্ণগঞ্জের বিজেপি বিধায়ক আশিষকুমার বিশ্বাস। তিনি বলেন, এটা আমি আগেই জেনেছিলাম, কৃষ্ণগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালের করুণ অবস্থা। বিদ্যুৎ চলে গেলে অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে থাকে ওই হাসপাতাল। শুধু তাই নয়, কেউ প্রতিবাদ করলে তাদেরকে হুমকি দেওয়া হয়। দিন ১৫ আগে থেকে খাবার বন্ধ হয়ে গেছে রোগীদের জন্য। সেই কারণে আমি বিএমওএইচ ম্যাডামের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন তোলেননি। পাশাপাশি তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে বলেন, যিনি কিনা ঘোষণা করছেন ১৫ দিনের মধ্যে নার্স তৈরি করতে হবে এবং তিন বছরের মধ্যে ডিপ্লোমা কোর্স কমপ্লিট করে চিকিৎসক তৈরি করতে হবে, তাঁর কাছ থেকে এর থেকে ভালো পরিষেবা আশা করা যায় না। আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, একজন নার্স ১৫ দিনে কী শিখতে পারবে? কীভাবে সে মানুষকে সুস্থ করে তুলবে?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: হাইকোর্টের নির্দেশে এবার চাকরি হারালেন ববিতা সরকার! তাঁর জায়গায় নিয়োগ পেলেন কে?

    Calcutta High Court: হাইকোর্টের নির্দেশে এবার চাকরি হারালেন ববিতা সরকার! তাঁর জায়গায় নিয়োগ পেলেন কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এবার চাকরি হারালেন ববিতা সরকার। মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে ববিতার চাকরি বাতিল করার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ববিতার আবেদনে চাকরি গিয়েছিল রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর কন্যা অঙ্কিতা অধিকারীর। ববিতার অ্যাকাডেমিক স্কোর কমের অভিযোগ তুলে মামলা করেছিলেন আর এক চাকরি প্রার্থী অনামিকা রায়। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চের নির্দেশে চাকরি বাতিল হয় ববিতার। তাঁর জায়গায় চাকরি পেলেন অনামিকা রায়। এদিন, চাকরি চলে যাওয়ায় আদালতেই কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায় ববিতাকে।

    খুশি অনামিকা

    চাকরি পাওয়ায় খুশি অনামিকা। তিনি জানান, চাকরি পাওয়ার বিষয়ে প্রথম থেকেই আশাবাদী ছিলেন। বলেন, ‘‘আমি কখনও আশাহত হইনি। আমি জানতাম, চাকরিটা আমি পাবই। চাকরির মেধাতালিকায় আমার নাম এবং ববিতার নাম পর পর ছিল। আমি ২১ নম্বরে ছিলাম। ববিতা ছিল ২০-তে। অঙ্কিতা আসার পর আমাদের র‌্যাঙ্ক পিছিয়ে যায়। অঙ্কিতার চাকরি বাতিলের পর তা মেধাতালিকা অনুযায়ী পায় ববিতা। কিন্তু আমি পরে দেখি, ববিতার নম্বর আসলে আমার চেয়ে কম। ও ২ নম্বর কম পেয়েছিল। তাই চাকরিটা আমারই পাওয়ার কথা। তার পর আমি আদালতে যাই।’’ 

    তিন সপ্তাহের মধ্যে অনামিকার চাকরি

    স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে যে তথ্য আদালতে জমা দেওয়া হয়েছিল এবং বাকি সব তথ্য খতিয়ে দেখে ববিতা সরকারের চাকরি বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। একইসঙ্গে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মামলাকারী অনামিকা রায়কে চাকরি দেওয়ার জন্য। আদালতের মন্তব্য, অনামিকাকে আর বেশিদিন ভোগানো উচিত নয়। তিন সপ্তাহের মধ্যে অনামিকাকে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বাড়ি থেকে ২০ কিলোমিটারের মধ্যে স্কুল দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

    ববিতার কান্না 

    এই নির্দেশ শোনার পর কাঁদতে কাঁদতে ববিতা বলেন, ‘‘আমি ভুলটা জানতাম না। আমার চাকরি চলে যাচ্ছে। কিন্তু টাকাটা ফেরত দেওয়ার জন্য একটু সময় দেওয়া হোক। এখন আমি ১১ লক্ষ টাকা ফেরত দিতে পারব। আমি একটা সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ি কিনেছি। বাকি টাকা ফেরত দিতে আমার একটু সময় লাগবে। তিন মাস সময় দেওয়া হোক।’’ ববিতাকে ধমক দিয়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আপনি আদালতকে যে ভাবে ভুল তথ্য দিয়ে পরিচালনা করেছেন, চাইলে আমি কড়া পদক্ষেপ করতে পারতাম। এই ক’দিনে আপনি যা বেতন পেয়েছেন তা ফেরত নেওয়া হচ্ছে না। এটুকু সান্ত্বনা নিয়ে হাইকোর্ট থেকে যান। পরবর্তী নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করুন। যা হয়েছে তা আপনার ভুলের জন্য।’’

    আরও পড়ুন: তিন বছরের হেলথ প্রফেশনাল! মমতার সিদ্ধান্তে বন্ধ হতে পারে কেন্দ্রের বরাদ্দ?

    আগামী ৬ জুনের মধ্যে ববিতাকে ১৫ লক্ষ টাকা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আগামী বুধবারের মধ্যে তাঁকে ১১ লক্ষ টাকা দিতে হবে। তবে এত দিনে চাকরির জন্য যে বেতন পেয়েছেন ববিতা, সেই টাকা তাঁকে ফেরত দিতে হবে না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Recruitment Scam: পুকুরে ফেলা ২টি ফোন থেকেই সমস্ত ডেটা উদ্ধার! জীবনকৃষ্ণের বিপদ কি বাড়ল?

    Recruitment Scam: পুকুরে ফেলা ২টি ফোন থেকেই সমস্ত ডেটা উদ্ধার! জীবনকৃষ্ণের বিপদ কি বাড়ল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুকুরে মোবাইল ফোন ফেলেও লাভ হল না তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার (Jibankrishna Saha)। পুকুরে ফেলা ২টি মোবাইল ফোন থেকেই সমস্ত ডেটা উদ্ধার করতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। উদ্ধার হয়েছে চ্যাট হিস্ট্রিও। ডেটা ডিলিটের পরেও ১০০ শতাংশ তথ্য পুনরুদ্ধার করা গেছে বলে দাবি সিবিআইয়ের। সিবিআইয়ের দিল্লির ফরেনসিক ইউনিট থেকে ইতিমধ্যেই সেই খবর এসে পৌঁছেছে নিজাম প্যালেসে।

    মোবাইল-সূত্র

    সিবিআই সূত্রে খবর, ধৃত তৃণমূল বিধায়ক দু’টি ফোন থেকে প্রচুর ডেটা ডিলিট করেছেন। ওড়ানো হয়েছিল প্রচুর কথোপকথনের রেকর্ড ও ছবি। মোবাইল ঘেঁটে সে তথ্য জানতে পেরেছেন, দিল্লির ফরেন্সিক অফিসাররা। এসএসসি মামলার তদন্ত শুরু হওয়ার পর থেকেই তথ্য ওড়ানো হয়েছে, বলে দাবি সিবিআইয়ের। ওই ফোন থেকেই মিলেছে নিয়োগ দুর্নীতির সাড়ে ৩০০ পাতার তথ্য! কয়েকশো অডিও ক্লিপ! বহু হোয়াটস অ্যাপ চ্যাট ! আর গ্য়ালারিভর্তি ছবি! সিবিআই সূত্রে আরও দাবি, হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ও কয়েকশো অডিও ক্লিপে নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে কথোপকথন হয়েছে বলে জানা গেছে। সেখান থেকে মিলেছে বেশ কিছু নাম। এবার তাঁদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় সিবিআই। সিবিআইয়ের অনুমান, তথ্য গোপন করতেই দুটি ফোন ছুড়ে বাড়ির পুকুরে ফেলে দেন তৃণমূল বিধায়ক। কিন্তু লাভ হল না। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের সাহায্যে মুছে যাওয়া তথ্য প্রায় একশো শতাংশই উদ্ধার করা গিয়েছে। 

    আরও পড়ুন: ‘‘সঙ্ঘের পোশাকে থাকা ওই যুবক তৃণমূলের বুথ কমিটির সদস্য’’! তোপ সুকান্তর

    মুর্শিদাবাদের বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। গত মাসে তাঁর বাড়িতে হানা দিয়েছিল সিবিআই। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এই অভিযান চলে। সেই অভিযান ও বিধায়কের গ্রেফতারি ঘিরে নাটকীয় পর্ব চলে প্রায় তিনদিন ধরে। এবার জীবনকৃষ্ণের মোবাইল ঘেঁটে পাওয়া তথ্য  রিপোর্ট আকারে তদন্তকারীদের হাতে আসতে চলেছে। সেই ডেটা সামনে এলে বিপদ আরও বাড়তে পারে জীবনকৃষ্ণের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: ৩৬ নয়, চাকরি বাতিল ৩২ হাজারের! রায় সংশোধন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    Recruitment Scam: ৩৬ নয়, চাকরি বাতিল ৩২ হাজারের! রায় সংশোধন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত সপ্তাহের শুক্রবারই প্রাথমিকে ৩৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মঙ্গলবার সেই রায়ের (Recruitment Scam) সংশোধন করে নিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতির মতে, সংখ্যাটা ৩২ হাজারের কাছাকাছি হবে। সোমবার মামলাকারীদের আইনজীবী তরুণজ্যোতি তেওয়ারি বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন যে একটা টাইপে ভুল রয়েছে। মঙ্গলবার সেই আবেদনের শুনানিতে বিচারপতি নির্দেশ দেন, যে দুটি ভুলের কথা বলা হয়েছিল সেটি সংশোধন করা হবে। প্যানেলের সর্বনিম্ন নম্বর রায়ে লেখা হয়েছে ১৪.১৯১। আসলে ওটা হবে ১৩.৭৯৬। এবং দ্বিতীয় ভুলটি হল চাকরি বাতিলের সংখ্যা হবে ৩১,৭৯০, যা ভুল করে ৩৬,০০০ করা হয়েছিল।

    কেন এই মামলা?

    প্রসঙ্গত ২০১৪ সালে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ যে টেট পরীক্ষার ঘোষণা করেছিল তা সম্পন্ন হয় ২০১৫ সালের অক্টোবর মাসে। পরীক্ষার রেজাল্ট বের হয় ঠিক এক বছর পরে ২০১৬ সালে এবং ওই বছরেই প্রথম ধাপে নিয়োগ করা হয়। সেই সময়ে ৪২ হাজার ৫০০ জনের প্যানেল প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। কিন্তু ২,০০০ শিক্ষকের পদ তবুও অজানা কারণে পূরণ করেনি তারা। সেই প্যানেলে যাদের নাম রয়েছে তাদের মধ্যে অনেকেই নাকি বেনিয়মে চাকরি পেয়েছেন এমন অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দায়ের হয় মামলা। আরও ভুরি ভুরি অভিযোগ জমা পড়তে থাকে পর্ষদের অফিসে। অভিযোগ, কোনওরকম ইন্টারভিউ ছাড়াই অপ্রশিক্ষিতদের চাকরি (Recruitment Scam) দিয়েছে পর্ষদ। পরবর্তীকালে ডিএলএড বাধ্যতামূলক হলেও ২০১৪ টেটে তা বাধ্যতামূলক ছিলনা। ২০১৪ এর টেটে প্রায় ৩২ হাজারের কাছাকাছি প্যানেল বাতিলের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতির নির্দেশ, ‘‘আগামী চারমাসের মধ্যে স্বচ্ছ নিয়োগ সম্পন্ন করতে হবে, যতদিন এই প্রক্রিয়া চলবে ততদিন পার্শ্ব শিক্ষকের মতো বেতন পাবেন বাতিল এই প্যানেলের শিক্ষকরা।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ফের একবার ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ রাজ্য সরকার, এবার কোন মামলা?

    Calcutta High Court: ফের একবার ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ রাজ্য সরকার, এবার কোন মামলা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হল রাজ্য সরকার। এবার পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই (CBI) তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে। মঙ্গলবার মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি অরিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। এ সপ্তাহেই শুনানি হতে পারে এই মামলার।

    কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশ…

    গত সপ্তাহেই একবার হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য সরকার। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় যে ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন, সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য সরকার। এবার গেল পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে সিবিআই তদন্তের নির্দেশের প্রেক্ষিতে। ঘটনাচক্রে এই রায়ও দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। পরে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মামলা সরিয়ে নেওয়া হয়। শুনানি শুরু হয় বিচারপতি অমৃতা সিন্‌হার বেঞ্চে। বিচারপতি সিন্‌হাও ওই রায়ই বহাল রাখেন। যার অর্থ হল, পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত করবে সিবিআই। এবার সেই নির্দেশকেই চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গেল রাজ্য।

    ওই মামলায় (Calcutta High Court) পূর্ববর্তী নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে রাজ্যের তরফে এজি সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় বলেছিলেন, ইডির আবেদনের ভিত্তিতে পুরসভার দুর্নীতি নিয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পুরসভার মামলা ওই বিচারপতির বিচারাধীন বিষয় নয়। তবে তিনি কীভাবে এই নির্দেশ দিতে পারেন?  হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ঠিক করেন কোন বিচারপতি কোন মামলার বিচার করবেন। ওই বেঞ্চে পুরসভার মামলা নেই। তাই এই মামলা শোনার এক্তিয়ার নেই ওই বেঞ্চের।

    আরও পড়ুুন:‘হিংসায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করুন’, মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীকে নির্দেশ শাহের

    প্রসঙ্গত, নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে ধৃত প্রোমোটার অয়ন শীলকে জেরা করে চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পান তদন্তকারী আধিকারিকরা। দেখা যায়, রাজ্যের অন্তত ৫০টি পুরসভায় মোটা টাকার বিনিময়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। কোন কোন পদের জন্য কত টাকা দিতে হয়েছে, সে সংক্রান্ত একটি তালিকাও পান তাঁরা। এই কেলেঙ্কারির পান্ডাকে খুঁজে বের করার নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। এ বিষয়ে মূল মামলাকারীদের আইনজীবীর (Calcutta High Court) বক্তব্য, পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে শিক্ষা দুর্নীতি মিশে রয়েছে। কারণ, এখানে আর্থিক দুর্নীতি হয়েছে। সুবিধাভোগীর বিরুদ্ধে ২০০ কোটি টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। গত শুক্রবার এই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশই বহাল রেখেছিলেন বিচারপতি সিন্‌হা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Bolpur: অনুব্রত ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলারের ওয়ার্ডেই পুরসভার পুকুর ভরাট করে আবাসন নির্মাণ?

    Bolpur: অনুব্রত ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলারের ওয়ার্ডেই পুরসভার পুকুর ভরাট করে আবাসন নির্মাণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুব্রত মণ্ডল (Bolpur) ঘনিষ্ঠ তৃণমূল কাউন্সিলারের ওয়ার্ডে পুকুর ভরাট করার অভিযোগ ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। এই পুকুরের জমি বাংলার ভূমি অ্যাপ রেকর্ডে জলাশয় বলে চিহ্নিত রয়েছে। তা সত্ত্বেও বাস্তুতন্ত্র নষ্ট করে জেসিবি মেশিন দিয়ে মাটি-বালি ফেলে ভরাট করা হচ্ছে সেই জলাশয়। ২০২০ সাল থেকে এই মর্মে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর, মহকুমা শাসক এবং জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে। কিন্তু অভিযোগ পেয়েও নিশ্চুপ প্রশাসন।

    অভিযুক্ত ব্যক্তি অনুব্রত ঘনিষ্ঠ

    গরুপাচার মামলায় জেল হেফাজতে রয়েছেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর ঘনিষ্ঠ তৃণমূলের কাউন্সিলার ওমর শেখকে গরুপাচার মামলায় একাধিকবার ডেকে জেরা করেছে সিবিআই ও ইডি৷ অর্থাৎ, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নজরে রয়েছে বোলপুর (Bolpur) পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার। সেই ওয়ার্ডেই দীর্ঘদিনের একটি জলাশয় বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। জলাশয়টি ভরাট করে বহুতল নির্মাণ করা হবে৷ তাই দিনরাত জেসিবি মেশিন দিয়ে মাটি ফেলে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে জলাশয়টি৷ মাটি ভরাটের ফলে বর্তমানে দেখে মনেই হবে না যে এটি একটা নিত্যব্যবহার্য জলাশয় ছিল।

    ভরাটের ফলে সমস্যা

    পুরসভার (Bolpur) জলাভূমি, পুকুর ইত্যাদি বন্ধ করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ৷ এতে প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হয়, বাস্তুতন্ত্র নষ্ট হয়৷ বোলপুরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের নতুন পুকুর এলাকায় এই পুকুরটিতে এক সময় স্থানীয় মানুষজন স্নান করা, জামাকাপড় কাচা, বাসন ধোয়ার কাজ নিত্যদিন করতেন৷ এছাড়াও এলাকার বৃষ্টির অতিরিক্ত জল জমা হত এই পুকুরেই। প্রতিমা নিরঞ্জনও হত এই পুকুরে। কিন্তু এইসব কাজ এখন বন্ধ। সেটি ব্যবহার করতে না পেরে এলাকার মানুষের অভিযোগ, পুকুর ভরাট করে আবাসন নির্মাণ করে টাকা কামানোর রাস্তা করেছেন শাসকদলের নেতারা। প্রশাসন জেনেও চুপ রয়েছে।

    সাধারণ মানুষের অভিযোগ

    এলাকার বাসিন্দা (Bolpur) সমীর ভট্টাচার্য বলেন, আমি এই পুকুর ভরাট নিয়ে অভিযোগ করেছিলাম। জমির দাগ নম্বর এবং রেকর্ড অনুযায়ী এটা জলাশয়৷ তিনি আরও বলেন, অভিযোগের পর জেলাশাসক আমাকে জানিয়েছিলেন, বিষয়টি দেখবেন৷ এমনকী জেলাশাসক স্বয়ং বলেন, প্রশাসনের কোনও আধিকারিক যদি এই বিষয়ে পদক্ষেপ না নেয়, আমি যেন জানাই৷ আবার দেখছি পুকুরটি ভরাট করে দেওয়া হচ্ছে৷ ২০২০ সাল থেকে স্থানীয় বাসিন্দা তথা সিপিআইএমের প্রবীণ নেতা সমীর ভট্টাচার্য এই বিষয়ে জেলা, ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর, বোলপুর মহকুমা শাসক, জেলাশাসকের কাছে একাধিকবার লিখিত অভিযোগ করেছিলেন। কিন্তু অভিযোগের জেরে মাঝে কিছুদিন সেই কাজ বন্ধ থাকলেও ফের বহুতল নির্মাণের জন্য জেসিবি মেশিন দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে পুকুরটি। যা নিয়ে নিশ্চুপ প্রশাসন৷

    প্রশাসন এবং ঠিকাদারের প্রতিক্রিয়া

    বোলপুর (Bolpur) ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিক সঞ্জয় রায় বলেন, আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি কী হয়েছে৷ আর এই মুহূর্তে এর থেকে বেশি কিছু আর বলতে পারব না। আবার কাজের সঙ্গে যুক্ত ঠিকাদার অরূপকুমার মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি পুকুর ভরাটের অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেন৷ এখন এই সমস্যার সমাধান প্রশাসন কবে করবে, সেটাই দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share