Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Panchayat Road: হাসপাতাল যাওয়ার ৩ কিমি রাস্তা ঘুরে যেতে হচ্ছে ৮ কিমি! ক্ষোভে অবরোধ

    Panchayat Road: হাসপাতাল যাওয়ার ৩ কিমি রাস্তা ঘুরে যেতে হচ্ছে ৮ কিমি! ক্ষোভে অবরোধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ প্রায় দু-দশক ধরে বেহাল রাস্তা (Panchayat Road)। এলাকায় রয়েছে পানীয় জলের সমস্যাও। পঞ্চায়েত এবং প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েও মেলেনি সুরাহা। এলাকার বিধায়ক মন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পরেও হয়নি সমাধান। এইসব ক্ষোভ থেকেই ৮১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নং ব্লকের লক্ষণপুর ৮১ নম্বর জাতীয় সড়কে। ভোট বয়কটের ডাক দিয়ে হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন গ্রামবাসীরা।

    পথশ্রী প্রকল্পেও ভাগ্যের শিকে ছেঁড়েনি!

    জানা গিয়েছে, মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নং ব্লকের অন্তর্গত ভিঙ্গল গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে লক্ষণপুর, ঝিকোডাঙা, ডুমুরকলা, কনার, পাড়ুই সহ একাধিক গ্রামের রাস্তা (Panchayat Road) বেহাল। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরেও পাকা রাস্তা হয়নি মালদার এই গ্রামগুলিতে। লাল মাটির রাস্তা, খানাখন্দে ভরা। দীর্ঘ দুই দশক সংস্কারের অভাবে কার্যত বেহাল দশা। পারো থেকে ঝিকোডাঙা পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার রাস্তা গ্রামের মূল প্রবেশপথ।পার্শ্ববর্তী ২০ থেকে ২৫ টি গ্রামের ৫ থেকে ৬ হাজার মানুষ দৈনন্দিন যাতায়াত করে এই রাস্তা দিয়ে। যানবাহন তো বটেই, বৃষ্টি হলে মানুষের চলাচলের পক্ষেও অযোগ্য হয়ে ওঠে এই রাস্তা। হাসপাতাল যাওয়ার ৩ কিলোমিটার দূরত্বের রাস্তা ঘুরে যেতে হচ্ছে ৮ কিলোমিটার। আগুন লাগলে গ্রামে আসতে পারছে না দমকলের গাড়ি। এদিকে কিছুদিন আগেই পথশ্রী প্রকল্পের আওতায় রাজ্যের কয়েক হাজার বেহাল রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু তাতেও ভাগ্যের শিকে ছেঁড়েনি ঝিকোডাঙা গ্রামের রাস্তার। যার ফলে গ্রামবাসীরা ক্ষিপ্ত হয়ে সোমবার সকালে হরিশ্চন্দ্রপুর ৮১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। মন্ত্রীর ভূমিকায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। তিনটি দফতরের প্রতিমন্ত্রী হয়েও নাগরিক পরিষেবা থেকে কেন বঞ্চিত গ্রামবাসীরা, বিক্ষোভকারীরা এই প্রশ্নও তুলেছেন।

    শুরু রাজনৈতিক চাপানউতোর

    কংগ্রেসের দখলে পঞ্চায়েত থাকার কারণে বিমাতৃসুলভ আচরণ করছে তৃণমূল, অভিযোগ কংগ্রেস পরিচালিত ভিঙ্গল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিমানবিহারী বসাকের। আর এই ঘটনা সামনে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। মালদা উত্তরের বিজেপির সাংগঠনিক জেলা যুবমোর্চার সভাপতি অয়ন রায় বলেন, মন্ত্রীর গড়ে দাঁড়িয়ে সাধারণ মানুষ নাগরিক পরিষেবা থেকে বঞ্চিত। পঞ্চায়েত ভোটে মানুষ এদের ছুড়ে ফেলবে। যদিও বিরোধীদের অভিযোগ মানতে নারাজ তৃণমূল। মালদা জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক তথা জেলা পরিষদের সভাধিপতি রফিকুল হোসেন বলেন, পথশ্রী প্রকল্পে ভিঙ্গল গ্রাম পঞ্চায়েতের দুটি রাস্তা (Panchayat Road) ধরা হয়েছে। তবে মানুষকে নাগরিক পরিষেবা দিতে ব্যর্থ কংগ্রেস পরিচালিত ওই গ্রাম পঞ্চায়েত। পানীয় জলের সমস্যা জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে দেখা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bridge Championship: ৪ পদক ভারতের! পাকিস্তানে ব্রিজ প্রতিযোগিতায় সোনা জিতলেন বাংলার সুমিত

    Bridge Championship: ৪ পদক ভারতের! পাকিস্তানে ব্রিজ প্রতিযোগিতায় সোনা জিতলেন বাংলার সুমিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানে ব্রিজ প্রতিযোগিতায় (Bridge Championship) অংশ নিয়েছিল ৩২ সদস্যের একটি ভারতীয় দল। লাহোরে অনুষ্ঠিত হওয়া এই প্রতিযোগিতায় (Bridge Championship) একটি ক্যাটাগরিতে সোনা জিতলেন এক বাঙালি। মেট্রোরেলের কর্মী সুমিত মুখোপাধ্যায় এই কৃতিত্ব অর্জন করেছেন। প্রসঙ্গত ২০১৮ সালেও, সুমিত মুখোপাধ্যায় ব্রিজে ব্রোঞ্জ মেডেল জিতেছিলেন জাকার্তায় অনুষ্ঠিত এশিয়ান গেমসে। ২০২২ সালে ব্রিজের চতুর্থ এশিয়া কাপ প্রতিযোগিতাতেও তিনি অংশগ্রহণ করেন। জানা গেছে, সুমিত ইতিমধ্যেই অসংখ্য জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরের পদক এনেছেন ব্রিজে। লাহোরে সোনা জিতে তিনি দেশে পা রাখেন ১৪ মে। আপাতত তাঁর লক্ষ্য চলতি বছরের অগাস্টে অনুষ্ঠিত হতে চলা মরক্কো চ্যাম্পিয়নশিপ (Bridge Championship), এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। চলতি মাসের ৫ থেকে ১৩ তারিখ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত এই প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন দেশ অংশগ্রহণ করেছিল। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে চিনে অনুষ্ঠিত হবে এশিয়ান গেমস। সেখানেও যাবেন সুমিত। পাকিস্তানে সোনা জেতার পর তাঁর ওপর প্রত্যাশার চাপ অনেকটাই বেড়ে গেল বলেই মনে করছেন ক্রীড়া মহলের একাংশ। চলতি বছরে পরপর দুটি আন্তর্জাতিক স্তরের প্রতিযোগিতায় কেমন পারফরম্যান্স করেন সুমিত, সেটাই এখন দেখার।

    সুমিতের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ

    লাহোরে ব্রিজ প্রতিযোগিতায় (Bridge Championship) সোনার মেডেল জেতার পরে কলকাতা মেট্রোর তরফে সুমিতকে বিশেষ সংবর্ধনা দেওয়া হয়। ওই অনুষ্ঠানে সুমিতের হাতে বিশেষ স্মারক তুলে দেন মেট্রোরেলের জেনারেল ম্যানেজার। প্রসঙ্গত সুমিতের সঙ্গে এই দলে ছিলেন এইচসিএল-এর প্রতিষ্ঠাতা কিরণ নাদার। জানা গেছে লাহোরে পৌঁছানোর পরে ৩২ জনের এই দলকে পাকিস্তানের লাহোরে একটি পাঁচতারা হোটেলে রাখা হয়। পাকিস্তানের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অশান্ত হয়ে ওঠায় ব্রিজ দলের (Bridge Championship) জন্য বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছিল শেহবাজ সরকার। সুমিত মুখোপাধ্যায়রা ছিলেন লাহোরের পার্ক কন্টিনেন্টাল হোটেলে।

    আরও পড়ুন: মৃত সন্তানকে ব্যাগে ভরে বাড়ি ফেরার ঘটনায় শোরগোল, বাড়িতে বিজেপি ও তৃণমূল

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: ‘‘দিলীপ ঘোষের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই’’, দলিল-বিতর্কে জানালেন প্রসন্ন

    Dilip Ghosh: ‘‘দিলীপ ঘোষের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই’’, দলিল-বিতর্কে জানালেন প্রসন্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় ধৃত মিডলম্যান প্রসন্ন রায় এদিন বলেন, ‘‘বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) সঙ্গে আমার কোনও যোগাযোগ নেই, আর্থিক লেনদেনও কখনও হয়নি।’’ প্রসঙ্গত, অভিযোগ উঠেছিল প্রসন্ন রায়ের কাছ থেকে দিলীপ ঘোষের ফ্ল্যাটের দলিল উদ্ধার হয়েছে। এই অভিযোগে বারবার সরব হয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু দিলীপ ঘোষ প্রতিবারই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেছেন। সোমবার প্রসন্ন রায়ের বিবৃতির পরে তৃণমূলের তোলা অভিযোগ ব্যুমেরাং হল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

    কে এই প্রসন্ন?

    রঙের মিস্ত্রি থেকে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি করেছিলেন নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত প্রসন্ন। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আত্মীয় বলেই পরিচিত তিনি। সিবিআই সূত্রে খবর, মাত্র পাঁচ বছরেই এক হাজার চৌঁত্রিশ কাঠা জমির মালিক হন তিনি। ২০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ করেন তাঁর বিভিন্ন ব্যবসায়। শুরু করেন হোটেল ব্যবসাও। কোথা থেকে তাঁর কাছে এত টাকা এল তা খতিয়ে দেখতে গিয়েই দুর্নীতি ধরা পড়ে। প্রথমে নবম দশমের দুর্নীতি পরে গ্রুপ ডি দুর্নীতিতে নাম জড়ায় প্রসন্নর।

    কী বললেন প্রসন্ন রায়?

    ধৃত প্রসন্ন রায়কে এদিন আলিপুরে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে তোলা হয়। গ্রুপ-ডি কর্মী নিয়োগের দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত প্রসন্ন দলিল প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘ওটি আসল দলিল নয়, দলিলের প্রতিলিপি বা সার্টিফায়েড কপি। দিলীপ ঘোষের সঙ্গে আমার কোন যোগাযোগ নেই, কোনও আর্থিক লেনদেনও কখনো হয়নি।’’ তবে দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) ফ্ল্যাটের দলিল তাঁর কাছে এল কীভাবে? প্রসন্নর উত্তর, ‘‘দিলীপবাবু তাঁর নিজের ফ্ল্যাটের বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য দলিলের কপি একটি বেসরকারি সংস্থাকে দিয়েছিলেন। আমি ওই দলিল পেয়েছি সেই সংস্থার কাছ থেকে।’’ নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যে প্রসন্ন ২৫৮ দিন জেল খেটেছেন। এরপর গ্রুপ ডি মামলায় সিবিআই তাঁকে ৪ দিনের হেফাজতে নিয়েছিল, এদিন আলিপুরের সিবিআই বিশেষ আদালত প্রসন্নকে ২৫ মে পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে।

    এ প্রসঙ্গে কী বললেন দিলীপ ঘোষ?

    ঝাড়গ্রামে দলীয় কর্মসূচিতে এদিন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, ‘‘ব্যাঙ্কের টাকায় ফ্ল্যাট কিনেছি, ব্যাঙ্কের কাছে আসল দলিল আছে। যে ভদ্রলোক ওই ফ্ল্যাটের মালিক ছিলেন মিটারে তাঁর নাম পরিবর্তন করতে হতো, তাই আমি তার একটা ফটোকপি প্রসন্ন রায়ের কাছে পাঠিয়েছিলাম, শুধু এটুকুই। আমি ওকে চিনি না জানি না।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Diploma Doctors: ডিপ্লোমা ডাক্তার নয়! মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাবে সায় নেই রাজ্যের তৈরি বিশেষজ্ঞ কমিটিরই

    Diploma Doctors: ডিপ্লোমা ডাক্তার নয়! মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাবে সায় নেই রাজ্যের তৈরি বিশেষজ্ঞ কমিটিরই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিন বছরের প্রশিক্ষণে ডিপ্লোমা ডাক্তার (Diploma Doctors) নয়, চিকিৎসা ব্যবস্থার সহায়ক তৈরি করা যেতে পারে। এমনই মত রাজ্যের তৈরি বিশেষজ্ঞ কমিটির। তিন বছরের প্রশিক্ষণে ডিপ্লোমা ডাক্তার তৈরি করা যায় কি না, তা স্বাস্থ্য দফতরকে দেখতে বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই লক্ষ্যে ১৫ জনের বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়। সোমবার স্বাস্থ্যভবনে রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম ওই বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্যদের সঙ্গে একটি বৈঠকে বসেছিলেন। তারপরই সেই কমিটি জানায়, তিন বছরের প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের সরাসরি চিকিৎসক (Diploma Doctors) হিসাবে চিহ্নিত করা ঠিক হবে না। বরং প্রান্তিক স্তরে রাজ্যের চিকিৎসা পরিষেবাকে আরও বেশি করে পৌঁছে দিতে তৈরি করা হোক স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সহায়ক।

    মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাব

    মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি নবান্নের এক বৈঠকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মতো ডাক্তারিতেও ডিপ্লোমা কোর্স (Diploma in Medical) চালু করা যায় কি না, সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য। মুখ্যমন্ত্রীর সেই প্রস্তাবের পর স্বাস্থ্যভবনের (Swastha Bhawan) তরফে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটিও গঠন করা হয়েছিল। সব দিক খতিয়ে দেখে এক মাসের মধ্যে ওই বিশেষজ্ঞ কমিটির একটি রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা। সোমবার বিশেষজ্ঞ কমিটির প্রথম বৈঠকের পর স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম বলেন, ‘চিকিৎসক সুকুমার মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে যে কমিটি গঠিত হয়েছে, সেই কমিটির সঙ্গে আজ বিশদে আলোচনা হয়েছে। আলোচনায় অনেক বিষয় উঠে এসেছে। তাঁদের বলা হয়েছে, প্রস্তাবগুলি লিখিত আকারে জমা দেওয়ার জন্য এবং পরবর্তী বৈঠকে সেগুলি নিয়ে আলোচনা হবে।’

    আরও পড়ুন: মৃত সন্তানকে ব্যাগে ভরে বাড়ি ফেরার ঘটনায় শোরগোল, বাড়িতে বিজেপি ও তৃণমূল

    স্বাস্থ্যভবন সূত্রে খবর, ‘ডিপ্লোমা ডাক্তারে’ (Diploma Doctors) সায় নেই কারুরই। বৈঠকের পর সব পক্ষের মত, ৩ বছরের ডিগ্রি কোর্সে ডাক্তার তৈরি করা সম্ভব নয়। ৩ বছরের কোর্সে চিকিৎসকের সহায়ক তৈরি করা যেতে পারে। তবে তাঁরা কোনও ওষুধ প্রেসক্রাইব করতে পারবেন না। পাশাপাশি প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকায় প্রাথমিক চিকিৎসায় সহায়তা করতে পারবেন। কিন্তু রাজ্যে গ্রামাঞ্চলে স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার জন্য অভিজ্ঞ নার্স, আয়ুষ চিকিৎসক, গ্রামীণ স্বাস্থ্য সহায়কেরা রয়েছেন। তাঁদেরই আরও উন্নত কোনও প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, না কি নতুন পদ তৈরি করা হবে— তা নিয়ে এ দিন কমিটির সদস্যেরা আলোচনা করেন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ‘‘কেন পদক্ষেপ করা হল না?’’ অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ প্রসঙ্গে সিবিআইকে প্রশ্ন আদালতের

    Calcutta High Court: ‘‘কেন পদক্ষেপ করা হল না?’’ অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ প্রসঙ্গে সিবিআইকে প্রশ্ন আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের রক্ষাকবচ নেই। কুন্তল ঘোষের চিঠিকাণ্ডে তা-ও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদের ব্যাপারে কেন পদক্ষেপ করা হলো না? প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জেলবন্দি কুন্তল ঘোষের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে অভিষেককে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের যে নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় দিয়েছিলেন, তার উপর এই মুহূর্তে দেশের শীর্ষ আদালতের কোনও স্থগিতাদেশ নেই। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে উচ্চ আদালতে সেই মামলার এজলাস বদল হলেও তদন্তের কাজে কোনও স্থগিতাদেশ ছিল না। তারপর এত দিন কেটে গেলেও কেন তদন্তে অগ্রগতি হল না, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দিকে এই প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিন্‌হা।

    সওয়াল-জবাব

    বিচারপতি সিন্‌হা দুই কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি ও সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে জানতে চান, ২৮ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরেও কেন কোনও পদক্ষেপ করেনি দুই তদন্তকারী সংস্থা। আদালতের প্রশ্নের জবাবে সিবিআই কৌঁসুলি বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মামলার এজলাস বদল সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করছিলাম।’ বিচারপতি সিন্‌হা পাল্টা প্রশ্ন করেন, ‘এজলাস বদলের সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদের কী সম্পর্ক?’ যদিও তার কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি সিবিআই। তবে কেন্দ্রীয় সংস্থা এদিন একটি স্টেটাস রিপোর্ট জমা দেয় আদালতে।

    আরও পড়ুন: মৃত সন্তানকে ব্যাগে ভরে বাড়ি ফেরার ঘটনায় শোরগোল, বাড়িতে বিজেপি ও তৃণমূল

    এই মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে বিচারপতি সিন্‌হার এজলাসে অভিষেকের তরফে ইতিমধ্যেই আবেদন করা হয়েছে। এদিনের শুনানিতে সওয়াল জবাবের সময় অভিষেকের আইনজীবী সপ্তাংশু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বক্তব্য না শুনে কোথাও নাম না দেখে কীভাবে অভিষেকের বিরুদ্ধে রায়? স্পষ্ট কোনও কারণ ছাড়া কেন ডেকে পাঠানো হবে? আদালতের কি আদৌ ক্ষমতা আছে?” মঙ্গলবার এই মামলায় সওয়াল করবে ইডি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: এলাকায় দাপিয়ে বেড়াল নীলগাই! কোথায় জানেন?

    Malda: এলাকায় দাপিয়ে বেড়াল নীলগাই! কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ মাঠের মধ্যে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে নীলগাই। নিজেদের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না মালদহের (Malda) ডাকাতপুকুর এলাকার বাসিন্দারা। খবর জানাজানি হতেই এলাকার মানুষ ভিড় করেন। ততক্ষণে সে জঙ্গলের ভিতরে ঢুকে পড়েছে। শুধু ডাকাতপুকুর নয় বামনগোলা, কসবা, মহিশাল থেকে পারহবিনগর সহ আশপাশের এলাকায় দাপিয়ে বেড়ায় নীলগাই। আর দিনভর এই নীলগাইকে নিয়ে মজেছিলেন এলাকার বাসিন্দারা। অনেকে কাছে গিয়ে তাকে ধরার চেষ্টা করলেন। কিন্তু, তার নাগাল পেলেন না কেউই। মাস দুয়েক আগেও এই জেলার (Malda) ইংরেজবাজার ব্লকের যদুপুর-২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের আমজামতলা গ্রামেও দেখা মিলেছিল নীলগাইয়ের। এছাড়া  গত বছর মে মাস নাগাদ মালদহের হরিশচন্দ্রপুরের কনকনিয়া এলাকায় নীলগাই দেখতে পেয়েছিলেন এলাকাবাসী। সাধারণত উত্তরপ্রদেশ এবং মহারাষ্ট্রের জঙ্গলে নীলগাই সব থেকে বেশি দেখা যায়। মালদহের আদিনা ডেয়ার পার্কেও নীলগাই রয়েছে। ফলে, বহু আগে থেকে নীল গাইয়ের সঙ্গে এই জেলার মানুষ পরিচিত। তবে, এত কাছে এভাবে নীলগাই চলে আসবে তা গ্রামের বাসিন্দারা কেউ ভাবতেও পারেননি।

    কোথায় থেকে এসেছে নীল গাইটি?

    মাস দুয়েক আগে মালদহের (Malda) ইংরেজবাজার এলাকায় যে নীলগাইয়ের দেখা মিলেছিল, সেটি বাংলাদেশ থেকে এসেছিল। কারণ, গ্রামের ধার দিয়ে মহানন্দা নদী বয়ে গিয়েছে। নদীর ওপারেই বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ এলাকা। বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া ওই এলাকায় বিশাল ঘন জঙ্গল রয়েছে। সেখানে নীল গাই থাকতে পারে। গরম পড়তেই মহানন্দা নদীতে এখন হাঁটু সমান জল। সেই জল পেরিয়ে নীলগাই এসেছিল। তবে, এদিন যে নীলগাই এলাকায় দেখা গিয়েছে তা বিহার থেকে এসেছে বলে বন দফতরের আধিকারিকরা মনে করছেন। স্থানীয় বাসিন্দা হরিপদ মাহাত বলেন, প্রথমে ঘোড়া ভেবে এলাকার মানুষ ভুল করেছিল। পরে, বন দফতরের আধিকারিকরা জানান, সেটি নীলগাই। এলাকার মানুষের ভিড় উপচে পড়ে। পাশেই গাঙ্গু নদী রয়েছে। এই এলাকায় এর আগে নীলগাইয়ের দেখা মেলেনি।   

    বন দফতরের পক্ষ থেকে কী উদ্যোগ নেওয়া হল?

    গ্রামবাসীদের কাছ থেকে জানার পরই মালদহ (Malda) জেলা বন দফতরের পক্ষ থেকে নীলগাইয়ের খোঁজে তল্লাশি চালানো হয়। ঘুমপাড়ানির বন্দুক নিয়ে ডাকাতপুকুর, মহিশাল সহ আশপাশের এলাকা চষে বেড়ান। কিন্তু, বাস্তবে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। নীলগাইয়ের হদিশ মেলেনি। বন দফতরের এক আধিকারিক বলেন, নীলগাইয়ের হদিশ মিললেই তাকে আদিনা ফরেস্টে রাখা হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Storm: ঝড়ে লন্ডভন্ড কলকাতা, বিঘ্ন ট্রেন চলাচলে, বিপাকে যাত্রীরা

    Storm: ঝড়ে লন্ডভন্ড কলকাতা, বিঘ্ন ট্রেন চলাচলে, বিপাকে যাত্রীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঝড়ে (Storm) লন্ডভন্ড কলকাতা (Calcutta) সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলা। কলকাতায় ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৮৪ কিলোমিটার। ঝড়ের দাপটে গাছের ডাল ভেঙে পড়ে জখম হয়েছেন একজন। মা উড়ালপুলের ওপর পড়ে গিয়েছে ল্যাম্পপোস্ট। শহরের বিভিন্ন জায়গায় ভেঙে পড়েছে গাছ। ব্যাহত যান চলাচল। শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় ব্যাহত ট্রেন চলাচল। বিপাকে অফিস ফেরত নিত্যযাত্রীরা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসকের দফতরে একটি গাড়ির ওপর গাছ ভেঙে পড়ে জখম হয়েছেন গাড়ির চালক সহ দুজন। একজনকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে হাসপাতালে। ভিক্টোরিয়া ও রেড রোডের মাঝেও এক জায়গায় ভেঙে পড়েছে গাছ। ঘটনার জেরে কিছুক্ষণের জন্য ওই রাস্তায় বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল।

    ঝড়ের (Storm) গতি…

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, সোমবার সন্ধ্যায় উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে প্রবাহিত হয়েছে ঝোড়ো (Storm) হাওয়া। টানা তিন মিনিট ছিল সেই ঝড়। গতি ছিল ঘণ্টায় ৮৪ কিলোমিটার। দমদমে সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ প্রায় ১ মিনিট ধরে ঝড় হয়। গতি ছিল ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার। ঝোড়ো হাওয়ার কারণে পার্কস্ট্রিট-রডন স্ট্রিট ক্রসিংয়ে গাছের ডাল ভেঙে পড়েছে। একই ঘটনা ঘটেছে রেড রোড, ময়দানেও সাউথ সিটি মলের সামনে ভেঙে পড়েছে ট্রাফিক সিগন্যাল। ঝড়-বৃষ্টি হয়েছে হাওড়া, হুগলি, নদিয়া, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগনা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকায়।

    ঝড়ে হাওড়া-বর্ধমান মেইন শাখায় ওভার হেড তারের ওপর উড়ে গিয়ে পড়ে ফ্লেক্স। তার জেরে বন্ধ ট্রেন চলাচল। আপ আরামবাগ লোকাল দাঁড়িয়ে পড়েছে হিন্দমোটর ও কোন্নগর স্টেশনের মাঝে। হাওড়া থেকে ৫টা ১০ মিনিটে ছাড়ার পরে সাড়ে ৫টা নাগাদ হিন্দমোটর স্টেশন ছাড়ে আরামবাগ লোকাল। সমস্যায় পড়েন যাত্রীরা। ট্রেনে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করার পর রেললাইন ধরেই হাঁটতে থাকেন বহু যাত্রী। রেল সূত্রে খবর, সেখানে আপ লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকলেও, রিভার্স লাইন দিয়ে আপের ট্রেন চলছে।

    আরও পড়ুুন: বজরং দল নিয়ে বিরূপ মন্তব্য, খাড়্গের বিরুদ্ধে ১০০ কোটির মানহানি মামলা

    ডায়মন্ড হারবার-শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার ডায়মন্ড হারবার লাইনে নেতড়া ও দেউলা স্টেশনের মাঝে ওভারহেডে ভেঙে পড়ে গাছের (Storm) ডাল। তার জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে ডায়মন্ড হারবার লাইনে ট্রেন চলাচল। ওভারহেড তারের ওপর গাছ পড়ে যাওয়ায় বিভিন্ন স্টেশনে দাঁড়িয়ে রয়েছে ট্রেন। লক্ষ্মীকান্তপুর আপ ও ডাউন লাইনে বন্ধ ট্রেন চলাচল। দিঘা-হাওড়া রেল লাইনের ভোগপুর রেল স্টেশন লাগোয়া এলাকায় ওভারহেড তারের ওপর গাছ ভেঙে পড়ায় আপ-ডাউন লোকাল এবং এক্সপ্রেস চলাচল বন্ধ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • Primary Education: জেলার প্রাথমিক স্কুলগুলিতে শিক্ষক বদলির সিদ্ধান্ত পর্ষদের! কী বলা হল নির্দেশে?

    Primary Education: জেলার প্রাথমিক স্কুলগুলিতে শিক্ষক বদলির সিদ্ধান্ত পর্ষদের! কী বলা হল নির্দেশে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলার প্রাথমিক স্কুলগুলিতে শিক্ষকদের বদলির সিদ্ধান্ত নিল পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ডেপুটি সেক্রেটারি বিভিন্ন জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যানদের চিঠি দিয়েছেন। সেই চিঠিতেই বিভিন্ন জেলায় জেলায় প্রাথমিক স্কুলগুলিতে শিক্ষক ও ছাত্র অনুপাত বজায় রাখার জন্য বদলির প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গত ১০ মে প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলি সংক্রান্ত বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ডগুলিকে ওই নির্দেশ পাঠানো হয়েছে।

    ছাত্র ও শিক্ষক অনুপাতে সামঞ্জস্য

    প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়েছে একাধিক স্কুলগুলিতে ছাত্র ও শিক্ষক অনুপাতে সামঞ্জস্য নেই। কোন কোন জেলায় কোন কোন স্কুলে অনুপাতে সামঞ্জস্যতা নেই তা ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করেছে পর্ষদ। সেই তালিকা ও বিভিন্ন জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যানদের পাঠিয়েছে পর্ষদ। সেই তালিকা দেখেই বিভিন্ন জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যানদের বদলির প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: মৃত সন্তানকে ব্যাগে ভরে বাড়ি ফিরলেন গরিব বাবা! এটাই কি এগিয়ে বাংলার মডেল? কটাক্ষ শুভেন্দুর

    প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলির সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে পর্ষদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে নিতে হবে বলে জানানো হয়েছে। সবার আগে বদলির তালিকা পর্ষদের দফতরে পাঠাতে হবে। পর্ষদ সেই তালিকায় সায় দিলেই তা কার্যকর করতে পারবে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ড। এ ক্ষেত্রে এক জন শিক্ষককে তিনি যে জেলায় শিক্ষকতা করছেন, তাঁকে সেই জেলারই অন্য কোনও স্কুলে বদলি করতে হবে। ইতিমধ্যেই মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে স্কুলগুলিতে বদলি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যদিও কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এই ছাত্র ও শিক্ষক অনুপাত বজায় রাখতে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বদলি প্রক্রিয়া করছে স্কুল শিক্ষা দফতর। একই পথে হেঁটে প্রাথমিক স্কুলগুলিতেও ছাত্র-শিক্ষক অনুপাতে বজায় রাখতে চায় পর্ষদ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mamata Banerjee: ‘‘৩৬ হাজার চাকরি বাতিল হল ডিএ আন্দোলনের জন্য’’! এ কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?

    Mamata Banerjee: ‘‘৩৬ হাজার চাকরি বাতিল হল ডিএ আন্দোলনের জন্য’’! এ কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের মামলায় গত সপ্তাহে বড় নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। প্রাথমিকের প্রশিক্ষণবিহীন ৩৬ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিন মাসের মধ্যে নতুন নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি৷ আদালতের এই সিদ্ধান্তে রাজ্য সরকার যে চরম বিপাকে পড়েছে, তা বলাই বাহুল্য। 

    দুর্নীতির জালে রাজ্যের বর্তমান শাসক দল এতটাই আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে পড়েছে যে, এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারছে না। একের পর এক দুর্নীতির জেরে ভুরি ভুরি সিবিআই-ইডি তদন্তের নির্দেশ দিচ্ছে আদালত। যা নিয়ে ক্রমাগত আক্রমণ ধেয়ে আসছে বিরোধী শিবির থেকে। তার ওপর দোসর হয়েছে ডিএ আন্দোলন! বকেয়া ডিএ-র দাবিতে, বেশ কিছুদিন ধরেই আন্দোলন করছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। রাজ্য প্রশাসন ও রাজ্য সরকারি কর্মীদের মধ্যে এই সংঘাত গড়িয়েছে আদালত পর্যন্তও। সম্প্রতি, হাইকোর্টের অনুমতিতে মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) পাড়ায় বিশাল মিছিল করেছেন ডিএ আন্দোলনকারীরা। এই নিয়েও সরকারের বিড়ম্বনা যারপরনাই বেড়েছে। 

    আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ায় গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীদের হ্যারিকেন মিছিলের অনুমতি হাইকোর্টের

    এই পরিস্থিতিতে, সোমবার, ডিএ আন্দোলনকে তীব্র আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী(Mamata Banerjee)। আর তা করতে গিয়ে যা দাবি করলেন, তা শুনে অনেকের চোখ কপালে উঠেছে। এদিন নবান্ন সভাঘরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, এই ৩৬ হাজার চাকরি যে বাতিল হল, তার জন্য দায়ী ডিএ আন্দোলন! মমতা বলেন, “যাঁরা ডিএ নিয়ে চিৎকার করে, ৩ শতাংশ ডিএ এবছরও পেয়েছে। প্রতিদিন গিয়ে গিয়ে মিছিল করছে। আর তাঁদের জন্যই ৩৬ হাজার ছেলেমেয়ের চাকরি চলে গেল।’’ বিরোধীদের প্রশ্ন, দুর্নীতির জন্য চাকরি হারাল, সেখানে ডিএ আন্দোলন দায়ী হল কী করে? তাঁদের কটাক্ষ, মুখ্যমন্ত্রীর এহেন কথা থেকেই স্পষ্ট, দুর্নীতির গেরোয় তিনি যুক্তি হারিয়ে ফেলেছেন।

    এখানেই থেমে থাকেননি মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। তিনি আরও দাবি করেন, ডিএ আবশ্যিক নয়, এটা অপশন। মমতা বলেন, ‘‘ডিএ বাধ্যতামূলক নয়, ঐচ্ছিক। সরকার সামর্থ মতো ডিএ দেবে।’’ অথচ, অতীতে একাধিকবার রাজ্যকে হাইকোর্ট স্মরণ করিয়ে দিয়েছে যে, ডিএ কর্মীদের অধিকার। এই ডিএ-সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে আগে হাইকোর্ট তার স্পষ্ট রায়ে জানিয়েছে— ডিএ বা মহার্ঘ ভাতা ‘সরকারের দয়ার দান’ নয়, কর্মীদের আইনি অধিকার। এই ভাতা রাজ্য সরকারি কর্মীদের প্রাপ্য।

    যা শুনে বিরোধীদের কটাক্ষ, ক্রমশ পায়ের তলার জমি যে সরে যাচ্ছে, তা ভালোমতোই টের পাচ্ছেন মমতা।

  • Kaliyaganj: মৃত সন্তানকে ব্যাগে ভরে বাড়ি ফিরলেন গরিব বাবা! এটাই কি এগিয়ে বাংলার মডেল? কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Kaliyaganj: মৃত সন্তানকে ব্যাগে ভরে বাড়ি ফিরলেন গরিব বাবা! এটাই কি এগিয়ে বাংলার মডেল? কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের অমানবিকতার ছবি! বেসরকারি অ্যাম্বুল্যান্সের দাবি মতো টাকার জোগাড় করতে না পেরে, মৃত সন্তানকে ব্যাগে ভরে বাড়ি ফিরলেন কালিয়াগঞ্জের বাসিন্দা। ঘটনায় রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার গাফিলতির দিকেই অভিযোগের আঙুল তুললেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এটাই কি এগিয়ে বাংলার মডেল? কটাক্ষে ভরা প্রশ্ন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর।

    অমানবিকতার ছবি

    কালিয়াগঞ্জ ব্লকের মুস্তাফানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ডাঙিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা অসীম দেবশর্মার যমজ সন্তান অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। তাদের উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছিলেন পেশায় দিনমজুর অসীম। দু’জনেরই বয়স ৫ মাস। তাদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়। তবে সন্তানের মৃতদেহ বাড়িতে ফিরিয়ে আনতে অ্যাম্বুল্যান্স চালক অসীমের কাছ থেকে আট হাজার টাকা চান। তত টাকা অবশ্য ছিল না অসীমের কাছে। বাধ্য হয়ে ব্যাগে করে শিশুর মৃতদেহ নিয়ে বাসে চেপে গ্রামে আসেন অসীম। পরে তিনি কালিয়াগঞ্জে ফিরে এলে গোটা বিষয়টি জানাজানি হয়। তিনি বলেন, ‘সন্তানদের চিকিৎসা করাতে গিয়েই ১৬ হাজার টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে। অ্যাম্বুলেন্স আট হাজার টাকা চেয়েছিল। সেকারণে বাসে করেই মৃত সন্তানকে নিয়ে বাড়ি ফিরেছি।’ এদিকে ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর কালিয়াগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড থেকে ডাঙিপাড়া গ্রাম পর্যন্ত একটি অ্যাম্বুলেন্স ঠিক করে দেন কালিয়াগঞ্জের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলার গৌরাঙ্গ দাস।

    আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ায় গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীদের হ্যারিকেন মিছিলের অনুমতি হাইকোর্টের

    শুভেন্দুর ট্যুইট

    উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ থেকে শিশুর দেহ ব্যাগে পুরে বাবার কালিয়াগঞ্জের বাড়িতে ফেরার ঘটনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। ট্যুইটে রাজ্য সরকারকে নিশানা করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতা ট্যুইটারে লিখেছেন, অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়ার টাকা না থাকায় একজন বাবাকে তাঁর ৫ মাসের শিশুসন্তানের মৃতদেহ ব্যাগে করে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ থেকে কালিয়াগঞ্জে নিয়ে যেতে হল। কীসের জন্য স্বাস্থ্যসাথী? দুর্ভাগ্যবশত এটাই এগিয়ে বাংলা মডেল। এটাই রাজ্যের বাস্তব ছবি। প্রসঙ্গত, কালিয়াগঞ্জ স্টেট জেনারেল হাসপাতাল, রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হয়ে শিলিগুড়ির মেডিক্যাল কলেজ। প্রায় একসপ্তাহ ধরে শিশুর চিকিৎসায় ১৬ হাজার টাকা খরচ করে ফেলেছেন বাবা। তাহলে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের ব্যবহার কোথায়, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

    সুকান্তর তোপ

    এই ঘটনা প্রসঙ্গে ট্যুইট করে সুকান্ত মজুমদার লেখেন, “এই হতদরিদ্র ব্যক্তি নিজের সন্তানের মৃতদেহ বাড়ি ফিরিয়ে আনার জন্য কোনও অ্যাম্বুলেন্স খুঁজে পাননি। এই আবহে তাঁকেই তাঁর সন্তানকে বয়ে নিয়ে আসতে হয়। এই হল পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অবস্থা। এই ঘটনাটি উত্তর দিনাজপুর জেলার। দুঃখজনক হলেও পশ্চিমবঙ্গের সব জেলায় এটাই বাস্তব। রাজ্যের প্রশাসনই যখন অমানবিক, তখন অমানবিক ছবি তো ধরা পড়বেই।”

    কালিয়াগঞ্জ পুরসভার বিজেপি নেতা ও কাউন্সিলার গৌরাঙ্গ দাস বলছেন, গরিব মানুষের কাছে টাকা না থাকলে এই সরকারের আমলে এই হাল হবে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share