Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • BJP Rally: স্বাস্থ্যভবন অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার, টেনে হিঁচড়ে বিজেপি কর্মীদের প্রিজন ভ্যানে তুলল পুলিশ

    BJP Rally: স্বাস্থ্যভবন অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার, টেনে হিঁচড়ে বিজেপি কর্মীদের প্রিজন ভ্যানে তুলল পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে বাড়ছে অ্যাডিনো আতঙ্ক। বাড়ছে শিশু মৃত্যুর সংখ্যা। টনক নড়ছে না রাজ্য সরকারের (BJP Rally)। রাজ্যে শিশু মৃত্যু মিছিল থামাতে ব্যর্থ রাজ্য সরকার, এই অভিযোগে শুক্রবার স্বাস্থ্যভবন অভিযান করে বিজেপি। দুপুরে সল্টলেকের করুণাময়ী মোড়ে বিজেপি কর্মীরা জমায়েত করেন। বিজেপি কর্মীদের প্রতিবাদ মিছিলকে গায়ের জোড়ে থামাল পুলিশ। বিজেপি কর্মীদের দাবি, পুলিশ জোর করে তাদের থামিয়ে দেয়। টেনে হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলার অভিযোগও ওঠে। প্রতিবাদ মিছিলে সামিল হয়েছিলেন বিজেপি মহিলা মোর্চার কর্মীরাও। তাঁদেরও জোর করে বেসরকারি বাসে তোলা হয়। সল্টলেক করুণাময়ী মোড়ে বিজেপি-পুলিশে বচসাও হয়।

    শুক্রবার কোলে প্রতীকী শিশু নিয়ে মিছিলে নেতৃত্ব দেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। তাঁর দাবি, পশ্চিমবঙ্গে একের পর এক শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে, তা সত্ত্বেও স্বাস্থ্য দফতর উদাসীন (BJP Rally)। আইসিইউ-র সঠিক পরিকাঠামো নেই বলেও অভিযোগ তুলেছেন তিনি।

    অগ্নিমিত্রার আরও বলেন, রাজ্য সরকারে হাতে শুধু পুলিশ আছে। সেই পুলিশকে দিয়ে গ্রেফতার করিয়ে বিরোধীদের মুখ বন্ধ করার চেষ্টা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি (BJP Rally)। অভিযান ঠিক স্বাস্থ্য ভবনের সামনে পৌঁছতেই বাধা দেয় পুলিশ। টেনে হিঁচড়ে বিজেপি কর্মী ও সমর্থকদের প্রিজন ভ্যানে তোলার চেষ্টা হয়। মহিলা কর্মীদের ঠেলে ফেলে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশের বিরুদ্ধে।

    অগ্নিমিত্রা পালের সঙ্গেও ধস্তাধস্তি হয় পুলিশের। মাটিতে বসে বিক্ষোভ খাতে দেখা যায় তাঁকে। তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোভিডের সময়ও কোমর্বিডিটির কথা বলেছিলেন। এবারও একই কথা বলছেন। অ্যাডিনো ভাইরাসে শিশু মৃত্যু হচ্ছে। এই অবস্থায় কেন উনি কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছেন না?’     

    আজ অ্যাডিনো ভাইরাস প্রাণ কেড়েছে আরও এক শিশুর। বিসি রায় হাসপাতালে সেই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে রাত থেকে দুপুর পর্যন্ত বিসি রায় হাসপাতালে ৪ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বেসরকারি মতে, এখন অবধি ১৩৬ জন শিশুর মৃত্যুর হয়েছে। অ্যাডিনো আতঙ্কে কাঁপছেন শিশুর বাবা- মায়েরা।

    আরও পড়ুন: আরও ১১ দিন ইডি হেফাজতে অনুব্রত, এবার দিল্লিতে তলব কন্যা সহ ১২ জনকে 

    গতকাল রাত থেকে, আজ ভোর ৬টার মধ্যে বিসি রায় শিশু হাসপাতালে ৩ শিশুর মৃত্য়ুর খবর এসেছে (BJP Rally)। ফের আরও একটি মৃত্যুর খবর এল। বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ৪৫-এ বিসি রায় হাসপাতালে মৃত্যু হয় চুঁচুড়ার বাসিন্দা, ১১ মাসের শিশুপুত্রের। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, শিশুর জ্বর ও সর্দিকাশির মতো উপসর্গ ছিল। এরপর রাত আড়াইটে নাগাদ মৃত্যু হয় বনগাঁর বাসিন্দা, দেড় বছরের আরও এক শিশুর। আজ ভোর রাতে মৃত্যু হয় উত্তর ২৪ পরগনার ঠাকুরনগরের ২ বছরের শিশুর। হাসপাতাল সূত্রে খবর, দুই শিশুরই জ্বর ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা  ছিল। 

    অ্যাডিনো-আতঙ্কের আবহে দিনকয়েক আগে নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠকে হাসপাতালগুলিকে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী (BJP Rally)। কিন্তু তারপরও সরকারি হাসপাতালের অবস্থা এতটুকুও পাল্টায়নি বলে অভিযোগ উঠছে। প্রতিদিন বাড়ছে শিশু মৃত্যুর সংখ্যা। তার সঙ্গেই অভিযোগ উঠছে পরিষেবা নিয়েও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • Justice Abhijit Ganguly: গ্রুপ সি-তে সুুপারিশ ছাড়াই চাকরি! বিচারপতির নির্দেশে তালিকা প্রকাশ এসএসসি-র

    Justice Abhijit Ganguly: গ্রুপ সি-তে সুুপারিশ ছাড়াই চাকরি! বিচারপতির নির্দেশে তালিকা প্রকাশ এসএসসি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রুপ সি-তে সুপারিশপত্র ছাড়াই চাকরি দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল। এরপরেই শুক্রবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly ) নির্দেশ দেন ২ ঘণ্টার মধ্যে সেই তালিকা প্রকাশ করতে হবে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে (SSC)। সেই নির্দেশের ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই ৫৭ জনের তালিকা প্রকাশ করল এসএসসি।

    কী ঘটেছিল?

    জানা গিয়েছে, স্কুল সার্ভিস কমিশনের সুপারিশ পত্র ছাড়াই গ্রুপ সি তে চাকরি করছেন ৫৭ জন! এ কথা জেনেই বিস্ময় প্রকাশ করেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly )। এর পরেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রশ্ন,  “এই ৫৭ জন কী করে চাকরি পেল? এদের সুপারিশপত্র কে দিয়েছে? শান্তিপ্রসাদ সিনহা?” এর পরেই বিচারপতি নির্দেশ দেন, বিকাল ৩ টা ১৫ মিনিটের মধ্যে ওয়েবসাইটে এই ৫৭ জনের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। আর সেই মত সময়ের অনেক আগেই এসএসসি প্রকাশ করে তালিকা।

    ওই ৫৭ জন কারা, তাঁদের নাম কী, রোল নম্বর কী ছিল। এখন তাঁরা কোন স্কুলে কর্মরত রয়েছেন। তার পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এসএসসি-র ওয়েবসাইটে ওই তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ওই ৫৭ জনের কাছে কমিশনের সুপারিশপত্র নেই। কিন্তু নিয়োগপত্র রয়েছে।

    আরও পড়ুন:১২ মার্চ পানিপথে বসছে আরএসএস-এর প্রতিনিধি বৈঠক! কী কী আলোচনা হবে?

    প্রসঙ্গত, উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের ক্ষেত্রে চাকরির জন্য সুপারিশ দেয় কমিশন। তার ভিত্তিতেই নিয়োগ করা হয়। শিক্ষক থেকে শিক্ষাকর্মী সব নিয়োগের ক্ষেত্রেই লাগে কমিশনের সুপারিশ। অভিযোগ, ২০১৬ সালের গ্রুপ সি পদে নিয়োগে আরএসএসটি চাকরিপ্রার্থীদের সুপারিশপত্র দেওয়া হয়নি। ফলে এবারে তাদের তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়।

    ৫৭ জনের চাকরির ভবিষ্যৎ কী?

    সূত্রের খবর, তালিকা প্রকাশ হওয়ার পরই এই মামলার ফের শুনানি হবে। আজ এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আজই দুপুর সাড়ে তিনটের পর। তারপরেই বোঝা যাবে এই ৫৭ জনের চাকরি থাকবে নাকি বাতিলের নির্দেশ দেবেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Sukanya Mondal: আরও ১১ দিন ইডি হেফাজতে অনুব্রত, এবার দিল্লিতে তলব কন্যা সহ ১২ জনকে

    Sukanya Mondal: আরও ১১ দিন ইডি হেফাজতে অনুব্রত, এবার দিল্লিতে তলব কন্যা সহ ১২ জনকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূম তৃণমূলের জেলাসভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে দিল্লি উড়ে গিয়েছেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের গোয়েন্দারা। এবার অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা মণ্ডলকেও (Sukanya Mondal) দিল্লিতে তলব করেছে ইডি। তলব করা হয়েছে সুকন্যা ছাড়াও আরও ১১ জনকে। তাহলে কী এবার বাবা-মেয়েকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরিকল্পনা করেছেন গোয়েন্দারা। ইডি কোর্টে জানিয়েছে, অনুব্রতর নিরাপত্তারক্ষী সায়গল হোসেনকেও তিহাড় জেল থেকে এনে কেষ্ট মণ্ডলের মুখোমুখি বসানো হবে। আগামী ১১ দিনের মধ্যে সুকন্যা-সহ ১২ জনকে হাজিরা দিতে বলেছে ইডি। শমনের তালিকায় রয়েছেন, অনুব্রত মণ্ডলের হিসাবরক্ষক। সায়গলকেও বসানো হতে পারে অনুব্রতর সামনে। 

    তিন দিনের ইডি হেফাজত শেষে শুক্রবার অনুব্রত মণ্ডলকে তোলা হয়েছিল আদালতে। এদিন কেষ্টকে (Sukanya Mondal) আরও ১১ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। অনুব্রতকে আরও কিছু দিন নিজেদের হেফাজতে রেখে জেরা করতে চায় ইডি। জানা গিয়েছে, গরু পাচারের বেআইনি আয়ের টাকা কোথায় গেল, সেই সংক্রান্ত বিষয়ে এখনও তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি। গরু পাচার মামলায় কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে যে নথি এসেছে, তার ভিত্তিতে তৃণমূল নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা দরকার।

    এদিন ইডি যখন অনুব্রতকে (Sukanya Mondal) ফের হেফাজতে হেফাজতে নেওয়ার আর্জি জানায় তখন বিচারক প্রশ্ন করেন, এই ক’দিনে মাত্র দু’ঘণ্টা তাঁকে জেরা করা হয়েছে। কিছুই তেমন বার করতে পারেননি তদন্তকারীরা। কারও সঙ্গে মুখোমুখিও বসানোও হয়নি। তাহলে আবার কেন হেফাজতে নিতে চাইছে এজেন্সি?

    আরও পড়ুন: ১২ মার্চ পানিপথে বসছে আরএসএস-এর প্রতিনিধি বৈঠক! কী কী আলোচনা হবে? 

    জবাবে ইডি-র আইনজীবী বলেন, হোলির ছুড়ির জন্য পরিকল্পনামাফিক হয়নি সবকিছু। এই ১১ দিন অনুব্রতকে হেফাজতে পেলে তাঁরা তাঁর মেয়ে-সহ আরও ১২ জনকে সমন পাঠিয়েছেন, তাঁদের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা যাবে। ইডি এও বলে, সায়গল জেরায় যা বলেছেন তাতেও অনুব্রতর বিরুদ্ধে গরু পাচার মামলায় নিবিড় যোগাযোগের তথ্য পাওয়া গিয়েছে।

    ইডির দাবি মেনেই অনুব্রতকে আরও ১১ দিনের হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিকে সুকন্যার অ্যাকাউন্টে (Sukanya Mondal) বিভিন্ন সময়ে যে নগদ টাকা জমা পড়েছে, রাসি মিল, জমি-সহ অন্যান্যা সম্পত্তির যে হিসাব পাওয়া গিয়েছে সে ব্যাপারে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বাকিদেরও। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Shootout: উত্তর দিনাজপুরে প্রকাশ্যে তৃণমূলের কোন্দল, বোমায় মৃত্যু সিভিকের, গুলিবিদ্ধ দলীয় কর্মী

    Shootout: উত্তর দিনাজপুরে প্রকাশ্যে তৃণমূলের কোন্দল, বোমায় মৃত্যু সিভিকের, গুলিবিদ্ধ দলীয় কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এল। কোন্দলে বচসা বা হাতাহাতি গন্ডি পেরিয়ে একবারে প্রকাশ্যে বোমাবাজি, গুলি (Shootout) চালানোর ঘটনা ঘটল। বোমার আঘাতে এক সিভিক ভলান্টিয়ারের মৃত্যু হয়। যদিও পুলিশ এই ঘটনায় কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে, এই ঘটনায় জেলাবাসী শাসক দলের বেআব্রু চেহারা আরও একবার প্রত্যক্ষ করলেন। এই ঘটনার জের কাটতে না কাটতেই ফের খবরের শিরোনামে উঠে এল এই জেলা। বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ি ফেরার পথে দুষ্কৃতীদের গুলিতে (Shootout) গুরুতর জখম হন চোপড়া ব্লকের ঘিরনিগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের যুগ্ম অঞ্চল সভাপতি জাকির হোসেন। তাঁকে প্রথমে ইসলামপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। তবে, এই তৃণমূল নেতার উপর দুষ্কৃতীরা কেন হামলা চালাল তা পরিষ্কার নয়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ইসলামপুর থেকে চোপড়া, একের পর এক বোমাবাজি, গুলি চলার ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকাবাসী।

    তৃণমূলের দলীয় কোন্দলের কারণ কী? Shootout

     ইসলামপুরে মাটিকুন্ডা এলাকায়  ক্ষমতার রাশ কার দখলে থাকবে তা নিয়ে দলেরই দুই নেতা শাহনওয়াজ আলম এবং মেহেবুব আলমের মধ্যে গন্ডগোল।মেহেবুব আলম মাটিকুন্ডা- ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান। এলাকাবাসীদের দাবি, শাহনওয়াজ আলম বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরীর অনুগামী। আর মেহেবুব আলম তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালার অনুগামী। তাঁদের মধ্যে ক্ষমতার দখল নিয়ে দড়ি  টানাটানি বহুদিন ধরেই চলছে। ৮ মার্চ রাতে শাহনওয়াজের বাড়িতে প্রধান মেহেবুব আলম ও তাঁর লোকজনেরা  হামলা চালায় বলে অভিযোগ।চলে গুলি (Shootout) ও বোমা। বোমার আঘাতে মৃত্যু হয় শাহনওয়াজের ভাই সাকিব আকতারের।তিনি পেশায় সিভিক ভলান্টিয়ার। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে  ছুটে যান ইসলামপুরের তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী। তিনি এই ঘটনার জন্য সরাসরি দলেরই  জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল এবং ব্লক সভাপতি জাকির হুসেনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। তিনি বলেন, জেলা সভাপতি সন্ত্রাস করে খুনখারাপি (Shootout) করে আমাকে দমানোর চেষ্টা করছে। পুলিশ নীরব দর্শক। মুখ্যমন্ত্রী নিজে পুলিশ মন্ত্রী। তারপরও এই ঘটনা ঠিক নয়। মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, এই ধরনের ঘটনা অবিলম্বে বন্ধ করুন। দুদিনের মধ্যে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে আমি বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করতেও রাজি আছি। যদিও এই বিষয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল কোনও মন্তব্য করতে চাননি। ৯ মার্চ রাস্তায় নেমে তৃণমূল কর্মীরা টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান। 

    বিজেপির জেলার সহ সভাপতি সুরজিত্ সেন বলেন, ক্ষমতা দখলের লড়াই চলছে শাসক দলে। রাজ্যের পাশাপাশি এই জেলায় তৃণমূলের ভাগবাটোয়ারা নিয়ে গন্ডগোল লেগেই রয়েছে। পুলিশ প্রশাসনের কাছে যত না অস্ত্র রয়েছে, তার থেকে বেশি অস্ত্র, বোমা রয়েছে তৃণমূলের কাছে। তাই, সামান্য গন্ডগোল হলেই বোমা গুলি চলছে। পঞ্চায়েত নির্বাচন যত এগিয়ে আসবে এই ধরনের ঘটনা তত বাড়বে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bonny Sengupta: বনিকে ফের তলব ইডির! সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে কোন নথি?

    Bonny Sengupta: বনিকে ফের তলব ইডির! সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে কোন নথি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকাল ১০ ঘণ্টার জেরাতে হয়নি, তাই ফের অভিনেতা বনি সেনগুপ্তকে (Bonny Sengupta)  তলব করল ইডি। আগামী মঙ্গলবার সিজিও কমপ্লেক্সে তলব ইডি-র। কুন্তল যে গাড়ি কিনতে টাকা দিয়েছিলেন, সেই গাড়ির নথি নিয়েই হাজির হতে বলা হয়েছে বনিকে।

    কুন্তলের টাকায় বিলাসবহুল গাড়ি বনির

    গতকাল ইডি জিজ্ঞাসাবাদের মাঝেই অভিনেতা বনি সেনগুপ্ত (Bonny Sengupta) জানিয়েছিলেন, কুন্তল ঘোষের থেকে পারিশ্রমিক বাবদ অগ্রিম ৪০ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন তিনি। সেই টাকা দিয়েই কিনেছিলেন একটি ল্যান্ড রোভার ডিসকভারি গাড়ি। পাঁচ বছর আগে কেনা এই বিলাসবহুল গাড়ির শোরুমেই নাকি গিয়ে টাকা মিটিয়ে এসেছিলেন কুন্তল ঘোষ। অথচ সেই টাকা পাওয়ার জন্য কোনও রশিদ নেননি অভিনেতা বনি সেনগুপ্ত। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে, কেন এত বড় অঙ্কের টাকার লেনদেনে কোনও কাগজে সই করলেন না অভিনেতা? এই সমস্ত তথ্য জানতেই ফের একবার বনিকে তলব করা হয়েছে বলে দাবি ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের।

    আরও পড়ুন: নজরে নগদ ২০ কোটি! আরও জেরা বাকি, ফের কি ইডি হেফাজতে কেষ্ট?

    গাড়ির কাগজপত্র নিয়ে তলব বনিকে

    আগামী মঙ্গলবার সেই ডিসকভারি গাড়ির কাগজপত্র নিয়েই যেতে বলা হয়েছে বনিকে। উল্লেখ্য, গতকাল বনি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, পাঁচ বছরের মাথায় তিনি ওই ল্যান্ড রোভার ডিসকভারি গাড়িটি বিক্রি করে দিয়েছেন। ফলে সেই ব্যক্তি কত টাকায় পাঁচ বছরের পুরনো গাড়িটি কিনেছিলেন সেই বিষয়টিও ইডির নজরে রয়েছে। এছাড়াও কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সি সূত্রে খবর, কুন্তলের লেনদেন খতিয়ে দেখে আরও কয়েকজন অভিনেত্রীর হদিশ মিলেছে। যাঁদের বিভিন্ন সময়ে টাকা দিয়েছিলেন কুন্তল।

    প্রসঙ্গত, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে একের পর এক নাম নতুন নতুন উঠে আসছে। এবারে কোনও টলি অভিনেতার (Bonny Sengupta) নাম জড়িয়ে যাওয়ায় তাঁকেও তলব করা হল। তবে এখন এটাই দেখার, আরও কত নাম উঠে আসে এই কাণ্ডে, আর কোন কোন ক্ষেত্রের লোকজনের সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতির কালো টাকার লেনদেন হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Anubrata Mondal: নজরে নগদ ২০ কোটি! আরও জেরা বাকি, ফের কি ইডি হেফাজতে কেষ্ট?

    Anubrata Mondal: নজরে নগদ ২০ কোটি! আরও জেরা বাকি, ফের কি ইডি হেফাজতে কেষ্ট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, শুক্রবার ফের অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) হেফাজতে চাইতে চলেছে ইডি। সরকারি-বেসরকারি ব্যাঙ্কে বিভিন্ন সময়ে অনুব্রতর নানা অ্যাকাউন্টে ২০ কোটি টাকা নগদ জমা পড়েছে বলে দাবি ইডির। সেই টাকার বিষয়ে বিশদে জানতে চাইছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বোলপুর এবং তার আশপাশের ব্যাঙ্কে ২০১৬ থেকে ২০২০ পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে ধাপে ধাপে জমা পড়েছে এই ২০ কোটি টাকা। এক ব্যাঙ্ক কর্মীকে জেরা করে জানা গিয়েছে কখনও বাড়িতে ডেকে বা চালকের হাত দিয়ে ব্যাঙ্কে টাকা পাঠাতেন অনুব্রত (Anubrata Mondal)। জমা টাকার মধ্যে ৩ কোটি টাকা সুকন্যার নামে এফডি করা হয়েছে, দাবি ইডি-র।

    কোথা থেকে এল এত টাকা

    কেন্দ্রীয় এজেন্সি সূত্রের দাবি, এই টাকা ছাড়াও ২০১৪ সালের ১০ থেকে ১৭ নভেম্বরের মধ্যে, বোলপুরের কালিকাপুর মৌজায় প্রচুর জমি কেনা হয়েছিল। যার দামের বেশিরভাগটাই মেটানো হয় নগদে। ইডি সূত্রের দাবি, ভোলে ব্যোম রাইস মিলকে সামনে রেখে অনুব্রতর স্ত্রী ছবি মণ্ডলের নামে কেনা হয়েছিল জমি। ইডি সূত্রের দাবি, অনুব্রত মণ্ডলের নামে ২৪টি, তাঁর মেয়ে সুকন্যার নামে ২৬টি, প্রয়াত স্ত্রী ছবি মণ্ডলের নামে ৬টি সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গেছে। তদন্তকারীদের মনে প্রশ্ন, গরু পাচারকাণ্ডের কালো টাকা, সাদা করতেই কি কেনা হয়েছিল বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি! অনুব্রতের (Anubrata Mondal) সম্পত্তি ও তাঁর অ্যাকাউন্ট নিয়েই জিজ্ঞাসাবাদ করছে ইডি।

    আরও পড়ুন: বীরভূমের ‘প্রধানমন্ত্রী’ এখন ভুল বকছেন! অনুব্রতকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    আইনজীবীদের সঙ্গে কথা অনুব্রতের

    বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আদালতের নির্দেশ মতো  অনুব্রতর আইনজীবীরা তাঁর সঙ্গে একান্তে আধঘণ্টা কথা বলেন। দিনভর অনুব্রতকে (Anubrata Mondal) ঠিক কোন কোন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করল ইডি, শরীরে কোনও সমস্যা রয়েছে কিনা, ওষুধ ও খাবার হিসেবে সমস্যা হচ্ছে কিনা সেইসব বিষয় ভালভাবে বুঝে নিতে বাঙালি আইনজীবী সম্পৃক্তা ঘোষালকে সঙ্গে নিয়ে অনুব্রতর সঙ্গে দেখা করলেন সিনিয়র আইনজীবী মুদিত জৈন। তবে কী কথা হয়েছে তা বিস্তারিত জানা যায়নি। শুক্রবার ইডি-র হেফাজতে অনুব্রতের তিন দিনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে।  সূত্রের খবর, এই তিন দিনের মধ্যে অনুব্রতকে বিশেষ জেরা করে উঠতে পারেননি তদন্তকারীরা। তাঁকে এখনও বিস্তারিত ভাবে জেরা করা বাকি। তাই ফের তাঁকে হেফাজতে নিতে চলেছে ইডি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bomb Blast: পঞ্চায়েত ভোটের আগে মুর্শিদাবাদে ফের বোমা বিস্ফোরণ! মৃত ১, গুরুতর জখম ৩

    Bomb Blast: পঞ্চায়েত ভোটের আগে মুর্শিদাবাদে ফের বোমা বিস্ফোরণ! মৃত ১, গুরুতর জখম ৩

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদ। আবারও বোমা বিস্ফোরণ মুর্শিদাবাদের নওদায় (Bomb Blast)। বোমা বাঁধার সময় বিস্ফোরণে মৃত্যু হল এক জনের। গুরুতর জখম হয়েছেন অন্তত তিন জন। বৃহস্পতিবার রাতের ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের নওদা থানার মধুপুর পঞ্চায়েতের এলাকার ডাঙ্গাপাড়ায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনায় মৃতের নাম মেজবুল শেখ। আহত এক ব্যক্তির নাম কাবিজুল শেখ। বোমা বাঁধতে গিয়েই এই বিপত্তি বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আহতদের মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    কী ঘটেছে?

    সূত্রের খবর, রাতে মধুপুরের কাবিজুল শেখের বাড়ির পাশে বোমা বাঁধছিলেন কয়েক জন যুবক। সে সময়েই আচমকা বিকট শব্দে বোমা বিস্ফোরণ হয়। ঘটনায় আহত হয়ে ছিটকে পড়েন ৩ জন। আহতদের রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসা চলাকালীন এক জনের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে নওদা থানার পুলিশ। তবে কে বা কারা বোমা মজুত করেছে, সে ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছু জানাতে পারেনি স্থানীয় বাসিন্দারা।

    আরও পড়ুন: বীরভূমের ‘প্রধানমন্ত্রী’ এখন ভুল বকছেন! অনুব্রতকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মৃতের পরিবারের দাবি

    অন্যদিকে মৃতের পরিবারের দাবি, বোমা বাঁধতে গিয়ে নয়, বোমা ছুঁড়ে খুন করা হয়েছে। মৃত ব্যক্তির ছেলে বকুল শেখ বলেন, “এটা কোনও বোমা বিস্ফোরণ নয়। মধুপুরের এক তৃণমূল নেতা ও তাঁর গুন্ডাবাহিনী আমার বাবাকে বোমা মেরে খুন করেছে। ওরা এর আগের পঞ্চায়েতে ছাপ্পা ভোট করেছিল। আমাদের ভোট দিতে দেয়নি।” এ ব্যাপারে মুর্শিদাবাদের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুবিমল পাল বলেন, “বোমা বাঁধতে দিয়ে গিয়ে বিস্ফোরণ নাকি বোমা ছোঁড়া হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” এছাড়াও সেই জায়গায় আরও বোমা পড়ে রয়েছে কিনা সে বিষয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    তবে স্থানীয়দের দাবি, বোমা বাঁধতে গিয়েই তাঁদের এই অবস্থা। এর পর ঘটনাস্থলে নওদা থানার পুলিশ পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে নওদার আমতলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় পরে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া। তার পর সেখানেই মেজবুলকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।

    বিজেপির বক্তব্য

    এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপির জেলা সভাপতি শাখারভ সরকার বলেন, “ওখানে বিধায়ক গোষ্ঠী ও সাংসদ গোষ্ঠী দীর্ঘ দিন ধরেই বিবাদমান। আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে কে প্রধান হবেন আর কে টিকিট পাবেন, সেই নিলাম নিয়ে গন্ডগোলের দু’চারটে মরছে। কী আর করা যাবে!”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Suvendu Adhikari: বীরভূমের ‘প্রধানমন্ত্রী’ এখন ভুল বকছেন! অনুব্রতকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: বীরভূমের ‘প্রধানমন্ত্রী’ এখন ভুল বকছেন! অনুব্রতকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একদা বীরভূমের বেতাজ বাদশা, এখন ইডির দফতরে গিয়ে ভুল বকছেন। হুগলি জেলার খানাকুলের দলীয় এক সভায় অংশ নিয়ে অনুব্রত মণ্ডলকে কটাক্ষ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, ‘‘খুব বড় মস্তান ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। বীরভূমের প্রধানমন্ত্রী। শুধু বীরভূম নয়, বর্ধমানের আউসগ্রাম, কেতুগ্রাম-সহ অনেক জায়গারই প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। সেই প্রধানমন্ত্রীর আজ কি অবস্থা। বলছে, ইংরেজি জানি না, হিন্দি বুঝি না, নাম সই করতে পারি না ৷ কোথায় গেল চড়াম চড়াম ঢাকের আওয়াজ? কোথায় গেল নকুল দানা? কোথায় গেল উন্নয়ন দাঁড়িয়ে আছে?’’ 

    কী বললেন শুভেন্দু

    এই সভা থেকে শাসক দল তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি দিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘সাবধান হন। খানাকুলে তাণ্ডব- সহ সব আমরা নজরে রাখছি। গরু চুরি, বালি চুরি কয়লা চুরি-সহ বিভিন্ন দুর্নীতির সঙ্গে যারা যুক্ত তারা কেউ ছাড় পাবেন না। আমাদের কর্মীদের উপর অত্যাচারের সব হিসেব হবে।’’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও এদিন নিশানা করেন শুভেন্দু। তাঁর কথায়, ‘‘দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত সবাইকেই জেলে যেতে হবে।’’

    আরও পড়ুন: ছয় দিনে প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকার সম্পত্তি কেনেন অনুব্রত! আর কী কী তথ্য ইডির হাতে?

    রাজ্যে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার কথা উল্লেখ করে খানাকুলের আইসিকে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) হুঁশিয়ারি,‘‘পয়লা বৈশাখ পর্যন্ত সময় দিয়ে গেলাম। আমাদের কর্মী-সমর্থকরা যদি বাড়িতে ঠিকভাবে থাকতে না পারে, অত্যাচার করা হয়, তাহলে পরের দিন আমি খানাকুলে আসব কর্মী-সমর্থকদের সবাইকে বাড়ি পৌঁছে দিতে। দেখব আপনাদের কত ক্ষমতা আছে আমাকে বাধা দেওয়ার।’’সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কেও একজোট হয়ে তৃণমূলের থেকে মুখ ফেরানোর আহ্বান জানান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দুর দাবি,‘‘বিজেপি আপনাদের শত্রু নয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সবার কথা ভেবে উন্নয়ন করছেন। রাষ্ট্রবাদীরা সবাই বিজেপির বন্ধু। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল সংখ্যালঘুদের বিজেপি সম্পর্কে ভুল বোঝাচ্ছে।’’ 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hospital: উদ্বোধনই সার! ‘বেহাল’ বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের রাত্রি নিবাস ভবন, ক্ষুব্ধ পরিজনরা

    Hospital: উদ্বোধনই সার! ‘বেহাল’ বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের রাত্রি নিবাস ভবন, ক্ষুব্ধ পরিজনরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে (Hospital) রোগীর পরিবারের লোকজনদের থাকার জন্য রাত্রী নিবাস ভবন তৈরি করা হয়েছিল। ঘটা করে সেই ভবনের উদ্বোধন করা হয়েছে। কিন্তু, বছর খানেক হতে চলল এখনও ভবনের তালাই খোলেনি। এখন রোগীর পরিজনেরা হাসপাতালে (Hospital) এলে খোলা আকাশের নীচেই দিন কাটান। কর্তৃপক্ষের এই উদাসীনতার কারণে রোগীর পরিবারের লোকজন ক্ষুব্ধ। তাঁদের অভিযোগ, এত টাকা খরচ করে ভবন তৈরি করা হল। সেখানে আমাদের মতো গ্রাম থেকে আসা লোকজন থাকতে পারছে না। ভবন উদ্বোধন হওয়ার পর আমরা খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু, এক বছর হতে চলল ভবনে তালাই ঝুলছ। কবে, ভবনের তালা খুলবে আমরা কেউ তা জানি না। অবিলম্বে তালা খুলে রোগীর পরিবারের লোকজনের জন্য ভবন ব্যবহারের ব্যবস্থা করার দাবি জানাচ্ছি।

    কেন রোগীর আত্মীয়দের থাকার ভবনে তালা ঝুলছে? Hospital

    বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে (Hospital) রাজ্য সরকারের আবাসন দপ্তর থেকে ওই ভবনটি নির্মাণ করা হয়। তিনতলা বিশিষ্ট ওই ভবনটিতে পুরুষ ও মহিলাদের থাকার মত ব্যবস্থা রয়েছে। ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রায়গঞ্জের সভা থেকে ওই ভবনটির উদ্বোধন করেন। কিন্তু, উদ্বোধনের এক বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও তা খোলা হয়নি। কিছুদিন আগেই রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠকে ওই ভবন খুলে দেওয়া নিয়ে আলোচনা হয়। ঠিক হয়, ওই ভবনটিকে পুরসভার হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, ওই ভবনের নীচের তলায় রোগীর পরিজনদের রাতে খাওয়ার এবং ওপরতলায় থাকার ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু, হাসপাতাল (Hospital) কর্তৃপক্ষ বলছে পুরসভা ভবনটি পরিচালনা করবে, পুর কর্তৃপক্ষ বলছে দায়িত্ব নেওয়ার নির্দেশ আসেনি। দুইয়ের টানাপোড়েনে প্রায় এক বছর ধরে ভবনে তালা ঝুলছে। এমনিতেই জেলা হাসপাতালে প্রচুর রোগী ভর্তি থাকে। বেশিরভাগই দূর দূরান্তের।  রাতে রোগীর আত্মীয়রা হাসপাতালে (Hospital) থাকার জায়গা না পেয়ে খোলা যাত্রী প্রতীক্ষালয়তেই রাত কাটাতে বাধ্য হন। যার ফলে ক্ষোভ ছড়িয়েছে রোগীর আত্মীয় পরিজনদের।

    এবিষয়ে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের সুপার কৃষ্ণেন্দু বিকাশ বাগ বলেন, ওই ভবনটি নতুন হয়েছে। রাতে থাকার জন্য ওই ভবনটি নিয়ে রোগী কল্যাণ সমিতিতে আলোচনা হয়েছে। ওই ভবনটি পুরসভার তত্ত্বাবধানে নেওয়া হবে। অতিদ্রুত যাতে খুলে দেওয়া হয়, তা দেখা হচ্ছে। আর বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র বলেন, ওই ভবনটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে, জেলা প্রশাসনের এখনও কোন নির্দেশ পাইনি। নির্দেশ বা ছাড়পত্র পেলে ওই ভবনটি আমরা সাধারণ মানুষের থাকার পরিকাঠামো প্রস্তুত করে ব্যবহারের উপযোগী করব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘নির্দ্বিধায় ধর্মঘট করুন, পাশে আছি’, বার্তা শুভেন্দু, সুকান্তর 

    Suvendu Adhikari: ‘নির্দ্বিধায় ধর্মঘট করুন, পাশে আছি’, বার্তা শুভেন্দু, সুকান্তর 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধর্মঘট করুন। আমি পাশে আছি। আপনাদের দায়িত্ব আমি নেব। বৃহস্পতিবার কথাগুলি বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এদিনই ধর্মঘট রুখতে কড়া নির্দেশিকা দিয়ে ধর্মঘটের দিন সমস্ত সরকারি কর্মীকে অফিসে আসার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্যের অর্থ দফতর। তার পরেই বকেয়া ডিএ-র (DA) দাবিতে আন্দোলনকারীদের পাশে থাকার বার্তা দেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ধর্মঘট করুন। আমি পাশে আছি। আপনাদের দায়িত্ব আমি নেব। আমি আইনজীবী নিয়ে আইনি লড়াই করব।

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) উবাচ…

    এদিন হুগলির খানাকুলে শুভেন্দু বলেন, ধর্মঘটীদের বিরুদ্ধে সরকার যদি সরকারি কর্মীদের ব্রেক অফ সার্ভিস, বেতন কাটে, দমনপীড়ন নীতি নিয়ে ট্রান্সফার কিংবা সাসপেন্ড করে আমি বিরোধী দলনেতা হিসেবে সেই সরকারি কর্মীর পাশে থাকব। শুধু পাশে থাকাই নয়, সেই সরকারি কর্মীর পূর্ণ দায়িত্ব আমি নেব। তাঁর আইনি লড়াই, তাঁর মামলা লড়ার জন্য বড় আইনজীবী নিয়োগ এবং আইনি লড়াই করার জন্য যে যে খরচ হবে, তার সম্পূর্ণ ব্যয়ভার আমার। যাঁরা মহার্ঘ ভাতার জন্য নিজেদের অধিকারের জন্য কাল ধর্মঘট করতে যাচ্ছেন, তাঁরা নির্দ্বিধায় ধর্মঘট করুন। পাশে আছি। তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন, আপনাদের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করার ক্ষমতা নেই এই সরকারের।

    বকেয়া ডিএ-র (DA) দাবিতে ফেব্রুয়ারি মাসে দু দিনের কর্মবিরতি পালন করেছেন আন্দোলনকারী সরকারি কর্মচারিরা। তার পরেও সমস্যার সমাধান হয়নি। তার জেরে ১০ মার্চ রাজ্য জুড়ে ধর্মঘট পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৩৬টি সরকারি কর্মচারি সংগঠনের যৌথ মঞ্চ। বৃহস্পতিবার অতিরিক্ত মুখ্যসচিবের তরফে জারি করা আরও এক দফা নির্দেশিকায় স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, শুক্রবার কোনওভাবেই পূর্ণ বা অর্ধ দিবস ছুটি নেওয়া যাবে না। ধর্মঘটে শামিল হলে কর্মজীবন থেকে বাদ যাবে একদিন। সেই সঙ্গে করা হবে শোকজও।

    আরও পড়ুুন: ধর্মঘটের দিন উপস্থিতির হার কত, নজর রাখবেন মমতা, পাল্টা হুঁশিয়ারি আন্দোলনকারীদের

    ধর্মঘটীদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, আজ ধর্মঘটে অংশ নিয়ে যদি কোনও সরকারি কর্মীর ব্রেক অফ সার্ভিস হয়, তাহলে বিজেপি ক্ষমতায় আসার সঙ্গে সঙ্গেই সেই সব সরকারি কর্মীর ব্রেক অফ সার্ভিস প্রত্যাহার করে নেবে। সুকান্ত বলেন, ধর্মঘট ঠেকাতে রাজ্য সরকারের অর্থ দফতর যে নির্দেশিকা জারি করেছে, তা নিয়ে কেউ যদি আদালতের দ্বারস্থ হন, সেক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের মুখ পুড়বে। কারণ ধর্মঘট করা যে কোনও কর্মীর নৈতিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। তিনি বলেন, সরকারি কর্মীদের প্রতি সরকারের এই বঞ্চনায় আমরা আগামিদিনেও আন্দোলনকারীদের পাশে থাকব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share