Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Madhyamik: আজ শুরু মাধ্যমিক পরীক্ষা, একগুচ্ছ নির্দেশিকা বোর্ডের, অতিরিক্ত পরিষেবা রেলের

    Madhyamik: আজ শুরু মাধ্যমিক পরীক্ষা, একগুচ্ছ নির্দেশিকা বোর্ডের, অতিরিক্ত পরিষেবা রেলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ থেকে শুরু মাধ্যমিক (Madhyamik) পরীক্ষা। চলবে ৪ মার্চ পর্যন্ত। সুষ্ঠভাবে সমগ্র পরীক্ষা ব্যবস্থা পরিচালনা করতে একগুচ্ছ নির্দেশিকা ঘোষণা করেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। অন্যদিকে পরীক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে ভারতীয় রেল। গত বছর পরীক্ষার্থী সংখ্যা ছিল ১০ লাখ ৯৮ হাজার ৭৭৫ জন। এবছর সেই পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমে হয়েছে ৬ লাখ ৯৮হাজার ৬২৮ জন। এ বছর মোট ছাত্র পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২ লাখ ৯০ হাজার ১৭২ জন এবং ছাত্রী পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩ লাখ ৫৬হাজার ২১ জন।

    প্রশ্নফাঁস রুখতে সিসিটিভির নজরদারি চলবে প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রে

    জানা গেছে, প্রশ্নফাঁস রুখতে প্রত্যেকটি পরীক্ষা কেন্দ্রে ন্যূনতম তিনটি করে সিসিটিভি বসানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিশেষত পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপথ, প্রধান শিক্ষকের ঘর এবং যে ঘরে প্রশ্নপত্র রাখা থাকবে এই তিনটি জায়গায় সিসিটিভি বসাতেই হবে।  অ্যাপের মাধ্যমেও এবার বিশেষভাবে নজরদারি করবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।

    পরীক্ষাকেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা ঘটলে স্থগিত রাখা হবে গোটা স্কুলের রেজাল্ট

    পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টার মধ্যে পরীক্ষার্থীরা বেরিয়ে যেতে পারলেও প্রশ্নপত্র নিয়ে বের হতে পারবেন না। এই মর্মে ইতিমধ্যেই পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিকে নির্দেশিকা দিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। পরীক্ষা চলাকালীন কোনও পরীক্ষা কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা  ঘটলে সেই স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের ফলাফল স্থগিত রাখা হবে বলেও পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে।

    বিশেষ কিছু পরীক্ষাকর্তা ছাড়া ফোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা

    বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে মোবাইল থাকবে শুধুমাত্র সেন্টার সেক্রেটারি, অফিসার ইনচার্জ, ভেন্যু সুপারভাইজার এবং অতিরিক্ত ভেন্যু সুপারভাইজারদের কাছে। বাকি সকল শিক্ষক ও কর্মীদের মোবাইল বা স্মার্ট ঘড়ি নিয়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ। কেন্দ্রের ভিতরে থাকা স্বাস্থ্য ও পুলিশকর্মীরা শুধুমাত্র জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারবেন ফোন।

    পরীক্ষাকেন্দ্রে থাকবে ১৪৪ ধারা

     নকল রুখতে পরীক্ষাকেন্দ্রে জারি থাকবে ১৪৪ ধারা। ৫০০ মিটারের মধ্যে জেরক্সের দোকানগুলিও বন্ধ থাকবে। অভিভাবকদের পরীক্ষাকেন্দ্রের ভিতরে প্রবেশ নিষিদ্ধ। পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে পারবেন সাড়ে দশটা থেকেই।

    পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে অতিরিক্ত ৮টি ট্রেন চালাবে মেট্রো

    ইতিমধ্যে সাংবাদিক সম্মেলন করে মেট্রো কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করেছে যে অতিরিক্ত ৮টি ট্রেন তারা চালাবে। পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছানো এবং বাড়ি ফেরার সময়ই রাখা হয়েছে ট্রেনের সময় সারণী। অন্যদিকে পূর্ব রেল পরীক্ষার্থীদের কথা ভেবে অতিরিক্ত স্টপেজ দেবে, বিশেষ বিশেষ জায়গায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Manik Bhattacharya: জামিনে ‘না’ আদালতের, ৬ মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজতে মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী-পুত্রও

    Manik Bhattacharya: জামিনে ‘না’ আদালতের, ৬ মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজতে মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী-পুত্রও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খারিজ হয়ে গেল জামিনের আবেদন। এবার কারাগারের কালো কুঠুরিতে নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya) স্ত্রী ও পুত্র। ৬ মার্চ পর্যন্ত তাঁদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। বুধবার ব্যাঙ্কশাল কোর্টে এই মামলার শুনানি ছিল। 

    নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আপাতত ইডি হেফাজতে তৃণমূলের বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। চার্জশিটে নাম ছিল তাঁর স্ত্রী শতরূপা ও ছেলে শৌভিকেরও। গতকাল ইডি বিশেষ আদালতে জামিনের আবেদন জানান দু’জনেই। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দেন বিচারক।

    কী জানা গেল?

    এদিন আদালতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা দাবি করে, মানিকের কাজ সংক্রান্ত তথ্য জানতেন তাঁর স্ত্রী (Manik Bhattacharya)। চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা তুলেছিলেন, সেই টাকা নাকি স্ত্রীর অ্যাকাউন্টেই রেখেছিলেন মানিক! ইডির অনুমান, দুর্নীতিতে জড়িত থাকতে পারেন শতরূপা ভট্টাচার্য। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আরও দাবি, একাধিকবার ইংল্যান্ডে গিয়েছেন মানিক-পুত্র শৌভিক। সেই সংক্রান্ত তথ্য যাচাই করা হচ্ছে।  

    জামিন আবেদন খারিজ হওয়ার পর আদালতেই গ্রেফতার করা হয় মানিকের স্ত্রী ও পুত্রকে। স্ত্রীকে পাঠানো দেওয়া হয়েছে আলিপুর মহিলা সংশোধানাগারে। মানিক-পুত্র সৌভিককে নিয়ে যাওয়া হয়েছে প্রেসিডেন্সি জেলে। সেখানেই রয়েছেন মানিক।

    মামলার চার্জশিটে নাম থাকায় আদালত তলব করেছিল শতরূপা ও সৌভিককে (Manik Bhattacharya)। আগেই তাঁরা আদালতে হাজিরা দিয়েছিলেন। কিন্তু আগের দিন শুনানি হয়নি। বুধবার সেই মামলার শুনানি ছিল। জামিনের বিরোধিতা করে এদিন ইডি জানায়, মানিকের স্ত্রী পুরো কেলেঙ্কারির কথা জানতেন। স্ত্রী ও পুত্রের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল বলেও উল্লেখ করেন ইডি-র আইনজীবী। আদালত প্রশ্ন করে মানিকের ছেলে সৌভিক ২০১৭ সালে দুবার ইউকে যাওয়ার কথা কেন লুকিয়ে গিয়েছেন?

    আরও পড়ুন: এবার পাইলট নিয়োগে জোর এয়ার ইন্ডিয়ার, বেতন শুনলে চোখ কপালে উঠবে!

    আদালত ইডিকে প্রশ্ন করে, এত প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও কেন এতদিন গ্রেফতার করা হয়নি তাঁদের? ইডি জানায়, এতদিন গ্রেফতারির প্রয়োজন ছিল না। কিন্তু এখন আছে। প্রসঙ্গত, এর আগেও শৌভিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে একাধিক তথ্য পেশ করেছে ইডি। জানা গিয়েছিল, একটি কোম্পানি রয়েছে মানিক ভট্টাচার্যের ছেলের নামে। মিলেছিল ২ কোটি ৬৪ লক্ষ টাকার হদিস। সেই টাকাকে দুর্নীতির টাকা বলে চিহ্নিত করেছিলেন গোয়েন্দারা। এর আগে একাধিকবার তাঁকে তলবও করা হয়েছিল তাঁদের। এবার গ্রেফতার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     
     
  • Anubrata Mondal: স্কুলে না গিয়েও মাইনে নিয়ে গেছেন দীর্ঘদিন! বেতন বন্ধ হল কেষ্ট-কন্যার

    Anubrata Mondal: স্কুলে না গিয়েও মাইনে নিয়ে গেছেন দীর্ঘদিন! বেতন বন্ধ হল কেষ্ট-কন্যার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেশ কয়েক মাস আগেই বন্ধ হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের মাইনে। বোলপুরের কালিকাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি করেন সুকন্যা। তাঁর বেতন বন্ধের খবর প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

    কেন বন্ধ বেতন? 

    এই মুহূর্তে গরু পাচার মামলায় হাজতে রয়েছেন বাবা অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। এই মামলায় জড়িয়েছে সুকন্যার নামও। হিসাব-বহির্ভূত সম্পত্তির উৎসের খোঁজে বার বার ইডি দফতরে হাজিরা দিতে হয়েছে সুকন্যাকে। জানা গিয়েছে, দিনের পর দিন স্কুলে না গিয়েও মাইনে নিয়েছেন সুকন্যা। আর এবার তার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা। সরকারি সিদ্ধান্তেই বেতন বন্ধ হয়েছে সুকন্যার।

    এবিষয়ে বীরভূম জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান প্রলয় নায়েক মন্তব্য করেন, সরকারি নিয়মে স্বাভাবিকভাবেই বেতন বন্ধ হয়েছে সুকন্যা মণ্ডলের। তিনি তাঁর প্রাপ্য ছুটি শেষ হয়ে যাওয়ার পরও স্কুলে যোগ দেননি। ফলত সরকারি নিয়ম অনুসারে ছুটি শেষ হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও কাজে না আসায় উইদাউ পে হয়ে গিয়েছেন তিনি।

    বীরভূম জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান জানান, যেদিন অনুব্রত মণ্ডলের কন্যা সুকন্যা মণ্ডল আবার কাজে যোগ দেবেন, তাঁকে এই ঘটনার জন্য কারণ দর্শাতে হবে। সেই শো-কজের জবাব অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেবে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ (Anubrata Mondal)। জানা গিয়েছে, এ বছরের শুরু থেকেই বেতন পাচ্ছেন না সুকন্যা। জানুয়ারি ২৩ থেকে বেতন বন্ধ তাঁর। 

    আরও পড়ুন: জামিনে ‘না’ আদালতের, ৬ মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজতে মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী-পুত্রও

    অনুব্রতর (Anubrata Mondal) বাড়ি থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে এই কালিকাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়। বাড়ির এত কাছাকাছি হওয়া সত্ত্বেও মাসের পর মাস স্কুলে যান না সুকন্যা। এমনকি স্কুলের পড়ুয়ারা চেনে না পর্যন্ত এই শিক্ষিকাকে। অনুব্রতর গ্রেফতারির পরেই সুকন্যার স্কুলে না যাওয়ার বিষয়টি সামনে আসে। অভিযোগ ওঠে, সুকন্যা স্কুলে না গিয়েও, সই করার জন্য জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রতের বাড়িতেই পৌঁছে যেত স্কুলের রেজিস্টার খাতা। এই অভিযোগের ভিত্তিতে সুকন্যাকে তলবও করেছিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সুকন্যা আদালতে হাজিরাও দিয়েছিলেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Manik Bhattacharya: লন্ডনে রয়েছে বাড়ি, দুর্নীতির টাকায় বিদেশ ভ্রমণ মানিক পরিবারের! বিস্ফোরক দাবি ইডির

    Manik Bhattacharya: লন্ডনে রয়েছে বাড়ি, দুর্নীতির টাকায় বিদেশ ভ্রমণ মানিক পরিবারের! বিস্ফোরক দাবি ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত মানিক ভট্টাচার্যের ছেলে সৌভিকের বাড়ি রয়েছে লন্ডনে! এমনই দাবি করল ইডি। নিয়োগ দুর্নীতিতে মানিক ভট্টাচার্য গ্রেফতার হওয়ার পরই তদন্তে জড়িয়ে যায় তাঁর ছেলে ও স্ত্রীর নাম। চার্জশিটেও উঠে আসে সৌভিক ও শতরূপার নাম। এরপর আদালত সমন করলে আত্মসমর্পণ করেন তাঁরা দুজনেই। বুধবার ব্যাঙ্কশাল কোর্টে ইডি-র বিশেষ আদালতে ছিল সেই আত্মসমর্পণ ও জামিনের আবেদনের শুনানি। এদিন দুজনের জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য সামনে আনল ইডি। ইডির দাবি, লন্ডনে একাধিক সম্পত্তি রয়েছে সৌভিকের এবং তার জন্যই বারবার বিদেশ সফর করেছেন মানিক পুত্র। এ প্রসঙ্গে আদালতে টেনে আনা হয় শেক্সপিয়ারের হ্যামলেট প্রসঙ্গও।

    ইডির কী দাবি?

    এদিন আদালতে ইডি দাবি করেছে, ‘এই মামলায় ড্রামাটিক ডেভেলপমেন্ট (নাটকীয় মোড়) সামনে এসেছে।’ শেক্সপিয়রের হ্যামলেটের উপমা টেনে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ করে ইডির আইনজীবী বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে কোথাও একটা পচন ধরেছে। এই দুর্নীতির প্রধান নায়ক পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও মানিক ভট্টাচার্য। মানিকের দুর্নীতিতে তাঁর স্ত্রীরও সক্রিয় ভূমিকা আছে, তিনি সব জানতেন।” এদিন ইডি-র তরফে আইনজীবী অভিজিৎ ভদ্র ও ফিরোজ এডুলজি জানান, ২০১৭-তে সৌভিক ইউকে গিয়েছিলেন। ইডি সব নথি খতিয়ে দেখে জানতে পেরেছে ওই বছরে দুবার বিদেশে গিয়েছিলেন মানিক-পুত্র। সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয়ের জন্য গিয়েছিলেন বলেই দাবি করে ইডি। তাঁদের এই বিদেশ যাত্রা নিয়ে কোনও তথ্য দেয়নি বলে জানায় ইডি। ওই দু’বারই আবাসিক ভিসার জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন সৌভিক।

    ইডি আদালতে আরও জানিয়েছে, শুধুমাত্র লন্ডন ভ্রমণ নয়, ২০১২ সাল থেকে মানিক ভট্টাচার্য সপরিবারে অন্তত ২০ বার বিদেশযাত্রা করেছেন। চিন, মলদ্বীপ, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইউকে, ইউরোপ, মালয়েশিয়া-সহ বিভিন্ন দেশে গিয়েছেন তিনি। এইসব সফরে ৫ কোটি টাকার মত খরচ হয়েছে বলেও জানান মানিক। এই ৫ কোটি টাকা কোনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে তোলা হয়নি, ফলে ইডির সন্দেহ এই টাকা দুর্নীতিরই।

    সৌভিকের সাফাই

    আদালত সূত্রে খবর, এদিন কাঠগড়ায় তোলা হলে মানিক পুত্র বলেন, “২০১৬ সালের অগাস্ট মাসে আমি প্রথম লন্ডনে গিয়েছিলাম। পড়াশোনার জন্যই ভিসার আবেদন করেছিলাম। বায়োমেট্রিক রেসিডেন্ট পারমিট দেওয়া হয়েছিল সেখানকার বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে। আমার কোনও বাড়ি নেই। আমি লন্ডনের বোর্ডিংয়ে থাকতাম। ২০১৭ সালে আমি কোনও ভিসার আবেদন করিনি।”

    বিচারক কী বললেন?

    এদিন ইডির একাধিক দাবি শোনার পরই বিচারকের প্রশ্ন, “এত তথ্য থাকার পরেও কেন তদন্তকারী অফিসাররা মানিকের স্ত্রী বা পুত্রকে গ্রেফতার করলেন না?” এই জবাবে ইডি-র আইনজীবী বলেন, “আমরা গ্রেফতার করিনি, কারণ সেই পর্যায়ে প্রয়োজন ছিল না। আমরা কাস্টডিয়াল ট্রায়াল করতে চাই।” এছাড়াও বিচারক ইডির আইনজীবীকে প্রশ্ন করেছেন, “সৌভিক ভট্টাচার্যের বাড়ি রয়েছে তা কী ভাবে প্রমাণিত হচ্ছে?  পালটা ইডির আইনজীবী জানান, আবাসিক ভিসার আবেদন জানিয়েছিলেন সৌভিক। এর থেকেই প্রমাণিত তিনি তথ্য গোপন করছেন।

    বিদেশমন্ত্রককে চিঠি ইডির

    ইডি সূত্রে খবর, মানিকের লন্ডনে সম্পত্তি আছে কিনা জানতে বিদেশমন্ত্রককে চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠি পাঠানো হয়েছে অভিবাসন দফতরেও। অভিবাসন দফতরের সাহায্য নিয়ে সৌভিকের লন্ডন যাত্রার খতিয়ান বের করার চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    মানিকের স্ত্রী ও ছেলেকে ধমক বিচারকের

    মানিকের ছেলে ও স্ত্রীর আইনজীবী ও ইডি-র আইনজীবীর মধ্যে যখন সওয়াল-জবাব চলছে, তখন কোর্টরুমের মধ্যে মানিকের ছেলে সৌভিক ভট্টাচার্য ও স্ত্রী শতরূপা ভট্টাচার্কে কথা বলতে দেখা যায়। এই দৃশ্য দেখেই কার্যত ধমক দেন বিচারক। বিচারক বলেন, “আপনারা কাস্টডিতে আছেন। জামিনের আবেদনের শুনানি শেষ না হওয়া পর্যন্ত আপনারা স্বাধীন নয়। এমন কোনও আচরণ করবেন না যাতে কোর্ট কোনও পদক্ষেপ করতে বাধ্য হয়। এভাবে কথা বললে কলকাতা পুলিশকে ডেকে লকআপে পাঠাতে বলব।”

  • Partha Chatterjee: জেলের ভিতরেই পার্থকে তাড়া জঙ্গি মুসার! পড়ে গিয়ে পেলেন চোট, কেমন আছেন প্রাক্তন মন্ত্রী?

    Partha Chatterjee: জেলের ভিতরেই পার্থকে তাড়া জঙ্গি মুসার! পড়ে গিয়ে পেলেন চোট, কেমন আছেন প্রাক্তন মন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে ঘটল এক কেলেঙ্কারি কাণ্ড! জেলের ভিতরে পড়ে গিয়ে চোট পেলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। প্রেসিডেন্সি জেল কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, ঠোঁটে চোট পেয়েছেন পার্থ। এর পর আজ, বুধবার এসএসকেম হাসপাতালের ডাক্তারদের একটি টিম দেখেও আসেন তাঁকে। ফলে জানা গিয়েছেস তাঁর শরীর ঠিকঠাকই আছে এখন। তবে কীভাবে পড়ে গেলেন, এই নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। জানা গিয়েছে, জেলের মধ্যেই তাড়া খেয়েছেন জঙ্গি মুসার। সেই তাড়া খেয়ে জেলের ভিতরেই পড়ে গেলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কারারক্ষীদের সামনেই এমন ঘটনা ঘটায় অবাক সকলেই।

    আরও পড়ুন: কমেছে মাধ্যমিকের পরীক্ষার্থী, সিলেবাসে বদল আনার পরামর্শ বিচারপতি বসুর

    ঠিক কী ঘটেছে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে?

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় প্রেসিডেন্সি জেলে রয়েছেন পার্থ। ওই একই জেলে রয়েছেন বিচারাধীন বন্দি, কুখ্যাত জঙ্গি মুসা। সেই মুসার তাড়া খেয়েই নাকি জেলের ভিতরে পড়ে যান পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, বন্দিদের লক আপে ঢোকানো হচ্ছিল। সে সময়ে বারবার পার্থকে অনুরোধ করা হয়, ভিতরে ঢুকতে। কিন্তু পার্থ নাকি ঢুকতে বিলম্ব করছিলেন। তখনই আচমকা জঙ্গি মুসা পার্থর দিকে তেড়ে গিয়ে মগ ছুড়ে দেন। তখন ভারী শরীর নিয়ে তড়িঘড়ি যেতে গিয়ে পড়ে যান পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ঠোঁটে চোট পান। তখন সবাই তাঁকে ধরে তোলেন। বড় বিপদ না ঘটলেও ঠোঁটে আঘাত পেয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। এর পর এসএসকেএম থেকে একটি টিম এসে দেখে যান তাঁকে। তাঁর স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাঁর শারীরিক অবস্থা ঠিকঠাকই আছে। জেল কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, এই ঘটনার পরে মুসাকে অন্য জায়গায় সরিয়ে দিয়েছেন জেল কর্তৃপক্ষ।

    উল্লেখ্য, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রেসিডেন্সি জেলের পয়লা বাইশ ওয়ার্ডের ২ নম্বর সেলে। আর মুসা থাকে ৭ নম্বর ওয়ার্ডে। আর এই দুজনকে নিয়েই ঘটে নাটকীয় কাণ্ড।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Calcutta High Court: উপনির্বাচনের আগে কংগ্রেস শিবিরে স্বস্তি! হাইকোর্ট থেকে অন্তর্বর্তী জামিন পেলেন সাইদুর রহমান

    Calcutta High Court: উপনির্বাচনের আগে কংগ্রেস শিবিরে স্বস্তি! হাইকোর্ট থেকে অন্তর্বর্তী জামিন পেলেন সাইদুর রহমান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপনির্বাচনের আগে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরল কংগ্রেস শিবিরে। কলকাতা হাইকোর্টে থেকে অন্তর্বর্তী জামিন পেলেন কংগ্রেস নেতা সাইদুর রহমান। এদিন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নির্দেশ দেন, কংগ্রেস নেতাকে সপ্তাহে ৩ দিন তদন্তকারী আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করতে হবে। সব ছবি ও ফুটেজ দিতে হবে পুলিশকে। পাশাপাশি, সাগরদিঘি ব্লকের প্রাক্তন যুব কংগ্রেস সভাপতি সাইদুরকে পুলিশি তদন্তে সহযোগিতা করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। দেড় দশকের পুরনো ধর্ষণ ও প্রতারণায় মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল সাইদুর রহমানকে। তাঁর গ্রেফতারির প্রতিবাদে থানা ঘেরাও করে কংগ্রস ও বামেরা। এরপর বুধবার সাইদুরের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করল কলকাতা হাইকোর্ট।

    কী ঘটেছিল?

    ২৭ ফেব্রুয়ারি সাগরদিঘি বিধানসভায় উপনির্বাচন, তার আগেই ধর্ষণ ও প্রতারণার অভিযোগে সাগরদিঘি ব্লকের প্রাক্তন যুব কংগ্রেস সভাপতি সাইদুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। এর পরই দলীয় নেতাকে গ্রেফতারের ঘটনায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় কংগ্রেস। পুলিশের বিরুদ্ধে অতি সক্রিয়তার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে তারা। কংগ্রেসের দাবি, ১৫ বছর আগের একটি ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে সাগরদিঘির কংগ্রেস নেতা সাইদুর রহমানকে।

    কংগ্রেসের কী দাবি?

    কংগ্রেসের তরফে দ্রুত জামিনের আর্জি জানানো হয়। অধীর চৌধুরীর দাবি, মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে কংগ্রেস নেতাকে। কংগ্রেসের বক্তব্য, মিথ্যা মামলা সাজিয়ে সাইদুরকে জেলে ঢোকানো হয়েছিল। পুলিশ চেষ্টা করছে এভাবে উপনির্বাচনের আগে ভয় দেখিয়ে কংগ্রেস কর্মীদের ঘরে ঢুকিয়ে দিতে। এই নিয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি, কংগ্রেস বৃহত্তর আন্দোলনের সামিল হবে বলে জানিয়েছিল প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। এর পর আজ বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে দুপুর ২টোয় এই মামলার শুনানি হয়।

    বিচারপতির প্রশ্নের মুখে রাজ্য পুলিশ

    উপনির্বাচনের আগে সাগরদিঘিতে কংগ্রেস নেতা গ্রেফতারের ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়ে পুলিশ। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা প্রশ্ন তোলেন, ১৫ বছর আগের ঘটনায় কেন ২০২৩-এ অভিযোগ করা হল? ১৫ বছর আগের ঘটনায় কেন প্রাথমিক তদন্ত করা হল না?

    অন্যদিকে কংগ্রেসের তরফে আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী সওয়াল করেন, ১৫ বছর আগের ঘটনায় কেন ২০২৩ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি অভিযোগ দায়ের হল, তার কোনও ব্যাখ্যা নেই। ফলে দু’পক্ষের সওয়াল জবাব শেষে  বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা শর্তসাপেক্ষে জামিন দেন সাইদুর রহমানকে।

  • Bogtui Massacre: বগটুই গণহত্যার তদন্তে রাজ্যে আসছে ‘লইয়ার্স ফর জাস্টিস’-এর প্রতিনিধি দল

    Bogtui Massacre: বগটুই গণহত্যার তদন্তে রাজ্যে আসছে ‘লইয়ার্স ফর জাস্টিস’-এর প্রতিনিধি দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বগটুই গণহত্যার তদন্তের স্বার্থে বেসরকারি সংস্থা ‘লইয়ার্স ফর জাস্টিস’–এর প্রতিনিধিরা ফেব্রুয়ারি মাসেই আবার কলকাতায় আসছেন।  এই প্রতিনিধিদের মুখ্য গন্তব্যই হবে বগটুই। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে ওই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিনিধিরা আগামী শনিবার, রবিবার ও সোমবার বীরভূম জেলায় থাকবে। ওই দল রাজ্যে আসবে আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি। প্রথমে রায়গঞ্জে যাবেন তাঁরা। সেদিনই মালদা হয়ে বোলপুরে চলে যাবেন। টানা দু’দিন বীরভূমে থাকবেন তাঁরা। সেখানে বগটুই কাণ্ড নিয়ে অনুসন্ধান করবেন তাঁরা। পরে প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গেও কথা বলবেন ‘লইয়ার্স ফর জাস্টিস’–এর প্রতিনিধিরা। 

    বগটুইয়ের স্মৃতি

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রভূমের বগটুইকাণ্ডের স্মৃতি উস্কে দিতে তৎপর গেরুয়া শিবিরও। রাজ্যে ভোট সন্ত্রাস বন্ধ করতে বদ্ধপরিকর বিজেপি। গত বছর ২১ মার্চ গণহত্যার অভিযোগ ওঠে বগটুইয়ে। রামপুরহাট-১ ব্লকের বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তথা তৃণমূল নেতা ভাদু শেখ খুন হওয়ার ‘প্রতিক্রিয়া’য় বগটুইয়ের গ্রামে কয়েকটি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। তাতে সব মিলিয়ে মৃত্যু হয় দশ জনের। সেই সময়ে এ নিয়ে উত্তপ্ত হয় রাজ্য রাজনীতি। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যো‌পাধ্যায় বগটুই গিয়ে ক্ষতিপূরণ ও তদন্তের ঘোষণা করেন। যদিও পরে কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ সিবিআই তদন্ত শুরু হয়।

    আরও পড়ুন: অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট কীভাবে নিতে হয় জানতেন না টেট পরীক্ষকরাই! মন্তব্যে ‘বিস্মিত’ বিচারপতি

    বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘লইয়ার্স ফর জাস্টিস’–এর ওই দল রাজ্যে আসবে আগামী শুক্রবার। রায়গঞ্জে হামলার অভিযোগ ওঠা একটি মন্দির পরিদর্শন করবেন তাঁরা। সেখানে স্থানীয় বাসিন্দা এবং মন্দির কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলার পরে তাঁরা ওই দিনই মালদহ হয়ে বোলপুরে আসবেন। পরের দু’দিন বীরভূমে থাকার কথা। সেখানে বগটুইকাণ্ডের তথ্যানুসন্ধার ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা এবং ভুয়ো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নিয়ে ওঠা অভিযোগ সম্পর্কে খোঁজ খবর নেবেন। প্রসঙ্গত, জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ওই সংগঠনের প্রতিনিধিরা কলকাতায় এসেছিলেন। সেই দলে ছিলেন প্রাক্তন বিচারপতি এল নরসিংহ রেড্ডি, প্রাক্তন আইপিএস অফিসার রাজপাল সিংহ, মহিলাদের অধিকার সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কাজ করা আইনজীবী চারু ওয়ালি খান্না,সাংবাদিক সঞ্জীব নায়ক এবং দুই আইনজীবী ওমপ্রকাশ ব্যাস এবং রোজি তাবা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • SSC Scam: ‘‘নিজেকে শুদ্ধ করার জন্য যেভাবে কাজ করা দরকার সেটা করুন’’! কমিশনকে বিচারপতি

    SSC Scam: ‘‘নিজেকে শুদ্ধ করার জন্য যেভাবে কাজ করা দরকার সেটা করুন’’! কমিশনকে বিচারপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একবার যে দস্যু রত্নাকর থেকে বাল্মীকি হবে সে আর রত্নাকরের রূপে ফেরত যাবে না, অভিমত হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর। ‘দস্যু রত্নাকর, বাল্মীকি হয়েছেন, কিন্তু বাল্মীকি যদি রত্নাকর হয় তাহলে? আদালতে মন্তব্য নবম-দশমের ৯৫২ জন শিক্ষকের একাংশের। এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই এই অভিমত জানান বিচারপতি বসু।

    নবম-দশমের নিয়োগ মামলায় ৯৫২ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে ওএমআর শিট বা উত্তরপত্রে কারচুপি করে বেআইনি ভাবে চাকরি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। সেই মামলারই শুনানি চলছিল বিচারপতি বসুর একক বেঞ্চে। বিচারপতি এর আগে এসএসসিকে নিজেদের ক্ষমতা প্রয়োগ করে এঁদের মধ্যে ৮০৫ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে বলেছিলেন। এসএসসি সেই নির্দেশ পালন করার প্রক্রিয়া শুরুও করেছিল। কিন্তু তার আগেই অভিযুক্ত চাকরিপ্রার্থীরা বিচারপতি বসুর নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে যান। তবে ডিভিশন বেঞ্চ মামলায় স্থগিতাদেশ দেয়নি। নবম-দশমের নিয়োগ মামলায় বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি শেষ হলেও এখনও রায় ঘোষণা হয়নি। 

    বিচারপতি যা বললেন

    বুধবার এসএসসির আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারপতি বসু বলেন, ‘‘মনে রাখবেন, এসএসসি যে পরিজনদের ত্যাগ করেছেন, তাঁরা এখন জেলে। তারা এখন সিবিআই – ইডির হেফাজতে রয়েছে। ’’ এসএসসির পাশাপাশি, অভিযুক্ত শিক্ষকদের নিয়েও মন্তব্য করেন বিচারপতি। ৯৫২ জন শিক্ষকদের একাংশের উদ্দেশে বিচারপতি বলেন, ‘‘এই দুর্নীতিতে আপনাদের কী ভূমিকা সেটা দেখুন। অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে, তারা দুজনেই সমান অপরাধী।’’  কমিশনকে উদ্দেশ করে বিচারপতি বসু আরও বলেন,  ‘আপনি এখন বাল্মীকি, নিজেকে শুদ্ধ করার জন্য যেভাবে কাজ করার দরকার সেটা করুন।’  বুধবার এই মামলার শুনানি আগামী ১ মার্চ পর্যন্ত পিছিয়ে দেন বিচারপতি বসু।

    আরও পড়ুন: অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট কীভাবে নিতে হয় জানতেন না টেট পরীক্ষকরাই! মন্তব্যে ‘বিস্মিত’ বিচারপতি

    অন্যদিকে বিকৃত ৯৫২ ওএমআর শিটে নাম বেরোয় সোনারপুর পৌরসভার একজন কাউন্সিলরের। তিনি নিজের সম্মানহানি হয়েছে এই অভিযোগ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন। শুনানির জন্য উঠেছে তার মামলাটিও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Naushad Siddique Case: ‘কেন এতদিন ধরে জেলে ৮৮ জন?’, নওশাদ জামিন মামলায় রাজ্যকে প্রশ্ন হাইকোর্টের

    Naushad Siddique Case: ‘কেন এতদিন ধরে জেলে ৮৮ জন?’, নওশাদ জামিন মামলায় রাজ্যকে প্রশ্ন হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে নওশাদ সিদ্দিকির (Naushad Siddique) জামিন মামলায় হাইকোর্টে বিচারপতির প্রশ্নের মুখে রাজ্য। কলকাতা হাইকোর্টে উঠল ভাঙড়ের বিধায়কের জামিন সংক্রান্ত মামলা। বুধবার এই মামলার শুনানিতে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিচারপতি। ধর্মতলার কর্মসূচিতে একসঙ্গে ৮৮ জনকে কেন গ্রেফতার করা হল, পুলিশের কাছে জানতে চাইল বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী ও বিচারপতি অজয় কুমার গুপ্তার ডিভিশন বেঞ্চ। অন্যদিকে বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে এত দিন ধরে জেলে রাখা নিয়ে মুখ খুললেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ও। যদিও তিনি বিধানসভার স্পিকার নয়, একজন আইনজীবী হিসেবে প্রশ্ন করেছেন, নওশাদ (Naushad Siddique) এতদিন জেলে কেন?

    বিচারপতির প্রশ্নের মুখে রাজ্য

    প্রসঙ্গত, গত ২১ জানুয়ারি ধর্মতলায় আইএসএফের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে ধুন্ধুমার কাণ্ড ডোরিনা ক্রসিংয়ে। সেখান থেকে নওশাদ-সহ বাকিদের গ্রেফতার করে পুলিশ। তারপর থেকে একাধিক মামলায় এখনও জেলেই রয়েছেন নওশাদ (Naushad Siddique)। আর এই নিয়েই বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চের রাজ্যকে প্রশ্ন, একই ঘটনায় কেন ৮৮ জনকে গ্রেফতার? প্রতিরোধমূলক গ্রেফতারিতে কেন এতদিন ধরে জেলে ৮৮ জন? বিচারপতির আরও প্রশ্ন, ‘এই ধরনের ঘটনায় ১-২ জন নেতা বা নেতৃত্ব স্থানীয় ব্যক্তিকে হেফাজতে নিলেন সেটা ঠিক আছে, কিন্তু ৮৮ জন? এই ৮৮ জনের ভূমিকা প্রমাণ করার মত ভিডিও রেকর্ডিং আছে তো?’

    বুধবার হাইকোর্টে নওশাদের (Naushad Siddique) হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তিনি এদিন আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘একটি কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ৮৮ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এক মাসের বেশি সময় জেলে রয়েছেন তাঁরা।’ যা শুনে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ‘এমন কী গুরুত্বপূর্ণ বিক্ষোভ ছিল যে একসঙ্গে এতজনকে গ্রেফতার করতে হল পুলিশকে?’ একদিকে বিচারপতি যেমন রাজ্য ও পুলিশকে এই ঘটনায় তীব্র ভর্ৎসনা করেছেন, অন্যদিকে ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে হাইকোর্ট। বেঞ্চ বলে, ‘নেতাদেরও আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া উচিত নয়।’

    বিচারপতির নির্দেশ

    বিচারপতির প্রশ্নের পর রাজ্যের বক্তব্যে বিস্মিত কলকাতা হাইকোর্ট। রাজ্যের যুক্তি, আইএসএফের প্রতিষ্ঠা দিবসের নামে সাধারণ মানুষের সম্পত্তি নষ্ট করা হয়েছে। ভাঙচুর চালানো হয়েছে। পুলিশের মতে, এগুলি প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা। কিন্তু বিচারপতিরও প্রশ্ন, একটা মিছিল থেকে ৮৮ জনকে কী করে গ্রেফতার করা হয়। ফলে আইএসএফ নেতা নওশাদ সিদ্দিকির জামিন সংক্রান্ত মামলায় সেদিনের ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ও কারা আহত হয়েছে সেই সংক্রান্ত মেডিক্যাল রিপোর্ট পুলিশকে আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী ও বিচারপতি অজয় কুমার গুপ্তর ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী ১ মার্চ এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

    নওশাদের জামিন মামলায় মন্তব্য বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের

    জেলে থাকার কারণেই বিধানসভার বাজেট অধিবেশনে যোগ দিতে পারেননি নওশাদ (Naushad Siddique)। সম্প্রতি, ভাঙড়ের বিধায়ক তথা আইএসএফ নেতা নওশাদকেও ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেলে থাকার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এদিন বুধবার নওশাদের জেল হেফাজতে থাকা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে জবাব দিতে গিয়ে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তাঁর মতামত একজন আইনজীবী হিসেবে। এরপর আজ বিধানসভার স্পিকারকে নওশাদের (Naushad Siddique) পক্ষে বলতে শোনা গেল। তিনি তাঁর জেলে থাকা নিয়ে বলেন, ওনার আইনজীবীদের উচিত ছিল এ বিষয়ে যুক্তিযুক্ত ভাবে পদক্ষেপ করা। আমি ব্যক্তিগত ভাবে এত দিন জেলে রাখার মত কারণ আছে বলে মনে করি না।” আবার বিচারপতির মন্তব্যেও বলেন, “বিচারপতিরা তো বেল দিতেই পারেন। এমন কথা বলার কী মানে আছে? তিনি তো নির্দেশ দিতেই পারেন। বিচারপতি হিসেবে যদি উনি মনেই করেন যে, জামিন হয়ে যাওয়া উচিত ছিল। সে ভাবে তিনি নির্দেশ দিতেই পারেন। বেল হয়ে যাবে বলেই আইনজীবী হিসেবে মনে করি।” 

  • Madhyamik 2023: কমেছে মাধ্যমিকের পরীক্ষার্থী, নবম-দশম সিলেবাসে বদল আনার পরামর্শ বিচারপতি বসুর

    Madhyamik 2023: কমেছে মাধ্যমিকের পরীক্ষার্থী, নবম-দশম সিলেবাসে বদল আনার পরামর্শ বিচারপতি বসুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি শুরু হচ্ছে মাধ্যমিক পরীক্ষা (Madhyamik 2023)। তার আগে বোর্ডকে মাধ্যমিকের সিলেবাস নিয়ে ভাবনাচিন্তা করার পরামর্শ দিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের সংখ্যা কমে যাওয়া নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিচারপতি।

    কী বলেন বিচারপতি? 

    বুধবার রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিচারপতি বসু ডেকে বলেন, “মাধ্যমিকে এত পড়ুয়া কমে যাচ্ছে। এখন থেকেই রাজ্যের সতর্ক হওয়া উচিত। মাধ্যমিকের সিলেবাস ঠিক করুন। সিলেবাস ঠিক না হলে সমস্যা বাড়বে। দয়া করে এ দিকে নজর দিন।”  

    এই বছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসবেন ৬ লক্ষ ৯৮ হাজার ৭২৪ জন পরীক্ষার্থী (Madhyamik 2023)। আগের বছরের তুলনায় এই সংখ্যা অনেকটাই কম। বিচারপতি বসু বলেন, “এ বছর মাধ্যমিকে চার লক্ষ পরীক্ষার্থী কমে গিয়েছে। এটা কেন হল রাজ্যকে ভাবতে হবে। শিক্ষক নিয়োগ করলে, সেই শিক্ষকেরা কাদের পড়াবেন সেটা আগে চিন্তা করা প্রয়োজন। পড়ুয়া না থাকলে শিক্ষক থেকে লাভ কী?”

    বিচারপতি আরও বলেন, “নবম-দশম শ্রেনির সিলেবাস ৪ বছরেরও বেশি পুরোনো। অন্যান্য বোর্ডের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে সিলেবাসে সংস্কার করুক রাজ্য। সিলেবাসে বদল আনার কথা ভাবুক রাজ্যের শিক্ষা দফতর। আইসিএসই, সিবিএসই বোর্ডের থেকে কোনও অংশে কম নয় আমাদের মাধ্যমিক বোর্ডের পড়ুয়ারা।”

    আরও পড়ুন: মাঝারি ভূমিকম্পে কাঁপল দিল্লি, ভবিষ্যতে বড় ক্ষতির আশঙ্কা ভারতেও! সতর্কবার্তা বিশেষজ্ঞদের

    রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ প্রসঙ্গ উত্থাপন করে বিচারপতি বলেন, “শুধু শিক্ষক নিয়োগ হলে তাতে লাভ কী হবে (Madhyamik 2023)! ছাত্র সংখ্যা ৩০ আর সেখানে শিক্ষক ১২। দিনভর ঝগড়া চলছে সেখানে শিক্ষকদের মধ্যে। সিলেবাসে বদল আনার কথা ভাবুক রাজ্য।”     

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জর্জরিত রাজ্য সরকার। সেই মামলা এখন চলছে হাইকোর্টে। নতুন শিক্ষক নিয়গ প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। কিন্তু এরই মাঝে মাধ্যমিকে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা  কমে যাওয়ায় চিন্তিত সকলে। মনে করা হচ্ছে, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সিলেবাসের কারণেই রাজ্য সরকারি স্কুলগুলিতে পড়ুয়ার সংখ্যা ক্রমশ কমে যাচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share