Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Dol Utsab: শান্তিনিকেতনে বন্ধ দোল উৎসব, আর কোথায় কাটাতে পারেন এই বিশেষ দিনটি?

    Dol Utsab: শান্তিনিকেতনে বন্ধ দোল উৎসব, আর কোথায় কাটাতে পারেন এই বিশেষ দিনটি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দোল মানেই বাঙালির চোখের সামনে ভেসে ওঠে শান্তিনিকেতন (Dol Utsab)। কিন্তু এবছরে রবি ঠাকুরের দেশে হচ্ছে না বসন্ত উৎসব। তাতে তো আর বাঙালির উৎসব মাটি হতে পারে না! এ বছর শান্তিনিকেতন নাই বা হল, দোল কাটান রাজ্যের অন্য কোনও ভাটা পড়বে না, এতটুকু বলতে পারি। এই পাঁচ জায়গায় দোল কাটান জমিয়ে।

    আরও পড়ুন: ফের বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট বিজেপির, একাধিক ইস্যুতে সরব শুভেন্দু

    নবদ্বীপ

    শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর নবদ্বীপধামে সারাবছরই পুণ্যার্থীদের (Dol Utsab) যাতায়াত লেগে থাকে। তবে দোলে রঙে প্রাচীন এই শহর যেন নতুন করে সেজে ওঠে। আর তাই এই বিশেষ সময় এখানে ভিড় জমান বিভিন্ন প্রান্তের বহু পর্যটক। চলে বিশেষ পুজোপাঠ। আপনিও এই দিনটি কাটিয়ে আসতে পারেন নবদ্বীপে।    

    মায়াপুর

    নবদ্বীপের উল্টো দিকেই অবস্থিত মায়াপুর। সেখানকার প্রধান আকর্ষণ ইসকন মন্দির। তাছাড়াও ছোটবড় আরও কিছু মন্দির রয়েছে এই মায়াপুরে। এখানকার দোলও খুবই বিখ্যাত। যাঁরা নবদ্বীপ যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন, তাঁরাও এক ফাঁকে গিয়ে ঘুরে আসতে পারেন মায়াপুর থেকে।   

    মহিষাদল রাজবাড়ি 

    পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদল রাজবাড়ির দোল উৎসবও বেশ জনপ্রিয়। রাজবাড়ির আম্রকুঞ্জে আয়োজিত হয় এই বসন্ত উৎসব। শুধু মহিষাদলই নয়, পূর্ব মেদিনীপুরের অন্যান্য জায়গা, এমনকী অন্যান্য জেলা থেকেও সেখানে উপস্থিত হন প্রচুর মানুষ।

    বিষ্ণুপুর

    বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর মন্দিরনগরী নামেও পরিচিত। টেরাকোটার এই শহরের মন্দিরগুলি (Dol Utsab) বরাবরই পর্যটকদের টানে। এই এলাকার প্রধান আরাধ্য দেবতা মদনমোহন। এখানকার দোল উৎসবও খুবই জাঁকজমকের সঙ্গে উদযাপিত হয়। চাইলে আপনিও যেতে পারেন।     

    নিমদিহি

    পুরুলিয়ার এই নিমদিহিও দোলের সময় পর্যটকদের কাছে এই অন্যতম জনপ্রিয় গন্তব্য। বসন্তের সময় পলাশের রঙে রেঙে ওঠে পুরুলিয়া। পর্যটকদের কাছে এটাই অন্যতম আকর্ষণ। এছাড়াও এখানকার আকর্ষণগুলির মধ্যে অন্যতম ছৌ-নাচ, ঝুমুর গান।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Suvendu Adhikari: ফের বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট বিজেপির, একাধিক ইস্যুতে সরব শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ফের বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট বিজেপির, একাধিক ইস্যুতে সরব শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অর্থবিল নিয়ে আলোচনার আগে ফের বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করলেন বিজেপি (BJP) বিধায়করা। বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়েছে সোমবার থেকে। স্পিকারের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা নিয়ে আলোচনা করতে না দেওয়ার অভিযোগ তুলে হই হট্টগোল শুরু করে বিজেপি। পরে বিধানসভা কক্ষে কাগজ ছিঁড়ে প্রতিবাদ দেখানোর পর ওয়াকআউট করেন গেরুয়া শিবিরের বিধায়করা। 

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)… 

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) অভিযোগ, ১৬টি নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বিধানসভার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিলাম। স্পিকার জানালেন, ওঁর পক্ষে প্রস্তাব জমা পড়েছে। কিন্তু এটা নিয়মবিরুদ্ধ। আমরা আইন মেনে পরবর্তী পদক্ষেপ যা নেওয়ার আমরা নেব। বিধানসভায় বেআইনি কার্যকলাপের প্রতিবাদ করেছি আমরা।    

    কেন স্বাস্থ্য, স্বরাষ্ট্র নিয়ে কোনও আলোচনা নয়?

    এদিন অধিবেশনের শুরুতে অধিবেশন কক্ষে প্রশ্ন তোলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর প্রশ্ন, কেন স্বাস্থ্য, স্বরাষ্ট্র নিয়ে কোনও আলোচনা নয়? এটা কি গণতন্ত্র? এর পাশাপাশি তাঁরা শিক্ষা, স্বাস্থ্য দফতরের বাজেট নিয়ে আলোচনার দাবি তোলেন। শুভেন্দুর অভিযোগ, গুরুত্বপূর্ণ দফতরগুলির বাজেট নিয়ে ১২ বছর কোনও আলোচনা হয়নি। বাজেট আলোচনায় এই দফতরগুলোকেও রাখতে হবে বলে জানান তিনি।

    প্রসঙ্গত, ৬ মার্চ থেকে ১৩ মার্চ পর্যন্ত বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্ব চলবে। সেখানে মোট ৬টি দফতরের বাজেট প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা। এদিন বিধানসভা থেকে হেঁটে শহিদ মিনারে ডিএ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দেখা করতে যান শুভেন্দু সহ বিজেপি বিধায়করা। বকেয়া ডিএ-র দাবিতে আন্দোলনকারী ও অনশনকারীদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা।

    বিধানসভায় পুলিশবাহিনী কেন?

    বিধানসভায় বিনা অনুমতিতে পুলিশবাহিনী কেন? এ প্রশ্ন তোলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এদিন দাবি মঞ্চ থেকে হেঁটেই বিধানসভায় ফেরেন শুভেন্দু। বিধানসভায় প্রবেশের পরেই দেখতে পান কয়েকজন উর্দিহীন পুলিশ কর্মীকে। হাতে লাঠি থাকা ওই পুলিশকর্মীদের উদ্দেশে শুভেন্দু প্রশ্ন করেন, আপনারা কারা? তৃণমূলের ক্যাডার বাহিনী? বিধানসভায় ঢোকার অনুমতি কে দিয়েছে আপনাদের? যদিও তার সঙ্গে কথা না বাড়িয়ে ওই পুলিশকর্মীরা বিধানসভা চত্বর ছেড়ে বেরিয়ে যান। শুভেন্দুর অভিযোগ, এভাবে কোনওরকম পরিচয়পত্র ছাড়া কেউ বিধানসভায় প্রবেশ করতে পারে না। অথচ ওখানে যাঁরা দাঁড়িয়ে ছিলেন তাঁদের কাছে কোনওরকম পরিচয়পত্র ছিল না। আর গুন্ডাদের পেটানোর লাঠি ছিল তাদের হাতে।

    আরও পড়ুুন: সারদাকাণ্ডে মমতাকে ডাকতে ‘অনীহা’ সিবিআইয়ের! মোদিকে চিঠি শুভেন্দুর

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • DA Protest: প্রাপ্য ডিএ দিতেই হবে! ধর্নামঞ্চে গিয়ে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের পাশে থাকার বার্তা শুভেন্দুর

    DA Protest: প্রাপ্য ডিএ দিতেই হবে! ধর্নামঞ্চে গিয়ে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের পাশে থাকার বার্তা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া মহার্ঘ্যভাতা ফেরানোর আন্দোলন আরও জোরদার হল। সরকারি কর্মচারীদের প্রাপ্য মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ দিতেই হবে। সোমবার বিধানসভা থেকে বেরিয়ে ধর্মতলায় অনশনরত কর্মচারীদের ‘সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ’-এ গিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিনই আন্দোলনকারীদের সমর্থন জানাতে ধর্মতলার ধর্নামঞ্চে হাজির হলেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিও। 

    ডিএ- নিয়ে শুভেন্দুর বার্তা

    সোমবার বিধানসভা অধিবেশন থেকে বেরিয়ে শুভেন্দু-সহ বিজেপি বিধায়করা হেঁটেই চলে যান ধর্মতলার শহিদ মিনারের কাছে অনশন মঞ্চে। সেখানে আন্দোলনরত কর্মচারীদের উদ্দেশে শুভেন্দু বলেন, ‘‘অনেকের মতো আমরাও আপনাদের পাশে আছি। হাই কোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ, ডিভিশন বেঞ্চে আপনারা মামলা জিতেছেন। আজ না হোক, কাল প্রাপ্য ডিএ দিতে হবে। শর্ত ছাড়া আমরা আপনাদের পাশেই রয়েছি।’’শুভেন্দু এ-ও বলেন, ‘‘আমরা রাজ্য বিধানসভায় প্রধান বিরোধী দল। আন্দোলনকারীদের ন্যায্য অধিকারের লড়াই জয়যুক্ত হোক। সেটাই চাই। আমাদের নৈতিক সমর্থন ওঁদের সঙ্গে থাকবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমাদের কর্মচারি এবং শিক্ষক সংগঠনও এঁদের সঙ্গে যুক্ত আছেন। রাজনীতির বাইরে থেকে এই আন্দোলনকে আমরা সমর্থন জানাচ্ছি।’’

    আরও পড়ুন: রাজ্যের মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশনে অভিযোগ শুভেন্দুর, কেন জানেন?

    ডিএ আন্দোলন ছড়ানোর কথা নওশাদের মুখে

    কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়ার দাবি জানিয়ে শহিদ মিনার চত্বরে আন্দোলন করছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। ৩৯ দিনে পড়েছে ধর্মতলায় সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের অনশন। এদিন ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিও গেলেন সেখানে।  আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বেশ কিছু ক্ষণ কথা বলেন তিনি। জানান, এই আন্দোলন কলকাতা থেকে ছড়িয়ে দিতে হবে বাংলার গ্রামাঞ্চলেও। তাঁর কথায়, ‘‘ওঁরা শিক্ষিত এবং প্রতিষ্ঠিত। ওঁদের পরামর্শ দেওয়ার মতো কিছুই নেই। তবে বলব, নিজেদের দাবি বুঝে নিতে হবে। সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ভাবে এবং গণতান্ত্রিক ভাবে আন্দোলন করুন।’’নওশাদ আরও বলেন, ‘‘এখন শুধু কলকাতায় এই আন্দোলন চলছে। আগামিদিনে বাংলার গ্রামাঞ্চলেও এই আন্দোলন ছড়িয়ে দিতে হবে। বৃহত্তর আন্দোলন করতে হবে। তবে সেটা কোন উপায়ে হবে, সেটা আমার থেকে ভাল মাস্টারমশাইরা জানেন। আন্দোলনরত সরকারী কর্মচারীরা ভালই জানবেন।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sevoke-Rangpo Rail Line: এবারে রেলপথেই যাওয়া যাবে সিকিম! সেবক থেকে রংপো রেলপথ পরিদর্শনে রেলমন্ত্রী

    Sevoke-Rangpo Rail Line: এবারে রেলপথেই যাওয়া যাবে সিকিম! সেবক থেকে রংপো রেলপথ পরিদর্শনে রেলমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য সুখবর! খুব শীঘ্রই চালু হতে চলেছে সেবক-রংপো রেলপথ (Sevoke-Rangpo Rail Line)৷ এবারে রেলপথেই সরাসরি পৌঁছে যাওয়া যাবে সিকিম। নরেন্দ্র মোদি সরকারের উদ্যোগে সেবক-রংপো রেললাইনের কাজ ইতিমধ্যে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। এবার সেই কাজ পরিদর্শনে গেলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। রবিবার তিনি সরাসরি সেবকে যান এবং সেখানে জংশন রেলস্টেশনের কাজের অগ্রগতি কতদূর হল, তা খতিয়ে দেখেন। সেবকের ওই জংশন স্টেশনকেই সিকিমের গেটওয়ে করার ব্যাপারেও আধিকারিকদের নির্দেশ দেন অশ্বিনী বৈষ্ণব। এর পাশাপাশি এই রেলপথে জুড়তে চলেছে ইন্দো-চিন নাথুলা সীমান্ত। রবিবার শিলিগুড়ির বাগডোগরা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে সেটাই স্পষ্ট করেছেন দেশের রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।

    সেবক-রংপো রেললাইন পরিদর্শনে অশ্বিনী বৈষ্ণব

    সিকিমের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার আগে বাগডোগরা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “উত্তর-পূর্ব ভারতের জন্য রেলে এই মুহুর্তে সবচেয়ে বেশি বাজেট বরাদ্দ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি দেখছেন।” মন্ত্রী জানান, সেবক থেকে রংপো পর্যন্ত রেল সুড়ঙ্গ (Sevoke-Rangpo Rail Line) প্রায় তৈরি। সেখান থেকে গ্যাংটক এবং গ্যাংটক থেকে নাথুলা পর্যন্ত যাতায়াত শুরু করবে রেল দফতর। 

    বাংলার সঙ্গে সিকিমের যোগাযোগ রেলপথে

    বর্তমানে সরাসরি সিকিম যাওয়ার একমাত্র মাধ্যম সড়কপথ। ৩১এ জাতীয় সড়ক দিয়েই বাংলার সঙ্গে সিকিমের সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে। কিন্তু, বর্ষার সময় এই জাতীয় সড়কের বেহাল দশা হয়। ফলে পর্যটক থেকে স্থানীয়দের চরম সমস্যায় পড়তে হয়। এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতেই বাংলা-সিকিমের মধ্যে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নিয়েছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। এই রেলপথ (Sevoke-Rangpo Rail Line) চালু হলে ইতিহাসে প্রথম সিকিমের সঙ্গে গোটা দেশের রেল যোগাযোগ শুরু হয়ে যাবে। সূত্রের খবর, ২০২৪-এর শুরুতেই সিকিমের সঙ্গে সংযোগকারী সেবক-রংপো রেলপথের কাজ শেষ হয়ে যাবে। তারপরই এই রেলপথ রেল মন্ত্রকের হাতে তুলে দেওয়া হবে। জানা গিয়েছে, মোট ৪ হাজার ৮৬ কোটি টাকা বরাদ্দে সেবক থেকে রংপো পর্যন্ত মোট ৪৪.৯৮ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ হচ্ছে।

    রেলপথেই যাওয়া যাবে নাথুলায়!

    এই রেলপথের মাধ্যমে সরাসরি গ্যাংটকের সঙ্গে যেমন যোগাযোগ করা যাবে, তেমনই ভারত-চিন সীমান্ত নাথুলা পাসেও পৌঁছে যাওয়া যাবে। ফলে যে কোনও পরিস্থিতিতে সহজেই সেনাদের কাছে রসদ পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে। রেলমন্ত্রী বলেন, “দেশের সামরিক সুরক্ষার স্বার্থে নাথুলার যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরও আগে উন্নত করা জরুরি ছিল৷ প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে সেটা হতে চলেছে৷ নাথুলা পর্যন্ত এই রেলপথ যুক্ত হলে সেনাবাহিনীর রসদ সংগ্রহে অত্যন্ত সুবিধা হবে।”

    মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ রেলমন্ত্রীর

    একই সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন বাংলার সরকারের তীব্র সমালোচনা করে রেলমন্ত্রী বলেন, “বাংলার রেল যোগাযোগ ব্যবস্থাকে উন্নত করতে মোদিজি বিপুল বরাদ্দ করেছেন৷ কিন্তু বাংলার আইন শৃঙ্খার সমস্যা, কোথাও জবর দখল- এই সব কারণে আটকে রয়েছে রেলের বহু প্রকল্পের কাজ৷”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: কুন্তলের সঙ্গে লেনদেন হয়েছে ৫০ লক্ষেরও বেশি! ফের ইডির তলব সোমাকে

    Recruitment Scam: কুন্তলের সঙ্গে লেনদেন হয়েছে ৫০ লক্ষেরও বেশি! ফের ইডির তলব সোমাকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত কয়েকদিনে একাধিকবার শিরোনামে উঠে এসেছেন ‘রহস্যময়ী নারী’ সোমা চক্রবর্তী (Recruitment Scam)। যাঁর দক্ষিণ কলকাতা ও বিধাননগরে রয়েছে পার্লার। নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত তৃণমূলের যুব নেতা কুন্তল ঘোষের সঙ্গে এই সোমার যোগ রয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর। জানা গিয়েছে, সোমার সঙ্গে ৫০ লক্ষ টাকার লেনদেন হয়েছে কুন্তলের। কিন্তু ফের চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে, এই ৫০ লক্ষ ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে বহু লেনদেন হয়েছে তাঁদের মধ্যে। কী কারণে সেই লেনদেন? কীসের এই টাকা? তা জানতেই সোমা চক্রবর্তীকে ফের তলব ইডির। আগামী শুক্রবার ইডি দফতরে হাজিরা দিতে হবে সোমাকে।

    ইডির কী দাবি?

    ইডি সূত্রে খবর, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (Recruitment Scam) অন্যতম অভিযুক্ত কুন্তলের সঙ্গে একটি অভিজাত ক্লাবে আলাপ হয়েছিল সোমার। কুন্তল সোমাকে চেনেন না বলে দাবি করলেও তথ্য উঠে এসেছে যে, ২০১৫ সাল থেকেই একে অপরকে চেনেন তাঁরা। ইডির তদন্তকারীরা এ-ও জানতে পেরেছেন যে, সোমা এবং কুন্তলের মধ্যে আর্থিক লেনদেনের পরিমাণ ৫০ লক্ষ টাকারও বেশি। তবে এই বিষয়ে নিশ্চিত হতে সোমার ব্যাঙ্কের নথি খতিয়ে দেখতে চাইছেন তদন্তকারীরা। আর তাই দ্বিতীয়বার তলব করা হয়েছে সোমাকে, সঙ্গে আনতে বলা হয়েছে ব্যাঙ্কের নথিও।

    আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে নয়া মোড়! টানা সাড়ে ৬ ঘণ্টা জেরা নতুন ‘রহস্যময়ী নারী’ সোমাকে

    কুন্তল ও সোমা কী জানিয়েছেন?

    গত শুক্রবার আদালত থেকে বেরোনোর মুখে কুন্তল দাবি করেছিলেন যে, তিনি সোমাকে চেনেন না। কিন্তু ইডি সূত্রে খবর, জেরায় সোমার সঙ্গে ‘বন্ধুত্বের’ কথা স্বীকার করেন কুন্তল। অন্য দিকে সোমাও জানান যে, কুন্তল তাঁর ‘বন্ধু’। সোমা তদন্তকারীদের কাছে দাবি করেছেন, ২০১৫ সাল থেকে তাঁর পার্লারের ব্যবসা। ২০১৯ সাল থেকে কুন্তলের কাছ থেকে ঋণ নেন তিনি। ব্যবসা বাড়ানোর জন্য বিনা সুদে ঋণ নিয়েছিলেন বলেও তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন। তবে এখনও সেই টাকা ফেরত দিতে হয়নি (Recruitment Scam)।

    অন্যদিকে ইডি মনে করছে, কোথাও কোনও সত্যি লুকনোর চেষ্টা করছেন সোমা। কুন্তল নিয়োগ দুর্নীতির টাকাই তাঁর কাছে পাঠিয়েছেন। কুন্তলের যে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, সেখানে প্রায় ৬.৫ কোটি টাকা ছিল। সেই অ্যাকাউন্ট থেকেই টাকা গিয়েছিল বলে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন। ফলে এই সব নয়া তথ্য হাতে আসতেই ইডি ফের তলব করেছে সোমাকে। এখন এটাই দেখার, পরবর্তীতে আর কী কী তথ্য বেরিয়ে আসে নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে (Recruitment Scam)।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Poster: কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচিকে সামাজিক বয়কট! কারা দিল পোস্টার?

    Poster: কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচিকে সামাজিক বয়কট! কারা দিল পোস্টার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে অশালীন ও কুরুচিকর মন্তব্য করে কলকাতা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন আইনজীবী তথা কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচি। রাতারাতি রাজ্যবাসীর কাছে পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন কৌস্তভবাবু। জামিনে বাড়ি ফিরে আসার পর তাঁর ব্যারাকপুরের বাড়িতে বিজেপি, সিপিএম নেতা থেকে শুরু করে স্থানীয় মানুষদের শুভেচ্ছার বন্যা বয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থায় ব্যারাকপুর শহরে বেশ কয়েকটি এলাকায় রাস্তার ধারে একটি পোস্টার (Poster) ঘিরে রাজনৈতিক মহলে জোর চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। কারণ, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সরব হওয়া এই কংগ্রেস নেতাকে সামাজিক বয়কটের ডাক দেওয়া হয়েছে।

    কৌস্তভ বাগচিকে কারা সামাজিক বয়কটের ডাক দিল? Poster

    গ্রেপ্তার হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে জামিন পেয়ে নিজের মস্তক মুণ্ডন করে তৃণমূল সরকারকে উত্খাত করার তিনি শপথ নেন। তাঁর এই জেদ দেখে স্বাভাবিকভাবে কংগ্রেসের নীচুতলার কর্মীরা চাঙা হয়ে ওঠেন। সঙ্গে বিরোধীরাও তাঁর বাড়়ি বয়ে এসে প্রশংসা করে যান। একদিকে তাঁর নামে সর্বত্র জয়জয়কার করছে বিরোধীরা, সেই অবস্থা রবিবার তাঁর ব্যারাকপুরে বাড়়ির আশপাশের এলাকায় রাস্তার ধারে তাঁকে সামাজিক বয়কটের ডাক দেওয়ার পোস্টার (Poster) দেওয়া হয়েছে। পোস্টারে লেখা রয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে অশালীন ও কুরুচিকর মন্তব্য করে আমাদের এলাকার সাংস্কৃতিকে সারা বাংলার কাছে হেয় প্রতিপন্ন করেছে কৌস্তভ বাগচি, তাকে সামাজিক বয়কট করা হোক। পোস্টারের (Poster) নীচে কোনও রাজনৈতিক দলের নাম নেই। শুধু লেখা রয়েছে বারাকপুরবাসীর পক্ষ থেকে। তবে, কে বা কারা এই পোস্টার (Poster)   দিয়েছে তা পরিষ্কার নয়। তবে, কংগ্রেস নেতা মাথা ন্যাড়া নিয়ে তৃণমূল নেতৃত্ব কটাক্ষ করতে ছাড়েনি। কামারহাটির পুরসভার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর নির্মলা রায় কংগ্রেস নেতাকে কটাক্ষ করে বলেন, ওই নেতার মাথায় উকুন ছিল। তাই, তিনি মাথা ন্যাড়া হয়েছেন। আর দলীয় নেত্রীর বিরুদ্ধে অশালীন মন্তব্য করছেন। এরপর নিজের ওয়ার্ডে এক মাথা ন্যাড়া যুবকের মাথায় গোল ঢেলে কৌস্তভ বাগচিকে ওই কাউন্সিলর কটাক্ষ করেন।

    বারাকপুর শহরে সামাজিক বয়কটের পোস্টার নিয়ে কৌস্তভবাবু বলেন, এই ধরনের পোস্টার দেওয়ার কাজ তৃণমূলের। নিজেরা সামনে নাম দিতে ভয় পাচ্ছে। কিন্তু, পোস্টার (Poster) দিয়ে সামাজিক বয়কটের ডাক দিলেই তো হল না। আমাকে এলাকার মানুষ ভালোবাসেন। বাড়ির বাইরে বের হলেই প্রচুর মানুষ এসে কথা বলে যাচ্ছে। বারাকপুর পুরসভার তৃণমূলের চেয়ারম্যান উত্তম দাস বলেন, বাংলার একটি নিজস্ব সংস্কৃতি রয়েছে। তিনি একজন আইনজীবী হয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে যে অশালীন মন্তব্য করেছেন তা নিন্দার ভাষা নেই। তবে, সামাজিক বয়কটের পোস্টার (Poster) দেওয়ারও আমরা তীব্র নিন্দা করছি। এসব তৃণমূলের কাজ নয়। ওরা আমাদের দলের নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Forecast: দোলের আগেই হাঁসফাঁস কলকাতায়, কেমন কাটবে রঙের উৎসব?

    Weather Forecast: দোলের আগেই হাঁসফাঁস কলকাতায়, কেমন কাটবে রঙের উৎসব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত কাটলেই রঙের উৎসব। তার আগে তাপে পুড়ছে তিলোত্তমা। আনন্দোৎসবের মাঝেই অস্বস্তি বাড়াচ্ছে আবহাওয়া (Weather Forecast)। মার্চের শুরুতেই হাঁসফাঁস গরম। ক্রমশ বাড়ছে পারদ। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, আজ কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। আগামিকাল তাপমাত্রার পারদ ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যাবে। পশ্চিমের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকবে। দক্ষিণবঙ্গের পাঁচ জেলার তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি থাকবে। বাঁকুড়াতে সবচেয়ে বেশি চড়বে পারদ। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং পূর্ব বর্ধমানের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে। আপাতত সমগ্র দক্ষিণবঙ্গের কোথাও বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই।   

    তবে দোলের সময় বৃষ্টিপাত হতে পারে উত্তরবঙ্গের কিছু। দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে সোমবার সকাল থেকেই মেঘলা আকাশ (Weather Forecast)। আজ ও আগামিকাল বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে পাহাড়ে। দক্ষিণবঙ্গে বেড়েছে দিনের তাপমাত্রা। জেলায় জেলায় হাওয়ার বদল। পশ্চিমের শুকনো ও গরম বাতাস ঢুকছে এরাজ্যে। এর ফলেই পশ্চিমের জেলা সহ সংলগ্ন জেলাগুলিতে বাড়ছে তাপমাত্রা।

    আরও পড়ুন: কাটল জট! কেষ্টকে কলকাতায় আনার দায়িত্ব রাজ্য পুলিশেরই, নির্দেশ সিবিআই আদালতের

    ঝাড়খন্ড ও ওড়িশায় বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা (Weather Forecast)। এর ফলে ঝাড়খন্ড এবং ওড়িশা সংলগ্ন জেলাগুলিতে আংশিক মেঘলা আকাশ। কোথাও কোথাও মেঘলা আকাশ। বুধবার পুরুলিয়ায় এবং বৃহস্পতি ও শুক্রবার পুরুলিয়া বাঁকুড়া এবং ঝাড়গ্রামে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ খুব হালকা বৃষ্টি দু এক জায়গায় সম্ভাবনা রয়েছে বলেই জানাচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা।

    উত্তরবঙ্গে আগামী কয়েক দিন বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা বৃষ্টি চলবে দার্জিলিং ও কালিম্পংএ। সিকিম ও অরুণাচল প্রদেশে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি।  উঁচু পার্বত্য এলাকায় হালকা তুষারপাতের সম্ভাবনা থাকছে আগামী ৪/৫ দিন।

    বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৩৪ থেকে ৭৮ শতাংশ। আগামী ২৪ ঘন্টায় কলকাতা শহরে তাপমাত্রা থাকবে ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে (Weather Forecast)। একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা রয়েছে উত্তর পশ্চিম ভারতে। আরও একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা নতুন করে আসবে আগামীকাল মঙ্গলবার। একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে গুজরাট থেকে রাজস্থান ও সংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত। আরও একটি অক্ষরেখা রয়েছে দক্ষিণ কঙ্কন থেকে মধ্য মহারাষ্ট্র পর্যন্ত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Central Vigilance Commission: রাজ্যের মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশনে অভিযোগ শুভেন্দুর, কেন জানেন?

    Central Vigilance Commission: রাজ্যের মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশনে অভিযোগ শুভেন্দুর, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি রাজ্যের মুখ্যসচিব। অভিযোগ, অনৈতিকভাবে তিনি বাড়িভাড়া ভাতা নিয়েছেন। হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর (Hari Krishna Dwivedi) বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলে কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশনের (Central Vigilance Commission) কাছে চিঠি পাঠিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। চিঠি পাঠানো হয়েছিল ৩১ জানুয়ারি। ট্যুইট-বার্তায় শুভেন্দু জানান, সেই অভিযোগ গ্রহণ করেছে কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশন। কমিশনের তরফে তাঁকে পাঠানো ই-মেইলও প্রকাশ্যে এনেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তাতে বলা হয়েছে, তাঁর করা অভিযোগ খতিয়ে দেখে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

    কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশন (Central Vigilance Commission)…

    শুভেন্দুর দাবি যে নিছক অমূলক নয়, তার প্রমাণ মিলেছে কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশনের (Central Vigilance Commission) পোর্টালেও। এমন কোনও অভিযোগ গ্রহণ করা হলে, অভিযোগকারীকে সেই বার্তা ই-মেইল করে জানানো হয়। শুভেন্দুকেও তেমনই বার্তা মেইল করে পাঠানো হয়েছে। ওই মেইলে জানানো হয়েছে, কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী শুভেন্দুর অভিযোগপত্র খতিয়ে দেখে নথিবদ্ধ করা হয়েছে। তবে তারা তদন্ত শুরু করবে নাকি রাজ্য সরকারকে সুপারিশ করবে, তা অবশ্য এখনও স্পষ্ট নয়।

    শুভেন্দুর উদ্দেশে পাঠানো মেইল-বার্তায় বলা হয়েছে, আপনার অভিযোগ খতিয়ে দেখা হয়েছে। সেই বার্তা প্রকাশ করে শুভেন্দু বলেন, আমার অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশনকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর বিরুদ্ধে আমি অভিযোগ করেছিলাম। যিনি রাজ্য সরকারের বাংলোয় থেকেও নিয়ম ভেঙে ১৬.৪ লক্ষ টাকা হাউস রেন্ট অ্যালাওয়েন্স নিয়েছেন।

    আরও পড়ুুন: ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে ব্রিটিশরা, বললেন মোহন ভাগবত

    ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর মুখ্যসচিবের দায়িত্ব নেন হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। আলিপুরের আট কামরার সরকারি বাংলোয় থাকেন। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, তার পরেও তিনি বেআইনিভাবে বাড়িভাড়া ভাতা বাবদ টাকা নিয়েছেন। এর ফলে ইল ইন্ডিয়া সার্ভিস রুল ভেঙেছেন দ্বিবেদী। শুভেন্দুর দাবি, এটা ক্ষমতার অপব্যবহার। রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, দ্বিবেদী এখন আর বাড়িভাড়া বাবদ ভাতা নিচ্ছেন না।

    প্রসঙ্গত, আইএএস কিংবা আইপিএস আধিকারিকদের নিয়োগপত্র কেন্দ্র দিলেও, তাঁরা যখন কোনও রাজ্যে কর্মরত থাকেন, তখন তাঁদের কারও বিরুদ্ধে সার্ভিস রুল লঙ্ঘনের (Central Vigilance Commission) অভিযোগ উঠলে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের দুর্নীতি দমন শাখায় লিখিতভাবে জানাতে হয়। তাই শুভেন্দুর অভিযোগ কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশন খতিয়ে দেখলেও, এই অভিযোগের তদন্তের এক্তিয়ার রয়েছে রাজ্যের দুর্নীতি দমন শাখার হাতেই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: সারদাকাণ্ডে মমতাকে ডাকতে ‘অনীহা’ সিবিআইয়ের! মোদিকে চিঠি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: সারদাকাণ্ডে মমতাকে ডাকতে ‘অনীহা’ সিবিআইয়ের! মোদিকে চিঠি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে সারদা চিটফান্ড কেলেঙ্কারির তদন্তে সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিলেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সেখানে তিনি অভিযোগ করেছেন, সারদা চিট ফান্ড কেলেঙ্কারির সব থেকে বড় সুবিধাভোগী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পেতে সিবিআই-এর অনিচ্ছা রয়েছে। গত ১০ বছর ধরে রাজ্যের মানুষ কাঙ্খিত দিনটির জন্য অপেক্ষা করছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। শুভেন্দু প্রশ্ন করেছেন, “কেন্দ্রের সংস্থা সিবিআই কি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর পদকে ভয় পাচ্ছে? তা না হলে সারদা মামলার দশ বছর পরও কেন তাঁর বিরুদ্ধে কোনও তদন্ত শুরু করছে না!”

    প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি বিরোধী দলনেতার (Suvendu Adhikari)

    সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি পাঠান বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। আর সেই চিঠিতে সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। সারদা চিটফান্ড সংক্রান্ত সব মামলার তদন্ত যে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সিবিআইয়ের হাতে গিয়েছে, সেই প্রসঙ্গ এনে তিনি বলেন, অসম, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে চলা সারদা চিটফান্ড সংক্রান্ত নানা ঘটনার জেরে বিষয়টিকে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র বলে উল্লেখ করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। চিঠিতে তিনি দাবি করেছেন, বিভিন্ন কেলেঙ্কারি সুবিধা নিয়েছিলেন ক্ষমতার শীর্ষে থাকা লোকজনও। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এছাড়াও সারদার সঙ্গে মমতার সম্পর্ক তাঁর মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার বহু আগে থেকে, এমনটাও অভিযোগ করেছেন শুভেন্দু।

    আরও পড়ুন: রাজ্যের মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশনে অভিযোগ শুভেন্দুর, কেন জানেন?

    সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন শুভেন্দুর

    চিঠিতে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) সিবিআই-এর অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। সেখানে বলেছেন, ‘মমতার কাছে পৌঁছতে কেন দ্বিধা করছে সিবিআই। চেয়ারের জন্যই কি সিবিআই তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিতে পারছে না?’ এছাড়াও এদিন পাঁচ পাতার চিঠিতে তিনি একে একে জানিয়েছেন, সারদা মামলায় তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে কী কী অভিযোগ উঠেছিল, তার প্রেক্ষিতে সিবিআই কী বলেছিল এবং মামলার দশ বছর পরেও কোন কোন ক্ষেত্রে এখনও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

    মমতাই সারদা কেলঙ্কারির সবচেয়ে বড় সুবিধাপ্রাপ্ত!

    আবার মমতার আঁকা ছবি সারদা গোষ্ঠীর তরফে কোটি টাকায় কেনা হয়েছে বলে জানিয়েছিল সিবিআই, এ কথাও উল্লেখ করেছেন শুভেন্দু। এ ছাড়াও মমতা রেলমন্ত্রী থাকাকালীন রেলের ক্যাটারিং এবং অন্যান্য যাত্রী পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা আইআরসিটিসির সঙ্গে সারদার ট্যুরের প্রসঙ্গও টেনেছেন তিনি (Suvendu Adhikari)। সারদা মামলায় নাম না করে সারদার সংবাদ মাধ্যমগুলির প্রাক্তন গ্রুপ সিইও তথা তৃণমূলের তৎকালীন সাংসদ কুণাল ঘোষের গ্রেফতারির কথাও উল্লেখ করেছেন শুভেন্দু ওই চিঠিতে। তিনি লিখেছেন, ওই সাংসদ গ্রেফতার হওয়ার পর বার বার বলেছিলেন, ‘মমতাই সারদা কেলঙ্কারির সবচেয়ে বড় সুবিধাপ্রাপ্ত। কেন তা শুনেও শোনেনি সিবিআই?’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: কাটল জট! কেষ্টকে কলকাতায় আনবে রাজ্য পুলিশই, নির্দেশ সিবিআই আদালতের

    Anubrata Mondal: কাটল জট! কেষ্টকে কলকাতায় আনবে রাজ্য পুলিশই, নির্দেশ সিবিআই আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে কেষ্টর তিহার যাত্রার জট কাটল। ইতিমধ্যেই বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতিকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করার বিষয়ে আদালতের সম্মতি পেয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তার আগে করতে হবে অনুব্রতর (Anubrata Mondal) স্বাস্থ্য পরীক্ষা। সেই রিপোর্ট ঠিক থাকলে তবেই তাঁকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া যাবে। কেষ্টর দিল্লি যাত্রা নিয়ে ছিল বেশ কিছু জটিলতা। সোমবার সিবিআই আদালত কড়া নির্দেশ দিয়েছে, অনুব্রত মণ্ডলকে ইডির হাতে তুলে দেওয়ার আগে পর্যন্ত নিরাপত্তা দিতে হবে আসানসোল পুলিশ কমিশনারেটকে। রাজ্যপুলিশকেই তাঁকে আসানসোল সংশোধনাগার থেকে কলকাতায় নিয়ে গিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে ইডির হাতে তুলে দিতে হবে। আদালত আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষকে ইডি অফিসার পঙ্কজ কুমারের সঙ্গে যোগাযোগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

    রবিবার অনুব্রতকে (Anubrata Mondal) কলকাতায় আনার বিষয়ে নানান জটিলতা তৈরি হয়। জেল কর্তৃপক্ষ বলে তারা আসানসোল কমিশনারেটকে জানালেও পুলিশ কিছু বলেনি। ওদিকে ইডি বলে, তারা অনুব্রতকে এতটা পথ আনতে পারবে না। নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করতে হবে রাজ্য পুলিশকেই।

    আরও পড়ুন: সারদাকাণ্ডে মমতাকে ডাকতে ‘অনীহা’ সিবিআইয়ের! মোদিকে চিঠি শুভেন্দুর  

    পুলিশ, ইডির এই দড়ি টানাটানিতে মুশকিলে পড়ে জেল কর্তৃপক্ষ। শেষমেশ তারাই আজকে বিশেষ সিবিআই আদালতে আবেদন জানায়। তার ভিত্তিতে আদালত সবটা পরিষ্কার করেছে। সোমবার কখন আসানসোল জেল থেকে কেষ্ট মণ্ডলের (Anubrata Mondal) কনভয় রওনা দেবে কলকাতার উদ্দেশে তা এখনও জানা যায়নি।

    সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী নির্দেশ দেন, আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষ অনুব্রতকে (Anubrata Mondal) কলকাতা নিয়ে যাবেন এবং তাঁকে নিরাপত্তা দেবে আসানসোল পুলিশ। সেখানে কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ কোনও একটি হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়ে ‘ফিট সার্টিফিকেট’ নেওয়ার পর অনুব্রতকে হাসপাতালেই ইডির হাতে তুলে দেওয়া হবে। এর পর ইডি অনুব্রতকে বিমানে দিল্লি নিয়ে যাবে। জেল কর্তৃপক্ষ ইমেল এবং ফোনের মাধ্যমে আসানসোল পুলিশ এবং অনুব্রতের মামলার দায়িত্বপ্রাপ্ত ইডি আধিকারিক পঙ্কজ কুমারকে সব তথ্য জানিয়ে দেবেন। যথাসম্ভব দ্রুত ওই প্রক্রিয়া পালনের জন্য নির্দেশ দেন আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের বিচারক। সে কথা জানিয়েছেন অনুব্রতের আইনজীবী সোমনাথ চট্টরাজ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share