Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Akhil Giri: রাষ্ট্রপতির পর প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য অখিল গিরির! তুমুল বিতর্কে মন্ত্রী

    Akhil Giri: রাষ্ট্রপতির পর প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য অখিল গিরির! তুমুল বিতর্কে মন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের শাসকদলের নেতার মুখে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য! বিতর্ক যেন তাঁর পিছু ছাড়ছেই না। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর পর এবার দেশের প্রধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে বসলেন মন্ত্ৰী অখিল গিরি। রামনগরের সভা থেকে তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী গরুকে আঁকড়ে ভালোবাসা করতে গিয়েছিলেন। গরু গুঁতিয়ে দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে।” স্বভাবতই মন্ত্রীর এই মন্তব্য ঘিরে তুমুল বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও রাষ্ট্রপতি দৌপদী মুর্মুকে নিয়েও বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন তিনি। ফলে এই নিয়ে ক্ষমাও চাইতে হয় খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

    প্রধানমন্ত্রীর নামে অশালীন মন্তব্য অখিল গিরির

    গতকাল পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরে আরএসএ ময়দানের মাঠে বিজেপির পালটা সভা করে তৃণমূল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। আর সেখান থেকেই প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে অশালীন ভাষায় মন্তব্য করতে দেখা যায় তাঁকে। বিজেপি ও মোদি সরকারকে কটাক্ষ করতে গিয়ে তিনি ভ্যালেন্টাইন্স ডে-এর প্রসঙ্গ তুলে এনে বলেন, “১৪ তারিখ ভ্যালেন্টাইন্স ডে ছিল, ভালোবাসার দিবস, ছেলে-মেয়েরা প্রেম করে। গোলাপ ফুল দেওয়া-নেওয়া হয়। একজন মানুষকে আরেকজন মানুষ ফুল দিয়ে ভালোবাসে। প্রধানমন্ত্রী গরুকে আঁকড়ে ভালোবাসা করতে গিয়েছিলেন। গরু গুঁতিয়ে দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে। পুরো পড়ে গিয়েছে। ভাগ্য ভালো ষাঁড়টাকে ধরেনি। না হলে গুঁতিয়ে দিত পেটে লেগে যেত…। গরু যদি নরেন্দ্র মোদিকে গুঁতিয়ে দেয় তাহলে আমি কি করব!” মন্ত্রী আরও বলেন, “১৪ তারিখ ভ্যালেন্টাইন্স ডে’তে নরেন্দ্র মোদি গরুকে আঁকড়ে ধরেছেন, কী সুন্দর! আগামী ২৪-এ গুঁতো খাবে। যাতে উলটে পড়বে প্রধানমন্ত্রী মানুষ পার্লামেন্টের বাইরে পাঠিয়ে দেবে।”

    মন্ত্রী অখিল গিরিকে কড়া ভাষায় জবাব বঙ্গ বিজেপির

    প্রধানমন্ত্রী প্রসঙ্গে অখিল গিরির মন্তব্যের তীব্র বিরোধীতায় সরব হয়েছে বঙ্গ বিজেপি। এই প্রসঙ্গে কাঁথি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি সুদাম পণ্ডিত বলেন, “একটা মোস্ট থার্ড ক্লাস দল। দুর্নীতি করতে করতে রাজ্যটাকে শেষ করে দিয়েছে। ওদের কথায় কান দিয়ে আমাদের লাভ কী। ওদের মত আমাদের তো আর অভিনেতা দেখিয়ে লোক ডাকতে হয়নি। বিনাশকালে বুদ্ধিনাশ হয়েছে তৃণমূলের নেতা- নেত্রীদের। তাই ভুল-ভাল কথা বলছেন।” আবার শমীক ভট্টাচার্য বলেন, এটাই তৃণমূল কংগ্রেস! শুধু তাই নয়, এটাই তাঁদের সংস্কৃতি, ভাষা বলেও আক্রমণ বিজেপি নেতার। তাঁর মতে, তৃণমূলের নেত্রী তিনি নিজে এই ভাষায় কথা বলে। প্রত্যেকটি রাজনৈতিক ক্ষেত্রে সেটাই প্রকাশ পায় বলে কটাক্ষ। এমন কিছু মানুষ আছেন যারা এই সব বলে হাততালি কুড়োতে চায় বলে মন্তব্য বিজেপি নেতার। তবে মানুষ এর জবাব দেবে বলে মন্তব্য তাঁর।

  • Partha Chatterjee: ফের খারিজ হয়ে গেল পার্থর জামিনের আর্জি, হতাশ হয়ে পড়ছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী?  

    Partha Chatterjee: ফের খারিজ হয়ে গেল পার্থর জামিনের আর্জি, হতাশ হয়ে পড়ছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও খারিজ হয়ে গেল রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) জামিনের আর্জি। বৃহস্পতিবার আলিপুর সিবিআইয়ের (CBI) বিশেষ আদালতে শুনানি ছিল নিয়োগ দুর্নীতিতে অন্যতম অভিযুক্ত পার্থর। এদিনও জামিনের আবেদন করেন তিনি। যদিও জামিনের আবেদন খারিজ করে পার্থ সহ বাকিদের ২ মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।

    সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত…

    এদিন দুপুরে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে তোলা হয় পার্থকে। সবুজ পাঞ্জাবি ও ধূসর জ্যাকেট পরিহিত পার্থকে বেশ বিধ্বস্ত লাগছিল। জামিন খারিজ হয়ে যাওয়ার পর আদালত থেকে বেরনোর সময় এবারও প্রশ্নবাণে বিদ্ধ হন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী, প্রতিবারের মতো। রাজ্য সরকার যে ৩ শতাংশ ডিএ বাড়িয়েছে, এদিন সে খবর দেওয়া হয় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে (Partha Chatterjee)। তার পরেই এক সাংবাদিক বলেন, অর্পিতা বলেছেন সব টাকা গয়না আপনার। একের পর এক খবর এবং প্রশ্ন শুনে প্রথমে একটু থমকে যান পার্থ। পরে উপস্থিত সাংবাদিকদের দিকে তাকিয়ে বলেন, আপনারা সবাই ভাল থাকুন।

    এর আগেও বিভিন্ন সময় সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন পার্থ। কখনও বলেছেন, আসল দুর্নীতি কে করেছে, তা প্রকাশ্যে আসবে। কখনও বলেছেন, তৃণমূলের ক্ষতি কেউ করতে পারবে না। দুর্গাপুজোর শুভেচ্ছাও জানিয়েছিলেন। তবে এখন তো সেই অর্থে কোনও উৎসবই নেই। ভ্যালেন্টাইনস ডে-ও গত হয়েছে। তার পরেও কেন শুভেচ্ছা জানালেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী? তাহলে কি পার্থ বোঝাতে চাইলেন, তিনি ভাল নেই?

    ভাল না থাকারই কথা। মাস সাতেক হল পার্থ রয়েছেন জেলের অন্ধকার কুঠুরিতে। তদন্ত করছে সিবিআই। এদিন এ নিয়ে সিবিআইয়ের উদ্দেশে বিচারক বলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) গ্রেফতার হয়েছেন অনেক মাস হল। এর পরেই বিচারক বলেন, যেটা হচ্ছে, সেটা ঠিক হচ্ছে না। সিবিআইয়ের তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিচারক বলেন, যাঁরা অভিযুক্ত, তাঁদেরও অধিকার থাকে। অনির্দিষ্টকাল ধরে তদন্ত চলছে, এরকম বলা যায় না।

    প্রসঙ্গত, শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ানোয় জেল হেফাজতে রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। এর আগে কখনও তাঁকে দেখা গিয়েছে কান্নায় ভেঙে পড়তে, কখনও আবার নীরব থেকেছেন এজলাসে। এদিনও ফের জামিনের জন্য কাতর আর্জি জানাতে দেখা গিয়েছে তৃণমূলের বহিষ্কৃত মহাসচিবকে। আদালত থেকে জেলের কুঠুরিতে ফিরে যাওয়ার আগে করলেন শুভকামনাও।

     

  • Sukanta Majumdar: প্রবেশিকা না দিয়েই ডাক্তারি পড়ছেন বিধায়ক সুদীপ্ত রায়ের মেয়ে! বিস্ফোরক ট্যুইট সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: প্রবেশিকা না দিয়েই ডাক্তারি পড়ছেন বিধায়ক সুদীপ্ত রায়ের মেয়ে! বিস্ফোরক ট্যুইট সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শান্তনু সেনের পর এবার বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) নিশানায় তৃণমূলের বিধায়ক সুদীপ্ত রায়। শ্রীরামপুরের তৃণমূল বিধায়কে মেয়ে কীভাবে কোনও প্রবেশিকা ছাড়াই মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হলেন তা নিয়ে ট্যুইট করে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার এই নিয়ে পরপর দুটি ট্যুইট করেছেন সুকান্ত। সুকান্ত লেখেন, “প্রবেশিকায় উত্তীর্ণ না হয়েও ডোনার কোটায় মেডিক্যালে ভর্তি হয়েছেন বিধায়কের ছোট মেয়ে।” আরও প্রশ্ন করেন, “বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ থেকে কীভাবে মেডিক্যাল কলেজে ট্রান্সফার হল তাঁর?” কিছুদিন আগে, তৃণমূল সাংসদ শান্তুনু সেনের মেয়ের আরজিকরে ভর্তি নিয়েও স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলেছিলেন সুকান্ত। সেই বিতর্ক ঠাণ্ডা হতে না হতেই আরও এক অভিযোগ। 

    আরও পড়ুন: “বিচার না পেলে সেনায় ফিরব না”, প্রতিজ্ঞা নিহত জওয়ানের ভাইয়ের 

    এদিন পরপর দুটি ট্যুইট করেছেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। প্রথমটিতে তিনি লিখেছেন, বিধায়ক ডঃ সুদীপ্ত রায়ের মেয়ে সুবেশা বসু রায় কীভাবে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ থেকে ২০০২ সালে গুরুত্বপূর্ণ সরকারি মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত হলেন? একই সঙ্গে কনিষ্ঠ কন্যা শিল্পা বসু রায়ের কথাও উল্লেখ করেছেন সুকান্ত। তিনি দাবি করেছেন, কোনও পরীক্ষা না দিয়েই ডাক্তারি পড়ার সুযোগ পেয়েছেন বিধায়কের মেয়ে। ‘ডোনার্স কোটা’য় পড়ার সুযোগ পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন তিনি।

     

    শান্তনু সেনের মেয়ের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েও সে সময় প্রশ্ন তোলেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। ট্যুইটেই এই প্রশ্ন তুলছেন তিনি। সুকান্তর প্রশ্ন ছিল, মেডিক্যালে ১ লক্ষ ২১ হাজার ৪৭৩ র‌্যাঙ্ক থাকা সত্ত্বেও কীভাবে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে পড়ার সুযোগ পেলেন শান্তনুকন্যা সৌমিলি সেন? এর উত্তরে শান্তনু সেন জানিয়েছিলেন, সুবর্ণ বনিকদের জন্য যে আসন সংরক্ষিত থাকে, তাতেই পড়ার সুযোগ পেয়েছেন তাঁর মেয়ে। মেয়েকে মানসিকভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছিলেন শান্তনু। তবে এই বিষয়ে এখনও মুখ খোলেননি সুদীপ্ত রায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Sukanta Majumdar: জনতার পাশে দাঁড়াতে এবার ‘পাড়ায় সুকান্ত’ কর্মসূচি বিজেপির রাজ্য সভাপতির

    Sukanta Majumdar: জনতার পাশে দাঁড়াতে এবার ‘পাড়ায় সুকান্ত’ কর্মসূচি বিজেপির রাজ্য সভাপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতির (Scam) অভিযোগ থেকে আমজনতার দৃষ্টি ঘোরাতে ‘দিদির দূত’ কর্মসূচি হাতে নেয় তৃণমূল (TMC)। দলীয় নেতৃত্বের ধারণা ছিল, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে নয়া এই কর্মসূচি জনতার ক্ষোভের ক্ষতে প্রলেপ দেবে। তা তো হয়ইনি, উল্টে মাঝমধ্যেই জনরোষের মুখে পড়ে লেজ গুটিয়ে পগার পার হয়েছেন তৃণমূলের নেতারা। ক্ষুব্ধ জনতার পাশে দাঁড়াতে এবার ‘পাড়ায় সুকান্ত’ কর্মসূচি হাতে নিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বালুরঘাটের সাংসদ। জানা গিয়েছে, তাঁর সংসদ ক্ষেত্রেই প্রথম যাবেন সুকান্ত। ঘুরবেন পাড়ায় পাড়ায়। শুনবেন জনতার অভাব-অভিযোগের কথা। কেন্দ্রের নানা প্রকল্পের সুবিধাও যাতে তাঁর সংসদ ক্ষেত্রের বাসিন্দারা পান, তাও দেখবেন তিনি। এই কর্মসূচি যে তাঁরই মস্তিষ্ক প্রসূত, তা জানিয়েছেন সুকান্ত নিজেই।

    সুকান্ত বলেন…

    সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, এই কর্মসূচি সম্পূর্ণভাবে আমার মস্তিষ্ক প্রসূত। এই কর্মসূচি আমি শুধু আমার লোকসভার জন্য চালু করছি। আমার লোকসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে সাধারণ মানুষের সুবিধা অসুবিধার কথা শোনা, তাঁদের বিভিন্ন সার্টিফিকেট দেওয়া, অসুস্থ মানুষদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা সহ স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়া ও প্রধানমন্ত্রীর প্রকল্পগুলির সুবিধা যাঁরা পাননি, তাঁদের সুবিধা প্রদান করাই এই কর্মসূচির লক্ষ্য। এই কাজগুলো যে আগেও হত না, তা নয়। তবে এই সব ‘প্রাপ্য’ জনতার দরবারে পৌঁছে দিতেই তিনি নয়া কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন বলে জানান বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

    আরও পড়ুুন: চলন্ত ট্রেন থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ! নলহাটিতে উদ্ধার ত্রিপুরার যুবক

    দক্ষিণ দিনাজপুর বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ার পরে ব্যস্ততা বেড়েছে সুকান্তর। তা সত্ত্বেও জেলায় এলেই জনসংযোগে মন দেন সুকান্ত। বিজেপি নেতারা জানান, ১৭ ফেব্রুয়ারি কলকাতা থেকে জেলায় ফিরেছেন সুকান্ত। জেলায় তাঁর থাকার কথা তিন দিন। এই তিন দিনই তাঁর কর্মসূচি রাখা হয়েছে জেলার বিভিন্ন এলাকায়।

    প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত নির্বাচনে জনমত ঘাসফুল আঁকা ঝুলিতে ভরতে দিদির দূত কর্মসূচি হাতে নিয়েছিল তৃণমূল। জেলায় জেলায় ওই কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে নানা সময় অপদস্থ হতে হয়েছে তৃণমূল নেতাদের। কেন্দ্রীয় আবাসন প্রকল্প সহ নানা দুর্নীতির অভিযোগের কৈফিয়ত দিতে গিয়ে কার্যত কালঘাম ছুটেছে তৃণমূল নেতাদের। তার জেরে ইদানিং আর ওই কর্মসূচি পালিত হচ্ছে বলে শোনা যায় না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Birbhum: চলন্ত ট্রেন থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ! নলহাটিতে উদ্ধার ত্রিপুরার যুবক

    Birbhum: চলন্ত ট্রেন থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ! নলহাটিতে উদ্ধার ত্রিপুরার যুবক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বচসার জেরে চলন্ত ট্রেন থেকে যুবককে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল। বীরভূমের নলহাটিতে ট্রেন লাইনের ধার থেকে এক রক্তাক্ত যুবককে উদ্ধার করল এলাকার মানুষজন। বৃহস্পতিবার নলহাটি থানার পাইকপাড়া থেকে মথুরা যাওয়ার পথে কাদিরপুর গ্রামে ওই রক্তাক্ত যুবককে উদ্ধার করে স্থানীয়রা।  ওই যুবকের বাড়ি ত্রিপুরায়। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই যুবক। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    ঘটনার বিবরণ

    উদ্ধার হওয়া ওই যুবকের নাম শিপুল নাথ। তার বাড়ি দক্ষিণ ত্রিপুরার পুরনো রাজবাড়ি থানার তেবাডিয়া গ্রামে। ওই যুবকের কথা অনুযায়ী, আগরতলা থেকে ট্রেনে বেঙ্গালুরু যাচ্ছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিল আরও ৩ বন্ধু।  কামরায় তাদের সঙ্গে ছিল ৫ যুবক। তুচ্ছ কারণে তাদের সঙ্গে ওই যুবকদের বচসা বেধে যায়। ক্রমেই তা বড় আকার নেয়। ট্রেনের মধ্যেই শুরু হয় হাতাহাতি। অল্প সময়ের মধ্যেই তা সংঘর্ষের চেহারা নেয়। আহত যুবকের অভিযোগ, “মারধর করে আমাদের ব্যাগ, টাকা পয়সা কেড়ে নেওয়া হয়। আমিও পালানোর চেষ্টা করি। কিন্তু ওরা আমাকে ধরে ফেলেয তারপর মারধর করে ট্রেন থেকে ফেলে দেয়।” বাকি তিন বন্ধু কোথায় কীভাবে আছেন, এখনও জানেন না শিপুল।

    আরও পড়ুন: এখনই বেতন ফেরাতে হচ্ছে না গ্রুপ ডি কর্মীদের, স্থগিতাদেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ে

    পরপর এক ঘটনা

    প্রসঙ্গত, এই প্রথম নয়। এর আগেও এহেন ঘটনা ঘটেছে বীরভূমে। তারাপীঠ রোড ও রামপুরহাট স্টেশনের মাঝে এক যাত্রীকে ধাক্কা দিয়ে ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। ভাইরাল হয়েছিল সেই ঘটনার ভিডিও। ট্রেন থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়ার আরও ঘটনা ঘটেছে বীরভূমে। গত বছর এপ্রিল মাসেই মোবাইল চিনতাইয়ে বাধা দেওয়াও এক যুবতীকে ট্রন থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া হয়। ঘটনাটি ঘটে নলহাটি থানার লোহাপুর রেল স্টেশনের কাছে। গুরুতর জখম হন ওই কলেজ ছাত্রী। গত বছর ১৫ অক্টোবর হাওড়া-মালদা ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে সজল শেখ নামে এক যাত্রীকে চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়া হয়।  এই ঘটনার কয়েক দিন পর মুল অভিযুক্ত কলকাতা পুলিশে কর্মরত বোলপুরের বাসিন্দা মন্টু মণ্ডলকে গ্রেফতার করে রেল পুলিশ। গত ২১ জানুয়ারি  রামপুরহাট সংলগ্ন আয়াস গ্রামের এক ব্যাক্তিকে চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়ার ঘটনা ঘটে ছিল। ফের এই ধরনের ঘটনা ঘটায় প্রশ্ন উঠছে নিরাপত্তা নিয়ে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Weather Update: পাকাপাকি শীতের বিদায়! ফেব্রুয়ারিতেই তাপমাত্রা ছাড়াতে পারে ৩০ ডিগ্রি?

    Weather Update: পাকাপাকি শীতের বিদায়! ফেব্রুয়ারিতেই তাপমাত্রা ছাড়াতে পারে ৩০ ডিগ্রি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস মতোই চড়তে শুরু করেছে উষ্ণতার পারদ (Weather Update)। বুধবারের চেয়ে বৃহস্পতিবার রাতের তাপমাত্রা বেড়েছে। কাল রাতের তাপমাত্রা ছিল প্রায় ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বেড়েছে দিনের তাপমাত্রাও। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী কয়েকদিনে শহর কলকাতা থেকে শুরু করে জেলাগুলিতেও রাতের তাপমাত্রা আরও বেড়ে যাবে। ধীরে ধীরে চলে যাবে শীতের আমেজ।

    কী জানাচ্ছে মৌসম ভবন? 

    সকালের এই গায়ে চাঁদর নিয়ে ঘুমের দিন শেষ হতে চলেছে। মৌসমভবন জানাচ্ছে (Weather Update), ১৯ ফেব্রুয়ারির পর থেকে রাতের তাপমাত্রার পাশাপাশি দিনের তাপমাত্রাও পাল্লা দিয়ে বাড়তে শুরু করবে। বাড়বে হাঁসফাঁস। এর মধ্যে ভয়ও ধরিয়েছে আবহাওয়া দফতর। জানা গিয়েছে আগামী তিন দিনের মধ্যে দিনের তাপমাত্রা ছাড়াবে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে চলে যাবে শীতের অনুভূতিও।     

    দিনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়বে রাতের তাপমাত্রাও (Weather Update)। এদিকে, কলকাতা সহ বেশ কয়েকটি জেলায় আজ কুয়াশার ভালোমতো দাপট লক্ষ্য করা গিয়েছে। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস বলছে, কলকাতা ছাডা়ও দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, পূর্ব মেদিনীপুরে আগামী কয়েকদিন সকালের দিকে কুয়াশার সেই দাপট থাকবে। তবে বেলা বাড়লে রোদের আলোয় সরে যাবে কুয়াশার সেই চাদর।

    আরও পড়ুন: তিনদিন পর বিবিসির অফিস ছাড়লেন আয়কর আধিকারিকরা! কী মিলল দফতর থেকে? 

    দক্ষিণবঙ্গে উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, কলকাতা, হাওড়ায় ভোর ও সকালের দিকে খানিক কুয়াশা দেখা যাবে ৷ জেলায় ভোরের দিকে হালকা কুয়াশা (Weather Update) থাকলেও তা খুব একটা প্রকট হবে না। পাশাপাশি সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রির ঘরে ঢুকে পড়বে। দুই বঙ্গেই আবহাওয়ার এই পরিবর্তন চলবে। ফলে বাংলা থেকে শীত বিদায় নিল। আসছে গ্রীষ্ম। বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। শুষ্ক আবহাওয়া দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গজুড়ে। একমাত্র দার্জিলিং এবং কালিম্পংয়ে রবিবার বা সোমবার নাগাদ হালকা বৃষ্টি হতে পারে। শুক্রবার কলকাতার সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৯ ডিগ্রি এবং ১৮ ডিগ্রির আশেপাশে থাকবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     
     

     

  • DA: এবার বকেয়া ডিএ-র দাবিতে সোম-মঙ্গলে পূর্ণদিবস কর্মবিরতির ডাক সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের

    DA: এবার বকেয়া ডিএ-র দাবিতে সোম-মঙ্গলে পূর্ণদিবস কর্মবিরতির ডাক সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার বকেয়া ডিএ (DA)-র দাবিতে দু দিন পূর্ণদিবস কর্মবিরতির (Strike) ডাক দিল সরকারি কর্মীদের সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। আগামী সোম ও মঙ্গলবার কর্মবিরতি পালন করবে তারা। এদিকে, বিধানসভা (Assembly) অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে ৩০টি বামপন্থী ও সহযোগী সংগঠনের তরফে। পরে রাজ্যপালের কাছে পেশ করবে স্মারকলিপি। বুধবার বাজেট পেশ করেন অর্থ দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। সেই সময় ৩ শতাংশ ডিএ ঘোষণা করেন চন্দ্রিমা। তাতে খুশি হয়নি সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। সেই কারণেই সোম ও মঙ্গলবার পূর্ণদিবস কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে তারা।

    সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ…

    তাদের বক্তব্য, ডিএ বকেয়া রয়েছে ৩৯ শতাংশ। অথচ সরকারি কর্মীদের জন্য বরাদ্দ রয়েছে ৩ শতাংশ। তাই তাঁরা যে এখনই আন্দোলনে রাশ টানবেন না, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। যৌথ মঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্য সরকারকে তাদের সমস্ত বকেয়া ডিএ (DA) মিটিয়ে দিতে হবে। বকেয়া টাকা না পেলে রাজ্যকে অচল করে দেওয়ার হুমকি আগেই দিয়ে রেখেছিল যৌথ মঞ্চ।এবার দিল কর্মবিরতির ডাক। প্রসঙ্গত, বকেয়া ডিএ-র দাবিতে গত সাত দিন ধরে ধর্মতলায় শহিদ মিনারের সামনে অনশনে বসেছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। এ নিয়ে ২১ দিন হতে চলল তাঁদের অবস্থান। তাঁদের সাফ কথা, দাবি না মেটা পর্যন্ত জারি থাকবে আন্দোলন।

    আরও পড়ুুন: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতে ফের প্রশ্নের মুখে সিবিআই, কেন জানেন?

    এদিকে, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারিদের যুক্ত কমিটি, ১২ জুলাই কমিটি সহ ৩০টি সংগঠনের যৌথমঞ্চের তরফে কলকাতার সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বিশাল মিছিলের আয়োজন করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারিদের যুক্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক তাপস ত্রিপাঠী বলেন, বাজেট অধিবেশনে রাজ্য সরকার কর্মচারি সহ অবসরপ্রাপ্তদের মাত্র ৩ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা ঘোষণা করেছে। অথচ মহার্ঘ ভাতা পাওনা হয়েছে ৩৫ শতাংশ। তিনি বলেন, মাত্র ৩ শতাংশ ডিএ ঘোষণা কর্মচারিদের বঞ্চনার প্রকাশ। আমরা এই ঘোষণার তীব্র বিরোধী। তিনি বলেন, হকের দাবি আদায়ের জন্য লড়াই। এছাড়া অন্য কোনও রাস্তা নেই। ইতিমধ্যেই আমরা সেই লড়াইয়ে শামিল হয়েছি। অন্যরাও তাদের মতো করছে। আমরা চাই, এ বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ লাগাতার ধারাবাহিক সংগ্রাম।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • Kuntal Ghosh: কুন্তলকে জেরা করতে প্রেসিডেন্সি জেলে ইডির আধিকারিকরা! কী জানতে চাইলেন অফিসাররা?

    Kuntal Ghosh: কুন্তলকে জেরা করতে প্রেসিডেন্সি জেলে ইডির আধিকারিকরা! কী জানতে চাইলেন অফিসাররা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি নিয়োগ ‘দুর্নীতি’ মামলায় অভিযুক্ত তৃণমূলের যুব নেতা কুন্তল ঘোষকে জেরা করতে প্রেসিডেন্সি জেলে গেলেন ইডির আধিকারিকরা। নিয়োগে বেনিয়ম ও কোটি কোটি টাকার লেনদেনে কুন্তলের যোগ স্পষ্ট বলেই দাবি ইডির। তাই  আদালতের নির্দেশ মতো জেলে গিয়ে কুন্তলকে (Kuntal Ghosh) জেরা করা শুরু করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    কুন্তলকে জেরা

    বৃহস্পতিবার আলিপুরে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে গিয়ে কুন্তল ঘোষকে জেরা করেন ইডির দুই আধিকারিক। ইডি সূত্রে খবর, এর আগে কুন্তল যখন ইডির হেফাজতে ছিল, সেই সময় তাঁর কাছ থেকে একাধিক প্রশ্নের উত্তর ইডি পায়নি। এরপরই গত ৩ ফেব্রুয়ারি কুন্তলকে আদালতে তোলা হলে ইডির আধিকারিকরা এ বিষয়ে বিচারককে জানান। তাঁরা আবেদন করেন, জেলে গিয়ে জেরার যেন অনুমতি দেওয়া হয়। আদালতের অনুমতি পাওয়ার পর এদিন কুন্তলকে জেরা করতে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে যান ইডির আধিকারিকরা। গোপাল দলপতির বক্তব্যকে সামনে রেখে কুন্তলকে ইডি জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় বলে সূত্রের খবর। সেটা রেকর্ডও করা হবে। পাশাপাশি নিয়োগ সংক্রান্ত বেনিয়মের টাকা পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং মানিক ভট্টাচার্যের কাছে গেলে তা কীভাবে যেত তাও কুন্তলকে জেরা করেই এদিন ইডি জানতে চাইতে পারে বলেই সূত্রের দাবি।

    আরও পড়ুুন: জেলে গিয়ে সিবিআই জেরা অনুব্রতকে! কী জানতে চাইছেন কেন্দ্রীয় আধিকারিকরা?

    ইডির দাবি

    ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই কুন্তলের একটি ডায়েরি তাদের হাতে এসেছে। যে ডায়েরির পাতায় পাতায় সাঙ্কেতিক অক্ষরমালা। টাকার হিসাবের পাশে নাম ও পদবির আদ্যাক্ষর লেখা বলেও দাবি সূত্রের। শুধু তাই নয়, প্রচুর গানের প্যারোডিও লেখা রয়েছে সেই ডায়েরিতে। সেই ডায়েরির রহস্য ভেদ করতেও কুন্তলকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে ইডি। পাশাপাশি কোন কোন প্রভাবশালীর কাছে চাকরি চুরির টাকা যেত সেটাও নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে ইডির জেরার মুখে পড়ে শেষ পর্যন্ত কুন্তল আর কার নাম বলেন সেটাই এখন দেখার। শাসকদলের আর কারা এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত সেটাও জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Partha Chatterjee: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতে ফের প্রশ্নের মুখে সিবিআই, কেন জানেন?

    Partha Chatterjee: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতে ফের প্রশ্নের মুখে সিবিআই, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় আবারও প্রশ্নের মুখে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই (CBI)। বৃহস্পতিবার ফের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) সহ সাতজনকে পেশ করা হয় আদালতে। তার পরেই বিচারক সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসারকে ডেকে বলেন, যেটা হচ্ছে, সেটা ঠিক হচ্ছে না।

    সিবিআইয়ের তদন্ত…

    এদিন আলিপুরে জেলা দেওয়ানি ও দায়রা আদালতে শুনানি ছিল নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত পার্থের। তাঁর মামলার শুনানিতেই সিবিআইয়ের তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিচারক বলেন, যাঁরা অভিযুক্ত, তাঁদেরও কিছু অধিকার থাকে। অনির্দিষ্টকাল ধরে তদন্ত চলছে তো আর বলা যায় না। আর কতদিন সময় লাগবে? এই সময় পার্থর আইনজীবী বলে ওঠেন, এ তো তারিখ পে তারিখের মতো চলছে।

    আরও পড়ুুন: জেলে গিয়ে সিবিআই জেরা অনুব্রতকে! কী জানতে চাইছেন কেন্দ্রীয় আধিকারিকরা?

    রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী (Partha Chatterjee) ছাড়াও সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে এদিন শুনানি ছিল অন্যান্য অভিযুক্ত যেমন সুবীরেশ ভট্টাচার্য, শান্তিপ্রসাদ সিনহাদের মামলারও। তখনই বিচারক তদন্তকারী অফিসারদের কাছে জানতে জান, চার্জশিটে লিখেছিলেন, বাকি অভিযুক্ত এবং প্রার্থীদের ভূমিকা খতিয়ে দেখা দরকার। কিন্তু তাঁরা কোথায়? প্রায় দু মাস হয়ে গেল, আমি জয়েন করেছি। অনেক দিন তো হল। আমি জানি, এটা একটা বড় কাজ। প্রায় ৩৫০জন রয়েছেন। কিন্তু কারও স্টেটমেন্ট কি নেওয়া হয়েছে? কারও জবানবন্দি রেকর্ড করেছেন? কোনও ব্যাঙ্কের স্টেটমেন্ট নিয়েছেন? এর পরেই তদন্তকারী অফিসারদের ডেকে বিচারক বলেন, যেটা হচ্ছে, সেটা ঠিক হচ্ছে না। অন্তত একটা ১৬৪ (জবানবন্দি রেকর্ড) করান। তিনি বলেন, তদন্তে অগ্রগতি না হলে এভাবে অভিযুক্তদের আটকে রাখা যায় না। এ ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের একাধিক নির্দেশ রয়েছে।

    এই সময় সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে এই দুর্নীতি করা হয়েছে। তাই সূত্র পেতে সময় লাগছে। তাছাড়া, অভিযুক্তরা গ্রেফতারির পরেও তদন্তে সহযোগিতা করছেন না। কীভাবে ওএমআর শিটে কারচুপি হবে, কোন ওএমআর শিট কার কাছে যাবে, সব ছিল পূর্ব পরিকল্পিত। সরকারি কৌঁসুলি বলেন, তদন্তে সরকারি কর্তাদের পাশাপাশি ব্যক্তি বিশেষের নামও উঠে এসেছে। প্রত্যেকেই ষড়যন্ত্রের অংশীদার। অপরাধের গুরুত্ব দেখে সবাইকে হেফাজতে নেওয়া দরকার। প্রমাণও রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • SSC Scam: এখনই বেতন ফেরাতে হচ্ছে না গ্রুপ ডি কর্মীদের, স্থগিতাদেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ে

    SSC Scam: এখনই বেতন ফেরাতে হচ্ছে না গ্রুপ ডি কর্মীদের, স্থগিতাদেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুলের গ্রুপ ডি কর্মীদের বেতন ফেরানোর নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট (SSC Scam)। তবে চাকরি বাতিলের নির্দেশে কোনও নড়চড় হয়নি। এর আগেই ওএমআর শিট কারচুপিতে অভিযুক্ত ১৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীর চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সিঙ্গল বেঞ্চ। পাশাপাশি ওই অবৈধ চাকরিপ্রার্থীদের বেতন ফেরানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। বেতন ফেরানোর নির্দেশে আপাতত স্থগিতাদেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। তবে সিঙ্গল বেঞ্চের সম্পূর্ণ রায়ের উপর স্থগিতাদেশ জারি করা হয়নি। অর্থাৎ, চাকরি বাতিলের নির্দেশ এখনও রয়েছে।

    কেন এই স্থগিতাদেশ?

    সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম মজুমদারের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন গ্রুপ ডি কর্মীরা (SSC Scam)। তাঁদের দাবি ছিল, শ্রম যখন দিয়েছেন, তখন বেতন কেন ফেরাবেন? বৃহস্পতিবার সেই মামলার রায়ে দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, বেতন ফেরত নির্দেশের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করা হচ্ছে। আগামী ৩ মার্চ পর্যন্ত জারি থাকবে এই স্থগিতাদেশ। ৩ মার্চ এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।    

    ইতিমধ্যেই গ্রুপ ডি নিয়োগে কারচুপির কথা স্বীকার করে নিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC Scam)। ২৮২৩ জনের ওএমআর শিট বিকৃত করে চাকরি পাইয়ে র অভিযোগে শিলমোহর পড়েছে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে জানানো হয়, এই ২৮২৩ জনের মধ্যে ১৯১১ জনকে রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে নিয়োগ করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: সেনা জওয়ানকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার ডিএমকে কাউন্সিলর-সহ ৮

    এর পরই গত ১০ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ওই ১৯১১ জনের চাকরি বাতিল করার নির্দেশ দেন (SSC Scam)। পাশাপাশি এতদিন যে বেতন পেয়েছেন তাঁরা, তাও ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলেন। বিচারপতি বলেছিলেন, ‘‘আমার বিশ্বাস, বেআইনি ভাবে দুর্নীতি করে এই সব প্রার্থীদের সুপারিশ দেওয়া হয়েছিল।’’ পাশাপাশি বিচারপতি এ-ও জানিয়ে দেন, যে প্রার্থীদের সুপারিশপত্র বাতিল করা হবে, তাঁরা অন্য কোনও চাকরির পরীক্ষায় আর কখনও বসতে পারবেন না। সেই নির্দেশ মেনে ওই দিনই ওই প্রার্থীদের চাকরি বাতিলের ঘোষণা করে এসএসসি। 

    সিঙ্গল বেঞ্চের এই রায়কেই চ্যালেঞ্জ করে ১৩ ফেব্রুয়ারি ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন চাকরি থেকে বরখাস্ত হওয়া গ্রুপ ডি কর্মীরা (SSC Scam)। বুধবার ওই মামলায় বেতন ফেরত দেওয়ার নির্দেশকেও চ্যালেঞ্জ করে নতুন আবেদন করা হয়। এদিন সেই মামলারই শুনানি ছিল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share