Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Panchayat Election: ফের বাড়ল অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের মেয়াদ, পঞ্চায়েত ভোট কবে?

    Panchayat Election: ফের বাড়ল অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের মেয়াদ, পঞ্চায়েত ভোট কবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election) নিয়ে আবারও বাড়ল অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের মেয়াদ। বুধবার এই মেয়াদ বাড়িয়ে করা হল ৯ মার্চ পর্যন্ত। যার অর্থ হল, ৯ মার্চ পর্যন্ত ভোট ঘোষণা করা যাবে না। আদালতের এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ।

    পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election)…

    কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন করানোর দাবির পাশাপাশি আসন পুনর্বিন্যাস ও সংরক্ষণে অনিয়মের অভিযোগ এনে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর দাবি ছিল, ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ব্যাপক হিংসার ঘটনা ঘটেছিল। তাই ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচন কেন্দ্রীয় বাহিনীর তত্ত্বাবধানে হোক। অবসরপ্রাপ্ত কোনও বিচারপতির নজরদারিতে পঞ্চায়েত নির্বাচন করানোর আর্জিও জানিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তাছাড়া তফশিলি জাতি, উপজাতি এবং ওবিসি সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষের গণনার যে বিজ্ঞপ্তি রাজ্য নির্বাচন কমিশন দিয়েছে, তাতে ত্রুটি রয়েছে। তাই নির্বাচনের দিন ঘোষণার আগে প্রত্যেক বাড়ি গিয়ে সংরক্ষণের তালিকা খতিয়ে দেখা হোক। তার পরেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছিলেন তিনি।

    আরও পড়ুুন: লালগোলার চাকরিপ্রার্থীর সুইসাইড নোটে নিয়োগ দুর্নীতির সূত্র! তদন্তের দায়িত্ব সিবিআইকে

    এদিন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি উঠলে শুভেন্দুর আনা প্রস্তাবের বিরোধিতা করে রাজ্য নির্বাচন কমিশন (Panchayat Election)। তারা আদালতকে বলে, এখনই যেন পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে কোনও অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দেওয়া না হয়। এদিন শুভেন্দুর তরফে আদালতে উপস্থিত ছিলেন না কোনও আইনজীবী। তার জেরে পিছিয়ে যায় শুনানি। পরে স্থগিতাদেশের কথা জানায় আদালত।

    প্রসঙ্গত, গত ১৫ ডিসেম্বর মামলার শুনানিতে ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল ৯ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি না হওয়া পর্যন্ত রাজ্য নির্বাচন কমিশন পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election) নিয়ে কোনও ঘোষণা করতে পারবে না। ৯ জানুয়ারি মামলার শুনানি হয়নি। ১৫ ফেব্রুয়ারি শুনানিতে ফের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করতে পারবে না রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সেই নির্বাচন নিয়ে কোনও বিজ্ঞপ্তিও জারি করতে পারবে না কমিশন। তার পর এদিনও বাড়ানো হল অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশের মেয়াদ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Recruitment Scam: লালগোলার চাকরিপ্রার্থীর সুইসাইড নোটে নিয়োগ দুর্নীতির সূত্র! তদন্তের দায়িত্ব সিবিআইকে

    Recruitment Scam: লালগোলার চাকরিপ্রার্থীর সুইসাইড নোটে নিয়োগ দুর্নীতির সূত্র! তদন্তের দায়িত্ব সিবিআইকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে আরও একটি মামলার তদন্তের দায়িত্ব বর্তাল সিবিআইয়ের (CBI) ওপর। রাজ্যে নিয়োগ কেলেঙ্কারির (Recruitment Scam) তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এবার মুর্শিদাবাদের লালগোলার প্রতারিত চাকরিপ্রার্থীর আত্মহত্যার বিষয়টিও খতিয়ে দেখবে সিবিআই। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা আগামী সাত দিনের মধ্যে তদন্তের নথি জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আদালতের বিশেষ পর্যবেক্ষণ, চাকরিপ্রার্থীর কাছ থেকে পাওয়া সুইসাইড নোট নিয়োগ দুর্নীতির সূত্র হতে পারে। বিচারপতি মান্থার নির্দেশ, প্রয়োজনে সিবিআই এই মামলায় চার্জশিটও দাখিল করতে পারবে।

    নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam)…

    প্রসঙ্গত, এই মামলায় আগেই চার্জশিট জমা দিয়েছে পুলিশ। পুলিশের তরফে আদালতে জানানো হয়েছে, আত্মঘাতী চাকরিপ্রার্থী আবদুর রহমানের কাছ থেকে একটি ৯ পাতার নোট উদ্ধার হয়েছে। পুলিশের দাবি, আবদুর যে কেবল নিজেই প্রতারিত হয়েছেন, তা নয়, তিনি নিজেও জড়িয়ে পড়েছিলেন নিয়োগ দুর্নীতিতে। পুলিশের চার্জশিটে তাঁর নামও রয়েছে। আবদুরের মৃত্যুর (Recruitment Scam) পর যে সুইসাইড নোটটি উদ্ধার করেছে পুলিশ, তাতে জনৈক দিবাকর কনুইয়ের নাম রয়েছে। এই দিবাকর তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে আবদুরকে দেখা করিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বলে সুইসাইড নোটে রয়েছে। এর ওপর ভিত্তি করে তারাপীঠের একটি হোটেল থেকে দিবাকরকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

    আরও পড়ুুন: “বিনিদ্র রাত্রি কাটাতেই হবে…”, নবম-দশমের দুর্নীতি মামলায় মন্তব্য বিচারপতি বসুর, কিন্তু কেন?

    লালগোলা মৃত্যু মামলায় পুলিশ যে চারজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিয়েছে তাতে প্রয়াত আবদুরের নামও রয়েছে। আদালতে পুলিশ জানায়, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে স্পষ্ট, বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয়েছে আবদুরের। বৃহত্তর ষড়যন্ত্র খুঁজে বার করার সুযোগ রয়েছে। এর আগে এই মামলায় বিচারপতির পর্যবেক্ষণ ছিল, সিবিআইয়ের বক্তব্য শুনতে হবে। কারণ লালগোলা থানা এখনও তদন্তে কোনও ত্রুটি করেনি। এসএসসি দুর্নীতির সঙ্গে এই ঘটনার যোগ রয়েছে। শুধু আত্মহত্যা নয়, কোর্ট নিয়োগ নিয়েও তদন্তের বিষয়ে তাঁরা চিন্তিত। তাই সিবিআইয়ের মতামত চায়। বিচারপতি তখনই প্রশ্ন তুলেছিলেন, সিবিআই কেন জেলে গিয়ে জেরা করছে না? বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের আশঙ্কা ওড়ানো যাচ্ছে না।

    আবদুরের পরিবারের দাবি, আত্মঘাতী হয়েছেন ওই চাকরিপ্রার্থী। প্রাথমিকে (Recruitment Scam) চাকরির টোপ দিয়ে তাঁর কাছ থেকে ৬ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছিল। তার পরেও চাকরি হয়নি তাঁর। আবদুরের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া সুইসাইড নোট ও পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিশ। আদালত জানায়, আবদুরের আত্মহত্যার পর তাঁর পরিবার যে অভিযোগ করেছে তার ভিত্তিতে পুলিশি তদন্তে এখনও কোনও ফাঁক নেই। কিন্তু যেহেতু নিয়োগ দুর্নীতির গোটা তদন্তটা সিবিআই করছে, তাই তদন্তভার দেওয়া হল তাদেরই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Naushad Siddique: নওশাদ সিদ্দিকি মামলায় বিচারপতি দেবাংশু বসাকের প্রশ্নবাণে বিদ্ধ রাজ্য

    Naushad Siddique: নওশাদ সিদ্দিকি মামলায় বিচারপতি দেবাংশু বসাকের প্রশ্নবাণে বিদ্ধ রাজ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইএসএফ (ISF) বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি (Naushad Siddique) মামলায় বিচারপতি দেবাংশু বসাকের প্রশ্নবাণে বিদ্ধ রাজ্য সরকার (West Bengal Govt)। এক মাসেরও বেশি সময় ধরে জেলে রয়েছেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ। তাঁর নির্দেশেই পুলিশকে মারধর করা হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) শুনানিতে তাই, নওশাদের বক্তব্যের ভিডিয়ো শুনলেন বিচারপতি দেবাংশু বসাক। তারপরই তিনি রাজ্যকে প্রশ্ন করেন, ‘৬৫ জন মামলাকারি আছেন, ঘটনায় প্রত্যেকের ভূমিকা প্রমাণ করতে পারবেন তো? সবাই গন্ডগোলের সঙ্গে যুক্ত আছে জানলেন কি করে ? যে বক্তব্যগুলি পেশ হয়েছে, তার যৌক্তিকতা কোথায় দাঁড়িয়ে ?’

    নওশাদ-মামলায় রাজ্যকে প্রশ্ন আদালতের

    বুধবার শুনানি চলাকালীন এজলাসে বসেই ল্যাপটপে সিদ্দিকির (Naushad Siddique) ভাষণের ভিডিও দেখেন তিনি। এরপরই বিচারপতি বসাকের প্রশ্ন, “পুলিশকে মারতে বলছে সেই প্রমাণ কোথায়?” গত ২১ জানুয়ারি ভাঙড়ের অশান্তির জের পৌঁছয় ধর্মতলায়। আইএসএফের কর্মী-সমর্থকেরা পথ অবরোধ শুরু করলে তাঁদের সরাতে যায় পুলিশ। তখনই পুলিশের সঙ্গে নওশাদ (Naushad Siddique) শিবিরের কার্যত খণ্ডযুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা ধর্মতলা চত্বর। সেদিনই গ্রেফতার করা হয় নওশাদ-সহ ১৮ আইএসএফ কর্মী-সমর্থককে। আপাতত জেলেই রয়েছেন তিনি জামিনের আবেদন নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আইএসএফের বিধায়ক।

    আরও পড়ুন: ‘সব ক্রিয়ারই বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে’, উদয়নকে মনে করালেন সুকান্ত 

    নওশাদের আইনজীবীকেও প্রশ্ন বিচারপতির

    এদিন বিচারপতি দেবাংশু বসাক রাজ্যের কাছে জানতে চান, ‘কোনও ব্যক্তি হয়ত পাশ থেকে হেঁটে যাচ্ছিলেন, সেই সময় গণ্ডগোল শুরু হয়েছে। তিনি হয়ত পাশে দাঁড়িয়েছিল। তাঁর এই গণ্ডগোলে কী ভূমিকা থাকতে পারে?’একই সঙ্গে নওশাদের (Naushad Siddique) আইনজীবীকে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, যদি রাজ্য দেখায় যে নওশাদ সিদ্দিকির উস্কানিমূলক বক্তব্যের ফলে এই ঘটনা ঘটেছে, তাহলে? মামলাকারীর আইনজীবীর দাবি, এই ধরনের কোনও প্রমাণ পুলিশ দেখাতে পারবে না। এই প্রশাসনের ওপর কোনও ভরসা নেই বলে দাবি করে নওশাদের আইনজীবী বলেন, ‘পুলিশকে মারতে বলা হয়েছে এমন কোনও প্রমাণ নেই। এই ধরনের কোনও আক্রমণের নির্দেশ দেওয়া হয়নি।’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: “বিনিদ্র রাত্রি কাটাতেই হবে…”, নবম-দশমের দুর্নীতি মামলায় মন্তব্য বিচারপতি বসুর, কিন্তু কেন?

    SSC Scam: “বিনিদ্র রাত্রি কাটাতেই হবে…”, নবম-দশমের দুর্নীতি মামলায় মন্তব্য বিচারপতি বসুর, কিন্তু কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে ফের একবার গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। তিনি এদিন মামলার শুনানিতে অযোগ্যদের উদ্দেশে বলেন, “চাকরি বরখাস্তের ক্ষেত্রে আদালতের কোন তাড়াহুড়ো নেই, তবে কিছু বিনিদ্র রাত কাটাতেই হবে আপনাদের, কারণ দুর্নীতিতে আপনারা উপকৃত হয়েছেন।” এদিন মামলাকারী অভিযুক্তদের আইনজীবী প্রশ্ন করেছিলেন যে, দুর্নীতি দূর করতে গিয়ে অন্য কোনও অন্যায়কে প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে না তো? আর এর উত্তরেই যোগ্য জবাব দেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।

    দুর্নীতিতে অভিযুক্ত শিক্ষকদের আইনজীবী কী বললেন?

    ৯৫২ জন বরখাস্ত হওয়া নবম-দশমের শিক্ষকের আবেদনের মামলা ছিল বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বরখাস্ত হওয়া শিক্ষকদের উদ্দেশে কিছু মন্তব্য করতে দেখা গেল বিচারপতি বসুকে। এদিন প্রথমেই আইজীবী প্রতীক ধর বলেন, “নিশ্চিত একটা বড় দুর্নীতি হয়েছে, আমাদের দিকে তির ছোড়া হচ্ছে। দুর্নীতির কারণে সুযোগ পেয়েছি ধরে নিলেও, যেভাবে বিধ্বস্ত হতে হচ্ছে সেটা গ্রহণযোগ্য নয়।”  আইনজীবীর দাবি, “দুর্নীতির নামে আমাদের যে তির ছোড়া হচ্ছে তাতে বিদ্ধ আমার পরিবারও। এই পদ্ধতিতে সময় লাগবে নিজেকে সঠিক প্রমাণ করতে। কিন্তু তার মধ্যে আমার সন্তান স্কুলে যেতে পারবে না। দুর্নীতি দূর করতে আরেকটা অপরাধকে কোথাও প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে না তো?”

    আরও পড়ুন:নিশীথের ওপর হামলার ঘটনায় রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

    উত্তরে কী বললেন বিচারপতি বসু?

    এর জবাবে বিচারপতি বলেন, “দুর্নীতিতে আপনাদের নাম জড়িয়েছে। আমরা সেই সমাজে বসবাস করি না, যেখান থেকে এর মুক্তি মিলতে পারে। সহানুভূতি চাইবেন না।” বিচারপতি বসুর পর্যবেক্ষণ, “আজ রায় ঘোষণার দিকে সবাই তাকিয়ে। দেখা যাক তারপর কী হয়।” আগামীকাল ফের শুনানি এই মামলার।

    প্রসঙ্গত, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সোমবার তিনি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, মাধ্যমিক শেষ হলে আরও চাকরি যেতে পারে বলে। আর মাধ্যমিক চলার মধ্যে ভুয়ো শিক্ষকদের চাকরি বাতিল করলে পরীক্ষায় তার প্রভাব পড়তে পারে। ফলে মাধ্যমিক মিটলে এ নিয়ে পদক্ষেপ করা হবে। তাই এখন এটাই দেখার যে, আগামীতে এই মামলার শুনানিতে কী রায় দেয় বিচারপতি বসু।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: ৮০৫ ‘অযোগ্য’ শিক্ষকের চাকরি বাতিল! সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ বহাল ডিভিশন বেঞ্চেও

    SSC Scam: ৮০৫ ‘অযোগ্য’ শিক্ষকের চাকরি বাতিল! সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ বহাল ডিভিশন বেঞ্চেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবম – দশম নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে চাকরি বাতিল হতে চলেছে ৮০৫ জনের (SSC Scam)। সিঙ্গল বেঞ্চের রায় বহাল রাখল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। বুধবার ওই মামলার রায়ে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ে কোনও রকম রদবদল করবে না তারা। 

    নবম – দশম নিয়োগ দুর্নীতিতে ৯৫২ জনের ওএমআর শিট (SSC Scam) উদ্ধার হয়েছে। তার মধ্যে ৮০৫ জনের নম্বরে কারচুপি থাকার অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছে কমিশন। এদের মধ্যে ৬১৮ জনকে ইতিমধ্যে বরখাস্ত করা হয়েছে। নবম – দশম দুর্নীতিতে অযোগ্যদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তবে মামলায় যুক্ত করার কোনও নির্দেশ দেননি তিনি। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর সিঙ্গল বেঞ্চ জানিয়েছে, ৮০৫ জনের ওএমআর শিট বিকৃত করার প্রমাণ মিলেছে। তাই চাকরি থেকে তাদের বরখাস্ত করতে হবে স্কুল সার্ভিস কমিশনকেই। এর পর এসএসসির নির্দেশিকা জারি হলে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হতে পারেন বরখাস্ত হওয়া ভুয়ো শিক্ষকরা। এর আগে এই মামলার শুনানির পর রায়দান স্থগিত রেখেছিল আদালত। বুধবার রায়দান করে আদালত জানায়, সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ অপরিবর্তিত থাকবে।

    আরও পড়ুন: নিশীথের ওপর হামলার ঘটনায় রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের   

    এর ফলে ভুয়ো শিক্ষকদের চাকরিতে (SSC Scam) বহাল থাকার সম্ভাবনা আরও অনেকটাই ক্ষীণ হয়ে গেল। এখন তারা সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানাতে পারেন। এই মামলায় অন্যতম মামলাকারী সেতাবউদ্দিনের আইনজীবী হিসাবে আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী ফিরদৌস শামিম।

    মামলা প্রথমে ওঠে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চে (SSC Scam)। পরে সেই মামলাই হস্তান্তর হয়ে যায় বিচারপতি বসুর সিঙ্গল বেঞ্চে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে মামলাটি চলাকালীন সিবিআই তদন্ত-সহ একাধিক নির্দেশ দিলেও অভিযুক্ত ৯৫২ জন প্রার্থীকে মামলায় যুক্ত করেননি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। পরে বিচারপতি বসুর এজলাসে মামলাটি উঠলে তিনি ওই ৯৫২ জনের মধ্যে ৮০৫ জনের চাকরির সুপারিশ পত্র বাতিল করে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেন এসএসসিকে। কারণ কমিশনই বলেছিল, এই ৮০৫ জন উত্তরপত্র ওএমআর শিট খতিয়ে দেখে তারা বুঝেছে, তা বিকৃত করা হয়েছে। এই দু’টি নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন চাকরি হারানো শিক্ষকেরা। আজ ফের তাদের মুখ পুড়ল। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Nisith Pramanik: নিশীথের ওপর হামলার ঘটনায় রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

    Nisith Pramanik: নিশীথের ওপর হামলার ঘটনায় রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের (Nisith Pramanik) ওপর হামলার ঘটনায় রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করল আদালত। বুধবার প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, আগামী শুক্রবারের মধ্যে এ বিষয়ে রাজ্যকে তথ্য দিতে হবে। আদালতে জমা দিতে হবে কেস ডায়েরিও। আগামী শুক্রবার দুপুর ১২ টায় ফের শুনানি। প্রসঙ্গত, নিশীথের কনভয়ে হামলার ঘটনায় এই জনস্বার্থ মামলাটি করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    কী ঘটেছিল?

    গত শনিবার কোচবিহারের দিনহাটায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর কনভয়ে হামলা চালানো হয়। বোমা, গুলি এবং পাথর ছুঁড়ে হামলা চালানো হয়েছিল বলে অভিযোগ। রবিবার সাংবাদিক বৈঠক করে নিশীথ (Nisith Pramanik) দাবি করেন, তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল। এমনকী, এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন তিনি। এর পরেই রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তোলে গেরুয়া শিবিরও। এ প্রসঙ্গে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করে গেরুয়া শিবির।

    ঘটনায় সরব শুভেন্দু

    এই বিষয়টি নিয়ে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত রবিবারই রাজ্যের কাছে এ বিষয়ে রিপোর্ট তলব করেন রাজ্যপাল। কড়া বার্তাও দেন। এখানেই থেমে নেই, নিশীথ প্রামাণিকের (Nisith Pramanik) উপরে হামলার ঘটনায় একটি জনস্বার্থ মামলাও দায়ের করেন শুভেন্দু। আজ, বুধবার ছিল সেই মামলার শুনানি।

    আরও পড়ুন: ‘সব ক্রিয়ারই বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে’, উদয়নকে মনে করালেন সুকান্ত

    কেন্দ্রের আইনজীবী কী বললেন?

    এদিন নিশীথ (Nisith Pramanik) ইস্যুতে জোড়াল সওয়াল করেন কেন্দ্রের আইনজীবী অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল। প্রশ্ন তোলেন, “কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর উপরে আক্রমণ হচ্ছে। মন্ত্রীকে সুরক্ষিত রাখতে রাজ্য অনুমতি ছাড়াই আধাসামরিক বাহিনী নামাতে পারে। ওইদিন পুলিশ সুপার আর জেলাশাসক কী করছিলেন? আমরা কি জঙ্গলের রাজত্বে আছি?” তাঁর মন্তব্য, “কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর গতিবিধি সম্পর্কে রাজ্য পুলিশ অবগত থাকে। এই হামলায় রাজ্যের মদত আছে।” তিনি আরও বলেন, “দেশের স্বরাষ্ট্র দফতরের মন্ত্রী হামলার শিকার হচ্ছেন। তার পরও কেন কোনও পদক্ষেপ নয়? এই ঘটনায় আমরাও চাই সিবিআই প্রাথমিক তদন্ত করুক।”

    কেন্দ্রের আরও এক আইনজীবী জানান, এর আগের অনেক ঘটনায় দেখা গিয়েছে যে, পুলিশ তাদের কাজ করছে না। নিশীথকাণ্ডে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট আসা উচিত ছিল। নিরপেক্ষ সংস্থাকে দিয়েই প্রাথমিক তদন্ত করা উচিত।

    অন্যদিকে, শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী দাবি করেন, নিশীথ প্রামাণিকের (Nisith Pramanik) বাড়ি ঘেরাও এবং হামলার ঘটনায় এফআইআর করতে থানায় গিয়েছিলেন নিরাপত্তায় থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর আধিকারিকরা। কিন্তু সেই এফআইআর নেওয়া হয়নি। হামলাকারীদের গ্রেফতার না করে চল্লিশ জন বিজেপি কর্মীকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। ফলে তাঁরাও চান যে, এই ঘটনায় সিবিআই তদন্ত করুক।

    সিবিআইয়ের বক্তব্য

    আবার নিশীথ কাণ্ডের তদন্ত নিজেদের হাতে চেয়ে আর্জি জানায় সিবিআই-ও। সিবিআইয়ের বক্তব্য, “ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের তদন্ত এখনও চলছে। সিবিআই-কে এই ঘটনার প্রাথমিক অনুসন্ধান করতে দেওয়া হোক। বিজেপির কর্মী নাকি তৃণমূল কর্মী, কারা জেলে থাকবেন সেটা পরের কথা। কিন্তু একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর উপরে আক্রমণ হয়েছে এটা গুরুতর ঘটনা। দেশের সংবিধানের উপর আঘাত করা হয়েছে।”

    রাজ্যের বক্তব্য

    এদিকে সমস্ত অভিযোগ তৎক্ষণাৎ উড়িয়ে দেন রাজ্যের আইনজীবী। আদালতে তাঁদের পাল্টা জবাব, “সাহেবগঞ্জ থানায় CISF-এর অভিযোগ নেওয়া হয়েছে। তাছাড়া, পঞ্চায়েত ভোটের আগে নানা ধরনের রাজনৈতিক মামলা করা হচ্ছে। এই ধরনের মামলাগুলি পরিকল্পনা করেই করা হচ্ছে। এই মামলায় উদয়ন গুহ , অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের নাম জড়ানো হয়েছে। কিন্তু কাউকে মামলায় পার্টি করা হয়নি।” এমন মামলা কি করে গ্রহণযোগ্য হয়? সেই প্রশ্ন তোলেন তিনি। এছাড়া রাজ্যের আইনজীবীর দাবি, নিশীথ প্রামাণিক এবং বিজেপি কর্মীরা কেউ পুলিশের নির্দেশ মানেননি। সাময়িক একটা অশান্তি হয়েছিল। পুলিশ নিরাপদে নিশীথ প্রামাণিককে সেখান থেকে বের করে নিয়ে যায়। কিন্তু তার পরে বিজেপিকর্মীরা ৭ কিমি দূরে গিয়ে আবার ফেরত আসেন। এই ঘটনায় রাজ্যের মদত দেওয়ার অভিযোগ সরাসরি খারিজ করেন তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Visva Bharati: ‘বসন্ত উৎসবের নামে হত তাণ্ডব, বন্ধ করেছি’, বললেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য  

    Visva Bharati: ‘বসন্ত উৎসবের নামে হত তাণ্ডব, বন্ধ করেছি’, বললেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বভারতীতে (Visva Bharati) বসন্ত উৎসবের (Basanta Utsav) নামে ২০১৯ সালে তাণ্ডব দেখেছিলাম। সেই তাণ্ডবই আমরা বন্ধ করেছি। বুধবার বিশ্বভারতীর উপাসনা গৃহে বসে কথাগুলি যিনি বললেন, তিনি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী (Bidyut Chakrabarty)। বসন্ত উৎসবের পরিবর্তে এবার হবে বসন্ত বন্দনা। ৩ মার্চ হবে এই ঋতু বন্দনা।

    বিশ্বভারতী (Visva Bharati) আর বসন্ত উৎসব…

    বিশ্বভারতী আর বসন্ত উৎসব প্রায় সমার্থক হয়ে গিয়েছিল। ফি বছর এই উৎসবে শামিল হতে ভিড় করতেন হাজার হাজার পর্যটক। করোনা অতিমারির নিষেধাজ্ঞার জেরে দু বছর বন্ধ ছিল এই উৎসব। ২০২২ সালেও উৎসব বন্ধ রাখেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। সেবার উৎসব বন্ধ রাখার কারণ হিসেবে ছাত্র আন্দোলনের কথা বলেছিলেন উপাচার্য। এবার তিনি বললেন বসন্ত উৎসবের নামে তাণ্ডবের কথা।

    বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, বিশ্বভারতীতে (Visva Bharati) বসন্ত উৎসবের নামে ২০১৯ সালে তাণ্ডব দেখেছিলাম। সেই তাণ্ডবই আমরা বন্ধ করেছি। তার বদলে করা হচ্ছে বসন্ত বন্দনা। তিনি বলেন, ২০১৯ সালে বসন্ত উৎসব বসন্ত তাণ্ডবে পরিণত হয়েছিল। তাই বন্ধ করেছি। এখন বসন্ত বন্দনা হচ্ছে। তিনি বলেন, রবীন্দ্রনাথ উৎসব চাননি, চেয়েছিলেন বন্দনা। উৎসবের নামে এই তাণ্ডব হবে, ভাবতে পারেননি রবীন্দ্রনাথ। তাই বিশ্বভারতী এই তাণ্ডব বন্ধ করতে চেয়েছে।

    আরও পড়ুুন: ‘সব ক্রিয়ারই বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে’, উদয়নকে মনে করালেন সুকান্ত

    উপাচার্যের অভিযোগ, বসন্ত উৎসবের নামে তাণ্ডবের পিছনে কিছু বুড়ো খোকার ভূমিকা থাকে। তিনি জানান, ৩ মার্চ হবে বসন্ত বন্দনা। এখানে বাইরের কারও প্রবেশাধিকার থাকবে না। উপস্থিত থাকবেন কেবল বিশ্বভারতীর ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা। উপাচার্য বলেন, বিশ্বভারতীতে অশিক্ষিত ও অল্প শিক্ষিতের সংখ্যা অনেক বেড়ে গিয়েছে। যাঁরা বিশ্বভারতীর অনেক ক্ষতি করছেন।

    এর আগেও একবার আশ্রমিকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিশ্বভারতীর (Visva Bharati) উপাচার্য। তখনও তিনি বলেছিলেন, শান্তিনিকেতনের রাবীন্দ্রিক, আশ্রমিক এবং প্রাক্তনীরা অশিক্ষিত ও অল্প শিক্ষিত। তাঁর কটাক্ষ, বিশ্বভারতীকে কলুষিত করেছেন এঁরা।

    প্রসঙ্গত, অনেকের মতে, ১৯০৭ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি বসন্ত পঞ্চমীতে শমীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উদ্যোগে যে ঋতু উৎসবের সূচনা হয়, তারই পরিবর্তিত ও পরিমার্জিত রূপ শান্তিনিকেতনের আজকের এই বসন্ত উৎসব। সরস্বতী পুজোর দিন শুরু হলেও, পরবর্তীকালে সে অনুষ্ঠান বিভিন্ন বছর ভিন্ন ভিন্ন তারিখ ও তিথিতে হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED Raid: সকাল থেকেই কলকাতা-হাওড়ায় ইডি-র তল্লাশি অভিযান, এ বার কোন মামলায়?

    ED Raid: সকাল থেকেই কলকাতা-হাওড়ায় ইডি-র তল্লাশি অভিযান, এ বার কোন মামলায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পিনকন ও টাওয়ার গ্রুপের চিটফান্ড মামলায় বুধবার সকাল থেকেই শহরজুড়ে চলছে ইডি-র তল্লাশি (ED Raid) অভিযান। ইডি সূত্রে খবর, মোট ১০টি জায়গায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে।  ৫০-৬০ জন ইডি আধিকারিক অভিযান চালাচ্ছেন। এর মধ্যে রয়েছে আলিপুরের বর্ধমান রোডে এক আইনজীবী ও গড়িয়াহাটের কেয়াতলা রোডে এক ব্যক্তির বাড়ি। সূত্রের খবর, চিটফান্ড মামলায় একাধিক প্রভাবশালীর হয়ে আইনি লড়াই লড়েছিলেন এই আইনজীবী। তাঁর কাছে লেনদেনের তথ্যও রয়েছে বলে অনুমান ইডি আধিকারিকদের। সেই কারণেই এই তল্লাশি (ED Raid)। এদিন বেশ কিছু নথি দেখিয়ে ওই আইনজীবীকে জেরা করা হচ্ছে বলে খবর।

    তল্লাশিতে ইডি আধিকারিকরা

    সূত্রের খবর, বুধবার সকাল ৭ টা নাগাদ দুটি চিটফান্ড কাণ্ডের তল্লাশিতে (ED Raid) নামেন ইডি আধিকারিকরা। একটি দল যায় কেয়াতলা রোডে। সেখানে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে চলছে তল্লাশি। একটি দল গিয়েছে হাওড়ার জগাছা এলাকায় ও আরেকটি দল আলিপুরের বর্ধমান রোডের একটি আইনজীবীর বাড়িতে। ইডি আর একটি সূত্র জানাচ্ছে, একাধিক মামলার তদন্তে চালানো হচ্ছে এই তল্লাশি অভিযান। যার মধ্যে সারদা মামলাও রয়েছে। ২৪ ঘণ্টা আগেই ভবানীপুর এলাকায় পিজি হাসপাতালের পিছন দিকের একটি পাড়ায় তল্লাশি (ED Raid) অভিযান চালিয়েছিল ইডি। আর্থিক তছরুপের তদন্তকারী এই কেন্দ্রীয় সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছিল, মঙ্গলবারের ওই তল্লাশি অভিযানের সঙ্গে মোবাইল গেমিং প্রতারণা কাণ্ডের যোগ রয়েছে। তবে বুধবার হাওড়ার যে ব্যবসায়ীর বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে, তিনি সারদা মামলায় বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছেন।

    আরও পড়ুুন: এরপর যে নাম সামনে আসবে তাতে বিস্ফোরণ হবে, দাবি গোপাল দলপতির

    বুধবার সকাল ৮টা ৪০মিনিট নাগাদ ইডির (ED Raid) কর্তারা পৌঁছে যান হাওড়া জগাছায় ব্যবসায়ী রামেন্দু চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে। জগাছার ধারসা পালপাড়া এলাকার বাসিন্দা রামেন্দু টাওয়ার গ্রুপ নামে চিট ফান্ড কোম্পানির মালিক। তবে এ ছাড়াও সৌরবিদ্যুৎ-সহ নানা ব্যবসা এবং বিনিয়োগ সংস্থার সঙ্গে যুক্ত তিনি। কেন্দ্রীয় বাহিনীতে বাড়ি ঘিরে ফেলে দীর্ঘক্ষণ ধরে সেখানে চলছে তল্লাশি (ED Raid)। যদিও এই তল্লাশি প্রসঙ্গে এখনও কোনও তথ্য দেয়নি ইডি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Adenovirus: ফের রাজ্যে অ্যাডিনো ভাইরাসে বলি ৪ শিশু, প্রাণ গেল সদ্যজাতেরও

    Adenovirus: ফের রাজ্যে অ্যাডিনো ভাইরাসে বলি ৪ শিশু, প্রাণ গেল সদ্যজাতেরও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের অ্যাডিনো ভাইরাসে (Adenovirus) মৃত্যু ৪ শিশুর। কাল রাত থেকে আজ সকালের মধ্যে কলকাতার দুটি সরকারি হাসপাতালে ৪ শিশুর মৃত্যু হল। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ২ ও বি সি রায় শিশু হাসপাতালে ২ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শিশু মৃত্যুর সংখ্যা অনবরত বেড়েই চলেছে। ফলে এই আবহে তুমুল আতঙ্ক তৈরি হয়েছে রাজ্যজুড়ে। দু’‌দিন আগেই এমন ঘটনা ঘটেছিল কলকাতায়। ফের আজ, বুধবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হওয়ায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে শহর জুড়ে।

    ৪ শিশুর মৃত্যু (Adenovirus)…

    কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে এক ৭ মাসের শিশুর মৃত্যু হয়েছে আজ সকালে। জানা গিয়েছে, চুঁচুড়ার হামিদপুরের এই শিশুর জ্বর, শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকায় ১৯ ফেব্রুয়ারি, চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতাল থেকে রেফার করা হয়। আজ ভোরে মৃত্যু হয় একরত্তির। ওই শিশুর জন্মগত হার্টের সমস্যা ছিল। এর পর শরীরে অ্যাডিনো ভাইরাস মেলে। হাসপাতালের দাবি, অ্যাডিনোর জেরে নিউমোনিয়া সংক্রমণ মিটলেও, হার্টের সমস্যার কারণেই ওই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। কলকাতা মেডিক্যালে মৃত দ্বিতীয় শিশুর বয়স মাত্র ২২ দিন। হাওড়ার বাগনানের বাসিন্দা। জ্বর-শ্বাসকষ্ট থাকায়, ১৬ ফেব্রুয়ারি উলুবেড়িয়া হাসপাতাল থেকে রেফার করা হয়। অ্যাডিনো ভাইরাস পাওয়া যায় শিশুর দেহে। এর পর গতকাল রাতে ওই শিশুর মৃত্যু হয় (Adenovirus)।

    আরও পড়ুন: অ্যাডিনো-আতঙ্ক! শিশুমৃত্যু ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বেহাল দশা নিয়ে রাজ্যকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    আবার বি সি রায় শিশু হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে চার বছরের একটি শিশুর। গোবরডাঙা এলাকার বাসিন্দা শিশুটি কয়েকদিন ধরে জ্বরে ভুগছিল। তারপর শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দেয়। তখন প্রথমে হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২৬ ফেব্রুয়ারি বি সি রায় হাসপাতালে শিশুকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। আজ, বুধবার ভোর ৪.৫৫ মিনিট নাগাদ মৃত্যু হয় শিশুটির। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, নিউমোনিয়ার জেরেই মৃত্যু হয়েছে। এই হাসপাতালেই আজ এক সদ্যজাতেরও মৃত্যু হয়েছে। বারাসতের নবপল্লির ৭ নম্বর ওয়ার্ডের এক মহিলা রবিবার সন্তানের জন্ম দেন। বারাসত হাসপাতালে জন্ম হয় সেই শিশুর। ওইদিনই ফুলবাগান শিশু হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। প্রচণ্ড শ্বাসকষ্টের সমস্যা ছিল শিশুটির। প্রচণ্ড শ্বাসকষ্টও শুরু হয়। তখন ফুলবাগানের বি সি রায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভেন্টিলেশনে রাখা হয় নবজাতককে। আজ সকালে তার মৃত্যু হয় (Adenovirus)।

    একের পর এক মৃত্যু রাজ্য জুড়ে

    একের পর এক শিশু মৃত্যু আতঙ্ক বাড়াচ্ছে শহরে (Adenovirus)। ১ মার্চ পর্যন্ত ৪২ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। এর মধ্যে মেডিক্যাল কলেজে এখনও পর্যন্ত ১৫ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। বি সি রায় শিশু হাসপাতালে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১৮ জনের। এছাড়াও, পার্ক সার্কাসের ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেলথে ৫, পিয়ারলেস হাসপাতালে ২, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ২ শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kakali Ghosh Dastidar: ‘দিদির দূত’ কর্মসূচিতে ডাকা হয়নি! দলত্যাগ পঞ্চায়েত প্রধান-সহ ২৩ সদস্যের

    Kakali Ghosh Dastidar: ‘দিদির দূত’ কর্মসূচিতে ডাকা হয়নি! দলত্যাগ পঞ্চায়েত প্রধান-সহ ২৩ সদস্যের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ‘দিদির দূত কর্মসূচি’ ঘিরে বিক্ষোভের মুখে তৃণমূল। এবারে দল থেকেই ইস্তফা দিয়ে দিলেন পঞ্চায়েত প্রধান সহ ২৩ জন সদস্য। অভিযোগ উঠেছে, ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচিতে ডাক মেলেনি তাঁদের। মঙ্গলবার ‘দিদির সুরক্ষাকবচ’ কর্মসূচি উপলক্ষে বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার (Kakali Ghosh Dastidar) কদম্বগাছি এলাকায় যান। সেখানেই সাংসদের অপেক্ষা করছিলেন তাঁরা। কিন্তু সাংসদ তো আসেনইনি, উল্টে অভিযোগ, তৃণমূলকে ছেড়ে আইএসএফের লোকজনকে নিয়ে দিদির দূত কর্মসূচি সেরেছেন তিনি। আর এই অভিযোগ ঘিরেই মঙ্গলবার শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দল ফের একবার প্রকাশ্যে এল।

    ঠিক কী ঘটেছে?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার কদম্বগাছি পঞ্চায়েতের হেমন্ত বসু নগর এলাকায় ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচিতে যান সাংসদ ডাঃ কাকলি ঘোষ দস্তিদার (Kakali Ghosh Dastidar), বিধায়ক রহিমা মণ্ডল, দেগঙ্গা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মফিদুল হক শাহাজি, অঞ্চল সভাপতি নিজামুল কবির, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আরশাদ উদ জামান-সহ অন্যান্যরা। এর আগে ‘দিদির দূত’দের সাধারণ মানুষের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে, তবে এবারে দলেরই পঞ্চায়েত সদস্যরা ক্ষোভ উগরে দিলেন সাংসদের বিরুদ্ধে। পঞ্চায়েত সদস্যদের দাবি, পঞ্চায়েত অফিসে তাঁরা বসেছিলেন সাংসদের সঙ্গে কথা বলবেন বলে। কিন্তু সাংসদ সেখানে না গিয়ে একদা আইএসএফের লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে ঘুরেছেন। এমনকী তাঁদের কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণও জানানো হয়নি। ফলে পঞ্চায়েতের প্রধান-সহ তৃণমূলের ২৬ সদস্যের মধ্যে ২৩ জন তাঁদের পদত্যাগপত্র তৃণমূল ভবন এবং সাংসদকে পাঠিয়ে দেন।

    আরও পড়ুন: জি-২০ বৈঠকে যোগ দিতে ভারত সফরে আসছেন চিনা বিদেশমন্ত্রী কিন গাং

    পঞ্চায়েত প্রধানের কী বক্তব্য?

    কদম্বগাছি পঞ্চায়েত প্রধান গৌতম পালদের অভিযোগ, পূর্বসূচি অনুযায়ী দুপুর ৩টের সময় পঞ্চায়েতে সংকল্প অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সাংসদের (Kakali Ghosh Dastidar) আসার কথা ছিল। কিন্তু তিনি পঞ্চায়েত কার্যালয়ের সামনে দিয়ে চলে গিয়েছেন। অফিসে আর ঢোকেননি। এমনকী, ওই পঞ্চায়েতের সদস্যদের ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণও করেননি। এই কারণে সাংবাদিক বৈঠক করে ক্ষোভ উগরে দেন তাঁরা।

    অন্যদিকে বারাসতের এক পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আরশাদ উদ জামানের অভিযোগ, সাংসদের গাড়ি থেকে নামার সময় কেউ এক জন তাঁর দিকে পাথর ছুঁড়েছেন। তিনি জখম হন। এর মধ্যে সাংসদ কদম্বগাছি পঞ্চায়েত কার্যালয় সংলগ্ন একটি অনুষ্ঠানবাড়িতে বিশ্রাম করেন। সেখানে স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করে বেরিয়ে যান। সাংসদ কাকলিও (Kakali Ghosh Dastidar) পঞ্চায়েত সদস্যদের অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, কোনও বিক্ষোভ হয়নি। তিনি সুষ্ঠুভাবেই কর্মসূচি করেছেন কদম্বগাছি এলাকায়। বারাসতের সাংসদ এও বলেন, “আমি শুনেছিলাম পঞ্চায়েত অফিসে অন্য কোনও বৈঠক চলছে। তাই আমি সেখানে যাইনি।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
LinkedIn
Share