Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • TET Scam: ‘সঠিক পদ্ধতিতে’ অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট হয়নি, স্বীকারোক্তি ইন্টারভিউয়ারদের, প্রকাশ্যে এল বয়ানের নথি

    TET Scam: ‘সঠিক পদ্ধতিতে’ অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট হয়নি, স্বীকারোক্তি ইন্টারভিউয়ারদের, প্রকাশ্যে এল বয়ানের নথি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একদিন আগেই এক নজিরবিহীন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে পরীক্ষার মুখে পড়তে হয় খোদ পরীক্ষকদেরই। বন্ধ ঘরে ইন্টারভিউয়ারদের গোপন বয়ান নিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। প্রার্থীরা আগেই অভিযোগ করেছিলেন যে, নিয়োগ প্রক্রিয়ার অ্যাপ্টিটিউড পরীক্ষা নেওয়া হয়নি, পদ্ধতি মেনে করা হয়নি। আর এই অভিযোগই এবারে মেনে নিলেন ইন্টারভিউয়াররা। হাইকোর্টে রুদ্ধদ্বার শুনানির সময় তাঁরা স্বীকার করে নিলেন, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা (টেট)-র অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট ‘সঠিক পদ্ধতি’ মেনে হয়নি। সেই মর্মে নথিতেও সই করেছেন তাঁরা। সেই নথি প্রকাশ করলেন মামলাকারী প্রার্থীদের আইনজীবী।

    বয়ানে কী কী জানিয়েছেন ইন্টারভিউয়াররা?

    অভিযোগের ভিত্তিতেই তিন জেলার ৩০ জন ইন্টারভিউয়ারকে ডেকে গত বুধবার রুদ্ধদ্বার শুনানি করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেখানেই ২৫ জন ইন্টারভিউয়ার স্বীকার করেন, ‘সঠিক পদ্ধতিতে’ অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট হয়নি। অনেক প্রার্থীর কোনও অ্যাপ্টিটিউড টেস্টই নেওয়া হয়নি। আর এই বয়ানে নিজেরাই সই করেছেন ও সেই নথি প্রকাশ্যে এনেছেন মামলাকারীদের আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। সেই নথিতে দেখা গিয়েছে, এক পরীক্ষককে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, কে তাঁকে ইন্টারভিউ নিতে বলেছিলেন। সেই প্রশ্নের উত্তরে ইন্টারভিউয়ার জানান, কাউন্সিল অফিসের একজন তাঁর স্কুলে এসেছিলেন ও স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলার পর তাঁকে বলা হয়েছিল ইন্টারভিউ নিতে। তিনি অ্যাপ্টিটিউড টেস্টের জন্য কোন প্রশ্ন জিজ্ঞেস করেছিলেন কিনা তা জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, এমন কোনও নির্দেশিকা দেওয়া হয়নি ওই টেস্ট নেওয়ার জন্য।

    অন্য একজন বলেন, বোর্ডের তরফ থেকেও আলাদা করে অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট নেওয়ার জন্য বলা হয়নি। ফলে তাঁরা এই টেস্টে কত নম্বর রয়েছে, তাও জানতেন না। তাঁদের শুধুমাত্র ইন্টারভিউ নিতে বলা হয়েছিল। এক ইন্টারভিউয়ার জানিয়েছেন, অ্যাপ্টিটিউড পরীক্ষা নেওয়ার জন্য আলাদা কোনও জায়গা তাঁদের দেওয়া হয়নি। যে জায়গায় ইন্টারভিউ হয়েছিল, সেখানে কোনও চক বা ব্ল্যাকবোর্ড ছিল না। ফলে সে দিন বিচারপতিকে ঠিক কী জানিয়েছিলেন ইন্টারভিউয়াররা, সেই বয়ানের নথিই এবারে সামনে এল।

    মামলাকারীর আইনজীবী কী জানিয়েছেন?

    মামলাকারীদের আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি ফেসবুকে এক পোস্টের মাধ্যমে জানিয়েছেন, প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনরকম অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট হয়নি। ২০১৪ থেকে প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়া ২০১৬ তে ৪২ হাজার ৫০০ নিয়োগ হয়েছিল। তার মধ্যে ৩২ হাজারের বেশি নন-ট্রেনড প্রার্থীর নিয়োগ হয়েছিল তাঁদের অ্যাকাডেমিকস, টেট স্কোর, ভাইভা ও অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট-এর ভিত্তিতে। প্রায় পঁচিশ হাজার জন চাকরি পেয়েছিলেন, যাদের অ্যাকাডেমিক স্কোর ১৪ বা তার নিচে কিন্তু তাঁদের ভাইভা ও অ্যাপ্টিটিউড টেস্টে ৭ থেকে ১০ নম্বর দেওয়া হয়েছিল। আবার ৫২১৬ জনের অ্যাকাডেমিক স্কোর ১৩-এর থেকেও কম, তাঁরা আবার অ্যাপ্টিটিউডে বিশাল নম্বর পেয়েছেন। পুরো রাজ্যে ৮২৪ জন আছেন যাঁদের সব মিলিয়ে স্কোর ১৩ থেকেও কম।

    ফলে আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারির প্রশ্ন, “যেই পরীক্ষাটা হয়নি সেই পরীক্ষায় কেউ তিন থেকে পাঁচ কিভাবে পায়? সবার তো একই নম্বর পাওয়ার কথা ছিল যখন পরীক্ষা হয়নি। কোন অনুপ্রেরণায় অনুপ্রাণিত হয়ে এই নম্বর দেওয়া হয়েছিল?” তাঁর আরও অভিযোগ, কোনরকম রিজার্ভেশন রোস্টার মানা হয়নি এই প্রক্রিয়াতে। নিয়োগ প্রক্রিয়ার সমস্ত কিছু প্রকাশ্যে আনতেই কিছু ইন্টারভিউয়ারের বয়ান সামনে এনেছেন। তিনি আরও বলেছেন, “সবে মাত্র একটা দিকের কথা বললাম বাকি দিকগুলো আস্তে আস্তে জানাবো।”

    [fb]https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=pfbid0m3Cm7Jduzt6tgcYZEAfq3h33Tdx9SvMsH9xRxUTUuPnF5LLxUmSVRMK7ZCcuMe1Fl&id=100052069800604&sfnsn=wiwspwa&mibextid=RUbZ1f[/fb]

  • Sukanta Majumdar: ‘মাধ্যমিকে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে দুর্নীতির কারণেই’, দাবি সুকান্তের

    Sukanta Majumdar: ‘মাধ্যমিকে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে দুর্নীতির কারণেই’, দাবি সুকান্তের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতির (Scam) কারণেই কমেছে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা। অন্তত এমনই দাবি করলেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। বৃহস্পতিবার হুগলিতে একটি কর্মসূচিতে যোগ দিতে এসেছিলেন সুকান্ত। সেখানেই তিনি বলেন, অভিভাবকরা ভয় পেয়েছেন। রাজ্য সরকারি স্কুল ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদের ওপর তাঁদের আর কোনও আস্থা নেই। সেই কারণেই ছেলেমেয়েদের অন্যান্য বোর্ড এবং বেসরকারি স্কুলে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। সবই রাজ্যের শিক্ষা দুর্নীতির ফল।

    পর্ষদের ব্যাখ্যা…

    বৃহস্পতিবার শুরু হয়েছে চলতি বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা। পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছর মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমে গিয়েছে প্রায় ৪ লক্ষ। এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে ৬ লক্ষ ৯৮ হাজার ৯২৮ জন। পরীক্ষার্থীর সংখ্যা হ্রাসের কারণ হিসেবে পর্ষদের ব্যাখ্যা, করোনা-উত্তর পরিস্থিতিতে হয়তো পড়ুয়াদের একাংশ পরীক্ষায় বসছে না। অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে যে গ্যাপ তৈরি হয়েছিল, সেই গ্যাপের কারণেই এটি হতে পারে বলে ব্যাখ্যা ছিল পর্ষদের। পর্ষদের এও ব্যাখ্যা, ২০১৭ সালের অ্যাডমিশন রুলসে কিছু পরিবর্তন করা হয়েছিল। সেই বছর তিনটি বিজ্ঞপ্তি বেরিয়েছিল ২০১৭ সালের ভর্তির জন্য। ২০১৭ সালের বিজ্ঞপ্তিতে ফ্লেক্সিবিলিটির জায়গাটি বাদ গিয়েছিল। যার ফলে একটি বড় সংখ্যক পড়ুয়া অ্যাডমিশন নিতে পারেনি। সেটিও একটি কারণ হতে পারে। কারণ ২০১৭ সালে যারা ক্লাস সিক্সে ভর্তি হয়েছিল, তারাই এবার দিচ্ছে মাধ্যমিক পরীক্ষা।

    আরও পড়ুুন: ‘শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে আমি মাঝের সেই গুরুকে চাই’, সিবিআইকে বললেন বিচারক

    সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, পর্ষদ কোভিডের ঘাড়ে বন্দুক রাখতে চাইছে। আমি তো আগেই বলেছি, আমাদের মুখ্যমন্ত্রীর একটি বড় হাত হল অজুহাত। তিনি বলেন, অন্যান্য রাজ্যে কিন্তু করোনার পর কমেনি পরীক্ষার্থীর সংখ্যা। বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) বলেন, শিক্ষা দুর্নীতির জেরে পশ্চিমবঙ্গের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। অভিভাবকরা তাঁদের ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত। তিনি বলেন, গত ১১-১২ বছরে সরকারি স্কুলগুলির পরিকাঠামো তলানিতে এসে ঠেকেছে। ফুলে ফেঁপে উঠছে বেসরকারি স্কুলগুলির ব্যবসা। বিজেপির রাজ্য সভাপতির অভিযোগ, পরিকল্পনা মাফিক সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থা নষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে। যাতে বেসরকারি স্কুলের মালিকরা আরও বেশি করে মুনাফা লুঠতে পারেন। এটি একটি বিরাট চক্রান্ত, বলছেন সুকান্ত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     

        

     

  • SSC Scam: ‘শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে আমি মাঝের সেই গুরুকে চাই’, সিবিআইকে বললেন বিচারক

    SSC Scam: ‘শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে আমি মাঝের সেই গুরুকে চাই’, সিবিআইকে বললেন বিচারক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামকৃষ্ণের কথা শুনেছেন? ভক্ত এবং ভগবানের মাঝে কে থাকেন, জানেন ? গুরু থাকেন। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে আমি মাঝের সেই গুরুকে চাই। গুরু কে, আপনারা জানেন? বৃহস্পতিবার সিবিআইকে (CBI) একথা বললেন আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) ধৃত তাপস মণ্ডল, কুন্তল ঘোষ এবং নীলাদ্রি ঘোষকে অর্পণ চট্টোপাধ্যায়ের এজলাসে হাজির করে সিবিআই। তখনই বিচারক রামকৃষ্ণ প্রসঙ্গ টানেন। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সম্প্রতি যাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁদের কেউ এজেন্ট, কেউ আবার মিডলম্যান হিসেবে কাজ করেছেন বলে অভিয়োগ। কিন্তু শেষমেশ টাকাটা কার হাতে যেত, চাকরিই বা দিতেন কে, সেটার ওপরই গুরুত্ব দিচ্ছে আদালত। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে নাটের গুরুকে খোঁজার চেষ্টা করছে সিবিআই। এদিন সিবিআইয়ের তরফে বলা হয়, সেটাই খোঁজার চেষ্টা করছে তারা। বিচারক তখনই বলেন, চেনটা সম্পূর্ণ করুন।

    নিয়োগ দুর্নীতি…

    নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের (SSC Scam) শুনানিতে এর আগে বিচারক সিবিআইকে বলেছিলেন, আপনারা পনির বাটার মশালা রাঁধতে চাইছেন, অথচ পনির নেই। তখনও মূল অভিযুক্তদের দিকেই ইঙ্গিত করেছিলেন বিচারক। এদিনও সেই প্রসঙ্গ টেনে সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, অভিযুক্তরাই বলুক পনির কোথায়? এ কথার রেশ ধরে কুন্তলের আইনজীবী শেখ মেহেদি নওয়াজ বিচারককে বলেন, আপনারা পনিরের কথা বলছেন। আসলে তো আগুনটাই নেই! তার মানে সিবিআইয়ের তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনিও।

    আরও পড়ুুন: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ফের ‘গ্ল্যামার-যোগ’! সিবিআই স্ক্যানারে গোপাল দলপতির ‘মডেল স্ত্রী’ হৈমন্তী

    এদিন ধৃতদের জামিনের বিরোধিতা করেন সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, তিন অভিযুক্তকে মুখোমুখি বসানো হয়েছে। অনেক গুরুত্বপূর্ণ নাম উঠে এসেছে। অনেক প্রভাবশালীর নামও জানা গিয়েছে। এখন ধৃতদের জামিন দিলে তদন্ত প্রভাবিত হতে পারে। এর পরেই তাপস, কুন্তল ও নীলাদ্রিকে ৯ মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজতে পাঠান বিচারক। তাপসের শারীরিক পরিস্থিতিও গুরুত্ব দিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়। প্রয়োজনে চিকিৎসার বন্দোবস্ত করতে বলেন তিনি।

    নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) ধৃত তাপস সবার আগে কুন্তলের নাম ফাঁস করেছিলেন। সেই সূত্রে গ্রেফতার করা হয় কুন্তলকে। এদিন কুন্তল নাম নেন হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের। গোপাল দলপতি আবার কালীঘাটের কাকু সুজয় ভদ্রের নাম নিয়েছেন। সুজয় আবার বলেছেন তাঁর সাহেব অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এমতাবস্থায় আদালত ধরে আনতে বলছে গুরুকে। সেই নাটের গুরুর খোঁজই করছেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • SSC Scam: নিয়োগ পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণদের জন্যও ‘ইন্টারভিউ’ নেওয়া হতো বিকাশ ভবনে! কুন্তলকে জেরা করে মিলল নানা তথ্য

    SSC Scam: নিয়োগ পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণদের জন্যও ‘ইন্টারভিউ’ নেওয়া হতো বিকাশ ভবনে! কুন্তলকে জেরা করে মিলল নানা তথ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির গোটা প্রক্রিয়ায় জড়িত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের যুবনেতা কুন্তল ঘোষ। এবার তাঁর নিজস্ব এজেন্টদেরও সন্ধান মিলল। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) সূত্রে খবর, শুধু তাপস মণ্ডল মারফতই নয়, ‘অযোগ্য চাকরিপ্রার্থী’ নিয়োগে কুন্তলের নিজস্ব এজেন্টদের তথ্যও তদন্তকারীদের হাতে এসেছে। এ রকম ২২ জনকে তাঁরা চিহ্নিত করেছেন।

    অনুত্তীর্ণদের জন্যও ‘ইন্টারভিউ’

    ইডি সূত্রে খবর, চাকরির পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণদের জন্যও ‘ইন্টারভিউ’ নেওয়া হতো বিকাশ ভবনে খোদ শিক্ষা দফতরের অফিসে। ইন্টারভিউ নিতেন কুন্তল। তাঁর সঙ্গে হাজির থাকতেন সরকারি কর্তারাও। ইন্টারভিউয়ের নামে কার্যত হতো চাকরি বিক্রির ‘ডিল’। সেই প্রক্রিয়া শেষে এসএসসি অফিস থেকে নিয়োগপত্র হাতে পেতেন অনুত্তীর্ণরা। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে এসেছে বলে দাবি  অফিসারদের। এই ইন্টারভিউতে বসা অফিসারদের তালিকা তৈরি করে ফেলেছে ইডি। শীঘ্রই তাঁদের বয়ান রেকর্ড করা হবে বলে সূত্রের খবর। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, এক নেতার মাধ্যমে পার্থ–কুন্তল পরিচয় ঘটে। সেখান থেকেই কুন্তল চাকরি বিক্রির সিন্ডিকেটের সক্রিয় সদস্য হয়ে ওঠেন। নামের তালিকা পাঠাতেন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রীকে। কুন্তলের তালিকার প্রার্থীদের অধিকাংশই টেট, নবম–দশম এবং একাদশ–দ্বাদশ শ্রেণিতে শিক্ষক পদে চাকরি পেয়েছেন। 

    আরও পড়ুন: কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের চন্দন-যোগ! ‘‘বস্তা বস্তা টাকা গিয়েছে কলকাতায়’’, দাবি স্থানীয় তৃণমূল নেতার

    কুন্তলের এজেন্ট

    ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন জায়গায় কুন্তলের এজেন্টরা চাকরি করিয়ে দেওয়ার নাম করে ‘অযোগ্য’ প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা তুলতেন। তার পর সেই টাকা তাঁরা পৌঁছে দিতেন কুন্তলের কাছে। এখনও পর্যন্ত ‘কুন্তলের হয়ে কাজ করা’ ২২ জন এজেন্টের হদিস পেয়েছেন তদন্তকারীরা। তাঁদের একে একে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সংস্থার ওই সূত্রের দাবি, চাকরির টাকা মূলত নগদে লেনদেন হয়েছে। হুগলির এক এজেন্ট জিজ্ঞাসাবাদের সময় ইডিকে জানিয়েছেন, কুন্তলকে তিনি ৩ কোটি ৪ লক্ষ টাকা দিয়েছেন। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় যে কুন্তলের একাধিক এজেন্ট ছিলেন, সে ব্যাপারেও এক প্রকার নিশ্চিত ইডির আধিকারিকেরা। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই কুন্তলের হয়ে কাজ করা ৯ জন এজেন্টকে তলব করা হয়েছে। বয়ান নেওয়া হচ্ছে তাঁদের। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৮ কোটি টাকার হিসাবের হদিস মিলেছে খবর তদন্তকারীদের সূত্রে। তদন্ত যত এগোবে, টাকার অঙ্ক আরও বাড়তে থাকবে বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা। কুন্তলের অবশ্য দাবি, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ফের ‘গ্ল্যামার-যোগ’! সিবিআই স্ক্যানারে গোপাল দলপতির ‘মডেল স্ত্রী’ হৈমন্তী

    Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ফের ‘গ্ল্যামার-যোগ’! সিবিআই স্ক্যানারে গোপাল দলপতির ‘মডেল স্ত্রী’ হৈমন্তী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (Recruitment Scam) আবারও সামনে এল গ্ল্যামার-যোগ। পার্থ চট্টোপাধ্যায়-অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ‘অপা’ পর্ব দেখেছে রাজ্যবাসী। এবার সামনে এল অভিযুক্ত গোপাল দলপতির ‘মডেল’ স্ত্রী হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম। গতকালই, বোমা ফাটিয়েছেন এই মামলায় অভিযুক্ত যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ। তাঁর মুখেই উঠে এসেছিল ‘রহস্যময়ী’ হৈমন্তীর নাম। কুন্তলের দাবি, গোপালের দ্বিতীয় স্ত্রী এই হৈমন্তীর কাছেই নাকি রয়েছে যাবতীয় টাকা৷

    তদন্তকারীদের রেডারে ‘রহস্যময়ী’ হৈমন্তী

    তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, জেরায় কুন্তল জানিয়েছেন যে, হৈমন্তীর কথাতেই নাকি নিজের নাম বদলে ফেলেছিলেন গোপাল দলপতি। হয়েছিলেন আরমান গঙ্গোপাধ্যায়। হৈমন্তীর সঙ্গে পার্টনারশিপে কোম্পানিও খুলেছিলেন তিনি। কলকাতার ডালহৌসিতে থাকা সেই কোম্পানির নাম দিয়েছিলেন হৈমন্তী অ্যাগ্রো প্রাইভেট লিমিটেড। সেখানে ডিরেক্টর পদে ছিলেন স্বামী-স্ত্রী। কিন্তু, ন’বছর পর আচমকাই একদিন বন্ধ হয়ে যায় কোম্পানিটি। মুম্বইয়ের নরিম্যান পয়েন্টে থেকেও গুটিয়ে নেওয়া হয় দফতর৷ 

    সিবিআই সূত্রের খবর, গোপাল দলপতির ‘ঘনিষ্ঠ’ হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়। হৈমন্তী পেশায় মডেল। গোপাল ২০১৮ সালে গ্রেফতারের পর থেকে আলাদা থাকেন। আগে টালিগঞ্জ এলাকায় থাকতেন। গোপালের আগে বিয়ে হয়। সেই স্ত্রীকে ছেড়ে হৈমন্তীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন গোপাল দলপতি। যদিও কুন্তলের দাবি, গোপালের স্ত্রী হৈমন্তী।

    সিবিআই স্ক্যানারে গোপালের সম্পত্তি

    নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) গোপাল দলপতির সম্পত্তি এ বার সিবিআইয়ের স্ক্যানারে। সিবিআই সূত্রের খবর, গোপালের প্রায় ২৪টি জমির প্লট রয়েছে। প্লটগুলি রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি-সহ এ রাজ্যর বিভিন্ন জায়গায়। বেশিরভাগ জমি গোপালের স্ত্রী এবং স্ত্রীয়ের কোম্পানির নামে। মুম্বইতে হৈমন্তীর কোম্পানিতে গোপাল বিপুল পরিমান টাকা ট্রান্সফার করেছিল। এমনকী গোপালের বিপুল পরিমান জমিও হৈমন্তীর কোম্পানির নামে। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, এজেন্ট মারফত কোটি কোটি টাকা কুন্তলের থেকে গোপাল দলপতি মুম্বইতে নিজের স্ত্রীর কোম্পানির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করেছিলেন।

    সিবিআই জানতে পেরেছে, শুধুই দ্বিতীয় স্ত্রী হৈমন্তীর সঙ্গেই নয়, আরও পাঁচটি সংস্থা রয়েছে গোপালের৷ এখন প্রশ্ন, এত জমি কেনার টাকা কোথা থেকে পেলেন গোপাল? নিয়োগ দুর্নীতির কোটি কোটি টাকাতেই কি এই বিপুল সম্পত্তি গোপালের? পাশাপাশি নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে গোপালের ‘গ্ল্যামারাস স্ত্রী’ হৈমন্তীর ভূমিকাও খতিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। 

    বিয়ে প্রসঙ্গে কী জানাল হৈমন্তীর পরিবার? 

    হাওড়ার বাকসাড়া রোডে হৈমন্তীর বাপের বাড়ি। এই ঠিকানাতেই থাকে হৈমন্তীর পরিবার। হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের মাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, মেয়ে বহু বছর আগে গোপালের সঙ্গে প্রেম করে বিয়ে করেছিল। গোপালকে আমাদের পরিবার পছন্দ করে না তাই কোনও যোগাযোগ রাখি না। তবে, হৈমন্তীর মা অস্বীকার করলেও প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, এই বাড়িতে হৈমন্তী আসেন। বিলাসবহুল গাড়িতে আসেন। অনেকবার দেখা গিয়েছে। কয়েকদিন আগেও নাকি এসেছেন।

    গোপাল দলপতির মা

    ‘নিখোঁজ’ গোপাল দলপতি

    বুধবার গোপাল দলপতিকে তলব করেছিল সিবিআই। যদিও, হাজিরা দেননি তিনি। তার পর থেকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না গোপাল দলপতিকে। এদিকে, গোপাল দলপতির আদিবাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের ২ নম্বর ব্লকের খিরিসবাড়ি গ্রামে। সেখানে একাই থাকেন তাঁর মা লক্ষ্মী দলপতি৷ ছেলের কীর্তি প্রকাশ্যে আসার পর গোপাল দলপতির মা জানান, এক ব্যক্তি চিঠি নিয়ে এসেছিল তাঁদের বাড়িতে। কিন্তু সেই চিঠিতে কী রয়েছে, তা তিনি জানেন না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • SSC Scam: কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের চন্দন-যোগ! ‘‘বস্তা বস্তা টাকা গিয়েছে কলকাতায়’’, দাবি স্থানীয় তৃণমূল নেতার

    SSC Scam: কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের চন্দন-যোগ! ‘‘বস্তা বস্তা টাকা গিয়েছে কলকাতায়’’, দাবি স্থানীয় তৃণমূল নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার বাগদার রঞ্জন ওরফে চন্দন মণ্ডলের বাড়িতে একাধিকবার গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার এই দাবি করলেন বাগদা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য অনুপ ঘোষ। তাঁর দাবি, বাগদা থেকে বস্তা বস্তা টাকা গিয়েছে কলকাতায়। শুধু তিনি নন,  গ্রামের এক পরিবারের থেকে পাঁচজনের চাকরির জন্য ৪৪ লক্ষ টাকা নিয়েছেন চন্দন বলে দাবি স্থানীয় এক বাসিন্দার। 

    প্রভাবশালীদের চন্দন-যোগ

    এদিন অনুপবাবু বলেন, ‘সরকার কি জানে না এই চাকরি কী করে হচ্ছে? তাহলে আগা থেকে মাথা পর্যন্ত সব ধরুক। চন্দনকে একা দোষ দিলে হবে না। এ কার মাস্টারপ্ল্যান? যারা সরকার চালাচ্ছে, শিক্ষা দফতরে কারা আছে? চন্দন কে? চন্দন তো আমার মামাভাগ্নের (গ্রামের নাম) ছেলে। তাহলে কলকাতায় শিক্ষা পরিচালনা কারা করছে? শিক্ষা দফতর কারা চালাচ্ছে? সেটা আগে দেখুক।’ চন্দনের কথায়, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায় আসতেন ওনার বাড়ি। যারা এই এলাকায় বড় বড় চাকরি করে আর প্রভাবশালী লোক, সবাই ওখানে গিয়েছে। চন্দনের ফোঁটা সবাই নিয়েছে।’ অনুপবাবুর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘আমরা রাজনৈতিক কর্মী। দলের কর্মীরা ভালোবেসে কোথাও ডাকলে যাওয়ার চেষ্টা করি। তেমনই বাগদাতেও গেছি। চন্দন মণ্ডলকে আলাদা করে চিনি না।’

    বস্তা বস্তা টাকা গিয়েছে কলকাতায়

    অনুপ দাবি করেন, কালীপুজোর ফিতে কাটতে প্রতি বছর চন্দনের বাড়ি আসতেন কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে যত ভিড় না থাকত, চন্দনের বাড়িতে তার থেকে বেশি ভিড় থাকত। এলাকার ১০০ জনকে টাকার বিনিময়ে চাকরি দিয়েছেন চন্দন। ক্লাস এইট পাশ ছেলেমেয়েরা টাকার বিনিময়ে চাকরি পেয়েছে। সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি দেওয়া হতো বলে দাবি করেছেন তিনি। ১৬ কোটি টাকা লেনদেনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন ১৬ কোটি বস্তা বস্তা টাকা গিয়েছে এখান থেকে। তাঁর দাবি, বিডিও, ওসিদের যাতায়াত ছিল চন্দনের বাড়িতে। 

    আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতিতে এবার কুন্তলের মুখে রহস্যময়ীর নাম! তাঁর কাছেই রয়েছে সব টাকা! কে তিনি?

    এক পরিবার থেকে ৪৪ লক্ষ 

    চন্দন মণ্ডল বাগদার মামা ভাগ্নে গ্রামের বাসিন্দা। ওই গ্রামের বাসিন্দা তথা চন্দনের এক দূরসম্পর্কের আত্মীয় অরবিন্দ বিশ্বাসের দাবি, চন্দন মণ্ডলকে তিনি প্রায় ৪৪ লক্ষ টাকা দিয়েছেন। জমি বিক্রি করে ওই টাকা দেন তাঁর মেয়ে সহ পরিবারের পাঁচজনের চাকরির জন‍্য। প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক ও গ্রপ-ডি পদে নিয়োগ পেতে দু’বছর আগে চন্দনকে ওই টাকা দেন তিনি। মাথা-পিছু ১২ লক্ষ টাকা করে চেয়েছিলেন চন্দন। অগ্রিম ৫ লক্ষ টাকা এবং চাকরি হয়ে গেলে বাকি ৭ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা হয়। দু’জনের গ্রুপ-ডি পদে চাকরিও হয়েছিল। কিন্তু দু’মাস চাকরি করার পর আদালতের নির্দেশে তাদের বরখাস্ত করা হয়। এরপর টাকা ফেরত চাইলেও চন্দন দেননি বলে অভিযোগ অরবিন্দ বিশ্বাসের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Kuntal Ghosh: নিয়োগ দুর্নীতিতে এবার কুন্তলের মুখে রহস্যময়ীর নাম! তাঁর কাছেই রয়েছে সব টাকা! কে তিনি?

    Kuntal Ghosh: নিয়োগ দুর্নীতিতে এবার কুন্তলের মুখে রহস্যময়ীর নাম! তাঁর কাছেই রয়েছে সব টাকা! কে তিনি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত যত এগোচ্ছে তত সামনে আসছে নতুন নতুন চরিত্র। বৃহস্পতিবার আলিপুর কোর্ট থেকে জেল হেফাজতে যাওয়ার সময়ে এক রহস্যময়ী নারীর নাম করলেন কুন্তল ঘোষ (Kuntal Ghosh)। সেই ‘রহস্যময়ী’র পরিচয়ও দিয়েছেন তিনি। কুন্তলের দাবি, সব টাকা রয়েছে গোপাল দলপতি ওরফে আরমান গঙ্গোপাধ্যায়ের স্ত্রী হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে। 

    রহস্যময়ীর পরিচয়

    এর আগেও একাধিকবার গোপাল দলপতির বিরুদ্ধে চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা তোলা-সহ নানা অভিযোগ করেছিলেন কুন্তল। এমনকি তাঁকে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের ‘মেন লোক’ বলেও অভিহিত করেন তিনি। কুন্তল বললেন, ‘তদন্ত ঘোরানোর জন্য কোনও কথা বলে লাভ নেই। যা টাকা আছে… যা টাকা রেখেছে… গোপাল দলপতি এবং হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়।’ কুন্তল ঘোষকে আরও প্রশ্ন করা হয়েছিল এই দুর্নীতির অভিযোগে গোপাল দলপতি ও হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের ভূমিকা কী ছিল? সেই নিয়ে অবশ্য মুখ খুলতে চাননি কুন্তল। বললেন, ‘তদন্তের ভিতরের কথা কিছু বলব না।’

    আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জামিন খারিজ তাপস-কুন্তলের! ‘কালীঘাটের কাকু’-কে নিয়ে বাড়ছে ধোঁয়াশা

    প্রসঙ্গত, গোপাল দলপতি ওরফে আরমান ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের স্ক্যানারে রয়েছেন। গতকাল গোপাল দলপতিকে তলব করা হয়েছিল সিবিআই অফিসে, কিন্তু তিনি হাজিরা এড়িয়েছেন। এরই মধ্যে সামনে এল তাঁর স্ত্রীয়ের নাম। সূত্রের খবর, হৈমন্তীর একটি কোম্পানি রয়েছে। তবে গোপাল ইতিমধ্যে দাবি করেছেন তার সঙ্গে বছর তিনেক ধরে হৈমন্তীর যোগাযোগ নেই। ইতিমধ্যে গোপালের সঙ্গে মুখোমুখি জেরায় কুন্তল হৈমন্তীর নাম বলেছেন বলে খবর। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, গোপাল দলপতি দাবি করেছেন, তাঁর স্ত্রী তাঁকে ছেড়ে বছর তিনেক আগে চলে গিয়েছেন। কোথায় আছেন, কী করছেন পত্নীর ব্যাপারে কিছুই জানেন না দলপতি।

    সিবিআই সূত্রে খবর, কুন্তল দাবি করেছেন উত্তরবঙ্গের এক প্রভাবশালী নেতার পিএ-এর অ্যাকাউন্ট থেকে গোপাল দলপতির কাছে প্রায় চল্লিশ লক্ষ টাকা এসেছিল। সেই টাকা ট্রান্সফার হয়েছিল মুম্বইয়ের একটি কোম্পানিতে।সেলোকো পার্টনার্স নামের সেই কোম্পানির মালিকের নাম হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Calcutta High Court: হাজিরা এড়ালেন পর্ষদ সভাপতি, হাইকোর্টেই নিয়োগপত্র পেলেন ‘বঞ্চিত’ অঞ্জনকুমার

    Calcutta High Court: হাজিরা এড়ালেন পর্ষদ সভাপতি, হাইকোর্টেই নিয়োগপত্র পেলেন ‘বঞ্চিত’ অঞ্জনকুমার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজই শুরু হয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। আর প্রথমদিনেই মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়কে তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট।  ১২ বছরের পুরনো একটি মামলায় নির্দেশ না মানায় তাঁর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করে ডেকে পাঠানো হয়েছিল আজ। এদিন বিচারপতি অমৃতা সিংহের সিঙ্গল বেঞ্চ তাঁকে আদালতে গিয়ে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। অভিযোগ, ১২ বছর ধরে চাকরি পাননি পূর্ব মেদিনীপুরের অঞ্জনকুমার খাটুয়া। গত মাসে কলকাতা হাইকোর্ট তাঁকে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দেয়। সেই মত অঞ্জনের সুপারিশ পত্র পর্ষদকে পাঠায় এসএসসি। কিন্তু তার পরও চাকরি দেয়নি পর্ষদ৷ এর পর আজই হাইকোর্টে শুনানি কক্ষের মধ্যেই হাতে হাতে নিয়োগপত্র পেলেন এক মামলাকারী।

    ঠিক কী ঘটেছে?

    সূত্রের খবর, যোগ্য হয়েও ১২ বছর ধরে চাকরি পাননি অঞ্জনকুমার খাটুয়া নামে ওই ব্যক্তি। তাঁর একটি চোখে দৃষ্টিশক্তি নেই। গত মাসে তাঁকে শীঘ্রই নিয়োগ দেওয়ার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। এরপর অঞ্জনবাবুর সুপারিশপত্র পর্ষদকে পাঠায় এসএসসি। তারপরও তাঁকে চাকরি দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। এই জন্য পর্ষদের অফিসেও যান ওই ব্যক্তি। পর্ষদ অফিসে চাকরিপ্রার্থীকে অপমান করা হয় বলে অভিযোগ। কমিশনের সুপারিশপত্র পাওয়ার পরও ওই ব্যক্তিকে এখনও নিয়োগ করা হয়নি। এদিন এই মামলা ওঠে হাইকোর্টে। আর তখনই পর্ষদ সভাপতিকে ডেকে পাঠানো হয়।

    অন্যদিকে পর্ষদ দাবি করে, অঞ্জনের নিয়োগপত্র অনেক দিন ধরেই তৈরি হয়ে রয়েছে। পর্ষদের আইনজীবীও আদালতকে একই কথা জানান। তাঁর দাবি, হাইকোর্টের নির্দেশ মত অঞ্জনের নিয়োগপত্র তৈরিই আছে। কিন্তু অঞ্জন তা সংগ্রহ করেননি। যদিও অঞ্জনের আইনজীবী সুভাষ জানার অভিযোগ, তাঁর মক্কেল পর্ষদের দফতরে নিয়োগপত্র আনতে গেলে তাঁকে হেনস্থা করা হয়। নিয়োগপত্র তাঁর মক্কেল হাতে পাননি। আবার পর্ষদের আইনজীবী পাল্টা দাবি করেন, প্রার্থীকে বোর্ডের অফিসে হেনস্থার অভিযোগ ভিত্তিহীন। এমন কোনও কথা কেউ বলেনি। মন গড়া অভিযোগ করা হচ্ছে।

    বিচারপতির নির্দেশ

    উল্লেখ্য, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি অমৃতা সিংহই নির্দেশ দিয়েছিলেন, ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে অঞ্জনকে নিয়োগপত্র না দিলে ২৩ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ বৃহস্পতিবার পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়কে সশরীরে আদালতে হাজিরা দিতে হবে। যদিও বৃহস্পতিবার পর্ষদ সভাপতি আদালতে হাজিরা দেননি। এদিন বিচারপতি অমৃতা সিংহের সিঙ্গল বেঞ্চ বলেন, “এত বছর ধরে একজন ঘুরছে তারপরও আপনারা তাঁকে ঘোরাচ্ছেন। এটাই এখনকার পরিস্থিতি।” এর পর দু’পক্ষের কথা শোনার পর বিচারপতি নির্দেশ দেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অঞ্জনকুমার খাটুয়া নামের ওই ব্যক্তিকে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের দফতরে গিয়ে নিয়োগপত্র সংগ্রহ করতে হবে। একই সঙ্গে পর্ষদকে বিচারপতি অমৃতা সিংহ নির্দেশ দিয়েছেন, শুক্রবারের মধ্যে ওই নিয়োগপত্র মামলাকারীর হাতে তুলে দিতে হবে।

    এছাড়াও অঞ্জনের হেনস্থার প্রসঙ্গে বিচারপতির মন্তব্য, “হেনস্থার যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা ঠিক, না ভুল, তা জানি না। তবে ওখানে কী হয়, সেটা এখন ওপেন সিক্রেট। কিন্তু আমাদের চোখ খোলা রয়েছে।” অঞ্জনের হেনস্থার অভিযোগও গৃহীত হয়েছে কোর্টে। বিচারপতি জানিয়েছেন, আগামী দিনে ওই বিষয়ে পদক্ষেপ করা হবে। আগামী ১৬ মার্চ এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

  • TET Scam: সিবিআই ও ইডির কাছে মুখ খোলার জের! জেলেই কুন্তলকে হুমকি-ধমক পার্থ ও মানিকের

    TET Scam: সিবিআই ও ইডির কাছে মুখ খোলার জের! জেলেই কুন্তলকে হুমকি-ধমক পার্থ ও মানিকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে জেলেই পার্থ ও মানিকের থেকে ‘ধমক’ খেতে হল কুন্তল ঘোষকে। “আমাদের নাম ইডিকে বলেছ কেন? আগে জেরার সময় নিশ্চয়ই সিবিআইকেও জানিয়েছ আমাদের নাম।” জেলে কুন্তলকে রীতিমত বকাবকি পার্থর। ধমক দিয়েছেন মানিকও। এমনটাই সিবিআই আধিকারিকদের জানিয়েছেন নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার কুন্তল ঘোষ। এমনকী এই বিষয়টি ইডির আধিকারিকদেরও বলেছেন কুন্তল। ফলে তিনি এখন আশঙ্কায় রয়েছেন যে, তাঁর ফের জেল হেফাজত হলে তাঁকে আবার প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর থেকে ধমক শুনতে হবে।

    পার্থ ও মানিকের বিষয়ে কী কী জানিয়েছিলেন কুন্তল?

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডির হাতে গ্রেফতার যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ। এর পর তাঁকে সিবিআই হেফাজতে নেওয়া হয়। ইডি জেরার মুখেই কুন্তল জানিয়েছিলেন যে, কীভাবে দফায়-দফায় কুন্তল কোটি-কোটি টাকা পার্থ চট্টোপাধ‌্যায়ের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। এসএসসি দুর্নীতি টাকায় কুন্তল বেনামে যে শতাধিক গাড়ি কিনেছিলেন, তার মধ্যে অনেকগুলিই পার্থকে দেন তিনি। ফলে পার্থ চট্টোপাধ‌্যায়ের সঙ্গে  তাঁর যোগাযোগের বিষয়টি স্বীকার করেন কুন্তল।

    এরপর মানিকের সঙ্গেও কুন্তলের যোগাযোগ ছিল তাও স্বীকার করে নেয় কুন্তল। টেট পরীক্ষার বহু প্রার্থীর কাছ থেকে টাকা তুলেছিলেন কুন্তল ঘোষ, সেই টাকার একটি বড় অংশ মানিক ভট্টাচার্যের কাছেই যে গিয়েছে, সেই ইঙ্গিতও দিয়েছিলেন যুব তৃণমূল নেতা।

    পার্থ ও মানিকের ‘হুমকি’ ও ‘ধমক’

    কুন্তলের এই স্বীকারোক্তির বিষয়ে মানিক ও পার্থ জানতেই জেলেই কুন্তলকে হুমকি দিতে ছাড়েননি তাঁরা। সূত্রের খবর, পার্থবাবু প্রত্যেকদিনই প্রেসিডেন্সি জেলে তাঁর সেলের সামনে হাঁটাহাঁটি করেন। তাঁর সেলের কাছ দিয়ে অন‌্যান‌্য বন্দিরাও যাতায়াত করেন। কারা সূত্রে জানা গিয়েছে, সিবিআই কুন্তলকে হেফাজতে নেওয়ার আগে ইডির মামলায় জেলবন্দি কুন্তল তাঁর ওয়ার্ড থেকে পার্থবাবুর সেলের কাছ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তখনই পার্থবাবু দেখতে পেয়ে তাঁকে ডাকেন। তখনই তাঁকে বকাবকি করতে শুরু করেন পার্থ চট্টোপাধ‌্যায়। তিনি রীতিমত হুমকি দিয়ে কুন্তলকে বলেন, কেন তিনি তাঁর নাম ইডি-র কাছে বলেছেন?  

    আবার এই ঘটনার দু’একদিনের মধ্যেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের সামনে পড়ে যান কুন্তল। ফলে কুন্তলকে ধমক ও হুমকি দেন মানিকও। বিষয়টি এমন জায়গায় পৌঁছয় যে, জেলের মধ্যে রীতিমত আতঙ্কে ভুগতে শুরু করেন কুন্তল ঘোষ। ফলে কুন্তলের আশঙ্কা যে, তাঁর ফের জেল হেফাজত হলে তাঁকে আবার পার্থ ও মানিকের হুমকির মুখোমুখি পড়তে হবে। ফলে ফের যাতে তাঁকে হুমকির মুখে পড়তে না হয় সেই ব‌্যাপারে নজরদারি রাখা হবে বলে জানিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।

  • Jalpaiguri: হাতির হানায় মর্মান্তিক মৃত্যু মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর, একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি বন দফতরের

    Jalpaiguri: হাতির হানায় মর্মান্তিক মৃত্যু মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর, একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি বন দফতরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে গিয়ে হাতির হানায় মৃত্যু হয়েছে জলপাইগুড়ির এক পরীক্ষার্থীর। এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই মর্মান্তিক ঘটনার পরই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। ঘটনাটি ঘটার পরে জলপাইগুড়ির জেলাশাসক, বন দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। ঘটনাটি কী ভাবে ঘটেছে, তা জানতে চান। পাশাপাশি, হাতির হানা রুখতে বন দফতরকে আরও সক্রিয় হতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপরই পরীক্ষার্থীদের সুরক্ষার্থে আসরে নামে বন-দফতর। পরীক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে প্রকাশ করা হয় একগুচ্ছ নির্দেশিকা।

    কী রয়েছে নির্দেশিকায়?

    এদিন সকালে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছনোর আগেই হাতির হামলায় মৃত্যু হল জলপাইগুড়ির মহারাজঘাটের বাসিন্দা এ বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী অর্জুন দাসের। এর পরেই বন দফতর থেকে ৮ দফা নির্দেশিকা জারি করা হল। পরীক্ষার্থীরা যাতে নির্বিঘ্নে পরীক্ষা দিতে পারে তার জন্য নেওয়া হল ব্যবস্থা।

    যে সমস্ত এলাকায় হাতির হানার প্রকোপ বেশি, সেই এলাকায় পুলিশ ও বনকর্মীদের পাহারায় জোর দেওয়া হল।

    এলাকায় সচেতনতা বাড়াতে ক্রমাগত মাইকে প্রচার করা হবে।

    পরীক্ষার্থীদের পারাপারের জন্য আলাদা লক গেটের ব্যবস্থা রাখতে হবে।

    বিশেষ গাড়ি ‘ঐরাবতি’-র ব্যবস্থা করা হয়েছে, যার সাহায্যে পরীক্ষার্থীদের নিরাপদে পৌঁছে দেওয়া হবে পরীক্ষাকেন্দ্রে। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক দুই পরীক্ষাতেই থাকবে ব্যবস্থা।

    মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন বন দফতরের কর্মীদের ছুটি বাতিলের কথাও বলা হয়েছে নির্দেশিকায়।

    যতদিন না পরীক্ষা শেষ হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত বন দফতরের কাছে প্রতিদিনের রিপোর্ট জমা দিতে হবে, যেখানে উল্লেখ থাকবে যে, এই সমস্ত নির্দেশিকা মেনে চলা হচ্ছে কিনা।

    কী ঘটেছিল?

    সূত্রের খবর, আজ, বৃহস্পতিবার সকালে বাবার সঙ্গে পরীক্ষাকেন্দ্রে যাচ্ছিল ছাত্রটি। তখন জলপাইগুড়ির বৈকন্ঠপুর জঙ্গল সংলগ্ন টাকিমারি এলাকায় এক দাঁতালের সামনে পড়ে যায় তাঁরা। সেখান থেকে ভয়ে পালানোর মুহূর্তেই হাতি পা দিয়ে পিষে মারল ছাত্রটিকে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ছাত্রকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকরা জানান, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই মৃত্যু হয়েছে ছাত্রের। মৃত ছাত্রের নাম অর্জুন দাস।

    স্থানীয় সূত্রে খবর, মোটরবাইকে করে ছেলেকে নিয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্রে যাচ্ছিলেন বাবা বিষ্ণু দাস। হঠাৎ করেই মোটরবাইকের সামনে চলে আসে হাতিটি। মোটরবাইক দেখে তেড়ে আসে হাতিটি। অর্জুনকে ধরে ফেলে হাতি। সেখানেই শুঁড়ে তুলে আছড়ে মারে। তারপর পা দিয়ে পিষে যান। আশঙ্কাজনক ছাত্রটির বাবাও। জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জ ব্লকের মহারাজা ঘাটের বাসিন্দা অর্জুন। সে জলপাইগুড়ির পাচিরাম নাহাটা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র। অর্জুনের পরীক্ষা কেন্দ্র ছিল বেলাকোবা কেবলপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে। আর জীবনের এই প্রথম বড় পরীক্ষা দিতে গিয়েই প্রাণ হারাল এই ছাত্র।

    স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, ৭-১০ দিন আগেও ওই হাতি একজনকে পিষে মেরেছে। বন দফতরের থেকে সেরকম কোনও উদ্যোগ দেখা যায়নি বলে অভিযোগ। কার্যত অর্জুনের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে ক্ষোভ ছড়িয়েছে এলাকায়। মিল্টন দাস নামে এক স্থানীয় বাসিন্দার কথায়, “প্রতি বছর হাতির হামলা হলেও বনদফতর কোনও দায়িত্ব নেয় না। এই ভাবে কারও মৃত্যু হওয়ার পর চাকরি দিলেই কি সান্ত্বনা পাওয়া যায়?”

    হাতির পদপিষ্ট হয়ে অর্জুনের মৃত্যুর ঘটনায় শোকস্তব্ধ গোটা এলাকা। সেখানে পৌঁছেছেন পুলিশ এবং বনকর্মীরা। নিহত ছাত্রটির পরিবারকে আর্থিক সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন রাজগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক খগেশ্বর রায়।

LinkedIn
Share