Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Kajal Sheikh: জেলে বসেই দল চালাচ্ছেন অনুব্রত! বিস্ফোরক নানুরের তৃণমূল নেতা কাজল শেখ

    Kajal Sheikh: জেলে বসেই দল চালাচ্ছেন অনুব্রত! বিস্ফোরক নানুরের তৃণমূল নেতা কাজল শেখ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলে বসেই দল চালাচ্ছেন অনুব্রত মণ্ডল, এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন বীরভূম তৃণমূল কংগ্রেসের কোর কমিটির সদস্য কাজল শেখ। এতদিন এই একই অভিযোগ করছিল বিরোধী দলের নেতারাও। কিন্তু এবারে শাসকদলের নেতার গলাতেই অনুব্রতের বিরুদ্ধে সুর চড়তে দেখা গেল। রবিবার নানুরের উচকরণ গ্রাম পঞ্চায়েতের বন্দর বাসস্ট্যান্ডে দলের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে প্রকাশ্যেই দাবি করলেন, নেত্রীর কথা শোনা হচ্ছে না। জেলে বন্দি অনুব্রত মণ্ডলের পরামর্শেই দল চালাচ্ছেন বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায় চৌধুরী। ইতিমধ্যেই এই দাবিকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    কাজল শেখের বিস্ফোরক দাবি

    গতকাল বীরভূম তৃণমূল কোর কমিটির সদস্য কাজল শেখ দাবি করেন, “বিকাশদার সঙ্গে কেষ্টদার ফোনে কথা হচ্ছে সেই কারণেই উনি বলছেন কেষ্টদার কথামত চলছেন। হয়ত বিকাশদার সঙ্গে কেষ্টদার জেল থেকে ফোনে কথাবার্তা হচ্ছে। বিকাশের ফোন পরীক্ষা করলেই বোঝা যাবে কথা হচ্ছে কী না। কালকে যারা উপস্থিত ছিলেন তাঁদের জিজ্ঞেস করে নিন বিকাশদা এটা বলেছেন কী না। আমি সত্য কথা বলি, সত্য পথে চলি।”

    আরও পড়ুন: বাংলাকে খণ্ডিত হতে দেব না! দুর্নীতি থেকে নজর সরাতে অপপ্রচার তৃণমূলের, দাবি সুকান্তর

    প্রসঙ্গত, শনিবারই বোলপুরের তৃণমূল কার্যালয় থেকে বেরিয়ে যান কাজল শেখ। জানা গিয়েছিল যে, কোর কমিটির বৈঠক না হওয়ায় ও দলে সম্মান না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি বেরিয়ে গিয়েছেন। তবে রবিবার তিনি জানান, বিষয়টা তেমন নয়। ব্যক্তিগত কাজেই তাড়াতাড়ি বেরিয়ে গিয়েছিলেন। তাঁর দাবি, ওই বৈঠকেই বিকাশ রায়চৌধুরী দাবি করেছেন যে অনুব্রত মণ্ডলের নির্দেশেই দল চলছে। এর প্রমাণ পেতে তিনি বিকাশের ফোন পরীক্ষা করার কথাও বলেন। বৈঠক চলাকালীন তিনি পিছনের দিকে বসে ছিলেন। কেন সামনে দিকে বসেননি জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, “সামনে বসা আমার লক্ষ্য নয়, আমার লক্ষ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্ন সফল করা। চাইলে আমি অনেক আগে এমএলএ-এমপি হতে পারতাম। কিন্তু ও সব আমার লক্ষ্য নয়।”

    উল্লেখ্য, গরু পাচারকাণ্ডে প্রায় পাঁচ মাস জেলবন্দি বীরভূমের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডল। এই অবস্থায় বীরভূমে পার্টি কে চালাবেন, তা নিয়ে সংশয় থাকলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বীরভূম সফরে এসে জেলায় সাতজনের কোর কমিটিও করে দিয়েছিলেন। প্রথম থেকে অনুব্রত বিরোধী হিসেবে পরিচিত নানুরে তৃণমূল নেতা কাজল শেখকেও এই কমিটিতে জায়গা দেন মমতা। প্রত্যেক সপ্তাহে কোর কমিটির সদস্যদের দলনেত্রী বৈঠক করার নির্দেশ দিলেও এখনও একটিও মিটিং হয়নি। গতকাল সেই নিয়েই উষ্মা প্রকাশ করেন কাজল শেখ। আর সেই প্রসঙ্গেই ক্ষোভ উগরে তিনি এমন দাবি করেন।

  • Calcutta High Court: ‘পার্থ’-কে টাকা দিয়েও মেলেনি চাকরি! আত্মহত্যা যুবকের, সিবিআই-নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: ‘পার্থ’-কে টাকা দিয়েও মেলেনি চাকরি! আত্মহত্যা যুবকের, সিবিআই-নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রুপ ডি চাকরির জন্য টাকা দিয়েও মেলেনি নিয়োগপত্র। ফলে বাধ্য হয়ে আত্মহত্যারই পথ বেছে নিয়েছিলেন লালগোলার বাসিন্দা আবদুল রহমান। তাঁর মৃত্যুর পরই উদ্ধার করা হয়েছিল একটি সুইসাইড নোট। যেখানে লেখা ছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ আরও কয়েকজনের নাম। সেই মামলায় এবারে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। প্রথমে এই ঘটনার তদন্তে নেমেছিল লালগোলা থানার পুলিশ। তাঁরা একটি চার্জশিট পেশ করলে সেখানে দেখা যায়, তাঁরা মৃতের বিরুদ্ধেই চার্জশিট পেশ করেছে। এর পরই পুলিশি তদন্তে অনাস্থা প্রকাশ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে সিবিআই তদন্তের দাবি করে মৃতের পরিবার। আর আজ সেই দাবি মেনে মামলার তদন্তভার দেওয়া হল সিবিআইকে।

    সুইসাইড নোটে পার্থর নাম!

    ঘটনাটি ঘটেছিল ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। জানা যায়, গ্রুপ ডি পদে চাকরির জন্য ছয় লক্ষ টাকা ঘুষ দিয়েছিলেন আব্দুল রহমান। কিন্তু, ঘুষের টাকা দিয়েও চাকরি না মেলায় অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন তিনি। অবশেষে বছর ২৫-এর এই যুবক আত্মঘাতী হন। তাঁর ঘর থেকে উদ্ধার হয় একটি সুইসাইড নোটও। যেখানে জনৈক পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এই ঘুষের টাকা তোলার কথা লিখে যান আবদুল। সেই নোট-এ পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ কারা কারা এই নিয়োগের ক্ষেত্রে অর্থ নিয়েছিলেন, তাও উল্লেখ ছিল।

    আরও পড়ুন: মনজিৎ সিং গ্রেওয়ালের তৃণমূল যোগ নিয়ে বিস্ফোরক শুভেন্দু, কী লিখলেন ট্যুইটে?

    আবদুলের মৃত্যুর তদন্তে চার্জশিটে রয়েছে মৃতেরই নাম!

    এরপর ঘটনার তদন্ত শুরু করে লালগোলা থানার পুলিশ। প্রথমে তদন্তে নেমে অভিযুক্ত দিবাকর কনুইকে গ্রেফতার করা হয়। সে কান্দির বাসিন্দা হলেও কলকাতা থেকে মিডলম্যান হিসেবে ভূমিকা পালন করছিল বলে তদন্তে উঠে আসে। এরপর আব্দুল রহমানের মৃত্যুর তদন্তে চার্জশিট পেশ করে লালগোলা থানার পুলিশ। তবে আশ্চর্যজনক ভাবে ওই চার্জশিটে নাম রয়েছে মৃত আব্দুলেরই। এর পর কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় পরিবার। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থার এজলাসে ওঠে মামলাটি। চার্জশিট ও অন্যান্য নথি খতিয়ে দেখে এই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি মান্থা।

    এদিন এই মামলায় আবেদনকারীদের আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় বলেন, “পার্থ চট্টোপাধ্যায় কে, খোঁজার বদলে আত্মঘাতী ব্যক্তির বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করেছে পুলিশ। পুলিশের এই কাজের নিন্দার ভাষা নেই। চোরেদের আড়াল করতে বুক চিতিয়ে নেমে পড়েছে গোটা প্রশাসন। আমরা এর শেষ দেখে ছাড়ব।”

  • SSC Scam: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়কে চ্যালেঞ্জ! ডিভিশন বেঞ্চে চাকরি হারানো গ্রুপ ডি কর্মীরা

    SSC Scam: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়কে চ্যালেঞ্জ! ডিভিশন বেঞ্চে চাকরি হারানো গ্রুপ ডি কর্মীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন এসএসসি গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতিতে চাকরি থেকে বহিষ্কৃতরা। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেন তাঁরা। মামলাটির শুনানি হবে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের এজলাসে। যাঁরা আবেদন করেছেন, তাঁদের হয়ে আদালতে সওয়াল করছেন আইনজীবী অরুণাভ ঘোষ, অনিন্দ্য লাহিড়ী এবং পার্থ দেববর্মণ। অন্যদিকে বিচারপতি বসুর রায়কেও চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে গেলেন চাকরি খোয়ানো নবম-দশমের শিক্ষক-শিক্ষিকারা।

    ১৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীদের চাকরি বাতিলের নির্দেশ

    শুক্রবারই বেআইনি নিয়োগের অভিযোগে এসএসসি নিযুক্ত ১৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীর চাকরি বাতিল করেছিল হাইকোর্ট। ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল হাইকোর্টের বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চ। সেই নির্দেশকেই চ্যালেঞ্জ জানানো হয়েছে ডিভিশন বেঞ্চে।

    আরও পড়ুন: বিদায় নিচ্ছে শীত! আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় বাড়ছে ভয়ঙ্কর ব্যাকটেরিয়ার দাপট

    এদের প্রত্যেকের ওএমআর শিটে কারচুপি করা হয়েছিল বলে স্বীকার করে নিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। বহিষ্কৃতদের মধ্যে রয়েছেন বহু তৃণমূল নেতা, তাদের আত্মীয় ও ঘনিষ্ঠরা। আদালতে কমিশন স্বীকারও করেছে ২৮১৯ জনের ওএমআর শিটে কারচুপি করা হয়েছে। তার মধ্যে নিয়োগপত্র পেয়েছিলেন ১৯১১ জন। ফলে এই ১৯১১জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্টের বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চ। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় সেদিন বলেছিলেন, “অবিলম্বে ১৯১১ জন গ্ৰুপ ডি কর্মীর সুপারিশপত্র প্রত্যাহার করতে হবে। আমার বিশ্বাস, বেআইনি ভাবে, দুর্নীতি করে এই সব প্রার্থীদের সুপারিশ দেওয়া হয়েছিল।” তাঁরা অন্য কোনও চাকরির পরীক্ষায় আর বসতে পারবেন না, সে বিষয়েও জানিয়ে দিয়েছিলেন বিচারপতি। আর এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করেই আজ ডিভিশন বেঞ্চের দারস্থ হন চাকরি খোয়া কর্মীরা।

    বিচারপতি বসুর রায়কে চ্যালেঞ্জ নবম এবং দশমের চাকরি যাওয়া শিক্ষকদের

    উত্তরপত্র বিকৃত করে ৯৫২ জনকে চাকরি দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। এই ৯৫২ জনের মধ্যে ৮০৫ জনের ওএমআর শিট বিকৃত করা হয়েছে বলে স্বীকার করে নেয় স্কুল সার্ভিস কমিশন। এরপরেই বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু কমিশনকে নিজেদের ক্ষমতা প্রয়োগ করে এই ৮০৫ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। এর পরেই সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে যান ওই চাকরি খোয়া শিক্ষক-শিক্ষিকারা। এই দুই মামলাতেই ডিভিশন বেঞ্চ কী রায় দেয় সেদিকেই নজর রাজ্যবাসীর।

  • Sukanta Majumdar: বাংলাকে খণ্ডিত হতে দেব না! দুর্নীতি থেকে নজর সরাতে অপপ্রচার তৃণমূলের, দাবি সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: বাংলাকে খণ্ডিত হতে দেব না! দুর্নীতি থেকে নজর সরাতে অপপ্রচার তৃণমূলের, দাবি সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যত বড়ই নেতা হোক না কেন দুর্নীতি করলে ছাড় পাবেন না। হুঁশিয়ারি রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। পূর্বস্থলীর সভা মঞ্চ থেকে একই সঙ্গে বাংলাকে ভাগ হতে দেবেন না বলেও জানান সুকান্ত। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে (JP Nadda) পাশে বসিয়ে রাজ্যে শাসক দলের একাধিক নেতাকে বিঁলেন সুকান্ত।

    বাংলা-ভাগ প্রসঙ্গ

    এদিন সুকান্ত বললেন, “অভিষেক উত্তরবঙ্গে গিয়ে বলছে বিজেপি উত্তরবঙ্গকে না কি ভাগ করতে চায়। আমরা না কি বাংলাকে ভাগ করতে চাই। আমি বিজেপির রাজ্য সভাপতি হিসাবে এই মঞ্চ থেকে সর্ব-ভারতীয় সভাপতিকে সামনে রেখে ঘোষণা করছি বিজেপির ঘোষিত নীতি ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় যে রূপে বাংলাকে রাখতে চেয়েছেন আমরা সেই রূপেই রাখব। বাংলাকে খণ্ডিত হতে দেব না। বাংলাকে ভাগ হতে দেব না।” যা নিয়ে নতুন করে শোরগোল বাংলার রাজনৈতিক মহলে। 

    দুর্নীতি ভরা

    সুকান্তর সাফ দাবি, রাজ্যজোড়া দুর্নীতি থেকে চোখ ঘোরাতেই এত নাটক করছে তৃণমূল। কয়েকদিন আগে দক্ষিণ কলকাতার বালিগঞ্জ এলাকা থেকে উদ্ধার হওয়া দেড় কোটি টাকা নিয়েও তোপ দাগেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এমনকী মঞ্জিত সিং নামে যে ব্যক্তির কাছ থেকে ওই টাকা পাওয়া গিয়েছে তার সঙ্গে তৃণমূলের শীর্ষস্তরের বহু নেতার যোগাযাগ রয়েছে বলেও দাবি সুকান্তর। আর এসব থেকে নজর ঘোরাতেই বারবার বাংলাভাগের প্রসঙ্গ তুলে আম-আদমির নজর ঘোরাতে চাইছেন তৃণমূল নেতারা,এমনটাই দাবি সুকান্তর। 

    আরও পড়ুন: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়কে চ্যালেঞ্জ! ডিভিশন বেঞ্চে চাকরি হারানো গ্রুপ ডি কর্মীরা    

    নাম ধরে নেতাদের আক্রমণ

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত অভিযোগ করেন, শস্যভান্ডার বলে পরিচিত বর্ধমানে চাষিরা আলুর দাম পাচ্ছেন না। হিমঘরের দরজায় তৃণমূলের লোকজনকে টাকা দিলে বন্ড পাওয়া যায়। সভায় আসা জনতার উদ্দেশ্যে সুকান্তের দাবি, ‘‘আপনাদের জেলাও কম যায় না।’’ এর পরেই তিনি বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাসের বিরুদ্ধে ভোটার তালিকায় নাম তোলা নিয়ে ধর্মীয় বিভাজনের চেষ্টা, বালি কারবারের অভিযোগ তোলেন। ইডি-সিবিআই তাঁর দরজায় কড়া নাড়বে বলেও হুঁশিয়ারি সুকান্তের। তাঁর আরও দাবি, ‘‘রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় না কি ভাল নেই। ভয়ে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে গেলেন। এখনও ভয় পাচ্ছেন। প্রচুর সম্পত্তিও না কি করেছেন। ঠিক করে হিসাব রাখছেন তো?’’ দাঁইহাটের প্রাক্তন পুরপ্রধান শিশির মণ্ডলের বিরুদ্ধে ওঠা ফোনে অশালীন প্রস্তাবের ঘটনাও স্মরণ করিয়ে দেন সুকান্ত। তাঁর দাবি, ‘‘তাঁকে শুধু সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিজেপির কেউ এমন কাজ করলে জেলে ঢুকিয়ে দেওয়া হত।’’  এভাবেই পূর্বস্থলীর সভা থেকে একের পর এক তৃণমূল নেতাদের আক্রমণ করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Kolkata Weather: এই শীত, এই গরম! আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় বাড়ছে এই ভয়ঙ্কর ব্যাকটেরিয়া

    Kolkata Weather: এই শীত, এই গরম! আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় বাড়ছে এই ভয়ঙ্কর ব্যাকটেরিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শহর থেকে প্রায় বিদায় নিচ্ছে শীত। খামখেয়ালি আবহাওয়ায় ভুগতে হচ্ছে আট থেকে আশি সকলকেই। এই শীত, তো এই গরম। দুপুরের থেকে রাতে তাপমাত্রা চার-পাঁচ ডিগ্রি কমে যাচ্ছে। ঋতু বদলের এই সময়টাতে এমনতিও সর্দি-কাশি-জ্বর (Viral Fever), নানা সংক্রমণজনিত রোগের বাড়াবাড়ি হয়। এবছর তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে বিপজ্জনক ব্যাকটেরিয়া, স্ট্রেপটোকক্কাস নিমোনিয়াই-এর (Streptococcus Pneumoniae) সংক্রমণ। এই ব্যাকটেরিয়া জনিত নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত অনেককেই ভর্তি করতে হচ্ছে হাসপাতালে। এর থেকে রেহাই পেতে মাস্ক ব্যবহার ও পর্যাপ্ত পরিমাণ জল পান করার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।

    ভাইরাসের প্রভাব

    আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আাগামী কয়েকদিন আকাশ পরিষ্কার থাকবে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩২ ও ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। এদিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ৪ ডিগ্রি বেশি। এদিন আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল সর্বোচ্চ ৯৩ শতাংশ। আগামী চার পাঁচ দিন আবহাওয়ার এই ওঠা নামা চলবে। এরপর ধীরে ধীরে তাপমাত্রা বাড়তে থাকবে। তাপমাত্রার এই হের ফেরে ঘরে ঘরে ভাইরাল জ্বর লেগে রয়েছে। একবার অসুস্থ হলে ৭-১০ দিনের আগে দুর্বলতা কাটছে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু করোনা নয়, অন্তত ১২ ধরনের ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়া শহরজুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। 

    আরও পড়ুন: রবিবার মেয়েদের টি-২০ বিশ্বকাপে মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তান, কখন ও কোথায় দেখবেন ম্যাচ?

    ব্যাকটেরিয়ার দাপট

    জাল ছড়াচ্ছে বিপজ্জনক ব্যাকটেরিয়া, স্ট্রেপটোকক্কাস নিমোনিয়াও। চিকিৎসকরা বলছেন, কলকাতায় যাঁরা জ্বর, সর্দি, কাশি, কিম্বা নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন, তাঁদের অধিকাংশেরই অসুখের পিছনে রয়েছে এই বিশেষধরণের ব্যাকটেরিয়া।  ব্যাকটেরিয়া জনিত কারণে হচ্ছে জ্বর।  বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মূলত, ড্রপলেট, হাঁচি, কাশির মাধ্যমেই একজনের শরীর থেকে আরেকজনের শরীরে ঢুকে যাচ্ছে এই ব্যাকটেরিয়া। সাধারণ অ্যান্টিবায়োটিকে সামাল দেওয়া যাচ্ছে না এই রোগকে। তাই, বাড়তি সতর্ক থাকতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। বাড়ির কেউ আক্রান্ত হলে, তাঁকে একটি ঘরে আইসোলেশনে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউগুলিতে অন্তত ২০ জন এই বিশেষপ্রকার ব্যাকটেরিয়া জনিত নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: মনজিৎ সিং গ্রেওয়ালের তৃণমূল যোগ নিয়ে বিস্ফোরক শুভেন্দু, কী লিখলেন ট্যুইটে?

    Suvendu Adhikari: মনজিৎ সিং গ্রেওয়ালের তৃণমূল যোগ নিয়ে বিস্ফোরক শুভেন্দু, কী লিখলেন ট্যুইটে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মনজিৎ সিং গ্রেওয়ালের সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক নিয়ে এবার বিস্ফোরক ট্যুইট করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ট্যুইটে বেশ কয়েকটি সম্পত্তি হস্তান্তরের দাবি করেছেন তিনি।

    সম্প্রতি বালিগঞ্জ থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে (Suvendu Adhikari)। ঘটনায় কয়লা পাচার-যোগের প্রমাণ মিলেছে। এই মামলায় দুই ব্যবসায়ীর নাম উঠে এসেছে। তাঁদের মধ্যে একজন গজরাজ গ্রুপের কর্ণধার বিক্রম সাকারিয়া। ইতিমধ্যেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। আগামী বুধবার, নথি-সহ দিল্লির সদর দফতরে ডেকে পাঠানো হয়েছে মনজিৎ সিং গ্রেওয়ালকে। তিনি  একটি গেস্ট হাউসের মালিক ও ধাবা ব্যবসায়ী। এই মনজিৎ সিং গ্রেওয়ালের সঙ্গেই তৃণমূল-যোগ নিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন শুভেন্দু। মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে মনজিৎ সিং গ্রেওয়ালের ছবি আগেই প্রকাশ করেছিলেন তিনি। এবার ট্যুইটারে আরও একটি ছবি প্রকাশ করেছেন বিরোধী দলনেতা। তাতে বেশ কিছু নাম, দলিল ও জমি হস্তান্তরের দাবি করে লেখা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়কে চ্যালেঞ্জ! ডিভিশন বেঞ্চে চাকরি হারানো গ্রুপ ডি কর্মীরা        
     
    উল্লেখ্য, ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডে, হরিশ মুখার্জি রোডের ২০৪ নম্বর প্লটে যে সম্পত্তি কেনা হয়েছে, তার প্রস্তাবিত মূল্য ১ কোটি ৮৯ লক্ষ ৩০ হাজার ১ টাকা। ডিড নম্বর ০৭০৭৭/২০১০। বিক্রেতার নাম মায়া সেন, ইন্দ্রজিৎ সেন এবং শুভ্রা মিত্র। ক্রেতা কাজরী ব্যানার্জি এবং মনজিৎ সিং। দ্বিতীয় সম্পত্তির ঠিকানা, ১৩৫-এ, হরিশ মুখার্জি রোড। প্রস্তাবিত মূল্য ১৯ লক্ষ ৬০ হাজার ৩ টাকা। ডিড নম্বর ০৫২২৪/২০১৬। বিক্রেতার নাম তন্ময় সরকার। ক্রেতা কাজরী ব্যানার্জি এবং দলজিৎ কউর। ১৭ টার্ফ রোডে, তৃতীয় সম্পত্তির প্রস্তাবিত মূল্য ১৫ লক্ষ ৫৯ হাজার ৮২৫ টাকা। ডিড নম্বর, ০৫৫৪৫/২০১৭। বিক্রেতা মহম্মদ রফি খোন্দকার অলিউল ইসলাম। ক্রেতা কাজরী ব্যানার্জি, মনজিৎ সিং এবং অমরজিৎ সিং।

    বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) ট্যুইটে লেখেন, ‘সিজারের স্ত্রীকে সন্দেহের ঊর্ধ্বে রাখতেই হবে, কিন্তু তার সঙ্গে কার্তিক-জায়াকেও রেহাই দিতে হবে। শুধুমাত্র তিনি সম্রাজ্ঞীর আত্মীয় বা তোলামূল কাউন্সিলর বলে? “কে জানি না” থেকে শুরু করে ”হিন্দি সেলের নেতা”, তারপর ”শুধুই পরিচিত” থেকে ”পুরনো বন্ধু” আর এখন ”ব্যবসায়িক সঙ্গী” থেকে ”অপরাধের সঙ্গী”?’

    আরও একটি ট্যুইটে তিনি লেখেন, “কালীঘাটের কাকু, পিসি, ভাইপো, কাকিমা, বউমা, শ্যালিকা – সবাই একই ধাঁধার অংশ। পৃথকভাবে কেউ দোষী নন, অথচ সবাই একসূত্রে গাঁথা। কয়লা যতোই ধোঁয়া হোক, তা কালোই থাকবে। ঠিক তোমাদের ভবিষ্যতের মতো।”

     

    রহস্যময়ীর খোঁজে ইডি 

    এদিকে বালিগঞ্জ কাণ্ডে যুক্ত এক প্রভাবশালী (Suvendu Adhikari) এক মহিলাকে খুঁজছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। টাকা উদ্ধারের সঙ্গে এক মহিলার জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে ইডি। জানা গিয়েছে, এই মহিলার সঙ্গে আমলাদের ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। এই রহস্যময়ীর খোঁজ পেলেই তদন্ত অনেকটা এগিয়ে যাবে বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। তদন্তকারীদের দাবি, শরৎ বোস রোডের গেস্ট হাউস বিক্রির ‘ডিল’ করার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল ওই মহিলার। এমনকী অনেকের কালো টাকা সাদা করতে সাহায্য করেছেন তিনি। এখন সেই মহিলাকেই হন্যে হয়ে খুঁজছে ইডি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     
     
  • West Bengal Weather: শহরে পারদের ওঠা-নামা জারি, একধাক্কায় তাপমাত্রা কমল ৫ ডিগ্রি

    West Bengal Weather: শহরে পারদের ওঠা-নামা জারি, একধাক্কায় তাপমাত্রা কমল ৫ ডিগ্রি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কখনও শীত, কখনও আবার গরম। পারদের ওঠা-নামা জারি। কখনও তাপমাত্রা চার ডিগ্রি বেড়ে যাচ্ছে তো, কখনও আবার ২ ডিগ্রি কমছে। যেমনটা হল গতকাল ও আজ। মাঘের শেষে আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা চলছে। আজ প্রায় পাঁচ ডিগ্রি নামল কলকাতার তাপমাত্রা। রাজ্য জুড়েই রাতের তাপমাত্রা বেশ কিছুটা কমল। আগামী ২৪ ঘন্টায় আরও কিছুটা কমবে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। বুধবার পর্যন্ত এমন পরিস্থিতি রাজ্যজুড়ে বজায় থাকবে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, মাঘ বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গে শীতও খুব শীঘ্রই বিদায় নিতে চলেছে।

    কলকাতার আবহাওয়া

    আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, এদিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি কম। গতকালই ছিল ২২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফলে একধাক্কায় পাঁচ ডিগ্রি কমে রাতের তাপমাত্রা এখন ১৭ ডিগ্রি। সকাল ও সন্ধ্যায় শীতের আমেজ বজায় থাকবে। আগামী বুধবার পর্যন্ত পারদ পতন হবে ও বৃহস্পতিবার থেকে তাপমাত্রা বাড়বে। আগামী দু-তিন দিন তাপমাত্রা থাকবে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর মধ্যে। আকাশ পরিষ্কার থাকবে। বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই।

    উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া

    উত্তরবঙ্গে কুয়াশার দাপট বজায় থাকবে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২৪ ঘন্টা অর্থাৎ ১৪ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকালের মধ্যে দার্জিলিং-এর কোনও কোনও জায়গায় হাল্কা বৃষ্টি হতে পারে। বাকি সব জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকবে। পরবর্তী ২৪ ঘন্টা অর্থাৎ ১৫ ফেব্রুয়ারি বুধবার সকালের মধ্যে সবকটি জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকবে। উত্তরবঙ্গেও সকালে ন্যূনতম তাপমাত্রা অনেকটাই কমেছে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, এই আবহাওয়া আগামী দুদিন বজায় থাকতে চলেছে। বুধবার থেকে তাপমাত্রা ফের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনা। তবে বুধবারের মধ্যে হিমালয় সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে হাল্কা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকতে পারে বলে পূর্বাভাসে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

    দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া

    ১৫ ফেব্রুয়ারি বুধবার সকালের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের সবকটি জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকবে। উত্তরবঙ্গের মতই দক্ষিণবঙ্গে এদিন সকালে ন্যূনতম তাপমাত্রা অনেকটাই কমেছে। পারদ পতনের পরিমাণ উত্তরবঙ্গের তুলনায় বেশি। তার মধ্যে পশ্চিমের জেলাগুলিতে আরও বেশি। বুধবার সকাল পর্যন্ত এই ধরণের আবহাওয়া বজায় থাকলেও, তাপমাত্রা ফের ঊর্ধ্বমুখী হবে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা।

    অন্যদিকে, মঙ্গলবার নতুন করে পশ্চিমি ঝঞ্ঝা ঢুকবে উত্তর-পশ্চিম ভারতের পার্বত্য এলাকায়। উত্তর-পশ্চিম ভারতে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাব থাকবে। আগামী ২৪ ঘন্টায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি এবং তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে কাশ্মীর ভ্যালি, জম্মু কাশ্মীর, লাদাখ, হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডের বিভিন্ন এলাকায়। পাঞ্জাব, চন্ডিগড় এবং হরিয়ানার কিছু অংশে হালকা বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা রয়েছে।

  • CV Ananda Bose: প্রধান সচিব নন্দিনী চক্রবর্তীকে সরালেন রাজ্যপাল, কেন এমন সিদ্ধান্ত?

    CV Ananda Bose: প্রধান সচিব নন্দিনী চক্রবর্তীকে সরালেন রাজ্যপাল, কেন এমন সিদ্ধান্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে রাজভবন অব্যাহতি দিল নন্দিনী চক্রবর্তীকে। রাজভবনের ইচ্ছায় সরানো হল রাজ্যপালের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিকে। রবিবার বেশি রাতে রাজভবন সূত্রে জানা গিয়েছিল, তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে। শেষমেশ সেটাই হল। কেন এমন ঘটনা? অভিযোগ আনন্দ রাজভবনে আসার পর থেকেই তাঁর সঙ্গে শাসক তৃণমূলের ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। আর এই ঘনিষ্ঠতার পিছনে নন্দিনীর ভূমিকা রয়েছে বলে দাবি শুভেন্দুর। এর পরেই গতকাল রাতে রাজভবনের থেকে এই খবর সামনে এল। শোনা যাচ্ছে নন্দিনীর বদলে নতুন কাউকে প্রধান সচিব হিসেবে সরকারের কাছ থেকে চাওয়া হবে। এমনটাও শোনা যাচ্ছে রাজ্যপাল তার নিজের পছন্দমত টিম নতুন করে তৈরি করতে চাইছেন। রাজভবন সূত্রে খবর আজ, সোমবার দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকও হতে পারে আনন্দের।

    কেন এমন ঘটল?

    বিভিন্ন সূত্রের খবর, রাজ্য বিজেপি এই অফিসারের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছে। তাঁদের বক্তব্য নন্দিনী চক্রবর্তী সরাসরি রাজ্য সরকারের হয়ে রাজভবনকে পরিচালিত করছেন। এমন অফিসারকে দিয়ে রাজভবন পরিচালিত হলে রাজ্যপালের নিরপেক্ষতা নিয়েই প্রশ্ন উঠবে। ফলে গতকাল রাতেই প্রধান সচিবের পদ থেকে সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: সকাল সকাল ভূমিকম্প সিকিমে! কম্পনের মাত্রা ৪.৩

    রাজ্যপালের নিরপেক্ষতা নিয়ে সরব হয় রাজ্য বিজেপি। গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, এই বিষয়ে খোঁজ নেয় দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও। রাজ্যপালের শপথ, সরস্বতী পুজোর দিনে ‘হাতেখড়ি’, সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের অনুষ্ঠান থেকে বিধানসভায় বাজেট অধিবেশনে ভাষণ— এ সবই নিয়ে নানা অভিযোগ তোলে বিজেপি। মূলত সরব হন শুভেন্দু। প্রথম দিকে বিষয়টা নিয়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব চুপ থাকলেও পরে শুভেন্দুর অভিযোগকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়। শনিবার বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে বৈঠকও করেন। এর পরে শনিবার সন্ধ্যাতেই রাজভবনের পক্ষে রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে এবং রাজ্যপালের পরবর্তী ভূমিকা নিয়ে কড়া বিবৃতি দেওয়া হয়। তখন থেকেই বোঝা যাচ্ছিল রাজ্যপাল পথ বদলাচ্ছেন। এর পরেই গতকাল এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে সূত্রের খবর।

    রাজভবন সূত্রে খবর, আজ, সোমবার নয়াদিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে সিভি আনন্দ বোসের। ঠিক তার আগের রাতেই নন্দিনীকে সরিয়ে দিতে রাজ্যপাল নবান্নকে জানিয়ে দেন। যদিও এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত সরকারিভাবে রাজভবন বা নবান্নের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।

  • Madhyamik Examination: মাধ্যমিকে কমল পরীক্ষার্থীর সংখ্যা, কেন জানেন?

    Madhyamik Examination: মাধ্যমিকে কমল পরীক্ষার্থীর সংখ্যা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা (Madhyamik Examination) দিয়েছিল প্রায় ১১ লক্ষ ছেলেমেয়ে (Student)। এবার সেটাই কমে গিয়েছে প্রায় ৪ লক্ষ। বোর্ড প্রেসিডেন্ট রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ড্রপ (Drop) নথিভুক্ত করা হয়েছে। পর্ষদের এক কর্তা বলেন, ড্রপ আউট বা স্কুলছুট কেউ হয়নি। এ বার অনেক ছাত্রছাত্রী যে টেস্টে উত্তীর্ণ হতে পারেনি, সেটাও মনে রাখতে হবে। যদিও কয়েকটি শিক্ষক সংগঠনের অভিযোগ, এই ছাত্রছাত্রীদের অধিকাংশই ড্রপ আউট।

    মাধ্যমিক পরীক্ষা…

    মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল ১০ লক্ষ ৯৮ হাজার ৭৭৫ জন। এবার সেই সংখ্যাটাই কমে দাঁড়িয়েছে ৬ লক্ষ ৯৮ হাজার ৬২৮ জন। পর্ষদের ব্যাখ্যা, ২০১৭ সালে ষষ্ঠ শ্রেণিতে বয়সের কারণে অনেকে ভর্তি হতে না পারায় এবং করোনাকালে শ্রেণিকক্ষের শিক্ষার অভাবে প্রস্তুতি ঠিকমতো না হওয়ায় কমেছে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা।

    অন্যরকম ব্যাখ্যা দিচ্ছেন অ্যাডভান্স সোসাইটি ফর হেডমাস্টার্স অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক চন্দন মাইতি। তিনি বলেন, নাম নথিভুক্ত করেও যে ছাত্রছাত্রীরা মাধ্যমিক (Madhyamik Examination) দিচ্ছে না, তাদের অধিকাংশই স্কুলছুট। করোনার প্রকোপে গ্রামের বহু ছেলেমেয়ের পরিবারের আর্থিক অবস্থা খারাপ হয়েছে। অনেকে কাজে চলে গিয়েছে। তিনি বলেন, নানা প্রকল্প চললেও, বহু স্কুলে লেখাপড়ার পরিকাঠামোই নেই। স্কুল পরিকাঠামোর উন্নয়নে অর্থ বরাদ্দ হচ্ছে না। দেওয়াল চাপা পড়ে পড়ুয়াদের মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে।

    আরও পড়ুুন: মমতার এই অপশাসনকে আলবিদা জানাতে তৈরি বাংলা…

    সরকার শিক্ষক নিয়োগে জোর না দেওয়ায় সমস্যা হয়েছে বলেও মনে করেন কেউ কেউ। মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির নেতা অনিমেষ হালদার বলেন, সরকার বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা দিতেই ব্যস্ত। তার চেয়ে শিক্ষক নিয়োগের ওপর জোর দিলে ভাল হত। তিনি বলেন, এবার মাধ্যমিকে (Madhyamik Examination) ছেলেদের তুলনায় মেয়ে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা যে বেশি, তার অন্যতম প্রধান কারণ কন্যাশ্রী প্রকল্প। ওই প্রকল্পের সুবিধা পেতে অনেক মেয়ে ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে।

    মাধ্যমিকে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কেন কমল, তা জানতে স্কুল শিক্ষা দফতর সমীক্ষা করবে বলে শুক্রবার জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি বলেন, নবম শ্রেণিতে নাম নথিভুক্তির পরেও কেন বহু পড়ুয়া মাধ্যমিকে বসার ফর্ম পূরণ করল না, তার কারণ জানতেই সমীক্ষা হবে। কোনও সরকারি সংস্থাকে দিয়েই সমীক্ষা করানো হবে বলেও জানান তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Coochbehar: কোচবিহার আদালতের মালখানা থেকে উদ্ধার হ্যান্ড গ্রেনেড, নিষ্ক্রিয় করল সেনা জওয়ানরা

    Coochbehar: কোচবিহার আদালতের মালখানা থেকে উদ্ধার হ্যান্ড গ্রেনেড, নিষ্ক্রিয় করল সেনা জওয়ানরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গাঁজার প্যাকেট থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল হ্যান্ড গ্রেনেড। রবিবার সকালে কোচবিহার আদালতের মালখানার ভেতরে থাকা সেই হ্যান্ড গ্রেনেডই নিষ্ক্রিয় করল ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিশেষজ্ঞ আধিকারিকরা। এদিন সকালে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে সেনাবাহিনীর ৬ থেকে ৭জনের সদস্যের একটি দল আদালত চত্বরে এসে হ্যান্ড গ্রেনেডটিকে নিষ্ক্রিয় করেন বলে জানা গেছে। গ্রেনেড নিষ্ক্রিয় করার সময় সাগরদিঘি চত্বরকে কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়। সেখানে এক দিকে যেমন পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন তেমনি দমকল বাহিনীও মোতায়েন করা হয় সেখানে।

    কী ঘটেছিল?

    পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দিন তিনেক আগে আদালতের মালখানা পরিষ্কার করতে গিয়ে ওই গ্রেনেডটি লক্ষ্য করেন সেখানে থাকা দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকরা। বিষয়টি সম্পর্কে জানানো হয় কোচবিহার জেলা পুলিশের কাছে। এরপর রাজ্য পুলিশের বোম স্কোয়াডের একটি দল পরবর্তীতে ওই গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করতে এলে তারা গোটা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে জানান, তাঁরা নিষ্ক্রিয় করতে পারবেন না। পরে কোচবিহার পুলিশের তরফ থেকে খবর দেওয়া হয় ভারতীয় সেনাবাহিনীকে।

    আরও পড়ুন: রাজ্য সফরে এসে মমতার কী নাম দিলেন নাড্ডা?

    সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার রেজিমেন্ট ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে তাঁরা জানান ছুটির দিন রবিবার এই হ্যান্ড গ্রেনেড নিষ্ক্রিয় করতে হবে। সেই মত রবিবার সকালেই গ্রেনেড নিষ্ক্রিয় করার জন্য যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। সেনাবাহিনীর নিষ্ক্রিয়কারী দল যেখানে বোমা রাখা ছিল সেখানে পৌঁছে যান এবং তাঁরা দেখতে পারেন সেই বোমা বাইরে নিয়ে এসে নিষ্ক্রিয় করা যাবে না। পরবর্তীতে কোচবিহার জেলা আদালতের বিচারপতির অনুমতি নিয়েই ওই মালখানার ভেতরেই হ্যান্ড গ্রেনেড নিষ্ক্রিয় করার বন্দোবস্ত করা হয়। সেনাবাহিনীর জওয়ানরা উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিখুঁতভাবে দক্ষতার সঙ্গে গ্রেনেড টি নিষ্ক্রিয় করেছেন বলে জানা গেছে। এই কাজের ফলে আদালতের মালখানার ঘরের কোনরকম ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে জানা যায়।

    এই বিষয়ে এডিশনাল এসপি জানান, কোর্টের মালখনায় ০.৩৬ আর্মি গ্রেট গ্রেনেড পাওয়া গেছে। যেহেতু আর্মি গ্রেনেড তাই পুলিশের টিম তা নিষ্ক্রিয় করতে পারেনি। জলপাইগুরির ইঞ্জিনিয়ারের রেজিমেন্ট এসে সব দেখে জানান গ্রেনেড টি ওখানেই নিষ্ক্রিয় করতে হবে।

    বিন্নাগুড়ির ৬-৭ জন  ইঞ্জিনিয়ারের টিম এসে জেলা আদালত ও জেলা জর্জ এর অনুমতি নিয়ে গ্রেনেডটি নিস্ক্রিয় করেন। গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় আশেপাশে। কীভাবে গ্রেনেড এল, তা নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

LinkedIn
Share