Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • SLST Agitation: লজ্জার ৭০০ দিন! কালো পোশাক পরে এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থান বিক্ষোভ

    SLST Agitation: লজ্জার ৭০০ দিন! কালো পোশাক পরে এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থান বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন অব্যাহত। চাকরির দাবিতে যোগ্য প্রার্থীদের করতে হয়েছে বিক্ষোভ, অনশন, প্রতিবাদ, তবুও মেলেনি নিয়োগপত্র। আর এই চাকরির দাবিতেই এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন আজ ৭০০ দিনে পড়ল। রবিবার ছুটির দিনেও ধর্মতলার গান্ধীমূর্তির পাদদেশে চলছে তাঁদের অবস্থান বিক্ষোভ। এদিন চাকরিপ্রার্থীদের এক অভিনব পথে আন্দোলন করতে দেখা গেল। মহিলাদের দেখা যায় কালো পোশাকে ও পুরুষদের অর্ধনগ্ন অবস্থায় আন্দোলন করতে দেখা যায়। তাঁদের অভিযোগ, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন জানানো হলেও এখনও তাদের নিয়োগ করা হয়নি, আর তারই প্রতিবাদে ফের সোচ্চার হয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা।

    নবম-দশম চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ অব্যাহত

    আন্দোলন, বিক্ষোভ করতে করতে ৭০০ দিন পেরিয়ে গেল তবুও যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা পেলেন না নিয়োগ। একদিকে যেমন রাজ্যে একের পর এক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি বেড়েই চলেছে, প্রায় প্রতিদিনই চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে, অন্যদিকে নবম-দশমের চাকরিপ্রার্থীরাও তাঁদের বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন।

    আরও পড়ুন: চাকরি চেয়ে চ্যাংদোলা! মমতার বাংলায় এটাই বাস্তব?

    চাকরিপ্রার্থীদের অভিনব প্রতিবাদ কর্মসূচি

    ফাঁকা ওএমআর শিটের প্রতিলিপি নিয়ে কালো পোশাক পরে চলছে প্রতিবাদ। সঙ্গে চলছে স্লোগান শাউটিংও। এই বিক্ষোভ অবস্থান থেকে একটাই দাবি করা হয়েছে সেটি হল নিয়োগের দাবি। তাঁরা এই প্রতিবাদের মাধ্যমে রাজ্যে দুর্নীতির যে কঙ্কালসার ছবি, সেটিই ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছেন। চাকরিপ্রার্থীরা এমন পোস্টার বানিয়েছেন, যেখানে দেখা গিয়েছে, কীভাবে এসএসসি পরীক্ষায় দুর্নীতি করা হয়েছে, কীভাবে ওএমআর শিটে নম্বর পরিবর্তন করা হয়েছে, সেসবই ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এইসব পোস্টারের মাধ্যমে। সবার পোশাকে লেখা রয়েছে, ‘লজ্জার ৭০০ দিন”।

    এক চাকরিপ্রার্থীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানিয়েছেন, আজকের এই প্রতিবাদে তাঁরা দুটো বিষয়কে তুলে ধরেছেন। এক, রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থা অন্ধকারে তলিয়ে গিয়েছে, তাঁর কথায় রাজ্যের শিক্ষায় কালো দিন চলছে, কালো অধ্যায় চলছে, তা বোঝতেই মহিলা আন্দোলনকারীরা কালো পোশাক পরেছেন। দুই, রাজ্যে শিক্ষাব্যবস্থাকে সামনে রেখে যেসব ন্যক্কারজনক কার্যকলাপ চলছে, অযোগ্যরা চাকরি করছেন, যোগ্যরা রাস্তায় ৭০০ দিন ধরে প্রতিবাদ করছেন, অর্থাৎ রাজ্যের শিক্ষার সেই রূপ তুলে ধরতেই পুরুষ আন্দোলনকারীরা অর্ধনগ্ন হয়ে প্রতিবাদ করছেন। 

  • J P Nadda: ভারত দেনেওয়ালা হয়ে গিয়েছে, লেনেওয়ালা নেই, এটাই বিকাশ, জানালেন নাড্ডা

    J P Nadda: ভারত দেনেওয়ালা হয়ে গিয়েছে, লেনেওয়ালা নেই, এটাই বিকাশ, জানালেন নাড্ডা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দোরগোড়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচন। বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। রবিবার বাংলার জোড়া সভায় এক ঢিলে দুই পাখিই মারলেন বিজেপির (BJP) সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (J P Nadda)। এদিন পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগর ও পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীতে সভা করেন নাড্ডা। দুই সভায়ই রাজ্য সরকারের সমালোচনার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। তৃণমূল (TMC) পরিচালিত রাজ্য সরকারের সমালোচনা করতে গিয়ে নাড্ডা বলেন, এখানে আইনের শাসন নেই। কেন্দ্র এ রাজ্যের জন্য অনেক উন্নয়নমূলক প্রকল্প রূপায়ন করার উদ্যোগ নিয়েছে। তবে রাজ্য সরকারের জন্য তা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি বলেন, আমরা রাজ্যবাসীকে চাল, গম দিচ্ছিলাম। কিন্তু তৃণমূল কর্মীরা রেশন সামগ্রী চুরি করছে।

    নাড্ডা উবাচ…

    রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসাও করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। তিনি বলেন, ২০১৪ সালে ৯২ শতাংশ মোবাইল ফোন আসত চিন থেকে। এখন দেশের ৯৭ শতাংশ মোবাইল ফোন ভারতেই তৈরি হয়। কখনও যদি অ্যাপলের মোবাইল হাতে আসে, তাহলে দেখবেন লেখা রয়েছে মেড ইন ইন্ডিয়া। তিনি (J P Nadda) বলেন, মোদিজির জমানায় দেশে সুশাসন ফিরেছে। মানুষের মধ্যে আস্থা ফিরেছে। মহিলা, যুব, কৃষকরা শক্তিশালী হয়েছেন। দলিত ও আদিবাসীরা যদি শক্তিশালী হয়ে থাকে, তাহলে সেই কাজ করেছেন মোদিজি। নাড্ডা বলেন, আপনারা মাস্ক পরা মার্কিন রাষ্ট্রপতির ছবি দেখেছেন। আর এখানে জনসভায় এত লোক বসে রয়েছেন, কারও মুখে মাস্ক নেই। এর কারণ মোদিজি দেশের ১৪০ কোটি মানুষকে করোনার ডবল ডোজ দিয়েছেন।

    আরও পড়ুুন: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জঙ্গলরাজেরও অবসান ঘটবে, বর্ধমানের সভায় ঘোষণা নাড্ডার

    বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি বলেন, আপনারা জানলে খুশি হবেন, এখন ভারত দুনিয়ার ১০০ দেশকে ভ্যাকসিন সরবরাহ করে। মোট ৪৮টি দেশকে বিনা পয়সায় ভ্যাকসিন দিয়েছে ভারত। তিনি বলেন, ভারত দেনেওয়ালা হয়ে গিয়েছে, আর লেনেওয়ালা নেই। এটাই হল বিকাশ। নাড্ডা (J P Nadda) বলেন, জল জীবন মিশনের উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু এই রাজ্যে সেই প্রকল্পও ঠিক মতো করা হচ্ছে না। তিনি বলেন, মোদিজির স্বপ্ন কেউ ঝুপড়িতে থাকবেন না। সেই জন্য প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা শুরু করেছেন মোদিজি। কিন্তু তাও বাংলা আবাস যোজনা বানিয়ে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোনও অর্থ না দিয়ে কেন্দ্রের প্রকল্প চুরি করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Nagerbazar Police: নাগেরবাজার পুলিশের সাফল্য! গ্রেফতার বাইক পাচারকাণ্ডে জড়িত ১

    Nagerbazar Police: নাগেরবাজার পুলিশের সাফল্য! গ্রেফতার বাইক পাচারকাণ্ডে জড়িত ১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাইক পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল নাগেরবাজার থানার পুলিশ। ধৃতের নাম শেখ মুফাসসিল। বিগত কয়েক বছর ধরেই দমদম এলাকায় বেড়েছে বাইক চুরির ঘটনা। দমদম থানা এলাকায় একের পর এক এমন চুরির ঘটনা ঘটলেও ধরা পড়েনি এক জনও। হাসপাতাল, নার্সিংহোম, ডায়াগনস্টিক সেন্টার— সেই সব এলাকা থেকে নিমেষের মধ্যে উধাও হয়ে যেত মোটরবাইক। তার পর তা চলে যেত বাইক পাচারকারীদের কাছে। তবে এবারে এই মোটর বাইক পাচার চক্রে পুলিশের জালে এসেছে এক ব্যক্তি।

    নাগেরবাজার পুলিশের জালে বাইক পাচারকারী

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২ দমদম সেন্ট মেরিজ এর সামনে থেকে একটি হোন্ডা বাইক চুরি হয়। ওই মাসের ২৫ তারিখ বাইকের মালিক নাগেরবাজার থানায় বাইক চুরি সংক্রান্ত অভিযোগ জানায়। এরপরে এই ঘটনার তদন্তে নামে নাগেরবাজার থানার পুলিশ। সূত্র মারফত খোজ খবর পেয়ে পুলিশ শেখ মুফাসসিলকে ওই চুরির বাইকসহ গ্রেফতার করে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, চুরি করার পর বাইকের নম্বর প্লেট বদলে দিত ওই অভিযুক্ত, এরপর সেই বাইক বিক্রি করে দিত। কিন্তু শেষ চুরির বাইক বিক্রি করার আগেই ধরা পড়ে যায় সে।

    আরও পড়ুন: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জঙ্গলরাজেরও অবসান ঘটবে, বর্ধমানের সভায় ঘোষণা নাড্ডার

    অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে এই বাইক চুরির সঙ্গে আরও বেশ কয়েকজন জড়িত রয়েছে। তাদের খোঁজ পেতেই আজ ধৃতকে আদালতের সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানিয়ে পাঠানো হয়। পুলিশ ধৃতকে নিজের হেফাজতে নিয়ে এই চক্রের সঙ্গে জড়িত আরও বাকিদের খোঁজ পেতে চাইছে।

    প্রসঙ্গত, পুলিশ সূত্রের খবর, মোটরবাইক চুরি চক্রের একটি দল কিছু দিন পরপর জায়গা বদলে এ কাজ করে। এমনই একটি চক্র এখন দমদমে কাজ করছে। গত বছর ফের একটি মোটরবাইক চুরির অভিযোগ এলে পাচারকারীদের ধরতে তৎপর নাগেরবাজার থানার পুলিশ। পাচারকাণ্ডে একজন ধরা পড়ায় পরবর্তীতে আরও বাইক পাচারকারীর খোঁজ পাওয়া যাবে বলে মনে করছে নাগেরবাজার থানার পুলিশ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • J P Nadda: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জঙ্গলরাজেরও অবসান ঘটবে, বর্ধমানের সভায় ঘোষণা নাড্ডার

    J P Nadda: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জঙ্গলরাজেরও অবসান ঘটবে, বর্ধমানের সভায় ঘোষণা নাড্ডার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় বদল হবেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) জঙ্গলরাজেরও অবসান ঘটবে। রবিবার বঙ্গ সফরে এসে এই বার্তাই দিলের বিজেপির (BJP) সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (J P Nadda)। এদিন বাংলার দুই জেলায় দুটি সভা করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। একটি পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরে। অন্যটি বর্ধমানের পূর্বস্থলীতে। পূর্বস্থলীর সভায় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি বলেন, বাংলা সব সময় দেশকে দিশা দেখিয়েছে। এক সময় বলা হত বাংলা আজ যা ভাবে, গোটা দেশ তা পরের দিন ভাবে। তিনি বলেন, জনসভার এই জনস্রোত বলছে, বদল আসছে। মমতার এই অপশাসনকে আলবিদা জানাতে তৈরি বাংলা।

    নাড্ডা বলেন…

    নাড্ডা (J P Nadda) বলেন, আপনাদের বলতে চাই মোদিজির নেতৃত্বে কোথায় এগিয়ে গিয়েছে দেশ। যে ব্রিটেন আমাদের ২০০ বছর শাসন করেছে, সেই ব্রিটেনকে পেছনে ফেলে বিশ্বে পঞ্চম অর্থনীতির দেশ হিসেবে মান্যতা পেয়েছি। একেই বলে বিকাশ। তিনি বলেন, আপনারা শুনতেন গাড়ি বানায় জাপান। এখন মোদির জমানায় জাপানকে পিছনে ফেলে তিন নম্বর গাড়ি উৎপাদক দেশ হিসেবে উঠে এসেছে ভারত। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি বলেন, এক সময় আমরা ওষুধ বাইরের দেশ থেকে কিনতাম। এখন আমরা ওষুধ অন্য দেশকে দিই। তিনি বলেন, সব চেয়ে সস্তা ও উপকারী ওষুধ এখন ভারতই তৈরি করছে।

    আরও পড়ুুন: তিনবার ব্যর্থ হয়েছে, বৃহস্পতিবার ফের হচ্ছে দিল্লির মেয়র নির্বাচন

    এদিনের ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। তিনি বলেন, শস্য ভাণ্ডার বর্ধমানেই চাষিরা আলুর দাম পাচ্ছেন না। তাঁদের মাথায় হাত। আলু স্টোরে রাখতে যাবেন, তৃণমূল নেতারা আগে থেকেই তার দখল নিয়ে বসে আছে। তিনি বলেন, কোল্ড স্টোরেজের দরজায় দরজায় তৃণমূল নেতারা দাঁড়িয়ে রয়েছেন। তাঁদের পয়সা দিলে তবেই বন্ড পাবেন। সুকান্ত বলেন, কোভিডে মানুষের রোজগার কমে গিয়েছে। অথচ এই সময়ে ভাইপোর রোজগার ছ গুণ বেড়েছে। তৃণমূল সুপ্রিমোর উদ্দেশে তাঁর প্রশ্ন, কোন ম্যাজিকে এটা সম্ভব হল? কয়লা ম্যাজিকে? না গরু ম্যাজিকে তাঁর রোজগার এত বেড়ে গেল? বিজেপি যে বাংলা ভাগের বিপক্ষে, এদিনের সভায় তা আরও এবার স্পষ্ট করে দেন সুকান্ত। তিনি বলেন, বিজেপির ঘোষিত নীতি হল বাংলাকে আমরা খণ্ডিত হতে দেব না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • National Anthem: অভিষেকের মঞ্চে ‘ভুল’ জাতীয় সঙ্গীত! ‘ভাইপো’-কে কটাক্ষ শুভেন্দু-সুকান্তর

    National Anthem: অভিষেকের মঞ্চে ‘ভুল’ জাতীয় সঙ্গীত! ‘ভাইপো’-কে কটাক্ষ শুভেন্দু-সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ভুল জাতীয় সঙ্গীত গাইলেন রাজ্যের শাসকদলের নেতারা, তাও আবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনেই। ভরা মঞ্চে সেই ভুল গানের সঙ্গে গলা মেলাতেও দেখা গেল অভিষেককে। এদিন আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে শনিবার কোচবিহারের মাথাভাঙায় সভা করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পঞ্চায়েত ভোটকে সামনে রেখে দলের স্থানীয় নেতৃত্বকে বার্তা দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। আর সেখানেই ঘটে গেল বিপত্তি। ভরা মঞ্চে গাইলেন জাতীয় সঙ্গীত, আর সেটিতে অজস্র ভুল। নেই সঠিক শব্দ, নেই কোনও সুর। এই ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হতে শুরু হয়েছে। রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার অভিষেককে কটাক্ষ করে ট্যুইট করেছেন।

    জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননা করা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    এইবারের ঘটনাই প্রথম নয়, এর আগেও একাধিকবার ভুল গেয়ে জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননা করতে দেখা গিয়েছে শাসকদলের নেতা-নেত্রীদের। গত বছর পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথির সাংগঠনিক জেলার যুব তৃণমূল কংগ্রেসের ডাকে কাঁথি শহরে সভা করেছিল তৃণমূল। সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মৎস্য মন্ত্রী অখিল গিরি, জেলা তৃণমূল চেয়ারম্যান অভিজিৎ দাস, জেলা সাধারণ সম্পাদক তরুণ জানা ও যুব তৃণমূল জেলা সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি সহ কাঁথি পুরসভার কাউন্সিলর এবং জেলা নেতৃত্ব বৃন্দ। সেই মঞ্চেই উঠেছিল জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা করার অভিযোগ।  সভা শেষে জাতীয় সঙ্গীত শুরু করেছিলেন রিনা দাস।

    আর আজও ঘটল সেই একই ঘটনা। আজ ছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাথাভাঙা সফর। মাথাভাঙা কলেজ ময়দানে সভা ছিল অভিষেকের। সেখানেই সভা শেষে শুরু হয় ভুলে ভরা জাতীয় সঙ্গীত। ‘তব শুভ নামে জাগে’- এই কথার পরিবর্তে দুবার বলা হয়েছে ‘তব শুভ আশিষ মাগে’। আবার ‘জনগণমঙ্গলদায়ক’-এর পরিবর্তে বলা হয়েছে ‘জনগণমঙ্গলনায়ক’। ফলে যেমন শব্দে ভুল রয়েছে, তেমনি নেই কোনও সুর। যেখানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অন্যের ভুল ধরতে এগিয়ে থাকেন, অন্যের টিপ্পনি করতে ছাড়েন না, সেখানে তিনি কীভাবে নির্দ্বিধায় ভুল জাতীয় সঙ্গীত গাইলেন ও তার অবমাননা করলেন, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

    শুভেন্দুর কটাক্ষ ‘ভাইপো’-কে

    এদিন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া নিয়ে কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, এদিন মাথাভাঙায় জাতীয় সঙ্গীত ভুল গেয়েছেন। তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, “ওকে বলুন আগামী একমাস জাতীয় সঙ্গীত পড়তে আর আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে তা বলতে। তারপরেই তিনি যেন রাজনৈতিক সভায় যান।”

    সুকান্ত মজুমদারের ট্যুইট

    মাথাভাঙায় এই ঘটনার পর কটাক্ষ করতে ছাড়েননি রাজ্যের বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি ট্যুইট করে লেখেন, “আপনি জাতীয় সঙ্গীতকে সম্মান করতে এবং সঠিকভাবে গাইতেও পারেন না! এটি লজ্জার।”  

  • Sukanta Majumder: ‘রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার হাল বেহাল’, রাজ্যপালকে চিঠি সুকান্তের   

    Sukanta Majumder: ‘রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার হাল বেহাল’, রাজ্যপালকে চিঠি সুকান্তের   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে চিঠি লিখলেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)। চিঠিতে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যদের বেআইনি নিয়োগ বাতিলের দাবি জানানো হয়েছে। শনিবার রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের হাতে ওই চিঠি তুলে দেন সুকান্ত। বিজেপির রাজ্য সভাপতির মতে, রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার হাল বেহাল। আদালতের নির্দেশে শিক্ষায় দুর্নীতির তদন্তে প্রশ্নের মুখে রাজ্য সরকার। রাজ্যপালকে লেখা চিঠিতে সুকান্ত রবীন্দ্রনাথ, বিবেকানন্দ, বঙ্কিমচন্দ্র, জগদীশচন্দ্র বোস, বিদ্যাসাগর, আশুতোষ মুখোপাধ্যায়, নেতাজির বাংলার কথার উল্লেখ করেছেন। রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা যাতে তলানিতে না যায়, সেই কারণেই যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদনও জানান তিনি।

    সুকান্ত জানান…

    নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তার জেরে ইতিমধ্যেই চাকরি খুইয়েছেন বহু শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মচারী। সে প্রসঙ্গ উল্লেখ করে সুকান্তের (Sukanta Majumder) দাবি, ইউজিসি-র গাইড লাইন না মেনেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতেও বেআইনিভাবে উপাচার্যদের নিয়োগ করেছেন। সেই সব উপাচার্যদের নিয়োগ বাতিল করার আবেদন জানান সুকান্ত। রাজ্য সরকারের নানা অনিয়ম সহ রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির কথা রাজ্যপালকে জানান সুকান্ত। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, উনি (রাজ্যপাল) আশ্বস্ত করে বলেছেন, সবার উপরে সংবিধান, তার উপরে কিছু নেই। এর আগে যিনি রাজ্যপাল ছিলেন, মাননীয় লা গণেশনের সময় লোকায়ুক্ত গঠন করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তা আইন মেনে হয়নি। এ নিয়ে রাজ্যকে জানিয়েছেন নয়া রাজ্যপাল। এজন্য বিধানসভার আগামী অধিবেশনে অর্ডিন্যান্স জারি হবে।

    সুকান্ত বলেন, রাজ্যপাল জানিয়েছেন দুর্নীতির সঙ্গে জিরো টলারেন্স নীতি তাঁর। পাশাপাশি বলেছেন, রাজনীতিতে হিংসার কোনও জায়গা নেই। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় হিংসার ঘটনা ঘটেছে। এই সব ব্যাপারেই ওঁর সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। সুকান্ত (Sukanta Majumder) জানান, রাজ্যপালের ভূমিকায় তিনি খুশি। তাঁর কথায়, এই যে লোকায়ুক্তের কথা বললাম, আমাদের রাজ্যপাল যে সেটা অসাংবিধানিক বলে রাজ্যকে জানিয়ে দিয়েছেন তা সংবাদমাধ্যমের সামনে আনেননি তিনি। সুকান্ত বলেন, আগামী দু এক দিনে আরও অনেক কিছু দেখতে পাবেন।

    আরও পড়ুুন: ‘মাটির নীচে টাকা রাখলেও, তা খুঁড়ে বের করব’, আলিপুরদুয়ারে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • Coal Scam: বালিগঞ্জে টাকা উদ্ধার কাণ্ডে তলব ধাবা মালিক মনজিৎকে, বুধবার দিল্লিতে হাজিরার নির্দেশ ইডির

    Coal Scam: বালিগঞ্জে টাকা উদ্ধার কাণ্ডে তলব ধাবা মালিক মনজিৎকে, বুধবার দিল্লিতে হাজিরার নির্দেশ ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা পাচারকাণ্ডের তদন্তে নেমে বালিগঞ্জে এক বেসরকারি সংস্থা গজরাজ গ্রুপের অফিসে রাতভর তল্লাশি চালিয়ে ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এই টাকা উদ্ধারের ঘটনায় দক্ষিণ কলকাতার এক ধাবা মালিক মনজিৎ সিংহ গ্রেওয়ালকে এবারে তলব করল ইডি। আগামী বুধবার ১৫ ফেব্রুয়ারি তাঁকে দিল্লির ইডির সদর দফতরে গিয়ে হাজিরা দিতে হবে। সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে বেশ কিছু নথিপত্র। ইডি মনে করছে, কয়লা পাচারের সঙ্গে তিনি জড়িয়ে আছেন এবং ওই টাকার সঙ্গেও যোগসূত্র আছে। ফলে তাঁকে তলব করল ইডি।

    মনজিৎ সিং ওরফে জিট্টা ভাইয়ের সঙ্গে কয়লা পাচারের যোগসূত্র!

    বালিগঞ্জের টাকা উদ্ধারের ক্ষেত্রে ইডি এক চাঞ্চল্যকর দাবি করেছিল। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ কলকাতার ধাবার মালিক মনজিৎ সিংহ গ্রেওয়াল ওরফে জিট্টা ভাই কয়লা পাচারের সঙ্গে জড়িত। অভিযোগ, তাঁর মাধ্যমেই কয়লা পাচারের টাকা সরানোর চেষ্টা করতেন কোনও এক ‘প্রভাবশালী’ রাজনীতিক। সেই মত পাতা হয়েছিল ‘ফাঁদ’। তদন্তের সূত্রে উঠে এসেছে মনজিতের নাম। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আরও দাবি, এক মন্ত্রীর ‘বেআইনি’ টাকাও ‘হ্যান্ডেল’ করতেন জিট্টা ভাই।

    আরও পড়ুন: কয়লা পাচারের অর্থে ‘প্রপার্টি-ডিল’! ১.৪ কোটি ছিল ‘পার্ট-পেমেন্ট’! বাকি টাকার খোঁজে ইডি

    ইডির তরফে আরও দাবি করা হয়েছিল, শরৎ বোস রোডে অবস্থিত সালসার গেস্ট হাউজ কেনার ক্ষেত্রে কয়লাপাচারের কালো টাকা ব্যবহার করা হয়েছে। গেস্ট হাউজের বাজারমূল্য ১২ কোটি টাকা হলেও নথিতে ৩ কোটি দেখিয়ে বাকি ৯ কোটি টাকা নগদে লেনদেন করা হয়েছে। আর এ ভাবে আসলে কালো টাকা সাদা করা হচ্ছিল। উদ্ধার হওয়া ১ কোটি ৪০ লাখ টাকাও সেই অর্থের অংশ বলে দাবি করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এই গোটা লেনদেন প্রক্রিয়ার সঙ্গে গজরাজ গ্রুপের কর্ণধার বিক্রম সাকারিয়াও জড়িত ছিলেন বলে দাবি ইডির। ওই সংস্থার মালিক বিক্রম সাকারিয়াকেও ইতিমধ্যে দিল্লিতে তলব করা হয়েছে।

    ইডির তলব

    কয়লা পাচারের সঙ্গে মনজিতের যোগসূত্র রয়েছে বলেই ইডি তাঁকে তলব করল। সম্পত্তি, গত ৫ বছরের আয়কর রিটার্ন, ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট, আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত সমস্ত নথি ১৫ ফেব্রুয়ারি আনতে বলা হয়েছে তাঁকে। ব্যবসায়ী মনজিৎ সিং গ্রেওয়াল কোথায় কোথায় বিনিয়োগ করেছিলেন, তাঁর আত্মীয়দের নামে কী কী কেনা হয়েছে, সেই সংক্রান্ত গত ১০ বছরের নথিও আনতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইডি।

  • Rail Roko Abhiyan: আদিবাসী সংগঠনের ডাকে রেল-রাস্তা রোকো অভিযান, ভোগান্তিতে যাত্রীরা

    Rail Roko Abhiyan: আদিবাসী সংগঠনের ডাকে রেল-রাস্তা রোকো অভিযান, ভোগান্তিতে যাত্রীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদিবাসী সংগঠনের (Rail Roko Abhiyan) অবরোধের রাজ্যের ৩ জেলায় ব্যহত যান চলাচল। শনিবার দক্ষিণ-পূর্ব রেলের খড়্গপুর-টাটানগর শাখায় খেমাশুলি স্টেশনে ট্রেন অবরোধ করে আদিবাসীদের সামাজিক সংগঠন  ‘আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযান’। মালদা এবং পুরুলিয়া জেলাতেও চলছে আন্দোলন। আদিনা রেল স্টেশনে শুরু হয়েছে ‘রেল রোকো’ আন্দোলন। আটকে পড়েছে লোকাল, এমনকি দূরপাল্লার ট্রেনও। ভোগান্তিতে যাত্রীরা। 

    সারনা ধর্মের কোড (Rail Roko Abhiyan) চালু-সহ একাধিক দাবিতে পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, বিহার, ঝাড়খণ্ড, আসাম-সহ মোট পাঁচ রাজ্যে অনির্দিষ্টকাল বনধের ডাক দিয়েছে আদিবাসী সংগঠন। শনিবার সকাল থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরের খেমাশুলির কাছে রেলপথ অবরোধ করে আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযান। ট্রেনের পাশাপাশি, কলকাতা-মুম্বাই ৬ নম্বর জাতীয় সড়কেও অবরোধ চলছে। রেলের খড়্গপুর ডিভিশনে ইতিমধ্যেই  টাটানগর স্টিল এক্সপ্রেস, টাটানগর প্যাসেঞ্জার, খড়্গপুর প্যাসেঞ্জার, টিটলাগড় ইস্পাত এক্সপ্রেস-সহ একাধিক ট্রেন বাতিল করেছে।

    অবরোধ বিভিন্ন জেলায়    

    মালদহে রেল অবরোধের কারণে সামসি স্টেশনে দাঁড়িয়ে আছে শতাব্দী এক্সপ্রেস (Rail Roko Abhiyan)। কুমারগ্রাম স্টেশনে দাঁড়িয়ে আছে কুলিক এক্সপ্রেস। একলাখি স্টেশনে দাঁড়িয়ে আছে তেভাগা এক্সপ্রেস। মালদা স্টেশনে দাঁড়িয়ে আছে গৌড় এক্সপ্রেস।

    অন্যদিকে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে শিলিগুড়ি (Rail Roko Abhiyan) মোড়েও পথ অবরোধ চলছে। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ও রায়গঞ্জ বালুরঘাট ১০/এ রাজ্য সড়ক অবরোধ করে সংগঠনের কর্মী সমর্থকরা। সেখান থেকে পরেশনাথ পাহাড় আদিবাসীদের হাতে ফিরিয়ে দেওয়ারও দাবি তোলা হয়। দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরে জাতীয় সড়কও অবরোধ হয় এদিন। জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ হওয়ায় বিপাকে পড়তে হয় যাত্রীদের। তবে রাজ্যজুড়ে শনিবার এই কর্মসূচি যে পালন করা হবে তা আগেই জানিয়েছিল আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযান। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতিও স্বাভাবিক হতে শুরু করে।

    আরও পড়ুন: তাপমাত্রার ওঠানামা জারি রাজ্যজুড়ে, রয়েছে বৃষ্টির পূর্বাভাস

    এক নিত্যযাত্রীর কথায়, “আমি আদিনা থেকে ট্রেনে উঠে কর্মস্থলে যাব ভেবেছিলাম। কিন্তু, সাতটা নাগাদ স্টেশনে এসে দেখি বিক্ষোভ কর্মসূচি চলছে। শুধু রেল পথ নয় শুনেছি রাস্তাও ঘেরাও করা হবে। কীভাবে গন্তব্যে পৌঁছব বুঝে উঠতে পারছি না।” উদ্বেগের একই স্বর শোনা গেল অন্যান্য যাত্রীদের কণ্ঠেও।

    প্রসঙ্গত, সারনা ধর্মের কোড চালু করার দাবিতে ২০২১ সালে খেমাশুলিতে (Rail Roko Abhiyan) রেল অবরোধ করে এই সংগঠন। গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে একাধিক কুড়মি সংগঠন খেমাশুলিতে রেল অবরোধ করেছিল। এর ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছিল সাধারণ মানুষকে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     

     

      

     

  • Suvendu Adhikari: ‘মাটির নীচে টাকা রাখলেও, তা খুঁড়ে বের করব’, আলিপুরদুয়ারে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘মাটির নীচে টাকা রাখলেও, তা খুঁড়ে বের করব’, আলিপুরদুয়ারে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাটির নীচে টাকা রাখলেও, তা খুঁড়ে বের করব। শুক্রবার আলিপুরদুয়ারের এক জনসভায় এ কথা বলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এদিন বিএম ক্লাব থেকে প্রতিবাদ মিছিল বের করে বিজেপি। এই মিছিলে যোগ দেন শুভেন্দু। আলিপুরদুয়ার শহরে রেলের ফ্লাইওভারের পাশে রেলের মাঠে হয় প্রতিবাদ সভা। সেখানেই রাজ্য সরকারের পাশাপাশি আলিপুরদুয়ারের দলবদলু বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলালকেও একহাত নেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, একটি বোলেরো গাড়ি আর কিছু টাকার জন্য আপনি দল বদল করেছেন। ওই টাকা আপনি রাখতে পারবেন না। মাটির নীচে টাকা রাখলেও, তা খুঁড়ে বার করব।

    শুভেন্দু উবাচ…

    বিজেপি রাজ্য ভাগের পক্ষে বলে প্রচার করছে তৃণমূল। এদিন তারও উত্তর দিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক (Suvendu Adhikari)। শুভেন্দু বলেন, ভারতীয় জনতা পার্টি কোনও দিন রাজ্য ভাগের কথা বলেনি। কেউ যদি এই বিষয়ে কিছু বলে থাকেন, তাহলে তা তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়। কিন্তু উত্তরবঙ্গ বঞ্চিত। এটা আমরা বারবার বলেছি।

    বিজেপির এই প্রতিবাদ সভায় জেলাশাসকদেরও একহাত নিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার হাইওয়ে তৈরির জন্য জমি অধিগ্রহণের জন্য টাকা দিচ্ছে। আর সেই টাকার সুদ জেলাশাসকরা মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরের মোচ্ছবে খরচ করছেন। শুভেন্দু বলেন, আমি এই মঞ্চ থেকে জেলাশাসকদের হুঁশিয়ারি দিয়ে যাচ্ছি, এভাবে আপনারা এই টাকা খরচ করতে পারেন না।

    আরও পড়ুুন: বীরভূমে জাল স্লিপ দিয়ে তোলা হচ্ছে কোটি কোটি টাকা, সিবিআই তদন্তের দাবি

    আলিপুরদুয়ারের বিধায়কের দল বদলে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার নেপথ্যে জেলাশাসক সুরেন্দ্র কুমার মিনার হাত রয়েছে বলেও মনে করেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, সুরেন্দ্র কুমার মিনা তৃণমূলের আসল জেলা সভাপতি। সুমন কাঞ্জিলালের সঙ্গে গত এক মাসে কতবার মিটিং করেছেন, তার সিসিটিভি ফুটেজ আমার কাছে আছে। সুমনের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে গত এক মাসে এসপি আর ডিএম কী কী করেছে, সব তথ্য নিয়ে আমি কথা বলছি। নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, তিনি (সুরেন্দ্র কুমার মিনা) কত পাথর, কত বালি তুলেছে, কত চন্দন কাঠ পাচার করেছেন, তার সব হিসেব আমাদের কাছে আছে। সুষ্ঠুভাবে পঞ্চায়েত ভোটের লক্ষ্যে দলীয় কর্মীদের জেলাশাসককে ঘেরাও করার নির্দেশও দেন এই বিজেপি নেতা। তিনি বলেন, ডিএম অফিস ঘেরাও করতে হবে। আমি নেতৃত্ব দেব। সুরেন্দ্র মিনাকে ২৪ ঘণ্টা আটকে রাখলে তৃণমূলের ক্ষমতা অপব্যবহার করে গণতন্ত্র ধ্বংস করার কাজ অচিরেই বন্ধ হবে এবং পঞ্চায়েত ভোট গ্রামের মানুষের ভোট হবে। নিজের ভোট নিজেরাই দিতে পারবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • Weather Forecast: তাপমাত্রার ওঠানামা জারি রাজ্যজুড়ে, রয়েছে বৃষ্টির পূর্বাভাস

    Weather Forecast: তাপমাত্রার ওঠানামা জারি রাজ্যজুড়ে, রয়েছে বৃষ্টির পূর্বাভাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবহাওয়ায় ওঠানামা জারি। পারদের ওঠানামা অব্যহত (Weather Forecast)। তাই কখনও কম্বল চাপাতে হচ্ছে তো, কখনও ফ্যান চালাতে হচ্ছে। গতকাল যেমন এক ধাক্কায় ৪ ডিগ্রি নেমে গিয়েছিল পারদ, তেমনই আজ তা ফের বেড়ে প্রায় ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এবার যে পাকাপাকি বিদায় নিচ্ছে শীত, তা প্রায় স্পষ্ট করে দিয়েছেন আবহবিদরা। তবে শীতের এই বিদায় লগ্নে একধিক জেলায় রয়েছে বৃষ্টির সম্ভাবনা।     

    এবার গোটা রাজ্যেই জমিয়ে পড়েছিল ঠাণ্ডা। বহু বছর পর এবার শীতের আমেজে মন ভরেছে কলকাতাবাসীরও (Weather Forecast)। এবার বিদায়ের পালা। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, কলকাতা শহরে আপাতত আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাপমাত্রার পারদের ওঠানামা চলতে থাকবে। তবে ১৫ ফেব্রুয়ারির পর থেকে এবছরের মতো পাকাপাকিভাবে বিদায়ের পথ ধরে নেবে শীত।

    শনিবার কলকাতায় দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে দুই ডিগ্রি বেশি। বুধবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ থাকবে ৩৩ থেকে ৯৪ শতাংশের মধ্যে।

    ঘন কুয়াশার সতর্কতা জারি করা হয়েছে কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ার জেলায়। উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই হাল্কা থেকে মাঝারি কুয়াশার সম্ভাবনা রয়েছে (Weather Forecast)। দার্জিলিং এবং কালিম্পঙে অল্প বৃষ্টির সম্ভাবনা। যদিও রাজ্যের অন্যান্য এলাকা শুকনোই থাকবে। আগামী কয়েক দিন শুষ্ক আবহাওয়াই থাকবে রাজ্যজুড়ে। বিক্ষিপ্তভাবে কুয়াশা থাকবে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলাতেও। উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, কলকাতা এবং নদিয়া এবং মুর্শিদাবাদ জেলাতে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশার সম্ভাবনা আগামী ৪৮ ঘণ্টায়। ভোররাতে এবং সকালের দিকে কুয়াশা থাকলেও পরে পরিষ্কার আকাশ দেখা যাবে গোটা দক্ষিণবঙ্গেই। শনিবার এবং রবিবার আবারও বাড়বে তাপমাত্রা। সোম এবং মঙ্গলবার তাপমাত্রা ফের নিম্নমুখী হবে বাংলায়। মঙ্গলবার ১৪ ফেব্রুয়ারি বেশ কিছুটা নীচে নামতে পারে পারদ।

    আরও পড়ুন: জিট্টি ভাইয়ের সঙ্গে রয়েছে মমতার ভাতৃবধূ কাজরীর যৌথ সম্পত্তি! মিলল হদিশ

    মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়েছে, পাকিস্তান থেকে রাজস্থান পর্যন্ত একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে (Weather Forecast)। উত্তর পশ্চিম ভারতে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে আবহাওয়ায় বেশ কিছু পরিবর্তন লক্ষণীয়। এই মুহূর্তে সক্রিয় পশ্চিমী ঝঞ্ঝা অবস্থান করছে উত্তর পশ্চিম ভারতের পার্বত্য এলাকায়। আগামী ২৪ ঘণ্টায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে কাশ্মীর ভ্যালি, জম্মু কাশ্মীর, লাদাখ, হিমাচলপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডের বিভিন্ন এলাকায়। পঞ্জাব, চন্ডীগড় এবং হরিয়ানার কিছু অংশেও বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টি হবে। আসাম এবং মেঘালয়ে শনি ও রবিবার ঘন কুয়াশার দাপট দেখা যাবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share