Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Kolkata Weather: এই শীত, এই গরম! আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় বাড়ছে এই ভয়ঙ্কর ব্যাকটেরিয়া

    Kolkata Weather: এই শীত, এই গরম! আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় বাড়ছে এই ভয়ঙ্কর ব্যাকটেরিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শহর থেকে প্রায় বিদায় নিচ্ছে শীত। খামখেয়ালি আবহাওয়ায় ভুগতে হচ্ছে আট থেকে আশি সকলকেই। এই শীত, তো এই গরম। দুপুরের থেকে রাতে তাপমাত্রা চার-পাঁচ ডিগ্রি কমে যাচ্ছে। ঋতু বদলের এই সময়টাতে এমনতিও সর্দি-কাশি-জ্বর (Viral Fever), নানা সংক্রমণজনিত রোগের বাড়াবাড়ি হয়। এবছর তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে বিপজ্জনক ব্যাকটেরিয়া, স্ট্রেপটোকক্কাস নিমোনিয়াই-এর (Streptococcus Pneumoniae) সংক্রমণ। এই ব্যাকটেরিয়া জনিত নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত অনেককেই ভর্তি করতে হচ্ছে হাসপাতালে। এর থেকে রেহাই পেতে মাস্ক ব্যবহার ও পর্যাপ্ত পরিমাণ জল পান করার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।

    ভাইরাসের প্রভাব

    আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আাগামী কয়েকদিন আকাশ পরিষ্কার থাকবে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩২ ও ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। এদিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ৪ ডিগ্রি বেশি। এদিন আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল সর্বোচ্চ ৯৩ শতাংশ। আগামী চার পাঁচ দিন আবহাওয়ার এই ওঠা নামা চলবে। এরপর ধীরে ধীরে তাপমাত্রা বাড়তে থাকবে। তাপমাত্রার এই হের ফেরে ঘরে ঘরে ভাইরাল জ্বর লেগে রয়েছে। একবার অসুস্থ হলে ৭-১০ দিনের আগে দুর্বলতা কাটছে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু করোনা নয়, অন্তত ১২ ধরনের ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়া শহরজুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। 

    আরও পড়ুন: রবিবার মেয়েদের টি-২০ বিশ্বকাপে মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তান, কখন ও কোথায় দেখবেন ম্যাচ?

    ব্যাকটেরিয়ার দাপট

    জাল ছড়াচ্ছে বিপজ্জনক ব্যাকটেরিয়া, স্ট্রেপটোকক্কাস নিমোনিয়াও। চিকিৎসকরা বলছেন, কলকাতায় যাঁরা জ্বর, সর্দি, কাশি, কিম্বা নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন, তাঁদের অধিকাংশেরই অসুখের পিছনে রয়েছে এই বিশেষধরণের ব্যাকটেরিয়া।  ব্যাকটেরিয়া জনিত কারণে হচ্ছে জ্বর।  বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মূলত, ড্রপলেট, হাঁচি, কাশির মাধ্যমেই একজনের শরীর থেকে আরেকজনের শরীরে ঢুকে যাচ্ছে এই ব্যাকটেরিয়া। সাধারণ অ্যান্টিবায়োটিকে সামাল দেওয়া যাচ্ছে না এই রোগকে। তাই, বাড়তি সতর্ক থাকতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। বাড়ির কেউ আক্রান্ত হলে, তাঁকে একটি ঘরে আইসোলেশনে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউগুলিতে অন্তত ২০ জন এই বিশেষপ্রকার ব্যাকটেরিয়া জনিত নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: মনজিৎ সিং গ্রেওয়ালের তৃণমূল যোগ নিয়ে বিস্ফোরক শুভেন্দু, কী লিখলেন ট্যুইটে?

    Suvendu Adhikari: মনজিৎ সিং গ্রেওয়ালের তৃণমূল যোগ নিয়ে বিস্ফোরক শুভেন্দু, কী লিখলেন ট্যুইটে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মনজিৎ সিং গ্রেওয়ালের সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক নিয়ে এবার বিস্ফোরক ট্যুইট করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ট্যুইটে বেশ কয়েকটি সম্পত্তি হস্তান্তরের দাবি করেছেন তিনি।

    সম্প্রতি বালিগঞ্জ থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে (Suvendu Adhikari)। ঘটনায় কয়লা পাচার-যোগের প্রমাণ মিলেছে। এই মামলায় দুই ব্যবসায়ীর নাম উঠে এসেছে। তাঁদের মধ্যে একজন গজরাজ গ্রুপের কর্ণধার বিক্রম সাকারিয়া। ইতিমধ্যেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। আগামী বুধবার, নথি-সহ দিল্লির সদর দফতরে ডেকে পাঠানো হয়েছে মনজিৎ সিং গ্রেওয়ালকে। তিনি  একটি গেস্ট হাউসের মালিক ও ধাবা ব্যবসায়ী। এই মনজিৎ সিং গ্রেওয়ালের সঙ্গেই তৃণমূল-যোগ নিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন শুভেন্দু। মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে মনজিৎ সিং গ্রেওয়ালের ছবি আগেই প্রকাশ করেছিলেন তিনি। এবার ট্যুইটারে আরও একটি ছবি প্রকাশ করেছেন বিরোধী দলনেতা। তাতে বেশ কিছু নাম, দলিল ও জমি হস্তান্তরের দাবি করে লেখা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়কে চ্যালেঞ্জ! ডিভিশন বেঞ্চে চাকরি হারানো গ্রুপ ডি কর্মীরা        
     
    উল্লেখ্য, ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডে, হরিশ মুখার্জি রোডের ২০৪ নম্বর প্লটে যে সম্পত্তি কেনা হয়েছে, তার প্রস্তাবিত মূল্য ১ কোটি ৮৯ লক্ষ ৩০ হাজার ১ টাকা। ডিড নম্বর ০৭০৭৭/২০১০। বিক্রেতার নাম মায়া সেন, ইন্দ্রজিৎ সেন এবং শুভ্রা মিত্র। ক্রেতা কাজরী ব্যানার্জি এবং মনজিৎ সিং। দ্বিতীয় সম্পত্তির ঠিকানা, ১৩৫-এ, হরিশ মুখার্জি রোড। প্রস্তাবিত মূল্য ১৯ লক্ষ ৬০ হাজার ৩ টাকা। ডিড নম্বর ০৫২২৪/২০১৬। বিক্রেতার নাম তন্ময় সরকার। ক্রেতা কাজরী ব্যানার্জি এবং দলজিৎ কউর। ১৭ টার্ফ রোডে, তৃতীয় সম্পত্তির প্রস্তাবিত মূল্য ১৫ লক্ষ ৫৯ হাজার ৮২৫ টাকা। ডিড নম্বর, ০৫৫৪৫/২০১৭। বিক্রেতা মহম্মদ রফি খোন্দকার অলিউল ইসলাম। ক্রেতা কাজরী ব্যানার্জি, মনজিৎ সিং এবং অমরজিৎ সিং।

    বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) ট্যুইটে লেখেন, ‘সিজারের স্ত্রীকে সন্দেহের ঊর্ধ্বে রাখতেই হবে, কিন্তু তার সঙ্গে কার্তিক-জায়াকেও রেহাই দিতে হবে। শুধুমাত্র তিনি সম্রাজ্ঞীর আত্মীয় বা তোলামূল কাউন্সিলর বলে? “কে জানি না” থেকে শুরু করে ”হিন্দি সেলের নেতা”, তারপর ”শুধুই পরিচিত” থেকে ”পুরনো বন্ধু” আর এখন ”ব্যবসায়িক সঙ্গী” থেকে ”অপরাধের সঙ্গী”?’

    আরও একটি ট্যুইটে তিনি লেখেন, “কালীঘাটের কাকু, পিসি, ভাইপো, কাকিমা, বউমা, শ্যালিকা – সবাই একই ধাঁধার অংশ। পৃথকভাবে কেউ দোষী নন, অথচ সবাই একসূত্রে গাঁথা। কয়লা যতোই ধোঁয়া হোক, তা কালোই থাকবে। ঠিক তোমাদের ভবিষ্যতের মতো।”

     

    রহস্যময়ীর খোঁজে ইডি 

    এদিকে বালিগঞ্জ কাণ্ডে যুক্ত এক প্রভাবশালী (Suvendu Adhikari) এক মহিলাকে খুঁজছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। টাকা উদ্ধারের সঙ্গে এক মহিলার জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে ইডি। জানা গিয়েছে, এই মহিলার সঙ্গে আমলাদের ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। এই রহস্যময়ীর খোঁজ পেলেই তদন্ত অনেকটা এগিয়ে যাবে বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। তদন্তকারীদের দাবি, শরৎ বোস রোডের গেস্ট হাউস বিক্রির ‘ডিল’ করার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল ওই মহিলার। এমনকী অনেকের কালো টাকা সাদা করতে সাহায্য করেছেন তিনি। এখন সেই মহিলাকেই হন্যে হয়ে খুঁজছে ইডি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     
     
  • West Bengal Weather: শহরে পারদের ওঠা-নামা জারি, একধাক্কায় তাপমাত্রা কমল ৫ ডিগ্রি

    West Bengal Weather: শহরে পারদের ওঠা-নামা জারি, একধাক্কায় তাপমাত্রা কমল ৫ ডিগ্রি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কখনও শীত, কখনও আবার গরম। পারদের ওঠা-নামা জারি। কখনও তাপমাত্রা চার ডিগ্রি বেড়ে যাচ্ছে তো, কখনও আবার ২ ডিগ্রি কমছে। যেমনটা হল গতকাল ও আজ। মাঘের শেষে আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা চলছে। আজ প্রায় পাঁচ ডিগ্রি নামল কলকাতার তাপমাত্রা। রাজ্য জুড়েই রাতের তাপমাত্রা বেশ কিছুটা কমল। আগামী ২৪ ঘন্টায় আরও কিছুটা কমবে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। বুধবার পর্যন্ত এমন পরিস্থিতি রাজ্যজুড়ে বজায় থাকবে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, মাঘ বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গে শীতও খুব শীঘ্রই বিদায় নিতে চলেছে।

    কলকাতার আবহাওয়া

    আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, এদিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি কম। গতকালই ছিল ২২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফলে একধাক্কায় পাঁচ ডিগ্রি কমে রাতের তাপমাত্রা এখন ১৭ ডিগ্রি। সকাল ও সন্ধ্যায় শীতের আমেজ বজায় থাকবে। আগামী বুধবার পর্যন্ত পারদ পতন হবে ও বৃহস্পতিবার থেকে তাপমাত্রা বাড়বে। আগামী দু-তিন দিন তাপমাত্রা থাকবে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর মধ্যে। আকাশ পরিষ্কার থাকবে। বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই।

    উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া

    উত্তরবঙ্গে কুয়াশার দাপট বজায় থাকবে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২৪ ঘন্টা অর্থাৎ ১৪ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকালের মধ্যে দার্জিলিং-এর কোনও কোনও জায়গায় হাল্কা বৃষ্টি হতে পারে। বাকি সব জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকবে। পরবর্তী ২৪ ঘন্টা অর্থাৎ ১৫ ফেব্রুয়ারি বুধবার সকালের মধ্যে সবকটি জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকবে। উত্তরবঙ্গেও সকালে ন্যূনতম তাপমাত্রা অনেকটাই কমেছে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, এই আবহাওয়া আগামী দুদিন বজায় থাকতে চলেছে। বুধবার থেকে তাপমাত্রা ফের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনা। তবে বুধবারের মধ্যে হিমালয় সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে হাল্কা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকতে পারে বলে পূর্বাভাসে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

    দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া

    ১৫ ফেব্রুয়ারি বুধবার সকালের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের সবকটি জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকবে। উত্তরবঙ্গের মতই দক্ষিণবঙ্গে এদিন সকালে ন্যূনতম তাপমাত্রা অনেকটাই কমেছে। পারদ পতনের পরিমাণ উত্তরবঙ্গের তুলনায় বেশি। তার মধ্যে পশ্চিমের জেলাগুলিতে আরও বেশি। বুধবার সকাল পর্যন্ত এই ধরণের আবহাওয়া বজায় থাকলেও, তাপমাত্রা ফের ঊর্ধ্বমুখী হবে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা।

    অন্যদিকে, মঙ্গলবার নতুন করে পশ্চিমি ঝঞ্ঝা ঢুকবে উত্তর-পশ্চিম ভারতের পার্বত্য এলাকায়। উত্তর-পশ্চিম ভারতে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাব থাকবে। আগামী ২৪ ঘন্টায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি এবং তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে কাশ্মীর ভ্যালি, জম্মু কাশ্মীর, লাদাখ, হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডের বিভিন্ন এলাকায়। পাঞ্জাব, চন্ডিগড় এবং হরিয়ানার কিছু অংশে হালকা বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা রয়েছে।

  • CV Ananda Bose: প্রধান সচিব নন্দিনী চক্রবর্তীকে সরালেন রাজ্যপাল, কেন এমন সিদ্ধান্ত?

    CV Ananda Bose: প্রধান সচিব নন্দিনী চক্রবর্তীকে সরালেন রাজ্যপাল, কেন এমন সিদ্ধান্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে রাজভবন অব্যাহতি দিল নন্দিনী চক্রবর্তীকে। রাজভবনের ইচ্ছায় সরানো হল রাজ্যপালের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিকে। রবিবার বেশি রাতে রাজভবন সূত্রে জানা গিয়েছিল, তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে। শেষমেশ সেটাই হল। কেন এমন ঘটনা? অভিযোগ আনন্দ রাজভবনে আসার পর থেকেই তাঁর সঙ্গে শাসক তৃণমূলের ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। আর এই ঘনিষ্ঠতার পিছনে নন্দিনীর ভূমিকা রয়েছে বলে দাবি শুভেন্দুর। এর পরেই গতকাল রাতে রাজভবনের থেকে এই খবর সামনে এল। শোনা যাচ্ছে নন্দিনীর বদলে নতুন কাউকে প্রধান সচিব হিসেবে সরকারের কাছ থেকে চাওয়া হবে। এমনটাও শোনা যাচ্ছে রাজ্যপাল তার নিজের পছন্দমত টিম নতুন করে তৈরি করতে চাইছেন। রাজভবন সূত্রে খবর আজ, সোমবার দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকও হতে পারে আনন্দের।

    কেন এমন ঘটল?

    বিভিন্ন সূত্রের খবর, রাজ্য বিজেপি এই অফিসারের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছে। তাঁদের বক্তব্য নন্দিনী চক্রবর্তী সরাসরি রাজ্য সরকারের হয়ে রাজভবনকে পরিচালিত করছেন। এমন অফিসারকে দিয়ে রাজভবন পরিচালিত হলে রাজ্যপালের নিরপেক্ষতা নিয়েই প্রশ্ন উঠবে। ফলে গতকাল রাতেই প্রধান সচিবের পদ থেকে সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: সকাল সকাল ভূমিকম্প সিকিমে! কম্পনের মাত্রা ৪.৩

    রাজ্যপালের নিরপেক্ষতা নিয়ে সরব হয় রাজ্য বিজেপি। গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, এই বিষয়ে খোঁজ নেয় দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও। রাজ্যপালের শপথ, সরস্বতী পুজোর দিনে ‘হাতেখড়ি’, সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের অনুষ্ঠান থেকে বিধানসভায় বাজেট অধিবেশনে ভাষণ— এ সবই নিয়ে নানা অভিযোগ তোলে বিজেপি। মূলত সরব হন শুভেন্দু। প্রথম দিকে বিষয়টা নিয়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব চুপ থাকলেও পরে শুভেন্দুর অভিযোগকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়। শনিবার বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে বৈঠকও করেন। এর পরে শনিবার সন্ধ্যাতেই রাজভবনের পক্ষে রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে এবং রাজ্যপালের পরবর্তী ভূমিকা নিয়ে কড়া বিবৃতি দেওয়া হয়। তখন থেকেই বোঝা যাচ্ছিল রাজ্যপাল পথ বদলাচ্ছেন। এর পরেই গতকাল এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে সূত্রের খবর।

    রাজভবন সূত্রে খবর, আজ, সোমবার নয়াদিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে সিভি আনন্দ বোসের। ঠিক তার আগের রাতেই নন্দিনীকে সরিয়ে দিতে রাজ্যপাল নবান্নকে জানিয়ে দেন। যদিও এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত সরকারিভাবে রাজভবন বা নবান্নের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।

  • Madhyamik Examination: মাধ্যমিকে কমল পরীক্ষার্থীর সংখ্যা, কেন জানেন?

    Madhyamik Examination: মাধ্যমিকে কমল পরীক্ষার্থীর সংখ্যা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা (Madhyamik Examination) দিয়েছিল প্রায় ১১ লক্ষ ছেলেমেয়ে (Student)। এবার সেটাই কমে গিয়েছে প্রায় ৪ লক্ষ। বোর্ড প্রেসিডেন্ট রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ড্রপ (Drop) নথিভুক্ত করা হয়েছে। পর্ষদের এক কর্তা বলেন, ড্রপ আউট বা স্কুলছুট কেউ হয়নি। এ বার অনেক ছাত্রছাত্রী যে টেস্টে উত্তীর্ণ হতে পারেনি, সেটাও মনে রাখতে হবে। যদিও কয়েকটি শিক্ষক সংগঠনের অভিযোগ, এই ছাত্রছাত্রীদের অধিকাংশই ড্রপ আউট।

    মাধ্যমিক পরীক্ষা…

    মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল ১০ লক্ষ ৯৮ হাজার ৭৭৫ জন। এবার সেই সংখ্যাটাই কমে দাঁড়িয়েছে ৬ লক্ষ ৯৮ হাজার ৬২৮ জন। পর্ষদের ব্যাখ্যা, ২০১৭ সালে ষষ্ঠ শ্রেণিতে বয়সের কারণে অনেকে ভর্তি হতে না পারায় এবং করোনাকালে শ্রেণিকক্ষের শিক্ষার অভাবে প্রস্তুতি ঠিকমতো না হওয়ায় কমেছে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা।

    অন্যরকম ব্যাখ্যা দিচ্ছেন অ্যাডভান্স সোসাইটি ফর হেডমাস্টার্স অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক চন্দন মাইতি। তিনি বলেন, নাম নথিভুক্ত করেও যে ছাত্রছাত্রীরা মাধ্যমিক (Madhyamik Examination) দিচ্ছে না, তাদের অধিকাংশই স্কুলছুট। করোনার প্রকোপে গ্রামের বহু ছেলেমেয়ের পরিবারের আর্থিক অবস্থা খারাপ হয়েছে। অনেকে কাজে চলে গিয়েছে। তিনি বলেন, নানা প্রকল্প চললেও, বহু স্কুলে লেখাপড়ার পরিকাঠামোই নেই। স্কুল পরিকাঠামোর উন্নয়নে অর্থ বরাদ্দ হচ্ছে না। দেওয়াল চাপা পড়ে পড়ুয়াদের মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে।

    আরও পড়ুুন: মমতার এই অপশাসনকে আলবিদা জানাতে তৈরি বাংলা…

    সরকার শিক্ষক নিয়োগে জোর না দেওয়ায় সমস্যা হয়েছে বলেও মনে করেন কেউ কেউ। মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির নেতা অনিমেষ হালদার বলেন, সরকার বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা দিতেই ব্যস্ত। তার চেয়ে শিক্ষক নিয়োগের ওপর জোর দিলে ভাল হত। তিনি বলেন, এবার মাধ্যমিকে (Madhyamik Examination) ছেলেদের তুলনায় মেয়ে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা যে বেশি, তার অন্যতম প্রধান কারণ কন্যাশ্রী প্রকল্প। ওই প্রকল্পের সুবিধা পেতে অনেক মেয়ে ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে।

    মাধ্যমিকে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কেন কমল, তা জানতে স্কুল শিক্ষা দফতর সমীক্ষা করবে বলে শুক্রবার জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি বলেন, নবম শ্রেণিতে নাম নথিভুক্তির পরেও কেন বহু পড়ুয়া মাধ্যমিকে বসার ফর্ম পূরণ করল না, তার কারণ জানতেই সমীক্ষা হবে। কোনও সরকারি সংস্থাকে দিয়েই সমীক্ষা করানো হবে বলেও জানান তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Coochbehar: কোচবিহার আদালতের মালখানা থেকে উদ্ধার হ্যান্ড গ্রেনেড, নিষ্ক্রিয় করল সেনা জওয়ানরা

    Coochbehar: কোচবিহার আদালতের মালখানা থেকে উদ্ধার হ্যান্ড গ্রেনেড, নিষ্ক্রিয় করল সেনা জওয়ানরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গাঁজার প্যাকেট থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল হ্যান্ড গ্রেনেড। রবিবার সকালে কোচবিহার আদালতের মালখানার ভেতরে থাকা সেই হ্যান্ড গ্রেনেডই নিষ্ক্রিয় করল ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিশেষজ্ঞ আধিকারিকরা। এদিন সকালে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে সেনাবাহিনীর ৬ থেকে ৭জনের সদস্যের একটি দল আদালত চত্বরে এসে হ্যান্ড গ্রেনেডটিকে নিষ্ক্রিয় করেন বলে জানা গেছে। গ্রেনেড নিষ্ক্রিয় করার সময় সাগরদিঘি চত্বরকে কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়। সেখানে এক দিকে যেমন পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন তেমনি দমকল বাহিনীও মোতায়েন করা হয় সেখানে।

    কী ঘটেছিল?

    পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দিন তিনেক আগে আদালতের মালখানা পরিষ্কার করতে গিয়ে ওই গ্রেনেডটি লক্ষ্য করেন সেখানে থাকা দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকরা। বিষয়টি সম্পর্কে জানানো হয় কোচবিহার জেলা পুলিশের কাছে। এরপর রাজ্য পুলিশের বোম স্কোয়াডের একটি দল পরবর্তীতে ওই গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করতে এলে তারা গোটা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে জানান, তাঁরা নিষ্ক্রিয় করতে পারবেন না। পরে কোচবিহার পুলিশের তরফ থেকে খবর দেওয়া হয় ভারতীয় সেনাবাহিনীকে।

    আরও পড়ুন: রাজ্য সফরে এসে মমতার কী নাম দিলেন নাড্ডা?

    সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার রেজিমেন্ট ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে তাঁরা জানান ছুটির দিন রবিবার এই হ্যান্ড গ্রেনেড নিষ্ক্রিয় করতে হবে। সেই মত রবিবার সকালেই গ্রেনেড নিষ্ক্রিয় করার জন্য যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। সেনাবাহিনীর নিষ্ক্রিয়কারী দল যেখানে বোমা রাখা ছিল সেখানে পৌঁছে যান এবং তাঁরা দেখতে পারেন সেই বোমা বাইরে নিয়ে এসে নিষ্ক্রিয় করা যাবে না। পরবর্তীতে কোচবিহার জেলা আদালতের বিচারপতির অনুমতি নিয়েই ওই মালখানার ভেতরেই হ্যান্ড গ্রেনেড নিষ্ক্রিয় করার বন্দোবস্ত করা হয়। সেনাবাহিনীর জওয়ানরা উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিখুঁতভাবে দক্ষতার সঙ্গে গ্রেনেড টি নিষ্ক্রিয় করেছেন বলে জানা গেছে। এই কাজের ফলে আদালতের মালখানার ঘরের কোনরকম ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে জানা যায়।

    এই বিষয়ে এডিশনাল এসপি জানান, কোর্টের মালখনায় ০.৩৬ আর্মি গ্রেট গ্রেনেড পাওয়া গেছে। যেহেতু আর্মি গ্রেনেড তাই পুলিশের টিম তা নিষ্ক্রিয় করতে পারেনি। জলপাইগুরির ইঞ্জিনিয়ারের রেজিমেন্ট এসে সব দেখে জানান গ্রেনেড টি ওখানেই নিষ্ক্রিয় করতে হবে।

    বিন্নাগুড়ির ৬-৭ জন  ইঞ্জিনিয়ারের টিম এসে জেলা আদালত ও জেলা জর্জ এর অনুমতি নিয়ে গ্রেনেডটি নিস্ক্রিয় করেন। গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় আশেপাশে। কীভাবে গ্রেনেড এল, তা নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

  • SLST Agitation: লজ্জার ৭০০ দিন! কালো পোশাক পরে এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থান বিক্ষোভ

    SLST Agitation: লজ্জার ৭০০ দিন! কালো পোশাক পরে এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থান বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন অব্যাহত। চাকরির দাবিতে যোগ্য প্রার্থীদের করতে হয়েছে বিক্ষোভ, অনশন, প্রতিবাদ, তবুও মেলেনি নিয়োগপত্র। আর এই চাকরির দাবিতেই এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন আজ ৭০০ দিনে পড়ল। রবিবার ছুটির দিনেও ধর্মতলার গান্ধীমূর্তির পাদদেশে চলছে তাঁদের অবস্থান বিক্ষোভ। এদিন চাকরিপ্রার্থীদের এক অভিনব পথে আন্দোলন করতে দেখা গেল। মহিলাদের দেখা যায় কালো পোশাকে ও পুরুষদের অর্ধনগ্ন অবস্থায় আন্দোলন করতে দেখা যায়। তাঁদের অভিযোগ, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন জানানো হলেও এখনও তাদের নিয়োগ করা হয়নি, আর তারই প্রতিবাদে ফের সোচ্চার হয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা।

    নবম-দশম চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ অব্যাহত

    আন্দোলন, বিক্ষোভ করতে করতে ৭০০ দিন পেরিয়ে গেল তবুও যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা পেলেন না নিয়োগ। একদিকে যেমন রাজ্যে একের পর এক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি বেড়েই চলেছে, প্রায় প্রতিদিনই চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে, অন্যদিকে নবম-দশমের চাকরিপ্রার্থীরাও তাঁদের বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন।

    আরও পড়ুন: চাকরি চেয়ে চ্যাংদোলা! মমতার বাংলায় এটাই বাস্তব?

    চাকরিপ্রার্থীদের অভিনব প্রতিবাদ কর্মসূচি

    ফাঁকা ওএমআর শিটের প্রতিলিপি নিয়ে কালো পোশাক পরে চলছে প্রতিবাদ। সঙ্গে চলছে স্লোগান শাউটিংও। এই বিক্ষোভ অবস্থান থেকে একটাই দাবি করা হয়েছে সেটি হল নিয়োগের দাবি। তাঁরা এই প্রতিবাদের মাধ্যমে রাজ্যে দুর্নীতির যে কঙ্কালসার ছবি, সেটিই ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছেন। চাকরিপ্রার্থীরা এমন পোস্টার বানিয়েছেন, যেখানে দেখা গিয়েছে, কীভাবে এসএসসি পরীক্ষায় দুর্নীতি করা হয়েছে, কীভাবে ওএমআর শিটে নম্বর পরিবর্তন করা হয়েছে, সেসবই ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এইসব পোস্টারের মাধ্যমে। সবার পোশাকে লেখা রয়েছে, ‘লজ্জার ৭০০ দিন”।

    এক চাকরিপ্রার্থীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানিয়েছেন, আজকের এই প্রতিবাদে তাঁরা দুটো বিষয়কে তুলে ধরেছেন। এক, রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থা অন্ধকারে তলিয়ে গিয়েছে, তাঁর কথায় রাজ্যের শিক্ষায় কালো দিন চলছে, কালো অধ্যায় চলছে, তা বোঝতেই মহিলা আন্দোলনকারীরা কালো পোশাক পরেছেন। দুই, রাজ্যে শিক্ষাব্যবস্থাকে সামনে রেখে যেসব ন্যক্কারজনক কার্যকলাপ চলছে, অযোগ্যরা চাকরি করছেন, যোগ্যরা রাস্তায় ৭০০ দিন ধরে প্রতিবাদ করছেন, অর্থাৎ রাজ্যের শিক্ষার সেই রূপ তুলে ধরতেই পুরুষ আন্দোলনকারীরা অর্ধনগ্ন হয়ে প্রতিবাদ করছেন। 

  • J P Nadda: ভারত দেনেওয়ালা হয়ে গিয়েছে, লেনেওয়ালা নেই, এটাই বিকাশ, জানালেন নাড্ডা

    J P Nadda: ভারত দেনেওয়ালা হয়ে গিয়েছে, লেনেওয়ালা নেই, এটাই বিকাশ, জানালেন নাড্ডা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দোরগোড়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচন। বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। রবিবার বাংলার জোড়া সভায় এক ঢিলে দুই পাখিই মারলেন বিজেপির (BJP) সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (J P Nadda)। এদিন পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগর ও পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীতে সভা করেন নাড্ডা। দুই সভায়ই রাজ্য সরকারের সমালোচনার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। তৃণমূল (TMC) পরিচালিত রাজ্য সরকারের সমালোচনা করতে গিয়ে নাড্ডা বলেন, এখানে আইনের শাসন নেই। কেন্দ্র এ রাজ্যের জন্য অনেক উন্নয়নমূলক প্রকল্প রূপায়ন করার উদ্যোগ নিয়েছে। তবে রাজ্য সরকারের জন্য তা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি বলেন, আমরা রাজ্যবাসীকে চাল, গম দিচ্ছিলাম। কিন্তু তৃণমূল কর্মীরা রেশন সামগ্রী চুরি করছে।

    নাড্ডা উবাচ…

    রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসাও করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। তিনি বলেন, ২০১৪ সালে ৯২ শতাংশ মোবাইল ফোন আসত চিন থেকে। এখন দেশের ৯৭ শতাংশ মোবাইল ফোন ভারতেই তৈরি হয়। কখনও যদি অ্যাপলের মোবাইল হাতে আসে, তাহলে দেখবেন লেখা রয়েছে মেড ইন ইন্ডিয়া। তিনি (J P Nadda) বলেন, মোদিজির জমানায় দেশে সুশাসন ফিরেছে। মানুষের মধ্যে আস্থা ফিরেছে। মহিলা, যুব, কৃষকরা শক্তিশালী হয়েছেন। দলিত ও আদিবাসীরা যদি শক্তিশালী হয়ে থাকে, তাহলে সেই কাজ করেছেন মোদিজি। নাড্ডা বলেন, আপনারা মাস্ক পরা মার্কিন রাষ্ট্রপতির ছবি দেখেছেন। আর এখানে জনসভায় এত লোক বসে রয়েছেন, কারও মুখে মাস্ক নেই। এর কারণ মোদিজি দেশের ১৪০ কোটি মানুষকে করোনার ডবল ডোজ দিয়েছেন।

    আরও পড়ুুন: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জঙ্গলরাজেরও অবসান ঘটবে, বর্ধমানের সভায় ঘোষণা নাড্ডার

    বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি বলেন, আপনারা জানলে খুশি হবেন, এখন ভারত দুনিয়ার ১০০ দেশকে ভ্যাকসিন সরবরাহ করে। মোট ৪৮টি দেশকে বিনা পয়সায় ভ্যাকসিন দিয়েছে ভারত। তিনি বলেন, ভারত দেনেওয়ালা হয়ে গিয়েছে, আর লেনেওয়ালা নেই। এটাই হল বিকাশ। নাড্ডা (J P Nadda) বলেন, জল জীবন মিশনের উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু এই রাজ্যে সেই প্রকল্পও ঠিক মতো করা হচ্ছে না। তিনি বলেন, মোদিজির স্বপ্ন কেউ ঝুপড়িতে থাকবেন না। সেই জন্য প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা শুরু করেছেন মোদিজি। কিন্তু তাও বাংলা আবাস যোজনা বানিয়ে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোনও অর্থ না দিয়ে কেন্দ্রের প্রকল্প চুরি করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Nagerbazar Police: নাগেরবাজার পুলিশের সাফল্য! গ্রেফতার বাইক পাচারকাণ্ডে জড়িত ১

    Nagerbazar Police: নাগেরবাজার পুলিশের সাফল্য! গ্রেফতার বাইক পাচারকাণ্ডে জড়িত ১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাইক পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল নাগেরবাজার থানার পুলিশ। ধৃতের নাম শেখ মুফাসসিল। বিগত কয়েক বছর ধরেই দমদম এলাকায় বেড়েছে বাইক চুরির ঘটনা। দমদম থানা এলাকায় একের পর এক এমন চুরির ঘটনা ঘটলেও ধরা পড়েনি এক জনও। হাসপাতাল, নার্সিংহোম, ডায়াগনস্টিক সেন্টার— সেই সব এলাকা থেকে নিমেষের মধ্যে উধাও হয়ে যেত মোটরবাইক। তার পর তা চলে যেত বাইক পাচারকারীদের কাছে। তবে এবারে এই মোটর বাইক পাচার চক্রে পুলিশের জালে এসেছে এক ব্যক্তি।

    নাগেরবাজার পুলিশের জালে বাইক পাচারকারী

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২ দমদম সেন্ট মেরিজ এর সামনে থেকে একটি হোন্ডা বাইক চুরি হয়। ওই মাসের ২৫ তারিখ বাইকের মালিক নাগেরবাজার থানায় বাইক চুরি সংক্রান্ত অভিযোগ জানায়। এরপরে এই ঘটনার তদন্তে নামে নাগেরবাজার থানার পুলিশ। সূত্র মারফত খোজ খবর পেয়ে পুলিশ শেখ মুফাসসিলকে ওই চুরির বাইকসহ গ্রেফতার করে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, চুরি করার পর বাইকের নম্বর প্লেট বদলে দিত ওই অভিযুক্ত, এরপর সেই বাইক বিক্রি করে দিত। কিন্তু শেষ চুরির বাইক বিক্রি করার আগেই ধরা পড়ে যায় সে।

    আরও পড়ুন: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জঙ্গলরাজেরও অবসান ঘটবে, বর্ধমানের সভায় ঘোষণা নাড্ডার

    অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে এই বাইক চুরির সঙ্গে আরও বেশ কয়েকজন জড়িত রয়েছে। তাদের খোঁজ পেতেই আজ ধৃতকে আদালতের সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানিয়ে পাঠানো হয়। পুলিশ ধৃতকে নিজের হেফাজতে নিয়ে এই চক্রের সঙ্গে জড়িত আরও বাকিদের খোঁজ পেতে চাইছে।

    প্রসঙ্গত, পুলিশ সূত্রের খবর, মোটরবাইক চুরি চক্রের একটি দল কিছু দিন পরপর জায়গা বদলে এ কাজ করে। এমনই একটি চক্র এখন দমদমে কাজ করছে। গত বছর ফের একটি মোটরবাইক চুরির অভিযোগ এলে পাচারকারীদের ধরতে তৎপর নাগেরবাজার থানার পুলিশ। পাচারকাণ্ডে একজন ধরা পড়ায় পরবর্তীতে আরও বাইক পাচারকারীর খোঁজ পাওয়া যাবে বলে মনে করছে নাগেরবাজার থানার পুলিশ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • J P Nadda: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জঙ্গলরাজেরও অবসান ঘটবে, বর্ধমানের সভায় ঘোষণা নাড্ডার

    J P Nadda: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জঙ্গলরাজেরও অবসান ঘটবে, বর্ধমানের সভায় ঘোষণা নাড্ডার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় বদল হবেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) জঙ্গলরাজেরও অবসান ঘটবে। রবিবার বঙ্গ সফরে এসে এই বার্তাই দিলের বিজেপির (BJP) সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (J P Nadda)। এদিন বাংলার দুই জেলায় দুটি সভা করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। একটি পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরে। অন্যটি বর্ধমানের পূর্বস্থলীতে। পূর্বস্থলীর সভায় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি বলেন, বাংলা সব সময় দেশকে দিশা দেখিয়েছে। এক সময় বলা হত বাংলা আজ যা ভাবে, গোটা দেশ তা পরের দিন ভাবে। তিনি বলেন, জনসভার এই জনস্রোত বলছে, বদল আসছে। মমতার এই অপশাসনকে আলবিদা জানাতে তৈরি বাংলা।

    নাড্ডা বলেন…

    নাড্ডা (J P Nadda) বলেন, আপনাদের বলতে চাই মোদিজির নেতৃত্বে কোথায় এগিয়ে গিয়েছে দেশ। যে ব্রিটেন আমাদের ২০০ বছর শাসন করেছে, সেই ব্রিটেনকে পেছনে ফেলে বিশ্বে পঞ্চম অর্থনীতির দেশ হিসেবে মান্যতা পেয়েছি। একেই বলে বিকাশ। তিনি বলেন, আপনারা শুনতেন গাড়ি বানায় জাপান। এখন মোদির জমানায় জাপানকে পিছনে ফেলে তিন নম্বর গাড়ি উৎপাদক দেশ হিসেবে উঠে এসেছে ভারত। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি বলেন, এক সময় আমরা ওষুধ বাইরের দেশ থেকে কিনতাম। এখন আমরা ওষুধ অন্য দেশকে দিই। তিনি বলেন, সব চেয়ে সস্তা ও উপকারী ওষুধ এখন ভারতই তৈরি করছে।

    আরও পড়ুুন: তিনবার ব্যর্থ হয়েছে, বৃহস্পতিবার ফের হচ্ছে দিল্লির মেয়র নির্বাচন

    এদিনের ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। তিনি বলেন, শস্য ভাণ্ডার বর্ধমানেই চাষিরা আলুর দাম পাচ্ছেন না। তাঁদের মাথায় হাত। আলু স্টোরে রাখতে যাবেন, তৃণমূল নেতারা আগে থেকেই তার দখল নিয়ে বসে আছে। তিনি বলেন, কোল্ড স্টোরেজের দরজায় দরজায় তৃণমূল নেতারা দাঁড়িয়ে রয়েছেন। তাঁদের পয়সা দিলে তবেই বন্ড পাবেন। সুকান্ত বলেন, কোভিডে মানুষের রোজগার কমে গিয়েছে। অথচ এই সময়ে ভাইপোর রোজগার ছ গুণ বেড়েছে। তৃণমূল সুপ্রিমোর উদ্দেশে তাঁর প্রশ্ন, কোন ম্যাজিকে এটা সম্ভব হল? কয়লা ম্যাজিকে? না গরু ম্যাজিকে তাঁর রোজগার এত বেড়ে গেল? বিজেপি যে বাংলা ভাগের বিপক্ষে, এদিনের সভায় তা আরও এবার স্পষ্ট করে দেন সুকান্ত। তিনি বলেন, বিজেপির ঘোষিত নীতি হল বাংলাকে আমরা খণ্ডিত হতে দেব না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share