Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Weather Update: বিদায়ের পথে শীত! সকালে শহরে কুয়াশার দাপট

    Weather Update: বিদায়ের পথে শীত! সকালে শহরে কুয়াশার দাপট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিদায়ের পথে শীত। বসন্তের হালকা বাতাস বইতে শুরু করেছে শহর কলকাতায়। বুধবার শহরের তাপমাত্রা ছিল ২০ ডিগ্রির উপরে। তবে সকালের দিকে ঘন কুয়াশা ছিল। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাপমাত্রা ওঠানামা করবে। ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে শীতের আমেজও শেষ হবে। চিকিৎসকদের মতে, আবহাওয়ার এই খামখেয়ালিপনায় সর্দি, কাশি, জ্বরজ্বর ভাব, নাক দিয়ে জল পড়া, মাথা যন্ত্রণা ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দিতে পারে। ভাইরাল সংক্রমণেরও (Viral Infection) সম্ভাবনা থাকে এই ঋতু বদলের (Weather Change) সময়। 

    সকালে কুয়াশার দাপট

    বুধবার কুয়াশার দাপটে সকালের দিকে দৃশ্যমানতা কম ছিল। অসুবিধে হয় যান চলাচলে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে-সঙ্গে অল্প-অল্প করে রোদের মুখ দেখা গিয়েছে। দুপুরের দিকে গরম অনুভূত হচ্ছে। আলিপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রে খবর,বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণেই এই ঘন কুয়াশার দাপট। আগামী কয়েকদিন রাজ্যজুড়ে ঘন কুয়াশার দাপট থাকবে। আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রি বেশি। 

    আরও পড়ুন: ওএমআর শিটে ‘গুপ্ত সঙ্কেত’-এর মাধ্যমে চলত দুর্নীতি! মানিক-কুন্তলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক ইডি

    বিদায়ের পথে শীত

     ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পারদ ওঠানামা করবে বাংলায়। বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা কিছুটা নামবে। শনি ও রবিবার ফের বাড়বে তাপমাত্রা। সোম, মঙ্গলবার ফের নিম্নমুখী হবে পারদ। মঙ্গলবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি বেশ কিছুটা নীচে নামতে পারে পারদ।  তবে এই ঠান্ডার অনুভূতি দীর্ঘস্থায়ী হবে না,  ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শীত পুরোপুরি বিদায় নেবে বলেই পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের। তার আগে, ধীরে ধীরে সকাল এবং সন্ধ্যায় শীতের আমেজ কমবে। বাড়বে দিনের ও রাতের তাপমাত্রা। দার্জিলিং ও কালিম্পং-এ হালকা বৃষ্টি সম্ভাবনা। রাজ্যের আর কোথাও বৃষ্টির কোন সম্ভাবনা নেই আগামী কয়েক দিন। শুষ্ক আবহাওয়া রাজ্যজুড়ে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Vande Bharat: আরও তাড়াতাড়ি গন্তব্যে, শীঘ্রই গতি বাড়তে চলেছে হাওড়া-জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের

    Vande Bharat: আরও তাড়াতাড়ি গন্তব্যে, শীঘ্রই গতি বাড়তে চলেছে হাওড়া-জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলার রেলযাত্রীদের জন্য সুখবর! খুব শীঘ্রই গতি বাড়তে চলেছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের। এই মুহূর্তে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার। গতিবেগ প্রতি ঘণ্টায় আরও ২০ থেকে ৩০ কিলোমিটার বাড়ানোর পরিকল্পনা চলছে। সেই কারণেই পরিকাঠামো ও রেলপথ সরেজমিনে পরিদর্শন করলেন পূর্ব রেলের অতিরিক্ত জেনারেল ম্যানেজার ড. জয়দীপ গুপ্তা। আগামী কিছুদিনের মধ্যেই হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৩০ থেকে ১৪০ কিলোমিটার বেগে ছুটতে চলেছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

    হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের গতি বৃদ্ধি

    মঙ্গলবার মালদহ টাউন স্টেশন পরিদর্শনে আসেন পূর্ব রেলের অতিরিক্ত জেনারেল ম্যানেজার জয়দীপ গুপ্তা। তিনি সাংবাদিকদের জানান, বন্দে ভারত এক্সপ্রেস বর্তমানে ঘন্টায় ১১০ কিলোমিটার গতিবেগে চলছে। এই গতি বাড়িয়ে অন্তত ১৩০ কিলোমিটার করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এজন্য রেলের মালদহ ডিভিশনে পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ চলছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে মাস তিনেকের মধ্যেই আরও বেশি গতিতে ছুটবে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ প্রায় শেষের দিকে। সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখার পাশাপাশি কন্ট্রোল রুমের বিভিন্ন বিভাগ, ট্র্যাক, সিগন্যালিং ব্যবস্থা ইত্যাদি নিজে পরিদর্শন করেও সন্তোষ প্রকাশ করেছেন জয়দীপ গুপ্তা।

    গতকাল, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মালদায় ডিভিশনের পদস্থ ও সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন পূর্ব রেলের অতিরিক্ত জেনারেল ম্যানেজার। বৈঠক শেষে তিনি বলেন, “হাইস্পিড ট্রেন চলাচলের জন্য রেল ট্র্যাক একেবারেই নিরাপদ। আমরা মালদহে সেই পরিকাঠামোও দেখেছি। খুব শীঘ্রই বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ১৩০ থেকে ১৪০ কিলোমিটার গতিবেগে চালানো হবে। বর্তমানে ১১০-এ চলছে। ধীরে ধীরে গতি বাড়িয়ে ১৬০ পর্যন্ত করা যাবে।”

    আরও পড়ুন: মালদায় উদ্ধার ‘সোনার দুর্গা’ ঘিরে চলছে পুজো-অর্চনা, মূর্তি প্রশাসনকে দিতে নারাজ গ্রামবাসীরা

    বন্দে ভারতের গতি বৃদ্ধি পেলে হাওড়া থেকে উত্তরবঙ্গ পৌঁছনোর সময় কমে যাবে। দ্রুত গতির এই ট্রেন হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি রুটে সঠিক সময়েই চলাচল করছে বলে জানিয়েছে রেল এবং তাতে খুশি রেলযাত্রীরাও। উল্লেখ্য, রেল সূত্রে খবর, বন্দে ভারত এক্সপ্রেস সর্বোচ্চ ১৬০ থেকে ১৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত গতিবেগে ছুটতে পারে। তবে তার জন্য রেলের রেক, বৈদ্যুতিকরণ, সিগন্যাল, স্টেশনের পরিকাঠামো উন্নয়ন-সহ বেশকিছু অগ্রগতির প্রয়োজন রয়েছে। এজন্যই পরিকাঠামোগত উন্নয়নে জোর দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Malda: মালদায় উদ্ধার ‘সোনার দুর্গা’ ঘিরে চলছে পুজো-অর্চনা, মূর্তি প্রশাসনকে দিতে নারাজ গ্রামবাসীরা

    Malda: মালদায় উদ্ধার ‘সোনার দুর্গা’ ঘিরে চলছে পুজো-অর্চনা, মূর্তি প্রশাসনকে দিতে নারাজ গ্রামবাসীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে সোনার দুর্গা মূর্তি উদ্ধার হল মালদার মানিকচক থেকে। চাষের জমি থেকে পাওয়া ‘সোনার দুর্গা মূর্তি’ নিয়ে হুলস্থুল মালদহের মানিকচকের চৌকি মীরদাদপুরের রাজনগরের দামোদরপুর ঘোষপাড়া এলাকায়। কুড়িয়ে পাওয়া মূর্তি নিয়ে চলছে পুজো-অর্চনা। ওই মূর্তি দেখতে দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন অগণিত ভক্ত। বসে গিয়েছে মেলাও। এই মূর্তি উদ্ধারের খবর পুলিশে দেওয়া হলে জেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের হাতে মূর্তি তুলে দিতে সাফ না করে দিলেন গ্রামবাসীরা। ফলে খালি হাতেই ফিরতে হল তাঁদের।

    ঠিক কী ঘটেছিল মালদায়?

    সূত্রের খবর, মানিকচক ব্লকের অন্তর্গত কালিন্দ্রি ঘোষপাড়া এলাকার বাসিন্দা বিশু ঘোষ। তাঁর জমিতে পড়ে থাকা আবর্জনা পরিষ্কার করতে গিয়ে একটি মূর্তি খুঁজে পান তিনি। তাতে তিনি বেশ অবাক হয়ে যান। আর আশেপাশের লোকজনকে মূর্তির কথা বললে ভিড় জড়ো হয়। তাঁরা মূর্তিটিকে জল দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করেন। স্থানীয়রা অনেকেই এটাকে সোনার দুর্গা মূর্তি হিসাবে চিহ্নিত করেন। তবে প্রশাসনিকভাবে সেই বিষয়ে এখনও নিশ্চিত করে কিছু বলা হয়নি। ‘সোনার দুর্গা মূর্তি’ উদ্ধারের পর থেকেই গ্রামের মানুষ পূজো অর্চনায় মেতে উঠেছেন। ততক্ষণে মানিকচক থানার পুলিশ এসে যায় ঘটনাস্থলে। আর তদন্ত শুরু করে।

    আরও পড়ুন: মুর্শিদাবাদ, কলকাতায় পতাকা বিড়ির কারখানা, অফিসে আয়কর হানা, চলছে তল্লাশি

    ওই মূর্তি সোনার কি না তা পরীক্ষা করার জন্য প্রশাসনিক কর্তারা ঘটনাস্থলে যান। মূর্তিটিকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু জেলার মহকুমা শাসক লাডেন লেপচার নেতৃত্বে তিন সদস্যের দলের হাতে ওই মূর্তি তুলে দিতে অস্বীকার করেন স্থানীয়রা। মঙ্গলবার বেশ কিছু ক্ষণের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে ওই এলাকা ছাড়েন সরকারি আধিকারিকরা। গ্রামবাসীদের দাবি, মূর্তি নিয়ে যেতে হলে ফিরিয়ে দেওয়ার স্বীকারোক্তি দিতে হবে। এক গ্রামবাসী বলেন, “যদি মূর্তি নিয়েই যেতে হয়, তাহলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মূর্তি আমাদের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে, এই মর্মে লিখিত চাই আমাদের।”

    পুলিশের প্রাথমিক অনুমান

    কীভাবে এই মূর্তি উদ্ধার হল, তার কথা বলতে গিয়ে পুলিশ আধিকারিকরা অনুমান করেছেন যে, সোনার মূর্তি পাচার করতে গিয়েই এখানে পড়ে যায়। কোনও ব্যক্তি একাধিক মূর্তে নিয়ে এখান দিয়ে যাচ্ছিল পাচারের উদ্দেশে। তখন একটি সোনার মূর্তি কোনভাবে পড়ে গিয়ে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও এই বিষয়ে এখনই বিশদে মুখ খুলতে নারাজ পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। মূর্তিটি কোথা থেকে এসেছে তা নিয়েও পুলিশ তদন্ত করছে। তবে এটি সোনার কিনা তা পরীক্ষা করার জন্য মূর্তিটি নিয়ে যেতে এলেও খালি হাতেই ফিরতে হয় সরকারি আধিকারিকদের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Pataka Bidi: মুর্শিদাবাদ, কলকাতায় পতাকা বিড়ির কারখানা, অফিসে আয়কর হানা, চলছে তল্লাশি

    Pataka Bidi: মুর্শিদাবাদ, কলকাতায় পতাকা বিড়ির কারখানা, অফিসে আয়কর হানা, চলছে তল্লাশি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আয়কর দফতর ফের হানা দিল মুর্শিদাবাদের আরও এক বিড়ির কারখানায়। কিছুদিন আগেই তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনের শিব বিড়ি কারখানাতেও তল্লাশি চালানো হয়েছিল। এবার পতাকা বিড়ির (Pataka Bidi) কারখানায় হানা দিলেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। কলকাতার মির্জা গালিব স্ট্রিটের ওই বিড়ি কারখানার মূল অফিসেও হানা দিয়েছেন আধিকারিকরা।

    বুধবার সকালে মুর্শিদাবাদের সুতির অরঙ্গাবাদে পতাকা বিড়ি সংস্থার অফিসে  হানা দেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। বেশ কয়েকটি গাড়ি ঢোকে এই কারখানায়। প্রথমেই পতাকা বিড়ির অফিসে প্রবেশ করেন তাঁরা। তার আগে কেন্দ্রীয় বাহিনী পুরো অফিস ঘিরে ফেলে। এরপরেই শুরু হয় তল্লাশি। অফিসে তল্লাশি চালানোর পর তল্লাশি চালানো হয় কারখানাতেও। 

    প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই সুতিতে বিধায়ক জাকির হোসেনের বাড়ি ও বিড়ি কারখানায় হানা দিয়েছিল আয়কর দফতর। পাশাপাশি সামশেরগঞ্জের আনন্দ বিড়ি ও বিজলি বিড়ি কারখানাতেও তল্লাশি চালানো হয়েছিল ওই সময়। এবার অরঙ্গাবাদের পতাকা বিড়ি (Pataka Bidi) কারখানার পালা। সকাল সকাল এভাবে তল্লাশি শুরু হওয়ায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে  এলাকায়।

    জাকিরের কারখানা থেকে উদ্ধার কয়েক কোটি

    তল্লাশির পরে জাকির হোসেনের বিড়ি (Pataka Bidi) কারখানা থেকে নগদ প্রায় ৮ কোটি টাকা উদ্ধার করেছিল আয়কর দফতর। ওই সময় মুর্শিদাবাদের মোট চারটি বিড়ি কারখানা থেকে মোট ১১ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছিল। আয়কর দফতরের তরফে জানানো হয়েছিল, ওই টাকার প্রেক্ষিতে কোনও বৈধ নথি দেখাতে পারেননি বিধায়ক। সে কারণেই টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়।

    আরও পড়ুন: তদন্তের নামে কোনও মহিলার কুমারীত্ব পরীক্ষা অসাংবিধানিক, জানাল দিল্লি হাইকোর্ট  

    যদিও কেন্দ্রীয় বিভাগের এই অভিযানের পিছনে রাজনীতি রয়েছে বলে অভিযোগ করেন জাকির (Pataka Bidi)। তাঁর দাবি, কর্মীদের পারিশ্রমিক দেওয়ার জন্য ওই নগদ টাকা রাখা ছিল। বেআইনি কোনও টাকা নেই। এই ইস্যুতে জাকিরের পাশে দাঁড়িয়ে বিজেপিকে নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তার মধ্যে বুধবার আবার আয়কর হানা হল মুর্শিদাবাদে। যদিও ওই বিড়ি কারখানার মালিকের সঙ্গে রাজনৈতিক কোনও যোগ আছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Calcutta High Court: ‘জোর করে নাবালিকার অন্তর্বাস খুলে দেওয়া ধর্ষণের সমতুল্য’, বলল কলকাতা হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: ‘জোর করে নাবালিকার অন্তর্বাস খুলে দেওয়া ধর্ষণের সমতুল্য’, বলল কলকাতা হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জোর করে এক নাবালিকার অন্তর্বাস খুলে (removing minor’s undergarment) তাকে শুয়ে থাকতে বাধ্য করা ধর্ষণের অপরাধের সমান। সম্প্রতি একটি মামলায় এমনই রায় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। মেডিক্যাল পরীক্ষায় ধর্ষণের প্রমাণ না থাকলেও অন্যান্য সাক্ষ্য-প্রমাণ এবং অপরাধীর উদ্দেশ্য বিচার করেই এই রায় দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়।

    কী ঘটেছিল

    মামলার বয়ান অনুযায়ী, ২০০৭ সালের মে মাসে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে এক নাবালিকা একটি খেলনার দোকানের কাছে দাঁড়িয়ে ছিল। তখন এক ব্যক্তি তার কাছে এসে তাকে আইসক্রিম দেয়। তারপর অভিযুক্ত আরও আইসক্রিমের প্রলোভন দিয়ে ওই নাবালিকাকে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে অভিযুক্ত নাবালিকাকে তার প্যান্ট খুলে ফেলতে বললে সে সেখান থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তারপর অভিযুক্ত নাবালিকার পিছু ধাওয়া করে এবং তাকে ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে তার অন্তর্বাস খুলে দেয়। কিন্তু, মেয়েটি চিৎকার করতে শুরু করলে আশেপাশের লোকজন সেখানে চলে আসে এবং ওই ব্যক্তিকে ধরে ফেলে। পরে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। যদিও ডাক্তারি পরীক্ষায় মেয়েটিকে নির্যাতনের কোনও প্রমাণ মেলেনি।

    আরও পড়ুুন: ফের বাংলাদেশে আক্রান্ত সংখ্যালঘু হিন্দুরা, ১৪টি মন্দিরে ভাঙচুর, কী বলছে প্রশাসন?

    নিম্ন আদালতের রায় বহাল

    সেই ঘটনায় অভিযুক্ত রবির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা রুজু হয়। ২০০৮ সালে বালুরঘাট জেলা ও দায়রা আদালত রবিকে দোষী সাব্যস্ত করে ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৩ হাজার টাকা জরিমানারও নিদেশ দেন। জেলা ও দায়রা আদালতের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে পাল্টা মামলা দায়ের করে রবি রায়। নাবালিকার শারীরিক পরীক্ষায় ধর্ষণের কোনও প্রমাণ মেলেনি। তার দাবি, কোনও অসৎ উদ্দেশ্যে নয়, বরং কিশোরীকে আদর করার জন্যই এমন কাজ করেছিল সে। সেই মামলাতেই অভিযুক্তের দাবি নস্যাৎ করে দিয়ে এমন যুগান্তকারী রায় দিয়েছেন কলকাতা উচ্চ আদালতের সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিচারক জানিয়েছেন, অপরিচিত কোনও ব্যক্তি এমন কাজ করেছেন মানে তিনি নাবালিকাকে ধষর্ণের উদ্দেশ্যেই তা করেছিলেন, এ নিয়ে সন্দেহের কোনও অবকাশ নেই। বিচারপতি জানিয়েছেন, শারীরিক পরীক্ষায় ধর্ষণের প্রমাণ না পাওয়া গেলেও এই ঘটনা ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৫ ধারা অনুযায়ী ধর্ষণের সমতুল্য অপরাধ। ফলে এই মামালয় নিম্ন আদালতের রায়ই বহাল রেখেছেন তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Kolkata Metro: কবি সুভাষ থেকে রুবি, নতুন লাইনে মেট্রো চলবে চলতি মাসেই! জুড়ে যাবে দুটি ভিন্ন লাইন

    Kolkata Metro: কবি সুভাষ থেকে রুবি, নতুন লাইনে মেট্রো চলবে চলতি মাসেই! জুড়ে যাবে দুটি ভিন্ন লাইন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতাবাসীর জন্য ফের এক সুখবর! চলতি মাসেই কলকাতায় যাতায়াতের পথ আরও মসৃণ হতে চলেছে। ফেব্রুয়ারিতেই শুরু হচ্ছে রুবি-নিউ গড়িয়া মেট্রো পরিষেবা। চলতি মাসেই পরিষেবা শুরুর জন্য মঙ্গলবার রেলের সবুজ সঙ্কেত মিলেছে। কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটির তরফ থেকে মঙ্গলবারই অনুমতি মিলেছে। তার পরই ওই শাখায় মেট্রো পরিষেবা চালুর তোড়জোড় শুরু হয়ে গেল। শীঘ্রই উদ্বোধনের দিনক্ষণ ঠিক করা হবে বলে কলকাতা মেট্রো রেল সূত্রে খবর।

    রুবি-কবি সুভাষ মেট্রো

    গত মাসের ৩০ তারিখ কলকাতা মেট্রোর লাইন ৬ (অরেঞ্জ লাইন) এর প্রথম দফার অর্থাৎ কবি সুভাষ থেকে হেমন্ত মুখোপাধ্যায় বা রুবি পর্যন্ত সেকশনের ইন্সপেকশন করেছিলেন কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি। নর্থ ইস্ট ফ্রন্টিয়ার সার্কেলের কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি, শ্রী শুভময় মিত্রের নেতৃত্বে এই ইন্সপেকশন সংঘটিত হয়েছিল। কবি সুভাষ থেকে হেমন্ত মুখোপাধ্যায় (রুবি মোড়) মেট্রো স্টেশনের মধ্যে মোট ৫ টি স্টেশনকে চালু করা হতে চলেছে। প্রাথমিক দফায় আপাতত এই প্রথম সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার রেলপথে কোনো সিগনালিং ব্যবস্থা না থাকার জন্য জোকা তারাতলা লাইনের মতই “ওয়ান রেক সার্ভিস” চলবে। একটি রেকই যাতায়াত করবে রুবি থেকে কবি সুভাষের মধ্যে। একবার কবি সুভাষ থেকে ছেড়ে রুবি পৌঁছে ফের রুবি থেকে কবি সুভাষ ফিরবে ওই রেকটি।

    রুবি-নিউ গড়িয়ার মধ্যে ৫টি স্টেশন থাকবে। সত্যজিৎ রায় (হাইল্যান্ড পার্ক), জ্যোতিরিন্দ্র নন্দী (মুকুন্দপুর) ও কবি সুকান্ত (কালিকাপুর)। আপাতত প্রান্তিক স্টেশনদুটি হল কবি সুভাষ (নিউ গড়িয়া) ও হেমন্ত মুখোপাধ্যায় (রুবি)। এই শাখায় এখনও ভাড়া ঠিক করা হয়নি।

    নিউ গড়িয়া – রুবি মেট্রো ও দক্ষিণেশ্বর – নিউ গড়িয়া মেট্রোয় সংযুক্ত টোকেন পরিষেবা চালু করা হবে। অর্থাৎ কেউ রুবি থেকে দক্ষিণেশ্বর যেতে চাইলে তাঁকে নিউ গড়িয়ায় নেমে আর টোকেন সংগ্রহ করতে হবে না। রুবি থেকেই পাওয়া যাবে দক্ষিণেশ্বরের টোকেন। একই প্ল্যাটফর্মে ২ দিকে আসবে ২টি ট্রেন।

    রুবি – নিউ গড়িয়া মেট্রো পরিষেবার হাত ধরে এই প্রথম কলকাতা মেট্রোয় ‘ইন্টিগ্রেটড টিকেটিং সিস্টেম’ চালু করা হচ্ছে। এই প্রথম শহরের দু’টি আলাদা মেট্রোপথ একটি স্টেশনের মাধ্যমে কাছাকাছি আসবে। কলকাতার উত্তর-দক্ষিণ (নিউ গড়িয়া-দক্ষিণেশ্বর, যাকে ব্লু লাইন বলা হয়) মেট্রো এবং নিউ গড়িয়া-রুবি মেট্রো (অরেঞ্জ লাইন) জুড়ে যাবে নিউ গড়িয়া অর্থাৎ কবি সুভাষ স্টেশনের মাধ্যমে। ফলে এতে শহরবাসীর সময় বাঁচবে ও কোনও সমস্যাও হবে না। কলকাতার দক্ষিণের বাসিন্দারা এর ফলে বিশেষ উপকৃত হবেন বলেই মনে করা হচ্ছে।

  • SSC Scam: গোপাল হন আরমান! এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডির হাতে নয়া তথ্য

    SSC Scam: গোপাল হন আরমান! এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডির হাতে নয়া তথ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাম ভাঁড়িয়ে ‘আরমান গঙ্গোপাধ‌্যায়’ হন গোপাল দলপতি। চিটফান্ড মামলায় নাম জড়িয়ে যাওয়ার পরই এই পরিচয় নেন তিনি। ইডির জেরায় গোপাল জানিয়েছে, আরমান গঙ্গোপাধ্যায় নাম বদলে তিনি নথিপত্র বানিয়েছিলেন। সেবি যখন সব বন্ধ করে দিয়েছিল তখন আমি নাম বদলাতে বাধ্য হয়েছিলাম। দাবি গোপালের। 

    আদালতে গিয়ে নাম বদল

    ইডি সূত্রে খবর,  ‘আরমান’ নামেই গোপাল তৈরি করেন যাবতীয় পরিচয়পত্র। সেই আধার কার্ড, প‌্যান কার্ড-সহ যাবতীয় পরিচয়পত্র এসেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ED) হাতে। ইডি জানিয়েছে, হুগলির (Hooghly) ধৃত যুবনেতা কুন্তল ঘোষের মুখে তাপস মণ্ডলের সঙ্গে সঙ্গে উঠে এসেছিল গোপাল দলপতির নামও। কুন্তলের দাবি ছিল, তিনি গোপালকে বিপুল পরিমাণ টাকা দিয়েছেন। যদিও গোপাল ইডির কাছে তা অস্বীকার করেন। জেরার সময় ইডি আধিকারিকরা তাঁর পরিচয়পত্র দেখতে চান। সেখান থেকেই তাঁর আরমান পরিচয় সামনে আসে। সেবি (SEBI)তাঁর যাবতীয় অ‌্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিলে  আদালতে গিয়ে এফিডেফিট করে ‘আরমান গঙ্গোপাধ‌্যায়’ নাম নেন। 

    আরও পড়ুুন: ফের বাংলাদেশে আক্রান্ত সংখ্যালঘু হিন্দুরা, ১৪টি মন্দিরে ভাঙচুর, কী বলছে প্রশাসন?

    নাম ভাঁড়িয়ে কালো টাকা সাদা!

    ইডি আধিকারিকদের মতে, নাম ভাঁড়িয়ে একাধিক সংস্থা খুলে নিয়োগ দুর্নীতির কালো টাকা সাদা করতে সাহায‌্য করেন তিনি। গোপাল দলপতি বলেন, “পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত যোগাযোগ নেই। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী হিসাবে চিনতাম। কোনও টাকা আমি পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দিইনি। কুন্তল প্রসঙ্গে বলেন, আমার সঙ্গে তার বন্ধুত্ব হয়েছিল। যখন অভাব পড়েছে কখনও ৭০ হাজার, কখনও ৩০ হাজার কখনও ১ লাখ টাকা দিয়েছে। অ্য়াকাউন্টে ট্রান্সফার করেছিল…হাত খরচার জন্য…সেই সময় তাপসদার কাজ দেখভাল করতাম। বলত প্রেসার দাও, ফান্ড যাতে তাড়াতাড়ি দেয়, সেকারণেই হয়তো টাকা দিত।” ইডির কাছে গোপালের দাবি, তাঁর সামনেই ৯৪ লক্ষ টাকার লেনদেন হয়েছিল। আবার কুন্তলও তাঁকে টাকা দেওয়ার জন‌্য চাপ দিতেন। গোপাল বলেন, “আমি কুন্তলের কাছে কয়েকবার বলতে শুনেছি কাকু কাকু। কাকুর কাছে পেমেন্ট দিতে হবে। কাকু কে জানতাম না। কালীঘাটের কাকুর কাছে যেতে হবে বলত। কাকু আদৌ কে, তা জানি না।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Nabanna: ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতির অভিযোগ, জবকার্ডে আধার সংযোগ হয়নি, কেন্দ্রের বরাদ্দ আটকানোর ভয়ে নবান্ন?

    Nabanna: ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতির অভিযোগ, জবকার্ডে আধার সংযোগ হয়নি, কেন্দ্রের বরাদ্দ আটকানোর ভয়ে নবান্ন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা বার বার নয়ছয় করার অভিযোগ উঠেছে রাজ্যের বিরুদ্ধে। ১০০ দিনের কাজের ক্ষেত্রেও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ১০০ দিনের কাজে গোটা দেশের মধ্যে সবথেকে পিছিয়ে রয়েছে বাংলা। এখনও বহু প্রাপকের জব কার্ডের সঙ্গে আধার লিঙ্ক করা হয়নি। আর এতেই ভয়ে কাঁপছে নবান্ন (Nabanna)। যেকোনও মুহূর্তে আটকে যেতে পারে কেন্দ্রীয় বরাদ্দের টাকা, এই আশঙ্কায়।

    কেন এই ততপরতা? 

    বরাদ্দ আটকে যাওয়ার এই আশঙ্কায় প্রশাসনিক স্বচ্ছতা রাখতে জেলাগুলিকে সমস্ত কেন্দ্রীয় প্রকল্পে উপভোক্তাদের (Nabanna) নামের সঙ্গে দ্রুত আধার সংযোগ করার নির্দেশ দিল নবান্ন। এ ব্যাপারে কড়াকড়ি এতটাই যে, জাতীয় সামাজিক প্রকল্পের মাধ্যমে দেওয়া বার্ধক্য ভাতা, বিধবা ভাতা ও প্রতিবন্ধী ভাতার প্রাপকদের ছাড় দিতেও চাইছে না সরকার। 

    প্রকল্পগুলিতে স্বচ্ছতা বজায় রাখতেই উপভোক্তাদের নামের সঙ্গে আধার সংযোগ ও আধার বেস পেমেন্ট সিস্টেম চালু করেছে কেন্দ্র (Nabanna)। সেই পথেই এখন বাধ্য হয়ে হাঁটতে হচ্ছে এই রাজ্যকে। সম্প্রতি রাজ্যের মুখ্যসচিব জেলা প্রশাসনগুলির সঙ্গে বৈঠকে বারবার এ ব্যাপারে সচেতন করে দিয়েছেন। পাশাপাশি রাজ্য পঞ্চায়েত দফতরের তরফ থেকেও এনিয়ে জেলাগুলিকে বার্তা পাঠানো হয়েছে। কারণ, বেশিরভাগ সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের কাজ রূপায়ণের ক্ষেত্রে পঞ্চায়েত দফতরেরই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। কিন্তু এখনও গুরুত্ব দিচ্ছে না জেলাগুলি।

    আরও পড়ুন: শিয়রে পঞ্চায়েত ভোট, তার আগে বার বার বিস্ফোরণে কাঁপছে রাজ্য, কী অবস্থায় আইনশৃঙ্খলা? 

    এই মুহূর্তে রাজ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের জাতীয় সামাজিক প্রকল্পে ১৪ লক্ষ ৪১ হাজার ৪৬০ জন তিন ধরনের ভাতা পেয়ে থাকেন (Nabanna)। এগুলি হল বার্ধক্য ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা। এর মধ্যে মাত্র ৯ লক্ষ ৭৯ হাজার ৬০০ ভাতা প্রাপক অর্থাৎ ৬৮ শতাংশ তাদের আধার সংযোগ করা হয়েছে। গত এক মাসে চাপে পড়ে জেলাগুলি বেশিরভাগ কাজটা করেছে। মহারাষ্ট্রে যেখানে ৯১.১ শতাংশ প্রাপকের আধার সংযোগ রয়েছে।

    নবান্ন সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত জব কার্ড হোল্ডারদের সঙ্গে আধার কার্ড সংযুক্তিকরণ হয়েছে ৭৮.৬%। যা অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় অনেকটাই কম। এখনও পর্যন্ত এই প্রকল্পের অধীনে নজির স্থাপন করেছে মিজোরাম (Nabanna)। এই রাজ্যে ৯৭.৮% জব কার্ড হোল্ডারই আধার সংযোগ রয়েছে। পাশাপাশি তামিলনাড়ু-সহ একাধিক রাজ্য আধার কার্ড সংযোগের ক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়ে। তুলনামূলকভাবে এ রাজ্যে আধার কার্ড সংযোগের সঙ্গে জব কার্ড হোল্ডারদের সংযুক্তিকরণ না হওয়ায় জেলাগুলিকে বিশেষ নির্দেশ দিল নবান্ন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     

     

  • TET Scam: অ্যাপটিটিউড টেস্ট ছাড়া নিয়োগ কীভাবে? প্রশ্ন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    TET Scam: অ্যাপটিটিউড টেস্ট ছাড়া নিয়োগ কীভাবে? প্রশ্ন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অ্যাপটিটিউড টেস্ট (Aptitude Test) হয়নি বলে অভিযোগ। তার পরেও দিব্যি হয়েছে নিয়োগ (TET Scam)। এ সংক্রান্ত একটি মামলায়্ সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রশ্ন, অ্যাপটিটিউড টেস্ট ছাড়া নিয়োগ কীভাবে?  ২০১৬ সালে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া অ্যাপটিটিউড টেস্ট ছাড়াই হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। এনিয়ে জানুয়ারি মাসে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন কয়েকজন পরীক্ষার্থী। এদিন ছিল ওই মামলার শুনানি। এর আগে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় পর্ষদের কাছে হলফনামা তলব করেন।

    হলফনামা…

    এদিন সেই হলফনামা জমা দেয় পর্ষদ। তার পরেই বিচারপতির প্রশ্ন, অ্যাপটিটিউড টেস্ট ছাড়া কীভাবে নিয়োগ?  দেড়-দু মিনিট সময়ের মধ্যে কীভাবে এক সঙ্গে ইন্টারভিউ ও অ্যাপটিটিউড টেস্ট হয়?  বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ, পর্ষদের হলফনামায়ও অ্যাপটিটিউড টেস্টের সংজ্ঞা অনুযায়ী, ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনও ইন্টারভিউ (TET Scam) নেওয়াই হয়নি। এদিন পর্ষদের তরফে ওই বছর প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ইন্টারভিউ নেওয়া শিক্ষকদের নামের তালিকা পেশ করা হয়েছে।

    আরও পড়ুুন: কেলেঙ্কারির পর্দা ফাঁস! নবম-দশমে শিক্ষক নিয়োগের জন্য নেওয়া হয়েছে ২০ লক্ষ টাকা!

    জানা গিয়েছে, ৫ হাজার ২১৬ প্রশিক্ষণহীনের চাকরি বেআইনিভাবে হয়েছে বলে অভিযোগ মামলাকারীদের। অ্যাকাডেমিক স্কোর কম, অথচ ইন্টারভিউ ও অ্যাপটিটিউড টেস্টে উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি নম্বর দিয়ে চাকরি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এদিকে, এদিন পর্ষদের তরফে ইন্টারভিউ (TET Scam) নেওয়া যে শিক্ষকদের নামের তালিকা হাইকোর্টে পেশ করা হয়েছে, সেই তালিকা থেকে প্রথম পর্যায়ে হাওড়া, হুগলি, উত্তর দিনাজপুর, কোচবিহার ও মুর্শিদাবাদের শিক্ষকদের তলব করলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। ২১ ফেব্রুয়ারি দুপুর ২টোয় তাঁদের আদালতের হাজিরা দিতে হবে।

    সূত্রের খবর, ইন্টারভিউ ও অ্যাপটিটিউড টেস্ট নেওয়া শিক্ষকদের কাছ থেকে নানা তথ্য জানতে চায় আদালত। শুধু তাই নয়, গোটা প্রশ্নোত্তর পর্বই হবে রুদ্ধদ্বার শুনানিতে। ধাপে ধাপে তলব করা হবে মামলাকারী চাকরিপ্রার্থীদেরও। দূরের জেলার ওই শিক্ষকদের রাহা খরচ বাবদ পর্ষদকে দিতে হবে দু হাজার করে টাকা। আর কাছের জেলার শিক্ষকদের দিতে হবে ৫০০ টাকা করে। এদিন পর্ষদকে এই নির্দেশও দিয়েছে হাইকোর্ট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Recruitment Scam: কুন্তলের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল এসএসসি-র আধিকারিকদের! তুলেছিলেন ১৯ কোটি টাকা?

    Recruitment Scam: কুন্তলের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল এসএসসি-র আধিকারিকদের! তুলেছিলেন ১৯ কোটি টাকা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি তৃণমূলের (TMC) যুব নেতা। অথচ কুন্তল ঘোষ নামের ওই নেতার সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) একাধিক আধিকারিক। এর আগে হুগলির ওই যুবনেতার হুগলি ও কলকাতার নিউটাউনের বাড়িতে তল্লাশি চালান তদন্তকারীরা। তখনই বাজেয়াপ্ত হয় বেশ কিছু কাগজ এবং পেন ড্রাইভ। ইডি সূত্রে খবর, সেই সব নথি থেকেই এসএসসির (Recruitment Scam) বেশ কয়েকজন আধিকারিকের নাম ও পরিচয় পাওয়া গিয়েছে।

    ইডি…

    ইডির আধিকারিকদের অনুমান, কুন্তল চাকরি প্রার্থীদের ভুয়ো ইন্টারভিউয়ের ব্যবস্থা করেছিলেন। তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল জাল জয়নিং লেটারও। অভিযোগ, নকল ইন্টারভিউয়ের ব্যবস্থা করা থেকে শুরু করেন ভুয়ো জয়েনিং লেটার তৈরি করতে কুন্তলকে সাহায্য করেছিলেন ওই আধিকারিকরা। তল্লাশি চালানোর সময় কুন্তলের বাড়ি থেকে বেশ কয়েকটি ওএমআর শিট উদ্ধার করেছিলেন তদন্তকারীরা। সেই সময় কুন্তল জানিয়েছিলেন, তথ্য জানার অধিকার আইনে ওই ওএমআর শিটগুলি পেয়েছিলেন তিনি। কুন্তলের এই দাবি অবশ্য বিশ্বাস করেননি তদন্তকারীরা। তাঁদের ধারণা, তদন্তের অভিমুখ ঘুরিয়ে দিতেই মিথ্যে তথ্য দিয়েছিলেন কুন্তল। ইডির আধিকারিকদের অনুমান, এসএসসির আধিকারিকদের সাহায্যেই ওএমআর শিটের মতো গুরুত্বপূর্ণ নথি পেয়েছিলেন তিনি। সেই কারণেই তাঁদেরও জেরা করা হবে।

    আরও পড়ুুন: ফের বাংলাদেশে আক্রান্ত সংখ্যালঘু হিন্দুরা, ১৪টি মন্দিরে ভাঙচুর, কী বলছে প্রশাসন?

    প্রসঙ্গত, শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারির (Recruitment Scam) ঘটনায় ইডির পাশাপাশি তদন্ত করছে সিবিআইও। সেই সময় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলের মুখ থেকে প্রথম শোনা যায় কুন্তলের নাম। তার পরেই কুন্তলকে নিজাম প্যালেসে ডেকে পাঠায় সিবিআই। পরে বেআইনি আর্থিক লেনদেনের ঘটনার তদন্তে নেমে কুন্তলকে গ্রেফতার করে ইডি। এদিকে, দুটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের দুটি অ্যাকাউন্টে নগদ সাড়ে ৬ কোটি টাকা জমা পড়েছিল। পরে দ্রুত সেই টাকা সরিয়ে দেওয়া হয় বিভিন্ন ব্যাঙ্কের অনেকগুলি অ্যাকাউন্টে। নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় ধৃত কুন্তলকে জেরা করে এবং বিভিন্ন নথি খতিয়ে দেখে এমনটাই জেনেছেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা। আগাম পরিকল্পনা করেই দুর্নীতির টাকা বিভিন্ন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার (Recruitment Scam) করা হয়েছে বলে ধারণা তাঁদের। ইডি সূত্রে খবর, স্কুলে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে প্রায় ১৯ কোটি টাকা নেওয়ার কথা জেরায় স্বীকার করেছেন কুন্তল। নিজের শেয়ারটুকু রেখে সেই টাকা তিনি পাঠাতেন প্রভাবশালীদের কাছে। যেসব বাড়ি, ফ্ল্যাট কিংবা অফিস খুলে চাকরি প্রার্থী ও এজেন্টদের সঙ্গে বৈঠক করতেন কুন্তল, সেগুলির দিকেও নজর রয়েছে ইডির।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share