মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পারমানবিক অস্ত্রসম্ভার (Nuclear Arsenal) বাড়াচ্ছে চিন (China)। এই মুহূর্তে ভারতের (India) প্রতিবেশী এই দেশটির হাতে রয়েছে ৩৫০টি পারমাণবিক ওয়ারহেড (warheads)। পাকিস্তানের হাতে রয়েছে ১৬৫টি। আর ভারতের হাতে রয়েছে মাত্র ১৬০টি। সুইডেনের এক সংস্থার রিপোর্টে এমনই তথ্য মিলেছে।
সুইডেনের অস্ত্র ব্যবসা ও নিরস্ত্রীকরণ ট্র্যাকিং ওয়াচডগ স্টকহোম ইন্টারন্যাশনার পিস রিসার্চ ইন্সটিটিউট, সংক্ষেপে সিপ্রি (sipri) সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তার বলা হয়েছে, গত কয়েক বছরে আন্তর্জাতিক সমীকরণগুলো পাল্টাতে শুরু করেছে। তাই সামরিক দিয়ে আরও বেশি শক্তিশালী হওয়ার চেষ্টা করছে ড্রাগনের দেশ। তারা জোর দিয়েছে মূলত পারমাণবিক প্রতিরোধ ও পাল্টা হামলার ওপর।
আরও পড়ুন : ভারতীয় নৌ, বায়ুসেনার হাতে আসছে দেশীয় "অস্ত্র"
সিপ্রি জানিয়েছে, ২০২১ সাল থেকে চিনের ওয়ারহেড মজুদের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। এই ওয়ারহেডগুলো ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বা পারমাণবিক অস্ত্র বহন করতে পারা বিমানের সাহায্যে ব্যবহার করা যাবে।
প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, এক দশক আগেও চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি মূলত তরল জ্বালানিযুক্ত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের ওপর নির্ভর করত। এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো স্থলভাগ থেকে উৎক্ষেপণ করা সম্ভব।সমুদ্র ভিত্তিক কয়েকটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাত্রও ছিল লালফৌজের দেশে। ২০১৭ সাল থাকে বদলাতে শুরু করেছে আন্তর্জাতিক সমীকরণ। আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্যিক যুদ্ধে নেমেছে চিন। তাইওয়ানকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েকটি বিদেশি শক্তির হুমকির মুখে পড়তে হয়েছে চিনকে। এর পরই সমরসজ্জা বাড়ানোয় জোর দিয়েছে শি জিনপিংয়ের দেশ। সম্প্রতি সিঙ্গাপুরের একটি সম্মেলনে যোগ দিতে গিয়ে পারমাণবিক অস্ত্র বৃদ্ধি করার কথা স্বীকারও করেছেন চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওয়েই ফেংহে। তিনি বলেন, চিন যেভাবে পারমাণবিক হামলা প্রতিরোধে নিজেদের প্রযুক্তিগত দিক থেকে উন্নত করেছে, তা প্রশংসার যোগ্য। চিনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলেন, চিন পারমাণবিক অস্ত্রের দিক থেকে নিজেদের ক্ষমতা বাড়ালেও, তা আত্মরক্ষার জন্য। চিন কোনওদিনই পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করবে না। তাঁর এই ‘স্বীকারোক্তি’র পরে পরেই প্রকাশ্যে আসে সিপ্রির প্রতিবেদন।
আরও পড়ুন : 'মেক ইন ইন্ডিয়া'য় এবার মার্কিন অস্ত্র?
+ There are no comments
Add yours