Mamata: লক্ষ্য পঞ্চায়েত ভোট, বিদ্যুৎ বিলে ব্যাপক ছাড়ের নির্দেশ

ঋণের ভারে জর্জরিত হয়েও দানছত্র খোলায় প্রশ্ন
WhatsApp_Image_2022-10-30_at_1814.30
WhatsApp_Image_2022-10-30_at_1814.30

পঞ্চায়েত ভোট (Panchayet election) সামনে আসতেই আর এক দফা ছাড়ের সিদ্ধান্ত রাজ্যের। এবার বিদ্যুৎ বিলে (electricity bill)। ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত যাঁরা বিদ্যুৎ বিল দিতে পারেননি, তাঁরা বিলের ওপর পঞ্চাশ শতাংশ ছাড় (waiver) পাবেন। বাকি পঞ্চাশ শতাংশ যদি এককালীন মিটিয়ে দেন, তাহলে বকেয়া জরিমানা আর দিতে হবে না। পয়লা নভেম্বর থেকে যে দুয়ারে সরকার (duare sarkar) প্রকল্প চালু হচ্ছে, সেখানেই মিলবে এই সুবিধা। তবে পশ্চিমবঙ্গ যখন দিন দিন ঋণের ভারে জর্জরিত, তখন কীভাবে এই দানছত্র খুলে বসা হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা (WBSEDCL) এর অধীনে ২ কোটি ১৯ লক্ষ গ্রাহক আছে। গ্রামীণ এলাকায় অনেক গ্রাহকই সঠিক সময়ে বিদ্যুৎ বিল মেটান না। কৃষির জন্য যাঁরা বিদ্যুৎ নেন, তাঁদেরও একটা অংশ এই বিল মেটাননি। এর জন্য আইন মেনেই তাদের সংযোগ ছিন্ন করা হয়েছে। তা আদায়েরও কোনও চেষ্টা করা হয়নি। ফলে 
ঋণের বোঝা চাপছে বিদ্যুৎ সংস্থার ঘাড়ে। এই বোঝাই আরও বাড়িয়ে পঞ্চায়েত ভোটের আগে জনমোহিনী পথে হাঁটার চেষ্টায় সরকার। 

গৃহস্থের পাশাপাশি কৃষিক্ষেত্রেও এই ছাড় মিলবে। শ্যালো টিউব ওয়েল, ডিপ টিউবওয়েল,সেচের জন্য নদী থেকে যারা বিদ্যুৎ খরচ করে জল তুলেছে, ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বকেয়া বিলের অর্ধেক তাদের মকুব করা হবে। বাকি ৫০ শতাংশ যদি এককালীন জমা দেয়, তাহলে আর জরিমানা লাগবে না। ব্যক্তিগত ক্ষেত্র ছাড়া  কৃষক কমিটিরাও এই সুযোগ পাবে। দুয়ারে সরকারের ক্যাম্প থেকেই এর জন্য ফর্ম মিলবে। ফর্ম ফিল আপের পর তড়িঘড়ি সংযোগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

কিন্তু প্রশ্ন উঠছে জনপ্রিয়তা কুড়োতে এই দান খয়রাতি কেন! কিছুদিন আগেই রাজ্যের আর্থিক স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই যে ছাড় দেওয়া হচ্ছে, সেই লোকসানের দায় চাপবে বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থার উপর। এমনিতেই সংস্থাকে সময়ে টাকা মেটাতে পারে না রাজ্য। কেন্দ্রের হিসেবে, বিদ্যুৎ উৎপাদন সংস্থার পাওনা মেটাতে গড়ে প্রায় ৩ মাস পর্যন্ত দেরি হয়ে যায় পশ্চিমবঙ্গের। ফলে তাদের ওপর বোঝা বাড়বে। সবমিলিয়ে বিপদ ডেকে আনবে গোটা বিদ্যুৎ ক্ষেত্রের। যার বিপর্যয়ে ভুগতে হবে রাজ্যের বহু কোটি মানুষকে।  

 

 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles