ই-কমার্স সেক্টরে ফ্লিপকার্ট (Flipkart) এবং অ্যামাজন (Amazon)-এর আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য ভারত সরকার নিয়ে আসছে নতুন একটি প্ল্যাটফর্ম। দেশের প্রায় ছ'কোটি খুচরো বিক্রেতা এর সুবিধা নিতে পারবে। খুব শীঘ্রই নিজস্ব ই-কমার্স মার্কেটপ্লেস চালু করতে চলেছে সরকার। এই উন্মুক্ত ডিজিটাল পরিকাঠামোর নাম ওপেন নেটওয়ার্ক ডিজিটাল কমার্স বা ওএনডিসি (Open Network for Digital Commerce)। এটি হবে এমন এক ধরনের ই-কমার্স মার্কেটপ্লেস যেখানে মুদি ব্যবসায়ীরাও নিজেদের রেজিস্ট্রেশান করাতে পারবেন।
বাণিজ্য মন্ত্রকের অধীনে কর্মরত শিল্প ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যের (ডিপিআইআইটি) উন্নয়ন বিভাগের অতিরিক্ত সচিব অনিল আগরওয়াল জানিয়েছেন যে, সরকার এই ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মটি দিল্লি, ব্যাঙ্গালুরু, কোয়েম্বাটুর, শিলং এবং ভোপাল থেকে শুরু করার প্রস্তুতি নিয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে এতে মানুষ কেমন সাড়া দিচ্ছেন তা দেখতে চায় সরকার। এই ৫টি শহরে প্রচুর পরিমান খুচরো বিক্রেতা এবং ব্যবসায়ী রয়েছেন। একইসঙ্গে অনেক লজিস্টিক পার্টনারকেও এর সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে।
সরকারের নিজস্ব ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম করার ভাবনা আসে করোনা মহামারীর সময়। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে এর কাজ শুরু হয়। সেই সময়ে, অনেক মানুষের কাছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ করতে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়েছিল সরকারকে, যার জেরে সরকারের এমন একটি উন্মুক্ত ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম তৈরির পরিকল্পনা আসে। এতে দেশের সেই সমস্ত ছোট দোকানদাররা এর ফলে উপকৃত হবেন। যাঁরা এখনও ই-কমার্স ইকোসিস্টেমের অংশ হয়ে উঠতে পারেননি, তাঁরা এর আওতায় আসবেন।
এতে এক ধরনের ওপেন রেজিস্ট্রি হবে। যাতে ছোট দোকানদাররা নিজেদের রেজিস্টার করাতে পারবেন। এর ফলে খুচরো বিক্রেতাদের অনলাইনে পণ্য বিক্রি করার জন্য আর আলাদা আলাদা ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে নিজেকে রেজিস্টার করাতে হবে না। এর ফলে গ্রাহকদেরও বিশেষ সুবিধা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এই ডিজিটাল খোলা বাজারের ভাবনাকে সফল করতে এগিয়ে এসেছেন ইনফোসিসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা নন্দন নীলকোনি।এর আগে নন্দন নীলেকানি কেন্দ্র সরকারকে আধার বায়োমেট্রিক আইডি সিস্টেম ডেভেলপমেন্টে সহায়তা করেছিলেন।
অন্য দিকে বৃহস্পতিবার অ্যামাজন ইন্ডিয়া এবং ফ্লিপকার্টের কিছু শীর্ষ সেলার-এর অফিসে কম্পিটিশন কমিশন অফ ইন্ডিয়া (CCI)-র অভিযান চালায়। এই অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছে কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স (CAIT)। কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স বা কেইট (CAIT)-এর সাধারণ সম্পাদক প্রবীণ খান্ডেলওয়াল,একটি বিবৃতিতে বলেছেন, এটি সিসিআই (CCI)-এর একটি সঠিক পদক্ষেপ। ক্লাউটডেল এবং অ্যাপারিও, যারা কি না অ্যামাজনের সেলার, তাদের অফিসে অভিযান চালানো হয়েছে। সেলারদের ঘরে তল্লাশির ব্যাপার নিয়ে অ্যামাজনের তরফে আপাতত কোনও মন্তব্য করা হয়নি। এই দুটি সংস্থাতেই অ্যামাজনের বিনিয়োগ রয়েছে।
+ There are no comments
Add yours