মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাটনায় পালাবদলের প্রস্তুতি শুরু করেছিলেন বহুদিন আগে থেকেই। কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী যখন করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তখনই তাঁকে ফোন করেন জেডিইউ প্রধান নীতীশ কুমার। সনিয়াকে ফোন করে নীতীশ দাবি করেন, বিজেপি তাঁর দল ভাঙার চেষ্টা করছে। তাঁকে যদি কংগ্রেস সাহায্যের আশ্বাস দেয় তাহলে তিনি বিকল্প ভাবতে পারেন বলে জানিয়েছিলেন নীতীশ। সূত্রের খবর, তখনই তাঁকে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন সনিয়া। সেই মতোই তেজস্বী যাদবের সাহায্য নিয়ে রাহুলের সঙ্গে কথা বলেন নীতীশ। তৈরি হয় পালাবদলের পট।
বিজেপির সঙ্গে বিরোধ-দূরত্বের মাঝেই কয়েকদিন আগেও কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধীকে ফোন করেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। জেডিইউ নেতার হঠাৎ এই ফোনেই বিহারে নতুন জোট ও সরকার গঠনের জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছিল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরসিপি সিং আনুষ্ঠানিকভাবে জেডিইউ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরই বিজেপি-জেডিইউ জোটের অন্দরে বিরোধ আরও বাড়ে। বিজেপি ছেড়ে বেরিয়ে আসেন নীতীশ। বুধবার কংগ্রেস, আরজেডির সঙ্গে মিলে নতুন সরকার গঠন করে জেডিইউ।
আরও পড়ুন: ‘পল্টুরাম’ হলেন ‘কাল্টুরাম’, নীতীশকে বেনজির আক্রমণ গিরিরাজের
২০২০ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের সময় থেকেই নীতীশ কুমার যে বিজেপির উপরে অসন্তুষ্ট ছিলেন, তা ঘনিষ্ট সূত্রেই জানা গিয়েছিল। সম্প্রতি নানা অনুষ্ঠানে তেজস্বী যাদব ও নীতীশ কুমরকে এক মঞ্চে দেখা যাওয়ায় এবং ইফতারের নিমন্ত্রণ রক্ষায় দুই নেতাই একে অপরের বাড়ি যাওয়ায় ফের একবার আরজেডি-জেডিইউয়ের কাছাকাছি আসার জল্পনা শুরু হয়েছিল। এরমধ্যে সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে কথোপকথন অগ্নিতে ঘৃতহুতির কাজ করে। ২০২০ সালের ভোটের ফল অনুযায়ী বিহারের বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ দল লালু প্রসাদ যাদবের আরজেডি। যদি জেডিইউ ফের একবার আরজেডির সঙ্গে হাত মেলায় এবং কংগ্রেসও সেই জোটে যোগ দেয়, তবে এনডিএ সরকারের পতন অবশ্যম্ভাবী। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে বিহারের মতো বিপুল জনসংখ্যা ও রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে সরকার বদল হলে তা মোদি সরকারের কাছে বড় ধাক্কা হবে।
+ There are no comments
Add yours