POK: পাক অধিকৃত কাশ্মীরে মার্কিন রাষ্ট্রদূত, ‘আজাদ কাশ্মীর’ মন্তব্যে কড়া প্রতিক্রিয়া ভারতের

pok

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাক অধিকৃত কাশ্মীরে (Pak Occupied Kashmir) গিয়েছিলেন পাকিস্তানের (Pakistan) মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডোনাল্ড ব্লোম। সেখানে গিয়ে তিনি বারংবার পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে (POK) আজাদ কাশ্মীর বলে উল্লেখ করেন। এর পরেই খেপে যায় ভারত। শুক্রবার ব্যক্ত করে কড়া প্রতিক্রিয়া। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি জানান, মোদি সরকারের বিরোধিতা উপেক্ষা করেও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে গিয়েছিলেন পাকিস্তানের মার্কিন রাষ্ট্রদূত। সে খবর জানানো হয়েছে ওয়াশিংটনকে।

জানা গিয়েছে, অক্টোবরের ৩ তারিখে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে (POK) গিয়েছিলেন ব্লোম। সেই ছবি তিনি শেয়ার করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। পরে করেন ট্যুইট। জানান, ওই অঞ্চলে ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলিতে গিয়েছিলেন তিনি। আরও জানান, মুজফফরাবাদে কায়েদ-ই-আজম মেমোরিয়াল ডাক বাংলো পরিদর্শনের কথাও। ১৯৪৪ সালে এই ভবনটি পরিদর্শন করেছিলেন মহম্মদ আলি জিন্না স্বয়ং। পাক অধিকৃত কাশ্মীর (POK) পরিদর্শনে গিয়ে এলাকাটিকে তিনি বারবার আজাদ কাশ্মীর বলে উল্লেখ করেন। ট্যুইট বার্তায় তিনি লেখেন, আদাজ কাশ্মীরে প্রথমবার পা রাখতে পেরে আমি সম্মানিত বোধ করছি।

প্রসঙ্গত, ১৯৯৪ সালে একটি রেজলিউশন পাশ করে ভারত। তাতে বলা হয়, পাক অধিকৃত কাশ্মীর (POK) ভারতেরই অংশ। পাকিস্তানকে অবশ্যই জায়গাটি খালি করে দিতে হবে। ছাড়তে হবে অবৈধ দখলদারি। চলতি বছর জুলাই মাসে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংও জানিয়ে দিয়েছিলেন পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতেই অংশ। তিনি বলেছিলেন, পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতেরই অংশ। এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।

আরও পড়ুন : নিষিদ্ধ ঘোষিত হওয়ার আগে পিএফআইকে প্রকাশ্যে সমর্থন পাকিস্তান দূতাবাসের

মার্কিন রাষ্ট্রদূতের পাক অধিকৃত কাশ্মীর (POK) সফর ভাল চোখে দেখেনি ভারত। জানিয়েছে জোরালো প্রতিবাদ। গত ১১ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা উন্নত করতে এবং এফ ১৬ যুদ্ধ বিমানকে ঢেলে সাজাতে ৪০০ বিলিয়ন ডলারের প্যাকেজ ঘোষণা করেছিল জো বাইডেনের দেশ। সেবারও তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল ভারত। সেই সময় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছিলেন, এটা সবাই জানে, কোথায় এবং কাদের বিরুদ্ধে এফ ১৬ যুদ্ধ বিমান ব্যবহার করে পাকিস্তান। আপনি এসব বলে কাউকে বোকা বানাতে পারবেন না। সেই ঘটনার রেশ পুরোপুরি মেলানোর আগেই পাক অধিকৃত কাশ্মীরে (Pak Occupied Kashmir) গিয়ে ফের বিতর্কের সৃষ্টি করল আমেরিকা।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share