Teesta Setalvad: তিস্তার গ্রেফতারি নিয়ে উদ্বেগ রাষ্ট্রপুঞ্জের, কী বলল ভারত? 

Teesta

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমাজকর্মী তিস্তা শেতলবাদ (Teesta Setalvad) ও দুই প্রাক্তন পুলিশ আধিকারিকের গ্রেফতারির প্রতিবাদ জানিয়েছিল রাষ্ট্রপুঞ্জ (UN)। অবিলম্বে তাঁদের মুক্তিও দাবি করেছিল তারা। বুধবার তারই কড়া প্রতিক্রিয়া দিল ভারত (India)। জানিয়ে দিল, এই ধরনের মন্তব্য সম্পূর্ণ অনভিপ্রেত। প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে তিস্তা ও ওই দুই প্রাক্তন পুলিশ কর্তাকে গ্রেফতার করেছিল গুজরাট পুলিশের এসটিএফ (STF)। এদিকে, অন্য একটি ঘটনায় সোমবার গ্রেফতার করা হয় সাংবাদিক মহম্মদ জুবেরকে।

সম্প্রতি রাষ্ট্রপুঞ্জের তরফে করা একটি ট্যুইটে তিস্তা সহ তিনজনের গ্রেফতারিতে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। এবং দ্রুত তাঁদের মুক্তির দাবিও জানানো হয়। ট্যুইটারে মানবাধিকার পরিষদ লিখেছে, তিস্তা শেতলবাদকে আটক ও গ্রেফতার করার ঘটনায় আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। অবিলম্বে তাঁর মুক্তির দাবি জানাচ্ছি। আন্দোলন করা এবং ২০০২ এর গুজরাট দাঙ্গায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকার জন্য কাউকে শাস্তি দেওয়া যায় না।

আরও পড়ুন : গ্রেফতার তিস্তা, জালিয়াতি ও ষড়যন্ত্রের মামলা রুজু

এদিকে, জুবেরের গ্রেফতারির প্রতিবাদ জানিয়েছেন রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিয়ো গুতারেসের মুখপাত্র। তিনি বলেন, একজন সাংবাদিক কী লিখলেন বা ট্যুইট করলেন, সেজন্য তাঁকে জেলে বন্দি করা যায় না।

রাষ্ট্রপুঞ্জের এহেন মন্তব্যে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারত। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বিবৃতি জারি করে জানিয়েছেন, তিস্তা শেতলবাদ ও অন্যদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার পরিষদের মন্তব্য তাঁরা শুনেছেন। বাগচি বলেন, এই ধরনের মন্তব্য সম্পূর্ণ অনভিপ্রেত ও ভারতের স্বাধীন বিচার বিভাগীয় ব্যবস্থায় নাক গলানোর শামিল। দেশের বর্তমান বিচার প্রক্রিয়া অনুযায়ী ভারত সরকার আইন লঙ্ঘনকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়। এই ধরনের আইনি পদক্ষেপকে আন্দোলন-দমন হিসেবে দাগিয়ে দেওয়া একেবারেই মেনে নেওয়া যায় না। এর ফলে আসলে ভুল বোঝাবুঝি হয়।

আরও পড়ুন : কে এই তিস্তা শেতলবাদ? জানুন

প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে গ্রেফতার করা হয় তিস্তা ও দুই প্রাক্তন পুলিশ কর্তাকে। দিল্লিতে সোমবার গ্রেফতার করা হয় অল্ট নিউজের সহ প্রতিষ্ঠাতা মহম্মদ জুবেরকে। উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের বিভিন্ন উসকানিমূলক বক্তৃতা নিরন্তর সমাজমাধ্যমে তুলে ধরা জুবেরকে গ্রেফতার করা হয় ২০১৮ সালের একটি ট্যুইটের জেরে। এর পরেই রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার পরিষদের পাশাপাশি মহাসচিবের মুখপাত্রের তরফেও প্রকাশ করা হয় উদ্বেগ।

 

 

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share