R Praggnanandhaa: শহরে দাবা বিশ্বকাপের রানার্স! মা-ই মনের জোর, সিনেমাও ভালবাসেন জানালেন প্রজ্ঞানন্দ

761920-untitleddesign37

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বয়স মাত্র ১৮ বছর। এর মধ্যেই বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলেছেন। বিশ্বনাথন আনন্দের পর তিনিই প্রথম ভারতীয়, যিনি এই কৃতিত্ব গড়লেন। যদিও জিততে পারেননি। কিন্তু ভারতীয়দের মধ্যে দাবা নিয়ে আগ্রহ তৈরি করার কাজটা করে ফেলেছেন রমেশবাবু প্রজ্ঞানন্দ। সোমবার সকালে বাইপাসের ধারে একটি পাঁচতারা হোটেলে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন তামিল তরুণ দাবাড়ু। সেখানেই বিশ্বকাপের শিক্ষা থেকে প্রিয় ক্রিকেটার একাধিক বিষয়ে নিজের মতামত জানালেন প্রজ্ঞানন্দ।

মন ভাল করে সিনেমা

দাবা ছাড়াও তাঁর পছন্দের বিষয় হল সিনেমা। দাবা থেকে বিরতি নিয়ে মন ভাল রাখার জন্য সব রকমের সিনেমা দেখেন বলে জানালেন প্রজ্ঞা। এছাড়া ক্রিকেটও দেখেন। ৩৬ মিনিটের প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রজ্ঞানন্দ বললেন, “আমি ক্রিকেট দেখি। ভারতীয় দলের খেলা দেখতে ভাল লাগে। রবিচন্দ্রন অশ্বিন আমার প্রিয় খেলোয়াড় কারণ ও দাবা খেলতে পছন্দ করে।”

মা মানসিক জোর

তিলোত্তমায় বসেছে দাবার সর্বভারতীয় আসর। বিগত কয়েকবছর ধরে এই প্রতিযোগিতার অন্যতম মুখ ছিলেন বিশ্বনাথন আনন্দ। কিন্তু চলতি বছরে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের থেকেও আর্কষণের কেন্দ্রবিন্দুতে রমেশবাবু প্রজ্ঞানন্দ। বিশ্বকাপের সময় দেখা গিয়েছে, প্রজ্ঞার মা নাগালক্ষ্মী সব সময় তাঁর পাশে রয়েছেন। প্রজ্ঞা মনে করেন দাবা খেলতে গেলে, পরিবারের পাশে থাকাটা খুব প্রয়োজন। প্রজ্ঞানন্দ বললেন, “প্রতিপক্ষ হয়তো আমার মুখ দেখে বুঝতে পারে না, আমি চাপে আছি কি না। কিন্তু মা পারে। আমার মুখ দেখে মা বলে দিতে পারে ম্যাচের কোন সময় আমি একটু চিন্তিত। মায়ের পাশে থাকাটা আমার কাছে খুবই বড় একটা মানসিক জোর। প্রতিযোগিতা যখন চলে, সেই সময় আমার মাথায় দাবা ছাড়া আর কিছু থাকে না। মা সব কিছু সামলে নেয়। বাইরে খেলতে গিয়ে আমি যাতে ঘরের খাবার খেতে পারি, সেই ব্যবস্থাও করে মা। ভারতীয় খাবার খেতেই পছন্দ করি আমি।”

আরও পড়ুন: ধরাশায়ী ইস্টবেঙ্গল, ১০ জনে খেলেও ডুরান্ড জয় মোহনবাগানের

এই তো সবে শুরু

বিগত কয়েক বছরে উল্কার গতিতে উত্থান হয়েছে তাঁর। প্রতিদ্বন্দ্বীদের পিছনে ফেলে সামনের সারিতে উঠে এসেছেন প্রজ্ঞা। তবে আত্মতুষ্টিকে নিজের মধ্যে জায়গা দিতে নারাজ তামিল তরুণ। তাঁর কথায়, ‘আমি মনে করি অনেক অনেক দূর যেতে হবে। এই তো সবে শুরু। আমি এসব নিয়ে ভাবছি না। কঠিন পরিশ্রম করছি। খেলার প্রতি ফোকাস করছি।’ একইসঙ্গে তাঁর সংযোজন, ‘মানসিকভাবে ঠিক থাকাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। মানসিক দিক থেকে ভালো থাকতে হয়। একইসঙ্গে শারীরিক সুস্থতা প্রয়োজন । আক্রমণ এবং রক্ষণ দুটোই খেলার অঙ্গ। কিছু কিছু সময় বদল করতে হয় রণকৌশল।’ বিশ্ব ক্রমতালিকায় ১৯ নম্বরে উঠে এসেছেন প্রজ্ঞানন্দ। ভারতীয়দের মধ্যে তাঁর সামনে ডি গুকেশ (অষ্টম) এবং বিশ্বনাথন আনন্দ (নবম)। প্রজ্ঞানন্দ জানালেন তাঁর দাবা শেখার পিছনে বিরাট কৃতিত্ব রয়েছে আনন্দের। 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share