Kiren Rijiju: বিচারাধীন মামলাগুলির দ্রুত নিষ্পত্তিতে পূর্ণ সহযোগিতা করবে কেন্দ্র, বললেন আইনমন্ত্রী

Kiren_Rijiju

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদালতে বিচারাধীন মামলাগুলির সমাধানে কেন্দ্র বিচার বিভাগকে সম্পূর্ণ সহযোগীতা করছে। এমনটাই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু (Kiren Rijiju)। হরিয়ানার কুরুক্ষেত্র বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এক সম্মেলনে আইনমন্ত্রী বলেন,  সারা দেশে বিভিন্ন আদালতে পাঁচ কোটিরও বেশি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।

কী বলেছেন আইনমন্ত্রী?   

তিনি (Kiren Rijiju) বলেন, “মামলাগুলি সমাধানে বিচার বিভাগকে পূর্ণ সমর্থন করছে কেন্দ্রীয় সরকার। সম্প্রতি বেশ কয়েকজন রাজনীতিবিদ প্রচার করছেন যে কেন্দ্র এবং বিচার বিভাগের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি হয়েছে। দাবি করা হয়েছে সরকার বিচার বিভাগের কর্তৃত্ব দখল করার চেষ্টা করছে। কিন্তু নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দেশ পরিচালনার ক্ষেত্রে সংবিধানকে একটি ধর্মগ্রন্থ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। দেশের জনগণকে বিচার করতে হবে কারা এই ব্যবস্থাকে ধ্বংস করতে চাইছে। বিচারকদের অবশ্যই জনগণের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকতে হবে, সরকারের প্রতি নয়। বিচার বিভাগ অবশ্যই দেশের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

তিনি (Kiren Rijiju) আরও বলেন, “বিচারে বিলম্ব করা উচিত নয়। সুপ্রিম কোর্টে এমন অনেক আইনজীবী আছেন যাদের মামলার তারিখ আগে আসে এবং কেউ কেউ বলেন যে আপনি যদি তাদের মামলা দেন, তারা আপনাকে এটি জিততে সহায়তা করবে। ওই আইনজীবীরা একবার হাজিরার জন্য ৩০-৪০ লক্ষ টাকা নেন। বাকিরা কোনও কাজ পান না। কেন এমনটা হবে? নিয়ম সবার জন্য একই হওয়া উচিত।”

কিরেন রিজিজু (Kiren Rijiju) বলেন, “কিছু আইনজীবী আছেন যারা বড় বড় সব মামলা পরিচালনা করে কোটি কোটি টাকা আয় করেন। বড় আইনজীবীদের পুরো জায়গা দখল করা উচিত নয়, ছোট আইনজীবীদের সুযোগ দেওয়া এবং অন্যদের সঙ্গে মামলা ভাগাভাগি করে নেওয়া উচিত।” তিনি আরও বলেন, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীরাও নিম্ন আদালতে যেতে পারেন। সর্বোপরি, আদালত তো আদালতই।” 

আরও পড়ুন: বান্ধবীকে স্ক্রুডাইভার দিয়ে ৫১ বার আঘাত করে খুন করল বাস কন্ডাক্টর 

এর আগে কিরেন রিজিজু (Kiren Rijiju) রাজ্যসভায় বলেছিলেন যে আদালতে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা বেড়েছে। এক্ষেত্রে বিচারক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনও পরিবর্তন না আসা পর্যন্ত এ সমস্যা থাকবেই। রিজিজু বিচারক নিয়োগে সরকারের সীমিত ভূমিকা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, এটা সংবিধানের চেতনার পরিপন্থী।

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share