মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেঙ্গালুরুর (Mangaluru) অটো বিস্ফোরণের (Blast) ঘটনায় ক্রমেই বাড়ছে রহস্য। উঠে আসছে একাধিক তথ্য। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার সঙ্গে কোয়েম্বাতুর ঘটনার কোনও যোগসূত্র রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশরা অনুমান করেছেন যে, এই ঘটনায় হাত থাকতে পারে আইএসআইএস (ISIS) জঙ্গিদের। সূত্রের খবর, রবিবার মূল অভিযুক্ত শরীকের বাড়িতে হানা দিয়েছে পুলিশ। সেখানে গিয়ে তল্লাশি চালানো হয় ও একাধিক তথ্য উঠে আসে।
কী কী তথ্য উঠে এসেছে?
সূত্রের খবর অনুযায়ী, রবিবার ওই ঘটনায় (Mangaluru) মূল অভিযুক্তের মাইসুরের ভাড়া বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। এলাকায় বোমা স্কোয়াডও মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশের মতে, শরীক গত একমাস ধরে একটি ঘর ভাড়া নিয়ে ছিল। বাড়ির মালিককে সে ভাড়া নেওয়ার সময় জানিয়েছিল, সে মোবাইল রিপেয়ার ট্রেনিং-এর জন্য শহরে থাকছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে যে, শরীক একটি আধার কার্ড ব্যবহার করছিল যেটি তার নয়। এরপর কার্ডের মালিকের সন্ধানও পাওয়া গেছে। তিনি কর্ণাটকের হুব্বলি জেলার বাসিন্দা প্রেমরাজ হুতাগি। তিনি দাবি করেছেন, তাঁর আধার কার্ডটি হারিয়ে গিয়েছিল ও এই ঘটনার সঙ্গে তাঁর কোনও যোগ নেই।
উল্লেখ্য, শনিবারের ঘটনার পর কর্ণাটক (Karnataka) পুলিশের ডিজি নিশ্চিতভাবে জানিয়ে দেন, এই বিস্ফোরণ কোনও দুর্ঘটনা নয়। প্রচুর ক্ষয়ক্ষতির উদ্দেশ্য নিয়ে ঘটানো হয়েছে এই বিস্ফোরণ। আর এর পিছনে রয়েছে নাশকতার ছক। সেদিন বিস্ফোরণের পর একটি ব্যাগের ভিতরে ব্যাটারি ও বিস্ফোরকে ঠাসা প্রেশার কুকার উদ্ধার করা হয়েছিল। এই ঘটনার মূল অভিযুক্তর থেকে এখনও কোনও বয়ান নেওয়া যায়নি। এছাড়াও অটোচালক ও এক যাত্রীও বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আরও পড়ুন: মেঙ্গালুরুতে যাত্রিবাহী অটোরিক্সায় বিস্ফোরণ জঙ্গি হামলা!
কোয়েম্বাতুর ও মেঙ্গালুরুর ঘটনার যোগসূত্র
রাজ্যের পুলিশ প্রধান প্রবীন সুদ বলেছেন, “আমরা সাম্প্রতিক কোয়েম্বাতুর বিস্ফোরণের সঙ্গে তার যোগসূত্র উড়িয়ে দিচ্ছি না।" এর আগে খবরে উঠে এসেছিল যে, চলতি বছরের ৩ অক্টোবর কোয়েম্বাতুরের বিস্ফোরণে নিহত জামেজা মুবিন আইএস জঙ্গিদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। ফলে এই মেঙ্গালুরুর (Mangaluru) ঘটনার মূল অভিযুক্ত শরীকের সঙ্গে মুবিনের সম্পর্ক রয়েছে কিনা, তা নিয়ে তদন্ত চালানো হচ্ছে। ফলে এতেও যে জঙ্গি সংগঠনের যোগ রয়েছে, তাও সন্দেহ করা হচ্ছে। কারণ পুলিশ তদন্ত করে জানতে পেরেছে যে, মহম্মদ শরীক সেপ্টেম্বরে কোয়েম্বাতুরের সিঙ্গানাল্লুর পাড়ায় গিয়েছিল ও সেখানে এক শিক্ষকের সঙ্গে বন্ধুত্ব করেই তাঁর নামে সিম কার্ড নিয়েছিল। এই ২৮ বছর বয়সী শিক্ষক নীলগিরি জেলার থুমানাট্টির বাসিন্দা, যাঁকে ইতিমধ্যে কর্ণাটক পু্লিশ জিজ্ঞাবাদের জন্য আটক করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে যে, এটি একটি কাকতালীয় ঘটনা হতে পারে না যে, কোয়েম্বাতুরে গাড়ি বিস্ফোরণের কয়েক দিন আগেই শরীক সেখানে গিয়েছিল। তাই পুলিশ জানিয়েছে, শরীক ও মুবিনের মধ্যে কোনও যোগ রয়েছে কিনা ও তারা আইএস জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে (Mangaluru)।
+ There are no comments
Add yours