Mission 2047: ২০৪৭ সালের মধ্যে তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হতে চাইছে ভারত

India gears up for labour code

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অতিমারিকালে খানিকটা ধাক্কা খেয়েছিল ভারতীয় অর্থনীতির গতি। অতিমারি পর্ব পেরিয়ে ফের ছন্দে ফিরছে দেশের অর্থনীতির গতি। ২০২৩ সালে আগের চেয়ে বেড়েছে ভারতীয় অর্থনীতির গতি। সম্প্রতি এ নিয়ে তথ্য প্রকাশ করেছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক। তারা জানিয়েছে, চলতি অর্থবর্ষে ভারতের জিডিপি গ্রোথ ৬.৪ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৬.৯ শতাংশ। ভারতের নীতি (Mission 2047) এবং সংস্কারের কারণেই ফের বাড়ছে অর্থনীতির রথের চাকার গতিবেগ। বিশ্ব ব্যাঙ্কের ইন্ডিয়া কানট্রি ডিরেক্টর অগাস্টি টানো কুয়ামি এজন্য ভারতের মাইক্রো ইকোনমিক ফান্ডামেন্টালসকে ক্রেডিড দিচ্ছেন।

গ্রোথ রেট…

ভারত সরকারের নিজস্ব প্রোজেকশন অনুযায়ী ২০২২-২০২৩ অর্থবর্ষে ইন্ডিয়ার গ্রোথ রেট দাঁড়াবে ৭ শতাংশে গিয়ে। স্ট্যাটিসটিকস অ্যান্ড প্রোগ্রাম ইমপ্লিমেন্টেশন মন্ত্রকের মতে, বিশ্বের অনেকে দেশ যেখানে অর্থনীতিতে নানা সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে, সেখানে ভারতের অর্থনীতির স্বাস্থ্য তুলনায় ভাল। ওই মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ভারতের নমিনাল জিডিপি বৃদ্ধির হার ধরে নেওয়া হচ্ছে ১৫.৪ শতাংশ। অর্থনীতিবিদদের মতে, সরকারের সংস্কার নীতি – সবচেয়ে বেশি কার্যকরী লিংকড ইনসেন্টিভ স্কিম এবং পিএম গতি শক্তির জেরে ভারতীয় অর্থনীতির এই ফল।  

আরও পড়ুুন: জীবন কাটছে জেলখানায় বন্দিদের মতো! চিনের শিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিমদের কী অবস্থা জানেন?

অর্থনীতিবিদদের একাংশের মতে, ভারত সফলভাবেই বিভিন্ন ওয়েলফেয়ার স্কিম ও পরিকাঠামো উন্নয়নের ক্ষেত্রে ব্যালেন্স করে চলছে। ভারত দেশের লক্ষ লক্ষ পরিবারে খাদ্য নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করেছে। অতিমারি পর্বের পরেও এই ধারা অব্যাহত রয়েছে। পরিকাঠামোগত ক্ষেত্রেও ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। যার জেরে এগিয়ে চলেছে ভারতীয় অর্থনীতির চাকা। বিশেষজ্ঞদের মতে, রেকর্ড করেছে ভারতের এক্সপ্রেসওয়ে। অসংখ্য এক্সপ্রেয়ওয়ে তৈরির পাশাপাশি ফ্রেট করিডর তৈরিও ভারতকে নিয়ে গিয়েছে ভিন্ন উচ্চতায়। যার জেরে ভারত পরিণত হয়েছে ব্র্যান্ড ইন্ডিয়ায়। ভারতের লক্ষ্য হল, লজিস্টিক কস্ট যথা সম্ভব কমিয়ে দেওয়া। বর্তমানে রয়েছে ১৪ শতাংশ। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে একে নিয়ে আসা হবে ৮ শতাংশে। পরবর্তীকালে এই কস্ট নিয়ে আসা হবে ৬ শতাংশে। লজিস্টিকের উন্নতি হলে বাড়বে লগ্নিও। ফরেন ডায়রেক্ট ইনভেস্টমেন্ট রুলসও কাজে আসবে। আশা করা যাচ্ছে, চলতি আর্থিক বর্ষে এই প্রথম ফরেন ডায়রেক্ট ইনভেস্টের পরিমাণ দাঁড়াতে চলেছে ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বর্তমানে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ ভারত। দীর্ঘদিন এই জায়গাটা দখল করেছিল ব্রিটেন। সেই জায়গা নিয়েছে ভারত। নয়াদিল্লির লক্ষ্য, ২০৪৭ সালের (Mission 2047) মধ্যে তৃতীয় স্থানে আসা।  

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share