মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোনও প্রতিষেধকই বাগে আনতে পারছে না প্লাসমোডিয়াম ফ্যালসিপরামকে (ম্যালিগন্যান্ট ম্যালেরিয়া)। সারা পৃথিবীতেই দাপট দেখাচ্ছে ম্যালেরিয়া (Malaria Vaccine)। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) ফলাও করে জানিয়েছিল, ম্যালেরিয়ার প্রতিষেধক এসে গিয়েছে। এ বার মারণ অসুখের প্রকোপ কমে যাবে। আদতে তা হয়নি। তবে, এবার দিশা দেখাচ্ছেন ভারতীয় বিজ্ঞানীরা। দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (JNU Scientists) গবেষকেরা দাবি করেছেন এমন এক ভ্যাকসিন ক্যানডিডেটের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে যা নাশ করবে ম্যালেরিয়ার জীবানুকে। তবে এনিয়ে গবেষণা চলছে।
জেএনইউ গবেষকদের দাবি
দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (JNU Scientists) গবেষকেরা দাবি করেছেন, এমন এক ভ্যাকসিন ক্যানডিডেটের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে, যা ম্যালেরিয়ার জীবাণুকে সমূলে নাশ করবে। আইসায়েন্স বিজ্ঞান পত্রিকায় এই গবেষণার খবর ছাপা হয়েছে। জেএনইউ-এর মলিকিউলার মেডিসিন বিভাগের দুই অধ্যাপক শৈলজা সিং এবং আনন্দ রঙ্গনাথন এমন এক উপাদানের খোঁজ পেয়েছেন, যা ম্যালেরিয়ার (Malaria Vaccine) পরজীবীকে মানুষের শরীরে বাসা বাঁধতে বাধা দেবে। গোড়া থেকেই রুখে দেবে সংক্রমণ। উল্লেখ্য, প্রতি বছর ম্যালেরিয়ার (Malaria Vaccine) কোপে বিশ্বে চার লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। বিশেষ করে আফ্রিকায় মহামারীর চেহারা নিয়েছে ম্যালেরিয়া। ম্যালেরিয়াতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে শয়ে শয়ে মানুষের। এত মানুষের মৃত্য়ুতে চিন্তিত আন্তর্জাতিক চিকিৎসক ও বিজ্ঞানী মহল। ভারতেও ম্যালেরিয়ার প্রকোপ কম নয়। বর্ষা এলেই ম্যালেরিয়া বিভিন্ন রাজ্য়ে ভয়ংকর আকার ধারণ করে।
আরও পড়ুন: এক মাস ধরে পরিকল্পনা শহরে, বাংলাদেশ সাংসদকে খুনের ঘটনা স্বীকার অভিযুক্তের
কীভাবে রোখা যাবে ম্যালেরিয়া সংক্রমণ
অধ্যাপক শৈলজা সিং, অধ্যাপক আনন্দ রঙ্গনাথন এবং তাঁদের দল এমন এক রিসেপটর প্রোটিনের খোঁজ পেয়েছেন, যা ম্যালেরিয়ার পরজীবীকে মানুষের শরীরে ঢুকে বংশবিস্তার করতে সাহায্য করে। সাধারণত, ম্যালেরিয়ার (Malaria Vaccine) পরজীবী মশার লালার মাধ্যমে মানুষের শরীরে প্রবেশ করে। তারপর তা রক্তস্রোতে বয়ে গিয়ে যকৃতে সোজা পৌঁছে যায়। যকৃতে বংশবিস্তার করে পৌঁছয় মেরোজয়েট দশায়। তারপর সরাসরি লোহিত রক্তকণিকাকে ধাক্কা দেয়। সেখানেও ম্যালেরিয়ার জীবাণুর একটা জীবনচক্র শুরু হয়। সংখ্য়ায় তারা দ্রুত বাড়তে থাকে তারা। একটা সময় লোহিত রক্তকণিকার দেওয়াল ফাটিয়ে ছড়িয়ে পড়ে রক্তে। যে নির্দিষ্ট প্রোটিনের সাহায্যে এই জীবাণুরা মানুষের শরীরের সুস্থ কোষগুলিকে সংক্রমিত করে সেই প্রোটিনটিকে আলাদা করে জেএনইউ-এর গবেষকরা চিহ্নিত করেছেন। এর উদ্দেশ্য হল, ওই প্রোটিন দিয়েই ভ্যাকসিন তৈরি করে ম্যালেরিয়ার (Malaria Vaccine) পরজীবীদের মানুষের শরীরে সংক্রমণ ছড়াতে বাধা দিতে পারবে।গবেষকরা (JNU Scientists) বলছেন, গবেষণা চলছে ওই প্রোটিন নিয়ে। খুব তাড়াতাড়ি বানিয়ে ফেলা যাবে আরও উন্নত মানের ম্যালেরিয়ার টিকা।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours