Chhota Shakeel Aide Arrested: দাউদ ঘনিষ্ঠ  ছোটা শাকিলের আত্মীয়কে গ্রেফতার করল এনআইএ 

Dawood_Ibrahim

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় পুলিশের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় কয়েক দশক ধরেই শীর্ষে রয়েছে কুখ্যাত গ্যাংস্টার দাউদ ইব্রাহিমের (Dawood Ibrahim) নাম। ভারতের পুলিশ থেকে গোয়েন্দা সংস্থা সবারই নজরে দাউদ ইব্রাহিমের গ্যাং। কিন্তু কিছুতেই এই গ্যাং- কে ছোঁয়া গেল না। অবশেষে আংশিক সফলতার মুখ দেখলেন গোয়েন্দারা। 

দাউদ ইব্রাহিমের ডান হাত ছোটা শাকিলের (Chota Shakeel) এক আত্মীয়কে গ্রেফতার করল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। বৃহস্পতিবার মুম্বই থেকে সালিম কুরেশি (Salim Qureshi) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে এনআইএ (NIA)। 

আরও পড়ুন: পাকিস্তানে বসেই ভাইবোনদের প্রতিমাসে ১০ লক্ষ টাকা পাঠায় দাউদ! দাবি ইডি-র

জানা গিয়েছে, চলতি বছরের মে মাসেই সালিম কুরেশিকে আটক করেছিল সন্ত্রাস দমন শাখা। মুম্বই ও থানে মিলিয়ে ২০ জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়েছিল দাউদ ইব্রাহিম, ছোটা শাকিল ও তাদের পুরো গ্যাংয়ের খোঁজে। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর এনআইএ দাউদ ইব্রাহিম, ছোটা শাকিল ও তাদের ঘনিষ্ঠ সঙ্গীদের নামে এফআইআর দায়ের করা হয়। 

অর্থপাচার, নাশকতা, আলকায়দা-জেইএমের মতো জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সম্পর্ক, সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে অর্থ যোগানোর মতো অপরাধমূলক ঘটনায় জড়িত ছিলেন এই সালিম কুরেশি। এমনটাই দাবি এনআইএ-র। এমনকী ছোটা শাকিল পাকিস্তানে বসে গ্যাং পরিচালনা করতেন, আর ভারতে তার দায়িত্বে ছিলেন এই সালিম ফ্রুট। তোলাবাজি থেকে নাশকতার ছক সবকিছুই পরিচালনা করত সালিম। 

আরও পড়ুন: মুম্বইজুড়ে দাউদ-সঙ্গীদের খোঁজে হানা এনআইএ-র, গ্রেফতার ছোটা শাকিলের ভগ্নিপতি

সালিম কুরেশিই সালিম ফ্রুট নামেও পরিচিত। তাঁকে জেরা করেই জানা গিয়েছে, পাকিস্তান থেকে বসেই ভারতে হামলা চালানোর ছক কষেছিলেন দাউদ ইব্রাহিম। এই হামলা চালানোর জন্য একটি বিশেষ দলও গঠন করেন দাউদ। মূলত দেশের বড় রাজনীতিবিদরাই তাদের টার্গেট ছিল। পুলিশের এফআইআরেও উল্লেখ করা হয়েছে, যে দাউদ ইব্রাহিম ও ছোটা শাকিল পাকিস্তান থেকে এখনও ভারতে নাশকতার ছক কষছেন।   
 
এর আগে ইডি যখন সালিম কুরেশিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল পুলিশ, সেই সময় সালিম জানিয়েছিল যে পাকিস্তানের করাচিতে ক্লিফটন এলাকায় গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন দাউদ ইব্রাহিম ও ছোটা শাকিল।  

১৯৯৫-৯৬ সালে ভারত ছেড়ে পালান ছোটা শাকিল। কিন্তু বন্ধ হয়নি তাঁর ভারতে অপরাধমূলক কার্যকলাপ। পাকিস্তানে বসেই তিনি ভারতীয় গ্যাং পরিচালনা করতেন। সালিম ফ্রুটের দাবি, বর্তমানে তিনি ছোটা শাকিলের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ রাখেন না। ২০০৬ সাল অবধি তাঁর সঙ্গে কথাবার্তা হত। ২০০০ সাল থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে তিন-চারবার পাকিস্তানে ছোটা শাকিলের বাড়িতেও যান সালিম। কিন্তু বেআইনি কার্যকলাপের বিষয়ে জানতে পেরেই ধীরে ধীরে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।         
 
দাউদের সঙ্গে কখনও সাক্ষাৎ হয়নি। পুলিশের সামনে এমনটাই দাবি করেছেন সালিম। তবে ছোটা শাকিল যে মুম্বইয়ে দাউদের যাবতীয় বেআইনি কার্যকলাপ পরিচালনা করতেন, সে বিষয়ে জানতেন তিনি। করাচির ওই এলাকায় ছোটা শাকিলের থাকার ব্য়বস্থাও খোদ দাউদই করিয়ে দিয়েছিলেন বলে দাবি রয়েছে।  

দাউদ ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে নাশকতা, সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সঙ্গে যোগসাজস, অর্থপাচারসহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। কিন্তু আজও দাউদ সেই অধরাই। 

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share