Blog

  • G20 Summit: আগামী বছর ভারতে হতে চলেছে জি-২০ বৈঠক

    G20 Summit: আগামী বছর ভারতে হতে চলেছে জি-২০ বৈঠক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে বসতে চলেছে জি-২০ (G20 Summit) বৈঠকের আসর। মঙ্গলবার বিদেশ মন্ত্রকের তরফে এক বিবৃতিতে একথা জানানো হয়েছে। সূত্রের খবর, ২০২৩ সালের অর্থাৎ আগামী বছর ৯ এবং ১০ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে জি-২০ সম্মেলন আয়োজন করা হবে। এদিন বিদেশ মন্ত্রকের প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারত এক বছরে সারা দেশে ২০০ টিরও বেশি জি-২০ বৈঠকের আয়োজন করবে । প্রসঙ্গত, চলতি বছরের নভেম্বর মাসে ইন্দোনেশিয়া বসতে চলেছে জি-২০ গোষ্ঠীর দেশগুলির শীর্ষ সম্মেলন।

    আরও পড়ুন: ‘‘রাজ্যটাকে উত্তর কোরিয়া বানিয়ে দিয়েছেন ‘লেডি কিম’…’’, মমতাকে আক্রমণ শুভেন্দুর

    ১৯৯৯ সালে জি-২০ রাষ্ট্রগোষ্ঠীর গঠন করা হয়। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় অর্থনীতির ১৯টি দেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন (EU) এই গোষ্ঠীর সদস্য। গোটা বিশ্বের জিডিপির ৮০ শতাংশেরও বেশি এবং বিশ্ব বাণিজ্যের ৭৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করে  জি-২০ গোষ্ঠী। বিশ্বের জনসংখ্যার ৬০ শতাংশ এই গোষ্ঠীর সদস্য দেশগুলির নাগরিক। প্রথম থেকেই ভারত এই শক্তিশালী অর্থনৈতিক গোষ্ঠীর সদস্য। বিদেশ মন্ত্রক আগেই জানিয়েছিল, ২০২২ সালের ১ ডিসেম্বর থেকেই ভারত এই গোষ্ঠীর সভাপতিত্ব করবে এবং ২০২৩ সালে প্রথমবারের মতো জি-২০ রাষ্ট্রনেতাদের শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করবে। ২০২৩ সালের নভেম্বর মাস পর্যন্ত ভারত এই গোষ্ঠীর সভাপতিত্ব করবে। এই সময় ভারতে জি-২০গোষ্ঠীর ২০০টিরও বেশি বৈঠক হবে দেশের নানা প্রান্তে। তামিলনাড়ু থেকে জম্মু-কাশ্মীর নানা জায়গায় বৈঠকে বসবেন রাষ্ট্রনেতারা। 

    আরও পড়ুন: গোগরা-হটস্প্রিং থেকে সরল দুদেশের জওয়ান! চিন-সীমান্তে প্রস্তুত ভারত, বললেন পূর্বাঞ্চলীয় সেনাপ্রধান

     জি-২০ গোষ্ঠীর মধ্যে রয়েছে,আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চিন, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইতালি, জাপান, কোরিয়া প্রজাতন্ত্র, মেক্সিকো, রাশিয়া, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা ইইউ। অতিথি দেশ হিসেবে রয়েছে বাংলাদেশ, মিশর, মরিশাস, নেদারল্যান্ডস, নাইজেরিয়া, ওমান, সিঙ্গাপুর, স্পেন এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, পাশাপাশি আইএসএ (ইন্টারন্যাশনাল সোলার অ্যালায়েন্স), সিডিআরআই (কোয়ালিশন ফর ডিজাস্টার রেসিলিয়েন্ট ইনফ্রাস্ট্রাকচার) এবং এডিবি (এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক)। স্পেন এই জোটের স্থায়ী আমন্ত্রিত অতিথি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

  • Tharoor Slams US Anchor: ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকতার সুখ্যাতি, মার্কিন অ্যাঙ্করকে মোক্ষম জবাব শশী থারুরের  

    Tharoor Slams US Anchor: ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকতার সুখ্যাতি, মার্কিন অ্যাঙ্করকে মোক্ষম জবাব শশী থারুরের  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে (India) ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকতার সুখ্যাতি করেছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের (US) এক বৈদ্যুতিন সংবাদ মাধ্যমের অ্যাঙ্কর (Anchor)। তার মোক্ষম জবাব দিলেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর (Shashi Tharoor) সহ বেশ কয়েকজন।

    ভারতে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকতার ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওই বৈদ্যুতিন সংবাদ মাধ্যমের অ্যাঙ্কর। তাঁর দাবি, ব্রিটিশ শাসনকালেই ভারতের প্রভূত উন্নতি হয়েছিল। ফক্স নিউজের ওই অ্যাঙ্করের নাম টাকার কার্লসন। তিনি বলেছিলেন, ব্রিটিশ জমানার আগে ভারতে কোনও চোখ ধাঁধানো স্থাপত্য গড়ে ওঠেনি। তাঁর মন্তব্যকে বর্ণবাদী এবং চরমভাবে অজ্ঞাত আখ্যা দিয়েছেন বহু সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী। এঁদের মধ্যে রয়েছেন টেনিস তারক মার্টিনা নাভ্রাতিলোভাও।

    আরও পড়ুন : রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হবে ভারত! বিদেশমন্ত্রীর মন্তব্যে জল্পনা

    অনুষ্ঠানের নাম ছিল টাকার কার্লসন টুনাইট। ওই অনুষ্ঠানের অ্যাঙ্কর ভারতে ব্রিটিশ শাসন কালের প্রশংসা করার পাশাপাশি ওই শাসনকালকে তিনি কেবল গণহত্যার চেয়েও ঢের বেশি কিছু বলে মন্তব্য করেন। কার্লসনের একটি ট্যুইট বার্তা ভাইরাল হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, শক্তিশালী দেশগুলি দুর্বল দেশগুলিকে দমিয়ে রাখে। এই ধারা একটুও বদলায়নি। অন্তত ইংরেজরা তাদের ঔপনিবেশিক দায়িত্ব পালন করেছিল ঠিকঠাকভাবে। তিনি বলেন, আমরা (আমেরিকা) আফগানিস্তান ছেড়ছি, এয়ারস্ট্রিপ ছেড়েছি, অস্ত্র ছেড়েছি এবং বন্দুকও।

    যখন ব্রিটিশরা ভারত ছেড়ে গেল, তখন রেখে গেলে একটা সভ্যতা, ভাষা, লিগ্যাল সিস্টেম, স্কুল, চার্চ, পাবলিক বিল্ডিং, এখনও পর্যন্ত যা কিছু রয়েছে। এর পরেই শুরু হয় ট্যুইটার যুদ্ধ। কংগ্রেস নেতা শশী থারুর লেখেন, আমার মনে হয় ট্যুইটারের একটি অপশন আছে কোনওকিছু দাপিয়ে রাখতে, যখন তুমি কোনও প্রতিক্রিয়া না দাও। এখন আমি নিজেকে শান্ত রাখব। এর পরেই তিনি দুটো রাগত মুখের ইমোজি দিয়েছেন। আমেরিকার ওই অ্যাঙ্করকে শশী থারুরেরই ‘ইনগ্লোরিয়াস এম্পায়ার’ বইটি পড়ার পরামর্শ দিয়েছেন নাভ্রাতিলোভা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Nirmala Sitharaman: বিদেশি সংস্থাগুলো আসতে চাইছে ভারতে! উৎপাদনে বিনিয়োগ করতে বণিকমহলকে উৎসাহ নির্মলার

    Nirmala Sitharaman: বিদেশি সংস্থাগুলো আসতে চাইছে ভারতে! উৎপাদনে বিনিয়োগ করতে বণিকমহলকে উৎসাহ নির্মলার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে শিল্প আনা এবং বিনিয়োগের জন্য সরকার সব কিছু করবে। এমনটাই বললেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন (Finance Minister Nirmala Sitharaman)। মঙ্গলবার দিল্লিতে আয়োজিত মাইন্ডমাইন সামিটের ১৫- তে (Mindmine Summit 15) বক্তৃতা রাখেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। এই সম্মেলনে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন বলেন, “অনেক  কোম্পানি নিজেদের উৎপাদন প্রক্রিয়া চিন থেকে সরিয়ে নিতে চাইছে এবং ভারতে আসতে চায়। আমরা উৎপাদন সংক্রান্ত ইনসেন্টিভ স্কিমও দিয়েছি। ভারতীয় সংস্থাগুলির (Indian Inc) কাছে জানতে চাই আপনারা কেন এগিয়ে আসছেন না?” 

    আরও পড়ুন: দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ হতে চলেছে ভারত, দাবি সরকারি সূত্রের  

    নির্মলা সীতারমন আরও বলেন, “বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ এবং বিদেশি পোর্টফোলিও বিনিয়োগ আসছে এবং বিভিন্ন দেশ মনে করে যে ভারত বিনিয়োগের জন্য সঠিক স্থান। আরবিআই সম্প্রতি একটি ব্যবস্থা ঘোষণা করার পর অনেক দেশ ভারতীয় মুদ্রায় দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে।”

    অর্থমন্ত্রী পরিষ্কার করেন, ভারতীয় সরকার শিল্পজগতের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করতে প্রবল আগ্রহী। তিনি বলেন, ”কোনও নীতিই নিজে নিজেই চূড়ান্ত হয় না। যত আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাব তত এটা আরও বেশি করে বিকশিত হতে থাকে। শিল্পের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা অবিকল তাই।”

    আরও পড়ুন: ট্যুইটে ডেরেকের জবাব দিলেন অর্থমন্ত্রী, কী বললেন তৃণমূল সংসদকে? 

    অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, “দেশের ব্যবসায়ী তথা কর্পোরেট সংস্থাগুলির তাদের পূর্ণ সম্ভাবনার ব্যাপারে ভাবার সময় চলে এসেছে। এটা অনেকটা হনুমানের মতো? আপনারা আপনাদের নিজের ক্ষমতাকে বিশ্বাস করেন না?” তিনি বলেন, “চিনের বিকল্প হিসাবে নানা আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান এখন ভাবছে যাতে ভারতে বিনিয়োগ করা যায়। কারণ এখানকার অর্থনীতি আরও বেশি আকর্ষণীয়। ভারতের যুবশক্তিই দেশকে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে তুলে ধরবে।”

    প্রসঙ্গত এসবিআইয়ের গবেষণা রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারত অর্থনীতির সূচকে ২০২৯-এর মধ্যে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির জায়গায় পৌঁছতে চাইছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • Mukul Rohatgi: ফের একবার! অ্যান্টর্নি জেনারেল হচ্ছেন মুকুল রোহতাগি

    Mukul Rohatgi: ফের একবার! অ্যান্টর্নি জেনারেল হচ্ছেন মুকুল রোহতাগি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবার দেশের সরকারি আইনজীবীর ভূমিকায় দেখা যাবে মুকুল রোহতাগিকে (Mukul Rohatgi)।  আগামী ১ অক্টোবর তিনি ভারতের সরকারি আইনজীবী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয় থেকে অনুরোধ পাওয়ার পরেই তিনি এই দায়িত্ব নিতে সম্মত হন। ২০১৪-১৭ সালে বিজেপি শাসিত এনডিএ সরকারের আইনজীবীর ভূমিকায় ছিলেন মুকুল রোহতাগি।

    আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ভারতের অ্যাটর্নি জেনারেল পদে মেয়াদ শেষ হচ্ছে কেকে বেণুগোপালের। প্রধানমন্ত্রীর দফতর সূত্রের খবর, এবার অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিযুক্ত হতে পারেন রোহতাগি। বেণুগোপাল সরকারকে আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন যে তিনি আর অ্যাটর্নি জেনারেল পদে থাকতে চান না। বেণুগোপাল ২০১৭ সালের জুলাই মাসে তিন বছরের জন্য ভারতের ১৫ তম অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। চলতি বছরের জুলাই মাসে তাঁর তিন বছরের মেয়াদ শেষ হয়। তাঁর বয়স ৯১ বছর। বয়সের জন্য তাঁকে তাঁর পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন বেণুগোপাল। 

    আরও পড়ুন: গোগরা-হটস্প্রিং থেকে সরল সেনা! পূর্ব সীমান্তে যে কোনও পরিস্থিতির জন্য তৈরি ভারত বললেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল কলিতা

    রোহতাগি দ্বিতীয়বারের জন্য ভারতের অ্যাটর্নি জেনারেল পদে বসবেন। ২০১৪ সালে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পরই সরকারের শীর্ষ আইনজীবী হিসেবে নিযুক্ত হন। তিনি এর আগে অতীতে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৭ সালে অ্যাটর্নি জেনারেলের পদ থেকে অব্য়াহতি নেওয়ার পরও ৩৭০ ধারা অবরোধ সহ একাধিক সংবেদনশীল ইস্যুতে তাঁর সঙ্গে আলোচনা করেছিল সরকার। মাদককাণ্ডে শাহরুখ খানের পুত্র আরিয়ানের হয়ে সওয়াল জবাব করেছিলেন মুকুল রোহতাগি। আরিয়ান ওই মামলায় নির্দোষ প্রমাণিত হয়। সরকারের শীর্ষ আইনজীবী হিসেবে আবারও দেখা যেতে চলেছে দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞ এই আইনজীবীকে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Gyanvapi Masjid: জ্ঞানবাপী মামলায় পূজার্চনার আবেদনের শুনানি চলবে, জানিয়ে দিল আদালত

    Gyanvapi Masjid: জ্ঞানবাপী মামলায় পূজার্চনার আবেদনের শুনানি চলবে, জানিয়ে দিল আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্ঞানবাপী (Gyanvapi Masjid Row) চত্বরে হিন্দুপক্ষের পুজার অনুমতি চেয়ে মামলার শুনানির আর্জি মঞ্জুর করল বারাণসী (Varanasi) জেলা আদালত। ২০২১ সালের অগাস্ট মাসে ‘মা শৃঙ্গার গৌরী’র পুজোর অনুমতি চেয়ে আবেদন জানিয়েছিলেন পাঁচ হিন্দু মহিলা। এই মামলাটির যাতে শুনানিই না হয়, তার জন্যে পাল্টা আবেদন জানায় জ্ঞানবাপী মসজিদ কমিটি। মসজিত কমিটির সেই আবেদন খারিজ করে আদালত জানাল, এই মামলা শুনানিযোগ্য (Gyanvapi Masjid Verdict)। বিচারক জানান, এক্ষেত্রে ১৯৯১ সালের ধর্মরক্ষা আইন প্রযোজ্য নয়। 

    আরও পড়ুন: জ্ঞানবাপী মসজিদে পুজোর অনুমতি! আজ কী রায় দেবে আদালত?  

    ২০২১ সালের অগাস্ট মাসে পাঁচ হিন্দু মহিলা দাবি করেন, জ্ঞানবাপী মসজিদে রয়েছে ‘শৃঙ্গার গৌরী’। যা আপাতত ওজুখানা ও তহখানা নামে পরিচিত। সেখানে পুজো-অর্চনার অধিকার চেয়ে মামলা করেন তাঁরা। মামলাকারীরা আরও দাবি করেন, মসজিদের পশ্চিমের দেওয়ালে দেবদেবীর মূর্তি রয়েছে। এরপরেই বারাণসী দায়রা আদালতের বিচারক রবিকুমার দিবাকরের নির্দেশে এই সংক্রান্ত একটি বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়। তারা মসজিদের ভিতরে তদন্ত চালায়। ভিডিওগ্রাফিও করা হয়। 

    মসজিদে ওজুখানায় শিবলিঙ্গ পাওয়া গিয়েছে বলেও দাবি করেন মামলাকারীরা। শিবলিঙ্গের বয়স জানার জন্য কার্বন ডেটিং পরীক্ষার আর্জি জানানো হয় দেশের শীর্ষ আদালতে। সেই আর্জি খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত। ভিডিওগ্রাফি চ্যালেঞ্জ করে মামলা করে জ্ঞানবাপী মসজিদ কমিটি দাবি করে, ১৯৪৭ সালের পুজো-অর্চনা আইনে যে কোনও ধর্মীয়স্থানের পবিত্রতা রক্ষা করা উচিৎ। তা লঙ্ঘন করেছে ভিডিওগ্রাফির নির্দেশ। এই ধরনের আর্জি সাম্প্রদায়িক হিংসার কারণ হয়ে উঠতে পারে। মামলার গুরুত্ব বুঝে গত মে মাসে বারাণসীর নিম্ন আদালত থেকে মামলা জেলা আদালতে স্থানান্তরের নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।  

    আরও পড়ুন: নিম্ন আদালতের অবস্থান জেনেই রায় ঘোষণা, জ্ঞানবাপী মামলায় সুপ্রিম কোর্ট

    বারাণসী আদালতের নির্দেশ অনুসারে, মসজিদের ভিতর ভিডিয়োগ্রাফি করা শেষ হয়েছে। যদিও তা এখনও প্রকাশ্যে আসেনি। আদালত নির্দেশ দেয় আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়াকে এই মসজিদের কাঠামো পরীক্ষা করে দেখার।    

    জ্ঞানবাপী মামলায় রায়দানের পর উত্তেজনা ছড়াতে পারে এই ধারণা করে আগে থেকেই চূড়ান্ত সতর্কতা জারি হয়েছে ওই মসজিদ এলাকায়। বারাণসীর একাধিক জায়গায় জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। এমনকি, জেলার সীমান্ত এলাকা থেকে হোটেল এবং গেস্ট হাউসে কারা আসছেন এবং যাচ্ছেন সেদিকেও কড়া নজর রাখছে পুলিশ। নেটমাধ্যমে এ নিয়ে কোনও লেখালেখি হচ্ছে কি না সেদিকেও সজাগ প্রশাসন।    

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

        

  • Menoka Gambhir: হঠাৎ মধ্যরাতে আইনজীবীকে নিয়ে ইডি দফতরে হাজির মেনকা গম্ভীর! কেন?

    Menoka Gambhir: হঠাৎ মধ্যরাতে আইনজীবীকে নিয়ে ইডি দফতরে হাজির মেনকা গম্ভীর! কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এমনটা ঘটার কথা নয়। তবু ঘটল। রবিবার রাত সাড়ে ১২ টার সময় ইডির দফতরে পৌঁছলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) শ্যালিকা (sister-in-law) মেনকা গম্ভীর (Menoka Gambhir)। কয়লা মামলায় (Coal scam) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে তলব করে ইডি (ED)। মধ্য রাতে সিজিও কমপ্লেক্সে স্বাভাবিক ভাবেই সেই সময়ে সিজিও-র মূল দরজায় তালা ঝোলানো ছিল। কর্তব্যরত জওয়ানদের মেনকারা জানান, এই সময়ে তাঁদের তলব করা হয়েছে। তারপর তাঁদের ঢুকতে দেওয়া হয়। মেনকা এবং তাঁর আইনজীবী যান পাঁচতলায়। কিন্তু সেখানেও কেউ ছিলেন না। ফলে খানিকক্ষণ অপেক্ষা করে রাত একটা নাগাদ সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন তাঁরা।

    কিন্তু এত রাতে এই নাটকের মানে কী? স্বভাবতই যে কেউ বুঝতে পারবেন এত রাতে কাউকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হতে পারে না। এটা হয়ত বা যান্ত্রিক ত্রুটি। কী কোনওভাবে ভুলবশত হয়ে গিয়েছে। যদিও বা এই ধরনের ভুল কাম্য নয়। কিন্তু এই বিচিত্র সময়ে ডাকার কারণ আগেই চিঠি দিয়ে জানতে চাইতে পারতেন মেনকা। কিন্তু তিনি তা না করে নিজের আইনজীবী  সৌমেন মহান্তিকে নিয়ে রাতেই ইডির দফতরে যান। শুরু হয় নাটক। সংবাদ মাধ্যমকে ডেকে এই খবর দেওয়া হয়। এটা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে ছোট করার জন্য পরিকল্পিত ভাবে করা হয়েছে, বলেই মত রাজনৈতিক মহলের।

    আরও পড়ুন: বাংলায় কালো টাকার পাহাড়! এবার ইডি হানা কোথায়?

    এর আগে শনিবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্যালিকা মেনকাকে ব্যাঙ্কক যাওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরেই আটকে দেয় ইডি। লুকআউট সার্কুলার থাকায় তাঁকে ফিরতে হয় কলকাতা বিমানবন্দর থেকে।  বিমানবন্দর সূত্রে খবর,মেনকা অভিবাসন দফতরের কাউন্টারে যাওয়ার পরই সেখানকার অফিসাররা তাঁকে ইডির লুকআউট সার্কুলারের কথা জানান।  এরপর তাঁকে প্রায় আড়াই ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হয় অভিবাসন দফতরের একটি ঘরে। অভিবাসন দফতর বিষয়টি জানায় দিল্লির ইডি দফতরে। তারপর কলকাতার ইডি দফতরের এক অফিসার পৌঁছে যান বিমানবন্দরে। আগামী সপ্তাহে কলকাতার ইডি দফতরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে ইডির নোটিস ধরানো হয় মেনকাকে। ওই নোটিসেই সোমবার, ১২ সেপ্টেম্বর ‘টুয়েলভ থার্টি PM’-এর বদলে কোনওভাবে ‘টুয়েলভ থার্টি AM’হয়ে যায়। 

    সূত্রের খবর, নোটিস পাঠিয়েও ইডির তরফে কারও না থাকাকে হাতিয়ার করে এবার পাল্টা আইনি লড়াইয়ে হাঁটতে পারেন মেনকা গম্ভীর। যদিও এ ব্যাপারে সোমবার পর্যন্ত স্পষ্ট করে কিছু জানা যায়নি। সময়ের গণ্ডগোলের জন্য আজ হয়ত হাজিরা দেবেন না মেনকা যদি না পাল্টা সমন জারি করা হয় এমনটাই জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবী।

    এদিকে, ভুল সংশোধন করে সোমবার সকালে মেনকাকে নতুন সমন পাঠানো হয়। সেই মতো, দুপুর ১২টা ৪৩ মিনিটে সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি দফতরে হাজিরা দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্যালিকা। এদিন তাঁকে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। 

  • Durga Puja 2022: প্রথম দুর্গাপুজো কে করেছিলেন জানেন?

    Durga Puja 2022: প্রথম দুর্গাপুজো কে করেছিলেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজো (Durga Pujo)। দেবী দশভুজা চার ছেলেমেয়েকে নিয়ে মর্তে আসেন। মর্ত্যবাসী তাঁকে নিজের মেয়ের মতো মনে করেই বরণ করে নেন। প্রশ্ন হল, কবে প্রচলন হয় দুর্গাপুজোর? এর খুঁজতে হলে আমাদের আশ্রয় করতে হবে পুরাণের (Puranas) ওপর। বিভিন্ন শাস্ত্র গ্রন্থ ছাড়া এ ব্যাপারে আর নির্ভর করার মতো তেমন কিছু নেই।

    ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ অনুযায়ী, ভগবান শ্রীকৃষ্ণ প্রথম দুর্গাপুজো করেছিলেন। তিনি পুজো করেছিলেন বৈকুণ্ঠের মহারাস মণ্ডলে। ওই শাস্ত্রের প্রমাণ বাক্যটি হল, প্রথমে পূজিতা সা চ কৃষ্ণেন পরমাত্মনা। শ্রীকৃষ্ণের পরে দুর্গাপুজো করেছিলেন স্বয়ং ব্রহ্মা। মহামায়ার পুজো করেছিলেন স্বয়ং মহাদেবও। ত্রিপুরাসুরের সঙ্গে যুদ্ধ করার আগে তিনি পুজো করেছিলেন দেবী দুর্গার। মহাদেবীর আরাধনা করেছিলেন দেবরাজ ইন্দ্রও। তার অনেক পরে মর্ত্যে শুরু হয় মহামায়ার আরাধনা।  

    দেবী ভাগবত পুরাণ মতে, ব্রহ্মার মানসপুত্র মনু প্রথম পৃথিবীতে দুর্গাপুজো প্রচলন করেন। শ্রী শ্রী চণ্ডী অনুযায়ী, রাজা সুরথ রাজ্য লাভের আশায় দেবী দুর্গার পুজো করেন। বাল্মীকি রামায়ণে দুর্গাপুজোর কোনও বর্ণনা নেই। তবে কৃত্তিবাস ওঝা বিরচিত রামায়ণে দুর্গাপুজোর উল্লেখ রয়েছে। বাসন্ত কালে দুর্গার পুজো করেছিলেন রাবণও। মৈথিলি কবি বিদ্যাপতি দুর্গা ভক্তি তরঙ্গিনীতে দুর্গাপুজোর উল্লেখ রয়েছে।

    কারও কারও মতে, ১৫০০ খ্রিস্টাব্দের শেষ দিকে দিনাজপুরের জমিদার প্রথম দুর্গাপুজো করেন। কারও কারও মতে আবার ষোড়শ শতকে রাজশাহী তাহেরপুর এলাকার রাজা কংস নারাযণ প্রথম দুর্গাপুজো করেন মর্তে। কোচবিহারে ১৫১০ সালে দুর্গাপুজো করেন রাজসিংহ। কেউ কেউ মনে করেন ১৬০৬ সালে দুর্গাপুজোর প্রচলন করেন নদিয়ার ভবনানন্দ মজুমদার।কলকাতার বরিশাল রায় চৌধুরী পরিবার প্রথম দুর্গাপুজো শুরু করেছিলেন বলেও মনে করেন অনেকে। আবার কারও কারও মতে, ১৬১০ সালে প্রথম দুর্গাপুজো করেছিলেন কলকাতার সাবর্ণ রায় চৌধুরীর পরিবার। তাঁরা মহিষমর্দিনী দুর্গার পুজো করেননি। ওই পরিবারে দেবীর আগমন ঘটেছিল ছেলেমেয়ে সহ।

  • Bengal BJP: পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির পর্যবেক্ষক নিযুক্ত মঙ্গল পাণ্ডে, জানেন কে তিনি?

    Bengal BJP: পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির পর্যবেক্ষক নিযুক্ত মঙ্গল পাণ্ডে, জানেন কে তিনি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাখির চোখ ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে (2024 Lok sabha Elections)। আরও বেশি সংখ্যক আসন নিয়ে কেন্দ্রে ক্ষমতায় ফিরতে চাইছেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব। সেই কারণেই পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal) সহ বিভিন্ন রাজ্যের রশি তুলে দেওয়া হল দক্ষ সংগঠকদের হাতে। শুক্রবার বৈঠকে বসেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সেখানে বিভিন্ন রাজ্যের পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হয়। বাংলার দায়িত্ব বর্তাল মঙ্গল পাণ্ডের হাতে। বিহারের প্রাক্তন মন্ত্রী কাঁধে তুলে দেওয়া হল দায়িত্ব। 

    কে এই মঙ্গল পাণ্ডে? জানা গিয়েছে, বিহারের প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মঙ্গল পাণ্ডে বাংলার সংগঠনের দেখভাল করবেন। পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে তাঁকে। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা তাঁকে নিয়োগ করেন। মঙ্গল পাণ্ডেকে সাহায্য করবেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা অমিত মালব্য এবং নেত্রী আশা লাখরা। এরাজ্যে সহ-পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পালন করবেন তাঁরা।

    নীতীশ কুমার যখন বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার চালাচ্ছিলেন, তখন মঙ্গল পাণ্ডে পালন করেছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব। দুঁদে রাজনীতিকের পাশাপাশি তিনি দক্ষ সংগঠকও। সেই কারণেই তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বাংলার দায়িত্ব। একুশের ভোটে বাংলায় আশাব্যঞ্জক ফল হয়নি বিজেপির। তাই রাজ্য বিজেপির তরফে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে একাধিকবার স্থায়ী পর্যবেক্ষকের জন্য আবেদন করা হয়েছিল। রাজ্য বিজেপির সেই আবেদনের প্রেক্ষিতেই মঙ্গল পাণ্ডেকে দেওয়া হল বাংলার দায়িত্ব। 

    আরও পড়ুন : লক্ষ্য ২০২৪, মেগা বৈঠকে বিজেপি, কী আলোচনা হল জানেন?

    গতমাসেই রাজ্যের ভারপ্রাপ্ত নেতা নিযুক্ত হন বহু-যুদ্ধের ঘোড়া সুনীল বনসল। গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও, ওড়িশা ও তেলঙ্গানার দায়িত্বে রয়েছেন সুনীল। ওড়িশা ও তেলঙ্গানায় বিধানসভা ভোট আসন্ন। দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গের নেতৃত্বের কাছে, এই দুই বিরোধী-শাসিত রাজ্যে জয়ী হতে চাইছে বিজেপি নেতৃত্ব। ফলত, সুনীলের ওপর গুরুদায়িত্ব রয়েছে। সব দিক বিচার করে, পশ্চিমবঙ্গকে গুরুত্ব দিয়ে পর্যবেক্ষক হিসেবে মঙ্গলকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। জানা গিয়েছে, সুনীলের অধীনে থাকবেন মঙ্গল পাণ্ডে, অমিত মালব্য ও আশা লখরা।

    বাংলার পাশাপাশি বিজেপি নজর দিয়েছে বিহারের দিকেও। বিহারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিনোদ টাওডেকে। বিহারের সহ পর্যবেক্ষক থাকছেন হরিশ দ্বিবেদী। দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিজেপির মুখপাত্র সম্বিত পাত্রকেও। উত্তর পূর্বের আটটি রাজ্যের কোঅর্ডিনেটর করা হয়েছে তাঁকে। দলের জাতীয় সম্পাদক ঋতুরাজ সিনহাকে দেওয়া হয়েছে জয়েন্ট কো-অর্ডিনেটরের দায়িত্ব। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পাঞ্জাব ও ছত্তিশগড়ের। ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবকে দেওয়া হয়েছে হরিয়ানার দায়িত্ব। কেরলের ভার দেওয়া হয়েছে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকরের হাতে। 

    গুজরাট এবং ত্রিপুরায় সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। আরও কয়েকটি রাজ্যেও রয়েছে নির্বাচন। লোকসভা নির্বাচনের আগে সেই রাজ্যগুলির কুর্সি দখলই এই মুহূর্তে পাখির চোখ গেরুয়া নেতৃত্বের। এই বিধানসভা নির্বাচনের পর্ব মিটতে মিটতে বাজবে লোকসভা ভোটের বাদ্যি। রাজনৈতিক মহলের মতে, সেই কারণেই অগোছাল বিরোধীদের একজোট হওয়ার আগেই ঘর গুছিয়ে ফেলল বিজেপি। সেই কারণেই রদবদল হল পদ্মশিবিরে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     
     
  • Devika Bulchandani: দেবীকা বালচন্দানি অগিলভির নতুন প্রধান, আরও এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত আন্তর্জাতিক সংস্থার শীর্ষে 

    Devika Bulchandani: দেবীকা বালচন্দানি অগিলভির নতুন প্রধান, আরও এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত আন্তর্জাতিক সংস্থার শীর্ষে 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজ্ঞাপন ও জনসংযোগ সংস্থা অগিলভির (Ogilvy) আন্তর্জাতিক প্রধান (Global Head) হিসেবে নির্বাচিত হলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত দেবীকা বালচন্দানি (Devika Bulchandani)। এর আগে ওই সংস্থারই উত্তর আমেরিকার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি। আন্তর্জাতিক প্রধান অ্যান্ডি মেনের পদত্যাগের পর ওই পদের দায়িত্ব পেয়েছেন মিসেস বালচন্দানি। প্রেস বিবৃতিতে এমনটাই জানিয়েছে অগিলভি।

    আরও পড়ুন: প্রথম ভারতীয়! ডায়মন্ড লিগ জিতে ইতিহাস নীরজ চোপড়ার

    নতুন ভূমিকায় ৯৩টি দেশে ১৩১টি  অফিসের দায়িত্বে থাকবেন তিনি। বিজ্ঞাপন, জনসংযোগ, অভিজ্ঞতা, পরামর্শ এবং স্বাস্থ্য সব বিভাগ তাঁরই তত্ত্বাবধানে থাকবে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিপণন এবং জনসংযোগ সংস্থা ডাব্লিউপিপি- এর অংশ অগিলভি। এই পদে উন্নীত হওয়ার পরে ডাব্লিউপিপি- এর এক্সিকিউটিভ কমিটিতেও যুক্ত হয়েছেন দেবীকা। এমনটাই জানিয়েছেন ডাব্লিউপিপি- এর কর্ণধার মার্ক রিড।

    আরও পড়ুন: তারার দেশে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ! শোকবার্তা মোদির  

    পাঞ্জাবের অমৃতসরে জন্ম হয় দেবীকা বালচন্দানির। জীবনের ২৬ বছর বিভিন্ন পদে ম্যাকক্যানে চাকরি করেছেন। একটা সময় ম্যাকক্যানের উত্তর আমেরিকার সভাপতিও ছিলেন তিনি। 

    গত সপ্তাহেই কফি জায়ান্ট স্টারবাকস- এর এক্সিকিউটিভ লক্ষণ নরসিংহন। একের পর এক আন্তর্জাতিক জায়ান্টগুলোতে শীর্ষস্থান পাচ্ছেন ভারতীয়রা। মাইক্রোসফটের সিইও সত্য নাদেলা, অ্যাডব সিইও শান্তনু নারায়ণ, গুগল সিইও সুন্দর পিচাই, ট্যুইটার প্রধান পরাগ আগরওয়াল, সেনেলের প্রধান লীনা নাইয়ার, আইবিএম- এর প্রধান অরবিন্দ কৃষ্ণ। এক কথায় আন্তর্জাতিক স্তরে ছড়ি ঘোরাচ্ছেন ভারতীয় বংশোদ্ভুতরাই। যা ভারতীয়দের জন্যে নিঃসন্দেহে গর্বের বিষয়। 

    আরও পড়ুন: পুনিরস্ত্র আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালাল যুক্তরাষ্ট্র

    মাস্টারকার্ডের দীর্ঘদিনের প্রচার অভিযান ‘প্রাইসলেস’ এবং ট্রান্স জেণ্ডার দের প্রচার অভিযান ‘ট্রু নেম’ – এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন দেবীকা। এছাড়া ‘ফিয়ারলেস গার্ল’ নামের ক্যাম্পেনের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। এটিই কান্স লায়ন্স ইন্টারন্যাশনাল ফেস্টিভ্যালের সবথেকে বেশি পুরষ্কারপ্রাপ্ত  ক্যাম্পেন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Trump on Modi: “দারুণ কাজ করছেন”, মোদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ ট্রাম্প

    Trump on Modi: “দারুণ কাজ করছেন”, মোদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ ট্রাম্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভূয়সী প্রশংসা করলেন আমেরিকার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) কথা বলতে গিয়ে বলেন, “দারুণ কাজ করেছেন। ভারতে তাঁর থেকে ভাল বন্ধু আর কেউ ছিল না।” ২০২৪ সালে  ফের হোয়াইট হাউজের দখল পেতে পারেন বলেও বিশ্বাসী তিনি। ট্রাম্পকে প্রশ্ন করা হয়, আমেরিকার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি বারাক ওবামা, বর্তমান রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন এবং তাঁর সময়কালের মধ্যে ভারতের সঙ্গে কোন সময় সম্পর্ক সবথেকে ভাল ছিল? এই প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, “আমি মনে করি আমার সময় সম্পর্ক সব থেকে ভালো ছিল। আপনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে জিজ্ঞাসা করতে পারেন। উত্তর পাবেন রাষ্ট্রপতি ট্রাম্পের থেকে ভাল সম্পর্ক আর কারও সঙ্গে ছিল না।” 

    আরও পড়ুন: দেড় বছর পর ওয়াশিংটনে, আবারও প্রার্থী হওয়ার ইঙ্গিত দিলেন ট্রাম্প

    ফের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ভোটে লড়াইয়ে তিনি আবার নামবেন কি না, তার জবাবে ট্রাম্প বলেন, “সকলে চাইছেন আমি লড়াইয়ে নামি। আমি লড়াইয়ের শীর্ষে রয়েছি। এ বিষয়ে আগামী দিনে সিদ্ধান্ত নেব।”    

    ভারতীয়দের মধ্য়ে তাঁর বিপুল জনপ্রিয়তা নিয়েও গর্ব করেছেন ট্রাম্প। প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে সুসম্পর্কের কথাও বার বার উল্লেখ করেছেন ট্রাম্প। প্রেসিডেন্ট থাকার সময় হাউস্টনে মোদির ভাষণ দেওয়ার বিষযটিও উল্লেখ করেছেন তিনি। এ ব্যাপারে ট্রাম্প বলেছেন, “আমার সঙ্গে ভারতের এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দারুণ সম্পর্ক ছিল। আমরা বন্ধু ছিলাম। আমি মনে করে উনি সেরা ব্যক্তি এবং দারুণ কাজ করেছেন। কিন্তু তাঁর কাজ অত সহজ ছিল না। আমরা একে অপরকে অনেক দিন ধরেই জানি।”

    আরও পড়ুন: তিস্তা জলবণ্টন চুক্তি চাইছেন হাসিনা, জাতীয় স্বার্থের কথা মাথায় রাখতে হচ্ছে মোদিকে     

    দ্বিতীয় বার যুক্তরাষ্ট্রের মসনদে বসবেন কী না সেই প্রশ্নের উত্তরে ট্রাম্প বলেন, “আমেরিকার জন্য শক্তিতে স্বাধীনতা দরকার। আমেরিকার বিষয়ে আমি বলতে পারি, আমেরিকা শক্তিক্ষেত্রে স্বাধীন হওয়ার দিকে এগোচ্ছে। আমরা অর্থনৈতিক ভাবে আরও শক্তিশালী হতে চাই। আমি ক্ষমতায় এলে এমন বেশ কিছু কাজ করব, যা গত ২ বছর ধরে হচ্ছে না।”      
     
    ২০১৯ সালে মোদি দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পরে আমেরিকায় মোদিকে সম্বোর্ধনা দিতে ‘হাউডি মোদি’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন ট্রাম্প। তার কিছুদিন পরেই ২০২০ সালের শুরুর দিকে মোদির আমন্ত্রণে গুজরাট এসেছিলেন তিনি। মোদি-ট্রাম্প বন্ধুত্বের কথা কারোরই অজানা নয়। তা আরও একবার নিজেই স্বীকার করে নিলেন ট্রাম্প।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

LinkedIn
Share