Blog

  • SSC Scam: অঙ্কিতার থেকে প্রাপ্ত টাকা  ববিতাকে আলাদা করে রাখার নির্দেশ দিল হাইকোর্ট

    SSC Scam: অঙ্কিতার থেকে প্রাপ্ত টাকা ববিতাকে আলাদা করে রাখার নির্দেশ দিল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মন্ত্রী কন্যা অঙ্কিতা অধিকারীর (Ankita Adhikari) কাছ থেকে পাওয়া ১৫ লক্ষ টাকা ববিতা সরকারকে আলাদা করে রাখার পরামর্শ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। বৃহস্পতিবার ববিতা সরকারের চাকরির নিয়োগ মামলায় শুনানিতে বিচারপতি নির্দেশ দেন, অঙ্কিতা অধিকারীর বেতন বাবদ তাঁর থেকে পাওয়া ১৫ লাখ টাকা ববিতা যেন আলাদা করে ব্যাঙ্কে ফিক্সড ডিপোজিট করে রাখেন। কোনও কারণে মামলায় হার হলে ওই টাকা তাঁকে ফেরত দিতে হবে। ওই টাকা জমা দিতে হবে আদালতে। মামলার পরবর্তী শুনানি সোমবার।

    নম্বরে গরমিল

    হাইকোর্টের নির্দেশে সম্প্রতি চাকরি প্রার্থীদের নম্বরের তালিকা প্রকাশ করে স্কুল সার্ভিস কমিশন। তার পরই নম্বর নিয়ে বিভ্রাটের বিষয়টি প্রকাশ্যে চলে আসে। দেখা যায়, মেরিট লিস্টে ববিতা সরকারের মোট প্রাপ্ত নম্বর ৭৭, যার মধ্য়ে অ্যাকাডেমিক স্কোর ৩৩। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী ববিতা সরকারের অ্য়াকাডেমিক স্কোর ৩১ হওয়ার কথা। সেখানে তাঁকে ৩৩ নম্বর দিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। এই দু’নম্বর হেরফের হওয়ার জন্য মেধা তালিকায় অনেক পরিবর্তন ঘটে যেতে পারে। ববিতা সরকারের বদলে উঠে আসতে পারে অন্য় কোনও দাবিদার চাকরিপ্রার্থীর নাম। তখনই ববিতা নন, তিনি চাকরির দাবিদার বলে এগিয়ে আসেন অনামিকা। মামলাও দায়ের করেন। অনামিকার বলেন, “২ নম্বর কমলে ১৪ জনের পিছনে চলে যাচ্ছেন ববিতা। ২১ নম্বরে আমার নাম রয়েছে। সেই নিরিখে চাকরিটি আমারই প্রাপ্য। 

    আরও পড়ুন: আরও ৫৯ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল, বন্ধ হবে বেতনও! নির্দেশ হাইকোর্টের

    এ প্রসঙ্গে ববিতা বলেন, “মিলিয়ে দেখলাম, ২ নম্বর বেশি হচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে আমার আইনজীবীকে জানাই আমি। কমিশন কেন করল, জানি না। বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করতে হবে। কারণ ২ নম্বর বেশি হলে আমার লড়াইটার বাস্তবতা থাকে না। আমার লড়াইটা অন্যায়ের বিরুদ্ধে, বেনিয়মের বিরুদ্ধে। আমি চাকরির দাবি কিন্তু করিনি।” ইতিমধ্যেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন ববিতা। আদালত যা সিদ্ধান্ত নেবে, মেনে নেবেন বলে জানিয়েছেন। এদিনের শুনানি শেষে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী কী ভাবে অ্যাকাডেমিক বিভাগে পার্সেন্টেজ দেওয়া হয়, আর সংরক্ষিত প্রার্থীদের ৫ নাম্বার করে ছাড় কোন সময়ে দেওয়া হয়, সেই সব জানিয়ে হলফনামা জমা দিতে হবে এসএসসিকে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • BSNL: এবার ৫জি সার্ভিস আনতে চলেছে বিএসএনএল, ঘোষণা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

    BSNL: এবার ৫জি সার্ভিস আনতে চলেছে বিএসএনএল, ঘোষণা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কিছুদিন আগেই মুকেশ আম্বানি ঘোষণা করেছেন যে দেশের সমস্ত রাজ্যগুলিতে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে জিও ৫জি সার্ভিস পৌঁছে যাবে। মুকেশ আম্বানির জিও ৫জি-র সংক্রান্ত ঘোষণার পরে বড় ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় টেলিকম মন্ত্রী। সরকার অধিগৃহীত টেলিকম সংস্থা বিএসএনএল (BSNL) এবার ৫জি সার্ভিস আনছে। অর্থাৎ জিও ৫জি-র পরে এবার দেশে বিএসএনএল (BSNL) ৫জি-র সুবিধা আসতে চলেছে। প্রসঙ্গত দীর্ঘদিন ধরেই ধুঁকছে সরকারি এই টেলিকম সংস্থা (BSNL)। কেন্দ্রীয় টেলিকম মন্ত্রী এদিন হাজির ছিলেন ওড়িশাতে। সেখানেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সাংবাদিক সম্মেলন করেন।

    আরও পড়ুন: যোগী রাজ্যে মাদ্রাসার পড়ুয়ারা পড়বে এনসিইআরটি-র সিলেবাস, কবে থেকে জানেন?

    কী বললেন কেন্দ্রীয় টেলিকম মন্ত্রী 

    সরকারি টেলিকম সংস্থা বিএসএনএল (BSNL) হাই স্পিডের ৫জি সার্ভিস আনতে চলেছে এমনটাই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় টেলিকম মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। এদিন ভুবনশ্বরে জিও ৫জি সার্ভিস উদ্বোধন করার পরে সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা বলেন অশ্বিনী বৈষ্ণব। বিএসএনএলের (BSNL) ৫জি সার্ভিস ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসের মধ্যেই ভারতবর্ষের প্রতিটি রাজ্যে আমরা পৌঁছে দিতে পারব বলে আশা রাখছি, সাংবাদিক সম্মেলনে এদিন এই মন্তব্য করেন কেন্দ্রীয় টেলিকম মন্ত্রী। কেন্দ্রীয় টেলিকম মন্ত্রী আরও বলেন যে বিএসএনএলের (BSNL) ৫জি সার্ভিস শুরু হলে, এটি একটি বড় পাওনা হবে দেশের মানুষের কাছে। ৫জি সার্ভিস শুরু করার আগে এখন টেকনিক্যাল সমস্ত বিষয়গুলির খুঁটিনাটি দেখা হচ্ছে। নেটওয়ার্ক নতুনভাবে ডিজাইনিং এর কাজ চলছে। বিভিন্ন টিম এখন কাজ করছে ৪জি থেকে ৫জি উত্তরণের বিষয়ে।

    আরও পড়ুন: সন্ত্রাসবাদীদের মদতদাতাদেরও নির্মূল করতে হবে, জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে বৈঠকে অমিত শাহ

    কেন্দ্রীয় টেলিকমন্ত্রী এদিন আরও বলেন মোদি সরকার ৫,৬০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে দেশে টেলিকম ব্যবস্থার উন্নতির জন্য।

    আরও পড়ুন: ২০২৪ সালের জানুয়ারির মধ্যেই হয়ে যাবে রাম মন্দির, ত্রিপুরায় ঘোষণা শাহের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Delhi Drag Case: দিল্লির সুলতানপুরীর ঘটনায় এবার গ্রেফতার গাড়ির মালিক, এখনও অধরা ১

    Delhi Drag Case: দিল্লির সুলতানপুরীর ঘটনায় এবার গ্রেফতার গাড়ির মালিক, এখনও অধরা ১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছরের শেষ দিনে এক দুর্ঘটনার ভয়ঙ্করতায় কেঁপে উঠল রাজধানী দিল্লি। সুলতানপুরীতে এক তরুণীকে গাড়িতে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা (Delhi Drag Case) ঘটে। এবার এই মামলায় শুক্রবার গাড়ির মালিককে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম আশুতোষ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, যে গাড়িতে তরুণীকে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয়, সেই গাড়িটির মালিক আশুতোষ। ঘটনার পরই পালিয়ে যান তিনি। এর আগে এই মামলায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।  অঙ্কুশ নামের এক অভিযুক্ত এখনও ফেরার বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাঁর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে দিল্লি পুলিশ। 

    বৃহস্পতিবার আগে থেকে গ্রেফতার করা ৫ জনকে আদালতে হাজির করানো হয়। অভিযুক্তদের (Delhi Drag Case) ৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আর ওইদিনই গাড়ির মালিককে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ। 

    কী ঘটে? 

    প্রসঙ্গত, বর্ষবরণের রাতে দিল্লির সুলতানপুরীর রাস্তা দিয়ে স্কুটি করে বাড়ি ফিরছিলেন ২০ বছরের অঞ্জলি সিংহ (Delhi Drag Case) নামে এক তরুণী। সঙ্গে ছিলেন তাঁর বান্ধবী নিধি। একটি গাড়ি ওই স্কুটিতে ধাক্কা মারে। অঞ্জলি ছিটকে গিয়ে ওই গাড়ির তলায় পড়ে যান। এই অবস্থাতেই তাঁকে ১৩ কিলোমিটার হিঁচড়ে নিয়ে যায় গাড়িটি। মৃত্যু হয় ওই তরুণীর। এরপরে ওই গাড়ির তলা থেকে তরুণীর দেহ সরিয়ে ফেলে দিয়ে পালান অভিযুক্তরা। ঘটনার বিভৎসতায় কেঁপে উঠেছে গোটা দেশ। 

    আরও পড়ুন: “টাকা ফেরত পেতে চাইলে আমাকে জানান কাকে দিয়েছিলেন”, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় 

    পরবর্তীতে অঞ্জলির দেশের ময়নাতদন্ত (Delhi Drag Case) করা হয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয়, অঞ্জলির সারা দেহে ধুলো লেগেছিল। তরুণীর দেহে পোড়া দাগ রয়েছে। এই ধরনের দাগকে ‘ব্রাশ বার্ন’ বলা হয়। গাড়িটি চলতে থাকায় রাস্তার সঙ্গে চামড়ায় ঘষা লেগে এই পোড়া দাগ তৈরি হয়েছে। পায় ৪০টি ক্ষত রয়েছে দেহে। তবে যৌন হেনস্থার কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি শরীরে। ঘটনাটিতে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

     

     

    ইতিমধ্যে ঘটনায় খুনের অভিযোগ করেছেন সেই স্কুটিতে আরও এক তরুণী নিধির মা। স্কুটিতে ইচ্ছে করে ধাক্কা দেয় ওই গাড়িটি। নিধিও ছিটকে পড়ে। কিন্তু কোনওভাবে পালিয়ে যায়। যদিও এখনও খুনের অভিযোগে কোনও মামলা দায়ের হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Mohammed Amin Khubaib: লস্করের লঞ্চিং কমান্ডার আবু খুবাইবকে জঙ্গি ঘোষণা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের

    Mohammed Amin Khubaib: লস্করের লঞ্চিং কমান্ডার আবু খুবাইবকে জঙ্গি ঘোষণা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাস দমনে আরও এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিল কেন্দ্র। বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জম্মু-কাশ্মীরের লস্কর-ই-তৈবার লঞ্চিং কমান্ডার মোহম্মদ আমিন ওরফে আবু খুবাইবকে (Mohammed Amin Khubaib) জঙ্গি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। তাকে বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইন ১৯৬৭-এর অধীনে সন্ত্রাসী হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। এর পাশাপাশি লস্কর-ই-তৈবার মদতপ্রাপ্ত শাখা সংগঠন ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’-কে নিষিদ্ধ হিসাবে ঘোষণা করা হচ্ছে। গতকাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে এটি ঘোষণা করা হয়। জঙ্গি দমনে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করছে কেন্দ্রীয় সরকার। এরইমধ্যে একটি হল গতকালের সিদ্ধান্ত।

    মোহম্মদ আমিন খুবাইবকে জঙ্গি হিসেবে ঘোষণা কেন্দ্রের

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, জম্মু ও কাশ্মীরের ডোডা জেলার কাথাওয়া গ্রামের বাসিন্দা ও দাউদ ভাটের ছেলে খুবাইব (Mohammed Amin Khubaib)। কিন্তু বর্তমানে পাকিস্তানে বসবাস করছে সে এবং লস্কর-ই-তৈবার জন্য সন্ত্রাসীদের লঞ্চিং কমান্ডার হিসাবে কাজ করছে। অর্থাৎ জম্মু-কাশ্মীরে লস্কর-ই-তৈবার জঙ্গি গতিবিধির দায়িত্বে খুবাইব থাকলেও, বর্তমানে তিনি পাকিস্তানে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে। বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা গিয়েছে, আবু খুবাইব আন্তঃসীমান্ত এজেন্সিগুলির সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলেছে এবং জম্মু অঞ্চলে এলইটি-এর সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপকে পুনরুজ্জীবিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে সে। এছাড়াও খুবাইব জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলা, অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহ এবং সন্ত্রাসীদের অর্থ দেওয়া ইত্যাদির সঙ্গে জড়িত।

    আরও পড়ুন: অঙ্কিতার থেকে প্রাপ্ত টাকা ববিতাকে আলাদা করে রাখার নির্দেশ দিল হাইকোর্ট

    বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, “কেন্দ্রীয় সরকার বিশ্বাস করে যে মোহাম্মদ আমিন খুবাইব সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে জড়িত এবং তাকে বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইন ১৯৬৭-এর অধীনে সন্ত্রাসী হিসাবে যুক্ত করা হবে।” প্রসঙ্গত, ব্যক্তি এবং সংস্থার কিছু বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ করার জন্য এবং সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সঙ্গে মোকাবিলা করার জন্যই বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইন, ১৯৬৭ তৈরি করা হয়েছিল।

    অন্যদিকে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ২০১৯ সালে তৈরি হয় ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’। মূলত অনলাইনেই কার্যকলাপ চালায় এই জঙ্গি সংগঠন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, বেআইনিভাবে সীমান্ত পারাপার এবং অস্ত্র ও মাদক পাচারের সঙ্গেও যুক্ত এই সংগঠন। জম্মু-কাশ্মীরের সাধারণ মানুষদের সোশ্যাল মিডিয়ায় ভারতের বিরুদ্ধে উস্কানি দেয় এই সংগঠন, এমনটাও জানানো হয়েছে। ফলে দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট-কেও নিষিদ্ধ হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে।

  • West Midnapore Gang Rape: গণধর্ষণের তদন্তে গাফিলতি! মেদিনীপুরের এসপি-র বিরুদ্ধে কড়া নির্দেশ হাইকোর্টের

    West Midnapore Gang Rape: গণধর্ষণের তদন্তে গাফিলতি! মেদিনীপুরের এসপি-র বিরুদ্ধে কড়া নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিম মেদনীপুরের কেশপুর ব্লকের আনন্দপুর থানার গণধর্ষণের মামলায় (West Midnapore Gang Rape) জেলা পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে বড় নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্যকে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থা নির্দেশ দিয়েছেন, জেলার পুলিশ সুপার দীনেশ কুমারকে সতর্ক করতে হবে। শুধু মৌখিকভাবে সতর্ক করলেই চলবে না, তাঁকে যে সতর্ক করা হল তা তাঁর সার্ভিস বুকে উল্লেখ করতে হবে বলেও জানিয়েছে আদালত। 

    কেন এমন নির্দেশ? 

    আনন্দপুর গণধর্ষণ মামলায় (West Midnapore Gang Rape) পুলিশের বিরুদ্ধে তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। আর তার জেরেই এই নির্দেশ। রাজ্য পুলিশের ডিজি-র কাছে রিপোর্ট তলব করেছিল আদালত। সেই রিপোর্টে ডিজি স্পষ্ট জানান, এসপির কর্তব্যে গাফিলতি ছিল। রিপোর্ট পাওয়ার পরেই আদালতের নির্দেশ, কর্তব্যে গাফিলতির বিষয়টি এসপি দীনেশ কুমারের সার্ভিস বুকে উল্লেখ করতে হবে।

    আরও পড়ুন: রেকর্ড শীত কলকাতায়! মরশুমের শীতলতম দিনে কাঁপুনি ধরাল হাড়ে 

    কয়েক মাস আগেই কেশপুর ব্লকের আনন্দপুর থানা এলাকায় জমি বিবাদকে ঘিরে এক গণধর্ষণের ঘটনা (West Midnapore Gang Rape) ঘটে। নির্যাতিতা মহিলার অভিযোগ নিতে দেরি করার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। অভিযোগ সামনে আসার পরই আনন্দপুর থানার ওসিকে সাসপেন্ড করা হয়। এবার কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হল পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধেও।     

    মেদিনীপুরের বিষয়টিকে সামনে রেখে আদালত এদিন রাজ্যের সমস্ত এসপি ও পুলিশ কমিশনারদের সতর্ক করে বলে, কোনওভাবেই এই ধরনের ফৌজদারি অপরাধের (West Midnapore Gang Rape) অভিযোগ নিতে দেরি করলে চলবে না। এইসব মামলায় পুলিশের গাফিলতির অভিযোগ এলে তৎক্ষণাৎ রাজ্যকে সংশ্লিষ্ট এসপি বা পুলিশ কমিশনারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করতে হবে। 

    আনন্দপুরের গণধর্ষণের (West Midnapore Gang Rape) অভিযোগ পুলিশ না নেওয়ায় ইতিমধ্যে আদালতের নির্দেশে ওই থানার ওসি এবং বিভাগীয় ডিএসপির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে। নির্যাতিতার আইনজীবী সৌম্যজিৎ দাস মহাপাত্রের অভিযোগ, শুধু এই একটি ঘটনা নয়, শুধু ওই জেলা নয়, রাজ্যের আরও কিছু জেলায় এমন গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। আদালতও এই অভিযোগ মেনে নিয়েছে। অভিযুক্ত এসপির বিরুদ্ধে এমন মামলা এই এজলাসেই ঝুলে রয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Death Threat: জোট সরকারকে হুমকি তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের, কেন জানেন?

    Death Threat: জোট সরকারকে হুমকি তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর পনের আগে প্রাক্তন পাক (Pakistan) প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোকে খুন করেছিল তারা। এবার তাঁর ছেলে তথা পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী বিলাবল ভুট্টোকেও খুনের হুমকি (Death Threat) দিল কাবুল ঘনিষ্ঠ বিদ্রোহী সংগঠন তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (TTP)। বিলাবলের পাশাপাশি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফকেও খুনের হুমকি দিয়েছে ওই সংগঠন।

    জোট সরকার…

    ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের নেতা ইমরান খানের সরকারের পতন ঘটিয়ে জোট সরকার গড়ে শাহবাজের পাকিস্তান মুসলিম লিগ ও বিলাবলের পাকিস্তান পিপলস পার্টি। তার পর থেকেই পাক-আফগান সীমান্তে তালিবান বিরোধী তৎপরতা শুরু করে পাক সেনা। সম্প্রতি তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান সম্পর্কে বিরুপ মন্তব্য করেন বিলাবল। তারপরেই পাক সরকারের বিরুদ্ধে হুমকি দিয়েছে তেহরিক-ই-তালিবান। কাবুল ঘনিষ্ঠ এই সংগঠনের বক্তব্য, আমেরিকাকে খুশি করতেই তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হচ্ছে। পাকিস্তানের বর্তমান সরকার আমেরিকার এজেন্ডা অনুযায়ী কাজ করছে বলেও জানায় তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান। এই সংগঠনের অভিযোগ, বিলাবল ভুট্টো আমেরিকার পক্ষ নিয়েছে। কিন্তু তিনি কেন সন্ত্রাসবাদ নিয়ে আমেরিকার লাইন নিলেন, তা বোঝা যাচ্ছে না।

    আরও পড়ুুন: ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ফয়দা তোলার অভিযোগ ঠিক নয়, সাফ জানালেন জয়শঙ্কর

    সম্প্রতি ২০২২ সালের বার্ষিক রিপোর্ট প্রকাশ করে তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান। রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত বছর তারা ৪৪৬ জন পাকিস্তানি সেনা জওয়ানকে খুন করেছে। এজন্য তারা হামলা চালিয়েছিল ৩৬৭ বার। আর খাইবার পাখতুন এলাকায় তারা অভিযান চালিয়েছিল ৩৪৮ বার। রিপোর্টে আরও জানা গিয়েছে, কেবল ডিসেম্বরেই ৬৯ বার হামলা হয়েছে। পাকিস্তান সরকার ও তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের অস্ত্রবিরতির চুক্তি শেষ হওয়ার পরেই ওই হামলা হয়। তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান এবং বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মির কাছ থেকেই নানা ঝড়ঝাপ্টা সামলাতে হয়েছে পাকিস্তানকে।

    মঙ্গলবার দুপুরে পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লার উপস্থিতিতে পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে আফগানিস্তান সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বড় মাপের সামরিক অভিযানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তার কয়েক ঘণ্টা পরেই পাঞ্জাব প্রদেশে জঙ্গি বিরোধী অভিযানের দায়িত্বপ্রাপ্ত কাউন্টার টেররিজম ডিপার্টমেন্টের দুই পদস্থ কর্তাকে গুলি করে খুন করে কাবুল ঘনিষ্ঠ ওই সংগঠন। স্বভাবতই এর পর আর তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের হুমকিকে (Death Threat) নিছক ফাঁকা বুলি বলে মনে করছে না সে দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Ram Mandir: ২০২৪ সালের জানুয়ারির মধ্যেই হয়ে যাবে রাম মন্দির, ত্রিপুরায় ঘোষণা শাহের

    Ram Mandir: ২০২৪ সালের জানুয়ারির মধ্যেই হয়ে যাবে রাম মন্দির, ত্রিপুরায় ঘোষণা শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৪ সালের মধ্যেই তৈরি হয়ে যাবে রাম মন্দির (Ram Mandir)। বৃহস্পতিবার ত্রিপুরা সফরে গিয়ে এ কথা জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। ২০২৪ সালে রয়েছে লোকসভা নির্বাচন। তার আগে যে রাম মন্দির নির্মাণের কাজ শেষ হয়ে যাবে তা নিয়ে জল্পনা ছিলই। এদিন তাতেই শিলমোহর দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এবং এজন্য তিনি বেছে নিলেন ত্রিপুরার মাটিকে। কারণ চলতি বছরই রয়েছে ত্রিপুরা (Tripura) বিধানসভার নির্বাচন।

    জন বিশ্বাস যাত্রা…

    উপজাতি অধ্যুষিত ত্রিপুরার ধর্মনগরে বৃহস্পতিবার জন বিশ্বাস যাত্রার উদ্বোধন করতে বিজেপি শাসিত এই রাজ্যে আসেন শাহ। সেখানেই তিনি জানিয়ে দেন রাম মন্দির নির্মাণের কাজ কবে শেষ হবে। এদিন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে কটাক্ষ করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাহুল বাবা শুনুন, আমি রাম মন্দির তৈরি হয়ে যাওয়ার দিনক্ষণ ঘোষণা করছি। এর পরেই শাহ বলেন, অযোধ্যার রাম মন্দির তৈরি হয়ে যাবে ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারিতেই।

    গত বছরের অক্টোবরের প্রথম দিকেই জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট জানিয়ে দিয়েছিল, অযোধ্যার রাম মন্দির (Ram Mandir) নির্মাণের কাজ অর্ধেকেরও বেশি এগিয়ে গিয়েছে। ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাস থেকে তা পর্যটকদের জন্য খুলে যাবে বলেও জানানো হয়েছিল ওই ট্রাস্টের তরফে। ট্রাস্ট সূত্রে খবর, ওই সময়ের মধ্যে মন্দিরে মূর্তি বসানোর কাজও শেষ হয়ে যাবে। অযোধ্যায় ২.৭৭ একর জমিতে মূলত গ্রানাইট পাথর দিয়ে তৈরি হচ্ছে রাম মন্দির। মন্দিরে থাকবে সিংহ দরজা। তা ছাড়াও থাকবে আরও ১২টি দরজা। স্তম্ভ থাকবে ৩৯২টি। মন্দিরে ভূমিকম্পের কোনও প্রভাব পড়বে না বলেও ট্রাস্ট সূত্রে খবর।

    আরও পড়ুুন: সন্ত্রাসবাদীদের মদতদাতাদেরও নির্মূল করতে হবে, জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে বৈঠকে অমিত শাহ

    এদিকে, এদিন জন বিশ্বাস যাত্রার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শাহ বলেন, ২০২৩ সালের ভোটে ত্রিপুরা থেকে কমিউনিস্টদের উৎখাত করাই হবে প্রধান কাজ। তিনি বলেন, আগে এখানে সাধারণ মানুষকে দিনের প্রতিটি কাজের আগে কোনও ক্যাডারের অনুমতি নিতে হত। এখন দেখুন, কোথাও কমিউনিস্টদের টিকিটি মিলবে না। শাহ বলেন, ত্রিপুরা থেকে সন্ত্রাসবাদ মুছে দিয়েছে বিজেপি। উত্তর-পূর্ব ভারতের সার্বিক উন্নতির জন্য কাজ করে চলেছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। ত্রিপুরাকে আগে মানুষ মাদক পাচার, হিংসা, দেশবিরোধী কার্যকলাপের জন্য চিনত। এখন এই রাজ্যকে উন্নয়ন, অসাধারণ পরিকাঠামো, ক্রীড়াক্ষেত্রে সাফল্য, বিনিয়োগ এবং জৈব খামারের জন্য প্রশংসা করে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Vande Bharat Express: মজা করেই পাথর নিক্ষেপ বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে! জেরায় জানাল ধৃত তিন নাবালক

    Vande Bharat Express: মজা করেই পাথর নিক্ষেপ বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে! জেরায় জানাল ধৃত তিন নাবালক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিউ জলপাইগুড়ির কাছে মঙ্গলবার আপ বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে (Vande Bharat Express) পাথর ছোড়ার ঘটনায় (stone pelting case) গ্রেফতার (arrest) হল তিন নাবালক। তদন্ত শুরুর মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বিহারের (Bihar) কিষানগঞ্জ থেকে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ এবং রেল সুরক্ষা বাহিনী (আরপিএফ) যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে। এরপর তাদের কাটিহারের জুভেনাইল কোর্টে হাজির করা হয়।

    মজার ছলেই পাথর নিক্ষেপ

    আগেই পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে এনে জানিয়েছিল, বাংলা নয়, বন্দে ভারতে পাথর ছোড়া হয়েছিল বিহার থেকে। চিহ্নিত করা হয় চার অভিযুক্তকেও। পরে রেলের কাটিহার শাখার তরফে জানা যায়, বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে পাথর ছোড়ার ঘটনায় প্রথমে ৪ জনকে আটক করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এক জন পালিয়ে গিয়েছে বলেই দাবি রেল সূত্রে। ধৃতেরা সকলেই কিষানগঞ্জের পোঠিয়া থানার নিমলা গ্রামের বাসিন্দা। বয়স চোদ্দর মধ্যে। ট্রেনে পাথর ছোড়ার ঘটনার পর আরপিএফের পক্ষ থেকে অমিতকুমার বর্মা পোঠিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে তদন্তে নেমে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: রেকর্ড শীত কলকাতায়! মরশুমের শীতলতম দিনে কাঁপুনি ধরাল হাড়ে

    পুলিশি জেরায় ধৃতরা যা দাবি করেছে, তা শুনে রীতিমতো তাজ্জব অফিসাররা। নাবালকরা বলেছে, নেহাতই মজা করার জন্য ট্রেনে পাথর ছুড়ে মেরেছিল তারা। এছাড়া আর কোনও উদ্দেশ্য ছিল না। তবে এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই বন্দে ভারতের নিরাপত্তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠে গেছে। ট্রেনে পাথর ছুড়ে মজা করার ঘটনা নতুন নয়। আগেও বহুবার এরকম ঘটেছে। কিন্তু রেলের তরফে সচেতনতা প্রচার চালিয়ে এই ঘটনা কিছুটা হলেও কমানো হয়। ১ জানুয়ারি থেকে বাংলায় চালু হয়েছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। কিন্তু এরপরই সোমবার এবং মঙ্গলবার পরপর দু’দিন ট্রেন লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ার ঘটনা ঘটে। যা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় শুরু হয়। এনআইএ তদন্তের দাবি তোলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। যদিও তদন্তে নেমে দেখা যায়, ট্রেনে পাথর ছোড়ার পুরনো অভ্যেস থেকেই এই কাণ্ড ঘটেছে। তবে প্রথম দিন মালদার কাছে কারা বন্দে ভারত লক্ষ্য করে পাথর ছুড়েছিল তা এখনও সামনে আসেনি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Cattle Smuggling: ১৫০ অ্যাকাউন্টে সই একজনেরই! সিউড়ির ব্যাঙ্কে সিবিআই হানা, এখানেও কেষ্ট-যোগ?

    Cattle Smuggling: ১৫০ অ্যাকাউন্টে সই একজনেরই! সিউড়ির ব্যাঙ্কে সিবিআই হানা, এখানেও কেষ্ট-যোগ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বীরভূমের ব্যাঙ্কে হানা দিল কেন্দ্রীয় এজেন্সি সিবিআই (CBI)। এর আগে গরু পাচার মামলার তদন্তে বোলপুরের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে হানা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বৃহস্পতিবার সিবিআইয়ের একটি বড় টিম পৌঁছল সিউড়ি সমবায় ব্যাঙ্কে। সূত্রের খবর, ওই ব্যাঙ্কে এমন অনেকগুলি অ্যাকাউন্টের হদিশ পাওয়া গিয়েছে, যা বেনামে খোলা হয়েছে। প্রায় ১৫০টি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে বলে অভিযোগ। ওই সব অ্যাকাউন্টে প্রায় ১০ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। তবে অবাক করা ব্যাপার, প্রতিটি অ্যাকাউন্টে সই একজনেরই। ফলে এই অ্যাকাউন্টগুলির সঙ্গেও তৃণমূলের বীরভূম জেলার সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের যোগ আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে কি এই অ্যাকাউন্টগুলোর সাহায্যেও গরু পাচারের (Cattle Smuggling) কালো টাকা সাদা করা হত? এমনটাই প্রশ্ন উঠছে রাজ্যবাসীর মনে।

    আরও পড়ুন: আরও ৫৯ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল, বন্ধ হবে বেতনও! নির্দেশ হাইকোর্টের

    খাদ্য দফতরেরও যোগসূত্র রয়েছে?

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই ব্যাঙ্কের আর্থিক লেনদেনে খাদ্য দফতরের যোগসূত্রও পাওয়া গিয়েছে। গরু পাচারের (Cattle Smuggling) কালো টাকা সাদা করার জন্য খাদ্য দফতরকেও ব্যবহার করা হয়েছে কিনা সেই প্রশ্নই সামনে আসছে। সিবিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, গরীব মানুষদের কাছ থেকে অল্প দামে নগদে ধান কেনা হত ওই সব অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে। খাদ্য দফতরে যে চাল বিক্রি হয়েছিল অনুব্রতর মিল থেকে, সেই টাকা জমা পড়েছে এই অ্যাকাউন্টগুলিতে। কিন্তু কার সইয়ে এই লেনদেন হত, তা জানা যায়নি। এভাবে গরু পাচারের টাকা দিনের পর দিন সাদা করা হত বলে সন্দেহ গোয়েন্দাদের। আর এই সব তথ্য সংগ্রহ করতে এদিন ব্যাঙ্কে পৌঁছে যায় সিবিআই।

    সিবিআইয়ের ধমক ব্যাঙ্কের ম্যানেজারকে

    ওই সমবায় ব্যাঙ্কে গিয়ে ম্যানেজারকে ধমক দেন গরু পাচার কাণ্ডের তদন্তকারী সিবিআই আধিকারিক সুশান্ত ভট্টাচার্য। তিনি ম্যানেজারকে বলেন, ‘‘এক জন অপরাধীকে কালো টাকা সাদা করতে সাহায্য করছেন আপনি!” তিনি প্রশ্ন করেন, “কার নির্দেশে তা করা হয়েছে? অ্যাকাউন্ট খুলতে কে এসেছিলেন? আপনি নাম বলুন।” আবার সুশান্তবাবু ম্যানেজারকে সহযোগিতা না করলে গ্রেফতার করারও হুঁশিয়ারি দেন। ইতিমধ্যেই ব্যাঙ্কের সব লেনদেনও আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। এখনও পর্যন্ত প্রায় ১০ কোটির লেনদেনের তথ্য সামনে এলেও পরবর্তীতে টাকার পরিমাণ আরও বাড়বে বলে মনে করছে সিবিআই।

  • Delhi Accident: দিল্লি কাণ্ডে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা! পুলিশের নজরে আরও দুই ব্যক্তি

    Delhi Accident: দিল্লি কাণ্ডে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা! পুলিশের নজরে আরও দুই ব্যক্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ষবরণের রাতে দিল্লির অঞ্জলি সিং-এর ভয়াবহ মৃত্যুর ঘটনায় এল আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। বৃহস্পতিবার, দিল্লি পুলিশ জানায়, এই ঘটনায় তাদের সন্দেহভাজনের তালিকায় উঠে এসেছে আরও দুই ব্যক্তির নাম। এমনকী জানা গিয়েছে, এই দুই ব্যক্তি প্রমাণ লোপাটেরও চেষ্টা করেছেন। ইতিমধ্যেই গাড়ির সওয়ারি পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দিল্লি পুলিশের বিশেষ কমিশনার সাগরপ্রীত হুডা জানিয়েছেন, এই দুই সন্দেহভাজন হলেন আশুতোষ এবং অঙ্কুশ নামের ব্যক্তি। তাদের শীঘ্রই গ্রেফতার করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে অঞ্জলির মত্ত হয়ে গাড়ি চালানোর নিধির দাবিকে মিথ্যে বলেছেন অঞ্জলির মা।

    অঞ্জলি সিং-এর ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, অভিযুক্ত পাঁচজনের নাম অমিত খান্না, দীপক খান্না, মিঠুন, কৃষাণ এবং মনোজ মিত্তাল। আর এদেরকেই সাহায্য করার চেষ্টা করছিলেন ওই সন্দেহভাজন দুই ব্যক্তি। সাগরপ্রীত হুডা বলেন, “আমরা পাঁচ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছি। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জেরার সময় আমরা জানতে পেরেছি, এই ঘটনায় আরও দুই ব্যক্তি জড়িত আছে। আমাদের দল তাদের সন্ধানে অভিযান চালাচ্ছে। অপর দুই অভিযুক্তের নাম আশুতোষ এবং অঙ্কুশ খান্না। তারা ওই পাঁচজনকে রক্ষা করার চেষ্টা করেছিলেন ও প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করেছিলেন।”

    হুডা আরও জানিয়েছেন, মামলার তদন্তের জন্য দিল্লি পুলিশের মোট ১৮ টি দল গঠন করা হয়েছে এবং তারা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চার্জশিট দাখিল করার চেষ্টা করছে। তিনি জানিয়েছেন, অঞ্জলি সিং-এর বান্ধবী, ঘটনার অন্যতম সাক্ষী নিধির বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। তাঁর সঙ্গে অভিযুক্তদের কোনও যোগসূত্র এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।

    আরও পড়ুন:দিল্লি কি সর্দি! ঠান্ডায় জবুথবু রাজধানী, পারদ নামল ২.৫ ডিগ্রিতে

    নিধির দাবি অস্বীকার অঞ্জলির মায়ের

    অঞ্জলির বন্ধু নিধি দাবি করেছিলেন, অঞ্জলি মত্ত হয়ে স্কুটি চালাচ্ছিলেন। এবার তাঁর এই দাবিকে সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিলেন অঞ্জলির মা রেখা দেবী। তাঁর অভিযোগ, নিধি মিথ্যা কথা বলছেন। তাঁর মেয়েকে খুনের চক্রান্তে সে-ও শামিল ছিলেন বলে দাবি করেছেন তিনি। আবার অঞ্জলির পারিবারিক চিকিৎসক জানান, তাঁর ময়নাতদন্তের রিপোর্টে মদ খাওয়ার সপক্ষে কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। অঞ্জলির মায়েরও দাবি, তিনি তাঁর মেয়েকে কোনও দিন মদ খেয়ে বাড়ি আসতে দেখেননি। উল্টে নিধির বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

    ক্ষতিপূরণ অঞ্জলির পরিবারকে

    এই ঘটনার পর দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া বুধবার অঞ্জলির বাড়িতে গিয়েছিলেন এবং মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ইতিমধ্যে অঞ্জলির পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা ও পরিবারের একজনকে সরকারি চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। আবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ অঞ্জলির মৃত্যুর ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। ফলে পরবর্তীতে এই ঘটনায় আর কী কী তথ্য বেরিয়ে আসে, সেটিই এখন দেখার।

LinkedIn
Share