Blog

  • EPFO: পেনশন ফান্ডে চাপ বাড়ছে! অবসরের বয়স বাড়ানোর পরামর্শ ইপিএফও-এর

    EPFO: পেনশন ফান্ডে চাপ বাড়ছে! অবসরের বয়স বাড়ানোর পরামর্শ ইপিএফও-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার কর্মীদের জন্য অবসরের বয়স বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন (EPFO) ৷ পেনশন নিয়ন্ত্রক এই সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে দেশে প্রবীণ নাগরিকদের সংখ্যা ক্রমাগত বেড়ে যাচ্ছে। এর ফলে আগামী দিনে পেনশন ফান্ডে ক্রমশ চাপ বাড়বে ৷ তাই এই ক্রমবর্ধমান চাপ ঠেকাতে অবসরকালীন বয়সের সীমা বাড়ানো হোক।

    চাকরিজীবীদের বেশিরভাগেরই এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অথবা ইপিএফ রয়েছে। প্রত্যেক মাসের বেতন থেকে একটা নির্দিষ্ট অংশ কেটে নিয়ে তার সঙ্গে নিজেদের অংশ যোগ করে ইপিএফে জমা দেওয়াই নিয়ম। যে সংস্থায় কোনও ব্যাক্তি চাকরি করেন, টাকা জমা দেওয়ার দায়িত্ব তাদেরই। একটি সমীক্ষায়, ইপিএফও জানিয়েছে, অবসরের বয়স বাড়ানো হলে পেনশন সিস্টেমের উপর চাপ কমবে, এবং কর্মচারীদের আরও ভাল রিটায়েরমেন্ট অ্যাডভান্টেজ দেওয়া যেতে পারে ৷ সংগঠনের ওই সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ২০৪৭ পর্যন্ত ৬০ বছরের উপরে মানুষের সংখ্যা ১৪ কোটির বেশি হয়ে যাবে ৷ ফলে পেনশন ফান্ডের উপর প্রবল চাপ পড়ে যাবে ৷ ইপিএফও জানিয়েছে, অবসরের বয়স বাড়ানোর বিষয়টি অন্য দেশের নিয়ম পর্যবেক্ষণ করেই বলা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ভুল প্রশ্নের জের! ২৩ টেট পরীক্ষার্থীকে দ্রুত চাকরি দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের

    ভারতে সাধারণত অবসরের বয়স ৫৮ বছর থেকে ৬৫ বছর ৷ ইউরোপিয় দেশে অবসরের বয়স ৬৫ বছর ৷ ইউরোপের ডেনমার্ক, ইতালি ও গ্রিসে অবসরের বয়স ৬৭ বছর, আমেরিকায় ৬৬ বছর ৷ মনে করা হচ্ছে, দেশে  অবসরের বয়স বাড়ানো হলে কর্মচারীরা অতিরিক্ত টাকা জমা দেবেন, লাভও বেশি হবে৷ বর্তমানে ইপিএফও- এর কাছে ৬ কোটি গ্রাহক রয়েছে এবং মোট ১২ লক্ষ কোটি টাকার তহবিল রয়েছে ৷ তবে, অবসরের বয়স বেশি বাড়ানো হলে চাকরির জন্য আগামী প্রজন্মকে অনেক বেশি অপেক্ষা করতে হবে, অভিমত বিশেষজ্ঞদের৷

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • SSC Scam: এসএসসি দুর্নীতিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ প্রসন্নর চার দিনের সিবিআই হেফাজত

    SSC Scam: এসএসসি দুর্নীতিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ প্রসন্নর চার দিনের সিবিআই হেফাজত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পার্থ ঘনিষ্ঠ প্রসন্ন রায়কে চার দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে বিশেষ আদালত। ৯ সেপ্টেম্বর আবার হাজিরা দেওয়ার কথা প্রসন্নর। ২৬ অগস্ট নিউটাউন থেকে সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার হন প্রসন্ন কুমার রায়। শিক্ষা দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত এসএসসি-র (SSC Scam তৎকালীন উপদেষ্টা শান্তি প্রসাদ সিনহা এবং মিডলম্যান প্রদীপ সিং-কে জিজ্ঞাসাবাদ করে নিউ টাউনের এই কোটিপতি প্রসন্ন রায়ের হদিশ পায় সিবিআই (CBI custody)। সেই মতোই তাঁকে গ্রেফতার করা হয় ।

    আরও পড়ুন: সামান্য রং-মিস্ত্রি থেকে দুবাইয়ে হোটেল-মালিক! পার্থ-ঘনিষ্ঠর উল্কাবেগে উত্থানে তাজ্জব সিবিআই

    সোমবার, সকালে তাকে সিবিআইয়ে বিশেষ আদালতে তোলা হলে আদালতের তরফে তাঁর জামিন মঞ্জুর করা হয়নি। সিবিআইয়ের আইনজীবী তাঁকে আরও  জিজ্ঞাসাবাদ করার আর্জি জানায়। আদালতে সিবিআইয়ের তরফে বলা হয়, এসএসএসি নিয়োগ দুর্নীতিতে একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তির হাত রয়েছে। বহু টাকার বেআইনি লেনদেন হয়েছে। তদন্তে উঠে আসছে অনেকের নাম। কয়েকজনকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় সিবিআই। তাই তাঁরা আরও পাঁচদিনের জন্য প্রসন্নকে নিজেদের হেফাজতে চায়। এমনকি প্রসন্ন রায় তদন্তে সহযোগিতা করছেন না বলেও সিবিআইয়ের তরফে অভিযোগ করা হয়। সিবিআইয়ের আর্জি মেনে আদালত প্রসন্নকে চারদিনের সিবিআই হেফাজতে পাঠায়।

    আরও পড়ুন: অর্পিতার মতো প্রসন্নরও রয়েছে ফিল্মি-যোগ? পার্থ-ঘনিষ্ঠদের ‘অপ’-কর্মেও মিল!

    অভিযোগ, সল্টলেকে প্রসন্নর একটি গাড়ি ভাড়ার অফিস রয়েছে। সূত্রের খবর, এই অফিস থেকেই নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের একাধিক তথ্য এবং নথি উদ্ধার করেছে। সিবিআই গোয়েন্দাদের দাবি, এই অফিসেই বসেই নাকি হত এসএসসি কাণ্ডের টাকার লেনদেন।  তদন্ত করে সিবিআই জানতে পেরেছে, প্রায়ই রাতে একাধিক গাড়ি করে আসত টাকা। সেই টাকা কোথা থেকে আসত, কে পাঠাত, কোথায় যেত, কার কাছে যেত— এই সব প্রশ্নের উত্তর বিশদে জানতে প্রসন্নকে আরও কিছুদিন নিজেদের হেফাজতে নিতে চাইছে সিবিআই। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • BJP Attacks Rahul: রাহুলের ভারত জোড়ো যাত্রাকে কটাক্ষ বিজেপির, কী বলল গেরুয়া শিবির?  

    BJP Attacks Rahul: রাহুলের ভারত জোড়ো যাত্রাকে কটাক্ষ বিজেপির, কী বলল গেরুয়া শিবির?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত জোড়ো যাত্রায় (Bharat Jodo Yatra) অংশ নিতে চলেছেন কংগ্রেস (Congress) নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul gandhi)। তাঁকে কটাক্ষ করল গেরুয়া শিবির। বিজেপির  তামিলনাড়ু রাজ্য সভাপতি কে আন্নামালাই (K Annamalai) মঙ্গলবার নিশানা করেন রাহুলকে। তিনি বলেন, কেরলের কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী ভারত জোড়ার চেয়ে ভারত ছাড়োর (Bharat Chodo) জন্য অনেক বেশি বিখ্যাত। তবে তিনি আশা প্রকাশ করেন রাহুলের এই যাত্রা নিউ ইন্ডিয়া সম্পর্কে তাঁর চোখ খুলে দেবে। কারণ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে এগিয়ে চলেছে দেশ। দেশ যাত্রায় সেই উন্নয়নের সুফলই দেখতে পাবেন কংগ্রেস নেতা।

    বুধবার দক্ষিণ কন্যাকুমারিকা জেলা থেকে কংগ্রেসের এই যাত্রার সূচনা হওয়ার কথা। এজন্য ছাপানো হয়েছে লিফলেট, পোস্টার। তাতে লেখা হয়েছে মিলে কদম, জুড়ে বতন। যার বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায়, চলুন একসঙ্গে হাঁটা যাক দেশকে এক সুতোয় বাঁধতে। যাত্রা চলবে পাঁচ মাস ধরে। শেষ হবে কাশ্মীরে গিয়ে। ১২টা রাজ্যের ওপর দিয়ে যাবেন কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা। ট্যুইট বার্তায় একেই নিশানা করেন আন্নামালাই। তিনি লিখেছেন, রাহুল গান্ধী ভারত ছোড়র জন্য বিখ্যাত। সেই তিনিই আগামিকাল থেকে যাত্রা শুরু করতে চলেছেন। গত আট বছরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে নিউ ইন্ডিয়া গড়ে তুলেছেন, রাহুল অবশ্য তা চাক্ষুষ করবেন।

    আরও পড়ুন :মোদির ডাকে সাড়া দিয়ে প্রোফাইল পিকচার বদলালেন রাহুল গান্ধীও!

    আন্নামালাইয়ের দাবি, বিজেপি শাসিত রাজ্যে জ্বালানির দাম অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় কম। তিনি বলেন, আমি রাহুল গান্ধীকে অনুরোধ করব ইউপিএর অংশীদার বিশেষত ডিএমকে সরকারকে তিনি যেন ভোটের সময় দেওয়া জ্বালানির দাম কমানোর যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তা রক্ষা করতে বলেন। এই বিজেপি নেতা বলেন, রাহুলের যাত্রায় যেসব যানবাহন যাবে, সেগুলি যেন কোনও বিজেপি শাসিত রাজ্য থেকে জ্বালানি ভরে নেয়। তাতে পয়সা বাঁচবে।

    মোদি জমানায় ভারতের যে প্রভূত উন্নতি হয়েছে, এদিন তা মনে করিয়ে দেন আন্নামালাই। বলেন, মোদির জমানায় উন্নতি চোখে পড়বে বিভিন্ন ক্ষেত্রে। জনধন যোজনায় রাজকোষাগারে বেঁচেছে ২.২৩ লক্ষ কোটি টাকা। মোদির জমানা যে রাজীব গান্ধীর আমলের চেয়ে ভাল, তার উল্লেখ করে এই বিজেপি নেতা বলেন, ১৯৮৫ সালে রাজীব গান্ধী দাবি করেছিলেন প্রতি এক টাকা খরচ হলে উপভোক্তার হাতে গিয়ে পৌঁছায় মাত্র ১৫ পয়সা। এখন তা হয় না বলেই দাবি তাঁর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Web Series on Rajiv Assassination: ‘ট্রেল অফ অ্যান অ্যাসাসিন’, ওটিটি পর্দায় রাজীবহত্যা রহস্য 

    Web Series on Rajiv Assassination: ‘ট্রেল অফ অ্যান অ্যাসাসিন’, ওটিটি পর্দায় রাজীবহত্যা রহস্য 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিনটা ছিল ২১ মে। আর সালটা ১৯৯১। তামিলনাডুর মাদ্রাজ (অধুনা চেন্নাই) থেকে ৩০ মাইল দূরে শ্রীপেরুম্বুদুর লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থীর হয়ে প্রচার সভায় এক আত্মঘাতী জঙ্গির হাতে নিহত হন ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী (Rajiv Gandhi)। সেই সময় জাতীয় কংগ্রেসের (Indian National Congress) সভাপতিও ছিলেন তিনি । কেটে গিয়েছে ৩১টা বছর। কিন্তু এখনও রাজীবহত্যার স্মৃতি ভারতীয়দের মনে দগদগে ক্ষতের মতোই রয়ে গিয়েছে। এই ঘটনার পিছনের অনেক সত্যিই আজও শিহরিত করে আমাদের। নয়ের দশকের সেই অভিশপ্ত সময়কেই ফিরিয়ে আনছেন পরিচালক নাগেশ কুকুনুর (Nagesh Kukunoor)। ওয়েব সিরিজের মাধ্যমে।

    আরও পড়ুন: ‘বিক্রম বেদা’-য় তিন ভিন্ন অবতারে দেখা যাবে হৃত্বিককে! ৮ সেপ্টেম্বর মুক্তি পেতে চলেছে ট্রেলার     

    রাজীব গান্ধী হত্যার পিছনে রয়েছে কোন গল্প মূলত সেই রহস্যই উন্মোচন করবেন পরিচালক। জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত পরিচালক নাগেশ কুকুনুর, এর আগে ‘সিটি অফ ড্রিমস’ ছবির মাধ্যমে সিনেমার দুনিয়ায় বেশ সাড়া ফেলেছিলেন। এই ছবির প্রযোজনা করেছিল অ্যাপ্লজ এন্টারটেনমেন্ট (Applause Entertainment)। আবারও এই প্রযোজনা সংস্থার হাত ধরেই পরিচালক কুকুনুর পর্দায় ফুটিয়ে তুলবেন রাজীবহত্যা রহস্য। 

    অনিরুদ্ধ মিত্রর (Anirudhya Mitra) সদ্য প্রকাশিত বই ‘নাইন্টি ডেজ়: দ্য ট্রু স্টোরি অফ দ্য হান্ট ফর রাজীব গান্ধীজ় অ্যাসাসিন’ (Ninety Days: The True Story of the Hunt for Rajiv Gandhi’s Assassin)- এর  ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে সিরিজটি। সিরিজের নাম ‘ট্রেল অফ অ্যান অ্যাসাসিন’ (Trail of an Assassin)। হত্যাকারীর গল্প তুলে ধরা হবে সেই সিরিজের মাধ্যমে। 

    আরও পড়ুন: ‘মহেশ ভাটের আসল নাম আসলাম, তবে লুকিয়ে রাখেন কেন?’ প্রশ্ন করলেন কঙ্গনা

    প্রাক্তন সাংবাদিক, অনিরুদ্ধ মিত্র সেই সময় রাজীব গান্ধী হত্যার খবর করেছিলেন। এই সংক্রান্ত বেশ কিছু এক্সক্লুসিভ খবর ব্রেকও করেছিলেন তিনি। সিবিআই-এর বিশেষ তদন্তকারী দল কীভাবে এই হত্যার প্লট খুঁজে বের করে? কীভাবে ঘাতকদের সনাক্ত করা হয়? এই ঘটনার মাস্টারমাইন্ড কে? এই সব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে এই সিরিজে।   
     
    সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ছবিরই ফাস্ট পোস্টার লুক প্রকাশ করেছে অ্যাপ্লজ এন্টারটেনমেন্ট। সূত্রমতে, অল্প সময়েই মুক্তি পাবে সিরিজটি।

     
     
     
     
     
    View this post on Instagram
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     

    A post shared by Applause Entertainment (@applausesocial)


    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Durga Puja Donation: বকেয়া নেই সরকারি কর্মীদের  মহার্ঘ ভাতা! পুজো অনুদান মামলায় দাবি রাজ্যের

    Durga Puja Donation: বকেয়া নেই সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা! পুজো অনুদান মামলায় দাবি রাজ্যের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের কোনও মহার্ঘ ভাতা (DA)বকেয়া নেই। মঙ্গলবার পুজো অনুদান মামলায় হাই কোর্টে হলফনামা দিয়ে এমনটাই জানাল রাজ্য সরকার। রাজ্যের ৪৩ হাজার দুর্গাপুজো কমিটিকে আসন্ন পুজো উপলক্ষে ৬০ হাজার টাকা করে অনুদান দিয়েছে রাজ্য সরকার। এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে দুটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাই কোর্টে। মামলাকারীদের দাবি, যেখানে সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা বাকি রয়েছে, সেখানে পুজো কমিটিকে অনুদান দেওয়া ঠিক নয়। এ প্রসঙ্গেই রাজ্য সরকারের তরফে এদিন হাই কোর্টে হলফনামা পেশ করা হয়। 

    রাজ্যের কাছে কোনও মহার্ঘ ভাতা বকেয়া নেই। তাই এই মামলার গ্রহণযোগ্যতাও নেই। কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা এবং পূজোর অনুদান দুটি সম্পূর্ন আলাদা বিষয়। দুটিকে এক ছাতার তলায় নিয়ে এসে অভিযোগ করা যায় না। অনুদান নিয়ে এদিন আদালতে রাজ্য বেশ কয়েকটি যুক্তি দিয়েছে। রাজ্যের মতে, কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা এবং পূজোর অনুদান দুটি সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়। দুটিকে এক ছাতার তলায় নিয়ে এসে অভিযোগ করা যায় না। রাজ্য সরকার পূজো কমিটিগুলোকে বিদ্যুৎ বিলে কোনও ছাড় দিচ্ছে না। পুজো সংক্রান্ত অনুদানের জন্য ২০১৮ সাল থেকেই “পুলিশ ” অনুশীর্ষে অর্থাৎ ” সেফ ড্রাইভ ও সেভ লাইফ” খাতে অর্থ বরাদ্দ করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে তিন সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রের অবস্থান জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট

    সংবিধান অনুযায়ী রাজ্য সরকার মনে করলে জনগণের জন্য অর্থ বরাদ্দ করতে পারে। এতে কোনও বাধা নেই। ইউনেস্কোর তরফ থেকে দুর্গাপূজোকে হেরিটেজ তকমা দেওয়া হয়েছে। এটা রাজ্যের তথা দেশের জন্যও গর্বের বিষয়।  সংবিধানের 51A ধারা অনুযায়ী হেরিটেজ রক্ষা করার দ্বায়িত্ব দেশের প্রত্যেক নাগরিকের রয়েছে এবং রাজ্য সরকারের কাছে প্রত্যাশা করা হয় যেন তারা এগুলিকে সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ করে। তাই দুর্গাপুজোর দিনগুলিতে উৎসবকে মসৃণ ভাবে পরিচালনা করার জন্য এই অর্থ বরাদ্দ করা হয়। কোনও নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে উৎসাহিত করার জন্য এই অর্থ বরাদ্দ হয় না। তাই সব দিক বিবেচনা করলে এই মামলা করার কোনও গ্রহণযোগ্য অবস্থান মামলাকারীর নেই।

  • Nitish Kumar: আমার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার বাসনা নেই, রাহুলের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে জানালেন নীতীশ

    Nitish Kumar: আমার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার বাসনা নেই, রাহুলের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে জানালেন নীতীশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি (BJP) বিরোধী শিবিরকে এক ছাতার তলায় নিয়ে আসতে উদ্যোগী হলেন বিহারের (Bihar) মহাজোটের মুখ্যমন্ত্রী জনতা দল ইউনাইটেডের (JDU) নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। সোমবার দিল্লি উজিয়ে গিয়ে তিনি দেখা করলেন কংগ্রেস (Congress) নেতা রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) সঙ্গে। সূত্রের খবর, ভিন্ন দুই রাজনৈতিক দলের এই দুই নেতার আলোচনায় দেশের বর্তমান রাজনীতির প্রসঙ্গ নিয়েই আলোচনা হয়েছে। বিজেপি বিরোধী বিভিন্ন দলকে কীভাবে এক ছাতার তলায় নিয়ে আসা যায় তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে দুই ‘হুজুরে’র। কেবল কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী নন, এদিন নীতীশ দেখা করেছেন জনতা দল সেকুলার সুপ্রিমো এইচ ডি কুমারস্বামীর সঙ্গেও। কুমারস্বামীর বাসভবনে গিয়ে দেখা করেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী।

    এক সময় বিজেপির হাত ধরে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদে বসেন নীতীশ। সম্প্রতি গেরুয়া সঙ্গ ছেড়ে কংগ্রেস এবং লালু প্রসাদ যাদবের আরজেডির সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে মহাজোট গঠন করে সরকার গড়েন নীতীশ। এই মহাজোট সরকারেরও মুখ্যমন্ত্রী হন নীতীশ। উপমুখ্যমন্ত্রী পদে বসানো হয় লালু প্রসাদ যাদবের ছেলে তেজস্বীকে। তখনই জল্পনা ছড়ায় ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি বিরোধী শিবিরের প্রধানমন্ত্রী পদে মুখ হতে পারেন নীতীশ। জল্পনা আরও জোরালো হয়, কারণ দিন কয়েক আগে তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কেসিআর বিহারে এসে দেখা করেন নীতীশের সঙ্গে। এদিন নীতীশ স্বয়ং দেখা করলেন রাহুল এবং কুমারস্বামীর সঙ্গে।

    আরও পড়ুন :জেডি(ইউ) ছেড়ে বিজেপিতে পাঁচ বিধায়ক, নীতীশ কুমারকে কটাক্ষ গেরুয়া শিবিরের

    জানা গিয়েছে, এদিন রাহুলের ঘণ্টাখানেক ধরে নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন নীতীশ। তাঁর সঙ্গে রাহুলের বাসভবনে গিয়েছিলেন বিহারের জল সম্পদ মন্ত্রী তথা নীতীশের দলের নেতা সঞ্জয় কুমার ঝা। বৈঠক শেষ সাংবাদিক সম্মেলনে নীতীশ বলেন, আঞ্চলিক দলগুলিকে দুর্বল করে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। আমি চেষ্টা করছি সাধারণ নির্বাচনের আগে বিরোধীদের এক ছাতার তলায় নিয়ে আসতে। প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে নিজেকে তুলে ধরার কোনও ইচ্ছে আমার নেই। প্রসঙ্গত, এবারের দিল্লি সফরে নীতীশ দেখা করতে পারেন এনসিপি নেতা শারদ পাওয়ার, আপ নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল, সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি, সমাজবাদী পার্টি সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব এবং আইএনএলডি প্রধান ওম প্রকাশ চৌতালার সঙ্গে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Asia Cup 2022:  ‘এই ঘটনা আমার আত্মবিশ্বাস আরও বাড়িয়ে তুলবে’, শ্রীলঙ্কা ম্যাচের আগে অর্শদীপ

    Asia Cup 2022: ‘এই ঘটনা আমার আত্মবিশ্বাস আরও বাড়িয়ে তুলবে’, শ্রীলঙ্কা ম্যাচের আগে অর্শদীপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এশিয়া কাপের (Asia Cup) সুপার ফোরের ম্যাচে পাকিস্তানের (Pakistan) বিরুদ্ধে ক্যাচ ফস্কানোয় ট্রোলিংয়ের শিকার হয়েছেন অর্শদীপ সিং (Arshdeep Singh)। পেয়েছেন ‘খলিস্তানি’ তকমাও। তবে এসব নিয়ে এখন ভাবতে রাজি নন ভারতের তরুণ বোলার অর্শদীপ সিং। ভারতীয় বোলারের মা-বাবা দুবাই থেকে চণ্ডীগড়ে ফিরেছেন। রবিবারের ভারত-পাক ম্যাচ তাঁরা দেখেন দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে বসে। দেশে ফেরার পরে অর্শদীপের বাবা দর্শন সিং জানান, ”দুবাই থেকে বিমান ধরার আগে অর্শদীপের সঙ্গে কথা হয়েছে। ট্যুইট, মেসেজে ট্রোলিং দেখে শুনে অর্শদীপ কেবল হেসেছে। ও বলেছে, এর থেকে আমি কেবল ইতিবাচক দিকটাই নিতে চাই। গোটা ঘটনা আমাকে আরও আত্মবিশ্বাস জোগাচ্ছে।” অর্শদীপের মা বলজিৎ কৌর বলেছেন, ”ও আমাদের বলেছে গোটা দল ওর পাশে রয়েছে।” অতএব ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ টিম ইন্ডিয়ার কাছে এখন অতীত। মঙ্গলবার ফোকাস শুধুই শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka)।

    আরও পড়ুন: ‘খলিস্তানি’ তকমা! কেন্দ্রের হস্তক্ষেপের পরই অর্শদীপের পেজের নিরাপত্তা বাড়াল উইকিপিডিয়া

    সুপার ফোরে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে ভারত ও শ্রীলঙ্কা (India Vs Sri Lanka)। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হারের পর (India Vs Pakistan) লড়াইয়ে টিকে থাকতে গেলে ভারতকে এই ম্যাচে জিততেই হবে। নয়ত বিমানের টিকিট নিশ্চিত। অন্যদিকে প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানকে (Afghanistan) হারিয়ে এই ম্যাচে ভালো জায়গায় থেকে শুরু করবে শ্রীলঙ্কা। আজকের ম্যাচ জিতলেই শ্রীলঙ্কার ফাইনাল খেলা কার্যত নিশ্চিত হয়ে যাবে। সেই সুযোগ কিছুতেই হাতছাড়া করতে চাইবেন না দাসুন শানাকারা। এখনও পর্যন্ত আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ভারত ও শ্রীলঙ্কা মুখোমুখি হয়েছে ২৫ বার। ভারত জিতেছে ১৭ বার, শ্রীলঙ্কা ৭ বার। শেষ পাঁচটি ম্যাচে ভারত তিনবার ও শ্রীলঙ্কা দুবার জয়ের স্বাদ পেয়েছে। পরিসংখ্যান ও দক্ষতা দুদিক থেকেই এদিনের ম্যাচে এগিয়ে ভারত। কিন্তু চলতি সিরিজে এখন কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে টিম ইন্ডিয়া।

    দুই দলের সম্ভাব্য একাদশ:

    ভারত: রোহিত শর্মা, কেএল রাহুল, বিরাট কোহলি, সূর্যকুমার যাদব, দীনেশ কার্তিক, হার্দিক পান্ডিয়া, অক্ষর প্যাটেল, ভুবনেশ্বর কুমার, আভেশ খান, অর্শদীপ সিং, যুজবেন্দ্র চাহাল

    শ্রীলঙ্কা: পথুম নিশাঙ্কা, কুশল মেন্ডিস, চরিথ আসালঙ্কা, দানুষ্কা গুনতুলকা, ভানুকা রাজাপক্ষে, দাসুন শানাকা, ওয়ানিনডু হাসারাঙ্গা, চামিকা করুনারত্নে, মাহিশ ঠিকশানা, আসিথা ফেরান্ডো, দিলশন মধুশঙ্কা

    খেলা শুরু: সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায়, স্টার স্পোর্টসে

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Brahmastra: উজ্জ্বয়িনীর মহাকালেশ্বর দর্শনে বাধা রণবীর-আলিয়াকে, কেন জানেন?  

    Brahmastra: উজ্জ্বয়িনীর মহাকালেশ্বর দর্শনে বাধা রণবীর-আলিয়াকে, কেন জানেন?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুক্তি পেতে চলেছে ব্রহ্মাস্ত্র (Brahmastra)। এই সিনেমার কেন্দ্রীয় চরিত্র রণবীর কাপুর (Ranbir Kapoor) ও আলিয়া ভাট (Alia Bhatt )। ছবিটি যাতে ভালো চলে সেই কামনায় উজ্জ্বয়িনীর মহাকালেশ্বর মন্দির (Mahakaleshwar Temple) দর্শনে গিয়েছিলে মিঞা-বিবি। তবে বহ্মাস্ত্রের নায়ক-নায়িকাকে ফিরতে হল খালি হাতে। দর্শন হল না ভগবান মহাকালেশ্বরের। মঙ্গলবার রাতে তাঁরা গিয়েছিলন বাবার দর্শন পেতে। তবে বজরং দলের কর্মীদের বাধায় ফিরতে হল রণবীর-আলিয়াকে।

    ঘটনার সূত্রপাত ঢের আগে। একটি সাক্ষাৎকারে রণবীর কাপুর বলেছিলেন, তিনি গোমাংস ভালবাসেন। ২০১১ সালে তিনি যখন রকস্টার সিনেমা প্রোমোট করতে বেরিয়েছিলেন, তখন তিনি বলেছিলেন, আমাদের পরিবার পেশোয়ার থেকে এসেছে। সুতরাং বেশ কিছু পেশোয়ারি খাবার আমাদের সঙ্গে এসেছে। আমি খাসির মাংস, চিকেন এবং গোমাংসের ফ্যান। হ্যাঁ, আমি একজন বড় গোমাংস ফ্যান।

    এদিন রাতে রনবীর-আলিয়া মন্দির দর্শনে গিয়েছেন শুনেই দলে দলে চলে আসেন বজরং দলের সদস্যরা। জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিতে থাকেন। বজরং দলের এক নেতা বলেন, আমরা তাঁদের মহাকালেশ্বরের দর্শন করতে দেব না। কিছু দিন আগেই একটি সাক্ষাৎকারে রণবীর বলেছিলেন যে নন-ভেজ খাবারের মধ্যে তিনি খাসির মাংস, চিকেন এবং গোমাংস খেতে ভালবাসেন বলে স্বীকার করেছেন। তাই তাঁকে আমরা দেবদর্শন করতে দেব না। তিনি বলেন, এমনকী আলিয়া বলেছিলেন, যাঁরা তাঁর ছবি ব্রহ্মাস্ত্র দেখতে চান, তাঁদের ফিল্মটি দেখা উচিত যখন অন্যরা সেটা দেখা উচিত নয় বলছেন।

    আরও পড়ুন : গর্ভবতী আলিয়ার ওজন বৃদ্ধি নিয়ে বিরক্তিকর মন্তব্য করলেন রণবীর, ক্ষুব্ধ নেটিজেনরা

    ঘটনার কথা স্বীকার করেছেন মহাকাল থানার এক আধিকারিকও। তিনি জানান লাঠিচার্জ করে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বিক্ষোভকারীদের। তিনি জানান, লাঠিচার্জ করা সত্ত্বেও বিক্ষোভকারীরা রণবীর এবং আলিয়াকে মন্দিরে ঢুকতে দেয়নি। ঘটনা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে পুলিশ আধিকারিক ওপি মিশ্র বলেন, ভিআইপি আসছেন শুনে মন্দির চত্বরে সেই মতো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। বিক্ষোভকারীদের নিরাপত্তার বেড়াজালের বাইরে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তবে নিরাপত্তা বলয় ঠেলেই কয়েকজন বজরং দল কর্মী চলে আসেন। তখনই লাঠিচার্জের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, কেবল প্রতিবাদ নয়, ট্যুইটারেও হ্যাশট্যাগ দিয়ে বলা মানুষকে বলা হচ্ছে, বয়কট ব্রহ্মাস্ত্র।

     

  • ED Arrests Ravi Narain: ফোন ট্যাপিং মামলায় এনএসই-র প্রাক্তন সিইও রবি নারায়ণকে গ্রেফতার করল ইডি

    ED Arrests Ravi Narain: ফোন ট্যাপিং মামলায় এনএসই-র প্রাক্তন সিইও রবি নারায়ণকে গ্রেফতার করল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেআইনি ফোন ট্যাপিং মামলায় বড় পদক্ষেপ নিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। গ্রেফতার করা হল ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের (National Stock Exchange) প্রাক্তন সিইও ও এমডি রবি নারায়ণকে (Ravi Narain)। মঙ্গলবারই তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি। নারায়ণের বিরুদ্ধে ২০০৯ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে এনএসই কর্মীদের ফোন বেআইনিভাবে ট্যাপ করার অভিযোগ রয়েছে।  

    গত ১৪ জুলাই নারায়ণ, প্রাক্তন এনএসই প্রধান চিত্রা রামকৃষ্ণ এবং মুম্বইয়ের প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার সঞ্জয় পান্ডের বিরুদ্ধে পিএমএলএর অধীনে একটি মামলা দায়ের করেছে ইডি। উল্লেখ্য, এর আগে সিবিআইয়ের তরফেও এই তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছিল।

    আরও পড়ুন: ‘৮ ব্যাগ সোনা ছিল, একটা আটকেছে কাস্টমস…’, অভিষেককে আক্রমণ শুভেন্দুর

    ইডি-র বিশেষ আইনজীবী এন কে মাট্টা দিল্লি হাইকোর্টে বলেছিলেন, নারায়ণ এবং অন্যান্য অভিযুক্ত এনএসইর কর্মীদের প্রতারণা করার ষড়যন্ত্র করেছিলেন। এমনকি পান্ডের তৈরি সংস্থা iSEC Services Pvt Ltd-এর মাধ্যমে কর্মীদের ফোনালাপের ওপরও নারায়ণ নজর রাখতেন বলে এদিন জানান আইনজীবী।   

    সাইবার নিরাপত্তার আড়ালে এইসব করা হত বলে দাবি করেছে ইডি। ধৃত রবি নারায়ণ ১৯৯৪ সাল থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত এনএসইর চিফ ছিলেন। এরপর সেই পদের দায়িত্ব পান চিত্রা রামকৃষ্ণ। ২০১৩ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ওই পদে ছিলেন তিনি। দুজনেই বড় কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত বলে দাবি করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।

    আরও পড়ুন: মমতার ‘গদ্দার’ কটাক্ষের জবাব দিলেন শুভেন্দু, কী বললেন জানেন? 
      
    এর আগে, ফোন ট্যাপিং মামলায় প্রাক্তন ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের এমডি এবং সিইও চিত্রা রামকৃষ্ণকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। একই সময়ে, কো-লোকেশন মামলায় তাকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। একই সময়ে, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট অভিযুক্ত বেআইনি ফোন ট্যাপিং মামলায় মুম্বাইয়ের প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার সঞ্জয় পান্ডেকেও গ্রেফতার করেছিল।  

    কো-লোকেশন পরিষেবার মাধ্যমে ব্রোকার্সদের নিজস্ব সার্ভার সেট আপ করার অনুমতি দেওয়া হয়। এর সাহায্যে তারা দ্রুত শেয়ার বাজারের গতিবিধি জানতে পারে। শুধু তাই নয়, এভাবে দ্রুত লাভও পাওয়া যায়। তদন্তে নেমে ইডি জানতে পারে, একাধিক ব্রোকার্স এই পরিষেবা ব্যবহার করে মোটা লাভের অঙ্ক ঘরে তুলেছেন।  

    ২০১৮ সাল থেকে সিবিআই দিল্লি-ভিত্তিক স্টক ব্রোকারের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে। সেবি (SEBI)-এর রিপোর্টের পরে এনএসই-এর তৎকালীন শীর্ষ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে অফিসের অপব্যবহারের অভিযোগ প্রকাশ্যে আসে। ২৫ ফেব্রুয়ারী, সিবিআই সেবির রিপোর্টের পরে এক্সচেঞ্জে কেলেঙ্কারির তদন্ত শুরু করে। এনএসই গ্রুপের প্রাক্তন অপারেটিং অফিসার আনন্দ সুব্রামানিয়ামকে গ্রেপ্তার করা হয় সেই সময়। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Seat Belt: গাড়ির পিছনের সিটে বসা যাত্রীদেরও সিট বেল্ট লাগাতে হবে, নইলে জরিমানা, কড়াকড়ি কেন্দ্রের

    Seat Belt: গাড়ির পিছনের সিটে বসা যাত্রীদেরও সিট বেল্ট লাগাতে হবে, নইলে জরিমানা, কড়াকড়ি কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টাটা গ্রুপের প্রাক্তন চেয়্যারম্যান সাইরাস মিস্ত্রির মৃত্যু শিক্ষা দিয়ে গিয়েছে। এবার গাড়িতে সিট বেল্ট (Seat Belt) পরা নিয়ে আরও কড়াকড়ি করতে চলেছে কেন্দ্র। আগে শুধুমাত্র চালক এবং তাঁর পাশের সিটের যাত্রী সিট বেল্ট না বাঁধলেই জরিমানা করা হত। কিন্তু এখন থেকে গাড়ির পিছনের সিটে বসা যাত্রীকেও সিট বেল্ট বাঁধতে হবে। নিয়ম না মানলে জরিমানা করা হবে। সোজা বাংলায় সিট বেল্ট বাঁধার ক্ষেত্রে আরও কড়া হচ্ছে ট্রাফিক আইন (Traffic Law)। এ কথা সাফ জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রী নিতিন গড়কড়ি (Nitin Gadkari)।    

    সেন্ট্রাল মোটর ভেহিকলস রুল বা সিএমভিআরকে (CMVR) সামনে রেখে আগামী তিন দিনের মধ্যে একটি বিবৃতিও প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এদিন বলেন, “এখন গাড়ির চালক এবং তাঁর পাশের যাত্রী সিট বেল্ট না পরলে জরিমানা করা হয়। পিছনের আসনে বসা যাত্রীদের ক্ষেত্রে সেরকম নিয়মের কোনও কড়াকড়ি নেই। এবার থেকে পিছনের আসনের যাত্রীদেরও সিট বেল্ট বাঁধা বাধ্যতামূলক করা হবে। প্রয়োজনে আইনও সংশোধন করা হবে।” 

    আরও পড়ুন: এবার আরএসএসের দিল্লির দফতরের নিরাপত্তায় সিআইএসএফ  

    যদিও কেন্দ্রীয় মোটরযান আইনের ১৩৮(৩) ধারা অনুযায়ী এখনও পিছনের সিটে বসা যাত্রী সিট বেল্ট না পরলেও তাঁকে জরিমানা করার নিয়ম রয়েছে। এই আইনেই বলা হয়েছে, “চালক, চালকের পাশের সিটে বসা যাত্রীকে অবশ্যই সিট বেল্ট পরতে হবে। একইসঙ্গে চালকের দিকে অর্থাৎ গাড়ির অভিমুখে সামনের দিকে মুখ করে পিছনের সিটে বসা যাত্রীকেও সিট বেল্ট বাঁধতে হবে। না হলে ১ হাজার টাকা অবধি জরিমানা করা হতে পারে।”

    কিন্তু আইনটি থাকলেও, এই আইনের কথা অনেকেই জানেন না। আবার অনেকে জানলেও তা মেনে চলেন না। পরিসংখ্যান বলছে, শুধুমাত্র সিট বেল্ট না বাঁধার কারণে ২০২০ সালে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ১৫ হাজার ১৪৬ জনের। আহত হন ৩৯ হাজার ১০২ জন। 

    সাইরাস মিস্ত্রির মর্মান্তিক প্রয়াণের পর, এই বিষয়ে প্রথম মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গড়কড়ি। সোমবার তিনি বলেন, “লোকে ভাবেন পিছনের সিটে বেল্ট লাগে না। এটাই সমস্যা। আমি এই দুর্ঘটনাটি নিয়ে কোনও মন্তব্য করছি না। কিন্তু আমাদের এটা বোঝা দরকার যে, সামনের সিটের মতোই, পিছনের সিটে বসলেও সিটবেল্ট পরা উচিত।”

    আরও পড়ুন: অশ্বেতাঙ্গ প্রধানমন্ত্রী মানতে পারল না ব্রিটেন! জানেন কেন হারতে হল ঋষিকে?

    নিজের ব্যক্তিগত জীবনের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়ে মন্ত্রী বলেন, “সাধারণ মানুষের কথা ছেড়েই দিন। আমি চারজন মুখ্যমন্ত্রীর গাড়িতে চড়েছি, নাম জিজ্ঞেস করবেন না। আমি গিয়ে সামনের সিটে বসলাম। দেখলাম, একটি ক্লিপ এমনভাবে লাগানো, যাতে বেল্ট না পরলেও কোনও শব্দ না হয়। আমি তবুও চালককে বেল্ট কোথায় তা জিজ্ঞেস করে পরে নিয়েছিলাম।”

    প্রসঙ্গত, গাড়িতে সামনের সিট বেল্টের সঙ্গে একটি সেন্সর যুক্ত থাকে। যতক্ষণ না সিটবেল্ট পরা হচ্ছে, গাড়িতে একটি অ্যালার্ট বাজে। তাতেই বিরক্ত হন চালক ও যাত্রীরা। তাই সিটবেল্ট পরা এড়াতে বাজারে বিশেষ ধরণের ক্লিপ পাওয়া যায়। সেটা অনেকেই লাগিয়ে নেন। যাতে সেন্সর বন্ধ থাকে।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
LinkedIn
Share