Blog

  • Suvendu Adhikari: ‘ডিসেম্বরে বড় ডাকাতকে জেলে  ঢোকাতে পারিনি, এইবার তুলব’, হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর 

    Suvendu Adhikari: ‘ডিসেম্বরে বড় ডাকাতকে জেলে ঢোকাতে পারিনি, এইবার তুলব’, হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিসেম্বরে বড় ডাকাতকে জেলে ঢোকাতে পারিনি, এইবার তুলব। সোমবার পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরের সভা থেকে এই হুঁশিয়ারি দিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ছোট ডাকাতকে আপনারা উপড়ে নেবেন তো? এদিন রাজ্য সরকারকেও একহাত নিয়েছেন শুভন্দু। তিনি বলেন, চোরদের গ্রাম থেকে তাড়াতে হবে, রাজ্যে ডবল ইঞ্জিন সরকার তৈরি হবে। আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগেও এদিন সরব হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, যাঁরা ঘর পাননি, তাঁদের একজোট করুন, জনস্বার্থ মামলা করব। এক সপ্তাহের মধ্যে তালিকা তৈরি করতে হবে, টাকা ফেরত করাবই।

    শুভেন্দু বলেন…

    নানা দুর্নীতির অভিযোগে বিদ্ধ রাজ্য সরকার। রাজ্যে কয়লা পাচার, গরু পাচার মামলার তদন্ত করছে সিবিআই, ইডি। গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল  (Anubrata Mondal)। গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও। এহেন আবহে এদিন শুভেন্দু বলেন, এই চোরদের সাফাই  করতে হবে। বড় চোর-ডাকাতটাকে ডিসেম্বরে পারিনি, এর মধ্যে ধরব। বড় ডাকাতটাকে আমরা তুলব। ছোটগুলোকে আপনারা উপড়াবেন তো? সব গ্রাম রেডি তো? নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন (Suvendu Adhikari), সব গ্রাম থেকে চোরেদের তাড়াতে হবে। চোরদের তাড়াতে হবে। চোরদের তাড়িয়ে পশ্চিমবাংলায় রাষ্ট্রবাদী সরকার, ডবল ইঞ্জিন সরকার তৈরি হবে।

    আরও পড়ুুন: ‘মুকুল রায় বিরোধী দলনেতা হোন, চেয়েছিলেন মমতা’, তোপ শুভেন্দুর

    শুভেন্দু বলেন, পশ্চিমবঙ্গ আবাস যোজনায় স্টিকার মেরে দিয়েছে। আশাকর্মীর ইজ্জত লুঠ করেছে তৃণমূল গুন্ডা শাহজাহানের বাহিনী। টাকা অনেকের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে। আমরা জনস্বার্থ মামলা করব। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, বঞ্চিতদের একজোট করুন। আইন হাতে না তুলে এগোতে হবে। যাতে পশ্চিমবঙ্গের ছাদহীন মানুষ এই সুবিধা পান। তৃণমূলের বড়লোক গীতাঞ্জলি, ইন্দিরা আবাস পেয়েছেন। চাকরি করেন, অর্থনৈতিকভাবে উন্নত এমন তালিকা তৈরি করুন। শুভেন্দুর (Suvendu Adhikar) অভিযোগ, ৪ লক্ষ ৯ হাজার ভুয়ো জবকার্ড হয়েছে। আমি কলকাতা হাইকোর্টে গিয়ে মামলা করেছি। শুভেন্দু বলেন, পশ্চিমবঙ্গে ডবল ইঞ্জিন সরকার করতে হবে। সামনে পঞ্চায়েত, ২৪ এ লোকসভা। আমরা কাঁথি, তমলুক মোদিজিকে উপহার দেব। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনীতি আমরা খতম করবই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     

  • West Bengal Weather: শীতপ্রেমীদের জন্য সুখবর! চলতি সপ্তাহেই জাঁকিয়ে শীত শহরে

    West Bengal Weather: শীতপ্রেমীদের জন্য সুখবর! চলতি সপ্তাহেই জাঁকিয়ে শীত শহরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে খুশির খবর শহরবাসীর জন্য। বড়দিন ও নতুন বছরের শুরুতে শীত না থাকলেও আবহাওয়া দফতর থেকে জানানো হয়েছে, আগামী বৃহস্পতিবার থেকে তাপমাত্রা অনেকটাই কমবে। আজ, মঙ্গলবারও তাপমাত্রা সামান্য কমল। অর্থাৎ পারদ নিম্নমুখী এবং তাপমাত্রা পতনের ধারা জারি থাকবে কয়েকদিন। মঙ্গলবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকেছে গোটা বাংলা (West Bengal Weather)।

    কলকাতার আবহাওয়া

    মঙ্গলবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রয়েছে ১৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবারের তুলনায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১ ডিগ্রি কমলেও তা স্বাভাবিক তাপমাত্রার চেয়ে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। আলিপুর আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মঙ্গলবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকতে পারে। সকালের দিকে কুয়াশার দেখা মিললেও বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে তা পুরোপুরি কেটেও যাবে। আকাশ মূলত পরিস্কার থাকবে। বাতাসের জলীয় বাষ্পের ন্যূনতম পরিমাণ ৪৭ শতাংশ। আবহাওয়া দফতর থেকে জানা গিয়েছে, শনি-রবিবারের মধ্যে ১৩ ডিগ্রিতে নেমে যেতে পারে কলকাতার তাপমাত্রা। জেলার তাপমাত্রা আরও তিন চার ডিগ্রি নীচে থাকবে (West Bengal Weather)।

    আরও পড়ুন: ফের টাকার পাহাড়ের খোঁজ কলকাতায়, ৫৬ লক্ষ নগদ টাকা সহ গ্রেফতার ৯

    কবে থেকে জাঁকিয়ে শীত?

    আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ৩ দিন এ রকম তাপমাত্রা বজায় থাকলেও ধীরে ধীরে ২ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা কমতে পারে। আবহাওয়াবিদদের অনুমান, নতুন বছরের সপ্তাহান্তে তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে নেমে যেতে পারে। আগামী বৃহস্পতিবার থেকে পারদ নামতে শুরু করবে কলকাতায়। দেরিতে হলেও কনকনে শীত পড়তে চলেছে শহরে, অনুমান আবহবিদদের। কলকাতার পাশাপাশি জেলায় জেলায় তাপমাত্রা আরও তিন থেকে চার ডিগ্রি নিচে থাকবে। পশ্চিমাঞ্চলের জেলার তাপমাত্রা নামতে পারে ১০ ডিগ্রির নিচে। ফলে শীত উপভোগ করা এখন কেবলমাত্র সময়ের অপেক্ষা (West Bengal Weather)।

    উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া

    আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, ৪ জানুয়ারি বুধবার সকালের মধ্যে দার্জিলিং ও কালিম্পং-এ হাল্কা বৃষ্টির সঙ্গে হাল্কা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকতে পারে। এছাড়া জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে হাল্কা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকার সম্ভাবনা। বাকি জেলাগুলির আবহাওয়া শুকনো থাকবে। আগামী দুদিন রাতের তাপমাত্রার সেরকম কোনও পরিবর্তন না হলেও, এরপরের দুদিনে তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত হ্রাস পেতে পারে (West Bengal Weather)।

    দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় গত ক’দিন ধরে ঘন কুয়াশার দাপট দেখা গিয়েছে। সারা দিন আকাশে থাকছে হালকা মেঘ। এই পরিস্থিতি বজায় থাকবে আগামী দুই দিন। উত্তরবঙ্গের মত দক্ষিণবঙ্গেও আগামী দুদিন রাতের তাপমাত্রার সেরকম বড় কোনও পরিবর্তন না হলেও, পরের দুদিনে তাপমাত্রা ২-৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত হ্রাস পেতে পারে (West Bengal Weather)।

  • Vande Bharat Express: বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে পাথর বৃষ্টি মালদায়! ভাঙল জানলার কাচ, তদন্তে রেল

    Vande Bharat Express: বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে পাথর বৃষ্টি মালদায়! ভাঙল জানলার কাচ, তদন্তে রেল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আক্রান্ত বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। নতুন বছরেই সাধারণের জন্য চালু হয়েছে এই ট্রেন। যাত্রা শুরুর দ্বিতীয় দিনেই দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই ট্রেনকে লক্ষ্য করে পাথরবৃষ্টি হল মালদায়। দুষ্কৃতীদের মুহুর্মুহু পাথরের হামলায় ভেঙে যায় ট্রেনের কাচ। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। যদিও দ্রুত হামলার জায়গা পেরিয়ে এগিয়ে চলতে শুরু করে বন্দে ভারত। তবে কে বা কারা এই ট্রেনকে টার্গেট করল, খুঁজে বের করতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।

    আরও পড়ুন: কোনও কথা বললেন না, কর্তব্যে অবিচল! সবুজ পতাকা নেড়ে বন্দে ভারতের সূচনা মোদির

    কী ঘটেছিল

    ভারতের গর্ব বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই ট্রেনের উদ্বোধন করেছেন। বাংলায় বন্দে ভারতের সূচনা লগ্নে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সেই ট্রেনের চাকা গড়াতেই এমন কাণ্ড। রেল সূত্রে খবর, তখন সবেমাত্র সন্ধে নেমেছে। এনজেপি থেকে হাওড়ার দিকে যাচ্ছিল বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। মালদার কুমারগঞ্জ স্টেশন পার করার সময়ে ট্রেনে সি ১৩ কোচে পাথর ছোড়া হয়। পাথরের আঘাতে দরজার কাচে চিড় ধরেছে। এরপর ট্রেন যখন মালদা টাউন স্টেশনে থামে, তখন ঘটনাটি নজরে পড়ে। কিন্তু কারা এ কাজ করল? কেনই বা করল? তা স্পষ্ট নয়।  ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হননি।

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী গোটা ঘটনাটিকে দুর্ভাগ্যজনক হিসেবে উল্লেখ করে ট্যুইটে লেখেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের মালদহ জেলায় ভারতের গর্ব বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে পাথর ছোড়া হয়েছে। এই ঘটনা কি উদ্বোধনের দিনে জয় শ্রীরাম স্লোগানের প্রতিশোধ?’ পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে এই হামলার ঘটনায় এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দিয়ে দ্রুত অপরাধীদের শনাক্ত করে শাস্তির দাবি জানান তিনি। পূর্ব রেলের তরফে বলা হয়, ট্রেনে পাথর ছোড়া একটা সামাজিক ব্যাধি। সারা বছর এ নিয়ে সচেতনতা কর্মসূচি চালান হয়। আরপিএফের সঙ্গে এটা জিআরপিরও দেখার কথা। রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে রেলের তরফে এটা নিয়ে কথা বলা হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • Rajouri: উপত্যকা-জুড়ে প্রতিবাদ, রাজৌরিতে হিন্দু-হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শুরু এনআইএ-র

    Rajouri: উপত্যকা-জুড়ে প্রতিবাদ, রাজৌরিতে হিন্দু-হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শুরু এনআইএ-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন বছরের প্রথম দিন থেকেই রক্তাক্ত ভূস্বর্গ। রবিবার রাতের পর থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত জম্মু-কাশ্মীরের একই জায়গায় পর পর দুবার সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়। যাতে মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। সোমবার সকালে জম্মু-কাশ্মীরের রাজৌরি (Rajouri) জেলায় এক শক্তিশালী বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় আরও ১ শিশুর। জখম হয়েছেন বেশ কয়েকজন। তাঁদের সকলেই শিশু ও মহিলা। আর রবিবার রাতে মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। মাত্র ১২ ঘণ্টার মধ্যে রাজৌরিতে পরপর দুটি জঙ্গি হামলায় নিহতরা সকলেই হিন্দু। আর এই ঘটনায় এবারে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই এনআইএ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে এবং সন্ত্রাসী হামলার তদন্ত শুরু করছে। অন্যদিকে জম্মু ও কাশ্মীরের ডিজিপি দিলবাগ সিং এবং এল-জি মনোজ সিনহাও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছেন।

    রাজৌরিতে সন্ত্রাসী হামলার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ

    রাজৌরিতে (Rajouri) পর পর দুটি সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ১ জন শিশু সহ পাঁচ জন। আর এর পর থেকেই জম্মু জুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন কাশ্মীরি পণ্ডিতরা। কাশ্মীরি পণ্ডিত ছাড়াও বিক্ষোভ দেখিয়েছে বজরং দল। রাস্তা অবরোধ করে প্রতিবাদ জানানো তাঁরা। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।  

    ঘটনাস্থলে এনআইএ

    সন্ত্রাসী হামলার পরেই জম্মু ও কাশ্মীরের আপার ডাংরি গ্রামে পৌঁছে গিয়েছে এনআইএ। জানা গিয়েছে, ঘটনাস্থলে তদন্ত শুরু করেছে এনআই-এর আধিকারিকরা। এছাড়াও মৃত ব্যক্তিদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে পৌঁছে গিয়েছেন জম্মু ও কাশ্মীরের ডিজিপি দিলবাগ সিং এবং এল-জি মনোজ সিনহা।

    আরও পড়ুন: বাংলা সঙ্গীত জগতে নক্ষত্র পতন! চলে গেলেন সুমিত্রা সেন

    কী ঘটেছিল?

    নতুন বছরের প্রথম দিন রবিবার রাতে আপার ডাংরি গ্রামের ৩টি বাড়িতে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় দুই জঙ্গি। এতে চারজনের মৃত্যু হয় ও আহত হন ৬ জন। বর্তমানে তাঁদের চিকিৎসা চলছে। এর পর সোমবার সকালেই ফের হামলা চালানো হয়। একটি বাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটায় জঙ্গীরা। ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইসের (আইইডি) বিস্ফোরণের ফলেই এক শিশুর মৃত্যু হয়। আর এর প্রতিবাদে সোমবার বিজেপি সহ বেশ কয়েকটি সংগঠন বনধের ডাক দিয়েছে। অন্যদিকে ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স যৌথভাবে সন্ত্রাসী হামলার পিছনে দুই ‘সশস্ত্র’ জঙ্গীকে ধরতে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে।

    ঘটনায় শোকপ্রকাশ 

    জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহার কার্যালয় ঘোষণা করেছে যে নিহতদের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা ও পরিবারের একজনকে একটি সরকারি চাকরি দেওয়া হবে। আর গুরুতর আহতরা পাবেন এক লক্ষ টাকা।

    আবার সন্ত্রাসী হামলায় শোকপ্রকাশ করেছেন বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক তরুণ চুগ। সাংসদ গুলাম আলি খাতানা ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, এই ধরনের হামলার উদ্দেশ্য ছিল শান্তি বিঘ্নিত করা। তিনি জানিয়েছেন যে ভারত সরকার জম্মু ও কাশ্মীরে শান্তি পুনরুদ্ধার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে প্রশাসনকে আহতদের ভালো চিকিৎসা করানোর জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।

  • Mamata Banerjee: বিধানসভায় ভাঙচুর, সিঙ্গুর থেকে টাটাকে বিদায় কি গঠনমূলক কাজ ছিল? মমতাকে প্রশ্ন বিরোধীদের

    Mamata Banerjee: বিধানসভায় ভাঙচুর, সিঙ্গুর থেকে টাটাকে বিদায় কি গঠনমূলক কাজ ছিল? মমতাকে প্রশ্ন বিরোধীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিরোধী থাকাকালীন তিনি কখনও ডেসট্রাক্টিভ (ধ্বংসাত্মক) কিছু করেননি। সব সময় কনস্ট্রাক্টিভ (গঠনমূলক) কাজ করেছেন। এখন বিরোধীরা ধ্বংসাত্মক রাজনীতি করছে।  গঠনমূলক রাজনীতি চোখে পড়ছে না। নজরুল মঞ্চে তৃণমূলের কর্মী সম্মেলনে এমনই দাবি করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্য়মন্ত্রী আরও বলেন এ রাজ্য়ে বিরোধীরা সরকারকে আক্রমণ করতে গিয়ে যে ধরনের কুকথার ব্য়বহার করে, তা গোটা দেশে কোথাও হয় না। 

    বিরোধীদের কটাক্ষ

    যদিও মুখ্য়মন্ত্রীর এই দাবিকে পাল্টা কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা। তাদের পাল্টা প্রশ্ন, ধ্বংসাত্মক রাজনীতি না করলে বিধানসভায় ভাঙচুর কারা করেছিল? বিধানসভা ভবন ভাঙচুরে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে। সিঙ্গুরে টাটাদের কারখানা করতে দেননি মমতা। এখন শিল্পায়নের কথা বললেও টাটা বিদায়ের জন্য মুখ্য়মন্ত্রী যা করেছিলেন তা বাংলা ভুলবে না। কামতাপুরীদের সঙ্গে নিয়ে একসময় বাংলা ভাঙারও চক্রান্ত করেছিলেন মমতা। বিরোধী আসনে থাকার সময় পাহাড়েও অশান্তির বীজ বপন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বিরোধীদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী এখন ক্ষমতায় এসে যদি এমন কিছু বলেন যা একশো শতাংশ মিথ্য়ে, হাস্য়কর, তাহলে তা রাজ্য়ের সম্পর্কে ধারণা আরও খারাপ করে দেবে।

    আরও পড়ুন: ‘‘গণতন্ত্র বিপন্ন’’! দার্জিলিং পুরসভায় দল ক্ষমতায় আসার দিনেই তৃণমূল ছাড়লেন বিনয়

    বিরোধীদের বক্তব্য, মমতা এখন কুকথার প্রসঙ্গ টানছেন। অথচ, মুখ্য়মন্ত্রী যখন বলেন, বিরোধীদের জিভ টেনে ছিঁড়ে ফেলব, তার থেকে বড় কুকথা আর কী হতে পারে? বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘এ রাজ্যে যা দুর্নীতি হয়েছে, ভারতবর্ষে কোথাও তা হয়নি। তৃণমূল যে দুর্নীতি করেছে, তাতে তিনটি প্রজন্মের ভবিষ্য়ৎ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এর পর তৃণমূল পঞ্চায়েত ভোটের আগে নতুন যে প্রকল্পই নিয়ে আসুক না কেন, মানুষ আর তা গ্রহণ করবে না।’

    উল্লেখ্য, এদিনের সভা থেকে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ নামে একটি অ্যাপের উদ্বোধন করেন তৃণমূলনেত্রী। তিনি বলেন, দুয়ারে সরকার তার মতো চলবে। কিন্তু তার বাইরেও মানুষ দলের কাছে অনেক অভিযোগ জানায়। সেই অভিযোগ জানানোর মঞ্চ হয়ে উঠবে এই অ্যাপ। সঙ্গে তিনি বলেন, রাজ্য সরকারের ১৫টি প্রকল্পের সুবিধা মানুষ পাচ্ছে কি না তা জানতে এই অ্যাপ সহায়ক হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • GST Collection: ডিসেম্বরের জিএসটি আদায় ১.৫ লক্ষ কোটি, আগের মাসের তুলনায় ২.৫% বেশি

    GST Collection: ডিসেম্বরের জিএসটি আদায় ১.৫ লক্ষ কোটি, আগের মাসের তুলনায় ২.৫% বেশি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ডিসেম্বরে বাড়ল দেশের জিএসটি আদায় (GST Collection)। নভেম্বরের থেকে প্রায় ২.৫ শতাংশ বেশি। কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২২ সালের ডিসেম্বরে আগের বছরের তুলনায় জিএসটি আদায় বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ১৫%। ১.৪৯ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি জিএসটি আদায় হয়েছে ডিসেম্বরে। 

    কী জানিয়েছে কেন্দ্র?  

    কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক জানিয়েছে, ডিসেম্বরে মোট জিএসটি আদায়ের (GST Collection) পরিমাণ ১,৪৯,৫০৭ লক্ষ কোটি টাকা। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় জিএসটি হল ২৬,৭১১ কোটি টাকা, রাজ্যের জিএসটি হল ৩৩,৩৫৭ কোটি টাকা, আইজিএসটি হল ৭৮,৪৩৪ কোটি টাকা (পণ্য আমদানির জন্য সংগৃহীত ৪০,২৬৩ কোটি টাকা-সহ) এবং সেস ১১,০০৫ কোটি টাকা (পণ্য আমদানির জন্য ৮৫০ কোটি টাকা-সহ)। এই নিয়ে পর পর দশ মাস জিএসটি আদায় ১.৪ লক্ষ কোটি টাকার ওপরে। 

    এই আদায়কৃত জিএসটি-র মধ্যে (GST Collection) সিজিএসটির জন্যে ৩৬,৬৬৯ কোটি টাকা এবং এসজিএসটির জন্য ৩১,০৯৪ কোটি টাকা রেগুলার সেটেলমেন্ট হিসেবে ধার্য করা হয়েছে। এই রেগুলার সেটেলমেন্টের পরে ডিসেম্বর মাসে কেন্দ্র ও রাজ্যের সম্মিলিত জিএসটির পরিমাণ দাড়িয়েছে যথাক্রমে ৬৩,৩৮০ কোটি টাকা এবং ৬৪,৪৫১ কোটি টাকা। 

    আরও পড়ুন: ‘‘কোনও ভুল করেননি নরেন্দ্র মোদি’’, নোটবন্দির সিদ্ধান্তকে সিলমোহর সুপ্রিম কোর্টের

    ২০২১ সালের ডিসেম্বরের তুলনায় ২০২২ সালের ডিসেম্বরে পণ্য আমদানির জন্য জিএসটি বাবদ আদায় ৮% এবং অভ্যন্তরীণ লেনদেনের জন্য জিএসটি আদায় (GST Collection) প্রায় ১৮% বেড়েছে। 

    এছাড়া ই-ওয়ে বিলের পরিমাণও উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে দেশে ৭.৬ কোটি ই-ওয়ে বিল জেনারেট হয়েছিল। নভেম্বর মাসে তা বেড়ে ৭.৯ কোটি হয়েছে। ২০২২ সালে সবথেকে বেশি জিএসটি আদায় (GST Collection) হয়েছে এপ্রিল মাসে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে অক্টোবর। অক্টোবর মাসে জিএসটি বাবদ আদায় হয়েছে ১,৫১,৭১৮ কোটি টাকা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • Jammu and Kashmir: রক্তাক্ত ভূস্বর্গ, রাজৌরিতে ১৮০০ সিআরপিএফ জওয়ান পাঠাচ্ছে কেন্দ্র

    Jammu and Kashmir: রক্তাক্ত ভূস্বর্গ, রাজৌরিতে ১৮০০ সিআরপিএফ জওয়ান পাঠাচ্ছে কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন বছরের প্রথম দিনই রক্তাক্ত হয়েছে ভূস্বর্গ (Jammu and Kashmir)। হামলা হয়েছে হিন্দু পরিবারের ওপর। পর পর দুটি হামলায় এক শিশু সহ বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। তার জেরে এবার জম্মু-কাশ্মীরের রাজৌরি (Rajouri) জেলায় আরও বেশি সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই রাজৌরিতে ১৮ কোম্পানি সিআরপিএফ (CRPF) জওয়ান পাঠানো হয়েছে।

    জঙ্গি হানা…

    গত দু সপ্তাহের ব্যবধানেও এই জেলায় দু বার জঙ্গি হানা হয়েছে। তার জেরে এলাকায় ছড়িয়েছে আতঙ্ক। ঘটনার প্রতিবাদে জেলার বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক প্রতিবাদ-বিক্ষোভ হয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, জনতার সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হয়েছে প্রশাসন। জানা গিয়েছে, গত তিন দিন ধরে একশোরও বেশি নিরাপত্তা রক্ষী জঙ্গিদের খোঁজে শুরু করেছে তল্লাশি। এই জঙ্গিরাই রাজৌরি জেলায় হামলা চালিয়েছিল কয়েকটি হিন্দু পরিবারের ওপর। কেবল নিরাপত্তা রক্ষীরাই নয়, সেনা এবং পুলিশও অভিযান চালিয়েছিল যৌথভাবে (Jammu and Kashmir)।

    আরও পড়ুুন: বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে পাথর নিক্ষেপ! সামনে এল দোষীদের ছবি, জানেন এরা কারা?

    প্রসঙ্গত, রবিবার সন্ধেয় এবং সোমবার সকালে আপার ডাংরি গ্রামে হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা। জঙ্গিদের হামলায় দুই শিশু সহ ছ জনের মৃত্যু হয়। জঙ্গিদের হামলায় জখমও হয়েছেন বেশ কয়েকজন। জানা গিয়েছে, রবিবার সশস্ত্র অবস্থায় দুই জঙ্গি হানা দেয় তিনটি বাড়িতে। তার পরেই গুলি চালাতে থাকে নির্বিচারে। গুলিতে জখম হন ছ জন, মৃত্যু হয় চার জনের। পরের দিন ওই গ্রামেই ফের হামলা চালায় জঙ্গিরা। এদিন বিস্ফোরণে জখম হন অন্তত পাঁচজন। মৃত্যু হয় দুই শিশুর।

    রবিবার সন্ধের জঙ্গি হামলায় জড়িতদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেন নিরাপত্তা রক্ষীরা। তখনই এক বাড়ির সামনে বিস্ফোরণ ঘটে। এই বাড়িটির সামনে আগে থেকেই বিস্ফোরক পুঁতে রেখেছিল জঙ্গিরা।এই জেলায়ই গত দু সপ্তাহে দুবার জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছে। ডিসেম্বরের ১৬ তারিখে আর্মি ক্যাম্পের বাইরেও দুজনের মৃত্যু হয়। সূত্রের খবর, কেন্দ্রের তরফে জম্মু-কাশ্মীর (Jammu and Kashmir) প্রশাসনকে অবিলম্বে জঙ্গিদের হদিশ দিতে বলা হয়েছে। ইতিমধ্যেই জম্মু-কাশ্মীরে প্রচুর সিআরপিএফ জওয়ানকে টহল দিতে দেখা গিয়েছে। এই কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে ৭০ ব্যাটেলিয়নের বেশি সিআরপিএফ জওয়ান মোতায়েন করা হয়েছে বলেও খবর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • S Jaishankar: ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ফয়দা তোলার অভিযোগ ঠিক নয়, সাফ জানালেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ফয়দা তোলার অভিযোগ ঠিক নয়, সাফ জানালেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের (India) বিরুদ্ধে যুদ্ধের ফয়দা তোলার যে অভিযোগ উঠছে, তা ঠিক নয়। পশ্চিম বিশ্বকে একথা সাফ জানিয়ে দিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। তিনি বলেন, ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ফয়দা তোলার যে অভিযোগ উঠছে, তা রাজনৈতিক ও গাণিতিক দু দিক থেকেই আমি জোরালভাবে অগ্রাহ্য করছি। জয়শঙ্কর বলেন, ইউক্রেনের (Ukraine) যুদ্ধে তেলের দাম দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে। এমতাবস্থায় কেউ যদি অন্য দেশের থেকে কম দামেও তেল কেনে, তাতেও আগের থেকে অনেক বেশি টাকা খরচ করতে হচ্ছে।

    জয়শঙ্কর বলেন…

    তিনি বলেন, ইরানে তেলের ওপর যে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে বা ভেনেজুয়েলায় যা চলছে, তাতেও তেলের দাম চড়া। ভারতের বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar) বলেন, এই পরিস্থিতিতে বাজার ঘুরে সব থেকে ভাল দর খোঁজাটাই কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকে সব চেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ। জয়শঙ্কর বলেন, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ থামানোর চেষ্টা করেছিল ভারত। ইউক্রেনের জাপোরিঝিয়া নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট এবং মস্কোর পরিস্থিত শান্ত করার চেষ্টাও করেছিল নয়াদিল্লি।

    আরও পড়ুুন: ‘সন্ত্রাসের এপিসেন্টার’! ‘‘পাকিস্তান নিয়ে আরও কড়া কথা বলতে পারি’’, বললেন জয়শঙ্কর

    গত ২৯ ডিসেম্বর থেকে ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত সাইপ্রাস থেকে অস্ট্রিয়া সফরে গিয়েছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। তখনই তিনি জানিয়েছিলেন, গত ফেব্রুয়ারি মাসে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে রাশিয়া থেকে ইউরোপের দেশগুলি কিনেছে ১০ হাজার ২০০ কোটি ডলারের জ্বালানি। জয়শঙ্করের কথায়, এটি আমরা যা কিনেছি, তার ছ গুণ। তিনি বলেন, রাষ্ট্রসংঘের সনদে যে নীতির কথা বলা হয়েছে, সব দেশই বলবে যে তারা সেগুলি সমর্থন করে। কিন্তু গত ৭৫ বছরে গোটা বিশ্বে কী ঘটেছে দেখুন। রাষ্ট্রসংঘের সমস্ত সদস্য কী সেই সনদ মেনে চলে? অন্য দেশে সেনা পাঠায় না? জয়শঙ্করের দাবি, যেহেতু ইউরোপ এখন ভারতের সাবেকি জায়গাগুলি থেকে জ্বালানি কিনছে, তাই নয়াদিল্লিকে বাধ্য হয়ে রাশিয়ার ওপর বেশি ভরসা করতে হচ্ছে।

    জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, গত ষাট বছরেরও বেশি সময় ধরে আমরা জ্বালানি কিনছি রাশিয়া থেকে। এটি নতুন কিছু নয়…এই ষাট বছরে ইউরোপ সহ পশ্চিমের বহু দেশ পাকিস্তানের সেনা শাসককে অস্ত্র বিক্রি করেছে। সেই সময় একমাত্র দেশ যে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল, তা সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন। তিনি বলেন, তাই আজ যদি রাশিয়ার সঙ্গে আমাদের কোনও বোঝাপড়া হয়ে থাকে তার কারণ আমাদের অঞ্চলে সেনা শাসনকেই গুরুত্ব দিয়েছে পশ্চিমি দুনিয়া।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     

  • Anubrata Mondal: গরু পাচার মামলায় ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজত কেষ্ট ও সায়গলের

    Anubrata Mondal: গরু পাচার মামলায় ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজত কেষ্ট ও সায়গলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও জামিন হল না কেষ্টর। গরুপাচার মামলায় (cattle smuggling case) ১৪ দিনের জেল হেফাজত বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal)। একই মেয়াদের জেল হেফাজত সায়গল হোসেনেরও (Saigal Hossain)। আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত এই নির্দেশ দিয়েছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, আজ অনুব্রতর তরফে জামিনের কোনও আবেদনই করা হয়নি। আবার ১৪ দিনের জেল হেফাজতের পাশাপাশি অনুব্রত মণ্ডলকে সংশোধনাগারে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করতে পারবেন সিবিআই আধিকারিকরা। বৃহস্পতিবার শুনানি চলাকালীন সিবিআইকে এমনটাই অনুমতি দিলেন আসানসোলের বিশেষ আদালত। আগামী ১৯ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি।

    ফের জেল হেফাজতে ‘বীরভূমের বাঘ’ 

    বুধবারেই হাইকোর্টে খারিজ হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) জামিনের আবেদন। শুধু আবেদন খারিজই নয়, পর্যবেক্ষণে যে সব কড়া বাক্য বিচারপতিরা লিখেছেন তাতে ভবিষ্যতে তাঁর জামিনের সম্ভাবনা কমই রয়েছে। ফলে আজও তাঁকে ফের জেলে পাঠানে হবে, তা আগে থেকেই জানা ছিল। ফলে হলও তাই, ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত ‘বীরভূমের বাঘ’কে ফের জেল হেফাজতে পাঠালেন বিচারক। এদিন অনুব্রতর আইনজীবীকে তাঁর জামিনের আবেদনের পরিবর্তে ভোলে ব্যোম রাইস মিলের অ্যাকাউন্ট ডি ফ্রিজের আবেদন করতে দেখা যায়।

    এদিন আসানসোল সংশোধনাগার থেকে সকাল ১১টা নাগাদ আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতে নিয়ে যাওয়া হয় অনুব্রতকে (Anubrata Mondal)। আজ আদালতে অনুব্রতর কোনও অনুগামীকেই দেখা যায়নি। সাধারণত আদালতে নিয়ে আসলে কিছু অনুগামীদের দেখা যায়। কিন্তু আজকের দৃশ্য পুরোটাই উল্টো ছিল। আদালত চত্বর ছিল শুনশান। শুনানি শেষ হতেই অনুব্রতকে নিয়ে জেলের উদ্দেশে রওনা হয় গাড়ি। এই প্রথম এমন দৃশ্য দেখা গেল আসানসোল আদালতে।

    আরও পড়ুন: নতুন বছরেও জেলেই অনুব্রত! জামিনের আবেদন খারিজ করল হাইকোর্ট

    সিবিআইকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি

    কেষ্টকে (Anubrata Mondal) জেল হেফাজতে পাঠানোর পাশাপাশি এদিন বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী নির্দেশ দিয়েছেন, সিবিআই আধিকারিকরা চাইলে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতিকে সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে সংশোধনাগারে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে। সিবিআইয়ের তরফে সংশোধনাগারে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন জানানো হয়েছিল। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে এই অনুমতি দিয়েছে আদালত। আরও জানা গিয়েছে, বিচারকের কাছে নতুন কেস ডায়েরি জমা দেয় সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে জানানো হয়, চার নম্বর চার্জশিট জমা দেওয়ার পর ৪৮ জন সাক্ষীর বয়ান পাওয়া গিয়েছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১৯ জানুয়ারি।

    সায়গলেরও ১৪ দিনের জেল হেফাজত

    আবার অন্যদিকে, এদিন অনুব্রতের প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকেও একই মেয়াদে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। তিহার জেল থেকে ভার্চুয়ালি আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতে পেশ করা হয় তাঁকে। সায়গল হোসেন বিচারককে জানান, এখানে খুব ঠান্ডা। তাই তাঁকে আসানসোলে সশরীরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হোক। বিচারক জানান, এ বিষয়ে আলাদাভাবে আবেদন করতে হবে। আবেদনের পর দু’পক্ষের সওয়াল জবাব শুনে নেওয়া হবে পরবর্তী সিদ্ধান্ত। এর পর সায়গল হোসেনকেও ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

  • UP Madrasa: যোগী রাজ্যে মাদ্রাসার পড়ুয়ারা পড়বে এনসিইআরটি-র সিলেবাস, কবে থেকে জানেন?

    UP Madrasa: যোগী রাজ্যে মাদ্রাসার পড়ুয়ারা পড়বে এনসিইআরটি-র সিলেবাস, কবে থেকে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাদ্রাসা শিক্ষায় ব্যাপক সংস্কার উত্তর প্রদেশে (UP Madrasa)। এবার থেকে যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যের মাদ্রাসার (Madrasa) পড়ুয়ারা পড়বে এনসিইআরটির (NCERT) সিলেবাস। আগামী মার্চে যে সেশন শুরু হচ্ছে, সেই নতুন শিক্ষাবর্ষ থেকেই নয়া সিলেবাসে পড়বে মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রীরা। মাদ্রাসা শিক্ষা পরিষদের চেয়ারপার্সন ইফতিকার আহমেদ বলেন, ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি আধুনিক বিজ্ঞান ভিত্তিক শিক্ষাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে নতুন সিলেবাসে। তিনি বলেন, এবার থেকে মাদ্রাসার পড়ুয়ারাও অঙ্ক, বিজ্ঞান এবং কম্পিউটার শিক্ষা পাবে।

    ওয়াকফ বোর্ড…

    গত নভেম্বরে উত্তরাখণ্ডের ওয়াকফ বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সে রাজ্যের ১০৩টি মাদ্রাসায়ই এনসিইআরটির সিলেবাস চালু করার। তারা এও জানিয়েছিল, ২০২৩ সালের নয়া শিক্ষাবর্ষ থেকে সব ধর্মের পড়ুয়াদের জন্যই খুলে দেওয়া হবে মাদ্রাসার দ্বার। ইসলামিক স্কুলগুলিতে আধুনিকীকরণের উদ্দেশে চালু করা হবে ইউনিফর্মও। উত্তরাখণ্ড ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান সাদাব শামস সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, মাদ্রাসার পড়ুয়াদের সমাজের মূল স্রোতে ফেরানোই আমাদের প্রথম কাজ। তিনি বলেন, নতুন বছরে আমরা এটাও চেষ্টা করব যাবে মাদ্রাসাগুলি সিবিএসই কিংবা উত্তরাখণ্ড স্টেট বোর্ডের অনুমোদন পায়।  

    গত সেপ্টেম্বরে উত্তর প্রদেশ সরকার সে রাজ্যের অনুমোদনহীন মাদ্রাসাগুলি (UP Madrasa) সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে শুরু করে। এই মাদ্রাসাগুলি কোথা থেকে অর্থ পায়, শিক্ষকের সংখ্যা কত, সিলেবাসই বা কী এবং অন্যান্য তথ্য সংগ্রহ করতে শুরু করে। সেপ্টেম্বরে তথ্য সংগ্রহের কাজ শেষ করার পর উত্তর প্রদেশের ৩০৭টি মাদ্রাসাকে বেআইনি বলে ঘোষণা করে যোগী আদিত্যনাথের সরকার। অভিযোগ, এই মাদ্রাসাগুলি একাধিক সরকারি বিধি লঙ্ঘন করেছে। এই কারণ দেখিয়েই তাদের বেআইনি ঘোষণা করে উত্তর প্রদেশ সরকার। যে মাদ্রাসাগুলিকে (UP Madrasa) বেআইনি ঘোষণা করা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে ইসলামিক শিক্ষাকেন্দ্র দারুল উল্লামও।

    আরও পড়ুুন: মন্ত্রীদের রাজনৈতিক বক্তব্যের দায় সর্বদা সরকারের নয়, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    যোগী সরকার যখন মাদ্রাসাগুলি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে শুরু করে, তখন তার ব্যাপক সমালোচনা করতে শুরু করে সে রাজ্যের কয়েকটি মুসলিম গোষ্ঠী। জামাত উলেমা-ই-হিন্দ সরকারের সমীক্ষার সিদ্ধান্তটিকে মাদ্রাসার বদনাম করতে ঈর্ষাকাতর প্রয়াস বলে বর্ণনা করে। যদিও মুসলিমদেরই একাধিক সংগঠনের মতে, এতে আদতে ভালই হবে মাদ্রাসাগুলির (UP Madrasa)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share