Blog

  • Sheikh Hasina in India: চারদিনের সফরে ভারতে শেখ হাসিনা, মোদির সঙ্গে বৈঠকে নজরে জলবণ্টন

    Sheikh Hasina in India: চারদিনের সফরে ভারতে শেখ হাসিনা, মোদির সঙ্গে বৈঠকে নজরে জলবণ্টন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সম্পর্ককে আরও জোরদার করতে চারদিনের ভারত সফরে এলেন বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। এই মুহূর্তে দুই দেশের মধ্যে আলোচনার মূল বিষয় হবে, সংযোগ, জ্বালানি, খাদ্য নিরাপত্তার পাশাপাশি বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগ। হাসিনার এই সফরে তিনি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (Droupadi Murmu), উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar) এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সঙ্গে দেখা করবেন। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে আলোচনা হবে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে। এছাড়া হাসিনা দিল্লি থাকার সময় তাঁর সঙ্গে ফোনালাপ সারবেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। 

    আরও পড়ুন: আগামী সাত বছরেই বিশ্ব অর্থনীতিতে ৩ নম্বরে ভারত?

    এছাড়াও দুই প্রধানমন্ত্রীর আলোচনায় দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিরক্ষা এবং স্থিতিশীলতার বিষয়টিও উঠে আসবে। সূত্র মতে, শেখ হাসিনা ভারতের কাছ থেকে নেপাল ও ভুটানে খাদ্যসামগ্রী, নানা পণ্য পাঠানোর অনুমতি চাইতে পারেন। এই সফরেই শেখ হাসিনার আজমের যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। ২০১৯ সালের পর এটাই হবে হাসিনার প্রথম ভারত সফর। ২০২১ সালে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক চুক্তির ৫০ বছর পূর্ণ হয়েছে।   

    ভারত এবং বাংলাদেশ বহুক্ষেত্রে একই রকম। ভাষা, সংস্কৃতি, ইতিহাস, জলবায়ু দুই দেশেই অনেকটা এক। বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভে বড় ভূমিকা ছিল ভারতের। কিন্তু এই দুই দেশের সম্পর্কের ওঠানামাও চোখে পড়েছে বহুবার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শেষ বাংলাদেশ সফরে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের রসায়ন অনেকটাই উন্নত হয়েছিল। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক সংকট, সন্ত্রাসবাদ এসব বিষয়ে আলোচনা করতেই মূলত হাসিনার এই সফর। 

    আরও পড়ুন: ভারত সফর শুরুর আগেই মোদির ভূয়সী প্রশংসা হাসিনার গলায়, কেন জানেন?

    ৫৪টি নদী একই সঙ্গে ভারত এবং বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে চলে। এই নদীগুলোর মধ্যে গঙ্গা, তিস্তা, মনু, মুহুরী, খোয়াই, গোমতী, ধরলা, দুধকুমার ও কুশিয়ারা উল্লেখযোগ্য। জলবন্টন নিয়ে দুই দেশের মধ্যে ৩৫ বছর ধরে বিরোধ চলছে। আশা করা হচ্ছে, হাসিনার এই সফরে খানিকটা হলেও সেই সমস্যার সমাধান হবে। সম্প্রতি দুই দেশ জল ভাগাভাগি করতে সাতটি নদী চিহ্নিত করেছে।   

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • China Exploits Iraq: শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তানের পর এবার ইরাকের ওপর নজর চিনের? 

    China Exploits Iraq: শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তানের পর এবার ইরাকের ওপর নজর চিনের? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রীলঙ্কাকে (Sri Lanka) দেউলিয়া করেছে। ডুবিয়েছে পাকিস্তানের (Pakistan) অর্থনীতিকেও। এবার চিনের শ্যেনদৃষ্টি পড়ছে ইরাকের (Iraq) দিকে। প্রাকৃতিক তেলে সমৃদ্ধ ইরাক। এবার সেই দেশের তৈলক্ষেত্রের দখল নিতে মরিয়া ড্রাগনের দেশ।

    ঋণের ফাঁদে ফেলে চিন সর্বস্বান্ত করেছে দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কাকে। হাঁড়ির হাল করে ছেড়েছে সে দেশের অর্থনীতির। একই অবস্থা পাকিস্তানের ক্ষেত্রেও। শাহবাজ শরিফের দেশের অর্থনীতির হালও করুণ। এ সবের জন্য এই দুই দেশের রাজনীতিকদের একটা বড় অংশ দুষছে চিনকে। কেবল শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান নয়, ছোট অর্থনীতির দেশগুলির দিকেই নজর রয়েছে চিনের। যেনতেন প্রকারে সে দেশের অর্থনীতির মধ্যে একবার ঢুকতে পারলেই কেল্লাফতে। সর্বস্বান্ত করে ছাড়বে সেই দেশকে।

    বছর কয়েক আগে ওয়েস্ট এশিয়ান কানট্রি থেকে বাহিনী সরিয়ে নিয়েছে আমেরিকা। ইরাক থেকেও সেনা সরিয়ে নিয়েছে জো বাইডেনের দেশ। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ইরাকে থাবা বসাতে চাইছে শি জিন পিংয়ের দেশ। ইরাকে তেলের ওপর চিনের ক্রমবর্ধমান নিয়ন্ত্রণ এই মুহূর্তে মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যে পদ্ধতিতে চিন ছোট অর্থনীতির দেশগুলিকে কবজা করেছে, এবার সেই একই পদ্ধতিতে লাল ফৌজের দেশ হস্তগত করতে চাইছে ইরাকের তৈলক্ষেত্রগুলি। প্রায় দু দশক আগে ২০০৩ সালে ইরাক আক্রমণ করে আমেরিকা। সাদ্দাম হুসেন জমানার হাত থেকে ইরাকিদের মুক্তি দেন আমেরিকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট। সাদ্দাম জমানার পতনের পর আমেরিকা সরে যেতেই একটু একটু করে ইরাকের তৈলক্ষেত্র কবজা করার চেষ্টা করছে চিন।

    আরও পড়ুন : ভারত-চিন সম্পর্ক কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, স্পষ্ট করলেন জয়শঙ্কর

    ইরাকের তৈলক্ষেত্র হস্তগত করতে চেষ্টার কম কসুর করেনি ড্রাগনের দেশ। তবে এখনও অবধি প্রতিবারই ব্যর্থ হয়েছে শি জিন পিংয়ের দেশের সেই চেষ্টা। বাধ সেধেছেন ইরাকের তৈলমন্ত্রী স্বয়ং। রাশিয়ার লুকোইল এবং ইউএস ওয়েল জায়েন্ট এক্সন মোবিল চিনের কোনও সংস্থাকে তার শেয়ার বেচতে চেয়েছিল। তাতে জল ঢেলে দেন ইরাকের তৈল মন্ত্রী। পুরো পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে আমেরিকা, ইরান এবং তুরস্কও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Medical Courses: প্রকাশিত হয়েছে নিট-ইউজি- র ফল, এমবিবিএস ছাড়া আর কোন কোর্সে পড়ার সুযোগ রয়েছে? জেনে নিন 

    Medical Courses: প্রকাশিত হয়েছে নিট-ইউজি- র ফল, এমবিবিএস ছাড়া আর কোন কোর্সে পড়ার সুযোগ রয়েছে? জেনে নিন 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার প্রকাশিত হয়েছে ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি কাম এন্ট্রান্স টেস্ট (NEET UG) ইউজি, ২০২২-এর ফল। neet.nta.nic.in – এই ওয়েবসাইটে ফলাফল দেখতে পারেন পরীক্ষার্থীরা। এবারের NEET UG 2022 পরীক্ষায় মোট ১৮,৭২,৩৪৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। চলতি বছরের ১৭ জুলাই দেশজুড়ে এই পরীক্ষার আয়োজন করে এনটিএ (NTA)। মেডিকেল এন্ট্রান্স পরীক্ষা ভারতের ৪৯৭টি শহরে এবং বিদেশের ১৪টি শহরে ৩,৫৭০টি কেন্দ্র জুড়ে অনুষ্ঠিত হয়।

    আরও পড়ুন: আজই প্রকাশিত হবে নিট-ইউজি- র ফল, দেখবেন কী করে?

    আমাদের দেশের বেশির ভাগ ছাত্রছাত্রীরাই ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন নিয়েই স্কুল জীবন কাটিয়ে দেন। নিট পরীক্ষা দেনও মূলত সেই কথা ভেবেই। কিন্তু অনেকেই এমবিবিএস কোর্সের কাটঅফ নম্বর তুলতে পারেন না। তাহলে কী তাঁরা নিজেদের স্বপ্ন ভুলে যাবেন? সরিয়ে নেবেন নিজের মন চিকিৎসা বিজ্ঞান থেকে? না তার কোনও প্রয়োজন নেই। এমবিবিএস- এ সুযোগ না পেলেও আপনার জন্যে খোলা থাকছে চিকিৎসা বিজ্ঞানের আরও অনেক দিক। জেনে নিন সেগুলো কী কী?

    বিএএমএস: ব্যাচেলর অফ আয়ুর্বেদিক মেডিসিন অ্যান্ড সার্জারি। সাড়ে পাঁচ বছরের এই কোর্সের শেষে পড়ুয়া ফার্মাসিস্ট, গাইনোকলজিস্ট, ডায়েটেশিয়ান, পঞ্চকর্মা প্র্যাক্টিশনার, শিক্ষক সব হতে পারবেন।

    আরও পড়ুন: নীট-ইউজির ‘অ্যান্সার কি’ প্রকাশ এনটিএ-র, দেখবেন কী করে?

    বিএইচএমএস: ব্যাচেলর অফ হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন অ্যান্ড সার্জারি। সাড়ে পাঁচ বছরের এই কোর্সের শেষে আপনি হতে পারেন হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার, পাবলিক হেলথ স্পেশ্যালিস্ট, ফার্মাসিস্ট, শিক্ষক।

    বিএনওয়াইএস: ব্যাচেলর অফ নেচারোপ্যাথি অ্যান্ড যোগা সায়েন্স। সাড়ে পাঁচ বছরের এই কোর্স শেষে আপনি হতে পারেন নেচারোপ্যাথি ফিজিশিয়ান, থেরাপিস্ট, হেলথ সুপারভাইজার, কনসালটান্ট, অ্যাক্যুপাংচার, নিউরো ফিজিওলজি এইসবকে জীবিকা করতে পারেন।

    বিইউএমএস: অ্যাব্রিভিয়েটেড ফর ব্যাচেলর অফ ইউনানি মেডিসিন অ্যা ন্ড সার্জারি। সাড়ে পাঁচ বছরের এই কোর্স শেষে আপনি সায়েন্টিস্ট, কন্সলটান্ট, ফার্মাসিস্ট, থেরাপিস্ট, ড্রাগ ইন্সপেক্টর, মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট হতে পারেন।

    বিএসসি নার্সিং: ব্যাচেলর অফ সায়েন্স ইন নার্সিং। চার বছরের এই কোর্সে প্রার্থীরা স্টাফ নার্স, রেজিস্টর নার্স, নার্স এডুকেটর, মেডিক্যাল কোডার হতে পারবেন। 

    বিভিএসসি এবং এএইচ: ব্যাচেলর অফ ভেটেনারি সায়েন্স অ্যান্ড অ্যানিম্যাল হাজবেন্ডরি। সাড়ে পাঁচ বছরের কোর্সে পশুর ডাক্তার হতে পারবেন। 

    বিডিএস: ব্যাচেলর অফ ডেন্টাল সার্জারি। সাড়ে পাঁচ বছরের এই কোর্স শেষে দন্ত চিকিৎসক এবং শিক্ষক হতে পারেন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Cyrus Mistry: ত্রুটিপূর্ণ সেতু সাইরাসের মৃত্যুর অন্যতম কারণ, বলছে ফরেন্সিক রিপোর্ট 

    Cyrus Mistry: ত্রুটিপূর্ণ সেতু সাইরাসের মৃত্যুর অন্যতম কারণ, বলছে ফরেন্সিক রিপোর্ট 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১২০ কিলোমিটার বেগে ছুটছিল গাড়ি। হঠাতই ডিভাইডারে সজোরে ধাক্কা। আর এক ধাক্কাতেই সব শেষ। মুম্বইয়ের পালঘরে ভয়ংকর গতির বলি হয়েছেন শিল্পপতি সাইরাস মিস্ত্রি (Cyrus Mistry)। গাড়ি দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। ইতিমধ্যেই শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে সেন্ট্রাল মুম্বইয়ের ওয়ার্লি শ্মশানে। এদিকে, সাইরাস মিস্ত্রির ময়নাতদন্ত রিপোর্টে (Cyrus Mistry Post Mortem Report) উঠে এসেছে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য। কী ভাবে মৃত্যু হয়েছিল টাটা গ্রুপের এই প্রাক্তন চেয়ারম্যানের তা জানতে সাত জনের একটি ফরেন্সিক টিম তদন্ত চালাচ্ছে। 

    আরও পড়ুন: গাড়ির গতি ছিল ঘণ্টায় ১৩৫ কিমি, সিট বেল্ট না পরায় প্রাণ গেল সাইরাসের? 

    ফরেন্সিক রিপোর্টে বলা হয়েছে, মৃত্যুর অন্যতম কারণ ত্রুটিপূর্ণ ব্রিজ। এছাড়াও তীব্র গতিতে গাড়ি চালানোও মৃত্যুর অন্যতম কারণ। সিট বেল্ট পরে ছিলেন না সাইরাস মিস্ত্রি। 

    ময়নাতদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী, গাড়ি সজোরে ডিভাইডারে ধাক্কা মারায় ভয়ংকর ঝাঁকুনি অনুভব করেন যাত্রীরা। আর তাতেই মাথায় গুরুতর চোট পান সাইরাস মিস্ত্রি। যার জেরে তীব্র রক্তক্ষরণ শুরু হয় তাঁর। পাশাপাশি বুক, ঘাড় এবং থাইতেও একাধিক হাড় ভেঙে যায় সাইরাসের। ফলে  হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগে দুর্ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। সাইরাসের মতো জাহাঙ্গির পাণ্ডোলেরও ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। তাঁর দেহে এবং মাথায় একাধিক অঙ্গে গুরুতর আঘাত ছিল ৷ চিকিৎসকদের দাবি, এরকম আঘাতে ঘটনাস্থলে মৃত্যু হওয়া অস্বাভাবিক নয়৷ 

    আরও পড়ুন: তীব্র গতি কাড়ল প্রাণ, গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত টাটা সন্সের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সাইরাস মিস্ত্রি, শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর

    ইতিমধ্যেই আহমেদাবাদ থেকে মুম্বই যাওয়ার যে হাইওয়েতে দুর্ঘটনা ঘটেছিল, সে এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মাত্র ৯ মিনিটে ২০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করেছিল সাইরাস মিস্ত্রির ওই মার্সিডিজ বেঞ্জ গাড়িটি। গাড়িটি চালাচ্ছিলেন বিখ্যাত চিকিৎসক অনিতা পাণ্ডোলে। এই মুহূর্তে গুরুতর আহত অবস্থায় তিনি ও তাঁর স্বামী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁরা সিট বেল্ট পরে থাকলেও পিছনের আসনে থাকা সাইরাস মিস্ত্রি এবং জাহাঙ্গির পাণ্ডোলে সিটবেল্ট পরেননি। চরম ঝাঁকুনির মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি আহত হন পিছনের দু’জন যাত্রীই। এছাড়াও গাড়ির দ্রুতগতি এই ঘটনার মূল কারণ বলে জানিয়েছে পালঘর থানার পুলিশ। গাড়িটি একের পর এক সিগন্যাল ভেঙেছে বলেও সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Baguiati Students Murder: বাগুইআটিতে জোড়া খুন, নিহত দুই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী

    Baguiati Students Murder: বাগুইআটিতে জোড়া খুন, নিহত দুই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাগুইআটিতে অপহরণের (Baguiati Twin Kidnapping and Murder) পরে দুই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে নৃশংসভাবে খুনের অভিযোগ। বাসন্তীরই দুই পৃথক জায়গা থেকে উদ্ধার করা হয় অপহৃত দুই ছাত্রের মৃতদেহ। মৃতদের নাম অভিষেক নস্কর ও অতনু দে। নয়ানজুলিতে তাদের দেহগুলি পাওয়া যায়। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে, মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরী-সহ ২ জন এখনও ফেরার। পুলিশের দাবি, অপহরণের পর চলন্ত গাড়িতেই ওই দুই ছাত্রকে খুন করা হয়। 

    ২২ অগাস্ট বাগুইআটির জগত্‍পুর থেকে দুই ছাত্রকে অপহরণের অভিযোগ ওঠে। ১ কোটি টাকা মুক্তিপণ চেয়ে বাড়িতে এসএমএস পাঠায় অপহরণকারীরা। টাকা না দিলে খুনের হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ পরিবারের। এরপর ২৩ অগাস্ট বাগুইআটি থানায় অভিযোগ দায়ের করে পরিবার। ২৪ অগাস্ট নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। তার পরেও পুলিশ তৎপর হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। দুই ছাত্রকে অপহরণ করে মুক্তিপণ চাওয়ার পরও ওই দুই ছাত্রের মৃতদেহ মিলল বসিরহাটে। বাগুইআটি থানার ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন ছাত্রের পরিবার। এই ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরী পলাতক। তার খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।

    আরও পড়ুন: ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী লিস ট্রাস, ভারত-ব্রিটেন সম্পর্কের নতুন সমীকরণ?

    গত মাসের ২২ তারিখে বাগুইআটির জগৎপুর খাল ধারের বাসিন্দা অতনু দে ও অর্জুনপুরের বাসিন্দা অভিষেক নস্কর দুই ছাত্র বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যায়। পরের দিন পরিবারের কাছে এক কোটি টাকার মুক্তিপণ চেয়ে ফোনে এসএমএস আসে। তারপরেই পরিবারের তরফে বাগুইআটি থানায় অভিযোগ জানানো হয়। 

    পরিবারের অভিযোগ, পুলিশ কোনওরকম ভাবেই সাহায্য করেনি। গতকাল রাতে পুলিশের তরফে জানানো হয় অতনু দে ও অভিষেক নস্কর নামে নিখোঁজ দুই ছাত্রের দেহ মিলেছে বসিরহাটে। এরপরে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেন মৃতের পরিবার থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা। পরিবার সূত্রে খবর, অতনু দে বাইক কেনার জন্য সত্যেন্দ্র চৌধুরীকে পঞ্চাশ হাজার টাকা দেয়। এরপর ২২ অগাস্ট বাইক কেনার জন্য অতনু দে ও অভিষেক নস্করকে সঙ্গে নিয়ে যায় সত্যেন্দ্র চৌধুরী। তারপর থেকে দুই অতনু দে ও অভিষেক নস্কর নিখোঁজ হয়ে যায়। এরা সম্পর্কে মামাতো পিসতুতো ভাই।

    আরও পড়ুন: তিনবছরে বিজয়ীদের আয় ৫৮ হাজার কোটি টাকা, সিবিডিটির নজরে গেমিং অ্যাপ

    ২৪ অগাস্ট বাগুইআটি থানায় অপহরণের অভিযোগ করেন অতনু দে’র বাবা বিশ্বনাথ দে। বিশ্বনাথ দে’র ফোনে এক কোটি টাকা মুক্তিপণ চেয়ে এসএমএস আসতে থাকে। পরিবারের দাবি, পুলিশকে অভিযোগ জানানোর পর এবং এক কোটি মুক্তিপণ চাওয়ার কথা জানানোর পরও পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নেয়নি। পুলিশ ব্যবস্থা নিলে দুই ছাত্রকে জীবিত পাওয়া যেত। এভাবে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী দুই ছাত্রের মৃত্যুর খবর মিলত না। গতকাল অভিজিৎ বোস নামে একজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে বাগুইআটি থানার পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরীর নাম। অভিজিৎ বোস, শামীম আলী, সাহিল মোল্লা ও দিব্যেন্দু দাস কে গ্রেফতার করা হয়েছে। মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরী পলাতক। তার খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে।

    এদিকে সত্যেন্দ্র চৌধুরীর জগৎপুরে বাড়িতে ভাঙচুর চালায় অতনুর পরিবার ও প্রতিবেশীরা। ঘটনাস্থলে যায় বাগুইআটি থানার পুলিশ। পুলিশের দাবি, খুন করার উদ্দেশ্য নিয়ে আগে থেকে গাড়িতে দড়ি রেখেছিল। অতনুর থেকে বাইক কিনে দেওয়ার পঞ্চাশ হাজার টাকা নেয় সত্যেন্দ্র চৌধুরী। পরে আরও টাকার দাবি করে সত্যেন্দ্র। সেই টাকা দিতে অস্বীকার করে অতনু। এরপরই দুজনকে চলন্ত গাড়িতে খুন করা হয়। এরপর বসিরহাটের আলাদা আলাদা জায়গায় ফেলা দুই ছাত্রের মৃতদেহ।

    ধৃতরা হল…..
    ১) অভিজিৎ বোস (২৫), নিউটাউনে থাকত। বর্তমানে হাওড়ায় থাকে। ধাবায় কাজ করে। বছর তিনেক আগে জগাছা থানায় ল্যাপটপ চুরি কেসে গ্রেফতার হয়।
    ২) শামীম আলী (২০), বাগুইআটি থানার আটঘড়ার বাসিন্দা।
    ৩) সাহিল মোল্লা (২০), আটঘড়ার বাসিন্দা।
    ৪) দিব্যেন্দু দাস, বাগুইআটি থানার চণ্ডীবেড়িয়ার বাসিন্দা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Muslim Population in West Bengal: সীমান্তে মুসলিম জনসংখ্যার বিস্ফোরণ, কোন পথে এগোচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ?

    Muslim Population in West Bengal: সীমান্তে মুসলিম জনসংখ্যার বিস্ফোরণ, কোন পথে এগোচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের সীমান্ত (Bangladesh Border) বরাবর অঞ্চলে মুসলিম (muslim) জনসংখ্যা (population) লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় এই জনসংখ্যা বিস্ফোরণ  রীতিমতো চোখে পড়ার মতো। নিউ জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি, ইসলামপুর, মালদা টাউন, মুর্শিদাবাদ – শহর থেকে গ্রাম, সর্বত্রই ফুটে উঠছে এই ছবি। সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশ থেকে এখানে ডেরা বাঁধছে প্রচুর মুসলিম। নানান উপায়ে বর্ডার ক্রস করে তারা চলে আসছে এপারে। তারপর কয়েক বছর থাকার পর এখানকারই বাসিন্দা হয়ে যাচ্ছে। কোণঠাসা হয়ে পড়ছে স্থানীয় হিন্দুরা। অনুপ্রবেশের (infiltration) ফলে বদলে যাচ্ছে এলাকায় এলাকায় জনসংখ্যার বাস্তব চিত্র (demography)।

    শুধু কোণঠাসা হয়ে পড়াই নয়, একসময় প্রাণের ভয়ে এখানকার হিন্দুরা চলে যেতে বাধ্য হচ্ছেন কোনও নিরাপদ স্থানে। বাংলাদেশ থেকে আসা অনুপ্রবেশকারীদের দৌরাত্ম্যে বাধ্য হয়েই নিজভূমে তাঁরা পরবাসী হয়ে যাচ্ছেন। উদ্বাস্তু হয়ে আসা মুসলিমরা প্রথমে ভাগচাষী হয়ে কাজ শুরু করছে। অনেকে কাজ নিচ্ছে হিন্দু বাড়িতে। তারপর তিন চার বছর যাওয়ার পর অন্য মূর্তি ধারণ করছে । সংখ্যাধিক্যের সুযোগ নিয়ে মনিবের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে কসুর করছে না তারা । অশান্তির জেরে বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে অনেক হিন্দু পরিবার।  এমনকি জলের দরে বিক্রি করে দিচ্ছে নিজেদের বাস্তু ভিটে, চাষের জমি। 

    এভাবেই ডেমোগ্রাফি (demography) বা জনসংখ্যার স্ট্যাটিসটিক্স বদলে গেছে ঝাড়খন্ডের ৫ জেলায়। গত তিন দশক ধরে সেখানে বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটেছে নজিরবিহীন ভাবে। একই ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশেও। সেখানে ১৬টি জেলার ডেমোগ্রাফি বদলে গেছে। জনসংখ্যার নিরিখে বিহারের ৮টি জেলায় মুসলিম আধিক্য বেশি হয়ে গেছে। আর অনুপ্রবেশের ফলে পশ্চিমবঙ্গে এই সংখ্যাটা রীতিমতো উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। এরাজ্যের ১৪টি জেলায় অনুপ্রবেশের ফলে জনসংখ্যার পরিসংখ্যান বদলে গেছে। এবং ধীরে ধীরে এই সব এলাকা নানা দেশদ্রোহী  কার্যকলাপের (jihad) আখড়া হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ উঠছে।   

    আরও পড়ুন: ভারত সফর শুরুর আগেই মোদির ভূয়সী প্রশংসা হাসিনার গলায়, কেন জানেন?

    বাংলাদেশ লাগোয়া এরাজ্যের সীমান্তবর্তী এলাকার বহু গ্রামে এখন মুসলিমদের বাস ৭০ শতাংশ। হিন্দুরা সেখানে মাত্র তিরিশ শতাংশ। গ্রামে বসবাস করলেও অনেক মুসলিমই বিলাসবহুল জীবন যাপন করেন। সেখানে তৈরি হয়েছে প্রচুর মাদ্রাসা, নার্সিং ও ফার্মা কলেজ। বাংলাদেশ লাগোয়া এই ঝাঁ চকচকে প্রতিষ্ঠানগুলির দিকে তাকালে তাক লেগে যাবে। কোথা থেকে এত টাকা আসছে, তা নিয়ে নজরদারি নেই প্রশাসনের। জানা যাচ্ছে, সীমান্ত লাগোয়া এইসব স্থানে পুলিশ-প্রশাসনেও মুসলিম আধিক্য বেশি। ফলে স্থানীয়দের সঙ্গে প্রশাসনের একটা গোপন আঁতাঁতের অভিযোগ উঠছে বেশ কিছুদিন ধরেই। এমনকি বেশ কিছু মাদ্রাসায় অবৈধ কাজকর্ম চলে বলেও অভিযোগ উঠেছে।  

    এই সব এলাকা থেকে প্রতি বছর ৫০ জন যুবক সৌদি আরবে ধর্মীয় পাঠ পড়তে যান। বেশিরভাগই ইমাম বা বুখারি হয়ে ফিরে আসেন। এখানে মাদ্রাসায় তাঁরা শিক্ষকতা করেন। প্রচার করেন তাঁদের ভাবনা। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এখানে টাকা আসে। টাকা আসে সৌদি আরব থেকে। আবার সরকারের সমস্ত সুযোগ সুবিধাও ভোগ করে এই মাদ্রাসাগুলি। 
    এলাকায় গেলেই বোঝা যাবে, মেয়েদের মধ্যে বিজ্ঞান পড়ার ঝোঁক বাড়লেও, মুসলিম যুবকদের মধ্যে উগ্র মৌলবাদ মাথাচাড়া দিচ্ছে। 

    এই উগ্র মৌলবাদী চিন্তাধারা এখানকার অনেক যুবককেই ঠেলে দিচ্ছে দেশদ্রোহিতার পথে। তারা যোগ দিচ্ছে বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে। বিভিন্ন নাশকতার ঘটনার সঙ্গে যুক্ত হয়ে যাচ্ছে তারা। এই মৌলবাদী ভাবধারার পাশাপাশি এক শ্রেণির মুসলিম আটকে আছেন তাঁদের সাবেকি চিন্তাধারা নিয়ে।  অনেক মুসলিমই এখানে দু-তিনটি বিয়ে করেছেন। তাঁদের বহু সন্তান। এক মুসলিম তো বলেই ফেললেন, তাঁদের সমাজে কম সন্তান হওয়া মানে গুণাহ বা অপরাধ। মুসলিম মহিলাদের সঙ্গে কথা বললে তাঁরা জানাচ্ছেন, এটাই তাঁদের রীতি। ফলে আধুনিক চিন্তাধারা এখানে পৌঁছচ্ছে না। বরং বেশ কিছু মাদ্রাসায় যেভাবে শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে, সেভাবেই ধ্যান ধারণা তৈরি হচ্ছে  স্থানীয়দের মধ্যে। এভাবেই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মুসলিম জনসংখ্যা। সাহায্য আসছে আরব সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে। নিঃশব্দেই বাড়ছে মুসলিম আধিপত্য। আর ক্রমশ অসহায় হয়ে পড়ছেন সীমান্ত লাগোয়া বসবাসকারী অসংখ্য হিন্দু পরিবার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Modi Hasina Meeting: স্বাক্ষরিত কুশিয়ারা জল বণ্টন চুক্তি, সাতটি মউ, বৈঠকে আশাবাদী মোদি-হাসিনা

    Modi Hasina Meeting: স্বাক্ষরিত কুশিয়ারা জল বণ্টন চুক্তি, সাতটি মউ, বৈঠকে আশাবাদী মোদি-হাসিনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিস্তা জলবণ্টন চুক্তি (Teesta Water Sharing Treaty) স্বাক্ষরিত হয়নি। তবে মঙ্গলবার মোদি (PM Modi)-হাসিনা (PM Hasina) বৈঠকে স্বাক্ষরিত হয়েছে কুশিয়ারা নদীর (Kushiyara River) জল বণ্টন সংক্রান্ত চুক্তি। যে চুক্তির ফলে লাভবান হবে ভারত ও বাংলাদেশ দুই দেশই। স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে ৫৪টি নদী প্রবাহিত হয়ে চলেছে। দুই দেশের মানুষের জীবন জীবিকার সঙ্গে যুক্ত এই নদীগুলি। এই আবহে আজ আমরা কুশিয়ারা নদীর জল বণ্টন সংক্রান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষর করেছি। তিস্তা জল বণ্টন চুক্তি সমস্যাও যে দ্রুত মিটবে, সে ব্যাপারে আশাবাদী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    এদিন ভারত (India) ও বাংলাদেশ (Bangladesh) দুই দেশের মধ্যে সাতটি মউ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। দুই দেশের দুই প্রধানমন্ত্রী যৌথভাবে উন্মোচন করেছেন মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্টের ইউনিট-১এর আবরণ। তাঁরা ৫.১৩ কিমি দীর্ঘ রূপসা রেল ব্রিজেরও উদ্বোধন করেন। এদিনের আলোচনা যে ফলপ্রসূ হয়েছে, তা জানিয়েছেন হাসিনা। তিনি বলেন, বন্ধুত্বপূর্ণ এবং সহযোগিতার আবহে এদিন আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।

     

     

    আরও পড়ুন :হায়দ্রাবাদ হাউসে বৈঠকে মোদি-হাসিনা, নজরে জলবণ্টন, সীমান্ত সুরক্ষা

    মোদিও বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আমার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আলোচনা হয়েছে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক নানা ইস্যু নিয়েও। কোভিড-১৯ অতিমারি থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়া প্রয়োজন। বিশ্বে এই মুহূর্তে যা ঘটছে, তা নিয়েও। এবং অবশ্যই পোক্ত করতে হবে আমাদের অর্থনীতির ভিত। ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছি বন্যা নিয়ন্ত্রণে। রিয়েল টাইম ডেটা শেয়ার করেছি। সন্ত্রাসবাদ নিয়েও আলোচনা হয়েছে। আমাদের দুই দেশকেই অনেক প্রতিকূল শক্তির বিরুদ্ধে লড়তে হচ্ছে। মোদি বলেন, বাংলাদেশ আমাদের সর্ব বৃহৎ ডেভেলপমেন্ট পার্টনার। এই অঞ্চলে আমাদের বৃহত্তম ব্যবসায়িক পার্টনারও। ভারত বাংলাদেশের মধ্যে ব্যবসা দিন দিন বাড়ছে বলেও জানান মোদি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Teesta Water Treaty: তিস্তা জলবণ্টন চুক্তি চাইছেন হাসিনা, জাতীয় স্বার্থের কথা মাথায় রাখতে হচ্ছে মোদিকে

    Teesta Water Treaty: তিস্তা জলবণ্টন চুক্তি চাইছেন হাসিনা, জাতীয় স্বার্থের কথা মাথায় রাখতে হচ্ছে মোদিকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কুশিয়ারা নদীর জল বণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। তবে বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (PM Hasina) চাইছেন তিস্তা জলবণ্টন চুক্তি (Teesta Water Treaty) স্বাক্ষরিত হোক দ্রুত। হাসিনা চাইলেও, জাতীয় স্বার্থের কথা মাথায় রেখে পা ফেলতে হচ্ছে ভারতের (India) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi)। তাই এ ব্যাপারে তাড়াহুড়ো করতে চাইছে না ভারত।

    ভারত ও তার প্রতিবেশী বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে ৫৪টি নদী। এর মধ্যে রয়েছে তিস্তাও। এই তিস্তা ভারত এবং বাংলাদেশ দুই দেশের কাছেই গুরুত্বপূর্ণ একটি নদী। তিস্তার উৎপত্তি সিকিমে। সেখানে থেকে এই নদী পশ্চিমবাংলার উত্তরাংশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে চলে গিয়েছে বাংলাদেশে। ভারত তিস্তার ৫৫ শতাংশ জল দাবি করে। আর বাংলাদেশ যা জল পায়, দাবি করছে তার চেয়েও বেশি। এখানেই মূল সমস্যা।

    তিস্তা নিয়ে ভারত বাংলাদেশের দড়ি টানাটানি চলছে সেই ১৯৮৩ সাল থেকে। ২০১১ সালে ১৫ বছরের জন্য দুই দেশের মধ্যে হওয়ার কথা ছিল অন্তর্বর্তীকালীন চুক্তি। সেই চুক্তি অনুযায়ী, তিস্তার জলের ৪২.৫ শতাংশে অধিকার ভারতের। আর ৩৭.৫ শতাংশের অধিকার বাংলাদেশের। তবে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়নি। কারণ, চুক্তির বিরোধিতা করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১১ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ উদ্যোগী হলেও, এই চুক্তির বিরোধিতা করেন মমতা। প্রত্যাশিতভাবেই দিনের আলো দেখেনি বহু আকাঙ্খিত তিস্তা চুক্তি।

    আরও পড়ুন : জলবণ্টন চুক্তি নিয়ে মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে ভারত-বাংলাদেশ

    শুখা মরশুমে তিস্তার জলের ৫০ শতাংশ দাবি করে বাংলাদেশ। কারণ এই সময় সে দেশে জলের জোগান খুবই কমে যায়। মার খায় সে দেশের বিস্তীর্ণ অংশের চাষবাস। তাই বাংলাদেশ চায় দ্রুত রূপায়িত হোক তিস্তা চুক্তি। তবে তিস্তা জলবণ্টন চুক্তি রূপায়িত করার ক্ষেত্রে ভারতের কিছু বাধ্যবাধকতা রয়েছে। পশ্চিমবাংলার অভিযোগ, তিস্তা থেকে প্রয়োজনীয় জল পাচ্ছে না রাজ্য। এমতাবস্থায় বাংলাদেশকে বেশি জল দেওয়া হলে শুখা মরশুমে বিপাকে পড়বেন এ রাজ্যের কৃষকদের একটা বড় অংশ। বিজেপিও চাষিদের স্বার্থের কথা মাথায় রেখে ওই চুক্তি ফেরাতে রাজি নন। সেই কারণেই এখনই যে তিস্তা জলবণ্টন চুক্তি সম্পাদিত হচ্ছে না, তা বলাই যায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • Hrithik Roshan: ‘বিক্রম বেদা’-য় তিন ভিন্ন অবতারে দেখা যাবে হৃত্বিককে! ৮ সেপ্টেম্বর মুক্তি পেতে চলেছে ট্রেলার

    Hrithik Roshan: ‘বিক্রম বেদা’-য় তিন ভিন্ন অবতারে দেখা যাবে হৃত্বিককে! ৮ সেপ্টেম্বর মুক্তি পেতে চলেছে ট্রেলার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টিজারই দর্শকদের নজর কেড়ে নিয়েছিল, তবে এবারে জানা গিয়েছে, বেদার চরিত্রে হৃত্বিককে তিন অবতারে দেখা যাবে। বলিউড অভিনেতা হৃত্বিক রোশন ও সইফ আলি খানের অনুরাগীরা নতুন ছবি ‘বিক্রম বেদা’-র ট্রেলারের জন্য বহুদিন ধরেই আশায় বসেছিলেন। এবারে তাঁদের এই অপেক্ষার অবসান হল। কারণ গত ৪ সেপ্টেম্বর প্রকাশ্যে এসেছে ছবির নতুন পোস্টার। আর সেখানেই জানা গিয়েছে, এই ছবির ট্রেলার মুক্তি পাবে ৮ সেপ্টেম্বর।

    ট্রেলারের জন্য তো উত্তেজনা ছিলই, তবে ছবিতে বেদের চরিত্রে হৃতিককে ৩টি ভিন্ন লুকে দেখা যাবে অর্থাৎ বিক্রম বেদা ছবিতে তিন আলাদা অবতারে দেখা যাবে হৃত্বিককে। আর এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই হৃত্বিকের ভক্তদের মধ্যে উন্মাদনার শেষ নেই। জানা গিয়েছে, হৃত্বিকের কাছে এই ছবিটি বিশেষ হতে চলেছে। কারণ বিক্রম বেদা হৃত্বিকের ২৫ তম ছবি।

    ‘বিক্রম বেদা’ টিজারটি দর্শকদের কাছ থেকে ব্যাপকভাবে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পেয়েছে এবং হিন্দি সিনেমার টিজারের মধ্যে এই সিনেমার টিজারকেই সর্বাধিক পছন্দের টিজার হিসাবে ধরা হয়েছে। অ্যাকশন-থ্রিলারে ভরা এই ছবিতে এক সৎ, নিষ্ঠাবান পুলিশ অফিসার বিক্রমের চরিত্রে দেখা যাবে সইফকে। অন্যদিকে, তাঁর সবচেয়ে বড় শত্রু গ্যাংস্টার বেদার ভূমিকায় দেখা যাবে হৃত্বিককে। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের সুপারহিট তামিল সিনেমা ‘বিক্রম বেদা’র হিন্দি রিমেক এই নতুন ছবিটি।

    আরও পড়ুন: ‘মহাকাল’ থেকে থালি অর্ডার হৃত্বিক রোশনের! বিতর্কের মধ্যে বিজ্ঞাপন প্রত্যাহার জোম্যাটোর

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, ‘বিক্রম বেদা’ ছবিতে বেদার যাত্রা এবং তাঁর কাহিনী দেখানো হবে। আর এই জন্যই হৃতিককে ছবিতে ৩টি ভিন্ন লুকে দেখা যাবে। বিভিন্ন ছবিতে দেখা গিয়েছে, অভিনেতা হিসেবে হৃতিক সবসময়ই তার অনস্ক্রিন চরিত্রকে ভালোভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। তাঁর প্রথম ছবি ‘কাহো না.. প্যায়ার হ্যায়’ থেকে তাঁর শেষ ছবি ‘সুপার 30’ এবং ‘ওয়ার’ পর্যন্ত, হৃত্বিক নতুন নতুন চরিত্রে অভিনয় করে তাঁর ভক্তদের মন জয় করেছেন। তাই এবারও তাঁর অনুরাগীরা আশায় বুক বেঁধেছে যে হৃত্বিক এবারও নতুন চমক নিয়ে আসবেন ও তাঁর চরিত্রের মাধ্যমে ফ্যানদের মুগ্ধ করবেন।

    এই ছবির লুক, টিজার সামনে আসতেই দর্শকরা তাঁর অনেক প্রশংসা করেছেন। উল্লেখ্য, তামিল ছবি ‘বিক্রম বেদা’তে আর মাধবন এবং বিজয় সেতুপতিকে দেখা গিয়েছিল যথাক্রমে বিক্রম ও বেদার ভূমিকায়। সেই ছবিটি পরিচালনা করেছিলেন পুষ্কর এবং গায়ত্রী। এবার এই হিন্দি রিমেকটিও তাঁরাই পরিচালনা করেছেন। এছাড়াও এই ছবিতে দুটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন রাধিকা আপ্তে এবং রোহিত শরফ। চলতি বছরের ৩০শে সেপ্টেম্বর বড়পর্দায় মুক্তি পেতে চলেছে ‘বিক্রম বেদা’। ‘বিক্রম বেদা’ যে চলতি বছরের অন্যতম সুপারহিট সিনেমা হতে চলেছে তা বলার আর অপেক্ষা রাখে না।

     

  • Anubrata Mondal: ফের মিলল অনুব্রতর সম্পত্তির হদিশ, কোথায় জানেন?  

    Anubrata Mondal: ফের মিলল অনুব্রতর সম্পত্তির হদিশ, কোথায় জানেন?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের মিলল অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandol) বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ। অনুব্রতর হিসাব রক্ষক মণীশ কোঠারিকে  জিজ্ঞাসাবাদ করে বীরভূমের তৃণমূল (TMC) নেতা অনুব্রতর সম্পত্তির হদিশ পেল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (CBI)। বুধবারই ফের আদালতে পেশ করা হবে গরু পাচার মামলায় (Cattle Sumggling Scam) ধৃত তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতিকে। তার ঠিক আগের দিনই খোঁজ মিলল সম্পত্তির।

    গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রত। ইতিমধ্যেই তাঁর নামে বেনামে থাকা প্রচুর সম্পত্তির হদিশও পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থা। পেয়েছে রেজিস্টার্ড সম্পত্তির হদিশও। অনুব্রত তো বটেই, তাঁর কন্যা এবং প্রয়াত স্ত্রী ছাড়াও অনুব্রত ঘনিষ্ঠদের সম্পত্তির পরিমাণও চমকে দেওয়ার মতো। সিবিআই সূত্রে খবর, অনুব্রতর একার নামেই রয়েছে ২৪টি সম্পত্তি। তাঁর মেয়ের সম্পত্তির পরিমাণ ২৬টি। অনুব্রতর প্রয়াত স্ত্রী ছবির নামেও রয়েছে ১২টি সম্পত্তি। সব মিলিয়ে মণ্ডল পরিবারের নথিভুক্ত সম্পত্তির পরিমাণ ৬২টি।

    জানা গিয়েছে, অনুব্রতর হিসাব রক্ষক মণীশকে সোমবার তলব করে সিবিআই। সেখানে তাঁর কাছ থেকে বিভিন্ন নথিপত্র চেয়ে নেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। এর আগে অগাস্ট মাসেও একবার মণীশকে তলব করেছিল সিবিআই। সেদিন ঘণ্টা দুয়েক ধরে জেরা করা হয় তাঁকে। এদিন মণীশকে ফের জেরা করেই জানা গেল, বোলপুরে আরও সম্পত্তি রয়েছে অনুব্রতর নামে। কেবল অনুব্রত নন, তাঁর ঘনিষ্ঠ অনেকের নামেও আরও প্রচুর পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ মিলেছে।

    আরও পড়ুন : অনুব্রত, তাঁর ঘনিষ্ঠদের নথিভুক্ত সম্পত্তি ঠিক কত? জানলে চোখ কপালে উঠবে

    এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে আর এক কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি। গ্রেফতার করা হয়েছিল পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কেও। অর্পিতার ফ্ল্যাটে হানা দিয়ে ইডি বাজেয়াপ্ত করেছে প্রায় ৫০ কোটি টাকা। গরু পাচার মামলায় অনুব্রতকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। তবে তাঁর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বিপুল পরিমাণ অর্থের হদিশ মেলেনি। যা মিলেছে, তা হল বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির। অনুব্রত ঘনিষ্ঠদের জেরা করে সেই সম্পত্তিরই খোঁজ পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

LinkedIn
Share