Blog

  • Manik Bhattacharya: মানিক ভট্টাচার্যের বাড়ি থেকে মিলল মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠি! টাকা নেওয়ার অভিযোগ স্পষ্ট, কী রয়েছে সেই চিঠিতে

    Manik Bhattacharya: মানিক ভট্টাচার্যের বাড়ি থেকে মিলল মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠি! টাকা নেওয়ার অভিযোগ স্পষ্ট, কী রয়েছে সেই চিঠিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের (Manik hattacharya) বাড়ি থেকে মিলল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) উদ্দেশে লেখা চিঠি। আদালতে এমনই দাবি করল ইডি (ED)। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) মানিকের বাড়ি থেকে একটি চিঠি মিলেছে। মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা ওই চিঠিটি একটি অভিযোগপত্র। চিঠিতে কেউ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ করেছেন যে, ৪৪ জনের কাছ থেকে ৭ লাখ টাকা করে নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ মোট ৩ কোটি ৮ লাখ টাকা নেওয়া হয়েছে চাকরি প্রার্থীদের কাছ থেকে। চাকরির বিনিময়েই এই টাকা নেওয়া হয়েছে বলে দাবি ইডির। 

    আরও পড়ুন: মঙ্গলবার ভোর রাতে গ্রেফতার মানিক ভট্টাচার্য! টেট দুর্নীতির তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ ইডির

    ইডি সূত্রে খবর, এই চিঠি নিয়ে তৃণমূল বিধায়ককে জেরা করা হলে, তিনি পরস্পরবিরোধী উত্তর দেন। মানিকের কথায় অসঙ্গতি ধরা পড়ে। মঙ্গলবার তাঁকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে, ১৪ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। আদালতেই এই চিঠির কথা জানান ইডির আইনজীবী। তিনি জানান, এই টাকা যুব তৃণমূলের কোনও একজন সাধারণ সম্পাদক সংগ্রহ করছিলেন। ইডির হাতে পাওয়া নথি থেকে জানা যাচ্ছে, মানিক ও তাঁর পরিবারের লোকজনদের বেশ কয়েকটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মানিক ভট্টাচার্যের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বাইরের লোকেদের জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট রয়েছে। অপরিচিতদের সঙ্গেও অ্যাকাউন্ট রয়েছে। সেখানে প্রচুর টাকা রয়েছে। এই টাকা কোথা থেকে এবং কীভাবে এসেছে তা খতিয়ে দেখছে ইডি।  

    আরও পড়ুন: উপাচার্য নিয়োগেও বেনিয়ম? শিক্ষার সর্বস্তরের লজ্জা প্রকট আদালতে!

    এছাড়াও ইডির তরফে জানানো হয়, মানিকের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে দুটি ফোল্ডার। যারমধ্যে ৬১ জন প্রার্থীর নাম পাওয়া গিয়েছে। যারমধ্যে ৫৫ জনের কাছ থেকেই টাকা নেওয়া হয়েছে বলে দেখা যাচ্ছে। পাশপাশি,মানিক ভট্টাচার্যের মোবাইলও বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। অনুমান এই মোবাইল থেকেই মিলতে পারে প্রাইমারি টেট দুর্নীতির নানান তথ্য। ইডি সূত্রে খবর, মানিক ভট্টাচার্যের হোয়াটসঅ্যাপে রয়েছে বিতর্কিত সেই চূড়ান্ত প্রার্থীতালিকা। ‘RK’ নামে সেভ থাকা একটি নম্বর থেকে সেই মেসেজ আসে। যাতে লেখা ছিল, চূড়ান্ত লিস্টে অনুমোদন দিয়েছেন ‘DD’। এই ‘RK’ ও ‘DD’কে তা জানতে চায় ইডি। এর উত্তর মিললেই অনেক প্রশ্নের জট খুলে যাবে বলে অনুমান তদন্তকারীদের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Narendra Modi: সকলের বোধগম্য হোক, আঞ্চলিক ভাষায় আইন লেখার পক্ষে সওয়াল প্রধানমন্ত্রীর

    Narendra Modi: সকলের বোধগম্য হোক, আঞ্চলিক ভাষায় আইন লেখার পক্ষে সওয়াল প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইন লেখা হোক আঞ্চলিক ভাষায় (Law in Regional Language)। মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। বিচার পেতে দেরি হওয়ার অন্যতম কারণ হিসেবে তিনি আইনের অস্পষ্টতাকেই দেখেন। তিনি বলেন, “অনেকেই আইন বোঝেন না। সকলের আইন বোঝা প্রয়োজন। তিনি বলেন, আইন আঞ্চলিক ভাষাগুলোতেও লেখা উচিৎ। যাতে দরিদ্র মানুষরা বুঝতে পারেন।”                   

    গুজরাটের ‘স্ট্যাচু অফ ইউনিটি’-এর কাছে কেভাদিয়ার একতা নগরে দু’দিনের ‘অল ইন্ডিয়া কনফারেন্স অফ ল মিনিস্টার অ্যান্ড ল সেক্রেটারি’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল বক্তব্য রাখেন মোদি। সেখানে তিনি বলেন, “আইনের অস্পষ্টতার কারণে বিচার বিলম্বিত  হচ্ছে। আইনগুলো আরও স্পষ্ট করা প্রয়োজন। দরিদ্র মানুষেরা যাতে আইন বুঝতে পারে, সেই কারণে আঞ্চলিক ভাষায় আইন লেখা প্রয়োজন।” প্রসঙ্গত, গত আট বছরে ১,৫০০টির বেশি অপ্রচলিত আইন বাতিল করেছে। তারমধ্যে অনেক আইন ব্রিটিশ আমলেও ব্যবহার করা হত। 

    আরও পড়ুন: ফের কাশ্মীরি পন্ডিতের রক্তে ভিজল উপত্যকা

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, “দ্রুত বিচার দেওয়া আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। আমাদের বিচার বিভাগ এই সমস্যা সমাধানের জন্য গুরুত্ব সহকারে কাজ করছে। এই সমস্যার মোকাবিলা করতে আমাদের সকলকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। আইনের ভাষা অনেক ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষ বুঝতে পারেন না। আইনের ভাষা সহজ হলে, বিচার পেতে সুবিধা হবে। 

    আইন লেখার ক্ষেত্রে দুটি পন্থা অবলম্বন করা যেতে পারে। বেশিরভাগ দেশে আইনি ভাষায় লেখা হয় আইন। অন্য একটি পদ্ধতি  হল সাধারণ মানুষ যাতে বুঝতে পারে, সেই ভাষায় আইন লেখা হয়। যাতে সাধারণ মানুষ বুঝতে পারে। ভারতের বেশিরভাগ নাগরিকের কাছে আইন স্পষ্ট নয়। ভারতের ক্ষেত্রেও দ্বিতীয় পদ্ধতি অবলম্বন করার পরামর্শ দেন মোদি। তিনি বলেন, “আইন এমন ভাষায় লেখা উচিৎ, যাতে দরীদ্র থেকে দরীদ্রতম মানুষও বুঝতে পারেন।” আইনি ভাষা যাতে নাগরিকদের জন্য বাধা হয়ে না দাঁড়ায় তার জন্য আঞ্চলিক ভাষা ব্যবহারের কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, “প্রতিটি রাজ্যকে এই বিষয়ে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসতে হবে। তরুণ সমাজকে তাদের মাতৃভাষায় আইনের শিক্ষা দেওয়া প্রয়োজন।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • T-20 World Cup: পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম একাদশ তৈরি! টি-২০ বিশ্বকাপ শুরুর  আগে কী বললেন রোহিত?

    T-20 World Cup: পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম একাদশ তৈরি! টি-২০ বিশ্বকাপ শুরুর আগে কী বললেন রোহিত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ২৩ অক্টোবর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের (world cup schedule t20) প্রথম ম্যাচ খেলতে নামছে ভারত। ওই ম্যাচে ভারতের মুখোমুখি চির প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান (india pakistan match)। ২০২১ সালে ভারত-পাক দ্বৈরথে শেষ হাসি হেসেছিল বাবর আজমরা। এবার ভারতীয় দলের উপর যে একটু বাড়তি চাপ থাকবে সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবুও চিন্তিত নন ভারত অধিনায়ক। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন শেষ সময়ে নয় ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম একাদশ তৈরি করে ফেলেছেন তিনি।

    রোহিত শর্মা বলেছেন,’পাকিস্তান ম্যাচের প্রথম একাদশ ভেবে ফেলেছি। যারা খেলবে তাদের জানিয়েও দেওয়া হয়েছে। শেষ মুহূর্তের জন্য কিছু ফেলে রাখতে চাইছি না। তাই ছেলেদের আগে থেকেই সিদ্ধান্তের ব্যাপারে জানিয়ে দিয়েছি যাতে ওরা প্রস্তুত হয়ে নামতে পারে।’রোহিত আরও বলেছেন, “ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের গুরুত্ব কতটা, সেটা আমরা ভালই জানি। তবে সব সময় এই নিয়ে কথা বলি না। এশিয়া কাপের সময়েও অন্য কথা বলে নিজেদের ব্যস্ত রেখেছিলাম। আধুনিক ক্রিকেটে সব দলই ভয়ডরহীন হয়ে গিয়েছে। আমাদের সেই মানসিকতার সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে। আগে টি-টোয়েন্টিতে ১৪০ রান তুললেই জেতা যেত। এখন ১৪-১৫ ওভারেই সেই রান উঠে যায়।”

    পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দলের প্রথম একাদশ তৈরি করার কথা জানালেও, কারা থাকতে চলেছেন সেই প্রথম একাদশে তা নিয়ে এখনও কিছু খোলাসা করে জানানি টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক। তিনি এখন মজে রয়েছেন ফটোশ্যুটে।  কোথায় শত্রুতা! চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দেশের মধ্যে যেখানে টানটান উত্তেজনার চোরাস্ত্রোত বয়ে চলে, সেখানে রোহিত শর্মা এবং বাবর আজমের ফটোশ্যুট  অন্য গল্প বলছে। খোশমেজাজে দুই অধিনায়ককে দেখে মনে হচ্ছিল, প্রতিবেশি দুই দেশের মাঝে ভ্রাতৃত্বের বিজ্ঞাপন করছেন রোহিত-বাবর। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ফটোশ্যুট ছিল অধিনায়কদের। সেখানে রোহিত এবং বাবরের ছবিতেই পরিষ্কার, যে, রাজনৈতিক বা কূটনৈতিক জটিলতা এবং টানাপোড়েন, বিদ্বেষের বাইরে বেরিয়ে রোহিত-বাবরদের সম্পর্ক কিন্তু অত্যন্ত সুন্দর। আর সেটাই যেন আরও একবার প্রমাণিত হল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • GN Saibaba: বন্দিদশা ঘুঁচল না সাইবাবার, ‘সুপ্রিম’ নির্দেশে থাকতে হবে জেলেই

    GN Saibaba: বন্দিদশা ঘুঁচল না সাইবাবার, ‘সুপ্রিম’ নির্দেশে থাকতে হবে জেলেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপাতত জেলেই থাকতে হবে জিএন সাইবাবাকে (GN Saibaba)। শনিবার সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) এই নির্দেশ দিয়েছে। জিএন সাইবাবা দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতপূর্ব অধ্যাপক। কেবল সাইবাবা নন, নকশাল সংস্রব থাকার মামলায় অভিযুক্ত তাঁর পাঁচজন সঙ্গীকেও থাকতে হবে জেলেই। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ৮ ডিসেম্বর। ততদিন পর্যন্ত নাগপুর সেন্ট্রাল জেলেই বন্দি থাকতে হবে প্রতিবন্ধী সাইবাবা ও তাঁর পাঁচ সঙ্গীকে। এদিন এই মামলায় স্পেশাল শুনানি হয় সুপ্রিম কোর্টে। দেশের শীর্ষ আদালত বম্বে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চের নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ দেয়। বম্বে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চ ওই মামলায় জিএন সাইবাবা (GN Saibaba) ও তাঁর সঙ্গীদের মুক্তি দিয়েছিল।

    এর পরেই শুক্রবার দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় মহারাষ্ট্রের একনাথ শিন্ডের সরকার। বম্বে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চের ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানায় শিন্ডে সরকার। তার পরেই শনিবার হয় বিশেষ শুনানি। বেড়ে যায় সাইবাবা (GN Saibaba) ও তাঁর সাঙ্গোপাঙ্গোদের বন্দিদশার মেয়াদ। হাইকোর্টের নির্দেশের প্রেক্ষিতে মহারাষ্ট্র সরকারের আবেদন সম্পর্কে অভিযুক্তদের নোটিশ জারি করে সুপ্রিম কোর্ট। এদিন এই মামলার শুনানি হয় দেশের শীর্ষ আদালতের বিচারপতি এমআর সাহা এবং বেলা এম ত্রিবেদির এজলাসে।

    আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি পদে চন্দ্রচূড়ের নাম প্রস্তাব ললিতের

    ২০১৭ সালে ট্রায়াল কোর্ট সাইবাবা (GN Saibaba) ও তাঁর পাঁচ সঙ্গীকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়। তাঁদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ ধারায় মামলা হয়। তার প্রেক্ষিতে হাইকোর্টে আপিল করেন অভিযুক্তরা। প্রসঙ্গত, সাইবাবা ও তাঁর পাঁচ সঙ্গীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল ২০১৪ সালে। হাইকোর্টে আপিল করার পরে পরেই তাঁদের দ্রুত মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এদিন হাইকোর্টের সেই রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। বাড়ানো হল অভিযুক্তদের জেল হেফাজতের মেয়াদ।

    ২০২০ সালের ২৮ জুলাই বম্বে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চ মেডিক্যাল গ্রাউন্ডে সাইবাবার (GN Saibaba) জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয়। ২০২০ সালের ২২ মে সাইবাবার প্যারোলের আবেদনও খারিজ করে দেয় বম্বে হাইকোর্ট। অসুস্থ শরীর এবং মাকে দেখতে যাবেন বলে প্যারোলে আবেদন করেছিলেন সাইবাবা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Gujarat Election: হিমাচলে লাগু আদর্শ আচরণ বিধি, প্রার্থী কত টাকা খরচ করতে পারবেন জানেন?  

    Gujarat Election: হিমাচলে লাগু আদর্শ আচরণ বিধি, প্রার্থী কত টাকা খরচ করতে পারবেন জানেন?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিমাচল প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হলেও, ঘোষণা হয়নি গুজরাট ভোটের (Gujarat Election) নির্ঘণ্ট। অথচ দুটি বিধানসভারই মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে ছ মাসের মধ্যে। এই জাতীয় ক্ষেত্রে সচরাচর ভোট ঘোষণা হয় একই সঙ্গে। এদিকে, শুক্রবার থেকেই হিমাচল প্রদেশে লাগু হয়েছে মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট। প্রসঙ্গত, হিমাচল প্রদেশে ভোট হবে ১২ নভেম্বর। ফল ঘোষণা হবে প্রায় একমাস পর, ৮ ডিসেম্বর।

    শুক্রবার থেকেই হিমাচল প্রদেশে লাগু হয়ে গিয়েছে মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট (Model Code of Conduct)। মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনীশ গর্গ বলেন, হিমাচল প্রদেশে ভোট হবে ১২ নভেম্বর। বিধানসভার ৬৮টি আসনেই ভোট হবে একদিনে। এর মধ্যে ১৭টি আসন তফশিলি জাতি এবং ৩টি আসন তফশিলি উপজাতির জন্য সংরক্ষিত। তিনি জানান, প্রার্থীর ব্যয়ের পরিমাণ এবার বাড়িয়ে করা হয়েছে ৪০ লক্ষ টাকা। আগে এর পরিমাণ ছিল ২৮ লক্ষ টাকা। মনীশ জানান, রাজ্যের ভোটার সংখ্যা ৫৫ লক্ষ ৭ হাজার ৫৩২জন। এর মধ্যে তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ৩৭জন। প্রসঙ্গত, সচরাচর মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট লাগু হয় ৭০ দিন আগে। হিমাচল প্রদেশে এটা কমে হয়েছে ৫৭দিন।

    আরও পড়ুন: দোরগোড়ায় গুজরাট ভোট, রণকৌশল স্থির করতে বৈঠকে মোদি-শাহ

    এদিকে, জানা গিয়েছে, গুজরাট বিধানসভার মেয়াদ শেষ হবে ১৮ ফেব্রুয়ারি। আর হিমাচল প্রদেশ বিধানসভার মেয়াদ শেষ হবে ৪ জানুয়ারি। এই দুই রাজ্যেরই রশি রয়েছে বিজেপির (BJP) হাতে। একটি রাজ্যে নির্বাচন ঘোষণা হলেও, অন্যটায় হয়নি। এদিন সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার বলেন, এতে কোনও নিয়ম ভঙ্গ হয়নি। হিমাচল প্রদেশ ও গুজরাট এই দুই বিধানসভার মেয়াদ শেষ হবে ৪০ দিনের ব্যবধানে। নিয়ম অনুযায়ী, ভোট ঘোষণার ক্ষেত্রে ব্যবধান থাকা উচিত অন্তত ৩০ দিনের। যাতে একটি রাজ্যের বিধানসভার ফলের প্রভাব পড়তে না পারে অন্য রাজ্যের বিধানসভার ফলের ওপর। রাজীব কুমার বলেন, ভোট ঘোষণার সময় আবহাওয়ার মতো বিভিন্ন বিষয় মাথায় রাখতে হয়েছে। তুষারপাত শুরু হওয়ার আগেই আমরা হিমাচল প্রদেশে ভোট করিয়ে নিতে চাইছি।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Dengue Update: সপ্তাহে আক্রান্ত সাড়ে পাঁচ হাজার, ডেঙ্গি মোকাবিলায় ব্যর্থ প্রশাসন, অভিমত স্বাস্থ্য অধিকর্তার

    Dengue Update: সপ্তাহে আক্রান্ত সাড়ে পাঁচ হাজার, ডেঙ্গি মোকাবিলায় ব্যর্থ প্রশাসন, অভিমত স্বাস্থ্য অধিকর্তার

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল :  ডেঙ্গি পরিস্থিতি ভয়ানক। পুজোর মরশুমে প্রশাসন কোনও কাজ করেনি। এমনকি ডেঙ্গি আক্রান্তের রক্ত পরীক্ষার রিপোর্টও আসতে দেরি হচ্ছে। নির্ধারিত সময়ের থেকে অনেক পরে পাওয়া যাচ্ছে ডেঙ্গি রিপোর্ট। সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গি আক্রান্তের জন্য আলাদা বেড নির্ধারিত নেই। প্রয়োজনীয় পরিকল্পনার অভাব রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতিকে আরও ভয়ঙ্কর করে তুলেছে। প্রশাসনের ব্যর্থতার কথা কার্যত মেনে নিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী।

    স্বাস্থ্য দফতর (Health Department) সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার স্বাস্থ্য ভবনের প্রশাসনিক বৈঠকে স্বাস্থ্য অধিকর্তা জানান, হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গি রোগীর দিনে দু’বার প্লেটলেট কাউন্ট হচ্ছে না। তাই অনেক সময় নির্দিষ্ট সময়ে রক্ত দেওয়া হচ্ছে না। এতে পরিস্থিতি আরও সঙ্কটজনক হচ্ছে। তাছাড়া, ডেঙ্গি রোগীর জন্য হাসপাতালে আলাদা বেড নেই। তাই রোগী ভর্তি নিয়েও টালবাহানা হচ্ছে। সূত্রের খবর, তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে জানান, ডেঙ্গি পজিটিভ হলেই রিপোর্ট পেতে দেরি হচ্ছে। রিপোর্ট দেরিতে পেলে বিপদ বাড়বে। ডেঙ্গি মোকাবিলা হবে না। কেন রিপোর্ট দেরিতে পাওয়া যাচ্ছে, সেটাও খতিয়ে দেখা জরুরি বলে তিনি এ দিনের বৈঠকে জানান।

    স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যে ডেঙ্গি পরিস্থিতি এখন ভয়ঙ্কর। পুজোর পরে ডেঙ্গি পজিটিভিটি রেট বেড়ে দাড়িয়েছে ১২ শতাংশ। এক সপ্তাহে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন সাড়ে পাঁচ হাজার। পুজোর মুখেই কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায় ডেঙ্গি চোখ রাঙাচ্ছিলো। স্বাস্থ্য কর্তাদের একাংশ জানিয়েছিলেন, ঠিকমতো পরিকল্পনা মাফিক কাজ না করলে পুজোয় মানুষের হয়রানি আরও বাড়বে।

    আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য দফতরের পুজো পরিকল্পনা মুখ থুবড়ে পড়ল, শারদোৎসবে ডেঙ্গি আক্রান্তরা হয়রানির শিকার

    দুর্গা পুজোর শুরুতেই অবশ্য স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছিল, পুজোর সময় স্বাস্থ্য ভবনে আলাদা ডেঙ্গি কন্ট্রোল রুম খোলা থাকবে। চব্বিশ ঘণ্টা কাজ হবে। সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গি আক্রান্তের ভর্তি, রক্তের প্রয়োজন, কোথাও ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যু হলে সেই এলাকার দিকে বিশেষ নজরদারির মতো বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণ করবে এই বিশেষ কন্ট্রোল রুম। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অভিযোগ, স্বাস্থ্য ভবনের সঙ্গে যোগাযোগ করে কোনও সুবিধা পাওয়া যায়নি। এমনকি কোন ব্লাড ব্যাঙ্কে গেলে রক্ত পাওয়া যাবে, সেই তথ্যও পাওয়া যায়নি। পজিটিভ গ্রুপের রক্ত পেতেও হয়রানির শিকার হতে হয়েছে রোগীর পরিজনদের।

    পুজোর আগে স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা ফি-বছরের হয়রানি মেনে নিয়ে বলেছিলেন, পুজোর সময় সরকারি হাসপাতালগুলোর পরিষেবা নিয়ে সমস্যা হয়। চিকিৎসক, স্বাস্থ্য কর্মী, নার্স ছুটি নেন। সরকারি হাসপাতাল পরিষেবা থমকে যায়। কিন্তু যে হারে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, তাতে সরকারি হাসপাতালের পরিষেবা স্বাভাবিক না থাকলে, পরিস্থিতি আরও ভয়ানক হবে। তাই সরকারি হাসপাতালগুলোতেও উৎসব স্পেশাল ডিউটি রোস্টার তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ব্লাড ব্যাঙ্কে যাতে রক্তের জোগান ঠিক থাকে, সেদিকেও বাড়তি নজর দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ডেঙ্গি চিকিৎসায় প্লেটলেট খুব জরুরি। কিন্তু অন্য বছরের মতো এ বছরেও পুজোর দিনগুলোতে সাধারণ মানুষ হয়রানির শিকার হলেন।

    শুক্রবার এই সমস্ত অভিযোগকে কার্যত মেনে নিলেন খোদ স্বাস্থ্য অধিকর্তা। সূত্রের খবর, এ দিনের বৈঠকে তিনি জানান, ডেঙ্গি মোকাবিলার জন্য ডেঙ্গি তথ্য গোপন কিংবা পজিটিভ রিপোর্ট দেরিতে দিলে বিপদ আটকানো যাবে না। বরং পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। তাই আলাদাভাবে ডেঙ্গি মোকাবিলায় গুরুত্ব দিতে হবে। না হলে মশাবাহিত এই রোগ আরও ভয়ানক আকার নেবে।

  • Heart Disease: জানেন হৃদরোগীর থেকেও করোনায় মৃত্যুর ঝুঁকি বেশি কাদের?

    Heart Disease: জানেন হৃদরোগীর থেকেও করোনায় মৃত্যুর ঝুঁকি বেশি কাদের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এক সমীক্ষায় জানিয়েছেন, করোনা আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে যেই সকল রোগী অত্যধিক ওজনের সমস্যা রয়েছে সেই সব রোগীর মারা যাওয়ার সম্ভাবনা অত্যধিক। এছাড়াও ধূমপানে অভ্যস্ত রোগী ও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদেরও ঝুঁকি বেড়ে যায়। হৃদরোগে (Heart Disease) আক্রান্ত রোগীর চেয়ে এদের ঝুঁকি তুলনামূলক বেশি। গবেষণায় দেখা যায় আইসিইউ’তে থাকা  ৭৩% রোগী অতিরিক্ত ওজনের সমস্যায় ভুগছিলেন। যুক্তরাজ্যের জনসংখ্যার ৬৪% মানুষের অতিরিক্ত ওজনের সমস্যা রয়েছে।  এছাড়াও বয়স বেশি হলে, অন্য জটিল স্বাস্থ্য সমস্যা থাকলে এবং কোভিডে জটিলভাবে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি বলে উঠে এসেছে গবেষণায়।

    অতিরিক্ত ওজন হওয়া মানে দেহ অতিরিক্ত চর্বি বহন করছেন। অর্থাৎ শরীর শতভাগ ফিট নেই। আর শরীর যত ফিটনেস কম হবে, ফুসফুসের কর্মক্ষমতা তত কমবে। ফলে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় অক্সিজেন পৌঁছাতে সমস্যা হবে। ফলত, হৃৎপিণ্ড (Heart Disease) ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

    [tw]


    [/tw]

    রিডিং বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক ডিয়ান সেলাইয়াহ বলেন, “শরীরের প্রধান অঙ্গগুলোয় যথেষ্ট অক্সিজেন না যাওয়ায় স্থূল দেহ এক পর্যায়ে চাপ নিতে পারে না।” এ কারণে আইসিইউতে থাকা স্বাভাবিক ওজনের মানুষের তুলনায় অতিরিক্ত ওজনের মানুষের শ্বাস প্রশ্বাসে সহায়তা ও কিডনির কার্যক্রম চালানোর জন্য সহায়তা বেশি প্রয়োজন হয়।

    সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো, করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার যে সক্ষমতা শরীরের থাকে, যেটিকে আমরা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা (Immunity power) হিসেবে জানি, সেই ক্ষমতা স্বাভাবিক ওজনের মানুষের তুলনায় স্থূলকায় ব্যক্তিদের শরীরে কম থাকে। আমাদের শরীরের চর্বিতে থাকা ম্যাক্রোফেইজ নামক কোষ যখন অতিরিক্ত সক্রিয় হয়ে যায়, তখন এই সমস্যা তৈরি হয়।

    বিজ্ঞানীরা মনে করেন, এর ফলে শরীরে ‘সাইটোকাইন ঝড়’ তৈরি হতে পারে, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার এক ধরণের প্রতিক্রিয়া যার ফলে মানুষের মৃত্যুও হতে পারে। সেলাইয়া বলেন, “অতিরিক্ত ওজনের মানুষের মধ্যে এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ নিষ্ক্রিয় থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। হয়তো এর ফলেই কৃষ্ণাঙ্গ, এশিয়ান এবং মধ্যপ্রাচ্যের বংশোদ্ভূত ব্যক্তিদের মধ্যে ভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার হার বেশি দেখা যাচ্ছে।”

    স্থূলতার সঙ্গে সাধারণত দুর্বল হৃৎপিণ্ড বা ফুসফুস, যথাযথভাবে কাজ না করা কিডনি এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিসের মত অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যাও তৈরি হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Cyber Crime: বিনিয়োগ জালিয়াতির অভিযোগে হায়দ্রাবাদে চিনা নাগরিকসহ গ্রেফতার ১০

    Cyber Crime: বিনিয়োগ জালিয়াতির অভিযোগে হায়দ্রাবাদে চিনা নাগরিকসহ গ্রেফতার ১০

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি একটি বহুজাতিক গ্যাংয়ের পর্দাফাঁস করেছে হায়দ্রাবাদের সাইবার ক্রাইম পুলিশ (Hyderabad cybercrime police)। সারা দেশে ছড়িয়ে পড়া একটি বড় বিনিয়োগ জালিয়াতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে দুই  চিনা নাগরিকসহ ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, বিনিয়োগ জালিয়াতির পরিমাণ ৯০৩ কোটি টাকারও বেশি।

    হায়দ্রাবাদের পুলিশ কমিশনার সিভি আনন্দ এ বিষয়ে জানান, এই বিনিয়োগ জালিয়াতির সঙ্গে কম্বোডিয়া, দুবাই ও চিনের মতো দেশের যোগাযোগ রয়েছে। আনন্দ বলেন, “হায়দ্রাবাদের সাইবার ক্রাইম পুলিশ সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা প্রায় ৯০৩ কোটি টাকার একটি বড় বিনিয়োগ জালিয়াতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে দুই চিনা নাগরিকসহ ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে।” 

    দুর্নীতির অভিযোগ পেয়ে পুলিশ দিল্লি এবং দেশের অন্যান্য জায়গায় কল সেন্টারগুলিতেও অভিযান চালায়। আনন্দ বলেন, “সাইবার ক্রাইম পুলিশ দিল্লি ও অন্যান্য জায়গা থেকে পরিচালিত কয়েকটি কল সেন্টারে অভিযান চালিয়েছে এবং ভুয়ো বিনিয়োগ সংস্থাগুলির নেটওয়ার্ক ভেঙে দিতে সক্ষম হয়েছে। মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের প্রতারণা করা হচ্ছিল। কমিশন দেওয়ার লোভ দেখিয়ে মানুষের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা হত।”   

    একটি ট্যুইটে বার্তায় আনন্দ বলেন, “এটি একটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য। এইচসিপি-র সাইবার ক্রাইম উইং ৯০৩ কোটি টাকার বিনিয়োগ জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত একটি বহুজাতিক গ্যাংকে ধ্বংস করেছে, যাদের কম্বোডিয়া, দুবাই এবং চিনে সংযোগ রয়েছে। অভিযুক্তরা ভুয়ো ইনভেস্টমেন্ট অ্যাপসের মাধ্যমে ভ্রান্ত বিনিয়োগকারীদের প্রলুব্ধ করে অর্থ পাচার করেছে।”  

    তিনি আরও বলেন, “এই ধরনের মানুষরা গোটা দেশে ছড়িয়ে আছে। এরা দেশের অর্থনীতির জন্যে অত্যন্ত ক্ষতিকারক।” 

    আনন্দ তাঁর ট্যুইটে আরও লিখেছেন, “আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, প্রশাসক এবং নিয়ন্ত্রকদের মধ্যে একটি সুসংহত দৃষ্টিভঙ্গি এবং সমন্বয় থাকলে জাতীয় নিরাপত্তা ও অর্থনীতিকে এইসব বিপদের থেকে বাঁচানো সহজ হয়ে পড়ে।”   

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     

  • Primary TET: টেট নিয়োগ ঘিরে ফের মামলা কলকাতা হাইকোর্টে, আইনি জটিলতায় থেমে যাবে না তো প্রক্রিয়া?

    Primary TET: টেট নিয়োগ ঘিরে ফের মামলা কলকাতা হাইকোর্টে, আইনি জটিলতায় থেমে যাবে না তো প্রক্রিয়া?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:প্রাথমিক নিয়োগের (Primary TET) বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে ফের মামলা কলকাতা হাইকোর্টে। প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়েছে। গত মাসের ২৯ তারিখ এই বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। আর সেই বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে ফের মামলা দায়ের করা হল কলকাতা হাইকোর্টে। একাধিক চাকরিপ্রার্থী এই মামলা করেছে বলে জানা যাচ্ছে। মামলাকারীদের দাবি, বিজ্ঞপ্তির যে অংশে উল্লেখ রয়েছে যে,  প্রশিক্ষণরতরা টেট দিতে পারবে, তা খারিজ করতে হবে।

    এর আগেই বৃহস্পতিবার বিএড ডিগ্রিধারীদের টেট-এ (Primary TET) বসতে দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় হাইকোর্টে মামলা হয়েছে। ফলে পর্ষদের নানা সিদ্ধান্ত বা বিজ্ঞপ্তিকে ঘিরে একের পর এক মামলা দায়ের করায় ফের প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে যে, টেটের নিয়োগ প্রক্রিয়া ঠিকভাবে হবে তো? বিজ্ঞপ্তি জারি করার পরে গতকাল যে মামলা দায়ের করা হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, প্রাথমিক স্কুলে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষকের নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, ডিএলএড-এর পাশাপাশি বিএড যোগ্যতাসম্পন্ন প্রার্থীরাও আবেদন করতে পারবেন। আর এই নিয়েই আপত্তি তুলে হাইকোর্টে মামলা করেন কয়েক জন টেট পরীক্ষার্থীরা।

    আরও পড়ুন: ফের আইনি গেরোয় প্রাথমিকে নিয়োগ, বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা

    আর আজ যেকারণে নতুন করে মামলা দায়ের করা হয়েছে, তা হল প্রশিক্ষণরতরা কেন টেটে বসার সুযোগ পাবেন, এই দাবি নিয়েই নতুন মামলা। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় (Primary TET) অংশগ্রহণ করতে পারবেন ২০২০-২০২২ শিক্ষাবর্ষের ডিএলএড বা ডিএড এবং বিএড-এর পার্ট- ১ পরীক্ষা যারা দিয়েছেন। বিজ্ঞপ্তির এই অংশকেই চ্যালেঞ্জ করেই নতুন মামলা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। মামলাকারীদের দাবি, যেখানে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রার্থী রয়েছে, সেখানে কেন প্রশিক্ষণরত প্রার্থীদের সুযোগ দেওয়া হবে?

    আগামী সোমবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হবে। ফলে মামলা (Primary TET) কোন দিকে গড়ায় সেদিকেই নজর সবার। তবে নিয়োগ প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ করে একের পর এক মামলাতে জটিলতা আরও বেশি বাড়ছে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এমনকি ফের আটকে যাবে না তো নিয়োগ? তা নিয়েও আশঙ্কা ঘনিয়ে আসছে।  

  • Mobile Phone: সাফল্যের পালক ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’য়, এক মাসে কত মোবাইল রফতানি হয়েছে জানেন?   

    Mobile Phone: সাফল্যের পালক ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’য়, এক মাসে কত মোবাইল রফতানি হয়েছে জানেন?   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বড়সড় সাফল্য পেল ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ (Make In India)। এক মাসে ভারত (India) থেকে মোবাইল ফোন (Mobile Phone) রফতানি হয়েছে এক মার্কিন বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। সেপ্টেম্বর মাসে প্রথমবারের জন্য রফতানি হয়েছে এত বিলিয়ন মূল্যের মোবাইল হ্যান্ডসেট।

    সরকারের প্রোডাকশন লিংকড ইনসেনটিভ স্কিমে মোবাইল ফোন (Mobile Phone) রফতানির পরিমাণ বেড়েছে। এই স্কিমে অ্যাপেল এবং সামসংয়ের মতো স্মার্টফোন প্রস্তুতকারীরা স্থানীয়ভাবে মোবাইল ফোন উৎপাদনে জোর দিয়েছে। এতে একদিকে যেমন দেশের মোবাইল ফোনের চাহিদা মিটেছে, তেমনি চাহিদা মিটেছে আন্তর্জাতিকও। পূরণ করেছে বাজারের চাহিদাও। মেক ইন ইন্ডিয়া ভারত সরকারের একটি সদর্থক উদ্যোগ। এটি মূলত বিদেশি বহুজাতিক সংস্থাকে ভারতে তাদের পণ্য উৎপাদন করতে উৎসাহিত করার একটি প্রয়াস।

    একটি সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্টে প্রকাশ, ২০২১ সালে ভারতে মোবাইল ফোন (Mobile Phone) রফতানির পরিমাণ ছিল ১.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। চলতি বছর এপ্রিল এবং সেপ্টেম্বরে সেটাই বেড়ে হয়েছে ৪.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। গত বছরের ডিসেম্বরেও স্মার্টফোন রফতানির পরিমাণ ছিল চোখ ধাঁধানো। ওই মাসে ৭৭০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের হ্যান্ডসেট রফতানি হয়েছে ভারত থেকে। চলতি বছরের জুন থেকে অগাস্ট এই ত্রৈমাসিকের প্রতি মাসে ভারত থেকে মোবাইল রফতানি হয়েছে প্রায় ৭০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে পাওয়া ডেটা থেকে জানা যাচ্ছে, গত এক বছরে ভারত থেকে মোবাইল হ্যান্ডসেট (Mobile Phone) রফতানির পরিমাণ দুশো শতাংশেরও বেশি। গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ওই পরিমাণ মোবাইল হ্যান্ডসেট রফতানি হয়েছে ভারত থেকে।

    আরও পড়ুন: মুদ্রাস্ফীতির দিকে চোখ রেখে তৈরি হবে আগামী বাজেট, জানালেন সীতারমন

    ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষে ভারতে উৎপন্ন হওয়া মোবাইল হ্যান্ডসেটের মাত্র এক শতাংশ রফতানি হত বিদেশে। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে শতাংশের হিসেবে এটাই বেড়ে হয় ১৬। আইসিইএ প্রদত্ত ডেটা থেকেই এই তথ্য মিলেছে। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে এই হার বেড়ে ২২ শতাংশ হবে বলেও ভবিষ্যদ্বাণী করেছে আইসিইএ (ICEA)। ভবিষ্যদ্বাণী মিলে গেলে আক্ষরিক অর্থেই আরও বেশি চাঙা হবে এ দেশেরে মোবাইল হ্যান্ডসেটের বাজার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share