Blog

  • Karnataka: মন্দিরের নামে ভুয়ো ওয়েবসাইট বানিয়ে ২০কোটি টাকা আত্মসাৎ পুরোহিতদের! কর্ণাটকে একি কাণ্ড?

    Karnataka: মন্দিরের নামে ভুয়ো ওয়েবসাইট বানিয়ে ২০কোটি টাকা আত্মসাৎ পুরোহিতদের! কর্ণাটকে একি কাণ্ড?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এর আগে টাকা আত্মসাতের অনেক ঘটনাই আপনারা শুনেছেন। কিন্তু কখনও কি শুনেছেন যে পুরোহিতরাও টাকা আত্মসাৎ করেছে ,তাও আবার মন্দিরের নামে! হ্যাঁ, এমনই অভিযোগ উঠেছে কর্ণাটকের (Karnataka) কালাবুরাগিতে (Kalaburagi)। কালাবুরাগির দেবলাঙ্গানাপুর মন্দিরের (Devalaganapur temple) নামে ভুয়ো ওয়েবসাইট বানিয়ে সেখানে ‘ডোনেশন’ থেকে ২০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে কয়েকজন পুরোহিতের নামে।  অভিযোগ সামনে আসতেই  তদন্তে নেমেছে পুলিশ। অভিযুক্ত পুরোহিতরা পলাতক। 

    আরও পড়ুন: অদ্ভুত কাণ্ড! ৫ লাখ টাকার গয়না চুরি করল ইঁদুর!

    উত্তর কর্ণাটকের গঙ্গাপুর নদীর পাশে থাকা এই দত্তাত্রেয় (Sri Dattatreya) মন্দিরে বহু ভক্তের সমাগম হয়। শুধুমাত্র এই রাজ্যই নয়, পার্শ্ববর্তী মহারাষ্ট্র, তেলেঙ্গনা থেকেও অনেক ভক্তরা এই মন্দিরে আসেন। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওই পুরোহিতরা এরকম ৮ টি ওয়েবসাইট বানিয়েছে। গত ৪ বছর ধরে ভুয়ো ওয়েবসাইটের নামে বিপুল পরিমাণ টাকা তারা মানুষের থেকে ‘ডোনেশন’ এর নামে নিয়েছে। আর ওই সমস্ত টাকা তারা পরে নিজেদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরিয়ে নিয়েছে। আরও জানা যায়, এক একটি পুজোর জন্য পুরোহিতরা ১০ থেকে ৫০ হাজার টাকা দাবি করত।

    আরও পড়ুন: ইনি ৬ লাখের গাড়ি কিনলেন ১০ টাকার কয়েনে! কারণ জানলে চমকে উঠবেন

    খবরসূত্রে জানা যায়, এই মন্দিরটি রাজ্যের মুজুরাই(Muzurai) দফতর ও কালাবুরাগি ডেপুটি কমিশনার যশওয়ান্ত গুরুকরের(Yashwant Gurukar) আওতায় রয়েছে। তিনি এই মন্দিরের টাকার অডিট করতে গিয়ে এই বিষয়ে জানতে পারেন ও পুরোহিতদের অপকীর্তির পর্দা ফাঁস করেন। তারপরেই থানায় এই পুরোহিতদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। প্রাথমিক রিপোর্টে জানা যায়, প্রায় ২০০০ জন ভক্তের টাকা এই ভুয়ো ওয়াবসাইটের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছে পুরোহিতরা। পুলিশের আরও সন্দেহ যে,  হয়ত মন্দিরের ডোনেশন বক্স থেকেও টাকা সরিয়েছে পুরোহিতরা। এব্যাপারে প্রমাণও মিলেছে।  সিসিটিভি ক্যামেরা চেক করে দেখা গেছে, যেদিনই ডোনেশন বক্সের টাকা গোনা হত সেদিনই সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো ঢাকা থাকত। অন্যদিকে কালাবুরাগির ডেপুটি কমিশনার (deputy commissioner) যশওয়ান্ত গুরুকর  অভিযুক্ত পুরোহিতদের থেকে টাকা উদ্ধারের নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়াও আরও  তদন্তের সঙ্গে সঙ্গে আরও তথ্য উঠে আসার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। 

  • India Russia at BRICS: রাশিয়ায় খুলবে ভারতীয় সুপারমার্কেট চেন! ইঙ্গিত পুতিনের

    India Russia at BRICS: রাশিয়ায় খুলবে ভারতীয় সুপারমার্কেট চেন! ইঙ্গিত পুতিনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  ভারতের (India) সঙ্গে রাশিয়ার (Russia) বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় হতে চলেছে। রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি (President) ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin) জানিয়েছেন, চলতি বছরের প্রথম তিন মাসের মধ্যে রাশিয়ান ফেডারেশনের (Russian Federation) সঙ্গে ব্রিকস (BRICS) দেশগুলোর বাণিজ্য ৩৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে ও ৪৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছে গিয়েছে। ব্রিকস দেশগুলির সঙ্গে রাশিয়ার বাণিজ্য এবং ব্যবসায়িক সম্পর্ক ক্রমশ শক্তিশালী হয়ে উঠছে। উদাহরণস্বরূপ, রাশিয়ায় ভারতীয় সুপারমার্কেট চেন খোলার আলোচনা ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। এছাড়াও রাশিয়ার বাজারে চিনা গাড়ি, সরঞ্জাম এবং হার্ডওয়্যারের শেয়ার বাড়ানোর জন্য আলোচনা চলছে। এর ফলে  ব্রিকস দেশগুলোতে রাশিয়ার উপস্থিতি ক্রমশ বাড়ছে। 

    আরও পড়ুন:দামে ছাড়! রাশিয়ার তেলের সবথেকে বড় ক্রেতা ভারত

    উল্লেখ্য, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের (Russia-Ukraine War) ফলে অন্যান্য দেশগুলোর সঙ্গে রাশিয়ার অর্থনৈতিক সম্পর্ক খারাপ হতে থাকলে রাশিয়া ব্রিকস দেশগুলোর সঙ্গে দৃঢ় সম্পর্ক গড়ে তোলার দিকে বিশেষ নজর দিয়েছে। এদিকে ইউক্রেন যুদ্ধের পর চিন (China) ও ভারতে জ্বালানি তেলের রফতানিও বাড়িয়েছে রাশিয়া। এজন্য দামেও ছাড় দিয়েছে পুতিনের দেশ। চলতি মাসের মে মাসে রাশিয়া থেকে রেকর্ড পরিমাণ তেল আমদানি করেছে চিন ও ভারত। অন্যদিকে রাশিয়া থেকে যথেষ্ট পরিমাণে সার (Fertilisers) ব্রিকস দেশগুলিতে রফতানি করা হয়েছে। পুতিন জানিয়েছেন যে, রুশ আইটি কোম্পানিগুলিও ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকায় (South Africa) ধীরে ধীরে প্রসারিত করার চেষ্টা করছে।

    আরও পড়ুন:ডলার নয়, “রুপি-রুবল” বিনিময়ে হবে ভারত-রুশ বাণিজ্য! কীভাবে লেনদেন?

    পুতিন আরও জানিয়েছেন, ব্রিকস দেশগুলির সঙ্গে এক আন্তর্জাতিক সম্পর্ক গড়ে তোলার দিকে এএকটি গোচ্ছে রাশিয়া। রাশিয়ার বাণিজ্যিক সিস্টেমটি ব্রিকসের পাঁচটি দেশের ব্যাঙ্কগুলির সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের জন্য তৈরি হয়ে গিয়েছে। ব্রিকস অন্তর্ভুক্ত দেশগুলির সঙ্গে আর্থিক লেনদেন করার জন্যে অভিন্ন মুদ্রাভাণ্ডার তৈরি করার পরিকল্পনা করেছে রাশিয়া। এই পরিকল্পনা সফল হলে  খুব সহজেই বাণিজ্যিক লেনদেন করতে পারবে পুতিনের রাশিয়া এবং মোদির (Modi) ভারত সহ ব্রিকস গোষ্ঠীর অন্যান্য দেশগুলি।

  • Rahul Gandhi: ২০ শতাংশ প্রশ্নের উত্তরে রাহুল গান্ধী কী বলেছেন, ফাঁস করল ইডি

    Rahul Gandhi: ২০ শতাংশ প্রশ্নের উত্তরে রাহুল গান্ধী কী বলেছেন, ফাঁস করল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় (National Herald Case) পাঁচ দিনে পঞ্চাশ ঘণ্টারও বেশি সময় জেরা করা হয়েছে কংগ্রেস (Congress) নেতা রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi)। অসুস্থ মাকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ঠায় বসে ছিলেন ইডির আধিকারিকদের সামনে। জবাবও দিয়েছেন একের পর এক প্রশ্নবাণের। তবে ইডি (ED) সূত্রে খবর, ২০ শতাংশ প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে গিয়েছেন রাহুল।

    ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় আর্থিক তছরুপের অভিযোগে চলতি মাসের শুরুর দিকে ইডি তলব করেছিল রাহুলকে। বিদেশ থাকায় নির্ধারিত দিনে হাজিরা দিতে না পারলেও, পরে ইডি দফতরে হাজিরা দেন এই কংগ্রেস নেতা। পাঁচ দিনে পঞ্চাশ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। মঙ্গলবারও দু দফায় জেরা করা হয় তাঁকে। এদিন সকাল থেকে টানা ন ঘণ্টা জেরার পর ছেড়ে দেওয়া হয় রাহুলকে। রাত সাড়ে আটটা নাগাদ বাড়ি ফেরেন বোন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরার সঙ্গে। এর পরে পরেই ফের ইডি দফতরে হাজির হতে বলা হয় রাহুলকে। আবারও চলে একপ্রস্ত জেরা। সব মিলিয়ে এদিন প্রায় ১২ ঘণ্টা জেরা করা হয় কংগ্রেস সাংসদকে।

    আরও পড়ুন : কেন রাহুল গান্ধীকে জেরা, ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলা কী?

    ইডি সূত্রে খবর, রাহুল বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিলেও, ২০ শতাংশ প্রশ্নের জবাব দেননি। ইডির এক আধিকারিক বলেন, তিনি প্রায় ২০ শতাংশ প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গিয়েছেন। ওই প্রশ্ন গুলির সময় তিনি জানান, তিনি খুবই ক্লান্ত। রাহুলকে গড়ে প্রতিদিন প্রায় ১০ ঘণ্টা করে জেরা করা হয়েছে। ইডির এক আধিকারিক বলেন, রাহুল যে উত্তরগুলি দিয়েছেন, সেগুলি তিনি আবার খুঁটিয়ে দেখেছেন, তাই সময় লেগেছে।

    আরও পড়ুন : সোনিয়া, রাহুলকে সমন ইডি-র! ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় বিপাকে কংগ্রেস

    এদিকে, বৃহস্পতিবার ইডির দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে। তবে করোনা সংক্রমিত হওয়ায় সপ্তাহখানেক ধরে তিনি ভর্তি ছিলেন দিল্লির গঙ্গারামপুর হাসপাতালে। সম্প্রতি পান ছাড়া। এর পরেই চিকিৎসকদের পরামর্শে আপাতত বিশ্রামে রয়েছেন সোনিয়া। এমতাবস্থায় ইডির কাছে হাজিরা দিতে আরও কয়েক সপ্তাহ সময় চেয়েছেন তিনি। বুধবার সোনিয়া নিজেই ইডি আধিকারিকদের চিঠি লিখে এই আর্জি জানিয়েছেন। ইডি তাঁর সেই আবেদন মঞ্জুরও করেছে। সূত্রের খবর, সোনিয়া হাজিরা দিলে রাহুল এবং সোনিয়াকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে পারেন ইডি আধিকারিকরা।

     

  • Manipur landslide: ভয়াবহ ধসে মণিপুরে মৃত ৯ সেনা-সহ ১০ জন, চলছে উদ্ধারকাজ

    Manipur landslide: ভয়াবহ ধসে মণিপুরে মৃত ৯ সেনা-সহ ১০ জন, চলছে উদ্ধারকাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আচমকা ধসে বিপর্যস্ত মণিপুর (Manipur)। এবার ধসের (Landslide) কবলে পড়ল টেরিটোরিয়াল আর্মির (Army) সদস্যরা। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ। নামানো হয়েছে ভারতীয় সেনা বাহিনী ও আসম রাইফেলের জওয়ানদের। এখনও পর্যন্ত দশজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। এঁদের মধ্যে ৯ জন সেনা। একজন রেলের কর্মী। উদ্ধার করা হয়েছে ১৩ জন সেনা বহিনীর কর্মী ও ৫ জন সাধারণ মানুষকে। জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ৪০ থেকতে ৫০ জন ধসে আটকে রয়েছে।

    এদিন নোনে জেলায় ধসের মুখে পড়ে ১০৭ টেরিটোরিয়াল আর্মির একটি ক্যাম্প। মৃত ১০ জনের মধ্যে ৯ জনই টেরিটোরিয়াল আর্মির জওয়ান,  ইম্ফল-জিরিবাম রেলওয়ে প্রজেক্টের কাজ চলছিল বলেই নিরাপত্তার জন্য সেখানে মোতায়েন ছিলেন জওয়ানরা। বুধবার রাতে তুপুল ইয়ার্ড রেলওয়ে কনস্ট্রাকশন ক্যাম্পের কাছে ধসের ঘটনাটি ঘটে। নিখোঁজ ৫০ জনের মধ্যে পাঁচ জন সাধারণ নাগরিক বলে জানা গিয়েছে। ব্যাপক ধসে ইজেই নদীর একাংশ প্রায় রুদ্ধ হয়ে গিয়েছে। তার ফলে নিচু এলাকা বানভাসি হওয়ার আশঙ্কা।

    আরও পড়ুন: ক্রিপ্টোকারেন্সি কতটা বিপজ্জনক? আমজনতাকে সতর্ক করল আরবিআই

    ধসের কারণে আটকে যায় অনেকে। কয়েকজনকে উদ্ধার করা গেলেও এখনও আটকে রয়েছেন প্রায় জনা পঞ্চাশেক মানুষ। আহতদের ভর্তি করা হয়েছে স্থানীয় হাসপাতালে। উদ্ধারকাজ চলাকালীন নতুন করে ধস হয়। সেনা বাহিনীর এক কর্মকর্তার মতে, আবহাওয়াও খারাপ হওয়ার কারণে সাময়িকভাবে বেশ কিছুক্ষণ উদ্ধারকাজ বন্ধ রাখা হয়েছিল। তবে আবহাওয়া ঠিক হলে ফের উদ্ধারকাজ শুরু হয় জানান তিনি। ঘটনাস্থলে রয়েছে ভারতীয় সেনা বাহিনীর হেলিকপ্টার।

    পরিস্থিতি নিয়ে মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং এবং রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। টুইটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লেখেন, মণিপুরের টুপুল রেলস্টেশনের কাছে ধসের ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে কথা হয়েছে। তৎপরতার সঙ্গে উদ্ধারকাজ চলছে। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী উদ্ধার অভিযানে নেমেছে। আরও দুটি দল ঘটনাস্থলে যাচ্ছে। তিনি জানান, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ইতিমধ্যেই উদ্ধারকাজ শুরু করেছে। আরও দু’টি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছোচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং জরুরি বৈঠক ডেকে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন। লোকজনকেও সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। নদীর কাছাকাছি না আসার এবং ধসের কারণে ৩৭ নম্বর জাতীয় সড়ক এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন মণিপুরের রাজ্যপাল।

    স্থানীয়দের মতে, বেশ কয়েকদিন ধরে মণিপুরে ভারী বৃষ্টিপাত চলছে। আবহাওয়া দফতরের তরফে আগেই সতর্ক করা হয়েছিল। এই সময় ধসের প্রবণতা অনেকটাই বেশি থাকে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ওই পথ দিয়ে যানবাহন চলাচল।

  • AMCA Fighter Jet: আমেরিকার ভোলবদল! AMCA-র ইঞ্জিন নির্মাণে প্রযুক্তি সহায়তার প্রস্তাব ভারতকে

    AMCA Fighter Jet: আমেরিকার ভোলবদল! AMCA-র ইঞ্জিন নির্মাণে প্রযুক্তি সহায়তার প্রস্তাব ভারতকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘মেক ইন ইন্ডিয়া, মেক ফর দ্য ওয়ার্ল্ড’। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই মন্ত্রেই ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করার শপথ নিয়েছেন। আমেরিকা হোক কিংবা ফ্রান্স, প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত কোনও সরঞ্জাম কেনার ক্ষেত্রে এতদিন  উন্নত দেশগুলির উপর ভরসা করতে হয়েছে ভারতকে। তবে এবার আর বিদেশ থেকে সরাসরি কোনও প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম না কিনে,যৌথভাবে দেশের মাটিতেই তা তৈরি করার পথে হাঁটছে ভারত সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারের সেই প্রস্তাবে প্রথমে সাড়া না দিলেও এখন এগিয়ে আসতে চাইছে আমেরিকা। বিশ্বখ্যাত সংস্থা জেনারেল ইঞ্জিন (GE) ভারতকে প্রযুক্তিগত সাহায্য করবে। যার মাধ্যমে দেশের মাটিতেই তৈরি হবে অত্যাধুনিক দেশের ভবিষ্যৎ পঞ্চম প্রজন্মের (5th Generation) অ্যাডভান্সড মিডিয়াম কমব্যাট এয়ারক্র্যাফট (Advanced Medium Combat Aircraft) বা AMCA. 

    আরও পড়ুন: সফল উৎক্ষেপণ অগ্নি-৪ ক্ষেপণাস্ত্রের, আওতায় ভারতের প্রতিবেশীরা

    ‘সুপার ক্রুজ’ ক্ষমতাসম্পন্ন  AMCA তৈরির সঙ্গে, ভারত পঞ্চম প্রজন্মের স্টেলথ যুদ্ধবিমান (Stealth Aricraft) আছে এমন দেশগুলির সঙ্গে এক সারিতে থাকবে ৷ এখনও পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ফ্রান্স এ ধরনের ফাইটার জেট তৈরি করেছে। AMCA-এর ইঞ্জিন তৈরির জন্য ভারত ফ্রান্সের সাফ্রাঁ (Safran) এর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হতে চলেছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, ফ্রান্সের সঙ্গে এনিয়ে কথাবার্তা অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছে।  এই পরিস্থিতিতে আসরে নামে আমেরিকা।  AMCA-এর ইঞ্জিন তৈরির জন্য ভারত প্রথম আমেরিকার সাহায্য চায় কিন্তু ২০১৯ সালে এই সংক্রান্ত প্রস্তাব স্থগিত রাখে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এখন পুনরায় সেই প্রস্তাব বিবেচনা করে এগিয়ে আসতে চাইছে আমেরিকা। শুধু তাই নয় এবার একেবারে সর্বাধুনিক ইঞ্জিন দেওয়ার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে ওয়াশিংটনের তরফে। 

    সূত্রের খবর, AMCA-র যে প্রোটোটাইপ ভারত নির্মাণ করছে, তাতে ‘জিই-এফ৪১৪-আইএনএস৬’ (F414-INS6) ইঞ্জিন বসানো হয়েছে। এই মডেলটি ৯৮ কিলোনিউটন (kN) থ্রাস্ট উৎপন্ন করতে সক্ষম। ভারত ইতিমধ্যেই দেশীয় তেজস মার্ক ২ (Tejas Mk2)- মিডিয়াম কমব্যাট এয়ারক্র্যাফটের (MCA) জন্য ৯৯টা ইঞ্জিনের বরাত জিই-কে দিয়েছে। ইতিমধ্য়ে ১২টি চলে এসেছে। যেগুলি তেজস মার্ক ২ প্রোটোটাইপে শুক্ত করা হবে। এখন আমেরিকা প্রস্তাব দিয়েছে, ভারত চাইলে এই ইঞ্জিনের সর্বাধুনিক মডেল এফ৪১৪-জিই-৪০০ (F414-GE-400) মডেলটি নিতে পারে। ওয়াশিংটনের দাবি, এই মডেলটি ১১৬ কিলোনিউটন (kN) থ্রাস্ট উৎপন্ন করতে সক্ষম, যা AMCA-র জন্য আদর্শ। ভারতের বর্তমান পরিকল্পনা অনুযায়ী, ‘জিই-এফ৪১৪-আইএনএস৬’ ইঞ্জিন দিয়ে AMCA-র প্রথম দুটি স্কোয়াড্রন তৈরি করা হবে। পরবর্তী ৫টি স্কোয়াড্রনকে নতুন ১১০-১২০ কিলোনিউটন শ্রেণির ইঞ্জিন দিয়ে সজ্জিত করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। ভারত এবং ফ্রান্সের যৌথভাবে এই নতুন ইঞ্জিন তৈরি করার কথা।

    আরও পড়ুন: স্বত্ব বিক্রির পথে হিন্দুস্তান মোটর্স, কী হবে কন্টেসার ভবিষ্যৎ?আরও পড়ুন: স্বত্ব বিক্রির পথে হিন্দুস্তান মোটর্স, কী হবে কন্টেসার ভবিষ্যৎ?

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জেনারেল ইলেকট্রিক (GE) এই সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব জমা দিয়েছে৷ প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, ফ্রান্সের Safran এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের Rolls Royce এবং GE এই তিন সংস্থার মধ্যে যে কোনও কেউ AMCA-এর ইঞ্জিন তৈরি করবে।  ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (DRDO) এবং একটি ভারতীয় সংস্থারও এই কাজে যুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে। এই ইঞ্জিন তৈরির ক্ষেত্রে ভারতের সঙ্গে চুক্তি প্রসঙ্গে আমেরিকা দাবি করে, রপ্তানিযোগ্য প্রযুক্তি ভারতের জন্য কী কাজে লাগবে তা- আগে বুঝতেই পারেননি তাঁরা। এখন এ প্রসঙ্গ স্বচ্ছ ধারণা পেতেই চুক্তিতে আগ্রহী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

  • Maharashtra political crisis: মহারাষ্ট্রে ডেপুটি স্পিকারকে চিঠি ‘বিদ্রোহী’দের, কী লিখলেন বিধায়করা?  

    Maharashtra political crisis: মহারাষ্ট্রে ডেপুটি স্পিকারকে চিঠি ‘বিদ্রোহী’দের, কী লিখলেন বিধায়করা?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও চাপে মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray)! বৃহস্পতিবার বিধানসভার ডেপুটি স্পিকারকে চিঠি দিলেন শিবসেনার (Shiv Sena) ৩৭ জন বিদ্রোহী বিধায়ক। আসামের (Assam) গুয়াহাটির শিবির থেকে এই বিধায়করা মহারাষ্ট্র বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার নরহরি জিরওয়ালের কাছে লেখা একটি চিঠির মাধ্যমে একনাথ শিন্ডেকেই বিধানসভায় তাঁদের নেতা হিসেবে ঘোষণা করেছেন।

    আরও পড়ুন : সাধারণ অটোচালক থেকে মহারাষ্ট্র রাজনীতির মধ্যমণি, কে এই একনাথ শিন্ডে?

    এর আগে বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার অজয় চৌধুরীকে বিদ্রোহী মন্ত্রী শিন্ডের বদলে বিধানসভায় তাদের দলের নেতা হিসেবে অনুমোদন দেয় শিবসেনা। পরে শিন্ডে ডেপুটি স্পিকার জিরওয়ালকে একটি চিঠি দেন যাতে স্বাক্ষর রয়েছে বিদ্রোহী ৩৭ জন বিধায়কেরই। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, এই বিধায়করা আমার সঙ্গে গুয়াহাটিতে রয়েছেন। সুনীল প্রভুর বদলে শিবসেনা বিধায়ক ভারত গোগাওয়ালেকে বিধানসভায় দলের চিফ হুইপ হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে বিদ্রোহীদের চিঠিতে।

    এদিকে, বিধায়ক দলের বুধবারের বৈঠকে শিন্ডে সহ ১২ জন বিদ্রোহী বিধায়কের ডিস্কোয়ালিফিকেশন দাবি করে শিবসেনা। বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে বিধানসভার ডেপুটি স্পিকারের কাছে একটি পিটিশন জমা দিয়েছে তারাও। এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় শিন্ডে ট্যুইটারে লেখেন, ডিস্কোয়ালিফিকেশনের জন্যে ১২ জন বিধায়কের নাম দিয়ে আপনি আমাদের ভয় দেখাতে পারবেন না। কারণ আমরা শিবসেনা প্রধান বাল ঠাকরের অনুগামী। আমরা আইন জানি। তাই আমরা আপনার হুমকিতে কর্ণপাত করি না।

    আরও পড়ুন : দল বাঁচাতে কংগ্রেস-এনসিপি জোট ছাড়ার ইঙ্গিত উদ্ধবের

    বিদ্রোহ দমন করতে আপাতত সমঝোতার রাস্তায় হাঁটতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের অনুগামীরা। শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত বলেন, আমার দল মহারাষ্ট্রের ক্ষমতাসীন জোট এমভিএ ত্যাগ করার কথা ভাবতে রাজি। তিনি বলেন, বিদ্রোহী বিধায়কদের মহারাষ্ট্রে ফিরে আসা উচিত। অভিযোগ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে তাঁদের আলোচনা করাও প্রয়োজন। শিবসেনা সাংসদ বলেন, যদি বিধায়করা মনে করেন যে জোট সরকার থেকে শিবসেনার বেরিয়ে যাওয়া উচিত, তাহলে মুম্বইতে ফিরে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁদের কথা বলা উচিত।

    প্রসঙ্গত, নরম হিন্দুত্ব নিয়ে বিরোধের জেরে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে তাঁরই মন্ত্রিসভার সদস্য একনাথ শিন্ডের। অনুগামী বিধায়কদের নিয়ে তিনি বর্তমানে রয়েছে বিজেপি শাসিত আসামের গুয়াহাটিতে। বিধানসভায় শিবসেনার বিধায়ক সংখ্যা ৫৫। দলবিরোধী আইন রুখতে প্রয়োজন ৩৭ জনের সমর্থন। এই ৩৭জনই বিদ্রোহী শিবিরে। শিন্ডের পেছনে যে বিজেপির সমর্থন রয়েছে, এদিন নাম না করে তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন শিন্ডে। তিনি বলেন, একটি জাতীয় দল আমাদের পাশে রয়েছে। তারা আমাদের সব রকম সাহায্য করতে রাজি।

     

  • Covid-19 Tips: ফের ঊর্ধ্বমুখী করোনা-গ্রাফ, বাড়ছে উদ্বেগও, কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা?

    Covid-19 Tips: ফের ঊর্ধ্বমুখী করোনা-গ্রাফ, বাড়ছে উদ্বেগও, কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের চোখ রাঙাচ্ছে করোনা (Coronavirus)। প্রতিদিন দেশে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে দৈনিক সংক্রমণ। অনেকেই আশঙ্কা প্রকাশ করছেন যে, হয়ত চতুর্থ ঢেউ এবার আছড়ে পড়ল বলে! কোভিড ঘিরে আবারও উদ্বেগ বাড়ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। 

    এই পরিস্থিতিতে কিছুটা হলেও আশার বাণী শুনিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের আশ্বাস, করোনার ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফ ঘিরে চিন্তার কোনও কারণ নেই। বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও, আক্রান্তরা যে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ছেন, এমনটা কিছুই হয়নি। কারণ করোনা হয়ে হাসপাতালে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যাও কম, এমনটাই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। যদিও, একইসঙ্গে করোনার থেকে বাঁচতে কোভিড নিয়মগুলি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষজ্ঞের কথায় কিছুটা হলেও স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে পেরেছে সাধারণ মানুষ। 

    আরও পড়ুন: করোনায় একদিনে আক্রান্ত ১৩ হাজারেরও বেশি, স্বস্তি দিচ্ছে সুস্থতার হার

    সোমবার দিল্লিতে একদিনে কোভিডে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১০৬০, আর মৃত্যু হয় ৬ জনের। শুক্রবারে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৭৯৭ যা বিগত চার মাসের মধ্যে  সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল।

    চিকিৎসকদের মতে, গত সপ্তাহে সংক্রমণ বাড়লেও এতে ভয়ের কোনও কারণ নেই। কারণ আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা কম এবং ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গুরুতর সমস্যাও কম দেখা গিয়েছে। শুধুমাত্র বয়স্ক অথবা যাঁদের ইমিউনিটি কম বা যাঁদের আগের থেকে অসুখ রয়েছে তাঁরাই একমাত্র ভর্তি হচ্ছেন হাসপাতালে।

    বিশেষজ্ঞদের অভিমত, সাধারণ মানুষকে এই ভাইরাস নিয়েই বেঁচে থাকতে হবে এবং এর পাশাপাশি কোভিডবিধি পালন করতে হবে। যেমন— মাস্ক ব্যবহার, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, সঠিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। যাঁদের শরীরে কোভিডের কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে তাঁদের আগে থেকে আইসোলেশনে (Isolation) চলে যাওয়া উচিত বলেও পরামর্শ চিকিৎসকদের।

    আরও পড়ুন: কোভিডের ডেল্টা, ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের উপর কার্যকর কোভ্যাক্সিন বুস্টার ডোজ!

    অসতর্কতা বা সচেতনতার অভাবেই গ্রাফের এই উত্থান বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। কোভিড পুরোপুরিভাবে না যাওয়ার আগেই সাধারণ মানুষ ভ্যাকেশনে (Vacation) চলে যাচ্ছেন এবং সেখানে গিয়েও কোনওপ্রকার কোভিড নিয়ম মেনে চলছেন না। তাঁদের মতে, মাস্ক ব্যবহারে অনীহা এবং সামাজিক দূরত্ব (Social Distancing) বজায় না রাখার সঙ্গে সঠিক স্বাস্থ্যবিধি (Health Guidelines) ঠিকঠাক করে না মেনে চলার জন্যই করোনার গ্রাফের এই ঊর্ধ্বগতি।

    ফলে করোনা নিয়ে চিন্তা না থাকলেও প্রতিটি মানুষকেই সতর্ক হয়ে যেতে হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, মাস্কের (Mask) ব্যবহার মাস্ট এবং এতেই হবে সমস্যা দূর। এছাড়া শারীরিক দূরত্ববিধিও মেনে চলা থেকে শুরু করে নিয়মিত হাত ধোওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা।

  • Modi in Hyderabad: শুধু হিন্দু নয়! সব সম্প্রদায়ের নিপীড়িত মানুষের কাছে যান, বললেন মোদি

    Modi in Hyderabad: শুধু হিন্দু নয়! সব সম্প্রদায়ের নিপীড়িত মানুষের কাছে যান, বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  হিন্দু নয়, দলকে সমস্ত সম্প্রদায়ের নিপীড়িত মানুষের কাছে যাওয়ার বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। হায়দরাবাদে (Hyderabad) বিজেপির (BJP) জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকের শেষ দিনে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে এই কথা বলেন তিনি। রবিবার ওই বৈঠকে দলের নেতাকর্মীদের হিন্দু ছাড়াও অন্যান্য বঞ্চিত ও নিপীড়িত সম্প্রদায়ের মানুষের (downtrodden sections in other communities) সঙ্গে সরাসরি সংযোগ স্থাপন করার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। দলের এক নেতার কথায়, বৈঠকে মোদি বলেন, অন্যান্য সম্প্রদায়ের মধ্যেও বঞ্চিত এবং নিপীড়িত মানুষ আছেন।  শুধু হিন্দুদের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়লে চলবে না।  সমস্ত বঞ্চিত ও নিপীড়িতের জন্য কাজ করা উচিত। এ জন্য ‘স্নেহ যাত্রা’ শুরু করা উচিত, বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

    প্রসঙ্গত, জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে যখন মোদি এ কথা বলছেন, তার ঠিক কয়েক দিন আগে উত্তরপ্রদেশে দু’টি উপনির্বাচনে জয়লাভ করেছে বিজেপি। ঘটনাচক্রে, সেই দুই লোকসভা আসন— আজমগড় ও রামপুরে জয়-পরাজয় স্থির করার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রয়েছে মুসলিম জনসংখ্যার। মনে করা হচ্ছে, মোদি এ কথা বলে আসলে ওই দুই এলাকার পাসমান্দা মুসলিমদের নিয়ে দলীয় নেতৃত্বকে বার্তা দিতে চাইলেন। যারা সামাজিক ও অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে পড়া। 

    আরও পড়ুন: আগামী ৩০-৪০ বছর ভারতে বিজেপি-রাজ, শীঘ্রই দখলে বাংলাও, প্রত্যয়ী শাহ

    দ্রৌপদী মুর্মুর মতো আদিবাসী নেত্রীকে দেশের রাষ্ট্রপতি পদের জন্য তুলে ধরে, দেশের আদিবাসী সম্প্রদায়ের কাছে সদর্থক বার্তা পৌঁছে দিতে পেরেছে বিজেপি। পাশাপাশি হিন্দু ছাড়াও অন্য সম্প্রদায়ের অর্থনৈতিক ও সামাজিক ভাবে দুর্বল জনসংখ্যাকেও পাশে পেতে ঝাঁপাবে বিজেপি, রবিবার মোদির বক্তব্যে তা-ও স্পষ্ট হল, এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। সূত্রের খবর, মোদি বৈঠকে বলেছেন, দ্রৌপদীর সহজ সরল জীবনযাত্রা, তাঁর লড়াইয়ের কথা তৃণমূল স্তরে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে।

    কেন্দ্রে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশে মহিলাদের জীবনযাত্রার মানে প্রভূত উন্নতি হয়েছে। এর পেছনে রয়েছে বিজেপি সরকারের একাধিক জনহিতকর কর্মসূচি। হায়দরাবাদে বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকের পর এক সভায় এই দাবিও করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন,উজ্জ্বলা যোজনা থেকে স্বচ্ছ্ব ভারত, কেন্দ্রের একাধিক প্রকল্পের সুফল পেয়েছেন তেলঙ্গানার মানুষ। এর ফলে গোটা দেশ ও তেলঙ্গানার মহিলাদের জীবনে পরিবর্তন বেড়েছে। দেশে মহিলাদের সংখ্যা বেড়েচ্ছে। দেশের নারী শক্তিকে রাষ্ট্রশক্তি বানানোর চেষ্টা করছে সরকার। 

    নিজামের শহরে জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে এদিন হায়দরাবাদকে ‘ভাগ্যনগর’ বলেও সম্বোধন করেন মোদি। আর তাতেই হায়দরাবাদের নাম পরিবর্তন প্রসঙ্গে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা।

  • Akhilesh Yadav: উপনির্বাচনে বিজেপির কাছে হারের ধাক্কা! দলীয় সব সংগঠন ভাঙলেন অখিলেশ

    Akhilesh Yadav: উপনির্বাচনে বিজেপির কাছে হারের ধাক্কা! দলীয় সব সংগঠন ভাঙলেন অখিলেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমাজবাদী পার্টির (Samajwadi Party) গড় হিসেবে পরিচিত, রামপুর এবং আজমগড়ে  (Rampur and Azamgarh) লোকসভা উপনির্বাচনে (Lok Sabha bypoll) পরাজিত হয়েছে সমাজবাদি পার্টি। এর এক সপ্তাহের মধ্যেই রবিবার দলের সমস্ত শাখা ভেঙে দিলেন সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব (Akhilesh Yadav)। এদিন যুব ও মহিলা শাখা সহ দলের জাতীয়, রাজ্য ও জেলা কার্যনির্বাহী সমস্ত পদ ভেঙে দেওয়া হয়। 

    [tw]


    [/tw]

    রবিবার সমাজবাদী পার্টির করা ট্যুইট অনুসারে, রাজ্য ও জাতীয় পার্টি সংগঠনগুলি ভেঙে দেওয়ার কথা জানানো হয়। সমস্ত শাখা সংগঠন, মহিলা শাখাগুলিও ভেঙে দেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র দলের রাজ্য সভাপতি পদে নরেশ উত্তমকে বহাল রাখা হয়েছে। তবে কেন অখিলেশ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন,সেই বিষয়ে দলের তরফে কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়নি। উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh) উপনির্বাচনে পরাজয়ের পর দলকে পুনর্গঠন করতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের। 

    আরও পড়ুন: ছয় মাসের মধ্যেই নির্বাচন! ভেঙে যাবে শিন্ডে সরকার দাবি পাওয়ারের

    রামপুর ও আজমগড় লোকসভা কেন্দ্র সমাজবাদী পার্টির শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল। সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব আজমগড়ের সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেন। কিন্তু উপনির্বাচনে আজমগড় সমাজবাদী পার্টির হাতছাড়া হয়ে যায়। বিজেপি প্রার্থী দীনেশ লালা যাদব নিরহুয়া জয়ী হন। সামজবাদী পার্টির হাতছাড়া হয়ে যায় আজম খানের শক্ত দুর্গ রামগড়। জয়ী হন সমাজবাদী পার্টিরই প্রাক্তন কর্মী ঘনশ্যাম লোধি। তিনি কয়েকমাস আগেই সমাজবাদী পার্টি ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। উত্তরপ্রদেশে ক্রমেই সমাজবাদী পার্টির দ্বন্দ্ব এবং বেহাল অবস্থা প্রকট হচ্ছিল। এই পরিস্থিতিতে দলকে ঢেলে সাজানোর লক্ষ্যেই এই সিদ্ধান্ত পার্টি সুপ্রিমোর, দাবি বিশেষজ্ঞদের। দলীয় সূত্র অনুসারে খবর, অখিলেশ শীঘ্রই বিভিন্ন দলীয় সংগঠন পুনর্গঠন করবেন এবং সেখানে নতুন কিছু মুখ নিয়ে আসা হবে।

  • G20 Summit:  কাশ্মীরে জি-২০, পাকিস্তানের পরে এবার আপত্তি চিনেরও

    G20 Summit:  কাশ্মীরে জি-২০, পাকিস্তানের পরে এবার আপত্তি চিনেরও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাশ্মীরে (Kashmir) জি-২০ (G-20)  বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সরকার। তাতে আগেই বাধ সেধেছিল পাকিস্তান (Pakistan)। এবার শেহবাজ শরিফের দেশের দোসর হল শি জিন পিংয়ের চিনও (China)। কাশ্মীরে জি-২০ বৈঠকে আপত্তি জানিয়েছে ড্রাগনের দেশ। কূটনৈতিক সূত্রের খবর, চিনা সরকার বিষয়টি নিয়ে ভারতের ওপর যথেষ্ট চাপ সৃষ্টি করলেও, ওই সম্মেলন কাশ্মীরেই করার বিষয়ে অনড় নয়াদিল্লি।

    আগামী বছর জি-২০র অন্তর্গত রাষ্ট্রগুলির শীর্ষ সম্মেলন হবে ভারতে। মোদি সরকারের সিদ্ধান্ত বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ এই আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর শীর্ষ সম্মেলন হবে ভূস্বর্গে। তাতেই পাকিস্তানের পর এবার বাদ সাধল চিন। চিনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়াং বলেন, কাশ্মীর নিয়ে চিনের দৃষ্টিভঙ্গি ধারাবাহিকভাবে একই রয়েছে। এবং তা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে বারবার। এটা ভারত ও পাকিস্তানের পুরানো সমস্যা। রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রস্তাব ও দ্বিপাক্ষিক চুক্তিগুলির সাপেক্ষে এর সমাধান হওয়া প্রয়োজন। তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট দু পক্ষেরই উচিত এক তরফা কোনও সিদ্ধান্ত নিয়ে বিষয়টিকে অযথা জটিল না করে তোলা। আমাদের উচিত আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে মতপার্থক্যের অবসান ঘটানো। একত্রে শান্তি ও সুস্থিতি বহাল রাখা।

    আরও পড়ুন : মোদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ নরওয়ে, ডেনমার্ক, কেন জানুন

    কাশ্মীরে জি-২০ সম্মেলনে কি তা হলে অংশ নেবে না চিন?  সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের উত্তের চিনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, আমরা বৈঠকে অংশ নেব কি নেব না, তা ভেবে দেখা হবে। তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট সমস্ত রাষ্ট্রের কাছে আমরা আহ্বান জানাচ্ছি, অর্থনীতির পুনরুদ্ধারে মন দিতে। বিষয়গুলি নিয়ে রাজনীতি না করতে। তাহলে আন্তর্জাতিক অর্থনীতিকে চাঙা করা যাবে। চলতি বছরের মার্চেই কাশ্মীরে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সম্মেলনে যোগ দিয়েছিল ৩৬টি দেশের প্রতিনিধি। এবার সেখানেই জি-২০ বৈঠকের আয়োজন করতে চলেছে ভারত। মোদি সরকারের আমলে কাশ্মীরে যে প্রভূত উন্নয়ন হয়েছে, বিশ্বের দরবারে সেই বার্তা দিতেই কাশ্মীরে বৈঠকের আয়োজন বলে ধারণা কূটনৈতিক মহলের।

    আরও পড়ুন : জম্মু-কাশ্মীর থেকে কাউকে বিতাড়িত হতে দেব না, আশ্বাস রাজনাথের

    তবে বিষয়টি এত সহজে মেনে নেবে না পাকিস্তান। চিনকে পাশে পাওয়ার পর এখন সৌদি আরব এবং তুরস্ককেও পাশে পাওয়ার চেষ্টা করছে শেহবাজের দেশ। তবে তাতে ইসলামাবাদ আদৌ সফল হবে কিনা, হলেও কতটা, তা বলবে সময়।

     

LinkedIn
Share