Blog

  • India In Afganistan: আফগানিস্তানে কূটনৈতিক উপস্থিতি ফের চালু ভারতের, কী প্রতিক্রিয়া তালিবানের?

    India In Afganistan: আফগানিস্তানে কূটনৈতিক উপস্থিতি ফের চালু ভারতের, কী প্রতিক্রিয়া তালিবানের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিপন্ন প্রতিবেশীর পাশে ফের ভারত। ভূমিকম্প (Earth Quake) বিধ্বস্ত আফগানিস্তানের (Afganistan) রাজধানী কাবুলে (Kabul) দূতাবাসে ত্রাণ সামগ্রী সহ টেকনিক্যাল টিম পাঠিয়েছে ভারত। বৃহস্পতিবারের এই ঘটনায় কাবুলে ফের শুরু হল ভারতের (India) কূটনৈতিক উপস্থিতি।

    নির্বাচিত সরকারকে হঠিয়ে আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করে তালিবান। তারপরেই সে দেশের দূতাবাস থেকে ভারতীয় কর্মকর্তাদের প্রত্যাহার করে নেয় সাউথ ব্লক। এই ঘটনার দশ মাসেরও বেশি সময় পরে কাবুলে ফের দল পাঠাল নয়াদিল্লি। তবে এবার গিয়েছে টেকনিক্যাল টিম। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জারি করা একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার ভারতীয়  একটি টেকনিক্যাল টিম কাবুলে পৌঁছেছে। সেখানে ভারতীয় দূতাবাসে তাদের মোতায়েন করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন : ভয়াবহ ভূমিকম্পে কাঁপল আফগানিস্তান, মৃত্যু হাজার পার

    পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং ইরানের জন্য বিদেশ মন্ত্রকের পয়েন্ট পার্সন জেপি সিংয়ের নেতৃত্বে একটি ভারতীয় দল কাবুল সফর করে। সেখানে তারা ভারপ্রাপ্ত বিদেশমন্ত্রী মাওলাউই আমির খান মুত্তাকি এবং অন্য তালিবান নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা করে। এই ঘটনার সপ্তাহ তিনেক পরে দূতাবাস ফের চালু করা হয়। যদি কাবুলে ভারতীয় ওই দূতাবাসে এতদিন কাজ করছিলেন স্থানীয় কর্মীরাই।   

    বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়েছে, মানবিক সাহায্য কার্যকর করতে বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের প্রচেষ্টা ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ ও সমন্বয় করতে একটি ভারতীয় টেকনিক্যাল টিম কাবুলে পৌঁছেছে। সম্প্রতি আরও একটি ভারতীয় দল আফগানিস্তানে ভারতের মানবিক সহায়তার কাজের তদারকি করতে কাবুলে গিয়েছিল এবং তালিবানের বর্ষীয়ান সদস্যদের সঙ্গে তারা দেখাও করেছে।

    বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, আফগান সমাজের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। আফগানিস্তানের জনগণের জন্য মানবিক সাহায্য ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে ভারতের অংশীদারিত্ব বজায় থাকবে।

    আরও পড়ুন : সন্ত্রাসমুক্ত আফগানিস্তান গড়তে, মানুষের পাশে সর্বদা থাকবে ভারত, বার্তা ডোভালের

    বুধবার ভোরে ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানের বিস্তীর্ণ এলাকা। ভূমিকম্পের জেরে আফগানিস্তানে মৃত্যু হয় হাজারেরও বেশি মানুষের। জখম হয়েছেন হাজার দুয়েক মানুষ। তার পরেই টেকনিক্যাল টিম পাঠায় ভারত।

    ভারতের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে আফগানিস্তানের তালিবান সরকার। তালিবান মুখপাত্র আবদুল ওয়াহার বালকি বলেন, ভারতের টেকনিক্যাল টিম পাঠানোর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। ভারতের সঙ্গে আফগানিস্তানবাসী সম্পর্ক বহু পুরানো। মানবিক  সাহায্যের জন্যই দল পাঠিয়েছে ভারত।

     

  • Ruchira Kamboj: রাষ্ট্রসংঘে ভারতের নয়া স্থায়ী দূত রুচিরা কম্বোজ

    Ruchira Kamboj: রাষ্ট্রসংঘে ভারতের নয়া স্থায়ী দূত রুচিরা কম্বোজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রসংঘে (United Nations) ভারতের নতুন স্থায়ী দূত (India’s Permanent Ambassador to UN) নিযুক্ত হলেন রুচিরা কম্বোজ (Ruchira Kamboj)। রুচিরা বর্তমানে ভুটানে (Bhutan) ভারতের রাষ্ট্রদূত (Indian Ambassador) হিসাবে কর্মরত রয়েছেন।

    বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, ১৯৮৭ সালের ব্যাচের ইন্ডিয়ান ফরেন সার্ভিসের (Indian Foreign Service) এই আধিকারিক, খুব শীঘ্রই দায়িত্ব বুঝে নেবেন। টিএস ত্রিমূর্তির (TS Trimurti) পরেই তিনি এই পদে বসছেন। টিএস ত্রিমূর্তি গত মার্চ মাসে অবসর নিয়েছিলেন। এরপর তাঁর চাকরির মেয়াদ তিন মাসের জন্য বাড়ানো হয়েছিল। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের (Ukraine war) পরিস্থিতি নিয়ে রাষ্ট্রসংঘে বারবার ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন ত্রিমূর্তি। এবার রাষ্ট্রসংঘে ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করার দায়িত্ব অভিজ্ঞ রুচিরার উপর। 

    আরও পড়ুন: আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এনডিএ-র প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু

    বিদেশমন্ত্রক সূত্রে খবর, টিএস মূর্তির পর রাষ্ট্রসংঘে ভারতের হয়ে স্থায়ী প্রতিনিধিত্ব করবেন রুচিরা কম্বোজ। কূটনীতিক হিসেবে এই ভারতীয় কন্যার কেরিয়ার গ্রাফ শুরু থেকেই উজ্জ্বল। ১৯৮৭ ব্যাচের সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় তিনি দেশের মহিলাদের মধ্যে শীর্ষস্থানে ছিলেন। কাজে যোগদানের পর থেকে প্রতিটি জায়গাতেই নিজের প্রতিভার পরিচয় রেখেছেন রুচিরা। তিনি ফ্রান্স, মরিশাসে ভারতের দূত হিসেবে দীর্ঘ সময় কাজ করেছেন। ২০১৭-১৯ সাল পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকায় ভারতীয় হাইকমিশনে নিযুক্ত ছিলেন রুচিরা।

    আরও পড়ুন: ২০১৪ সালে টেট উত্তীর্ণদের তথ্য চাইল সিবিআই, স্কুলে স্কুলে গেল নির্দেশ

    ১৯৯১-৯৬ সাল পর্যন্ত রুচিরা পশ্চিম ইউরোপ ডিভিশনে আন্ডার সেক্রেটারি ছিলেন। সেই সময় ফ্রান্স, ব্রিটেন, ইতালি, স্পেন ও কমনওয়েলথের সঙ্গে ভারতের সু-সম্পর্ক রক্ষায় রুচিরা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন। লন্ডনে (London) কমনওয়েলথ সেক্রেটারিয়েটে (Commonwealth Secretariat) সেক্রেটারি জেনারেলের অফিসের  ডেপুটি হেড হিসাবেও তিনি দায়িত্ব সামলেছিলেন। একাধিক আন্তর্জাতিক সামিট আয়োজনে ভূমিকা নিয়েছেন এই ভারতীয় কন্যা। ২০১৪-১৬ সাল পর্যন্ত প্যারিসে ইউনেসকোর (UNESCO) ভারতীয় দূত হিসাবে নিয়োজিত ছিলেন রুচিরা। এরপর ২০১৯ সালে তিনি ভুটানে (Bhutan) ভারতের রাষ্ট্রদূত হিসাবে কর্মরত হন।

  • Ajit Doval on Agnipath: “গণতন্ত্রে প্রতিবাদ গ্রহণযোগ্য, তবে হিংসা বরদাস্ত নয়”, হুঁশিয়ারি ডোভালের

    Ajit Doval on Agnipath: “গণতন্ত্রে প্রতিবাদ গ্রহণযোগ্য, তবে হিংসা বরদাস্ত নয়”, হুঁশিয়ারি ডোভালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অগ্নিপথ প্রকল্প (Agnipath Scheme) নিয়ে এবার জোরদার সওয়াল করলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল (NSA Ajit Doval)। সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, অগ্নিপথ (Agnipath) প্রকল্প প্রত্যাহারের কোনও প্রশ্নই ওঠে না। কারণ দেশের নিরাপত্তার কথা ভেবে, বহু বছর ধরে আলাপ আলোচনার মাধ্যমেই এই প্রকল্প রূপায়িত হয়েছে। অগ্নিবীরদের (Agniveer) নিয়ে পুরো সেনাবাহিনী (Indian Army) তৈরি হবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি। 

    ডোভাল জানান, ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি যখন প্রধানমন্ত্রী হন, তখন তাঁর অন্যতম লক্ষ্য ছিল দেশের নিরাপত্তা বাড়ানো। কোন পথে দেশকে মজবুত করা যায়, তার জন্য অনেক পথই ভাবতে থাকেন তিনি। সেই ভাবনারই ফল এই প্রকল্প। ডোভাল বলেন, ভবিষ্যতে সব দেশেরই প্রতিরক্ষা হবে প্রযুক্তি নির্ভর। তাই যুবশক্তির প্রয়োজন। প্রয়োজন প্রশিক্ষিত আর্মড ফোর্স (Armed Forces)। 

    আরও পড়ুন: রাজনীতির রঙে থমকে যায় ভাল কাজ ! অগ্নিপথ-বিরোধিতা প্রসঙ্গে মোদি

    যারা অগ্নিবীর হতে চায় সেই যুবকদের উদ্দেশ্যে অজিত দোভালের বার্তা, সর্বদা পজিটিভ থেকো। দেশের প্রতি বিশ্বাস রাখো, বিশ্বাস রাখো নেতৃত্বের প্রতি। সর্বোপরি নিজের ওপর। তাহলেই সব সমস্যার সমাধান হবে। তাঁর সাফ কথা, গণতন্ত্রে কোনও সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ হতেই পারে, কিন্তু ভাঙচুর বা হিংসাকে কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা যায় না। অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে যে তাণ্ডব চলেছে, তার পিছনে একশ্রেণির স্বার্থ জড়িত বলে মন্তব্য করেন তিনি। এসবের মোকাবিলা করেই দেশ এগিয়ে যাবে বলে আশাপ্রকাশ করেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা।

    ডোভালের মতে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বেই দেশে বিরাট পরিবর্তন এসেছে। তিনি সাহস দেখাতে পেরেছেন, সাহস দেখিয়েছেন বদল আনার। তাঁর সিদ্ধান্তের ওপর ভরসা করা যায়, তা যতই ঝুঁকির হোক না কেন। আর এই সাহসে ভর করেই আগামীর ভারত তৈরি হবে বলে আশাবাদী তিনি। 

    আরও পড়ুন: “অগ্নিপথ পছন্দ না হলে সেনায় আসবেন না”, স্পষ্ট বার্তা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

    সাক্ষাৎকারে কাশ্মীর (Kashmir) থেকে পাকিস্তান (Pakistan) প্রসঙ্গেও মুখ খোলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (NSA)। ডোভালের দাবি, কাশ্মীরের মানুষ আর পাকিস্তানের পক্ষে নেই। সন্ত্রাসও বরদাস্ত করে না তারা। তারা চায় শান্তি। ধর্মঘট চালিয়ে দিনের পর দিন রাজ্যকে অচল রাখার পক্ষপাতি নয় আজকের কাশ্মীর। ২০১৯ সালের পর থেকেই তাদের এই মনোভাবে বদল এসেছে বলে মনে করেন ডোভাল (Doval)। এই সাক্ষাৎকারের মধ্যে দিয়ে অজিত ডোভাল একটা বিষয় স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে নিরাপত্তার স্বার্থে দেশ সঠিক পথেই এগোচ্ছে। দূরদৃষ্টি নিয়েই দেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। 

  • Udaipur Tailor Murder: উদয়পুর কাণ্ডের জেরে বদলি ৩২ আইপিএস, ড্যামেজ কন্ট্রোল?

    Udaipur Tailor Murder: উদয়পুর কাণ্ডের জেরে বদলি ৩২ আইপিএস, ড্যামেজ কন্ট্রোল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উদয়পুর দর্জি খুনের (Udaipur Tailor Murder) জের। বদলি করা হল এসপি (SP), আইজিসহ (IG) ৩২ আইপিএস (IPS) অফিসারকে।  দর্জি কানহাইয়া লালের (Kanhaiya Lal) নৃশংস খুনের ঘটনায় উত্তপ্ত রাজস্থানসহ গোটা দেশ। তারই মাঝে একটি খবর সামনে আসে, যে নূপুর শর্মার সমর্থনে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার পর থেকেই হুমকি আসতে শুরু করে মৃত  দর্জির কাছে। সে বিষয়ে তিনি পুলিশের কাছে অভিযোগও জানান। কিন্তু পুলিশ তাঁকে কোনও নিরাপত্তা দেয়নি। বিষয়টি সামনে আসার পর থেকেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। প্রশ্ন উঠতে শুরু করে নাগরিক নিরাপত্তা নিয়েও। অস্বস্তিতে পড়ে রাজস্থান সরকার। আর তাতেই তড়িঘড়ি এই বদলির নির্দেশ।

    আরও পড়ুন: উদয়পুর হত্যাকাণ্ডে দাওয়াত-ই-ইসলামির যোগ! জানুন কী এই সংগঠন  

    বৃহস্পতিবার মৃত দর্জির পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেন, কানহাইয়ালাল ১৫ জুন থানায় তাঁকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। কিন্তু পুলিশ সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে কোনও ব্যবস্থা নেয় নি। এমনকি পুলিশের সততা নিয়েও এদিন প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। প্রথমেই সেখানকার এএসআইকে সাসপেন্ড করে রাজস্থান (Rajasthan) সরকার। পরে বাকি পুলিশ কর্তাদের বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়।     

    ১৫ জুন পুলিশের কাছে করা অভিযোগে কানহাইয়া লাল জানান, প্রায় ৬ দিন আগে তাঁর ছেলে মোবাইল ফোনে গেম খেলতে গিয়ে একটি পোস্ট করেছিল। তা তিনি একেবারেই জানতেন না। দুদিন পরে দুজন তাঁর দোকানে আসে। তারা বলে মোবাইল থেকে আপত্তিকর বিষয় পোস্ট করা হয়েছে। তখন কানহাইয়ালাল বলেন, তিনি করেননি। তবে তাঁর ছেলে গেম খেলে। কোথাও ভুল হয়ে থাকতে পারে। এরপর পোস্টটি মুছেও দেওয়া হয়। আগন্তুকরা বলে যায় এরকম ঘটনা যেন আর না ঘটে।

    আরও পড়ুন: উদয়পুর হত্যাকাণ্ডে খুনিদের আইসিস যোগ! জড়িত নয় পাকিস্তান, জানাল পাক বিদেশমন্ত্রক   

    তাঁর বিরুদ্ধে এক প্রতিবেশি থানায় অভিযোগও দায়ের করে। কানহাইয়া থানায় গেলে তাঁকে গ্রেফতার করে পরে জামিনও দেওয়া হয়। এর পরে এএসআই ভানোয়ার লালের মধ্যস্থতায় দুপক্ষের মধ্যে সমঝোতাও হয়। কিন্তু তার পরেও কানহাইয়া লালকে হুমকি দেওয়া চলতে থাকে। থানায় অভিযোগ দায়ের করলেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। 

    কানহাইয়া লালের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, সমঝোতার পরেও তাঁর দোকানে নজরদারি চালানো হচ্ছিল। কানহাইয়া লাল অভিযোগ করেছিলেন, তাঁকে হোয়াটসঅ্যাপ কলে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। পুলিশ তাঁকে বলেছিল, সমঝোতা হয়েছে, এবার নিজেকে খেয়াল রাখতে হবে। সন্দেহ হলে পুলিশকে জানানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু কোনও নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়নি। আর এতেই পুলিশের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে সাধারণ মানুষ। ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামে রাজস্থান সরকার। বদলির নির্দেশ নেমে আসে আইপিএসদের মাথায়।    

     

  • Madhubala – Dilip Kumar: জানেন কী কেন ভেঙে গিয়েছিল মধুবালা-দিলীপ কুমারের ভালোবাসার সম্পর্ক?

    Madhubala – Dilip Kumar: জানেন কী কেন ভেঙে গিয়েছিল মধুবালা-দিলীপ কুমারের ভালোবাসার সম্পর্ক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ ন-বছর চলেছিল বিখ্যাত তারকা মধুবালা(Madhubala) ও দিলীপ কুমারের (Dilip Kumar) প্রেমপর্ব। এমনকি তাঁরা বিয়েও করতে চলেছিল। কিন্তু পরিণতি পায়নি সেই প্রেম। সম্পর্ক আকস্মিকই ভেঙে গিয়েছিল, ফলে তারকা জুটির অনুরাগীদের মনও ভেঙে যায়। তবে কেনই বা তাঁদের সম্পর্কে বিচ্ছেদ এল তা নিয়ে হাজারো প্রশ্ন তাঁদের ভক্তদের। সব জল্পনার অবসান করে এই সম্পর্কের বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন মধুবালার বোন মধুর ভূষণ(Madhur Bhushan)।

    সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে মধুর ভূষণ সংবাদমাধ্যমে জানান, ‘নয়া দৌড়’ (Naya Daur) ছবির শ্যুটিংয়ের জন্য মধুবালাকে যেতে দেয়নি তাঁর বাবা আতাউল্লা খান (Ataullah Khan)। এরপর ছবির পরিচালক বিআর চোপড়া (BR Chopra) কোর্টে মামলা দায়ের করেন অভিনেত্রী ও তাঁর বাবার নামে। সেই মামলায় মধুবালার বিপক্ষে সাক্ষ্য দেন দিলীপ কুমার। তিনি দিলীপ কুমারকে অনুরোধ জানান, তাঁর বাবার কাছে এই আচরণের জন্য ক্ষমা চাইতে। কিন্তু আতাউল্লাহর কাছে ক্ষমা চাননি দিলীপ কুমার। মন ভেঙে যায় মধুবালার। এছাড়াও তাঁর বাবার বিরুদ্ধে যেতে নারাজ ছিলেন তিনি। সুতরাং শুধুমাত্র ক্ষমা না চাওয়ার কারণে ভেঙে যায় দিলীপ কুমার-মধুবালার দীর্ঘ দিনের প্রেম। ১৯৫১ সালে ‘তারানা’ ছবির সেটে শুরু হয়েছিল মধুবালা-দিলীপের প্রেম কাহিনির।

    আরও পড়ুন: দিলীপ কুমারের স্মৃতিতে কান্নায় ভেঙে পড়লেন সায়রা বানু

    মধুবালার বোন আরও জানিয়েছেন, মধুবালা কখনও চাননি যে সবাই এমনটা জানুক যে, তিনি তাঁর ভালোবাসার জন্য বাবাকে অমান্য করেছেন। তিনি একজন ভালো মেয়ে হতে চেয়েছিলেন, তাই তিনি দিলীপ সাবকে আর বিয়ে করেননি। তিনিও কখনও চাননি যে জনসম্মুখে তাঁর বাবাকেই এই বিচ্ছেদের জন্য দোষী মনে করা হয়। তাই এইসব থেকে দূরে থাকতে তিনি দিলীপ সাবের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে ১৯৬০ সালে কিশোর কুমারের সঙ্গে বিবাহ-বন্ধনে আবদ্ধ হন। বহু পুরুষের কাঙ্খিত নারী ছিলেন তিনি। তাঁর সৌন্দর্য, মায়াবী হাসি, ব্যক্তিত্ব আর অভিনয়ে মুগ্ধ ছিল সারা দেশের মানুষ। তবে তাঁর জীবন ছিল ট্র্যাজেডি-তে ভরা। সিনেমার গল্পকে হার মানায় মধুবালার জীবন-কাহিনি। মাত্র ৩৬ বছর বেঁচে ছিলেন তিনি। অথচ এই অল্প সময়ের মধ্যেই হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে এমন ছাপ রেখে গেছেন মধুবালা, যা কখনও ভোলার নয়। এখনও তাঁর রূপ, অভিনয় নিয়ে চর্চা হয়। চর্চা হয় দিলীপ কুমারের সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদ নিয়ে। এতদিন পর সেই বিচ্ছেদের কারণ সামনে আনলেন মধুবালার বোন। 

  • Mahua Moitra:’স্মোকিং কালী’ বিতর্ক, হাত ছাড়ল দল, তৃণমূলকে আনফলো মহুয়ার 

    Mahua Moitra:’স্মোকিং কালী’ বিতর্ক, হাত ছাড়ল দল, তৃণমূলকে আনফলো মহুয়ার 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি মা কালীকে নিয়ে তির্যক মন্তব্য করেছেন তৃণমূল (Trinamool) সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra)। তার জেরে বিভিন্নমহলে ব্যাপক সমালোচিত হয়েছেন তিনি। এমনকি সমালোচনা করতে ছাড়েনি দলও। দলেও তিনি ব্রাত্য হয়ে গিয়েছেন। সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেসের ট্যুইটার (Twitter) হ্যান্ডেল থেকে মহুয়ার মন্তব্যের বিরোধিতা করা হয়েছে। দলের এই আচরণে ক্ষুব্ধ মহুয়া। প্রকাশ্যে দিলেন প্রতিক্রিয়া। তৃণমূলের অফিসিয়াল ট্যুইটার হ্যান্ডেলকে আনফলো (Unfollow) করলেন মহুয়া। 

    তৃণমূল এ ব্যাপারে বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, “দেবী কালী সম্পর্কে মহুয়া মৈত্রের মতামতগুলি একান্তই ব্যক্তিগত। কোনওভাবেই পার্টি তা সমর্থন করে না এবং পার্টি অনুমোদিতও নয়। তৃণমূল কংগ্রেস এই ধরনের মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করে।” ট্যুইটটি টিএমসির অফিসিয়াল হ্যান্ডেলে পোস্ট করার পরই মহুয়া মৈত্র আনফলো করেন তৃণমূলকে।   

    [tw]


    [/tw]

    পরিচালক লীনা মণিমেকলাই একটি ছবির পোস্টার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করার পর বিতর্ক শুরু হয়। পোস্টারে দেবী কালীর রূপে একজন মহিলাকে দেখানো হয়েছে। ছবিতে তাঁকে সিগারেট খেতে দেখা যাচ্ছে। ত্রিশূল  রয়েছে তাঁর হাতে। সেইসঙ্গে দেবীর হাতে রয়েছে এলজিবিটি সম্প্রদায়ের পতাকা। এই পোস্টার মুক্তি পেতেই ভারত তথা বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদ শুরু হয়। অভিযোগ ওঠে ছবি নির্মাতারা ইচ্ছাকৃত ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত হেনেছেন।

    আরও পড়ুন: “বৃথা চেষ্টা, একটা বিগ জিরো…”, মমতার দিল্লি সফরকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    স্রোতের বিপরীতে গিয়ে মঙ্গলবার একটি সংবাদমাধ্যমের অনুষ্ঠানে মহুয়া মৈত্র বলেন, মা কালী তাঁর কাছে একজন মাংসভোজী, মদ পান করা দেবী। মহুয়া বলেছিলেন, “আপনি যখন সিকিম যাবেন, আপনি দেখতে পাবেন যে তাঁরা দেবী কালীকে হুইস্কি দেয়। কিন্তু আপনি যদি উত্তরপ্রদেশে যান এবং আপনি যদি তাঁদের বলেন যে আপনি দেবীকে প্রসাদ হিসেবে হুইস্কি নিবেদন করেন, তাহলে তাঁরা আপনাকে অধার্মিক বলবে।” তাঁর প্রতিক্রিয়ার তীব্র সমালোচনা হয় রাজনৈতিক মহলে। বিরোধীরা তোপ দাগেন। বিপদ বুঝে সাংসদের পাশ থেকে সরে দাঁড়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। 

    আরও পড়ুন: হাওড়ায় ‘ফেল’ দুই পুলিশকর্তার কলকাতায় ‘প্রোমোশন পোস্টিং’!

    তৃণমূল মহুয়ার বক্তব্য থেকে দূরে সরে যেতেই মহুয়াও ট্যুইটারে আনফলো করেছেন দলকে। যদিও দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata) আনফলো করেননি তিনি। মহুয়ার এই অবস্থান নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। প্রথমত তিনি বিতর্কিত মন্তব্য করে দলের অস্বস্তি বাড়িয়েছেন। তারপরে ট্যুইটারে দলকে আনফলো করায় আরও অস্বস্তিতে ঘাসফুল শিবির। 

     

     

  • Independent Tamil Nadu: স্বাধীন তামিলনাড়ু চাইতে বাধ্য করবেন না, কেন্দ্রকে বার্তা ডিএমকে-র

    Independent Tamil Nadu: স্বাধীন তামিলনাড়ু চাইতে বাধ্য করবেন না, কেন্দ্রকে বার্তা ডিএমকে-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বিচ্ছিন্নতাবাদ! স্বায়ত্ত্বশাসনের দাবি তুললেন ডিএমকের (DMK) নেতা এ রাজা (A Raja)। তামিলনাড়ুকে (Tamil Nadu) স্বায়ত্ত্বশাসন দেওয়া না হলে তাঁরা স্বাধীন রাষ্ট্রের (Independent State) দাবিতে পথে নামবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিলেন এই বর্ষীয়ান নেতা। এনিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছেও আবেদন জানিয়েছেন তিনি। 

    রবিবার পশ্চিম তামিলনাড়ুর নমক্কলে (Namakkal, TN) দলের গ্রামীণ জনপ্রতিনিধিদের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন এ রাজা। হাজির ছিলেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন (M K Stalin)। তাঁর উপস্থিতিতেই কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের স্বায়ত্বশাসন দাবি করেন এ রাজা। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দাবি, “দ্রাবিড় আন্দোলনের আইকন পেরিয়ার আমৃত্যু পৃথক রাষ্ট্রের দাবি করে এসেছেন। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী (এম কে স্ট্যালিন) আন্নাদুরাইয়ের (ডিএমকের প্রতিষ্ঠাতা) পথে চলেন। আমাদের পেরিয়ারের পথে হাঁটতে বাধ্য করবেন না। আলাদা রাজ্যের দাবিতে রাস্তায় নামতে বাধ্য করবেন না। আমরা অনুরোধ করছি, আমাদের স্বায়ত্বশাসন দিয়ে দিন।” 

    [tw]


    [/tw]

    রাজ্যের শাসক দলের বর্ষীয়ান নেতা এ রাজা আরও বলেন, “আমরা অহংকার করে বলছি না। আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে আবেদন করছি। আমরা পৃথক রাষ্ট্রের দাবি থেকে সরে এসেছি। কিন্তু আমরা স্বায়ত্বশাসন চাইছি। এটা আমাদের ন্যায্য দাবি।” 

    আরও পড়ুন: করাচিতে জরুরি অবতরণ, কী হল দুবাইগামী স্পাইসজেটের বিমানে?

    স্বাভাবিকভাবেই ডিএমকে নেতার এই হুঁশিয়ারি ঘিরে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ছে। সমালোচনায় সরব হয়েছে বিজেপি।  এ রাজাকে পালটা দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সিটি রবি। তামিলনাড়ুতে গেরুয়া শিবিরের দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। রবির কথায়, “পাঁচ দশক ধরে তামিলনাড়ুতে রাজনীতি করার পরও ওরা এই কথা বলছেন। তাতে এটাই প্রমাণ হচ্ছে যে এ রাজ্যে বিজেপির উত্থান ডিএমকেকে চাপে ফেলছে। তাদের আদর্শ ব্যর্থ হয়েছে। তাই ওরা ভয় পেয়ে এ ধরনের কথা বলছে।”

    তবে এ রাজার মন্তব্য় নিয়ে শোরগোল শুরু হওয়ার পর তা মোকাবিলা করতে আসরে নামেন দলীয় সাংসদ টিকেএস এলংগোবন। তিনি বলেন, হতাশা থেকে এমন মন্তব্য করেছেন রাজা। পৃথক রাষ্ট্রের দাবি তোলার মতো কোনও নীতি কোনও দিনই ছিল না ডিএমকের। তবে রাজ্যের হাতে অধিক ক্ষমতা তুলে দেওয়ার দাবি থেকেই রাজার এমন মন্তব্য বলে সাফাই দিয়েছেন তিনি। 

  • PM Modi: মোদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ নরওয়ে, ডেনমার্ক, কেন জানুন

    PM Modi: মোদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ নরওয়ে, ডেনমার্ক, কেন জানুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিঙ্গল ইউজ প্লাস্টিক (Single Use Plastic) নিয়ে মোদির (PM Modi) সিদ্ধান্ত পৃথিবীর জন্য একটি দুর্দান্ত উপহার। সম্প্রতি ভারতের (India) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্দেশে এমনই মন্তব্য করেছে নরওয়ে (Norway) এবং ডেনমার্ক (Denmark)।

    সিঙ্গল ইউজ প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। তারই প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ নরওয়ে ও ডেনমার্ক। ভারতে নিযুক্ত ডেনিস রাষ্ট্রদূত ফ্রেডি সোয়াইন সিঙ্গল ইউজ প্লাস্টিক নিষেধাজ্ঞায় মোদির সিদ্ধান্তের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, মোদির এই সিদ্ধান্ত পৃথিবীর জন্য একটি দুর্দান্ত উপহার। নরওয়ের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স মার্টিন আমডাল বোথেম বলেন, এই নিষেধাজ্ঞার জেরে প্লাস্টিকের পরিমাণ কমে যাবে। এজন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে অশেষ ধন্যবাদও জানিয়েছেন বোথাম। সিঙ্গল ইউজ প্লাস্টিকই এই মুহূর্তে গোটা বিশ্বের বিপদ। মহাসাগরে দূষণ ছড়ানোর পাশাপাশি জল-জীবনের পক্ষেও ক্রমেই বিপজ্জনক হয়ে উঠছে এই প্লাস্টিক। মোদির এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। এই প্লাস্টিককে সমুদ্র থেকে অপসারণ করতে হবে। পরিবেশ সংরক্ষণ করতে এই প্লাস্টিক সংরক্ষণ ও পুনর্ব্যবহার করা উচিত। তিনি বলেন, সিঙ্গল ইউজ প্লাস্টিক গোটা বিশ্বের জন্য একটি বড় সমস্যা। আমরা বাতাস ভাগ করি, সমুদ্রও ভাগ করি। তাই এটি বিশ্বব্যাপী সমস্যা।

    আরও পড়ুন : ফোনালাপ, পুতিনকে আলোচনার মাধ্যমে ইউক্রেন সমস্যা মেটানোর পরামর্শ মোদির

    নরওয়ের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স মার্টিন আমডাল বোথেম বলেন, তাই এটি নিশ্চিত করা প্রয়োজন যে ভারত সিঙ্গল ইউজ প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করার প্রচেষ্টায় সফল হয়েছে। ভারতে নিযুক্ত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত ফ্রেডি বলেন, ভারত দ্রুত এগোচ্ছে। সিঙ্গল ইউজ প্লাস্টিক ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞার যে সিদ্ধান্ত ভারত নিয়েছ, বিশ্বে তার অবদান কম নয়। আমি ভারতকে ধন্যবাদ জানাই। প্রসঙ্গত, সিঙ্গল ইউজ প্লাস্টিক হল প্লাস্টিকের সেই সব আইটেম, যেগুলি মাত্র একবারই ব্যবহার করা যায়। প্লাস্টিকের স্টিক, কাপ, প্লেট, পতাকা, বেলুন, থার্মোকল সহ হাজারো জিনিস। এই জিনিসগুলির উৎপাদন, আমদানি, মজুত, বিতরণ এবং বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ৭৫ মাইক্রন থেকে ১২০ মাইক্রনে উন্নীত করতে বলা হয়েছে প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগকে।

    আরও পড়ুন : মিশরে তৈরি হবে ‘তেজস’ যুদ্ধবিমান, ‘ধ্রুব’ হেলিকপ্টার! নয়া চুক্তির পথে ভারত?

  • New Labour Code: না, ১ জুলাই থেকে লাগু হচ্ছে না নতুন শ্রমবিধি, জানাল কেন্দ্র

    New Labour Code: না, ১ জুলাই থেকে লাগু হচ্ছে না নতুন শ্রমবিধি, জানাল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১ জুলাই থেকে লাগু হচ্ছে না নতুন শ্রমবিধি (New Labour Code)। কিছুদিন আগেই খবর ছিল নতুন চারটে শ্রমবিধি আনতে চলেছে কেন্দ্র। জুলাই থেকেই লাগু হওয়ার কথা ছিল সেগুলির। কিন্তু আপাতত তা স্থগিত করা হয়েছে। 

    এক সরকারি আধিকারিক এ বিষয়ে বলেন, “১ জুলাই লাগু করা হচ্ছে না নতুন শ্রমবিধি। এখনও পুরো বিষয়টি আলোচনারস্তরে রয়েছে। পর্যালোচনার শেষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। রটনায় কান দেবেন না।” আরেক আধিকারিক বলেন, “শ্রমমন্ত্রক রাজ্য, শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা চালাচ্ছে। কথা অনেকটাই এগিয়েছে। কিন্তু ১ জুলাই নতুন আইন লাগু হচ্ছে না।” শ্রমমন্ত্রকের ( Ministry of Labour & Employment) এক আধিকারিককে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে, তিনি নেতিবাচক উত্তরই দিয়েছেন। 

    আরও পড়ুন: সপ্তাহে তিন দিনের ছুটি, আর কী পরিবর্তন আসল নতুন শ্রমবিধিতে 

    কিছুদিন আগেই শোনা গিয়েছিল, ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিলেশন কোড ২০২০, কোড অন সোশ্যাল সিক্যুরিটি ২০২০, অক্যুপেশনাল সেফটি, হেলথ অ্যান্ড ওয়ার্কিং কন্ডিশন কোড ২০২০ – এই নতুন চারটি শ্রমবিধি আনতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ২০২০ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল। এখন পর্যন্ত ২৩ টি রাজ্য এই আইনগুলির খসড়া গ্রহণ করেছে। কেন্দ্রীয় সরকার চায় সমস্ত রাজ্য একসঙ্গে এই চারটি পরিবর্তন কার্যকর করুক।

    নতুন শ্রমবিধি কার্যকর হলে কর্মচারীদের মূল বেতন হবে তাদের মোট বেতনের অন্তত ৫০ শতাংশ। নতুন নিয়মে পিএফে বেশি টাকা রাখতে হবে কর্মীকে। অবসরের সময় তা অত্যন্ত লাভজনক। নতুন শ্রমবিধিতে কর্মীদের গ্র্যাচুইটিও বাড়বে। অবসরের পরে তাতেও লাভবান হবেন তাঁরা। তবে, এই নতুন নিয়মে টেক হোম স্যালারি কমতে পারে।  

    শোনা গিয়েছিল, খসড়ায় চার দিনের কর্ম সপ্তাহের প্রস্তাব করেছে কেন্দ্র। মানে সপ্তাহে চারদিন কাজে যেতে হবে আর তিনদিন ছুটি পাবেন কর্মীরা। তবে যে বাড়তি একদিন ছুটি পাওয়া যাচ্ছে তা পুষিয়ে দিতে হবে, বাকি দিনগুলিতে ১২ ঘণ্টা করে কাজ করে। একজন কর্মচারীকে সপ্তাহে কমপক্ষে ৪৮ ঘন্টা কাজ করতে হবে।    

    এইসব নতুন আইন ১ জুলাই থেকে লাগু হবে এমনটা শোনা গেলেও, তা এখনই হচ্ছে না। নিশ্চিত করেছে কেন্দ্র।

     

  • EPFO: অভিন্ন পেনশন প্রকল্প, অস্থায়ী কর্মীদের পৃথক প্রভিডেন্ট ফান্ড চালুর ভাবনা ইপিএফও-র

    EPFO: অভিন্ন পেনশন প্রকল্প, অস্থায়ী কর্মীদের পৃথক প্রভিডেন্ট ফান্ড চালুর ভাবনা ইপিএফও-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অস্থায়ী কর্মীদের জন্যে পৃথক প্রভিডেন্ট ফান্ড প্রকল্প (Provident Fund) আনার পরিকল্পনা নিয়েছে এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন (EPFO)। আগামী ৮ জুলাই এই নিয়ে একটি বৈঠকে বসবে ইপিএফও-র কেন্দ্রীয় বোর্ড। যারা এখনও অবসর নেননি বা অবসরকালীন কোনও ভাতার আওতায় পড়েন না, মূলত তাঁদের অবসরকালের জীবনকে আরও একটু নিশ্চিন্ত করতেই এই ভাবনা।

    এছাড়া অস্থায়ী কর্মীদের জন্যে একটি অভিন্ন পেনশন (Universal Pension) প্রকল্পেরও সুপারিশ করেছে পেনশন রিফর্ম কমিটি। বিষয়টি নিয়ে আগের বৈঠকে পর্যালোচনা করেছে কেন্দ্রীয় ট্রাস্টি বোর্ড। প্রস্তাবটি ইপিএফও- র কাছে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এখনও এই নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ৮ তারিখের বৈঠকে দুটি বিষয়ই পরিস্কার হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই।

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সরকারি আধিকারিক বলেন, “অস্থায়ী কর্মীদের অবসর জীবনকে সচ্ছল করতে পৃথক প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং অভিন্ন পেনশনের মতো দুটি নতুন প্রকল্প চালু করতে পারে কেন্দ্র সরকার।”

    আরও পড়ুন: অসংগঠিত ক্ষেত্রে চাকরি করলে নিশ্চিত করুন অবসরকালীন পেনশন

    শ্রমবিধিতেও এইরকম প্রকল্পের সুপারিশ করা হয়েছে। কিন্তু করোনার কারণে গত দেড় বছর কোনও কাজ এগোয়নি। ফের বিষয়টিতে নজর দিয়েছে কেন্দ্র।

    শ্রমমন্ত্রকের অধীনস্থ ইপিএফও দুদিনের বৈঠকে কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে, এখন তার তালিকা প্রস্তুত করছে। 

    আরও পড়ুন: সপ্তাহে তিন দিনের ছুটি, আর কী পরিবর্তন আসল নতুন শ্রমবিধিতে

    দেশজুড়ে এই মুহূর্তে ৭,১৭,০০০ অস্থায়ী কর্মী বিভিন্ন রাজ্যে কাজ করছেন। এদের ৫৮ শতাংশই বাংলা, বিহার, উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। 

    প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাব অনুযায়ী অভিন্ন পেনশন প্রকল্পের আওতায় অস্থায়ী কর্মী এবং স্বনিযুক্তদের আনা হবে। 

    সূত্রমতে, কেউ যদি কমপক্ষে ১৫ বছর কাজ করেন এবং তাঁর মোট সঞ্চিত অর্থ যদি ৫.৪ লক্ষ বা তার বেশি হয়ে থাকে তাহলে অভিন্ন পেনশন প্রকল্পের আওতায় তিনি কমপক্ষে ৩০০০ টাকা করে পাবেন।

    এই মুহূর্তে এইপিএস বলে যে প্রকল্পটি আছে, তাতে কর্মীর কাছ থেকে তাঁর মোট বেতনের ১২ শতাংশ কাটা হয় ইপিএফ হিসেবে এবং ১২ শতাংশ দেয় নিয়োগ কর্তা। নিয়োগ কর্তার ১২ শতাংশ থেকে ৮.৩৩ শতাংশ জমা হয় ইপিএসে। 

     

LinkedIn
Share