Blog

  • Mithun Chakraborty: এখন শাসক শিবির ছাড়তে চান ক’জন বিধায়ক? ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য মিঠুনের

    Mithun Chakraborty: এখন শাসক শিবির ছাড়তে চান ক’জন বিধায়ক? ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য মিঠুনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শহরে পৌঁছেই বিস্ফোরক দাবি করলেন মহাগুরু। বেশ কয়েকজন সাংসদ ও বিধায়ক শাসক শিবির ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিতে চাইছেন। আগে সংখ্যাটা ছিল ২১ এখন তা বেড়েছে। ধীরে ধীরে আরও বাড়বে। বর্ধিত  সংখ্যাটা ক্রমশ প্রকাশ্য। বিজেপির হয়ে রাজ্যে নির্বাচনী প্রচারে এসে এমনই দাবি করলেন মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। আজ পুরুলিয়া সফরে যাচ্ছেন ডিস্কো কিং। 

    আরও পড়ুন: অপেক্ষা করুন, ছবি আসছে, সব সামনে আসবে! সারদা-প্রসঙ্গে মমতাকে নিশানা শুভেন্দুর

    কী বললেন মিঠুন?

    বঙ্গ বিজেপির কোর কমিটির সদস্য মিঠুন (Mithun Chakraborty) গতবারও রাজ্যে এসে জানিয়েছিলেন, শাসকদলের ২১ জন বিধায়ক তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। এদিন বলেন,সংখ্যাটা বেড়েছে। মঙ্গলবার কলকাতায় সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন মিঠুন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “তৃণমূলের সবাই দুর্নীতিগ্রস্ত নয়, কারা দুর্নীতিগ্রস্ত নয়, চোখ এদিক-ওদিক ঘোরালেই বুঝতে পারবেন। তৃণমূলে যাঁরা ভালো, তাঁরা শান্ত। যাঁরা শান্ত, তাঁদের দিকে নজর রাখুন। যাঁরা শান্ত, তাঁদের শরীরী ভাষা সব কিছু বলে দেবে।” এখানেই শেষ নয়, আরও একধাপ এগিয়ে মিঠুনের বিস্ফোরক দাবি, “হতে পারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিতে যোগ দিলেন। রাজনীতিতে সবই সম্ভব।”

    সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উন্নয়ন প্রসঙ্গে মিঠুন দাবি করেন, “বাংলার পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। বিজেপি সংখ্যালঘুদের বিরোধী নয়, সংখ্যালঘুদের ভুল বোঝানো হচ্ছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের যদি কেউ উন্নয়ন ঘটাতে পারে তাহলে বিজেপিই পারবে।” তাঁর কথায়, “আমি সংস্কৃতি জগতের লোক। কাউকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করব না। সরকার ও শাসকদলের নীতিগত সমালোচনা করেই মানুষকে বুঝিয়ে দেব, বিজেপি কেন যোগ্য।”

    আরও পড়ুন: রাজ্যে সরকারের পতন আসন্ন! ফের ডিসেম্বর ডেডলাইনের হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    মিঠুনের সভা

    পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) আগে জন সংযোগ বাড়াতে মিঠুন চক্রবর্তীকে (Mithun Chakraborty) ময়দানে নামিয়েছে বিজেপি (BJP)। দলীয় সূত্রে খবর, ২৩ নভেম্বর থেকে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত মিঠুন চক্রবর্তীর ঠাসা কর্মসূচি রয়েছে  রাজ্যে। বুধবার পুরুলিয়ায় বিজেপির ( BJP ) পঞ্চায়েত সম্মেলনে যোগ দেবেন মিঠুন চক্রবর্তী। বৃহস্পতিবার বাঁকুড়া, শুক্রবার বিষ্ণুপুর, শনিবার আসানসোলে সভা। রবিবার অনুব্রত-গড় বীরভূমে সভা করবেন মিঠুন চক্রবর্তী। পঞ্চায়েত ভোটে ব্লক স্তরে সংগঠনকে মজবুত করাই লক্ষ্য, জানিয়েছেন বিজেপি নেতা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Indian History: ভারতের ইতিহাস বীরত্বের, যোদ্ধাদের! নতুন করে তা লিখতে হবে অভিমত প্রধানমন্ত্রীর

    Indian History: ভারতের ইতিহাস বীরত্বের, যোদ্ধাদের! নতুন করে তা লিখতে হবে অভিমত প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের ইতিহাস কেবলমাত্র দাসত্বেরই নয়। ভারতের উজ্জ্বল ইতিহাসে বহু যোদ্ধাও রয়েছেন। তবে ইতিহাসের পাতায় সকলের নাম উল্লেখ নেই। তাঁদের নাম ইতিহাসের পাতায় তুলে ধরতে হবে বলে অভিমত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Prime Minister Narendra Modi)। অসমের সরাইঘাট যুদ্ধের হিরো কম্যান্ডার জেনারেল লাচিত বারফুকানের (Lachit Barphukan) ৪০০ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এক অনুষ্ঠানে এই কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী। একই দিনে লাচিত বারফুকানকে নিয়ে আর একটি অনুষ্ঠানে ইতিহাসবিদদের নতুন করে ইতিহাস লেখার আর্জি জানানলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)।

    প্রধানমন্ত্রীর কথা

    এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারত তার বিচিত্র ঐতিহ্য উদযাপন এবং বীরদের স্মরণ করার মাধ্যমে অতীতের ভুল সংশোধন করেছে। তিনি বলেন, “ঔপনিবেশিক আমলের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে রচিত ইতিহাসের পাতা থেকে বহু বীরদের কথা হারিয়ে গিয়েছে। ভারতের ইতিহাস যোদ্ধাদের ইতিহাস, বিজয়ের ইতিহাস, আত্মত্যাগ, নিঃস্বার্থতা ও বীরত্বের ইতিহাস।” মোদী বলেন, স্বাধীনতার পরও যে ইতিহাস পড়ানো হচ্ছে তা, ঔপনিবেশিক আমলের ষড়যন্ত্রের স্বীকার। তিনি বলেছেন, “স্বাধীনতার পর দাসত্বের উদ্দেশ্য পরিবর্তনের প্রয়োজন ছিল। তবে তা করা হয়নি।”

    আরও পড়ুন: জামা মসজিদে মেয়েদের ‘একা’ ঢোকায় নিষেধাজ্ঞা! ‘‘এটা ইরান নাকি?’’ তোপ মহিলা কমিশনের

    প্রসঙ্গত, ১৬২২ খ্রিস্টাব্দের ২৪ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন লাচিত বারফুকন। তিনি অহম রাজ প্রতাপ সিংয়ের অধীনস্ত অহম বাহিনীর সর্বাধিনায়ক ছিলেন। প্রবল পরাক্রমী মুঘল সেনাবাহিনীও লাচিত এবং তাঁর বাহিনীর কাছে হার মানত। ১৬৭১ সালের সরাইঘাটের যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি। লাচিত বারফুকনের বীরত্ব এবং সরাইঘাটের যুদ্ধে অহম বাহিনীর বিজয়কে স্মরণ করার জন্য ২৪ নভেম্বর অসমে লাচিত দিবস পালিত হয়। প্রধানমন্ত্রী মোদির কথায়, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে দাসত্বের বিরুদ্ধে বীর পুরুষ, নারীরা গর্জে উঠেছেন। তবে ইতিহাসের পাতায় তাদের জায়গা হয়নি। এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এ কাজ করা হয়েছে। লাচিত বারফুকনের জীবন আমাদের পরিবারের ঊর্ধ্বে উঠে দেশের কথা ভাবতে শেখায়। আমরা বুঝতে পারি, দেশের থেকে কোনও সম্পর্ক বড় নয়।”

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের আর্জি

    দিল্লিতে অসম সরকারের একটি অনুষ্ঠানে ইতিহাসবিদদের নতুন করে দেশের ইতিহাস লেখার জন্য আহ্বান জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেন, “যে লিখিত ইতিহাস আমরা জানি, তা অনেক সময়ই সঠিক নয় এবং কোথাও কোথাও বিকৃতও। আমি ইতিহাসের একজন ছাত্র। বহুদিন ধরেই শুনে আসছি আমাদের ইতিহাস ঠিকভাবে পরিবেশন করা হয়নি। হয়তো সেটা সত্য়ি কথাই। কিন্তু এবার আমাদের সেটা সংশোধন করতে হবে।” দেশের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা ইতিহাসের ছাত্র ও ইতিহাসবিদদের প্রতি তাঁর আবেদন, “আমাদের ইতিহাস সঠিক নয়, এই বক্তব্যকে পেরিয়ে নতুন করে গবেষণা শুরু করুন। একবার সেই ইতিহাস লেখা হলে, মিথ্যাভাষণের এই ধারাকে মুছে দেওয়া যাবে।” তিনি বলেন, দেশের এমন ৩০ টি মহান শাসনকালকে বেছে নিয়ে ইতিহাস লেখা হোক যাঁরা ১৫০ বছরেরও বেশি রাজত্ব করেছে, বেছে নেওয়া যাক ৩০০ এমন যোদ্ধাকে যাঁদের সাহস অনুপ্রাণিত করে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • WB TET: জারি একাধিক বিধি, উচ্চপর্যায়ের বৈঠক নবান্নে, টেট নিয়ে প্রস্তুতি তুঙ্গে

    WB TET: জারি একাধিক বিধি, উচ্চপর্যায়ের বৈঠক নবান্নে, টেট নিয়ে প্রস্তুতি তুঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপেক্ষার অবসান! দীর্ঘ ৬ বছর পর ফের টেট পরীক্ষা হতে চলেছে রাজ্যে। পরের মাসেই টেট। আর এই টেট নিয়েই প্রস্তুতি জোরকদমে শুরু হয়েছে। টেটে কীভাবে স্বচ্ছতা আনা যায়, তা নিয়ে একাধিক উদ্যোগ নিয়েছে পর্ষদ। আর এবারে টেট পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে করানোর জন্য একাধিক পদক্ষেপ নিল রাজ্য প্রশাসন। গতকাল টেট পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে নবান্নে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করা হয়েছে।

    বৈঠকে কী কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হল?

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, গতকাল, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের পাশাপাশি পরিবহণ দফতর, সব জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব (Chief Secretary)। টেট সুষ্ঠুভাবে করানোর জন্য ২টি কমিটি গঠন করা হয়েছে। একটি জেলা স্তরে আর একটি মহকুমা স্তরে। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, টেট নিয়ে ডিএম এবং এসপিদের সঙ্গে একটি সমন্বয় কমিটি গড়ার কথা বলা হয়েছে। টেটের দিন যাতে কোনও রকম সমস্যা তৈরি না-হয়, সেই বিষয়ে হাওড়ার পুলিশ কমিশনারকে বিশেষ নির্দেশ দেন মুখ্যসচিব। পরীক্ষা চলাকালীন নিরাপত্তায় জোর দেওয়ার কথাও বলে মুখ্যসচিব।

    আরও পড়ুন: পরের মাসেই টেট, পরীক্ষায় স্বচ্ছতা আনতে কী কী উদ্যোগ নিয়েছে পর্ষদ?

    আরও জানা গিয়েছে, পরীক্ষা কেন্দ্রের জন্য জারি হয়েছে একাধিক বিধিনিষেধ। যেমন- কোনও গ্যাজেট, স্মার্ট ওয়াচ, মোবাইল ফোন নিয়ে ঢোকা যাবে না পরীক্ষা কেন্দ্রে। পরীক্ষা কেন্দ্রের চারপাশে জারি করতে হবে ১৪৪ ধারা। এমনকি গণ টোকাটুকি রুখতেও জেলা প্রশাসনকে কড়া ব্যবস্থার নেওয়ার নির্দেশ দিলেন মুখ্যসচিব। প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রে মেটাল ডিটেক্টর রাখা হবে, এও বৈঠকে বলা হয়। আরও জানা গিয়েছে, পরীক্ষার্থীদের জন্য হেল্পলাইন চালু করা হবে জেলাশাসক ও মহকুমাশাসকের দফতরে। পরীক্ষা কেন্দ্রের প্রবেশপথে এবং কন্ট্রোল রুমে সিসিটিভি রাখারও কথা বলা হয়েছে।

    উল্লেখ্য, এবছর টেট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৭ লক্ষ, যা আগেরবারের তুলনায় তিনগুণ। ১১ ডিসেম্বর, বেলা ১২টা থেকে পরীক্ষা শুরু হবে। ১৫০ নম্বরের পরীক্ষার জন্য সময় আড়াই ঘণ্টা। পরীক্ষা শুরুর ২ ঘণ্টা আগে রিপোর্ট করতে হবে। এছাড়াও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের গাইডলাইন থেকে জানা গিয়েছে, টেট উত্তীর্ণ সার্টিফিকেটের ‘লাইফ টাইম’ বৈধতা থাকবে। অর্থাৎ, টেট উত্তীর্ণ সার্টিফিকেট দিয়ে ৪০ বছর বয়স পর্যন্ত চাকরিপ্রার্থীরা যতবার খুশি নিয়োগের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এছাড়াও একজন পরীক্ষার্থী একাধিকবার টেটে বসতে পারবেন। এতকিছুর পরে শেষপর্যন্ত এই পরীক্ষা নির্বিঘ্নে হতে পারে কিনা সেদিকে তাকিয়েই রাজ্যবাসী।

  • West Bengal Government: আরও জোরদার ডিএ-র দাবিতে আন্দোলন, গণছুটির পথে রাজ্য সরকারি কর্মীরা!

    West Bengal Government: আরও জোরদার ডিএ-র দাবিতে আন্দোলন, গণছুটির পথে রাজ্য সরকারি কর্মীরা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-র দাবিতে রাজ্য সরকারের (West Bengal Government) বিরুদ্ধে আরও জোরদার আন্দোলনে নামতে চলেছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। নয়া বছরের প্রথমেই কোমর বেঁধে আন্দোলনে নামছেন তাঁরা। ২৭ জানুয়ারি গণ ছুটির (Mass Holiday) ডাক দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে। কলকাতায় ডাক দেওয়া হয়েছে গণ অবস্থানের। এদিকে, বৃহস্পতিবার দিনভর সওয়াল জবাব শেষে ডিএ (DA) আন্দোলনে অংশ নেওয়া ধৃত ৪৭ জনের জামিন মিলল। ব্যাঙ্কশাল কোর্টে এদিন তাঁদের হয়ে সওয়াল করেন দুঁদে আইনজীবী তথা সিপিএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য।  

    বকেয়া ডিএ-র দাবিতে বুধবার লেনিন মূর্তির পাদদেশ থেকে বিধানসভা পর্যন্ত অভিযানের ডাক দিয়েছিল সরকারি কর্মীদের তিরিশটি সংগঠন। তিরিশটি সংগঠনের যৌথমঞ্চের বিধানসভা অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমারকাণ্ড বাঁধে। বকেয়া ডিএ চাওয়ায় পুলিশ কয়েকজনকে ঘুষিও মারে বলে অভিযোগ। রক্তাক্ত হন কয়েকজন। টেনে হিঁচড়ে চ্যাংদোলা করে আন্দোলনকারীদের তোলা হয় গাড়িতে। পুলিশের ধাক্কাধাক্কি থেকে রেহাই পাননি অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মীরাও। ওই ঘটনায় ৪৭জনকে গ্রেফতারও করা হয়। এদিন তাঁদেরই জামিন মেলে।

    আন্দোলনে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ…

    তবে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে (West Bengal Government) এই আন্দোলনে যে এখানেই দাঁড়ি পড়ছে, তা নয়। নতুন বছরের শেষের দিকে জোরদার আন্দোলনে নামছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। মঞ্চের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাজ্য সরকার যদি দ্রুত বকেয়া ডিএ মেটানোর দাবি না মেনে নেয়, তাহলে আন্দোলন আরও তীব্র করা হবে। বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দিতে হবে এবং যাবতীয় শূন্যপদে স্বচ্ছভাবে নিয়োগের দাবিতে ১৯ ডিসেম্বর উত্তরকন্যা অভিযান করা হবে। ২৭ জানুয়ারি দেওয়া হয়েছে গণছুটির ডাক। কলকাতায় হবে লাগাতার অবস্থান।

    আরও পড়ুন: ডিএ-র দাবিতে আন্দোলনকারীদের গ্রেফতারি দুর্ভাগ্যজনক, বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    বুধবার আন্দোলন চলাকালীন যে ৪৭জনকে গ্রেফতার করা হয়, তাঁদের হয়ে এদিন আদালতে সওয়াল করেন বিকাশরঞ্জন। সওয়াল করতে গিয়ে তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশের ভূমিকা অভাবনীয়। পুলিশ ছেড়ে দেবে বলেও, ছাড়েনি। আন্দোলনকারীরা কি বোমা ছুড়েছে, নাকি অন্য কিছু করেছে? কলকাতায় ১৪৪ ধারা হামেশাই ভাঙে। কী দোষ এদের? হেফাজতে রাখার যুক্তি কী? ডিএ দেবে না আবার আন্দোলনও করতে দেবে না?  এর পরে পরে এদিন সন্ধের দিকে জামিন দেওয়া হয় ধৃতদের। এদিকে, ডিসেম্বরের ২ তারিখে সুপ্রিম কোর্টে হবে ডিএ সংক্রান্ত মামলার শুনানি। কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের করেছে রাজ্য সরকার (West Bengal Government)। তারই শুনানি হবে ওই দিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Mamata Banerjee: শিয়রে পঞ্চায়েত ভোট, তাই কি ‘সেটিং’ তত্ত্ব খারিজ করতে তৎপর মমতা?

    Mamata Banerjee: শিয়রে পঞ্চায়েত ভোট, তাই কি ‘সেটিং’ তত্ত্ব খারিজ করতে তৎপর মমতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দোরগোড়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচন। এ রাজ্যে তৃণমূলের (TMC) প্রধান প্রতিপক্ষ বিজেপিই (BJP)। অথচ জি-২০ (G-20) সম্মেলন উপলক্ষে দিল্লিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সঙ্গে দেখা করবেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এনিয়ে ‘দিদি-মোদি সেটিং’য়ের তত্ত্ব খাড়া করতে পারে বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস সহ অন্যান্য দল। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রক্কালে যা তৃণমূল নেত্রীর পক্ষে খুব একটা সুখকর হবে না। সেই কারণে এবার দিল্লি যাওয়ার আগেই তৃণমূল নেত্রী খোলসা করে দিলেন, কী কারণে এবার তিনি দিল্লি যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখাইবা করবেন কেন?

    দিল্লি যাত্রার উদ্দেশ্য…

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করতে ডিসেম্বরের ৫ তারিখে দিল্লি যাচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী। এর আগে একাধিকবার নানা অছিলায় প্রধানমন্ত্রীকে এড়িয়ে গিয়েছেন মমতা (Mamata Banerjee)। তবে এই যে ৫ তারিখে দিল্লি যাচ্ছেন তিনি, তার আগে যেবার তিনি দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একান্তে বৈঠক করেছিলেন, সেবার সেটিং তত্ত্ব তুলে তাঁকে বিঁধেছিল বিজেপি সহ একাধিক দল। এবার যাতে বিরোধীরা সেই তত্ত্ব খাড়া করতে না পারে, তাই কী উদ্দেশ্যে তিনি দিল্লি যাচ্ছেন, বৃহস্পতিবার তা খোলসা করলেন বিধানসভায় দাঁড়িয়ে। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, দিল্লিতে যাব প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে। এবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নয়, দলের চেয়ারপার্সন হিসেবে যাব। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কী নিয়ে আলোচনা হবে, তাও জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। তিনি বলেন, জি-২০ সম্মেলন নিয়েই আলোচনা হবে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের চেয়ারপার্সনদের এই বৈঠকে ডাকা হয়েছে। আমিও দলের চেয়ারপার্সন হিসেবে যাব।

    আরও পড়ুন: অভিষেকই ‘কয়লা ভাইপো’? মেনে নিচ্ছে তৃণমূল?

    এর আগের বার বিরোধীদের সেটিং তত্ত্বের জবাব দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী ((Mamata Banerjee))। বলেছিলেন, আমি রাজ্যের প্রাপ্য চাইতে গিয়েছিলাম। সেটাকে নাকি সেটিং বলে। ভিক্ষা চাইতে যাইনি, নিজেদের প্রাপ্য চাইতে গিয়েছিলাম। তিনি বলেছিলেন, আমি কারও সঙ্গে সেটিং করতে যাই না। সবাই আমার সঙ্গে সেটিং করতে আসে। রাজনৈতিক মহলের মতে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বৈঠক যাতে বিরোধীদের হাতিয়ার হয়ে উঠতে না পারে, তাই আগেভাগেই গেয়ে রাখলেন তৃণমূল নেত্রী।  বৃহস্পতিবারই কেন্দ্রের তরফে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় রাজ্যকে দেওয়া হয়েছে ৮ হাজার ২০০ কোটি টাকা। তবে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় আটকে রয়েছে একশো দিনের কাজ প্রকল্পের টাকা। অথচ পঞ্চায়েত ভোটে ১০০ দিনের কাজ বড় ইস্যু। কারণ, অধিকাংশ গ্রামাঞ্চলে ১০০ দিনের কাজের মাধ্যমে অনেকে আয় করে থাকেন। ফলে, সেই টাকা আটকে যাওযায় বিপাকে পড়েছে রাজ্য। সম্প্রতি, ওই টাকা পেতে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন ও পঞ্চায়েতি রাজ মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের সঙ্গে দেখা করেছিল তৃণমূল প্রতিনিধি দল। কিন্তু, কোনও সুরাহা হয়নি। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সেই টাকা পেতেই দিল্লির দরবারে ছুটছেন মমতা।  

    প্রসঙ্গত, আগামী বছর ভারতেই হবে জি-২০ সম্মেলন। এই সম্মেলন সফল করতে কোমর কষে নেমেছে মোদি সরকার। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতার সঙ্গে কথা বলে ওই সম্মেলন কীভাবে সফল করা যায়, তার রূপরেখা চূড়ান্ত করতেই বৈঠক ডাকা হয়েছে বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     
     

     

  • CUET: আর নিজস্ব প্রবেশিকা পরীক্ষা নয়, স্নাতকোত্তরের জন্য কুয়েটেই ভরসা দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের

    CUET: আর নিজস্ব প্রবেশিকা পরীক্ষা নয়, স্নাতকোত্তরের জন্য কুয়েটেই ভরসা দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্নাতকোত্তরের প্রবেশিকা পরীক্ষা, ‘দিল্লি ইউনিভার্সিটি এনট্রান্স টেস্ট’ বা ডুয়েট। পরবর্তী শিক্ষাবর্ষ থেকেই স্নাতকোত্তর স্তরের ভর্তি পুরোটাই হবে কুয়েট থেকে। অর্থাৎ যারা দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার স্বপন দেখছেন তাদেরকে অবশ্যই কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রবেশিকা পরীক্ষায় (CUET) পাশ করতে হবে। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা পরিষদও এই সিদ্ধান্তে সহমত পোষণ করেছে। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের প্রবেশিকা পরীক্ষা কীভাবে নেওয়া হবে, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্যে ১০ জনের একটি দল গঠন করা হয়েছিল। সেই দলই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। 

    এই মুহূর্তে কী নিয়মে নেওয়া হচ্ছে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি?

    এই মুহূর্তে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ কলেজ থেকে পাশ করা পড়ুয়াদের মেধার ভিত্তিতে ৫০ শতাংশ আসনে ভর্তি নেওয়া হয়। বাকি ৫০% আসনে ভর্তি নেওয়া হয় দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষার ভিত্তিতে। 

    এখন থেকে কীভাবে নেওয়া হবে প্রবেশিকা পরীক্ষা?

    নতুন নিয়মে যে ৫০% আসনে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের নেওয়া হয় মেধার ভিত্তিতে, তা একই থাকবে। বাকি ৫০%- এ পড়ুয়াদের নেওয়া হবে কমন ইউনিভার্সিটি এনটান্স টেস্টের (CUET) ভিত্তিতে। 

    আরও পড়ুন: হাইকোর্টে ধাক্কা খেল স্কুল সার্ভিস কমিশন! এবার কি সুপ্রিম দুয়ারে যাবে রাজ্য সরকার?

    ১-১২ সেপ্টেম্বর দেশের ৫০০টি শহর এবং দেশের বাইরের ১৩টি শহরে এই পরীক্ষা নেওয়া হয়। মোট ৩.৫৭ লক্ষ পরীক্ষার্থী এই পরীক্ষায় বসেন। দেশের প্রথম সারির ৬৬টি বিশ্ববিদ্যালয় কুয়েটের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের ভর্তি নেয়। এর মধ্যে রয়েছে বহু কেন্দ্রীয়  বিশ্ববিদ্যালয়।  

    কুয়েট পিজির ফল প্রকাশের পরেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দিয়েছে ইউজিসি। ইউজিসি বিশ্ববিদ্যালয়কে চিঠি দিয়ে ওয়েবসাইট এবং ওয়েব পোর্টাল খোলার নির্দেশ দিয়েছে। যাতে পড়ুয়াদের ভর্তির প্রক্রিয়া আরও সহজ হয়। 

    দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় (Delhi University) ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রোগ্রামে কেন্দ্রীয় বিশ্ব বিদ্যালয় প্রবেশিকা পরীক্ষার (CUET 2022) মাধ্যমে ভর্তির জন্য পোর্টাল (Portal) চালু করেছে। সেই পোর্টালে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। দেশজুড়ে প্রায় ৬.১৪ লক্ষ পড়ুয়া দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কলেজে ভর্তি হওয়ার আবেদন করেছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Richa Chadda: সেনাকে অপমান করে ট্রোলড রিচা চাড্ডা, ক্ষমা চাইলেন ট্যুইটারে

    Richa Chadda: সেনাকে অপমান করে ট্রোলড রিচা চাড্ডা, ক্ষমা চাইলেন ট্যুইটারে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোস্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে বিপাকে রিচা চাড্ডা (Richa Chadda)। ভারতীয় সেনাকে অপমান করার অভিযোগে রিচার বিরুদ্ধে সরব নেট নাগরিকরা। এবার নিজের পোস্টের জন্যে ট্যুইটারে ক্ষমা চাইলেন এই বলিউড অভিনেত্রী। 

    বলিউড অভিনেত্রী রিচা চাড্ডার ট্যুইট ঘিরে বিতর্কের সৃষ্টি হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। একাধিক মানুষ অভিনেত্রীর ক্ষমার দাবি করেছিলেন। অবশেষে ক্ষমা চাইলেন রিচা। এও জানালেন তাঁর বলা কথাগুলি ভারতীয় সেনাকে আঘাত করার জন্য ছিল না। তিনিও যে সেনার পরিবার থেকেই এসেছেন পোস্টে তাও পরিষ্কার করেন রিচা (Richa Chadda)।

    আরও পড়ুন: ডিএ-র দাবিতে আন্দোলনকারীদের গ্রেফতারি দুর্ভাগ্যজনক, বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    কোন পোস্ট ঘিরে বিতর্ক?

    পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ফের দখল নেওয়ার বিষয়ে কিছুদিন আগেই একটি বিবৃতি দিয়েছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনি বলেছিলেন, “পাকিস্তান পিওকে-তে যা করেছে তার মূল্য চোকাতে হবে। কাশ্মীরের উন্নয়ন শুরু হয়েছে। ততক্ষণ পর্যন্ত থামা হবে না, যতক্ষণ না গিলগিট-বালোচিস্তানে পৌঁছনো হচ্ছে।” এরপর জবাবে নর্দান আর্মি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী বিবৃতি দিয়ে বলেন, ‘‘যদি ভারতীয় আর্মির কথা কথা বলা হয়, তাহলে সরকারের যেকোনও নির্দেশ পালন করতে তৈরি সেনা। যখনই এরকম কোনও নির্দেশ আসবে, আমরা তৈরি থাকব। ভারতীয় সেনা দুই দেশের স্বার্থেই সীমান্তে শান্তি রাখার চেষ্টা করে সবসময় ও সব শর্ত মেনে চলে। তবে অন্যপক্ষ শর্ত কভাঙলে, জবাব দিতেও ভয় পায় না।” কম্যান্ডারের কথায় উঠে আসে ২০২০ সালে চিনের সেনার সঙ্গে গালওয়ান ক্ল্যাশের কথাও।

    এরপরেই ট্যুইটারে একটি পোস্ট করে রিচা (Richa Chadda) লেখেন, “গালওয়ান বলছে হাই!” তারপরেই বাধে বিতর্ক। রিচা চাড্ডার (Richa Chadda) বিরুদ্ধে সেনা বাহিনীকে অপমান করার অভিযোগ করে নেট জনতা। এরপরেই ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামেন রিচা। 

    ক্ষমা চাইলেন রিচা চাড্ডা

    ক্ষমা চেয়ে ট্যুইটে অভিনত্রী (Richa Chadda) লেখেন, “যদিও এটা কখনই আমার ইচ্ছে ছিল না, কিন্তু যদি এই তিনটে শব্দ থেকে এত বিতর্ক তৈরি হয়, যদি এই কারণে কেউ কষ্ট পান, তাহলে আমি ক্ষমা চাইছি। যদি সেনাতে থাকা আমার ভাইয়েরা আমার এই বক্তব্যে দুঃখ পেয়ে থাকেন তার জন্য আমি দুঃখিত। এটা একদমই অনিচ্ছাকৃত ভুল। আমার দাদুও সেনায় ছিলেন। আমার মামা ছিলেন প্যারা ট্রুপার। আমার রক্তে আছে। দেশকে বাঁচাতে একটি ছেলে শহিদ হলে বা যুদ্ধে আহত হলে তাঁর পুরো পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাঁদের অবদানেই তৈরি এই দেশ। আমি ব্যক্তিগতভাবে জানি, সেটার অনুভব ঠিক কেমন। এটা আমার কাছে খুবই সংবেদনশীল বিষয়।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Visva Bharati University: মাঝরাতে রণক্ষেত্র বিশ্বভারতী, ঘরের দরজা ভেঙে উদ্ধার উপাচার্যকে

    Visva Bharati University: মাঝরাতে রণক্ষেত্র বিশ্বভারতী, ঘরের দরজা ভেঙে উদ্ধার উপাচার্যকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছাত্র বিক্ষোভের জেরে মাঝরাতে উত্তপ্ত বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় (Visva Bharati University)। পড়ুয়াদের লক্ষ্য করে গুলি চালানোর নির্দেশ বিশ্বভারতীর উপাচার্যের (Vice Chancellor)। উপচার্যের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ তুলেছেন ছাত্রছাত্রীরা। উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর পাল্টা অভিযোগ, তাঁর গায়ে হাত তুলেছেন প্রতিবাদীরা। পড়ুয়া বিক্ষোভের জেরে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয় বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। বুধবার ঘণ্টা দশেক পরে ঘেরাও মুক্ত হন উপাচার্য।

    ঘটনার নেপথ্যে…

    এদিন উপাচার্যের কাছে কয়েকটি দাবিদাওয়া নিয়ে গিয়েছিলেন ছাত্রছাত্রীরা। অভিযোগ, উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী তাঁর ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীদের পড়ুয়াদের লক্ষ্য করে গুলি চালানোর নির্দেশ দেন। উপাচার্য তাঁর ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীদের গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন এ খবর ছড়িয়ে পড়তেই উত্তেজনা ছড়ায় বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে ঘেরাও করে শুরু হয় বিক্ষোভ। নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় পড়ুয়াদের। ঘটনার জেরে অল্পবিস্তর আহত হন উভয়পক্ষেরই কয়েকজন। বিক্ষোভকারীরা দাবি তোলেন, উপাচার্য পদত্যাগ না করা পর্যন্ত ঘেরাও চলবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্র বলেন, উনি যদি এখান থেকে চলে যান, তাহলেই বিশ্বভারতীর মঙ্গল হবে। পড়ুয়াদের অভিযোগ, হাইকোর্টের নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে (Visva Bharati University) নানা অনিয়ম হচ্ছে। বিক্ষোভরত অন্য এক পড়ুয়ার দাবি, ওঁর (উপাচার্যের) যে ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী, তাঁকে বলছেন গুলি চালাও। পিস্তল বের করে গুলি চালানোর নির্দেশ দিচ্ছেন। বিক্ষোভকারী অন্য এক ছাত্রের দাবি, পড়ুয়ারা যখন তাঁর সামনে এসে গোল হয়ে দাঁড়িয়ে দাবি দাওয়ার কথা বলছেন, তখন তিনি তাঁর নিরাপত্তারক্ষীদের দিয়ে ছাত্রছাত্রীদের প্রহার করান।

    আরও পড়ুন: ‘কার নির্দেশে নিয়োগের আবেদন?’ ফের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    উপাচার্যের ঘরে অশান্তির খবর পেয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যান কয়েকজন অধ্যাপক অধ্যাপিকা। তাঁদেরও বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বিশ্বভারতী (Visva Bharati University) সূত্রে খবর, রাত দুটো পর্যন্ত নিজের অফিসেই ছিলেন উপাচার্য। অভিযোগ, নিরাপত্তারক্ষীরা পড়ুয়াদের মারধর করে সরিয়ে দিয়ে উপাচার্যকে বের করেন। নিরাপত্তারক্ষীরা শাবল, গাঁইতি নিয়ে ঘরে ঢুকেছিলেন বলেও বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের অভিযোগ। ঘটনার জেরে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় (Visva Bharati University) চত্বর ও উপাচার্যের বাসভবনের সামনে মোতায়েন করা হয়েছে আরও বেশি করে নিরাপত্তা রক্ষী। পরিস্থিতি যাতে নতুন করে উত্তপ্ত না হয়, সেজন্য নজর রেখেছে অতিরিক্ত বাহিনী। পুরো ঘটনাটি সম্পর্কে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Dengue: ‘ডেঙ্গি মোকাবিলায় ব্যর্থ রাজ্য’, হাইকোর্টে দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা

    Dengue: ‘ডেঙ্গি মোকাবিলায় ব্যর্থ রাজ্য’, হাইকোর্টে দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে শীতের আমেজ শুরু হয়ে গেলেও ডেঙ্গির (Dengue) প্রকোপ কমছে না। বেড়েই চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা। মৃত্যুর সংখ্যাও আশঙ্কাজনক। এমন অবস্থায় রাজ্যের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে। এর আগেও ডেঙ্গি মোকাবিলায় রাজ্যের ভূমিকা নিয়ে বার বার প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। এবার এই ইস্যুতেই দায়ের হল মামলা। এবার এই বিষয়ে আদালতের হস্তক্ষেপের দাবি জানানো হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: শিক্ষাসচিবের হাজিরা নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ! রাতেই ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ রাজ্য

    এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ৫০ হাজারের বেশি মানুষ ডেঙ্গিতে (Dengue) আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৭৫ জনেরও বেশি মানুষের। স্বাভাবিকভাবেই ডেঙ্গি নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে বিরোধী দলগুলি। ডেঙ্গি নিয়ে নজরদারি চালানোর জন্য একটি ‘মনিটরিং সেল’ গঠন করার পাশাপাশি ডেঙ্গি মোকাবিলায় মেডিক্যাল কমিশন গঠনের আর্জি জানিয়েছেন মামলাকারী। মামলাটি দায়ের করেছেন বিশিষ্ট চিকিৎসক সঞ্জীব কুমার মুখোপাধ্যায়। আগামী মঙ্গলবার মামলাটির শুনানি হবে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে। 

    কী বলেন মামলাকারীর আইনজীবী?

    মামলাকারীর আইনজীবী জানান, রাজ্যে ডেঙ্গির (Dengue) প্রকোপ ক্রমশ বেড়ে চলেছে। গত কয়েকদিনে রাজ্য জুড়ে ডেঙ্গিতে মৃত্যুর সংখ্যাও বেড়েছে। গত ১৬ নভেম্বর মালদায় ১৩ বছরের এক কিশোর ডেঙ্গিতে মারা যায়। কলকাতা পুরসভা সহ অন্যান্য পুরসভা ডেঙ্গি মোকাবিলায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ। রাজ্যের পঞ্চায়েতগুলিও ডেঙ্গি মোকাবিলায় ব্যার্থ। হাসপাতালগুলিতে প্লেটলেটের অভাব রয়েছে। তাই এ বিষয়ে হাইকোর্টের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন রয়েছে। মেডিক্যাল কমিশন ও মনিটারিং সেল গঠনের পাশাপাশি মৃতদের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে।

    প্রসঙ্গত, ডেঙ্গি সংক্রমণ বৃদ্ধিই শুধু নয়, রাজ্যের বিরুদ্ধে ডেঙ্গি (Dengue) সংক্রান্ত তথ্য চাপা দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীও অভিযোগ করেছেন, কেন্দ্রীয় সরকারকে ডেঙ্গি সংক্রান্ত কোনও তথ্য দিচ্ছে না পশ্চিমবঙ্গ। যদিও এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের নিয়ম অনুযায়ী তথ্য প্রকাশ করা যায় না। তাই তথ্য পোর্টালে দেওয়া হচ্ছে না। অন্য রাজ্যেও ডেঙ্গি হচ্ছে, সেই সব রাজ্যও তথ্য দিচ্ছে না বলে দাবি করেছেন মমতা। কিন্তু রাজ্যের এই দাবি মানতে নারাজ বিরোধীরা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

      

     

     

  • DA Agitation: ডিএ-র দাবিতে রণক্ষেত্র ধর্মতলা, সরকারি কর্মীদের বিধানসভা অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার

    DA Agitation: ডিএ-র দাবিতে রণক্ষেত্র ধর্মতলা, সরকারি কর্মীদের বিধানসভা অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে ডিএ-র দাবিতে রাস্তায় সরকারি কর্মীরা (DA Agitation)। তাঁদের আন্দোলনে রণক্ষেত্র হয়ে উঠেছে ধর্মতলা চত্বর। আজ শুরু হয় বিধানসভা অভিযান। রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সংগঠনের যৌথ মঞ্চের মিছিল ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

    ডিএ-র দাবিতে আন্দোলন সরকারি কর্মীদের

    প্রায় কয়েক মাস ধরে চাকরির দাবিতে শহরের বিভিন্ন জায়গায় আন্দোলন করতে দেখা যায় চাকরিপ্রার্থীদের। ফলে চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভে যখন উত্তাল পুরো রাজ্য, তারই মাঝে এবারে আন্দোলনে নামলেন রাজ্যের সরকারি কর্মীরা (DA Agitation)। তাঁদের বিধানসভা অভিযানকে ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি ধর্মতলা চত্বর। ধর্মতলা থেকে মিছিল যায় বিধানসভার দিকে। আর সেই মুহূর্তেই পুলিশের সঙ্গে এবারে ধস্তাধস্তি শুরু হয় সরকারি প্রবীণ কর্মীদের। ফের অভিযোগ উঠেছে পুলিশি বর্বরতার। এবারও ঝরল রক্ত। পুলিশের হাত থেকে বাদ যায়নি প্রবীণ কর্মীরাও। তাঁদেরকেও জোর করে টেনে-হিঁচড়ে আন্দোলন থেকে সরানোর অভিযোগ উঠে এসেছে।  

    রাজ্যে চাকরিপ্রার্থীরা এর আগে আন্দোলনে নামলে তাঁদের কপালে জুটেছে পুলিশের মার, কামড়। আর এবারে পুলিশের লাঠিচার্জের মুখোমুখি হতে হয় প্রবীণ কর্মীদের (DA Agitation)। তাঁদের ঘুষি মারার ও মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। আবার কিছু আন্দোলনকারীদের জোর করে টেনে তোলা হয় প্রিজন ভ্যানে। মহিলারাও বাদ যায়নি এতে। আজ এই আন্দোলন রুখতে প্রথম থেকেই বড়সড় প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল পুলিশ। ব্যারিকেডে ঢেকে গিয়েছিল ধর্মতলা চত্বর। এরপর আন্দোলনকারীরা বিধানসভার দিকে যেতে গেলে তখনই তাঁদের বাধা দেওয়া হয় ও শুরু হয় ধস্তাধস্তি। অনেকে বিধানসভা গেটের কাছে পৌঁছে গেলে তাঁদের চ্যাংদোলা করে তুলে গাড়িতে ঢোকায় পুলিশ (DA Agitation)।

    আবার বিধানসভার ২ নম্বর গেটের কাছে চলে আসেন বেশ কিছু সরকারি কর্মী। সেখানে দাঁড়িয়েই তাঁরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। এরপর বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে তাঁদের আটক করে নিয়ে যায়। এখন বিধানসভায় অধিবেশন চলছে। সাধারণভাবে বিধানসভায় অধিবেশন চললে ওই গেটে কখনওই বিক্ষোভের অনুমতি দেওয়া হয় না। ফলে পুলিশ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভকারীদের তুলে লালবাজারে নিয়ে যায় (DA Agitation)।

    সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য

    প্রসঙ্গত, বকেয়া ৩৫ শতাংশ ডিএ নিয়েই আজকের এই বিক্ষোভ সরকারি কর্মীদের (DA Agitation)। তাঁদের দাবি, ৩৫ শতাংশ ডিএ এখনও তাঁদের পাওনা আছে। ডিএ নিয়ে হাইকোর্টে মামলা হওয়ায় ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যকে নির্দেশ দেয়, ৩ মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ মেটাতে হবে। আবার এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে রাজ্য সরকার। এরপর হাইকোর্টের নির্দেশ না মানায় সরকারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলাও দায়ের করা হয়। আর এই মামলায় আদালতকে হলফনামা দিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার জানিয়েছে, সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা ইতিমধ্যেই দেওয়া হয়েছে। তাঁদের কোনও বকেয়া ডিএ নেই। আর এরপরেই কর্মীরা আজ আন্দোলনে নেমেছেন ও আর এতেও পুলিশি বর্বরতার অভিযোগ উঠে এসেছে। 

     

LinkedIn
Share